-
Shahanaj Amin added a new photo.লাল দস্তরখান খাবার খাওয়ার কি কোন ফযীলত সাহিহ হাদিসে বর্নিত আছে ? দস্তরখান ছাড়া চেয়ার টেবিলে বসে খাবার খাওয়া কি সঠিক ? —————————————————– আমাদের দেশের ধার্মিক মানুষদের মধ্যে প্রসিদ্ধ একটি ‘সুন্নাত’ হলো লাল দস্তারখানে খানা খাওয়া। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনো লাল দস্তরখান ব্যবহার করেছেন, অথবা এইরূপ দস্তরখান ব্যবহার করতে উৎসাহ দিয়েছেন বলে কোনো সহীহ বা যয়ীফ হাদীস দেখা যায় না। এ বিষয়ে অনেক বানোয়াট কথা প্রচলিত। এইরূপ একটি বানোয়াট কথা নিম্নরূপঃ “হযরত রাসূলে মকবুল (ﷺ) ….লাল দস্তরখান ব্যবহার করা হতো। …..যে ব্যক্তি লাল দস্তরখানে আহার করে তার প্রতি লোকমার প্রতিদানে একশ করে ছাওয়াব পাবে এবং বেহেস্তের ১০০টি দরজা তার জন্য নির্ধারিত হবে। সে ব্যক্তি বেহেশতের মধ্যে সব সময়ই ঈসা(আ) ও অন্য নবীদের হাজার হাজার সালাম ও আশীর্বাদ লাভ করবে….। এরপর হযরত কসম খেয়ে বর্ণনা করলেন, কসম সেই খোদার যার হাতে নিহিত রয়েছে আমার প্রাণ; যে ব্যক্তি লাল দস্তরখানে রুটি খাবে সে এক ওমরা হজ্জের সাওয়াব পাবে এবং এক হাজার ক্ষুধার্তকে পেট ভরে আহার করানোর সাওয়াব পাবে। সে ব্যক্তি এত বেশি সাওয়াব লাভ করবে যেন আমার উম্মাতের মধ্যে হাজার বন্দীকে মুক্ত করালেন…….।” এভাবে আরো অনেক আজগুবি, উদ্ভট ও বানোয়াট কাহিনী ও সাওয়াবের ফর্দ দেওয়া হয়েছে। (শায়খ মাঈন উদ্দীন চিশতী, আনিসুল আরওয়াহ পৃ. ৩০-৩১)। ০০০০০০০০০০০০০ দস্তরখান সম্পর্কে আরো অনেক ভুল বা ভিত্তিহীন ধারণা আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দস্তরখান ব্যবহার করতেন। তবে তা ব্যবহার করার নির্দেশ বা উৎসাহ তাঁর থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হয় নি। দস্তরখান ছাড়া খাদ্যগ্রহণের বিষয়ে তিনি কোনো আপত্তিও করেন নি। কিন্তু আমরা সাধারণত দস্তরখানের বিষয়ে যতটুকু গুরুত্ব প্রদান করি, কুরআন ও হাদীসে নির্দেশিত অনেক ফরয, বা নিষিদ্ধ অনেক হারামের বিষয়ে সেইরূপ গুরুত্ব প্রদান করি না। এছাড়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দস্তরখান ব্যবহার করতেন বলে আমরা বুঝি যে, তিনি আমাদের মত দস্তরখানের উপর থালা, বাটি ইত্যাদি রেখে খাবার খেতেন। ধারণাটি সঠিক নয়। তাঁর সময়ে চামড়ার দস্তরখান বা ‘সুফরা’ ব্যবহার করা হতো এবং তার উপরেই সরাসরি-কোনোরূপ থালা, বাটি, গামলা ইত্যাদি ছাড়াই-খেজুর, পনির, ঘি ইত্যাদি খাদ্য রাখা হতো। দস্তরখানের উপরেই প্রয়োজনে এগুলি মিশ্রিত করা হতো এবং সেখান হতে খাদ্য গ্রহণ করা হতো। (বুখারী, আস-সহীহ ৫/২০৫৯)। —-বই- হাদিসের নামে জালিয়াতীShahanaj Amin
- May 1
-
Attachment UnavailableThis attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
-
ইছলামিক জ্ঞানী (আলিম) প্রধানতঃ তিনি প্রকাৰ। বৈষম্যমূলক শিক্ষাৰ কাৰণে আলিমসকলৰ মাজত এই বিভক্তি। ইয়াতে মুছলিমসকল বহু দলত বিভক্ত হৈ এজনে আনজনৰ বিৰোধিতাত লিপ্ত আছে। ১)মাজহাবী আলিম (জ্ঞানী) আমাৰ দেশত তেওঁলোকক কওমী মাদ্রাছাত ১৬ বছৰৰ ভিতৰত ১৫ বছৰ কাল বান্দাৰ (ৰহঃ) লিখা ভুলেৰে ভৰা Note book (কিতাব) পঢ়োৱা হয়। ১৬তম বছৰত ৫০-৬০,০০০ হাদীছৰ কিতাব পঢ়োৱা হয়¸ যিসমূহ আলিমসকলে মনত ৰাখিবও নোৱাৰে। এওঁলোকৰ বেছিভাগ পীৰ-তৰিকা, আওলিয়াসকলৰ গল্প, মাজহাব, তাবিজ-কবজ ইত্যাদিত পাৰদর্শী হয়। কিছুমান আলিম কম চিন্তাশীল, বিদাতী, শ্বির্কী আৰু অশ্লীল বাক্য বিনিময়ত আসক্ত হয়। এওঁলোকৰ licence আছে, reference নাই। এওঁলোক সংখ্যাত সর্বাধিক হয়। ২) কুৰআন-ছুন্নাহভিত্তিক আলিম(জ্ঞানী) এওঁলোকে ১৫ বছৰ হাদীছ পঢ়ে- [১ বছৰ=৪০ হাদীছ (আৰবাইন)। ২ বছৰ=বুলুগুল মাৰাম। ২ বছৰ →মিশকাত। ৪ বছৰ →সোনালী আৰবাহ। ২ বছৰ →বুখাৰী, মুছলিম। ৪ বছৰ →মদিনাত হাদীছ গৱেষণা]। মুঠ ১৫ বছৰেই হাদীছ পঢ়োৱা হয়। সেইকাৰণে এওঁলোক কুৰআন আৰু ছুন্নাহত অধিক পাৰদর্শী হয় আৰু তেনেদৰে (কুৰআন আৰু ছুন্নাহভিত্তিক) আমল কৰে। এওঁলোকৰ licence আৰু reference আছে। এওঁলোক সংখ্যাত কম হয়। ৩)আধুনিক শিক্ষিত (জ্ঞানী) ডাক্তৰ, ইঞ্জিনিয়াৰ, প্রফেচৰ, সচিবসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ চাকৰীজীৱিসকলে এটা পর্যায়ত নিজে আমল কৰাৰ কাৰণে, ধর্মীয় নিয়ম-কানুন শিকিবলৈ গৈ, সকলোতকৈ সহজ (ছূৰা ক্বামাৰ ৫৪: ১৭,২২,৩২,৪০ ৰ “আমি কুৰআনক সহজ কৰি দিছোঁ বুজাৰ বাবে। গতিকে, আছেনে কোনো চিন্তাশীল ব্যক্তি?) সূলভ আৰু নির্ভুল কিতাপ কুৰআন আৰু ইয়াৰ তর্জমা পঢ়ে। এই মেধাবী, উচ্চশিক্ষিত, অভিজ্ঞ, বয়স্ক তথা প্রতিষ্ঠিত বান্দাসকলে সহজতে আৰু অলপ সময়তে দ্বীন বুজি লব পাৰে আৰু তেওঁলোকে হাত বঢ়ালেই সুযোগ্য আলিমসকলৰ সৈতে সু-সম্পৰ্ক কৰি কুৰআন আৰু ছুন্নাহত পাৰদর্শী হয়। মূলতঃ এওঁলোকে কুৰআনৰ ছূৰা মুহাম্মদ ৪৭: ৩৩ নং আয়াতটো হুবহু মানি চলে। য’ত আল্লাহ তা‘আলাই কৈছে, ” হে মুমিনসকল! তোমালোকে আল্লাহৰ আনুগত্য কৰা, ৰাছূলৰ (চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম) আনুগত্য কৰা আৰু নিজৰ কর্ম বা আমল বিনষ্ট নকৰিবা।” দ্বীনত কোনো বান্দাৰ (ৰহঃ) পাণ্ডিত্য নচলে, সেইটো জানিয়েই এওঁলোকে মাজহাব, পীৰ, ওলী আদিত বিশ্বাসী নহয়। এওঁলোকৰ licence নাই reference আছে। এওঁলোক সংখ্যাত খুব কম হয়। এওঁলোকৰ প্রচাৰ পদ্ধতি আৰু ভাষা অত্যাধুনিক হোৱাত শিক্ষিত বান্দাসকলে সহজেই বুজিব পাৰে। #আলোচনাত বুজা গৈছে, প্রথম পর্যায়ৰ জ্ঞানীসকল মাজহাব আৰু পীৰ অনুসাৰী হয়। দ্বিতীয় আৰু তৃতীয় পর্যায়ৰ জ্ঞানীসকল কুৰআন আৰু ছুন্নাহৰ অনুসাৰী হয় আৰু এওঁলোকৰ মাজত প্ৰথম পৰ্যায়ৰ জ্ঞানীসকলৰ মতানৈক্য থাকে। —– ইছলাম আৰু সংগৃহীত (Edited)Abu Atika
-
Attachment UnavailableThis attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
- May 2
-
সিহাহ সিত্তা! . . সিহাহ সিত্তা পরিভাষাটি ভারতীয়। এই ৬টি হাদীস গ্রন্থের গ্রহনযোগ্যতা ভারতে সুপরিচিত; তবে গ্রন্থগুলোর সকল হাদীস সহীহ নয়। বরং ২টি গ্রন্থ ছাড়া মানে “বোখারী” আর “মুসলিম” ছাড়া বাকীগুলো সুনান। এজন্য মুহাদ্দিসগণের মধ্যে সুপরিচিত পরিভাষা হলো :আল কুতুবুস সিত্তা: সাবধান থাকা দরকার যে, এ সিহাহ সিত্তা শব্দের ব্যবহার ভারতবর্ষেই সীমিত। – ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরM Towfiqur Rahman
-
সর্বনিম্ন মানের জান্নাতির বর্ণনা ~~~~~~~~~ মুগীরা ইবনে শু‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুসা স্বীয় প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘জান্নাতিদের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের জান্নাতি কে হবে?’ আল্লাহ তা‘আলা উত্তর দিলেন, সে হবে এমন একটি লোক, যে সমস্ত জান্নাতিগণ জান্নাতে প্রবেশ করার পর [সর্বশেষে] আসবে। তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।’ সে বলবে, ‘হে প্রভু! আমি কিভাবে [কোথায়] প্রবেশ করব? অথচ সমস্ত লোক নিজ নিজ জায়গা দখল করেছে এবং নিজ নিজ অংশ নিয়ে ফেলেছে।’ তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি কি এতে সন্তুষ্ট যে, পৃথিবীর রাজাদের মধ্যে কোন রাজার মত তোমার রাজত্ব হবে?’ সে বলবে, ‘প্রভু! আমি এতেই সন্তুষ্ট।’ তারপর আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার জন্য তাই দেওয়া হল। আর ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য [অর্থাৎ ওর চার গুণ রাজত্ব দেওয়া হল]।’ সে পঞ্চমবারে বলবে, ‘হে আমার প্রভু! আমি [ওতেই] সন্তুষ্ট।’ তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার জন্য এটা এবং এর দশগুণ [রাজত্ব তোমাকে দেওয়া হল]। এ ছাড়াও তোমার জন্য রইল সে সব বস্তু, যা তোমার অন্তর কামনা করবে এবং তোমার চক্ষু তৃপ্তি উপভোগ করবে।’ তখন সে বলবে, ‘আমি ওতেই সন্তুষ্ট, হে প্রভু!’ [মুসা] বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আর সর্বোচ্চ স্তরের জান্নাতি কারা হবে?’ আল্লাহ তা‘আলা বললেন, ‘তারা হবে সেই সব বান্দা, যাদেরকে আমি চাই। আমি স্বহস্তে যাদের জন্য সম্মান-বৃক্ষ রোপণ করেছি এবং তার উপর সীল-মোহর অংকিত করে দিয়েছি [যাতে তারা ব্যতিরেকে অন্য কেউ তা দেখতে না পায়]। সুতরাং কোন চক্ষু তা দর্শন করেনি, কোন কর্ণ তা শ্রবণ করেনি এবং কোন মানুষের মনে তা কল্পিতও হয়নি।’’ (মুসলিম) [1] [1] মুসলিম ১৮৯, তিরমিযী ৩১৯৮ রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নম্বরঃ ১৮৯২Mehedi Hassan Limon
-
ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু ছিল আবু জাহল। তার মূল নাম আমর ইবন হিশাম। জাহেলী যুগে তার উপাধি ছিল আবুল হাকাম। অর্থাৎ জ্ঞানের পিতা। তার আচরণের কারণে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তার নাম রাখেন আবু জাহল অর্থাৎ মূর্খের পিতা। . আবু হুরায়রা(রা) হতে বর্ণিত, কুরাইশ সর্দারদের নিকটে একদিন আবু জাহল বলল, মুহাম্মাদ আপনাদের সামনে নিজের চেহারায় ধূলো লাগিয়ে রাখে কি? {{সিজদাহ করাকে ব্যাঙ্গ করে এভাবে বলেছে। }} কুরাইশদের সর্দাররা বলল, হ্যাঁ। আবু জাহল বলল, লাত ও উজ্জার শপথ! আমি যদি তাঁকে এ অবস্থায় দেখি, তবে তাঁর ঘাড় ভেঙ্গে দেব, তাঁর চেহারা মাটিতে হেঁচড়াব। এরপর রাসূল(ﷺ)-কে সলাত আদায় করতে দেখে তাঁর ঘাড় মটকে দেয়ার জন্য সে অগ্রসর হল। কিন্তু সকলে অবাক হয়ে দেখল যে, আবু জাহল চিৎপটাং হয়ে মাটিতে গড়াগড়ি করছে এবং চিৎকার করে বলছে বাঁচাও বাঁচাও। তার পরিচিত লোকেরা জিজ্ঞেস করল, আবুল হাকাম তোমার কি হয়েছে? সে বলল, আমি দেখলাম, আমার ও মুহাম্মাদের মধ্যখানে আগুনের একটি পরিখা। ভয়াবহ সে আগুনের পরিখায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। রাসূল(ﷺ) এ কথা শুনে বললেন– যদি সে আমার কাছে আসত, তবে ফেরেশতা তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিড়ে ফেলত। [মুসলিম হা/২৭৯৭; মিশকাত হা/৫৮৫৬] . ইয়াসির বনু মাখযূমের ক্রীতদাস ছিলেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ও পুত্র মুসলমান হন। ফলে তাঁদের উপরে যে ধরনের অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল, তা অবর্ণনীয়। আবু জাহলের নির্দেশে বনু মাখযূমের এই ক্রীতদাস মুসলিম পরিবারের উপরে নৃশংসতম শাস্তি নেমে আসে। তাদেরকে খোলা ময়দানে নিয়ে উত্তপ্ত বালুকার উপরে ফেলে রেখে নানাভাবে নির্যাতন করা হত। একদিন চলার পথে তাদের এই শাস্তির দৃশ্য দেখে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, — ‘ধৈর্য ধর হে ইয়াসির পরিবার! তোমাদের ঠিকানা হ’ল জান্নাত’। ইয়াসিরের দুই পায়ে দু’টি রশি বেঁধে দু’দিকে দু’টি উটের পায়ে উক্ত রশির অন্য প্রান্ত বেঁধে দিয়ে উট দু’টিকে দু’দিকে জোরে হাঁকিয়ে নেওয়া হয়। তাতে জোরে হেঁচকা টানে ইয়াসিরের দেহ দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় এবং সেখানেই তিনি শাহাদতবরণ করেন। [ইবন হিশাম ১/৩২০ পৃঃ] . অতঃপর পাষাণ হৃদয় আবু জাহল নিজ হাতে ইয়াসিরের স্ত্রী সুমাইয়ার গুপ্তাঙ্গে বর্শা বিদ্ধ করে তাকে হত্যা করে। তিনিই ছিলেন ইসলামের প্রথম মহিলা শহীদ। অতঃপর তাদের একমাত্র পুত্র আম্মারের উপরে শুরু হয় অবর্ণনীয় নির্যাতনের পালা। তাঁকে উত্তপ্ত কংকরময় বালুর উপরে হাত, পা বেঁধে পাথর চাপা দিয়ে ফেলে রেখে নির্যাতন করা হয়। একদিন আম্মারকে পানিতে চুবিয়ে আধামরা অবস্থায় উঠিয়ে বলা হল, তুমি যতক্ষণ মুহাম্মাদকে গালি না দিবে এবং লাত, মানাত ও উজ্জা দেব-দেবীর প্রশংসা না করবে, ততক্ষণ তোমাকে মুক্তি দেওয়া হবে না। অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি তাদের কথা মেনে নেন। পরেই তিনি রাসূল(ﷺ)-এর দরবারে গিয়ে কান্না-জড়িত কণ্ঠে সব ঘটনা খুলে বললেন ও আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। তখন নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয়- مَنْ كَفَرَ بِاللهِ مِنْ بَعْدِ إيْمَانِهِ إِلاَّ مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيْمَانِ- ‘ঈমান আনার পরে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর ক্রোধ এবং কঠিন শাস্তি। কিন্তু যাকে বাধ্য করা হয়, অথচ তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে (তার জন্য কোন চিন্তা নেই)’ (নাহল ১৬/১০৬)। পরে আবু বকর (রা) আম্মার বিন ইয়াসিরকে তার মনিবের কাছ থেকে খরিদ করে নিয়ে মুক্ত করে দেন। [সুবুলুল হুদা, ২/৩৬২; সীরাতে ইবনে ইসহাক ১/১৯১] . আবু জাহল একদিন সাফা পাহাড়ের কাছাকাছি জায়গায় রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-কে গালমন্দ করে ও শাসিয়ে দেয়। রাসূল(ﷺ) নীরব রইলেন, কোন কথা বললেন না। এরপর আবু জাহল নবী করীম(ﷺ)-এর মাথায় এক টুকরো পাথর নিক্ষেপ করল। এতে তাঁর মাথা ফেটে রক্ত বের হল। এরপর আবু জাহল কা‘বার সামনে কুরাইশদের মজলিসে গিয়ে বসল। আবদুল্লাহ ইবন জুদয়ানের একজন দাসী এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করল। ইতিমধ্যে রাসূল(ﷺ) এর চাচা হামযাহ শিকার করে ফিরছিলেন। সেই দাসী তাকে ঘটনা শুনালেন। হামযাহ ঘটনা শুনে ক্রোধে অস্থির হয়ে উঠলেন। তিনি ছিলেন কুরাইশদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী লোক। তিনি দেরী না করে সামনে এগিয়ে গিয়ে বললেন, আবু জাহলকে যেখানে পাব সেখানেই আঘাত করব। এরপর তিনি সোজা কা‘বা ঘরে আবু জাহলের সামনে গিয়ে বললেন, ওরে গুহ্যদ্বার দিয়ে বায়ু ত্যাগকারী! তুই আমার ভাতিজাকে গালি দিয়েছিস, অথচ আমিও তাঁর প্রচারিত দ্বীনের অনুসারী? [নবুওয়াতের ৬ষ্ঠ বছরের শেষ দিকে যিলহজ্জ মাসে হামযাহ(রা) ইসলাম গ্রহণ করেন।] এ কথা বলে হাতের ধনুক দিয়ে আবু জাহলের মাথায় এত জোরে আঘাত করলেন যে, মাথায় বড় ধরনের জখম হয়ে গেল। এ ঘটনার সাথে সাথে আবু জাহলের গোত্র বনু মাখযূম এবং হামযাহ(রা)-এর গোত্র বনু হাশেমের লোকেরা পরস্পরের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে উঠলো। আবু জাহল সকলকে এই বলে থামিয়ে দিল যে, আবু আমরকে{হামযাহ} কিছু বল না, আমি তার ভাতিজাকে আসলেই খুব খারাপ ভাষায় গালি দিয়েছিলাম। [রহমাতুল্লিল আলামীন ১/৫৩ পৃঃ; ইবন হিশাম ১/২৯১-২৯২ পৃঃ]জান্নাতুল ফেরদাউস
-
5/2, 10:03pm
আযানের প্রারম্ভিক ইতিহাস মক্কায় অবস্থানকালে মহানবী (সাঃ) তথা মুসলিমগণ বিনা আযানে নামায পড়েছেন। অতঃপর মদ্বীনায় হিজরত করলে হিজরী ১ম (মতান্তরে ২য়) সনে আযান ফরয হয়। (ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৭৮) সকল মুসলমানকে একত্রে সমবেত করে জামাআতবদ্ধভাবে নামায পড়ার জন্য এমন এক জিনিসের প্রয়োজন ছিল, যা শুনে বা দেখে তাঁরা জমা হতে পারতেন। এ জন্যে তাঁরা পূর্ব থেকেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাযের অপেক্ষা করতেন। এ মর্মে তাঁরা একদিন পরামর্শ করলেন; কেউ বললেন, ‘নাসারাদের ঘন্টার মত আমরাও ঘন্টা ব্যবহার করব।’ কেউ কেউ বললেন, ‘বরং ইয়াহুদীদের শৃঙ্গের মত শৃঙ্গ ব্যবহার করব।’ হযরত উমার (রাঃ) বললেন, ‘বরং নামাযের প্রতি আহ্বান করার জন্য একটি লোককে (গলি-গলি) পাঠিয়ে দিলে কেমন হয়?’ কিন্তু মহানবী (সাঃ) বললেন, “হে বিলাল! ওঠ, নামাযের জন্য আহ্বান কর।”(বুখারী ৬০৪ , মুসলিম, সহীহ) কেউ বললেন, ‘নামাযের সময় মসজিদে একটি পতাকা উত্তোলন করা হোক। লোকেরা তা দেখে একে অপরকে নামাযের সময় জানিয়ে দেবে।’ কিন্তু মহানবী (সাঃ) এ সব পছন্দ করলেন না। (আবূদাঊদ, সুনান ৪৯৮নং) পরিশেষে তিনি একটি ঘন্টা নির্মাণের আদেশ দিলেন। এই অবসরে আব্দুল্লাহ বিন যায়দ (রাঃ) স্বপ্নে দেখলেন, এক ব্যক্তি ঘন্টা হাতে যাচ্ছে। আব্দুল্লাহ বলেন, আমি তাকে বললাম, ‘হে আল্লাহর বান্দা! ঘন্টাটি বিক্রয় করবে?’ লোকটি বলল, ‘এটা নিয়ে কি করবে?’ আমি বললাম, ‘ওটা দিয়ে লোকেদেরকে নামাযের জন্য আহ্বান করব।’ লোকটি বলল, ‘আমি তোমাকে এর চাইতে উত্তম জিনিসের কথা বলে দেব না কি?’ আমি বললাম, ‘অবশ্যই।’ তখন ঐ ব্যক্তি আব্দুল্লাহকে আযান ও ইকামত শিখিয়ে দিল। অতঃপর সকাল হলে তিনি রসূল (সাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে স্বপ্নের কথা খুলে বললেন। সব কিছু শুনে মহানবী (সাঃ) বললেন, “ইনশাআল্লাহ! এটি সত্য স্বপ্ন। অতএব তুমি বিলালের সাথে দাঁড়াও এবং স্বপ্নে যেমন (আযান) শুনেছ ঠিক তেমনি বিলালকে শুনাও; সে ঐ সব বলে আযান দিক। কারণ, বিলালের আওয়াজ তোমার চেয়ে উচ্চ।” অতঃপর আব্দুল্লাহ (রাঃ) স্বপ্নে প্রাপ্ত আযানের ঐ শব্দগুলো বিলাল (রাঃ) কে শুনাতে লাগলেন এবং বিলাল (রাঃ) উচ্চস্বরে আযান দিতে শুরু করলেন। উমার (রাঃ) নিজ ঘর হতেই আযানের শব্দ শুনতে পেয়ে চাদর ছেঁচড়ে (তাড়াতাড়ি) বের হয়ে মহানবী (সাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলেন; বললেন, ‘সেই সত্তার কসম, হে আল্লাহর রসূল! আমিও (২০ দিন পূর্বে) স্বপ্নে ঐরুপ দেখেছি।’ আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাঁকে বললেন, “অতএব যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ৪৯৮-৪৯৯, তিরমিযী, সুনান ১৮৯, ইবনে মাজাহ্, সুনান ৭০৬নং)QuranerAlo.com – কুর’আনের আলো -
5/2, 10:28pm
রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মিরাজের বর্ণনাঃ বনু খালিত ও খলিফা ইবনু খাইয়াত) (রহঃ) মালিক ইবনু সাসাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কাবা ঘরের নিকট নিদ্রা ও জাগরণ-এ দু’ অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। এরপর তিনি দু’ ব্যাক্তির মাঝে অপর এক ব্যাক্তি অর্থাৎ নিজের অবস্থা উল্লেখ করে বললেন, আমার নিকট স্বর্ণের একটি তশতরী নিয়ে আসা হল-যা হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। তাপর আমার বুক থেকে পেটের নীচ পর্যন্ত বিদীর্ণ করা হল। এরপর আমার পেটে যমযমের পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলা হল। তারপর হিকমত ও ঈমান পরিপূর্ণ করা হল এবং আমার নিকট সাদা চতুষ্পদ জন্তু আনা হল, যা খচ্চর হতে ছোট আর গাধা থেকে বড় অর্থাৎ বুরাক। এরপর তাতে আরোহণ করে আমি জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহ চলতে চলতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা হল, এ কে? উত্তরে বলা হল, জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? উত্তর দেওয়া হল মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে ধন্যবাদ, তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে গেলাম। তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, পুত্র ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তোমার প্রতি ধন্যবাদ। এরপর আমরা দ্বিতীয় আসমানে গেলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ঈসা ও ইয়াহইয়া আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট আসলাম। তাঁরা উভয়ে বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার প্রতি ধন্যবাদ। তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট গেলাম। তাঁকোমি সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনাকে ধন্যবাদ। এরপর আমরা চতুর্থ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইদ্রিস আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনাকে ধন্যবাদ। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমরা হারুন আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনাধেন্যবাদ। তারপর ষষ্ঠ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে ধন্যবাদ। তারপর আমি যখন তাঁর কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে বলা হল, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বলেছেন, হে রব! এ ব্যাক্তি যে আমার পপপ্রেরিত, তাঁর উম্মাত আমার উম্মাতের চেয়ে অধিক পরিমাণে বেহেশতে যাবে। এরপর আমরা সপ্তম আকাশে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইবরাহীম আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, হে পুত্র ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনাকে ধন্যবাদ। এরপর বায়তুল মায়মারকে আমার সামনে প্রকাশ করা হল। আমি জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মামুর। প্রতিদিন এখানে সত্তর হাজার ফিরিশতা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। এরা এখান থেকে একবার বের হলে দ্বিতীয় বার ফিরে আসে না। এটাই তাদের শেষ প্রবেশ। তারপর আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা দেখানো হল। দেখলাম, এর ফল যেন, হাজার নামক স্থানের মটকার ন্যায়। আর তার পাতা যেন হাতীর কান। তার মূল দেশে চারটি ঝরনা প্রবাহিত। ’ দু’টি অভ্যন্তরে আর দু’টি বাইরে। এ সম্পর্কে আমি জিবরাঈলকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, অভ্যন্তরে দু’টি জান্নাতে অবস্থিত। আর বাইরের দু’টির একটি হল (ইরাকের) ফুরাত আর অপরটি হল (মিশরের) নীল নদ) তারপর আমি প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) ফরয করা হয়। আমি তা গ্রহণ করে মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে ফিরে এলাম। তিনি বললেন, কি করে এলেন? আমি বললাম, আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি আপনার চেয়ে মানুষ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত আছি। আমি বনী ইসরাঈলের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি আর আপনার উম্মাত এত (সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ে) সমর্থ হবে না। অতএব আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং তা কমানোর অনুরোধ করুন। আমি ফিরে গেলাম এবং তাঁর নিকট আবেদন করলাম। তিনি সালাত (নামায/নামাজ) চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। পুনরায় অনুরূপ ঘটল। আর সালাত (নামায/নামাজ)ও ত্রিশ ওয়াক্ত করে দেওয়া হল। পুনরায় অনুরূপ ঘটলে তিনি সালাত (নামায/নামাজ) বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আবার অনুরূপ হল। তিনি সালাত (নামায/নামাজ)কে দশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর আমি মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে আসলাম। তিনি পূর্বের ন্যায় বললেন, এবার আল্লাহ সালাত (নামায/নামাজ)কে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয করে দিলেন। আমি মূসার নিকট আসলাম। তিনি বললেন, কি করে আসলেন? আমি বললাম, আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত ফরয করে দিয়েছেন। এবারও তিনি পূর্বের ন্যায় বললেন, আমি বললাম, আমি তা মেনে নিয়েছে। তখন আওয়াজ এল, আমি আমার ফরয জারি করে দিয়েছি। আর আমার বান্দাদের থেকে হালকা করে দিয়েছে। আর আমি প্রতিটি পূণ্যের জন্য দশ গুন সওয়াব দিব। আর বায়তুল মামুর সম্পর্কে হাম্মাম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণণা করেন। গ্রন্থঃ সহীহ বুখারি (ইফা), অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা অনুবাদঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ২৯৮০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও - May 3
