2]-fb.mess-best salaf

 

  • Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin added a new photo.
    লাল দস্তরখান খাবার খাওয়ার কি কোন ফযীলত সাহিহ হাদিসে বর্নিত আছে ? দস্তরখান ছাড়া চেয়ার টেবিলে বসে খাবার খাওয়া কি সঠিক ? —————————————————– আমাদের দেশের ধার্মিক মানুষদের মধ্যে প্রসিদ্ধ একটি ‘সুন্নাত’ হলো লাল দস্তারখানে খানা খাওয়া। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) কখনো লাল দস্তরখান ব্যবহার করেছেন, অথবা এইরূপ দস্তরখান ব্যবহার করতে উৎসাহ দিয়েছেন বলে কোনো সহীহ বা যয়ীফ হাদীস দেখা যায় না। এ বিষয়ে অনেক বানোয়াট কথা প্রচলিত। এইরূপ একটি বানোয়াট কথা নিম্নরূপঃ “হযরত রাসূলে মকবুল (ﷺ) ….লাল দস্তরখান ব্যবহার করা হতো। …..যে ব্যক্তি লাল দস্তরখানে আহার করে তার প্রতি লোকমার প্রতিদানে একশ করে ছাওয়াব পাবে এবং বেহেস্তের ১০০টি দরজা তার জন্য নির্ধারিত হবে। সে ব্যক্তি বেহেশতের মধ্যে সব সময়ই ঈসা(আ) ও অন্য নবীদের হাজার হাজার সালাম ও আশীর্বাদ লাভ করবে….। এরপর হযরত কসম খেয়ে বর্ণনা করলেন, কসম সেই খোদার যার হাতে নিহিত রয়েছে আমার প্রাণ; যে ব্যক্তি লাল দস্তরখানে রুটি খাবে সে এক ওমরা হজ্জের সাওয়াব পাবে এবং এক হাজার ক্ষুধার্তকে পেট ভরে আহার করানোর সাওয়াব পাবে। সে ব্যক্তি এত বেশি সাওয়াব লাভ করবে যেন আমার উম্মাতের মধ্যে হাজার বন্দীকে মুক্ত করালেন…….।” এভাবে আরো অনেক আজগুবি, উদ্ভট ও বানোয়াট কাহিনী ও সাওয়াবের ফর্দ দেওয়া হয়েছে। (শায়খ মাঈন উদ্দীন চিশতী, আনিসুল আরওয়াহ পৃ. ৩০-৩১)। ০০০০০০০০০০০০০ দস্তরখান সম্পর্কে আরো অনেক ভুল বা ভিত্তিহীন ধারণা আমাদের মধ্যে বিদ্যমান। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দস্তরখান ব্যবহার করতেন। তবে তা ব্যবহার করার নির্দেশ বা উৎসাহ তাঁর থেকে সহীহ সনদে বর্ণিত হয় নি। দস্তরখান ছাড়া খাদ্যগ্রহণের বিষয়ে তিনি কোনো আপত্তিও করেন নি। কিন্তু আমরা সাধারণত দস্তরখানের বিষয়ে যতটুকু গুরুত্ব প্রদান করি, কুরআন ও হাদীসে নির্দেশিত অনেক ফরয, বা নিষিদ্ধ অনেক হারামের বিষয়ে সেইরূপ গুরুত্ব প্রদান করি না। এছাড়া রাসূলুল্লাহ (ﷺ) দস্তরখান ব্যবহার করতেন বলে আমরা বুঝি যে, তিনি আমাদের মত দস্তরখানের উপর থালা, বাটি ইত্যাদি রেখে খাবার খেতেন। ধারণাটি সঠিক নয়। তাঁর সময়ে চামড়ার দস্তরখান বা ‘সুফরা’ ব্যবহার করা হতো এবং তার উপরেই সরাসরি-কোনোরূপ থালা, বাটি, গামলা ইত্যাদি ছাড়াই-খেজুর, পনির, ঘি ইত্যাদি খাদ্য রাখা হতো। দস্তরখানের উপরেই প্রয়োজনে এগুলি মিশ্রিত করা হতো এবং সেখান হতে খাদ্য গ্রহণ করা হতো। (বুখারী, আস-সহীহ ৫/২০৫৯)। —-বই- হাদিসের নামে জালিয়াতী
    Shahanaj Amin
  • May 1
  • Sogood Islam Syeds

    5/1, 1:26pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds

    5/1, 2:12pm

    Sogood Islam Syeds

    ইছলামিক জ্ঞানী (আলিম) প্রধানতঃ তিনি প্রকাৰ। বৈষম্যমূলক শিক্ষাৰ কাৰণে আলিমসকলৰ মাজত এই বিভক্তি। ইয়াতে মুছলিমসকল বহু দলত বিভক্ত হৈ এজনে আনজনৰ বিৰোধিতাত লিপ্ত আছে। ১)মাজহাবী আলিম (জ্ঞানী) আমাৰ দেশত তেওঁলোকক কওমী মাদ্রাছাত ১৬ বছৰৰ ভিতৰত ১৫ বছৰ কাল বান্দাৰ (ৰহঃ) লিখা ভুলেৰে ভৰা Note book (কিতাব) পঢ়োৱা হয়। ১৬তম বছৰত ৫০-৬০,০০০ হাদীছৰ কিতাব পঢ়োৱা হয়¸ যিসমূহ আলিমসকলে মনত ৰাখিবও নোৱাৰে। এওঁলোকৰ বেছিভাগ পীৰ-তৰিকা, আওলিয়াসকলৰ গল্প, মাজহাব, তাবিজ-কবজ ইত্যাদিত পাৰদর্শী হয়। কিছুমান আলিম কম চিন্তাশীল, বিদাতী, শ্বির্কী আৰু অশ্লীল বাক্য বিনিময়ত আসক্ত হয়। এওঁলোকৰ licence আছে, reference নাই। এওঁলোক সংখ্যাত সর্বাধিক হয়। ২) কুৰআন-ছুন্নাহভিত্তিক আলিম(জ্ঞানী) এওঁলোকে ১৫ বছৰ হাদীছ পঢ়ে- [১ বছৰ=৪০ হাদীছ (আৰবাইন)। ২ বছৰ=বুলুগুল মাৰাম। ২ বছৰ →মিশকাত। ৪ বছৰ →সোনালী আৰবাহ। ২ বছৰ →বুখাৰী, মুছলিম। ৪ বছৰ →মদিনাত হাদীছ গৱেষণা]। মুঠ ১৫ বছৰেই হাদীছ পঢ়োৱা হয়। সেইকাৰণে এওঁলোক কুৰআন আৰু ছুন্নাহত অধিক পাৰদর্শী হয় আৰু তেনেদৰে (কুৰআন আৰু ছুন্নাহভিত্তিক) আমল কৰে। এওঁলোকৰ licence আৰু reference আছে। এওঁলোক সংখ্যাত কম হয়। ৩)আধুনিক শিক্ষিত (জ্ঞানী) ডাক্তৰ, ইঞ্জিনিয়াৰ, প্রফেচৰ, সচিবসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ চাকৰীজীৱিসকলে এটা পর্যায়ত নিজে আমল কৰাৰ কাৰণে, ধর্মীয় নিয়ম-কানুন শিকিবলৈ গৈ, সকলোতকৈ সহজ (ছূৰা ক্বামাৰ ৫৪: ১৭,২২,৩২,৪০ ৰ “আমি কুৰআনক সহজ কৰি দিছোঁ বুজাৰ বাবে। গতিকে, আছেনে কোনো চিন্তাশীল ব্যক্তি?) সূলভ আৰু নির্ভুল কিতাপ কুৰআন আৰু ইয়াৰ তর্জমা পঢ়ে। এই মেধাবী, উচ্চশিক্ষিত, অভিজ্ঞ, বয়স্ক তথা প্রতিষ্ঠিত বান্দাসকলে সহজতে আৰু অলপ সময়তে দ্বীন বুজি লব পাৰে আৰু তেওঁলোকে হাত বঢ়ালেই সুযোগ্য আলিমসকলৰ সৈতে সু-সম্পৰ্ক কৰি কুৰআন আৰু ছুন্নাহত পাৰদর্শী হয়। মূলতঃ এওঁলোকে কুৰআনৰ ছূৰা মুহাম্মদ ৪৭: ৩৩ নং আয়াতটো হুবহু মানি চলে। য’ত আল্লাহ তা‘আলাই কৈছে, ” হে মুমিনসকল! তোমালোকে আল্লাহৰ আনুগত্য কৰা, ৰাছূলৰ (চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম) আনুগত্য কৰা আৰু নিজৰ কর্ম বা আমল বিনষ্ট নকৰিবা।” দ্বীনত কোনো বান্দাৰ (ৰহঃ) পাণ্ডিত্য নচলে, সেইটো জানিয়েই এওঁলোকে মাজহাব, পীৰ, ওলী আদিত বিশ্বাসী নহয়। এওঁলোকৰ licence নাই reference আছে। এওঁলোক সংখ্যাত খুব কম হয়। এওঁলোকৰ প্রচাৰ পদ্ধতি আৰু ভাষা অত্যাধুনিক হোৱাত শিক্ষিত বান্দাসকলে সহজেই বুজিব পাৰে। #আলোচনাত বুজা গৈছে, প্রথম পর্যায়ৰ জ্ঞানীসকল মাজহাব আৰু পীৰ অনুসাৰী হয়। দ্বিতীয় আৰু তৃতীয় পর্যায়ৰ জ্ঞানীসকল কুৰআন আৰু ছুন্নাহৰ অনুসাৰী হয় আৰু এওঁলোকৰ মাজত প্ৰথম পৰ্যায়ৰ জ্ঞানীসকলৰ মতানৈক্য থাকে। —– ইছলাম আৰু সংগৃহীত (Edited)
    Abu Atika
  • Sogood Islam Syeds

    5/1, 5:01pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • May 2
  • Sogood Islam Syeds

    5/2, 5:41pm

    Sogood Islam Syeds

    সিহাহ সিত্তা! . . সিহাহ সিত্তা পরিভাষাটি ভারতীয়। এই ৬টি হাদীস গ্রন্থের গ্রহনযোগ্যতা ভারতে সুপরিচিত; তবে গ্রন্থগুলোর সকল হাদীস সহীহ নয়। বরং ২টি গ্রন্থ ছাড়া মানে “বোখারী” আর “মুসলিম” ছাড়া বাকীগুলো সুনান। এজন্য মুহাদ্দিসগণের মধ্যে সুপরিচিত পরিভাষা হলো :আল কুতুবুস সিত্তা: সাবধান থাকা দরকার যে, এ সিহাহ সিত্তা শব্দের ব্যবহার ভারতবর্ষেই সীমিত। – ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds

    5/2, 8:18pm

    Sogood Islam Syeds

    সর্বনিম্ন মানের জান্নাতির বর্ণনা ~~~~~~~~~ মুগীরা ইবনে শু‘বা রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ‘‘মুসা স্বীয় প্রভুকে জিজ্ঞাসা করলেন, ‘জান্নাতিদের মধ্যে সবচেয়ে নিম্নমানের জান্নাতি কে হবে?’ আল্লাহ তা‘আলা উত্তর দিলেন, সে হবে এমন একটি লোক, যে সমস্ত জান্নাতিগণ জান্নাতে প্রবেশ করার পর [সর্বশেষে] আসবে। তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি জান্নাতে প্রবেশ কর।’ সে বলবে, ‘হে প্রভু! আমি কিভাবে [কোথায়] প্রবেশ করব? অথচ সমস্ত লোক নিজ নিজ জায়গা দখল করেছে এবং নিজ নিজ অংশ নিয়ে ফেলেছে।’ তখন তাকে বলা হবে, ‘তুমি কি এতে সন্তুষ্ট যে, পৃথিবীর রাজাদের মধ্যে কোন রাজার মত তোমার রাজত্ব হবে?’ সে বলবে, ‘প্রভু! আমি এতেই সন্তুষ্ট।’ তারপর আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার জন্য তাই দেওয়া হল। আর ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য, ওর সমতুল্য [অর্থাৎ ওর চার গুণ রাজত্ব দেওয়া হল]।’ সে পঞ্চমবারে বলবে, ‘হে আমার প্রভু! আমি [ওতেই] সন্তুষ্ট।’ তখন আল্লাহ বলবেন, ‘তোমার জন্য এটা এবং এর দশগুণ [রাজত্ব তোমাকে দেওয়া হল]। এ ছাড়াও তোমার জন্য রইল সে সব বস্তু, যা তোমার অন্তর কামনা করবে এবং তোমার চক্ষু তৃপ্তি উপভোগ করবে।’ তখন সে বলবে, ‘আমি ওতেই সন্তুষ্ট, হে প্রভু!’ [মুসা] বললেন, ‘হে আমার প্রতিপালক! আর সর্বোচ্চ স্তরের জান্নাতি কারা হবে?’ আল্লাহ তা‘আলা বললেন, ‘তারা হবে সেই সব বান্দা, যাদেরকে আমি চাই। আমি স্বহস্তে যাদের জন্য সম্মান-বৃক্ষ রোপণ করেছি এবং তার উপর সীল-মোহর অংকিত করে দিয়েছি [যাতে তারা ব্যতিরেকে অন্য কেউ তা দেখতে না পায়]। সুতরাং কোন চক্ষু তা দর্শন করেনি, কোন কর্ণ তা শ্রবণ করেনি এবং কোন মানুষের মনে তা কল্পিতও হয়নি।’’ (মুসলিম) [1] [1] মুসলিম ১৮৯, তিরমিযী ৩১৯৮ রিয়াযুস স্বা-লিহীন, হাদিস নম্বরঃ ১৮৯২
    Mehedi Hassan Limon
  • Sogood Islam Syeds

    5/2, 8:21pm

    Sogood Islam Syeds

    ইসলাম ও মুসলমানদের চরম শত্রু ছিল আবু জাহল। তার মূল নাম আমর ইবন হিশাম। জাহেলী যুগে তার উপাধি ছিল আবুল হাকাম। অর্থাৎ জ্ঞানের পিতা। তার আচরণের কারণে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তার নাম রাখেন আবু জাহল অর্থাৎ মূর্খের পিতা। . আবু হুরায়রা(রা) হতে বর্ণিত, কুরাইশ সর্দারদের নিকটে একদিন আবু জাহল বলল, মুহাম্মাদ আপনাদের সামনে নিজের চেহারায় ধূলো লাগিয়ে রাখে কি? {{সিজদাহ করাকে ব্যাঙ্গ করে এভাবে বলেছে। }} কুরাইশদের সর্দাররা বলল, হ্যাঁ। আবু জাহল বলল, লাত ও উজ্জার শপথ! আমি যদি তাঁকে এ অবস্থায় দেখি, তবে তাঁর ঘাড় ভেঙ্গে দেব, তাঁর চেহারা মাটিতে হেঁচড়াব। এরপর রাসূল(ﷺ)-কে সলাত আদায় করতে দেখে তাঁর ঘাড় মটকে দেয়ার জন্য সে অগ্রসর হল। কিন্তু সকলে অবাক হয়ে দেখল যে, আবু জাহল চিৎপটাং হয়ে মাটিতে গড়াগড়ি করছে এবং চিৎকার করে বলছে বাঁচাও বাঁচাও। তার পরিচিত লোকেরা জিজ্ঞেস করল, আবুল হাকাম তোমার কি হয়েছে? সে বলল, আমি দেখলাম, আমার ও মুহাম্মাদের মধ্যখানে আগুনের একটি পরিখা। ভয়াবহ সে আগুনের পরিখায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। রাসূল(ﷺ) এ কথা শুনে বললেন– যদি সে আমার কাছে আসত, তবে ফেরেশতা তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ ছিড়ে ফেলত। [মুসলিম হা/২৭৯৭; মিশকাত হা/৫৮৫৬] . ইয়াসির বনু মাখযূমের ক্রীতদাস ছিলেন। তিনি এবং তাঁর স্ত্রী ও পুত্র মুসলমান হন। ফলে তাঁদের উপরে যে ধরনের অমানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল, তা অবর্ণনীয়। আবু জাহলের নির্দেশে বনু মাখযূমের এই ক্রীতদাস মুসলিম পরিবারের উপরে নৃশংসতম শাস্তি নেমে আসে। তাদেরকে খোলা ময়দানে নিয়ে উত্তপ্ত বালুকার উপরে ফেলে রেখে নানাভাবে নির্যাতন করা হত। একদিন চলার পথে তাদের এই শাস্তির দৃশ্য দেখে রাসূলুল্লাহ(ﷺ) তাদের উদ্দেশ্যে বলেন, — ‘ধৈর্য ধর হে ইয়াসির পরিবার! তোমাদের ঠিকানা হ’ল জান্নাত’। ইয়াসিরের দুই পায়ে দু’টি রশি বেঁধে দু’দিকে দু’টি উটের পায়ে উক্ত রশির অন্য প্রান্ত বেঁধে দিয়ে উট দু’টিকে দু’দিকে জোরে হাঁকিয়ে নেওয়া হয়। তাতে জোরে হেঁচকা টানে ইয়াসিরের দেহ দ্বিখন্ডিত হয়ে যায় এবং সেখানেই তিনি শাহাদতবরণ করেন। [ইবন হিশাম ১/৩২০ পৃঃ] . অতঃপর পাষাণ হৃদয় আবু জাহল নিজ হাতে ইয়াসিরের স্ত্রী সুমাইয়ার গুপ্তাঙ্গে বর্শা বিদ্ধ করে তাকে হত্যা করে। তিনিই ছিলেন ইসলামের প্রথম মহিলা শহীদ। অতঃপর তাদের একমাত্র পুত্র আম্মারের উপরে শুরু হয় অবর্ণনীয় নির্যাতনের পালা। তাঁকে উত্তপ্ত কংকরময় বালুর উপরে হাত, পা বেঁধে পাথর চাপা দিয়ে ফেলে রেখে নির্যাতন করা হয়। একদিন আম্মারকে পানিতে চুবিয়ে আধামরা অবস্থায় উঠিয়ে বলা হল, তুমি যতক্ষণ মুহাম্মাদকে গালি না দিবে এবং লাত, মানাত ও উজ্জা দেব-দেবীর প্রশংসা না করবে, ততক্ষণ তোমাকে মুক্তি দেওয়া হবে না। অবশেষে বাধ্য হয়ে তিনি তাদের কথা মেনে নেন। পরেই তিনি রাসূল(ﷺ)-এর দরবারে গিয়ে কান্না-জড়িত কণ্ঠে সব ঘটনা খুলে বললেন ও আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করলেন। তখন নিম্নোক্ত আয়াত নাযিল হয়- مَنْ كَفَرَ بِاللهِ مِنْ بَعْدِ إيْمَانِهِ إِلاَّ مَنْ أُكْرِهَ وَقَلْبُهُ مُطْمَئِنٌّ بِالْإِيْمَانِ- ‘ঈমান আনার পরে যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে কুফরী করে তাদের জন্য রয়েছে আল্লাহর ক্রোধ এবং কঠিন শাস্তি। কিন্তু যাকে বাধ্য করা হয়, অথচ তার অন্তর বিশ্বাসে অটল থাকে (তার জন্য কোন চিন্তা নেই)’ (নাহল ১৬/১০৬)। পরে আবু বকর (রা) আম্মার বিন ইয়াসিরকে তার মনিবের কাছ থেকে খরিদ করে নিয়ে মুক্ত করে দেন। [সুবুলুল হুদা, ২/৩৬২; সীরাতে ইবনে ইসহাক ১/১৯১] . আবু জাহল একদিন সাফা পাহাড়ের কাছাকাছি জায়গায় রাসূলুল্লাহ(ﷺ)-কে গালমন্দ করে ও শাসিয়ে দেয়। রাসূল(ﷺ) নীরব রইলেন, কোন কথা বললেন না। এরপর আবু জাহল নবী করীম(ﷺ)-এর মাথায় এক টুকরো পাথর নিক্ষেপ করল। এতে তাঁর মাথা ফেটে রক্ত বের হল। এরপর আবু জাহল কা‘বার সামনে কুরাইশদের মজলিসে গিয়ে বসল। আবদুল্লাহ ইবন জুদয়ানের একজন দাসী এ দৃশ্য প্রত্যক্ষ করল। ইতিমধ্যে রাসূল(ﷺ) এর চাচা হামযাহ শিকার করে ফিরছিলেন। সেই দাসী তাকে ঘটনা শুনালেন। হামযাহ ঘটনা শুনে ক্রোধে অস্থির হয়ে উঠলেন। তিনি ছিলেন কুরাইশদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী লোক। তিনি দেরী না করে সামনে এগিয়ে গিয়ে বললেন, আবু জাহলকে যেখানে পাব সেখানেই আঘাত করব। এরপর তিনি সোজা কা‘বা ঘরে আবু জাহলের সামনে গিয়ে বললেন, ওরে গুহ্যদ্বার দিয়ে বায়ু ত্যাগকারী! তুই আমার ভাতিজাকে গালি দিয়েছিস, অথচ আমিও তাঁর প্রচারিত দ্বীনের অনুসারী? [নবুওয়াতের ৬ষ্ঠ বছরের শেষ দিকে যিলহজ্জ মাসে হামযাহ(রা) ইসলাম গ্রহণ করেন।] এ কথা বলে হাতের ধনুক দিয়ে আবু জাহলের মাথায় এত জোরে আঘাত করলেন যে, মাথায় বড় ধরনের জখম হয়ে গেল। এ ঘটনার সাথে সাথে আবু জাহলের গোত্র বনু মাখযূম এবং হামযাহ(রা)-এর গোত্র বনু হাশেমের লোকেরা পরস্পরের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত হয়ে উঠলো। আবু জাহল সকলকে এই বলে থামিয়ে দিল যে, আবু আমরকে{হামযাহ} কিছু বল না, আমি তার ভাতিজাকে আসলেই খুব খারাপ ভাষায় গালি দিয়েছিলাম। [রহমাতুল্লিল আলামীন ১/৫৩ পৃঃ; ইবন হিশাম ১/২৯১-২৯২ পৃঃ]
    জান্নাতুল ফেরদাউস
  • Sogood Islam Syeds

    5/2, 10:03pm

    Sogood Islam Syeds

    আযানের প্রারম্ভিক ইতিহাস মক্কায় অবস্থানকালে মহানবী (সাঃ) তথা মুসলিমগণ বিনা আযানে নামায পড়েছেন। অতঃপর মদ্বীনায় হিজরত করলে হিজরী ১ম (মতান্তরে ২য়) সনে আযান ফরয হয়। (ফাতহুল বারী, ইবনে হাজার ২/৭৮) সকল মুসলমানকে একত্রে সমবেত করে জামাআতবদ্ধভাবে নামায পড়ার জন্য এমন এক জিনিসের প্রয়োজন ছিল, যা শুনে বা দেখে তাঁরা জমা হতে পারতেন। এ জন্যে তাঁরা পূর্ব থেকেই মসজিদে উপস্থিত হয়ে নামাযের অপেক্ষা করতেন। এ মর্মে তাঁরা একদিন পরামর্শ করলেন; কেউ বললেন, ‘নাসারাদের ঘন্টার মত আমরাও ঘন্টা ব্যবহার করব।’ কেউ কেউ বললেন, ‘বরং ইয়াহুদীদের শৃঙ্গের মত শৃঙ্গ ব্যবহার করব।’ হযরত উমার (রাঃ) বললেন, ‘বরং নামাযের প্রতি আহ্বান করার জন্য একটি লোককে (গলি-গলি) পাঠিয়ে দিলে কেমন হয়?’ কিন্তু মহানবী (সাঃ) বললেন, “হে বিলাল! ওঠ, নামাযের জন্য আহ্বান কর।”(বুখারী ৬০৪ , মুসলিম, সহীহ) কেউ বললেন, ‘নামাযের সময় মসজিদে একটি পতাকা উত্তোলন করা হোক। লোকেরা তা দেখে একে অপরকে নামাযের সময় জানিয়ে দেবে।’ কিন্তু মহানবী (সাঃ) এ সব পছন্দ করলেন না। (আবূদাঊদ, সুনান ৪৯৮নং) পরিশেষে তিনি একটি ঘন্টা নির্মাণের আদেশ দিলেন। এই অবসরে আব্দুল্লাহ বিন যায়দ (রাঃ) স্বপ্নে দেখলেন, এক ব্যক্তি ঘন্টা হাতে যাচ্ছে। আব্দুল্লাহ বলেন, আমি তাকে বললাম, ‘হে আল্লাহর বান্দা! ঘন্টাটি বিক্রয় করবে?’ লোকটি বলল, ‘এটা নিয়ে কি করবে?’ আমি বললাম, ‘ওটা দিয়ে লোকেদেরকে নামাযের জন্য আহ্বান করব।’ লোকটি বলল, ‘আমি তোমাকে এর চাইতে উত্তম জিনিসের কথা বলে দেব না কি?’ আমি বললাম, ‘অবশ্যই।’ তখন ঐ ব্যক্তি আব্দুল্লাহকে আযান ও ইকামত শিখিয়ে দিল। অতঃপর সকাল হলে তিনি রসূল (সাঃ) এর নিকট উপস্থিত হয়ে স্বপ্নের কথা খুলে বললেন। সব কিছু শুনে মহানবী (সাঃ) বললেন, “ইনশাআল্লাহ! এটি সত্য স্বপ্ন। অতএব তুমি বিলালের সাথে দাঁড়াও এবং স্বপ্নে যেমন (আযান) শুনেছ ঠিক তেমনি বিলালকে শুনাও; সে ঐ সব বলে আযান দিক। কারণ, বিলালের আওয়াজ তোমার চেয়ে উচ্চ।” অতঃপর আব্দুল্লাহ (রাঃ) স্বপ্নে প্রাপ্ত আযানের ঐ শব্দগুলো বিলাল (রাঃ) কে শুনাতে লাগলেন এবং বিলাল (রাঃ) উচ্চস্বরে আযান দিতে শুরু করলেন। উমার (রাঃ) নিজ ঘর হতেই আযানের শব্দ শুনতে পেয়ে চাদর ছেঁচড়ে (তাড়াতাড়ি) বের হয়ে মহানবী (সাঃ) এর নিকট উপস্থিত হলেন; বললেন, ‘সেই সত্তার কসম, হে আল্লাহর রসূল! আমিও (২০ দিন পূর্বে) স্বপ্নে ঐরুপ দেখেছি।’ আল্লাহর রসূল (সাঃ) তাঁকে বললেন, “অতএব যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহরই।” (আহমাদ, মুসনাদ, আবূদাঊদ, সুনান ৪৯৮-৪৯৯, তিরমিযী, সুনান ১৮৯, ইবনে মাজাহ্‌, সুনান ৭০৬নং)
    QuranerAlo.com – কুর’আনের আলো
  • Sogood Islam Syeds

    5/2, 10:28pm

    Sogood Islam Syeds

    রাসুলুল্লাহ সাঃ এর মিরাজের বর্ণনাঃ বনু খালিত ও খলিফা ইবনু খাইয়াত) (রহঃ) মালিক ইবনু সাসাআ (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি কাবা ঘরের নিকট নিদ্রা ও জাগরণ-এ দু’ অবস্থার মাঝামাঝি অবস্থায় ছিলাম। এরপর তিনি দু’ ব্যাক্তির মাঝে অপর এক ব্যাক্তি অর্থাৎ নিজের অবস্থা উল্লেখ করে বললেন, আমার নিকট স্বর্ণের একটি তশতরী নিয়ে আসা হল-যা হিকমত ও ঈমানে পরিপূর্ণ ছিল। তাপর আমার বুক থেকে পেটের নীচ পর্যন্ত বিদীর্ণ করা হল। এরপর আমার পেটে যমযমের পানি দ্বারা ধুয়ে ফেলা হল। তারপর হিকমত ও ঈমান পরিপূর্ণ করা হল এবং আমার নিকট সাদা চতুষ্পদ জন্তু আনা হল, যা খচ্চর হতে ছোট আর গাধা থেকে বড় অর্থাৎ বুরাক। এরপর তাতে আরোহণ করে আমি জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম সহ চলতে চলতে পৃথিবীর নিকটতম আসমানে গিয়ে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা হল, এ কে? উত্তরে বলা হল, জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে আর কে? উত্তর দেওয়া হল মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল, তাঁকে ধন্যবাদ, তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আদম আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে গেলাম। তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, পুত্র ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! তোমার প্রতি ধন্যবাদ। এরপর আমরা দ্বিতীয় আসমানে গেলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ঈসা ও ইয়াহইয়া আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট আসলাম। তাঁরা উভয়ে বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনার প্রতি ধন্যবাদ। তারপর আমরা তৃতীয় আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইউসুফ আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট গেলাম। তাঁকোমি সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনাকে ধন্যবাদ। এরপর আমরা চতুর্থ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইদ্রিস আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনাকে ধন্যবাদ। এরপর আমরা পঞ্চম আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমরা হারুন আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনাধেন্যবাদ। তারপর ষষ্ঠ আসমানে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, ভাই ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আপনাকে ধন্যবাদ। তারপর আমি যখন তাঁর কাছ দিয়ে অতিক্রম করছিলাম, তখন তিনি কেঁদে ফেললেন। তাঁকে বলা হল, আপনি কাঁদছেন কেন? তিনি বলেছেন, হে রব! এ ব্যাক্তি যে আমার পপপ্রেরিত, তাঁর উম্মাত আমার উম্মাতের চেয়ে অধিক পরিমাণে বেহেশতে যাবে। এরপর আমরা সপ্তম আকাশে পৌঁছলাম। জিজ্ঞাসা করা হল, এ কে? তিনি বললেন, আমি জিবরাঈল। জিজ্ঞাসা করা হল, আপনার সঙ্গে কে? তিনি বললেন, মুহাম্মদ। প্রশ্ন করা হল তাঁকে আনার জন্য কি পাঠানো হয়েছে? তিনি বললেন, হ্যাঁ। বলা হল তাঁকে ধন্যবাদ আর তাঁর শুভাগমন কতই না উত্তম। তারপর আমি ইবরাহীম আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে গেলাম। আমি তাঁকে সালাম দিলাম। তিনি বললেন, হে পুত্র ও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আপনাকে ধন্যবাদ। এরপর বায়তুল মায়মারকে আমার সামনে প্রকাশ করা হল। আমি জিবরাঈল আলাইহি ওয়া সাল্লাম -কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, এটি বায়তুল মামুর। প্রতিদিন এখানে সত্তর হাজার ফিরিশতা সালাত (নামায/নামাজ) আদায় করেন। এরা এখান থেকে একবার বের হলে দ্বিতীয় বার ফিরে আসে না। এটাই তাদের শেষ প্রবেশ। তারপর আমাকে সিদরাতুল মুনতাহা দেখানো হল। দেখলাম, এর ফল যেন, হাজার নামক স্থানের মটকার ন্যায়। আর তার পাতা যেন হাতীর কান। তার মূল দেশে চারটি ঝরনা প্রবাহিত। ’ দু’টি অভ্যন্তরে আর দু’টি বাইরে। এ সম্পর্কে আমি জিবরাঈলকে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন, অভ্যন্তরে দু’টি জান্নাতে অবস্থিত। আর বাইরের দু’টির একটি হল (ইরাকের) ফুরাত আর অপরটি হল (মিশরের) নীল নদ) তারপর আমি প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) ফরয করা হয়। আমি তা গ্রহণ করে মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে ফিরে এলাম। তিনি বললেন, কি করে এলেন? আমি বললাম, আমার প্রতি পঞ্চাশ ওয়াক্ত সালাত (নামায/নামাজ) ফরয করা হয়েছে। তিনি বললেন, আমি আপনার চেয়ে মানুষ সম্পর্কে অধিক জ্ঞাত আছি। আমি বনী ইসরাঈলের চিকিৎসার জন্য যথেষ্ট চেষ্টা করেছি আর আপনার উম্মাত এত (সালাত (নামায/নামাজ) আদায়ে) সমর্থ হবে না। অতএব আপনার রবের নিকট ফিরে যান এবং তা কমানোর অনুরোধ করুন। আমি ফিরে গেলাম এবং তাঁর নিকট আবেদন করলাম। তিনি সালাত (নামায/নামাজ) চল্লিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। পুনরায় অনুরূপ ঘটল। আর সালাত (নামায/নামাজ)ও ত্রিশ ওয়াক্ত করে দেওয়া হল। পুনরায় অনুরূপ ঘটলে তিনি সালাত (নামায/নামাজ) বিশ ওয়াক্ত করে দিলেন। আবার অনুরূপ হল। তিনি সালাত (নামায/নামাজ)কে দশ ওয়াক্ত করে দিলেন। এরপর আমি মূসা আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কাছে আসলাম। তিনি পূর্বের ন্যায় বললেন, এবার আল্লাহ সালাত (নামায/নামাজ)কে পাঁচ ওয়াক্ত ফরয করে দিলেন। আমি মূসার নিকট আসলাম। তিনি বললেন, কি করে আসলেন? আমি বললাম, আল্লাহ পাঁচ ওয়াক্ত ফরয করে দিয়েছেন। এবারও তিনি পূর্বের ন্যায় বললেন, আমি বললাম, আমি তা মেনে নিয়েছে। তখন আওয়াজ এল, আমি আমার ফরয জারি করে দিয়েছি। আর আমার বান্দাদের থেকে হালকা করে দিয়েছে। আর আমি প্রতিটি পূণ্যের জন্য দশ গুন সওয়াব দিব। আর বায়তুল মামুর সম্পর্কে হাম্মাম (রহঃ) আবূ হুরায়রা (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণণা করেন। গ্রন্থঃ সহীহ বুখারি (ইফা), অধ্যায়ঃ ৪৯/ সৃষ্টির সূচনা অনুবাদঃ ইসলামিক ফাউন্ডেশন, হাদিস নম্বরঃ ২৯৮০। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
    তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
  • May 3
  • Sogood Islam Syeds

    5/3, 4:01pm

    Sogood Islam Syeds

    – ভাই কি মাদ্রাসায় পড়েছিলেন? – না ভাই, সেই সৌভাগ্য হয়নি… – এত বড় দাঁড়ি রাখছেন আবার প্যান্ট এতো উপরে পড়ছেন তো তাই বললাম! – ভাই আমাদের রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) এর কখনোই একমুষ্ঠির কম পরিমাণ দাঁড়ি ছিলো না এবং তাঁর কাপড় কখনোই টাখনুর নিচে নামেনি। তিনি বলেছেন দাঁড়ি লম্বা রাখতে ও গোঁফ খাটো করতে আর টাখনুর নিচে কাপড় পরলে আল্লাহ কিয়ামতের দিন সেই ব্যক্তির দিকে দয়ার দৃষ্টিতে তাকাবেন না এবং সে অংশ জাহান্নামের। (বুখারি) – তবুও ভাই, যা দিনকাল পড়ছে দাঁড়ি রাখলে মানুষ কত কি ভাবে আর তাছাড়া মেয়েরাও পছন্দ করে না, বিয়ে করতে চায় না! – ভাই, ধর্মপ্রচারের কারণে অপছন্দ করলেও আরবের বড় বড় মুশরিক আর কাফিররা পর্যন্ত সেই (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) দাঁড়িওয়ালা মানুষটাকে ভালোবেসে আল-আমিন মানে সত্যবাদী ডাকত! আর বিয়ে? তাঁর অমায়িক আচার-ব্যবহার এবং সততায় মুগ্ধ হয়ে সে সময়কার সম্ভ্রান্ত বংশের বিত্তশালী এবং সুন্দরী হযরত খাদিজা রাদিআল্লাহু আনহা সেই লম্বা দাড়িঁওয়ালা মানুষটাকেই প্রথম বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং বিয়ে করেছিলেন.. আর আলহামদুলিল্লাহ্ আজকাল অনেক মেয়েই আছে যারা দাঁড়ি, টাখনুর উপর কাপড় ছাড়া আপনারে বিয়েই করবে না! আসল কথা এসব করবেন আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য, লোকের কথায় কি আসে যায়রে ভাই! – কিন্তু ভাই এসব যে মানতেই হবে এমনতো কথা নেই! এগুলোতো সুন্নাত! – ভাইয়া আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা স্পষ্ট করে আমাদের বলেছেন – “রাসূল তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তা গ্রহণ কর এবং যা দেননি যা থেকে নিষেধ করেছেন, তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর।” সূরা হাশর আয়াত নাম্বার:- ০৭ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আরো বলেন- “আর তিনি নিজ প্রবৃত্তি থেকে কোনো কথা বলেন না। তা তো ওহি, যা তাঁর প্রতি প্রত্যাদেশ হয়।” সূরা আন নাজম আয়াত নাম্বার:- ৩-৪ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: যে ব্যাক্তি আমার আনুগত্য করে সে আল্লাহ্‌রই আনুগত্য করে এবং যে ব্যাক্তি আমার অবাধ্যাচরণ করে সে আল্লাহ্‌রই অবাধ্যাচরণ করে। (বুখারি ও মুসলিম) – ভাই, ইচ্ছাতো হয়ই দাঁড়ি রাখতে, প্যান্ট টাখনুর উপরে পরতে কিন্তু মাল্টি ন্যাশনাল কম্পানি বা ভালো জায়গাগুলোতে এসব পছন্দ করে না, ভালো জব পাওয়া যায় না .. – যে চাকরিতে আল্লাহর আদেশ এবং আমার রাসূলের সুন্নাহকে হেয় করে দেখা হয় আর সেটা পালনে বাধা দেয়া হয় আমি কেন সেই চাকরির গোলামি করব ভাই?? এই পৃথিবীতে আল্লাহ্ তাঁর পছন্দের বান্দাদের রিযকের অভাব রাখেন নাই.. হয়তবা আয়টা একটু কমই হবে কিন্তু আল্লাহর বারাকাহ্ থাকবে অফুরন্ত। আজ এই মূহুর্ত থেকে নিয়্যত করেন এই মুখে যাতে আর কোনো রেজারের আচঁড় না পড়ে আর আজই টাখনুর নিচে প্যান্টের বাড়তি অংশটুকু কমিয়ে নিবেন.. – ইনশা আল্লাহ্ ভাই দুআ করবেন.. – ভাই সত্যি বলতে এসব ব্যাপারে আমার দুআর চাইতে আপনার ইচ্ছা শক্তির প্রয়োজনটা অনেক অনেক বেশি! আল্লাহ্ আমাদের প্রতি অসন্তুষ্ট হন আর আমাদের গুনাহগুলোর কাউন্টিং তখনই শুরু হয় যখন আমরা আল্লাহর কোন আদেশ জানার পরও ইচ্ছাকৃতভাবে যেগুলোকে এড়িয়ে যাই এবং কেয়ারই করি না! আল্লাহ্ সুবহানাহু ওয়া তাআলা যেন আপনাকে এবং আমাকে তাঁর এবং তাঁর রাসূলের প্রতিটা নির্দেশ পূঙ্খানুপূঙ্খভাবে মেনে চলার তৌফিক দেন.. #c_p
    Peace
  • Sogood Islam Syeds

    5/3, 6:48pm

    Sogood Islam Syeds

    দশটা দরবারী আলিমকে রাসুল(স) এর সেই অথেনটিক হাদিস স্মরণ করিয়ে দিয়ে জামাতবদ্ধ থাকতে বলুন। বেশি না, মাত্র দু সপ্তাহ। এরপর বলুন একজন আমির হোন, বাকিরা সকলে তার কথা শুনুন। না, কোন দ্বীনি ইলমি বিষয়ে নয়, আমিরকে একটা বায়তুলমাল তুলে দিয়ে বাকি নয়জনকে নিয়ে সেই বায়তুল মাল দিয়ে দ্বীনের খেদমতে সে অর্থ ব্যয়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে বলুন। অপশন দিন তিন চারটা, এই যেমন, দুটা সেমিনার(প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া), কিছু প্রভাবশালীকে দাওয়াহ, জামাতবদ্ধ হওয়ার জন্য দারুল আরকাম টাইপ কিছু একটা নির্মাণ, দাওয়াতি কাজের জন্য যাতায়াত ও আপ্যায়ন ব্যয়, দাওয়াতি ম্যাটেরিয়াল যেমন বই, মাইক্রোফোন, মেমোরী ইত্যাদি ক্রয়, দু’ সপ্তাহব্যাপী দাওয়াহর জন্য কর্মসূচী প্রনয়ন…. এরপর এসব ব্যাপারে তাদেরকে এক হয়ে কাজ করতে বলুন। বলুন যে, এটা রাসু্ল(স) এ্ আদেশ যে, জামাতবদ্ধ হবেন, আমিরের কথা শুনবেন, মান্য করা, হিজরত ও জিহাদ করা। আপনারা করে দেখান। এরপর দেখুন খেল।
    Rowshon Kabir
  • May 4
  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 1:12am

    Sogood Islam Syeds

    একটা ভালো ফ্যামিলির বেনামাজি নম্র ভদ্র পড়ার টেবিলে বুঁদ হয়ে থাকা ভাইকে যদি বলা হয় মদ খাওয়া কেমন অপরাধ? জিনা করা কেমন অপরাধ? শুকর খাওয়া কেমন অপরাধ? তাহলে অবশ্যই তার কাছ থেকে ছি ছি/ আস্তাগফিরুল্লাহ/নাউযুবিল্লাহ ইত্যাদি উত্তর পাওয়া যাবে। ইসলাম সম্পর্কে জ্ঞান না থাকলেও একজন বুদ্ধিমান মানুষের কাছে এগুলো অত্যন্ত ঘৃণ্য কাজ। আল্লাহর শপথ! নামাজ ত্যাগ করা – মদ, শুকর, জিনা ইত্যাদি থেকেও জঘন্যতম অপরাধ। অথচ আমাদের মুসলিম ভাইবোনদের সেদিকে কোন ভ্রূক্ষেপই নেই। দিনের পর দিন নামাজ ছেড়ে দেয়া অনেকের অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে। মন চাইলে ২ ওয়াক্ত পড়লাম, মন চাইলো না তাই ৩ ওয়াক্ত ছেড়ে দিলাম। এভাবে মহান আল্লাহ্র সবচেয়ে বড় হুকুম সালাতকে আমরা বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে চলেছি নিরন্তর। অথচ আমাদের সালাফ আস সালেহিনদের (পূর্ববর্তী নেককার) কাছে নামাজ বাদ দেয়া মানে অমুসলিম হয়ে যাওয়া ছিল! ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বাল রাহিমাহুল্লাহ্ এর মতে ইচ্ছাকৃতভাবে নামাজ ত্যাগকারী ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। ইমাম আবু হানিফা রাহিমাহুল্লাহ্ এর মতে কাজটা কুফুরি, কিন্তু সে অস্বীকার না করা পর্যন্ত ইসলাম থেকে খারিজ হবে না। কিন্তু তার এই সালাত ত্যাগের কাজটা কুফুরি। কতো বড় কথা! সুবহানাল্লাহ। কিন্তু মদ, শুকর, জিনা হারাম হলেও এইসব জঘন্য গুনাহের ব্যাপারে কুফরের কথা বলা হয়নি। যেমনটা বলা হয়েছে নামাজ ত্যাগকারীর উপর। আবু যুবাইর রাহিমাহুল্লাহ্ বলেন, জাবির ইবনে আব্দুল্লাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু কে বলতে শুনেছি, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, কোন ব্যক্তি এবং শিরক ও কুফরের মাঝখানে নামায না পড়াই হচ্ছে পার্থক্য।” (সহীহ মুসলিম, কিতাবুল ঈমান অধ্যায়) অর্থাৎ মানুষকে শিরক ও কুফর থেকে দূরে রাখার একমাত্র প্রাচীর হচ্ছে নামাজ। নামাজ তাকে এসব জঘন্য কাজে লিপ্ত হতে বাধা দেয়। যখন সে নামাজ ত্যাগ করে তখন তার মাঝে শিরকী কার্যকলাপ ও কুফরী ঢুকে যায়। যতই সে দাবি করুক না কেন তার ঈমান ঠিক আছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আরও বলেছেন, “কিয়ামাতের দিন সর্বপ্রথম বান্দাহর নামাযের হিসাব নেওয়া হবে। যদি এটা ঠিক থাকে তাহলে তার বাকি আমালগুলো গ্রহণযোগ্য হবে আর যদি এটা ঠিক না থাকে তাহলে বাকি আমালগুলো বাতিল বলে গণ্য করা হবে।” – আত তাবারানী, আল জামী
    Habibullah Reza
  • May 4
  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 2:52pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রায় ১৪০০ বছর আগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যেই ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন , তা এখন সত্য প্রমাণিত হয়েছে । মানুষ আজ সহিহ ভাবে ইসলামকে জানা ও মানার জন্য মাদানী আলেমদের কাছে দলে দলে যাচ্ছে । রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন ,«َّﻥِﺇ ﺍﻹِﻳﻤَﺎﻥَ ﻟَﻴَﺄْﺭِﺯُ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔِ ﻛَﻤَﺎ ﺗَﺄْﺭِﺯُ ﺍﻟْﺤَﻴَّﺔُ ﺇِﻟَﻰ ﺟُﺤْﺮِﻫَﺎ .“ ঈমান মদীনার দিকে ফিরে আসবে, যেভাবে সাপ তার গর্তের দিকে ফিরে আসে’’।[সহীহ বুখারী – ১৮৭৬ ও মুসলিম – ৩৭২ ] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, « ﻳَﻀْﺮِﺑُﻮﻥَ ﺃَﻛْﺒَﺎﺩَ ﺍﻹِﺑِﻞِ ﻳَﻄْﻠُﺒُﻮﻥَ ﺍﻟْﻌِﻠْﻢَ ﻓَﻼَ ﻳَﺠِﺪُﻭﻥَ ﻋَﺎﻟِﻤًﺎ ﺃَﻋْﻠَﻢَ ﻣِﻦْ ﻋَﺎﻟِﻢِ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔ ‘‘ মানুষ হন্যে হয়ে ইলম অনুসন্ধান করবে, তবে মদীনার আলেমের চেয়ে অধিক বিজ্ঞ কোন আলেম তারা খুঁজে পাবে না।’’ [ নাসায়ী: ৪২৭৭ ও হাকেম: ৩০৭ সহীহ ] হে আল্লাহ ! আপনি আমাদের সঠিক ইলম দেন। কুরআন ও সুন্নাহ আঁকড়াই ধরে বিদআতমুক্ত জীবন গড়ার তৌফিক দেন। আমাদেরকে ইসলামের জন্য কবুল করুন। আমিন
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 3:07pm

    Sogood Islam Syeds

    Abu Atika added a new photo.
    কবৰ যিয়াৰতৰ দো‘আ: السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، (وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقْدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِينَ) أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ হে গৃহসমূহৰ অধিবাসী মুমিন আৰু মুছলিমসকল! তোমালোকৰ প্রতি শান্তি বর্ষিত হওঁক। আৰু নিশ্চয় আমি ইন শ্বা আল্লাহ তোমালোকৰ সৈতে মিলিত হম। [আল্লাহে আমাৰ পুর্বৱর্তীসকলৰ আৰু পৰৱর্তীসকলৰ প্রতি দয়া কৰক।] মই আল্লাহ্‌ৰ ওচৰত আমাৰ কাৰণে আৰু তোমালোকৰ কাৰণে নিৰাপত্তা প্রার্থনা কৰিছোঁ। আচ্ছালা-মু আলাইকুম আহলাদ্দিয়াৰি মিনাল মু’মিনীনা ওৱাল মুছলিমীনা, ওৱা ইন্না ইন শ্বা-আল্লা-হু বিকুম লা-হিকুনা, [ওৱা ইয়াৰহামুল্লাহুল মুস্তাক্বদিমীনা মিন্না ওৱাল মুস্তা’খিৰীনা], আচআলুল্লাহা লানা ওৱালাকুমুল ‘আ-ফিয়াহ মুছলিম ২/৬৭১, নং ৯৭৫; ইবনে মাজাহ্‌, ১/৪৯৪, আৰু শব্দ তেওঁৰেই, নং ১৫৪৭; বুৰাইদা ৰাদিয়াল্লাহু ‘আনহুৰ পৰা। আৰু দুই ব্রাকেটৰ মাজৰ অংশ আয়িশ্বা ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহাৰ হাদীছৰ পৰা, যাক সংকলন কৰিছে, মুছলিম, ২/৬৭১, নং ৯৭৫। দোআ আৰু যিকিৰ (হিছনুল মুছলিম)
    Abu Atika
  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 5:27pm

  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 5:35pm

  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 5:41pm

  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 5:42pm

  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 5:43pm

    Sogood Islam Syeds

    Tajul Islam Vp Rahul added a new photo.
    ডাউনলোড করুন আপনার পছন্দের বক্তার বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কিত লেকচার। ১. জাকির নায়েকঃ http://wp.me/P1KaJA-sj ২. মতিউর রহমানঃ http://wp.me/P1KaJA-sp ৩. জসিম উদ্দিনঃ http://wp.me/P1KaJA-st ৪. হাসান জামিলঃ http://wp.me/P1KaJA-sH ৫. আব্দুর রাজ্জাকঃ http://wp.me/P1KaJA-sx ৬. কাজী ইব্রাহীমঃ http://wp.me/P1KaJA-tp ৭. আব্দুল কাইয়ুমঃ http://wp.me/P1KaJA-tA ৮. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীরঃ http://wp.me/P1KaJA-xS ৯. আব্দুল হামীদ ফাইজীঃ http://wp.me/P1KaJA-zA ১০.সাইফুদ্দীন বেলালঃ http://wp.me/P1KaJA-yW
    Tajul Islam Vp Rahul
  • May 4
  • Sogood Islam Syeds

    5/4, 10:02pm

    Sogood Islam Syeds

    #প্রশ্নঃ আল্লাহ নাকি শেষ আসমানে নেমে আসেন রাতের শেষ ভাগে এবং তার ইবাদাত কারীকে ডাকেন এটা কি সত্য? -মনিরুল হক চাপাইন সাভার, ঢাকা . #উত্তরঃ দোয়া কবুলের একটা উত্তম সময় হলো রাতের শেষ ভাগ। আর এই সময় তার ইবাদাতের মাধ্যমে যারা তাকে ডাকেন উনি তাদের ডাকে সাড়া দেন। এটা কোন নির্দিষ্টি দিন নয় প্রতি রাতের শেষ ভাগেই। জাবির ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্নিত তিনি বলেন, আমি নাবী (সাঃ) কে বলতে শুনেছি:সারা রাতের মধ্যে এমন একটি বিশেষ সময় আছে যে সময়ে কোন মুসলিম আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোন কল্যান প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। আর ঐ বিশেষ সময়টি প্রত্যেক রাতেই থাকে (মুসলিম/৭৫৭ ই.ফা.১৬৪০, আহমাদ/১৩৯৪৫,১৪৩৩৬) . আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্নিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন প্রত্যেক রাতে যখন রাতের শেষ ৩য় অংশ থাকে তখন আমাদের প্রতিপালক মহাম ও কল্যানময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমান অর্থাত শেষ আসমানে অবতরন করে বলতে থাকেন: “কে এমন আছ, যে এখন আমাকে ডাকবে, আমি তার ডাকে সাড়া দিব। এখন কে এমন আছ যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে, আমি তাকে দান করব। আর কে এমন আছ, যে আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করে দিব (বুখারি/১১৪৫,৬৩২১,৭৪৯৪- মুসলিম/৭৫৮ ই.ফা.১৬৪২)। আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্নিত রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন প্রত্যেক রাতে যখন রাতের প্রথম ৩য় অংশ অতিবাহিত হয় তখন আমাদের প্রতিপালক মহাম ও কল্যানময় আল্লাহ দুনিয়ার আসমান অর্থাত শেষ আসমানে অবতরন করেতে থাকেন আর বলতে বলতে থাকেন “কে এমন আছ,যে এখন আমাকে ডাকবে,আমি তার ডাকে সাড়া দিব। এখন কে এমন আছ যে আমার কাছে প্রার্থনা করবে আমি তাকে দান করবো। কে এমন আছ আমার কাছে ক্ষমা চাইবে আমি তাকে ক্ষমা করব। ফাজরের আলো ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত আল্লাহ তা’আলা এরুপ বলতে থাকেন (মুসলিম/১৬৫৮ ই.ফা. ১৬৪৩)।
    মাসিক আত-তাহরীক প্রশ্নোত্তর
  • May 5
  • Sogood Islam Syeds

    5/5, 6:20pm

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত পালন প্রসঙ্গে। ডঃ মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ।
    Like US – Share US —————————– Facebook: http://www.facebook.com/quranerahoban Google+: https://plus.google.com/u/0… Youtube: http://www.youtube.com/ch…
    youtube.com
  • May 6
  • Sogood Islam Syeds

    5/6, 2:07pm

    Sogood Islam Syeds

    ব্রেলভীরা যখন বলে: রসুল (সা) মৃত্যুর পরেও একই সময়ে সব জায়গায় যেতে পারে। তাই তিনি মিলাদে উপস্থিত হন। দেওবান্দিরা তখন নাউজুবিল্লাহ, আস্তাগফিরুল্লাহ, পড়ে ও বলে এটা ঠিক নয়। আপনারা গোমড়া, ভুল। এটা শিরকি আকিদা। এটা সম্ভব নয়। আসুন দেখি দেওভুতদের আকাবির কি বলে: ————————————————- আশরাফ আলী থানবী সাহেবের জনৈক খলীফা বলেন,একদা আলীগড়ের শিল্প-প্রদশনীতে দোকান খুলিয়াছিলাম। মাগরিবের পর প্রদশনীর কোন এক স্টলে আগুল লাগে। আমি একাকী আমার মালপত্র সরাইতে সক্ষম হতেছিলাম না। অকস্মাৎ দেখিলাম, #হযরত #হাকীমুল উম্মত আমার কাজে #সাহায্য #করিতেছেন। তাই আমার বিশেষ কোন ক্ষতি হয় নাই। পরে জানিলাম, হযরত তখন #থানাভবনেই #অবস্থান #কিরতেছিলেন। (তথ্যসুত্র: বেহেশতি জেওর, ১ম খন্ড, কারামত অংশ, ৯ নং পৃষ্টা। অনুবাদক এই কারামত প্রসব করেছেন) বেটা, দেওভুত, তোমার হাকিমুল উম্মত যদি তোমাকে বাড়িতে থেকে আগুন লাগার জায়গায় হেল্পায় তাহলে ব্রেলভিরা নবী (সা) এর বেলা বললে চ্যাচাও কেন? তোমাকে যদি বলে নবী বড় না থানবী? থানবি যাইতে পারে নবী পারে না? নিজের ঘড়ে ভুত রেখে অন্যর ঘড় নিয়ে চ্যাচাও কেন? এই ব্রেলভি+দেওভুত এরা ভাই ভাই, ঝগড়া শুধু নিজের আখের গোছাই। দুইটাই সেইম আকিদার। তবে দেওভুত গুলো বেশি ভয়ংকর!
    আবু সুহায়ইলা
  • Sogood Islam Syeds

    5/6, 2:44pm

    Sogood Islam Syeds

    মি’রাজে রাসুল (সাঃ) আল্লাহ তায়ালাকে দেখেছেন কি না??? রাসুল (সাঃ) মি’রাজে একে একে সাত আসমানের উপর ‘সিদরাতুল মুনতাহা’ পর্যন্ত ঊর্ধ্বগমন করেছিলেন। তিনি আল্লাহ তায়ালাকে দেখেননি। বরং তিনি জিবরীল (আঃ)-কে তাঁর নিজ আকৃতিতে দেখেছিলেন। সুরা নাজম-এর কয়েকটি আয়াত দিয়ে মি’রাজের রাত্রিতে আল্লাহকে দেখার দলীল হিসাবে উপস্থাপন করা সঠিক নয়। দলীল নঃ ১ ”মাসরুক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, আম্মাজান! মুহাম্মাদ (সাঃ) কি তাঁর রবকে দেখেছিলেন? তিনি বললেন, তোমার কথায় আমার গায়ের পশম কাঁটা দিয়ে খাড়া হয়ে গেছে। তিনটি কথা সম্পর্কে তুমি কি জানো না যে তোমাকে এ তিনটি কথা বলবে সে মিথ্যাচারী। যদি কেউ তোমাকে বলে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর প্রতিপালককে দেখেছেন, তাহলে সে মিথ্যাচারী। তারপর তিনি পাঠ করলেন ‘তিনি দৃষ্টির অধিগম্য নন, কিন্তু দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত’ (আন’আম ৬/১০৩) ‘মানুষের এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তাঁর সঙ্গে কথা বলবেন, ওয়াহীর মাধ্যম ব্যতীত অথবা পর্দার আড়াল ছাড়া’ (শূরা ৪২/৫১) আর যে ব্যক্তি তোমাকে বলবে যে, আগামীকাল কী হবে, তা সে জানে, তাহলে সে মিথ্যাচারী। তারপর তিলাওয়াত করলেন ‘কেউ জানে না আগামীকাল সে কী অর্জন করবে’ (লুকমান ৩১/৩৪) এবং তোমাকে যে বলবে, মুহাম্মাদ (সাঃ) কোন কথা গোপন রেখেছেন, তাহলেও সে মিথ্যাচারী। এরপর তিনি পাঠ করলেন ‘হে রাসুল! তোমার প্রতিপালকের নিকট হতে তোমার প্রতি যা অবতীর্ণ হয়েছে, তা প্রচার কর’ (মায়িদাহ ৫/৬৭) তবে হাঁ, রাসুল (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে তাঁর নিজস্ব আকৃতিতে দু’বার দেখেছেন” বুখারী ৪৮৫৫ দলীল নঃ ২ মাসরুক (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-কে আল্লাহর বানী ‘তারপর সে তাঁর নিকটবর্তী হল এবং অতি নিকটবর্তী হল, অবশেষে তাঁদের মধ্যে দুই ধনুকের ব্যবধান রইল অথবা আরও কম’ (নাজম ৫৩/৮-৯) সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলাম। আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, তিনি ছিলেন জিবরীল (আঃ)। জিবরীল (আঃ) সাধারনত মানুষের আকার নিয়ে রাসুল (সাঃ)-এর নিকট আসতেন। কিন্তু এবার তিনি নিকটে এসেছিলেন তাঁর আসল চেহারা নিয়ে। তখন তিনি আকাশের সম্পূর্ণ দিকচক্রবাল আবৃত করে ফেলেছিলেন’’ বুখারী ৩২৩৫; মুসলিম ২৯০-(…) দলীল নঃ ৩ ”মাসরুক (রহঃ) বলেন, আমি আয়িশাহ (রাঃ)-এর মাজলিশে হেলান দিয়ে বসেছিলাম। তখন তিনি বললেন, হে আবু আয়িশাহ! তিনটি কথা এমন, যে এর কোন একটি বলল, সে আল্লাহ সম্পর্কে ভীষণ অপবাদ দিল। আমি জিজ্ঞেস করলাম, সেগুলো কি? তিনি বললেন, যে এ কথা বলে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর প্রতিপালককে দেখেছেন, সে আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দিল। রাবী মাসরুক বলেন, আমি তো হেলান অবস্থায় ছিলাম, এবার সোজা হয়ে বসলাম। বললাম, হে উম্মুল মু’মিনীন! থামুন, আমাকে সময় দিন, ব্যস্ত হবেন না। আল্লাহ তায়ালা কি কুরআনে বলেন নাই ‘তিনি তো তাঁকে স্পষ্ট দিগন্তে দেখেছেন’ (তাকভীর ৮১/২৩) এবং ‘নিশ্চয়ই তিনি তাঁকে আরেকবার দেখেছিলেন’ (নাজম ৫৩/১৩) আয়িশাহ (রাঃ) বললেন, আমিই এ উম্মাতের প্রথম ব্যক্তি, যে রাসুল (সাঃ)-কে এ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছিলাম। তিনি বলেছেন, তিনি তো ছিলেন জিবরীল (আঃ), আর কেবলমাত্র এ দু’বারই আমি তাঁকে তাঁর আসল আকৃতিতে দেখেছি। আমি তাঁকে আসমান থেকে অবতরন করতে দেখেছি। তাঁর বিরাট দেহ ঢেকে ফেলেছিল আসমান ও যমিনের মধ্যবর্তী সব স্থানটুকু। আয়িশাহ (রাঃ) আরও বললেন, তুমি শোননি? আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘তিনি (আল্লাহ) দৃষ্টির অধিগম্য নন, তবে দৃষ্টিশক্তি তাঁর অধিগত এবং তিনি সূক্ষ্মদর্শী ও সম্যক পরিজ্ঞাত’ (আন’আম ৬/১০৩) এরুপে তুমি কি শোননি? আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মানুষের মধ্যে এমন মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তাঁর সাথে কথা বলবেন ওয়াহীর মাধ্যম ব্যাতিরেকে, অথবা পর্দার অন্তরাল ব্যাতিরেকে, অথবা এমন দুত প্রেরন ব্যাতিরেকে যে তাঁর অনুমতিক্রমে তিনি যা চান তা ব্যক্ত করেন, তিনি সমুন্নত, প্রজ্ঞাময়’ (শূরা ৪২/৫১) আয়িশাহ (রাঃ) বলেন, আর ঐ ব্যাক্তিও আল্লাহর উপর ভীষণ অপবাদ দেয়, যে এমন কথা বলে যে, রাসুল (সাঃ) আল্লাহর কিতাবের কোন কথা গোপন রেখেছেন। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে রাসুল! আপনার প্রতিপালকের নিকট হতে যা অবতীর্ণ হয়েছে তা প্রচার করুন, যদি তা না করেন তবে আপনি তাঁর বার্তা প্রচারই করলেন না’ (মায়িদাহ ৫/৬৭) আয়িশাহ (রাঃ) আরও বলেন, যে ব্যাক্তি এ কথা বলে যে, রাসুল (সাঃ) ওয়াহী ব্যাতিত আগামীকাল কি হবে তা অবহিত করতে পারেন, সেও আল্লাহর প্রতি ভীষণ অপবাদ দেয়। কেননা আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘বল- আসমান ও যমিনে আল্লাহ ব্যাতিত গায়েব সম্পর্কে কেউ জানে না’ (নামল ২৭/৬৫) মুসলিম ২৮৭-(১৭৭) দলীল নঃ ৪ আয়িশা (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, যে ব্যক্তি মনে করবে যে, মুহাম্মাদ (সাঃ) তাঁর রবকে দেখেছেন, সে মহা ভুল করবে। বরং তিনি জিবরীল (আঃ)-কে আসল আকার ও চেহারায় দেখেছেন। তিনি আকাশের দিকচক্রবাল জুড়ে অবস্থান করছিলেন’’ বুখারী ৩২৩৪ দলীল নঃ ৫ আল্লাহর বানী, অবশেষে তাঁদের মধ্যে দুই ধনুকের দূরত্ব রইল অথবা আরও কম, তখন আল্লাহ স্বীয় বান্দার প্রতি যা ওয়াহী করার ছিল, তা ওয়াহী করলেন’ নাজম ৫৩/৯-১০ ইমাম বুখারী অত্র আয়াতের তাফসীরে দুটি হাদীস নিয়ে এসেছেনঃ আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। উল্লেখিত আয়াতের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ইবন মাস’উদ (রাঃ) বলেন, রাসুল (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছেন। তাঁর ছয়শত ডানা ছিল’’ বুখারী ৪৮৫৬ দলীল নঃ ৬ শাইবানী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলে আমি যিরর (রহঃ)-কে (উল্লেখিত) আল্লাহর বানীর ব্যাখ্যা জিজ্ঞেস করলে, তিনি বললেন, আমাকে আব্দুল্লাহ (রাঃ) বলেছেন, মুহাম্মাদ (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছেন। এ সময় তাঁর ছয়শত ডানা ছিল’’ বুখারী ৩২৩২, ৪৮৫৭; মুসলিম ২৮০-(১৭৪) দলীল নঃ ৭ আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘তিনি যা দেখেছেন, তাঁর অন্তকরন তা অস্বীকার করে নাই’ (নাজম ৫৩/১১) আয়াতটি তিলাওয়াত করলেন এবং এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছিলেন। তাঁর ছয়শত ডানা আছে’’ মুসলিম ২৮১-(…) দলীল নঃ ৮ আব্দুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘তিনি তাঁর প্রতিপালকের মহান নিদর্শনাবলী দেখেছিলেন’ (নাজম ৫৩/১৮) তিলাওয়াত করলেন এবং ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে তাঁর নিজ আকৃতিতে দেখেছিলেন, তাঁর ছয়শত ডানা আছে’’ মুসলিম ২৮২-(…) দলীল নঃ ৯ আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। ‘নিশ্চয়ই তিনি তাকে আরেকবার দেখেছিলেন’ (নাজম ৫৩/১৩) আয়াতের ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে বলেছেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) জিবরীল (আঃ)-কে দেখেছিলেন’’ মুসলিম ২৮৩-(১৭৫) দলীল নঃ ১০ সহীহ মুসলিমের এর ৭৮ নঃ অধ্যায় ‘রাসুল (সাঃ)-এর বানীঃ ‘তা ছিল উজ্জ্বল জ্যোতি আমি তা দেখেছি। অন্য বর্ণনায়ঃ ‘আমি উজ্জ্বল জ্যোতি দেখেছি’’ এই অধ্যায়ে দু’টি হাদীস রয়েছেঃ ”আবু যার (রাঃ) বলেন, আমি রাসুল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছি, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? রাসুল (সাঃ) বললেনঃ ‘’তিনি (আল্লাহ) নুর, তা আমি কিরুপে দেখবো?” মুসলিম ২৯১-(১৭৮) দলীল নঃ ১১ আবদুল্লাহ ইবন শাকীক (রহঃ) বলেন, আমি আবু যার (রাঃ)-কে বললাম, যদি রাসুল (সাঃ)-এর দেখা পেতাম তবে তাঁকে অবশ্যই একটি কথা জিজ্ঞেস করতাম। আবু যার (রাঃ) বললেন, কি জিজ্ঞেস করতে? তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞেস করতাম যে, আপনি কি আপনার প্রতিপালককে দেখেছেন? আবু যার (রাঃ) বললেন, এ কথা তো আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, তিনি বলেছেনঃ ‘আমি নুর দেখেছি’ মুসলিম ২৯২-(…) দলীল নঃ ১২ ”আবু মুসা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেন ‘’তিনি (আল্লাহ) নুরের পর্দায় আচ্ছাদিত। যদি সে আবরন খুলে দেয়া হয়, তবে তাঁর নুরের আলোকচ্ছটা সৃষ্টিজগতের দৃশ্যমান সবকিছু ভস্ম করে দিবে’’ মুসলিম ২৯৩-(১৭৯) এছাড়াও সুরা নাজমের উল্লেখিত আয়াতসমুহের ব্যাখ্যা সম্পর্কে ইমাম তাবারী, ইমাম ইবন কাসীর, কুরতুবী, আবু হাইয়ান, ইমাম রাযী, ইবন হাজার আসকালানী, ইমাম নববী, ইমাম বুখারী, ইমাম মুসলিম, ইমাম তাইমিয়া, ইবনুল কাইয়িম প্রমুখ বিদ্বানগণ এই মতকেই প্রাধান্য দিয়েছেন যে, অত্র আয়াত সমুহে আল্লাহ তায়ালাকে দেখার কথা বলা হয়নি, বরং এখানে জিবরীল (আঃ)-কে নিজ আকৃতিতে দেখার কথা বলা হয়েছে।এছাড়া ‘তাফসীর মা’আরেফুল কুরআনে’ মুফতী মুহাম্মাদ শফি এই মত সমর্থন করেছেন। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন মাওলানা আশরাফ আলী থানভীও এই তাফসীর অবলম্বন করেছেন। (আল্লাহ ভাল জানেন) সুত্রঃ তাফসীর, ইবন কাসীর। তাফসীর, আবু বকর যাকারিয়া। তাফসীর, আহসানুল বায়ান, হাফিয সালাহুদ্দিন ইউসুফ। মা’আরেফুল কুরআন, মুফতী শফি। তাফহীমুল কুরআন, সাইয়েদ আবুল আলা মওদুদি। যাদুল মাআদ, ইবনুল কাইয়িম।
    জান্নাতুল ফেরদাউস
  • Sogood Islam Syeds

