তাবলীগ জামায়াতের ভ্রান্ত আকীদাহ থেকে সাবধান মওলানা ম. ইদ্রিছ আলী মিয়া ইমাম জামেঅ মসজিদ শুঠিবাড়ি বাজার, নীলফামারী।

—————————————–

‘বিসমিল্লাহির রহমাননির রহিম’ ইসলাম একটি স্বচ্ছ, সাবলীল ও যুক্তি পূর্ণ দ্বীন বা জীবন চলার পথ। এতে না আছে বাতিলের কোনো অনুপ্রবেশ এবং না আছে মিথ্যার কোনো স্পর্শ। এ দ্বীনের সমস্ত বিষয় কোরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসাবলি ও ফেকাহবীদদের চুড়ান্ত রায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত। রছুলুল্লাহ (ছ) আমাদের জন্য যে আদর্শ নিয়ম পদ্ধতি, ব্যক্তিগত, পারিবারিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক ইত্যাদি ক্ষেত্রে যে দিক নির্দেশনা নিয়ে গেছেন সেটাই আমাদের জন্য অনুসরণীয়। কোনো ছুফী বুযুর্গের মনগড়া ইবাদতের নিয়ম কানুন, স্বপ্নের কাহিনী ও কল্পিত কিচ্ছা আমাদের জন্য অনুসরণীয় নয়। দর্শন শাস্ত্রের ওয়াহদাতুল অজুদ ও অদৈত্ববাদ (সব কিছুই আল্লাহ) এবং ওয়াহ দাতুশ শুহুদ ও জহুর নামে সর্বেশ্বরবাদ (সবকিছুই আল্লাহ) বিশ্বাসী ছুফীরা ইসলামে সুক্ষ্মভাবে ঢুকিয়ে দিয়েছেন এবং আল্লাহই সবকিছুই এই সুফী তত্ত্বকে মানুষের মধ্যে এক সর্বেশ্বরবাদ বিশ্বাস সৃষ্টি করে এক এক জন “গাউসুল আজম” ও “কুতুবুল আলম” হয়ে গিয়েছেন। গাউস হলো, যে মানুষকে কঠিন বিপদ থেকে উদ্ধার করতে পারেন। কুতুবুল আলম হলো, যে ওলীর উপর জগৎ পরিচালনার দায়িত্ব আল্লাহ ন্যাস্ত করেন। অথচ এটা কুরআন বিরোধী ও শির্কী মতবাদ। এ শির্কী মতবাদ ও বিশ্বাসের উপরই মানুষ সূফী ব্যক্তিদের এবাদতের অংশী হিসেবে গ্রহণ করে থাকে। তারা তাদের কল্পিত ইবাদাতের নিয়ম পদ্ধতি, তাদের বুযুর্গীর কাহিনী ও স্বপ্নের কিচ্ছা বয়ান করে তাদের দিকে সাধারণ মুসলিমগণকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা করে থাকেন। যারা এধরনের অজুদ শহুদ ও জহুর বা সর্বেশ্বরবাদ প্রতিষ্ঠা করেছেন তাদের অন্যতম ব্যক্তি হলেন তাবলীগ জামায়াতের প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ইলিয়াস সাহেবের দাদা পীর হাজী এমদাদুল্লাহ মুহাজেরে মাক্কী। তার উত্তরসূরী শাকরিদগণ হাজী সাহেবের আকীদার ধারক বাহক হয়ে বিভিন্ন ফযিলত সম্বন্ধে বই লিখে নানান কাহিনী রচনা করে যে সব ভ্রান্ত আকীদাহ ও বুঝ প্রচার করছেন তাতে ইসলামকে বিকৃত করার ষড়যন্ত্র বই কিছুই নয়। সাধারণ শিক্ষিত ও সূফীবাদে বিশ্বাসী আলিম ঐ সব কাহিনীকে সত্য বলে বিশ্বাস করে কুফরী ও র্শিকী গুনাহে লিপ্ত হয়ে যায়। অথচ র্শিক করলে অথবা সঠিক ঈমানের পরিবর্তে কুরআন বিরোধী কোন বিশ্বাস পোষণ করলে তার সব নেক আমাল নিষ্ফল হবে এবং আখিরাতে সে ক্ষতিগ্রস্থ হবে। তারা কৌশলে কুরআনের অর্থ বুঝা থেকে সাধারণ মানুষকে দুরে রেখে শুধু কুরআনের তিলাওয়াতের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে। তারা শুধু বুর্যুগানে দ্বীনের কথার উদ্ধৃতি দিয়ে ও ফাযায়েলে আমাল বইয়ের স্বপ্নের কাহিনী পড়ে ও মনগড়া কিচ্ছা শুনিয়ে দাওয়াতের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা সীমিত আকারে কোরআনের আয়াত ও কিছু হাদীস আলোচনা করলেও তা ব্যাপক ইসলামী জীবনের জন্য যথেষ্ট নয়। ঈমানের আলোচনায় মনগড়া ব্যাখ্যা দিয়ে মুলতঃ ইমান বিনষ্টকারী ওয়াহদাতুল ওজুদ (সর্বেশ্বরবাদ)-এর দিকে মানুষকে আকৃষ্ট করতে থাকে। তারা বলেন “কিছুতেই কিছু হয় না, যা কিছু হয় সবই আল্লাহ থেকে হয়।” এ কথাটি কালিমার ব্যাখ্যায় তারা ব্যবহার করে থাকে। এটার অর্থ দাড়ায় সব কর্ম আল্লাহই করেন। এতে বান্দা দায়মুক্ত থাকে এবং আল্লাহর উপর বান্দার সকল কর্মের দায় ভার এসে যায়। তারা এই ভাবে কালিমা তইয়্যাবাকে ডাল স্বরুপ গ্রহণ করে তাদের বানায়টি কালিমা ব্যাখ্যায় শুনিয়ে থাকেন। তাদের কালেমা হল লা মওজুদা ইল্লাল্লাহ, কোনো অস্তিত্ব নেই আল্লাহ ছাড়া। অর্থাৎ সব অস্তিত্বই আল্লাহ। লা ফায়েলা ইল্লাল্লাহ, লা ফায়েলা ইল্লাল্লাহ, কোনো কর্তা নেই আল্লাহ ছাড়া। অর্থাৎ মানুষ কোনো কর্তা নই। লা যাহেরা ইল্লাল্লাহ, কোনো প্রকাশ নেই আল্লাহ ছাড়া। অর্থাৎ সমস্ত রুপের প্রকাশ আল্লাহর রুপ বা অনন্ত রুপ। লা বাতেনা ইল্লাল্লাহ, নাই কোনো গোপন আল্লাহ ছাড়া। সমস্ত গোপন সত্তাই আল্লাহ। শুধু তবলিগ জামাতই নয় দেশের সমস্ত পীর