-
– ভাই কি মাদ্রাসায় পড়েছিলেন? – না ভাই, সেই সৌভাগ্য হয়নি… – এত বড় দাঁড়ি রাখছেন আবার প্যান্ট এতো উপরে পড়ছেন তো তাই বললাম! – ভাই আমাদের রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কখনোই একমুষ্ঠির কম পরিমাণ দাঁড়ি ছিলো না এবং তাঁর কাপড় কখনোই টাখনুর নিচে নামেনি। তিনি বলেছেন দাঁড়ি লম্বা রাখতে ও গোঁফ খাটো করতে আর টাখনুর নিচে কাপড় পরলে আল্লাহ কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকাবেন না এবং সে অংশ জাহান্নামের। (বুখারি) – তবুও ভাই, যা দিনকাল পড়ছে দাঁড়ি রাখলে মানুষ কত কি ভাবে আর তাছাড়া মেয়েরাও পছন্দ করে না, বিয়ে করতে চায় না! – ভাই, ধর্মপ্রচারের কারণে অপছন্দ করলেও আরবের বড় বড় মুশরিক আর কাফিররা পর্যন্ত সেই (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁড়িওয়ালা মানুষটাকে ভালোবেসে আল-আমিন মানে সত্যবাদী ডাকত! আর বিয়ে? তাঁর অমায়িক আচার-ব্যবহার এবং সততায় মুগ্ধ হয়ে সে সময়কার সম্ভ্রান্ত বংশের বিত্তশালী এবং সুন্দরী হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু আনহা সেই লম্বা দাড়িঁওয়ালা মানুষটাকেই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং বিয়ে করেছিলেন.. আর আলহামদুলিল্লাহ্ আজকাল অনেক মেয়েই আছে যারা দাঁড়ি, টাখনুর উপর কাপড় ছাড়া আপনারে বিয়েই করবে না! আসল কথা এসব করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, লোকের কথায় কি আসে যায়রে ভাই! – কিন্তু ভাই এসব যে মানতেই হবে এমনতো কথা নেই! এগুলোতো সুন্নাত! – ভাইয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা স্পষ্ট করে আমাদের বলেছেন – “রাসূল তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা গ্রহণ কর এবং যা দেননি যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর।” সূরা হাশর আয়াত নাম্বার:- ০৭ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো বলেন- “আর তিনি নিজ প্রবৃত্তি থেকে কোনো কথা বলেন না। তা তো ওহি, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।” সূরা আন নাজম আয়াত নাম্বার:- ৩-৪ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যাক্তি আমার আনুগত্য করে সে আল্লাহ্রই আনুগত্য করে এবং যে ব্যাক্তি আমার অবাধ্যাচরণ করে সে আল্লাহ্রই অবাধ্যাচরণ করে। (বুখারি ও মুসলিম) – ভাই, ইচ্ছাতো হয়ই দাঁড়ি রাখতে, প্যান্ট টাখনুর উপরে পরতে কিন্তু মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানি বা ভালো জায়গাগুলোতে এসব পছন্দ করে না, ভালো জব পাওয়া যায় না .. – যে চাকরিতে আল্লাহর আদেশ এবং আমার রাসূলের সুন্নাহকে হেয় করে দেখা হয় আর সেটা পালনে বাধা দেয়া হয় আমি কেন সেই চাকরির গোলামি করব ভাই?? এই পৃথিবীতে আল্লাহ্ তাঁর পছন্দের বান্দাদের রিযকের অভাব রাখেন নাই.. হয়তবা আয়টা একটু কমই হবে কিন্তু আল্লাহর বারাকাহ্ থাকবে অফুরন্ত। আজ এই মূহুর্ত থেকে নিয়্যত করেন এই মুখে যাতে আর কোনো রেজারের আচঁড় না পড়ে আর আজই টাখনুর নিচে প্যান্টের বাড়তি অংশটুকু কমিয়ে নিবেন.. – ইনশা আল্লাহ্ ভাই দুআ করবেন.. – ভাই সত্যি বলতে এসব ব্যাপারে আমার দুআর চাইতে আপনার ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজনটা অনেক অনেক বেশি! আল্লাহ্ আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন আর আমাদের গুনাহগুলোর কাউন্টিং তখনই শুরু হয় যখন আমরা আল্লাহর কোন আদেশ জানার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে যেগুলোকে এড়িয়ে যাই এবং কেয়ারই করি না! আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেন আপনাকে এবং আমাকে তাঁর এবং তাঁর রাসূলের প্রতিটা নির্দেশ পূঙ্খানুপূঙ্খভাবে মেনে চলার তৌফিক দেন.. #c_pPeace
-
দশটা দরবারী আলিমকে রাসুল(স) এর সেই অথেনটিক হাদিস স্মরণ করিয়ে দিয়ে জামাতবদ্ধ থাকতে বলুন। বেশি না, মাত্র দু সপ্তাহ। এরপর বলুন একজন আমির হোন, বাকিরা সকলে তার কথা শুনুন। না, কোন দ্বীনি ইলমি বিষয়ে নয়, আমিরকে একটা বায়তুলমাল তুলে দিয়ে বাকি নয়জনকে নিয়ে সেই বায়তুল মাল দিয়ে দ্বীনের খেদমতে সে অর্থ ব্যয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে বলুন। অপশন দিন তিন চারটা, এই যেমন, দুটা সেমিনার(প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া), কিছু প্রভাবশালীকে দাওয়াহ, জামাতবদ্ধ হওয়ার জন্য দারুল আরকাম টাইপ কিছু একটা নির্মাণ, দাওয়াতি কাজের জন্য যাতায়াত ও আপ্যায়ন ব্যয়, দাওয়াতি ম্যাটেরিয়াল যেমন বই, মাইক্রোফোন, মেমোরী ইত্যাদি ক্রয়, দু’ সপ্তাহব্যাপী দাওয়াহর জন্য কর্মসূচী প্রনয়ন…. এরপর এসব ব্যাপারে তাদেরকে এক হয়ে কাজ করতে বলুন। বলুন যে, এটা রাসু্ল(স) এ্ আদেশ যে, জামাতবদ্ধ হবেন, আমিরের কথা শুনবেন, মান্য করা, হিজরত ও জিহাদ করা। আপনারা করে দেখান। এরপর দেখুন খেল।Rowshon Kabir
- May 4
-
একটা ভালো ফ্যামিলির বেনামাজি নম্র ভদ্র পড়ার টেবিলে বুঁদ হয়ে থাকা ভাইকে যদি বলা হয় মদ খাওয়া কেমন অপরাধ? জিনা করা কেমন অপরাধ? শুকর খাওয়া কেমন অপরাধ? তাহলে অবশ্যই তার কাছ থেকে ছি ছি/ আস্তাগফিরুল্লাহ/নাউযুবিল্লাহ ইত্যাদি উত্তর পাওয়া যাবে। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলেও একজন বুদ্ধিমান মানুষের কাছে এগুলো অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। আল্লাহর শপথ! নামাজ ত্যাগ করা – মদ, শুকর, জিনা ইত্যাদি থেকেও জঘন্যতম অপরাধ। অথচ আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের সেদিকে কোন ভ্রূক্ষেপই নেই। দিনের পর দিন নামাজ ছেড়ে দেয়া অনেকের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন চাইলে ২ ওয়াক্ত পড়লাম, মন চাইলো না তাই ৩ ওয়াক্ত ছেড়ে দিলাম। এভাবে মহান আল্লাহ্র সবচেয়ে বড় হুকুম সালাতকে আমরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছি নিরন্তর। অথচ আমাদের সালাফ আস সালেহিনদের (পূর্ববর্তী নেককার) কাছে নামাজ বাদ দেয়া মানে অমুসলিম হয়ে যাওয়া ছিল! ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল রাহিমাহুল্লাহ্ এর মতে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগকারী ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ্ এর মতে কাজটা কুফুরি, কিন্তু সে অস্বীকার না করা পর্যন্ত ইসলাম থেকে খারিজ হবে না। কিন্তু তার এই সালাত ত্যাগের কাজটা কুফুরি। কতো বড় কথা! সুবহানাল্লাহ। কিন্তু মদ, শুকর, জিনা হারাম হলেও এইসব জঘন্য গুনাহের ব্যাপারে কুফরের কথা বলা হয়নি। যেমনটা বলা হয়েছে নামাজ ত্যাগকারীর উপর। আবু যুবাইর রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে নামায না পড়াই হচ্ছে পার্থক্য।” (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান অধ্যায়) অর্থাৎ মানুষকে শিরক ও কুফর থেকে দূরে রাখার একমাত্র প্রাচীর হচ্ছে নামাজ। নামাজ তাকে এসব জঘন্য কাজে লিপ্ত হতে বাধা দেয়। যখন সে নামাজ ত্যাগ করে তখন তার মাঝে শিরকী কার্যকলাপ ও কুফরী ঢুকে যায়। যতই সে দাবি করুক না কেন তার ঈমান ঠিক আছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, “কিয়ামাতের দিন সর্বপ্রথম বান্দাহর নামাযের হিসাব নেওয়া হবে। যদি এটা ঠিক থাকে তাহলে তার বাকি আমালগুলো গ্রহণযোগ্য হবে আর যদি এটা ঠিক না থাকে তাহলে বাকি আমালগুলো বাতিল বলে গণ্য করা হবে।” – আত তাবারানী, আল জামীHabibullah Reza
- May 4
-
5/4, 2:52pm
প্রায় ১৪০০ বছর আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন , তা এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে । মানুষ আজ সহিহ ভাবে ইসলামকে জানা ও মানার জন্য মাদানী আলেমদের কাছে দলে দলে যাচ্ছে । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ,«َّﻥِﺇ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥَ ﻟَﻴَﺄْﺭِﺯُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﺄْﺭِﺯُ ﺍﻟْﺤَﻴَّﺔُ ﺇِﻟَﻰ ﺟُﺤْﺮِﻫَﺎ .“ ঈমান মদীনার দিকে ফিরে আসবে, যেভাবে সাপ তার গর্তের দিকে ফিরে আসে’’।[সহীহ বুখারী – ১৮৭৬ ও মুসলিম – ৩৭২ ] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, « ﻳَﻀْﺮِﺑُﻮﻥَ ﺃَﻛْﺒَﺎﺩَ ﺍﻹِﺑِﻞِ ﻳَﻄْﻠُﺒُﻮﻥَ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢَ ﻓَﻼَ ﻳَﺠِﺪُﻭﻥَ ﻋَﺎﻟِﻤًﺎ ﺃَﻋْﻠَﻢَ ﻣِﻦْ ﻋَﺎﻟِﻢِ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔ ‘‘ মানুষ হন্যে হয়ে ইলম অনুসন্ধান করবে, তবে মদীনার আলেমের চেয়ে অধিক বিজ্ঞ কোন আলেম তারা খুঁজে পাবে না।’’ [ নাসায়ী: ৪২৭৭ ও হাকেম: ৩০৭ সহীহ ] হে আল্লাহ ! আপনি আমাদের সঠিক ইলম দেন। কুরআন ও সুন্নাহ আঁকড়াই ধরে বিদআতমুক্ত জীবন গড়ার তৌফিক দেন। আমাদেরকে ইসলামের জন্য কবুল করুন। আমিনইসলামিক দাওয়াহ -
Abu Atika added a new photo.কবৰ যিয়াৰতৰ দো‘আ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، (وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ) أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ হে গৃহসমূহৰ অধিবাসী মুমিন আৰু মুছলিমসকল! তোমালোকৰ প্রতি শান্তি বর্ষিত হওঁক। আৰু নিশ্চয় আমি ইন শ্বা আল্লাহ তোমালোকৰ সৈতে মিলিত হম। [আল্লাহে আমাৰ পুর্বৱর্তীসকলৰ আৰু পৰৱর্তীসকলৰ প্রতি দয়া কৰক।] মই আল্লাহ্ৰ ওচৰত আমাৰ কাৰণে আৰু তোমালোকৰ কাৰণে নিৰাপত্তা প্রার্থনা কৰিছোঁ। আচ্ছালা-মু আলাইকুম আহলাদ্দিয়াৰি মিনাল মু’মিনীনা ওৱাল মুছলিমীনা, ওৱা ইন্না ইন শ্বা-আল্লা-হু বিকুম লা-হিকুনা, [ওৱা ইয়াৰহামুল্লাহুল মুস্তাক্বদিমীনা মিন্না ওৱাল মুস্তা’খিৰীনা], আচআলুল্লাহা লানা ওৱালাকুমুল ‘আ-ফিয়াহ মুছলিম ২/৬৭১, নং ৯৭৫; ইবনে মাজাহ্, ১/৪৯৪, আৰু শব্দ তেওঁৰেই, নং ১৫৪৭; বুৰাইদা ৰাদিয়াল্লাহু ‘আনহুৰ পৰা। আৰু দুই ব্রাকেটৰ মাজৰ অংশ আয়িশ্বা ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহাৰ হাদীছৰ পৰা, যাক সংকলন কৰিছে, মুছলিম, ২/৬৭১, নং ৯৭৫। দোআ আৰু যিকিৰ (হিছনুল মুছলিম)Abu Atika
-
-
-
-
-
Tajul Islam Vp Rahul added a new photo.ডাউনলোড করুন আপনার পছন্দের বক্তার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত লেকচার। ১. জাকির নায়েকঃ http://wp.me/P1KaJA-sj ২. মতিউর রহমানঃ http://wp.me/P1KaJA-sp ৩. জসিম উদ্দিনঃ http://wp.me/P1KaJA-st ৪. হাসান জামিলঃ http://wp.me/P1KaJA-sH ৫. আব্দুর রাজ্জাকঃ http://wp.me/P1KaJA-sx ৬. কাজী ইব্রাহীমঃ http://wp.me/P1KaJA-tp ৭. আব্দুল কাইয়ুমঃ http://wp.me/P1KaJA-tA ৮. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরঃ http://wp.me/P1KaJA-xS ৯. আব্দুল হামীদ ফাইজীঃ http://wp.me/P1KaJA-zA ১০.সাইফুদ্দীন বেলালঃ http://wp.me/P1KaJA-yWTajul Islam Vp Rahul
- May 4
-
#প্রশ্নঃ আল্লাহ নাকি শেষ আসমানে নেমে আসেন রাতের শেষ ভাগে এবং তার ইবাদাত কারীকে ডাকেন এটা কি সত্য? -মনিরুল হক চাপাইন সাভার, ঢাকা . #উত্তরঃ দোয়া কবুলের একটা উত্তম সময় হলো রাতের শেষ ভাগ। আর এই সময় তার ইবাদাতের মাধ্যমে যারা তাকে ডাকেন উনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। এটা কোন নির্দিষ্টি দিন নয় প্রতি রাতের শেষ ভাগেই। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্নিত তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছি:সারা রাতের মধ্যে এমন একটি বিশেষ সময় আছে যে সময়ে কোন মুসলিম আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোন কল্যান প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। আর ঐ বিশেষ সময়টি প্রত্যেক রাতেই থাকে (মুসলিম/৭৫৭ ই.ফা.১৬৪০, আহমাদ/১৩৯৪৫,১৪৩৩৬) . আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্নিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন প্রত্যেক রাতে যখন রাতের শেষ ৩য় অংশ থাকে তখন আমাদের প্রতিপালক মহাম ও কল্যানময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমান অর্থাত শেষ আসমানে অবতরন করে বলতে থাকেন: “কে এমন আছ, যে এখন আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দিব। এখন কে এমন আছ যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি তাকে দান করব। আর কে এমন আছ, যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দিব (বুখারি/১১৪৫,৬৩২১,৭৪৯৪- মুসলিম/৭৫৮ ই.ফা.১৬৪২)। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্নিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন প্রত্যেক রাতে যখন রাতের প্রথম ৩য় অংশ অতিবাহিত হয় তখন আমাদের প্রতিপালক মহাম ও কল্যানময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমান অর্থাত শেষ আসমানে অবতরন করেতে থাকেন আর বলতে বলতে থাকেন “কে এমন আছ,যে এখন আমাকে ডাকবে,আমি তার ডাকে সাড়া দিব। এখন কে এমন আছ যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে আমি তাকে দান করবো। কে এমন আছ আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব। ফাজরের আলো ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা এরুপ বলতে থাকেন (মুসলিম/১৬৫৮ ই.ফা. ১৬৪৩)।মাসিক আত-তাহরীক প্রশ্নোত্তর
- May 5
-
শবে বরাত পালন প্রসঙ্গে। ডঃ মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।Like US – Share US —————————– Facebook: http://www.facebook.com/quranerahoban Google+: https://plus.google.com/u/0… Youtube: http://www.youtube.com/ch…youtube.com
- May 6
-
ব্রেলভীরা যখন বলে: রসুল (সা) মৃত্যুর পরেও একই সময়ে সব জায়গায় যেতে পারে। তাই তিনি মিলাদে উপস্থিত হন। দেওবান্দিরা তখন নাউজুবিল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, পড়ে ও বলে এটা ঠিক নয়। আপনারা গোমড়া, ভুল। এটা শিরকি আকিদা। এটা সম্ভব নয়। আসুন দেখি দেওভুতদের আকাবির কি বলে: ————————————————- আশরাফ আলী থানবী সাহেবের জনৈক খলীফা বলেন,একদা আলীগড়ের শিল্প-প্রদশনীতে দোকান খুলিয়াছিলাম। মাগরিবের পর প্রদশনীর কোন এক স্টলে আগুল লাগে। আমি একাকী আমার মালপত্র সরাইতে সক্ষম হতেছিলাম না। অকস্মাৎ দেখিলাম, #হযরত #হাকীমুল উম্মত আমার কাজে #সাহায্য #করিতেছেন। তাই আমার বিশেষ কোন ক্ষতি হয় নাই। পরে জানিলাম, হযরত তখন #থানাভবনেই #অবস্থান #কিরতেছিলেন। (তথ্যসুত্র: বেহেশতি জেওর, ১ম খন্ড, কারামত অংশ, ৯ নং পৃষ্টা। অনুবাদক এই কারামত প্রসব করেছেন) বেটা, দেওভুত, তোমার হাকিমুল উম্মত যদি তোমাকে বাড়িতে থেকে আগুন লাগার জায়গায় হেল্পায় তাহলে ব্রেলভিরা নবী (সা) এর বেলা বললে চ্যাচাও কেন? তোমাকে যদি বলে নবী বড় না থানবী? থানবি যাইতে পারে নবী পারে না? নিজের ঘড়ে ভুত রেখে অন্যর ঘড় নিয়ে চ্যাচাও কেন? এই ব্রেলভি+দেওভুত এরা ভাই ভাই, ঝগড়া শুধু নিজের আখের গোছাই। দুইটাই সেইম আকিদার। তবে দেওভুত গুলো বেশি ভয়ংকর!আবু সুহায়ইলা
-
মি’রাজে রাসুল (সাঃ) আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছেন কি না??? রাসুল (সাঃ) মি’রাজে একে একে সাত আসমানের উপর ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ পর্যন্ত ঊর্ধ্বগমন করেছিলেন। তিনি আল্লাহ তায়ালাকে দেখেননি। বরং তিনি জিবরীল (আঃ)-কে তাঁর নিজ আকৃতিতে দেখেছিলেন। সুরা নাজম-এর কয়েকটি আয়াত দিয়ে মি’রাজের রাত্রিতে আল্লাহকে দেখার দলীল হিসাবে উপস্থাপন করা সঠিক নয়। দলীল নঃ ১ ”মাসরুক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আম্মাজান! মুহাম্মাদ (সাঃ) কি তাঁর রবকে দেখেছিলেন? তিনি বললেন, তোমার কথায় আমার গায়ের পশম কাঁটা দিয়ে খাড়া হয়ে গেছে। তিনটি কথা সম্পর্কে তুমি কি জানো না যে তোমাকে এ তিনটি কথা বলবে সে মিথ্যাচারী। যদি কেউ তোমাকে বলে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর প্রতিপালককে দেখেছেন, তাহলে সে মিথ্যাচারী। তারপর তিনি পাঠ করলেন ‘তিনি দৃষ্টির অধিগম্য নন, কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত’ (আন’আম ৬/১০৩) ‘মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন, ওয়াহীর মাধ্যম ব্যতীত অথবা পর্দার আড়াল ছাড়া’ (শূরা ৪২/৫১) আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলবে যে, আগামীকাল কী হবে, তা সে জানে, তাহলে সে মিথ্যাচারী। তারপর তিলাওয়াত করলেন ‘কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে’ (লুকমান ৩১/৩৪) এবং তোমাকে যে বলবে, মুহাম্মাদ (সাঃ) কোন কথা গোপন রেখেছেন, তাহলেও সে মিথ্যাচারী। এরপর তিনি পাঠ করলেন ‘হে রাসুল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর’ (মায়িদাহ ৫/৬৭) তবে হাঁ, রাসুল (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে তাঁর নিজস্ব আকৃতিতে দু’বার দেখেছেন” বুখারী ৪৮৫৫ দলীল নঃ ২ মাসরুক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে আল্লাহর বানী ‘তারপর সে তাঁর নিকটবর্তী হল এবং অতি নিকটবর্তী হল, অবশেষে তাঁদের মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথবা আরও কম’ (নাজম ৫৩/৮-৯) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, তিনি ছিলেন জিবরীল (আঃ)। জিবরীল (আঃ) সাধারনত মানুষের আকার নিয়ে রাসুল (সাঃ)-এর নিকট আসতেন। কিন্তু এবার তিনি নিকটে এসেছিলেন তাঁর আসল চেহারা নিয়ে। তখন তিনি আকাশের সম্পূর্ণ দিকচক্রবাল আবৃত করে ফেলেছিলেন’’ বুখারী ৩২৩৫; মুসলিম ২৯০-(…) দলীল নঃ ৩ ”মাসরুক (রহঃ) বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-এর মাজলিশে হেলান দিয়ে বসেছিলাম। তখন তিনি বললেন, হে আবু আয়িশাহ! তিনটি কথা এমন, যে এর কোন একটি বলল, সে আল্লাহ সম্পর্কে ভীষণ অপবাদ দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেগুলো কি? তিনি বললেন, যে এ কথা বলে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর প্রতিপালককে দেখেছেন, সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দিল। রাবী মাসরুক বলেন, আমি তো হেলান অবস্থায় ছিলাম, এবার সোজা হয়ে বসলাম। বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! থামুন, আমাকে সময় দিন, ব্যস্ত হবেন না। আল্লাহ তায়ালা কি কুরআনে বলেন নাই ‘তিনি তো তাঁকে স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছেন’ (তাকভীর ৮১/২৩) এবং ‘নিশ্চয়ই তিনি তাঁকে আরেকবার দেখেছিলেন’ (নাজম ৫৩/১৩) আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আমিই এ উম্মাতের প্রথম ব্যক্তি, যে রাসুল (সাঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেন, তিনি তো ছিলেন জিবরীল (আঃ), আর কেবলমাত্র এ দু’বারই আমি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছি। আমি তাঁকে আসমান থেকে অবতরন করতে দেখেছি। তাঁর বিরাট দেহ ঢেকে ফেলেছিল আসমান ও যমিনের মধ্যবর্তী সব স্থানটুকু। আয়িশাহ (রাঃ) আরও বললেন, তুমি শোননি? আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তিনি (আল্লাহ) দৃষ্টির অধিগম্য নন, তবে দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত এবং তিনি সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত’ (আন’আম ৬/১০৩) এরুপে তুমি কি শোননি? আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তাঁর সাথে কথা বলবেন ওয়াহীর মাধ্যম ব্যাতিরেকে, অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যাতিরেকে, অথবা এমন দুত প্রেরন ব্যাতিরেকে যে তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়’ (শূরা ৪২/৫১) আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আর ঐ ব্যাক্তিও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়, যে এমন কথা বলে যে, রাসুল (সাঃ) আল্লাহর কিতাবের কোন কথা গোপন রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে রাসুল! আপনার প্রতিপালকের নিকট হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার করুন, যদি তা না করেন তবে আপনি তাঁর বার্তা প্রচারই করলেন না’ (মায়িদাহ ৫/৬৭) আয়িশাহ (রাঃ) আরও বলেন, যে ব্যাক্তি এ কথা বলে যে, রাসুল (সাঃ) ওয়াহী ব্যাতিত আগামীকাল কি হবে তা অবহিত করতে পারেন, সেও আল্লাহর প্রতি ভীষণ অপবাদ দেয়। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বল- আসমান ও যমিনে আল্লাহ ব্যাতিত গায়েব সম্পর্কে কেউ জানে না’ (নামল ২৭/৬৫) মুসলিম ২৮৭-(১৭৭) দলীল নঃ ৪ আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মনে করবে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর রবকে দেখেছেন, সে মহা ভুল করবে। বরং তিনি জিবরীল (আঃ)-কে আসল আকার ও চেহারায় দেখেছেন। তিনি আকাশের দিকচক্রবাল জুড়ে অবস্থান করছিলেন’’ বুখারী ৩২৩৪ দলীল নঃ ৫ আল্লাহর বানী, অবশেষে তাঁদের মধ্যে দুই ধনুকের দূরত্ব রইল অথবা আরও কম, তখন আল্লাহ স্বীয় বান্দার প্রতি যা ওয়াহী করার ছিল, তা ওয়াহী করলেন’ নাজম ৫৩/৯-১০ ইমাম বুখারী অত্র আয়াতের তাফসীরে দুটি হাদীস নিয়ে এসেছেনঃ আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। উল্লেখিত আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ইবন মাস’উদ (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছেন। তাঁর ছয়শত ডানা ছিল’’ বুখারী ৪৮৫৬ দলীল নঃ ৬ শাইবানী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলে আমি যিরর (রহঃ)-কে (উল্লেখিত) আল্লাহর বানীর ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করলে, তিনি বললেন, আমাকে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, মুহাম্মাদ (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছেন। এ সময় তাঁর ছয়শত ডানা ছিল’’ বুখারী ৩২৩২, ৪৮৫৭; মুসলিম ২৮০-(১৭৪) দলীল নঃ ৭ আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘তিনি যা দেখেছেন, তাঁর অন্তকরন তা অস্বীকার করে নাই’ (নাজম ৫৩/১১) আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন এবং এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছিলেন। তাঁর ছয়শত ডানা আছে’’ মুসলিম ২৮১-(…) দলীল নঃ ৮ আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘তিনি তাঁর প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিলেন’ (নাজম ৫৩/১৮) তিলাওয়াত করলেন এবং ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে তাঁর নিজ আকৃতিতে দেখেছিলেন, তাঁর ছয়শত ডানা আছে’’ মুসলিম ২৮২-(…) দলীল নঃ ৯ আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘নিশ্চয়ই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন’ (নাজম ৫৩/১৩) আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছিলেন’’ মুসলিম ২৮৩-(১৭৫) দলীল নঃ ১০ সহীহ মুসলিমের এর ৭৮ নঃ অধ্যায় ‘রাসুল (সাঃ)-এর বানীঃ ‘তা ছিল উজ্জ্বল জ্যোতি আমি তা দেখেছি। অন্য বর্ণনায়ঃ ‘আমি উজ্জ্বল জ্যোতি দেখেছি’’ এই অধ্যায়ে দু’টি হাদীস রয়েছেঃ ”আবু যার (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছি, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ‘’তিনি (আল্লাহ) নুর, তা আমি কিরুপে দেখবো?” মুসলিম ২৯১-(১৭৮) দলীল নঃ ১১ আবদুল্লাহ ইবন শাকীক (রহঃ) বলেন, আমি আবু যার (রাঃ)-কে বললাম, যদি রাসুল (সাঃ)-এর দেখা পেতাম তবে তাঁকে অবশ্যই একটি কথা জিজ্ঞেস করতাম। আবু যার (রাঃ) বললেন, কি জিজ্ঞেস করতে? তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করতাম যে, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? আবু যার (রাঃ) বললেন, এ কথা তো আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছেনঃ ‘আমি নুর দেখেছি’ মুসলিম ২৯২-(…) দলীল নঃ ১২ ”আবু মুসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেন ‘’তিনি (আল্লাহ) নুরের পর্দায় আচ্ছাদিত। যদি সে আবরন খুলে দেয়া হয়, তবে তাঁর নুরের আলোকচ্ছটা সৃষ্টিজগতের দৃশ্যমান সবকিছু ভস্ম করে দিবে’’ মুসলিম ২৯৩-(১৭৯) এছাড়াও সুরা নাজমের উল্লেখিত আয়াতসমুহের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ইমাম তাবারী, ইমাম ইবন কাসীর, কুরতুবী, আবু হাইয়ান, ইমাম রাযী, ইবন হাজার আসকালানী, ইমাম নববী, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়িম প্রমুখ বিদ্বানগণ এই মতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন যে, অত্র আয়াত সমুহে আল্লাহ তায়ালাকে দেখার কথা বলা হয়নি, বরং এখানে জিবরীল (আঃ)-কে নিজ আকৃতিতে দেখার কথা বলা হয়েছে।এছাড়া ‘তাফসীর মা’আরেফুল কুরআনে’ মুফতী মুহাম্মাদ শফি এই মত সমর্থন করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন মাওলানা আশরাফ আলী থানভীও এই তাফসীর অবলম্বন করেছেন। (আল্লাহ ভাল জানেন) সুত্রঃ তাফসীর, ইবন কাসীর। তাফসীর, আবু বকর যাকারিয়া। তাফসীর, আহসানুল বায়ান, হাফিয সালাহুদ্দিন ইউসুফ। মা’আরেফুল কুরআন, মুফতী শফি। তাফহীমুল কুরআন, সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি। যাদুল মাআদ, ইবনুল কাইয়িম।জান্নাতুল ফেরদাউস