    5/6, 2:51pm

    Sogood Islam Syeds

    তাবলীগঃ (WHY, WHAT & HOW) ইন্নালহামদালিল্লাহ। সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের জন্য, যিনি আসমানকে কোন খুঁটির সাহায্য ছাড়াই ঊর্ধ্বে স্থাপিত করেছেন। দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক সেই রাহমাতুল্লিল আলামিনের ওপর যার সম্পর্কে সকল ধর্মের ও সকল মতবাদের জ্ঞানী ও বিজ্ঞজনেরা অত্যন্ত উচ্চ ধারনা পোষণ করেন এবং যার নামে দরুদ ও সালাম পাঠ করা হয় আসমানে ও জমিনেও। একটু বড় লেখা, দয়াকরে সবাইকে একটু ধৈর্য নিয়ে পড়ার অনুরোধ জানাচ্ছি। ভুল হলে, কমেন্ট আশা করছি। এক আজ থেকে প্রায় বিশ-পঁচিশ বছর আগে আমাদের গ্রামের বাড়ির ওদিকে দেখা যেত, পুরো গ্রামে মাত্র একটা টেলিভিশন। থানা শহর থেকে একটু ভেতরের দিকে, দু-তিন গ্রামেও একটা টেলিভিশন দেখা যেত না। তো ভালই ছিল অবস্থা। দাজ্জালিয় প্রভাব কম ছিল। কিন্তু, আমি যেজন্য বলছি, ভাবুন, সেই বাড়িটি আপনার। রাতে খবর দেখাচ্ছে, ২৫০ কিমি বেগে একটি সাইক্লোন ধেয়ে আসছে, আগামী ৭-৮ ঘণ্টার মধ্যে আপনার এই গ্রামের আশেপাশের এলাকা লণ্ডভণ্ড হয়ে যাবে। আপনি একা সে সংবাদ দেখলেন, টিভিটা বন্ধ করে নিকটস্থ আবহাওয়া অফিসে ফোন করলেন এবং জেনে নিলেন ঝড়ের গতিপথ অনুযায়ী আপনাকে একটি নির্দিষ্ট দিকে(৪৫ ডিগ্রি পূর্বে) সরে যেতে হবে। এরপর আপনি কাউকে না জানিয়ে, শুধু আপনার ফ্যামিলি নিয়ে রাতের মধ্যেই সরে গেলেন, আর পুরো গ্রাম ধ্বংস হয়ে গেল। ভাবুন, আপনি কতটা অমানবিক কাজ করলেন। আপনি যখন সত্যটা জানতে পারলেন, যে আমাদের সবার সামনে একটি কমন বিপদ অপেক্ষা করছে এবং এটাও জানেন এই বিপদ সম্পর্কে অন্যান্যরা Aware না, তখন আপনি কি করে পারেন, একা একা নিজেকে রক্ষা করতে? আমাদের সবার সামনে সেই কমন বিপদের মত সাকরাতুল মাউত, আলমে বরজখ, কিয়ামত, হাশরের ক্লান্তক্লিস্ট দিন, মীযান, পুলসিরাত আর জাহান্নামের মত একেকটা ভয়ঙ্কর কঠিন Phase অপেক্ষা করছে। তো আপনি যখন হিদায়াত তথা সেই হকের সন্ধান পেয়ে গেলেন, তখন আপনি আর এক মুহূর্তও বসে থাকতে পারেন না, যদি আপনার ভেতর সামান্যতম মানবিকতা থেকে থাকে। আপনি যতখানি জাহান্নামকে চিনতে পেরেছেন, আপনি ততখানিই মুবাল্লিগ হয়ে যাবেন। আপনি যতখানি আখিরাতের অবস্থা চিনতে পেরেছেন, আপনি এই উম্মাহর জন্য ততখানিই চিন্তিত থাকবেন। আপনার তাবলীগ, অন্য কথায় আপনার ঈমানেরই একটি মানদণ্ড, একটি আইডেন্টিটি। আপনি তাবলীগ করেন না, তার মানেই হল, এই উম্মাহর প্রতি আপনার কোন দরদ নেই, আপনি একজন পশুতুল্য মানুষ, অথবা আপনি সেই জাহান্নামের সেই ভয়াবহতা সম্পর্কে এখনো জানতে বা বিশ্বাস করতে পারেন নি। আজ দেশের ৯৯ ভাগ মানুষ টাখনুর নিচে কাপড় পরে, ৯৫ ভাগ মানুষ নামাজ পরে না, দেশের সব উদ্যানগুলো সোহরাওয়ারদি উদ্যান হয়ে গেছে, সব লেকগুলো ধানমণ্ডি লেক হয়ে গেছে, অধিকাংশ ফ্ল্যাটগুলো লিটনের ফ্ল্যাট হয়ে গেছে, আর আপনি চোখে টিনের চশমা লাগিয়ে মসজিদে বসে তসবি টানবেন, এটা ইসলাম নয়। তেমনিভাবে, যখন মুসলিমদের বাড়িঘরগুলো বুলডোজার দিয়ে গুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে, মুসলিমদেরকে তাদের নিজস্ব ভুমি থেকে উৎখাত করে দিয়ে তাদেরকে স্যান্ডওয়িচের মত পিষে গলাধকরন করা হচ্ছে, মুসলিম শিশুদের ওপর বৃষ্টির মত ব্যারেল বোমা ড্রোন ইত্যাদি ফেলা হচ্ছে, মুসলিম মা-বোনদেরকে তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, কুরআন পোড়ান হচ্ছে, এর ওপর প্রস্রাব করা হচ্ছে, ইসলাম ও মুসলিমের নাম ও নিশানা মুছে ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে, তখন আপনি কুফফার ও তাগুতের সাথে হাতে হাত মিলিয়ে নিশ্চুপ বসে থাকতে পারেন না! দুই দ্বীন একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা। সুতরাং, আপনি যদি তাবলীগ করেন, তবে আপনাকে এই পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থার তাবলীগই করতে হবে। আপনি একজন ছাত্রকে যেমন তার পড়াশোনার প্রতি উৎসাহ যোগাবেন, তেমনি তার নামাজের প্রতিও উৎসাহ যোগাবেন। ইসলাম কোন বৈরাগ্যবাদ অনুমোদন দেয় না। কিন্তু ব্যাপার হল, বর্তমানে একজন মা তার সন্তানকে যতখানি পড়াশোনার চাপ দেয়, নামাজের ব্যাপারে ততখানিই শিথিল। এজন্য, যেহেতু দুনিয়া তারটা নেয়ার জন্য যথেষ্ট দাওয়াতি কাজ করে যাচ্ছে, একজন মুবাল্লিগ মানুষের আখিরাতের বিষয় নিয়েই বেশি গুরুত্বারোপ করেন। সুরা মায়িদাতে আল্লাহপাক বলেন, “হে রাসুল, তোমার ওপর যা কিছু নাজিল করা হয়েছে তা তুমি (অন্যের কাছে) পৌঁছে দাও, যদি তুমি(তা) না কর, তাহলে তুমি তো (মানুষদের কাছে) তার বার্তা পৌঁছে দিলে না। আল্লাহতাআলা তোমাকে মানুষের (অনিষ্ট) থেকে বাচিয়ে রাখবেন; নিশ্চয়ই আল্লাহ তাআলা কখনও কোন অবাধ্য জাতিকে পথ প্রদর্শন করেন না” (৫;৬৭) সুতরাং, কুরআনের কোন আয়াত কোন বিধান আপনি গোপন করতে পারবেন না। সব বিধান সব হুকুমের কথাই আপনাকে বলতে হবে। আপনি নামাজেরটা বলবেন, পর্দারটা বলবেন না, তা হবে না। আপনি সম্পদ বণ্টনের কথা বলবেন, জিহাদের কথা বলবেন না, তা হবে না। প্রশ্ন হল, এ ব্যাপারে কিসের দাওয়াত সর্বাগ্রে হবে? এ ব্যাপারে আমাদের কাছে ইতিহাস রয়েছে, আমরা প্রত্যেক নবীর জীবনী পড়লেই বুঝতে পারি, তারা কোথায় থেকে শুরু করেছিলেন, কোন লক্ষ্যে এগিয়ে গিয়েছিলেন, কোথায় শেষ করেছিলেন। একটা ব্যাপার আমাদের কাছে পরিস্কার, তা এই যে, ফেরাউন নমরুদেরা যখন নিজেকে খোদা বলে দাবী করেছিল, তখন তারা কিন্তু নিজেকে চন্দ্র সূর্য নক্ষত্রের মালিক বলে দাবী করেনি, দাবী করেনি যে নদী আর সাগরগুলো তারাই প্রবাহিত করে, পাহারগুলো তারাই দাড় করেছে, বৃষ্টি বর্ষণ করে তারা, বীজ থেকে তারাই উদ্ভিদ উৎপন্ন করে। বরং, তারা দাবী করেছিল, এই মূলকের তারাই অথরিটি। তারা যা বলবে তাই হবে। এই মূলকের মূলকিইয়াত তথা সার্বভৌম ক্ষমতার অধিকারী তারা হবে। আর তখন তাদের জাতির মূর্খ লোকেরা যখন তাদেরকে এই খোদা বলে মেনে নিয়ে পথভ্রষ্ট হয়ে যাচ্ছিল, তখন ইব্রাহিম(আ), মুসা(আ) এর মত সত্যপন্থী নির্ভীক লোকেরা এসে ঘোষণা দিল, তোমরা আমাদের রব বা খোদা নও। ফেরাউনরা আশ্চর্য হয়ে জিজ্ঞেস করল, তোমাদের রব আবার কে, আমি ছাড়া? মুসা(আঃ) উত্তর দিয়েছিলেন, আমার রব তিনিই, যিনি সূর্যকে পূর্ব দিক থেকে উদিত করান, আবার পশ্চিম দিকে অস্তনমিত করান। আমি একমাত্র তার কথাই শুনব। তোমার কথা শুনব না। তবে তুমি যদি তাঁর কথা শোন, তবে এই রাজত্বও তোমারি থাকবে আবার আল্লাহপাক তোমাকে জান্নাতেও রাজত্ব দান করবেন। তো প্রাকৃতিক সে বিষয়গুলোতে ফেরাউনের যে কোন হাত নেই, এগুলো যে সেই মহান রাব্বুল আলামিনের হাতেই নিয়ন্ত্রিত হয় একথা তখনকার ফেরাউনও জানত, মক্কার ফেরাউনরাও জানত, বর্তমান ফেরাউনরাও জানে। কিন্তু, খোদা দাবিদার সেইসব ফেরাউনরা চায়, ওঃকেঃ মালিক তো আল্লাহই, কিন্তু, এই জমিনে আমরা আল্লাহর কথামত চলব না। বরং আমরা নিজেরাই আইন তৈরি করব আর এইসব মানুষেরা আল্লাহর পরিবর্তে আমাদের দাস হয়ে থাকবে। আমাদের দেয়া আইন বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করবে। কুরআনের বিভিন্ন আয়াতেও আমরা দেখতে পাই যে, মক্কার কাফিররাও জানত, আল্লাহই খাওয়ায় আর কেউ খাওয়ায় না। আল্লাহই পরায় আর কেউ পরায় না। কোন কিছুতেই কোন কিছু হয় না, আল্লাহ থেকেই সব কিছু হয়। মাখলুক করে না, খালিকেই করে। সুরা মুমিনুনে আমরা দেখি, আল্লাহপাক বলেন, “বলো, কে সাত আসমানের রব এবং মহা আরশের রব? তারা বলবে, আল্লাহ। বল, তবুও তোমরা তাকওয়া অবলম্বন করবে না? বল, তিনি কে যার হাতে সকল কিছুর কর্তৃত্ব, যিনি আশ্রয় দান করেন এবং যার ওপর কোন আশ্রয়দাতা নেই? যদি তোমরা জান। তারা বলবে, আল্লাহ। বল, “তবুও কীভাবে তোমরা মোহাচ্ছন্ন হয়ে আছ?” (২৩;৮৬-৮৯) এরকম আরও অনেক আয়াত আছে, জুখ্রুফঃ৮৭, ৯, আঙ্কাবুতঃ৬৩, ৬১, মুমিনুনঃ৮৪-৮৫, ইউনুসঃ৩১ ইত্যাদি। এসব আয়াতে পরিষ্কারভাবে বোঝা যায়, আমরা যেভাবে আল্লাহ সুবহানাতাআলাকে রিজকদাতা, শ্রবণশক্তি, দৃষ্টিশক্তির মালিক, জীবন মৃত্যুর মালিক বলে মনে করি, তৎকালীন মক্কার কাফিররাও তা বিশ্বাস করত। তা সত্বেও তারা কাফির। এমনকি, মুহাম্মাদ(স) এর পিতার নাম ছিল আবদুল্লাহ। তারা তো আরবি। এমন না বাংলাদেশের মানুষের মত, আবদুল্লাহ নামের মানে জানত না। এমনিতেই মুসলিম নাম বলে নাম রেখে দিত, আবদুল্লাহ। তারা ভাল করেই জানত, আবদুল্লাহ অর্থ আল্লাহর বান্দা। তারা তো আল্লাহকেও জানত মানত। লাত মানাতদের অনুসারী হয়েও তারা কিন্তু নাম রাখত না আব্দুল লাত, আব্দুল মানাত। আবার, কাবা শরিফ সংস্কারের কাজ করার সময়ও আমরা দেখি, তারা বিশ্বাস করত এই কাজ হারাম টাকা দিয়ে করা যাবে না। তো পুরো সংস্কারের কাজ যখন হালাল টাকা দিয়ে করা যাচ্ছে না, তখন তারা যেটুকু হালাল টাকা দিয়ে করা যায়, সেটুকুই করেছিল, বাকিটুকু আর হারাম টাকা দিয়ে কমপ্লিট করার সাহস পায় নাই। অমনিই রেখে দিয়েছিল। তো তারা তো আল্লাহকে জানতও, ভয়ও করত। কিন্তু তবুও, যেদিন মুহাম্মাদ(স) প্রকাশ্যে সাফা পর্বতের ওপর ঘোষণা দিলেন, অন্য সকল আলেহাদের বর্জন করে একমাত্র আল্লাহর আনুগত্য করার জন্য, তারা অস্বীকৃতি জানাল। তারা কাফের হয়ে গেল। তারা কিসের প্রতি অস্বীকৃতি জানিয়েছিল? এক আল্লাহর বিধান মানতে তারা অস্বীকৃতি জানিয়েছিল। তাই তারা কাফির হয়ে গিয়েছিল। আজ যদি কেউ তাবলীগ করতে চায়, আজও তার এই তাবলীগই করার সমুহ সুযোগ রয়েছে। আপনারা আপনাদের চারপাশে তাকালেই এর বাস্তবতা অনুভব করতে পারবেন। আপনি তাবলীগ করতে শুরু করলে, এটি দিয়েই শুরু করতে হবে। অন্য কোন দিক থেকে শুরু করাটা কোন নবীর সুন্নাত ছিল না। আপনি করলে অবশ্যই এটা বিদআত হবে। তিন How এর প্রশ্ন এলে বিষয়টা যদিও একটা বিতর্কের মধ্যে পড়ে যায়, তবুও বলি, আমাদের সামনে কুরআন অবিকৃত এবং রাসুলের(স) কাজের পদ্ধতিও সবিশেষ বিস্তারিত ভাবে বর্তমান। বাংলাদেশের কথাই যদি বলি, এদেশে অনেক মুখলিস ইসলামী দল রয়েছে, যারা একান্ত নিষ্ঠার সাথে তাবলীগ করে যাচ্ছেন। আবার ব্যাক্তিপর্যায়ে এমন অনেক লোক রয়েছেন যারা কোন দলের আমির বা দলের নীতির ওপর বীতস্রদ্ধ হয়ে দলচ্যুত হয়েছেন ঠিকই কিন্তু দাওয়াতি কাজ ছাড়েন নাই। আবার অনেকে কুরআন ও হাদিস অধ্যয়ন করে হকে দিশা পেয়েছেন, কিন্তু কোন হকপন্থি দল না পাওয়ায় জামাতের সাথে যুক্ত হন নি, কিন্তু দাওয়াতি কাজ জারি আছে। বিষয় হল, কিভাবে এই দাওয়াতি কাজ চালু রাখতে হবে? এ সম্পর্কে বিস্তারিত অনেক বলবার আছে। কিন্তু লেখার আয়তন Already প্রায় বিশাল হয়ে গেছে, তাই একেবারে সংক্ষেপে বলতে গেলে, আমাদেরকে রাসুল(স) এর এবং একমাত্র রাসুল(স) এর কাজের পদ্ধতির Proper Synchronization দরকার। আর তা ঠিকমতো হচ্ছে কি না এই Confirmatory test এর জন্য আপনাকে দৃষ্টি রাখতে হবে, এই দাওয়াতি কাজ করতে গিয়ে রাসুল(স) যেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলেন, আপনি সেসব পরিস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন কিনা। আপনার সাথে Existing কুফফার ও তাগুতের সম্পর্কের ধরনটা রাসুল(স) এবং তৎকালীন কাফির ও মুনাফিকদের সম্পর্কের মতই হতে হবে। রাসুল(স) এর দাওয়াতি কাজ ছিল এককথায় বৈপ্লবিক এবং একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যের দিকে ধাবিত। আর তা হল, আল্লাহর জমিনে সবকিছু আল্লাহর কথামত চলবে, দ্বীন ইসলাম কায়েম হবে, এর চুড়ান্ত বাস্তবায়ন। তাঁর দাওয়াতি কাজের একটা distinct progress তাঁর সিরাত পড়লেই বোঝা যায়। আর তা করতে গিয়ে তিনি কখনও গালিগালাজ, কখনও বয়কট, কখনও জীবননাশের হুমকির মধ্যে পড়েছেন। কিন্তু সত্য প্রচার থেকে এক পা বিচ্যতু হন নি। কখনও কুফফারদের সাথে তাগুতের সাথে আপোষ করেন নি। প্রতিটি নবীর লক্ষ্য ছিল অন্যান্য সকল জীবনব্যবস্থা অন্যান্য সকল দ্বীনকে নির্মূল করে দিয়ে পৃথিবীর বুকে একমাত্র জীবনব্যবস্থা হিসেবে ইসলামকে প্রতিষ্ঠিত করা। আর এটাই ছিল আল্লাহর হুকুম। সুরা সফে আল্লাহপাক বলেন, “তিনি তার রাসুলকে একটি স্পষ্ট পথনির্দেশ ও সঠিক জীবনবিধান দিয়ে প্রেরন করেছেন, যেন সে(রাসুল) একে দুনিয়ার(প্রচলিত) সব কয়টি জীবনব্যবস্থার ওপর বিজয়ী করে দিতে পারে, তা মুশরিকদের কাছে যতই অপছন্দনীয় হোক না কেন!”(৬১;৯) সুতরাং, রাসুল(স) এর মত তাবলীগ করতে হলে সেই তাবলীগকে অবশ্যই অন্যান্য সকল ধর্মের ও মতবাদের গাত্রদাহের কারন হতে হবে। যদি তা না হয়, তবে সেটা নিশ্চয়ই তাবলীগ নয়। আবার এই তাবলীগ করতে গিয়ে অনেকে হিকমাহর নামে অন্যান্য দ্বীনের সাথে এমনভাবে মিশে যায়, যে তারা একেবারে কুফফারদের জীবনব্যাবস্থা গণতন্ত্রকে গ্রহন করতেও দ্বিধাবোধ করে না। এখানে আরেকটি কথা প্রণিধানযোগ্য যে, ইসলামের ইতিহাসের এক চরম ক্রান্তিলগ্নে আমরা এসে পৌঁছেছি। কিতাবুল ফিতানের হাদিস তথা রাসুল(স) এর ভবিষ্যতবাণী অনুযায়ী এক অবশ্যম্ভাবী ধ্বংসাত্মক যুগে বসবাস করছি আমরা। এগুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে, এর জন্য যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহন করার প্রস্তুতি নেয়ার জন্য আপনার আশেপাশের মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা আজ প্রতিটি শিক্ষিত মানুষের জন্য ফরয হয়ে দাঁড়িয়েছে। আসুন, তাবলীগ করি। মানুষকে ভালবাসি। তাদের ভালর জন্যই আপনাকে কখনও কোমল কখনও কঠোর হতে হবে। চিন্তা করুন, আপনার বাবা যখন আপনাকে ছোটবেলায় কখনও আদর আবার কখনও শাসন করতেন। কেন? আপনার ভালর জন্যই তো, নাকি? তবে, আজ যখন এই উম্মাহ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে, তখন আপনি কি করে তাদের ভাল না চেয়ে পারেন? রাসুল(স) বলতেন, এই উম্মাহ একটি Bodyর মত। এর এক অংশ ব্যাথা পেলে, আরেক অংশে সে ব্যাথা অনুভুত হবে। এই উম্মাহ হাতের একটি মুষ্টির মত, এর এক অংশ আরেক অংশকে দৃঢ় করবে। আর আজ আমরা অনুভূতিহীন, একে অপরের সাথে সম্পর্কহীন এক বিচ্ছিন্ন জাতিতে পরিনত হয়েছি। সমুদ্রের ভাসমান ফেনার মত সামুদ্রিক স্রোত আমাদের ভাসিয়ে নিয়ে চলেছে, সামনেই সেই ভয়ঙ্কর জলপ্রপাত যেখানে আমাদের ধ্বংস। এখনি সময়, আল্লাহর রজ্জুকে শক্ত করে ধারন করে পৃথিবীতে আল্লাহর ক্ষমতাকে অন্যান্য সকল ক্ষমতার ওপর বিজয়ী ঘোষণা করার। নারায়ে তাকবির! আল্লাহু আকবর!
    Quran and Sirat distribution on Diamond Jubilee – 2017 of RBR
  • Sogood Islam Syeds

    5/6, 4:29pm

    Sogood Islam Syeds

    হাদীস বিষয়ক কিছু পরিভাষার সরল সংজ্ঞা
    হাদীস বিষয়ক কিছু পরিভাষা যা আমাদের জানা থাকা জরুরী হাদীসের ব্যাবহারিক সংজ্ঞাঃ হাদীস বলতে সাধারনতঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কথা, কর্ম বা অনুমোদনকে বুঝানো হয়। অর্থাৎ, ওহীর মাধ্যমে প্রাপ্ত জ্ঞানের আলোকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) যা বলেছেন, করেছেন বা অনুমোদন করেছেন তাকে হাদীস বলা হয়। এব…
    quraneralo.com
  • May 7
  • Sogood Islam Syeds

    5/7, 10:06am

    Sogood Islam Syeds

    ✗✗ ” বিদআত” চুন্নতৰ হত্যাকাৰী ! ✗✗ কোনো এজন ব্যক্তিক হত্যা কৰাৰ পাছত পৃথিৱীত যিদৰে সেই ব্যক্তিগৰাকীৰ অস্তিত্ব নাথাকে , ঠিক তেনেদৰেই আমাৰ আমলত যি পৰিমাণৰ বিদআত সংযোজন হয়, আল্লাহে সিমান পৰিমাণৰ চুন্নত আমাৰ মাজত অস্তিত্ব নোহোৱা কৰি দিয়ে । উদাহৰণ স্বৰূপে পৰিপূৰ্ণ ইছলামক যদি আমি এগিলাচ ভৰ্ত্তি পানীৰ লগত তুলনা কৰো আৰু সেই পানীপূৰ্ণ গিলাচটিত এটা শিলগুটি ভৰাই দিওঁ , তেন্তে আমি দেখিবলৈ পাম যে গিলাচটোৰ ভিতৰত শিলটোৱে পানীৰ অৱস্থান দখল কৰিছে ! এই পৰিঘটনা লক্ষ্য কৰিলে অতি সহজতেই আমি দেখিবলৈ পাম যে পৰিপূৰ্ণ পানীগিলাছত শিলটোৱে যি আয়তন অধিকাৰ কৰিছে, সেই পৰিমাণৰ পানী গিলাছটোৰ বাহিৰলৈ ওলাই পৰিছে । ঠিক তেনেদৰেই পৰিপূৰ্ণ ইছলামত যি পৰিমাণৰ বিদআতৰ আগমন হয়, ঠিক একেপৰিমানৰ চুন্নত উক্ত স্হানত নোহোৱা হৈ যায় । ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে , “কোনো জাতিয়ে যেতিয়া শ্বৰীয়তত যি পৰিমাণৰ নতুন আমলৰ প্ৰচলন কৰে,আল্লাহে সেই স্থানৰ পৰা উক্ত পৰিমাণৰ চুন্নত চিৰদিনৰ বাবে উঠাই নিয়ে (দাড়ীমি ,হাঃ/৯৮) । বিদআত চিনাক্তকৰণ কৰাটো বা বিদআত মানেনু কি বুজি পোৱাটো ভাতৰ লগত পানী খোৱাতকৈও সহজ কাম ! কিন্তু দূৰ্ভাগ্য ,আমি বুজিবলৈ চেষ্টা নকৰাৰ বাবেই ই হৈ পৰিছে আমাৰ বাবে এক নুবুজা সাঁথৰ ! অতি ৰহস্যজনক ভাবে আমাৰ আলীম উলেমা সকলে এই বিদআত কাক কয় সেই বিষয়ে কেতিয়াও সাধাৰণ মানুহক বুজাই দিয়া আপুনি দেখিবলৈ নাপায়, যিহেতু নিজেই তেওঁলোকৰ গৰিষ্ঠ সংখ্যক আজি এই নিকৃষ্ট কৰ্মত লুতুৰি পুতুৰি ! সাৱধান !! আল্লাহে কৈছে , বিদআতীৰ কোনো আমলেই কবুল নহয় আৰু ঠিকনা স্পষ্ট জাহান্নাম । কিয়নো বিদআত কৰা মানে আল্লাহৰ ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ ৰাছূলত্তক অপৰিপক্ক বুলি প্ৰমাণ কৰিবলৈ কৰা চেষ্টা ! তেখেতে দি যোৱা ইছলাম যঠেষ্ট নহয় বুলি বিবেচনা কৰি আমি দ্বীনত নতুন আমল সংযোজন কৰা ( নাউজুবিল্লাহ )। গতিকে কি যুক্তিৰে এনে ইবাদত কৰি আমি জান্নাত আশা কৰিম ?? So, plz plz dont take it so sportingly….undoubtly it will throw us to hellfire…… আমি কৰা প্ৰত্যেকটো আমল নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ও চাহাবায়ে কেৰাম সকলে কৰিছিল বুলি যদি চহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্ৰমাণিত হয়, তেনে সেই আমলক কোৱা হব চুন্নত । ইয়াৰ বিপৰীতে আমি কৰা যি কোনো আমলেই যদি চহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্ৰমাণিত নহয় তেন্তে আল্লাহৰ দৃষ্টিত তেনে আমলেই হব বিদআত , লাগিলে পৃথিৱীৰ যিমান ডাঙৰ আলীমেই সেই আমল কৰিবলৈ শিক্ষা নিদিয়ক কিয়, জাহান্নামৰ পৰা সেই ইমামৰ আমাক বচোৱাৰ তিলমানো অধিকাৰ নাই । সেয়েহে আহকচোন আমাৰ দুই এটা গতানুগতিক আমলেৰে আমি নিজকে পৰীক্ষা কৰি চাওঁ যে আমি প্ৰকৃততে চুন্নতকাৰী নে চুন্নতৰ হত্যাকাৰী ???? ১] নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কেৱল “বিছমিল্লাহ” বুলি কৈ অজু আৰম্ভ কৰিছিল( চহীহ তিৰমিযি,হাঃ/২৫,১/১৩ পৃষ্ঠা , চহীহ ইবনু মাজাহ,হাঃ৩৯৭,পৃঃ৩২,মিশকাত, হাঃ৪০২,পৃঃ৪৬) । আমি অজুৰ বিশেষ নিয়ত ” বিছমিল্লাহিল আলিওল আজিম………. পঢ়ি আজু আৰম্ভ কৰিছো ! গতিকে আপুনি কি কৰিলে, বিদআত নে চুন্নত ?? ২] কিবলাৰ মুখে ঠিয় হৈ অন্তৰেৰে চালাতৰ নিয়তৰ সংকল্প কৰি তাকবীৰে তাহৰীমা কৈ নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে চালাত আৰম্ভ কৰিছিল ( চহীহ বুখাৰী, হাঃ/৬৯৪)। আমি কিবলা মূখে ঠিয় হৈ প্ৰথমে জায়নামাজ পাকৰ দো’আ ” ইন্নিৱাজ জাহাতু…………”, তাৰ পাছত চালাতৰ শাব্দিক নিয়ত “নাৱাইতুৱান ওচল্লীয়া………” পঢ়ি তাকবীৰে তাহৰীমা কৈ চালাত আৰম্ভ কৰিলো । গতিকে আপুনি কি কৰিলে, বিদআত নে চুন্নত ??? ৩] চালাত শেষ কৰি নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ও সহযোগী মুছল্লীসকলে বিভিন্ন কিছু নিদিষ্ট তছবীহ লোৱাৰ বিষয়ে হাদীছ স্পষ্ট ( চহীহ বুখাৰী,হাঃ/৪০১,৬৬১,৮৪৭,৯৭৬)। ফৰজ চালাতৰ পাছত ইমামৰ নেতৃত্বত কোনো ধৰণৰ সমূহীয়া মোনাজাতৰ দলীল নাই । আমাৰ মছজিত সমূহত ফৰজ চালাতৰ পাছত ইমামৰ নেতৃত্বত সমূহীয়া মোনাজাত এক অপৰিহাৰ্য্য আমল !! গতিকে আমি কি কৰিছো চুন্নত নে বিদআত ?? ৪] দ্বীনে ইছলামত “শ্ববে বৰাত” নামৰ কোনো আমলৰ বিষয়ে কোৰআন হাদীছত উল্লেখ নাই । কিন্তু নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ মিৰাজ ভ্ৰমনৰ নাম লৈ এক বিশেষ দিনত “শ্ববে বেৰাত” ৰ নামত নফল চালাত, চিয়াম, হালুৱা ৰুতিৰে এক নতুন ইবাদত আমল কৰি আহিছো !! গতিকে আমি কি কৰিছো, চুন্নত নে বিদআত ?? ৫] নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ জন্ম ও মৃত্যু দিৱস পালন কৰাৰ ইছলামীয় শ্বৰীয়তত কোনো নজিৰ নাই !! কিন্তু আমি এই বিশেষ দিনটোত “ঈদে মিলাদুন নবী” নামৰ উখল মাখল দিৱস পালনত ব্যস্ত হৈছো !! সেয়েহে আমি কি কৰিছো, চুন্নত নে বিদআত ?? এনে ধৰণৰ লিখি অন্ত পেলাব নোৱাৰা সীমাহীন বিদআতেৰে আজিৰ মুচলীম সমাজ জৰ্জৰিত ! মুখেৰে বহুতো নবী প্ৰেমৰ কথা কৈ কাৰ্য্যতঃ কিন্তু আমি প্ৰায় সকলোৱেই একো একোজন নবী চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ প্ৰতিষ্ঠিত চুন্নতৰ নিৰ্লজ হত্যাকাৰী !! কঠোৰ লিখনীক আবেগভৰা চন্দেৰে গালি পাৰি মন্তব্য কৰাতকৈ আমি কৰা আমল হাদীছ সমৰ্থিত হয় নে নহয়, সেই দিশটোলৈহে দৃষ্টি নিক্ষেপ কৰক, ইন শ্বা আল্লাহ লাভাম্বিত হব ! পাহৰি নাযাব , ইছলাম আবেগেৰে পৰিচালিত নহয় ! দলীলৰ দ্বাৰাহে ইছলাম সুপ্ৰতিষ্ঠিত, সুপ্ৰমাণিত………..
    Muktabul Hussain
  • May 7
  • Sogood Islam Syeds

    5/7, 2:23pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • May 8
  • Sogood Islam Syeds

    5/8, 9:11am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন : মহিলারা কি মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে? উত্তর : পবিত্র আল কোরআনে এমন কোনো আয়াত নেই, যেটা মহিলাদের মসজিদে সালাত আদায়কে নিষেধ করেছে, এ ছাড়াও এমন কোনো সহীহ্ হাদীস ও নেই, যেখানে বলা হচ্ছে যে মহিলারা মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবেনা বা মসজিদে যেতে পারবেনা। সত্যি বলতে এমন অনেক সহীহ্ হাদীস আছে যেগুলো উল্টোটা বলছে। সহীহ্ বুখারীর 1নং খন্ড অধ্যায় 84 হাদীস 832 ( যখন তোমাদের স্ত্রীগণ তারা মসজিদে যেতে চাই তাদেরকে বাঁধা দিওনা) আরো রয়েছে সহীহ্ বুখারীর 1 নং খন্ড অধ্যায় 80 হাদীস 824 ( যখন মহিলারা রাতের বেলায় মসজিদে যেতে চাইবে যেতে দাও,) একি কথা সহীহ্ মুসলিমের 1নং খন্ড অধ্যায় 175 হাদীস 881 ( আবু হুরায়রা (রা:) তিনি বলেছেন পুরুষের জন্য শ্রেষ্ঠ সারি হলো প্রথম সারি, সব চেয়ে খারাপ সারি হলো শেষের সারি। আর মহিলাদের জন্য শ্রেষ্ঠ সারি হলো শেষের সারি আর সবচেয়ে খারাপ সারি হলো সামনের সারি) এতে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝা গেলো পুরুষ ও মহিলারা একসাথে মসজিদে সালাত আদায় করতো, এমন আরো হাদীস রয়েছে যেমন সহীহ্ মুসলিমের 1নং খন্ড অধ্যায় 177 হাদীস 884 ( তোমরা মসজিদে যেতে আল্লাহর কোনো গোলাম কে বাঁধা দিওনা) অত্র অধ্যায়ের 891নং হাদীসে বলা হয়েছে ( তোমরা মসজিদের ভেতরে মহিলাদের জায়গাটা কেড়ে নিওনা) তার মানে আমাদের নবীজির সময়ে মহিলারা মসজিদে যেতেন, আর নবীজি কখনোই মসজিদে ঢুকতে বাঁধা দেননি। তবে বর্তমানে আমাদের দেশে বেদাতী হুজুরদের কাছে প্রশ্ন. করে দেখুন, তারা বলবেন আস্তাগফিরুল্লাহ আপনি কি বলছেন, আজব কথা এগুলো আমাদের বাপের বয়সেও শুনিনি!
    Anwar Bin Mozammal
  • May 8
  • Sogood Islam Syeds

    5/8, 1:22pm

    Sogood Islam Syeds

    দুআ-মুনাজাতে নবী রাসূলের অসীলা দেয়া : একটি পর্যালোচনা বিভিন্ন দুআ মুনাজাতের সময় দেখা যায়, ইমাম সাহেব বা আলেম সাহেব দুআ-মুনাজাতের মধ্যে বলছেন, ‘হে আল্লাহ! মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তোফায়েলে আমাদের দুআ কবুল করুন।’ অনেকে বলে থাকেন, ‘হে আল্লাহ আপনার নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসীলায় আমাদের দুআ কবুল করুন।’ একটি মসজিদে মাঝে মধ্যে জুমুআর সালাত আদায় করতাম। দেখতাম, ইমাম সাহেব দ্বিতীয় খুতবায় দুআ করার সময় বলছেন: হে আল্লাহ! নিশ্চয় আমরা আপনার বরকতময় নবীর অসীলা নিচ্ছি.. । একটি দুআ অনুষ্ঠানে শুনলাম, দুআকারী আলেম সাহেব বলছেন : ‘হে আমার মাবুদ! নেককারদের মহান নেতার মর্যাদায় সকল মুশকিল আসান করে দিন।’ হজের সফরে বিমানে এক ব্যক্তিকে দেখলাম, আমার পাশে বসে দুআ করছে, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনার রওজা যিয়ারত করার জন্য হজে রওয়ানা দিলাম। আপনি আল্লাহর কাছে শাফায়াত করে আমার হজ কবুল করিয়ে দিন।’ অনেক দিন পূর্বে একটি জিকিরের জলছায় বসেছিলাম। দেখলাম, জলছার পরিচালক বলছেন, ‘সকলে বলুন, আমার কলব অমুকের কলবের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ আছে। তার কলব দাদাপীর অমুকের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ আছে। তার কলব অমুকের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ আছে … । তার কলব মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দিকে মুতাওয়াজ্জুহ আছে, হে মাবূদ তার অসীলায় আমাদের তওবা কবুল করুন …।’ সুবহানাল্লাহ! তারা যা বলছে, মহান আল্লাহ তা থেকে পবিত্র ও মুক্ত। এগুলো সবই হল অসীলা। অবশ্যই ভ্রান্ত অসীলা। নিশ্চয় এগুলো বিদআতী অসীলা। সন্দেহ নেই- এগুলো শিরকী অসীলা। এ সকল অসীলার স্বপক্ষে আল্লাহ তাআলা কোন প্রমাণ নাযিল করেননি। তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এ সকল অসীলার কথা বলে যাননি। মুমিনের জীবনে ঈমান আর ইসলাম হল সবচে বড় সম্পদ। সর্বশ্রেষ্ঠ মূলধন। এ সম্পদটিকে সর্বদা ভেজাল মুক্ত রাখতে হবে। নিখুঁত রাখতে হবে তা আল্লাহ তাআলার জন্য । ঈমান যদি কোন কিছুর মাধ্যমে ভেজাল বা কলুষিত হয়ে যায়, তাহলে মুমিনের জীবনে দুনিয়া আখেরাত সবই বরবাদ হয়ে যাবে। দুনিয়া বরবাদ হবে, কারণ সে ইসলাম মান্য করায় কাফেরদের মত দুনিয়ার মজা ভোগ করতে পারেনি। তাদের মত অবাধে চলাফেরা ও বাধাহীন জীবন উপভোগ করতে পারেনি। আবার ঈমান ও ইসলামকে নির্ভেজাল না করার কারণে সব নেক আমল বরবাদ হয়ে গেছে, ফলে আখেরাতে কিছুই পাবে না। তাই নিজের আসল সম্পদ ঈমানকে খালেস ও নির্ভেজাল করতে হবে। আল্লাহ তাআলা ঈমানকে নির্ভেজাল করার কথা বলেছেন আল কুরআনে। ইরশাদ হচ্ছে : যারা ঈমান এনেছে এবং নিজ ঈমানকে জুলুমের সাথে সংমিশ্রণ করেনি, তাদের জন্যই নিরাপত্তা আর তারাই সুপথপ্রাপ্ত। (সূরা আনআম : ৮২) এ আয়াত থেকে প্রমাণিত হল, ঈমান গ্রহণ করলেই মুক্তি পাওয়া যাবে না। ঈমানকে সকল প্রকার শিরক থেকে মুক্ত রাখতে হবে। এ আয়াতে জুলুম বলতে শিরককে বুঝানো হয়েছে। ঈমানদারকে সর্ব প্রকার শিরক থেকে মুক্ত থাকতে হবে। • প্রশ্ন হতে পারে, শিরক আর ঈমান কি একত্র হতে পারে? যে শিরক করে তাকে কি আবার মুমিন বলা যায়? হ্যাঁ, বলা যায়। আর সে হল ভেজাল মুমিন। দেখুন আল্লাহ তাআলা বলেছেন : তাদের অধিকাংশ আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখে, তবে শিরক করা অবস্থায়। (সূরা ইউসূফ : ১০৬) এ সকল মানুষেরা আল্লাহর প্রতি ঈমান এনেছে বটে, কিন্তু সাথে সাথে তার সাথে শরীক স্থির করেছে। আরো উদাহরণ দেখুন। কিভাবে তারা আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখত কিন্তু সাথে সাথে শিরক করত। আল্লাহ তাআলা বলেন : আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, ‘কে আকাশমন্ডলী আর পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন এবং চন্দ্র সূর্যকে নিয়োজিত করেছেন?’ তারা অবশ্যই বলবে আল্লাহ। তাহলে কোথায় তাদের ফিরানো হচ্ছে? (সূরা আনকাবুত : ৬১) দেখুন, এতগুলো বিষয়ে আল্লাহর প্রতি ঈমান রাখার পরও তাদের ঈমান গ্রহণযোগ্য হয়নি। কারণ, তারা শিরক করত। আল্লাহ তাআলা আরো বলেন: আর তুমি যদি তাদের প্রশ্ন কর, কে আসমান থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতপর তা দিয়ে মৃত্যুর পর যমীনকে জীবন দান করেন? তাহলে তারা অবশ্যই বলবে, আল্লাহ। (সূরা আনকাবুত : ৬৩) এমনিভাবে তারা আল্লাহ তাআলার সকল কর্তৃত্ব স্বীকার করে ঈমান আনার পর শিরক করেছে। ফলে তাদের ঈমান নষ্ট হয়ে গেছে। সব আমল ব্যর্থ হয়ে গেছে। • আমরা অনেকেই মনে মনে ভাবি যে, আল্লাহ তাআলার প্রতি আমার বিশ্বাস অনেক মজবুত। তাই আমি যদি কবরে যেয়ে দুআ করি, মাজারে মানত করি। আর মাঝে মধ্যে একটু আধতু অসীলা দিয়ে দুআ করি, তাতে আমার ঈমানের কি এমন ক্ষতি হবে? এমন ভাবনার মানুষের জন্য এ আয়াতসমূহে শিক্ষা গ্রহণের বিষয় আছে। আছে চিন্তার বিষয়। আল্লাহ আমাদের সকলকে হিদায়াত দান করুন। শিরক ঈমানকে নষ্ট করে দেয়। সকল ভাল কাজ ও নেক আমলকে বরবাদ করে দেয়। শিরক এমন মারাত্নক বিষয় যা নবীওয়ালা ঈমানেকও শেষ করে দেয়। দেখুন আল্লাহ নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে সম্বোধন করে বলছেন : আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে অহী পাঠানো হয়েছে যে, যদি তুমিও শিরক করো, তাহলে অবশ্যই তোমার আমল ব্যর্থ হয়ে যাবে। আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। (সূরা যুমার : ৬৫) শিরক নবী রাসূলদের মজবুত ঈমান-আমলকেও নষ্ট করে দিত, যদি তারা তাতে জাড়াতেন। তাই সকল মুমিন-মুসলমানের উচিত হল সদা-সর্বদা শিরক থেকে সচেতন থাকা। যে সব বিষয়াদি শিরকের পথে নিয়ে যায় তা থেকে দূরে থাকার মাধ্যমে নিজের ঈমানকে হিফাজত করা আর আমলকে কার্যকর রাখা। যে সকল বিষয় মানুষকে শিরকের দিকে নিয়ে যায় তার একটি হল অসীলা গ্রহণ। দুআ-মুনাজাতে অসীলা গ্রহণ, আল্লাহ তাআলার নৈকট্য অর্জনের জন্য অসীলা গ্রহণ, জাহান্নাম থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য অসীলা গ্রহণ ইত্যাদি সকল অসীলাই শিরক। তবে যে অসীলাসমূহ শরীয়ত অনুমোদিত তা শিরক নয়। এই অসীলার পথ দিয়েই অনেক মানুষ মারাত্মক শিরকের মধ্যে লিপ্ত হয়ে পড়েছে। এই অসীলার ধারণা থেকেই বহু মানুষ মূর্তি পূজা ও পৌত্তলিকতায় লিপ্ত হয়েছে। তারা অনেকে বিশ্বের সকল কর্তৃত্ব আল্লাহ তাআলার বলে বিশ্বাস করত। কিন্তু মূর্তি ও বিভিন্ন দেব-দেবীর পূজা করত এ বিশ্বাসে যে, এগুলো তাদেরকে আল্লাহ তাআলার কাছে পৌছে দেয়ার মাধ্যম। এ ছাড়া আর কিছু নয়। আমরা ইবাদত তো কেবল আল্লাহর জন্যই করি। আর ঐ সকল মূর্তি ও দেব-দেবী অসীলা মাত্র। দেখুন তাদের সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা বলেন : আর যারা আল্লাহ ব্যতীত অন্যদের অলী হিসাবে গ্রহণ করে তারা বলে, আমরা তাদের ইবাদত করি না তবে এ জন্য যে, তারা আমাদেরকে আল্লাহর নিকটবর্তী করে দেবে। (সূরা যুমার : ৩) দেখুন, তাদের বক্তব্যই প্রমাণ, তাদের ইবাদত-বন্দগীর মূল লক্ষ্য ছিল কিন্তু আল্লাহ তাআলা। তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্যই তো তারা এগুলোকে অসীলা হিসাবে গ্রহণ করেছে। এগুলোর সামনে মাথা নত করে প্রণাম করেছে। কিন্তু আল্লাহ তাআলা তা কবুল করেননি। কাজটাকে আল্লাহ তাআলা, তাঁকে বাদ দিয়ে অন্যকে গ্রহণ বলে অভিহিত করেছেন। অসীলা গ্রহণের ফলে তাদের ইবাদত-বন্দেগী ভেজালে কলুষিত হয়ে গেছে। তবে দুআ মুনাজাতে সব ধরনের অসীলা কিন্তু নিষিদ্ধ নয়। কিছু অসীলা আছে কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ দ্বারা অনুমোদিত ও প্রমাণিত। এগুলো শিরক নয়। আর যে সকল অসীলা কুরআন বা সহীহ হাদীস দ্বারা অনুমোদিত নয় তা পরিত্যাগ করতে হবে। এখানে আমরা শরীয়ত অনুমোদিত অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহ সমর্থিত অসীলাগুলোর কথা আলোচনা করব। • দুআ-মুনাজাতে শরীয়ত অনুমোদিত অসীলা হল তিন প্রকার : এক : আল্লাহ তাআলার সুন্দর নামসমূহ ও তাঁর গুণাবলীর মাধ্যমে দুআ করা। আল্লাহ তাআলা বলেন : আল্লাহর রয়েছে সুন্দরতম নামসমূহ। অতএব তোমরা সে সব নামের মাধ্যমে তাঁর কাছে দুআ কর। (সূরা আরাফ : ১৮০) যেমন আমরা বলি ইয়া রাহমান! আমার উপর রহম করুন। ইয়া রাযযাক! আমাকে রিযক দান করুন ইত্যাদি। এভাবে আল্লাহ তাআলার নামের অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করা যায়। এটা দুআ-মুনাজাতের একটি উত্তম পদ্ধতিও বটে। বড় কথা হল, আল্লাহ আমাদের-কে তাঁর নামের অসীলা নিয়ে দুআ-প্রার্থনা করতে আদেশ করেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার নামের অসীলা দিয়ে দুআ করতেন। হাদীসে এসেছে – আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন দু:শ্চিন্তাগ্রস্ত হতেন তখন বলতেন : হে চিরঞ্জীব, চিরন্তন সত্ত্বা! আপনার রহমতের অসীলায় আপনার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করছি। (বর্ণনায় : তিরমিজী) এ হাদীসে আমরা দেখলাম, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার দু’টো নাম ও তাঁর রহমত নামক গুণের অসীলায় দুআ করলেন। আবার ইয়া হাইয়্যু ইয়া কাইয়্যূমু বলে তার মহান দুটো নামের অসীলা নিয়েছেন। আল্লাহ তাআলার সুন্দর নাম ও গুণাবলীর অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করার দৃষ্টান্ত সহীহ হাদীসে অসংখ্য রয়েছে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহ তাআলার সুন্দর নাম ও গুণাবলীর অসীলায় দুআ করার জন্য উম্মতকে উৎসাহিত করেছেন। দুই. নিজের সুন্দর ও ভাল কোন নেক আমলের অসীলা দিয়ে দুআ করা: যেমন বুখারী ও মুসলিমসহ অন্যান্য হাদীসের গ্রন্থে এসেছে : আব্দুল্লাহ ইবনে উমার রাদিয়াল্লাহু আনহুমা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে বলতে শুনেছি, তোমাদের পূর্বের যুগে তিন ব্যক্তির একটি দল কোথাও যাত্রা করেছিল, যাত্রাপথে রাত যাপনের জন্য একটি গুহাতে তারা আগমন করে এবং তাতে প্রবেশ করে। আকস্মাৎ পাহাড় থেকে একটি পাথর খসে পড়ে এবং তাদের উপর গুহামুখ বন্ধ করে দেয়। এমন অসহায় অবস্থায় তারা বলাবলি করছিল, ‌’তোমাদেরকে এ পাথর হতে মুক্ত করতে পারবে এমন কিছুই হয়ত নেই। তবে যদি তোমরা নিজ নিজ নেক আমলের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার নিকট দোয়া কর তাহলে হয়ত নাজাত পেতে পার।’ তাদের একজন বলল : হে আল্লাহ ! আমার বয়োবৃদ্ধ পিতা-মাতা ছিলেন, আমি তাদেরকে দেওয়ার পূর্বে আমার পরিবারের অন্যান্য সদস্য স্ত্রী-সন্তান ও গোলাম-পরিচারকদের কাউকে রাতের খাবার-দুগ্ধ পেশ করতাম না। একদিনের ঘটনা : ঘাসাচ্ছাদিত চারণভূমির অনুসন্ধানে বের হয়ে বহু দূরে চলে গেলাম। আমার ফেরার পূর্বেই তারা ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। আমি তাদের জন্য রাতের খাবার দুগ্ধ দোহন করলাম। কিন্তু দেখতে পেলাম তারা ঘুমাচ্ছেন। তাদের আগে পরিবারের কাউকে- স্ত্রী-সন্তান বা মালিকানাধীন গোলাম-পরিচারকদের দুধ দেয়াকে অপছন্দ করলাম। আমি পেয়ালা হাতে তাদের জাগ্রত হওয়ার অপেক্ষা করছিলাম, এতেই সকাল হয়ে গেল। অতঃপর তারা জাগ্রত হলেন এবং তাদের রাতের খাবার-দুধ পান করলেন। হে আল্লাহ ! আমি এ খেদমত যদি আপনার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে এ পাথরের মুসিবত হতে আমাদের মুক্তি দিন। তার এই দোয়ার ফলে পাথর সামান্য সরে গেল, কিন্তু তাদের বের হওয়ার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, অপর ব্যক্তি বলল : হে আল্লাহ ! আমার একজন চাচাতো বোন ছিল, সে ছিল আমার নিকট সকল মানুষের চেয়ে প্রিয়। আমি তাকে পাওয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করলাম। সে আমাকে প্রত্যাখ্যান করল এবং আমার থেকে দূরে সরে থাকল। পরে কোন এক সময় দুর্ভিক্ষ তাড়িত ও অভাবগ্রস্ত হয়ে আমার কাছে ঋণের জন্য আসে, আমি তাকে একশত বিশ দিরহাম দিই, এ শর্তে যে, আমার এবং তার মাঝখানের বাধা দূর করে দেবে। সে তাতে রাজি হল। আমি যখন তার উপর সক্ষম হলাম, সে বলল : অবৈধ ভাবে সতীচ্ছেদ করার অনুমতি দিচ্ছি না, তবে বৈধভাবে হলে ভিন্ন কথা। আমি তার কাছ থেকে ফিরে আসলাম। অথচ তখনও সে আমার নিকট সবার চেয়ে প্রিয় ছিল। যে স্বর্ণ-মুদ্রা আমি তাকে দিয়েছিলাম, তা পরিত্যাগ করলাম। হে আল্লাহ ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে আমরা যে বিপদে আছি, তা হতে মুক্তি দাও। পাথর সরে গেল, তবে এখনও তাদের বের হওয়ার জন্য তা যথেষ্ট হল না। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তৃতীয় ব্যক্তি বলল, হে আল্লাহ ! আমি কয়েকজন শ্রমিক নিয়োগ করেছিলাম, অতঃপর তাদের পাওনা তাদের দিয়ে দেই। তবে এক ব্যক্তি ব্যতীত, সে নিজের মজুরি রেখে চলে যায়। আমি তার মজুরি বার বার ব্যবসায় বিনিয়োগ করেছি। যার ফলে সম্পদ অনেক বৃদ্ধি পায়। অনেক দিন পরে সে আমার কাছে এসে বলে, ‘হে আল্লাহর বান্দা! আমার মজুরি পরিশোধ কর।’ আমি তাকে বললাম, ‘তুমি যা কিছু দেখছ, উট-গরু-বকরি-গোলাম, সব তোমার মজুরি।’ সে বলল : হে আল্লাহর বান্দা! তুমি আমার সাথে উপহাস করো না। আমি বললাম, ‘উপহাস করছি না।’ অতঃপর সে সবগুলো গ্রহণ করল এবং তা হাঁকিয়ে নিয়ে গেল। কিছুই রেখে যায়নি। হে আল্লাহ! আমি যদি এ কাজ তোমার সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করে থাকি, তাহলে আমরা যে বিপদে আছি তা হতে মুক্তি দাও। পাথর সরে গেল। তারা সকলে নিরাপদে হেঁটে বের হয়ে আসল। (বর্ণনায় : সহীহ বুখারী ও মুসলিম) এ হাদীস থেকে আমরা জানতে পারলাম, নিজের সৎকর্মসমূহের মধ্যে যে কাজটি সুন্দর ও নির্ভেজাল আল্লাহ তাআলার জন্য নিবেদিত তার অসীলায় দুআ করা হয়েছে। ও দুআ কবুল হয়েছে। তাই নিজের নেক আমলের অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করা জায়েয। তিন : জীবিত নেককার লোকদের কাছে যেয়ে দুআ-মুনাজাতে তাদের অসীলা করা যেমন কোন ব্যক্তি একজন আল্লাহভীরু-পরহেযগার মানুষের কাছে যেয়ে বলল, জনাব আমি নতুন ব্যবসা শুরু করেছি। আপনি একটু দুআ করুন, আমি যেন ব্যবসায় সফল হতে পারি। এ কাজটিও একটি অসীলা। আমরা অনেকেই মুত্তাকী ও নেককার মানুষ দেখলে তাদের কাছে অনুরূপভাবে উস্তাজ, মুরব্বীদের কাছে দুআ চেয়ে থাকি। এটা না জায়েয নয়। বরং এটি শরীয়ত অনুমোদিত একটি অসীলা। সহীহ হাদীস দ্বারা এ ধরনের অসীলা গ্রহণের বৈধতা প্রমাণিত। যেমন – সাহাবী আনাস ইবনে মালেক রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর যুগে মানুষ অনাবৃষ্টির শিকার হল। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক জুমআয় খুতবা দিচ্ছিলেন। তখন জনৈক বেদুঈন দাঁড়িয়ে বলল,’ ইয়া রাসূলাল্লাহ! সম্পদ ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর পরিজন উপোস থাকছে। আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করুন।’ তখন তিনি হাত তুলে দুআ করলেন। আকাশে আমরা কোন মেঘ দেখতে পাচ্ছিলাম না। যার হাতে আমার প্রাণ তার শপথ! তাঁর হাত নামানোর আগেই পর্বতের মত মেঘ আকাশ ছেয়ে গেল। এরপর তিনি মিম্বর থেকে নামার আগেই আমরা দেখলাম তার দাড়ি বৃষ্টিতে ভিজে গেছে। সেদিন তার পরের দিন, তারও পরেরদিন বৃষ্টি হল এমনকি পরবর্তী জুমআর দিনও বৃষ্টি হতে থাকল। আবার সেই বেদুঈন দাঁড়াল অথবা অন্য কেউ। বলল, ‘ইয়া রাসূলাল্লাহ! ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে আর মাল-সামান ডুবে যাচ্ছে। আপনি আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ করুন।’ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হাত দুটো উত্তোলন করে বললেন: ‘ হে আল্লাহ! আমাদের পক্ষে করে দিন, আমাদের বিপক্ষে নয়।’ তাঁর হাত দিয়ে মেঘের দিকে ইশারা করা মাত্র মেঘ কেটে গেল। (বর্ণনায় : বুখারী, হাদীস নং ৯৩৩) এ হাদীস থেকে আমরা জানলাম, এক বেদুঈন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে দুআ করতে বলেছেন। এটা হল দুআ করার ক্ষেত্রে অসীলা গ্রহণ। এভাবে আমরা নেককার লোকদের কাছে দুআ চাই। দুআ-মুনাজাতে অসীলা দেয়া কতখানি গুরুত্বপূর্ণ ? শরীয়ত সম্মত অসীলা তিন প্রকার। আল্লাহর নাম ও গুণাবলী। নিজের নেক আমল ও জীবিত নেককার মুত্তাকী মানুষের দুআ। আল্লাহ তাআলার নাম ও গুণাবলী দিয়ে নফল দুআ-মুনাজাতে অসীলা দেয়া সুন্নাত। কারণ আল্লাহ তাআলাও আদেশ দিয়েছেন আর তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও আমল করেছেন। ‌নফল বললাম এ জন্য যে, অনেক বিধিবদ্ধ দুআ-প্রার্থনায় আমরা নিয়ম মাফিক আল্লাহ তাআলার বিভিন্ন নামের অসীলা নিয়ে থাকি। যেমন সূরা ফাতেহাতে আমরা তার কয়েকটি নাম উল্লেখ করে দুআ করি ; ইহদিনাস সিরাতাল মুস্তাকীম। দ্বিতীয় ও তৃতীয় প্রকার অসীলা দিয়ে দুআ করার অনুমতি দেয়া হয়েছে মাত্র। কেউ যদি জীবনে একবারও আল্লাহর নামসমূহ ও গুণাবলি ব্যতীত অন্য কোন অসীলা দিয়ে দুআ না করে তাহলে তার কোন পাপ হবে না। তার ঈমান ইসলাম অপূর্ণ থাকবে না। তার তাকওয়া পরহেযগারীর কোন ক্ষতি হবে না। যখন শরীয়ত অনুমোদিত অসীলা গ্রহণের হুকুম হল এ রকম তখন যে সকল অসীলা নেয়ার সমর্থনে শরীয়তে কোন প্রমাণ নেই সে সকল অসীলা নেয়ার মর্যাদা কী হতে পারে? কতটুকু প্রয়োজন ও গুরুত্ব রাখে এ সকল অসীলা? যারা বিভিন্ন কথা-বার্তায় ইনিয়ে বিনিয়ে, এখান-সেখান থেকে বিভিন্ন বাজে প্রমাণাদি, দুর্বল কথা-বার্তা দিয়ে ঐ সকল অসীলা প্রতিষ্ঠিত করতে চান, তাদের তাকওয়া-পরহেযগারী, দীনি সচেতনতা আর আওলাবিয়্যাত বা অগ্রাধিকার নীতিজ্ঞান কতটুকু আছে আমরা তা ভেবে দেখতে পারি। দুআ কবুল হওয়ার জন্য আল্লাহ তাআলার নাম ও গুণাবলী ব্যতীত অন্য কিছুর অসীলা দেয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আল্লাহ তাআলা বলেন : আর যখন আমার বান্দারা তোমাকে আমার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করবে, আমি তো নিশ্চয় নিকটবর্তী। আমি প্রার্থনাকারীর ডাকে সাড়া দেই, যখন সে আমাকে ডাকে। সুতরাং তারা যেন আমার ডাকে সাড়া দেয় এবং আমার প্রতি ঈমান আনে। আশা করা যায় তারা সঠিক পথে চলবে। (সূরা বাকারা, আয়াত ১৮৬) যখন আল্লাহ তাআলা বান্দার নিকটবর্তী তখন তাঁর নৈকট্য অর্জনের জন্য ভিন্ন কোন অসীলা বা মাধ্যম গ্রহণ করার কোন প্রয়োজন নেই, তখন মানুষ সরাসরি আল্লাহ তাআলার কাছে তার সকল প্রার্থনা নিবেদন করবে কোন মাধ্যম বা অসীলা ব্যতীত। এটাই ইসলামের একটি বৈশিষ্ট্য ও মহান শিক্ষা। আল্লাহ তাআলার কাছে দুআ-প্রার্থনায় কোন অনুনোমোদিত মাধ্যম গ্রহণ করার দরকার নেই মোটেই। বরং অসীলার ধারণাগুলো মানুষকে শিরক বিদআতের দিকেই নিয়ে যায়। দুআ-প্রার্থনায় মাধ্যম বা অসীলা গ্রহণ একটি বিজাতীয় বিষয়। হিন্দু, বৌদ্ধ খৃষ্টানসহ অন্যান্য ধর্মের লোকেরা আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করতে মূর্তি, পাদ্রী ও ধর্ম যাজকদের মাধ্যম বা অসীলা হিসাবে গ্রহণ করে থাকে। এ দিকের বিবেচনায় এটি একটি কুফরী সংস্কৃতি। যা কোন মুসলমান অনুসরণ করতে পারে না। তারা অসীলার ভাবনা থেকেই পৌত্তলিকতার প্রবর্তন করেছে। নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের নাম, মর্তবা, সম্মান-মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করা সম্পর্কে আল্লাহ তাআলা কোন প্রমাণ নাযিল করেননি। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কখনো তার নাম, মর্যাদা, সম্মান দিয়ে দুআ করতে বলেননি। অপরদিকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যুর পর কোন সাহাবী বা তাবেয়ীন তার নাম, মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে আমাদের চেয়ে অনেক বেশী ভালোবাসতেন। অনেক বেশী সম্মান করতেন। তাকে অনেক বেশী জেনেছেন। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে কখনো তার নাম বা মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। যদি তার নাম বা মর্যাদার অসীলা দিয়ে দুআ করাটা শরীয়ত সম্মত হত, ভাল কাজ হত, তাহলে তিনি অবশ্যই তা আমাদের বলে যেতেন। তিনি ইসলাম শিক্ষা দিতে, দাওয়াত ও তাবলীগের দায়িত্ব পালনে কোন অলসতা করেননি। অতি সামান্য বিষয়ও তিনি তার উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন। দুআ-মুনাজাতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অসীলা গ্রহণ যদি কোন নেক আমল হত, তাহলে তিনি তার সাহাবীদের বলে যেতেন। তাঁর মৃত্যুর পর তার কোন সাহাবী এ রকম অসীলা দিয়ে দুআ করেননি। বরং তারা এটাকে জায়েয মনে করার কোন প্রয়োজনও অনুভব করেননি। • কেয়ামতের সময় বা শেষ বিচারে আল্লাহ আমাদের প্রশ্ন করবেন, আল্লাহ তাআলার রাসূল যা কিছু নিয়ে এসেছিল তোমাদের কাছে, তা তোমরা কতটুকু গ্রহণ করেছ? আল্লাহ তাআলা বলেন : আর সেদিন আল্লাহ তাদের ডেকে বলবেন, ‌তোমরা রাসূলদের কী উত্তর দিয়েছিলে? (সূরা কাসাস : ৬৫) আল্লাহ তাআলা আরো বলেন : সুতরাং আমি অবশ্যই তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করব যাদের নিকট রাসূল পাঠানো হয়েছিল। এবং অবশ্যই আমি রাসূলদের জিজ্ঞাসাবাদ করব। (সূরা আরাফ, আয়াত ৬) অতএব, আল্লাহ তাআলা আমাদের কখনো প্রশ্ন করবেন না, তোমরা অমুক ইমাম, পীর, মুরব্বী, আকাবির বা উস্তাদের কথা মেনে নিয়েছিলে কি না। বা অমান্য করেছ কি না? তাই কুরআন ও সহীহ হাদীস মানা আমাদের ঈমানী দায়িত্ব। এর বাইরে তৃতীয় কোন সূত্র দিয়ে দীনি বিষয় প্রমাণিত হবে না। আল্লাহ তাআলা যুগে যুগে নবী ও রাসূলদের পাঠিয়েছেন তাদের অনুসরণের মাধ্যমে আল্লাহ তাআলার তাওহীদকে ধারণ করার জন্য। তিনি তাদের নামের অসীলা দিয়ে দুআ-মুনাজাত করে শিরকের পথ খোলার জন্য কখনো নবী রাসূল প্রেরণ করেননি। আমাদের পক্ষ থেকে কেয়ামত পর্যন্ত তাঁর রাসূল মুহাম্মাদের উপর, তাঁর পরিবার পরিজন ও সাহাবীদের উপর হৃদয় নিংড়ানো হাজার হাজার সালাত ও সালাম নিবেদিত হোক। আল্লাহ আমাদের সকলকে বিশুদ্ধ তাওহীদ গ্রহণ করে নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শ ও সুন্নাহ আঁকড়ে ধরে দীনে ইসলামে অটল থাকার তাওফীক দিন। জীবদ্দশায় বা তার অনুপস্থিতিতে তার নাম, মর্যাদা, সম্মানের অসীলা দিয়ে দুআ করার বৈধতা প্রমাণিত হয় না।
    Jobrul Miah
  • May 9
  • Sogood Islam Syeds