ও মাসায়েখ গণ এই কৃত্তিম বা বানাউট কালেমার উপর প্রতিষ্ঠিত। দেশের ফুরফুরা, চরমোনাই, আটরশি, চন্দ্রপুরী, মাইয়িজ ভান্ডারী, শুরেশ্বরী সকলেই এই কালেমার ধারক বাহক হয়ে কুরআন ছুন্নাহর একমাত্র কালেমা শাহাদতের মুকাবিলা করে তাগুতের পথ বেছে নিয়েছেন। অতএব, এটা কুফরী মতবাদ তাতে কোনো সন্দেহ নেই। নি¤েœ কতিপয় তবলিগের হুজুরদের বিভ্রান্ত উক্তি তুলে ধরা হচ্ছে। যেমন: হাজী এমদাদুল্লাহ সাহেবের কথারই পূর্ণ অনুসরণে এ ব্যাখ্যা করা হয়ে থাকে। হাজী সাহেবের লেখা জিয়াউল কুলুব (উর্দু) বইয়ে তিনি লিখেছেন, ১। বিশ্ব জাহানের যাবতীয় ক্রিয়া কান্ড আল্লাহরই ক্রিয়াকান্ড বলে ভাববে। বাহ্যতঃ যাকে কাজ করতে দেখা যাচ্ছে তাকে শুধুমাত্র মাধ্যম বলে মনে করবে আর আল্লাহরকেই প্রকৃত কর্তা বলে ভাববে। -(যিয়াউল কুলুব উর্দু ৩৪ পৃঃ)। ২। তাওহিদের জাতি এই যে, “বিশ্ব জগতের সব কিছুকে আল্লাহ বলে ধারণা করা। (যিয়াউল কুলুব উর্দু ৩৫ পৃঃ)। ৩। সুফী তরীকার ধ্যান ও মুরাকাবা করতে করতে মানুষ বাহ্যতঃ আল্লাহ থাকলেও অভ্যন্তরীণ ভাবে আল্লাহ হয়ে যায়”। (যিয়াউল কুলুব উর্দু ২৭ পৃঃ) যে হাজী এমদাদুল্লাহ সাহেবের প্রশংসা মওলানা যাকারিয়া সাহেব তবলীগ জামায়াতের প্রথম ধাপের মুরুব্বীরা এই হাজী এমদাদুল্লাহ সাহেবকে তাদের জন্য দোজাহানের আশ্রয়স্থল বলে বিশ্বাস করেন। দেখুন ফাযায়েল সাদাকাতের ২য় খন্ড ২২১ পৃষ্ঠায় তাকে “হে আমার দ্বোজানের আশ্রয়স্থল” বলে সম্বোধন করা হয়েছে। ইহা স্পষ্ট শির্ক কুরআনের সুরা জিন্ন ২২ নং আয়াতে এবং সুরা কাহাফের ২৭ নং আয়াতে “আল্লাহ ছাড়া কোনো আশ্রয়স্থল নেই” বলে প্রমাণিত হয়। তাছাড়া একজন মুসলিম কুরআন তিলওয়াতের আগে আল্লাহর কাছেই আশ্রয় চেয়ে পাঠ শুরু করে থাকে। ভ্রান্ত সুফীবাদে বিশ্বাসী মওলানা যাকারিয়া কান্ধলভী সাহেবের প্রসিদ্ধ ফাযায়েলের বইগুলোর অন্ধ অনুসরণ করে এই জামায়েতের লোকেরা তাবলীগ করেন। তার লেখা বইগুলোতে ভ্রান্ত শিরকী আকিদার অনেক বর্ণনা রয়েছে। তন্মধ্যে মাত্র কয়েকটির উল্লেখ করলাম। যাকারিয়া সাহেবের লোখা ৬৭টি বই রয়েছে। তিনি তাবলীগের প্রতিষ্ঠাতা মওলানা ইলিয়াস সাহেবকে সন্তুষ্ট করার জন্য ফাযায়েল আ’মাল বইটি রচনা করেছেন। তিনি উক্ত বইয়ের ভুমিকায় লিখেছেন, এইরুপ বুযুর্গগণের সন্তুষ্টি হাসিলের জন্য লিখা হয়নি। দ্বীনের কোন উপকারে আসে এমন কাজে একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য না করে মানুষের সন্তুষ্টির জন্য করলে শির্ক হবে। এ কথাটা তাবলীগ পন্থী আলিমগণ মানতেই চাননা। তারা যাকারিয়া সাহেবের উক্তিতে বৈধতা দেয়ার জন্য নানা যুক্তি দেখিয়ে ফাতওয়া দিয়ে থাকেন। অথচ কুরআনের অনেক আয়াত ও বিশুদ্ধ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয়েছে যে, দ্বীনের সকল কাজ, ইবাদত, দান খয়রাত ইত্যাদি একমাত্র আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য না করলে উহা কবুল হবে না বরং শির্ক হবে। তাবলীগের বুযুর্গানে দ্বীন নামে অভিহিত ব্যক্তিগণ বিশ্বাস করেন যে, ১। তাদের বুযুর্গরা মারা যাবার পরও জীবিত থাকে এবং মানুষের উপকার করে থাকে। (ফাযায়েলের সাদাকাতের ২য় খন্ড ৩৩১ পৃষ্ঠা দারুল কিতাব প্রকাশনার ছাপা এর কাহিনী থেকে প্রমাণিত)। ২। বুযুর্গ ব্যাক্তিরা মরার পর কথা বলে, হাসে, চোখ মেলে চায়, জীবিত মানুষের সাতে কৌতুক করে আংঙ্গুল টেনে ধরে। (ফাযায়েলে সাদাকাত ২য় খন্ড ৩৩১ ও ৩৩২ পৃষ্ঠার কাহিনী থেকে প্রমাণিত)। ৩। বুযুর্গ ব্যাক্তির কবরের কাছে এসে অভাবের কথা বলে তার কাছে সাহায্যের আবেদন করা যায়। (ঐ ২/৩৯৩ ও ৩৯৪ পৃঃ) ৪। মৃত্যুর পরও মুদ্রা ব্যাক্তি দান করতে পারে এবং উট জবেহ করতে পারে। (ঐ ২/৩৮৯ পৃঃ)। ৫। রাসূল (সা:) মৃত্যুর পর আহমাদ রেফায়ী নামক এক বুযুর্গের জন্য কবর থেকে হাত বের করে দেন এবং ঐ বুযুর্গ রাসূলের হাতে চুমু দেন। (ফাযাইলে হজ্জ ১৪০ পৃ:, লেখক মাওলানা যাকারিয়া)। ৬। জান্নাতের জিম্মাদার রেজওয়ান ফেরেশতা দুনিয়ায় এসে এক বুযুর্গকে পানি পান করিয়ে যান। (ফাযায়েলে হজ্জ – ১৮০ পৃ:)। ৭। রশীদ আহমাদ গংগুহী তাঁর পীরের কাছে লিখিত এক চিঠিতে আল্লাহকে সম্বোধন করে লিখেন; হে আল্লাহ, আমাকে মাফ করুন, হযরতের হুকুমে লিখিত হইয়াছে। মিথ্যুক আমি, কিছু নই, সব তোমারই ছায়া, তোমারই অস্বিত্ব, আমি