-
তাবলীগঃ (WHY, WHAT & HOW) ইন্নালহামদালিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য, যিনি আসমানকে কোন খুঁটির সাহায্য ছাড়াই ঊর্ধ্বে স্থাপিত করেছেন। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সেই রাহমাতুল্লিল আলামিনের ওপর যার সম্পর্কে সকল ধর্মের ও সকল মতবাদের জ্ঞানী ও বিজ্ঞজনেরা অত্যন্ত উচ্চ ধারনা পোষণ করেন এবং যার নামে দরুদ ও সালাম পাঠ করা হয় আসমানে ও জমিনেও। একটু বড় লেখা, দয়াকরে সবাইকে একটু ধৈর্য নিয়ে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ভুল হলে, কমেন্ট আশা করছি। এক আজ থেকে প্রায় বিশ-পঁচিশ বছর আগে আমাদের গ্রামের বাড়ির ওদিকে দেখা যেত, পুরো গ্রামে মাত্র একটা টেলিভিশন। থানা শহর থেকে একটু ভেতরের দিকে, দু-তিন গ্রামেও একটা টেলিভিশন দেখা যেত না। তো ভালই ছিল অবস্থা। দাজ্জালিয় প্রভাব কম ছিল। কিন্তু, আমি যেজন্য বলছি, ভাবুন, সেই বাড়িটি আপনার। রাতে খবর দেখাচ্ছে, ২৫০ কিমি বেগে একটি সাইক্লোন ধেয়ে আসছে, আগামী ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার এই গ্রামের আশেপাশের এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। আপনি একা সে সংবাদ দেখলেন, টিভিটা বন্ধ করে নিকটস্থ আবহাওয়া অফিসে ফোন করলেন এবং জেনে নিলেন ঝড়ের গতিপথ অনুযায়ী আপনাকে একটি নির্দিষ্ট দিকে(৪৫ ডিগ্রি পূর্বে) সরে যেতে হবে। এরপর আপনি কাউকে না জানিয়ে, শুধু আপনার ফ্যামিলি নিয়ে রাতের মধ্যেই সরে গেলেন, আর পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেল। ভাবুন, আপনি কতটা অমানবিক কাজ করলেন। আপনি যখন সত্যটা জানতে পারলেন, যে আমাদের সবার সামনে একটি কমন বিপদ অপেক্ষা করছে এবং এটাও জানেন এই বিপদ সম্পর্কে অন্যান্যরা Aware না, তখন আপনি কি করে পারেন, একা একা নিজেকে রক্ষা করতে? আমাদের সবার সামনে সেই কমন বিপদের মত সাকরাতুল মাউত, আলমে বরজখ, কিয়ামত, হাশরের ক্লান্তক্লিস্ট দিন, মীযান, পুলসিরাত আর জাহান্নামের মত একেকটা ভয়ঙ্কর কঠিন Phase অপেক্ষা করছে। তো আপনি যখন হিদায়াত তথা সেই হকের সন্ধান পেয়ে গেলেন, তখন আপনি আর এক মুহূর্তও বসে থাকতে পারেন না, যদি আপনার ভেতর সামান্যতম মানবিকতা থেকে থাকে। আপনি যতখানি জাহান্নামকে চিনতে পেরেছেন, আপনি ততখানিই মুবাল্লিগ হয়ে যাবেন। আপনি যতখানি আখিরাতের অবস্থা চিনতে পেরেছেন, আপনি এই উম্মাহর জন্য ততখানিই চিন্তিত থাকবেন। আপনার তাবলীগ, অন্য কথায় আপনার ঈমানেরই একটি মানদণ্ড, একটি আইডেন্টিটি। আপনি তাবলীগ করেন না, তার মানেই হল, এই উম্মাহর প্রতি আপনার কোন দরদ নেই, আপনি একজন পশুতুল্য মানুষ, অথবা আপনি সেই জাহান্নামের সেই ভয়াবহতা সম্পর্কে এখনো জানতে বা বিশ্বাস করতে পারেন নি। আজ দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ টাখনুর নিচে কাপড় পরে, ৯৫ ভাগ মানুষ নামাজ পরে না, দেশের সব উদ্যানগুলো সোহরাওয়ারদি উদ্যান হয়ে গেছে, সব লেকগুলো ধানমণ্ডি লেক হয়ে গেছে, অধিকাংশ ফ্ল্যাটগুলো লিটনের ফ্ল্যাট হয়ে গেছে, আর আপনি চোখে টিনের চশমা লাগিয়ে মসজিদে বসে তসবি টানবেন, এটা ইসলাম নয়। তেমনিভাবে, যখন মুসলিমদের বাড়িঘরগুলো বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, মুসলিমদেরকে তাদের নিজস্ব ভুমি থেকে উৎখাত করে দিয়ে তাদেরকে স্যান্ডওয়িচের মত পিষে গলাধকরন করা হচ্ছে, মুসলিম শিশুদের ওপর বৃষ্টির মত ব্যারেল বোমা ড্রোন ইত্যাদি ফেলা হচ্ছে, মুসলিম মা-বোনদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কুরআন পোড়ান হচ্ছে, এর ওপর প্রস্রাব করা হচ্ছে, ইসলাম ও মুসলিমের নাম ও নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন আপনি কুফফার ও তাগুতের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে নিশ্চুপ বসে থাকতে পারেন না! দুই দ্বীন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। সুতরাং, আপনি যদি তাবলীগ করেন, তবে আপনাকে এই পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার তাবলীগই করতে হবে। আপনি একজন ছাত্রকে যেমন তার পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ যোগাবেন, তেমনি তার নামাজের প্রতিও উৎসাহ যোগাবেন। ইসলাম কোন বৈরাগ্যবাদ অনুমোদন দেয় না। কিন্তু ব্যাপার হল, বর্তমানে একজন মা তার সন্তানকে যতখানি পড়াশোনার চাপ দেয়, নামাজের ব্যাপারে ততখানিই শিথিল। এজন্য, যেহেতু দুনিয়া তারটা নেয়ার জন্য যথেষ্ট দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছে, একজন মুবাল্লিগ মানুষের আখিরাতের বিষয় নিয়েই বেশি গুরুত্বারোপ করেন। সুরা মায়িদাতে আল্লাহপাক বলেন, “হে রাসুল, তোমার ওপর যা কিছু নাজিল করা হয়েছে তা তুমি (অন্যের কাছে) পৌঁছে দাও, যদি তুমি(তা) না কর, তাহলে তুমি তো (মানুষদের কাছে) তার বার্তা পৌঁছে দিলে না। আল্লাহতাআলা তোমাকে মানুষের (অনিষ্ট) থেকে বাচিয়ে রাখবেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কখনও কোন অবাধ্য জাতিকে পথ প্রদর্শন করেন না” (৫;৬৭) সুতরাং, কুরআনের কোন আয়াত কোন বিধান আপনি গোপন করতে পারবেন না। সব বিধান সব হুকুমের কথাই আপনাকে বলতে হবে। আপনি নামাজেরটা বলবেন, পর্দারটা বলবেন না, তা হবে না। আপনি সম্পদ বণ্টনের কথা বলবেন, জিহাদের কথা বলবেন না, তা হবে না। প্রশ্ন হল, এ ব্যাপারে কিসের দাওয়াত সর্বাগ্রে হবে? এ ব্যাপারে আমাদের কাছে ইতিহাস রয়েছে, আমরা প্রত্যেক নবীর জীবনী পড়লেই বুঝতে পারি, তারা কোথায় থেকে শুরু করেছিলেন, কোন লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন, কোথায় শেষ করেছিলেন। একটা ব্যাপার আমাদের কাছে পরিস্কার, তা এই যে, ফেরাউন নমরুদেরা যখন নিজেকে খোদা বলে দাবী করেছিল, তখন তারা কিন্তু নিজেকে চন্দ্র সূর্য নক্ষত্রের মালিক বলে দাবী করেনি, দাবী করেনি যে নদী আর সাগরগুলো তারাই প্রবাহিত করে, পাহারগুলো তারাই দাড় করেছে, বৃষ্টি বর্ষণ করে তারা, বীজ থেকে তারাই উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। বরং, তারা দাবী করেছিল, এই মূলকের তারাই অথরিটি। তারা যা বলবে তাই হবে। এই মূলকের মূলকিইয়াত তথা সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী তারা হবে। আর তখন তাদের জাতির মূর্খ লোকেরা যখন তাদেরকে এই খোদা বলে মেনে নিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, তখন ইব্রাহিম(আ), মুসা(আ) এর মত সত্যপন্থী নির্ভীক লোকেরা এসে ঘোষণা দিল, তোমরা আমাদের রব বা খোদা নও। ফেরাউনরা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল, তোমাদের রব আবার কে, আমি ছাড়া? মুসা(আঃ) উত্তর দিয়েছিলেন, আমার রব তিনিই, যিনি সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করান, আবার পশ্চিম দিকে অস্তনমিত করান। আমি একমাত্র তার কথাই শুনব। তোমার কথা শুনব না। তবে তুমি যদি তাঁর কথা শোন, তবে এই রাজত্বও তোমারি থাকবে আবার আল্লাহপাক তোমাকে জান্নাতেও রাজত্ব দান করবেন। তো প্রাকৃতিক সে বিষয়গুলোতে ফেরাউনের যে কোন হাত নেই, এগুলো যে সেই মহান রাব্বুল আলামিনের হাতেই নিয়ন্ত্রিত হয় একথা তখনকার ফেরাউনও জানত, মক্কার ফেরাউনরাও জানত, বর্তমান ফেরাউনরাও জানে। কিন্তু, খোদা দাবিদার সেইসব ফেরাউনরা চায়, ওঃকেঃ মালিক তো আল্লাহই, কিন্তু, এই জমিনে আমরা আল্লাহর কথামত চলব না। বরং আমরা নিজেরাই আইন তৈরি করব আর এইসব মানুষেরা আল্লাহর পরিবর্তে আমাদের দাস হয়ে থাকবে। আমাদের দেয়া আইন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতেও আমরা দেখতে পাই যে, মক্কার কাফিররাও জানত, আল্লাহই খাওয়ায় আর কেউ খাওয়ায় না। আল্লাহই পরায় আর কেউ পরায় না। কোন কিছুতেই কোন কিছু হয় না, আল্লাহ থেকেই সব কিছু হয়। মাখলুক করে না, খালিকেই করে। সুরা মুমিনুনে আমরা দেখি, আল্লাহপাক বলেন, “বলো, কে সাত আসমানের রব এবং মহা আরশের রব? তারা বলবে, আল্লাহ। বল, তবুও তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না? বল, তিনি কে যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যার ওপর কোন আশ্রয়দাতা নেই? যদি তোমরা জান। তারা বলবে, আল্লাহ। বল, “তবুও কীভাবে তোমরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছ?” (২৩;৮৬-৮৯) এরকম আরও অনেক আয়াত আছে, জুখ্রুফঃ৮৭, ৯, আঙ্কাবুতঃ৬৩, ৬১, মুমিনুনঃ৮৪-৮৫, ইউনুসঃ৩১ ইত্যাদি। এসব আয়াতে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, আমরা যেভাবে আল্লাহ সুবহানাতাআলাকে রিজকদাতা, শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তির মালিক, জীবন মৃত্যুর মালিক বলে মনে করি, তৎকালীন মক্কার কাফিররাও তা বিশ্বাস করত। তা সত্বেও তারা কাফির। এমনকি, মুহাম্মাদ(স) এর পিতার নাম ছিল আবদুল্লাহ। তারা তো আরবি। এমন না বাংলাদেশের মানুষের মত, আবদুল্লাহ নামের মানে জানত না। এমনিতেই মুসলিম নাম বলে নাম রেখে দিত, আবদুল্লাহ। তারা ভাল করেই জানত, আবদুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দা। তারা তো আল্লাহকেও জানত মানত। লাত মানাতদের অনুসারী হয়েও তারা কিন্তু নাম রাখত না আব্দুল লাত, আব্দুল মানাত। আবার, কাবা শরিফ সংস্কারের কাজ করার সময়ও আমরা দেখি, তারা বিশ্বাস করত এই কাজ হারাম টাকা দিয়ে করা যাবে না। তো পুরো সংস্কারের কাজ যখন হালাল টাকা দিয়ে করা যাচ্ছে না, তখন তারা যেটুকু হালাল টাকা দিয়ে করা যায়, সেটুকুই করেছিল, বাকিটুকু আর হারাম টাকা দিয়ে কমপ্লিট করার সাহস পায় নাই। অমনিই রেখে দিয়েছিল। তো তারা তো আল্লাহকে জানতও, ভয়ও করত। কিন্তু তবুও, যেদিন মুহাম্মাদ(স) প্রকাশ্যে সাফা পর্বতের ওপর ঘোষণা দিলেন, অন্য সকল আলেহাদের বর্জন করে একমাত্র আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য, তারা অস্বীকৃতি জানাল। তারা কাফের হয়ে গেল। তারা কিসের প্রতি অস্বীকৃতি জানিয়েছিল? এক আল্লাহর বিধান মানতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তাই তারা কাফির হয়ে গিয়েছিল। আজ যদি কেউ তাবলীগ করতে চায়, আজও তার এই তাবলীগই করার সমুহ সুযোগ রয়েছে। আপনারা আপনাদের চারপাশে তাকালেই এর বাস্তবতা অনুভব করতে পারবেন। আপনি তাবলীগ করতে শুরু করলে, এটি দিয়েই শুরু করতে হবে। অন্য কোন দিক থেকে শুরু করাটা কোন নবীর সুন্নাত ছিল না। আপনি করলে অবশ্যই এটা বিদআত হবে। তিন How এর প্রশ্ন এলে বিষয়টা যদিও একটা বিতর্কের মধ্যে পড়ে যায়, তবুও বলি, আমাদের সামনে কুরআন অবিকৃত এবং রাসুলের(স) কাজের পদ্ধতিও সবিশেষ বিস্তারিত ভাবে বর্তমান। বাংলাদেশের কথাই যদি বলি, এদেশে অনেক মুখলিস ইসলামী দল রয়েছে, যারা একান্ত নিষ্ঠার সাথে তাবলীগ করে যাচ্ছেন। আবার ব্যাক্তিপর্যায়ে এমন অনেক লোক রয়েছেন যারা কোন দলের আমির বা দলের নীতির ওপর বীতস্রদ্ধ হয়ে দলচ্যুত হয়েছেন ঠিকই কিন্তু দাওয়াতি কাজ ছাড়েন নাই। আবার অনেকে কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করে হকে দিশা পেয়েছেন, কিন্তু কোন হকপন্থি দল না পাওয়ায় জামাতের সাথে যুক্ত হন নি, কিন্তু দাওয়াতি কাজ জারি আছে। বিষয় হল, কিভাবে এই দাওয়াতি কাজ চালু রাখতে হবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক বলবার আছে। কিন্তু লেখার আয়তন Already প্রায় বিশাল হয়ে গেছে, তাই একেবারে সংক্ষেপে বলতে গেলে, আমাদেরকে রাসুল(স) এর এবং একমাত্র রাসুল(স) এর কাজের পদ্ধতির Proper Synchronization দরকার। আর তা ঠিকমতো হচ্ছে কি না এই Confirmatory test এর জন্য আপনাকে দৃষ্টি রাখতে হবে, এই দাওয়াতি কাজ করতে গিয়ে রাসুল(স) যেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, আপনি সেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা। আপনার সাথে Existing কুফফার ও তাগুতের সম্পর্কের ধরনটা রাসুল(স) এবং তৎকালীন কাফির ও মুনাফিকদের সম্পর্কের মতই হতে হবে। রাসুল(স) এর দাওয়াতি কাজ ছিল এককথায় বৈপ্লবিক এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে ধাবিত। আর তা হল, আল্লাহর জমিনে সবকিছু আল্লাহর কথামত চলবে, দ্বীন ইসলাম কায়েম হবে, এর চুড়ান্ত বাস্তবায়ন। তাঁর দাওয়াতি কাজের একটা distinct progress তাঁর সিরাত পড়লেই বোঝা যায়। আর তা করতে গিয়ে তিনি কখনও গালিগালাজ, কখনও বয়কট, কখনও জীবননাশের হুমকির মধ্যে পড়েছেন। কিন্তু সত্য প্রচার থেকে এক পা বিচ্যতু হন নি। কখনও কুফফারদের সাথে তাগুতের সাথে আপোষ করেন নি। প্রতিটি নবীর লক্ষ্য ছিল অন্যান্য সকল জীবনব্যবস্থা অন্যান্য সকল দ্বীনকে নির্মূল করে দিয়ে পৃথিবীর বুকে একমাত্র জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা। আর এটাই ছিল আল্লাহর হুকুম। সুরা সফে আল্লাহপাক বলেন, “তিনি তার রাসুলকে একটি স্পষ্ট পথনির্দেশ ও সঠিক জীবনবিধান দিয়ে প্রেরন করেছেন, যেন সে(রাসুল) একে দুনিয়ার(প্রচলিত) সব কয়টি জীবনব্যবস্থার ওপর বিজয়ী করে দিতে পারে, তা মুশরিকদের কাছে যতই অপছন্দনীয় হোক না কেন!”(৬১;৯) সুতরাং, রাসুল(স) এর মত তাবলীগ করতে হলে সেই তাবলীগকে অবশ্যই অন্যান্য সকল ধর্মের ও মতবাদের গাত্রদাহের কারন হতে হবে। যদি তা না হয়, তবে সেটা নিশ্চয়ই তাবলীগ নয়। আবার এই তাবলীগ করতে গিয়ে অনেকে হিকমাহর নামে অন্যান্য দ্বীনের সাথে এমনভাবে মিশে যায়, যে তারা একেবারে কুফফারদের জীবনব্যাবস্থা গণতন্ত্রকে গ্রহন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এখানে আরেকটি কথা প্রণিধানযোগ্য যে, ইসলামের ইতিহাসের এক চরম ক্রান্তিলগ্নে আমরা এসে পৌঁছেছি। কিতাবুল ফিতানের হাদিস তথা রাসুল(স) এর ভবিষ্যতবাণী অনুযায়ী এক অবশ্যম্ভাবী ধ্বংসাত্মক যুগে বসবাস করছি আমরা। এগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে, এর জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আপনার আশেপাশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা আজ প্রতিটি শিক্ষিত মানুষের জন্য ফরয হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন, তাবলীগ করি। মানুষকে ভালবাসি। তাদের ভালর জন্যই আপনাকে কখনও কোমল কখনও কঠোর হতে হবে। চিন্তা করুন, আপনার বাবা যখন আপনাকে ছোটবেলায় কখনও আদর আবার কখনও শাসন করতেন। কেন? আপনার ভালর জন্যই তো, নাকি? তবে, আজ যখন এই উম্মাহ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে, তখন আপনি কি করে তাদের ভাল না চেয়ে পারেন? রাসুল(স) বলতেন, এই উম্মাহ একটি Bodyর মত। এর এক অংশ ব্যাথা পেলে, আরেক অংশে সে ব্যাথা অনুভুত হবে। এই উম্মাহ হাতের একটি মুষ্টির মত, এর এক অংশ আরেক অংশকে দৃঢ় করবে। আর আজ আমরা অনুভূতিহীন, একে অপরের সাথে সম্পর্কহীন এক বিচ্ছিন্ন জাতিতে পরিনত হয়েছি। সমুদ্রের ভাসমান ফেনার মত সামুদ্রিক স্রোত আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে, সামনেই সেই ভয়ঙ্কর জলপ্রপাত যেখানে আমাদের ধ্বংস। এখনি সময়, আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধারন করে পৃথিবীতে আল্লাহর ক্ষমতাকে অন্যান্য সকল ক্ষমতার ওপর বিজয়ী ঘোষণা করার। নারায়ে তাকবির! আল্লাহু আকবর!Quran and Sirat distribution on Diamond Jubilee – 2017 of RBR
-
হাদীস বিষয়ক কিছু পরিভাষার সরল সংজ্ঞাহাদীস বিষয়ক কিছু পরিভাষা যা আমাদের জানা থাকা জরুরী হাদীসের ব্যাবহারিক সংজ্ঞাঃ হাদীস বলতে সাধারনতঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা, কর্ম বা অনুমোদনকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ, ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞানের আলোকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যা বলেছেন, করেছেন বা অনুমোদন করেছেন তাকে হাদীস বলা হয়। এব…quraneralo.com
- May 7
-
✗✗ ” বিদআত” চুন্নতৰ হত্যাকাৰী ! ✗✗ কোনো এজন ব্যক্তিক হত্যা কৰাৰ পাছত পৃথিৱীত যিদৰে সেই ব্যক্তিগৰাকীৰ অস্তিত্ব নাথাকে , ঠিক তেনেদৰেই আমাৰ আমলত যি পৰিমাণৰ বিদআত সংযোজন হয়, আল্লাহে সিমান পৰিমাণৰ চুন্নত আমাৰ মাজত অস্তিত্ব নোহোৱা কৰি দিয়ে । উদাহৰণ স্বৰূপে পৰিপূৰ্ণ ইছলামক যদি আমি এগিলাচ ভৰ্ত্তি পানীৰ লগত তুলনা কৰো আৰু সেই পানীপূৰ্ণ গিলাচটিত এটা শিলগুটি ভৰাই দিওঁ , তেন্তে আমি দেখিবলৈ পাম যে গিলাচটোৰ ভিতৰত শিলটোৱে পানীৰ অৱস্থান দখল কৰিছে ! এই পৰিঘটনা লক্ষ্য কৰিলে অতি সহজতেই আমি দেখিবলৈ পাম যে পৰিপূৰ্ণ পানীগিলাছত শিলটোৱে যি আয়তন অধিকাৰ কৰিছে, সেই পৰিমাণৰ পানী গিলাছটোৰ বাহিৰলৈ ওলাই পৰিছে । ঠিক তেনেদৰেই পৰিপূৰ্ণ ইছলামত যি পৰিমাণৰ বিদআতৰ আগমন হয়, ঠিক একেপৰিমানৰ চুন্নত উক্ত স্হানত নোহোৱা হৈ যায় । ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে , “কোনো জাতিয়ে যেতিয়া শ্বৰীয়তত যি পৰিমাণৰ নতুন আমলৰ প্ৰচলন কৰে,আল্লাহে সেই স্থানৰ পৰা উক্ত পৰিমাণৰ চুন্নত চিৰদিনৰ বাবে উঠাই নিয়ে (দাড়ীমি ,হাঃ/৯৮) । বিদআত চিনাক্তকৰণ কৰাটো বা বিদআত মানেনু কি বুজি পোৱাটো ভাতৰ লগত পানী খোৱাতকৈও সহজ কাম ! কিন্তু দূৰ্ভাগ্য ,আমি বুজিবলৈ চেষ্টা নকৰাৰ বাবেই ই হৈ পৰিছে আমাৰ বাবে এক নুবুজা সাঁথৰ ! অতি ৰহস্যজনক ভাবে আমাৰ আলীম উলেমা সকলে এই বিদআত কাক কয় সেই বিষয়ে কেতিয়াও সাধাৰণ মানুহক বুজাই দিয়া আপুনি দেখিবলৈ নাপায়, যিহেতু নিজেই তেওঁলোকৰ গৰিষ্ঠ সংখ্যক আজি এই নিকৃষ্ট কৰ্মত লুতুৰি পুতুৰি ! সাৱধান !! আল্লাহে কৈছে , বিদআতীৰ কোনো আমলেই কবুল নহয় আৰু ঠিকনা স্পষ্ট জাহান্নাম । কিয়নো বিদআত কৰা মানে আল্লাহৰ ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ ৰাছূলত্তক অপৰিপক্ক বুলি প্ৰমাণ কৰিবলৈ কৰা চেষ্টা ! তেখেতে দি যোৱা ইছলাম যঠেষ্ট নহয় বুলি বিবেচনা কৰি আমি দ্বীনত নতুন আমল সংযোজন কৰা ( নাউজুবিল্লাহ )। গতিকে কি যুক্তিৰে এনে ইবাদত কৰি আমি জান্নাত আশা কৰিম ?? So, plz plz dont take it so sportingly….undoubtly it will throw us to hellfire…… আমি কৰা প্ৰত্যেকটো আমল নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ও চাহাবায়ে কেৰাম সকলে কৰিছিল বুলি যদি চহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্ৰমাণিত হয়, তেনে সেই আমলক কোৱা হব চুন্নত । ইয়াৰ বিপৰীতে আমি কৰা যি কোনো আমলেই যদি চহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্ৰমাণিত নহয় তেন্তে আল্লাহৰ দৃষ্টিত তেনে আমলেই হব বিদআত , লাগিলে পৃথিৱীৰ যিমান ডাঙৰ আলীমেই সেই আমল কৰিবলৈ শিক্ষা নিদিয়ক কিয়, জাহান্নামৰ পৰা সেই ইমামৰ আমাক বচোৱাৰ তিলমানো অধিকাৰ নাই । সেয়েহে আহকচোন আমাৰ দুই এটা গতানুগতিক আমলেৰে আমি নিজকে পৰীক্ষা কৰি চাওঁ যে আমি প্ৰকৃততে চুন্নতকাৰী নে চুন্নতৰ হত্যাকাৰী ???? ১] নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কেৱল “বিছমিল্লাহ” বুলি কৈ অজু আৰম্ভ কৰিছিল( চহীহ তিৰমিযি,হাঃ/২৫,১/১৩ পৃষ্ঠা , চহীহ ইবনু মাজাহ,হাঃ৩৯৭,পৃঃ৩২,মিশকাত, হাঃ৪০২,পৃঃ৪৬) । আমি অজুৰ বিশেষ নিয়ত ” বিছমিল্লাহিল আলিওল আজিম………. পঢ়ি আজু আৰম্ভ কৰিছো ! গতিকে আপুনি কি কৰিলে, বিদআত নে চুন্নত ?? ২] কিবলাৰ মুখে ঠিয় হৈ অন্তৰেৰে চালাতৰ নিয়তৰ সংকল্প কৰি তাকবীৰে তাহৰীমা কৈ নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে চালাত আৰম্ভ কৰিছিল ( চহীহ বুখাৰী, হাঃ/৬৯৪)। আমি কিবলা মূখে ঠিয় হৈ প্ৰথমে জায়নামাজ পাকৰ দো’আ ” ইন্নিৱাজ জাহাতু…………”, তাৰ পাছত চালাতৰ শাব্দিক নিয়ত “নাৱাইতুৱান ওচল্লীয়া………” পঢ়ি তাকবীৰে তাহৰীমা কৈ চালাত আৰম্ভ কৰিলো । গতিকে আপুনি কি কৰিলে, বিদআত নে চুন্নত ??? ৩] চালাত শেষ কৰি নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ও সহযোগী মুছল্লীসকলে বিভিন্ন কিছু নিদিষ্ট তছবীহ লোৱাৰ বিষয়ে হাদীছ স্পষ্ট ( চহীহ বুখাৰী,হাঃ/৪০১,৬৬১,৮৪৭,৯৭৬)। ফৰজ চালাতৰ পাছত ইমামৰ নেতৃত্বত কোনো ধৰণৰ সমূহীয়া মোনাজাতৰ দলীল নাই । আমাৰ মছজিত সমূহত ফৰজ চালাতৰ পাছত ইমামৰ নেতৃত্বত সমূহীয়া মোনাজাত এক অপৰিহাৰ্য্য আমল !! গতিকে আমি কি কৰিছো চুন্নত নে বিদআত ?? ৪] দ্বীনে ইছলামত “শ্ববে বৰাত” নামৰ কোনো আমলৰ বিষয়ে কোৰআন হাদীছত উল্লেখ নাই । কিন্তু নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ মিৰাজ ভ্ৰমনৰ নাম লৈ এক বিশেষ দিনত “শ্ববে বেৰাত” ৰ নামত নফল চালাত, চিয়াম, হালুৱা ৰুতিৰে এক নতুন ইবাদত আমল কৰি আহিছো !! গতিকে আমি কি কৰিছো, চুন্নত নে বিদআত ?? ৫] নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ জন্ম ও মৃত্যু দিৱস পালন কৰাৰ ইছলামীয় শ্বৰীয়তত কোনো নজিৰ নাই !! কিন্তু আমি এই বিশেষ দিনটোত “ঈদে মিলাদুন নবী” নামৰ উখল মাখল দিৱস পালনত ব্যস্ত হৈছো !! সেয়েহে আমি কি কৰিছো, চুন্নত নে বিদআত ?? এনে ধৰণৰ লিখি অন্ত পেলাব নোৱাৰা সীমাহীন বিদআতেৰে আজিৰ মুচলীম সমাজ জৰ্জৰিত ! মুখেৰে বহুতো নবী প্ৰেমৰ কথা কৈ কাৰ্য্যতঃ কিন্তু আমি প্ৰায় সকলোৱেই একো একোজন নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ প্ৰতিষ্ঠিত চুন্নতৰ নিৰ্লজ হত্যাকাৰী !! কঠোৰ লিখনীক আবেগভৰা চন্দেৰে গালি পাৰি মন্তব্য কৰাতকৈ আমি কৰা আমল হাদীছ সমৰ্থিত হয় নে নহয়, সেই দিশটোলৈহে দৃষ্টি নিক্ষেপ কৰক, ইন শ্বা আল্লাহ লাভাম্বিত হব ! পাহৰি নাযাব , ইছলাম আবেগেৰে পৰিচালিত নহয় ! দলীলৰ দ্বাৰাহে ইছলাম সুপ্ৰতিষ্ঠিত, সুপ্ৰমাণিত………..Muktabul Hussain