    5/9, 1:17am

    Sogood Islam Syeds

    এই সময় নিজের মৃত্যু ও আখেরাতকে স্মরণ করবে এবং কবরবাসীদের মাগফেরাতের উদ্দেশ্যে খালেছ মনে নিম্নোক্ত দো‘আ সমূহ পাঠ করবে। দো‘আর সময় একাকী দু’হাত উঠানো যাবে। বাক্বী‘ গারক্বাদ গোরস্থানে দীর্ঘক্ষণ ধরে দো‘আ করার সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) একাকী তিন বার হাত উঠিয়েছিলেন। এই সময় স্রেফ দো‘আ ব্যতীত ছালাত, তেলাওয়াত, যিকর-আযকার, দান-ছাদাক্বা কিছুই করা জায়েয নয়। ১ম দো‘আ : এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) আয়েশা (রাঃ)-কে শিক্ষা দিয়েছিলেন। اَلسَّلاَمُ عَلَى أَهْلِ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ، وَيَرْحَمُ اللهُ الْمُسْتَقْدِمِيْنَ مِنَّا وَالْمُسْتَأْخِرِيْنَ، وَإِنَّا إِنْ شَآءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ- উচ্চারণ : আস্সালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইয়ারহামুল্লা-হুল মুস্তাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুস্তা’খিরীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা লা-হেকূনা। অনুবাদ : মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক। আমাদের অগ্রবর্তী ও পরবর্তীদের উপরে আল্লাহ রহম করুন! আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি’।[মুসলিম, মিশকাত হা, ১৭৬৭] ২য় দো‘আ : এটি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) অন্যদেরকে শিক্ষা দিয়েছেন।- اَلسَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ مِنَ الْمُؤْمِنِيْنَ وَالْمُسْلِمِيْنَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لَلاَحِقُوْنَ، نَسْأَلُ اللهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ- উচ্চারণ : আস্সালা-মু ‘আলা আহলিদ দিয়া-রি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা; ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা লা-হেকূনা। নাসআলুল্লা-হা লানা ওয়া লাকুমুল ‘আ-ফিয়াতা’। অনুবাদ : মুমিন ও মুসলিম কবরবাসীগণ! আপনাদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক! আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি। আমাদের ও আপনাদের জন্য আমরা আল্লাহর নিকটে মঙ্গল কামনা করছি’।[মুসলিম, মিশকাত হা, ১৭৬৪] ৩য় দো‘আ : السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ دَارَ قَوْمٍ مُؤْمِنِينَ وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، اللَّهُمَّ اغْفِرْلَهُمْ- উচ্চারণ : আসসালামু ‘আলায়কুম দা-রা ক্বাওমিন মু’মিনীনা, ওয়া ইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হেকূনা; আল্লা-হুম্মাগফিরলাহুম। অনুবাদ : মুমিন কবরবাসীদের উপরে শান্তি বর্ষিত হৌক। আল্লাহ চাহে তো আমরা অবশ্যই আপনাদের সাথে মিলিত হ’তে যাচ্ছি। হে আল্লাহ! তুমি তাদেরকে ক্ষমা করে দাও। তিরমিযী বর্ণিত ‘আসসালামু ‘আলায়কুম ইয়া আহলাল কুবূরে! ইয়াগফিরুল্লা-হু লানা ওয়া লাকুম’ বলে প্রসিদ্ধ হাদীছটি ‘যঈফ’। [মিশকাত হা, ১৭৬৫] জ্ঞাতব্য : কাফির-মুশরিক বাপ-মায়ের কবর যিয়ারত করা যাবে। ক্রন্দন করা যাবে। কেননা এর মাধ্যমে মৃত্যুকে স্মরণ করা হয়। কিন্তু সেখানে গিয়ে সালাম করা যাবে না। তাদের জন্য আল্লাহর নিকটে ক্ষমা প্রার্থনা করা যাবে না। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে তাঁর মায়ের কবর যিয়ারতের জন্য অতটুকুই মাত্র অনুমতি দেওয়া হয়েছিল।[মুসলিম, মিশকাত হা, ১৭৬৩]
    Dawati Islam
  • May 9
  • Sogood Islam Syeds

    5/9, 11:23am

    Sogood Islam Syeds

    ” জুতা পরে সলাত আদায় করা বৈধ কি???” ——————————- জুতা পরে সলাত আদায় করা নতুন কোনো বিষয় নয়। রাসুল (সাঃ) ১৪০০ শত বছর আগেই এই বিষয়ে দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন, আলহামদুলিল্লাহ। ইমাম বুখারী তাঁর ‘সহীর’ মধ্যে অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায় করা’’ ইমাম নববী ‘সহীহ মুসলিমে’ অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায় করা বৈধ’’ ইমাম তিরমিযি তাঁর ‘সুনানের’ মধ্যে অধ্যায় এনেছেন ‘’জুতা পরে নামাজ আদায় করা’’ ইমাম আবু দাউদ তাঁর সুনানের মধ্যে অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায়’’ ইমাম ইবন মাযাহ তাঁর ‘সুনানের’ মধ্যে অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায়’’ ইমাম নাসায়ী তাঁর ‘সুনানের মধ্যে অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’উভয় জুতা পরিহিত অবস্থায় সলাত’’ মুসনাদ আহমাদে আব্দুর রহমান আল-বান্না অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতা পরিধান করে সলাত আদায় করা প্রসঙ্গে’’ ইবন হাজার আসকালানী তাঁর ‘বুলুগুল মারামে’ অধ্যায় এনেছেনঃ ‘’জুতাজোড়া পবিত্র হলে তাতে সলাত আদায় করা বৈধ’’ ====== রাসুল (সাঃ) জুতা পরে সলাত আদায় করেছেনঃ দলীল নঃ ১ আবু মাসলামাহ সাঈদ ইবন ইয়াযীদ আল-আযদী (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি আনাস ইবন মালিক (রাঃ)-কে জিজ্ঞেস করলাম, নাবী (সাঃ) কি তাঁর জুতা পরে সলাত আদায় করতেন? তিনি বললেন, হাঁ’’ বুখারী ৩৮৬, ৫৮৫০; মুসলিম ৫৫৫; তিরমিযি ৪০০; নাসায়ী ৭৭৫; মুসনাদ আহমাদ ৪০১; সিফাতুস সলাত পৃষ্ঠা নঃ ৬২ দলীল নঃ ২ আমর ইবন শুয়াইব (রাঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তাঁর পিতা ও দাদার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে কখনো খালি পায়ে আবার কখনো জুতা পরে সলাত আদায় করতে দেখেছি’’ আবু দাউদ ৬৫৩; ইবন মাযাহ ১০৩৮; মুসনাদ আহমাদ ৩৯৯ (আলবানি হাদিসটিকে হাসান সহীহ বলেছেন) দলীল নঃ ৩ ইবন আবু আওস তাঁর দাদা হতে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ‘’আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে তাঁর জুতাজোড়া পরিহিত অবস্থায় সলাত আদায় করতে দেখেছি’’ ইবন মাযাহ ১০৩৭; মুসনাদ আহমাদ ৪০৭ (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) দলীল নঃ ৪ আবুদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা রাসুল (সাঃ)-কে জুতা পরিহিত অবস্থায় এবং মোজা পরিহিত অবস্থায় সলাত আদায় করতে দেখেছি’’ ইবন মাযাহ ১০৩৯ (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) দলীল নঃ ৫ আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বসে ও দাঁড়িয়ে, জুতা পায়ে ও খালি পায়ে নামাজ পড়েছেন’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০২ (হাদিসের বর্ণনাকারীগন নির্ভরযোগ্য) দলীল নঃ ৬ আবু ‘আলা ইবন সিখইয়ির থেকে বর্ণিত। তিনি তাঁর পিতা থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেনঃ ‘’আমি রাসুল (সাঃ)-কে জুতাজোড়া পরে নামাজ পড়তে দেখেছি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৩ দলীল নঃ ৭ আবু আওবয়ার (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যাক্তি আবু হুরায়রাহ (রাঃ)-এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলো, আপনি কি জুতা পরে লোকদেরকে নামাজ পড়তে নিষেধ করছেন? তিনি বললেনঃ না, আমি রাসুল (সাঃ)-কে এ স্থানে জুতা পরে নামাজ পড়তে এবং জুতা পরে স্থান ত্যাগ করতে দেখেছি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৪ (বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য) দলীল নঃ ৮ মুজাম্মা ইবন ইয়াকুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি কুবার এক গোলাম থেকে বর্ণনা করেন। সে একজন বৃদ্ধ লোকের সাক্ষাৎ পেল। তিনি বলেন রাসুল (সাঃ) আমাদের কাছে কুবায় আসলেন, তখন এক বাড়ির আঙ্গিনায় বসলেন। তাঁর চারপাশে কিছু লোকেরা একত্রিত হল। তখন রাসুল (সাঃ) পানি পান করতে চাইলেন, পান করার সময় আমি তাঁর দান পাশে বসা ছিলাম। লোকদের মধ্যে আমি ছিলাম সবচেয়ে ছোট। তখন তিনি আমাকে পানি পান করতে দিলেন, আমি পান করলাম। আমার স্মরণ আছে, তিনি আমাদের নিয়ে সে দিন জুতা পরে নামাজ পড়েছিলেন, তা খুলেন নি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৫ (বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য) দলীল নঃ ৯ অন্য আরেকটি বর্ণনায় আছে। তিনি মুহাম্মাদ ইবন ইসমাইল ইবন মুজাম্মা (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, আবদুল্লাহ ইবন আবী হাবিবাকে বলা হল, আপনি রাসুল (সাঃ) থেকে কি শিখেছেন? রাসুল (সাঃ) যখন (কুবায়) আসেন তখন তিনি ছিলেন ছোট বালক। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) একদিন আমাদের মসজিদে (অর্থাৎ কুবা মসজিদে) আসেন। তখন আমরা সেখানে গমন করি এবং তাঁর পাশে বসি। লোকেরাও তাঁর পাশে বসেন। অতঃপর তিনি নামাজ পড়তে দাঁড়ান। তখন আমি তাকে জুতা পরিহিত অবস্থায় নামাজ পড়তে দেখি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৫ (বর্ণনাকারীগণ নির্ভরযোগ্য) দলীল নঃ ১০ আবদুল্লাহ ইবন মাস’উদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রাসুল (সাঃ)-কে মোজা ও জুতা পরে নামাজ পড়তে দেখেছি’’ মুসনাদ আহমাদ ৪০৬ ====== জুতায় নাপাকি লেগে না থাকলে জুতা পরে সলাত আদায় বৈধঃ আবু সাইদ আল-খুদরী (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) তাঁর সাহাবীদেরকে নিয়ে সলাত আদায়কালে তাঁর জুতাজোড়া খুলে তাঁর বাম পাশে রেখে দিলেন। এ দৃশ্য দেখে লোকেরাও তাঁদের জুতা খুলে রাখল। রাসুল (সাঃ) সলাত শেষে বললেনঃ ‘’জিবরীল (আঃ) আমার কাছে এসে আমাকে জানালেন, আপনার জুতাজোড়ায় অপবিত্র বস্তু লেগে আছে। তিনি আরও বললেন, তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন জমিনে তা ঘসে নিয়ে পরিধান করে সলাত আদায় করে’’ আবু দাউদ ৬৫০; মুসনাদ আহমাদ ৪৬, ৪০০; দারিমী ১৩৭৮; ইবন খুজাইমাহ (২/৪৩১) (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) ============ জুতায় অপবিত্রতা লেগে থাকলে তা দূর করার পদ্বতিঃ জুতায় লেগে থাকা নাপাকি মাটিতে ঘসে নিয়ে পরিচ্ছন্ন করা যাবে, পানি ব্যাবহার করা শর্ত নয়। আবু হুরায়রাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’তোমাদের কারো জুতার তলায় আবর্জনা লেগে গেলে, মাটিই তার আবর্জনা বা অপবিত্রতা দূর করার জন্য যথেষ্ট’’ আবু দাউদ ৩৮৫; হাকিম ১/১৬৬), বায়হাকি, সুনানুল কুবরা (২/৪৩০), ইমাম যায়লাঈ একে নাসবুর রায়াহ গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন; (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) আবু সাইদ আল-খুদরী (রাঃ) সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’তোমাদের কেউ মসজিদে প্রবেশ করলে সে যেন জমিনে তা ঘসে নিয়ে পরিধান করে সলাত আদায় করে’’ আবু দাউদ ৬৫০; মুসনাদ আহমাদ ৪৬, ৪০০; বুলুগুল মারাম ২১৮; দারিমী ১৩৭৮; ইবন খুজাইমাহ (২/৪৩১) (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) অত্র হাদিসের ব্যাখ্যায় বুলুগুল মারামের ব্যাখ্যাকার সফিউর রহমান মুবারকপুরী (রহঃ) বলেনঃ ”এ হাদিসটি স্পষ্ট দলীল যে, জুতা পরিধান করে নামাজ পড়া জায়েজ, যদি জুতা পবিত্র ও পরিস্কার থাকে। আরও জানা গেল যে, জুতায় লেগে থাকা অপবিত্রতা ও মালিন্য রগরগিয়ে পরিস্কার করলেই জুতা পবিত্র ও পরিস্কার হয়ে যায়। হাদিসের বাহ্যিক প্রত্যেক শব্দ দ্বারা এটাই প্রতীয়মান হচ্ছে যে, অপবিত্রতা ও মালিন্য শুষ্ক হোক বা সিক্তই হোক দুটোর একই হুকুম” উল্লেখ্য হানাফি মাজহাব মতেও কোন বস্তুর নাপাকি দূর করার জন্য পানির ব্যাবহার বাধ্যতামূলক নয়, বরং অন্যান্য বস্তুর দ্বারাও তা হতে পারে। আল ফিকহুল ইসলামী ও আদিল্লাতুহু ১/৯২-১০৭ ========== জুতা পরে সলাত আদায় করা ও ইয়াহুদিদের বিরোধিতা করাঃ রাসুল (সাঃ) কখনো জুতা পরে সলাত আদায়ের উপর তাগিদ দিয়েছেন। ইয়াহুদী- খ্রিষ্টানদের রীতি হল, পবিত্র স্থানে জুতা বা স্যান্ডেল খুলে খালি পায়ে গমন করা। জুতা পায়ে পবিত্র স্থানে বা ইবাদতের স্থানে প্রবেশ করাকে তারা সেই স্থানের পবিত্রতা নষ্ট করা বলে গণ্য করে। রাসুল (সাঃ) তাদের এই রীতির বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছেন। ই’য়ালা ইবন শাদ্দাদ ইবন আওস (রাঃ) থেকে তাঁর পিতার সুত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’তোমরা ইয়াহুদীদের বিরোধিতা করো। তারা জুতা এবং মোজা পরে সলাত আদায় করে না’’ আবু দাউদ ৬৫২ (আলবানি হাদিসটিকে সহীহ বলেছেন) এই বিষয়ে শাইখ আবদুল্লাহ জাহাঙ্গীর (হাফেজাহুল্লাহ) বলেনঃ সাধারন পাঠকের মনে হয়তো প্রশ্ন আসতে পারে, আমরা তো জুতা বা স্যান্ডেল খুলেই সলাত আদায় করি! এতে কি ইয়াহুদী-নাসারাদের অনুকরন হচ্ছে? উত্তরঃ আমাদের জুতা খোলা ও তাদের জুতা খোলার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। আমরা জুতা খুলি পরিছন্নতার জন্য আর তারা জুতা খুলে পবিত্রতার জন্য। জুতা পরিচ্ছন্ন থাকলে একজন মুসলিম জুতা পরে সলাত আদায় করতে পারেন ও মসজিদে প্রবেশ করতে পারেন। কিন্তু ইয়াহুদী-নাসারা জুতা খোলাকে ইবাদতের অংশ ও ইবাদত গৃহের জন্য অসম্মানজনক বলে মনে করে। ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গিতে পাদুকা পায়ে মসজিদে প্রবেশ করলে মসজিদের পবিত্রতা নষ্ট হয় না, তবে পরিচ্ছন্নতা নষ্ট হতে পারে। আর ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের দৃষ্টিভঙ্গিতে জুতা-স্যান্ডেল যতই পবিত্র ও পরিচ্ছন্ন হোক, তা পায়ে ইবাদতগাহ, চার্চ বা কোনো ধর্মীয়ভাবে পবিত্র স্থানে প্রবেশ করলে সে স্থানের ধর্মীয় পবিত্রতা নষ্ট হবে। আমাদের প্রচলিত সমাজে অনেকের মধ্যেই ইয়াহুদী-নাসারাদের মতো অনুভুতি বিদ্যমান। সম্ভবত ইয়াহুদী-খ্রিষ্টানদের ধর্মীয় রীতির অনুকরনেই মানুষেরা তথাকথিত ‘শহীদ মিনার’, ‘স্মৃতিস্থম্ভ’ ইত্যাদিতে জুতা খুলে প্রবেশের রীতি প্রচলন করেছে” রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-এর পোশাক ও পোশাকের ইসলামী বিধান, পৃষ্ঠা নঃ ১৬৮-১৬৯ ============ম প্রসঙ্গিক দু’টি ফতওয়াঃ শাইখ উসাইমিন (রহঃ)-কে প্রশ্ন করা হয়েছিলঃ ‘’মাসজিদুল হারামের যমীনে (Floor) জুতা নিয়ে হাঁটার বিধান কি? উত্তরঃ মসজিদুল হারামের যমীনে জুতা নিয়ে হাঁটা-হাঁটি করা উচিৎ নয়। কেননা যারা মসজিদের সম্মান বুঝে না, এতে তাঁর সুযোগ পাবে। ফলে জুতায় পানি বা ময়লা নিয়ে প্রবেশ করবে এবং মসজিদের পরিচ্ছন্নতা নষ্ট করে ফেলবে। বিদ্বানদের মূলনীতি হচ্ছেঃ ‘’কল্যাণ ও ক্ষতির সংঘর্ষ যদি বরাবর হয় অথবা ক্ষতির আশংকা বেশি হয়; তখন কল্যাণের দিকে যাওয়ার চেয়ে ক্ষতিকর বিষয়কে প্রতিহত করা অধিক উত্তম’’ নাবী (সাঃ) মক্কা বিজয়ের পর ক’বা শরীফ ভেঙ্গে, ইবরাহিম (আঃ)-এর ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত করতে ইচ্ছা করেছিলেন। কিন্তু লোকেরা কুফরী ছেড়ে ইসলামে নতুন প্রবেশ করার কারনে, তাদের মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হতে পারে, তাই ত্নি তা পরিত্যাগ করেছিলেন। তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-কে বলেছিলেনঃ ‘’তোমার স্বজাতির লোকেরা যদি কুফরী ছেড়ে ইসলামে নতুন প্রবেশকারী না হতো, তবে আমি এই কা’বা ঘর ভেঙ্গে (ইব্রাহীমের ভিত্তির উপর) পুনঃনির্মাণ করতাম। ঘরের দু’টি দরজা রাখতাম, এক্তিতে লোকেরা প্রবেশ করতো অন্যটি দ্বারা বের হতো’’ বুখারী; মুসলিম ফাতাওয়া আরাকানুল ইসলাম, ফাতাওয়া নঃ ২১৯ সাঈদ বিন আলী বিন আল-কাহাতানী বলেন, ”আমি আমার শাইখ আবদুল আজিজ বিন বায (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি, তিনি বলেনঃ ‘’জুতা পরে সলাত আদায় করা ইয়াহুদীদের সুন্নাতের পরিপন্থি। তবে লক্ষ্য রাখার পর যদি জুতার মধ্যে কোন নাপাক বস্তু দেখে, তাহলে মাটি, পাথর ইত্যাদি দ্বারা তা পরিস্কার করে নেবে। তবে যে সব মসজিদে কার্পেট (বা জায়নামাজ) বিছানো থাকে, সেখানে কিছু মানুষের অবহেলার কারনে ধুলাবালি পাওয়া যায়। ফলে মানুষ মসজিদ থেকে চলে যেতে চায়। এ কারনে আমার নিকট উত্তম হল, জুতা রাখার জন্য একটি স্থান নির্ধারণ করা’’ সাঈদ বিন আলী বিন ওয়াহাব আল-কাহাতানী, মসজিদের বিধি-বিধান; পৃষ্ঠা নঃ ৪৮ ====== শেষ কথাঃ উপরে বর্ণিত হাদিসগুলো থেকে নিম্নলিখিত বিধানগুলো পাওয়া যায়ঃ ১- জুতা খুলে রেখে সলাত আদায় করা বৈধ। ২- মোজা পরে সলাত আদায় করা বৈধ। ৩- জুতা ও মোজা উভয়টা পরে সলাত আদায় করা বৈধ। ৪- খালি পায়ে সলাত আদায় করা বৈধ। ৫- জুতা পরে সলাত আদায়ের সময় লক্ষ্য রাখতে হবে তাতে যেন কোন নাপাকি লেগে না থাকে (আল্লাহ ভালো জানেন) -(collected)
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds

    5/9, 12:25pm

    Sogood Islam Syeds

    DUA FOR DEPRESSION AND WORRIES The scholars of Islaam have extracted from the Qur’aan and the authentic Sunnah many remedies and cures to help us in our daily affairs and remove our problems. 1. It was reported that the Prophet (peace and blessings be upon him) used to recite this Dua: اللّهُـمَّ رَحْمَتَـكَ أَرْجـوفَلا تَكِلـني إِلى نَفْـسي طَـرْفَةَ عَـيْن، وَأَصْلِـحْ لي شَأْنـي كُلَّـه لَا إِلَهَ إِلَّا أنْـت Allaahumma rahmataka ‘arjoo falaa takilnee ‘ilaa nafsee tarfata ‘aynin, wa ‘aslih lee sha’nee kullahu, laa’ilaaha ‘illaa ‘Anta. “O Allah, I hope for Your mercy. Do not leave me to myself even for the blinking of an eye (i.e. a moment). Correct all of my affairs for me. There is none worthy of worship but You.” (Abu Dawud 4/324, Ahmad 5/42. Al-Albani graded it as good in Sahih Abu Dawud 3/959.)6510). 2. In al-Saheehayn it was reported from Ibn ‘Abbaas that the Messenger of Allaah (Peace and Blessings of Allaah be upon him) used to say, when he felt distressed: لا إلَهَ إلاَّ اللَّهُ الْعَظـيمُ الْحَلِـيمْ، لا إلَهَ إلاَّ اللَّهُ رَبُّ العَـرْشِ العَظِيـمِ، لا إلَهَ إلاَّ اللَّهُ رَبُّ السَّمَـوّاتِ ورّبُّ الأَرْضِ ورَبُّ العَرْشِ الكَـريم “La ilaaha ill-Allaah al-‘Azeem ul-Haleem, Laa ilaaha ill-Allaah Rabb il-‘arsh il-‘azeem, Laa ilaaha ill-Allaah Rabb is-samawaati wa Rabb il-ard wa Rabb il-‘arsh il-kareem” “There is no god except Allaah, the All-Mighty, the Forbearing; there is no god except Allaah, the Lord of the Mighty Throne; there is no god except Allaah, Lord of the heavens, Lord of the earth and Lord of the noble Throne.” (Al-Bukhari 8/154, Muslim 4/2092, ) 3. It was reported from Anas (may Allaah be pleased with him) that the Prophet (Peace and Blessings of Allaah be upon him) used to say, when something upset him: “Yaa Hayyu yaa Qayyoom, bi Rahmatika astagheeth (O Ever-Living One, O Everlasting One, by Your mercy I seek help).” 4. It was reported that Asmaa’ bint ‘Umays (may Allaah be pleased with her) said: The Messenger of Allah (peace and blessings of Allah be upon him) said to me: “Shall I not teach you some words to say when you feel distressed? اللهُ اللهُ رَبِّ لا أُشْـرِكُ بِهِ شَيْـئاً ‘Allaah, Allaah, Rabbee laa ushriku bihi shay’an’ Allaah, Allaah, my Lord, I do not associate anything with Him (Abu Dawud 2/87. See also Al-Albani, Sahih Ibn Majah 2/335.) 5. It was reported from ‘Abd-Allaah ibn Mas’ood that the Prophet (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “No person suffers any anxiety or grief, and says: للّهُـمَّ إِنِّي عَبْـدُكَ ابْنُ عَبْـدِكَ ابْنُ أَمَتِـكَ نَاصِيَتِي بِيَـدِكَ، مَاضٍ فِيَّ حُكْمُكَ، عَدْلٌ فِيَّ قَضَاؤكَ أَسْأَلُـكَ بِكُلِّ اسْمٍ هُوَ لَكَ سَمَّـيْتَ بِهِ نَفْسَكَ أِوْ أَنْزَلْتَـهُ فِي كِتَابِكَ، أَوْ عَلَّمْـتَهُ أَحَداً مِنْ خَلْقِـكَ أَوِ اسْتَـأْثَرْتَ بِهِ فِي عِلْمِ الغَيْـبِ عِنْـدَكَ أَنْ تَجْـعَلَ القُرْآنَ رَبِيـعَ قَلْبِـي، وَنورَ صَـدْرِي وجَلَاءَ حُـزْنِي وذَهَابَ هَمِّـي ‘Allaahumma innee ‘abduka wa ibn ‘abdika wa ibn amatika, naasiyati bi yadika, maadin fiyya hukmuka, ‘adlun fiyya qadaa’uka, as’aluka bi kulli ismin huwa laka sammayta bihi nafsaka aw anzaltahu fi kitaabika aw ‘allamtahu ahadan min khalqika aw ista’tharta bihi fi ‘ilm il-ghaybi ‘andak an taj’ala al-Qur’aana rabee’ qalbi wa noor sadri wa jalaa’a huzni wa dhahaaba hammi’ “O Allaah, I am Your slave, son of Your slave, son of Your female slave, my forelock is in Your hand, Your command over me is forever executed and Your decree over me is just. I ask You by every Name belonging to You which You named Yourself with, or revealed in Your Book, or You taught to any of Your creation, or You have preserved in the knowledge of the unseen with You, that You make the Qur’aan the life of my heart and the light of my breast, and a departure for my sorrow and a release for my anxiety” but Allah will take away his sorrow and grief, and give him in their stead joy.” (Ahmad 1/391)
    Sadiya Maryam
  • Sogood Islam Syeds

    5/9, 12:28pm

    Sogood Islam Syeds

    সম্পূর্ণ নামঃ ডাঃ জাকির অাব্দুল করিম নায়েক। ৪৭ বছর বয়সী এই মানুষটি ১৭ বছর যাবত বিশ্বের অানাচে কানাচে মানুষদের দ্বীনের দাওয়াত দিচ্ছে, কোরঅান ও হাদিসের অালোকে চোখে অাঙ্গুল দিয়ে বুঝিয়ে দিচ্ছে এক মাত্র ইসলামই অাল্লাহ্ পাক এর মনোনীত ধর্ম। ★তিনি একযুগে দাওয়াত দিচ্ছেনঃ ভারত, পাকিস্তান, সৌদিআরব, ইউকে, ইউএসএ, কানাডা, কাতার, বাহরাইণ,ওমান, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, শ্রীলংকা, ব্রূনাই, মালেয়শিয়া, সিঙ্গাপুর, হংকং, থাইল্যান্ড, চীন, অাফ্রীকার নাইজেরিয়া সহ অারো অনেক দেশে। ★ ওনার গুগলে লেকচার অাছে ৫লাখ থেকে ৭ লাখ। ★ কোন মানুষ যদি ৫-৭লাখ লেকচার থেকে থাকে তবে তার দুএকটা ভূল হওয়াটা স্বভাবিক। কেউ ভূলে উর্ধ্বে নয়। ★ শেয়ালেরা যদি গর্তে শুয়ে হুক্কা হুয়া ডাকে তবে সিংহের কিচ্ছু অাসে যায় না। শিয়ালদের গর্তের বাহিরে যাবার সাহস, শক্তি কোনটাই নাই।
    Mohi Uddin
  • Sogood Islam Syeds

    5/9, 12:29pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • May 9
  • Sogood Islam Syeds

    5/9, 9:42pm

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত নিয়ে কিছু প্রশ্ন: প্রথম প্রশ্নঃ এ রাত্রি কি ভাগ্য রজনী? উত্তরঃ না, এ রাত্রি ভাগ্য রজনী নয়, মূলতঃ এ রাত্রিকে ভাগ্য রজনী বলার পেছনে কাজ করছে সূরা আদ-দুখানের ৩ ও ৪ আয়াত দু’টির ভূল ব্যাখ্যা। তা হলোঃ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ* فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ – سورة الدخان:3ـ4 আয়াতদ্বয়ের অর্থ হলোঃ “অবশ্যই আমরা তা (কোরআন) এক মুবারক রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি, অবশ্যই আমরা সতর্ককারী, এ রাত্রিতে যাবতীয় প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়”। এ আয়াতদ্বয়ের তাফসীরে অধিকাংশ মুফাসসির বলেনঃ এ আয়াত দ্বারা রমযানের লাইলাতুল ক্বাদরকেই বুঝানো হয়েছে। যে লাইলাতুল কাদরের চারটি নাম রয়েছে: ১. লাইলাতুল কাদর, ২. লাইলাতুল বারা’আত, ৩. লাইলাতুচ্ছফ, ৪.লাইলাতুল মুবারাকাহ। শুধুমাত্র ইকরিমা (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেন, এ আয়াত দ্বারা শা’বানের মধ্যরাত্রিকে বুঝানো হয়েছে। এটা একটি অগ্রহণযোগ্য বর্ণনা। আল্লামা ইবনে কাসীর (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) বলেন, আলোচ্য আয়াতে ‘মুবারক রাত্রি’ বলতে ‘লাইলাতুল ক্বাদর বুঝানো হয়েছে, যেমন আল্লাহ তা‘আলা বলেছেনঃ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ – سورةالقدر:1 আমরা এ কোরআনকে ক্বাদরের রাত্রিতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা আল-কাদরঃ১)। আল্লাহ তা‘আলা আরও বলেনঃ شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآنُ- سورة البقرة:185 রমযান এমন একটি মাস যাতে কোরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা আলবাকারাহঃ১৮৫)।
    Jobrul Miah
  • Sogood Islam Syeds

    5/9, 9:47pm

    Sogood Islam Syeds

    ♣নাভীর নীচে হাত বাঁধা :♣ ======================== ছহীহ হাদীছের দাবী হল বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করা। নাভীর নীচে হাত বেঁধে ছালাত আদায় করার পক্ষে কোন ছহীহ হাদীছ নেই। এর পক্ষে যত হাদীছ বর্ণিত হয়েছে সবই ত্রুটিপূর্ণ। (১) عَنْ أَبِىْ جُحَيْفَةَ أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ مِنْ السُّنَّةِ وَضْعُ الْكَفِّ عَلَى الْكَفِّ فِي الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (১) আবু জুহায়ফাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত, আলী (রাঃ) বলেছেন, সুন্নাত হল ছালাতের মধ্যে নাভীর নীচে হাতের পাতার উপর হাতের পাতা রাখা।[1] তাহক্বীক্ব : হাদীছটি নিতান্তই যঈফ। উক্ত সনদে আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক নামে একজন রাবী আছে। সে সকল মুহাদ্দিছের ঐকমত্যে যঈফ।[2] ইমাম বায়হাক্বী বলেন, ‘উক্ত হাদীছের সনদ ছহীহ বলে প্রমাণিত হয়নি। আব্দুর রহমান ইবনে ইসহাক্ব একাকী এটা বর্ণনা করেছে। সে পরিত্যক্ত রাবী।[3] আল্লামা আইনী হানাফী (মৃঃ ৮৫৫ হিঃ) বলেন, ‘এর সনদ ছহীহ নয়’।[4] ইবনু হাজার আসক্বালানী (৭৭৩-৮৫২) বলেন, এর সনদ যঈফ’।[5] শায়খ আলবানীও যঈফ বলেছেন।[6] (২) عَنْ أَبِىْ وَائِلٍ قَالَ قَالَ أَبُوْ هُرَيْرَةَ أَخْذُ الْأَكُفِّ عَلَى الْأَكُفِّ فِى الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (২) আবী ওয়ায়েল (রাঃ) বলেন, আবু হুরায়রাহ (রাঃ) বলেছেন, ছালাতের মধ্যে এক হাত আরেক হাতের উপর রেখে নাভীর নীচে রাখবে।[7] তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি নিতান্তই যঈফ। ইমাম আবুদাঊদ বলেন, سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَقَ الْكُوْفِيَّ ‘আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যঈফ’।[8] ইবনু আব্দিল বার্র এই হাদীছকে যঈফ বলেছেন।[9] শায়খ আলবানীও যঈফ বলেছেন।[10] (৩) عَنْ أَنَسٍ قَالَ ثَلاَثٌ مِنْ أَخْلاَقِ النُّبُوَّةِ تَعَجُّلُ الْإِفْطاَرِ وَتَأْخِيْرُ السَّحُوْرِ وَوَضْعُ الْيَدِ الْيُمْنىَ عَلَى الْيَدِ الْيُسْرَى فِى الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (৩) আনাস (রাঃ) বলেন, তিনটি জিনিস নবীদের চরিত্র। (ক) দ্রুত ইফতার করা (খ) দেরীতে সাহারী করা এবং (গ) ছালাতের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখা।[11] তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। মুহাদ্দিছ যাকারিয়া বিন গোলাম কাদের বলেন, ‘এই শব্দে কেউ কোন সনদ উল্লেখ করেননি’।[12] মুবারকপুরী (রহঃ) বলেন, ‘আমি এই হাদীছের সনদ সম্পর্কে অবগত নই’।[13] উক্ত বর্ণনা সম্পর্কে না জেনেই অনেক লেখক তা দলীল হিসাবে পেশ করেছেন। নিঃসন্দেহে এটি দুঃখজনক।[14] অবশ্য এ মর্মে বর্ণিত ছহীহ হাদীছে ‘নাভীর নীচে’ অংশটুকু নেই।[15] (৪) عَنْ وَائِلِ ابْنِ حُجْرٍ فِىْ صِفَةِ صَلاَةِ رَسُوْلِ اللهِ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِىَّ يَضَعُ يَمِيْنَهُ عَلَى شِمَالِهِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (৪) ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর ছালাতের পদ্ধতির ব্যাপারে বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখতে দেখেছি।[16] তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট। ‘নাভীর নীচে’ কথাটুকু হাদীছে নেই। সুতরাং এই অংশটুকু জাল করা হয়েছে। শায়খ মুহাম্মাদ হায়াত সিন্দী বলেন, زِيَادَةُ تَحْتَ السُّرَّةِ نَظْرٌ بَلْ هِىَ غَلَطٌ مَنْشَؤُهُ السَّهْوُ فَإِنِّىْ رَاجَعْتُ نُسْخَةً صَحِيْحَةً مِنَ الْمُصَنِّفِ فَرَأَيْتُ فِيْهَا هَذَا الْحَدِيْثَ بِهَذَا السَّنَدِ وَبِهَذِهِ الْأَلْفَاظِ إِلاَّ أَنَّهُ لَيْسَ فِيْهَا تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নাভীর নীচে’ এই অতিরিক্ত অংশ ত্রুটিপূর্ণ। বরং তা স্পষ্ট ভুল। মূলেই ভুল রয়েছে। আমি সংকলকের মূল কপি দেখেছি। সেখানে এই সনদ ও শব্দগুলো দেখেছি। কিন্তু তার মধ্যে ‘নাভীর নীচে’ অংশটুকু নেই’।[17] জ্ঞাতব্য : উক্ত বর্ণনা ভিত্তিহীন হলেও মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বার নামে ‘মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে’ বইটিতে উল্লেখ করা হয়েছে এবং তাকে বিশুদ্ধ বলা হয়েছে।[18] যার ভিত্তি নেই তাকে বিশুদ্ধ বলার উদ্দেশ্য কি? মড়ার উপর খাড়ার ঘা? (৫) إِنَّ النَّبِىَّ قَالَ إِنَّ مِنَ السُّنَّةِ وَضْعُ الْيُمْنىَ عَلَى الشِّمَالِ تَحْتَ السُّرَّةِ. (৫) নবী করীম (ছাঃ) বলেন, সুন্নাত হল বাম হাতের উপর ডান হাত রেখে নাভীর নীচে রাখা।[19] তাহক্বীক্ব : বর্ণনাটি মিথ্যা ও বানোয়াট। কারণ উক্ত মর্মে রাসূল (ছাঃ) থেকে কোন বর্ণনা নেই। মদ্বীনা পাবলিকেশান্স থেকে প্রকাশিত ‘হানাফীদের কয়েকটি জরুরী মাসায়েল’ নামক বইয়ে উক্ত শব্দে উল্লেখ করা হয়েছে।[20] বিশেষ সর্তকতা : কুদূরী ও হেদায়া কিতাবে বলা হয়েছে, وَيَعْتَمِدُ بِيَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى تَحْتَ السُّرَّةِ ‘এবং ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখবে’।[21] অতঃপর হেদায়া কিতাবে দলীল হিসাবে পেশ করা হয়েছে, ‘কারণ রাসূল (ছাঃ)-এর কথা হল, لِقَوْلِهِ عَلَيْهِ الصَّلَاةُ وَالسَّلَامُ إنَّ مِنَ السُّنَّةِ وَضْعَ الْيَمِيْنِ عَلَى الشِّمَالِ تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নিশ্চয় ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর নীচে রাখা সুন্নাত’।[22] অথচ উক্ত বর্ণনার কোন ভিত্তি নেই। সুধী পাঠক! হানাফী মাযহাবের সর্বাধিক অনুসরণীয় কিতাবে যদি এভাবে রাসূল (ছাঃ)-এর নামে মিথ্যা বর্ণনা মিশ্রিত করা হয়, তাহলে মানুষ সত্যের সন্ধান পাবে কোথায়? (৬) عَنِ ابْنِ جَرِيْرٍ الضَّبِّيِّ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ رَأَيْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللهُ عَنْهُ يُمْسِكُ شِمَالَهُ بِيَمِيْنِهِ عَلَى الرُّسْغِ فَوْقَ السُّرَّةِ. (৬) গাযওয়ান ইবনু জারীর তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেছেন, আমি আলী (রাঃ)-কে ডান হাত দ্বারা বাম হাতকে কব্জির উপর রেখে নাভীর উপর বাঁধতে দেখেছি।[23] তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ।[24] ইমাম আবুদাঊদ বলেন, وَرُوِيَ عَنْ سَعِيْدِ بْنِ جُبَيْرٍ فَوْقَ السُّرَّةِ قَالَ أَبُوْ مِجْلَزٍ تَحْتَ السُّرَّةِ وَرُوِيَ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ وَلَيْسَ بِالْقَوِيِّ. ‘সাঈদ ইবনে জুবাইর-এর পক্ষ থেকে বর্ণনা করা হয়েছে- নাভীর উপরে হাত রাখতেন। আর আবু মিজলায বলেছেন, নাভীর নীচে হাত রাখতেন। অনুরূপ আবু হুরায়রা থেকেও বর্ণিত হয়েছে। তবে কোনটিই নির্ভরযোগ্য নয়’।[25] (৭) عَنِ الحَجَّاجِ بْنِ حَسَّانَ قَالَ سَمِعْتُ أَبَا مِجْلَزٍ أَوْ سَأَلْتُهُ قَالَ قُلْتُ كَيْفَ أَصْنَعُ؟ قَالَ يَضَعُ بَاطِنَ كَفِّ يَمِيْنِهِ عَلَى ظَاهِرِ كَفِّ شِمَالِهِ وَيَجْعَلُهَا أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ. (৭) হাজ্জাজ ইবনু হাস্সান বলেছেন, আমি আবু মিজলাযকে বলতে শুনেছি অথবা তাকে প্রশ্ন করেছি, আমি কিভাবে হাত রাখব? তিনি বললেন, ডান হাতের পেট বাম হাতের পিঠের উপর রাখবে এবং একেবারে নাভীর নীচে রাখবে।[26] তাহক্বীক্ব : উক্ত বর্ণনা গ্রহণযোগ্য নয়। কারণ এর সনদ বিচ্ছিন্ন।[27] যদিও কেউ তাকে ‘সুন্দর সনদ’ বলে মন্তব্য করেছেন।[28] কিন্তু ছহীহ হাদীছের বিরোধী হলে কিভাবে তাকে সুন্দর সনদ বলা যায়? [29] (8) عَنْ أَبِى الزُّبَيْرِ قَالَ أَمَرَنِىْ عَطَاءٌ أَنْ أَسْأَلَ سَعِيْدًا أَيْنَ تَكُوْنُ الْيَدَانِ فِى الصَّلاَةِ؟ فَوْقَ السُّرَّةِ أَوْ أَسْفَلَ مِنَ السُّرَّةِ؟ فَسَأَلْتُهُ فَقَالَ فَوْقَ السُّرَّةِ. (৮) যুবাইর বলেন, আত্বা আমাকে বললেন, আমি যেন সাঈদ ইবনু জুবাইরকে জিজ্ঞেস করি, ছালাতের মধ্যে দুই হাত কোথায় থাকবে? নাভীর উপরে না নাভীর নীচে? অতঃপর আমি তাকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, নাভীর উপরে।[30] তাহক্বীক্ব : সনদ যঈফ। এর সনদে ইয়াহইয়া ইবনু আবী তালেব ও যায়েদ ইবনু হুবাব নামে রাবী আছে, তারা ত্রুটিপূর্ণ।[31] মূলতঃ পরবর্তীতে এই বর্ণনার মাঝে কিছু পরিবর্তন করা হয়েছে।[32] (9) قاَلَ عَبْدُ اللهِ رَأَيْتُ أَبِىْ إِذَا صَلَّى وَضَعَ يَدَيْهِ إِحْدَاهُمَا عَلَى الْأُخْرَى فَوْقَ السُّرَّةِ. (৯) আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ (রহঃ) বলেন, আমি আমার আব্বাকে দেখেছি যে, তিনি যখন ছালাত আদায় করতেন তখন তিনি তার এক হাত অপর হাতের উপর স্থাপন করে নাভীর উপরে রাখতেন।[33] তাহক্বীক্ব : ইমাম আহমাদ (রহঃ) নাভীর নীচে হাত বাঁধার বর্ণনাকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। যেমন ইমাম আবুদাঊদ বলেন, سَمِعْتُ أَحْمَدَ بْنَ حَنْبَلٍ يُضَعِّفُ عَبْدَ الرَّحْمَنِ بْنَ إِسْحَقَ الْكُوفِيَّ ‘আমি আহমাদ ইবনু হাম্বল (রহঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আব্দুর রহমান ইবনু ইসহাক্ব যঈফ’।[34] সুতরাং উক্ত বর্ণনার দিকে ভ্রুক্ষেপ করার প্রশ্নই উঠে না। তাছাড়া ইমাম নববী ও আলবানী গ্রহণ করেননি।[35] ইমাম আহমাদ সম্পর্কে নাভীর নীচে ও উপরে দুই ধরনের কথা এসেছে। মূলতঃ তা সন্দেহ যুক্ত। যেমনটি দাবী করেছেন কাযী আবু ইয়ালা আল-ফার্র।[36] সুতরাং তার পক্ষ থেকে বুকের উপর হাত বাঁধাই প্রমাণিত হয়। যাকে ইমাম আবুদাঊদ ছহীহ বলেছেন।[37] বিভ্রান্তি থেকে সাবধান : বাজারে প্রচলিত ‘নামায শিক্ষা’ বইগুলোতে উক্ত যঈফ, বানোয়াট ও ভিত্তিহীন বর্ণনা দ্বারা নাভীর নীচে হাত বাঁধার দলীল পেশ করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে মাওলানা আব্দুল মতিন প্রণীত ‘দলিলসহ নামাযের মাসায়েল’ একটি। উক্ত লেখক শুধু বানোয়াট বর্ণনাই পেশ করেননি, বরং রীতি মত ছহীহ হাদীছের অপব্যাখ্যা করে রাসূল (ছাঃ)-এর আমলকে যবাই করে নিজেদেরকে ‘প্রকৃত আহলে হাদীস’ বলে দাবী করেছেন।[38] কথায় বলে ‘অন্ধ ছেলের নাম পদ্মলোচন’। কারণ অন্ধ মাযহাবের মরণ ফাঁদে পড়ে কেউ আহলেহাদীছ পরিচয় ব্যক্ত করতে পারে না। এ জন্য ‘আহলেহাদীছ’ পরিচয় দেয়ার সাহস হয় না। [1]. আবুদাঊদ হা/৭৫৬; আহমাদ ১/১১০; দারাকুৎনী ১/২৮৬; ইবনু আবী শায়বাহ ১/৩৯১; বায়হাক্বী ২/৩১। উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে উক্ত মর্মে কয়েকটি হাদীছ নেই। [2]. وَقَدِ اتَّفَقَ الْأَئِمَّةُ عَلَى تَضْعِيْفِهِ -তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৪। [3]. لَمْ يَثْبُتْ إِسْنَادُهُ تَفَرَّدَ بِهِ عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ الْوَاسِطِىِّ وَهُوَ مَتْرُوْكٌ -বায়হাক্বী, আল-মা‘রেফাহ ১/৪৯৯। [4]. إِسْنَادُهُ غَيْرُ صَحِيْحٍ -উমদাতুল ক্বারী ৫/২৮৯। [5]. إسناده ضعيف -ইবনু হাজার আসক্বালানী, আদ-দিরায়াহ ১/১২৮। [6]. যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৫৬। [7]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [8]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [9]. ঐ, আত-তামহীদ ২০/৭৫। [10]. যঈফ আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [11]. ইমাম ইবনু হাযম, আল-মুহাল্লা ৪/১৫৭; তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫। [12]. وَلَمْ يَذْكُرْ لَهُ سَنَدًا بِهَذَا اللَّفْظِ وَإِِنَّهَا عَلَّقَهُ -তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫। [13]. لَمْ أَقِفْ عَلَى سَنَدِ هَذَا الْحَدِيْثِ -ঐ, তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৫। [14]. মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে, পৃঃ ২৯১; নবীজীর নামায, পৃঃ ১৫০। [15]. ইবনু হিববান হা/১৭৬৭; সনদ ছহীহ, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৮৭; ইবনু ক্বাইয়িম, তাহযীব সুনানে আবী দাঊদ ১/১৩০ – حَدِيث أَبِي حُمَيْدٍ هَذَا حَدِيث صَحِيح مُتَلَقًّى بِالْقَبُولِ لَا عِلَّة لَهُ وَقَدْ أَعَلَّهُ قَوْم بِمَا بَرَّأَهُ اللَّه। [16]. তানক্বীহ, পৃঃ ২৮৫; তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৪। [17]. তুহফাতুল আহওয়াযী ১/২১৪। [18]. ঐ, পৃঃ ২৯০। [19]. হেদায়াহ ১/৮৬; হানাফীদের জরুরী মাসায়েল, পৃঃ ২৬। [20]. ঐ, পৃঃ ২৬। [21]. আবুল হুসাইন আহমাদ আল-কুদূরী, মুখতাছারুল কুদূরী, পৃঃ ২৮; হেদায়া ১/১০৬ পৃঃ। [22]. হেদায়া ১/১০৬ পৃঃ; নাছবুর রাইয়াহ ১/৩১৩ পৃঃ। [23]. আবুদাঊদ হা/৭৫৭; বায়হাক্বী ২/৩০। [24]. যঈফ আবুদঊদ হা/৭৫৭। [25]. আবুদাঊদ হা/৭৫৭। [26]. ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩৯৬৩, ১/৩৯১; মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে, পৃঃ ২৯১। [27]. আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ – مقطوع لأن أبا مجلز تابعي والمقطوع لا يقوم به الحجة। [28]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১৩০-এর আলোচনা দ্রঃ। [29]. মির‘আতুল মাফাতীহ ৩/৬৩ পৃঃ- أن هذا قول تابعي ينفيه الحديث المرفوع فلا يلتفت إليه। [30]. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৪৩৪; আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ। [31]. আওনুল মা‘বূদ ২/৩২৪ পৃঃ। [32]. যঈফ আবুদাঊদ হা/১৩০। [33]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭০ পৃঃ। [34]. আবুদাঊদ হা/৭৫৮। [35]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭০ পৃঃ। [36]. আল-মাসাইলুল ফিক্বহিয়াহ, ১/৩২ পৃঃ – وهذا يحتمل أن يكون ظناً من الراوي أنها كانت على السرة ويحتمل أن يكون سهواً من أحمد في ذلك। [37]. আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ। [38]. দলিলসহ নামাযের মাসায়েল , পৃঃ ২৪। (মুজাফ্ফর বিন মহসিন)
    Md Ali Tawhid Badi
  • Sogood Islam Syeds

    5/9, 10:24pm

    Sogood Islam Syeds

    ♣বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ সমূহ♣ ======================= রাসূল (ছাঃ) সর্বদা বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করতেন। উক্ত মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি পেশ করা হল : (1) عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ كَانَ النَّاسُ يُؤْمَرُوْنَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ الْيَدَ الْيُمْنَى عَلَى ذِرَاعِهِ الْيُسْرَى فِي الصَّلَاةِ قَالَ أَبُوْ حَازِمٍ لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا يَنْمِىْ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ . (১) সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হত, মুছল্লী যেন ছালাতের মধ্যে তার ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর রাখে। আবু হাযেম বলেন, এটা রাসূল (ছাঃ)-এর দিকেই ইঙ্গিত করা হত বলে আমি জানি।[1] ইমাম বুখারী (রহঃ) অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, بَابُ وَضْعِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى ‘ছালাতের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা অনুচ্ছেদ’।[2] উল্লেখ্য যে, ইমাম নববী (রহঃ) নিম্নোক্ত মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন- ‘তাকবীরে তাহরীমার পর ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে বুকের নীচে নাভীর উপরে রাখা’।[3] অথচ হাদীছে ‘বুকের নীচে নাভীর উপরে’ কথাটুকু নেই। মূলতঃ পুরো ডান হাতের উপর বাম হাত রাখলে বুকের উপরই চলে যায়। যেমন উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, وَمِثْلُهُ حَدِيْثُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ كَانَ يَضَعُ الْيُمْنىَ عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَ السَّاعِدِ رَوَاهُ أَبُوْدَاؤُدَ وَ النَّسَائِىُّ بِسَنَدِ صَحِيْحٍ وَ هَذِهِ الْكَيْفِيّةُ نَسْتَلْزِمُ أَنْ يَّكُوْنَ الْوَضْعُ عَلَى الصَّدْرِ إِذَا أَنْتَ تَأَمَّلْتَ ذَلِكَ وَعَمِلْتَ بِهَا فَجَرِّبْ إِنْ شِئْتَ وَ مِمَّا يَنْبَغِىْ أَنْ يَّعْلَمَ أَنَّهُ لَمْ يَصِحُّ عَنْهُ الْوَضْعُ عَلَى غَيْرِ الصَّدْرِ كَحَدِيْثِ وَ السُّنَّةُ وَضْعُ الْكَفِّ فِى الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. ‘অনুরূপ ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) ডান হাত বাম হাতের পাতা, হাত ও বাহুর উপর রাখতেন। যা ছহীহ সনদে আবুদাঊদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। এই পদ্ধতিই আমাদের জন্য অপরিহার্য করে যে হাত রাখতে হবে বুকের উপর। যদি আপনি এটা বুঝেন এবং এর প্রতি আমল করেন। অতএব আপনি চাইলে যাচাই করতে পারেন। আর এ সম্পর্কে যা জানা উচিৎ তা হল, বুকের উপর ছাড়া অন্যত্র হাত বাঁধার বিষয়টি রাসূল (ছাঃ) থেকে ছহীহ হিসাবে সাব্যস্ত হয়নি। যেমন একটি হাদীছ, ‘সুন্নাত হল ছালাতের মধ্যে নাভীর নীচে হাতের পাতা রাখা’ (এই বর্ণনা সঠিক নয়)।[4] বিশেষ জ্ঞাতব্য : সুধী পাঠক! ছহীহ বুখারীতে বর্ণিত উক্ত হাদীছের অনুবাদ করতে গিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুবাদে ‘ডান হাত বাম হাতের কবজির উপরে’ মর্মে অনুবাদ করা হয়েছে।[5] আধুনিক প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত বুখারীতেও একই অনুবাদ করা হয়েছে।[6] অথচ ইসলমিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একই খন্ডের মধ্যে অন্যত্র এর অর্থ করা হয়েছে ‘বাহু’।[7] কিন্তু ‘বাহু’ আর ‘কব্জি’ কি এক বস্ত্ত? সব হাদীছ গ্রন্থে ‘যিরা’ অর্থ ‘বাহু’ করা হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) ওযূ করার সময় মুখমন্ডল ধৌত করার পর বাহুর উপর পানি ঢালতেন।[8] এছাড়া আরবী কোন অভিধানে ‘যিরা’ শব্দের অর্থ ‘কব্জি’ করা হয়নি। অতএব কোন সন্দেহ নেই যে, নাভীর নীচে হাত বাঁধার ত্রুটিপূর্ণ আমলকে প্রমাণ করার জন্যই উক্ত কারচুপি করা হয়েছে। অথচ অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) তাঁর ডান হাতটি বাম হাতের পাতা, কব্জি ও বাহুর উপর রাখতেন, যা পূর্বে আলবানীর আলোচনায় পেশ করা হয়েছে। (2) عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ لَأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلاَةِ رَسُوْلِ اللهِ كَيْفَ يُصَلِّى فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ فَقَامَ فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا بِأُذُنَيْهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ مِثْلَهَا … (২) ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন, আমি অবশ্যই রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের দিকে লক্ষ্য করতাম, তিনি কিভাবে ছালাত আদায় করেন। আমি তাঁর দিকে লক্ষ্য করতাম যে, তিনি ছালাতে দাঁড়াতেন অতঃপর তাকবীর দিতেন এবং কান বরাবর দুই হাত উত্তোলন করতেন। তারপর তাঁর ডান হাত বাম হাতের পাতা, কব্জি ও বাহুর উপর রাখতেন। অতঃপর যখন তিনি রুকূ করার ইচ্ছা করতেন তখন অনুরূপ দুই হাত উত্তোলন করতেন…।[9] উল্লেখ্য যে, ‘মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে’ বইটিতে উক্ত হাদীছটির পূর্ণ অর্থ করা হয়নি; বরং অর্থ গোপন করা হয়েছে।[10] তাছাড়া ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে অর্থ পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে দুইটি শব্দে ভুল হরকত দেয়া হয়েছে।[11] সুধী পাঠক! উক্ত হাদীছ প্রমাণ করে যে, রাসূল (ছাঃ) ডান হাতটি পুরো বাম হাতের উপর রাখতেন। এমতাবস্থায় হাত নাভীর নীচে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এইভাবে হাত রেখে নাভীর নীচে স্থাপন করতে চাইলে মাজা বাঁকা করে নাভীর নীচে হাত নিয়ে যেতে হবে, যা উচিৎ নয়। আমরা এবার দেখব রাসূল (ছাঃ) তাঁর দুই হাত কোথায় স্থাপন করতেন। (3) عَنْ طَاوُسٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ يَضَعُ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى ثُمَّ يَشُدُّ بَيْنَهُمَا عَلَى صَدْرِهِ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ. (৩) ত্বাঊস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতেন এবং উভয় হাত বুকের উপর শক্ত করে ধরে রাখতেন।[12] যরূরী জ্ঞাতব্য : ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে হাত বাঁধা সংক্রান্ত একটি হাদীছও উল্লেখিত হয়নি। এর কারণ সম্পূর্ণ অজানা। তবে ইমাম আবুদাঊদ নাভীর নীচে হাত বাঁধা সম্পর্কে বর্ণিত বর্ণনাগুলোকে যঈফ বলেছেন। আর বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীছটিকে ছহীহ হিসাবে পেশ করতে চেয়েছেন। কারণ উক্ত হাদীছ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। সে জন্যই হয়ত কোন হাদীছই উল্লেখ করা হয়নি।[13] উল্লেখ্য যে, উক্ত হাদীছকে অনেকে নিজস্ব গোঁড়ামী ও ব্যক্তিত্বের বলে যঈফ বলে প্রত্যাখ্যান করতে চান। মুহাদ্দিছগণের মন্তব্যের তোয়াক্কা করেন না। নিজেকে শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ বলে পরিচয় দিতে চান। অথচ আলবানী উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে বলেন, رَوَاهُ أَبُوْ دَاوُدَ بِإِسْنَادٍ صَحِيْحٍ عَنْهُ ‘আবুদাঊদ ত্বাঊস থেকে এই হাদীছকে ছহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন’। অতঃপর তিনি অন্যের দাবী খন্ডন করে বলেন, وَهُوَ وَإِنْ كَانَ مُرْسَلاً فَهُوَ حُجَّةٌ عِنْدَ جَمِيْعِ الْعُلَمَاءِ عَلَى اخْتِلاَفِ مَذَاهِبِهِمْ فِى الْمُرْسَلِ لِأَنَّهُ صَحِيْحُ السَّنَدِ إِلَى الْمُرْسَلِ وَقَدْ جاَءَ مَوْصُوْلاً مِنْ طُرُقٍ كَمَا أَشَرْنَا إِلَيْهِ آنِفًا فَكاَنَ حُجَّةً عِنْدَ الْجَمِيْعِ. ‘ত্বাউস যদিও মুরসাল রাবী তবুও তিনি সকল মুহাদ্দিছের নিকট দলীলযোগ্য। কারণ তিনি মুরসাল হলেও সনদের জন্য ছহীহ। তাছাড়াও এই হাদীছ মারফূ‘ হিসাবে অনেকগুলো সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমনটি আমি এই মাত্রই উল্লেখ করলাম। অতএব তা সকল মুহাদ্দিছের নিকট দলীলযোগ্য।[14] এছাড়াও এই হাদীছকে আলবানী ছহীহ আবুদাঊদে উল্লেখ করেছেন।[15] (৪) عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ رضي الله عنه قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ اَلنَّبِيِّ فَوَضَعَ يَدَهُ اَلْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ اَلْيُسْرَى عَلَى صَدْرِهِ. (৪) ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাত আদায় করেছি। তিনি তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে বুকের উপর রাখতেন।[16] উক্ত হাদীছের টীকায় শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, إِسْنَادُهُ ضَعِيْفٌ لِأَنَّ مُؤَمَّلاً وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيْلَ سَيِّئُ الْحِفْظِ لَكِنَّ الْحَدِيْثَ صَحِيْحٌ جَاءَ مِنْ طُرُقٍ أُخْرَى بِمَعْنَاهُ وَفِى الْوَضْعِ عَلَى الصَّدْرِ أَحَادِيْثُ تَشْهَدُ لَهُ. ‘এর সনদ যঈফ। কারণ তা ত্রুটিপূর্ণ। আর তিনি হলেন ইবনু ইসমাঈ। তার স্মৃতি শক্তি দুর্বল। তবে হাদীছ ছহীহ। এই হাদীছ অন্য সূত্রে একই অর্থে বর্ণিত হয়েছে। বুকের উপর হাত রাখার আরো যে হাদীছগুলো আছে, সেগুলো এর জন্য সাক্ষ্য প্রদান করে’। ইমাম শাওকানী উক্ত হাদীছ সম্পর্কে বলেন, وَ لاَشَيْءَ فِى اْلبَابِ أَصَحُّ مِنْ حَدِيْثِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ الْمَذْكُوْرِ فِىْ صَحِيْحِ ابْنِ خُزَيْمَةَ ‘হাত বাঁধা সম্পর্কে ছহীহ ইবনু খুযায়মাতে ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) বর্ণিত হাদীছের চেয়ে বিশুদ্ধ কোন হাদীছ আর নেই’।[17] তাছাড়া একই রাবী থেকে অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। (5) عَنْ قَبِيْصَةَ بْنِ هُلْبٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِىَّ يَنْصَرِفُ عَنْ يَمِيْنِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ وَرَأَيْتُهُ قَالَ يَضَعُ هَذِهِ عَلَى صَدْرِهِ وَضَعَ يَحْيَى الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَوْقَ الْمِفْصَلِ. (৫) ক্বাবীছাহ বিন হুলব তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার পিতা বলেছেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে ডান ও বামে ফিরতে দেখেছি এবং হাতকে বুকের উপর রাখার কথা বলতে শুনেছি। অতঃপর ইয়াহইয়া ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর রাখেন।[18] উল্লেখ্য যে, কেউ কেউ উক্ত হাদীছকে ত্রুটিপূর্ণ বলেছেন। কিন্তু তাদের দাবী সঠিক নয়। কারণ রাবী ক্বাবীছার ব্যাপারে কথা থাকলেও এর পক্ষে অনেক সাক্ষী রয়েছে। ফলে তা হাসান।[19] (6) عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله إِنَّا مَعْشَرَ الأَنْبِيَاءِ أُمِرْنَا أَنْ نُعَجِّلَ إِفْطَارَنَا وَأَنْ نُؤَخِّرَ سَحُوْرَنَا وَنَضَعَ أَيْمَانَنَا عَلَى شَمَائِلِنَا فِي الصَّلاَةِ. (৬) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আমরা নবীদের দল। আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- আমরা যেন দ্রুত ইফতার করি এবং দেরিতে সাহারী করি। আর ছালাতের মধ্যে আমাদের ডান হাত বাম হাতের উপর যেন রাখি।[20] [1]. ছহীহ বুখারী হা/৭৪০, ১/১০২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭০৪, ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২)। ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৭ بَابُ وَضْعِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى। [2]. ছহীহ বুখারী ১/১০২ পৃঃ। [3]. ছহীহ মুসলিম ১/১৭৩ পৃঃ, হা/৯২৩-এর অনুচ্ছেদ-১৫, ‘ছালাত’ অধ্যায়- باَبُ وَضْعِ يَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى بَعْدَ تَكْبِيْرَةِ الإِحْرَامِ تَحْتَ صَدْرِهِ فَوْقَ سُرَّتِهِ وَوَضْعِهِمَا فِى السُّجُوْدِ عَلَى الأَرْضِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ। [4]. মিশকাত হা/৭৯৮ -এর টীকা দ্রঃ, ১/২৪৯ পৃঃ। [5]. বুখারী শরীফ (ঢাকা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নবম সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১২), ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২, হা/৭০৪। [6]. সহীহ আল-বুখারী (ঢাকা : আধুনিক প্রকাশনী, বাংলা বাজার, জুন ১৯৯৭), ১ম খন্ড, পৃঃ ৩২২, হা/৬৯৬। [7]. বুখারী শরীফ ২য় খন্ড, পৃঃ ৯, হা/৫০৭; ৭ম খন্ড, পৃঃ ২৩১, হা/৪০৭৬; ছহীহ বুখারী হা/৫৩২, ১/৭৬ পৃঃ ও হা/৪৪২১। [8]. ছহীহ মুসলিম হা/১৫৯৭, ‘মসজিদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫৬, উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ছাপায় হাদীছটি নেই, ১/২৪০-২৪১; মিশকাত হা/৩৯২২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৭৪৬, ৮/২২ পৃঃ; আবাদাঊদ হা/১৩৫, ১/১৮ পৃঃ; মুসনাদে আহমাদ হা/১০০৮ -ثُمَّ قَالَ لَهُ صُبَّ فَصَبَّ عَلَيْهِ فَغَسَلَ كَفَّهُ ثَلاَثاً وَأَدْخَلَ كَفَّهُ الْيُمْنَى فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثَلاَثاً ثُمَّ أَدْخَلَ كَفَّيْهِ فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثاً ثُمَّ أَدْخَلَ كَفَّهُ الْيُمْنَى فَغَسَلَ ذِرَاعَهُ الأَيْمَنَ ثَلاَثاً ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَهُ الأَيْسَرَ ثَلاَثاً فَقَالَ هَذَا وُضُوْءُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ । [9]. নাসাঈ হা/৮৮৯, ১/১০২ পৃঃ; আবুদাঊদ হা/৭২৭, পৃঃ ১০৫; আহমাদ হা/১৮৮৯০; ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৪৮০; ইবনু হিববান হা/১৮৬০, সনদ ছহীহ। [10]. ঐ, পৃঃ ২৯০। [11]. আবুদাঊদ, পৃঃ ১০৫। [12]. আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ। [13]. আবুদাঊদ, পৃঃ ১২২। [14]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭১ পৃঃ। [15]. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৭৫৯। [16]. ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৪৭৯, ১/২৪৩ পৃঃ; বলূগুল মারাম হা/২৭৫। [17]. নায়লুল আওত্বার ৩/২৫ পৃঃ। [18]. আহমাদ হা/২২০১৭; সনদ হাসান। [19]. আলবানী, আহকামুল জানাইয, পৃঃ ১১৮ – فمثله حديثه حسن في الشواهد ولذلك قال الترمذي بعد أن خرج له من هذا الحديث أخذ الشمال باليمين حديث حسن فهذه ثلاثة أحاديث في أن السنة الوضع على الصدر ولا يشك من وقف على مجموعها في أنها صالحة للاستدلال على ذلك.। [20]. ইবনু হিববান হা/১৭৬৭; সনদ ছহীহ, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৮৭; ইবনু ক্বাইয়িম, তাহযীব সুনানে আবী দাঊদ ১/১৩০ – حَدِيث أَبِي حُمَيْدٍ هَذَا حَدِيث صَحِيح مُتَلَقًّى بِالْقَبُولِ لَا عِلَّة لَهُ وَقَدْ أَعَلَّهُ قَوْم بِمَا بَرَّأَهُ اللَّه
    Md Ali Tawhid Badi
  • May 10
  • Sogood Islam Syeds

    5/10, 1:39pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • May 10
  • Sogood Islam Syeds