কি, কিছুই নই এবং আমি যাহা রহিয়াছি উহাও তুমি। আমি ও তুমি স্বয়ং র্শিকের ভিতরে র্শিক। (ফাযায়েলে সাদাকাত ২/২২২ পৃ:)। ৮। তাদের বুযুর্গরা মৃত্যুর নির্দিষ্ট সময় বলতে পারেন। (ঐ ২য় খন্ড ৩৩১ পৃ:)। ৯। সালাত অবস্থায় এক বুযুর্গের পা কেটে ফেলা হলো অথচ তিনি টেরই পাননি। (ফাযায়েলে নামায ৯৮ পৃ:)। ১০। এদের এক বুযুর্গের মৃত্যুর পূর্বে জিবরাঈল (আ:) এসে পানি পান করান। (ঐ ২/৩৩৭ পৃ:)। ১১। স্বপ্নের মধ্যে এসে রাসূল (সা:) এক বুযুর্গকে রুটি দেন। (ফাযায়েলে হজ্জ- ১৩৮ পৃ:)। ১২। কবর থেকে রাসূল (সা:) উচ্চ আওয়াজে এক বুযুর্গের ছালামের উত্তর দেন। উপস্থিত শ্রোতারা সবাই শুনতে পায়। (ফাযায়েলে হজ্জ-১৩৭ পৃ:)। ১৩। মৃত্যুর পর রাসূল (সা:) কবর থেকে উঠে এসে মেঘের উপর চড়ে মক্কায় হাজ্জ করতে আসা মৃত্যু বরণকারী এক মহিলার মুখে ও পেটে হাত বুলিয়ে যান। এতে ঐ মহিলার চেহারা উজ্জ্বল হয়ে যায়। (ফাযায়েলে দরুদ ৪৬ নং কাহিনী, লেখক মাওলানা যাকারিয়া)। ১৪। এক বুযুর্গ এক অজুতে ১২দিন পর্যন্ত সমস্ত সালাত আদায় করেছেন। (ফাযায়েলে নামাজ ৯৮-৯৯ পৃ: প্রকাশক দারুল কিতাব)। জবাবঃ রাসূল (সা) সালাতরত অবস্থায় শিশুর কান্নার আওয়াজ শুনতেন ও কেহ দরজার কড়া নাড়লে টের পেতেন ও দরজা খুলে দিতেন। তাহলে কি ঐ বুযুর্গ রাসূলের চেয়ে সালাতে বেশী মনোযোগী ছিলেন? এটা কি করে সম্ভব? অথচ রাসূলের (সা:) মৃত্যুর সময় জিবরাঈল (আ:) তাঁকে পানি পান করালেন না, তাহলে কি আল্লাহ নাবীর চেয়ে বুযুর্গকে বেশী ভালবাসেন? এটা কখনই সম্ভব নয়। তাদের ফাযায়েলে আমলের বইগুলোতে মিথ্যা, বানোয়াট ও স্বপ্নের কাহিনী দিয়ে ভরা। কুরআনের কিছু আয়াতের অর্থের বিকৃতি, জাল ও যঈফ হাদিস, উদ্ধৃত হাদীসের আরবীর অনেক স্থানে বাংলায় বা উর্দুতে অনুবাদ না করে জাল ও বাতিল কথা গোপন রেখে হাদীসের খিয়ানত । সব মিলে শিরক , কুফর ও যুক্তিহীন আলোচনায় ভরপুর বই দিয়ে তাবলীগি চিল্লায় বের হলে ৪৯ কোটি সওয়াব পওয়ার মিথ্যা প্রচার। যে সওয়াবের কথা রছুলুল্লাহ (সা), সাহাবাগণ (রা) ও কোন ইমাম বলেননি। তাদের ভ্রান্ত বিশ্বাস সমূহের কয়েকটি মাত্র উল্লেখ করলাম। তাদের বই থেকে এখানে যতটুকু উল্লেখ করেছি সবই পাঠকগণ তাদের বইয়ে দেখে নিতে পারেন। সবই কুরআন ও হাদীস বিরোধী আকীদার বহিঃপ্রকাশ। এসব ভ্রান্ত ও শির্কী আকীদায় বিশ্বাস করলে সব নেক আমল ও ঈমান বরবাদ হয়ে যাবে। তারা যে কোন প্রকার তাগুতের সাথে কোন না কোন দিক দিয়ে জড়িত থেকে দ্বীন মানে। আর ঈমানের প্রথম শর্ত হলো আগে তাগুত (শয়তান, ভ্রান্ত মতবাদ, আল্লাহ বিরোধী ও ইসলাম বিরোধী ব্যক্তি ইত্যাদিকে তাগুত বলে) বর্জন করতে হবে। তানাহলে ঈমান বাতিল বলে গণ্য হবে। (সুরা বাকারা ২৫৬ আয়াত, মুজাদালা ২২ নং আয়াত দ্বারা একথা প্রমাণিত। যারা তাগুতের পক্ষ অবলম্বন করে তারা কাফির (সুরা নিছা- ৭৬ আয়াত)। অতএব, সকল মুসলিমের প্রতি আহবান জানাই, আমরা সবাই কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীস অনুরসণ করি। ভ্রান্ত সূফীবাদ ও কথিত বুযুর্গানে দ্বীনের অন্ধ অনুসরণ ছেড়ে দেই, সকল প্রকার তাগুত বর্জন করি, ইসলাম বিরোধীদের সঙ্গ ত্যাগ করি, শির্ক মুক্ত ঈমান ও আমল করে যাই। আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের চেষ্টা করি। তাবলিগী ভাইয়েরা উল্লেখিত কুরআন বিরোধী ঘটনার বর্ণনাকে তাদের বুযুর্গদের কারামত বলে দাবী করে থাকেন। কারামত কখনো ইচ্ছাধীন ব্যাপার হয়না আর তা কুরআন বিরোধীও হয় না। এভাবে শয়তান মানুষকে ধোকা দিয়ে ঈমান কেড়ে নেয়। কুরআনের জ্ঞান ও বিশুদ্ধ ঈমানের বুঝ না থাকার কারণে মানুষ শয়তানের ধোকার শিকার হয়। এক অজুতে ১২ দিন পর্যন্ত সালাত আদায় করাকে যারা কারামত বলেন তারা সাধারণ জ্ঞানটুকুও কি রাখেন না যে, একজন সুস্থ মানুষ প্রসাব- পায়খানা না করে ১২ দিন বেচেঁ থাকে কিভাবে? কোন সাহাবা এরূপ কাজ করেছেন বলে কি কোন প্রমাণ বিশুদ্ধ হাদীসে আছে? তাহলে তারা কি তাদের বুযুর্গকে সাহাবাদের চেয়ে বড় মনে করেন না? কারবালার ময়দানে ইমাম হুসাইন (রা) তাঁর পরিজন নিয়ে পানির পিপাসায় কাতর ছিলেন। অনেক যুদ্ধের ময়দানে সাহাবাগণ পানির পিপাসায় ছটফট করেছিলেন। তাঁদের কাছে রেজওয়ান ফেরেশতা পানি নিয়ে আসেননি। আর তাদের বুযুর্গের জন্য রেজওয়ান ফেরেশতা