- May 7
-
Attachment UnavailableThis attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
- May 8
-
প্রশ্ন : মহিলারা কি মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে? উত্তর : পবিত্র আল কোরআনে এমন কোনো আয়াত নেই, যেটা মহিলাদের মসজিদে সালাত আদায়কে নিষেধ করেছে, এ ছাড়াও এমন কোনো সহীহ্ হাদীস ও নেই, যেখানে বলা হচ্ছে যে মহিলারা মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবেনা বা মসজিদে যেতে পারবেনা। সত্যি বলতে এমন অনেক সহীহ্ হাদীস আছে যেগুলো উল্টোটা বলছে। সহীহ্ বুখারীর 1নং খন্ড অধ্যায় 84 হাদীস 832 ( যখন তোমাদের স্ত্রীগণ তারা মসজিদে যেতে চাই তাদেরকে বাঁধা দিওনা) আরো রয়েছে সহীহ্ বুখারীর 1 নং খন্ড অধ্যায় 80 হাদীস 824 ( যখন মহিলারা রাতের বেলায় মসজিদে যেতে চাইবে যেতে দাও,) একি কথা সহীহ্ মুসলিমের 1নং খন্ড অধ্যায় 175 হাদীস 881 ( আবু হুরায়রা (রা:) তিনি বলেছেন পুরুষের জন্য শ্রেষ্ঠ সারি হলো প্রথম সারি, সব চেয়ে খারাপ সারি হলো শেষের সারি। আর মহিলাদের জন্য শ্রেষ্ঠ সারি হলো শেষের সারি আর সবচেয়ে খারাপ সারি হলো সামনের সারি) এতে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝা গেলো পুরুষ ও মহিলারা একসাথে মসজিদে সালাত আদায় করতো, এমন আরো হাদীস রয়েছে যেমন সহীহ্ মুসলিমের 1নং খন্ড অধ্যায় 177 হাদীস 884 ( তোমরা মসজিদে যেতে আল্লাহর কোনো গোলাম কে বাঁধা দিওনা) অত্র অধ্যায়ের 891নং হাদীসে বলা হয়েছে ( তোমরা মসজিদের ভেতরে মহিলাদের জায়গাটা কেড়ে নিওনা) তার মানে আমাদের নবীজির সময়ে মহিলারা মসজিদে যেতেন, আর নবীজি কখনোই মসজিদে ঢুকতে বাঁধা দেননি। তবে বর্তমানে আমাদের দেশে বেদাতী হুজুরদের কাছে প্রশ্ন. করে দেখুন, তারা বলবেন আস্তাগফিরুল্লাহ আপনি কি বলছেন, আজব কথা এগুলো আমাদের বাপের বয়সেও শুনিনি!Anwar Bin Mozammal
- May 8
-
দুআ-মুনাজাতে নবী রাসূলের অসীলা দেয়া : একটি পর্যালোচনা বিভিন্ন দুআ মুনাজাতের সময় দেখা যায়, ইমাম সাহেব বা আলেম সাহেব দুআ-মুনাজাতের মধ্যে বলছেন, ‘হে আল্লাহ! মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তোফায়েলে আমাদের দুআ কবুল করুন।’ অনেকে বলে থাকেন, ‘হে আল্লাহ আপনার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসীলায় আমাদের দুআ কবুল করুন।’ একটি মসজিদে মাঝে মধ্যে জুমুআর সালাত আদায় করতাম। দেখতাম, ইমাম সাহেব দ্বিতীয় খুতবায় দুআ করার সময় বলছেন: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা আপনার বরকতময় নবীর অসীলা নিচ্ছি.. । একটি দুআ অনুষ্ঠানে শুনলাম, দুআকারী আলেম সাহেব বলছেন : ‘হে আমার মাবুদ! নেককারদের মহান নেতার মর্যাদায় সকল মুশকিল আসান করে দিন।’ হজের সফরে বিমানে এক ব্যক্তিকে দেখলাম, আমার পাশে বসে দুআ করছে, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার রওজা যিয়ারত করার জন্য হজে রওয়ানা দিলাম। আপনি আল্লাহর কাছে শাফায়াত করে আমার হজ কবুল করিয়ে দিন।’ অনেক দিন পূর্বে একটি জিকিরের জলছায় বসেছিলাম। দেখলাম, জলছার পরিচালক বলছেন, ‘সকলে বলুন, আমার কলব অমুকের কলবের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ আছে। তার কলব দাদাপীর অমুকের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ আছে। তার কলব অমুকের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ আছে … । তার কলব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ আছে, হে মাবূদ তার অসীলায় আমাদের তওবা কবুল করুন …।’ সুবহানাল্লাহ! তারা যা বলছে, মহান আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মুক্ত। এগুলো সবই হল অসীলা। অবশ্যই ভ্রান্ত অসীলা। নিশ্চয় এগুলো বিদআতী অসীলা। সন্দেহ নেই- এগুলো শিরকী অসীলা। এ সকল অসীলার স্বপক্ষে আল্লাহ তাআলা কোন প্রমাণ নাযিল করেননি। তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সকল অসীলার কথা বলে যাননি। মুমিনের জীবনে ঈমান আর ইসলাম হল সবচে বড় সম্পদ। সর্বশ্রেষ্ঠ মূলধন। এ সম্পদটিকে সর্বদা ভেজাল মুক্ত রাখতে হবে। নিখুঁত রাখতে হবে তা আল্লাহ তাআলার জন্য । ঈমান যদি কোন কিছুর মাধ্যমে ভেজাল বা কলুষিত হয়ে যায়, তাহলে মুমিনের জীবনে দুনিয়া আখেরাত সবই বরবাদ হয়ে যাবে। দুনিয়া বরবাদ হবে, কারণ সে ইসলাম মান্য করায় কাফেরদের মত দুনিয়ার মজা ভোগ করতে পারেনি। তাদের মত অবাধে চলাফেরা ও বাধাহীন জীবন উপভোগ করতে পারেনি। আবার ঈমান ও ইসলামকে নির্ভেজাল না করার কারণে সব নেক আমল বরবাদ হয়ে গেছে, ফলে আখেরাতে কিছুই পাবে না। তাই নিজের আসল সম্পদ ঈমানকে খালেস ও নির্ভেজাল করতে হবে। আল্লাহ তাআলা ঈমানকে নির্ভেজাল করার কথা বলেছেন আল কুরআনে। ইরশাদ হচ্ছে : যারা ঈমান এনেছে এবং নিজ ঈমানকে জুলুমের সাথে সংমিশ্রণ করেনি, তাদের জন্যই নিরাপত্তা আর তারাই সুপথপ্রাপ্ত। (সূরা আনআম : ৮২) এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হল, ঈমান গ্রহণ করলেই মুক্তি পাওয়া যাবে না। ঈমানকে সকল প্রকার শিরক থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ আয়াতে জুলুম বলতে শিরককে বুঝানো হয়েছে। ঈমানদারকে সর্ব প্রকার শিরক থেকে মুক্ত থাকতে হবে। • প্রশ্ন হতে পারে, শিরক আর ঈমান কি একত্র হতে পারে? যে শিরক করে তাকে কি আবার মুমিন বলা যায়? হ্যাঁ, বলা যায়। আর সে হল ভেজাল মুমিন। দেখুন আল্লাহ তাআলা বলেছেন : তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে, তবে শিরক করা অবস্থায়। (সূরা ইউসূফ : ১০৬) এ সকল মানুষেরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে বটে, কিন্তু সাথে সাথে তার সাথে শরীক স্থির করেছে। আরো উদাহরণ দেখুন। কিভাবে তারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখত কিন্তু সাথে সাথে শিরক করত। আল্লাহ তাআলা বলেন : আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, ‘কে আকাশমন্ডলী আর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং চন্দ্র সূর্যকে নিয়োজিত করেছেন?’ তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। তাহলে কোথায় তাদের ফিরানো হচ্ছে? (সূরা আনকাবুত : ৬১) দেখুন, এতগুলো বিষয়ে আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখার পরও তাদের ঈমান গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ, তারা শিরক করত। আল্লাহ তাআলা আরো বলেন: আর তুমি যদি তাদের প্রশ্ন কর, কে আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতপর তা দিয়ে মৃত্যুর পর যমীনকে জীবন দান করেন? তাহলে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। (সূরা আনকাবুত : ৬৩) এমনিভাবে তারা আল্লাহ তাআলার সকল কর্তৃত্ব স্বীকার করে ঈমান আনার পর শিরক করেছে। ফলে তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। সব আমল ব্যর্থ হয়ে গেছে। • আমরা অনেকেই মনে মনে ভাবি যে, আল্লাহ তাআলার প্রতি আমার বিশ্বাস অনেক মজবুত। তাই আমি যদি কবরে যেয়ে দুআ করি, মাজারে মানত করি। আর মাঝে মধ্যে একটু আধতু অসীলা দিয়ে দুআ করি, তাতে আমার ঈমানের কি এমন ক্ষতি হবে? এমন ভাবনার মানুষের জন্য এ আয়াতসমূহে শিক্ষা গ্রহণের বিষয় আছে। আছে চিন্তার বিষয়। আল্লাহ আমাদের সকলকে হিদায়াত দান করুন। শিরক ঈমানকে নষ্ট করে দেয়। সকল ভাল কাজ ও নেক আমলকে বরবাদ করে দেয়। শিরক এমন মারাত্নক বিষয় যা নবীওয়ালা ঈমানেকও শেষ করে দেয়। দেখুন আল্লাহ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সম্বোধন করে বলছেন : আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে অহী পাঠানো হয়েছে যে, যদি তুমিও শিরক করো, তাহলে অবশ্যই তোমার আমল ব্যর্থ হয়ে যাবে। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা যুমার : ৬৫) শিরক নবী রাসূলদের মজবুত ঈমান-আমলকেও নষ্ট করে দিত, যদি তারা তাতে জাড়াতেন। তাই সকল মুমিন-মুসলমানের উচিত হল সদা-সর্বদা শিরক থেকে সচেতন থাকা। যে সব বিষয়াদি শিরকের পথে নিয়ে যায় তা থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে নিজের ঈমানকে হিফাজত করা আর আমলকে কার্যকর রাখা। যে সকল বিষয় মানুষকে শিরকের দিকে নিয়ে যায় তার একটি হল অসীলা গ্রহণ। দুআ-মুনাজাতে অসীলা গ্রহণ, আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের জন্য অসীলা গ্রহণ, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অসীলা গ্রহণ ইত্যাদি সকল অসীলাই শিরক। তবে যে অসীলাসমূহ শরীয়ত অনুমোদিত তা শিরক নয়। এই অসীলার পথ দিয়েই অনেক মানুষ মারাত্মক শিরকের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এই অসীলার ধারণা থেকেই বহু মানুষ মূর্তি পূজা ও পৌত্তলিকতায় লিপ্ত হয়েছে। তারা অনেকে বিশ্বের সকল কর্তৃত্ব আল্লাহ তাআলার বলে বিশ্বাস করত। কিন্তু মূর্তি ও বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করত এ বিশ্বাসে যে, এগুলো তাদেরকে আল্লাহ তাআলার কাছে পৌছে দেয়ার মাধ্যম। এ ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা ইবাদত তো কেবল আল্লাহর জন্যই করি। আর ঐ সকল মূর্তি ও দেব-দেবী অসীলা মাত্র। দেখুন তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন : আর যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যদের অলী হিসাবে গ্রহণ করে তারা বলে, আমরা তাদের ইবাদত করি না তবে এ জন্য যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে। (সূরা যুমার : ৩) দেখুন, তাদের বক্তব্যই প্রমাণ, তাদের ইবাদত-বন্দগীর মূল লক্ষ্য ছিল কিন্তু আল্লাহ তাআলা। তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্যই তো তারা এগুলোকে অসীলা হিসাবে গ্রহণ করেছে। এগুলোর সামনে মাথা নত করে প্রণাম করেছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেননি। কাজটাকে আল্লাহ তাআলা, তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যকে গ্রহণ বলে অভিহিত করেছেন। অসীলা গ্রহণের ফলে তাদের ইবাদত-বন্দেগী ভেজালে কলুষিত হয়ে গেছে। তবে দুআ মুনাজাতে সব ধরনের অসীলা কিন্তু নিষিদ্ধ নয়। কিছু অসীলা আছে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ দ্বারা অনুমোদিত ও প্রমাণিত। এগুলো শিরক নয়। আর যে সকল অসীলা কুরআন বা সহীহ হাদীস দ্বারা অনুমোদিত নয় তা পরিত্যাগ করতে হবে। এখানে আমরা শরীয়ত অনুমোদিত অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহ সমর্থিত অসীলাগুলোর কথা আলোচনা করব। • দুআ-মুনাজাতে শরীয়ত অনুমোদিত অসীলা হল তিন প্রকার : এক : আল্লাহ তাআলার সুন্দর নামসমূহ ও তাঁর গুণাবলীর মাধ্যমে দুআ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন : আল্লাহর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। অতএব তোমরা সে সব নামের মাধ্যমে তাঁর কাছে দুআ কর। (সূরা আরাফ : ১৮০) যেমন আমরা বলি ইয়া রাহমান! আমার উপর রহম করুন। ইয়া রাযযাক! আমাকে রিযক দান করুন ইত্যাদি। এভাবে আল্লাহ তাআলার নামের অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করা যায়। এটা দুআ-মুনাজাতের একটি উত্তম পদ্ধতিও বটে। বড় কথা হল, আল্লাহ আমাদের-কে তাঁর নামের অসীলা নিয়ে দুআ-প্রার্থনা করতে আদেশ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার নামের অসীলা দিয়ে দুআ করতেন। হাদীসে এসেছে – আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দু:শ্চিন্তাগ্রস্ত হতেন তখন বলতেন : হে চিরঞ্জীব, চিরন্তন সত্ত্বা! আপনার রহমতের অসীলায় আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি। (বর্ণনায় : তিরমিজী) এ হাদীসে আমরা দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার দু’টো নাম ও তাঁর রহমত নামক গুণের অসীলায় দুআ করলেন। আবার ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যূমু বলে তার মহান দুটো নামের অসীলা নিয়েছেন। আল্লাহ তাআলার সুন্দর নাম ও গুণাবলীর অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করার দৃষ্টান্ত সহীহ হাদীসে অসংখ্য রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার সুন্দর নাম ও গুণাবলীর অসীলায় দুআ করার জন্য উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। দুই. নিজের সুন্দর ও ভাল কোন নেক আমলের অসীলা দিয়ে দুআ করা: যেমন বুখারী ও মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসের গ্রন্থে এসেছে : আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্বের যুগে তিন ব্যক্তির একটি দল কোথাও যাত্রা করেছিল, যাত্রাপথে রাত যাপনের জন্য একটি গুহাতে তারা আগমন করে এবং তাতে প্রবেশ করে। আকস্মাৎ পাহাড় থেকে একটি পাথর খসে পড়ে এবং তাদের উপর গুহামুখ বন্ধ করে দেয়। এমন অসহায় অবস্থায় তারা বলাবলি করছিল, ’তোমাদেরকে এ পাথর হতে মুক্ত করতে পারবে এমন কিছুই হয়ত নেই। তবে যদি তোমরা নিজ নিজ নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া কর তাহলে হয়ত নাজাত পেতে পার।’ তাদের একজন বলল : হে আল্লাহ ! আমার বয়োবৃদ্ধ পিতা-মাতা ছিলেন, আমি তাদেরকে দেওয়ার পূর্বে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য স্ত্রী-সন্তান ও গোলাম-পরিচারকদের কাউকে রাতের খাবার-দুগ্ধ পেশ করতাম না। একদিনের ঘটনা : ঘাসাচ্ছাদিত চারণভূমির অনুসন্ধানে বের হয়ে বহু দূরে চলে গেলাম। আমার ফেরার পূর্বেই তারা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আমি তাদের জন্য রাতের খাবার দুগ্ধ দোহন করলাম। কিন্তু দেখতে পেলাম তারা ঘুমাচ্ছেন। তাদের আগে পরিবারের কাউকে- স্ত্রী-সন্তান বা মালিকানাধীন গোলাম-পরিচারকদের দুধ দেয়াকে অপছন্দ করলাম। আমি পেয়ালা হাতে তাদের জাগ্রত হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম, এতেই সকাল হয়ে গেল। অতঃপর তারা জাগ্রত হলেন এবং তাদের রাতের খাবার-দুধ পান করলেন। হে আল্লাহ ! আমি এ খেদমত যদি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে এ পাথরের মুসিবত হতে আমাদের মুক্তি দিন। তার এই দোয়ার ফলে পাথর সামান্য সরে গেল, কিন্তু তাদের বের হওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অপর ব্যক্তি বলল : হে আল্লাহ ! আমার একজন চাচাতো বোন ছিল, সে ছিল আমার নিকট সকল মানুষের চেয়ে প্রিয়। আমি তাকে পাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম। সে আমাকে প্রত্যাখ্যান করল এবং আমার থেকে দূরে সরে থাকল। পরে কোন এক সময় দুর্ভিক্ষ তাড়িত ও অভাবগ্রস্ত হয়ে আমার কাছে ঋণের জন্য আসে, আমি তাকে একশত বিশ দিরহাম দিই, এ শর্তে যে, আমার এবং তার মাঝখানের বাধা দূর করে দেবে। সে তাতে রাজি হল। আমি যখন তার উপর সক্ষম হলাম, সে বলল : অবৈধ ভাবে সতীচ্ছেদ করার অনুমতি দিচ্ছি না, তবে বৈধভাবে হলে ভিন্ন কথা। আমি তার কাছ থেকে ফিরে আসলাম। অথচ তখনও সে আমার নিকট সবার চেয়ে প্রিয় ছিল। যে স্বর্ণ-মুদ্রা আমি তাকে দিয়েছিলাম, তা পরিত্যাগ করলাম। হে আল্লাহ ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে আমরা যে বিপদে আছি, তা হতে মুক্তি দাও। পাথর সরে গেল, তবে এখনও তাদের বের হওয়ার জন্য তা যথেষ্ট হল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ ! আমি কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করেছিলাম, অতঃপর তাদের পাওনা তাদের দিয়ে দেই। তবে এক ব্যক্তি ব্যতীত, সে নিজের মজুরি রেখে চলে যায়। আমি তার মজুরি বার বার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছি। যার ফলে সম্পদ অনেক বৃদ্ধি পায়। অনেক দিন পরে সে আমার কাছে এসে বলে, ‘হে আল্লাহর বান্দা! আমার মজুরি পরিশোধ কর।’ আমি তাকে বললাম, ‘তুমি যা কিছু দেখছ, উট-গরু-বকরি-গোলাম, সব তোমার মজুরি।’ সে বলল : হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার সাথে উপহাস করো না। আমি বললাম, ‘উপহাস করছি না।’ অতঃপর সে সবগুলো গ্রহণ করল এবং তা হাঁকিয়ে নিয়ে গেল। কিছুই রেখে যায়নি। হে আল্লাহ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে আমরা যে বিপদে আছি তা হতে মুক্তি দাও। পাথর সরে গেল। তারা সকলে নিরাপদে হেঁটে বের হয়ে আসল। (বর্ণনায় : সহীহ বুখারী ও মুসলিম) এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম, নিজের সৎকর্মসমূহের মধ্যে যে কাজটি সুন্দর ও নির্ভেজাল আল্লাহ তাআলার জন্য নিবেদিত তার অসীলায় দুআ করা হয়েছে। ও দুআ কবুল হয়েছে। তাই নিজের নেক আমলের অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করা জায়েয। তিন : জীবিত নেককার লোকদের কাছে যেয়ে দুআ-মুনাজাতে তাদের অসীলা করা যেমন কোন ব্যক্তি একজন আল্লাহভীরু-পরহেযগার মানুষের কাছে যেয়ে বলল, জনাব আমি নতুন ব্যবসা শুরু করেছি। আপনি একটু দুআ করুন, আমি যেন ব্যবসায় সফল হতে পারি। এ কাজটিও একটি অসীলা। আমরা অনেকেই মুত্তাকী ও নেককার মানুষ দেখলে তাদের কাছে অনুরূপভাবে উস্তাজ, মুরব্বীদের কাছে দুআ চেয়ে থাকি। এটা না জায়েয নয়। বরং এটি শরীয়ত অনুমোদিত একটি অসীলা। সহীহ হাদীস দ্বারা এ ধরনের অসীলা গ্রহণের বৈধতা প্রমাণিত। যেমন – সাহাবী আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে মানুষ অনাবৃষ্টির শিকার হল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জুমআয় খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন জনৈক বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলল,’ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর পরিজন উপোস থাকছে। আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করুন।’ তখন তিনি হাত তুলে দুআ করলেন। আকাশে আমরা কোন মেঘ দেখতে পাচ্ছিলাম না। যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ! তাঁর হাত নামানোর আগেই পর্বতের মত মেঘ আকাশ ছেয়ে গেল। এরপর তিনি মিম্বর থেকে নামার আগেই আমরা দেখলাম তার দাড়ি বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। সেদিন তার পরের দিন, তারও পরেরদিন বৃষ্টি হল এমনকি পরবর্তী জুমআর দিনও বৃষ্টি হতে থাকল। আবার সেই বেদুঈন দাঁড়াল অথবা অন্য কেউ। বলল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর মাল-সামান ডুবে যাচ্ছে। আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করুন।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত দুটো উত্তোলন করে বললেন: ‘ হে আল্লাহ! আমাদের পক্ষে করে দিন, আমাদের বিপক্ষে নয়।’ তাঁর হাত দিয়ে মেঘের দিকে ইশারা করা মাত্র মেঘ কেটে গেল। (বর্ণনায় : বুখারী, হাদীস নং ৯৩৩) এ হাদীস থেকে আমরা জানলাম, এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দুআ করতে বলেছেন। এটা হল দুআ করার ক্ষেত্রে অসীলা গ্রহণ। এভাবে আমরা নেককার লোকদের কাছে দুআ চাই। দুআ-মুনাজাতে অসীলা দেয়া কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ? শরীয়ত সম্মত অসীলা তিন প্রকার। আল্লাহর নাম ও গুণাবলী। নিজের নেক আমল ও জীবিত নেককার মুত্তাকী মানুষের দুআ। আল্লাহ তাআলার নাম ও গুণাবলী দিয়ে নফল দুআ-মুনাজাতে অসীলা দেয়া সুন্নাত। কারণ আল্লাহ তাআলাও আদেশ দিয়েছেন আর তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আমল করেছেন। নফল বললাম এ জন্য যে, অনেক বিধিবদ্ধ দুআ-প্রার্থনায় আমরা নিয়ম মাফিক আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন নামের অসীলা নিয়ে থাকি। যেমন সূরা ফাতেহাতে আমরা তার কয়েকটি নাম উল্লেখ করে দুআ করি ; ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকার অসীলা দিয়ে দুআ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে মাত্র। কেউ যদি জীবনে একবারও আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলি ব্যতীত অন্য কোন অসীলা দিয়ে দুআ না করে তাহলে তার কোন পাপ হবে না। তার ঈমান ইসলাম অপূর্ণ থাকবে না। তার তাকওয়া পরহেযগারীর কোন ক্ষতি হবে না। যখন শরীয়ত অনুমোদিত অসীলা গ্রহণের হুকুম হল এ রকম তখন যে সকল অসীলা নেয়ার সমর্থনে শরীয়তে কোন প্রমাণ নেই সে সকল অসীলা নেয়ার মর্যাদা কী হতে পারে? কতটুকু প্রয়োজন ও গুরুত্ব রাখে এ সকল অসীলা? যারা বিভিন্ন কথা-বার্তায় ইনিয়ে বিনিয়ে, এখান-সেখান থেকে বিভিন্ন বাজে প্রমাণাদি, দুর্বল কথা-বার্তা দিয়ে ঐ সকল অসীলা প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাদের তাকওয়া-পরহেযগারী, দীনি সচেতনতা আর আওলাবিয়্যাত বা অগ্রাধিকার নীতিজ্ঞান কতটুকু আছে আমরা তা ভেবে দেখতে পারি। দুআ কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার নাম ও গুণাবলী ব্যতীত অন্য কিছুর অসীলা দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন : আর যখন আমার বান্দারা তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি প্রার্থনাকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৬) যখন আল্লাহ তাআলা বান্দার নিকটবর্তী তখন তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্য ভিন্ন কোন অসীলা বা মাধ্যম গ্রহণ করার কোন প্রয়োজন নেই, তখন মানুষ সরাসরি আল্লাহ তাআলার কাছে তার সকল প্রার্থনা নিবেদন করবে কোন মাধ্যম বা অসীলা ব্যতীত। এটাই ইসলামের একটি বৈশিষ্ট্য ও মহান শিক্ষা। আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ-প্রার্থনায় কোন অনুনোমোদিত মাধ্যম গ্রহণ করার দরকার নেই মোটেই। বরং অসীলার ধারণাগুলো মানুষকে শিরক বিদআতের দিকেই নিয়ে যায়। দুআ-প্রার্থনায় মাধ্যম বা অসীলা গ্রহণ একটি বিজাতীয় বিষয়। হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের লোকেরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে মূর্তি, পাদ্রী ও ধর্ম যাজকদের মাধ্যম বা অসীলা হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। এ দিকের বিবেচনায় এটি একটি কুফরী সংস্কৃতি। যা কোন মুসলমান অনুসরণ করতে পারে না। তারা অসীলার ভাবনা থেকেই পৌত্তলিকতার প্রবর্তন করেছে। নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম, মর্তবা, সম্মান-মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কোন প্রমাণ নাযিল করেননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তার নাম, মর্যাদা, সম্মান দিয়ে দুআ করতে বলেননি। অপরদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর কোন সাহাবী বা তাবেয়ীন তার নাম, মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমাদের চেয়ে অনেক বেশী ভালোবাসতেন। অনেক বেশী সম্মান করতেন। তাকে অনেক বেশী জেনেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে কখনো তার নাম বা মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। যদি তার নাম বা মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করাটা শরীয়ত সম্মত হত, ভাল কাজ হত, তাহলে তিনি অবশ্যই তা আমাদের বলে যেতেন। তিনি ইসলাম শিক্ষা দিতে, দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব পালনে কোন অলসতা করেননি। অতি সামান্য বিষয়ও তিনি তার উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন। দুআ-মুনাজাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসীলা গ্রহণ যদি কোন নেক আমল হত, তাহলে তিনি তার সাহাবীদের বলে যেতেন। তাঁর মৃত্যুর পর তার কোন সাহাবী এ রকম অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। বরং তারা এটাকে জায়েয মনে করার কোন প্রয়োজনও অনুভব করেননি। • কেয়ামতের সময় বা শেষ বিচারে আল্লাহ আমাদের প্রশ্ন করবেন, আল্লাহ তাআলার রাসূল যা কিছু নিয়ে এসেছিল তোমাদের কাছে, তা তোমরা কতটুকু গ্রহণ করেছ? আল্লাহ তাআলা বলেন : আর সেদিন আল্লাহ তাদের ডেকে বলবেন, তোমরা রাসূলদের কী উত্তর দিয়েছিলে? (সূরা কাসাস : ৬৫) আল্লাহ তাআলা আরো বলেন : সুতরাং আমি অবশ্যই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করব যাদের নিকট রাসূল পাঠানো হয়েছিল। এবং অবশ্যই আমি রাসূলদের জিজ্ঞাসাবাদ করব। (সূরা আরাফ, আয়াত ৬) অতএব, আল্লাহ তাআলা আমাদের কখনো প্রশ্ন করবেন না, তোমরা অমুক ইমাম, পীর, মুরব্বী, আকাবির বা উস্তাদের কথা মেনে নিয়েছিলে কি না। বা অমান্য করেছ কি না? তাই কুরআন ও সহীহ হাদীস মানা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এর বাইরে তৃতীয় কোন সূত্র দিয়ে দীনি বিষয় প্রমাণিত হবে না। আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবী ও রাসূলদের পাঠিয়েছেন তাদের অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার তাওহীদকে ধারণ করার জন্য। তিনি তাদের নামের অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করে শিরকের পথ খোলার জন্য কখনো নবী রাসূল প্রেরণ করেননি। আমাদের পক্ষ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত তাঁর রাসূল মুহাম্মাদের উপর, তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীদের উপর হৃদয় নিংড়ানো হাজার হাজার সালাত ও সালাম নিবেদিত হোক। আল্লাহ আমাদের সকলকে বিশুদ্ধ তাওহীদ গ্রহণ করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে দীনে ইসলামে অটল থাকার তাওফীক দিন। জীবদ্দশায় বা তার অনুপস্থিতিতে তার নাম, মর্যাদা, সম্মানের অসীলা দিয়ে দুআ করার বৈধতা প্রমাণিত হয় না।Jobrul Miah
- May 9
-
এই সময় নিজের মৃত্যু ও আখেরাতকে স্মরণ করবে এবং কবরবাসীদের মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে খালেছ মনে নিম্নোক্ত দো‘আ সমূহ পাঠ করবে। দো‘আর সময় একাকী দু’হাত উঠানো যাবে। বাক্বী‘ গারক্বাদ গোরস্থানে দীর্ঘক্ষণ ধরে দো‘আ করার সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একাকী তিন বার হাত উঠিয়েছিলেন। এই সময় স্রেফ দো‘আ ব্যতীত ছালাত, তেলাওয়াত, যিকর-আযকার, দান-ছাদাক্বা কিছুই করা জায়েয নয়। ১ম দো‘আ : এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে শিক্ষা দিয়েছিলেন। اَلسَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ، وَيَرْحَمُ اللهُ الْمُسْتَقْدِمِيْنَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِيْنَ، وَإِنَّا إِنْ شَآءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ- উচ্চারণ : আস্সালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইয়ারহামুল্লা-হুল মুস্তাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুস্তা’খিরীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা লা-হেকূনা। অনুবাদ : মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক। আমাদের অগ্রবর্তী ও পরবর্তীদের উপরে আল্লাহ রহম করুন! আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি’।[মুসলিম, মিশকাত হা, ১৭৬৭] ২য় দো‘আ : এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অন্যদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন।- اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ، نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ- উচ্চারণ : আস্সালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা লা-হেকূনা। নাসআলুল্লা-হা লানা ওয়া লাকুমুল ‘আ-ফিয়াতা’। অনুবাদ : মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীগণ! আপনাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক! আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি। আমাদের ও আপনাদের জন্য আমরা আল্লাহর নিকটে মঙ্গল কামনা করছি’।[মুসলিম, মিশকাত হা, ১৭৬৪] ৩য় দো‘আ : السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْلَهُمْ- উচ্চারণ : আসসালামু ‘আলায়কুম দা-রা ক্বাওমিন মু’মিনীনা, ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হেকূনা; আল্লা-হুম্মাগফিরলাহুম। অনুবাদ : মুমিন কবরবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক। আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি। হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে ক্ষমা করে দাও। তিরমিযী বর্ণিত ‘আসসালামু ‘আলায়কুম ইয়া আহলাল কুবূরে! ইয়াগফিরুল্লা-হু লানা ওয়া লাকুম’ বলে প্রসিদ্ধ হাদীছটি ‘যঈফ’। [মিশকাত হা, ১৭৬৫] জ্ঞাতব্য : কাফির-মুশরিক বাপ-মায়ের কবর যিয়ারত করা যাবে। ক্রন্দন করা যাবে। কেননা এর মাধ্যমে মৃত্যুকে স্মরণ করা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে সালাম করা যাবে না। তাদের জন্য আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে তাঁর মায়ের কবর যিয়ারতের জন্য অতটুকুই মাত্র অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।[মুসলিম, মিশকাত হা, ১৭৬৩]Dawati Islam
- May 9
-
” জুতা পরে সলাত আদায় করা বৈধ কি???” ——————————- জুতা পরে সলাত আদায় করা নতুন কোনো বিষয় নয়। রাসুল (সাঃ) ১৪০০ শত বছর আগেই এই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ইমাম বুখারী তাঁর ‘সহীর’ মধ্যে অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায় করা’’ ইমাম নববী ‘সহীহ মুসলিমে’ অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায় করা বৈধ’’ ইমাম তিরমিযি তাঁর ‘সুনানের’ মধ্যে অধ্যায় এনেছেন ‘’জুতা পরে নামাজ আদায় করা’’ ইমাম আবু দাউদ তাঁর সুনানের মধ্যে অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায়’’ ইমাম ইবন মাযাহ তাঁর ‘সুনানের’ মধ্যে অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায়’’ ইমাম নাসায়ী তাঁর ‘সুনানের মধ্যে অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’উভয় জুতা পরিহিত অবস্থায় সলাত’’ মুসনাদ আহমাদে আব্দুর রহমান আল-বান্না অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরিধান করে সলাত আদায় করা প্রসঙ্গে’’ ইবন হাজার আসকালানী তাঁর ‘বুলুগুল মারামে’ অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতাজোড়া পবিত্র হলে তাতে সলাত আদায় করা বৈধ’’ ====== রাসুল (সাঃ) জুতা পরে সলাত আদায় করেছেনঃ দলীল নঃ ১ আবু মাসলামাহ সাঈদ ইবন ইয়াযীদ আল-আযদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী (সাঃ) কি তাঁর জুতা পরে সলাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, হাঁ’’ বুখারী ৩৮৬, ৫৮৫০; মুসলিম ৫৫৫; তিরমিযি ৪০০; নাসায়ী ৭৭৫; মুসনাদ আহমাদ ৪০১; সিফাতুস সলাত পৃষ্ঠা নঃ ৬২ দলীল নঃ ২ আমর ইবন শুয়াইব (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে কখনো খালি পায়ে আবার কখনো জুতা পরে সলাত আদায় করতে দেখেছি’’ আবু দাউদ ৬৫৩; ইবন মাযাহ ১০৩৮; মুসনাদ আহমাদ ৩৯৯ (আলবানি হাদিসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন) দলীল নঃ ৩ ইবন আবু আওস তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ‘’আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে তাঁর জুতাজোড়া পরিহিত অবস্থায় সলাত আদায় করতে দেখেছি’’ ইবন মাযাহ ১০৩৭; মুসনাদ আহমাদ ৪০৭ (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) দলীল নঃ ৪ আবুদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুল (সাঃ)-কে জুতা পরিহিত অবস্থায় এবং মোজা পরিহিত অবস্থায় সলাত আদায় করতে দেখেছি’’ ইবন মাযাহ ১০৩৯ (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) দলীল নঃ ৫ আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বসে ও দাঁড়িয়ে, জুতা পায়ে ও খালি পায়ে নামাজ পড়েছেন’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০২ (হাদিসের বর্ণনাকারীগন নির্ভরযোগ্য) দলীল নঃ ৬ আবু ‘আলা ইবন সিখইয়ির থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ‘’আমি রাসুল (সাঃ)-কে জুতাজোড়া পরে নামাজ পড়তে দেখেছি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৩ দলীল নঃ ৭ আবু আওবয়ার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি আবু হুরায়রাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো, আপনি কি জুতা পরে লোকদেরকে নামাজ পড়তে নিষেধ করছেন? তিনি বললেনঃ না, আমি রাসুল (সাঃ)-কে এ স্থানে জুতা পরে নামাজ পড়তে এবং জুতা পরে স্থান ত্যাগ করতে দেখেছি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৪ (বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য) দলীল নঃ ৮ মুজাম্মা ইবন ইয়াকুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কুবার এক গোলাম থেকে বর্ণনা করেন। সে একজন বৃদ্ধ লোকের সাক্ষাৎ পেল। তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) আমাদের কাছে কুবায় আসলেন, তখন এক বাড়ির আঙ্গিনায় বসলেন। তাঁর চারপাশে কিছু লোকেরা একত্রিত হল। তখন রাসুল (সাঃ) পানি পান করতে চাইলেন, পান করার সময় আমি তাঁর দান পাশে বসা ছিলাম। লোকদের মধ্যে আমি ছিলাম সবচেয়ে ছোট। তখন তিনি আমাকে পানি পান করতে দিলেন, আমি পান করলাম। আমার স্মরণ আছে, তিনি আমাদের নিয়ে সে দিন জুতা পরে নামাজ পড়েছিলেন, তা খুলেন নি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৫ (বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য) দলীল নঃ ৯ অন্য আরেকটি বর্ণনায় আছে। তিনি মুহাম্মাদ ইবন ইসমাইল ইবন মুজাম্মা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবী হাবিবাকে বলা হল, আপনি রাসুল (সাঃ) থেকে কি শিখেছেন? রাসুল (সাঃ) যখন (কুবায়) আসেন তখন তিনি ছিলেন ছোট বালক। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) একদিন আমাদের মসজিদে (অর্থাৎ কুবা মসজিদে) আসেন। তখন আমরা সেখানে গমন করি এবং তাঁর পাশে বসি। লোকেরাও তাঁর পাশে বসেন। অতঃপর তিনি নামাজ পড়তে দাঁড়ান। তখন আমি তাকে জুতা পরিহিত অবস্থায় নামাজ পড়তে দেখি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৫ (বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য) দলীল নঃ ১০ আবদুল্লাহ ইবন মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সাঃ)-কে মোজা ও জুতা পরে নামাজ পড়তে দেখেছি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৬ ====== জুতায় নাপাকি লেগে না থাকলে জুতা পরে সলাত আদায় বৈধঃ আবু সাইদ আল-খুদরী (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সাহাবীদেরকে নিয়ে সলাত আদায়কালে তাঁর জুতাজোড়া খুলে তাঁর বাম পাশে রেখে দিলেন। এ দৃশ্য দেখে লোকেরাও তাঁদের জুতা খুলে রাখল। রাসুল (সাঃ) সলাত শেষে বললেনঃ ‘’জিবরীল (আঃ) আমার কাছে এসে আমাকে জানালেন, আপনার জুতাজোড়ায় অপবিত্র বস্তু লেগে আছে। তিনি আরও বললেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন জমিনে তা ঘসে নিয়ে পরিধান করে সলাত আদায় করে’’ আবু দাউদ ৬৫০; মুসনাদ আহমাদ ৪৬, ৪০০; দারিমী ১৩৭৮; ইবন খুজাইমাহ (২/৪৩১) (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) ============ জুতায় অপবিত্রতা লেগে থাকলে তা দূর করার পদ্বতিঃ জুতায় লেগে থাকা নাপাকি মাটিতে ঘসে নিয়ে পরিচ্ছন্ন করা যাবে, পানি ব্যাবহার করা শর্ত নয়। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’তোমাদের কারো জুতার তলায় আবর্জনা লেগে গেলে, মাটিই তার আবর্জনা বা অপবিত্রতা দূর করার জন্য যথেষ্ট’’ আবু দাউদ ৩৮৫; হাকিম ১/১৬৬), বায়হাকি, সুনানুল কুবরা (২/৪৩০), ইমাম যায়লাঈ একে নাসবুর রায়াহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন; (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) আবু সাইদ আল-খুদরী (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন জমিনে তা ঘসে নিয়ে পরিধান করে সলাত আদায় করে’’ আবু দাউদ ৬৫০; মুসনাদ আহমাদ ৪৬, ৪০০; বুলুগুল মারাম ২১৮; দারিমী ১৩৭৮; ইবন খুজাইমাহ (২/৪৩১) (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) অত্র হাদিসের ব্যাখ্যায় বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যাকার সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহঃ) বলেনঃ ”এ হাদিসটি স্পষ্ট দলীল যে, জুতা পরিধান করে নামাজ পড়া জায়েজ, যদি জুতা পবিত্র ও পরিস্কার থাকে। আরও জানা গেল যে, জুতায় লেগে থাকা অপবিত্রতা ও মালিন্য রগরগিয়ে পরিস্কার করলেই জুতা পবিত্র ও পরিস্কার হয়ে যায়। হাদিসের বাহ্যিক প্রত্যেক শব্দ দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অপবিত্রতা ও মালিন্য শুষ্ক হোক বা সিক্তই হোক দুটোর একই হুকুম” উল্লেখ্য হানাফি মাজহাব মতেও কোন বস্তুর নাপাকি দূর করার জন্য পানির ব্যাবহার বাধ্যতামূলক নয়, বরং অন্যান্য বস্তুর দ্বারাও তা হতে পারে। আল ফিকহুল ইসলামী ও আদিল্লাতুহু ১/৯২-১০৭ ========== জুতা পরে সলাত আদায় করা ও ইয়াহুদিদের বিরোধিতা করাঃ রাসুল (সাঃ) কখনো জুতা পরে সলাত আদায়ের উপর তাগিদ দিয়েছেন। ইয়াহুদী- খ্রিষ্টানদের রীতি হল, পবিত্র স্থানে জুতা বা স্যান্ডেল খুলে খালি পায়ে গমন করা। জুতা পায়ে পবিত্র স্থানে বা ইবাদতের স্থানে প্রবেশ করাকে তারা সেই স্থানের পবিত্রতা নষ্ট করা বলে গণ্য করে। রাসুল (সাঃ) তাদের এই রীতির বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ই’য়ালা ইবন শাদ্দাদ ইবন আওস (রাঃ) থেকে তাঁর পিতার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’তোমরা ইয়াহুদীদের বিরোধিতা করো। তারা জুতা এবং মোজা পরে সলাত আদায় করে না’’ আবু দাউদ ৬৫২ (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) এই বিষয়ে শাইখ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর (হাফেজাহুল্লাহ) বলেনঃ সাধারন পাঠকের মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা তো জুতা বা স্যান্ডেল খুলেই সলাত আদায় করি! এতে কি ইয়াহুদী-নাসারাদের অনুকরন হচ্ছে? উত্তরঃ আমাদের জুতা খোলা ও তাদের জুতা খোলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা জুতা খুলি পরিছন্নতার জন্য আর তারা জুতা খুলে পবিত্রতার জন্য। জুতা পরিচ্ছন্ন থাকলে একজন মুসলিম জুতা পরে সলাত আদায় করতে পারেন ও মসজিদে প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু ইয়াহুদী-নাসারা জুতা খোলাকে ইবাদতের অংশ ও ইবাদত গৃহের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে পাদুকা পায়ে মসজিদে প্রবেশ করলে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হয় না, তবে পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হতে পারে। আর ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের দৃষ্টিভঙ্গিতে জুতা-স্যান্ডেল যতই পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হোক, তা পায়ে ইবাদতগাহ, চার্চ বা কোনো ধর্মীয়ভাবে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলে সে স্থানের ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্ট হবে। আমাদের প্রচলিত সমাজে অনেকের মধ্যেই ইয়াহুদী-নাসারাদের মতো অনুভুতি বিদ্যমান। সম্ভবত ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় রীতির অনুকরনেই মানুষেরা তথাকথিত ‘শহীদ মিনার’, ‘স্মৃতিস্থম্ভ’ ইত্যাদিতে জুতা খুলে প্রবেশের রীতি প্রচলন করেছে” রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পোশাক ও পোশাকের ইসলামী বিধান, পৃষ্ঠা নঃ ১৬৮-১৬৯ ============ম প্রসঙ্গিক দু’টি ফতওয়াঃ শাইখ উসাইমিন (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ ‘’মাসজিদুল হারামের যমীনে (Floor) জুতা নিয়ে হাঁটার বিধান কি? উত্তরঃ মসজিদুল হারামের যমীনে জুতা নিয়ে হাঁটা-হাঁটি করা উচিৎ নয়। কেননা যারা মসজিদের সম্মান বুঝে না, এতে তাঁর সুযোগ পাবে। ফলে জুতায় পানি বা ময়লা নিয়ে প্রবেশ করবে এবং মসজিদের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করে ফেলবে। বিদ্বানদের মূলনীতি হচ্ছেঃ ‘’কল্যাণ ও ক্ষতির সংঘর্ষ যদি বরাবর হয় অথবা ক্ষতির আশংকা বেশি হয়; তখন কল্যাণের দিকে যাওয়ার চেয়ে ক্ষতিকর বিষয়কে প্রতিহত করা অধিক উত্তম’’ নাবী (সাঃ) মক্কা বিজয়ের পর ক’বা শরীফ ভেঙ্গে, ইবরাহিম (আঃ)-এর ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে ইচ্ছা করেছিলেন। কিন্তু লোকেরা কুফরী ছেড়ে ইসলামে নতুন প্রবেশ করার কারনে, তাদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, তাই ত্নি তা পরিত্যাগ করেছিলেন। তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-কে বলেছিলেনঃ ‘’তোমার স্বজাতির লোকেরা যদি কুফরী ছেড়ে ইসলামে নতুন প্রবেশকারী না হতো, তবে আমি এই কা’বা ঘর ভেঙ্গে (ইব্রাহীমের ভিত্তির উপর) পুনঃনির্মাণ করতাম। ঘরের দু’টি দরজা রাখতাম, এক্তিতে লোকেরা প্রবেশ করতো অন্যটি দ্বারা বের হতো’’ বুখারী; মুসলিম ফাতাওয়া আরাকানুল ইসলাম, ফাতাওয়া নঃ ২১৯ সাঈদ বিন আলী বিন আল-কাহাতানী বলেন, ”আমি আমার শাইখ আবদুল আজিজ বিন বায (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায় করা ইয়াহুদীদের সুন্নাতের পরিপন্থি। তবে লক্ষ্য রাখার পর যদি জুতার মধ্যে কোন নাপাক বস্তু দেখে, তাহলে মাটি, পাথর ইত্যাদি দ্বারা তা পরিস্কার করে নেবে। তবে যে সব মসজিদে কার্পেট (বা জায়নামাজ) বিছানো থাকে, সেখানে কিছু মানুষের অবহেলার কারনে ধুলাবালি পাওয়া যায়। ফলে মানুষ মসজিদ থেকে চলে যেতে চায়। এ কারনে আমার নিকট উত্তম হল, জুতা রাখার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করা’’ সাঈদ বিন আলী বিন ওয়াহাব আল-কাহাতানী, মসজিদের বিধি-বিধান; পৃষ্ঠা নঃ ৪৮ ====== শেষ কথাঃ উপরে বর্ণিত হাদিসগুলো থেকে নিম্নলিখিত বিধানগুলো পাওয়া যায়ঃ ১- জুতা খুলে রেখে সলাত আদায় করা বৈধ। ২- মোজা পরে সলাত আদায় করা বৈধ। ৩- জুতা ও মোজা উভয়টা পরে সলাত আদায় করা বৈধ। ৪- খালি পায়ে সলাত আদায় করা বৈধ। ৫- জুতা পরে সলাত আদায়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে তাতে যেন কোন নাপাকি লেগে না থাকে (আল্লাহ ভালো জানেন) -(collected)Shahanaj Amin
-
5/9, 12:25pm