    5/10, 5:13pm

    Sogood Islam Syeds

    Sheikh Zahid added a new photo.
    আগামী অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই ঈসা (আঃ) আসমান থেকে অবতরন করবেন …………… মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “কেয়ামতের পুর্বে শ্যামের (সিরিয়ার) মুসলমানের রক্তে মানুষের টাকুনী পর্যন্ত (পায়ের গিরা) ডুবে যাবে” — সহী হাদিস এটি সিরিয়ার আলেপ্পোর একটি খাল, যেটি দিয়ে রক্ত প্রবাহিত হচ্ছে? এ ছবি ছাড়াও আমি অনেক ছবি দেখেছি, যে খানে সত্যিই সিরিয়ার মুমেন মুসলমানের রক্তে মানুষের টাকুনী ডুবে যাবে। আল্লাহু আকবর.. তার মানে এটি একটি বড় ধরনের ইঙ্গিত দিচ্ছে, যে ইঙ্গিতের ইতিহাস দেড় হাজার বছর ধরে মুসলমানেরা বলে এসেছে।সহজ কথায় আমার গবেষনায় পরিস্কার, আগামী অল্প কয়েক বছরের মধ্যে ইসা (আঃ) সিরিয়ার সেই সাদা গম্বুজ থেকে মাগরিবের সময় নেমে মুসলমান জাতির কাছে পরিচয় করিয়ে দেবেন, ইনি্‌ই হচ্ছে তোমাদের নেতা ইমাম মাহদী (মুহাম্মদ) । হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) এরশাদ করেন “ইমাম মাহদী হবেন আমার নামে(মুহাম্মদ)”। সহি হাদীস। কেন আমরা হক পথে আছি? মুহাম্মদ (সাঃ) বলেছেন, “শ্যামের মুসলমানেরা প্রথমে প্রচন্ড মাইর খাবে পরে তারা বিজয় লাভ করবে” এর থেকে পরিস্কার সিরিয়ায় মাইর কারা খাচ্ছে, (১) দামেস্কে অবস্থিত আসাদ-শিয়া গ্যাং (২) রাকায় অবস্থিত দায়েশ (আইএস) (৩) নাকি আলেপ্পোতে অবস্থিত সত্যিকারের মুসলমানেরা, ৬০ লক্ষ বসতির আলেপ্পোর মুসলমানেরা ধ্বংশ স্তুপে পরিনত ও আলেপ্পোতে যারা প্রতিরোধ করছে সেই আহরার আস শাম? তাহলে একথা পরিস্কার, দেড় হাজার বছর পুর্বে রাসুল (সাঃ) এর ভবিষ্যৎ বানী অনুযায়ী আলেপ্পুবাসী তথা আহরার আস শামের মুজাহিদরাই সত্যিকারের মুমেন।যাদের সাহায্য আসবেন বর্তমান খ্রীষ্টান ধর্মের নবী ও আমাদেরও নবী হযরত ইসা (আঃ) ও পরিচয় প্রকাশ হবে ইমাম মাহদী নামের মুহাম্মদের। হে মজুসী শিয়া, কাফের, মুসরিক, মুনাফিক,নাস্তিকরা, তোমরা আল্লেপ্পোর রক্ত বন্য দেখে হেসো না? কারণ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “ইসা ইবনে মরয়িম কোন যিযিয়া (কর, বন্দীপন) গ্রহন করবেন না, হয় মুসলমান হও, না হয় কেটে দিখন্ডিত করে ফেলবেন” -সহী হাদিস। অনেক বেকুব প্রশ্ন করে, ইসলামী জোট কি করছে, সৌদি-তুর্কী কি করছে? সেই সব বেকুবরা জানেনা, বিশ্বের এক হাজারের অধিক গ্যাং আসাদকে গোপন পারমিশন দিয়েছে এই অর্তকিত হামলা করার জন্য? ইসলামিক জোটের প্রতিক্রিয়া দেখার জন্য স্বয়ং আমেরিকা-রাশিয়া এহামলা করিয়েছে?… ভিতরে ভিতরে কাফের, মুসরিক ও মুনাফিকরা(শিয়া) একত্রিত হয়েছে, সুতরাং এটাই রাসুল (সাঃ) ঘোষিত সেই সিরিয়ার মালহামা (বিশ্ব যুদ্ধ), যে যুদ্ধের চুড়ান্ত পরিনতি সমগ্র বিশ্ব ইসা (আঃ) ও ইমাম মাহদী (মুহাম্মদ) নেতৃত্বে মুসলমানরা দখল করে ফেলবে… ( সবাই শেয়ার করুন )
    Sheikh Zahid
  • Sogood Islam Syeds

    5/10, 5:16pm

    Sogood Islam Syeds

    (১) রাতের বেলা ঘুমানোর পূর্বে বিতির পড়ে ফেললে শেষ রাতে তাহাজ্জুদ পড়া যায়। (২) সিজদাহর সময় দুই কনুই মাটি থেকে উপরে রাখতে হয়, দুই পায়ের গোড়ালি একসাথে করে কিবলামুখী রাখতে হয়, নাক ও কপাল মাটিতে মিশিয়ে রাখতে হয়। এটা নারী ও পুরুষ সবার জন্যেই। (৩) নামাযের পূর্বে ৩-৪ হাত সামনে “সুতরা” অর্থাৎ, সিজদাহর জায়গার সামনে প্রায় একহাত সমান উঁচু কোন খুটি বা দেয়াল বা বাধা রাখা উচিত। এটা গুরুত্বপূর্ণ একটা সুন্নাহ যা সামনে দিয়ে মানুষ চলাচল বন্ধ রাখবে এবং মুসল্লীর দৃষ্টি ও মনোযোগ হেফাজত করে স্থির রাখতে সাহায্য করে। এমনকি ঘরে কোন মানুষ না থাকলেও নামাযের সময় সামনে সুতরা রাখা সুন্নাহ। (৪) নামাযী ব্যক্তির সামনে দিয়ে অর্থাৎ যতটুকু সামনে পর্যন্ত সিজদাহ দিবে এই স্থানের মধ্যে দিয়ে কোন ব্যক্তি যাওয়ার চেষ্টা করলে নামাযরত অবস্থাতেই এই হাত দিয়ে বাধা দিতে হবে। এতে নামায ভাংবেনা। উল্লেখ্য কোন সাবালিকা নারী, গাধা কিংবা কালো কুকুর নামাযী ব্যক্তির সামনে দিয়ে পার হয়ে গেলে তার নামায ভংগ হয়ে যাবে। পুরুষ বা ছোট বাচ্চা যাওয়ার চেষ্টা করলে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে, তবে চলে গেলে নামায ভাংবেনা কিন্তু যারা যাবে তারা গুনাহগার হবে। (৫) নামাযে হাই আসলে আটকানোর চেষ্টা করতে হবে, না পারলে ডান হাত দিয়ে মুখ ঢাকতে হবে। (৬) মনোযোগের জন্যে নামাযে চোখ বন্ধ রাখা ঠিক নয়, এটা মাকরুহ বা অপছন্দনীয় কাজ। চোখ থাকবে সামনে সিজদাহর স্থানের দিকে। (৭) ক্বুরান তেলাওয়াতের সময় সামনে পেছনে ঝুকে ঝুকে তাল দিয়ে পড়া যাবেনা। এটা ক্বুরান তেলাওয়াতের আদবের পরিপন্থী এবং ইহুদীদের স্বভাব। নামায সম্পর্কে বিস্তারিত জানার জন্যে আপনারা শায়খ আব্দুল হামীদ ফাইজীর “সালাতে মুবাশশির” বইটা সংগ্রহ করুন।
    তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
  • May 10
  • Sogood Islam Syeds

    5/10, 9:10pm

    Sogood Islam Syeds

    টাইম ম্যাগাজিনের অনুসারে ডা. জাকির নায়েক পৃথিবীর ১০০ জন শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালীর একজন ! ডা. জাকির নায়েক- একজন ক্ষীণকায় ব্যক্তি যার পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড মূলত মেডিক্যাল সায়েন্সের যদিও তিনি ইসলাম প্রচারকেই তার পেশা হিসেবে গ্রহণ করেছেন। পৃথিবীর ১ নং ম্যাগাজিন “টাইম” তাকে ১০০ জন শ্রেষ্ঠ প্রভাবশালীর তালিকায় উল্লেখ করেছেন। আর INDIA এখন তাকে সেই দেশের সেরা SPIRITUAL GURU বলে আখ্যা দিয়েছে।তিনি তার জীবনে তিনি অসংখ্য মানুষকে ইসলাম গ্রহণ করিয়েছেন !!!!!!!!!!!! আলহামদুলিল্লাহ! তিনিই হলেন একমাত্র স্কলার যিনি লাইভ প্রশ্ন ও উত্তর পর্বের উত্তর দেন। এমনকি আমেরিকায় তার জনপ্রিয়তা এত বেশী যে যখন তিনি সেখানকার এয়ারপোর্টে গিয়েছিলেন তখন এয়ারপোর্টের কাস্টম অফিসাররা তাকে দেখেই চিনে ফেলে! জাকির নায়েককে দুবাই-এর বাদশাহ প্রাসাদ দিতে চেয়েছিল কিন্তু তিনি তা নেননি । তিনি বলেছিলেন I WANT INDIA. তিনি সবকিছু করেন আন্তইর্জাতিক মানের । তার ৪ টি পিস টীভীর চ্যানেল + IIS school + এখন MBA , MCA , MBBS COLLEGE ইনশাআল্লাহ খুব-ই শিঘ্রই যাদের কাজ শুরু হচ্ছে । তার সমর্থক আছে অনেক এবং সেই সাথে তার শত্রুও অনেক । আমাদের নবী(সা) এরও অনেক শত্রু ছিলেন । আসলে মানুষ যখন বিখ্যাত হয় তখন তার শত্রুর সংখ্যাও বেড়ে যায় । আর তিনি তো সাধারণ একজন ইসলামের অনুসারী মাত্র । আল্লাহ যেনো তাকে সফল করেন কারণ তিনি যে পথে চলেছেন সেটা কঠিন কিন্তু সঠিক পথ । আমীন
    Abdus Sattar
  • Sogood Islam Syeds

    5/10, 10:22pm

    Sogood Islam Syeds

    আজ থেকে পঞ্চাশ বছর আগে সাইয়্যেদ কুতুব (রাহি) এর লেখা কিছু কথা। এই শতাব্দীর বড় বড় উলামাদের মাথাতেও এসব ঢুকছে না। শুধু স্যাবোটাজ করে আর অ্যাসাসিনেশানের মাধ্যমে যারা শরীয়ত কায়েম করবেন বলে ভাবছেন, তাদের পড়ার জন্য…. বইঃ মায়ালেম ফিত তারিক। অধ্যায়ঃ দ্বীন প্রতিষ্টার সঠিক উপায়। “ইসলামী জীবন বিধানের প্রতি যারা দাওয়াত দেবেন তাদের জেনে রাখা উচিৎ যে, তারা মানুষদের সর্বপ্রথম ইসলামের মৌলিক আকিদা বিশ্বাসের প্রতি পরিপুর্ন ঈমান আনয়নের জন্যই দাওয়াত দেবেন। যদিও যাদের দাওয়াত দেয়া হবে তারা সবাই নিজেদের মুসলমান বলে দাবী করেন, সরকারী রেকর্ডপত্রে যদিও তাদের মুসলমান বলে উল্লেখ করা হয়, তবু ইসলামী বিধানের আহবায়করা প্রথমে মানুষদের বুঝিয়ে বলবেন যে, ইসলামের অর্থ হচ্ছে কালেমা “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ”-কে সঠিক তাৎপর্যসহ গ্রহন করা। কালেমার সঠিক তাৎপর্য হচ্ছে নিজের জীবনের সকল দিক ও বিভাগে আল্লাহর সার্বভৌমত্বকে স্বীকার করা। সমাজে, রাস্ট্রে আল্লাহর সার্বভৌমত্বের বিপরীতে যারা নিজেদের সার্বভৌমত্ব দাবী করে তাদের কর্তৃত্বসমুহকে সম্পুর্ণ অস্বীকার করা। ইসলামী আকিদা বিশ্বাসের এই মৌলিক তাৎপর্য গ্রহন করার পরই তাদের নিজেদের মন মস্তিষ্ক, জীবনযাত্রা এবং চালচলনে এ বিশ্বাসের প্রতিফলনের দিকে মনোযোগ দিতে হবে। আজ ইসলামী জীবন বিধান পুনঃপ্রতিষ্টার আন্দোলন যারাই শুরু করুন না কেন তাদের এ বিষয়টি প্রথম পদক্ষেপ হিসেবে গুরুত্ব দিতে হবে। ইসলামের প্রথম আন্দোলন ঠিক এভাবেই শুরু হয়েছিল। কোরআন নাযিলের মক্কী স্তরের দীর্ঘ তেরটি বছর শুধু এ বিষয়টিকেই দৃঢ়মূল করার কাজে ব্যায়িত হয়েছিল। যারা ইসলামী আন্দোলনের এই চরিত্র ও তাৎপর্য উপলব্ধি করার পর আন্দোলনে যোগদান করেন শুধু তাদের দলকেই সত্যিকার অর্থে ইসলামিক সংগঠন বা ইসলামি দল অ্যাখ্যা দেয়া যেতে পারে। একমাত্র এই জামাত বা সমাজই সমষ্টিগত জীবনে ইসলামী আদর্শ বাস্তবায়িত করার যোগ্যতা রাখে। কারন, তারা স্বেচ্ছায় তাদের পরিপুর্ন জীবনের ওপর ইসলামী আদর্শকে প্রয়োগ করার সাথে সাথে এক ও অদ্বিতীয় অাল্লাহতায়ালা ব্যতীত অন্য কারো সার্বভৌমত্ব প্রত্যাখ্যান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এভাবে যখন এই মৌলিক বৈশিষ্ট্য নিয়ে একটি সমাজ জন্মলাভ করবে এবং একমাত্র ইসলামী আদর্শই সে সমাজের ভিত্তি হিসেবে গৃহীত হবে, তখন সে সমাজ তার পারিপার্শ্বিক প্রয়োজনের পরিপ্রেক্ষিতে ধীরে ধীরে ইসলামী বিধান প্রনয়ন করতে অগ্রসর হবে। ইসলামী জীবনাদর্শ প্রবর্তনের এটাই হচ্ছে বাস্তবধর্মী ও বিজ্ঞানসম্মত কর্মপন্থা। ইসলামী জীবনাদর্শে এই বৈশিষ্ট্য যারা উপলব্ধি করতে পারেনি, তাদের এক নিষ্ঠাবান শ্রেনীর লোকও এ ব্যাপারে তাড়াহুড়ো করেন। তারা বুঝেন না যে, মহাজ্ঞানী আল্লাহতায়ালা তার দ্বীন প্রতিষ্ঠার যে পদ্ধতি নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন, তার মধ্যেই প্রকৃত কল্যান নিহিত রয়েছে। তারা মনে করেন যে, ইসলামী আদর্শের নীতি ও আইন বিধান সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করলেই বুঝি তারা স্বতপ্রনোদিত হয়ে ইসলামী আদর্শ প্রতিষ্টার জন্যে অগ্রসর হবেন। প্রকৃতপক্ষে এটা হচ্ছে তাড়াহুড়ো করে কিছু একটা করে ফেলার মনোভাব সম্পন্ন লোকদের কিছু কাল্পনিক ধারনা। এধরনের কোনো ধারনা যদি রাসুলে কারীম(স) কে দেয়া হত এবং তিনি যদি ভৌগলিক জাতীয়তা, অর্থনৈতিক বিপ্লব অথবা সংস্কারবাদী কোন আন্দোলনের দিকে জনগনকে ডাক দিতেন তাহলে তাঁর কাজ অনেকটাই সহজ হয়ে যেত। কিন্তু তিনি সে পথ গ্রহন করেন নি। ইসলামী জীবনাদর্শের বিস্তারিত আইন-কানুন সম্পর্কে মানুষকে অবহিত করে তাদেরকে এদিকে আকৃষ্ট করার আগে তাদের অন্তরে আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা অত্যন্ত জরুরী। আল্লাহর কাছে পরিপুর্ন করা ও অন্যান্য মানবীয় দাসত্ব গ্রহনে অস্বীকৃতির ফল হিসেবে আল্লাহর শরীয়তের প্রতি তার মনে একটা গভীর ভালবাসা সৃষ্টি হবে, এটা এজন্য নয় যে, অন্যান্য বিধানের তুলনায় আল্লাহর বিধানের শ্রেষ্টত্ব সে বিশ্বাস করে। এ বিষয়ে কোনই সন্দেহ নেই যে, আল্লাহ প্রদত্ত বিধান মানবরচিত বিধানের তুলনায় সর্বতোভাবে শ্রেষ্ট। কারন, এ বিধান স্বয়ং আল্লাহ রচিত। কিন্তু এই শ্রেষ্টত্বই কখনো ইসলামী আন্দোলনের ভিত্তি হতে পারে না। এর ভিত্তি হবে বিনা দ্বিধায় শরীয়তে ইলাহীকে গ্রহন করা এবং শরীয়ত বহির্ভুত বিধানকে সরাসরি বর্জন করা। এটাই ইসলামের সঠিক তাৎপর্য এবং এ ছাড়া অন্য কিছুই ইসলাম নয়। ইসলামের মুল ভিত্তির প্রতি যে আকৃষ্ট তাকে একটি একটি করে ইসলাম ও অন্যান্য বিধানের বিস্তারিত পার্থক্য বুঝানোর কোন প্রয়োজনই হবে না। সত্যিকার অর্থে ঈমানের মুলকথাও এটাই।
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds

    5/10, 10:25pm

    Sogood Islam Syeds

    হিজৰী চনৰ ৮ ম মাহ হৈছে শ্বাবান মাহ । ইয়াৰ পাছতেই আহে বছৰৰ শ্ৰেষ্ঠ মাহ ৰমজান । আমাৰ প্রিয় নবী (ছ:) য়ে ৰমজানৰ প্ৰস্তুতি স্বৰূপ শ্বাবান মাহত আন মাহৰ তুলনাত বেছি ৰোজা ৰাখিছিল ৷ আয়িশ্বা (ৰাঃ) য়ে কৈছে , মই ৰছূল (ছঃ) ক ৰমজানৰ বাহিৰে আন কোনো মাহত সম্পূর্ণ মাহ ৰোজা ৰখা দেখা নাই। আৰু মই শ্বাবান মাহতকৈ আন কোনো মাহত ৰছূল (ছঃ) ক বেছি ৰোজা ৰখা দেখা নাই (বুখাৰী)। গতিকে শ্বাবান মাহত আমিও ৰছুল (ছ:)ৰ ছুন্নত অনুযায়ী বেছি বেছি ৰোজা ৰাখিব লাগে । কিন্তু মূল বিষয় হৈছে, বর্তমান সময়ত আমাৰ দেশৰ অধিকাংশ মানুহৰ মাজতেই শ্বাবান মাহ সম্পৰ্কে ভুল ধাৰণা আছে । বিশেষকৈ সমাজত প্ৰচলিত আছে যে, শ্বাবান মাহৰ ১৪-১৫ তাৰিখে ৰোজা ৰখা তথা নফল নামাজ পঢ়া দেখা যায় যদিও ৰছুল (ছ) ৰ পৰা এই বিষয়ে কোনো ছহীহ হাদিছ পোৱা নাযায় । এই ৰাতিক আমাৰ দেশৰ পৰিভাষাত শ্ববে বৰাত বুলি কোৱা হয় । এই ৰাতি সম্পৰ্কে কিছুমান মানুহৰ ভুল ধাৰণা হল যে : ১) শ্ববে বৰাত পালনকাৰী সকলৰ বক্তব্য হল , শ্ববে বৰাতৰ ৰাতি কোৰআন নাজিল হৈছে । ২) শ্ববে বৰাতৰ ৰাতি উপলক্ষে আল্লাহে দুনিয়াৰ আকাশলৈ নামি অহাৰ ধাৰণা । – এনেকুৱা কোনো কথা কোৰআন বা ছহীহ হাদিছত পোৱা নাযায় । ছহীহ হাদিছৰ বৰ্ণনা অনুযায়ী আল্লাহ তাআলা প্ৰতি ৰাতিৰ শেষ তৃতীয়াংশত দুনিয়াৰ আকাশলৈ নামি আহে আৰু কয় , “ কোনোবাই ক্ষমা বিচাৰি আছে নে ? যাক মই ক্ষমা কৰি দিম । এনেদৰে প্ৰতি ৰাতিয়েই আল্লাহ ক্ষমা কৰিব বুলি ঘোষণা কৰি থাকে । (বুখাৰী , হাদিছ নং ১০৯৪, মুছলিম ,হাদিছ নং ১৬৮) ৩) এই ৰাতি মানুহৰ ভাগ্য লিখা হয় বুলি ধাৰণা । – সিহঁতৰ এই ধাৰণাও ঠিক নহয় । এই কথাষাৰৰ পক্ষে কোৰআন হাদিছৰ কোনো দলিল নাই । ছহীহ হাদিছত ৰছুল (ছঃ)য়ে কৈছে , আছমান , জমীন সৃষ্টিৰ ৫০ হজাৰ বছৰ আগতেই আল্লাহ তাআলাই সৃষ্টিৰ সকলো বস্তুৰ ভাগ্য লিখি ৰাখিছে । (ছহীহ মুছলিম) ☞ শ্ববে বৰাত উপলক্ষ্যে সমাজত প্রচলিত কিছুমান বিদআত : ১) এই ৰাতি ১০০ ৰাকাত নামাজ পঢ়া হয়। – এই একশ ৰাকাত নামাজৰ যিমান হাদিছ আছে , সকলোবোৰেই জাল আৰু বনোৱা । এই নামাজ সম্পৰ্কে ৰছুল (ছঃ) ৰ পৰা কোন ছহিহ হাদিছৰ দ্বাৰা প্ৰমাণিত নহয় । ইছলামত এই ধৰনৰ নামাজ পঢ়াৰ নিয়ম কানুন সম্পুৰ্ণ নতুন আৱিষ্কৃত বিদআত । এই সম্পর্কে সৰ্বযুগৰ আলিম সকল একমত । কাৰণ এই নামাজ ৰছুল (ছঃ) বা খুলাফায়ে ৰাশ্বিদীন সকলে কেতিয়াও পঢ়া নাই । ১০০ ৰাকাত নামাজ পঢ়াৰ বিদআতটো সৰ্বপ্ৰথম প্রচলিত হয় জেৰুজালেমৰ বাইতুল মুকাদ্দাছ মছজিদত ৪৪৮ হিজৰীত । ইমাম মাকদেছী (ৰহঃ) ইয়াক ( ﻋﻠﻰ ﺍﻟﺒﺎﻋﺚ ﺍﻧﻜﺎﺭ ﻭﺍﻟﺤﻮﺍﺩﺙ ﺍﻟﺒﺪﻉ ১২৪-১২৫) ত উল্লেখ কৰিছে । ২) এই ৰাতি হালুয়া ৰুটি খোৱা হয় ৷ – শ্ববে বৰাত উপলক্ষে ঘৰে ঘৰে হালুয়া ৰুটি খোৱাৰ প্রতিযোগিতা লাগি যায় । সিহঁতৰ অভিমত , সিদিনা ভাল খাব পাৰিলে গোটেই বছৰ ভালকৈ খাব পাৰিব । কোনবাই , এই দিন ওহুদ যুদ্ধক লক্ষ কৰি শ্বহীদসকলৰ বাবে সমবেদনা জনায় । আমি জানো , ওহুদৰ যুদ্ধত কাফিৰ বিলাকৰ আক্রমনত মহানবী (ছঃ) ৰ দাঁত ভাঙ্গি গৈছিল । কিন্তু সেইটো শ্বাবান মাহত হোৱা নাই । বৰং ওহুদ যুদ্ধ হৈছিল ৩ য় হিজৰী চনৰ শ্বাৱাল মাহৰ ৭ তাৰিখে । তেন্তে এই সমবেদনা শ্বাবান মাহৰ ১৫ তাৰিখ কেনেকৈ কৰা হয় ? ৩) সেইদিনা মীলাদ আৰু যিকিৰ কৰা দেখা যায় ৷ – শ্ববে বৰাত উপলক্ষে মছজিদ , খানকাহ , দৰগাহ বোৰত আৰম্ভ হয় মিলাদে মাহফিল আৰু চলি থাকে খোৱাৰ অনুষ্ঠান । চলি থাকে বিদআতি পন্থাত যিকিৰৰ মজলিছ । এই কামবোৰ দ্বীনৰ মাজত বিদাতৰ বাহিৰে আন একো নহয় । ৪) শ্ববে বৰাতৰ ৰোজা ৰখা হয় ৷ – ৰছুল (ছঃ) আৰু তেখেতৰ ছাহাবাসকলৰ পৰাও শ্ববে বৰাত উপলক্ষে ৰোজা ৰখাৰ কোন দলিল পাৱা নাযায় । কিন্তু আন আন মাহৰ দৰে এই মাহতো সপ্তাহৰ প্ৰতি সোমবাৰ , বৃহস্পতিবাৰ , প্ৰত্যেক মাহৰ ১৩,১৪,১৫ তাৰিখ আৰু কোনবাই যদি একলেঠাৰিয়ে ৰোজা ৰাখিব খোজে তাৰ বাবে ৰোজা ৰখা ছুন্নত । কিন্তু শ্ববে বৰাত উপলক্ষে ১৪ আৰু ১৫ তাৰিখে ৰোজা ৰখা বিদাত ৷ এই সম্পৰ্কলৈ আলিম সকলৰ মতামত :- আল্লামা আব্দুল আযীয ইৱনে বায (ৰহঃ) লৈ শ্বাবানৰ ৰাতি সমপৰ্কৰে প্ৰশ্ন কৰা হৈছিল , “এই ৰাতি কোন বিশেষ নামাজ আছে নে ? উত্তৰত তেওঁ কলে , অৰ্ধ শ্বাবানৰ ৰাতি সম্পৰ্কে এটাও ছহীহ হাদিছ পোৱা নাযায় । এই সম্পর্কে বৰ্ণিত সকলো হাদীছেই জাল , জইফ , যিবোৰৰ কোন ভিত নাই । আৰু এই ৰাতি এনেকুৱা এটা ৰাতি যাৰ কোনো বেলেগ মৰ্য্যাদা নাই । সেইৰাতি বেছিকৈ কুৰআন পঢ়া , অকলে বা গোট বান্ধি নামাজ পঢ়া নাযাব । (চাওঁক , ইৱনে বায (ৰঃ)ৰ ফতোয়া ছিৰিজ , ১ম ভাগ ) ইমাম আলবানী (ৰহঃ) কৈছে অৰ্ধ শ্বাবানৰ ফজীলতৰ বহুত দুৰ্বল হাদিছ আহিছে । (ছিলছিলায়ে ছহীহা , হাদিছ নং ১১৪৪) কিন্তু তেখেতে এই ৰাতিক বিশেষ কোনো ইবাদত কৰাক বিদআত বুলি কৈছে আৰু কঠোৰ ভাষাৰে তাৰ প্ৰতিবাদ কৰিছে । (চাওঁক , আলবানীৰ ফতোয়া ছিৰিজ ) মুছলিম জাতিৰ উচিত যে , এই বিদআতৰ পৰা বিৰত থকা । পৰিতাপৰ বিষয় এই যে , বহুতেই ইয়াক বিদাতে হাছানাহ বুলি কয় । আচলতে বিদাতে হাছানাহ বুলি একো বস্ত নাই । ইছলামৰ নামত বনোৱা সকলো বিদাতেই গুমৰাহী, বিদাতে হাছানাহ বুলি কোনো বিদাতৰ অস্তিত্ব নাই । ৰছুল (ছঃ) য়ে কৈছে , “প্ৰতিটো বিদআতই পথভ্ৰষ্ট আৰু প্ৰতিটো পথভ্ৰষ্টতাৰ পৰিণাম জাহান্নাম ( ছুনান নাছাই) । ইবনে উমাৰ (ৰাঃ) য়ে কৈছে “ সকল বিদাতিয়েই পথভ্ৰষ্টতা, যদিও মানুহসকল তাক উত্তম বুলি কয় ।”
    অসমত ইচলাম প্ৰচাৰ -Q.A
  • Sogood Islam Syeds

    5/11, 1:07am

    Sogood Islam Syeds

    “জরুরী একটি হাদিস এবং আমাদের করনীয়” ~দয়া করে সবাই শেয়ার করুন~ শেষ ভাষনের সময় নবী মুহাম্মদ(সাঃ)-এর সম্মুখে এক লক্ষের অধিক সাহাবী উপস্থিত ছিলেন। নবী মুহাম্মদ(সাঃ) তাদেরকে লক্ষ্য করে বলেছিলেনঃ “আজ যারা এখানে উপস্থিত আছ তাদের দায়িত্ব হল, যারা এখানে উপস্থিত নাই বা অনুপস্থিত আছে তাদের কাছে আমার বানী পৌছিয়ে দেওয়া বা আমার বানী পৌছিয়ে দিও।” ***বুখারীঃ ৬৭। উপরোক্ত হাদিস অনুসারে যে সকল মুসলমান/দ্বীনি ভাই/বোনেরা কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান রাখেন তাদের দায়িত্ব হল, যে সকল মুসলমানরা কুরআন ও হাদিসের জ্ঞান রাখেন না- তাদের কাছে কুরআন ও হাদিসের বানী পৌছিয়ে দেও্য়া। আর এর মাধ্যম হতে পারেঃ মৌখিকভাবে, লেখনীর মাধ্যমে, ইন্টারনেটের মাধ্যমে, ফেসবুকের মাধ্যমে অর্থাৎ যে কোন উপায়ে। দ্বীন-ইসলামের কর্মী হিসাবে এটা আমাদের প্রধান দায়িত্ব ও কর্তব্য। তাই আসুন, আমরা সাধ্যমত আল্লাহ ও রাসুল(সাঃ)-এর বানী ঘরে ঘরে পৌছিয়ে দিয়ে বাতিলকে বিতাড়িত করি এবং বিচারের দিন বা কিয়ামতের দিন নবী মুহাম্মদ(সাঃ)-এর সুপারিশ(মহান আল্লাহর অনুমতিক্রমে) লাভের জন্য সচেস্ট হই।
    জান্নাতুল ফেরদাউস
  • May 11
  • Sogood Islam Syeds

    5/11, 6:36am

    Sogood Islam Syeds

    সুন্নাহ চালু করি, বিদাআত বর্জন করি । ♦কুরআন-সুন্নাহর দলিল ব্যতিত বান্দার (রহ:) লিখা কিতাব বা মতামতকে অন্ধ অনুসরণ করায় ইসলামে কিছু ‘বিদাআত’ প্রবেশ করে কিছু সুন্নাহ উঠে গেছে !!! কারণ ‘বিদাআত, সুন্নাহর বিপরীত’। বিদাআত অভিশপ্ত । (বুখারী:৬৭৯০) এর কিছু বর্তমান উদাহরণ নিচে দেওয়া হল। যাচাই করে সঠিক হলে আসুন পুনর্জীবিত করি !! ♦সলাতে প্রত্যেকে পার্শ্ববর্তী ব্যাক্তির #কাঁধে_কাঁধ_পায়ে_পা মিলাতে হয় । (সহি বুখারী:৬৮৯ ২য় খন্ড)।। ♦ঈমামের পিছনে #সুরা_ফাতিহা পাঠ না করলে তার সলাত হবে না (ওয়াজিব):-তিরমিঝি, নাসাঈ, বুখারী,মুসলিম,ইবনে মাজাহ, আবু দাউদ:৮২৩। ♦সলাতে #জোরে_আমীন বলার দলিল:-আবু দাউদ:৯৩২,৯৩৩, ৯৭২, ১/১৩৪-১৩৫, ১৪০পৃ: ,তিরমিঝি:২৪৮, ১/৫৭-৫৮পৃ:। বুখারী:৭৮০, ৭৮২, ১/১০৭-১০৮পৃ:। মুসলিম:৯৪২, ১/১৭৬। ♦সলাতে #রাফউল_ইয়াদান করার দলিল:-ছহীহ বুখারী:৭৩৫, ৭৩৬, ৭৩৮, ৭৩৯, ছহীহ মুসলিম:৮৮৭,৮৮৮,৮৮৯,৮৯০,৮৯১ ১/১৬৮পৃ: আবু দাউদ:৭৪৪, ১/১০৯পৃ: মিশকাত:৭৯৪, ৭৯৫। ♦সলাতে #বুকের_উপর_হাত বাঁধার দলিল:- ছহীহ বুখারী:৭৪০, ১/১০২পৃ: সহিহ মুসলিম:৯২৩, ১/১৭৩পৃ: মিশকাত:৭৯৮ ১/২৪৯পৃ: বুখারী শরীফ:৭০৪( ইসলামিক ফা: ঢাকা,২/১০২পৃ: ২০১২সাল)। ♦সলাতে আত্যাহিয়াতু পড়ার সময় #আঙ্গুল_নাড়ানোর দলিল:- মুসলিম:২১৬পৃ: ২য়খন্ড, আবু দাউদ:১৪২পৃ: নাসাই ১৮৭পৃ: মিশকাত ৮৫পৃ: ২য় খন্ড। ♦#তারাবির_সলাত ৮+৩=১১ রাকাত সুন্নত, তবে ২০ রাকাত না জায়েজ নয়! →→কারন নবী(স) বলেন,”তোমরা সলাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে আদায় করতে দেখেছ”(বুখারী:)→→ ♦এ রূপ সলাতের পর সম্মিলিত মোনাজাত; দরূদ, ইলিয়াছি তবলিগ, মৃতদের জন্য করণীয়, পীর তরিকা, বান্দার তৈরী মাঝহাব প্রচলন ইত্যাদির দ্বারাও অনেক সুন্নাহ উঠে গেছে। নবী করিম(স) বলেন, “যে ব্যক্তি আমার সুন্নতকে পুনর্জীবিত, করল সে আমাকে ভালবাসল; আর যে আমাকে ভালবেসেছে; সে আমার সঙ্গে জান্নাতে থাকবে!” (তিমিঝি:৪১/২৬২৭)। লক্ষ্য করি! পোষ্টটি সত্য উম্মোচনের লক্ষ্যে উত্তাপিত হল !! কোন বান্দাকে ছোট করার জন্য নয়। কেউ মনে কষ্ট পেলে আমি দঃখিত। ———————————–> ইসলাম ই সমস্ত সমস্যার সমাধান । #বিঃদ্রঃ এখানে সব দলিলসহ উল্লেখ করা আছে । তাই, এগুলোকে মিথ্যা বলে মনে করা কারোর কোনো সুযোগ নেই ।
    Jahid Mirda
  • May 11
  • Sogood Islam Syeds

    5/11, 9:46am

    Sogood Islam Syeds

    মুহাম্মাদ (সা.) কি এক রাতে নয় জন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতেন? লিখেছেন সাদাত ইসলাম-বিদ্বেষীদের খুব প্রিয় মুখরোচক একটি অভিযোগ হচ্ছে যে, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একরাতে নয় জন স্ত্রীর সাথে সহবাস করতেন। এই লেখাতে আমরা সেই অভিযোগকে যাচাই করে দেখবো। প্রথমে নিচের হাদিসটা দেখুন- আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এক রাতে তাঁর সব স্ত্রীর সাথে সাক্ষাত করতেন এবং সই সময় তার নয় জন স্ত্রী ছিল। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৮৪, ইংরেজি: ১।৫।২৮২, সুন্নাহ.কম: ৫।৩৬] খুব স্বাভাবিক ব্যাপার, একজন দায়িত্বশীল স্বামীর জন্য তার সব স্ত্রীদের সাথে দিনে/রাতে একবার সাক্ষাত করাটাই স্বাভাবিক। কিন্তু সমস্যা দাঁড়ালো ইংরেজি অনুবাদক যখন এ সংক্রান্ত অন্য দুটি হাদিসের অনুবাদে ব্র্যাকেটে এই সাক্ষাতকে ‘have sexual relation with’ দ্বারা ব্যাখ্যা করলেন: Narrated Anas: The Prophet I used to go round (have sexual relations with) all his wives in one night, and he had nine wives. [Bukhari Vol.7, Book 62, No.: 6] Narrated Anas bin Malik: The Prophet used to pass by (have sexual relation with) all his wives in one night, and at that time he had nine wives. [Bukhari Vol.7, Book 62, No.: 142] ইংরেজি অনুবাদক সম্ভবত প্রভাবিত হয়েছেন নিচের হাদিস দ্বারা: কাতাদা (রা.) হতে বর্ণিত: আনাস বিন মালিক (রা.) বলেন, “নবী [সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম] দিনে এবং রাতে চক্রাকারে তাঁর সকল স্ত্রীদের সাথে সাক্ষাত করতেন এবং তাঁরা সংখ্যায় এগারো জন ছিলেন।” আমি আনাসকে জিজ্ঞেস করলাম, “নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর কি এই পরিমাণ শক্তি ছিল? আনাস (রা.) উত্তর দিলেন, “ আমরা বলতাম যে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে ত্রিশ জনের শক্তি দান করা হয়েছে।” আর সাঈদ কাতাদা (রা.) হতে বর্ণনা করেছেন যে, আনাস (রা.) তাঁকে শুধু নয়জন স্ত্রীর কথা বলেছেন। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৬৮, ইংরেজি: ১।৫।২৬৮, সুন্নাহ.কম: ৫।২১] যদিও এই হাদিসেও সহবাসের কোন উল্লেখ নাই, তবুও যেহেতু শক্তির প্রসঙ্গ এসেছে তাতে হয়ত ইংরেজি অনুবাদক ধরে নিয়েছেন এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকে বুঝানো হয়েছে। কেননা সহবাসের ক্ষেত্রেই শক্তির প্রসঙ্গ আসতে পারে, শুধু সাক্ষাতের ক্ষেত্রে শক্তির প্রসঙ্গ আসার কথা না। আমি যদিও নিশ্চিত নই যে আসলেই আনাস বিন মালিক (রা.) এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকে বুঝিয়েছেন কিনা কেননা সেক্ষেত্রে তিনি সরাসরি সহবাসের কথা উল্লেখ করলেই পারতেন; তথাপি তর্কের খাতিরে ধরে নিচ্ছি আসলেই আনাস বিন মালিক (রা.) এখানে সাক্ষাত বলতে সহবাসকেই বুঝাতে চেয়েছেন। এবার আসুন হাদিসটা একটু ভালো ভাবে পর্যবেক্ষণ করি। খুব সঙ্গত প্রশ্ন হচ্ছে: আনাস বিন মালিক (রা.) এই কথা কার কাছ থেকে শুনেছেন, স্বয়ং নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর নিকট হতে, না তাঁর কোন স্ত্রীর নিকট হতে? এই হাদিসে এ-সম্পর্কে কোন বক্তব্য নাই। অথচ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এবং তাঁর স্ত্রীগণ ব্যতিত অন্য কারো পক্ষে বলা সম্ভব নয় যে, তাঁরা স্বামী-স্ত্রী সাক্ষাতকালে সহবাস করেছিলেন কিনা। কাজেই আমরা যুক্তিসংগত ভাবেই ধরে নিতে পারি যে, যদি আনাস বিন মালিক (রা.) এই হাদিসে সহবাসকেই ইঙ্গিত করে থাকেন- তবে সেটা তার নিজস্ব ধারণা। সেই ধারণা ঠিকও হতে পারে, বেঠিকও হতে পারে। তবে আমরা খুব দৃঢ়তার সাথেই এই ধারণাকে ভুল বলতে পারি। কেন? রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাঁর প্রত্যেক স্ত্রীর জন্য পর্যায়ক্রমে একদিন/একরাত নির্দিষ্ট করে দিয়েছিলেন। এটা সুবিদিত এবং এ সংক্রান্ত হাদিসের কোন অভাব নেই, উদাহরণ হিসেবে নিচের হাদিসটি পেশ করা হলো: যখনই রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কোন সফরে যেতে চাইতেন, তিনি লটারি করতেন যে কোন স্ত্রী তার সঙ্গী হবে। যার নাম আসতো তিনি তাকেই নিতেন। তিনি তাদের প্রত্যেকের জন্য একদিন এবং একরাত নির্দিষ্ট করে দিতেন। কিন্তু সাওদা বিনতে জামআ নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর স্ত্রী আয়শা(রা.)-কে তার (ভাগের) দিন এবং রাত দান করেছিলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-কে খুশি করার জন্য। [সূত্র: সহিহ বুখারি, আরবী: ২৫৯৩, ইংরেজি অনুবাদ: ৩।৪৭।৭৬৬, সুন্নাহ.কম: ৫১।২৭] দিন-রাত বণ্টনের এই বিষয়টিকে রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এতটাই গুরুত্ব দিতেন যে অসুস্থ মৃত্যুপথযাত্রী অবস্থায়ও স্ত্রীদের অনুমতি ব্যতিত তিনি এর অন্যথা করেন নাই: আয়শা (রা.) বলেন: রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অসুস্থতার সময় তাঁর স্ত্রীদেরকে ডাকালেন। তাঁরা একত্রিত হলে তিনি বললেন: ‘আমি তোমাদের সকলের সাথে সাক্ষাত করতে অক্ষম। তোমরা যদি আমাকে আয়শার সাথে অবস্থান করার অনুমতি দিতে মনস্থ করো, তবে দিতে পারো।’ কাজেই তাঁরা তাকে অনুমতি দিলেন। [সূত্র: সুনান আবু দাউদ, আরবী: ১২।২১৩৭, ইংরেজি অনুবাদ: ১১।২১৩২, সুন্নাহ.কম: ১২।৯২] কাজেই এক স্ত্রীর জন্য বরাদ্দকৃত সময়ে তিনি অন্য স্ত্রীদের সাথে সহবাস করবেন, এটা কিছুতেই বিশ্বাসযোগ্য নয়। তবে কি- যে দিন এক স্ত্রীর পালা আসতো, সেদিন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) অন্য কোন স্ত্রীর সাথে সাক্ষাতও করতেন না? অবশ্যই করতেন, নিশ্চয়ই করতেন এবং প্রত্যেকের সাথেই সাক্ষাত করতেন। কিন্তু অন্য কোন স্ত্রীর সাথে ঐ দিনে/রাতে সহবাস করতেন না। না এটা আমার গলাবাজি নয়, আমার ব্যক্তিগত কোন ধারণাও নয়, বরং একেবারে ঘরের মানুষের মুখের কথা। শুনুন তাহলে- হিশাম ইবনে উরওয়াহ তার পিতা হতে বর্ণনা করেন: আয়শা (রা.) বলেন: হে আমার ভাতিজা! রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)আমাদের সাথে তার অবস্থানের সময়কে ভাগ করার ব্যাপারে আমাদের কোন একজনকে অন্য জনের ওপর প্রাধান্য দিতেন না। এটা খুব কমই হতো যে কোনদিন তিনি আমাদের সাক্ষাত দেন নাই। তিনি সহবাস ব্যতিরেকে প্রত্যেক স্ত্রীর কাছে আসতেন যতক্ষণ না যার দিন ছিল তার কাছে পৌঁছতেন এবং তার সাথে রাত কাটাতেন। [It was very rare that he did not visit us any day (i.e. he visited all of us every day). He would come near each of his wives without having intercourse with her until he reached the one who had her day and passed his night with her.] [সূত্র: সুনান আবু দাউদ (হাদিসের প্রাসঙ্গিক অংশ), আরবী: ১২।২১৩৫, ইংরেজি অনুবাদ: ১১।২১৩০, সুন্নাহ.কম: ১২।৯০] নবীজি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এঁর একেবারে ঘরের মানুষ আয়শা (রা.) এঁর এই বক্তব্যের পর, অন্য কারো বক্তব্য বা ধারণার আর কোন সুযোগ অবশিষ্ট থাকে না। কাজেই এক রাতে নয় জনের সাথে সহবাস করার গল্পটা একেবারেই ভিত্তিহীন।
    Jobrul Miah
  • May 11
  • Sogood Islam Syeds

    5/11, 3:51pm

    Sogood Islam Syeds

    যারা ‘কিয়াস’ (قَاسَ) কে শরীআতের অপর একটি উৎস হিসাবে দাবী করেন, তারা ইবলিসের কাজ করেন। না ভাই, আমার উপর রাগ করবেন না, এটা বলেছেন হাসান বাসরী (রহঃ), ইবনে সিরিন (রহঃ) এমনকি আপনাদের ঘরের ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)। ►হাসান বাসরী (রহঃ) বলেন, قَاسَ إِبْلِيسُ وَهُوَ أَوَّلُ مَنْ قَاسَ ‘কিয়াসের মধ্যে সর্বপ্রথম কিয়াস হল ইবলিসের কিয়াস’। তাফসীর ইবনু কাসীর ৩/৩৫৩, সুরা আরাফ আয়াত ১২-১৫ এর ব্যাখ্যা, ইবনু কাসীর (রহঃ) বলেন, ‘إِسْنَادُهُ صَحِيحٌ’ ; তাফসীর তাবারী ১২/৩২৭, ১৪৩৫৬। ►ইবনে সিরিন (রহঃ) বলেন, أَوَّلُ مَنْ قَاسَ إِبْلِيسُ ‘ইবলিসই সর্বপ্রথম কিয়াসকারী’। মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ৩৫৮০৬; সুনান দারেমী ১৯৫, মুহাক্বীক্ব ‘حسين سليم أسد الداراني’ বলেছেন ‘إسناده جيد’ ‘ইহার সনদ শক্তিশালী’। (দেখুন তাহক্বীক্ব সুনান দারেমী, মুহাক্বীক্ব – حسين سليم أسد الداراني, ১/২৮০, ১৯৫); তাফসীর ইবনু কাসীর ৩/৩৯৩, ইবনু কাসির (রহঃ) বলেছেন ‘إِسْنَادٌ صَحِيحٌ أَيْضًا’ ; তাফসীর তাবারী ১২/৩২৭, ১৪৩৫৫ ►ইমাম আবু হানিফা (রহঃ)-কে উদ্দেশ্য করে জা’ফর বিন মুহাম্মাদ বিন ‘আলী বলেছেন أَوَّلَ مَنْ قَاسَ إِبْلِيسُ ‘ইবলিসই সর্বপ্রথম কিয়াসকারী’। (মুসনাদ আবু হানিফা রেওয়াত আবী নুয়াইম, ১/৬৬) তাই আর ‘কিয়াস’ , ‘কিয়াস’ করে লাফিয়ে নিজের পরিচয় দেবেন না ভাই।
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল

 

1]-fb.mess-best salaf

 

  • Conversation started January 12
  • Best Islam Salaf

    1/12, 4:14pm

    Best Islam Salaf

    Hilful Fuzul(The Convenant of the Youth):- The Holy Prophet (s.a.w.s.) himself once said: The best part of my past life was spent in the activities of Hilful Fuzul. That service has given me much honor and respect. I would not have stepped out of that agreement even if I were to be offered one hundred red camels. ………. In addition to the aforesaid moral virtues Muhammad (s.a.w.s.) was full of God-given intelligence and wisdom. Otherwise how could he be a prophet? His power of making the most appropriate decisions in every social, personal or political problem was extremely wonderful.[1] [1] Muhammad, the Prophet who should be introducedfrom a new angle
    Best Islam Salaf
  • January 14
  • April 16
  • Best Islam Salaf

    4/16, 7:35pm

    Best Islam Salaf

    Kajol Khan added a new photo.
    Kajol Khan
  • Best Islam Salaf

    4/16, 7:59pm

    Best Islam Salaf

    “বিহু- মুছলমানৰ বাবে উদযাপন কৰা উচিত নে” বুলি ফেচবুকত প্ৰপাগাণ্ডামূলক পোষ্ট কিছুমান দেখিছোঁ৷ আমাৰ উত্তৰ:- মুছলমানে প্ৰথম প্ৰশ্ন কৰিব লাগিব- মক্কা মদিনাত কুলি-কেতেকী আছে নে? কপৌ ফুলেনে? পেপা, গগণা আছে নে? ধান খেতি হয় নে? বিশাল-বিস্তৃত খেতি পথাৰ আছেনে? আহু খেতি- শালি খেতি হয় নে? মক্কা-মদিনাৰ মানুহে বোকা পানী দেখিছে নে কেতিয়াবা? আৰব কৃষি প্ৰধান জাতি হয় নে? অসমৰ দৰে নৈ-নিজৰা, খাল-বিল পশু-পক্ষী, তৰু-তৃণ, বিবিধ শাক-পাছলি আছে নে তাত? হাদিছগ্ৰন্থৰ ৰেফাৰেঞ্চ দি আলোচিত উক্ত পোষ্টবোৰতে উল্লেখ কৰা হয় যে সেয়া মক্কা বা মদিনাৰ কথা৷ আৰব দেশৰ কথা৷ তেনেস্থলত আৰবৰ পৰম্পৰা- সংস্কৃতি অসমত খটুৱাবলৈ অহাটো অজ্ঞানতাৰ পৰিচায়ক নহয় জানো? তেওঁলোকে জানে নে যে, মক্কাবাসী আৰু মদিনাবাসীৰ মাজতে স্থানীয় ৰীতি-নীতি – পৰম্পৰাৰ ভিন্নিতা কিমান? কোৰান, যাক আল্লাহৰ একমাত্ৰ গ্ৰন্থ বুলি কোৱা হয়, তাত সংগীত শুনিবলৈ মানা আছে বুলি এটা আয়াতো উদাহৰণ হিচাপে স্পষ্টকৈ উল্লেখ কৰিব পাৰিব নে এওঁলোকে? নোৱাৰে৷ দম নাই৷ ইছলামৰ এগৰাকী প্ৰধান পয়গম্বৰ ডাউড নবীৰ প্ৰধান ‘অস্ত্ৰ’ বিধেই আছিল সংগীত, জানেনে এওঁলোকে? তৌৰাত, জাবুৰ, ইঞ্জিল, ফুৰকান- ইছলামত এই কেইখনক ঐশী গ্ৰন্থ বুলি কোৱা হয়৷ ইয়াৰ আৰবিক শব্দ ‘জাবুৰ’ৰ অৰ্থই হৈছে সংগীত৷ পয়গম্বৰ ডাউড নিজেই আছিল এজন গায়ক৷ এই ডাউড নবী আন কোনো নহয়, “ডেবিড আৰু গোলিয়াথ”ৰ ডেবিড জনেই আৰবিকত ডাউড৷ কোৰানত ডাউড নবীৰ কথা উল্লেখ আছে৷ সংগীত, নৃত্য আদিৰ বিৰোধিতা কৰি হাদিছৰ উল্লেখ কৰা জোনাবহঁতে নিজৰ মোবাইলত কেনেকুৱা ধৰণৰ নো অডিঅ’ বা ভিডিঅ’ ৰাখে জানিবলৈ মন যায়৷ ফোন আহিলে যে ৰিংটনটো বাজে সেয়া সংগীত নহয় কি হয়? সকলোৰে বিবিধতাক সন্মান কৰা আৰু আকোৱালি লোৱা ইছলামৰ যি অন্তৰ্নীহিত বাৰ্তা কোৰানত আছে, তাক ঢাকি ৰাখি এটা মহলে চৌদি আৰৱৰ গোড়া ইছলামিক পন্থা (ৱাহাবী ইছলাম) গোটেই বিশ্বত বিয়পোৱাৰ এক দীঘলীয়া কূটনৈতিক-ৰাজনৈতিক প্ৰচেষ্টা চলাই অহা হৈছে৷ নিজৰ বিবেকত তলা-চাবি মৰা অধিকাংশ মুছলমানে কোৰানখনক সমূলি পাহৰি মোল্লা, হাদীছৰ নামত কানে শুনা যা-তা কথা, ফুথপাথৰ বেহস্তী পুস্তিকা আদিত অধিক গুৰুত্ব দিয়া বাবে মুছলমান জাতি ঢাপে ঢাপে তললৈ গৈ আছে৷ সমগ্ৰ বিশ্বৰ বিজ্ঞানী আজি নতুন নতুন চিন্তা, নতুন নতুন বস্তু আৱিষ্কাৰত-উদ্ভাৱনত ব্যস্ত৷ আনহাতে একাংশ ইছলামিক পণ্ডিতৰ লেবৰটৰীত তেওঁলোক ব্যস্ত কাৰ পত্নীক কিমান তালাকৰ ফতোৱা দিলে ঠিক হ’ব তাৰ গৱেষণাত৷ ক’ত গ’ল ইছলামৰ সেই বিজ্ঞান, শিল্প, সাহিত্য, দৰ্শনৰ জয়জয়-ময়ময় যুগ, যাক বিশ্বৰ ইতিহাসত ইছলামৰ স্বৰ্ণীল যুগ বুলি কোৱা হয়? মুছলমানে চিন্তা কৰা বাদ দি, মগজ খটাবলৈ বাদ দি, সহিষ্ণুতা-উদাৰতাক বাদ দি; ধৰ্মান্ধতা, মোল্লাতন্ত্ৰ আৰু পৰজনমক অতিমাত্ৰা গুৰুত্ব দিলে মুছলমান জাতি আৰু পতনলৈ যোৱাটো নিশ্চিত৷ ইছলামৰো পূৰ্বৰ ইহুদী জাতি যুগে যুগে অবৰ্ণনীয় নিৰ্যাতনৰ পিছতো সামগ্ৰিকভাৱে সকলো দিশত আজি অতি আগবঢ়া কিয়, অনবৰতে আমেৰিকাৰ ষড়যন্ত্ৰৰ ভুত দেখা মুছলমানসকলে নিজকে সেয়াও প্ৰশ্ন কৰাৰ প্ৰয়োজন৷ বিহু অসমীয়া জাতিৰ প্ৰাণ৷ যি মহামুৰ্খই নিজক অসমীয়া পৰিচয় দিয়াতকৈ, (গোড়া) মুছলিম পৰিচয় দিবলৈ আগ্ৰহী, তেওঁলোকে অসমখনত আমাক সকলোৰে সৈতে মিলি-জুলি থাকিবলৈ এৰি দি নিজে অনতি পলমে জান্নাতলৈ (স্বৰ্গলৈ) যোৱাৰ ব্যৱস্থা কৰাই ভাল৷ এওঁলোকে ব্ৰহ্মপুত্ৰৰ পাৰত জন্ম লৈ ভুল কৰিছে৷ পাকিস্তান বা চৌদি আৰবত জন্ম ল’ব লাগিছিল৷ দেশত এফালে গো-মূত্ৰৰে বন্ধ মগজ, আনফালে গো-মাংসৰে জাম লগা মগজ! মাজত মৰিছে ৰাইজ৷ ০০০
    Abid Azaadi
  • April 17
  • Sogood Islam Syeds

    4/17, 2:12am

    Sogood Islam Syeds

    Bangla Hadith – গ্রন্থের নামঃ সহীহ ফিক্বহুস সুন্নাহ / দাড়ি লম্বা করা
    দাড়ি লম্বা করার হুকুম: পুরুষের জন্য দাড়ি লম্বা করা ওয়াজিব। এর কারণ নিম্নরূপ: ১। মহানাবী (ﷺ) দাড়ি লম্বা করার নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশটা ওয়াজিব অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। মানদূব (যা আমল করলে সাওয়াব পাওয়া যাবে আর পরিত্যাগ করলে শাস্তি হবে না) অর্থে ব্যবহৃত হওয়ার কোন ইঙ্গিত এখানে নেই। এ ব্যাপারে মহানাবী (ﷺ)এর…
  • April 18
  • Sogood Islam Syeds

    4/18, 1:49am

  • April 18
  • Sogood Islam Syeds

    4/18, 9:28am

    Sogood Islam Syeds

    Kazi Md Shoyeb
  • April 18
  • Sogood Islam Syeds

    4/18, 11:13pm

    Sogood Islam Syeds

    উপমহাদেশে হানাফীদের বাইরে অন্য ফিকহ ফলো করা গোষ্ঠি, সোজা বাংলায় সালাফী বা আহলে হাদীসগণ অবশ্যই বহু বছর ধরেই ছিলেন ও আছেন। এটা যে ব্যক্তি অস্বীকার করে, তার সাথে ইলমি আলোচনা করাটাই ফাও কাজ। অজ্ঞ মূর্খদের সাথে কথা বাড়ানোর কোন মানে নাই। যারা সুস্থ জ্ঞান চর্চা করেন, তারা জানেন এই উপমহাদেশে সালাফিয়্যাহ বা আহলে হাদীস মানহায অনেক দিন থেকেই থেকেই চলে আসছে। বিষয়টা হল, আমাদের দেশের হানাফী আলিমগণ গত কয়েক বছর ধরে সালাফিয়্যাহ এর পেছনে ভয়ানক জেহাদ ঘোষণা করেছেন। তাদের লেকচার, ওয়াজ, বই পত্র, আর্টিকেল ইত্যাদির বিষয়বস্তু দেখলে এটাই প্রতীয়মান হয়, যে বাংলাদেশে কেউ হানাফী ফিকহ ফলো করছে না, অন্য কোন ভ্যালিড ফিকহ ফলো করছে, এইটার চাইতে ভয়ানক ব্যপার আর হতে পারে না। যে কোন নিরপেক্ষ ব্যক্তির এমনই লাগার কথা, যে সালাফিয়্যাহর মত বুঝি ইসলামের ক্ষতি আর কোন কিছুই করে নি। নিজের কাছে যারা সৎ, তারা চিন্তা করে দেখুন তো, আসলেই ব্যাপারটি এমন কি না। আমাদের এই দেশে শতকের পর শতক বছর ধরে আসলে কী দাওয়াত চলে আসছে? আমরা যদি একটু সৎ নিয়তে খেয়াল করি, তাহলে দেখতে পাবো, এই দেশের আনাচে কানাচে এখনো সুর করে ওয়াজের ব্যপকতা। গত কয়েক শত বছর ধরেই এই ওয়াজ চলে আসছে। যে সব ওয়াজের বিষয়বস্তু হল রাবেয়া বসরী, অমুক অলি, তমুক অলির কেরামত ইত্যাদি। বছরের পর বছর, দশকের পর দশক, যুগের পর যুগ থেকে এই একই বিষয়ে ওয়াজ চলে আসছে দেশের প্রতিটি গ্রামে গ্রামে। প্রতিটি কোণায় কোণায় জনপদে চলে আসছে মিলাদ মাহফিল, কুর’আন খতম। দেশের মোট মুসলিমের মাঝে অন্তত এখনো ৭০ শতাংশ এর মত মানুষ আছে, যারা ইসলাম বলতে রাবেয়া বসরীর কেরামতের গল্পই চেনে, মিলাদ কিয়াম চেনে, কুর’আন খতম চেনে। এর বাইরে কিছু জানে না। মাযহাব – লা মাযহাব কনফ্লিক্ট, এই বিষয়টা নিয়ে আসলে একচুয়াল রিয়ালিটিতে কয়জন জড়িত হয়? ধরি দেশে ১৫ কোটি মুসলিম। এর মাঝে কতজন মুসলিম হানাফী মাযহাব বুঝে? মাযহাবের শিক্ষা বুঝে? কতজন আবার হানাফী না হয়ে সালাফী হয়েছে? কতজন আহলে হাদীস হয়েছে? ১ কোটি? ২ কোটি? ৩ কোটি? চিন্তা করে দেখুন তো, আসলেই এমন কিনা? ভাবুন তো দেশে ৩ কোটি মানুষ আছে যারা ইসলাম বুঝে হানাফী সালাফী হয়েছে? দাওয়াত করছে? মানুষকে বিভ্রান্ত করছে? ৩ কোটি ইস এ হিউজ এমাউন্ট। নিতান্তই বেয়াক্কেল না হলে যে কেউই বুঝতে পারবে দেশের এমন বুঝদার মুসলিমের সংখ্যা এত হতেই পারে না। তাহলে ধরে নেই, দেশের সঠিক ইসলাম, অর্থাৎ হানাফী মাযহাব সিরিয়াসলি বুঝেন ১ কোটি। তাঁদের বিভ্রান্ত করে ভুল ইসলাম, অর্থাৎ সালাফী মাযহাব এর দিকে ডাকছে আরো ১ কোটি। তাহলে টোটাল ইসলাম বুঝনে ওয়ালা হলেন মোট ২ কোটি। রইল বাকি কত? ১৩ কোটি। এই ১৩ কোটি মানুষের মানহাজ কী? দ্বীন বোঝার, দ্বীন প্র্যক্টিস করার ওয়ে কী? কিছুই না। রাবেয়া বসরীর ওয়াজ। কুর’আন খতম, মিলাদ কিয়াম। এই। সত্যিকার প্রব্লেমটা তাহলে কোথায়? সত্যিকার বিভ্রান্তি কোন জায়গায়? কারা ইসলামের ভুল ব্যখ্যা করছে? কারা ‘সরল মনের’ মুসলিমদের বিপথগামী করছে? ১৩ কোটি মানুষের ইমানের ১৩ টা বাজাচ্ছে মূলত কারা? সালাফীরা? নাকি আহলে হাদীসরা? গত ১০০ বছর ধরে দেশের আনাচে কানাচে এইসব শিরকি কুফরি ওয়াজ মাহফিল কারা আয়োজন করেছে? সালাফীরা? কারা এইসব মাহফিলে বক্তব্য দিয়েছে? সালাফীরা? কারা এইসব মাহফিলে নিরব সমর্থন জানিয়েছে? সালাফীরা? কারা এইসব মাহফিলকে দিনের পর দিন, যুগের পর যুগ চলতে দিয়েছে? সালাফীরা? কারা এইসব মাহফিলের বিরুদ্ধে গণ জাগরণ সৃষ্টি না করে রিসালাতের দায়িত্বের চূড়ান্ত অবহেলা করেছে? সালাফীরা? এইসব প্রশ্ন এখন অনেককেই বিব্রত করবে। কারণ এটাই সত্য। এই দেশের হানাফী মাযহাবের ঠিকাদারি যারা নিয়ে আজকে বড় বড় মাহফিল করে সালাফীদের পেছনে লেগেছেন, যারা মিডিয়া খুলে ভিডিও আপলোড করে আহলে হাদীসদের মুন্ডুপাত করছেন, যারা সালাফীদের নাস্তিকদের সাথে তুলনা করছেন, সেইসব জর্দাখেকো মোল্লারাই শত বছর ধরে এইসব রাবেয়া বসরীর ওয়াজ লালন পালন করেছেন সযত্নে। মানুষের ইমানকে রুটির মত ডলেছেন তারাই। সালাফীরা সর্বপ্রথম যেই কাজটি করেছিল তা হচ্ছে এইসব ভন্ডামি বিদ’আতি শিরকি বক্তব্য আর আমলের পেছনে লেগেছিল। হ্যাঁ, মাযহাব নিয়ে তাদের যথেষ্ট বাড়াবাড়িও ছিল। আছে। কিন্তু তারাই ছিল এই কাজে প্রথম। তারা এমন একটা কাজ শুরু করেছিল, যা আমাদের জর্দাখোরদের ১০০ বছর আগেই করা ওয়াজিব ছিল। অথচ আজকে মাযহাব নিয়ে মতানৈক্যের কারণে সালাফীদের বিরুদ্ধে মিডিয়া খোলা হয়, ওয়াজ মাহফিল হয়। অথচ দেশের সিংহভাগ মুসলিমের ইমানকে নানরুটির মত ছেঁকে ফেলছে যারা, তাদের বিরুদ্ধে টু শব্দটি হয় না। রসুনের কোয়া এক জায়গায় মিলিত হয়। শত বছরের ব্যাবসায় টান পড়লে এমন হওয়াটাই স্বাভাবিক। আমি দুঃখিত আমার কথা যদি কঠিন লাগে। চারপাশে ভয়ানক ইমান ধ্বংসকারী ওয়াজ মাহফিল শুনে যখন ফেসবুকে ঢুকে দেখি জর্দাখোররা সালাফীদের পিছে লেগে আছে, তখন আর মেজাজ ধরে রাখা যায় না। লেখকঃ Abu Aaisha
    মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির
  • April 19
  • Sogood Islam Syeds

    4/19, 6:24am

  • Sogood Islam Syeds

    4/19, 6:30am

  • April 21
  • Sogood Islam Syeds

    4/21, 1:13am

    Sogood Islam Syeds

    দাড়ি রাখা ফরজ >>> আল্লাহ বলেন- وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ আর রাসূল তোমাদের যাহা দেন তা গ্রহন কর এবং যাহা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকেই ভয় কর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর। আল-হাশর, ৫৯/৭ ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ انْهَكُوا الشَّوَارِبَ، وَأَعْفُوا اللِّحَى তোমরা গোঁফ ছোট কর এবং দাঁড়ি লম্বা কর। সহীহুল বুখারী: ৫৮৯৩ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَعْفُوا اللِّحَى তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর । সহিহ মুসলিম: ৪৮৮ خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَوْفُوا اللِّحَى তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর; গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর। সহিহ মুসলিম: ৪৯০ جُزُّوا الشَّوَارِبَ وَأَرْخُوا اللِّحَى خَالِفُوا الْمَجُوسَ তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর; তোমরা অগ্নি পুজকদের বিরুদ্ধাচরণ কর। সহিহ মুসলিম: ৪৯১ রাসূল যা দিয়েছেন আমরা যদি তা পালন না করি তাহলে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাড়ি লম্বা করতে এবং এটি রাসুলের আদেশ/নির্দেশ যা আল্লাহর আদেশের মত মানা ফরয। ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَمَرَ بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ . রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গোঁফ কেটে ফেলতে এবং দাড়ি লন্বা করতে নির্দেশ দিয়েছে। সহিহ মুসলিম: ৪৮৯ সুতরাং প্রমানিত হচ্ছে দাড়ি রাখা ফরয। নতুবা আল্লাহর কঠোর শাস্তির ভোগ করতে হবে। এক মুষ্টি দাড়ি রাখা ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর ব্যক্তিগত আমল যা উনি হাজ্জ বা উমরা পালন করলে তা করতেন। ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ، وَفِّرُوا اللِّحَى، وَأَحْفُوا الشَّوَارِبَ “. وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا حَجَّ أَوِ اعْتَمَرَ قَبَضَ عَلَى لِحْيَتِهِ، فَمَا فَضَلَ أَخَذَهُ. তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর; দাঁড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর। ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন হাজ্জ বা উমরা করতেন, তখন তিনি তাঁর দাঁড়ি মুট করে ধরতেন এবং মুষ্টের বাইরে যতটুকু অতিরিক্ত থাকত, কেটে ফেলতেন। সহীহুল বুখারী: ৫৮৯২ সুতরাং প্রমাণিত হচ্ছে, দাঁড়ি লম্বা করা এবং গোঁফ কেটে ফেলা হল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত।
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds

    4/21, 1:16am

    Sogood Islam Syeds

    নবী (ﷺ), সাহাবীগণ, তাবেয়ীগণ কি এভাবে বুখারী খতম দিয়েছিল? নাকি ইমাম আবু হানিফা, ইমাম শাফীঈ, ইমাম মালেক, ইমাম আহমদ এরা কেউ এভাবে ফযিলতের জন্য বুখারী খতম দিয়েছিল? এরা সবাই সহীহ হাদীসের উপর আমল করেছিল ফযিলতের জন্য বুখারী খতমের চিন্তা করে নাই। বুখারী খতম দিয়ে ফযিলত খুজে অথচ ঐসব হাদীসের আমলের যে ফযিলত আছে তা খুজে না। এরা হলো মুখে আছে আমলে নেই। কন্ঠনালি থেকে অন্তর পর্যন্ত এদের পৌছায় না। কন্ঠনালিতেই থেকে যায়। যার অন্তর পর্যন্ত পৌছায় আর আমল করে সেই সঠিক পথ প্রাপ্ত। ওদের কথাই ধরে নিলাম বুখারী খতমে ফযিলত আছে তাহলে বুখারীর হাদীসের আমলে অবশ্যই আরও বেশী ফযিলত আছে। তাই যারা বুখারী খতম দেন তারা আজ থেকে বুখারীর হাদীসের আমল শুরু করুন তাতে ফযিলত আর বেশী পাবেন।
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds

    4/21, 1:23am

    Sogood Islam Syeds

    আমরা জবাব চাই! সত্যবাদি হলে প্রমাণ পেশ করুনঃ সম্মানীত আমার সেই সব মুসলিম ভাইয়েরা আপনারা যারা সব সময় শুধু মাযহাব মানা আর না মানার উপর ভিত্তি করে হক আর বাতিলের ফায়সালা করেন এবং কেউ যদি মাযহাবের বিপরীত কোনো বিশুদ্ধ সহীহ প্রমাণিত হাদীসের উপর আমল করে নাবী (সাঃ) এর আমল করে তাকে মসজিদ থেকে বের করে দেন অথবা তাকে ভ্রান্ত ও বাতিল বলেন এইজন্য কি যে, সে কেন এলাকায় প্রচলিত আমলের বিপরীত সহীহ প্রমাণিত হাদীসের উপর আমল করছে? এটাই কি তার একমাত্র অপরাধ? যে হাদীসের উপর আমল করার কারণে আপনি তাকে বাতিল বলে, লা মাযহাবী বলে বিভিন্ন ভাবে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করতেছেন এই হাদীস কার? কেউ যদি মাযহাবের নিয়ম অনুযায়ী আমল করে আর কেউ এই মাযহাবী নিয়ম অনুযায়ী আমলকারী ভাইকে বাতিল, পথভ্রষ্ট, গোমরাহ ইত্যাদি এইগুলি বলে গালি দেয় তাহলে আপনাদের চোখে ঐ গালি দেয়া ব্যক্তি কতখানি অপরাধী আর কেউ যদি নাবী (সাঃ) এর প্রমাণিত বিশুদ্ধ হাদীসের উপর আমল করে আমাদের সমাজের প্রচলিত নিয়মের অথবা মাযহাবের বিপরীত আমল কারী ব্যক্তিকে গোমরাহ, পথভ্রষ্ট, লা-মাযহাবী ইত্যাদিব বলে গালি দেয় এই ব্যক্তি আপনাদের নিকট কতটুকু অপরাধী জানতে চাই। এই বিশুদ্ধ প্রমাণিত হাদীসের উপর আমল করে এই ব্যক্তি জান্নাতে যাবে না জাহান্নামে যাবে? যদি বিশুদ্ধ হাদীসের উপর আমল করে জান্নাতে আল্লাহর এক বন্দা যায় তাহলে আপনি খুশি না নারাজ? আমার বিশ্বাস আপনি খুশি হবেন। কারণ আপনি মাযহাবের দিকে ডাকছেন জান্নাতে যাওয়ার জন্য। তাহলে কেউ সহীহ হাদীসের উপর আমল করলে আপনি বিরক্ত হচ্ছেন কেন? নাকি সহীহ হাদীসের উপর আমল করলে জাহান্নামে চলে যাবে এই ব্যক্তি তাই সহীহ হাদীসের উপর আমল করা থেকে বিরত রেখে জাহান্নাম থেকে বাঁচাচ্ছেন? আপনি নিশ্চয়ই সহীহ হাদীসের উপর আমল করা থেকে বিরত রাখার জন্য এইজন্য বাধা দিচ্ছেন যে, চার মাযহাবের মাহামতী ইমামগণ বাধা দিয়েছেন যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কোনো উম্মত যেন আমাদের মাযহাবের বিপরীত কোনো সহীহ হাদীসের উপর যেন আমল করতে না পারে। যদি কেউ আমার মাযহাবের বিপরীত যায় এমন কোনো প্রমাণিত হাদীসের উপর আমল করে তাহলে সে গুমরাহ হয়ে জাহান্নামে যাবে এইজন্য অনুসারীরা বাধা দিবে এইরকম কোনো কথা কোনো মাযহাবের ইমাম থেকে আপনারা কেউ প্রমাণ দিতে পারবেন কি? আল্লাহকে ভয় করুন। কেউ মাযহাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলে তাকে গোমরাহ, জাহান্নামী মনে করেন। কিন্তু কেউ সহীহ হাদীসের উপর আমল করায় তাকে লা মাযহাবী, গোমরাহ ইত্যাদি বলে অপমাণ করলে পাপ মনে করেন না কি এইজন্য যে, নাবী (সাঃ) এর হাদীসের মূল্য মাযহাবের চাইতে কম বলে? জবাব চাই।
    এইচ এম জিয়াউর রহমান
  • April 21
  • Sogood Islam Syeds

    4/21, 8:59am

    Sogood Islam Syeds

    দাড়ি রাখা ফরজ >>> আল্লাহ বলেন- وَمَا آتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا وَاتَّقُوا اللَّهَ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ আর রাসূল তোমাদের যাহা দেন তা গ্রহন কর এবং যাহা নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকেই ভয় কর নিশ্চয় আল্লাহ শাস্তি প্রদানে কঠোর। আল-হাশর, ৫৯/৭ ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ انْهَكُوا الشَّوَارِبَ، وَأَعْفُوا اللِّحَى তোমরা গোঁফ ছোট কর এবং দাঁড়ি লম্বা কর। সহীহুল বুখারী: ৫৮৯৩ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَعْفُوا اللِّحَى তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর । সহিহ মুসলিম: ৪৮৮ خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ أَحْفُوا الشَّوَارِبَ وَأَوْفُوا اللِّحَى তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর; গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর। সহিহ মুসলিম: ৪৯০ جُزُّوا الشَّوَارِبَ وَأَرْخُوا اللِّحَى خَالِفُوا الْمَجُوسَ তোমরা গোঁফ কেটে ফেল এবং দাড়ি লম্বা কর; তোমরা অগ্নি পুজকদের বিরুদ্ধাচরণ কর। সহিহ মুসলিম: ৪৯১ রাসূল যা দিয়েছেন আমরা যদি তা পালন না করি তাহলে কঠোর শাস্তির কথা বলা হয়েছে। আর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দাড়ি লম্বা করতে এবং এটি রাসুলের আদেশ/নির্দেশ যা আল্লাহর আদেশের মত মানা ফরয। ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ أَمَرَ بِإِحْفَاءِ الشَّوَارِبِ وَإِعْفَاءِ اللِّحْيَةِ . রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) গোঁফ কেটে ফেলতে এবং দাড়ি লন্বা করতে নির্দেশ দিয়েছে। সহিহ মুসলিম: ৪৮৯ সুতরাং প্রমানিত হচ্ছে দাড়ি রাখা ফরয। নতুবা আল্লাহর কঠোর শাস্তির ভোগ করতে হবে। এক মুষ্টি দাড়ি রাখা ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-এর ব্যক্তিগত আমল যা উনি হাজ্জ বা উমরা পালন করলে তা করতেন। ইবনে উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, خَالِفُوا الْمُشْرِكِينَ، وَفِّرُوا اللِّحَى، وَأَحْفُوا الشَّوَارِبَ “. وَكَانَ ابْنُ عُمَرَ إِذَا حَجَّ أَوِ اعْتَمَرَ قَبَضَ عَلَى لِحْيَتِهِ، فَمَا فَضَلَ أَخَذَهُ. তোমরা মুশরিকদের বিরুদ্ধাচরণ কর; দাঁড়ি লম্বা কর, গোঁফ ছোট কর। ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু যখন হাজ্জ বা উমরা করতেন, তখন তিনি তাঁর দাঁড়ি মুট করে ধরতেন এবং মুষ্টের বাইরে যতটুকু অতিরিক্ত থাকত, কেটে ফেলতেন। সহীহুল বুখারী: ৫৮৯২ সুতরাং প্রমাণিত হচ্ছে, দাঁড়ি লম্বা করা এবং গোঁফ কেটে ফেলা হল রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাত।
    M Towfiqur Rahman
  • April 22
  • Sogood Islam Syeds

    4/22, 5:10am

    Sogood Islam Syeds

    Abdullah Rumi added a new photo.
    মাতৃভাষায় জুমার খুতবা দেয়ার বিধান: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় আল্লাহর তারীফ করতেন, দরুদ পড়তেন, কুরআন থেকে তেলাওয়াত করতেন এবং কিছু ওয়াজ-নছীহত ও করতেন। নবীদের সম্পর্কে আল্লাহ বলেন: وَمَا أَرْسَلْنَا مِن رَّسُولٍ إِلَّا بِلِسَانِ قَوْمِهِ لِيُبَيِّنَ لَهُمْ “আমি সব নবীকেই তাদের স্বজাতির ভাষাভাষী করেই প্রেরণ করেছি, যাতে তাদেরকে পরিষ্কার বোঝাতে পারে।” (সূরা ইবরাহীম: ৪) রসুলুল্লাহর সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাতৃভাষা যেহেতু আরবী ছিল এবং ছাহাবীদেরও ভাষা আরবী ছিল, তাই তিনি আরবীতেই তাদেরকে নছীহত করতেন। এখন যারা নবীজির নায়েব হয়ে জুমার খুতবা দিবেন তাদেরকেও উল্লেখিত আয়াত ও হাদীছ অনুসারে তাদের শ্রোতাদের উদ্দেশ্যে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়াটা শরীয়ত সম্মত এবং যুক্তি সংগত। • এই কারণেই ইমাম শাফেয়ী (রহ.) বলেন: প্রত্যেক খতীবকে জুমার সময় তাঁর মাতৃভাষায় ওয়াজ করা ওয়াজিব বা অবশ্য কর্তব্য। (তানক্বীহুর রুওয়াত ১/২৬৪) • আল্লামা তাহাভী হানাফী বলেন: জুমার খুতবা আরবী জানলেও ফারসী ভাষায় ও চলবে। (হাশিয়া তাহতাবী আলা মারাক্বিল ফালাহ ২৭) • আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী হানাফী (রহ) বলেন: শ্রোতাদেরকে তাদের মাতৃভাষায় খুতবা বুঝিয়ে দেয়া জায়েজ। (মাজমূআহ ফাতাওয়া ১/২৪৫) • হানাফী ফিক্বহ গ্রন্থ নিহায়া, মুজতাবা, ফাতাওয়া সিরাজিয়্যাহ, মুহীত প্রভৃতি গ্রন্থে আছে যে, ইমাম আবূ হানীফার মতে ফারসী ভাষাতে জুমার খুতবা দেয়া জায়েজ। • হানাফী ফতোয়ার কিতাব শামীতে আছে, আরবী ভাষায় খুতবা দেয়া শর্ত নয়। • হানাফী ফিকহ গ্রন্থ হিদায়ায় আছে, প্রত্যেক ভাষায় খুতবার নছীহত চলতে পারে। (কিতাবুল জুমআহ ৫৫-৫৬) (আলোচনা দ্র: আইনী তোহফা সলাতে মুস্তফা১/৯৮-৯৯) খুতবারা আগে বয়ান একটি বিদআত: নিজ ভাষায় খুতবা না দেয়ার কারণে যেহেতু তা মানুষের বোধগম্য হয় না এজন্যই এই খুতবার আগে খতীবগণ বয়ানের ব্যবস্থা রেখেছেন, যা শরীয়তের দৃষ্টিতে একটি জঘন্যতম বিদআত। কারণ খুতবা দানের পূর্বে বয়ান দেয়া এবং ইহাকে এভাবে স্থায়ী রূপ দেয়া নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে আদৌ প্রমাণিত নয়। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবার পূর্বে কখনো এ ধরণের বয়ান দেন নি। দিতে বলেছেন বলে ও কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। এজন্যই এ সঊদী আরবের বরেণ্য মুফতী শাইখ ইবনে উসাইমীন (রহ:) কে মাতৃভাষায় খুতবা প্রদান সম্পর্কে সওয়াল করা হলে তিনি তা সরাসরি জায়েজ বলে মন্তব্য করেন এবং একথা স্পষ্ট ভাবে বলেন যে, খতীবকে নিজ ভাষায় খুতবা দিতে হবে। (দেখুন: শাইখ ইবনে উসাইমীনের ফাতাওয়া আরকানিল ইসলাম) বর্তমানে আমাদের দেশের বেশ কিছু জামে মসজিদে মাতৃভাষায় খুতবা দেয়া হয়ে থাকে। বস্তুত: এটাই সুন্নত। এর বিপরীত সুন্নত বিরোধী কাজ যা অবশ্যই পরিত্যাজ্য। আল্লাহ আমাদেরকে দ্বীনের সঠিক ইলম দান করুন এবং যাবতীয় বিদআত পরিত্যাগ করার তাওফীক দিন (আমীন) লেখক: শাইখ আখতারুল আমান বিস আব্দুস সালাম সম্পাদনা: আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল লিসান্স, মদীনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
    Abdullah Rumi
  • April 27
  • Sogood Islam Syeds

    4/27, 5:12am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • April 27
  • Sogood Islam Syeds

    4/27, 4:21pm

    Sogood Islam Syeds

    আনসার্টেইনিটি প্রিন্সিপাল added 2 new photos.
    ডাঃ জাকির নায়েক ও বেপর্দা নারী প্রসঙ্গে আমি মূলত জাকির নায়েক এর কোন অন্ধ ভক্ত নই। পক্ষে হোক কিংবা বিপক্ষে হোক অনেকের মত ওনাকে নিয়ে আমার তেমন কোন মাথা ব্যাথাও নেই। কেবল আমার বিদ্যা-বুদ্ধি অনুযায়ী ওনাকে ভালো হোক মন্দ হোক যেভাবে মূল্যায়ন করা দরকার, সেভাবেই মূল্যায়ন করি সম্মানের সাথে । যেমন উনি ওনার এক লেকচারে ইয়াজিদ এর নামের সাথে (রঃ) যোগ করেছেন এটার আমি ঘোর বিরোধী! আবার ওনার আরেক লেকচারে উনি জান্নাতে নারীরাও যে হুর পাবে বিষয়ক যে ধরনের ব্যাখ্যা প্রদান করেছেন সেটিও আমার কাছে এলেবেলে লেগেছে! যাইহোক, ভালো মন্দ মিলিয়েই তো আমরা মানুষ।কেউ তো আর ভুলের উপর নই। কিন্তু এই সহজ উপলব্ধি টুকু বাদ দিয়ে যখন আমরা কেবল বিদ্বেষ ছড়ানোর জন্যই বিদ্বেষ ছড়াই, তখন আর অন্যায়ের বিপক্ষে একেবারে মুখ বুজে বসে থাকতেও পারিনা। যেমন সম্প্রতি উনার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ করা হচ্ছে যে, ডাক্তার জাকির নায়েক বেপর্দা নারীদের নিয়ে সেমিনার আয়োজন করেন যা কিনা ইসলাম বিরোধী! লক্ষণীয় বিষয় এধরনের সেমিনারেই প্রথম দিকে যখন জাকির নায়েক বিধর্মী বিদ্বান দেরকে ওনার বিদ্যা-বুদ্ধি দ্বারা হতবাক করে দিতেন, ইসলামের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমান করতেন, তখন এমনটি কারো মনে হয়নি, কিন্তু বর্তমানে হচ্ছে! যাইহোক, ব্যক্তিগত ভাবে আমি জানি, কোন মুসলিম পুরুষ বেপর্দা নারীর দিকে প্রয়োজন ছাড়া ইচ্ছাকৃত ভাবে তাকাবে না। দৃষ্টি চলে গেলেও দৃষ্টি সরিয়ে নেবে। কিন্তু যদি প্রয়োজনের তাগিদে তাকায়ও সেক্ষেত্রে দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং এমন কোন আচরণ করবেনা যেন নারীটি তার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে । আর কাম ভাব নিয়ে তাকানো তো কবিরা গোনাহ। যাইহোক নীচের পর্দার সীমারেখা কতো টুকু আসুন দেখা জাক- আয়েশা রাঃ বর্ণনা করেন যে, আসমা বিনতে আবী বকর রাঃ পাতলা কাপড় পরিহিত অবস্থায় রাসূল সাঃ-এর নিকট প্রবেশ করলেন। রাসূল সাঃ তার থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে বললেন, হে আসমা! নারী যখন যৌবনে পদার্পণ করে তখন তার এটা ওটা ব্যতীত প্রকাশ করা বৈধ নয়। তিনি চেহারা ও দু’কব্জির দিকে ইঙ্গিত করে দেখালেন। আবু দাঊদ হা/৪১০৬; মিশকাত হা/৪৩৭২, সনদ সহীহ। এখন আমরা জানি, জাকির নায়েক সাহেব যেসব সেমিনারে লেকচার দেন, এগুলো প্রচলিত ওয়াজ মাহফিলের মত কোন বিষয় নয়। এগুলো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ইসলামী সেমিনার যেখানে মুসলিম অমুসলিম দেশ জাতি বর্ণ নির্বিশেষে সকল নারী-পুরুষই আমন্ত্রিত। এসব সেমিনারে তুলনা মুলক ধর্মতত্ত্ব নিয়েও আলোচনা করা হয়, মানুষকে ইসলামের সুফল বোঝানো হয়। অনেক অমুসলিম নারী পুরুষও এইসব সেমিনারে এসে মুসলিম হচ্ছেন। এখন এধরনের সেমিনার যেখানে সব ধর্মের এবং সব মতবাদের লোকরাই আমন্ত্রিত সেখান থেকে আমরা কি করে আশা করতে পারি যে, সব পুরুষই এখানে দাড়ি টুপী পরে আসবে কিংবা সেইসব অমুসলিম নারী যারা এখনও ইসলাম গ্রহন করেননি, তারাও হিজাব পরিহিতা থাকবেন? আর ডাঃ জাকির নায়েক কি তাদের জন্য এমন ইসলামী ব্যাবস্থা করবেন, যারা এখনও ইসলাম গ্রহন ই করেন নি ! যে মানুষ নামাজ ই পড়েনা তাকে কি করে জায়নামজ ধরিয়ে দেওয়া যায়! তারপরও এখানে আগত যেসব নারীরা অন্য ধর্মের আছেন তাদের একথা অজানা নয় যে, ইসলাম অশ্লীলতাকে সমর্থন করেনা না। তাই তারাও পূর্ণ ইসলামী ভাবে না হলেও অন্তত যথেষ্ট শালীন পোশাকেই আসেন আমরা দেখে আসছি। কিন্তু এতেও যদি তাদের দেখে কোন পুরুষের কাম ভাব জাগ্রত হয়, তারা উল্টাপাল্টা কিছু বোঝাতে চান, সেই ক্ষেত্রে বুঝতে হবে এটা জাকির নায়েকের সমস্যা না, সমস্যা আসলে ওই সব লোকের মানসিকতায় এবং রুচিতে! সম্প্রতি সোহা আলী খান এর সাথে জাকির নায়েকের যে (এডিট করা) ছবিটি উনার বিরোধীরা ব্যাপক ভাবে ইন্টারনেটে প্রমান স্বরূপ প্রচার করছেন সেটা কতোটা নিম্ন রুচির পরিচায়ক তা আমার সংযুক্ত ছবি দেখে যে কেউ বুঝবেন। তার চে বড় কথা এই আয়োজনে যে ইসলামকে হেয় করা হয়েছে সেটিও পরিষ্কার। কারন এত গুলো পুরুষ থাকতে কেন একজন আন্তর্জাতিক ইসলামী দাইকে দাওয়াত দিয়ে বসানো হোল একজন চিত্রনায়িকার পাশে এটিও কি বলে দিতে হবে? অথচ এই বিষয়টি এরিয়ে গিয়ে জাকির নায়েক এর অন্ধ বিদ্বেষীদের কাছে বড় হয়ে উঠল জাকির নায়েক কেন সোহা আলীর দিকে তাকিয়েছিলেন সেটি ! কতোটা জঘন্য এবং হীনমন্যতার পরিচয়ে মানুষ এসব করতে পারে তা আমার বোধগম্য নয়! যাইহোক, জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে!!! কিন্তু অনুগ্রহপূর্বক আজকের এই বেপর্দা নারী বিষয়ক টপিকস ছাড়া অন্য কোন টপিকসে না যাওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ রইল!
    আনসার্টেইনিটি প্রিন্সিপাল
  • April 28
  • Sogood Islam Syeds

    4/28, 5:25pm

    Sogood Islam Syeds

    ইসলামের সকল হুকুম-আহকামের মুল ভিত্তি তাওহিদ। আর এই তাওহিদের ভিত্তি দুটো। – কুফর বিত তাগুত (তাগুত বর্জন) – ঈমান বিল্লাহ (আল্লাহর ওপর ঈমান) প্রথম রুকন তাগুত বর্জনের জন্য— ১. তাগুত চিনতে হবে, থিওরিটিক্যালি ও প্রাকটিক্যালি, ২. তাগুত বর্জনের উসুল জানতেই হবে(Theory), তাগুত বর্জন করতেই হবে(Practical). এটা ছাড়া শুধু আল্লাহ আল্লাহ করলে কাজ হবে না। আল্লাহপাকের বানী—- ‘আর আমি অবশ্যই প্রত্যেক জাতিতে একজন রাসূল প্রেরণ করেছি যে, তোমরা আল্লাহর ইবাদাত কর এবং পরিহার কর তাগূতকে। অতঃপর তাদের মধ্য থেকে আল্লাহ কাউকে হিদায়াত দিয়েছেন এবং তাদের মধ্য থেকে কারো উপর পথভ্রষ্টতা সাব্যস্ত হয়েছে। সুতরাং তোমরা যমীনে ভ্রমণ কর অতঃপর দেখ, অস্বীকারকারীদের পরিণতি কীরূপ হয়েছে।’ সুরা নাহল- (16:36) পৃথিবীর সকল তাগুত চিনুন, বর্জন করুন। এরপর একটা আধুলি দান করলেও কবুল হবে।অপরদিকে, তাগুত বর্জন না করে জীবন দিয়ে দিলেও কাজ হবে না। ইসলামকে নিজের মনমত সাজিয়ে নেয়ার কোন সুযোগ নেই।
    Rowshon Kabir
  • April 29
  • Sogood Islam Syeds

    4/29, 12:03am

    Sogood Islam Syeds

    ♦ জেহীরী স্বলাতে ইমামের দুটি সাকতা করা সংক্রান্ত হাদীসের তাহক্বীক ♦ সামুরা ( রা) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লহ দ. স্বলাতে দুই জায়গায় চুপ থাকতেন ( সাকতা করতেন)। স্বলাতের শুরুতে এবং সকল ক্বিরাত শেষে। আবু দাউদ, হাদীস# ৭৭৮। এই হাদীসের সানাদটি যঈফ। কারণ সানাদে হাসান ( রহ) রয়েছেন। তিনি মুদাল্লিস রাবী ( মীযানুল ই’তিদাল, রাবী# ১৯৭৩)। আর তিনি হাদীসটি ” আন ” শব্দ দ্বারা বর্ণনা করেছেন। মুদাল্লীস রাবীর ” আন ” বর্ণনা সাক্ষ্য না পাওয়া পর্যন্ত গ্রহনযোগ্য নয়। ♥আলহামদুলিল্লাহ এই হাদীসটির শাওয়াহীদ রয়েছে। ♥ হাদীসটি লক্ষ্য করুন, আবদুল্লহ ইবনু আমর (রা) হতে বর্ণিত, তিনি রসূলুল্লহ দ. এর পেছনে ক্বিরাত পাঠ করতেন যখন তিনি দ. চুপ থাকতেন ( সাকতা করতেন) কিন্তু তিনি দ. যখন ক্বিরাত পাঠ করতেন তখন তিনি ( রা) কিছুই পাঠ করতেন না। আবার যখন তিনি দ. চুপ থাকতেন ( সাকতা করতেন) তখন তিনি ( রা) ক্বিরাত পাঠ করতেন। আল- ক্বিরআতু খলফাল ইমাম ( বায়হাক্বী) স্বহীহ, হাদীস# ২৭৬। ♥ এই হাদীস থেকে বুঝা যায় নাবী দ. স্বলাতে দুই জায়গায় সাকতা করতেন ( চুপ থাকতেন) ♥ ১/ স্বলাতের শুরুতে ২/ সকল ক্বিরাত শেষে ## তাহলে বুঝা গেল জেহীরী স্বলাতে ইমামকে দুটি সাকতা করতে হবে ## বি. দ্র. সূরা ফাতিহার পরে সাকতা করা সংক্রান্ত হাদীসটি হাসান রহ. ” আন ” শব্দে বর্ণনার কারনে যঈফ( কারন তিনি মুদাল্লীস রাবী) । আর এই হাদীসটির কোন গ্রহনযোগ্য শাওয়াহীদ নেই। ♦♦ গবেষক মুহাম্মাদ ইকবাল বিন ফাখরুল ইসলাম ♦♦
    Muslim Jashim Shiekh
  • Sogood Islam Syeds

    4/29, 12:16am

    Sogood Islam Syeds

    Abdullah Al Masud added a new photo.
    পাঠপ্রতিক্রিয়া-৩ বইঃ দাউলার আসল রূপ লেখকঃ আহমদ নাবীল ————————————— আইএস নামে আমরা যে গোষ্ঠীকে চিনি আরবদেশে তারা দাওলাতুল ইসলাম বা দায়েশ নামে পরিচিত। এই গোষ্ঠী অল্প সময়ের মধ্যেই পুরো বিশ্বে আলোড়ন সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছে। এদের বিষয়ে সংক্ষেপে বলতে গেলে এরা শুরুতে ইরাকে আলকায়েদার একটা শাখা ছিল। পরে আলকায়েদা থেকে বের হয়ে নিজেদের স্বতন্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে ঘোষণা দেয়। তারা ইরাকভিত্তিক সংগঠন হলেও পরে সিরিয়াতেও নিজেদের কার্যক্রম বিস্তৃত করে। ওদিকে সিরিয়াতে আগে থেকেই আলকায়েদার শাখা হিসেবে জাবহাতুন নুসরা কাজ করছিল। স্বাভাবিকভাবেই ওদের সাথে এদের বিরোধ দেখা দেয়। তখনই আইএস বা দাউলার হিংস্র রূপ প্রকাশ হয় বিশ্ববাসীর সামনে। তারা মুসলিম মুজাহিদদের নির্বিচারে হত্যা করতে থাকে। নিজেদের মতের বাইরে যারাই গিয়েছে তাদের ওরা কাফের ঘোষণা দিয়ে হত্যাযজ্ঞে মেতে উঠেছে। আইএসের ভদ্রতার মুখোশ খুলে দেওয়ার কোশেশ করা হয়েছে “দাউলার আসল রূপ” বইটিতে। মোট তিনটা অধ্যায়ে বইটিকে ভাগ করা হয়েছে। প্রথম অধ্যায়ে ‘দাউলার অপরাধ সমূহ’ শিরোনামে মোট ৬টি অপরাধ নিয়ে প্রামাণ্য আলোচনা করা হয়েছে। এর মধ্যে আইএস যে আগে আলকায়েদার অধীনে ছিল সেটা প্রমাণ করা হয়েছে। তারপর তাদের গণহারে তাকফির করা, অন্যায়ভাবে মুসলিমদের রক্ত ঝরানো অন্যতম। এরপর দ্বিতীয় অধ্যায়ে ‘খিলাফতের পর্যালোচনা’ শিরোনামে ইসলামি দৃষ্টিকোন থেকে রাষ্ট্রব্যবস্থার স্বরূপ এবং খলিফা হওয়ার নীতিমালা তুলে ধরা হয়েছে। সেই সাথে আইএসের খেলাফত ঘোষণা কেন বৈধ হয়নি তার কারণ স্পষ্ট করা হয়েছে। এই অধ্যায়টা বেশ গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছে আমার কাছে। কারণ অল্প কথায় খেলাফত ব্যবস্থা বিষয়ে মোটামুটি ধারণা পাওয়ার জন্য অধ্যায়টা দারুন। তারপর তৃতীয় অধ্যায়ে ‘দাউলা কর্তৃক সৃষ্ট সংশয়সমূহ’ শিরোনামে আইএস আলকায়েদার উপর যেসব আপত্তি করে থাকে তার জবাব দেওয়া হয়েছে। এখানে মোট সাতটা সংশয় ও তার উত্তর পাওয়া যাবে। পুরো বইটা লেখার জন্য লেখককে খুব মনোযোগ দিয়ে আইএস, জাবহাতুন নুসরা, ফ্রি সিরিয়ান আর্মি, আহরার আল-শাম প্রভৃতি দলের কার্যক্রম এবং তাদের অফিসিয়াল অনেক অডিও-ভিডিও ঘাটাঘাটি করতে হয়েছে। তাদের বিভিন্ন ম্যাগাজিন ঘেটেও লেখক অনেক তথ্য যোগাড় করেছেন। প্রত্যেকটা বক্তব্যের আরবি রূপ তুলে নিচে তার অনুবাদ দেওয়া হয়েছে। ইরাক-সিরিয়ার বিষয়গুলো জানার জন্য আমরা সাধারণত দেশীয় মিডিয়ার উপর ভরসা করি। আর তারা ভরসা করে বিবিসি, সিএনএন, রয়টার প্রভৃতি সংবাদ মাধ্যমের উপর। ফলে অনেক সময়ই বাস্তবতা আমাদের সামনে আসে না। তারা যেভাবে বলে আমাদের সেভাবে বুঝতে হয়। সে হিসেবে বইটাকে আমার ভালো লেগেছে এই জন্য যে, এখানে সেসব মিডিয়ার উপ নির্ভর না করে সরাসরি গ্রুপগুলোর প্রকাশিত অডিও-ভিডিও, ম্যাগাজিন আর ওয়েবসাইট থেকে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রত্যেকটা সোর্সের লিংকও টীকাতে দেওয়া হয়েছে। যাতে আগ্রহী কেউ চাইলে সত্যতা যাচাই করে নিতে পারেন। ইরাক-সিরিয়া বহুদূরে হওয়ায় অনেক কিছুই আমাদের দৃষ্টির আড়ালে থাকে। বিশেষকরে সিরিয়া-ইরাকে বিভিন্ন জিহাদি গ্রুপ যুদ্ধ করছে। কে কোন পক্ষ নিয়ে কি ধরণের কাজ করছে সেটা নিয়ে একটা বিভ্রান্তিতে ছিলাম। বিষয়গুলো স্পষ্ট ছিল না। সব গুলিয়ে যেত। এই বইটা পাঠ করার পর সেগুলো অনেকটাই দূর হয়ে গেছে।
    Abdullah Al Masud
  • April 29
  • Best Islam Salaf

    4/29, 11:09pm

    Best Islam Salaf

    ১ ৰাকাত বিতিৰ নামাজ পঢ়াৰ নিয়মটো কি? “”””””””””””‘””””””””””””””””” ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে, “ৰাতিৰ ছালাত (তাৰাবীহ/তাহাজ্জুদ/কিয়ামুল লাইল) ২ ৰাকাত ২ ৰাকাতকৈ। তাৰ পিছত তোমালোকৰ কোনোবাই ফজৰ হোৱাৰ আশংকা কৰিলে তেওঁ যেন এক ৰাকাত বিতিৰ পঢ়ি লয়।”(বুখাৰী আৰু মুছলিম) ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে, “বিতিৰ হ’ল শেষ ৰাতিৰ এক ৰাকাত।” (মুছলিম) ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহ আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে, “বিতিৰ প্রত্যেক মুছলিমৰ ওপৰত হক্ক। গতিকে যিয়ে ৫ ৰাকাত পছন্দ কৰে তেওঁ ৫ ৰাকাত পঢ়ক, যিয়ে ৩ ৰাকাত পছন্দ কৰে তেওঁ ৩ ৰাকাত পঢ়ক, যিয়ে ১ ৰাকাত পছন্দ কৰে তেওঁ ১ ৰাকাত পঢ়ক”। ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১২৬৫। ১ ৰাকাত পঢ়াৰ নিয়মঃ নিয়ত কৰি (নাওৱাইতু আন…. নপঢ়িব, অন্তৰৰ নিয়ত কৰিব) ছানা, আউযুবিল্লাহ, বিছমিল্লাহ পঢ়ি ছূৰা ফাতিহা পঢ়িব। ইয়াৰ পিছত যিকোনো এটা ছূৰা পাঠ কৰিব। ইয়াৰ পিছত দুয়া কুনুত পঢ়িব। ( আল্লাহুম্মাহ দ্বিনী….এইটো পঢ়িব। এইটো ছহীহ দোৱা কুনুত আৰু আল্লাহুম্মা ইন্না নাস্তায়িনুকা….এইটো নপঢ়িব। এইটো বিতিৰৰ কুনুত নহয়। এইটো কুনুতে নাজেলা। তাৰোপৰি এইটো জঈফ) কুনুত দুই ধৰণে পঢ়া যায়, ৰুকুৰ আগত আৰু ৰুকুৰ পিছত, কিন্তু ৰুকুৰ পিছত পঢ়াটোৱেই উত্তম। সেয়ে ৰুকুৰ পিছত পঢ়াৰ অভ্যাস কৰিব পাৰে। আমাৰ দেশত কুনুত পঢ়াৰ আগতে আল্লাহু আকবাৰ বুলি হাত তুলি ইছাৰা কৰাৰ যি নিয়ম আছে সেইটো ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ পৰা প্রমাণিত নহয়। সেয়ে আল্লাহু আকবাৰ বুলি হাত নুতুলি কিৰাতৰ পিছত একেৰাহে দুয়া কুনুত পঢ়িব লাগিব। কুনুত পঢ়াৰ সময়ত মুনাজাত কৰাৰ দৰে হাত তুলি কুনুত পঢ়া মুস্তাহাব। আনহাতে ৰুকুৰ পিছত কুনুত পঢ়িলে, কিৰাতৰ পিছত ৰুকু কৰিব, ৰুকুৰ পৰা থিয় হৈ ছামিয়াল্লাহ হুলিমান হা’মীদাহ, ৰাব্বানা লাকাল হা’মদ কোৱাৰ পিছত থিয় হৈ থকা অৱস্থাতে মুনাজাতৰ দৰে হাত তুলি কুনুত পঢ়িব। কুনুত শেষ হ’লে আল্লাহু আকবাৰ বুলি ছিজদাত যাব। দুই ছিজদা কৰাৰ পিছত পুনৰ থিয় নহব (কাৰণ আপুনি ১ ৰাকাত বিতিৰ পঢ়িছে). আত্তাহিয়্যাতু, দুৰূদ আৰু অন্য দুয়া পঢ়ি চালাম ফিৰাব।
    Abu Atika
  • April 30
  • Sogood Islam Syeds

    4/30, 7:37pm

    Sogood Islam Syeds

    ক্বলব পরিস্কার করতেই হবে। বিশুদ্ধ ক্বলব ছাড়া জান্নাতে যাওয়া যাবে না। ক্বালব পরিস্কারের যেসব শুদ্ধ শরীয়াহ সম্মত উপায় কুরআন ও হাদিসে বর্নিত হয়েছে, তার মধ্যে মৃত্যুর স্মরণ ও কুরআন তিলাওয়াত প্রসিদ্ধ। আল্লাহর প্রতি ভালবাসাও ক্বালব স্টেরিলাইজেশানের একটি অন্যতম উপায়। আপনি যখন আল্লাহর প্রতি আপনার সর্বোচ্চ অনুরাগ ও ভালবাসা প্রদর্শন করবেন, তখন অন্তর থেকে এক ঝটকায় সমস্ত রিয়া, নিফাক, কুফরী আর শিরকিগুলো বের হয়ে যাবে। তখন তাঁর প্রতি নিজেকে সমর্পণ করাটা কেবল সহজই নয়, একরকম অবধারিত হয়ে যায়। আল্লাহকে ভালবাসুন। কুরআন ও হাদিসে বর্নিত আল্লাহকে ভালবাসার শর্তগুলো মেনে চলুন। তাঁরই ভালবাসায় দেহের ঘাম ছোটান, অশ্রু প্রবাহিত করুন, রক্ত ঝড়ান। নিজেকে পবিত্র করুন। অবারিত জান্নাত তো তাদের জন্যই যারা ক্বালবে সালিমের অধিকারী।
    Rowshon Kabir
  • May 1
  • Sogood Islam Syeds

    5/1, 8:20am

    Sogood Islam Syeds

    আল-আমীন: সেদিন গভীর নিশীথে মহানবী (সা) হিজরত করেছেন। তাঁর ঘরে তাঁর বিছানায় শুয়ে আছেন হযরত আলী (রা)। মহানবীর কাছে গচ্ছিত রাখা কিছু জিনিস মালিকদের ফেরত দেবার জন্য মহানবী (সা) হযরত আলী (রা)-কে রেখে গেছেন। হযরতকে হত্যা করতে আসা কুরাইশরা আলীকে মহানবী মনে করে সারারাত পাহারা দিয়ে কাটালো। ভোরে তারা হযরতের শয্যায় আলীকে দেখে ক্রোধে ফেটে পড়লো। তারা হযরত আলীকে তরবারির খোঁচায় জাগিয়ে বললো, “এই, মুহাম্মাদ কোথায়?” নির্ভীক তরুণ হযরত আলী উত্তর দিলেন, “আমি সারারাত ঘুমিয়েছি, আর তোমরা পাহারা দিয়েছো। সুতরাং আমার চেয়ে তোমরাই সেটা ভালো জানো।” হযরত আলীর উত্তর তাদের ক্রোধে ঘৃতাহূতি দিল। তারা তাঁকে শাসিয়ে বললো, “মুহাম্মাদের সন্ধান তাড়াতাড়ি বল, নতুবা তোর রক্ষা নেই।” হযরত আলীও কঠোর কন্ঠে বললেন, “আমি কি তোমাদের চাকর যে তোমাদের শত্রুর গতিবিধি লক্ষ্য রেখেছি? কেন তোমরা আমাকে বিরক্ত করছো?” একটু থেমে আলী কয়েকজনের নাম ধরে ডেকে বললেন, “তোমরা আমার সাথে এস। তোমাদের জন্য শুভ সংবাদ আছে।” কথা শেষ করে হযরত আলী পথ ধরলেন। যাদের নাম উল্লেখ করলেন তিনি, তারাও তাঁর পিছু পিছু চললো। তাদের হাতে উলংগ তরবারি। তাদের মনে একটি ক্ষীণ আশা, হয়ত হযরত আলী তাদেরকে মুহাম্মাদের (সা) সন্ধান দিতে নিয়ে চলেছেন। হযরত আলী এক গৃহদ্বারে গিয়ে দাঁড়ালেন। পিছনে ফিরে ওদের বললেন, “দাঁড়াও আমি নিয়ে আসছি।” বলে তিনি ভিতরে চলে গেলেন। পেছনের কয়েকজনের অন্তরে তখন ‘কি হবে না হবে’ অপরিসীম দোলা। তাদের মনে আশঙ্কাও। উলংগ তরবারি হাতে তারা পরিস্থিতির মুকাবিলার জন্য প্রস্তুত। এমন সময় হযরত আলী (রা) বেরিয়ে এলেন। তাঁর হাতে কয়েকটি ধন-রত্নের তোড়া। তিনি তাদের সামনে উপস্থিত হয়ে ধন-রত্নের তোড়া তাদের সামনে ধরে বললেন, “নাও, তোমরা নাকি বহুদিন পূর্বে তোমাদের ধন-রত্নাদি হযরত মুহাম্মাদ (সা)-এর কাছে গচ্ছিত রেখেছিলে? ভেবেছিলে, গচ্ছিত ধন আর পাবে না। আজ তিনি তোমাদের অত্যাচারেই দেশত্যাগী হয়েছেন। কিন্তু তোমাদের গচ্ছিত সম্পদ তোমাদের হাতে পৌছে দেয়ার ব্যবস্থা করে গেছেন। এই নাও তোমাদের গচ্ছিত ধন।” এই কুরাইশরা যে এত শত্রুতার পরও তাদের ধন-রত্ন ফিরে পাবে, সে কথা কল্পনাও করেনি। তাই তারা বিস্ময় বিমূঢ় হয়ে পরস্পর বলাবলি করতে লাগলঃ ‘সত্যই কি আল-আমীনের ন্যায় বিশ্বাসী ও সত্যবাদী লোক বিশ্বে আর নেই? তবে কি তিনি সত্য পথেই আছেন? আমরাই ভ্রান্ত পথে আছি? তাঁকে আঘাতের পর আঘাত দিয়ে পেয়েছি নিঃস্বার্থ প্রেমের আহবান-মানুষ হবার উপদেশ। আজ তাঁর প্রাণ নিতে এসেছিলাম, প্রাণ দিতে না পেরে দিয়ে গেলেন গচ্ছিত ধন-রত্ন? আহ! মুহাম্মাদ (সা) যদি আমাদের ধর্মদ্রোহী না হতেন, তাঁর পদানত দাস হয়ে থাকতেও আমাদের কিছুমাত্র আপত্তি ছিলনা।’ Cltd.
    Jobrul Miah

 

4]fb.mess-raf.old

You’re friends on Facebook
Worked at Govt.service
Studied at Pricce of wells,Jorhat
+++++++++++++++++
  • Conversation started April 21, 2014
  • Sogood Islam Syeds
    4/21, 3:25am

  • June 3
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 9:12am

    Sogood Islam Syeds

    নবী (ﷺ) হাজির-নাজির হলে আল্লাহ কেন এর বিপরীত কথা বলছেন? আল্লাহ বলেন- ذَلِكَ مِنْ أَنْبَاءِ الْغَيْبِ نُوحِيهِ إِلَيْكَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يُلْقُونَ أَقْلامَهُمْ أَيُّهُمْ يَكْفُلُ مَرْيَمَ وَمَا كُنْتَ لَدَيْهِمْ إِذْ يَخْتَصِمُونَ (হে নবী) এগুলো গায়েবের সংবাদ, আমি তোমাকে ওয়াহীর মাধ্যমে তা জানাচ্ছি; আর তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন তারা তাদের কলম নিক্ষেপ করছিল, তাদের মধ্যে কে মারইয়ামের দায়িত্ব নেবে? আর তুমি তাদের নিকট ছিলে না, যখন তারা বিতর্ক করছিল। আলে‘ইমরান, ৩/৪৪ আল্লাহ আরো বলেন, ,وَمَا كُنْتَ بِجَانِبِ الْغَرْبِيِّ إِذْ قَضَيْنَا إِلَى مُوسَى الأمْرَ وَمَا كُنْتَ مِنَ الشَّاهِدِينَ وَلَكِنَّا أَنْشَأْنَا قُرُونًا فَتَطَاوَلَ عَلَيْهِمُ الْعُمُرُ وَمَا كُنْتَ ثَاوِيًا فِي أَهْلِ مَدْيَنَ تَتْلُو عَلَيْهِمْ آيَاتِنَا وَلَكِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ وَمَا كُنْتَ بِجَانِبِ الطُّورِ إِذْ نَادَيْنَا وَلَكِنْ رَحْمَةً مِنْ رَبِّكَ لِتُنْذِرَ قَوْمًا مَا أَتَاهُمْ مِنْ نَذِيرٍ مِنْ قَبْلِكَ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ ‘মূসাকে যখন আমি নির্দেশনামা দিয়েছিলাম, তখন তুমি পশ্চিম প্রান্তে ছিলে না এবং তুমি প্রত্যক্ষদর্শীও ছিলে না। কিন্তু আমি অনেক সম্প্রদায় সৃষ্টি করেছিলাম, অতঃপর তাদের অনেক যুগ অতিবাহিত হয়েছে। আর তুমি মাদইয়ানবাসীদের মধ্যে ছিলে না যে, তাদের কাছে আমার আয়াতসমূহ পাঠ করতে কিন্তু (তাদের মাঝে) রাসূল প্রেরণকারী আমিই ছিলাম। আমি যখন মূসাকে ডাক দিয়েছিলাম, তখন তুমি তূর পর্বতের পার্শ্বে ছিলে না। কিন্তু এটা তোমার পালনকর্তার রহমতস্বরূপ, যাতে তুমি এমন এক সম্প্রদায়কে ভীতি প্রদর্শন কর, যাদের কাছে তোমার পূর্বে কোন ভীতি প্রদর্শনকারী আগমন করেনি, যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে’। আল-ক্বাসাস, ২৮/৪৪-৪৬
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 9:23am

    Sogood Islam Syeds

    নিঃস্বব্যক্তি(কিয়ামতে) কারা?? ১৬/২২৩। আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, একদা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘‘তোমরা কি জান, #নিঃস্ব কে?’’ তাঁরা বললেন, ‘আমাদের মধ্যে নিঃস্ব ঐ ব্যক্তি, যার কাছে কোন দিরহাম এবং কোনো আসবাব-পত্র নেই।’ তিনি বললেন, ‘‘আমার উম্মতের মধ্যে (আসল) নিঃস্ব তো সেই ব্যক্তি, যে #কিয়ামতের দিন নামায, রোযা ও যাকাতের (নেকী) নিয়ে হাযির হবে। (কিন্তু এর সাথে সাথে সে এ অবস্থায় আসবে যে, সে কাউকে #গালি দিয়েছে। কারো প্রতি #মিথ্যা অপবাদ আরোপ করেছে, কারো (অবৈধরূপে) #মালভক্ষণ করেছে। কারো #রক্তপাত করেছে এবং কাউকে মেরেছে। অতঃপর এ (অত্যাচারিত)কে তার নেকী দেওয়া হবে, এ #(অত্যাচারিত)কে তার নেকী দেওয়া হবে। পরিশেষে যদি তার নেকীরাশি অন্যান্যদের দাবী পূরণ করার পূর্বেই শেষ হয়ে যায়, তাহলে তাদের পাপরাশি নিয়ে তার উপর নিক্ষেপ করা হবে। অতঃপর তাকে #জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’[1] [1] মুসলিম ২৫৮১, তিরমিযী ২৪১৮, আহমাদ ৭৯৬৯, ৮২০৯, ৮৬২৫ হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
    Mahbubul Islam Khokon
  • June 3
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 4:01pm

    Sogood Islam Syeds

    এক নযরে ছালাতের পদ্ধতি এক নযরে ছালাতের পদ্ধতি : মুছল্লী ওযূ করার পর মনে মনে ছালাতের সংকল্প করবে। অতঃপর ক্বিবলামুখী হয়ে ছালাতে দাঁড়িয়ে ‘আল্লাহু আকবার’ বলে ‘তাকবীরে তাহরীমা’ সহ দু’হাত কান অথবা কাঁধ বরাবর উঠিয়ে বুকের উপর বাঁধবে।[1] এ সময় বাম হাতের উপরে ডান হাত কনুই বরাবর রাখবে অথবা বাম হাতের কব্জির উপরে ডান হাতের কব্জি রেখে বুকের উপরে হাত বাঁধবে।[2] জামা‘আতের সাথে ছালাত আদায় করলে কাতারের মাঝে পরস্পরের পায়ের সাথে পা, টাখনুর সাথে টাখনু এবং কাঁধের সাথে কাঁধ মিলিয়ে দাঁড়াবে।[3] সেই সাথে সিজদা বা তার এরিয়ার মধ্যে দৃষ্টি রাখবে।[4] অতঃপর ছানা পাঠ করবে- اَللَّهُمَّ بَاعِدْ بَيْنِىْ وَبَيْنَ خَطَايَاىَ كَمَا بَاعَدْتَ بَيْنَ الْمَشْرِقِ وَالْمَغْرِبِ اَللَّهُمَّ نَقِّنِىْ مِنَ الْخَطَايَا كَمَا يُنَقَّى الثَّوْبُ الْأَبْيَضُ مِنَ الدَّنَسِ اَللَّهُمَّ اغْسِلْ خَطَايَاىَ بِالْمَاءِ وَالثَّلْجِ وَالْبَرَد. অনুবাদ : হে আল্লাহ! আপনি আমার ও আমার গোনাহ সমূহের মধ্যে এমন দূরত্ব সৃষ্টি করে দিন, যেমন দূরত্ব সৃষ্টি করেছেন পূর্ব ও পশ্চিমের মাঝে। হে আল্লাহ! আপনি আমাকে পরিচ্ছন্ন করুন গোনাহ সমূহ হতে, যেমন পরিচ্ছন্ন করা হয় সাদা কাপড় ময়লা হতে। হে আল্লাহ! আপনি আমার গুনাহ সমূহকে ধুয়ে ছাফ করে দিন পানি দ্বারা, বরফ দ্বারা ও শিশির দ্বারা’।[5] ছানা পাঠ শেষ করে ‘আ‘ঊযুবিল্লাহি মিনাশ শায়ত্ব-নির রজীম মিন হামযিহী, ওয়া নাফখিহী ওয়া নাফছিহী[6] ও ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ সহ সূরা ফাতিহা পাঠ করবে।[7] এভাবে পড়বে প্রথম রাক‘আতে। পরের রাক‘আতগুলো ‘বিসমিল্লা-হির রহমা-নির রহীম’ বলে সূরা ফাতিহা শুরু করবে। জেহরী ছালাতে ‘বিসমিল্লাহ’ নীরবে পড়বে[8] এবং ফাতিহা শেষে উচ্চৈঃস্বরে ‘আমীন’ বলবে।[9] জেহরী ছালাতে মুক্তাদীগণ ইমামের সাথে সাথে শুধু সূরা ফাতিহা পড়বে।[10] ক্বিরাআত শেষে ইমাম আমীন বলা শুরু করলে মুক্তাদীও তার সাথে মিলে এক সঙ্গে আমীন বলবে।[11] উল্লেখ্য, ইমামের আমীন বলার আগেই মুক্তাদীর আমীন বলার যে অভ্যাস চালু তা বর্জন করতে হবে। ক্বিরাআত : সূরা ফাতিহা পাঠ শেষে ইমাম হলে কিংবা মুছল্লী একাকী হলে প্রথম দু’রাক‘আতে কুরআন থেকে অন্য সূরা বা কিছু আয়াত পাঠ করবে। তবে মুক্তাদী হলে জেহরী ছালাতে ইমামের সাথে সাথে শুধু সূরা ফাতিহা পড়বে। অতঃপর ইমামের ক্বিরাআত মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করবে।[12] আর যোহর ও আছরের ছালাতে ইমাম মুক্তাদী উভয়ে প্রথম দুই রাক‘আতে সূরা ফাতিহা সহ অন্য সূরা পড়বে।[13] আর শেষের দু’রাক‘আতে কেবল সূরা ফাতিহা পাঠ করবে।[14] রুকূ : ক্বিরাআত শেষে ‘আল্লা-হু আকবার’ বলে দু’হাত কান কিংবা কাঁধ পর্যন্ত উঠিয়ে ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করে রুকূতে যাবে।[15] হাঁটুর উপরে দু’হাতে ভর দিয়ে পিঠ ও মাথা সোজা রাখবে। এ সময় বাহুসহ দুই হাত ও হাঁটুসহ দুই পা শক্ত করে সোজা রাখবে।[16] অতঃপর রুকূর দু‘আ পড়বে।[17] কওমা : অতঃপর রুকূ থেকে উঠে সোজা হয়ে প্রশান্তির সাথে দাঁড়াবে এবং কান বা কাঁধ বরাবর দুই হাত উঠিয়ে ‘রাফ‘উল ইয়াদায়েন’ করবে।[18] এ সময় ‘সামি‘আল্লা-হু লিমান হামিদাহ’ বলে দু‘আ পাঠ করবে।[19] তারপর বলবে- رَبَّنَا لَكَ الْحَمْدُ ‘রববানা লাকাল হাম্দ’ বলবে। অথবা বলবে- رَبَّنَا وَلَكَ الْحَمْدُ حَمْدًا كَثِيْرًا طَيِّبًا مُّبَارَكًا فِيْهِ ‘রববানা ওয়া লাকাল হাম্দু হাম্দান কাছীরান ত্বাইয়েবাম মুবা-রাকান ফীহি’।[20] সেই সাথে দুই হাত স্বাভাবিকভাবে ছেড়ে দিবে।[21] সিজদা : অতঃপর ‘আল্লা-হু আকবর’ বলে প্রথমে দু’হাত ও পরে দু’হাঁটু মাটিতে রেখে সিজদায় যাবে ও দু‘আ পড়বে।[22] এ সময় হাত দু’খানা ক্বিবলামুখী করে মাথার দু’পাশে কাঁধ বরাবর মাটিতে রাখবে।[23] হাতের আঙ্গুলগুলো মিলিয়ে রাখবে।[24] কনুই উঁচু রাখবে ও বগল ফাঁকা রাখবে।[25] হাঁটু বা মাটিতে ঠেস দিবে না।[26] সিজদা লম্বা হবে ও পিঠ সোজা থাকবে। যেন নীচ দিয়ে একটি বকরীর বাচ্চা যাওয়ার মত ফাঁকা থাকে।[27] দুই পা খাড়া করে এক সঙ্গে মিলিয়ে রাখবে।[28] এ সময় আঙ্গুলগুলো ক্বিবলামুখী করে রাখবে।[29] অতঃপর سُبْحَانَ رَبِّيَ الْأَعْلَى বলবে কমপক্ষে তিনবার বলবে।[30] সিজদাতে পঠিতব্য আরো দু‘আ আছে। সিজদা থেকে উঠে বাম পায়ের পাতার উপরে বসবে ও ডান পায়ের পাতা খাড়া রাখবে। এ সময় প্রশান্তির সাথে বসবে এবং বলবেاَللَّهُمَّ اغْفِرْ لِىْ وَارْحَمْنِىْ وَاجْبُرْنِىْ وَاهْدِنِىْ وَعَافِنِىْ وَارْزُقْنِىْ ‘হে আল্লাহ! আপনি আমাকে ক্ষমা করুন, আমার উপরে রহম করুন, আমার অবস্থার সংশোধন করুন, আমাকে সৎপথ প্রদর্শন করুন, আমাকে সুস্থতা দান করুন ও আমাকে রূযী দান করুন’।[31] অতঃপর ‘আল্লা-হু আকবর’ বলে দ্বিতীয় সিজদায় যাবে ও দু‘আ পড়বে। ২য় ও ৪র্থ রাক‘আতে দাঁড়ানোর সময় সিজদা থেকে উঠে শান্তভাবে বসবে। অতঃপর মাটিতে দু’হাত রেখে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে যাবে।[32] উল্লেখ্য যে, রুকূ ও সিজদায় কুরআন থেকে কোন দু‘আ পড়বে না।[33] বৈঠক : ২য় রাক‘আত শেষ করার পর বৈঠকে বসবে। ১ম বৈঠক হলে কেবল ‘আত্তাহিইয়া-তু’ পড়বে।[34] তারপর মাটির উপর দুই হাত রেখে ভর দিয়ে ৩য় রাক‘আতের জন্য দাঁড়িয়ে যাবে।[35] আর যদি শেষ বৈঠক হয়, তবে ‘আত্তাহিইয়া-তু’ পড়ার পরে দরূদ, দু‘আয়ে মাছূরাহ পড়বে।[36] ১ম বৈঠকে বাম পায়ের পাতার উপরে বসবে এবং শেষ বৈঠকে ডান পায়ের তলা দিয়ে বাম পায়ের অগ্রভাগ বের করে নিতম্বের উপরে বসবে এবং ডান পা খাড়া রাখবে ও আঙ্গুলগুলো ক্বিবলামুখী করবে।[37] এ সময় আঙ্গুলগুলো সাধারণভাবে খোলা রাখবে।[38] বৈঠকের সময় বাম হাতের আঙ্গুল বাম হাঁটুর উপর ক্বিবলামুখী করে রাখবে। আর ডান হাতের বৃদ্ধা আঙ্গুল মধ্যমা আঙ্গুলের পিঠে রেখে মুষ্টিবদ্ধ করে শাহাদাত আঙ্গুল দ্বারা সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত ইশারা করবে।[39] অন্য হাদীছে এসেছে, ৫৩-এর ন্যায় মুষ্টিবদ্ধ রেখে সালাম ফিরানোর আগ পর্যন্ত শাহাদাত অঙ্গুলি দ্বারা ইশারা করতে থাকবে।[40] এ সময় শাহাদাত আঙ্গুলের দিকে দৃষ্টি রাখবে।[41] দুই তাশাহ্হুদেই ইশারা করবে।[42] ‘আত্তাহিইয়া-তু’, ‘দরূদ’, দু‘আ মাছূরা ও অন্যান্য দু‘আ পড়া শেষ করে ডানে ও বামে ‘আসসালামু আলায়কুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম ফিরাবে।[43] উল্লেখ্য যে, প্রথম সালামের সাথে ‘ওয়া বারাকা-তুহু’ যোগ করা যায়।[44] সালাম ফিরিয়ে প্রথমে সরবে একবার ‘আল্লা-হু আকবর’ বলবে।[45] তারপর তিনবার বলবে ‘আস্তাগফিরুল্লা-হ’। সেই সাথে বলবে اَللَّهُمَّ أَنْتَ السَّلاَمُ وَمِنْكَ السَّلاَمُ تَبَارَكْتَ يَا ذَا الْجَلاَلِ وَالْإِكْرَامِ. ‘হে আল্লাহ আপনিই শান্তি, আপনার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় আপনি, হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক’।[46] এ সময় ইমাম হলে প্রত্যেক ছালাতে ডানে অথবা বামে ঘুরে সরাসরি মুক্তাদীদের দিকে মুখ করে বসবে।[47] অতঃপর ইমাম মুক্তাদী সকলে সালামের পরের যিকির সমূহ পাঠ করবে।[48] সালাম ফিরানোর পর পরই দ্রুত উঠে যাবে না। এটা বদ অভ্যাস।[49] বরং এ সময় ‘আয়াতুল কুরসী’সহ অন্যান্য দু‘আ পাঠ করবে।[50] এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা দেখুন : লেখক প্রণীত ‘শারঈ মানদন্ডে মুনাজাত’ বই। [1]. মুসলিম হা/৯১২, ১/১৭০ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭৬৯); বুখারী হা/৬৬৬৭, ২/৯৮৬ পৃঃ; মিশকাত হা/৭৯০; বুখারী হা/৭৩৫; মিশকাত হা/৭৯৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৩৭, ২/২৫২ পৃঃ; ছহীহ মুসলিম হা/৮৯১; আবুদাঊদ হা/৭২৬, ৭৪৫; ইরওয়াউল গালীল হা/৩৫১, ২/৬৬ পৃঃ। [2]. ছহীহ বুখারী হা/৭৪০, ১/১০২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭০৪, ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২); নাসাঈ হা/৮৮৯, ১/১০২ পৃঃ; আবুদাঊদ হা/৭২৭, ১/১০৫ পৃঃ; আহমাদ হা/১৮৮৯০; ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৪৮০; ইবনু হিববান হা/১৮৬০, সনদ ছহীহ। [3]. আবুদাঊদ হা/৬৬৬, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯৭, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/১১০২, পৃঃ ৯৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১০৩৪, ৩/৬১ পৃঃ; আবুদাঊদ হা/৬৬২, ১ম খন্ড, পৃঃ ৯৭, সনদ ছহীহ; ছহীহ বুখারী হা/৭২৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০০, (ইফাবা হা/৬৮৯, ২/৯৫ পৃঃ); ত্বাবারাণী, আল-মু‘জামুল আওসাত্ব হা/৫৭৯৫; মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৮২৪; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮৯২। [4]. মুস্তাদরাক হাকেম হা/১৭৬১; বায়হাক্বী, সনানুল কুবরা হা/১০০০৮; ছিফাতু ছালাতিন নবী, পৃঃ ৮৯; সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল হা/৩৫৪-এর আলোচনা দ্রঃ। [5]. বুখারী হা/৭৪৪, ১/১০২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭০৮, ২/১০৩ পৃঃ); মিশকাত হা/৮১২, পৃঃ ৭৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৫৬, ২/২৬৬ পৃঃ। [6]. আবুদাঊদ হা/৭৭৫, ১/১১৩ পৃঃ; তিরমিযী হা/২৪২, ১/৫৭ পৃঃ; সূরা নাহল ৯৮; ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৯৫। [7]. ছহীহ বুখারী হা/৭৫৬, ১/১০৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭২০, ২/১০৯ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯৫; ছহীহ মুসলিম ১/১৬৯ পৃঃ, মুসলিম হা/৯০০, ৯০১, ৯০২, ৯০৪, ৯০৬, ৯০৭ (ইফাবা হা/৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬২); মিশকাত পৃঃ ৭৮, হা/৮২২ ও ৮২৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৬৫, ২/২৭২ পৃঃ, ‘ছালাতে ক্বিরআত পাঠ করা’ অনুচ্ছেদ; দারাকুৎনী হা/১২০২; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৪৮৬; সিলসিলা ছহীহাহ হা/১১৮৩; ছহীহুল জামে‘ হা/৭২৯। [8]. বুখারী হা/৭৪৩, ১/১০৩ পৃঃ. (ইফাবা হা/৭০৭, ২/১০৩ পৃঃ); মুসলিম হা/৯১৪; মিশকাত হা/৮২৪ ও ৮২৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৬৭ ও ৭৬৬, ২/২৭৩ পৃঃ। [9]. বুখারী হা/৭৮০, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০৭, (ইফাবা হা/৭৪৪ ও ৭৪৬, ২/১২১ পৃঃ); মুসলিম হা/৯৪২, ১ম খন্ড, পৃঃ ১৭৬; আবুদাঊদ হা/৯৩২ ও ৯৩৩, ১/১৩৫ পৃঃ; তিরমিযী হা/২৪৮, ১/৫৭ ও ৫৮ পৃঃ; ইবনু মাজাহ হা/৮৫৬। [10]. বুখারী হা/৭৫৬, ১/১০৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭২০, ২/১০৯ পৃঃ); মুসলিম হা/৯০০, ৯০১, ৯০২, ৯০৪, ১/১৬৯, (ইফাবা হা/৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬২); ছহীহ ইবনু হিববান হা/১৮৪১; মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/২৮০৫। [11]. বুখারী হা/৭৮০, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০৭, (ইফাবা হা/৭৪৪ ও ৭৪৬, ২/১২১ পৃঃ); মুসলিম হা/৯৪২, ১ম খন্ড, পৃঃ ১৭৬; আবুদাঊদ হা/৯৩২ ও ৯৩৩, ১/১৩৫ পৃঃ; তিরমিযী হা/২৪৮, ১/৫৭ ও ৫৮ পৃঃ; ইবনু মাজাহ হা/৮৫৬। [12]. বুখারী হা/৭৫৬, ১/১০৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭২০, ২/১০৯ পৃঃ); মুসলিম হা/৯০০, ৯০১, ৯০২, ৯০৪, ১/১৬৯, (ইফাবা হা/৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬২); ছহীহ ইবনু হিববান হা/১৮৪১; মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/২৮০৫। [13]. ইবনু মাজাহ হা/৮৪৩, পৃঃ ৬১; সনদ ছহীহ, আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/৫০৬, ২/২৮৮ পৃঃ। [14]. বুখারী হা/৭৭৬, ১/১০৭ পৃঃ; মিশকাত হা/৮২৮, পৃঃ ৭৯। [15]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, ছহীহ বুখারী হা/৭৩৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০২; এছাড়া হা/৭৩৬, ৭৩৭, ৭৩৮, ৭৩৯ দ্রঃ, (ইফাবা হা/৬৯৯-৭০৩, ২/১০০-১০১ পৃঃ); ছহীহ মুসলিম হা/৮৮৭, ৮৮৮, ৮৮৯, ৮৯০, ৮৯১, ১ম খন্ড, পৃঃ ১৬৮, (ইফাবা হা/৭৪৫-৭৪৯)। [16]. মুসলিম হা/১১৩৮; মিশকাত হা/৭৯১; বুখারী হা/৮২৮; মিশকাত হা/৭৯২; আবুদাঊদ হা/৮৫৯। [17]. বুখারী হা/৭৯৪ ও ৮১৭; ইবনু মাজাহ হা/৮৮৮; সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল হা/৩৩৩। [18]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, ছহীহ বুখারী হা/৭৩৫, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০২; এছাড়া হা/৭৩৬, ৭৩৭, ৭৩৮, ৭৩৯ দ্রঃ; ছহীহ মুসলিম হা/৮৮৭, ৮৮৮, ৮৮৯, ৮৯০, ৮৯১, ১ম খন্ড, পৃঃ ১৬৮। [19]. বুখারী হা/৭৯৫। [20]. বুখারী হা/৭৯৯; মিশকাত হা/৮৭৭। [21]. বুখারী হা/৮২৮, ১/১১৪ পৃঃ; মিশকাত হা/৭৯২; আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ১৩৯। [22]. আবুদাঊদ হা/৮৪০, ১/১২২ পৃঃ; নাসাঈ হা/১০৯১, ১/১২৩ পৃঃ; মিশকাত হা/৮৯৯; ত্বাহাবী হা/১৪০৫; ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/৬২৭, সনদ ছহীহ; মুস্তাদরাক হাকেম হা/৮২১; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৭৪৪; আলবানী, মিশকাত ১ম খন্ড, পৃঃ ২৮২, টীকা নং ১। [23]. আবুদাঊদ হা/৭৩৪, ১/১০৭ পৃঃ; তিরমিযী হা/২৭০, সনদ ছহীহ; মিশকাত হা/৮০১, পৃঃ ৭৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৪৫, ২/২৫৭ পৃঃ। [24]. হাকেম হা/৮১৪; বলূগুল মারাম হা/২৯৭, সনদ ছহীহ, ছহীহ আবুদাঊদ হা/৮০৯-এর আলোচনা দ্রঃ। [25]. বুখারী হা/৮০৭, (ইফাবা হা/৭৭০, ২/১৩৫ পৃঃ), ও ৩৫৬৪; মুসলিম হা/১১৩৪ ও ১১৩২; মিশকাত হা/৮৯১। [26]. বুখারী হা/৮২২, (ইফাবা হা/৭৮৪, ২/১৪১ পৃঃ); মুসলিম হা/১১৩০; মিশকাত হা/৮৮৮; আবুদাঊদ হা/৭৩০; মিশকাত হা/৮০১। [27]. মুসলিম হা/১১৩৫; আবুদাঊদ হা/৮৯৮; মিশকাত হা/৮৯০, পৃঃ ৮৩। [28]. ছহীহ মুসলিম হা/১১১৮, ১/১৯২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৯৭২) ‘ছালাত’ অধ্যায়, ‘রুকূ ও সিজদায় কী বলবে’ অনুচ্ছেদ-৪২; মিশকাত হা/৮৯৩, পৃঃ ৮৪; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৩৩, ২/২৯৯ পৃঃ, ‘সিজদা ও তার ফযীলত’ অনুচ্ছেদ। [29]. বুখারী হা/৮২৮, ১/১১৪ পৃঃ; মিশকাত হা/৭৯২। [30]. ইবনু মাজাহ হা/৮৮৮; সনদ ছহীহ, ইরওয়াউল গালীল হা/৩৩৩। [31]. তিরমিযী হা/২৮৪, ১/৬৩ পৃঃ; আবুদাঊদ হা/৮৫০, ১/১২৩ পৃঃ; মিশকাত হা/৯০০; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৪০, ২/৩০১ পৃঃ। [32]. বুখারী হা/৮২৩, ১/১১৩ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭৮৫ ও ৭৮৬, ২/১৪১ পৃঃ); মিশকাত হা/৭৯৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৪০, ২/২৫৪ পৃঃ; বুখারী হা/৮২৪, ১/১১৪ পৃঃ; ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৬৮৭; বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৯১৯। [33]. মুসলিম হা/১১০২; মিশকাত হা/৮৭৩। [34]. মুসলিম হা/১১৩৮; মিশকাত হা/৭৯১; ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ১৬০। [35]. বুখারী হা/৮২৩, ১/১১৩ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭৮৫ ও ৭৮৬, ২/১৪১ পৃঃ); মিশকাত হা/৭৯৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৪০, ২/২৫৪ পৃঃ; বুখারী হা/৮২৪, ১/১১৪ পৃঃ। [36]. বুখারী হা/৮৩৫, ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৫০; মুসলিম হা/১৩৫৪, ‘মসজিদ সমূহ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-২৬; মিশকাত হা/৯৪০। [37]. বুখারী হা/৮২৮, ১ম খন্ড, পৃঃ ১১৪, (ইফাবা হা/৭৯০, ২/১৪৪ পৃঃ); মিশকাত হা/৭৯২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৩৬, ২/২৫২ পৃঃ, ‘ছালাতের বিবরণ’ অনুচ্ছেদ। [38]. আবুদাঊদ হা/৭৩০; মিশকাত হা/৮০১। [39]. ছহীহ মুসলিম হা/১৩৩৬, ১৩৩৮, ১/২১৬ পৃঃ, (ইফাবা হা/১১৮৪); মিশকাত হা/৯০৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৪৭, ২/৩০৪ পৃঃ। [40]. ছহীহ মুসলিম হা/১৩৩৮, ১/২১৬ পৃঃ, (ইফাবা হা/১১৮৬); মিশকাত হা/৯০৬; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৪৬, ২/৩০৩ পৃঃ। [41]. নাসাঈ হা/১২৭৫, ১১৬০, ১/১৩০ পৃঃ ও ১/১৪২ পৃঃ। [42]. বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/২৯০৩; সনদ ছহীহ, ছিফাতু ছালাতিন নবী, পৃঃ ১৫৯। [43]. বুখারী হা/৮৩৪ ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছে-১৪৯; মিশকাত হা/৯৪২, পৃঃ ৮৭ ‘তাশাহহুদে দু‘আ’ অনুচ্ছেদ-১৭। [44]. আলবানী, ছহীহ আবুদাঊদ হা/৯১৫, ১/১৪৩ পৃঃ; উল্লেখ্য যে, আবুদাঊদের কোন ছাপায় ‘ওয়া বারাকাতুহু’ অংশটুকু নেই। আবুদাঊদ হা/৯৯৭ (রিয়ায ছাপা)। আরো উল্লেখ্য যে, বলূগুল মারামে দুই দিকেই উক্ত অংশ যোগ করার যে বর্ণনা এসেছে, তা ভুল হয়েছে। বলূগুল মারাম হা/৩১৬, পৃঃ ৯৫। তাছাড়া দুই দিকেই ‘ওয়া বারাকাতুহু’ যোগ করা সম্পর্কে ইবনে হিববানে যে হাদীছ এসেছে তা যঈফ- ইবনে হিববান হা/১৯৯৩; ইরওয়াউল গালীল হা/৩২৬-এর আলোচনা দ্রঃ ২/২৯ পৃঃ। [45]. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, বুখারী হা/৮৪২, ১/১১৬ পৃঃ; মুসলিম হ/১৩৪৪ ও ১৩৪৫, ১/২১৮ পৃঃ; মিশকাত হা/৯৫৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৯৭, ৩/১ পৃঃ। [46]. মুসলিম হা/১৩৬২, ১/২১৮ পৃঃ; মিশকাত হা/৯৬১; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৯৯, ৩/২ পৃঃ, ‘ছালাতের পরে যিকর’ অনুচ্ছেদ-১৮। [47]. ছহীহ বুখারী হা/৮৪৫, ১/১১৭ পৃঃ (ইফাবা হা/৮০৫, ২/১৫২ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-১৫৬; ছহীহ মুসলিম হা/১৪৮১, ১/২২৯ পৃঃ, ‘ছালাত’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৪০; মিশকাত হা/৯৪৪, পৃঃ ৮৭; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৮৩, ২/৩১৮ পৃঃ, ‘তাশাহহুদে দু‘আ করা’ অনুচ্ছেদ। বুখারী হা/৬২৩০; মুসলিম হা/১৬৭৬; মিশকাত হা/৯০৯; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৮৪৮, ২/৩০৪ পৃঃ। [48]. বুখারী হা/৮৪৪, ১/১১৭ পৃঃ; মুসলিম হা/১৩৬৬, ১/২১৮ পৃঃ; মিশকাত হা/৯৬২; আবুদাঊদ হা/১৫২২ প্রভৃতি। [49]. আহমাদ হা/২৩১৭০; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহ হা/২৫৪৯। [50]. নাসাঈ, আল-কুবরা হা/৯৯২৮, ৬/৩০ পৃঃ; সনদ ছহীহ, সিলসিলা ছহীহাহা হা/৯৭২; বলূগুল মারাম হা/৩২২, পৃঃ ৯৬। উল্লেখ্য যে, বায়হাক্বীর সূত্রে মিশকাতে যে বর্ণনা এসেছে তার সনদ যঈফ- বায়হাক্বী হা/২১৬৭; সিলসিলা যঈফাহ হা/৫১৩৫; মিশকাত হা/৯৭৪, পৃঃ ৮৯।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 8:35pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্নঃ ইফতারীতে নির্দিষ্ট কোনো দু‘আ পড়তে হয় কি? দু‘আ পড়তে হলে দু‘আটি কি? উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ মুসলমানগণ ইফতারীতে যে সকল দু‘আ পড়ে থাকে তার অধিকাংশই সহীহ হাদীস থেকে নেয়া হয় না। ইফতারের সময় যে দু‘আ পড়া হয়ে থাকে তার মধ্যে সবেচেয়ে বিশুদ্ধ দু‘আ, যেটি রসূলুল্লাহ [ﷺ ] কর্তৃক সুনানে আবু দাউদ এর ২য় খণ্ডের কিতাবুস সিয়ামের ২৩৫০ নং বর্ণিত হয়েছে। এ হাদীসের বর্ণনায় এসেছে যে, রসূলুল্লাহ [ ﷺ] এ দু’আ টি ইফতারীতে পড়তেন, [ ﺫَﻫَـﺐَ ﺍﻟﻈَّﻤَـﺄُ، ﻭَﺍﺑْﺘَﻠَّـﺖِ ﺍﻟﻌُـﺮﻭﻕ، ﻭَﺛَﺒَـﺖَ ﺍﻷﺟْـﺮُ ﺇِﻥْ ﺷـﺎﺀَ ﺍﻟﻠﻪ .] “যাহাবায যামা-উ ওয়াব তাল্লাতিল উরুকু ওয়াছা বাতাল আজরু ইনশা-আল্লাহ।” অর্থ: “পিপাসা দূর হল, শিরা-উপশিরা সতেজ হল, পুরস্কার নিশ্চিত, যদি আল্লাহ চান।” মুসলমানদের অনেকে এই দু‘আ খাবার মুখে দেয়ার পূর্বে পড়ে থাকেন। আবার অনেকে এই দু‘আ ইফতারের পর পড়ে থাকেন। আসল কথা হলো আপনি খাবার মুখে দেওয়ার পূর্বে বিসমিল্লাহ পড়বেন। রসূলুল্লাহ [ﷺ ] এমন করতেন। তারপর আপনি খেজুর, পানি বা অন্যান্য খাবার খাওয়ার পর উপরউক্ত দু‘আ পড়বেন। অর্থাৎ আমার পিপাসা দূর হয়েছে। কেবল পানি পান করার পরই পিপাসা দূর হয়। খেজুর বা অন্যান্য খাবার খাওয়ার পরই তো ক্ষুধা দূর হয়। সুতরাং দু‘আ ইফতারের পরে পড়তে হবে।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 8:38pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 8:40pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 4
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 5:03am