পানি নিয়ে আসলো এটা কি করে হতে পারে? তখন রেজওয়ান জান্নাতের জিম্মাদারী কাকে দিয়ে এসেছিলেন? কবর থেকে রাসূল (সা) তাঁর প্রিয় স্ত্রী, কন্যা, নাতি ও সাহাবাগণ (রা)-এর সালামের জবাব উচ্চ আওয়াজে দিলেন না, তারা কেউ কোন দিন শুনতেও পেলেন না আর তাদের বুযুর্গরা রাসূলের (সা) পক্ষ থেকে সালামের জবাব শুনতে পেল এটা কি করে হতে পারে? রাসূল (সা) তাঁর প্রিয় জনের জন্য কবর থেকে হাত বের করে তাতে চুমু খেতে সুযোগ করে দিলেন না, আর আহমদ রেফায়ী নামক এক বুযুর্গের জন্য তাঁর হাত বের করে দিলেন এটা কি করে হতে পারে? তারা বুযুর্গদের তৈরী করা দরূদ, বিভিন্ন দোয়া, এমনকি বিসমিল্লাহর বিকল্প “ বিইছমিহী তা’য়ালা” চালু করেছে। এ ধরণের তাছমিয়া এদের আগে কেউ ব্যবহার করেনি। হাদীসের কোন কিতাবে এই বিকল্প তাছমিয়ার (বিসমিল্লাহ বলার) কোন প্রমাণ নেই। কোন প্রমান নেই। ইহা সুন্নাত বিরোধী ও বিদআত কাজ। অতীতের আহলী কিতাবগণ এভাবেই আল্লাহর পরিবর্তে “রব” বানিয়েছিল। আমাদেরও অবস্থা তাই হতে যাচ্ছে। বুযুর্গানে দ্বীন কুরআনের কোনো পরিভাষা নয়। এটা দ্বারা সাধু সন্ন্যাসী ব্যাক্তিগণকে বুঝানো হয়। কুরআনের পরিভাষা হল মুত্তাকী, যা দ্বারা আল্লাহ ভীরু সৎচরিত্রবান মুমিনকে বুঝায়। রাসুলের মানে মিথ্যা প্রচার করা ও উহা নিজে বিশ্বাস করা কত বড় অপরাধ তা কি তারা ভেবে দেখেছেন? রাসুল (ছ) বলেন, “যে ব্যাক্তি ইচ্ছে করে আমার নামে মিথ্যা আরোপ করে সে যেন তার স্থান জাহান্নামে করে নেয়।” (বুখারী শরীফ) আমরা হক্ব পন্থী সকল আলিম ও ইমামগণের প্রতি শ্রদ্ধা রাখি। বিশুদ্ধ দলীলের ভিত্তিতে তাদের অনুসরণ করি। বিনা দলীলে একজন ইমামের অন্ধ অনুসরণ করিনা। ্আমরা নিজেদের কে মুসলিম নামে পরিচয় দিই আর এ নামে পরিচয় দিতে আল্লাহ আদেশ করেছেন এবং মুসলিম নামে তিনি আমাদের কে নাম করন করেছেন। (সূরা হাজ্জ-৭৮আয়াত)আল্লাহর কথাই সত্য।তিনি বলেছেন ঈমান আনা সত্ত্বেও তাদের অধিকাংশ মানুষ মুশরিক । (সূরা ইউনুস-১০৬ নং আয়াত )। ঈমান বিশুদ্ধ না হওয়ায় অনেকে দুনিয়াতে জীবেনে ভাল আমল করেও আখিরাতে ক্ষতিগ্রস্ত হবে ,অথচ তারা মনে করে যে ,তারা সুন্দর আমল করে যাচ্ছে । (এর প্রমান সূরা কাহাফ ১০৩-১০৪আয়াত)। যারা তাবলিগ জামায়াতে চিল্লা লাগিয়ে ঐ সমস্ত মিথ্যা কাহিনী পড়ে পড়ে দ্বীন প্রচার করতে চান তাদের অবস্থার সাথে আল্লাহর কথার মিল আছে কিনা ভেবে দেখার বিষয় । তারা বলেন সারা পৃথিবী তে ফাযায়েলে আমল পড়া হচ্ছে ,যদি এটা ভুল হত তবে সারা পৃথিবীতে চলতো না । এর জবাব হলো, সারা পৃথিবীতে বাইবেল চালু আছে তাতে অনেক আয়াত রদবদল হয়ে গেছে। পবিত্র কুরআন সেগুলো সংশোধণ করে দিয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেন, কুরআন ছাড়া অন্য কোন কিছুতে কেহ হেদায়াত খুঁজলে আল্লাহ তাকে গুমরাহ করবেন। (মেশকাত শরীফ)। তিনি বিদায় হাজ্জের ভাষণে বলেছেন, আমি তোমাদের কাছে একটি জিনিস রেখে গেলাম, যতদিন তোমরা তা আঁকড়ে ধরে থাকবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না, তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (কুরআন)। (মুসলিম শরীফ ১/৩৯৭ পৃঃ)। অন্য এক হাদীসে আছে রাসূল (সা) বলেছেন, আমি তোমাদের কাছে দু’টি জিনিস রেখে গেলাম, যতদিন তোমরা এ দুটি আঁকড়ে ধরে থাকবে ততদিন তোমরা পথভ্রষ্ট হবে না। একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব (কুরআন) অপরটি হচ্ছে তার রাসূলের সুন্নাহ। (মিশকাত শরীফ)। হাদীসের বিশুদ্ধতা যাচাই বাছাই করতে হাদীসের ইমামগণ কঠিন সতর্কতা অবলম্বন করে হাদীস গ্রহণ করেছেন। আর তাদের বইয়ে বুযুর্গ ব্যক্তিদের কাহিনীকে ঈমান ও আমলের দলীল হিসেবে কিভাবে গ্রহণ করা যাবে? রাসূল (সা) ওহীর অনুসরণ করতে আদিষ্ট হয়েছিলেন। (সূরা ইউনুছ ১৫নং আয়াত)। রাসূল (সা) কে আল্লাহ তাঁর প্রতি নাযিলকৃত অহীর (কুরআনের) তাবলীগ করতে আদেশ করেছেন। (সূরা মায়িদাহ- ৬৭ আয়াত)। কুরআনের দ্বারা উপদেশ দিতে আল্লাহ আদেশ করেছেন। (সূরা ক্বাফ-৪৫ আয়াত)। আল্লাহ আমাদেরকে তাঁর পক্ষ থেকে অবতীর্ণ কিতাবের অনুসরণ করতে আদেশ করেছেন একমাত্র সঠিক পথ দেখায়। (সূরা বাণী ইসরাঈল ৯-১০ আয়াত)। রাসূল (সা) বলেছেন, “আমার উম্মত ৭৩টি দলে বিভক্ত হবে, একটি দল ছাড়া বাকী ৭২টি জাহান্নামী হবে। তাঁকে প্রশ্ন করা