DUA FOR DEPRESSION AND WORRIES The scholars of Islaam have extracted from the Qur’aan and the authentic Sunnah many remedies and cures to help us in our daily affairs and remove our problems. 1. It was reported that the Prophet (peace and blessings be upon him) used to recite this Dua: اللّهُـمَّ رَحْمَتَـكَ أَرْجـوفَلا تَكِلـني إِلى نَفْـسي طَـرْفَةَ عَـيْن، وَأَصْلِـحْ لي شَأْنـي كُلَّـه لَا إِلَهَ إِلَّا أنْـت Allaahumma rahmataka ‘arjoo falaa takilnee ‘ilaa nafsee tarfata ‘aynin, wa ‘aslih lee sha’nee kullahu, laa’ilaaha ‘illaa ‘Anta. “O Allah, I hope for Your mercy. Do not leave me to myself even for the blinking of an eye (i.e. a moment). Correct all of my affairs for me. There is none worthy of worship but You.” (Abu Dawud 4/324, Ahmad 5/42. Al-Albani graded it as good in Sahih Abu Dawud 3/959.)6510). 2. In al-Saheehayn it was reported from Ibn ‘Abbaas that the Messenger of Allaah (Peace and Blessings of Allaah be upon him) used to say, when he felt distressed: لا إلَهَ إلاَّ اللَّهُ الْعَظـيمُ الْحَلِـيمْ، لا إلَهَ إلاَّ اللَّهُ رَبُّ العَـرْشِ العَظِيـمِ، لا إلَهَ إلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَـوّاتِ ورّبُّ الأَرْضِ ورَبُّ العَرْشِ الكَـريم “La ilaaha ill-Allaah al-‘Azeem ul-Haleem, Laa ilaaha ill-Allaah Rabb il-‘arsh il-‘azeem, Laa ilaaha ill-Allaah Rabb is-samawaati wa Rabb il-ard wa Rabb il-‘arsh il-kareem” “There is no god except Allaah, the All-Mighty, the Forbearing; there is no god except Allaah, the Lord of the Mighty Throne; there is no god except Allaah, Lord of the heavens, Lord of the earth and Lord of the noble Throne.” (Al-Bukhari 8/154, Muslim 4/2092, ) 3. It was reported from Anas (may Allaah be pleased with him) that the Prophet (Peace and Blessings of Allaah be upon him) used to say, when something upset him: “Yaa Hayyu yaa Qayyoom, bi Rahmatika astagheeth (O Ever-Living One, O Everlasting One, by Your mercy I seek help).” 4. It was reported that Asmaa’ bint ‘Umays (may Allaah be pleased with her) said: The Messenger of Allah (peace and blessings of Allah be upon him) said to me: “Shall I not teach you some words to say when you feel distressed? اللهُ اللهُ رَبِّ لا أُشْـرِكُ بِهِ شَيْـئاً ‘Allaah, Allaah, Rabbee laa ushriku bihi shay’an’ Allaah, Allaah, my Lord, I do not associate anything with Him (Abu Dawud 2/87. See also Al-Albani, Sahih Ibn Majah 2/335.) 5. It was reported from ‘Abd-Allaah ibn Mas’ood that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “No person suffers any anxiety or grief, and says: للّهُـمَّ إِنِّي عَبْـدُكَ ابْنُ عَبْـدِكَ ابْنُ أَمَتِـكَ نَاصِيَتِي بِيَـدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤكَ أَسْأَلُـكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّـيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أِوْ أَنْزَلْتَـهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْـتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِـكَ أَوِ اسْتَـأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الغَيْـبِ عِنْـدَكَ أَنْ تَجْـعَلَ القُرْآنَ رَبِيـعَ قَلْبِـي، وَنورَ صَـدْرِي وجَلَاءَ حُـزْنِي وذَهَابَ هَمِّـي ‘Allaahumma innee ‘abduka wa ibn ‘abdika wa ibn amatika, naasiyati bi yadika, maadin fiyya hukmuka, ‘adlun fiyya qadaa’uka, as’aluka bi kulli ismin huwa laka sammayta bihi nafsaka aw anzaltahu fi kitaabika aw ‘allamtahu ahadan min khalqika aw ista’tharta bihi fi ‘ilm il-ghaybi ‘andak an taj’ala al-Qur’aana rabee’ qalbi wa noor sadri wa jalaa’a huzni wa dhahaaba hammi’ “O Allaah, I am Your slave, son of Your slave, son of Your female slave, my forelock is in Your hand, Your command over me is forever executed and Your decree over me is just. I ask You by every Name belonging to You which You named Yourself with, or revealed in Your Book, or You taught to any of Your creation, or You have preserved in the knowledge of the unseen with You, that You make the Qur’aan the life of my heart and the light of my breast, and a departure for my sorrow and a release for my anxiety” but Allah will take away his sorrow and grief, and give him in their stead joy.” (Ahmad 1/391)Sadiya Maryam -
সম্পূর্ণ নামঃ ডাঃ জাকির অাব্দুল করিম নায়েক। ৪৭ বছর বয়সী এই মানুষটি ১৭ বছর যাবত বিশ্বের অানাচে কানাচে মানুষদের দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছে, কোরঅান ও হাদিসের অালোকে চোখে অাঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে এক মাত্র ইসলামই অাল্লাহ্ পাক এর মনোনীত ধর্ম। ★তিনি একযুগে দাওয়াত দিচ্ছেনঃ ভারত, পাকিস্তান, সৌদিআরব, ইউকে, ইউএসএ, কানাডা, কাতার, বাহরাইণ,ওমান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, ব্রূনাই, মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, চীন, অাফ্রীকার নাইজেরিয়া সহ অারো অনেক দেশে। ★ ওনার গুগলে লেকচার অাছে ৫লাখ থেকে ৭ লাখ। ★ কোন মানুষ যদি ৫-৭লাখ লেকচার থেকে থাকে তবে তার দুএকটা ভূল হওয়াটা স্বভাবিক। কেউ ভূলে উর্ধ্বে নয়। ★ শেয়ালেরা যদি গর্তে শুয়ে হুক্কা হুয়া ডাকে তবে সিংহের কিচ্ছু অাসে যায় না। শিয়ালদের গর্তের বাহিরে যাবার সাহস, শক্তি কোনটাই নাই।Mohi Uddin
-
Attachment UnavailableThis attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
- May 9
-
শবে বরাত নিয়ে কিছু প্রশ্ন: প্রথম প্রশ্নঃ এ রাত্রি কি ভাগ্য রজনী? উত্তরঃ না, এ রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত দু’টির ভূল ব্যাখ্যা। তা হলোঃ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ* فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ – سورة الدخان:3ـ4 আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ “অবশ্যই আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি, অবশ্যই আমরা সতর্ককারী, এ রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়”। এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াত দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুল কাদরের চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল কাদর, ২. লাইলাতুল বারা’আত, ৩. লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল মুবারাকাহ। শুধুমাত্র ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এ আয়াত দ্বারা শা’বানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে। এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা। আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আলোচ্য আয়াতে ‘মুবারক রাত্রি’ বলতে ‘লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ – سورةالقدر:1 আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা আল-কাদরঃ১)। আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃ شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ- سورة البقرة:185 রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।Jobrul Miah
-
♣নাভীর নীচে হাত বাঁধা :♣ ======================== ছহীহ হাদীছের দাবী হল বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করা। নাভীর নীচে হাত বেঁধে ছালাত আদায় করার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। এর পক্ষে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে সবই ত্রুটিপূর্ণ। (১) عَنْ أَبِىْ جُحَيْفَةَ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مِنْ السُّنَّةِ وَضْعُ الْكَفِّ عَلَى الْكَفِّ فِي الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (১) আবু জুহায়ফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আলী (রাঃ) বলেছেন, সুন্নাত হল ছালাতের মধ্যে নাভীর নীচে হাতের পাতার উপর হাতের পাতা রাখা।[1] তাহক্বীক্ব : হাদীছটি নিতান্তই যঈফ। উক্ত সনদে আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক নামে একজন রাবী আছে। সে সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ।[2] ইমাম বায়হাক্বী বলেন, ‘উক্ত হাদীছের সনদ ছহীহ বলে প্রমাণিত হয়নি। আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক্ব একাকী এটা বর্ণনা করেছে। সে পরিত্যক্ত রাবী।[3] আল্লামা আইনী হানাফী (মৃঃ ৮৫৫ হিঃ) বলেন, ‘এর সনদ ছহীহ নয়’।[4] ইবনু হাজার আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২) বলেন, এর সনদ যঈফ’।[5] শায়খ আলবানীও যঈফ বলেছেন।[6] (২) عَنْ أَبِىْ وَائِلٍ قَالَ قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ أَخْذُ الْأَكُفِّ عَلَى الْأَكُفِّ فِى الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (২) আবী ওয়ায়েল (রাঃ) বলেন, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেছেন, ছালাতের মধ্যে এক হাত আরেক হাতের উপর রেখে নাভীর নীচে রাখবে।[7] তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি নিতান্তই যঈফ। ইমাম আবুদাঊদ বলেন, سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَقَ الْكُوْفِيَّ ‘আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যঈফ’।[8] ইবনু আব্দিল বার্র এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন।[9] শায়খ আলবানীও যঈফ বলেছেন।[10] (৩) عَنْ أَنَسٍ قَالَ ثَلاَثٌ مِنْ أَخْلاَقِ النُّبُوَّةِ تَعَجُّلُ الْإِفْطاَرِ وَتَأْخِيْرُ السَّحُوْرِ وَوَضْعُ الْيَدِ الْيُمْنىَ عَلَى الْيَدِ الْيُسْرَى فِى الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (৩) আনাস (রাঃ) বলেন, তিনটি জিনিস নবীদের চরিত্র। (ক) দ্রুত ইফতার করা (খ) দেরীতে সাহারী করা এবং (গ) ছালাতের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখা।[11] তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মুহাদ্দিছ যাকারিয়া বিন গোলাম কাদের বলেন, ‘এই শব্দে কেউ কোন সনদ উল্লেখ করেননি’।[12] মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, ‘আমি এই হাদীছের সনদ সম্পর্কে অবগত নই’।[13] উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে না জেনেই অনেক লেখক তা দলীল হিসাবে পেশ করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি দুঃখজনক।[14] অবশ্য এ মর্মে বর্ণিত ছহীহ হাদীছে ‘নাভীর নীচে’ অংশটুকু নেই।[15] (৪) عَنْ وَائِلِ ابْنِ حُجْرٍ فِىْ صِفَةِ صَلاَةِ رَسُوْلِ اللهِ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِىَّ يَضَعُ يَمِيْنَهُ عَلَى شِمَالِهِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (৪) ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের পদ্ধতির ব্যাপারে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখতে দেখেছি।[16] তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ‘নাভীর নীচে’ কথাটুকু হাদীছে নেই। সুতরাং এই অংশটুকু জাল করা হয়েছে। শায়খ মুহাম্মাদ হায়াত সিন্দী বলেন, زِيَادَةُ تَحْتَ السُّرَّةِ نَظْرٌ بَلْ هِىَ غَلَطٌ مَنْشَؤُهُ السَّهْوُ فَإِنِّىْ رَاجَعْتُ نُسْخَةً صَحِيْحَةً مِنَ الْمُصَنِّفِ فَرَأَيْتُ فِيْهَا هَذَا الْحَدِيْثَ بِهَذَا السَّنَدِ وَبِهَذِهِ الْأَلْفَاظِ إِلاَّ أَنَّهُ لَيْسَ فِيْهَا تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নাভীর নীচে’ এই অতিরিক্ত অংশ ত্রুটিপূর্ণ। বরং তা স্পষ্ট ভুল। মূলেই ভুল রয়েছে। আমি সংকলকের মূল কপি দেখেছি। সেখানে এই সনদ ও শব্দগুলো দেখেছি। কিন্তু তার মধ্যে ‘নাভীর নীচে’ অংশটুকু নেই’।[17] জ্ঞাতব্য : উক্ত বর্ণনা ভিত্তিহীন হলেও মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বার নামে ‘মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে’ বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাকে বিশুদ্ধ বলা হয়েছে।[18] যার ভিত্তি নেই তাকে বিশুদ্ধ বলার উদ্দেশ্য কি? মড়ার উপর খাড়ার ঘা? (৫) إِنَّ النَّبِىَّ قَالَ إِنَّ مِنَ السُّنَّةِ وَضْعُ الْيُمْنىَ عَلَى الشِّمَالِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (৫) নবী করীম (ছাঃ) বলেন, সুন্নাত হল বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে নাভীর নীচে রাখা।[19] তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ উক্ত মর্মে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন বর্ণনা নেই। মদ্বীনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত ‘হানাফীদের কয়েকটি জরুরী মাসায়েল’ নামক বইয়ে উক্ত শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে।[20] বিশেষ সর্তকতা : কুদূরী ও হেদায়া কিতাবে বলা হয়েছে, وَيَعْتَمِدُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى تَحْتَ السُّرَّةِ ‘এবং ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখবে’।[21] অতঃপর হেদায়া কিতাবে দলীল হিসাবে পেশ করা হয়েছে, ‘কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর কথা হল, لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إنَّ مِنَ السُّنَّةِ وَضْعَ الْيَمِيْنِ عَلَى الشِّمَالِ تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নিশ্চয় ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখা সুন্নাত’।[22] অথচ উক্ত বর্ণনার কোন ভিত্তি নেই। সুধী পাঠক! হানাফী মাযহাবের সর্বাধিক অনুসরণীয় কিতাবে যদি এভাবে রাসূল (ছাঃ)-এর নামে মিথ্যা বর্ণনা মিশ্রিত করা হয়, তাহলে মানুষ সত্যের সন্ধান পাবে কোথায়? (৬) عَنِ ابْنِ جَرِيْرٍ الضَّبِّيِّ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُمْسِكُ شِمَالَهُ بِيَمِيْنِهِ عَلَى الرُّسْغِ فَوْقَ السُّرَّةِ. (৬) গাযওয়ান ইবনু জারীর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি আলী (রাঃ)-কে ডান হাত দ্বারা বাম হাতকে কব্জির উপর রেখে নাভীর উপর বাঁধতে দেখেছি।[23] তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ।[24] ইমাম আবুদাঊদ বলেন, وَرُوِيَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَوْقَ السُّرَّةِ قَالَ أَبُوْ مِجْلَزٍ تَحْتَ السُّرَّةِ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ. ‘সাঈদ ইবনে জুবাইর-এর পক্ষ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে- নাভীর উপরে হাত রাখতেন। আর আবু মিজলায বলেছেন, নাভীর নীচে হাত রাখতেন। অনুরূপ আবু হুরায়রা থেকেও বর্ণিত হয়েছে। তবে কোনটিই নির্ভরযোগ্য নয়’।[25] (৭) عَنِ الحَجَّاجِ بْنِ حَسَّانَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مِجْلَزٍ أَوْ سَأَلْتُهُ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْنَعُ؟ قَالَ يَضَعُ بَاطِنَ كَفِّ يَمِيْنِهِ عَلَى ظَاهِرِ كَفِّ شِمَالِهِ وَيَجْعَلُهَا أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ. (৭) হাজ্জাজ ইবনু হাস্সান বলেছেন, আমি আবু মিজলাযকে বলতে শুনেছি অথবা তাকে প্রশ্ন করেছি, আমি কিভাবে হাত রাখব? তিনি বললেন, ডান হাতের পেট বাম হাতের পিঠের উপর রাখবে এবং একেবারে নাভীর নীচে রাখবে।[26] তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এর সনদ বিচ্ছিন্ন।[27] যদিও কেউ তাকে ‘সুন্দর সনদ’ বলে মন্তব্য করেছেন।[28] কিন্তু ছহীহ হাদীছের বিরোধী হলে কিভাবে তাকে সুন্দর সনদ বলা যায়? [29] (8) عَنْ أَبِى الزُّبَيْرِ قَالَ أَمَرَنِىْ عَطَاءٌ أَنْ أَسْأَلَ سَعِيْدًا أَيْنَ تَكُوْنُ الْيَدَانِ فِى الصَّلاَةِ؟ فَوْقَ السُّرَّةِ أَوْ أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ؟ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ فَوْقَ السُّرَّةِ. (৮) যুবাইর বলেন, আত্বা আমাকে বললেন, আমি যেন সাঈদ ইবনু জুবাইরকে জিজ্ঞেস করি, ছালাতের মধ্যে দুই হাত কোথায় থাকবে? নাভীর উপরে না নাভীর নীচে? অতঃপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নাভীর উপরে।[30] তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। এর সনদে ইয়াহইয়া ইবনু আবী তালেব ও যায়েদ ইবনু হুবাব নামে রাবী আছে, তারা ত্রুটিপূর্ণ।[31] মূলতঃ পরবর্তীতে এই বর্ণনার মাঝে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।[32] (9) قاَلَ عَبْدُ اللهِ رَأَيْتُ أَبِىْ إِذَا صَلَّى وَضَعَ يَدَيْهِ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَوْقَ السُّرَّةِ. (৯) আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ (রহঃ) বলেন, আমি আমার আব্বাকে দেখেছি যে, তিনি যখন ছালাত আদায় করতেন তখন তিনি তার এক হাত অপর হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর উপরে রাখতেন।[33] তাহক্বীক্ব : ইমাম আহমাদ (রহঃ) নাভীর নীচে হাত বাঁধার বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। যেমন ইমাম আবুদাঊদ বলেন, سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَقَ الْكُوفِيَّ ‘আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যঈফ’।[34] সুতরাং উক্ত বর্ণনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া ইমাম নববী ও আলবানী গ্রহণ করেননি।[35] ইমাম আহমাদ সম্পর্কে নাভীর নীচে ও উপরে দুই ধরনের কথা এসেছে। মূলতঃ তা সন্দেহ যুক্ত। যেমনটি দাবী করেছেন কাযী আবু ইয়ালা আল-ফার্র।[36] সুতরাং তার পক্ষ থেকে বুকের উপর হাত বাঁধাই প্রমাণিত হয়। যাকে ইমাম আবুদাঊদ ছহীহ বলেছেন।[37] বিভ্রান্তি থেকে সাবধান : বাজারে প্রচলিত ‘নামায শিক্ষা’ বইগুলোতে উক্ত যঈফ, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বর্ণনা দ্বারা নাভীর নীচে হাত বাঁধার দলীল পেশ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে মাওলানা আব্দুল মতিন প্রণীত ‘দলিলসহ নামাযের মাসায়েল’ একটি। উক্ত লেখক শুধু বানোয়াট বর্ণনাই পেশ করেননি, বরং রীতি মত ছহীহ হাদীছের অপব্যাখ্যা করে রাসূল (ছাঃ)-এর আমলকে যবাই করে নিজেদেরকে ‘প্রকৃত আহলে হাদীস’ বলে দাবী করেছেন।[38] কথায় বলে ‘অন্ধ ছেলের নাম পদ্মলোচন’। কারণ অন্ধ মাযহাবের মরণ ফাঁদে পড়ে কেউ আহলেহাদীছ পরিচয় ব্যক্ত করতে পারে না। এ জন্য ‘আহলেহাদীছ’ পরিচয় দেয়ার সাহস হয় না। [1]. আবুদাঊদ হা/৭৫৬; আহমাদ ১/১১০; দারাকুৎনী ১/২৮৬; ইবনু আবী শায়বাহ ১/৩৯১; বায়হাক্বী ২/৩১। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে উক্ত মর্মে কয়েকটি হাদীছ নেই। [2]. وَقَدِ اتَّفَقَ الْأَئِمَّةُ عَلَى تَضْعِيْفِهِ -তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৪। [3]. لَمْ يَثْبُتْ إِسْنَادُهُ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ الْوَاسِطِىِّ وَهُوَ مَتْرُوْكٌ -বায়হাক্বী, আল-মা‘রেফাহ ১/৪৯৯। [4]. إِسْنَادُهُ غَيْرُ صَحِيْحٍ -উমদাতুল ক্বারী ৫/২৮৯। [5]. إسناده ضعيف -ইবনু হাজার আসক্বালানী, আদ-দিরায়াহ ১/১২৮। [6]. যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৫৬। [7]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [8]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [9]. ঐ, আত-তামহীদ ২০/৭৫। [10]. যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [11]. ইমাম ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা ৪/১৫৭; তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫। [12]. وَلَمْ يَذْكُرْ لَهُ سَنَدًا بِهَذَا اللَّفْظِ وَإِِنَّهَا عَلَّقَهُ -তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫। [13]. لَمْ أَقِفْ عَلَى سَنَدِ هَذَا الْحَدِيْثِ -ঐ, তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৫। [14]. মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে, পৃঃ ২৯১; নবীজীর নামায, পৃঃ ১৫০। [15]. ইবনু হিববান হা/১৭৬৭; সনদ ছহীহ, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৮৭; ইবনু ক্বাইয়িম, তাহযীব সুনানে আবী দাঊদ ১/১৩০ – حَدِيث أَبِي حُمَيْدٍ هَذَا حَدِيث صَحِيح مُتَلَقًّى بِالْقَبُولِ لَا عِلَّة لَهُ وَقَدْ أَعَلَّهُ قَوْم بِمَا بَرَّأَهُ اللَّه। [16]. তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৪। [17]. তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৪। [18]. ঐ, পৃঃ ২৯০। [19]. হেদায়াহ ১/৮৬; হানাফীদের জরুরী মাসায়েল, পৃঃ ২৬। [20]. ঐ, পৃঃ ২৬। [21]. আবুল হুসাইন আহমাদ আল-কুদূরী, মুখতাছারুল কুদূরী, পৃঃ ২৮; হেদায়া ১/১০৬ পৃঃ। [22]. হেদায়া ১/১০৬ পৃঃ; নাছবুর রাইয়াহ ১/৩১৩ পৃঃ। [23]. আবুদাঊদ হা/৭৫৭; বায়হাক্বী ২/৩০। [24]. যঈফ আবুদঊদ হা/৭৫৭। [25]. আবুদাঊদ হা/৭৫৭। [26]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৯৬৩, ১/৩৯১; মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে, পৃঃ ২৯১। [27]. আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ – مقطوع لأن أبا مجلز تابعي والمقطوع لا يقوم به الحجة। [28]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১৩০-এর আলোচনা দ্রঃ। [29]. মির‘আতুল মাফাতীহ ৩/৬৩ পৃঃ- أن هذا قول تابعي ينفيه الحديث المرفوع فلا يلتفت إليه। [30]. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৪৩৪; আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ। [31]. আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ। [32]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১৩০। [33]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭০ পৃঃ। [34]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [35]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭০ পৃঃ। [36]. আল-মাসাইলুল ফিক্বহিয়াহ, ১/৩২ পৃঃ – وهذا يحتمل أن يكون ظناً من الراوي أنها كانت على السرة ويحتمل أن يكون سهواً من أحمد في ذلك। [37]. আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ। [38]. দলিলসহ নামাযের মাসায়েল , পৃঃ ২৪। (মুজাফ্ফর বিন মহসিন)Md Ali Tawhid Badi
-