    Sogood Islam Syeds

    ইন্টারনেটে পড়াশোনার জগৎ ইন্টারনেটে কোর্সের মাধ্যমে ঘরে বসে বিশ্বের নামকরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্লাসে অংশ নিতে পারেন। মডেল: দীপ্তি, ছবি: খালেদ সরকারজাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ফারিবা ইসলামের গল্প দিয়েই শুরু করা যাক। ছোটবেলা থেকে তাঁর নানা বিষয়ে শেখার আগ্রহ। কলেজে পড়ার সময় একবার ভর্তি হয়েছিলেন ফটোগ্রাফি কোর্সে। নিয়মিত পড়াশোনা চাপে সে কোর্স আর বেশি দূর এগোয়নি। তখন মনকে প্রবোধ দিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফুরন্ত সময়ে নিশ্চয় আগ্রহের সবকিছু শিখে ফেলবেন! কিন্তু ক্লাস, পরীক্ষা ও প্রেজেন্টেশনের চক্করে পড়ে সেসব যেন বেমালুম ভুলতেই বসেছিলেন। আর তখনই এক নতুন রাজ্যের খোঁজ পেলেন তিনি। বিশ্বখ্যাত এক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে বৃত্তিবিষয়ক তথ্য ঘাঁটতে গিয়ে তাঁর নজর পড়ে মেন্যুবারের ‘অনলাইন এডুকেশন’ বোতামটি। সেটি তাঁকে নিয়ে যায় ‘কোর্সেরা’ নামের নতুন রাজ্যে। যেখানে নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে দেওয়া হয় বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স সম্পন্ন করার সনদ। তারপর তাঁকে আর আটকায় কে! কয়েক মাস পেরোতেই প্রাচীন সভ্যতা, জলবায়ু পরিবর্তন, একুশ শতকে যুক্তরাষ্ট্রের বিদেশনীতি…নানা বিষয়ে বিনে পয়সায় কোর্স করার সুযোগ হলো তাঁর। অনলাইনে পড়াশোনার এই গল্প শুধু ফারিবা ইসলামের একা নয়। হালের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া তরুণেরা জানার আগ্রহ থেকে পছন্দসই বিষয়ে অনলাইন-কোর্স করছেন। তেমনি একজন চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্র ইউসুফ মুন্না। অনলাইনে কোর্স নিয়ে মুন্না বলেন, ‘আমি লিডারশিপ, পাবলিক স্পিকিং, এন্ট্রাপ্রেনিউরশিপ, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স নিয়ে আগ্রহী। কিন্তু আমাদের পাঠ্যবইতে তো তো এসব নিয়ে তেমন কিছুই নেই। অনলাইন কোর্সের মাধ্যমে এই বিষয়গুলো শেখার চেষ্টা করছি।’ অনলাইন কোর্স কী ও কেন সরল কথায়, দূরশিক্ষণ কার্যক্রমের আধুনিক সংস্করণ হচ্ছে এই অনলাইন কোর্স। হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়, স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি), কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়, অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়, পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়সহ পৃথিবীর স্বনামধন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চালু করেছে অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম। এর বাইরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান, সংস্থা ও ব্যক্তিগতভাবেও অনলাইনে কোর্স করানো হয়। এই কোর্সগুলো মূলত দুইভাবে করানো হয়—অর্থের বিনিময়ে কিংবা নিখরচায়। তবে বিনা মূল্যে কোর্সের ক্ষেত্রেও অনেক সময় সনদ সংগ্রহ করতে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থের প্রয়োজন হয়। অনলাইনে কোর্স বিষয়ে ই-মেইলে কথা হয় যুক্তরাষ্ট্রের মেরিল্যান্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মোহাম্মদ এমারত হোসেনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘ঘরে বসে নামীদামি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের তত্ত্বাবধানে কোনো কোর্স করার এটি ভালো সুযোগ। আমি সাইবার নিরাপত্তা নিয়ে যে ক্লাস যুক্তরাষ্ট্রের কোনো শ্রেণিকক্ষে নিচ্ছি, সেই ক্লাসেই বিশ্বের অন্য কোনো দেশের শিক্ষার্থী অংশ নেওয়ার সুযোগ পাচ্ছে স্কাইপে। এ ধরনের কোর্সের বিস্তার দিন দিন আরও বাড়বে।’ কোর্সগুলো বিভিন্ন মেয়াদি হয়ে থাকে। তিন সপ্তাহ থেকে শুরু করে কয়েক মাসেরও হতে পারে। আমাদের চাকরির বাজারে কিংবা পেশাগত ক্ষেত্রে কোর্সগুলোর গুরুত্ব কেমন? জানতে চেয়েছিলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের শিক্ষক মোহাম্মদ সাইমুম হোসেনের কাছে। তিনি বলেন, ‘অনলাইন কোর্স আসলে জানার পরিধি বাড়িয়ে দেয়। যে বিষয়গুলো সম্পর্কে সচরাচর জানার বা শেখার সুযোগ কম। তা এই কোর্সগুলোর মাধ্যমে খুবই সম্যক ধারণা পাওয়া যায়। আমাদের দেশে চাকরি বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে এই সনদের গ্রহণযোগ্যতা এখন পর্যন্ত খুব একটা তৈরি হয়নি। তবুও শেখা তো হলো, এ-ই বা কম কী।’ যেসব বিষয়ে কোর্স ইতিহাস, ঐতিহ্য, বিজ্ঞান, কলা ও সংস্কৃতি, ব্যবসা ও ব্যবস্থাপনা, যোগাযোগ, কম্পিউটার বিজ্ঞান, অর্থনীতি, প্রকৌশল, ভাষা, আইন, গণিত, সাহিত্য, নৈতিকতা, চিকিৎসাবিজ্ঞান, খাদ্য ও পুষ্টি, সংগীত, তথ্যপ্রযুক্তিসহ কত শত বিষয়ে যে কোর্স করা যায়, তার কোনো ইয়ত্তা নেই। গত বছর প্রকাশিত এক পরিসংখ্যানে জানা গেল, সারা বিশ্বের প্রায় ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয় ৪ হাজার ২০০ কোর্স আহ্বান করেছে। আর এসব কোর্সে অংশ নিচ্ছেন প্রায় সাড়ে তিন কোটি শিক্ষার্থী। যেভাবে খোঁজ পাবেন অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রম চালু করেছে এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে ঢুঁ মারলেই কোর্স সম্পর্কে জানা যাবে। এর বাইরে শুধু অনলাইন কোর্সবিষয়ক বিশেষায়িত বিভিন্ন ওয়েবসাইটও রয়েছে। যাঁরা বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আহ্বান করা কোর্স সম্পর্কে তথ্য দিয়ে থাকেন। এর বাইরে বিশেষায়িত ওয়েবসাইটগুলোও বিভিন্ন বিষয়ে কোর্স পরিচালনা করে থাকে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন কিছু ওয়েবসাইট সম্পর্কে। এডেক্স: বিশ্বের অন্যতম সেরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান যুক্তরাষ্ট্রের হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও এমআইটি ২০১২ সালে প্রতিষ্ঠা করে এডেক্স (www.edx.org)। শিক্ষার জগতে বিপ্লব আনতেই দুই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা তৈরি করেছেন এই ওয়েবসাইট। শুরুতে এমআইটির শিক্ষকেরা এমআইটিএক্স নামের প্রকল্পের মাধ্যমে অনলাইন কোর্স চালু করেন। সারা বিশ্বের প্রায় ৭০ লাখ শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন এই ওয়েবসাইটে। বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ের ৭০০ বিষয়ের ওপর বিনা মূল্যে কোর্স করার সুযোগ রয়েছে এখানে। কোর্সেরা: বর্তমানে প্রায় দেড় কোটি শিক্ষার্থীর অনলাইন-পড়াশোনার অন্যতম মাধ্যম হলো কোর্সেরা (www.coursera.org)। ইংরেজি, স্প্যানিশ, চায়নিজ, রুশ, জার্মানিসহ ১২ ভাষায় কোর্স করার সুযোগ রয়েছে এই ওয়েবসাইটে। যেখানে শিক্ষার্থীরা কম্পিউটার সায়েন্স, চিকিৎসাবিজ্ঞান, গণিত, পরিসংখ্যান, অর্থনীতিসহ ২৮টি দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ের কোর্স করার সুযোগ পান। অনলাইন কোর্সের বিশেষায়িত ওয়েবসাইটটিতে বর্তমানে প্রায় দুই হাজার কোর্স করানো হচ্ছে! শুধু এডেক্স বা কোর্সেরাই নয়, এ ছাড়া আরও বিভিন্ন ওয়েবসাইট আছে। গুগলের কল্যাণে সহজেই সেসবের খোঁজ মিলবে
    KSV Welfare Club
  • June 4
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 3:25pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্নঃ স্বপ্নদোষ বা স্ত্রী সহবাসের পর বিনা গোসলে কি রোজা হবে? উত্তরঃ স্ত্রী সঙ্গম অথবা স্বপ্নদোষ হওয়ার পরেও সময়ের অভাবে গোসল না করে নাপাক অবস্থাতেই রোযাদার রোযার নিয়ত করতে এবং সেহরী খেতে পারে। এ ক্ষেএে রোযা শুরুর কিছু অংশ নাপাকে অতিবাহিত হলেও রোযার কোন ক্ষতি হবে না। অবশ্য নামাযের জন্য গোসল বাধ্যতামূলক। মা আয়েশা ও উম্মে সালমা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’লা আনহুম বলেন আল্লাহর রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওাসাল্লাম এর কখনো কখনো স্ত্রী মিলন করেও অপবিএ অবস্থায় ফজর হয়ে যেতো। তারপর তিনি গোসল করতেন এবং রোযা রাখতেন। বুখারী ১৯২৫। মুসলিম ১১০৯। মহান আল্লাহ ফজর উদয় হওয়ার সময় পর্যন্ত স্ত্রী মিলনের অনুমতি দিয়েছেন এবং তার পর থেকে রোযা রাখার আদেশ দিয়েছেন। “রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। আর পানাহার কর যতক্ষণ না কাল রেখা থেকে ভোরের শুভ্র রেখা পরিষ্কার দেখা যায়। অতঃপর রোযা পূর্ণ কর রাত পর্যন্ত। আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। এই হলো আল্লাহ কর্তৃক বেঁধে দেয়া সীমানা। অতএব, এর কাছেও যেও না। এমনিভাবে বর্ণনা করেন আল্লাহ নিজের আয়াত সমূহ মানুষের জন্য, যাতে তারা বাঁচতে পারে। সূরা আল বাক্বারাহ (মদীনায় অবতীর্ণ), আয়াত ১৮৭। তবে যেহেতু এই মাস সকল মাসের চেয়ে উত্তম এবং ইবাদতের মাস আমার মতে এই একমাস এগুলো থেকে দূরে থাকাই ভালো কিন্তু আপনি কি করবেন এটা আপনার বিষয় কারন দিন ইসলাম আপনাকে নিষেদ করেন্নাই। আর স্বপ্নদোষ যেহেতু সম্পূর্ণ একটি অনিচ্ছাকৃত বিষয় তাই যদি দেখেন যে আপনি সেহরি খেয়ে ঘুমিয়েছেন কিন্তু সকালে উঠে দেখলেন আপনার স্বপ্নদোষ হয়েছে তখন শুধু আপনার উপর গোসল ফরজ এতে আপনার রোযা নষ্ট হবেনা।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • June 5
  • Sogood Islam Syeds
    6/5, 5:44pm

    Sogood Islam Syeds

    Shahriyar Hossain shared his post to the group: মাসিক আত-তাহরীক.
    Shahriyar Hossain
  • Sogood Islam Syeds
    6/5, 6:36pm

    Sogood Islam Syeds

    Firoz Sjr shared Dr.zakir naik- bangla lecture’s post to the group: মাসিক আত-তাহরীক.
    Firoz Sjr
  • June 7
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 11:56pm

    Sogood Islam Syeds

    বিষয় :- নামাজ ছাড়া রোজা কবুল হবে না- দলিলসহ: . . হ্যা ছালাত ছাড়া ছিয়াম কবুল হবে না। কারন, বে-নামাজী ব্যক্তি কাফের (বুখারী) তাই রোজাদার ব্যক্তিকে আগে মুসলিম হতে হবে, তা না হলে এতে শুধু কষ্ট করা হবে, পরকালে সে বড় ক্ষতিগ্রস্ত হবে।অতএব, ছালাত বিহিন ছিয়ামের কোন দরকার নেই। . ১. আনাস (রা:) বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন, ক্বিয়ামতের দিন মানুষকে সর্বপ্রথম ছালাত সম্পর্কে জিঙ্গেস করা হবে। যদি তার ছালাত গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে সমস্ত আমল গ্রহণীয় হবে। আর যদি ছালাত গ্রহণযোগ্য না হয়, তাহলে সমস্ত আমলই বাতিল হবে।(সিলসিলা ছহীহ হা/৫৯৮)। . যেহেতু রোজা একটি আমল, তাহলে আপনার রোজা টিকলো না, বরং বাতিল হল। ছালাত এমন একটি ইবাদত যা আল্লাহর নিকট গৃহীত হলে বাকী আমলগুলিও গৃহীহ হবে। অন্যথা সব আলম বাতিল হবে। কারণ সমস্ত ইবাদতের ভিত্তি ইবাদত হচ্ছে ছালাত। . ২. বুরায়দাহ (রা:) বলেন, রাসূল (সা:) বলেছেন, যে ব্যক্তি আছরের ছালাত ছেড়ে দেয় তার সমস্ত আমল নষ্ট হয়ে যায়। (বুখারী, মিশকাত হা/৫৯৫, বঙ্গানুবাদ ২য় খন্ড, হা/৫৪৭ তাড়াতাড়ি ছালাত আদায় অনুচ্ছেদ)। . তাহলে এখানেও আপনার ছিয়াম টিকলো না। মূল কথা হল: আগে নামাজ তার পর অন্য আমল। . দয়াকরে কপি অথবা শেয়ার করুন!
    Hossain Mahmud Bukhari
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 11:57pm

    Sogood Islam Syeds

    সাইফুল ইসলাম added a new photo.
    আলহামদুলিল্লাহ্‌ ! প্রায় ৪ বছর শ্রম-সাধনার পর আল্লাহ্‌র অশেষ রহমতে রিলিজ হল বহুল প্রতীক্ষিত হাদিসের অ্যাপ আল হাদিস (ihadis). প্লে স্টোরে পাওয়া যাবে। বিকল্প ডাউনলোড লিঙ্কও দেয়া হল। আপনারা সবার কাছে এই অ্যাপ পৌঁছে দিন। app টি ইন্সটল করে কেমন লাগল জানাতে ভুলবেন না। প্লে স্টোরে অ্যাপে রিভিউ দিন ও ৫ স্টার দিন। . ihadis হাদিস অ্যাপের ফিচারসমুহঃ —————————————————– – ম্যাটেরিয়াল ডিজাইনঃ app এর ডিজাইনের দিকে বেশ অনেকটা সময় ব্যয় করা হয়েছে। সাদার সাথে বিভিন্ন কালার কম্বিনেশন করা হয়েছে। হোমপেজে শুরুতেই চমক আছে – ২ টা ভিউ রাখা হয়েছে- যে যেটা পছন্দ করেন। নতুন অ্যাপে বেশ কয়েকটি হাদিসের বই দেয়া হবে। বই> অধ্যায়> হাদিস — এই প্যাটার্ন ফলো করা হয়েছে। – সার্চঃ যাই সার্চ করেন না কেন সব হাদিসের বইয়ের ভেতর খুঁজে রেজাল্ট আসবে ১ সেকেন্ডের মধ্যে ইনশাল্লাহ, হ্যাঁ এতটাই ফাস্ট ইউজার এক্সপেরিয়েন্স দিতে যাচ্ছে ihadis হাদিস অ্যাপ – ড্রয়ার : সুদৃশ্য একটি ড্রয়ার আছে আমাদের অ্যাপে। এতে বুকমার্ক, সেটিংস সহ বেশ কিছু অপশন আছে। – চ্যাপটার পেজ : হাদিসের রেঞ্জসহ হাদিসের অধ্যায়গুলো দেখা যাবে। অধ্যায়ে ক্লিক করলে পরের পেজে হাদিস দেখাবে – হাদিস পেজ : ihadis হাদিস অ্যাপের অন্যতম মুল আকর্ষণ হাদিস পেজ। মাল্টিপল ভিউ এবং সিঙ্গেল ভিউ- এই দুইটি ভিউই আছে, যা অন্য কোন (national/international) হাদিসের অ্যাপে নেই আমার জানামতে। যেন বই থেকেই হাদিস পড়ছি – এই অনুভূতি দেবে মাল্টিপল ভিউ। আরও রয়েছে স্মুথ স্ক্রল এক্সপেরিয়েন্স। এক হাদিস থেকে দ্রুত আরেক হাদিসে জাম্প করার সুবিধাও রয়েছে। সিঙ্গেল ভিউতে হাদিসটা আরও বেশি হাইলাইট হবে, একটি হাদিসের উপর মনোযোগ ধরে রাখা সহজ হবে। হাদিস পড়তে পড়তে জ্ঞানের সাগরে ডুব দিতে পারবেন পাঠককুল – এমনটাই আশা করছি আমরা। – চ্যাপটার পেজ : হাদিসের রেঞ্জসহ হাদিসের অধ্যায়গুলো দেখা যাবে। অধ্যায়ে ক্লিক করলে পরের পেজে হাদিস দেখাবে – কোন অ্যাড নেই . যে সকল হাদিস গ্রন্থ আছেঃ ————————————————- ১. সহিহ বুখারী ২. সহিহ মুসলিম ৩. আবূ দাউদ ৪. তিরমিজী ৫. ইবনে মাজাহ ৬. সহিহ হাদিসে কুদসী ৭. ৪০ হাদিস . download link কমেন্টে দেখুন।
    সাইফুল ইসলাম
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 12:02am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 12:06am

    Sogood Islam Syeds

    ইফতারের জন্য কোনো দো‘আ কি প্রমাণিত আছে? সাওম আদায়কারী কি মুআয্যিনের জবাব দিবে নাকি ইফতার চালিয়ে যাবে? – – উত্তর: দো‘আ কবূল হওয়ার অন্যতম সময় হচ্ছে ইফতারের সময়। কেননা সময়টি হচ্ছে ইবাদতের শেষ মূহুর্ত। তাছাড়া মানুষ সাধারণতঃ ইফতারের সময় অধিক দুর্বল হয়ে পড়ে। আর মানুষ যত দুর্বল হয় তার অন্তর তত নরম ও বিনয়ী হয়। তখন দো‘আ করলে মনোযোগ আসে বেশি এবং আল্লাহর দিকে অন্তর ধাবিত হয়। ইফতারের সময় দো‘আ হচ্ছে: اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ“ হে আল্লাহ আপনার জন্য সাওম রেখেছি এবং আপনার রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।” নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইফতারের সময় এ দো‘আ পাঠ করতেন: ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ “তৃষ্ণা বিদূরিত হয়েছে, শিরা-উপশিরা তরতাজা হয়েছে এবং আল্লাহ চাহে তো প্রতিদান সুনিশ্চিত হয়েছে।” হাদীস দু’টিতে যদিও দুর্বলতা রয়েছে কিন্তু কোনো কোনো বিদ্বান এটাকে হাসান বলেছেন। মোটকথা এগুলো দো‘আ বা অন্য কোনো দো‘আ পাঠ করবে। ইফতারের সময় হচ্ছে দো‘আ কবূল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত। কেননা হাদীসে এরশাদ হয়েছে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, إِنَّ لِلصَّائِمِ عِنْدَ فِطْرِهِ لَدَعْوَةً مَا تُرَدُّ “সিয়াম পালনকারীর ইফতারের সময়কার দো‘আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না।” আর ইফতারের সময় মুআয্যিনের জবাব দেওয়া শরী‘আতসম্মত। কেননা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ “মুআয্যিনের আযান শুনলে তার জবাবে সে যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বল।” এ হাদীসটি প্রত্যেক অবস্থাকে শামিল করে। তবে দলীলের ভিত্তিতে কোনো অবস্থা ব্যতিক্রম হলে ভিন্ন কথা। [শাইখ সালেহ বিন উসাইমিন]
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 12:08am

    Sogood Islam Syeds

    রোজার জন্য কোন নিয়্যাত পড়া কি জরুরী? যেমনঃ আমি আজ/আগামী কাল মাহে রমজানের রোজা রাখবো ইত্যাদি…………………………. . . সাফ জবাবঃ না। একেবারেই নয়। এটি অন্তরের বিষয়। নিয়্যাত করার বিষয়; পড়ার নয়। তাই এগুলো শেখানোর চেষ্টা করা অন্যায়। একটি বাজে কাজ। যারা শেখাতে চায়, তাদের কাছ থেকে দ্বীন শেখা বিপজ্জনক।
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 12:10am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 9
  • Sogood Islam Syeds
    6/9, 11:27am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন (৩৩/৩১৩) : ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) রামাযানে ৬১ বার কুরআন খতম করতেন। উক্ত ঘটনার সত্যতা আছে কি? উত্তর : ঘটনাটির কোন সত্যতা নেই। আর এটি নিঃসন্দেহে রাসূল (ছাঃ)-এর সুন্নাত বিরোধী। কারণ তিনি বলেন, তিনদিনের কমে কুরআন খতমকারী তা অনুধাবন করতে সক্ষম হয় না (তিরমিযী হা/২৯৪৯, মিশকাত হা/২২০১)। তাছাড়া এটি অসম্ভব বিষয়। এ ধরনের ঘটনা বরং ইমাম আবু হানীফা (রহঃ)-এর মর্যাদাকে ক্ষুণ্ণ করেছে (আল-আক্বাইদ আল-ইসলামিয়াহ, পৃঃ ৪৫)। অনুরূপ আরো অনেক অলৌকিক ঘটনা তাঁর নামে সমাজে প্রচলিত রয়েছে, যেগুলির কোন ভিত্তি নেই।
    Jobrul Miah
  • June 11
  • Sogood Islam Syeds
    6/11, 4:31pm

    Sogood Islam Syeds

    ✔ সদকাতুল ফিতরের বিধান : সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) তা মুসলিমদের উপর আবশ্যক করেছেন। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) যা আদেশ করেছেন তা আল্লাহ তাআলা কর্তৃক আদেশ করার সমতুল্য। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন : ﴿مَّن يُطِعِ ٱلرَّسُولَ فَقَدۡ أَطَاعَ ٱللَّهَۖ وَمَن تَوَلَّىٰ فَمَآ أَرۡسَلۡنَٰكَ عَلَيۡهِمۡ حَفِيظ ا ٨٠﴾ [النساء: ٨٠] ‘যে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর হুকুম মান্য করল, সে আল্লাহর হুকুমই মান্য করল। আর যে পৃষ্ঠ প্রদর্শন করল, আমি আপনাকে তাদের জন্য পর্যবেক্ষণকারী নিযুক্ত করে পাঠাইনি।’ আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন : ﴿وَمَن يُشَاقِقِ ٱلرَّسُولَ مِنۢ بَعۡدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُ ٱلۡهُدَىٰ وَيَتَّبِعۡ غَيۡرَ سَبِيلِ ٱلۡمُؤۡمِنِينَ نُوَلِّهِۦ مَا تَوَلَّىٰ وَنُصۡلِهِۦ جَهَنَّمَۖ وَسَآءَتۡ مَصِيرًا ١١٥﴾ [النساء: ١١٥] ‘যে কেউ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) এর বিরুদ্ধাচারণ করে, তার কাছে সরল পথ প্রকাশিত হওয়ার পর এবং মুমিনদের অনুসৃত পথের বিরুদ্ধে চলে, আমি তাকে ঐ দিকে ফিরাব যে দিকে সে ফিরতে চায় এবং আমি তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করব। তা নিকৃষ্টতম গন্তব্যস্থল।’ আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন : ﴿وَمَآ ءَاتَىٰكُمُ ٱلرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَىٰكُمۡ عَنۡهُ فَٱنتَهُواْۚ وَٱتَّقُواْ ٱللَّهَۖ إِنَّ ٱللَّهَ شَدِيدُ ٱلۡعِقَابِ ٧﴾ [الحشر: ٧] ‘আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্ল তোমাদের যা আদেশ করেন, তা গ্রহণ কর এবং যা নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক।’ সাদকাতুল ফিতর মুসলিম নারী-পুরুষ, ছোট-বড়, আজাদ-গোলাম সকলের উপর ওয়াজিব। আব্দুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিআল্লাহু আনহু বলেন, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমজান মাসে আজাদ, গোলাম, নারী-পুরুষ, ছোট-বড় সকল মুসলিমের উপর এক সা’ খেজুর, বা এক সা’ যব সদকাতুল ফিতর ওয়াজিব করেছেন। পেটের বাচ্চার পক্ষ থেকে সদকাতুল ফিতর দেয়া ওয়াজিব নয়, কিন্তু কেউ যদি আদায় করে, তাহলে নফল সদকা হিসেবে আদায় হবে। ওসমান রাদিআল্লাহু আনহু পেটের বাচ্চার পক্ষ থেকে সদকায়ে ফিতর আদায় করতেন। ফিতরা নিজের পক্ষ থেকে এবং নিজের পরিবারবর্গের পক্ষ থেকে আদায় করবে। যেমন স্ত্রী ও সন্তান। যদি তাদের নিজস্ব সম্পদ থাকে তবে তাদের সম্পদ থেকেই সদকাতুল ফিতর আদায় করবে। আল্লাহ তাআলা এরশাদ করেন : ﴿فَٱتَّقُواْ ٱللَّهَ مَا ٱسۡتَطَعۡتُمۡ﴾ [التغابن: ١٦] ‘তোমরা সাধ্য অনুপাতে আল্লাহকে ভয় কর।’ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন : «إِذَا أَمَرْتُكُمْ بِأَمْرٍ فَأْتُوا مِنْهُ مَا اسْتَطَعْتُمْ» ‘আমি যখন তোমাদের কোন বিষয়ে আদেশ করি, তোমরা তা সাধ্যানুযায়ী পালন কর।’
    Anas Bin Habib
  • June 12
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 2:10am

  • June 12
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 4:25pm

  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 6:01pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন: তারাবীহর নামাজ সুন্নাত না ফরজ? কোনো লোক এই নামাজ এড়িয়ে যেতে পারবে কি? উত্তর: ডা. জাকির নায়েক হাদীসে বলা হয়েছে যে, একদিন রমাদ্বানের রাতে রাসূলুল্লাহ [ﷺ] মসজিদে গিয়ে দেখলেন যে, লোকেরা একাকী বিক্ষিপ্তভাবে তারাবীহর নামায আদায় করছে । অতঃপর তিনি নামাজে দাড়িয়ে গেলেন এবং লোকেরা তার পিছনে দাড়িয়ে গেল। পরের দিন এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ঐ দিন রাতে মসজিদ পূর্ণ হয়ে গেল। এভাবে তৃতীয় রাতেও মসজিদ ভরে গেল। চতুর্থ রাতে লোকজন মসজিদের ভিতর এবং বাইরে অপেক্ষা করতে থাকলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ [ﷺ] সেদিন নামাজ পড়ালেন না। তিনি ভাবলেন, এভাবে চলতে থাকলে তার উম্মতরা এই নামাজকে আবার ফরজ ভেবে নেয় কিনা! (সহীহ বুখারী, অধ্যায় তারাবীহ, হাদীস ২০১২) কিন্তু আরেকটি হাদীসে উল্লেখ আছে যে, যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে বিশ্বস্ততার সাথে আল্লাহর পুরষ্কারের আশায় তারাবীহর নামায বা কিয়ামুল লাইল আদায় করে, আল্লাহ তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন । (সহীহ বুখারী, অধ্যায় তারাবীহ, হাদীস ২০০৯) সুতরাং যদিও এটা ফরজ নয় তবে এটা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ অর্থাৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া তারাবীহর নামাজ বাদ দেওয়া উচিত নয় ।
    MD Mehedi Hasan Farazi
  • June 13
  • Sogood Islam Syeds
    6/13, 12:21am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন (১/৩৬১) : ছহীহ হাদীছ মতে তারাবীহর ছালাত কত রাক‘আত? -আব্দুর রহমান, বন্দর, চট্টগ্রাম। উত্তর : ১১ বা ১৩ রাক‘আত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রামাযান মাসে বিতর সহ ১১ রাক‘আতের বেশী রাতের ছালাত (তারাবীহ) আদায় করেননি (বুখারী ১/১৫৪ পৃঃ; মুসলিম ১/২৫৪ পৃঃ; আবুদাঊদ ১/১৮৯পৃঃ; নাসাঈ ১/১৯১ পঃ:; তিরমিযী ১-৯৯ পৃঃ; ইবনু মাজাহ ১/৯৬-৯৭ পৃঃ; মুওয়াত্ত্বা মালেক ১/৭৪ পৃঃ)। ওমর (রাঃ) উবাই বিন কা’ব ও তামীম দারী (রাঃ)-কে রামাযান মাসে লোকদের নিয়ে ১১ রাকা‘আত (তারাবীহ্র) ছালাত আদায়ের নির্দেশ দিয়েছিলেন (মুওয়াত্ত্বা ১/৭১ পৃঃ; মিশকাত হা/১৩০২, হাদীছ ছহীহ; ঐ বঙ্গানুবাদ হা/১২২৮ রামাযান মাসে রাত্রি জাগরণ অনুচ্ছেদ)। বঙ্গানুবাদ মিশকাতে মাওলানা নূর মোহাম্মদ আজমী মুওয়াত্ত্বা মালেক বর্ণিত উক্ত হাদীছের ব্যাখ্যায় দু’কুল বাঁচিয়ে লিখেছেন, ‘সম্ভবতঃ হযরত ওমর (রাঃ) প্রথমে বিতর সহ এগার রাকাত পড়ারই ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। পরে তাঁহার আমলেই তারাবীহ বিশ রাকাত স্থির হয়, অথবা স্থায়ীভাবে ২০ রাকাতই স্থির হয়, কিন্তু কখনও আট রাকাত পড়া হইত’ (ঐ, ৩/১৯৯)। উক্ত দাবী যে ভিত্তিহীন তা বলার অপেক্ষা রাখে না। শায়খুল হাদীছ মাওলানা আজিজুল হক স্বীয় বঙ্গানুবাদ বুখারীতে ১১ রাক‘আতের ছহীহ হাদীছের অপব্যাখ্যা করেছেন (ঐ, তারাবীর নামাজ অধ্যায় ২/১৯৬)এবং তাঁর হিসাব মতে ২০ রাক‘আতের সাত খানা যঈফ হাদীছ দিয়ে বুখারীর ছহীহ হাদীছকে রদ করার চেষ্টায় গলদঘর্ম হয়ে অবশেষে বলেন, ‘দুর্বল রাবী সম্বলিত কতিপয় হাদীছ একত্রিত ও একই মর্মে বর্ণিত হইলে তাহা গ্রহনীয় হইবে’ (ঐ)। মাওলানা মওদূদী একইভাবে কতগুলো জাল-যঈফ হাদীছ ও আছার একত্রিত করে যুক্তিবাদের সাহায্যে ছহীহ হাদীছ সমূহকে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছেন (দ্র: বঙ্গানুবাদ রাসায়েল ও মাসায়েল পৃঃ৩/২৮২-২৮৬: বঙ্গানুবাদ বুখারী (আধুনিক প্রকাশনী) ২/২৭৯-৮২ হা/১৮৭০-এর টীকা-২৮)। অথচ এটাই সর্বসম্মত মূলনীতি যে, ‘যখনই হাদীছ উপস্থিত হবে, তখনই যুক্তি বাতিল হবে’। এখানে ছহীহ হাদীছের বিধান সেটাই, যা উপরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও ওমর (রাঃ)-এর আমল দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, তোমাদের উপরে অপরিহার্য হ’ল, আমার সুন্নাত ও খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাত এবং তাকে মাড়ির দাঁত দিয়ে কামড়ে ধরা। তোমরা দ্বীনের মধ্যে বিদ‘আত সৃষ্টি করা হতে বিরত থাক। কেননা সকল বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা (আহমাদ, আবুদাঊদ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৬৫ ‘কিতাব ও সুন্নাহকে আকড়ে ধরা’ অনুচ্ছেদ)। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, মুওয়াত্ত্বায় বর্ণিত ইয়াযীদ বিন রূমান কর্তৃক যে বর্ণনাটি এসেছে যে, ‘লোকেরা ওমরের যামানায় ২৩ রাক‘আত তারাবীহ পড়ত’ একথাটি যঈফ। কেননা ইয়াযীদ বিন রূমান ওমর (রাঃ)-এর যামানা পাননি (দ্র: আলবানী, মিশকাত হা/১৩০২ টীকা-২)। অতএব ইজমায়ে ছাহাবা কর্তৃক ওমর, ওছমান ও আলীর যামানা থেকে ২০ রাক‘আত তারাবীহ সাব্যস্ত বলে যে কথা বাজারে চালু রয়েছে, তার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। একথাটি পরবর্তীকালে সৃষ্ট। হাদীছের বর্ণনাকারী ইমাম মালেক নিজে ১১ রাক‘আত তারাবীহ পড়তেন, যা রাসূল (ছাঃ) হ’তে প্রমাণিত (হাশিয়া মুওয়াত্ত্বা পৃঃ৭১; দ্র: তুহফাতুল আহওয়াযী শরহ তিরমিযী হা/৮০৩-এর ব্যাখ্যা ৩/৫২৬-৩২)। বিশ রাক‘আত তারাবীহ-এর প্রমাণে বর্ণিত হাদীছটি জাল (আলবানী, ইরওয়াউল গালীল হা/৪৪৫, ২/১৯১ পৃঃ)। ভারত বিখ্যাত হানাফী মনীষী আনওয়ার শাহ কাশ্মীরী (রহ:) বলেন, বিশ রাক‘আত সম্পর্কে যত হাদীছ এসেছে, তার সবগুলিই যঈফ (আরফুশ শাযী, তারাবীহ অধ্যায়, পৃঃ ৩০৯)। হেদায়া-র ভাষ্যকার ইবনুল হুমাম হানাফী বলেন, ২০ রাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং ছহীহ হাদীছ সমূহের বিরোধী (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/২০৫ পৃঃ)। আল্লামা যায়লাঈ হানাফী বলেন, বিশ রাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং ছহীহ হাদীছ সমূহের বিরোধী (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/২০৫পৃ:)। আল্লামা যায়লাঈ হানাফী বলেন, বিশ রাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত ছহীহ হাদীছের বিরোধী (নাছবুর রা’য়াহ ২/১৫৩ পৃ:)। আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলভী হানাফী বলেন, রাসূল (ছাঃ) থেকে বিশ রাক‘আত তারাবীহ প্রমাণিত নয়, যা বাজারে প্রচলিত আছে। এছাড়া ইবনু আবী শায়বাহ বর্ণিত বিশ রাক‘আতের হাদীছ যঈফ এবং ছহীহ হাদীছের বিরোধী (ফাৎহু সির্রিল মান্নান লিতা’য়ীদি মাযহাবিন নু‘মান, পৃঃ ৩২৭)। দেওবন্দ মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ক্বাসিম নানুতুবী বলেন, বিতরসহ ১১ রাক‘আত তারাবীহ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) থেকে প্রমাণিত, যা বিশ রাক‘আতের চাইতে যোরদার (ফুয়ূযে ক্বাসিমিয়াহ, পৃঃ১৮)। হানাফী ফিক্বহ কানযুদ দাক্বায়েক্ব-এর টীকাকার আহসান নানুতুবী বলেন, নবী করীম (ছাঃ) বিশ রাক‘আত তারাবীহ পড়েননি; বরং আট রাক‘আত পড়েছেন (হাশিয়া কানযুদ দাক্বায়েক্ব, পৃঃ৩৬: এ সংক্রান্ত বিস্তারিত আলোচনা দেখুন: শায়খ নাছিরুদ্দীন আলবানী প্রণীত ছালাতুত তারাবীহ নামক তথ্যবহুল গ্রন্থ; ছালাতুর রাসূল (ছাঃ) ৪র্থ সংস্করণ, পৃঃ ১৭৩-৭৮)।
    সত্যের মাঝে ফুটন্ত গোলাপ
  • Sogood Islam Syeds
    6/13, 12:38am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 13
  • Sogood Islam Syeds
    6/13, 4:16am

  • June 13
  • Sogood Islam Syeds
    6/13, 6:53pm

    Sogood Islam Syeds

    ইছলামিক জ্ঞানী (আলিম) প্রধানতঃ তিনি প্রকাৰ। বৈষম্যমূলক শিক্ষাৰ কাৰণে আলিমসকলৰ মাজত এই বিভক্তি। ইয়াতে মুছলিমসকল বহু দলত বিভক্ত হৈ এজনে আনজনৰ বিৰোধিতাত লিপ্ত আছে। ১)মাজহাবী আলিম (জ্ঞানী) আমাৰ দেশত তেওঁলোকক কওমী মাদ্রাছাত ১৬ বছৰৰ ভিতৰত ১৫ বছৰ কাল বান্দাৰ (ৰহঃ) লিখা ভুলেৰে ভৰা Note book (কিতাব) পঢ়োৱা হয়। ১৬তম বছৰত ৫০-৬০,০০০ হাদীছৰ কিতাব পঢ়োৱা হয়¸ যিসমূহ আলিমসকলে মনত ৰাখিবও নোৱাৰে। এওঁলোকৰ বেছিভাগ পীৰ-তৰিকা, আওলিয়াসকলৰ গল্প, মাজহাব, তাবিজ-কবজ ইত্যাদিত পাৰদর্শী হয়। কিছুমান আলিম কম চিন্তাশীল, বিদাতী, শ্বির্কী আৰু অশ্লীল বাক্য বিনিময়ত আসক্ত হয়। এওঁলোকৰ licence আছে, reference নাই। এওঁলোক সংখ্যাত সর্বাধিক হয়। ২) কুৰআন-ছুন্নাহভিত্তিক আলিম(জ্ঞানী) এওঁলোকে ১৫ বছৰ হাদীছ পঢ়ে- [১ বছৰ=৪০ হাদীছ (আৰবাইন)। ২ বছৰ=বুলুগুল মাৰাম। ২ বছৰ →মিশকাত। ৪ বছৰ →সোনালী আৰবাহ। ২ বছৰ →বুখাৰী, মুছলিম। ৪ বছৰ →মদিনাত হাদীছ গৱেষণা]। মুঠ ১৫ বছৰেই হাদীছ পঢ়োৱা হয়। সেইকাৰণে এওঁলোক কুৰআন আৰু ছুন্নাহত অধিক পাৰদর্শী হয় আৰু তেনেদৰে (কুৰআন আৰু ছুন্নাহভিত্তিক) আমল কৰে। এওঁলোকৰ licence আৰু reference আছে। এওঁলোক সংখ্যাত কম হয়। ৩)আধুনিক শিক্ষিত (জ্ঞানী) ডাক্তৰ, ইঞ্জিনিয়াৰ, প্রফেচৰ, সচিবসহ বিভিন্ন উচ্চপদস্থ চাকৰীজীৱিসকলে এটা পর্যায়ত নিজে আমল কৰাৰ কাৰণে, ধর্মীয় নিয়ম-কানুন শিকিবলৈ গৈ, সকলোতকৈ সহজ (ছূৰা ক্বামাৰ ৫৪: ১৭,২২,৩২,৪০ ৰ “আমি কুৰআনক সহজ কৰি দিছোঁ বুজাৰ বাবে। গতিকে, আছেনে কোনো চিন্তাশীল ব্যক্তি?) সূলভ আৰু নির্ভুল কিতাপ কুৰআন আৰু ইয়াৰ তর্জমা পঢ়ে। এই মেধাবী, উচ্চশিক্ষিত, অভিজ্ঞ, বয়স্ক তথা প্রতিষ্ঠিত বান্দাসকলে সহজতে আৰু অলপ সময়তে দ্বীন বুজি লব পাৰে আৰু তেওঁলোকে হাত বঢ়ালেই সুযোগ্য আলিমসকলৰ সৈতে সু-সম্পৰ্ক কৰি কুৰআন আৰু ছুন্নাহত পাৰদর্শী হয়। মূলতঃ এওঁলোকে কুৰআনৰ ছূৰা মুহাম্মদ ৪৭: ৩৩ নং আয়াতটো হুবহু মানি চলে। য’ত আল্লাহ তা‘আলাই কৈছে, ” হে মুমিনসকল! তোমালোকে আল্লাহৰ আনুগত্য কৰা, ৰাছূলৰ (চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম) আনুগত্য কৰা আৰু নিজৰ কর্ম বা আমল বিনষ্ট নকৰিবা।” দ্বীনত কোনো বান্দাৰ (ৰহঃ) পাণ্ডিত্য নচলে, সেইটো জানিয়েই এওঁলোকে মাজহাব, পীৰ, ওলী আদিত বিশ্বাসী নহয়। এওঁলোকৰ licence নাই reference আছে। এওঁলোক সংখ্যাত খুব কম হয়। এওঁলোকৰ প্রচাৰ পদ্ধতি আৰু ভাষা অত্যাধুনিক হোৱাত শিক্ষিত বান্দাসকলে সহজেই বুজিব পাৰে। #আলোচনাত বুজা গৈছে, প্রথম পর্যায়ৰ জ্ঞানীসকল মাজহাব আৰু পীৰ অনুসাৰী হয়। দ্বিতীয় আৰু তৃতীয় পর্যায়ৰ জ্ঞানীসকল কুৰআন আৰু ছুন্নাহৰ অনুসাৰী হয় আৰু এওঁলোকৰ মাজত প্ৰথম পৰ্যায়ৰ জ্ঞানীসকলৰ মতানৈক্য থাকে। —– ইছলাম আৰু সংগৃহীত (Edited)
    Abu Atika
  • Sogood Islam Syeds
    6/13, 9:46pm

    Sogood Islam Syeds

    কোনোবাই যদি নিৰপেক্ষভাবে আৰু বৈজ্ঞানিক বিচাৰ বিশ্লেষণৰ মাধ্যমে ইছলামৰ বক্তব্যসমূহ পৰীক্ষা-নিৰীক্ষা কৰি দেখিব বিচাৰে, তেনেহলে দেখিব পাৰিব যে ই আধুনিক বৈজ্ঞানিক তথ্যৰ লগত সামঞ্জস্যপূর্ণ। তদুপৰি বিজ্ঞানৰ সংশ্লিষ্ট বক্তব্য ও বাণী তাত আছে। তাৰপিছতো এইটো অচিন্তনীয় যে মুহাম্মাদৰ(ছঃ) সময়ৰ এজন মানুহ ইয়াৰ ৰচক হব পাৰে। আধুনিক বিজ্ঞানৰ দ্বাৰা সমর্থিত কিছু বক্তব্য তলত উল্লেখ কৰা হ’ল, (১) বিজ্ঞানে কেইদিনমান আগতে জানিব পাৰিছে যে – চন্দ্রৰ নিজৰ কোনো পোহৰ নাই। ✔ ছূৰা ফুৰক্বানৰ ৬১ নং আয়াতত কুৰআনত এইকথা কোৱা হৈছে প্রায় ১৪০০ বছৰ আগত। (২) বিজ্ঞানে মাত্র দুইশ বছৰ আগতে জানিব পাৰিছে যে- চন্দ্র আৰু সূর্য কক্ষ পথত ওপঙি চলিছে। ✔ ছূৰা আম্বিয়াৰ ৩৩ নং আয়াতত কুৰআনত এইকথা কোৱা হৈছে প্রায় ১৪০০ বছৰ আগত। (৩) ছূৰা কিয়ামাহ’ৰ ৩ ও ৪ নং আয়াতত ১৪০০ বছৰ আগতেই জনোৱা হৈছে- মানুহৰ আঙুলীৰ ছাপ দি মানুহক বেলেগভাবে চিনাক্ত কৰা সম্ভব! ✔ যিটো আজিৰ দিনত প্রমাণিত। (৪) “বিগব্যাং থিওৰি”ৰ আবিষ্কাৰ হয় মাত্র এক চল্লিছ বছৰ আগত। ✔ ছূৰা আম্বিয়াৰ ৩০ নং আয়াতত কুৰআনত এই কথা কোৱা হৈছে প্রায় ১৪০০ বছৰ আগত। (৫) পানি চক্রৰ কথা বিজ্ঞানে জানিব পৰা বেচিদিন হোৱা নাই। ✔ ছূৰা যুমাৰৰ ২১ নং আয়াতত কুৰআনে এইকথা কৈছে প্রায় ১৪০০ বছৰ আগত। (৬) বিজ্ঞানে সৌ সিদিনা জানিব পাৰিছে লবণাক্ত পানি আৰু মিষ্টি(মিঠা) পানি একেলগে মিশ্রিত নহয়। ✔ ছূৰা ফুৰকানৰ ৫৩ নং আয়াতত কুৰআনে এইকথা কৈছে প্রায় ১৪০০ বছৰ আগত। (৭) ইছলামে আমাক সোঁ দিশত ঘূৰি টুপনি যাবলৈ উৎসাহিত কৰিছে। ✔ বিজ্ঞানে কৈছে সোঁ দিশত ঘূৰি টুপনি গলে হার্টৰ বেমাৰ হোৱাৰ সম্ভবনা কম থাকে। (৮) ইছলামে গাহৰীৰ মাংসক হাৰাম কৰিছে। ✔ বিজ্ঞানে আজি কৈছে গাহৰীৰ মাংস লিভাৰ-হার্টৰ বাবে খুবেই ক্ষতিকৰক।
    অসমত ইচলাম প্ৰচাৰ -Q.A
  • June 14
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 12:54am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 3:48am

    Sogood Islam Syeds

    Sogood Islam Syeds added a new photo.
    (3)“হজৰত মহম্মদ(দঃ)ৰ পূর্ণাঙ্গ জীৱনধাৰাৰ চমু লেখ” By:- –চৈয়দ চ’গুড ইছলাম-sogoodislam@gmail.com +++++++++++++++++++++++++++++++++++++++++ আমাৰ বিচার্য্যৰ মূল সম্প্রদায় বা গোত্র হৈছে আৰবে মুস্তা’ৰিবা অর্থাৎ আদনানী আৰব। এই সম্প্রদায়ৰ এজন পূর্ব-পুৰুষ হজৰত ইব্রাহীম(আঃ) মূলতঃ “উৰ”ৰ বাসিন্দা আছিল। এই “উৰ” চহৰ ফোৰাত বা ইউফ্রেটিচ নদীৰ পাৰৰ “কুফাৰ” একেবাৰে ওচৰত আছিল। ইয়াৰ প্রত্নতাত্বিক ভূ-গর্ভ খননৰ ফলত যিবোৰ শিলালিপি, পুথি-দলিল আদি পোৱা গৈছে তাৰ পৰা হজৰত ইব্রাহীম(আঃ)ৰ পূর্ব-পুৰুষ বংশধৰ সকলৰযে ধর্মিয়, সামাজিক অনুস্থানৰ অৱস্থাৰ নব-দিগন্তৰ উন্মোচন বিষয়ে বহু কথাই জানিব পৰা গৈছে।।।(ইয়াতে আমাৰ নিজস্ব চাইটত ক্লিক কৰক- http://syedjehu.wordpress.com/2014/08/25/ur-iraq/ )।।। উল্লেখ যোগ্যযে হজৰত ইব্রাহীমে(আঃ) উক্ত স্থানৰ পৰা হিজৰত কৰি “হাৰান” চহৰলৈ আহিছিল আৰু তাতেই মহান আল্লহ তা’লাই পৰম সন্মানিত “খলীলুল্লাহ” উপাধিৰে বিভূষিত কৰিছিল ।।(ইয়াতে ক্লিক কৰক-http://syedjehu.wordpress.com/2014/08/25/haran/) ।। হজৰত ইব্রাহীম(আঃ) সৰু কালৰ পৰাই এক আল্লা তা’লাৰ প্রতি বিশ্বাসী আছিল। তেখেতৰ আপোন পৰিয়ালবোৰ আছিল মূর্ত্তি পূজক। কি দৰে পূজাৰ বাবে তৈয়াৰ কৰা মূার্ত্তিবোৰ তেওঁ ভাঙি পেলাইছিল তাৰ বিষয়ে এই url ত ক্লিক কৰিলে গম পোৱা যাব।।(ইয়াতে ক্লিক কৰক-http://wp.me/p20yGy-66)।। মূর্ত্তি পূজক বোৰে কিদৰে হজৰত ইব্রাহীম(আঃ)ক মাৰিবৰ বাবে জুইত পেলাই দিছিল তাৰ আভাস পাবলৈ।।(ইয়াতে ক্লিক কৰক-http://wp.me/p20yGy-67)।। এটা সময়ত হজৰত ইব্রাহীম(আঃ) মিছৰত(Egypt) উপনীত হৈছিল। সেই সময়ত মিছৰৰ বাদশাহ ফেৰাউনে(the territory of a tyrant) তেওঁৰ মন্ত্রীৰ মুখত হজৰত ইব্রাহীম(আঃ)ৰ স্ত্রী বিবী “সা-ৰা”ৰ অপৰিসীম ৰূপ-লাৱণ্যৰ কথা শুনি তেওঁৰ প্রতি আকৃষ্টহৈ অসৎ উদ্দেশ্যত মন পোষণ কৰে। ইয়াতেই বিবী “সা-ৰা”ই ঘৃণা আৰু ক্ষুভিতহৈ মহান আল্লহ তা’লাৰ ওচৰত তাৎক্ষাণিক প্রার্থনা কৰে। আল্লহ তা’লাই “সা-ৰা”ৰ দোৱা কবুল কৰে। ফলশ্রুতিত বাদশাহ ফেৰাউন বিকাৰগ্রস্তহৈ পৰে। তেওঁ হাত-ভৰি লৰচৰ কৰিব নোৱাৰাহৈ পৰিল। অদৃশ্য শক্তিৰ দ্বাৰা শেষ জীৱনলৈকে তেনেদৰেই জর্জৰিতহৈ থাকিল।।(এই হদীচটিৰ বাবে ইয়াতে ক্লিক কৰক-http://wp.me/p20yGy-65)।। contd…in sha Allah…
    Sogood Islam Syeds
  • June 14
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 5:55pm