হলো, হে আল্লাহর রাসূল, এই মুক্তি প্রাপ্ত দলের লোক কারা? তিনি বলেন, “আমি এবং আমার সাহাবারা যে দলে আছি তারা।” (মেশকাত শরীফ)। আল্লাহ আদেশ করেছেন, “রাসূল (সা) যা তোমাদেরকে দেন যে আদেশ, যে নিয়ম ও বিশ্বাস শিখান) তা তোমরা গ্রহণ কর আর যা থেকে নিষেধ করেন (যে বিশ্বাস থেকে ও যে কাজ থেকে) তা তোমরা বর্জন কর।” (সুরা হাশর ৭নং আয়াত)। আল্লাহ আরও বলেন, তোমরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের আনুগত্য কর, (তা না করে) তোমাদের নেক আমল বাতিল করে দিওনা। (সুরা মুহাম্মদ ৩৩ আয়াত)। আল্লাহ আরও বলেন, “তোমরা যদি রাসূলের আনুগত্য ও অনুসরণ কর তাহলেই হিদায়াত পাবে। (সূরা নূর ৫৪ আয়াত)। উল্লেখিত আয়াত ও হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, তাবলীগী ভাইদের সংখ্যা যতই বেশি হোক না কেন এবং তাদের ফাযায়েলে আমাল যত ভাষাতেই অনুবাদ করে মানুষ পড়–ক না কেন তা সত্যের মোকাবিলায় দলীল হতে পারে না। কেহ যদি ফাযায়েলের কিতাব আল্লাহর রছুলের রেখে যাওয়া কুরআন ও সুন্নাহ আকড়ে ধরবে। কুরআন ও ছুন্নাহ ভিত্তিক আমল করার জন্য ফাযায়েলে আমল নামে একটি বই লেখা হয়েছে সেটি পড়ার জন্য অনুরোধ করি। বইটি কুরআনের (আয়াত নম্বর সহ) ও বিশুদ্ধ হাদীসের (হাদীস গ্রন্থের নাম রাবী ও হাদীস নম্বর সহ) আলোকে লেখা হয়েছে। এতে কোন মনগড়া কিচ্ছা ও যঈফ-জাল হাদীস নেই। এতে ৩০১টি জাল-যঈফ হাদীসের তালিকা দেয়া আছে। মুসলিম ভাই বোনদের চাহিদা পূরণে বইটি শ্রেষ্ঠ ভ’মিকা রাখছে। অতীতের উম্মত তাদের বুযুর্গদের অন্ধ অনুসরণ করেছিল বলে আল্লাহ তাদেরকে অনুসারীদের “রব” বলে আখ্যায়িত করেছেন। (সূরা তওবা- ৩১ আয়াত)। একটি মাত্র শির্ক জীবনের সমস্ত নেক আমল নিষ্ফল করে দেয়ার জন্য যথেষ্ট। অতএবম অন্ধ ভাবে বুযুর্গানে দ্বীন নামে আখ্যায়িত ব্যক্তিদের অনুসরণ করা যাবে না। আমাদেরকে আখিরাতে আল্লাহর কাছে উপস্থিত হয়ে জীবনের সব কর্মের বিচারের সম্মুখীন হতে হবে। তাই গোড়ামী ছেড়ে দিয়ে সত্য দ্বীন ও সঠিক পথ কোনটি তা জানতে ও মানতে আমরা চেষ্টা করি। সঠিক দ্বীন প্রচার করতে গিয়ে নবীরা বহু বাধা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। কিন্তু চলমান তাবলীগ জামায়াত বিনা বাধাতে সারা পৃথিবী ঘুরে বেড়ায়। তারা কোন বাধার সম্মুখীন না হয়ে বরং বাতিলদের সহযোগীতা পায়। এতে প্রমাণিত হয় যে, তারা নাবীদের তরীকায় দাওয়াত দিচ্ছে না। যদি দিত তবে অবশ্যই এর প্রতি বাতিলের পক্ষ থেকে বাধা আসতো। আর এ বাধা আসাটাই সত্যের বড় প্রমাণ। আসলে তারা কোন ঈমানের দাওয়াত দিচ্ছে? তারা তো বুযুর্গদের মৃত্যুর পর তাদের আত্মা আবার তাদের দেহে সাথে সাথে ফিরে আসে বলে বিশ্বাসী। তারা বিশ্বাস করে আল্লাহর অলিরা আসলে মরে না। তাদের এ বিশ্বাসটি ফাযায়েলে সাদাকাতের অনেক কাহিনী থেকে তারা প্রমাণ করেছে। অতএব, এটা ঈমান বিরোধী কুফরী মতবাদ। বিশুদ্ধ ঈমান হচ্ছে আত্মা শুধু কিয়ামাতের সময় নূতন মানব দেহে যুক্ত হবে এর আগে নয়। (সুরা- হাজ্জ- ৬৬ আয়াত, সূরা রূম ৪০ আয়াত, সুরা তাকভীর-৭ আয়াত)। তাদের এক বুযুর্গ মরার পর বলতে লাগল, আমি জীবিত আছি এবং আল্লাহর আশেক জীবিতই থাকে। (ফাযায়েলে সাদাকাত ২/৩৩১ পৃঃ)। উক্ত বইয়ের ১/৩১৫ ও ৩১৬ পৃষ্ঠায় মৃত্যু ব্যক্তির আত্মার সাথে জাগ্রত জীবিত ব্যক্তির আলাপ আলোচনার কাহিনী রয়েছে। ঘটনাটি সূরা নমলের ৮০ নং আয়াত, সূরা ফাতির ২২ নং আয়াত, সূরা নহলের ২১ নং আয়াত ও সূরা আহকাফের ৫ নং আয়াতের বিরোধী কুফরী কথা। অথচ নবী (সা), আবু বকর (রা) ও ওমর (রা) সহ কোন সাহাবা মরার পর কথা বলতে পারলেন না। বিশুদ্ধ ঈমানের প্রতি আহবান আল্লাহ (সুবঃ) ও মুহাম্মাদ (সা) এর প্রতি যে ভাবে ঈমান রাখলে আমল কবুল হবে তা হলো ঃ আল্লাহ (সুবঃ) এর প্রতি ঈমানের মূল হচ্ছে তাওহীদ বা একত্ববাদ। আল্লাহ (সুবঃ) এর প্রতি দৃঢ় বিশ্বাস রাখতে হবে যে, তিনি একমাত্র ইলাহ। তিনি একমাত্র ইবাদত পাওয়ার হকদার। তিনি ছাড়া আর কেউ ইবাদাত পাওয়ার যোগ্য নয়। সমস্ত সৃষ্ট জগৎ পরিচালনায়, এর প্রতিটি অণু-পরমাণুতে প্রকৃতিগত বিধান দানে ও নিয়ন্ত্রণে তাঁর সাথে কেউ শরীক নেই। তিনিই এমমাত্র বিধানদাতা ও আইনদাতা “রব”। সৃষ্টি, ধ্বংস, জীবন-মৃত্যু, রিজিক, প্রতিপালন, বিপদে উদ্ধার, রোগে মুক্তি, বান্দার ডাকে সাড়া