♣বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ সমূহ♣ ======================= রাসূল (ছাঃ) সর্বদা বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করতেন। উক্ত মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি পেশ করা হল : (1) عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ كَانَ النَّاسُ يُؤْمَرُوْنَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ الْيَدَ الْيُمْنَى عَلَى ذِرَاعِهِ الْيُسْرَى فِي الصَّلَاةِ قَالَ أَبُوْ حَازِمٍ لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا يَنْمِىْ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ . (১) সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হত, মুছল্লী যেন ছালাতের মধ্যে তার ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর রাখে। আবু হাযেম বলেন, এটা রাসূল (ছাঃ)-এর দিকেই ইঙ্গিত করা হত বলে আমি জানি।[1] ইমাম বুখারী (রহঃ) অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, بَابُ وَضْعِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى ‘ছালাতের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা অনুচ্ছেদ’।[2] উল্লেখ্য যে, ইমাম নববী (রহঃ) নিম্নোক্ত মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন- ‘তাকবীরে তাহরীমার পর ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে বুকের নীচে নাভীর উপরে রাখা’।[3] অথচ হাদীছে ‘বুকের নীচে নাভীর উপরে’ কথাটুকু নেই। মূলতঃ পুরো ডান হাতের উপর বাম হাত রাখলে বুকের উপরই চলে যায়। যেমন উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, وَمِثْلُهُ حَدِيْثُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ كَانَ يَضَعُ الْيُمْنىَ عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَ السَّاعِدِ رَوَاهُ أَبُوْدَاؤُدَ وَ النَّسَائِىُّ بِسَنَدِ صَحِيْحٍ وَ هَذِهِ الْكَيْفِيّةُ نَسْتَلْزِمُ أَنْ يَّكُوْنَ الْوَضْعُ عَلَى الصَّدْرِ إِذَا أَنْتَ تَأَمَّلْتَ ذَلِكَ وَعَمِلْتَ بِهَا فَجَرِّبْ إِنْ شِئْتَ وَ مِمَّا يَنْبَغِىْ أَنْ يَّعْلَمَ أَنَّهُ لَمْ يَصِحُّ عَنْهُ الْوَضْعُ عَلَى غَيْرِ الصَّدْرِ كَحَدِيْثِ وَ السُّنَّةُ وَضْعُ الْكَفِّ فِى الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. ‘অনুরূপ ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) ডান হাত বাম হাতের পাতা, হাত ও বাহুর উপর রাখতেন। যা ছহীহ সনদে আবুদাঊদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। এই পদ্ধতিই আমাদের জন্য অপরিহার্য করে যে হাত রাখতে হবে বুকের উপর। যদি আপনি এটা বুঝেন এবং এর প্রতি আমল করেন। অতএব আপনি চাইলে যাচাই করতে পারেন। আর এ সম্পর্কে যা জানা উচিৎ তা হল, বুকের উপর ছাড়া অন্যত্র হাত বাঁধার বিষয়টি রাসূল (ছাঃ) থেকে ছহীহ হিসাবে সাব্যস্ত হয়নি। যেমন একটি হাদীছ, ‘সুন্নাত হল ছালাতের মধ্যে নাভীর নীচে হাতের পাতা রাখা’ (এই বর্ণনা সঠিক নয়)।[4] বিশেষ জ্ঞাতব্য : সুধী পাঠক! ছহীহ বুখারীতে বর্ণিত উক্ত হাদীছের অনুবাদ করতে গিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুবাদে ‘ডান হাত বাম হাতের কবজির উপরে’ মর্মে অনুবাদ করা হয়েছে।[5] আধুনিক প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত বুখারীতেও একই অনুবাদ করা হয়েছে।[6] অথচ ইসলমিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একই খন্ডের মধ্যে অন্যত্র এর অর্থ করা হয়েছে ‘বাহু’।[7] কিন্তু ‘বাহু’ আর ‘কব্জি’ কি এক বস্ত্ত? সব হাদীছ গ্রন্থে ‘যিরা’ অর্থ ‘বাহু’ করা হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) ওযূ করার সময় মুখমন্ডল ধৌত করার পর বাহুর উপর পানি ঢালতেন।[8] এছাড়া আরবী কোন অভিধানে ‘যিরা’ শব্দের অর্থ ‘কব্জি’ করা হয়নি। অতএব কোন সন্দেহ নেই যে, নাভীর নীচে হাত বাঁধার ত্রুটিপূর্ণ আমলকে প্রমাণ করার জন্যই উক্ত কারচুপি করা হয়েছে। অথচ অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) তাঁর ডান হাতটি বাম হাতের পাতা, কব্জি ও বাহুর উপর রাখতেন, যা পূর্বে আলবানীর আলোচনায় পেশ করা হয়েছে। (2) عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ لَأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلاَةِ رَسُوْلِ اللهِ كَيْفَ يُصَلِّى فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ فَقَامَ فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا بِأُذُنَيْهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ مِثْلَهَا … (২) ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন, আমি অবশ্যই রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের দিকে লক্ষ্য করতাম, তিনি কিভাবে ছালাত আদায় করেন। আমি তাঁর দিকে লক্ষ্য করতাম যে, তিনি ছালাতে দাঁড়াতেন অতঃপর তাকবীর দিতেন এবং কান বরাবর দুই হাত উত্তোলন করতেন। তারপর তাঁর ডান হাত বাম হাতের পাতা, কব্জি ও বাহুর উপর রাখতেন। অতঃপর যখন তিনি রুকূ করার ইচ্ছা করতেন তখন অনুরূপ দুই হাত উত্তোলন করতেন…।[9] উল্লেখ্য যে, ‘মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে’ বইটিতে উক্ত হাদীছটির পূর্ণ অর্থ করা হয়নি; বরং অর্থ গোপন করা হয়েছে।[10] তাছাড়া ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে অর্থ পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে দুইটি শব্দে ভুল হরকত দেয়া হয়েছে।[11] সুধী পাঠক! উক্ত হাদীছ প্রমাণ করে যে, রাসূল (ছাঃ) ডান হাতটি পুরো বাম হাতের উপর রাখতেন। এমতাবস্থায় হাত নাভীর নীচে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এইভাবে হাত রেখে নাভীর নীচে স্থাপন করতে চাইলে মাজা বাঁকা করে নাভীর নীচে হাত নিয়ে যেতে হবে, যা উচিৎ নয়। আমরা এবার দেখব রাসূল (ছাঃ) তাঁর দুই হাত কোথায় স্থাপন করতেন। (3) عَنْ طَاوُسٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَضَعُ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى ثُمَّ يَشُدُّ بَيْنَهُمَا عَلَى صَدْرِهِ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ. (৩) ত্বাঊস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতেন এবং উভয় হাত বুকের উপর শক্ত করে ধরে রাখতেন।[12] যরূরী জ্ঞাতব্য : ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে হাত বাঁধা সংক্রান্ত একটি হাদীছও উল্লেখিত হয়নি। এর কারণ সম্পূর্ণ অজানা। তবে ইমাম আবুদাঊদ নাভীর নীচে হাত বাঁধা সম্পর্কে বর্ণিত বর্ণনাগুলোকে যঈফ বলেছেন। আর বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীছটিকে ছহীহ হিসাবে পেশ করতে চেয়েছেন। কারণ উক্ত হাদীছ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। সে জন্যই হয়ত কোন হাদীছই উল্লেখ করা হয়নি।[13] উল্লেখ্য যে, উক্ত হাদীছকে অনেকে নিজস্ব গোঁড়ামী ও ব্যক্তিত্বের বলে যঈফ বলে প্রত্যাখ্যান করতে চান। মুহাদ্দিছগণের মন্তব্যের তোয়াক্কা করেন না। নিজেকে শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ বলে পরিচয় দিতে চান। অথচ আলবানী উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে বলেন, رَوَاهُ أَبُوْ دَاوُدَ بِإِسْنَادٍ صَحِيْحٍ عَنْهُ ‘আবুদাঊদ ত্বাঊস থেকে এই হাদীছকে ছহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন’। অতঃপর তিনি অন্যের দাবী খন্ডন করে বলেন, وَهُوَ وَإِنْ كَانَ مُرْسَلاً فَهُوَ حُجَّةٌ عِنْدَ جَمِيْعِ الْعُلَمَاءِ عَلَى اخْتِلاَفِ مَذَاهِبِهِمْ فِى الْمُرْسَلِ لِأَنَّهُ صَحِيْحُ السَّنَدِ إِلَى الْمُرْسَلِ وَقَدْ جاَءَ مَوْصُوْلاً مِنْ طُرُقٍ كَمَا أَشَرْنَا إِلَيْهِ آنِفًا فَكاَنَ حُجَّةً عِنْدَ الْجَمِيْعِ. ‘ত্বাউস যদিও মুরসাল রাবী তবুও তিনি সকল মুহাদ্দিছের নিকট দলীলযোগ্য। কারণ তিনি মুরসাল হলেও সনদের জন্য ছহীহ। তাছাড়াও এই হাদীছ মারফূ‘ হিসাবে অনেকগুলো সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমনটি আমি এই মাত্রই উল্লেখ করলাম। অতএব তা সকল মুহাদ্দিছের নিকট দলীলযোগ্য।[14] এছাড়াও এই হাদীছকে আলবানী ছহীহ আবুদাঊদে উল্লেখ করেছেন।[15] (৪) عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ رضي الله عنه قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ اَلنَّبِيِّ فَوَضَعَ يَدَهُ اَلْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ اَلْيُسْرَى عَلَى صَدْرِهِ. (৪) ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাত আদায় করেছি। তিনি তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে বুকের উপর রাখতেন।[16] উক্ত হাদীছের টীকায় শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, إِسْنَادُهُ ضَعِيْفٌ لِأَنَّ مُؤَمَّلاً وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيْلَ سَيِّئُ الْحِفْظِ لَكِنَّ الْحَدِيْثَ صَحِيْحٌ جَاءَ مِنْ طُرُقٍ أُخْرَى بِمَعْنَاهُ وَفِى الْوَضْعِ عَلَى الصَّدْرِ أَحَادِيْثُ تَشْهَدُ لَهُ. ‘এর সনদ যঈফ। কারণ তা ত্রুটিপূর্ণ। আর তিনি হলেন ইবনু ইসমাঈ। তার স্মৃতি শক্তি দুর্বল। তবে হাদীছ ছহীহ। এই হাদীছ অন্য সূত্রে একই অর্থে বর্ণিত হয়েছে। বুকের উপর হাত রাখার আরো যে হাদীছগুলো আছে, সেগুলো এর জন্য সাক্ষ্য প্রদান করে’। ইমাম শাওকানী উক্ত হাদীছ সম্পর্কে বলেন, وَ لاَشَيْءَ فِى اْلبَابِ أَصَحُّ مِنْ حَدِيْثِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ الْمَذْكُوْرِ فِىْ صَحِيْحِ ابْنِ خُزَيْمَةَ ‘হাত বাঁধা সম্পর্কে ছহীহ ইবনু খুযায়মাতে ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) বর্ণিত হাদীছের চেয়ে বিশুদ্ধ কোন হাদীছ আর নেই’।[17] তাছাড়া একই রাবী থেকে অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। (5) عَنْ قَبِيْصَةَ بْنِ هُلْبٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِىَّ يَنْصَرِفُ عَنْ يَمِيْنِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ وَرَأَيْتُهُ قَالَ يَضَعُ هَذِهِ عَلَى صَدْرِهِ وَضَعَ يَحْيَى الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَوْقَ الْمِفْصَلِ. (৫) ক্বাবীছাহ বিন হুলব তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার পিতা বলেছেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে ডান ও বামে ফিরতে দেখেছি এবং হাতকে বুকের উপর রাখার কথা বলতে শুনেছি। অতঃপর ইয়াহইয়া ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর রাখেন।[18] উল্লেখ্য যে, কেউ কেউ উক্ত হাদীছকে ত্রুটিপূর্ণ বলেছেন। কিন্তু তাদের দাবী সঠিক নয়। কারণ রাবী ক্বাবীছার ব্যাপারে কথা থাকলেও এর পক্ষে অনেক সাক্ষী রয়েছে। ফলে তা হাসান।[19] (6) عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله إِنَّا مَعْشَرَ الأَنْبِيَاءِ أُمِرْنَا أَنْ نُعَجِّلَ إِفْطَارَنَا وَأَنْ نُؤَخِّرَ سَحُوْرَنَا وَنَضَعَ أَيْمَانَنَا عَلَى شَمَائِلِنَا فِي الصَّلاَةِ. (৬) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আমরা নবীদের দল। আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- আমরা যেন দ্রুত ইফতার করি এবং দেরিতে সাহারী করি। আর ছালাতের মধ্যে আমাদের ডান হাত বাম হাতের উপর যেন রাখি।[20] [1]. ছহীহ বুখারী হা/৭৪০, ১/১০২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭০৪, ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২)। ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৭ بَابُ وَضْعِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى। [2]. ছহীহ বুখারী ১/১০২ পৃঃ। [3]. ছহীহ মুসলিম ১/১৭৩ পৃঃ, হা/৯২৩-এর অনুচ্ছেদ-১৫, ‘ছালাত’ অধ্যায়- باَبُ وَضْعِ يَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى بَعْدَ تَكْبِيْرَةِ الإِحْرَامِ تَحْتَ صَدْرِهِ فَوْقَ سُرَّتِهِ وَوَضْعِهِمَا فِى السُّجُوْدِ عَلَى الأَرْضِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ। [4]. মিশকাত হা/৭৯৮ -এর টীকা দ্রঃ, ১/২৪৯ পৃঃ। [5]. বুখারী শরীফ (ঢাকা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নবম সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১২), ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২, হা/৭০৪। [6]. সহীহ আল-বুখারী (ঢাকা : আধুনিক প্রকাশনী, বাংলা বাজার, জুন ১৯৯৭), ১ম খন্ড, পৃঃ ৩২২, হা/৬৯৬। [7]. বুখারী শরীফ ২য় খন্ড, পৃঃ ৯, হা/৫০৭; ৭ম খন্ড, পৃঃ ২৩১, হা/৪০৭৬; ছহীহ বুখারী হা/৫৩২, ১/৭৬ পৃঃ ও হা/৪৪২১। [8]. ছহীহ মুসলিম হা/১৫৯৭, ‘মসজিদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫৬, উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ছাপায় হাদীছটি নেই, ১/২৪০-২৪১; মিশকাত হা/৩৯২২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৭৪৬, ৮/২২ পৃঃ; আবাদাঊদ হা/১৩৫, ১/১৮ পৃঃ; মুসনাদে আহমাদ হা/১০০৮ -ثُمَّ قَالَ لَهُ صُبَّ فَصَبَّ عَلَيْهِ فَغَسَلَ كَفَّهُ ثَلاَثاً وَأَدْخَلَ كَفَّهُ الْيُمْنَى فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثَلاَثاً ثُمَّ أَدْخَلَ كَفَّيْهِ فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثاً ثُمَّ أَدْخَلَ كَفَّهُ الْيُمْنَى فَغَسَلَ ذِرَاعَهُ الأَيْمَنَ ثَلاَثاً ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَهُ الأَيْسَرَ ثَلاَثاً فَقَالَ هَذَا وُضُوْءُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ । [9]. নাসাঈ হা/৮৮৯, ১/১০২ পৃঃ; আবুদাঊদ হা/৭২৭, পৃঃ ১০৫; আহমাদ হা/১৮৮৯০; ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৪৮০; ইবনু হিববান হা/১৮৬০, সনদ ছহীহ। [10]. ঐ, পৃঃ ২৯০। [11]. আবুদাঊদ, পৃঃ ১০৫। [12]. আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ। [13]. আবুদাঊদ, পৃঃ ১২২। [14]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭১ পৃঃ। [15]. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৭৫৯। [16]. ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৪৭৯, ১/২৪৩ পৃঃ; বলূগুল মারাম হা/২৭৫। [17]. নায়লুল আওত্বার ৩/২৫ পৃঃ। [18]. আহমাদ হা/২২০১৭; সনদ হাসান। [19]. আলবানী, আহকামুল জানাইয, পৃঃ ১১৮ – فمثله حديثه حسن في الشواهد ولذلك قال الترمذي بعد أن خرج له من هذا الحديث أخذ الشمال باليمين حديث حسن فهذه ثلاثة أحاديث في أن السنة الوضع على الصدر ولا يشك من وقف على مجموعها في أنها صالحة للاستدلال على ذلك.। [20]. ইবনু হিববান হা/১৭৬৭; সনদ ছহীহ, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৮৭; ইবনু ক্বাইয়িম, তাহযীব সুনানে আবী দাঊদ ১/১৩০ – حَدِيث أَبِي حُمَيْدٍ هَذَا حَدِيث صَحِيح مُتَلَقًّى بِالْقَبُولِ لَا عِلَّة لَهُ وَقَدْ أَعَلَّهُ قَوْم بِمَا بَرَّأَهُ اللَّهMd Ali Tawhid Badi
- May 10
-
Attachment UnavailableThis attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
- May 10
-
Sheikh Zahid added a new photo.আগামী অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ঈসা (আঃ) আসমান থেকে অবতরন করবেন …………… মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “কেয়ামতের পুর্বে শ্যামের (সিরিয়ার) মুসলমানের রক্তে মানুষের টাকুনী পর্যন্ত (পায়ের গিরা) ডুবে যাবে” — সহী হাদিস এটি সিরিয়ার আলেপ্পোর একটি খাল, যেটি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে? এ ছবি ছাড়াও আমি অনেক ছবি দেখেছি, যে খানে সত্যিই সিরিয়ার মুমেন মুসলমানের রক্তে মানুষের টাকুনী ডুবে যাবে। আল্লাহু আকবর.. তার মানে এটি একটি বড় ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যে ইঙ্গিতের ইতিহাস দেড় হাজার বছর ধরে মুসলমানেরা বলে এসেছে।সহজ কথায় আমার গবেষনায় পরিস্কার, আগামী অল্প কয়েক বছরের মধ্যে ইসা (আঃ) সিরিয়ার সেই সাদা গম্বুজ থেকে মাগরিবের সময় নেমে মুসলমান জাতির কাছে পরিচয় করিয়ে দেবেন, ইনি্ই হচ্ছে তোমাদের নেতা ইমাম মাহদী (মুহাম্মদ) । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরশাদ করেন “ইমাম মাহদী হবেন আমার নামে(মুহাম্মদ)”। সহি হাদীস। কেন আমরা হক পথে আছি? মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “শ্যামের মুসলমানেরা প্রথমে প্রচন্ড মাইর খাবে পরে তারা বিজয় লাভ করবে” এর থেকে পরিস্কার সিরিয়ায় মাইর কারা খাচ্ছে, (১) দামেস্কে অবস্থিত আসাদ-শিয়া গ্যাং (২) রাকায় অবস্থিত দায়েশ (আইএস) (৩) নাকি আলেপ্পোতে অবস্থিত সত্যিকারের মুসলমানেরা, ৬০ লক্ষ বসতির আলেপ্পোর মুসলমানেরা ধ্বংশ স্তুপে পরিনত ও আলেপ্পোতে যারা প্রতিরোধ করছে সেই আহরার আস শাম? তাহলে একথা পরিস্কার, দেড় হাজার বছর পুর্বে রাসুল (সাঃ) এর ভবিষ্যৎ বানী অনুযায়ী আলেপ্পুবাসী তথা আহরার আস শামের মুজাহিদরাই সত্যিকারের মুমেন।যাদের সাহায্য আসবেন বর্তমান খ্রীষ্টান ধর্মের নবী ও আমাদেরও নবী হযরত ইসা (আঃ) ও পরিচয় প্রকাশ হবে ইমাম মাহদী নামের মুহাম্মদের। হে মজুসী শিয়া, কাফের, মুসরিক, মুনাফিক,নাস্তিকরা, তোমরা আল্লেপ্পোর রক্ত বন্য দেখে হেসো না? কারণ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “ইসা ইবনে মরয়িম কোন যিযিয়া (কর, বন্দীপন) গ্রহন করবেন না, হয় মুসলমান হও, না হয় কেটে দিখন্ডিত করে ফেলবেন” -সহী হাদিস। অনেক বেকুব প্রশ্ন করে, ইসলামী জোট কি করছে, সৌদি-তুর্কী কি করছে? সেই সব বেকুবরা জানেনা, বিশ্বের এক হাজারের অধিক গ্যাং আসাদকে গোপন পারমিশন দিয়েছে এই অর্তকিত হামলা করার জন্য? ইসলামিক জোটের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য স্বয়ং আমেরিকা-রাশিয়া এহামলা করিয়েছে?… ভিতরে ভিতরে কাফের, মুসরিক ও মুনাফিকরা(শিয়া) একত্রিত হয়েছে, সুতরাং এটাই রাসুল (সাঃ) ঘোষিত সেই সিরিয়ার মালহামা (বিশ্ব যুদ্ধ), যে যুদ্ধের চুড়ান্ত পরিনতি সমগ্র বিশ্ব ইসা (আঃ) ও ইমাম মাহদী (মুহাম্মদ) নেতৃত্বে মুসলমানরা দখল করে ফেলবে… ( সবাই শেয়ার করুন )Sheikh Zahid
-
(১) রাতের বেলা ঘুমানোর পূর্বে বিতির পড়ে ফেললে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়া যায়। (২) সিজদাহর সময় দুই কনুই মাটি থেকে উপরে রাখতে হয়, দুই পায়ের গোড়ালি একসাথে করে কিবলামুখী রাখতে হয়, নাক ও কপাল মাটিতে মিশিয়ে রাখতে হয়। এটা নারী ও পুরুষ সবার জন্যেই। (৩) নামাযের পূর্বে ৩-৪ হাত সামনে “সুতরা” অর্থাৎ, সিজদাহর জায়গার সামনে প্রায় একহাত সমান উঁচু কোন খুটি বা দেয়াল বা বাধা রাখা উচিত। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা সুন্নাহ যা সামনে দিয়ে মানুষ চলাচল বন্ধ রাখবে এবং মুসল্লীর দৃষ্টি ও মনোযোগ হেফাজত করে স্থির রাখতে সাহায্য করে। এমনকি ঘরে কোন মানুষ না থাকলেও নামাযের সময় সামনে সুতরা রাখা সুন্নাহ। (৪) নামাযী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অর্থাৎ যতটুকু সামনে পর্যন্ত সিজদাহ দিবে এই স্থানের মধ্যে দিয়ে কোন ব্যক্তি যাওয়ার চেষ্টা করলে নামাযরত অবস্থাতেই এই হাত দিয়ে বাধা দিতে হবে। এতে নামায ভাংবেনা। উল্লেখ্য কোন সাবালিকা নারী, গাধা কিংবা কালো কুকুর নামাযী ব্যক্তির সামনে দিয়ে পার হয়ে গেলে তার নামায ভংগ হয়ে যাবে। পুরুষ বা ছোট বাচ্চা যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে, তবে চলে গেলে নামায ভাংবেনা কিন্তু যারা যাবে তারা গুনাহগার হবে। (৫) নামাযে হাই আসলে আটকানোর চেষ্টা করতে হবে, না পারলে ডান হাত দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে। (৬) মনোযোগের জন্যে নামাযে চোখ বন্ধ রাখা ঠিক নয়, এটা মাকরুহ বা অপছন্দনীয় কাজ। চোখ থাকবে সামনে সিজদাহর স্থানের দিকে। (৭) ক্বুরান তেলাওয়াতের সময় সামনে পেছনে ঝুকে ঝুকে তাল দিয়ে পড়া যাবেনা। এটা ক্বুরান তেলাওয়াতের আদবের পরিপন্থী এবং ইহুদীদের স্বভাব। নামায সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে আপনারা শায়খ আব্দুল হামীদ ফাইজীর “সালাতে মুবাশশির” বইটা সংগ্রহ করুন।তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
- May 10
-
টাইম ম্যাগাজিনের অনুসারে ডা. জাকির নায়েক পৃথিবীর ১০০ জন শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালীর একজন ! ডা. জাকির নায়েক- একজন ক্ষীণকায় ব্যক্তি যার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড মূলত মেডিক্যাল সায়েন্সের যদিও তিনি ইসলাম প্রচারকেই তার পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। পৃথিবীর ১ নং ম্যাগাজিন “টাইম” তাকে ১০০ জন শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালীর তালিকায় উল্লেখ করেছেন। আর INDIA এখন তাকে সেই দেশের সেরা SPIRITUAL GURU বলে আখ্যা দিয়েছে।তিনি তার জীবনে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলাম গ্রহণ করিয়েছেন !!!!!!!!!!!! আলহামদুলিল্লাহ! তিনিই হলেন একমাত্র স্কলার যিনি লাইভ প্রশ্ন ও উত্তর পর্বের উত্তর দেন। এমনকি আমেরিকায় তার জনপ্রিয়তা এত বেশী যে যখন তিনি সেখানকার এয়ারপোর্টে গিয়েছিলেন তখন এয়ারপোর্টের কাস্টম অফিসাররা তাকে দেখেই চিনে ফেলে! জাকির নায়েককে দুবাই-এর বাদশাহ প্রাসাদ দিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি তা নেননি । তিনি বলেছিলেন I WANT INDIA. তিনি সবকিছু করেন আন্তইর্জাতিক মানের । তার ৪ টি পিস টীভীর চ্যানেল + IIS school + এখন MBA , MCA , MBBS COLLEGE ইনশাআল্লাহ খুব-ই শিঘ্রই যাদের কাজ শুরু হচ্ছে । তার সমর্থক আছে অনেক এবং সেই সাথে তার শত্রুও অনেক । আমাদের নবী(সা) এরও অনেক শত্রু ছিলেন । আসলে মানুষ যখন বিখ্যাত হয় তখন তার শত্রুর সংখ্যাও বেড়ে যায় । আর তিনি তো সাধারণ একজন ইসলামের অনুসারী মাত্র । আল্লাহ যেনো তাকে সফল করেন কারণ তিনি যে পথে চলেছেন সেটা কঠিন কিন্তু সঠিক পথ । আমীনAbdus Sattar
-
আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে সাইয়্যেদ কুতুব (রাহি) এর লেখা কিছু কথা। এই শতাব্দীর বড় বড় উলামাদের মাথাতেও এসব ঢুকছে না। শুধু স্যাবোটাজ করে আর অ্যাসাসিনেশানের মাধ্যমে যারা শরীয়ত কায়েম করবেন বলে ভাবছেন, তাদের পড়ার জন্য…. বইঃ মায়ালেম ফিত তারিক। অধ্যায়ঃ দ্বীন প্রতিষ্টার সঠিক উপায়। “ইসলামী জীবন বিধানের প্রতি যারা দাওয়াত দেবেন তাদের জেনে রাখা উচিৎ যে, তারা মানুষদের সর্বপ্রথম ইসলামের মৌলিক আকিদা বিশ্বাসের প্রতি পরিপুর্ন ঈমান আনয়নের জন্যই দাওয়াত দেবেন। যদিও যাদের দাওয়াত দেয়া হবে তারা সবাই নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করেন, সরকারী রেকর্ডপত্রে যদিও তাদের মুসলমান বলে উল্লেখ করা হয়, তবু ইসলামী বিধানের আহবায়করা প্রথমে মানুষদের বুঝিয়ে বলবেন যে, ইসলামের অর্থ হচ্ছে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-কে সঠিক তাৎপর্যসহ গ্রহন করা। কালেমার সঠিক তাৎপর্য হচ্ছে নিজের জীবনের সকল দিক ও বিভাগে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা। সমাজে, রাস্ট্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বিপরীতে যারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবী করে তাদের কর্তৃত্বসমুহকে সম্পুর্ণ অস্বীকার করা। ইসলামী আকিদা বিশ্বাসের এই মৌলিক তাৎপর্য গ্রহন করার পরই তাদের নিজেদের মন মস্তিষ্ক, জীবনযাত্রা এবং চালচলনে এ বিশ্বাসের প্রতিফলনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আজ ইসলামী জীবন বিধান পুনঃপ্রতিষ্টার আন্দোলন যারাই শুরু করুন না কেন তাদের এ বিষয়টি প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলামের প্রথম আন্দোলন ঠিক এভাবেই শুরু হয়েছিল। কোরআন নাযিলের মক্কী স্তরের দীর্ঘ তেরটি বছর শুধু এ বিষয়টিকেই দৃঢ়মূল করার কাজে ব্যায়িত হয়েছিল। যারা ইসলামী আন্দোলনের এই চরিত্র ও তাৎপর্য উপলব্ধি করার পর আন্দোলনে যোগদান করেন শুধু তাদের দলকেই সত্যিকার অর্থে ইসলামিক সংগঠন বা ইসলামি দল অ্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে। একমাত্র এই জামাত বা সমাজই সমষ্টিগত জীবনে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়িত করার যোগ্যতা রাখে। কারন, তারা স্বেচ্ছায় তাদের পরিপুর্ন জীবনের ওপর ইসলামী আদর্শকে প্রয়োগ করার সাথে সাথে এক ও অদ্বিতীয় অাল্লাহতায়ালা ব্যতীত অন্য কারো সার্বভৌমত্ব প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে যখন এই মৌলিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি সমাজ জন্মলাভ করবে এবং একমাত্র ইসলামী আদর্শই সে সমাজের ভিত্তি হিসেবে গৃহীত হবে, তখন সে সমাজ তার পারিপার্শ্বিক প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে ইসলামী বিধান প্রনয়ন করতে অগ্রসর হবে। ইসলামী জীবনাদর্শ প্রবর্তনের এটাই হচ্ছে বাস্তবধর্মী ও বিজ্ঞানসম্মত কর্মপন্থা। ইসলামী জীবনাদর্শে এই বৈশিষ্ট্য যারা উপলব্ধি করতে পারেনি, তাদের এক নিষ্ঠাবান শ্রেনীর লোকও এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করেন। তারা বুঝেন না যে, মহাজ্ঞানী আল্লাহতায়ালা তার দ্বীন প্রতিষ্ঠার যে পদ্ধতি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তার মধ্যেই প্রকৃত কল্যান নিহিত রয়েছে। তারা মনে করেন যে, ইসলামী আদর্শের নীতি ও আইন বিধান সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করলেই বুঝি তারা স্বতপ্রনোদিত হয়ে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্টার জন্যে অগ্রসর হবেন। প্রকৃতপক্ষে এটা হচ্ছে তাড়াহুড়ো করে কিছু একটা করে ফেলার মনোভাব সম্পন্ন লোকদের কিছু কাল্পনিক ধারনা। এধরনের কোনো ধারনা যদি রাসুলে কারীম(স) কে দেয়া হত এবং তিনি যদি ভৌগলিক জাতীয়তা, অর্থনৈতিক বিপ্লব অথবা সংস্কারবাদী কোন আন্দোলনের দিকে জনগনকে ডাক দিতেন তাহলে তাঁর কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যেত। কিন্তু তিনি সে পথ গ্রহন করেন নি। ইসলামী জীবনাদর্শের বিস্তারিত আইন-কানুন সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করে তাদেরকে এদিকে আকৃষ্ট করার আগে তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা অত্যন্ত জরুরী। আল্লাহর কাছে পরিপুর্ন করা ও অন্যান্য মানবীয় দাসত্ব গ্রহনে অস্বীকৃতির ফল হিসেবে আল্লাহর শরীয়তের প্রতি তার মনে একটা গভীর ভালবাসা সৃষ্টি হবে, এটা এজন্য নয় যে, অন্যান্য বিধানের তুলনায় আল্লাহর বিধানের শ্রেষ্টত্ব সে বিশ্বাস করে। এ বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মানবরচিত বিধানের তুলনায় সর্বতোভাবে শ্রেষ্ট। কারন, এ বিধান স্বয়ং আল্লাহ রচিত। কিন্তু এই শ্রেষ্টত্বই কখনো ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তি হতে পারে না। এর ভিত্তি হবে বিনা দ্বিধায় শরীয়তে ইলাহীকে গ্রহন করা এবং শরীয়ত বহির্ভুত বিধানকে সরাসরি বর্জন করা। এটাই ইসলামের সঠিক তাৎপর্য এবং এ ছাড়া অন্য কিছুই ইসলাম নয়। ইসলামের মুল ভিত্তির প্রতি যে আকৃষ্ট তাকে একটি একটি করে ইসলাম ও অন্যান্য বিধানের বিস্তারিত পার্থক্য বুঝানোর কোন প্রয়োজনই হবে না। সত্যিকার অর্থে ঈমানের মুলকথাও এটাই।Rowshon Kabir
-
হিজৰী চনৰ ৮ ম মাহ হৈছে শ্বাবান মাহ । ইয়াৰ পাছতেই আহে বছৰৰ শ্ৰেষ্ঠ মাহ ৰমজান । আমাৰ প্রিয় নবী (ছ:) য়ে ৰমজানৰ প্ৰস্তুতি স্বৰূপ শ্বাবান মাহত আন মাহৰ তুলনাত বেছি ৰোজা ৰাখিছিল ৷ আয়িশ্বা (ৰাঃ) য়ে কৈছে , মই ৰছূল (ছঃ) ক ৰমজানৰ বাহিৰে আন কোনো মাহত সম্পূর্ণ মাহ ৰোজা ৰখা দেখা নাই। আৰু মই শ্বাবান মাহতকৈ আন কোনো মাহত ৰছূল (ছঃ) ক বেছি ৰোজা ৰখা দেখা নাই (বুখাৰী)। গতিকে শ্বাবান মাহত আমিও ৰছুল (ছ:)ৰ ছুন্নত অনুযায়ী বেছি বেছি ৰোজা ৰাখিব লাগে । কিন্তু মূল বিষয় হৈছে, বর্তমান সময়ত আমাৰ দেশৰ অধিকাংশ মানুহৰ মাজতেই শ্বাবান মাহ সম্পৰ্কে ভুল ধাৰণা আছে । বিশেষকৈ সমাজত প্ৰচলিত আছে যে, শ্বাবান মাহৰ ১৪-১৫ তাৰিখে ৰোজা ৰখা তথা নফল নামাজ পঢ়া দেখা যায় যদিও ৰছুল (ছ) ৰ পৰা এই বিষয়ে কোনো ছহীহ হাদিছ পোৱা নাযায় । এই ৰাতিক আমাৰ দেশৰ পৰিভাষাত শ্ববে বৰাত বুলি কোৱা হয় । এই ৰাতি সম্পৰ্কে কিছুমান মানুহৰ ভুল ধাৰণা হল যে : ১) শ্ববে বৰাত পালনকাৰী সকলৰ বক্তব্য হল , শ্ববে বৰাতৰ ৰাতি কোৰআন নাজিল হৈছে । ২) শ্ববে বৰাতৰ ৰাতি উপলক্ষে আল্লাহে দুনিয়াৰ আকাশলৈ নামি অহাৰ ধাৰণা । – এনেকুৱা কোনো কথা কোৰআন বা ছহীহ হাদিছত পোৱা নাযায় । ছহীহ হাদিছৰ বৰ্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ তাআলা প্ৰতি ৰাতিৰ শেষ তৃতীয়াংশত দুনিয়াৰ আকাশলৈ নামি আহে আৰু কয় , “ কোনোবাই ক্ষমা বিচাৰি আছে নে ? যাক মই ক্ষমা কৰি দিম । এনেদৰে প্ৰতি ৰাতিয়েই আল্লাহ ক্ষমা কৰিব বুলি ঘোষণা কৰি থাকে । (বুখাৰী , হাদিছ নং ১০৯৪, মুছলিম ,হাদিছ নং ১৬৮) ৩) এই ৰাতি মানুহৰ ভাগ্য লিখা হয় বুলি ধাৰণা । – সিহঁতৰ এই ধাৰণাও ঠিক নহয় । এই কথাষাৰৰ পক্ষে কোৰআন হাদিছৰ কোনো দলিল নাই । ছহীহ হাদিছত ৰছুল (ছঃ)য়ে কৈছে , আছমান , জমীন সৃষ্টিৰ ৫০ হজাৰ বছৰ আগতেই আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টিৰ সকলো বস্তুৰ ভাগ্য লিখি ৰাখিছে । (ছহীহ মুছলিম) ☞ শ্ববে বৰাত উপলক্ষ্যে সমাজত প্রচলিত কিছুমান বিদআত : ১) এই ৰাতি ১০০ ৰাকাত নামাজ পঢ়া হয়। – এই একশ ৰাকাত নামাজৰ যিমান হাদিছ আছে , সকলোবোৰেই জাল আৰু বনোৱা । এই নামাজ সম্পৰ্কে ৰছুল (ছঃ) ৰ পৰা কোন ছহিহ হাদিছৰ দ্বাৰা প্ৰমাণিত নহয় । ইছলামত এই ধৰনৰ নামাজ পঢ়াৰ নিয়ম কানুন সম্পুৰ্ণ নতুন আৱিষ্কৃত বিদআত । এই সম্পর্কে সৰ্বযুগৰ আলিম সকল একমত । কাৰণ এই নামাজ ৰছুল (ছঃ) বা খুলাফায়ে ৰাশ্বিদীন সকলে কেতিয়াও পঢ়া নাই । ১০০ ৰাকাত নামাজ পঢ়াৰ বিদআতটো সৰ্বপ্ৰথম প্রচলিত হয় জেৰুজালেমৰ বাইতুল মুকাদ্দাছ মছজিদত ৪৪৮ হিজৰীত । ইমাম মাকদেছী (ৰহঃ) ইয়াক ( ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺒﺎﻋﺚ ﺍﻧﻜﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﻮﺍﺩﺙ ﺍﻟﺒﺪﻉ ১২৪-১২৫) ত উল্লেখ কৰিছে । ২) এই ৰাতি হালুয়া ৰুটি খোৱা হয় ৷ – শ্ববে বৰাত উপলক্ষে ঘৰে ঘৰে হালুয়া ৰুটি খোৱাৰ প্রতিযোগিতা লাগি যায় । সিহঁতৰ অভিমত , সিদিনা ভাল খাব পাৰিলে গোটেই বছৰ ভালকৈ খাব পাৰিব । কোনবাই , এই দিন ওহুদ যুদ্ধক লক্ষ কৰি শ্বহীদসকলৰ বাবে সমবেদনা জনায় । আমি জানো , ওহুদৰ যুদ্ধত কাফিৰ বিলাকৰ আক্রমনত মহানবী (ছঃ) ৰ দাঁত ভাঙ্গি গৈছিল । কিন্তু সেইটো শ্বাবান মাহত হোৱা নাই । বৰং ওহুদ যুদ্ধ হৈছিল ৩ য় হিজৰী চনৰ শ্বাৱাল মাহৰ ৭ তাৰিখে । তেন্তে এই সমবেদনা শ্বাবান মাহৰ ১৫ তাৰিখ কেনেকৈ কৰা হয় ? ৩) সেইদিনা মীলাদ আৰু যিকিৰ কৰা দেখা যায় ৷ – শ্ববে বৰাত উপলক্ষে মছজিদ , খানকাহ , দৰগাহ বোৰত আৰম্ভ হয় মিলাদে মাহফিল আৰু চলি থাকে খোৱাৰ অনুষ্ঠান । চলি থাকে বিদআতি পন্থাত যিকিৰৰ মজলিছ । এই কামবোৰ দ্বীনৰ মাজত বিদাতৰ বাহিৰে আন একো নহয় । ৪) শ্ববে বৰাতৰ ৰোজা ৰখা হয় ৷ – ৰছুল (ছঃ) আৰু তেখেতৰ ছাহাবাসকলৰ পৰাও শ্ববে বৰাত উপলক্ষে ৰোজা ৰখাৰ কোন দলিল পাৱা নাযায় । কিন্তু আন আন মাহৰ দৰে এই মাহতো সপ্তাহৰ প্ৰতি সোমবাৰ , বৃহস্পতিবাৰ , প্ৰত্যেক মাহৰ ১৩,১৪,১৫ তাৰিখ আৰু কোনবাই যদি একলেঠাৰিয়ে ৰোজা ৰাখিব খোজে তাৰ বাবে ৰোজা ৰখা ছুন্নত । কিন্তু শ্ববে বৰাত উপলক্ষে ১৪ আৰু ১৫ তাৰিখে ৰোজা ৰখা বিদাত ৷ এই সম্পৰ্কলৈ আলিম সকলৰ মতামত :- আল্লামা আব্দুল আযীয ইৱনে বায (ৰহঃ) লৈ শ্বাবানৰ ৰাতি সমপৰ্কৰে প্ৰশ্ন কৰা হৈছিল , “এই ৰাতি কোন বিশেষ নামাজ আছে নে ? উত্তৰত তেওঁ কলে , অৰ্ধ শ্বাবানৰ ৰাতি সম্পৰ্কে এটাও ছহীহ হাদিছ পোৱা নাযায় । এই সম্পর্কে বৰ্ণিত সকলো হাদীছেই জাল , জইফ , যিবোৰৰ কোন ভিত নাই । আৰু এই ৰাতি এনেকুৱা এটা ৰাতি যাৰ কোনো বেলেগ মৰ্য্যাদা নাই । সেইৰাতি বেছিকৈ কুৰআন পঢ়া , অকলে বা গোট বান্ধি নামাজ পঢ়া নাযাব । (চাওঁক , ইৱনে বায (ৰঃ)ৰ ফতোয়া ছিৰিজ , ১ম ভাগ ) ইমাম আলবানী (ৰহঃ) কৈছে অৰ্ধ শ্বাবানৰ ফজীলতৰ বহুত দুৰ্বল হাদিছ আহিছে । (ছিলছিলায়ে ছহীহা , হাদিছ নং ১১৪৪) কিন্তু তেখেতে এই ৰাতিক বিশেষ কোনো ইবাদত কৰাক বিদআত বুলি কৈছে আৰু কঠোৰ ভাষাৰে তাৰ প্ৰতিবাদ কৰিছে । (চাওঁক , আলবানীৰ ফতোয়া ছিৰিজ ) মুছলিম জাতিৰ উচিত যে , এই বিদআতৰ পৰা বিৰত থকা । পৰিতাপৰ বিষয় এই যে , বহুতেই ইয়াক বিদাতে হাছানাহ বুলি কয় । আচলতে বিদাতে হাছানাহ বুলি একো বস্ত নাই । ইছলামৰ নামত বনোৱা সকলো বিদাতেই গুমৰাহী, বিদাতে হাছানাহ বুলি কোনো বিদাতৰ অস্তিত্ব নাই । ৰছুল (ছঃ) য়ে কৈছে , “প্ৰতিটো বিদআতই পথভ্ৰষ্ট আৰু প্ৰতিটো পথভ্ৰষ্টতাৰ পৰিণাম জাহান্নাম ( ছুনান নাছাই) । ইবনে উমাৰ (ৰাঃ) য়ে কৈছে “ সকল বিদাতিয়েই পথভ্ৰষ্টতা, যদিও মানুহসকল তাক উত্তম বুলি কয় ।”অসমত ইচলাম প্ৰচাৰ -Q.A
-
“জরুরী একটি হাদিস এবং আমাদের করনীয়” ~দয়া করে সবাই শেয়ার করুন~ শেষ ভাষনের সময় নবী মুহাম্মদ(সাঃ)-এর সম্মুখে এক লক্ষের অধিক সাহাবী উপস্থিত ছিলেন। নবী মুহাম্মদ(সাঃ) তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেছিলেনঃ “আজ যারা এখানে উপস্থিত আছ তাদের দায়িত্ব হল, যারা এখানে উপস্থিত নাই বা অনুপস্থিত আছে তাদের কাছে আমার বানী পৌছিয়ে দেওয়া বা আমার বানী পৌছিয়ে দিও।” ***বুখারীঃ ৬৭। উপরোক্ত হাদিস অনুসারে যে সকল মুসলমান/দ্বীনি ভাই/বোনেরা কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান রাখেন তাদের দায়িত্ব হল, যে সকল মুসলমানরা কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান রাখেন না- তাদের কাছে কুরআন ও হাদিসের বানী পৌছিয়ে দেও্য়া। আর এর মাধ্যম হতে পারেঃ মৌখিকভাবে, লেখনীর মাধ্যমে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে, ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থাৎ যে কোন উপায়ে। দ্বীন-ইসলামের কর্মী হিসাবে এটা আমাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আসুন, আমরা সাধ্যমত আল্লাহ ও রাসুল(সাঃ)-এর বানী ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দিয়ে বাতিলকে বিতাড়িত করি এবং বিচারের দিন বা কিয়ামতের দিন নবী মুহাম্মদ(সাঃ)-এর সুপারিশ(মহান আল্লাহর অনুমতিক্রমে) লাভের জন্য সচেস্ট হই।জান্নাতুল ফেরদাউস
- May 11
-
সুন্নাহ চালু করি, বিদাআত বর্জন করি । ♦কুরআন-সুন্নাহর দলিল ব্যতিত বান্দার (রহ:) লিখা কিতাব বা মতামতকে অন্ধ অনুসরণ করায় ইসলামে কিছু ‘বিদাআত’ প্রবেশ করে কিছু সুন্নাহ উঠে গেছে !!! কারণ ‘বিদাআত, সুন্নাহর বিপরীত’। বিদাআত অভিশপ্ত । (বুখারী:৬৭৯০) এর কিছু বর্তমান উদাহরণ নিচে দেওয়া হল। যাচাই করে সঠিক হলে আসুন পুনর্জীবিত করি !! ♦সলাতে প্রত্যেকে পার্শ্ববর্তী ব্যাক্তির #কাঁধে_কাঁধ_পায়ে_পা মিলাতে হয় । (সহি বুখারী:৬৮৯ ২য় খন্ড)।। ♦ঈমামের পিছনে #সুরা_ফাতিহা পাঠ না করলে তার সলাত হবে না (ওয়াজিব):-তিরমিঝি, নাসাঈ, বুখারী,মুসলিম,ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ:৮২৩। ♦সলাতে #জোরে_আমীন বলার দলিল:-আবু দাউদ:৯৩২,৯৩৩, ৯৭২, ১/১৩৪-১৩৫, ১৪০পৃ: ,তিরমিঝি:২৪৮, ১/৫৭-৫৮পৃ:। বুখারী:৭৮০, ৭৮২, ১/১০৭-১০৮পৃ:। মুসলিম:৯৪২, ১/১৭৬। ♦সলাতে #রাফউল_ইয়াদান করার দলিল:-ছহীহ বুখারী:৭৩৫, ৭৩৬, ৭৩৮, ৭৩৯, ছহীহ মুসলিম:৮৮৭,৮৮৮,৮৮৯,৮৯০,৮৯১ ১/১৬৮পৃ: আবু দাউদ:৭৪৪, ১/১০৯পৃ: মিশকাত:৭৯৪, ৭৯৫। ♦সলাতে #বুকের_উপর_হাত বাঁধার দলিল:- ছহীহ বুখারী:৭৪০, ১/১০২পৃ: সহিহ মুসলিম:৯২৩, ১/১৭৩পৃ: মিশকাত:৭৯৮ ১/২৪৯পৃ: বুখারী শরীফ:৭০৪( ইসলামিক ফা: ঢাকা,২/১০২পৃ: ২০১২সাল)। ♦সলাতে আত্যাহিয়াতু পড়ার সময় #আঙ্গুল_নাড়ানোর দলিল:- মুসলিম:২১৬পৃ: ২য়খন্ড, আবু দাউদ:১৪২পৃ: নাসাই ১৮৭পৃ: মিশকাত ৮৫পৃ: ২য় খন্ড। ♦#তারাবির_সলাত ৮+৩=১১ রাকাত সুন্নত, তবে ২০ রাকাত না জায়েজ নয়! →→কারন নবী(স) বলেন,”তোমরা সলাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখেছ”(বুখারী:)→→ ♦এ রূপ সলাতের পর সম্মিলিত মোনাজাত; দরূদ, ইলিয়াছি তবলিগ, মৃতদের জন্য করণীয়, পীর তরিকা, বান্দার তৈরী মাঝহাব প্রচলন ইত্যাদির দ্বারাও অনেক সুন্নাহ উঠে গেছে। নবী করিম(স) বলেন, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে পুনর্জীবিত, করল সে আমাকে ভালবাসল; আর যে আমাকে ভালবেসেছে; সে আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে!” (তিমিঝি:৪১/২৬২৭)। লক্ষ্য করি! পোষ্টটি সত্য উম্মোচনের লক্ষ্যে উত্তাপিত হল !! কোন বান্দাকে ছোট করার জন্য নয়। কেউ মনে কষ্ট পেলে আমি দঃখিত। ———————————–> ইসলাম ই সমস্ত সমস্যার সমাধান । #বিঃদ্রঃ এখানে সব দলিলসহ উল্লেখ করা আছে । তাই, এগুলোকে মিথ্যা বলে মনে করা কারোর কোনো সুযোগ নেই ।Jahid Mirda
- May 11
-
মুহাম্মাদ (সা.) কি এক রাতে নয় জন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতেন? লিখেছেন সাদাত ইসলাম-বিদ্বেষীদের খুব প্রিয় মুখরোচক একটি অভিযোগ হচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একরাতে নয় জন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতেন। এই লেখাতে আমরা সেই অভিযোগকে যাচাই করে দেখবো। প্রথমে নিচের হাদিসটা দেখুন- আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাতে তাঁর সব স্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতেন এবং সই সময় তার নয় জন স্ত্রী ছিল। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৮৪, ইংরেজি: ১।৫।২৮২, সুন্নাহ.কম: ৫।৩৬] খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, একজন দায়িত্বশীল স্বামীর জন্য তার সব স্ত্রীদের সাথে দিনে/রাতে একবার সাক্ষাত করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা দাঁড়ালো ইংরেজি অনুবাদক যখন এ সংক্রান্ত অন্য দুটি হাদিসের অনুবাদে ব্র্যাকেটে এই সাক্ষাতকে ‘have sexual relation with’ দ্বারা ব্যাখ্যা করলেন: Narrated Anas: The Prophet I used to go round (have sexual relations with) all his wives in one night, and he had nine wives. [Bukhari Vol.7, Book 62, No.: 6] Narrated Anas bin Malik: The Prophet used to pass by (have sexual relation with) all his wives in one night, and at that time he had nine wives. [Bukhari Vol.7, Book 62, No.: 142] ইংরেজি অনুবাদক সম্ভবত প্রভাবিত হয়েছেন নিচের হাদিস দ্বারা: কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত: আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, “নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দিনে এবং রাতে চক্রাকারে তাঁর সকল স্ত্রীদের সাথে সাক্ষাত করতেন এবং তাঁরা সংখ্যায় এগারো জন ছিলেন।” আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম, “নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কি এই পরিমাণ শক্তি ছিল? আনাস (রা.) উত্তর দিলেন, “ আমরা বলতাম যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ত্রিশ জনের শক্তি দান করা হয়েছে।” আর সাঈদ কাতাদা (রা.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, আনাস (রা.) তাঁকে শুধু নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৬৮, ইংরেজি: ১।৫।২৬৮, সুন্নাহ.কম: ৫।২১] যদিও এই হাদিসেও সহবাসের কোন উল্লেখ নাই, তবুও যেহেতু শক্তির প্রসঙ্গ এসেছে তাতে হয়ত ইংরেজি অনুবাদক ধরে নিয়েছেন এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকে বুঝানো হয়েছে। কেননা সহবাসের ক্ষেত্রেই শক্তির প্রসঙ্গ আসতে পারে, শুধু সাক্ষাতের ক্ষেত্রে শক্তির প্রসঙ্গ আসার কথা না। আমি যদিও নিশ্চিত নই যে আসলেই আনাস বিন মালিক (রা.) এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকে বুঝিয়েছেন কিনা কেননা সেক্ষেত্রে তিনি সরাসরি সহবাসের কথা উল্লেখ করলেই পারতেন; তথাপি তর্কের খাতিরে ধরে নিচ্ছি আসলেই আনাস বিন মালিক (রা.) এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকেই বুঝাতে চেয়েছেন। এবার আসুন হাদিসটা একটু ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করি। খুব সঙ্গত প্রশ্ন হচ্ছে: আনাস বিন মালিক (রা.) এই কথা কার কাছ থেকে শুনেছেন, স্বয়ং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হতে, না তাঁর কোন স্ত্রীর নিকট হতে? এই হাদিসে এ-সম্পর্কে কোন বক্তব্য নাই। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর স্ত্রীগণ ব্যতিত অন্য কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী সাক্ষাতকালে সহবাস করেছিলেন কিনা। কাজেই আমরা যুক্তিসংগত ভাবেই ধরে নিতে পারি যে, যদি আনাস বিন মালিক (রা.) এই হাদিসে সহবাসকেই ইঙ্গিত করে থাকেন- তবে সেটা তার নিজস্ব ধারণা। সেই ধারণা ঠিকও হতে পারে, বেঠিকও হতে পারে। তবে আমরা খুব দৃঢ়তার সাথেই এই ধারণাকে ভুল বলতে পারি। কেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য পর্যায়ক্রমে একদিন/একরাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। এটা সুবিদিত এবং এ সংক্রান্ত হাদিসের কোন অভাব নেই, উদাহরণ হিসেবে নিচের হাদিসটি পেশ করা হলো: যখনই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সফরে যেতে চাইতেন, তিনি লটারি করতেন যে কোন স্ত্রী তার সঙ্গী হবে। যার নাম আসতো তিনি তাকেই নিতেন। তিনি তাদের প্রত্যেকের জন্য একদিন এবং একরাত নির্দিষ্ট করে দিতেন। কিন্তু সাওদা বিনতে জামআ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর স্ত্রী আয়শা(রা.)-কে তার (ভাগের) দিন এবং রাত দান করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে খুশি করার জন্য। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৫৯৩, ইংরেজি অনুবাদ: ৩।৪৭।৭৬৬, সুন্নাহ.কম: ৫১।২৭] দিন-রাত বণ্টনের এই বিষয়টিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এতটাই গুরুত্ব দিতেন যে অসুস্থ মৃত্যুপথযাত্রী অবস্থায়ও স্ত্রীদের অনুমতি ব্যতিত তিনি এর অন্যথা করেন নাই: আয়শা (রা.) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থতার সময় তাঁর স্ত্রীদেরকে ডাকালেন। তাঁরা একত্রিত হলে তিনি বললেন: ‘আমি তোমাদের সকলের সাথে সাক্ষাত করতে অক্ষম। তোমরা যদি আমাকে আয়শার সাথে অবস্থান করার অনুমতি দিতে মনস্থ করো, তবে দিতে পারো।’ কাজেই তাঁরা তাকে অনুমতি দিলেন। [সূত্র: সুনান আবু দাউদ, আরবী: ১২।২১৩৭, ইংরেজি অনুবাদ: ১১।২১৩২, সুন্নাহ.কম: ১২।৯২] কাজেই এক স্ত্রীর জন্য বরাদ্দকৃত সময়ে তিনি অন্য স্ত্রীদের সাথে সহবাস করবেন, এটা কিছুতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে কি- যে দিন এক স্ত্রীর পালা আসতো, সেদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্য কোন স্ত্রীর সাথে সাক্ষাতও করতেন না? অবশ্যই করতেন, নিশ্চয়ই করতেন এবং প্রত্যেকের সাথেই সাক্ষাত করতেন। কিন্তু অন্য কোন স্ত্রীর সাথে ঐ দিনে/রাতে সহবাস করতেন না। না এটা আমার গলাবাজি নয়, আমার ব্যক্তিগত কোন ধারণাও নয়, বরং একেবারে ঘরের মানুষের মুখের কথা। শুনুন তাহলে- হিশাম ইবনে উরওয়াহ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন: আয়শা (রা.) বলেন: হে আমার ভাতিজা! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমাদের সাথে তার অবস্থানের সময়কে ভাগ করার ব্যাপারে আমাদের কোন একজনকে অন্য জনের ওপর প্রাধান্য দিতেন না। এটা খুব কমই হতো যে কোনদিন তিনি আমাদের সাক্ষাত দেন নাই। তিনি সহবাস ব্যতিরেকে প্রত্যেক স্ত্রীর কাছে আসতেন যতক্ষণ না যার দিন ছিল তার কাছে পৌঁছতেন এবং তার সাথে রাত কাটাতেন। [It was very rare that he did not visit us any day (i.e. he visited all of us every day). He would come near each of his wives without having intercourse with her until he reached the one who had her day and passed his night with her.] [সূত্র: সুনান আবু দাউদ (হাদিসের প্রাসঙ্গিক অংশ), আরবী: ১২।২১৩৫, ইংরেজি অনুবাদ: ১১।২১৩০, সুন্নাহ.কম: ১২।৯০] নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর একেবারে ঘরের মানুষ আয়শা (রা.) এঁর এই বক্তব্যের পর, অন্য কারো বক্তব্য বা ধারণার আর কোন সুযোগ অবশিষ্ট থাকে না। কাজেই এক রাতে নয় জনের সাথে সহবাস করার গল্পটা একেবারেই ভিত্তিহীন।Jobrul Miah
- May 11
-
যারা ‘কিয়াস’ (قَاسَ) কে শরীআতের অপর একটি উৎস হিসাবে দাবী করেন, তারা ইবলিসের কাজ করেন। না ভাই, আমার উপর রাগ করবেন না, এটা বলেছেন হাসান বাসরী (রহঃ), ইবনে সিরিন (রহঃ) এমনকি আপনাদের ঘরের ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)। ►হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, قَاسَ إِبْلِيسُ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ قَاسَ ‘কিয়াসের মধ্যে সর্বপ্রথম কিয়াস হল ইবলিসের কিয়াস’। তাফসীর ইবনু কাসীর ৩/৩৫৩, সুরা আরাফ আয়াত ১২-১৫ এর ব্যাখ্যা, ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন, ‘إِسْنَادُهُ صَحِيحٌ’ ; তাফসীর তাবারী ১২/৩২৭, ১৪৩৫৬। ►ইবনে সিরিন (রহঃ) বলেন, أَوَّلُ مَنْ قَاسَ إِبْلِيسُ ‘ইবলিসই সর্বপ্রথম কিয়াসকারী’। মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৩৫৮০৬; সুনান দারেমী ১৯৫, মুহাক্বীক্ব ‘حسين سليم أسد الداراني’ বলেছেন ‘إسناده جيد’ ‘ইহার সনদ শক্তিশালী’। (দেখুন তাহক্বীক্ব সুনান দারেমী, মুহাক্বীক্ব – حسين سليم أسد الداراني, ১/২৮০, ১৯৫); তাফসীর ইবনু কাসীর ৩/৩৯৩, ইবনু কাসির (রহঃ) বলেছেন ‘إِسْنَادٌ صَحِيحٌ أَيْضًا’ ; তাফসীর তাবারী ১২/৩২৭, ১৪৩৫৫ ►ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-কে উদ্দেশ্য করে জা’ফর বিন মুহাম্মাদ বিন ‘আলী বলেছেন أَوَّلَ مَنْ قَاسَ إِبْلِيسُ ‘ইবলিসই সর্বপ্রথম কিয়াসকারী’। (মুসনাদ আবু হানিফা রেওয়াত আবী নুয়াইম, ১/৬৬) তাই আর ‘কিয়াস’ , ‘কিয়াস’ করে লাফিয়ে নিজের পরিচয় দেবেন না ভাই।আল্লাহর গোলাম আনিসুল