    Sogood Islam Syeds

    নারীদের ঋতু সংক্রান্ত মাসয়ালাগুলোর সঠিক উত্তর : নারীদের ঋতু সংক্রান্ত মাসয়ালাগুলোর সঠিক উত্তর জেনে নিন ইমাম মুহাম্মাদ বিন সালেহ আল-উসাইমিন রাহিমাহুল্লাহর “ফতোয়া আরকানুল ইসলাম” বইয়ের পবিত্রতা অধ্যায় থেকে।: গ্রন্থের নামঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম বিভাগের নামঃ পবিত্রতা লেখকের নামঃ শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ) __________________________ প্রশ্নঃ(১৭০) ঋতুর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ নির্দিষ্ট দিন বলে কি কিছু আছে?উত্তরঃ বিশুদ্ধ মতে ঋতুর সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ দিন নির্দিষ্ট বলে কিছু নেই। কেননা আল্লাহ বলেনঃঅর্থাৎ “আর তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে হায়েয সমপর্কে। বলে দাও, এটা অপবিত্র। কাজেই তোমরা হায়েয অবস্থায় স্ত্রী মিলন থেকে বিরত থাক। তখন পর্যন্ত তাদের সাথে সহবাসে লিপ্ত হবে না; যতক্ষণ না তারা পবিত্র হয়ে যায়।” (সূরা বাক্বারা- ২২২) এখানে স্ত্রী সহবাসের নিষিদ্ধতা নির্দিষ্ট দিনের সাথে সম্পর্কিত করা হয়নি। এর সম্পর্ক হচ্ছে অপবিত্রতা থেকে পবিত্র হওয়ার সাথে। এ থেকে বুঝা যায়, বিধানটির কারণ হচ্ছে ঋতু থাকা বা না থাকা। যখনই ঋতু পাওয়া যাবে, বিধান প্রযোজ্য হবে। যখনই পবিত্র হয়ে যাবে, তার বিধান সমূহও রহিত হবে। তাছাড়া নির্দিষ্ট দিন বেঁধে দেয়ার কোন দলীলও নেই। অথচ বিষয়টি বর্ণনা করে দেয়ার দরকার ছিল। বয়স বা দিনের নির্দিষ্টতা যদি শরীয়ত সম্মত হত, তবে তা অবশ্যই আল্লাহর কিতাব ও রাসূলুল্লাহ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সুন্নাতে বর্ণিত হত। অতএব এই ভিত্তিতে নারীদের কাছে পরিচিত স্রাব যখনই দেখা যাবে, নারী তখনই নিজেকে ঋতুবতী গণ্য করবে। এখানে কোন দিন নির্দিষ্ট করবে না। কিন্তু নারীর স্রাব যদি চলতেই থাকে বন্ধ না হয়, অথবা সামান্য সময়ের জন্য বন্ধ হয়, যেমন মাসে একদিন বা দু’দিন তবে তা ইসে-হাযার স্রাব (বা অসুস্থতা) বলে গণ্য হবে। ______________________________ প্রশ্নঃ(১৭৩) নির্গত স্রাবের ব্যাপারে নারী যদি সন্দিহান হয় যে, এটা কি হায়েযের রক্ত না কি ইসে-হাযার রক্ত না কি অন্য কিছুর রক্ত? এবং সে পার্থক্যও করতে পারে না। তবে সে উহা কি গণ্য করবে?উত্তরঃ আসল কথা হচ্ছে, নারীর গর্ভ থেকে নির্গত রক্ত হায়েযেরই হয়ে থাকে। কিন্তু যখন প্রমাণিত হয়ে যাবে যে, তা ইসে-হাযার স্রাব তখন ইসে-হাযা হিসেবে গণ্য করবে। অন্যথায় ইসে-হাযা কিনা সুস্পষ্টভাবে প্রমাণিত না হওয়া পর্যন্ত নির্গত রক্ত হায়েয বা ঋতু হিসেবেই গণ্য করবে। _______________________________ প্রশ্নঃ (১৭৫) জনৈক নারীর ঋতুর নির্দিষ্ট দিন ছিল ছয় দিন। অতঃপর এই দিনের পরিমাণ বৃদ্ধি হয়ে গেছে। সে এখন কি করবে? উত্তরঃ এই নারীর ঋতুর দিন ছিল ছয় দিন। কিন্তু তা বৃদ্ধিপ্রাপ্ত হয়ে নয় দিন বা দশ দিন বা এগার দিন হয়ে গেছে, তবে তা ঋতু হিসেবে গণ্য করে পবিত্র না হওয়া পর্যন্ত নামায-রোযা থেকে বিরত থাকবে। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ঋতুর জন্য নির্দিষ্ট সীমারেখা নির্ধারণ করে দেননি। আল্লাহ তা’আলা বলেন, “আর তারা তোমার কাছে জিজ্ঞাসা করে হায়েয সমপর্কে। বলে দাও, এটা অপবিত্র।” (সূরা বাকারা- ২২২) অতএব যতক্ষণ পর্যন্ত এই স্রাব অবশিষ্ট থাকবে, নারীও নিজ অবস্থায় থেকে পবিত্র হওয়ার পর গোসল করে ছালাত-ছিয়াম আদায় করবে। পরবর্তী মাসে যদি তার স্রাবের দিন কম হয়ে যায়, তবে স্লাব বন্ধ হলেই গোসল করে পবিত্র হয়ে যাবে। যদিও আগের মাসের সমান দিন পূর্ণ না হয়। মোটকথা নারী যতদিন ঋতু বিশিষ্ট থাকবে ততদিন সে ছালাত-ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে। চাই ঋতুর দিন পূর্ববর্তী মাসের বরাবর হোক বা কম হোক বা বেশী হোক। স্রাব বন্ধ হয়ে পবিত্র হলেই গোসল করবে। __________________________________ প্রশ্নঃ(১৭৬) জনৈক নারী মাসিক থেকে পবিত্র হওয়ার পর গোসল করে নামায শুরু করেছে। এভাবে নয় দিন অতিবাহিত হওয়ার পর আবার স্রাব দেখা গেছে। তিন দিন স্রাব প্রবাহমান ছিল। তখন নামায পড়েনি। তারপর পবিত্র হলে গোসল করে এগার দিন নামায আদায় করেছে। তারপর আবার তার স্বাভাবিক মাসিক শুরু হয়েছে। সে কি ঐ তিন দিনের নামায কাযা আদায় করবে? নাকি তা হায়েযের দিন হিসেবে গণ্য করবে?উত্তরঃ নারীর গর্ভ থেকে যখনই রক্ত প্রবাহিত হবে তখনই তা ঋতু বা হায়েয হিসেবে গণ্য হবে। চাই সেই ঋতুর সময় পূর্বের ঋতুর সময়ের চাইতে দীর্ঘ হোক বা কম হোক। ঋতু থেকে পবিত্র হওয়ার পাঁচ দিন বা ছয় দিন বা দশ দিন পর পুনরায় স্রাব দেখা গেছে, তবে সে পবিত্র হওয়ার অপেক্ষা করবে এবং নামায পড়বে না। কেননা এটা ঋতু। সর্বাবস্থায় এরূপই করবে। পবিত্র হওয়ার পর আবার যদি ঋতু দেখা যায়, তবে অবশ্যই নামায-রোযা থেকে বিরত থাকবে। কিন্তু স্রাব যদি চলমান থাকে- সামান্য সময় ব্যতীত কখনই বন্ধ না হয়, তবে তা ইসে-হাযা বা অসুস্থতা বলে গণ্য হবে। তখন তার নির্দিষ্ট দিন সমূহ শুধু ছালাত-ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে। ___________________________________ প্রশ্নঃ(১৭৭) ঋতু শুরু হওয়ার দু’দিন পূর্বে নারীর গর্ভ থেকে যে হলুদ রংয়ের তরল পদার্থ নির্গত হয় তার বিধান কি?উত্তরঃ হলুদ রংয়ের এই তরল পদার্থ যদি ঋতুর সময় হওয়ার পূর্বে নির্গত হয়, তবে তা কিছু নয়। কেননা উম্মে আত্বীয়্যা (রাঃ) বলেন, “আমরা হলুদ রং ও মেটে রংয়ের তরল পদার্থ বের হলে তা কোন কিছুই গণ্য করতাম না।” (বুখারী) আবু দাঊদের বর্ণনায় এসেছে, উম্মে আত্বীয়্যা (রাঃ) বলেন, “পবিত্র হওয়ার পর হলুদ রং ও মেটে রংয়ের তরল পদার্থ বের হলে আমরা তাকে কোন কিছুই গণ্য করতাম না।” ঋতুর পূর্বের এই হলুদ রংয়ের তরল পদার্থ যদি ঋতু বের হওয়ার সাথে সাথে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়, তবে তা কোন কিছু নয়। কিন্তু নারী যদি উহা ঋতুর সূচনা স্বরূপ মনে করে, তবে তা ঋতু হিসেবে গণ্য করবে এবং পবিত্র হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করবে। ___________________________________ প্রশ্নঃ(১৭৮) পবিত্র হওয়ার পর হলুদ রং ও মেটে রংয়ের তরল পদার্থ বের হওয়ার বিধান কি?উত্তরঃ ঋতুর ক্ষেত্রে নারীদের সমস্যা সাগরতুল্য যার কোন কুল কিনারা নেই। এর অনেক কারণের মধ্যে অন্যতম একটি কারণ হচ্ছে, গর্ভ বা মাসিক নিরোধক ঔষধ ব্যবহার করা। পূর্বে মানুষ এত ধরণের সমস্যা সম্পর্কে অবগত ছিল না। সন্দেহ নেই সৃষ্টি লগ্ন থেকে নারীর নানান সমস্যা রয়েছে। কিন্তু বর্তমানে এর আধিক্য এত বেশী যে মানুষ তার সমাধানের ক্ষেত্রে হয়রান হয়ে যায়; যা দুঃখজনক বিষয়। তবে মূলনীতি হচ্ছে, নারী যদি নিশ্চিতভাবে ঋতু থেকে পবিত্রতা দেখতে পায়, যেমন নারীদের কাছে পরিচিত সাদা পানি বের হওয়া, বা হলুদ বা মেটে রং বের হওয়া বা ভিজা পাওয়া এগুলো সবই হায়েয বা ঋতু নয়। এগুলো নামায বা ছিয়াম থেকে বাধা দিবে না। স্বামী সহবাসে বাধা থাকবে না। কেননা এটা হায়েয নয়। উম্মু আতিয়্যা (রাঃ) বলেন, “পবিত্র হওয়ার পর হলুদ রং ও মেটে রংয়ের তরল পদার্থ বের হলে, আমরা তা কোন কিছুই গণ্য করতাম না।” এর সনদ ছহীহ। এই ভিত্তিতে, নিশ্চিতভাবে পবিত্র হওয়ার পর এ ধরণের যা কিছুই ঘটুক, তাতে নারীর কোন অসুবিধা নেই। ছালাত-ছিয়াম ও স্বামী সহবাসে কোন বাধা নেই। কিন্তু পবিত্রতা না দেখা পর্যন্ত তাড়াহুড়া করবে না। কেননা কোন কোন নারী রক্ত বের হওয়াতে কিছুটা শুস্কতা দেখলেই পবিত্রতার চিহ্ন না দেখেই তাড়াহুড়া করে গোসল করে নেয়। এই জন্য মহিলা ছাহাবীগণ উম্মুল মু’মেনীন আয়েশা (রাঃ)কে দেখানোর জন্য তুলা নিয়ে আসতেন যাতে পীত রংয়ের তরল পদার্থ লেগে থাকতো। তখন তিনি তাদেরকে বলতেন, “সাদা পানি নির্গত না হওয়া পর্যন্ত তোমরা তাড়াহুড়া করবে না।” ___________________________________ প্রশ্নঃ(১৭৯) ঋতু বন্ধ করার জন্য ঔষধ (ট্যাবলেট) ব্যবহার করার বিধান কি?উত্তরঃ ঋতু বন্ধ করার জন্য ঔষধ (ট্যাবলেট) ব্যবহার করলে স্বাস্ত্যগত দিক থেকে কোন ক্ষতির সম্ভাবনা না থাকলে, তাতে কোন অসুবিধা নেই। তবে তাতে স্বামীর অনুমতি থাকতে হবে। কিন্তু এযাবত আমি যা জেনেছি তাতে এ সমস্ত ঔষধ নারীর জন্য ক্ষতিকারক। একথা সবার জানা যে, মাসিকের রক্ত প্রবাহিত হওয়াটা খুবই স্বাভাবিক। আর সময় মত স্বাভাবিক বিষয়ের গতিতে বাধা দিলে সেখানে অবশ্যই ক্ষতির আশংকা থাকে। নারীর শরীরে তার ক্ষতিকর প্রভাবও লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া ইহা ব্যবহার করলে অনেক সময় নারীর স্বাভাবিক মাসিক বাধাগ্রস্ত হয় এবং সে পেরেশানী ও সন্দেহের মধ্যে পতিত হয়। নামায-রোযা ও স্বামীর সাথে সহবাসের ক্ষেত্রে অসুবিধার সম্মুখিন হয়। এ জন্য আমি বলিনা যে এটা হারাম। কিন্তু নারীর ক্ষতির দিক চিন্তা করে বলি, এটা ব্যবহার করা উচিত নয়। আমার মতে এ পদক্ষেপ পসন্দনীয় নয়। আরো বলি, আল্লাহ নারীর জন্য যা নির্ধারণ করে দিয়েছেন, তাতেই তার সন্তুষ্ট থাকা উচিত। বিদায় হজ্জে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) উম্মুল মু’মেনীন আয়েশা (রাঃ)এর ঘরে গিয়ে দেখেন তিনি কাঁদছেন। তখন আয়েশা (রাঃ) ওমরার ইহরাম বেঁধেছিলেন। তিনিতাঁকে বললেন, “কি হয়েছে তোমার, কাঁদছো কেন? আয়েশা (রাঃ) বললেন, আমি বললাম, আল্লাহর শপথ এ বছর আমি হজ্জ না করলেই ভাল হত। তিনি বললেন, সম্ভবতঃ তুমি ঋতুবতী হয়ে গেছো? আমি বললাম, হ্যাঁ। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, এটা এমন এক বিষয় যা আল্লাহ তা’আলা আদম সন্তানের মেয়েদের জন্য লিখে দিয়েছেন। (সুতরাং দুঃখ করার কিছু নেই।) অতএব নারীর উচিত হচ্ছে, এ সময় ধৈর্য ধারণ করা। ঋতুর কারণে ছালাত-ছিয়াম করতে না পারলে তো আল্লাহর যিকিরের দরজা উম্মুক্ত রয়েছে। তাসবীহ-তাহলীল করবে, দান্তসাদকা করবে, মানুষের সাথে সদাচরণ করবে, কথা-কাজে মানুষের উপকার করার চেষ্টা করবে, ইত্যাদি কাজ তো সুন্দর ও অত্যাধিক ফযীলতপূর্ণ আমল। __________________________ প্রশ্নঃ (১৮৩) অসুস্থতার কারণে যদি কোন নারীর রক্তস্রাব নির্গত হতেই থাকে, তবে কিভাবে সে ছালাত ও ছিয়াম আদায় করবে? উত্তরঃ এই নারীর অসুখ শুরু হওয়ার পূর্বে তথা গত মাসে তার ঋতুর যে দিন তারিখ নির্দিষ্ট ছিল, সেই নির্দিষ্ট দিন সমূহে সে নিজেকে ঋতুবতী হিসেবে গণ্য করে ছালাত-ছিয়াম প্রভৃতি থেকে বিরত থাকবে। উদাহরণ স্বরূপ বিগত মাসগুলোর প্রথম দিকে তার ছয়দিন ঋতু ছিল, তারপর এক সময় তার অসুখ শুরু হয়েছে, এক্ষেত্রে সে প্রত্যেক মাসের প্রথম দিকে ছয় দিন অপেক্ষা করবে এবং ছালাত ছিয়াম থেকে বিরত থাকবে। এ দিন সমূহ শেষ হলেই গোসল করে ছালাত-ছিয়াম আদায় করবে। এ নারী বা তার মত নারীদের নামাযের পদ্ধতি হচ্ছে, ক) ফরয নামাযের সময় হওয়ার পর পূর্ণাঙ্গরূপে লজ্জাস্থান ধৌত করবে। খ) তারপর সেখানে প্যাড বা পট্টি জাতীয় কোন কিছু বেঁধে দিবে, গ) এরপর ওযু করবে এবং নামায আদায় করবে। নামাযের সময় উপস্থিত হওয়ার পূর্বে এরূপ ওযু ইত্যাদি কাজ করবে না। ফরয নামাযের সময় ব্যতীত অন্য সময় নফল নামায পড়তে চাইলেও এভাবে ওযু ইত্যাদি করবে। এ অবস্থায় যেহেতু বারবার এতকাজ করা তার জন্য কষ্টসাধ্য ব্যাপার, তাই দু’নামাযকে একত্রিত করা জায়েয। যোহরের সাথে আছরের নামায আদায় করে নিবে বা আছরের সাথে যোহরের নামাযকে আদায় করবে। এবং মাগরিবের সাথে এশার নামায আদায় করবে অথবা এশার সময় মাগরিব ও এশার নামায আদায় করবে। যাতে করে তার একবারের পরিশ্রম দু’নামায যোহর ও আছরের জন্য যথেষ্ট হয় এবং দ্বিতীয়বারের পরিশ্রম মাগরিব ও এশার জন্য যথেষ্ট হয়। আর একবার ফজর নামাযের জন্য। অর্থাৎ- পাঁচবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাযের জন্য লজ্জাস্থান ধৌত করা, পট্টি বাঁধা, ওযু করা প্রভৃতি কষ্টকর বিষয়। তাই এর পরিবর্তে তিনবারেই একাজ আদায় হয়ে যাবে। কষ্টও অনেক লাঘব হবে। (আল্লাহই তাওফীক দাতা ও তিনিই অধিক জ্ঞাত আছেন) _________________
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 7:08pm

    Sogood Islam Syeds

    রামাযানের প্রথম দশকে যাকাতুল ফিতর (ফিতরা) আদায় করার বিধান কি? – – উত্তর: যাকাতুল ফিতর শব্দটির নামকরণ করা হয়েছে রোযা ভঙ্গকে কেন্দ্র করে। রোযা ভঙ্গ বা শেষ করার কারণেই উক্ত যাকাত প্রদান করা আবশ্যক। সুতরাং উক্ত নির্দিষ্ট কারণের সাথেই সংশ্লিষ্ট রাখতে হবে, অগ্রিম করা চলবে না। একারণে ফিতরা বের করার সর্বোত্তম সময় হচ্ছে ঈদের দিন নামাযের পূর্বে। কিন্তু ঈদের একদিন বা দু’দিন আগে তা আদায় করা জায়েজ। কেননা এতে প্রদানকারী ও গ্রহণকারীর জন্য সহজতা রয়েছে। কিন্তু এরও আগে বের করার ব্যাপারে বিদ্বানদের প্রাধান্য যোগ্য মত হচ্ছে তা জায়েজ নয়। এই ভিত্তিতে ফিতরা আদায় করার সময় দু’টি: ১) জায়েজ বা বৈধ সময়। তা হচ্ছে ঈদের একদিন বা দু’দিন পূর্বে। ২) ফযীলতপূর্ণ উত্তম সময়। তা হচ্ছে ঈদের দিন – ঈদের নামাযের পূর্বে। কিন্তু নামাযের পর পর্যন্ত দেরী করে আদায় করা হারাম। ফিতরা হিসেবে কবুল হবেনা। ইবনে আব্বাসের হাদিসে বর্ণিত হয়েছে: مَنْ أَدَّاهَا قَبْلَ الصَّلَاةِ فَهِيَ زَكَاةٌ مَقْبُولَةٌ وَمَنْ أَدَّاهَا بَعْدَ الصَّلَاةِ فَهِيَ صَدَقَةٌ مِنَ الصَّدَقَاتِ “নামাযের পূর্বে যে উহা আদায় করে তার যাকাত গ্রহণযোগ্য। আর যে ব্যক্তি নামাযের পর আদায় করবে তার জন্য উহা একটি সাধারণ সাদ্‌কা বা যাকাত হিসেবে গণ্য হবে।” [ আবু দাউদ, অধ্যায়: যাকাত, অনুচ্ছেদ: যাকাতুল ফিতর, ইবনু মাজাহ্, অধ্যায়: যাকাত, অনুচ্ছেদ: সাদাকা ফিতর] তবে কোন লোক যদি জঙ্গল বা মরুভূমি বা এ ধরণের জন মানবহীন কোন সস্থানে থাকার কারণে ঈদের দিন সম্পর্কে অজ্ঞ থাকে এবং ঈদের নামায শেষ হওয়ার পর সে সম্পর্কে অবগত হয়, তবে ঈদের পর ফিতরা আদায় করলেও তার কোন অসুবিধা হবে না।
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 7:19pm

    Sogood Islam Syeds

    জঙ্গিবাদের কর্মকাণ্ড ইসলাম গ্রহন করে না ♦একজনকে হত্যা করা সকল মানুষকে হত্যার সামিল। মহান আল্লাহ বলেন,” কাউকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা বা দুনিয়াতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা ব্যাতিরেকে যে ব্যক্তি কাউকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকেই হত্যা করল এবং যে কারও জীবন রক্ষা করল, সে পৃথিবীর সকল মানুষের জীবন রক্ষা করল”(সুরা মায়েদা:৩)! ♦হত্যাকারী আল্লাহর নিকট #অভিশপ্ত_ক্রোধভাজন_জাহান্নামী। আল্লাহ বলেন,” যে ব্যক্তি স্বেচ্ছায় কোন মানুষকে হত্যা করবে, তার শাস্তি জাহান্নাম। তাতেই চিরকাল থাকবে। আল্লাহ তার উপর। ক্ষুব্ধ হন,তাকে অভিশপ্ত করেন এবং তার জন্য ভয়াবহ শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।”(সুরা আন নিসা:৯৩) ♦ইসলাম #আত্বঘাতী_হামলাকে সমর্থন করে না। আল্লাহ বলেন,” তোমরা নিজেদের জীবনকে ধ্বংশের মুখে টেলে দিও না আর মানুষের প্রতি সদাচারণ কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাচারণকারীদের ভালবাসেন।” (বাকারা:১১৫) ♦#মুসলিম_হত্যা মহাপাপ। রসুল(স) বলেন,” যে ব্যক্তি নিজেকে কোন বস্তু দ্বারা হত্যা করবে কিয়ামতের দিন তাকে সে বস্তু দারাই শাস্তি দেয়া হবে”(বুখারী, মুসলিম, দাউদ, নাশাঈ) রসুল(স) বলেন,” আল্লাহর নিকট #সারা_দুনিয়া_ধ্বংস_হওয়ার_চেয়েও_গুরুতর_বিষয়_হচ্ছে_কোন_মুসলিমকে_হত্যা_করা”(তিরমিঝি:১৩৯৫) ♦#ভীতি_প্রদর্শন_করা বৈধ নয়। রসুল(স) বলেন,” কোন মুসলিম কর্তৃক অপর মুসলিম ভাইকে আতংকিত করা বৈধ নয়”(দাউদ:৫০০৪)। ♦মুসলিম ভাইকে মুখ ও হাত দ্বারা কষ্ট প্রদান মুসলিমের কাজ নয়। রসুল(স) বলেন,” সরকারের কথা শুনবে ও তার অনুগত্য করবে যদিও তোমাকে প্রহার করা হয় কিংবা তোমার সম্পদ ছিনিয়ে নেয়া হয়”(মুসলিম:১৮৪৭)। ★::::>সকলে মিলে এদের প্রতিরোধ করি ও এদের প্রশাসনের কাছে ধরিয়ে দিই।<:::::★
    Mahbubul Islam Khokon
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 8:02pm

    Sogood Islam Syeds

    নামাজ নপঢ়ি ৰোজা পালন কৰিলে কবুল হব নে? সমস্ত প্রশংসা আল্লাহৰ বাবে। পোনপ্ৰথমেই এটা কথা জানি থোৱা উচিত যে বেনামাজীৰ যাকাত, ৰোজা, হজ্জ ইত্যাদি কোনো আমলেই কবুল নহয় ৷ ইমাম বুখাৰী (৫২০) বুৰাইদা (ৰাঃ)ৰ পৰা বর্ণিত আছে যে, তেঁও কৈছে ৰাছুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম কৈছিল َ “যি ব্যক্তিয়ে আছৰৰ নামায ত্যাগ কৰে তাৰ সকলো আমল নিষ্ফল হৈ যায়।” “তাৰ আমল নিষ্ফল হৈ যায়” ইয়াৰ অর্থ হল: আমল বাতিল হৈ যায় আৰু সেই আমল তাৰ কোনো কামত নাহে, এই হাদিছে প্রমাণ কৰে যে, বেনামাজীৰ কোনো আমল আল্লাহে কবুল নকৰে আৰু বেনামাজীয়ে সেই আমলৰ দ্বাৰা কোনো ভাবেই উপকৃত নহব। তাৰ কোনো আমলেই আল্লাহৰ ওচৰত উপস্থাপন কৰা নহব ৷ ইবনুল কায়্যিম তাঁৰ ‘আছ-স্বালাত’ (পৃ-৬৫) নামৰ গ্রন্থত এই হাদিছৰ আলোচনা কৰি কৈছে – “এই হাদিছৰ পৰা বুজা যায় যে, নামায ত্যাগ কৰা দুই প্রকাৰ: (১) সম্পূর্ণভাবে ত্যাগ কৰা যেনে কোনো নামাজেই নপঢ়া। এই ব্যক্তিৰ সমস্ত আমল বিফল হৈ যাব। (২) বিশেষ কোনো দিনত বিশেষ কোনো নামাজ ত্যাগ কৰা। এইক্ষেত্রত তাৰ উক্ত দিনৰ আমল বিফলত যাব। অর্থাৎ স্বাভাৱিকভাবে নামাজ ত্যাগ কৰিলে তাৰ সকলো আমল বিফলত যাব। আৰু বিশেষ নামায ত্যাগ কৰিলে সেই বিশেষ দিনৰ আমল বিফলত যাব ৷” “ফাতাওয়াছ ছিয়াম” (পৃ-৮৭) গ্রন্থত আছে শাইখ ইবনে উছাইমীনক বেনামাজীৰ ৰোজা ৰখাৰ হুকুম সম্পর্কে প্রশ্ন কৰা হৈছিল, তেখেতে উত্তৰত কৈছিল: বেনামাজীৰ ৰোজা শুদ্ধ নহয় আৰু সেইয়া গ্রহনযোগ্যও নহয়। কাৰণ নামাজ ত্যাগকাৰী কাফেৰ, মুৰতাদ। ইয়াৰ সপক্ষে দলিল হৈছে- আল্লাহ্ তাআলাৰ বাণী: “আৰু যদি সিহতে তওবা কৰে, নামাজ পঢ়ে আৰু যাকাত দিয়ে তেনেহলে সিঁহতে তোমাৰ দ্বীনি ভাই।” [৯ ছুৰাা আত্ তওবা: ১১] নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ৰ বাণী: “কোন ব্যক্তিৰ মাজত আৰু শির্ক- কুফৰিৰ মাজত পার্থক্য হৈছে নামাজ বর্জন কৰা।” [সহিহ মুসলিম (৮২)] আৰু ৰাছুলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লাম ৰ বাণী – “আমাৰ আৰু সিঁহতৰ মাজত চুক্তি হল নামাজৰ। গতিকে যি ব্যক্তিয়ে নামাজ ত্যাগ কৰিলে তেঁও কুফৰি কৰিল।” [জামে তিৰমিযী (২৬২১), আলবানী ‘ছহীহ আত-তিরমিযী’ গ্রন্থত হাদিছটোক ছহিহ বুলি চিহ্নিত কৰিছে ] প্রসিদ্ধ তাবেয়ী আব্দুল্লাহ ইবনে শাক্বিক ৰাহিমাহুমুল্লাহ কৈছিল: “নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ছাল্লামৰ ছাহাবীসকলে নামাজ ব্যতিত অন্য কোনে আমল ত্যাগ কৰাক কুফৰি বুলি নাভাবিছিল ৷” পূর্বোক্ত আলোচনাৰ ভিত্তিত কব পাৰি, যদি কোন ব্যক্তিয়ে ৰোজা ৰাখে; কিন্তু নামায নপঢ়ে তেনেহলে তাৰ ৰোজা গ্রহণযোগ্য নহয় আৰু সেই ৰোজাৰ পূণ্য কিয়ামতৰ দিনা কোন উপকাৰত নাহে ৷ আমি এনে ব্যক্তিক কম আগত নামাজ পঢ়ক , তাৰ পাছত ৰোজা ৰাখক। আপুনি যদি নামাজ নপঢ়ে, কিন্তু ৰোজা ৰাখে তেনেহলে আপুনাৰ ৰোজা প্রত্যাখ্যাত হব; কাৰণ কাফেৰৰ কোনো ইবাদত কবুল নহয়।” শ্বেইখ ইবনে উছাইমিন (ৰাহিমাহুল্লা) কৈছে বেনামাজিৰ অমুছলিম আৰু তেওঁৰ ৰোজা কবুল নহয়। Fataawa al- Siyaam (p. 87)
    অসমত ইচলাম প্ৰচাৰ -Q.A
  • June 14
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 11:37pm

    Sogood Islam Syeds

    ইউরোপের এক খৃষ্টান ডাক্তার মুসলমানদের হাঁচি নিয়ে গবেষণা করছিলেন যে,মুসলমানরা হাঁচির পর ‘আলহামদু লিল্লাহ”পড়ে কেন? সাধারণত কোন সুসংবাদ পেলে মুসলমানরা আলহামদুলিল্লাহ পড়ে। হাঁচিতে কিসের সুসংবাদ? অনেক গবেষণার পর তথ্য উদঘাটন হল যে, একটি হাঁচির সাথে তিন হাজার রোগ- জীবাণু বেরিয়ে যায় আর মানুষ স্বাভাবিক অবস্থায় একসাথে দু’টি হাঁচি দেয়। এভাবে দু’টি হাঁচির সাথে ছয় হাজার রোগ জীবাণু বেরিয়ে যায়। তিনি ভাবলেন এ তথ্য বের করতে আমার অন্তত বিশ বছর লেখা-পড়া করতে হয়েছে। আরো কত যন্ত্রপাতি ব্যবহার করতে হয়েছে। কিন্তু যে যুগে মুসলমানদের নবী এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন সে যুগেতো এত মেশিন ছিল না আর তিনি তো দুনিয়ার কারোর কাছে লেখা-পড়াও শিখেন নি। তিনি এগুলো জানলেন কিভাবে? নিশ্চই তিনি সত্য নবী। আল্লাহ পাক তাঁকে জানিয়েছেন বিধায় তিনি তাঁর উম্মতদেরকে এ শিক্ষা দিয়ে গেছেন যে, হাঁচির পর ‘আলহামদু লিল্লাহ” পড়বে। অতএব তিনি সত্য নবী। ফলশ্রুতিতে ঐ খৃষ্টান ডাক্তার একা নয় বরং স্বপরিবারে মুসলমান হয়ে গেছেন। . ________সুবাহান আল্লাহ____
    মোস্তাকিম মৃধা রাজকুমার
  • Sogood Islam Syeds
    6/15, 1:06am

    Sogood Islam Syeds

    হুজুর যাকাতের নিয়্যাতটা বলে দেন প্লিজ ~~“~~“~~“~~“~~“~~“~~“~~ সালাতের নিয়্যাত হলো “নাওয়্যাই তুওয়ান উসালিয়া লিল্লাহি…” সাওমের নিয়্যাত হলো “নাওয়্যাই তুওয়ান আসুমা গাদাম…..” যাকাতের নিয়্যাত হলো “নাওয়্যাই তুওয়ান ”??? ! আজ একজন জানতে চাইলো, ‘যাকাতের নিয়্যাত কি?’ আমি বললাম, -নিয়্যাত মানে? সে বললো, -ঐ যে সালাত ও রোজার যেমন নিয়্যাত আছে তেমনি আর কি! – আমি বুঝতে পারলাম। এর পর বেহেশতী জেওর-এ তন্ন তন্ন খুঁজে কোথায়ও যাকাতের নিয়্যাত হিসাবে নাওয়্যাই তুওয়ান বা এই জাতীয় কোন কিছু দেখলাম না। অথচ ইসলামের দুটি স্তম্ভ সালাত ও সাওমের নিয়্যাত হিসাবে “নাওয়্যাই তুওয়ান” সম্পূর্ণ অর্থ ও ব্যাখ্যা সহ রয়েছে। বেহেশতী জেওরের লেখক হলো কুতবে দাওরান মুজাদ্দিদে যমান হাকিমুল উম্মত আকবীরে দেওবন্দ হযরত মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহ.)। খুব চিন্তায় পড়ে গেলাম। থানবী সাহেব এটা কোন কাজ করলেন? এতবড় একটা মিসটেক তিনি করলেন কিভাবে? আমরা এখন কি করবো? ভুলেই গিয়েছিলাম যে আল্লাহর অলীরা কবরে জীবিত(!) চলুন ‘নওয়্যাই তুওয়ান’ এর আবিষ্কারক থানভীর কবরে গিয়ে তাঁকে সাওয়াল করি, -“যাকাত প্রদানের সময় নিয়্যাত হিসাবে ‘নাওয়্যাই তুওয়ান..’ এর পর কি বলতে হবে?” – কবর থেকে হাত বের না হউক, জবাব তো নিশ্চয়ই বের হবে, তাই না? ! _____________ মুখে উচ্চারণে নিয়্যাত পড়া কতক ফতুয়া মুন্সীদের উদ্ভাবন যা ইসলামে নব আবিষ্কৃত বিদ’আত! – পোষ্টঃJul 04, 2015 10:14pm সংগ্রহ – Abu Anas
    Shahanaj Amin
  • June 16
  • Sogood Islam Syeds
    6/16, 12:31am

    Sogood Islam Syeds

    ভালো ছেলে added a new photo.
    কচ্ছপ ও ব্যাঙ খাওয়া যাবে কি? কেউ খেয়ে ফেললে তার জন্য করণীয় কি? উত্তর : রুচি হ’লে কচ্ছপ খেতে পারে। কারণ কচ্ছপ জলজ প্রাণীর অন্তর্ভুক্ত। আর আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের কল্যাণার্থে তোমাদের জন্য সমুদ্রের শিকার ও সমুদ্রের খাদ্য হালাল করা হয়েছে’ (মায়েদাহ ৫/৯৬)। আয়াতটির ব্যাখ্যায় হাসান বছরী বলেন, কচ্ছপে কোন দোষ নেই (বুখারী হা/৫৪৯৩, তরজমাতুল বাব ২/৮৫৪ পৃঃ)। তবে ব্যাঙ খাওয়া বৈধ নয়। কেননা রাসূল (ছাঃ) ব্যাঙ মারতে নিষেধ করেছেন। আবূ হুরায়রা (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছুরাদ পাখি, ব্যাঙ, পিঁপীলিকা ও হুদহুদ পাখি মারতে নিষেধ করেছেন (আবুদাউদ হা/৫২৬৭, ইবনু মাজাহ হা/৩২২৩; মিশকাত হা/৪১৪৫)। কেউ খেয়ে ফেললে তওবা করবে।
    ভালো ছেলে
  • Sogood Islam Syeds
    6/16, 1:22am

    Sogood Islam Syeds

    আসুন দেখি হানাফী মাজহাবের ঘরের ইমাম তারাবীহ / তাহাজ্জুদ ছালাত এর রাকআত সংখ্যা কত বর্ণনা করেছেন। 100 – مُحَمَّدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو حَنِيفَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مَا بَيْنَ صَلَّاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً: ثَمَانِي رَكَعَاتٍ تَطَوُّعًا، وَثَلَاثَ رَكَعَاتٍ الْوِتْرَ، وَرَكْعَتَيِ الْفَجْرِ ” ইমাম মুহাম্মদ বলেন, “আবূ হানীফা আমাদের জানিয়েছেন, যিনি বলেন, আমাদের নিকট আবূ জাফর বর্ণনা করেছেন, যিনি বলেছেন, নবী (সাঃ) ইশা ও ফজরের সালাতের মধ্যে ১৩ রাকআত পড়তেন, যার ৮ রাকআত নফল, ৩ রাকআত বিতর, এবং দুই রাকআত ফজরের সালাতের সুন্নাত ছিল।” (আছার মুহাম্মাদ বিন হাসান ১/২৩৪,১০০, দারুল কুতুব ইলমিয়াহ, বৈরুত, লেবানন) ►সনদের আবু জাফর একজন ‘সিক্বাহ’ রাবী। ইমাম ইবন হিব্বান তার ‘সিক্বাহ’ গ্রন্থে (৫/৩৪৮,৫১৬০) এনাকে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল এনাকে ‘সিক্বাহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। (موسوعة أقوال الإمام أحمد بن حنبل في رجال ৩/২৯৫, ২৩৮৯) এই হাদীছের সনদ ছহীহ।
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • June 16
  • Sogood Islam Syeds
    6/16, 1:09pm

    Sogood Islam Syeds

    আসুন দেখি হানাফী মাজহাবের ঘরের ইমাম তারাবীহ / তাহাজ্জুদ ছালাত এর রাকআত সংখ্যা কত বর্ণনা করেছেন। 100 – مُحَمَّدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو حَنِيفَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مَا بَيْنَ صَلَّاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً: ثَمَانِي رَكَعَاتٍ تَطَوُّعًا، وَثَلَاثَ رَكَعَاتٍ الْوِتْرَ، وَرَكْعَتَيِ الْفَجْرِ ” ইমাম মুহাম্মদ বলেন, “আবূ হানীফা আমাদের জানিয়েছেন, যিনি বলেন, আমাদের নিকট আবূ জাফর বর্ণনা করেছেন, যিনি বলেছেন, নবী (সাঃ) ইশা ও ফজরের সালাতের মধ্যে ১৩ রাকআত পড়তেন, যার ৮ রাকআত নফল, ৩ রাকআত বিতর, এবং দুই রাকআত ফজরের সালাতের সুন্নাত ছিল।” (আছার মুহাম্মাদ বিন হাসান ১/২৩৪,১০০, দারুল কুতুব ইলমিয়াহ, বৈরুত, লেবানন) ►সনদের আবু জাফর একজন ‘সিক্বাহ’ রাবী। ইমাম ইবন হিব্বান তার ‘সিক্বাহ’ গ্রন্থে (৫/৩৪৮,৫১৬০) এনাকে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল এনাকে ‘সিক্বাহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। (موسوعة أقوال الإمام أحمد بن حنبل في رجال ৩/২৯৫, ২৩৮৯) এই হাদীছের সনদ ছহীহ।
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • June 18
  • Sogood Islam Syeds
    6/18, 12:22am

    Sogood Islam Syeds

    আমি:- কিন্তু, ভাই দরুদে হাজারি আশি বার পড়লে আশি বছরের গুনা মাফ হয় এটা তো জাল হাদিস। কোন সহিহ সনদে আসেনি, সমাজে প্রচলিত বিদা’আত। কোন দলিল প্রমান নেই। জৈনেক:- সব কিছুতে দলিল প্রমান খোজা ইহুদি নাসারার কাজ। আমি:- ভাই, ইমাম আবু হানিফা (রাহ:) বলেছেন দলিল প্রমান ছাড়া শরিয়তের কোন কিছু গ্রহন করা জায়েজ নয়। জৈনেক:- কোথায় পাইছেন দলিল দেন….. আমি:- ভাই, আপনিতো বললেন দলিল প্রমান চাওয়া ইহুদি নাসারার কাজ?? জৈনেক:- টুট…. টুট…. টুট…. টুট….
    Mugniur Rahman Tabriz
  • June 19
  • Sogood Islam Syeds
    6/19, 2:11am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 20
  • Sogood Islam Syeds
    6/20, 3:55pm

    Sogood Islam Syeds

    >>> লায়লাতুল কদরের ফজিলত এবং রমাদ্বনের শেষ দশকে লায়লাতুল কদর রয়েছে <<< ✔ ✔ লায়লাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠঃ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ تَنَزَّلُ الْمَلائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ سَلامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ লায়লাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য মালাইকা ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশে। এই শান্তি ও নিরাপত্তা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। আল-কাদর, ৯৭/৩-৫ ✔ লায়লাতুল কদর হল বরকতময় রাতঃ إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ নিশ্চয় আমি এই কুরআন নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে, আমি তো সতর্ককারী। এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় ফায়সালা দেয়া হয়ে থাকে। আদ-দুখান, ৪৪/৩-৪ ✔ লায়লাতুল কদরে অতীতের গুনাহ মাফ করে দেওয়া হয়ঃ আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ يَقُمْ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লায়লাতুল কদরে ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করবে, তাঁর অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে। সহীহুল বুখারী: ৩৫, সহিহ মুসলিম: ১৬৬৭ আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্নিত, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ مَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ، وَمَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ “. যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লায়লাতুল কদরে ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করবে, তাঁর অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে এবং যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমাদ্বনে সওম পালন করবে, তাঁরও অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। সহীহুল বুখারী: ১৯০১ আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَنْ قَامَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ ” . যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় রমাদ্বনের সওম পালন করবে তার পূর্ববর্তী গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে আর যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সওয়াবের আশায় লায়লাতুল কাদরে ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করবে তার পূর্ববর্তী গোনাহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। সহীহুল বুখারী: ২০১৪, সহিহ মুসলিম: ১৬৬৬ ✔ ✔ রমাদ্বনের শেষ দশকেই লায়লাতুল কদর রয়েছেঃ আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ রমাদ্বনের শেষ দশকে তোমরা লায়লাতুল কদর তালাশ কর। সহীহুল বুখারী: ২০২০, সহিহ মুসলিম: ২৬৬৬ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيْهَا فَلْيَتَحَرَّهَا مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন রমাদ্বনের শেষ দশকে তা অনুসন্ধান করে। সহীহুল বুখারী: ১১৫৮, সহিহ মুসলিম: ২৬৫৬ আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, رِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أَيْقَظَنِي بَعْضُ أَهْلِي فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ আমাকে স্বপ্নে কদরের রাত দেখনো হয়েছিল। অতঃপর আমার পরিবারের কেউ আমাকে ঘূম থেকে জাগানোর ফলে আমাকে তা ভূলিয়ে দেওয়া হয়েছে সুতরাং তোমরা শেষ দশকে তা তালাশ কর। সহিহ মুসলিম: হাদিস ২৬৫৮ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ – يَعْنِي لَيْلَةَ الْقَدْرِ – فَإِنْ ضَعُفَ أَحَدُكُمْ أَوْ عَجَزَ فَلاَ يُغْلَبَنَّ عَلَى السَّبْعِ الْبَوَاقِي তোমরা রমাদ্বনের শেষ দশকে কদরের রাত অনুসন্ধান কর। তোমাদের কেউ যদি দূর্বল অথবা অপারগ হয়ে পরে তবে সে যেন শেষ সাত রাত অলসতা না করে। সহিহ মুসলিম: ২৬৫৫ আব্দুল্লাহ ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, تَحَيَّنُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ أَوْ قَالَ ” فِي التِّسْعِ الأَوَاخِرِ তোমরা রমাদ্বনের শেষ দশকে কদরের রাত অনুসন্ধান কর অথবা তিনি বলেছেন, শেষের সাত রাতে অনুসন্ধান কর। সহিহ মুসলিম: ২৬৫৭ ✔ রমাদ্বনের শেষ সাত রাতে লায়লাতুল কদর হতে পারেঃ আব্দুল্লাহ ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ রমাদ্বনের শেষ সাত রাতে লায়লাতুল কদর অন্বেষণ কর। সহিহ মুসলিম: ২৬৫২ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, أَنَّهُ فِي السَّبْعِ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ. তা (লায়লাতুল কদর) রমাদ্বনের শেষ দশকের শেষ সাত রাতের মধ্যে রয়েছে। সহীহুল বুখারী: ৪৪৭০ আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, أَنَّ رِجَالاً، مِنْ أَصْحَابِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْمَنَامِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ” أَرَى رُؤْيَاكُمْ قَدْ تَوَاطَأَتْ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيَهَا فَلْيَتَحَرَّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ” . নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কতিপয় সাহাবীকে স্বপ্নে দেখান হল যে, (রমাদ্বনের) শেষ সাত রাতের মধ্যে কদরের রাত রয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমাকেও তোমাদের স্বপ্নের অনুরূপ দেখানো হয়েছে। শেষের সাত রাত সম্পর্কে সকলের স্বপ্ন পরস্পর সামনঞ্জ্যপূর্ণ। অতএব যে ব্যক্তি তা (কদরের রাত) অন্বেষণ করবে, সে যেন রমাদ্বনের শেষ সাত রাতের মধ্যেই অম্বেষণ করে। সহীহুল বুখারী: ২০১৫, সহিহ মুসলিম: ২৬৫১ আব্দুল্লাহ ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, أَنَّ أُنَاسًا، أُرُوا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ، وَأَنَّ أُنَاسًا أُرُوا أَنَّهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ، فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم” الْتَمِسُوهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ” একদল লোককে লায়লাতুল কদর (রমাদ্বনের) শেষ সাত রাতের মধ্যে রয়েছে বলে স্বপ্নে দেখানো হয়েছে। আর কিছু সংখ্যক লোককে তা শেষ দশ রাতের মধ্যে দেখানো হয়েছে। তখন রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ তোমরা লায়লাতুল কদর শেষ সাত রাতের মধ্যেই তালাশ কর। সহীহুল বুখারী: ৬৯৯১ সালিম ইবনু আব্দুল্লাহ ইবনু উমর (র) থেকে বর্ণিত, তার পিতা আব্দুল্লাহ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেনঃ سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ لِلَيْلَةِ الْقَدْرِ ” إِنَّ نَاسًا مِنْكُمْ قَدْ أُرُوا أَنَّهَا فِي السَّبْعِ الأُوَلِ وَأُرِيَ نَاسٌ مِنْكُمْ أَنَّهَا فِي السَّبْعِ الْغَوَابِرِ فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الْغَوَابِرِ ” . আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে লায়লাতুল কদর সস্পর্কে বলতে শুনেছি, তোমাদের কতিপয় লোককে দেখান হল যে, তা রমাদ্বনের প্রথম সাত রাতের মধ্যে, আবার কতিপয় লোককে দেখান হয়েছে, তা শেষ সাত রাতের মধ্যে অতএব রমাদ্বনের শেষ দশকের মধ্যে তা অন্বেষণ কর। সহিহ মুসলিম: ২৬৫৪ ✔ রমাদ্বনের শেষ দশকের বিজোর রাতে লায়লাতুল কদর হতে পারেঃ আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহ আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, تَحَرَّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ তোমরা রমাদ্বানের শেষ দশকের বিজোর রাতে লায়লাতুল কদরের তালাশ কর। সহীহুল বুখারী: ২০১৭ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فِي وِتْرٍ তোমরা শেষ দশকের বিজোর তারিখে তা (লায়লাতুল কদর) তালাশ কর। সহীহুল বুখারী: ২০১৬, ২০৩৬, ২৬৫৯, ২৬৬২, সালিম (র) থেকে তার পিতার সুত্রে বর্ণিত। তার পিতা বলেন, رَأَى رَجُلٌ أَنَّ لَيْلَةَ الْقَدْرِ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ . فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” أَرَى رُؤْيَاكُمْ فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فَاطْلُبُوهَا فِي الْوِتْرِ مِنْهَا ” . এক ব্যক্তি (রমাদ্বনের) ২৭তম রাতে লায়লাতুল কদর দেখতে পেল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, আমাকেও তোমাদের মত স্বপ্ন দেখান হয়েছে যে, রমাদ্বনের শেষ দশকে তা নিহিত আছে অতএব এর বেজোড় রাত গুলোতে তা অনুসন্ধান কর। সহিহ মুসলিম: ২৬৫৩ ✔ ২১শে রমাদ্বনের রাত লায়লাতুল কদর হতে পারেঃ আবু সাঈদ খূদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, وَقَدْ رَأَيْتُ هَذِهِ اللَّيْلَةَ فَأُنْسِيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ فِي كُلِّ وِتْرٍ وَقَدْ رَأَيْتُنِي أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ” . قَالَ أَبُو سَعِيدٍ الْخُدْرِيُّ مُطِرْنَا لَيْلَةَ إِحْدَى وَعِشْرِينَ فَوَكَفَ الْمَسْجِدُ فِي مُصَلَّى رَسُولِ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ وَقَدِ انْصَرَفَ مِنْ صَلاَةِ الصُّبْحِ وَوَجْهُهُ مُبْتَلٌّ طِينًا وَمَاءً . আমি এই (কদরের) রাত স্বপ্নে দেখেছিলাম কিন্তু আমাকে তা ভুলিয়ে দেওয়া হয়েছে। অতএব তোমরা শেষ দশকের বেজোড় রাতগুলোত তা অনুসন্ধান কর। আমি স্বপ্নে নিজেকে পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা করতে দেখেছি। আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ২১তম রাতে আমাদের উপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়। তিনি যখন ফজরের স্বলাত থেকে ফিরলেন, তখন আমি তাঁর মুখমন্ডল কাদা ও পানিতে সিক্ত দেখলাম। সহিহ মুসলিম: ২৬৫৯, ২৬৬২ ✔ ২৩শে রমাদ্বনের রাত লায়লাতুল কদর হতে পারেঃ আব্দুল্লাহ ইবনু উনায়স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “أُرِيتُ لَيْلَةَ الْقَدْرِ ثُمَّ أُنْسِيتُهَا وَأَرَانِي صُبْحَهَا أَسْجُدُ فِي مَاءٍ وَطِينٍ ” . قَالَ فَمُطِرْنَا لَيْلَةَ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ فَصَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم فَانْصَرَفَ وَإِنَّ أَثَرَ الْمَاءِ وَالطِّينِ عَلَى جَبْهَتِهِ وَأَنْفِهِ . قَالَ وَكَانَ عَبْدُ اللَّهِ بْنُ أُنَيْسٍ يَقُولُ ثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ . আমাকে কদরের রাত দেখান হয়েছিল অতঃপর তা ভুলিয়ে দেয়া হয়েছে। আমাকে ঐ রাতের ভোর সম্পর্কে স্বপ্নে আরও দেখান হয়েছে যে, আমি পানি ও কাদার মধ্যে সিজদা করছি। রাবী বলেন, অতএব ২৩তম রাতে বৃষ্টি হল এবং রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের সাথে ফজরের স্বলাত আদায় করে যখন ফিরলেন, তখন আমরা তাঁর কপাল ও নাকের ডগায় কাদা ও পানির চিহ্ন দেখতে পেলাম। রাবী বলেন, আব্দুল্লাহ ইবনু উনায়স রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলতেন, তা ছিল ২৩তম রমাদ্বন। সহিহ মুসলিম: ২৬৬৫ ✔ ২৭শে রমাদ্বনের রাত লায়লাতুল কদর হতে পারেঃ عَنْ أُبَىِّ بْنِ كَعْبٍ، قَالَ أُبَىٌّ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ وَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُهَا وَأَكْثَرُ عِلْمِي هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ – وَإِنَّمَا شَكَّ شُعْبَةُ فِي هَذَا الْحَرْفِ – هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم . قَالَ وَحَدَّثَنِي بِهَا صَاحِبٌ لِي عَنْهُ . উবাই ইবনু কা’ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। তিনি লায়লাতুল কাদর সস্পর্কে বলেন, আল্লাহর কসম! আমি তা অবশ্যই জানি এবং আমার অধিক ধারণা যে, সেই রাত যে রাত জেগে ইবাদত করার জন্য আল্লাহর রাসুল আমাদের আদেশ দিয়েছিলেন, সেটি সাতাশের রাত। রাবী শুবা এ বাক্যে সন্দেহ পোষণ করছেন, তা সেই রাত যে রাত সম্পর্কে রাসুলুল্লাহ আমাদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন, আমার এক সঙ্গী আমাকে তাঁর কাছ থেকে একথাটি বর্ণনা করেছেন। সহিহ মুসলিম: ১৬৭১, ২৬৬৮ عَبْدَ اللَّهِ بْنَ مَسْعُودٍ يَقُولُ مَنْ قَامَ السَّنَةَ أَصَابَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ – فَقَالَ أُبَىٌّ وَاللَّهِ الَّذِي لاَ إِلَهَ إِلاَّ هُوَ إِنَّهَا لَفِي رَمَضَانَ – يَحْلِفُ مَا يَسْتَثْنِي – وَوَاللَّهِ إِنِّي لأَعْلَمُ أَىُّ لَيْلَةٍ هِيَ . هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِي أَمَرَنَا بِهَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم بِقِيَامِهَا هِيَ لَيْلَةُ صَبِيحَةِ سَبْعٍ وَعِشْرِينَ وَأَمَارَتُهَا أَنْ تَطْلُعَ الشَّمْسُ فِي صَبِيحَةِ يَوْمِهَا بَيْضَاءَ لاَ شُعَاعَ لَهَا . আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, যে ব্যক্তি সারা বছর ইবাদতে রাত্রি জাগরণ করবে সে লায়লাতুল কাদর পাবে; তখন উবাই রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, সেই আল্লাহর কসম তিনি ব্যতীত আর কোন মাবুদ নেই। তা অবশ্যই রমাদ্বনে রয়েছে। তিনি কসম করে বলেছিলেন এবং তিনি কোন ব্যতিক্রম ছাড়াই কসম করে বলেছিলেন। আবার তিনি আল্লাহর কসম খেয়ে বললেন, ভাল করেই জানি যে, সেটি কোন রাত; সেটি হল সে রাত যে রাত জেগে ইবাদত করার জন্য রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের হুকুম করেছিলেন। যে রাতের ভোর হয়, সাতাশে রমাদ্বন আর সে রাতের আলামত হল এই যে, দিনের সূর্য উদিত হয় উজ্জল হয়ে তাতে (কিরণের) তীব্রতা থাকে না। সহিহ মুসলিম: ১৬৭০, ২৬৬৭ ✔ ২২শে, ২৪শে, ২৬শে রমাদ্বনের রাত লায়লাতুল কদর হতে পারেঃ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: هِيَ فِي الْعَشْرِ، هِيَ فِي تِسْعٍ يَمْضِينَ أَوْ فِي سَبْعٍ يَبْقَيْنَ “. يَعْنِي لَيْلَةَ الْقَدْرِ. قَالَ عَبْدُ الْوَهَّابِ عَنْ أَيُّوبَ. وَعَنْ خَالِدٍ عَنْ عِكْرِمَةَ عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ الْتَمِسُوا فِي أَرْبَعٍ وَعِشْرِينَ. তা শেষ দশকে, তা অবশিষ্ট নবম রাতে অথবা অবশিষ্ট সপ্তম রাতে অর্থাৎ লাইলাতুল কাদর। ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে অন্য সূত্রে বর্ণিত যে, তোমরা ২৪তম রাতে তালাশ কর। সহীহুল বুখারী: ২০২২ আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহিওয়াসাল্লাম বলেছেন: الْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي تَاسِعَةٍ تَبْقَى، فِي سَابِعَةٍ تَبْقَى، فِي خَامِسَةٍ تَبْقَى “. তোমরা তা (লাইলাতুল কাদর) রমাদ্বনের শেষ দশকে তালাশ কর। লাইলাতুল কাদর (শেষ দিক হতে গনণায়) নবম, সপ্তম বা পঞ্চম রাত অবশিষ্ট থাকে। সহীহুল বুখারী: ২০২১ উবাদা ইবনু সামিত রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ خَرَجَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لِيُخْبِرَ النَّاسَ بِلَيْلَةِ الْقَدْرِ، فَتَلاَحَى رَجُلاَنِ مِنَ الْمُسْلِمِينَ، قَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم ” خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ، فَتَلاَحَى فُلاَنٌ وَفُلاَنٌ وَإِنَّهَا رُفِعَتْ، وَعَسَى أَنْ يَكُونَ خَيْرًا لَكُمْ، فَالْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ” একবার রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লোকদেরকে ‘লায়লাতুল কদর’ সম্বন্ধে জানানোর জন্য বের হলেন। তখন দু’জন মুসলিম ঝগড়া করছিল। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাদেরকে লাইলাতুল কাদরের সংবাদ দিবার জন্য বের হয়েছিলাম, তখন অমুক, অমুক পরস্পর ঝগড়া করছিল। এ জন্যে ঐ খবরের ‘ইলম’ আমার থেকে তুলে নেওয়া হয়েছে। এটা হয়তো, তোমাদের জন্য কল্যাণকর। অতএব তোমরা তা রমাদ্বনের শেষ দশকের নবম, সপ্তম ও পঞ্চম রাতে (অবশিষ্ট রেখে) তালাশ করবে। সহীহুল বুখারী: ৪৯, ২০২৩, ৬০৪৯ আবু সাঈদ খুদরী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “يَا أَيُّهَا النَّاسُ إِنَّهَا كَانَتْ أُبِينَتْ لِي لَيْلَةُ الْقَدْرِ وَإِنِّي خَرَجْتُ لأُخْبِرَكُمْ بِهَا فَجَاءَ رَجُلاَنِ يَحْتَقَّانِ مَعَهُمَا الشَّيْطَانُ فَنُسِّيتُهَا فَالْتَمِسُوهَا فِي الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ الْتَمِسُوهَا فِي التَّاسِعَةِ وَالسَّابِعَةِ وَالْخَامِسَةِ ” . قَالَ قُلْتُ يَا أَبَا سَعِيدٍ إِنَّكُمْ أَعْلَمُ بِالْعَدَدِ مِنَّا . قَالَ أَجَلْ . نَحْنُ أَحَقُّ بِذَلِكَ مِنْكُمْ . قَالَ قُلْتُ مَا التَّاسِعَةُ وَالسَّابِعَةُ وَالْخَامِسَةُ قَالَ إِذَا مَضَتْ وَاحِدَةٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا ثِنْتَيْنِ وَعِشْرِينَ وَهْىَ التَّاسِعَةُ فَإِذَا مَضَتْ ثَلاَثٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا السَّابِعَةُ فَإِذَا مَضَى خَمْسٌ وَعِشْرُونَ فَالَّتِي تَلِيهَا الْخَامِسَةُ হে লোক সকল! আমাকে কদরের রাত সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছিল এবং আমি তোমাদের তা জানানোর জন্য বের হয়ে এলাম। কিন্তু দুই ব্যক্তি পরস্পর ঝগড়া করতে করতে উপস্থিত হল এবং তাদের সাথে ছিল শয়তান। তাই আমি তা ভুলে গেছি। অতএব তোমরা তা রমাদ্বান মাসের শেষ দশের রাতে অন্বেষণ কর। তোমরা তা ৯ম, ৭ম ও ৫ম রাতে অন্বেষণ কর। রাবী বলেন, আমি বললাম, হে আবু সাঈদ! আপনি সংখ্যা সম্পর্কে আমাদের তুলনায় অধিক জ্ঞানী। তিনি বললেন, হ্যাঁ, আমরাই এ বিষয়ে তোমাদের চেয়ে অধিক হকদার। আমি বললাম ৯ম, ৭ম ও ৫ম সংখ্যাগুলো কি? তিনি বললেন, যখন ২১তম রাত অতিবাহিত হয়ে যায় এবং ২২তম রাত শুরু হয় এই হচ্ছে ৯ম তারিখ। ২৩ রাত অতিক্রান্ত হওয়ার পরবর্তী রাত হচ্ছে ৭ম তারিখ এবং ২৫তম রাত অতিবাহিত হওয়ার পরবর্তী রাত হচ্ছে ৫ম তারিখ। সহিহ মুসলিম: ২৬৬৪ ✔ ✔ লায়লাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। যা ৮৩ বছর ৪ মাসের সমান। লায়লাতুল কদর পেলে হলে রমাদ্বনের শেষ দশ রাত গুলোতে ইবাদত করতে হবে তবেই লায়লাতুল কদর পাওয়া যাবে। কারণ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيْهَا فَلْيَتَحَرَّهَا مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদর অনুসন্ধান করতে চায় সে যেন রমাদ্বনের শেষ দশকে তা অনুসন্ধান করে। সহীহুল বুখারী: ১১৫৮, সহিহ মুসলিম: ২৬৫৬ ✔ ✔ লায়লাতুল কদরের প্রস্তুতিঃ আয়িশা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ، وَأَحْيَا لَيْلَهُ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ. যখন রমাদ্বনের শেষ দশক আসত তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোমর বেঁধে নামতেন (বেশী বেশী ইবাদতের প্রস্তুতি নিতেন) এবং রাত্রে জেগে থাকতেন ও পরিবার-পরিজনকে জাগিয়ে দিতেন। বুখারীঃ ২০২৪, সহিহ মুসলিম: ২৬৭৭ ✔ ✔ কদরের রাতের একটি আলামতঃ আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমরা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সামনে কদরের রাত সস্পর্কে আলাপ-আলোচনা করছিলাম। তিনি বললেন, أَيُّكُمْ يَذْكُرُ حِينَ طَلَعَ الْقَمَرُ وَهُوَ مِثْلُ شِقِّ جَفْنَةٍ তোমাদের মধ্যে কে সেই (রাত) স্বরন রাখবে, যখন চাঁদ উদিত হবে থালার একটি টূকরার ন্যায়। সহিহ মুসলিম: ২৬৬৯ ‘লাইলাতুল কদরের দুআ >>>> মা আয়েশা নবী (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করেনঃ হে আল্লাহর রাসূল! যদি আমি লাইলাতুল কদর লাভ করি, তাহলে কি দুআ পাঠ করবো? তিনি (সাঃ) বলেনঃ বলবে, اللهم إنك عفو تحب العفو فاعف عني আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউন তুহিব্বুল্ আফওয়া ফা’ফু আন্নী”। অর্থ, হে আল্লাহ! তুমি ক্ষমাশীল। ক্ষমা পছন্দ কর, তাই আমাকে ক্ষমা কর”। [আহমদ,৬/১৮২] সংকলন : মোহাম্মদ সাইদুর রহমান এম. এ. (ইসলামিক স্টাডিজ)
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    6/20, 6:00pm

    Sogood Islam Syeds

    কোনো পীৰ- বুজুৰ্গ, অলী- আউলীয়া, ইমাম-মুফতি, বাপ- দাদা, চৈধ্য পুৰুষ পৰম্পৰা, ভোগোলিক পৰিবেশ, ৰাজনীতি কুটনীতি আদি বাৰভূজিয়াৰ দোহাই দি ইছলাম নচলে। ইছলাম এজন মানুহৰ মতে চলিব সেইজন হল মুহাম্মাদুৰ ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লাম।‌ তেওঁৰ মত কত পাব? একমাত্ৰ ক্বোৰআন আৰু ছহীহ হাদীছত। মক্কা মদিনা ইছলাম ৰ দলীল নহয় , ইছলামৰ দলীল ক্বোৰআন আৰু বিশুদ্ধ হাদীছ। ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কি কৰিছে আৰু আমি কি কৰিছো সেয়া মিলাই চাব লাগিব পবিত্র কুৰআন আৰু ছহীহ ছূন্নাহৰ লগত। সকলো প্রকাৰৰ আবেগ আৰু অতিৰঞ্জনৰ পৰা আতৰি থাকিব লাগিব আৰু প্রচলিত শ্বিৰ্ক আৰু বিদ‘আতী আক্বীদা-বিশ্বাস আৰু ৰছম-ৰিৱাজ-পৰম্পৰা পৰিহাৰ কৰিব লাগিব। আল্লাহ তাআলাই আমাক বিদ‘আত মুক্ত জীৱন-যাপন কৰাৰ তাওফীক্ব দান কৰক- আমীন!
    কোৰাণ অাৰু চহীহ হাদিচ
  • June 21
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 2:07am

    Sogood Islam Syeds

    অসমৰ কোন কোন ঠাইত “দৰগাহ” আৰু “মাযাৰ ” আছে ?? অসমত দৰগাহ আৰু মাযাৰৰ সংখ্যা সৰ্বমুঠ কিমান ?? অনুগ্ৰহ কৰি কোনোবাই জনাব পাৰিবনে ??
    Afjal Hussain
  • June 21
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 3:18pm

    Sogood Islam Syeds

    ১৭ জুন ২০১৬ দুবাই কনফারেন্স দুই ঘন্টার মধ্যে জাকির নায়েকের নিকট ৬ জন ইসলাম কবুল
    ১৭ জুন ২০১৬ ইং তারিখে দুবাই ইসলামিক কনফারেন্সে ডাঃ জাকির নায়েক হাফিজাহুল্লাহ এর নিকট দুই ঘন্টার প্রশ্নোত্তর পর্বে আলহামদুলিল্লাহ ৬ জন অমুসলিম ইসলাম কবুল করে…
    youtube.com
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 3:21pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.