দেয়া, অপরাধ ক্ষমা করা, অপরাধীকে শাস্তি দেয়া একমাত্র তাঁরই ইচ্ছাধীন ব্যাপার। তিনি দয়াময়, সমস্ত গুণের আধার। সকল ত্রুটি, অক্ষমতা ও সকল দোষ থেকে মুক্ত চিরঞ্জীব সত্তা। জগতের সবাই তাঁর মুখোপেক্ষী। তার অস্তিত্বের পরিচয় সম্পর্কে আমরা কিছুই জানিনে। তাঁর সাথে তুলনা করা যায় এমন কিছুই নেই। তিনি তাঁর আরশের উর্ধ্বে থাকেন (সূরা ত্ব-হা ৫নং আয়াত) তিনি সর্বত্র বিরাজমান নন। তাঁকে সর্বত্র বিরাজমান বলে বিশ্বাস করলে তাঁকে মানুষের সাথে তুলনা করা হবে। মানুষ যেমন কোন স্থানে স্বশরীরে উপস্থিত না হয়ে সে স্থানের অবস্থা সম্পর্কে নিখুঁতভাবে কিছু জানতে, শুনতে ও দেখতে পারেনা তেমনি ভাবে আল্লাহর ব্যাপারে এ ধারণা থেকেই তাঁকে সর্বত্র বিরাজমান বলা হয়। আর তাঁেক সর্বত্র বিরাজমান বলে বিশ্বাস করা এ অর্থেই র্শিক। আল্লাহ জানার মাধ্যমে সকল সৃষ্টিকে পরিবেষ্টন করে আছেন। তিনি জানার মাধ্যমে সবখানে আছেন এবং জানার মাধ্যমে বান্দার অতি নিকটেই আছেন। তিনি সপ্ত আকাশের বাইরে আখিরাতের জগতে তাঁর আরশে অধিষ্ঠিত আছেন। তিনি সেখান থেকেই সব কিছু জানেন, শুনেন, দেখেন ও সৃষ্টি জগৎকে তাঁর ইচ্ছা মত পরিচালনা করেন। তিনি তাঁর সত্তায় সবখানে ও সব কিছুতে বিরাজমান নন। পৃথিবীতে তাঁকে কেউ জাগ্রত অবস্থায় অথবা স্বপ্নের মাধ্যমে দেখতে সক্ষম নয়। হাশরের ময়দানে মুমিন নর নারী সবাই তাকে পুর্ণিমার চাদের ন্যায় দেখতে পাবে এবং জান্নাতেও। কাফির মুশরিকরা তাঁর দর্শন থেকে বঞ্চিত থাকবে। তিনি তাঁর সত্তা ও গুণাবলী বিরোধী কোন কাজ করেন না। আল্লাহর বিনা হুকুমে গাছের পাতাও পড়েনা এ কথাটি ভুল। সঠিক কথা হলো, আল্লাহর অজ্ঞাত সারে গাছের কোন পাতাও পড়েনা। “অর্থাৎ ক্ষুদ্র-বৃহৎ সকল ঘটনাই তাঁর জানার মধ্যে রয়েছে। কিছুই তাঁর জানার বাইরে নেই। তিনি তাঁর সত্তাও গুণের সাথে সামঞ্জস্যশীল কাজগুলো তাঁর ইচ্ছা অনুযায়ী করেন। জগতের সকল নিয়ম তাঁর অতাৎক্ষণিক ইচ্ছার অধীন। আবার কোন ঘটনা তাঁর তাৎক্ষণিক ইচ্ছা ও ক্ষমতায় সংঘটিত হয়ে থাকে। তিনি বান্দার ক্ষমতা ও ইচ্ছা শক্তি সৃষ্টি করেছেন, যার মধ্য দিয়ে তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী তাদের কথা ও কাজ সংঘটিত হয়ে থাকে। আল্লাহ বান্দাকে এর কোনটির জন্যে বাধ্য করেননি, বরং তারা এসব ক্ষেত্রে নিজ ইচ্ছা স্বাধীন। বান্দার ইচ্ছায় সীমিত স্বাধীনতা ও কর্ম নির্বাচনের ক্ষমতা তাঁরই দেয়া। তাদের এ স্বাধীনতা অবাধ ও রিংকুশ নয়। তাই বান্দা নিজ কর্মের ফল ভোগ করবে। আল্লাহ বান্দার অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ কর্ম সম্পর্কে পূর্ব থেকেই জানেন। বান্দার কর্মের ভাল- মন্দ ফলাফল তাঁরই হাতে রয়েছে। বান্দার কর্মের জন্য বান্দা নিজেই দায়ী। উপরন্ত মু’মিনের নিজ ইনসাফ ও হিকমাতে বিশেষ ভাবে আরেকটি নিয়ামত তিনি দান করেছেন তা এই যে, তাদের নিকট ঈমানের প্রতি ভালবাসা ও তাদের মনের ভিতর তার সৌন্দর্য জাগিয়ে দিয়েছেন এবং কুফরী, ফাসেকী ও অবাধ্যতাকে অপছন্দনীয় করে দিয়েছেন। দ্বীনের সমস্ত কাজ আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্য করতে হবে, এটাই ঈমানের বড় দাবী। সাহায্য, আশ্রয়, রোগমুক্তি, বিপদে উদ্ধার একমাত্র আল্লাহরই কাছে রয়েছে। জগতের সব প্রাকৃতিক জিনিস তাঁরই সৃষ্টি। সকল সৃষ্টি তাঁরই দেয়া নিয়মের অধীন। মানুষ তাঁর সৃষ্ট নিময় আবিস্কার করে নিজেদের প্রয়োজন মিটানোর জন্য তাঁরই দেয়া মেধা ও বুদ্ধি দিয়ে নানান বস্তু বানিয়ে থাকে। আল্লাহর এ সৃষ্ট নিয়মের কোন পরিবর্তন হয় না। তবে তিনি তাঁর তাৎক্ষণিক ইচ্ছায় যে কোন সময় যে কোন নিয়মের পরিবর্তন করতে সক্ষম। মানুষ আল্লাহর এ সব গুণাবলিতে অনেক শিরীক করে থাকেন। ভ্রান্ত সূফী মতবাদে বিশ্বাসী লোকেরা তাদের ধারণায় বুযুর্গ ব্যক্তিকে জগতের নিয়ন্ত্রক বা কুতুবুল আলম বলে বিশ্বাস করে। আবার কাউকে বিপদের সময় গায়েবী উদ্ধার কর্তা বা গাউস বলে বিশ্বাস করে। উভয় রকম বিশ্বাসই শির্ক। আবার কেউ কোন অলীকে দুনিয়া ও আখিরাতে বা দোজাহানের আশ্রয়দাতা। এটা আরবের কাফের- মুশরিকরাও মানতো। কিন্তু সূফীবাদে বিশ্বাসী দেওবন্দী অনেক বড় আলিমদের অনেকেই হাজী ইমদাদুল্লাহ মুহাজিরে মাক্কীকে দোজাহানের আশ্রয়স্থল বলে বিশ্বাস করে। (ফাযায়েলে সাদাকাত ২/২২১ পৃঃ)। অথচ কুরআনে একমাত্র আশ্রয়স্থল আল্লাহকে বলা হয়েছে। (সুরা কাহাফ ২৭ আয়াত)। আল্লাহ তাঁর সত্ত্বায় ও গুণে একক। তাঁর সমকক্ষ কেউ নেই। তাঁর নামে নূতন কোন নাম আরোপ করা গুনাহের কাজ। (সূত্র সূরা আরাফ ১৮০ নং আয়াত)। তাঁকে কুরআন ও হাদীসে বর্ণিত নামেই ডাকতে হবে। তাঁকে খোদা বলে ডাকা যায়েজ নয়। কারণ খোদা তাঁর নাম নয়। বুযুর্গানে দ্বীনের কথায় ও বইয়ে খোদা নাম পাওয়া যায়। তাদের বাহিক্য আমাল, লেবাস, দাড়ি ইত্যাদি ভাল দেখা গেলেও তাদের আকীদায় বড় রকমের র্শিক রয়েছে। তারা মনে করেন আল্লাহর অলীরা শির্ক করতে পারে না। নিশ্চই আল্লাহ অলীদেরকে এমন ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন যে, তারা দোজাহানে ভক্তকে আশ্রয় দিতে পারবেন। এ ধরণের বিশ্বাস কুরআন ও হাদীস পরিপন্থী। তাদের দেখাদেখি সাধারণ আলিম ও সাধারণ মুসলিমরা এই ভয়াবহ শির্কী পাপে জড়িয়ে পড়েছে। তাই এসব শির্ক থেকে ফিরে আসা তাদের জন্য খুবই কঠিন ব্যাপার। তবে আল্লাহর ইচ্ছা হলে সেটা ভিন্ন কথা। তারা তাদের বুযুর্গদের ইবাদাতের এমন বর্ণনা প্রচার করেন যে, তা রাসূলের ইবাদাতের চেয়ে অনেক উর্ধ্বে স্থান পাওয়ার যোগ্য হয়ে যায়। তাদের কিছু ইবাদাত, জিকির ও অন্যান্য আমল রাসূল (সা) এর শিখানো পদ্ধতি মোতাবেক নয়। নিজেরাই বিশেষ নিয়ম আবিষ্কার করে নিয়েছে। দৈনিক একটানা ২০০ রাকাত থেকে ১০০০ রাকাত সালাত নিয়মিত আদায় করার প্রমাণ তাদের বইয়ে পাওয়া যায়। (ফাযায়েলে আমাল ১৮৩ পৃঃ)। অথচ রাসূল (সা) রাতে ২০০ রাকাত সালাত আদায় করেছেন বলে কোন হাদীসে নেই। প্রসাব পায়খানা বন্ধ রেখে একই অজুতে ১২ দিন পর্যন্ত সালাত আদায় করার বর্ণনাও তাদের বইয়ে পাওয়া যায়। ( ফাযায়েলে নামায ৯৮-৯৯ পৃঃ)। এসব যেমন যুক্তি বিরোধী তেমনি সুন্নাত পরিপন্থী বিদআত কাজ। ১০০০ রাকাত সালাত আদায় করতে কমপক্ষে ৩৩ ঘন্টার বেশী সময় লাগবে, যদি প্রতি রাকাত ২ মিনিটে পড়া হয়। অথচ রাত-দিন ৩৩ ঘন্টা হয় না। তাহলে ফরজ সালাত ও পানাহার কখন সারলেন? তাই উহা যুক্তি বিরোধী ও হাদীস বিরোধী কথা। নাবী-মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) সম্পর্কে বিশ্বাস রাখতে হবেঃ মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর সর্বশেষ নাবী ও রাসূল। তাঁর পরে আর কোন নাবী বা রাসূল নবুয়্যতের দায়িত্ব নিয়ে পৃথিবীতে আসবেনা না। তাঁর আনুগত্য ও অনুসরণের মধ্যেই ইবাদাত কবুল হতে পারে। তাঁর শিখানো ইবাদাতের নিয়ম পদ্ধতির বাইরে অন্য কারো শিখানো কোন ইবাদাত আল্লাহর কাছে কবুল হবেনা। তিনি আমাদের জন্য হযরত ইব্রাহীম ও তার উত্তর সুরীদের আদর্শের সাথে মিলিয়ে তাঁর (নবী মহাম্মদ (ছ) আদর্শ অনুসরণ যোগ্য। তাঁর মৃত্যুর পর নূতন করে তাঁর কাছে কোন ওহী আসেনা এবং তিনিও মৃত্যুর পর নূতন কোন নিয়ম-নীতি চালুর নির্দেশ স্বপ্নযোগে কাউকে দেননা। তাঁর মাধ্যমেই ইসলাম পরিপূর্ণতা লাভ করেছে। তিনি আমাদের মতই রক্ত মাংসে গড়া মাটির উপাদানে সৃষ্টি আল্লাহর একনিষ্ঠ বান্দা ও রাসূল। মানবিক ও জৈব- রাসায়নিক চাহিদা তাঁর মধ্যেও ছিল। তিনি আমাদের মতই আহার-নিদ্রা, সুখ-দুঃখ, মায়া-মমতা ইত্যাদি মানবীয় বৈশিষ্ট্যের অধিকারী ছিলেন। তিনি নূরের সৃষ্টি অতি মানব নন। আল্লাহ তাঁকে জীবিত অবস্থায় গায়িব সম্পর্কে যতটুকু জানিয়েছেন তার বাইরে তিনি গায়িব সম্পর্কে কিছুই জানতেন না। তিনি পানা হার করতেন। জীবনের কঠিন সময়ে সাত্তর গুহায় অবস্থান কালে ও মদিনায় হিজরতের সময় রাস্তায় খানা খেয়েছেন, এমন চরম সময়েও মানুষ হিসেবে রছুল (সাঃ) খাদ্যের প্রয়োজন ছিল। দীর্ঘদিন একাধারে না খেয়ে তিনি আল্লাহর ইবাদত করেন নি। তিনি আল্লাহর বাণীর সবটুকুই মানব জাতির কাছে পৌছে দিয়ে গেছেন। গোপনে মায়ারিফতের নামে তিনি কাউকে পৃথক ভাবে ইবাদতের কোন কিছু শিক্ষা দিয়ে যান নি। তাসাউফ কুরআনের হাদীসের কোনো পারিভাষা নয়। পরিভাষা হল, তাযকিয়াতুন নাফস বা সব মন্দ স্বভাব থেকে নিজেকে পরিশুদ্ধ করার অনুশীলন। এতে সফল মুমিনকে মুত্তাকী বলে। মুত্তাকীদের জন্যই জান্নাতের ওয়াদা রয়েছে। শুধু শরীয়াত মানার জন্য আদেশ দিয়ে আল্লাহ বলেন, “অতঃপর আমি তোমাকে শরিয়াতের বিধানের উপর প্রতিষ্ঠিত করেছি। অতএব, তুমি উহারই অনুসরণ কর; অঙ্গদিগের খেয়াল খুসির অনুসরণ করনা।” (সুরা জাছিয়া ১৮ নং আয়াত)। শিরক, কুফর, নিফাক (বাইরে ঈমানের প্রকাশ ভিতরে ইসলামের বিরোধীতা পোষণ করা) ও তাগুত এ ৪টি বিষয় থেকে যে মুক্ত নয় তার ঈমান বাতিল হবে এবং তার নেক হবে নিষ্ফল, আখিরাতে সে হবে জাহান্নামী। মনে রাখতে হবে যে, ইসলামে কোন সন্ন্যাসবাদ নেই। রাসূল (সা) উম্মতকে সন্ন্যাসী বানাতে দুনিয়ায় আসেননি। আমরা ইবাদাতে, দুনিয়াদারীতে, ব্যক্তি জীবনে, পারিবারিক জীবনে, রাষ্ট্রীয় জীবনে ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে মুহাম্মদ (সা) কে অনুসরণ যোগ্য আদর্শ মহামানব বলে বিশ্বাস করব ও মান্য করব। আল্লাহর ঘোষণা তাই। তা হচ্ছে, “আল্লাহর রাসূলের মধ্যে তোমাদের জন্য (অনুসরণযোগ্য) উত্তম আদর্শ রয়েছে। (সুরা আহযাব- ২১ আয়াত)। র্শিক, কুফর ও ঈমানের এসব বর্ণনা কুরআন, বিশ্দ্ধ হাদীস ও ইসলামের মুল কেন্দ্র বিষয়ক পুস্তক অবলম্বনে তুলে ধরলাম। আমার এ ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা শুধু আল্লাহর সন্তুষ্টি হাসিলের আশায় মুসলিম ভাইদের ঈমানী সংশোধনের জন্য। আল্লাহই তওফিকদাতা। আল্লাহ আমাদের সবাইকে ঈমানের সঠিক বুঝ দিন ও আমাদের প্রতি সহায় হোন। দ্বীনের একনিষ্ঠ খাদিম, মোঃ ইদ্রিছ আলী মিয়া, খতীব, শুটিবাড়ী বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ। ডিমলা, নীলফামারী। মোবাইল নং- ০১৭৪০-১৪৭৪৪০। আল্লামা সোবহানের মন্তব্য আমাদের দেশের মাদ্রাসা পড়–য়া শিক্ষিত লোক অর্থাৎ আলেম ওলামার হাতে কলম উঠতে চায়না। আল্লামা বিল কালাম তিনি শেখান কলম দ্বারা, আল্লাহর এ বাণী থাকার পরও আলেমগণের এ ব্যাপারে হুস হচ্ছেনা। মওলানা ইদ্রীস আমার খুবই পরিচিত। তিনি ইদানিং তবলিগ জামায়াতের ত্রুটি বিচ্যুতি তুলে ধরে এক পুস্তিকা লিখেছেন। এ পুস্তিকা নিছক গল্প বা ইতিহাসের আলোকে নয়। এটি লেখা হয়েছে তাবলিগ জামায়াতের কতিপয় বইয়ের বিভ্রান্তি কর উক্তি সমুহের প্রতিবাদ। আমি পুস্তিকা খানি পড়ে লেখককে শুকরিয়া জ্ঞাপন করছি এবং তিনি যাতে জীবনের শেষ কাল অবাধি ইসলামের সঠিক রূপরেখার উপর কলম চালিয়ে সাধারন বাঙ্গালী মুসলিম নরনারীকে সচেতন করে তুলতে পারেন। এ আশা করি। মওলানা ইদ্রিস ১৯৮২ সালে শঠি বাড়ির বাহাছ সভার সভাপতির করে আমার পক্ষে রায় দিতে কুন্ঠা বোধ করেননি। এই বাহাছে দিনাজপুরের মোবাশশার আহমদ রাশেদী ফুরফুরার খলিফা, দল বল সহ রাতের আধারে ১০ মিনিটের মধ্যে পালিয়ে যান। মওলানা ইদ্রিস শঠিবাড়ি বাজার জামে মসজিদে সুর্দীঘ ৩০ বছর ধরে ইমামতি করছেন। বহু বাহাছ বির্তক করে একজন বীর আলেম হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনিই একালের সেই ব্যক্তি যিনি বিশ্বব্যাপী আন্দোলন রত তবলিগ জামায়াতের ত্রুটি ধরে বসেছেন এবং চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেনÑ এ কম কথা নয়। তবলিগী চিন্তাধারা যে ঐতিহাসিক মোনাফেক হজরতুল আল্লাম মাইউদ্দীন ইবনে আরাবীর ওয়াহদাতুল ওজুদ শহুদ তত্ত্ব সর্বেশ্বরবাদী দর্শনের ধারক বাহক তা তবলিগের ফাযায়েলের বই পুস্তকে ও তবলিগী হুজুরদের বয়ানে ধরা পড়ে। কিছুতেই কিছু হয়না সব কিছু আল্লাহ থেকে হয়, এদের এহেন উক্তিতে প্রমান হয়ে গেছে। তবে এ কথা ঠিক যে তবলিগ জামায়াতের বিশ্ব ব্যাপী জাগরণে মুসলিম মিল্লাতের বিশ্ব ব্যাপী পরিবেশ সৃষ্টির ব্যাপারে যার পরনাই অবদান রাখছে। বাঙ্গালী জাতির জনক মরহুম শেখ মুজিবর রহমান এই তবলিগের জন্য ঢাকা টুঙ্গি শহরে তুরাগ নদীর পাড়ে বিশাল মাঠ ওয়াকফ করে দিয়েছেন এই মাঠে হয়ত একদিন আন্তর্জাতিক ইসলামী মিশনারী বিশ্ব বিদ্যালয় গড়ে উঠতে পারে। জগত জুড়ে তবলীগের মহড়ায় ইসলামের বিরোধী লোকেরা খুবই ভীত সন্ত্রস্ত তা স্বীকার করতে হবে। আমাদের সকল আলেম ওলামার দায়িত্ব এই তবলিগ জামায়াতকে বিশুদ্ধ আকিদার উপর প্রতিষ্ঠিত করা। মওলানা ইদ্রিস এই প্রথম ব্যাক্তি যিনি ইতি বাচক ভাবে অনেক গুলি সর্বেশ্বরবাদী চিন্তা ভাবনার উক্তি সমুহের বিরুদ্ধে কলম ধরেছেন। আমি আশা করি তবলীগ জামায়াতের পরিচালক গণ মওলানা ইদ্রিসের এই পুস্তিকাটিকে স্বাগত জানিয়ে তাদের ওয়াহদাতুল ওজুদী চিন্তা চেতনাকে পরিহার করে কোরআন ও ছুন্নাহর বিশুদ্ধ আকিদার উপর মজবুত থেকে বিশ্ব ব্যাপি ইসলামের প্রচার কার্য চালিযে যেতে পারেন।

fm-http://theholyquranandislam.blogspot.in/2013/09/blog-post.html