3]fb.mess-old.raf

 

  • June 21
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 3:18pm

    Sogood Islam Syeds

    ১৭ জুন ২০১৬ দুবাই কনফারেন্স দুই ঘন্টার মধ্যে জাকির নায়েকের নিকট ৬ জন ইসলাম কবুল
    ১৭ জুন ২০১৬ ইং তারিখে দুবাই ইসলামিক কনফারেন্সে ডাঃ জাকির নায়েক হাফিজাহুল্লাহ এর নিকট দুই ঘন্টার প্রশ্নোত্তর পর্বে আলহামদুলিল্লাহ ৬ জন অমুসলিম ইসলাম কবুল করে…
    youtube.com
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 3:21pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 4:29pm

    Sogood Islam Syeds

    zakat ul fitra can not be fixed on 1633 gm oh wheat in our resigion

    Hadith – Book of Obligatory Charity Tax (Zakat) – Sahih al-Bukhari – Sunnah.com – Sayings and…
    Narrated Ibn `Umar: Allah’s Messenger (ﷺ) enjoined the payment of one Sa’ of dates or one Sa’ of barley as Zakat-ul-Fitr on every Muslim slave or free, male or female, young or old, and he ordered that it be paid before the people went out to offer the `Id prayer. (One Sa’ = 3 Kilograms approx
    sunnah.com
  • June 21
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 9:47pm

    Sogood Islam Syeds

    পুরুষ যদি টাকনুর নীচে পেন্ট, পায়জামা,বা লুংগি ঝুলিয়ে পড়ে নামাজ পড়ে তবে কি নামাজ হবে?
    Ferdous Ara Jhorna
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 11:53pm

    Sogood Islam Syeds

    বিবাহের অভিভাবক ও শর্তাবলী, অভিভাবকের বাধা ও করণীয় ============================ লেখক: শাইখ আবদুল্লাহ আল কাফী দাঈ, জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, “অভিভাবক ব্যতীত কোন বিবাহ নেই।” (তিরমিযী) তিনি আরো বলেন, “যে নারী নিজে নিজের বিবাহ সম্পন্ন করবে তার বিবাহ বাতিল বাতিল বাতিল। অভিভাবকরা যদি ঐ নারীর বিবাহে বাধা সৃষ্টি করে, তবে যার ওলী নেই সুলতান বা শাসক তার ওলী বা অভিভাবক হবে।” (আহমাদ, তিরমিযী, আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ) তাই যে কোন নারীর বিবাহের জন্য ওলী বা অভিভাবক আবশ্যক। অভিভাবক উপযুক্ত হওয়ার জন্য ৬টি শর্ত আছেঃ (১) আকল বা বিবেক সম্পন্ন হওয়া (পাগল হলে হবে না) (২) প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়া (৩) স্বাধীন হওয়া (৪) পুরুষ হওয়া (বিবাহের ক্ষেত্রে নারী নারীর অভিভাবক হতে পারবে না) (৫) অভিভাবক ও যার অভিভাবক হচ্ছে উভয়ে একই দ্বীনের অনুসারী হওয়া। (কাফের মুসলিম নারীর অভিভাবক হবে না। মুসলিম কাফের নারীর অভিভাবক হবে না।) (৬) অভিভাবক হওয়ার উপযুক্ত হওয়া। (অর্থাৎ বিবাহের জন্য কুফূ বা তার কন্যার জন্য যোগ্যতা সম্পন্ন বা সমকক্ষ পাত্র নির্বাচন করার জ্ঞান থাকা ও বিবাহের কল্যাণ-অকল্যাণের বিষয় সমূহ অনুধাবন জ্ঞান থাকা) অভিভাবক হওয়ার শর্তঃ উপরের কোন একটি শর্ত না পাওয়া গেলে তখন ঐ ব্যক্তি অভিভাবকত্ব হারাবে, তখন ঐ অভিভাবকত্ব পরবর্তী নিকটতম ব্যক্তির নিকট স্থানান্তরিত হবে। যেমন দাদা, তারপর ভাই, তারপর চাচা ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে, তবে দেশের মুসলিম শাসক বা তার প্রতিনিধি বা গভর্ণর ঐ নারীর অভিভাবক হিসেবে গণ্য হবে। বিবাহের ক্ষেত্রে সমকক্ষতা বা যোগ্যতাঃ কোন যুবক যদি দ্বীনদারী ও চরিত্রের দিক থেকে পছন্দনীয় হয়, অর্থাৎ সে আল্লাহকে ভয় করে চলে ফরয ইবাদত সমূহ যথাযথ আদায় করে যাবতীয় হারাম থেকে বেঁচে চলে এবং আচরণ ও চরিত্রের দিক থেকে উত্তম হয়, তবে সেই সর্বাধিক উপযুক্ত পাত্র। এ সম্পর্কে রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন, ﺇِﺫَﺍ ﺧَﻄَﺐَ ﺇِﻟَﻴْﻜُﻢْ ﻣَﻦْ ﺗَﺮْﺿَﻮْﻥَ ﺩِﻳﻨَﻪُ ﻭَﺧُﻠُﻘَﻪُ ﻓَﺰَﻭِّﺟُﻮﻩُ ﺇِﻟَّﺎ ﺗَﻔْﻌَﻠُﻮﺍ ﺗَﻜُﻦْ ﻓِﺘْﻨَﺔٌ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﺭْﺽِ ﻭَﻓَﺴَﺎﺩٌ ﻋَﺮِﻳﺾٌ “তোমাদের নিকট যদি এমন পাত্র বিবাহের প্রস্তাব নিয়ে আসে যার দ্বীনদারী ও চরিত্র তোমাদের নিকট পছন্দসই, তবে তার সাথে তোমাদের কন্যাদের বিবাহ দিয়ে দাও। যদি তোমরা এরূপ না কর (দ্বীনদার ও চরিত্রবান পাত্রকে প্রত্যাখ্যান কর এবং তাদের সাথে কন্যাদের বিবাহ না দাও) তবে এর কারণে পৃথিবীতে অনেক বড় ফেতনা-ফাসাদ সৃষ্টি হবে। (তিরমিযী) যদিও দুনিয়াদারী বা অর্থ-সম্পদের বিষয়টিকেও কেউ কেউ উপযুক্ত হওয়ার শর্ত হিসেবে উল্লেখ করেন। কিন্তু তা যথার্থ নয়। কেননা আল্লাহ বলেছেন, { ﻭَﺃَﻧْﻜِﺤُﻮﺍ ﺍﻟْﺄَﻳَﺎﻣَﻰ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻭَﺍﻟﺼَّﺎﻟِﺤِﻴﻦَ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻛُﻢْ ﻭَﺇِﻣَﺎﺋِﻜُﻢْ ﺇِﻥْ ﻳَﻜُﻮﻧُﻮﺍ ﻓُﻘَﺮَﺍﺀَ ﻳُﻐْﻨِﻬِﻢُ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻣِﻦْ ﻓَﻀْﻠِﻪِ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻭَﺍﺳِﻊٌ ﻋَﻠِﻴﻢٌ { [ ﺍﻟﻨﻮﺭ : 32] “তোমাদের মধ্যে যারা বিবাহহীন, তাদের বিবাহ সম্পাদন করে দাও এবং তোমাদের দাস ও দাসীদের মধ্যে যারা সৎকর্মপরায়ন, তাদেরও। তারা যদি সম্পদহীন নিঃস্ব ও ফকীর হয়, তবে আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে সচ্ছল করে দেবেন। আল্লাহ প্রাচুর্যময়, সর্বজ্ঞ।” (নূরঃ ৩২) এটা বিবাহের বরকত। জমহূর বা অধিকাংশ বিদ্বান পাত্র কুফু’ বা উপযুক্ত হওয়ার জন্যে চারটি বিষয়কে প্রাধান্য দেয়ার পক্ষে মত দিয়েছেন। তা হচ্ছে, ধর্ম, স্বাধীন, বংশ ও পেশা। অর্থাৎ মুসলিম কন্যাকে কাফেরের সাথে বা সৎকর্মশীলা কন্যাকে ফাসেকের সাথে বিবাহ দিবে না, স্বাধীন নারীকে কোন ক্রিতদাসের সাথে বিবাহ দিবে না, ভাল বংশের কন্যা নীচু বংশের লোকের সাথে বিবাহ দিবে না এবং কন্যার পরিবার ভাল পেশাদার হলে নিচু মানের পেশাদার পাত্রকে (যেমন, নাপিত, ধোপা, মুচি ইত্যাদি) কন্যা দিবে না। কিন্তু ইমাম মালেক শুধু ধর্ম ও চরিত্রের বিষয়টিকেই পাত্রের উপযুক্ততার বিশেষণ হিসেবে নির্ধারণ করেছেন। মোল্লা আলী ক্বারী বলেছেন, ধর্ম ও চরিত্র ব্যতীত পাত্রের যদি আর কোন উপযুক্ত বিশেষণ না থাকে এবং কন্যা তাতেই সন্তুষ্ট থাকে, তবে বিবাহ বিশুদ্ধ কোন অসুবিধা নেই। (দ্রঃ তোহফাতুল আহওয়াযী শরহে জামে তিরমিযী, হা/১০০৪) বিবাহে ওলী বা অভিভাবকের বাধাঃ একজন উপযুক্ত যুবক যদি কোন মেয়েকে বিবাহের প্রস্তাব দেয় (অর্থাৎ সেই যুবক দ্বীনদারী ও চরিত্রের দিক থেকে পছন্দনীয় হয়), আর মেয়েও ঐ যুবককে পছন্দ করে, আর শরীয়ত সম্মত কারণ ব্যতীত মেয়ের অভিভাবক ঐ বিবাহে বাধা প্রদান করে তবে শরীয়তের পরিভাষায় এটাকে বলা হয়, ﺍﻟﻌﻀﻞ বা বিবাহে বাধা। (ইবনে কুদামা- মুগনী ৭/৩৬৮) এ সম্পর্কে কুরআনে বলা হয়েছে, ﻭَﺇِﺫَﺍ ﻃَﻠَّﻘْﺘُﻢُ ﺍﻟﻨِّﺴَﺎﺀَ ﻓَﺒَﻠَﻐْﻦَ ﺃَﺟَﻠَﻬُﻦَّ ﻓَﻼ ﺗَﻌْﻀُﻠُﻮﻫُﻦَّ ﺃَﻥْ ﻳَﻨْﻜِﺤْﻦَ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟَﻬُﻦَّ ﺇِﺫَﺍ ﺗَﺮَﺍﺿَﻮْﺍ ﺑَﻴْﻨَﻬُﻢْ ﺑِﺎﻟْﻤَﻌْﺮُﻭﻑِ ﺫَﻟِﻚَ ﻳُﻮﻋَﻆُ ﺑِﻪِ ﻣَﻦْ ﻛَﺎﻥَ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻳُﺆْﻣِﻦُ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﺍﻟْﻴَﻮْﻡِ ﺍﻵﺧِﺮِ ﺫَﻟِﻜُﻢْ ﺃَﺯْﻛَﻰ ﻟَﻜُﻢْ ﻭَﺃَﻃْﻬَﺮُ ﻭَﺍﻟﻠَّﻪُ ﻳَﻌْﻠَﻢُ ﻭَﺃَﻧْﺘُﻢْ ﻻ ﺗَﻌْﻠَﻤُﻮﻥَ “আর যখন তোমরা স্ত্রীদেরকে (রেজঈ) তালাক দিয়ে দাও এবং তারপর তারাও নির্ধারিত ইদ্দত পূর্ণ করতে থাকে, (কিন্তু ফেরত না নেয়ার কারণে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়) তখন তাদেরকে পূর্ব স্বামীদের সাথে পারস্পরিক সম্মতির ভিত্তিতে নিয়মানুযায়ী বিয়ে করতে বাধাদান করো না। এ উপদেশ তাকেই দেয়া হচ্ছে, যে আল্লাহ ও কেয়ামত দিনের উপর বিশ্বাস স্থাপন করেছে। এর মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে একান্ত পরিশুদ্ধতা ও অনেক পবিত্রতা। আর আল্লাহ জানেন, তোমরা জান না। (বাকারাঃ ২৩২) মা’কাল বিন ইয়াসার (রাঃ)এর ভগ্নিকে তার স্বামী (রেজঈ) তালাক দিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু ইদ্দত পূর্ণ হওয়ার আগে তাকে ফেরত নেয়নি। ফলে বায়েন বা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরবর্তীতে তার স্বামী আবার নতুন বিবাহের মাধ্যমে স্ত্রীকে (মা’কালের ভগ্নিকে) ফেরত নিতে চায় এবং ঐ মেয়েটিও তাতে রাজি হয়ে যায়। তখন মা’কাল রেগে গেলেন এবং বেঁকে বসলেন ও তার সাথে বিবাহ দিতে অস্বীকার করলেন। তিনি বলেন, আমার ভগ্নিকে তোমার সাথে বিবাহ দিলাম, তোমাকে সম্মাণিত করলাম। তারপর তুমি তাকে তালাক দিয়ে দিলে! আবার তুমি তাকে বিবাহ করার প্রস্তাব নিয়ে হাযির হয়েছো? আল্লাহর কসম কখনই সে তোমার কাছে ফেরত যাবে না। তোমার সাথে তার বিবাহ দিব না। মা’কাল বলেন, (দ্বীনদারী ও চরিত্রের দিক থেকে) লোকটির কোন সমস্যা ছিল না, আর আমার ভগ্নিও তার কাছে ফেরত যেতে ইচ্ছুক ছিল। তখন আল্লাহ এই আয়াতটি নাযিল করেন। মা’কাল বলেন, এখন আমি এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করব হে আল্লাহর রাসূল! একথা বলে তিনি তার ভগ্নিকে পূর্বের স্বামীর সাথে বিবাহ দিয়ে দেন। ইমাম বুখারী বলেন, যদিও এখানে বিবাহিতা নারীকে কেন্দ্র করে আয়াতটি নাযিল হয়েছে, কিন্তু এখানে কুমারী নারীও শামিল। অর্থাৎ কুমারীর জন্যও একই হুকুম। (হাদীছটি বুখারী শরীফে কয়েক স্থানে বর্ণিত হয়েছে এবং আবু দাউদও বর্ণনা করেছেন। বিস্তারিত দেখুন সহীহ বুখারী- অধ্যায়ঃ বিবাহ, অনুচ্ছেদঃ অভিভাবক ব্যতীত বিবাহ নেই) * কি করলে অভিভাবক ﻋﺎﺿﻞ বা বাধাপ্রদাকারী হিসেবে গণ্য হবে? (১) অভিভাবকের অধিনস্থ মেয়ে যদি নির্দিষ্টভাবে কোন যুবককে পছন্দ করে এবং পাত্রও উপযুক্ত হয়, তখন যদি অভিভাবক তার সাথে বিবাহ দিতে (শরীয়ত সম্মত) কোন কারণ ছাড়াই বা দুর্বল যুক্তিতে (যেমন, লেখাপড়া শেষ করা ইত্যাদি) অস্বীকার করে, তাহলে সে বাধাপ্রদানকারী হবে। (আল মাওসুয়া আল ফেকহিয়্যা ৩৪/২৬৫) (২) অভিভাবক যদি বিবাহের প্রস্তাবকারীদের উপর অহেতুক কঠিন শর্ত আরোপ করে, যা শুনলেই তারা পলায়ন করবে এবং তা পূর্ণ করা অনেক সময় অসাধ্য হয়ে যায়, তখন সে বাধাপ্রদানকারী গণ্য হবে। (ইবনে তাইমিয়া- কিতাবুল ইনসাফ ৮/৭৫) শাইখ ইবনে জাবরীন (রহঃ) বলেন, প্রস্তাবকারীর উপর কঠরোতা আরোপ করা, অথবা অপ্রয়োজনীয় অত্যধিক শর্তারোপ করা, অথবা উপযুক্ত পাত্রকে প্রত্যাখ্যান করা, অথবা অতিরিক্ত মোহর চাওয়া। অভিভাবক যদি এরূপ করে তবে সে বাধাপ্রদানকারী গণ্য হবে এবং সে হবে ফাসেক। তখন তার অভিভাবকত্ব বাতিল হয়ে যাবে। কি কারণে অভিভাবকত্ব বাতিল হয়? (১) অভিভাবক যদি সম্পূর্ণরূপে সালাত পরিত্যাগকারী হয় তবে জমহূর বিদ্বানের মতে সে মুসলিম নয়। আর তখন সে মুসলিম নামাযী মেয়ের অভিভাবকত্ব হারাবে। (২) অভিভাবক যদি নিয়মিত সালাত আদায় না করে- কখনো পড়ে কখনো ছাড়ে অথবা কখনো মদ্যপান করে, তবে সে জমহূর বিদ্বানের মতে সে ফাসেক মুসলিম। আর ফাসেক মুসলিম মুমিন নারীর অভিভাবক হতে পারবে কি না সে সম্পর্কে ফিকাহবিদদের মাঝে মতবিরোধ আছেঃ শাফেঈ ও হাম্বলী মাযহাব মতে তার অভিভাবকত্ব সহীহ নয়। হানাফী ফিকাহবীদদের মতে ফাসেক অভিভাবকত্ব সহীহ। মালেকী মাযহাবের প্রচলিত মতও এটাই। তবে তাঁরা ফাসেকের অভিভাবকত্ব অপছন্দ করেছেন। শাইখুল ইসলাম ইমাম ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) বলেন, অভিভাবকের জন্য জায়েয নেই মেয়ের অপছন্দনীয় পাত্রের সাথে জোর করে তার বিবাহ দেয়া। আর ইমামদের ঐক্যমতে মেয়ের পছন্দনীয় পাত্রের সাথে তার বিবাহে বাধা প্রদান করা যাবে না। মেয়েকে জোর করা ও বাধা দেয়া জাহেল ও জালেমদের কাজ। (মাজমু ফাতাওয়া ৩২/৫২) (৩) অভিভাবক উপযুক্ত হওয়ার জন্য যে ৬টি শর্ত রয়েছে তার কোন একটি নষ্ট হলে, অভিভাবকত্ব হারাবে। (৪) অভিভাবক যদি বাধা প্রদানকারী হয়, তবে সে অভিভাবকত্ব হারাবে। এবং অভিভাবকত্ব তার পরের অভিভাবকদের নিকট স্থানান্তর হবে। (ফতোয়া লাজনা দায়েমা- স্থায়ী ফতোয়া বোর্ড ১/১৬৮) এ অবস্থায় নারীর অভিভাবক কে হবে? উল্লেখিত যে কোন কারণে যদি অভিভাবকত্ব হারায়, তবে অভিভাবকত্ব পরবর্তী নিকটতম ব্যক্তির নিকট স্থানান্তরিত হবে। যেমন দাদা, তারপর ভাই, তারপর চাচা ইত্যাদি। শেষ পর্যন্ত যদি কেউ না থাকে, তবে দেশের মুসলিম শাসক বা তার প্রতিনিধি বা গভর্ণর বা মুসলিম কাজী ঐ নারীর অভিভাবক হিসেবে গন্য হবে। (দেখুন মুগনী ৭/৩৪৬) হানাফী ফিকাহবিদগণ (রহঃ) বলেন, কোন নারীকে যদি তার অভিভাবক বাধা দেয়, তবে সে তাদের বিরুদ্ধে সুলতানের (শাসকের) কাছে অভিযোগ দায়ের করবে। যাতে করে তাকে যুলুম থেকে মুক্ত করে এবং উপযুক্ত পাত্রের সাথে বিবাহ দিয়ে দেয়। (হাশিয়া ইবনে আবেদীন ৩/৮২) সৌদী আরবের সাবেক গ্রাণ্ড মুফতী শাইখ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম (রহঃ) বলেন, নারী যখন প্রাপ্ত বয়স্ক হয়, আর তাকে বিবাহের জন্য দ্বীন ও চরিত্রের দিক থেকে পছন্দনীয় উপযুক্ত পাত্র প্রস্তাব করে, আর তার মত পাত্রকে প্রত্যাখ্যান করার জন্য অভিভাবক কোন দোষ খুঁজে না পায়, পাত্রও নিজের যোগ্যতাকে প্রমাণ করতে সক্ষম থাকে, তখন ঐ নারীর অভিভাবকের উপর আবশ্যক হচ্ছে পাত্রের আবেদন গ্রহণ করা এবং তার সাথে তাদের মেয়ের বিবাহ দেয়া। সে যদি তা করতে অসম্মত হয়, তবে পাত্রির পছন্দের বিষয়টির প্রতি গুরুত্বারোপ করার ব্যাপারে সতর্ক করতে হবে। তারপরও যদি অসম্মতিতে স্থির থাকে,তবে তার অভিভাবকত্ব বাতিল হয়ে যাবে। তখন অভিভাবকত্ব পরবর্তী নিকটাত্মীয়দের প্রতি স্থানান্তরিত হয়ে যাবে। (ফতোয়া শাইখ মুহাম্মাদ বিন ইবরাহীম ১০/ ৯৭) শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালেহ উছাইমীন (রহঃ) বলেন, অভিভাবক যদি দ্বীন ও চরিত্রের দিক থেকে পছন্দনীয় উপযুক্ত পাত্রের প্রস্তাবকে প্রত্যাখ্যান করে এবং তার সাথে বিবাহ দিতে অস্বীকার করে, তবে তার অভিভাবকত্ব পরবর্তী অধিকতর নিকটাত্মীয়ের নিকট স্থানান্তরিত হয়ে যাবে। কিন্তু তারাও যদি অস্বীকার করে, তবে শরীয়ত সম্মত হাকেমের নিকট অভিভাবকত্ব স্থানান্তরিত হবে। তখন শরীয়ত সম্মত হাকেম বা শাসক তার বিবাহ দিয়ে দিবে। (ফতোয়া নূরুন আলাদ দারব, অধ্যায়ঃ ৩১৩) ইবনুল মুনযির (রহঃ) বলেন, বিদ্বানদের ঐক্যমত আছে যে সুলতান নারীর বিবাহ দিয়ে দিবে যদি সে বিবাহ করতে চায় এবং (দ্বীন ও চরিত্রের দিক থেকে) উপযুক্ত পাত্র পছন্দ করে থাকে; কিন্তু অভিভাবক তার বিবাহে বাধা প্রদান করে। (আল ইজমা ১/৭৮) বাধাপ্রাপ্ত নারীর করণীয় কি? শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালেহ উছাইমীন (রহঃ) বলেন, অনেক অভিভাবক উপযুক্ত ও সমকক্ষ প্রস্তাবকারীদেরকে নানা অযুহাতে প্রত্যাখ্যান করে; অথচ তার ব্যাপারে পাত্রীর সম্মতি আছে। এ অবস্থায় পাত্রী স্বভাবজাত লাজুকতার কারণে পরিস্থতির স্বীকার হয়, যথাযথ প্রতিবাদ করতে পারে না। কাজী বা বিচারকের কাছে তার অভিযোগ পেশ করতে লজ্জাবোধ করে। এটাই বাস্তব কথা। কিন্তু তার উপর আবশ্যক হচ্ছে, লাভ-ক্ষতির তুলনা করবে। কোন পথে চললে তার ক্ষতি বেশী হবে? অভিভাবকের খেয়াল-খুশীর অনুসরণ করে তার কথা শুনে স্বামী ছাড়াই বসে থাকবে এবং বিবাহের বয়স পার করে দিবে। অথবা অভিভাবকের কথা শুনে দ্বীন হীন চরিত্র হীন মানুষকে স্বামী হিসেবে গ্রহণ করে নিজের ভবিষ্যতকে অজানা ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিবে। অথবা কাজীর আশ্রয় নিয়ে তার কাছে গিয়ে শরীয়ত সম্মত অধিকার আদায় করে নিবে। এখন কোন পদক্ষেপটি তার জন্যে উপযুক্ত? নিঃসন্দেহে শেষের পদক্ষেপটাই তার জন্যে নিরাপদ। সে বিচারকের নিকট উপস্থিত হবে এবং বিবাহ করিয়ে দেয়ার জন্য আবেদন করবে। কেননা এটা তার অধিকার। তাছাড়া বিচারকের কাছে আবেদন করার প্রেক্ষিতে ঐ জালেমদেরকে প্রতিহত করার একটি পথ উন্মুক্ত হবে, যারা তাদের অধিনস্থ মেয়েরদেরকে উপযুক্ত পাত্রের সাথে বিবাহ দিতে বাধা দেয়। অর্থাৎ তার এই পদক্ষেপে তিন প্রকার কল্যাণ সাধিত হবেঃ • নারীর নিজের কল্যাণ। (স্বামী ছাড়া জীবন অতিবাহিত করা থেকে মুক্তি, অথবা খারাপ ও অপছন্দনীয় স্বামী থেকে মুক্তি) • অন্যান্য নারীদের কল্যাণ। (কারণ তার অনুসরণ করে অন্য নারীরাও নিজেদের শরীয়ত সম্মত অধিকার আদায় করতে সক্ষম হবে।) • জালেম ও অপরিণামদর্শী অভিভাবকদের প্রতিহত করা। (যারা নিজের অধিনস্থদেরকে খেয়াল-খুশীমত পরিচালনা করে।) (দ্রঃ ফতোয়া ইসলামীয়াঃ ৩/১৪৮) কিন্তু কোন অভিভাবক ব্যতীত কখনই কোন বিবাহ বিশুদ্ধ হবে না। যেমনটি পূর্বে হাদীছ বর্ণনা করা হয়েছে।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • June 22
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 9:30am

    Sogood Islam Syeds

    Mohsin Zaman added a new photo.
    যারা বইটি সম্পর্কে অপপ্রচার করছেন এবং যারা অপপ্রচারে বিভ্রান্ত হয়েছেন, উভয় ভাইদের বলবো বইটি একদম শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ার জন্য। তাহলে জানতে পারবেন, বইটি লিখার উদ্দেশ্য কি? মুলত ইসলাম গ্রহণ করতে আসা কিছু জাপানীদের নিয়ে যখন মাযহাবীরা টানাটানি করছিলেন, এবং সেই টানাটানির কারণে জাপানী লোকগুলো যখন ইসলাম গ্রহণ করা থেকে বিরত হয়ে ফিরে গেল – তখন উক্ত বইয়ের লেখককে মাযহাব মানা ওয়াজিব কিনা সেবিষয়ে একটা চিঠি লিখা হয়। আর চিঠির উত্তরই হলো এই বই। আপনাদের বলবো শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, তারপর একটু চিন্তা ভাবনা করুন। সকল ভ্রান্তির অবসান হবে ইন শা আল্লাহ! ডাউলোড লিংক: http://islamicbookbd.files.wordpress.com/2013/08/muslim-ki-mazhab-mante-baddho.pdf
    Mohsin Zaman
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 9:32am

    Sogood Islam Syeds

    প্রাইমারী লেভেলে যারা কুরআন শিখছেন, তারা মাঝে মধ্যে নির্দিষ্ট কোন অক্ষরের ক্ষেত্রে দ্বিধায়া পড়ে যায়, যে এটার উচ্চারন কি হবে। এজন্য বাংলা উচ্চারন সহ কুরআনের প্রতি তাদের একটা ঝোঁক থাকে। উচ্চারনসহ কুরআনের হার্ডকপি এভেইলেবল হলেও পিডিএফ কপি খুব বিরল। এখানে একটা কপি দেয়া হল। তবে, সঠিক উচ্চারনসহ পড়ার জন্য এটি যথেষ্ট নয়। আপনার লোকাল এক্সপার্টদের সহায়তা নিন। link: https://www.mediafire.com/download/9b8k6wxf2ici845
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 10:19am

    Sogood Islam Syeds

    Maksud Bin Amal added a new photo.
    http://www.waytojannah.com/legacy-of-islam-bangla/ সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা) যে সময় পৃথিবীতে আগমন করেন, তা ছিল ঘোর অন্ধকারের যুগ। এ সময় পৃথিবীর কোথাও ন্যায়, ইনসাফ, সৌহার্দ্য ও মানবিক মূল্যবোধের অস্তিত্ব ছিল না। সভ্যতা, সংস্কৃতি ও নৈতিকতা ছিল পাশবিকতায় আচ্ছন্ন বিশেষ করে আরব তথা সেমিটিক জাতি-গোষ্ঠীর মধ্যে। মানবতার এ দুঃসময় মহানবী (সা) মানবজাতির কাছে এমন এক জীবনদর্শন উপস্থাপন করেন । যা তার মহান আবির্ভাবের একশ বছরের মধ্যে এশিয়া, আফ্রিকা ও ইউরোপের বিস্তীর্ণ অঞ্চল জুড়ে প্রসার লাভ করে। মহানবী (সা)-এর প্রদর্শিত এ জীবন বিধান কেবল মানুষের আধ্যাত্মিকতার নিশ্চয়তা বিধান করে। জ্ঞান, বিজ্ঞান, ভাষা, সাহিত্য, সংস্কৃতি, ভূগোল, বাণিজ্য, চিকিৎসাবিদ্যা, জ্যোতির্বিদ্যা, অংকশাস্ত্র ও সঙ্গীতে অভূতপূর্ব সাফল্য এনে দেয়। এর উপর ভিত্তি করে আধুনিক ইউরোপীয় সভ্যতা বিস্তার লাভ করেছে। প্রখ্যাত ইতিহাসবেত্তা ও প্রাচ্যবিদ স্যার টমাস আর্নল্ড এবং আলফ্রেড গিলম সম্পাদিত The Legacy of Islam শীর্ষক প্রামাণ্য গ্রন্থটিতে এ সত্যটি বিভিন্ন তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে তুলে ধরা হয়েছে। ইসলামী বিশ্বের যেসব উপাদান ইউরোপীয় সভ্যতা-সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করেছে তার একটি বিশ্লেষণধর্মী বিবরণ রয়েছে এ গ্রন্থটিতে। বইটি ‘পাশ্চাত্য সভ্যতায় ইসলাম’ শিরোনামে অনুবাদ করেছেন প্রখ্যাত সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক ও অনুবাদক মরহুম নুরুল ইসলাম পাটােয়ারী। সভ্যতা বিকাশে মুসলমানদের অতীত ইতিহাস, ঐতিহ্য ও অবদানের কথা জানা ও তা থেকে অনুপ্রেরণা লাভের জন্য আমাদের প্রত্যেকেরই গ্রন্থটি অধ্যয়ন করা প্রয়োজন ।
    Maksud Bin Amal
  • June 22
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 4:52pm

  • June 23
  • Sogood Islam Syeds
    6/23, 4:59am

    Sogood Islam Syeds

    Abu Atika added a new photo.
    মোৰ FB বন্ধুসকলৰ প্ৰতি আন্তৰিক অনুৰোধ- মঙ্গলদৈ ধূলাৰ ওচৰৰ হীৰাপাৰা দাৰুল হাদীছ মাদ্ৰাছাখন এখন ছহীহ আক্কীদাৰ মাদ্ৰাছা। আমাৰ ছহীহ আক্কীদাৰ সদস্যসকলে ছহীহ দ্বীন প্ৰচাৰৰ কাৰণে বিভিন্ন কাৰ্যসূচী হাতত লৈছে। ইতিমধ্যে মাদ্ৰাছা কৰ্তৃপক্ষই ইছলামিক লাইব্ৰেৰীৰ কাৰণে এটা কোঠালি আমাক ব্যৱহাৰ কৰাৰ অনুমতি দিছে আৰু আমি তাত অস্থায়ীভাৱে এটা লাইব্ৰেৰী খোলাৰ প্ৰস্তুতি আৰম্ভ কৰিছোঁ আৰু বিভিন্নজনে কিতাপ-পত্ৰ আৰু আচবাব দান কৰিছে। যোৱা ২০১৫ ইং বৰ্ষৰ ৰমজানৰ আগত আমি তাত এখন চেমিনাৰো পাতিছিলোঁ। আমি জাকাত¸ দান-বৰঙণি দিয়াৰ কাৰণে এখন ছহীহ আক্কীদাৰ মাদ্ৰাছা বিচাৰি নাপাওঁ। প্ৰচলিত মাদ্ৰাছাসমূহে ৫০% লৈকে কমিচন লৈ টকা-পইচা সংগ্ৰহ কৰে। তাৰোপৰি সেইবোৰৰ প্ৰায়ভাগতে বিদাতী শিক্ষা দিয়া হয়। কুৰআন হাদীছৰ সলনি ফিক্কাহৰ ওপৰত বেছি গুৰুত্ব দিয়া হয়। মোৰ FB বন্ধুসকলৰ প্ৰতি অনুৰোধ আপোনালোকৰ ফালৰ পৰা দান-বৰঙণি¸ জাকাতৰ টকা-পইচাৰ এটা বৃহৎ অংশ সেই ছহীহ আক্কীদাৰ মাদ্ৰাছাখনলৈ আগবঢ়াব বুলি আশা কৰিলোঁ। দানৰ ক্ষেত্ৰত অধিক গুৰুত্ব দিব ইন শ্বা আল্লাহ। কাৰণ তেখেতসকলে জাকাতৰ ধন সকলো কামত ব্যৱহাৰ নকৰে। এইটো মোৰ ব্যক্তিগত অনুৰোধ। ইয়াত মোৰ কোনো ধৰণৰ দুনিয়াবী স্বাৰ্থ নাই। আল্লাহে আমাৰ নেক উদ্দেশ্যসমূহ সফল কৰি প্ৰকৃত শুদ্ধ পথত চলাৰ তৌফিক দিয়ক। আমিন। ——————————————————— Assam Gramin Vikash Bank, Dhula Branch. A/C No.7063010009735 Hirapara Darul Hadis Madrassa. IFSC : UTBIORRBAGB এইটো নম্বৰত দান-বৰঙণি¸ জাকাত আদি পঠাব পাৰে।
    Abu Atika
  • June 23
  • Sogood Islam Syeds
    6/23, 7:04pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 26
  • Sogood Islam Syeds
    6/26, 1:01am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 27
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 12:30pm

    Sogood Islam Syeds

    কিছু ভাই ফোনে ও ইনবক্সে স্বলাতুত তাসবীহ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করছেন তাই এই পোস্ট। স্বলাতুত তাসবীহ আদায় করা : >>> স্বলাতুত তাসবীহ সম্পর্কে যে সমস্ত বর্ণনা এসেছে [1] সেগুলোকে অধিকাংশ মুহাদ্দিছ যঈফ ও মুনকার বলেছেন। সঊদী আরবের সর্বোচ্চ উলামা পরিষদ মন্তব্য করেছেন, صَلاَةُ التَّسْبِيْحِ بِدْعَةٌ وَحَدِيْثُهَا لَيْسَ بِثَابِتٍ بَلْ هُوَ مُنْكَرٌ وَذَكَرَهُ بَعْضُ أَهْلِ الْعِلْمِ فِى الْمَوْضُوْعَاتِ ‘স্বলাতুত তাসবীহ’ বিদ‘আত। এর হাদীছ প্রমাণিত নয়; বরং মুনকার বা অস্বীকৃত। কোন কোন মুহাদ্দিছ জাল হাদীছের মধ্যে একে উল্লেখ করেছেন। [2] এ সম্পর্কিত ইবনু আববাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছকে কেউ ‘মুরসাল’ কেউ ‘মওকূফ’ কেউ ‘যঈফ’ এবং কেউ ‘মওযূ’ বা জাল বলেছেন। যদিও শায়খ আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীছের যঈফ সূত্রসমূহ পরস্পরকে শক্তিশালী মনে করে তাকে হাসান সহিহ বলেছেন এবং ইবনু হাজার আসক্বালানী ‘হাসান’ স্তরে উন্নীত বলে মন্তব্য করেছেন। এরূপ বিতর্কিত ও সন্দেহযুক্ত হাদীছ দ্বারা ইবাদত সাব্যস্ত করা যায় না। [3] [1]. আবুদাঊদ হা/১২৯৭; ইবনু মাজাহ হা/১৩৮৭; মিশকাত হা/১৩২৮; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/১২৫২, ৩/১৬৪ পৃঃ। [2]. ফাতাওয়া লাজনা দায়েমাহ ৮/১৬৪ পৃঃ। [3]. দ্রঃ ইবনু হাজার আসক্বালানী বিস্তারিত আলোচনা; আলবানী, মিশকাত পরিশিষ্ট, ৩ নং হাদীছ ৩/১৭৭৯-৮২ পৃঃ; আবুদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১৩২৮ হাশিয়া; বায়হাক্বী ৩/৫২; আব্দুল্লাহ ইবনু আহমাদ, মাসায়েলু ইমাম আহমাদ, মাসআলা নং ৪১৩, ২/২৯৫ পৃঃ।
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 12:36pm

    Sogood Islam Syeds

    হযরত শাহজালাল (র’হিমাহুল্লাহ) এর ক্ববর (মাযার) যিয়ারতের মাধ্যমে কল্যান প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে ঘর থেকে বের হওয়ার চেয়ে একটি মেয়েকে গার্লফ্রেন্ড বানিয়ে তার সাথে যেনা করা অধিক উত্তম। ভুল বুঝে বলিয়েন না যে, যেনা করার জন্য কি দাওয়াত দিচ্ছেন? জ্বী না। তবে যা বলতে চাই, তা হলো যেনা করা কাবীরা গুনাহ কোন সন্দেহ নেই এবং এর জন্য মৃত্যুর পর আল্লাহ তাকে শাস্তি দিলে দিতেও পারেন। কিন্তু সে যদি শিরক না করে থাকে তাহলে আল্লাহ তাকে নিজ রহমতে মাফ করে দিতেও পারেন যা সূরাহ নিসা’র (৪) ৪৮ ও ১১৬ আয়াতে প্রমাণ হয়। কিন্তু শিরক এমন পাপ যা করলে ঐ ব্যক্তির জন্য জান্নাত চিরকালের জন্য হারাম হয়ে যাবে। আর শাহজালালের মাযার এমন একটি শির্কের আস্তানা যেখানে ওনার ইবাদত তো হয়ই সাথে সাথে গজার মাছ, কুমির, ছাই রং এর কবুতর, গাছের আরও কত কি বাকওয়াস এরও ইবাদত হয়। উক্ত কর্মগুলো বড় শিরক ব্যতীত আর কিছুই নয়। ছবিটিতে দেখবেন বোকা মানুষগুলো এই প্রানহীন ক্ববরের পাশে হাত তুলে দাড়িয়ে আছে এবং এই ক্ববরে শায়ীত ব্যক্তির নিকট কিছু চাইছে (আমি যদিও এই ক্ববরে আদৌ কোন ডেডবডি আছে কিনা সন্দেহ করি)। এদের সম্পর্কে আমাদের প্রতিপালক মহান আল্লাহ বলেনঃ ”সে লোকদের তুলনায় অধিক বিভ্রান্ত আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমনসব সত্তাকে ডাকে যারা ক্বিয়ামত পর্যন্ত তাদের ডাকে সাড়া দিবে না? বরং তারা এদের ডাকাডাকি সম্পর্কেও জানে না।” [সূরাহ আহক্বাফঃ ৪৬/৫] প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ এই অভিশপ্ত জায়গাটিতে আসছে বরকত নেয়ার জন্য। তাদেরকে কোন অপদার্থ বললো যে, এইখানে বরকত আছে? শিরক না করে যদি কেউ মৃত্যবরণ করে তাহলে সে আর যতো বড় কাবীরা গুনাহের বোঝা বইয়ে আনুক না কেন, আল্লাহ তাকে আপন রহমতে মাফ করবেন এই সম্ভাবনা রয়েছে। হাদীসে শিরক না করে মৃত্যুবরণ করলে জান্নাতে প্রবেশের কথা এসেছে যদিও সে যেনা করে এবং চুরি করে থাকে তবুও। [বুখারীঃ ১২৩৭] ভবিষ্যতে কোন মাযার ভ্রমণের কথা কল্পনাতেও আনবেন না। শিরক সম্পর্কে জানুন, শিরক হতে সাবধান হঊন।
    Ahsan Bin Habib Anan
  • June 27
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 11:00pm

    Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin added a new photo.
    ইতিকাফ সংক্রান্ত ভুল ধারণা 󾭸󾭹󾭸󾭹󾭸󾭹󾭸󾭹󾭸󾭹 ইতিকাফ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতি রামাযানের শেষ দশ দিন ইতিকাফ করতেন। কিন্তু এ সম্পর্কে আমাদের দেশে মনে করা হয় যে, সমাজের পক্ষ থেকে এক ব্যক্তিকে অবশ্যই ইতিকাফে বসতে হবে তা না হলে সবাই গুনাহগার হবে। কিন্তু এ ধারণা মোটেই ঠিক নয়। কারণ, ইতিকাফ ফরজ বা ফরজে কিফায়া, কোনটিই নয়; এটি এটি একটি সুন্নত ইবাদাত। যে কোন মুসলমানই তা পালন করতে পারে। যে ব্যক্তি তা পালন করবে সে অগণিত সোওয়াবের অধিকারী হবে। সবার পক্ষ থেকে একজনকে ইতিকাফে বসতেই হবে এমন কোন কথা শরীয়তে নেই। ফরজে কিফায়া হচ্ছে সমাজের সকলের প্রতি এমন একটি ফরজ ইবাদত যেটি সমাজের কিছু লোক তা আদায় করলে সকলের পক্ষ থেকে তা আদায় হয়ে যাবে । কিন্তু কেউ যদি আদায় না করে, তবে সমাজের সকলেই গুনাহগার হবে । যেমন- জিহাদ, জানাযার নামাজ । সুতরাং ইতিকাফ ফরজে কিফায়া নয়; বরং এটি পালন করা সুন্নৎ। যাযাকাল্লাহ খাইর।
    Shahanaj Amin
  • June 28
  • Sogood Islam Syeds
    6/28, 1:17pm

    Sogood Islam Syeds

    ★★★ নামায ৩ রাকআত বিশিষ্ট (মাগরেবের) হলে ৩ রাকআত পড়ে, নচেৎ ৪ রাকআত বিশিষ্ট হলে তা তৃতীয় রাকআতের মত পড়ে শেষ তাশাহহুদের জন্য বসে যেতেন। এই বৈঠকে তিনি তাঁর বাম পাছার উপর বসতেন। এতে তাঁর দু’টি পায়ের পাতা এক দিকে হয়ে যেত। (বুখারী ৮২৮, আবূদাঊদ, সুনান ৯৬৫নং, বায়হাকী) বাম পা-কে ডান পায়ের রলা ও ঊরুর নিচে রাখতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৭৯ নং, আহমাদ, মুসনাদ) আর ডান পায়ের পাতাকে খাড়া রাখতেন। (বুখারী ৮২৮নং) কখনো কখনো খাড়া না রেখে বিছিয়েও রাখতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৭৯, আহমাদ, মুসনাদ) পায়ের আঙ্গুলগুলো কেবলামুখী করে রাখতেন। তাঁর হাত দু’টি প্রথম বৈঠকের মতই থাকত। অবশ্য বামহাত দ্বারা বাম জানুর উপর ভরনা দিতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৯৮৯, সহিহ,নাসাঈ, সুনান ১২০৫ নং) সুতরাং পাছার উপর বসা কেবল ৩ বা ৪ রাকআত (অন্য কথায় দুই তাশাহহুদ) বিশিষ্ট নামাযে সুন্নত। পক্ষান্তরে এক তাশাহহুদ বিশিষ্ট ২ রাকআত নামাযে বাম পায়ের পাতার তলদেশ বিছিয়ে তার উপর বসা সুন্নত। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (সাঃ), আলবানী ১৫৬, ১৮১, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১০০, মাজমূআতু রাসাইল ফিস স্বালাহ্‌ ১২৮পৃ:) কারণ পাছার উপর বসার কথাহাদীসে কেবল দুই তাশাহহুদ বিশিষ্ট নামাযের ক্ষেত্রে বর্ণিত হয়েছে। নচেৎ নামাযে বসার সাধারণ সুন্নত হল, বাম পায়ের পাতার উপরেই বসা। (নাসাঈ, সুনান ১১৫৬, ১১৫৭, ১১৫৮, ১২৬১, দারেমী, সুনান ১৩৩০ নং)
    Salah Ahmed
  • July 1
  • Sogood Islam Syeds
    7/1, 12:22am

    Sogood Islam Syeds

    আমাদের মধ্যে অনেকেই আহলে হাদীছ পরিচয় দিতে ইতস্তত বোধ করেন। কেউ কেউ আবার এমন পরিচয় প্রদান করাকে মুসলিম জাতির ঐক্যের ক্ষেত্রে বাধা মনে করেন! অথচ, আহলে হাদীছ, আহলে সুন্নাহ, সালাফী ইত্যাদি হচ্ছে মুসলমানদের বৈশিষ্ট্যগত নাম। পূর্বসূরী বহু আলেম, মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহ এমন বিশেষণে নিজেদের বিশেষায়িত করেছেন। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ভবিষ্যতবাণী করে গেছেন যে, মুসলমানদের মধ্যে ৭২টি বাতিল ফির্কা বা দলের উতপত্তি ঘটবে। এজন্যই যুগ যুগ ধরে হক্বপন্হীরা বাতিলপন্হী, আল্লাহর সিফাত অস্বীকারকারী, কবর-মাজার পূজারী বেরেলভী, শী’আ, খারেজী ইত্যাদি জাহান্নামী দল থেকে নিজেদের পৃথকীকরণের জন্য এ সকল পরিচয়ে নিজেদের বিশেষায়িত করে আসছেন। অনেক আহলে হাদীছ বিদ্বেষীদের লেখা আমি পড়ি। এদের লেখা পড়েই প্রতীয়মান হয় এরা আসলে আহলে হাদীছ সম্পর্কে কিছুই জানে না। না জেনে, না বুঝে কিংবা অন্যের কথায় প্রতারিত হয়ে এরা অপবাদ দিয়ে আসছে। তাদেরকে বলবো, ভাই! অন্য কারো কথায় বিভ্রান্ত না হয়ে নিজে একটু পড়াশোনা করুন। ইনশাআল্লাহ হক্বের দিশা পাবেন। আলহামদুলিল্লাহ, আমি বিশ্বাস করি আহলে হাদীছগণ হাদীছে বর্ণিত সেই সাহাবাদের জামা’আত বা নাজাতপ্রাপ্ত দল। অবশ্য চার মাযহাবের অনেকেই নাজাত প্রাপ্ত দলের অন্তর্ভুক্ত। আহলে হাদীছদের ব্যাপারে পূর্বের ও পরের অনেক আলেমের বাণী দেখেছি। তবে এক্ষেত্রে সৌদি আরবের বিগত প্রধান মুফতী, ফক্বীহুল মিল্লাত শাইখ বিন বায (রহঃ)-এর অভিমত আমার সবচেয়ে ভালো লেগেছে। শাইখ বিন বায (রহঃ) বলেন, ‘আল হামদুলিল্লাহ- আমাদেরএই যুগে অনেক ‘জামাআত’আছে যারা মানুষকে হকের প্রতি আহবান জানিয়ে থাকে। যেমন আরব উপদ্বীপে: সৌদী সরকার। অনুরূপভাবে ইয়ামান,গালফের দেশ সমূহে, মিশর ওশামে, আফ্রিকা, ইউরোপ,আমেরিকা, ভারত উপমহাদেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অনেক জামাআত, ইসলামী সেন্টার,ইসলামী সংস্থা আছে যারা মানুষকে হকেরপথে আহবান করে, হকের সুসংবাদ প্রদানকরে এবং বাতিল থেকে মানুষকে সতর্ক করে। অতএব সত্য অনুসন্ধানকারী মুসলিমের উপর আবশ্যক হচ্ছে,সে যেখানেই থাকুক এই ‘জামাআত’গুলো খুঁজে বেরকরবে। যখন সে এমন জামাআত বা ইসলামী সেন্টার বা জমঈয়ত ইত্যাদি পাবে,যারা আল্লাহর কিতাব ও রাসূল (সা.) এর সুন্নাতের প্রতি দাওয়াত দেয়, তখন তাদের অনুসরণ করবে এবং তাদের সাথেই থাকবে। যেমন: সুদান ও মিশরে আছে ‘আনসারুস সুন্নাহ’। ভারত উপমহাদেশে আছে ‘আহলে হাদীছ’।এছাড়া আরো অন্য দেশে বিভিন্ন ‘জামাআত’ আছে যারা মানুষকে আল্লাহর কিতাব ও রাসূল (সা.) এর সুন্নাতের প্রতি আহবান জানায়। দাওয়াত দেয় এক আল্লাহর ইবাদতকে তাঁর জন্যে খালেস ও নির্ভেজাল করার। কবর পুজারী ও অন্যান্য বাতিল ফিরকার মত তাঁরা আল্লাহর সাথে শিরকের দিকে মানুষকে আহবান করে না। [মাজমূ ফাতাওয়া-শাইখ বিন বায ৮/১৮১]
    মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির
  • July 1
  • Sogood Islam Syeds
    7/1, 8:59pm

    Sogood Islam Syeds

    সৌদিআরবের স্থায়ী কমিটির ফতওয়াঃ 12660: সিয়াম পালন ও ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে স্বদেশবাসীর বিরুদ্ধাচরণ করা নাজায়েয প্রশ্ন: আমাদের দেশে একদল দ্বীনদার ভাই আছেন তারা কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেন। যেমন রমজান মাসের সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে তারা খালি চোখে নতুন চাঁদ না-দেখা পর্যন্ত সিয়াম পালন করেন না। কখনও কখনও আমরা তাদের একদিন বা দুইদিন আগে রমজানের সিয়াম পালন শুরু করি। তারাও ঈদুল ফিতরের একদিন বা দুইদিন পরে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। আমরা যদি তাদেরকে ঈদের দিনে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি তারা এই বলে জবাব দেন যে, আমরা খালি চোখে নতুন চাঁদ না-দেখা পর্যন্ত ঈদ করব না এবং রোজা রাখা শুরু করব না। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা তা (নতুন চাঁদ) দেখে সিয়াম পালন কর এবং তা (নতুন চাঁদ) দেখে রোজা ছাড়।” তারা যন্ত্রের সাহায্যে নতুন চাঁদ দেখার পদ্ধতি মানেন না। উল্লেখ্য দুই ঈদের নামাযের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও তারা আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেন। তারা তাদের নতুন চাঁদ দেখার ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে ঈদ উদযাপনের পরে ঈদ উদযাপন করেন। অনুরূপভাবে তারা ঈদুল আযহার সময় পশু কোরবানী ও আরাফার সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও আমাদের বি করেন। তারা ঈদুল আযহার দুইদিন পরে ঈদ উদযাপন করেন। অর্থাৎ সমস্ত মুসলিম কোরবানী করার পরে তারা পশু কোরবানী করেন। তারা যা করছেন তা কি সঠিক? আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। Published Date: 2014-07-26 উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তাদের উপর ওয়াজিব হল সাধারণ মানুষের সাথে সিয়াম পালন করা, তাদের সাথে ঈদ উদযাপন করা এবং তাদের সাথে দুই ঈদের নামায আদায় করা। এর দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী: « صوموا لرؤيته وأفطروا لرؤيته فإن غم عليكم فأكملوا العدة » متفق عليه “তোমরা তা (নতুন চাঁদ) দেখে সিয়াম পালন কর, তা (নতুন চাঁদ) দেখে রোজা ছাড় (ঈদ উদযাপন কর)। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে (রোজার) সংখ্যা (৩০ দিন) পূর্ণ কর।” [সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম] এই হাদিসের উদ্দেশ্য হলো- চাঁদ দেখা সাব্যস্ত হলে সিয়াম পালন ও ঈদ উদযাপনের আদেশ দেয়া। সেটা খালি চোখেও হতে পারে অথবা দৃষ্টিশক্তিকে সাহায্যকারী কোন যন্ত্রপাতির মাধ্যমেও হতে পারে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ” الصوم يوم تصومون والإفطار يوم تفطرون والأضحى يوم تضحون ” أخرجه أبو داوود (2324) والترمذي (697) ، وصححه الألباني في صحيح الترمذي ( 561 ) “রোজা হল সেদিন যেদিন তোমরা সকলে রোজা পালন কর। ঈদ হল সেদিন যেদিন তোমরা সকলে ঈদ উদযাপন কর। ঈদুল আযহা হলো সেদিন যেদিন তোমরা সকলে পশু কোরবানী কর।’’[হাদিসটি আবু দাউদ (২৩২৪) ও তিরমিযী (৬৯৭) বর্ণনা করেছেন; আলবানী সহীহুত তিরমিযী’ (৫৬১) গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আল্লাহই তাওফিক দাতা। আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাহাবীগণের উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি (১০/৯৪)
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • Sogood Islam Syeds
    7/1, 9:02pm

    Sogood Islam Syeds

    “ওহাবী” বলে এখনো টিটকারি ও রোধ করার চেষ্টা করা হয় আমাদেরকে, যেমন করে অপমান ও রোধ করার চেষ্টা করা হয়েছিল শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দেস দেহলবী, শহীদ তিতুমীর, সায়েদ আহমেদ ব্রেলবী প্রমুখ মনীষী দেরকে। এই আক্রমণ থেকে নিরাপদে থাকতে পারেননি শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ হাদিস বিশারদ শাইখ নাসির উদ্দিন আলবানি (রহঃ) ও। কিন্তু বুজতামনা এই ওহাবি কারা। কোন কিছু নিয়ে না জেনে জ্ঞানীর মত মন্তব্য করার মত মূর্খতা তো বয়ে চলতে পারিনা তাই চুপ করেই থাকতাম। কিন্তু এখন থেকে অহাবি শুনে আর মন খারাপ হবেনা ইনশাহআল্লাহ………… কে এই ওহাব আর কারা এই ওহাবি??–(০১) সৌদি আরবের ধর্মীয় নেতা মুহাম্মাদ ইবনু আব্দুল ওয়াহ্হাব (১৭০৩-১৭৯২ খৃ) প্রচারিত মতবাদকে ‘ওহাবী’ মতবাদ বলা হয়। তিনি তৎকালীন আরবে প্রচলিত কবর পুজা, কবরে সাজদা করা, কবরে বা গাছে সুতা বেঁধে রাখা, মানত করা ও অন্যান্য বিভিন্ন প্রকারের কুসংস্কার, শিরক, বিদ‘আত ইত্যাদির প্রতিবাদ করেন। তাঁর বক্তব্য শুধু প্রতিবাদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল না। উপরন্তু তাঁর বিরোধীদের তিনি মুশরিক বলে অভিহিত করতেন। ১৭৪৫ খৃস্টাব্দে বর্তমান সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদের অনতিদূরে অবস্থিত দিরইয়া্য নামক ছোট্ট গ্রাম-রাজ্যের শাসক আমীর মুহাম্মাদ ইবনু সাঊদ (মৃত্যু ১৭৬৫) তাঁর সাথে যোগ দেন। তাদের অনুসারীরা তাদের বিরোধীদেরকে মুশরিক বলে গণ্য করে তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাভিযান পরিচালন শুরু করেন। ১৮০৪ সালের মধ্যে মক্কা-হিজায সহ আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ ‘সাউদী’‘ওহাবী’দের অধীনে চলে আসে। তৎকালীন তুর্কী খিলাফত এ নতুন রাজত্বকে তার আধিপত্য ও নেতৃত্বের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর বলে মনে করেন। কারণ একদিকে মক্কা-মদীনা সহ ইসলামের প্রাণকেন্দ্র তাদের হাতছাড়া হয়ে যায়, অন্যদিকে মূল আরবে স্বাধীন রাজ্যের উত্থান মুসলিম বিশ্বে তুর্কীদের একচ্ছত্র নেতৃত্বের জন্য হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। এজন্য তুর্কী খলীফা দরবারের আলিমগণের মাধ্যমে ওহাবীদেরকে ধর্মদ্রোহী, কাফির ও ইসলামের অন্যতম শত্রু হিসেবে ফাতওয়া প্রচার করেন। মুসলিম বিশ্বের সর্বত্র এদের বিরুদ্ধে জোরালো প্রচারাভিযান চালানো হয়, যেন কেউ এ নব্য রাজত্বকে ইসলামী খিলাফতের স্থলাভিষিক্ত মনে না করে। পাশাপাশি তিনি তুর্কী নিয়ন্ত্রণাধীন মিসরের শাসক মুহাম্মাদ আলীকে ওহাবীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনার নির্দেশ দেন। মিশরীয় বাহিনীর অভিযানের মুখে ১৮১৮ সালে সউদী রাজত্বের পতন ঘটে। এরপর সাউদী রাজবংশের উত্তর পুরুষেরা বারংবার নিজেদের রাজত্ব উদ্ধারের চেষ্টা করেন। সর্বশেষ এ বংশের ‘আব্দুল আযীয ইবনু আব্দুর রাহমান আল-সাউদ (১৮৭৯-১৯৫৩) ১৯০১ থেকে ১৯২৪ খৃস্টাব্দ পর্যন্ত দীর্ঘ যুদ্ধবিগ্রহের মাধ্যমে বর্তমান ‘সৌদি আরর’ প্রতিষ্ঠা করেন। (গোলাম আহমদ মোর্তাজা; চেপে রাখা ইতিহাস (বর্ধমান, ভারত, ৮ম, ২০০০), ইসলামের নামে জঙ্গিবাদ- ড়.খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর) ইনশাহাল্লাহ আরো পর্ব আসবে>>>>
    Mugniur Rahman Tabriz
  • July 3
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 2:18am

    Sogood Islam Syeds

    Rowshon Kabir added a new photo.
    এই রমজানে শাইখের কাছ থেকে শেখা শ্রেষ্ট দুয়া: দুয়ার কথাগুলি ভারী সুন্দর, হৃদয় ছুয়ে যায়। “হে আল্লাহ! আমি আপনার রহমতের প্রত্যাশী। সুতরাং, এক পলকের জন্যেও আমাকে আমার নিজের নাফসের ওপর ছেড়ে দেবেন না। আর আমার সকল কাজসমুহ পরিশুদ্ধ করে দিন। আপনি ছাড়া আর কোন ইলাহ নেই।” (ছবিতে আরবী, হিসনুল মুসলিম থেকে) তাকওয়ার বিপরীত বিষয় হল নাফসানিয়্যাত। প্রবৃত্তির গোলামী। যেখানে যখন যা মন চায় – করে যাওয়া। রমজান আসে, রমজান যায়। তাকওয়ার পরিবর্তে নাফসানিয়্যাত বেড়ে যায় – এমন তো হওয়ার কথা ছিল না। কথা ছিল, প্রতি বছর আমাদের সমাজে তাকওয়াবান লোকের সংখ্যা বেড়ে যাবে। হচ্ছে উল্টোটা। কেন? রুট কজ অনুসন্ধান করুন। আপনার নিজের স্বার্থে, আপনার আগামী প্রজন্মের স্বার্থে… ব্লাডশেডিং বন্ধ হবে না ততক্ষণ, যতক্ষণ লোকালয়গুলোর অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাকওয়ার ওপর গড়ে না ওঠে। উইপনস, কোন প্রশাসনের সেকেন্ড অপশান। ফার্স্ট অপশান মাস্ট বি তাকওয়া। আপনার নিকটস্থ অ্যাডমিন গাইকে তাকওয়ার উপদেশ দিন। তাকে বলুন, রমজান মাসে সাওম ফরজই করা হয়েছে যাতে আমরা তাকওয়া অর্জন করতে পারি… লা আল্লাকুম তাত্তাক্বুন!
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 4:49am

    Sogood Islam Syeds

    ডায়াবেটিকের মহৌষধ পান! জেনে নিন ব্যবহার পদ্ধতি
    বাঙ্গালীদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পানের আয়োজন না থাকলে যেন অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয় না। আবার হিন্দু রীতিতে বিভিন্ন পুজা উৎসবে ও বিয়েতে পান যেন বাধ্যতামূলক। আবার ঘরে ঘরে অনেকে আছেন যাদের পান না খেলে চলেই না। তাদের জন্য রয়েছে সুখবর।
    bangla.moralnews24.com
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 4:59am

    Sogood Islam Syeds

    Rasool’Allah went up to the heavens from here. ﷺ Jin logo ne pehle bar dekha ho comment me Subhan Allah type kre Please like and share this page https://m.facebook.com/syedhozaifahussain/
    Our Prophet Our Honour
  • July 3
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 11:57am

    Sogood Islam Syeds

    যারা ফিৎরা দ্রব্যমূল্যে (টাকায়) প্রদানের স্বপক্ষে তাদের উদ্দেশ্য কি তা আদৌ বোধগম্য নয়। – – কেননা ফিৎরা হ’ল ফরয এবং কুরবানী হ’ল সুন্নাত। ফরযকে যদি পরিবর্তন অথবা পরিমার্জন করা জায়েয হয়, তাহ’লে কুরবানীর পরিবর্তে তার মূল্য প্রদানে বাধা কোথায়? নিয়ত তো বেশ ছহীহ। যেহেতু কুরবানীর সমমূল্য জায়েয নয়। সুতরাং ফিতরার মূল্য প্রদানও জায়েয নয়। এ সম্পর্কে ইবনে তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, ‘যদি কেউ কুরবানীর বদলে তার মূল্য ছাদাক্বা করতে চান, তবে তিনি মুহাম্মাদী শরী‘আতের প্রকাশ্য বিরোধিতা করবেন’। অতএব পরকালে পরিত্রাণের নিমিত্তে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছ অনুযায়ী আমল করা আমাদের সকলের জন্য অপরিহার্য। অন্যথা ইহকাল ও পরকালে ক্ষতিগ্রস্ত হ’তে হবে। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাযত করুন। রাসূল সা. ভালবাসুন, দ্বীন হুবহু মেনে চলাতে কল্যান-এ কথাকে আঁকড়ে ধরার তওফিক আল্লাহ আমাদের দান করুন।
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 12:02pm

    Sogood Islam Syeds

    Aminur Rahman Noyon shared ইসলামের দাওয়াত’s post to the group: INVITE TO PEACE (শান্তিৰ আহ্বান).
    Aminur Rahman Noyon
  • July 3
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 9:35pm

    Sogood Islam Syeds

    সৌদিআরবের স্থায়ী কমিটির ফতওয়াঃ 12660: সিয়াম পালন ও ঈদ উদযাপনের ক্ষেত্রে স্বদেশবাসীর বিরুদ্ধাচরণ করা নাজায়েয প্রশ্ন: আমাদের দেশে একদল দ্বীনদার ভাই আছেন তারা কিছু কিছু ব্যাপারে আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেন। যেমন রমজান মাসের সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে তারা খালি চোখে নতুন চাঁদ না-দেখা পর্যন্ত সিয়াম পালন করেন না। কখনও কখনও আমরা তাদের একদিন বা দুইদিন আগে রমজানের সিয়াম পালন শুরু করি। তারাও ঈদুল ফিতরের একদিন বা দুইদিন পরে ঈদ উদযাপন করে থাকেন। আমরা যদি তাদেরকে ঈদের দিনে রোজা রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করি তারা এই বলে জবাব দেন যে, আমরা খালি চোখে নতুন চাঁদ না-দেখা পর্যন্ত ঈদ করব না এবং রোজা রাখা শুরু করব না। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “তোমরা তা (নতুন চাঁদ) দেখে সিয়াম পালন কর এবং তা (নতুন চাঁদ) দেখে রোজা ছাড়।” তারা যন্ত্রের সাহায্যে নতুন চাঁদ দেখার পদ্ধতি মানেন না। উল্লেখ্য দুই ঈদের নামাযের সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও তারা আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করেন। তারা তাদের নতুন চাঁদ দেখার ভিত্তিতে স্থানীয়ভাবে ঈদ উদযাপনের পরে ঈদ উদযাপন করেন। অনুরূপভাবে তারা ঈদুল আযহার সময় পশু কোরবানী ও আরাফার সময় নির্ধারণের ক্ষেত্রেও আমাদের বি করেন। তারা ঈদুল আযহার দুইদিন পরে ঈদ উদযাপন করেন। অর্থাৎ সমস্ত মুসলিম কোরবানী করার পরে তারা পশু কোরবানী করেন। তারা যা করছেন তা কি সঠিক? আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন। Published Date: 2014-07-26 উত্তর: সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। তাদের উপর ওয়াজিব হল সাধারণ মানুষের সাথে সিয়াম পালন করা, তাদের সাথে ঈদ উদযাপন করা এবং তাদের সাথে দুই ঈদের নামায আদায় করা। এর দলীল হচ্ছে- নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বাণী: « صوموا لرؤيته وأفطروا لرؤيته فإن غم عليكم فأكملوا العدة » متفق عليه “তোমরা তা (নতুন চাঁদ) দেখে সিয়াম পালন কর, তা (নতুন চাঁদ) দেখে রোজা ছাড় (ঈদ উদযাপন কর)। আর যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে তবে (রোজার) সংখ্যা (৩০ দিন) পূর্ণ কর।” [সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিম] এই হাদিসের উদ্দেশ্য হলো- চাঁদ দেখা সাব্যস্ত হলে সিয়াম পালন ও ঈদ উদযাপনের আদেশ দেয়া। সেটা খালি চোখেও হতে পারে অথবা দৃষ্টিশক্তিকে সাহায্যকারী কোন যন্ত্রপাতির মাধ্যমেও হতে পারে। কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: ” الصوم يوم تصومون والإفطار يوم تفطرون والأضحى يوم تضحون ” أخرجه أبو داوود (2324) والترمذي (697) ، وصححه الألباني في صحيح الترمذي ( 561 ) “রোজা হল সেদিন যেদিন তোমরা সকলে রোজা পালন কর। ঈদ হল সেদিন যেদিন তোমরা সকলে ঈদ উদযাপন কর। ঈদুল আযহা হলো সেদিন যেদিন তোমরা সকলে পশু কোরবানী কর।’’[হাদিসটি আবু দাউদ (২৩২৪) ও তিরমিযী (৬৯৭) বর্ণনা করেছেন; আলবানী সহীহুত তিরমিযী’ (৫৬১) গ্রন্থে হাদিসটিকে সহিহ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। আল্লাহই তাওফিক দাতা। আমাদের নবী মুহাম্মাদ, তাঁর পরিবারবর্গ ও তাঁর সাহাবীগণের উপর আল্লাহর রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। গবেষণা ও ফতোয়া বিষয়ক স্থায়ী কমিটি (১০/৯৪)
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • July 5
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 1:16am

    Sogood Islam Syeds

    যখনই কোন বিদ’আতি পন্থার লেখকের লেখা নিয়ে এনালিসিস করি, তখন একটা বিষয় আমাকে খুব পীড়া দেয়, সেটি হল তাদের ইলমের খেয়ানত। বিপরীত মতের আলিমদের ধরশায়ী করতে এমন এমন যুক্তি আর প্রমাণের আশ্রয় নেয়া হয়, যা খুবই দুর্বল খুঁটির ওপর দন্ডায়মান। যিনি এইসব লেখেন, আমার বিশ্বাস তিনি নিজেও জানেন এসব কোন শক্তিশালী কথা নয়, তারপরেও লেখেন শুধুমাত্র বিদ্বেষ বের করে দিতে। আমাদের দেশের কিছু বিদ’আত পন্থী মুফতি আছেন, যারা বিদেশী বিভিন্ন ব্লগ সাইট থেকে কিছু র‍্যান্ডম পোস্ট কপি করে বাংলা করে নোট লেখেন আর আরবী না জানা বাংগালি অনুসারীরা সেইসব নোটে গিয়ে বাহবা দেন। অথচ আমার বিশ্বাস এইসব অনুসারী যদি একটু তাহকীক করার মত জ্ঞান আল্লাহর কাছ থেকে পেতেন, তাহলে তাসের ঘরের মত এইসব মুফতির জ্ঞানের ইমারত ধসে পড়তো। আমি আমভাবে আমাদের দেশের মাদ্রাসা পাস আলিমদের সমালোচনা করবো না। আমার নিজের উস্তাদগণও মাদ্রাসা পাস, তাঁদের ইল্মের সাগরে আমি হাবুডুবু খেয়ে কুল পাইনা আলহামদুলিল্লাহ। কিন্তু এমন এমন কিছু কেইস চোখে পড়ে যখন মনে হয় একটা স্কুল কলেজের ছেলে গুগুল সার্চ করেও কতিপয় মুফতি মওলানার চাইতে কিছু কিছু বিষয়ে বেশি বুঝতে সক্ষম। দুইদিন আগেই এক মাসজিদের ইমাম মৃত ব্যক্তির জন্য কুলখানি মিলাদ কিয়াম কুর’আন খতম খানা পিনা ইত্যাদির সাফাই গাইছিলেন। তাকে বলা হল এইসব বিদ’আত, আর রাসূলের জমানায় কেউ করেন নি, তখন তিনি উত্তর দিলেন, রাসূলের জমানায় মাসজিদে এসি ছিল না, তাইলে কি এসিও বিদ’আত? আমার প্রশ্ন হল, মাদ্রাসায় ১৫ বছরের বেশি পড়াশোনা করা একজন আলিম যদি বিদ’আত কাকে বলে সেটাই এত বছরে ক্লিয়ার করতে না পারেন, তাহলে তার কাছে উম্মাহ কী বেনেফিট পাবে বলে আপনাদের মনে হয়? এরা ইলমের যেই চূড়ান্ত খেয়ানত করছে, তার ক্ষতিপূরণ আজ বাংলার ঘরে ঘরে বিদ’আতের বাম্পার ফলনের মাধ্যমে দিচ্ছে আপামর জনতা। এদের চাইতে তো সেই বাংলায় হাদীস পড়া আহলে হাদীসের মুকাল্লিদ স্কুলের ছেলেটাও ভালো, যে অন্তত ইউটিউবে লা মাযহাবিদের লেকচার শুনে শুনে বিদ’আতকে সংজ্ঞায়িত করতে ও চিনতে শিখেছে। আল্লাহ আলিমদের ইলমের খেয়ানত থেকে রক্ষা করুন। [ সংগৃহীত ]
    Tareque Ibn Kamal
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 1:45am

    Sogood Islam Syeds

    আমি পীরের মুরিদ নই, তবলীগ জামাত (ইলিয়াস) করি না, জামাতে ইসলাম পছন্দ নয় এবং আহলে হাদিসের দলভুক্তও নই ৷ প্রশ্ন থেকেই যায় তবে আমি কি? আমি স্বতন্ত্র এবং নিরপেক্ষ, মিথ্যা বর্জন কারি, সালাত ও সিয়াম পালনকারী এবং শুধুমাত্র পবিত্র কুরআন ও শুধুমাত্র বিশুদ্ধ (Strictly Authentic) হাদিসের অনুসারী ৷ আল্লাহর রসুল (সঃ আঃ) বলেছেন শেষ জামানায় মুসলমানরা ৭৩ দলে বিভক্ত হবে শুধু মাত্র একটি দল কামিয়াবি হবে । বর্তমানে আমি সেই দলেরই তালাসে আছি ? আর রহমান আমার সহায় হউন ৷ আমিন ৷ (উল্লেখ্য আমি কথাটি রূপক)
    Islamic Education & Research Foundation (IERF)
  • July 5
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 1:55pm

    Sogood Islam Syeds

    যারা কুরআনের আয়াত দেখলেই স্ক্রল করে আগে বাড়েন, যারা দুনিয়ার লাভ-ক্ষতি নিয়েই সারাক্ষণ পড়ে থাকেন, যারা আল্লাহপাকের অচিন্তনীয় মাস্টারপিস অব ওয়ার্ক আর সেগুলোর মেইনটেন্যান্স টেকনোলজি সম্পর্কে একটুও মাথা ঘামায় না, আল্লাহর রহমতের স্বাদ যাদের টাচ করে না, রবের দিকে অনুগামী হয় না, তাদের জন্য আগুনের সুসংবাদ। যে আগুন তাদেরকে উল্টে পাল্টে দেবে, চামচের দরকার হবে না। এরা কি করে বুঝবে আল্লাহর রাস্তায় জীবন দেয়া-নেয়ার মর্ম। এরা তো চতুস্পদ জন্তুর চেয়েও জ্ঞানহীন জাতি। এদের দেহ তো মানুষের মত, কিন্তু ভেতরে এরা একেকটি দুঃসাহসী জন্তু যেগুলো কখনও আল্লাহর পরিচয় সম্পর্কে ধারনা রাখে না। আল্লাহর নাফরমানীতে পিছপা হয় না। তাদের সমস্ত চেতনা জুড়ে রয়েছে পাশবিক খাদ্য, বাসস্থান আর যৌনতার উদ্বিগ্নতা। এর বাইরে এরা কিছু ভাবে না, ভাবতে শেখে নি। এরা কি করে বুঝবে না খেয়ে না ঘুমিয়ে আর না জমিয়ে আল্লাহর পথে সংগ্রামের ইতিহাস?? ‘নিশ্চয় যারা আমার সাক্ষাতের আশা রাখে না এবং দুনিয়ার জীবন নিয়ে সন্তুষ্ট আছে ও তা নিয়ে পরিতৃপ্ত রয়েছে। আর যারা আমার নিদর্শনাবলী হতে গাফেল-‘ ‘তারা যা উপার্জন করত, তার কারণে আগুনই হবে তাদের ঠিকানা।’ (সুরা ইউনুসঃ ৭-৮)
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 3:57pm

    Sogood Islam Syeds

    Aminur Rahman Noyon shared ইসলামের দাওয়াত’s post to the group: কুরআন সুন্নাহ্ আঁকড়িয়ে ধরি.
    Aminur Rahman Noyon
  • July 7
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 2:07am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • July 7
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 5:00pm

    Sogood Islam Syeds

    মহিলাদের লেবাস হবে কেমন ? মহিলাদের লেবাসের শর্তাবলী নিম্নরূপ: ১- লেবাস (পোশাক) যেন দেহের সর্বাঙ্গকে ঢেকে রাখে । দেহের কোন অঙ্গ বা সৌন্দর্য যেন কোন বেগানা (যার সাথে বিবাহ বৈধ) পুরুষের সামনে প্রকাশ না পায় । কেননা, নবী (সা:) বলেন: “মেয়ে মানুষের সবটাই লজ্জাস্থান (গোপনীয়) । আর সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে পরিশোভিতা করে তোলে ।” (তিরমিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৩১০৯) সাহাবাদের মহিলাগণ যখন পথে চলতেন, তখন তাঁদের নিম্নাঙ্গের কাপড়ের শেষ প্রান্ত মাটির উপর ছেঁচড়ে যেত । নাপাক জায়গাতে চলার সময়েও তাদের কেউই পায়ের পাতা বের করতেন না । (মিশকাতুল মাসাবীহ: ৫০৪) ২- যে লেবাস মহিলারা পরিধান করবে সেটা যেন (বেগানা পুরুষের সামনে) সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টি-আকর্ষী না হয় । যেহেতু মহান আল্লাহ্ বলেন, “সাধারণতঃ যা প্রকাশ হয়ে থাকে তা ছাড়া তারা যেন তাদের অন্যান্য সৌন্দর্য প্রকাশ না করে ।” (সূরা আন নূর, আয়াত: ৩১) ৩- লেবাস যেন পাতলা না হয়, যাতে কাপড়ের উপর থেকেও ভিতরের চামড়া নজরে আসে । নচেৎ ঢাকা থাকলেও খোলার পর্যায়ভুক্ত । একদা হাফসা বিনতে আব্দুর রহমান (রা:) পাতলা উড়না পরে হযরত আয়িশা (রা:) এর নিকট গেলে তিনি তার উড়নাকে ছিঁড়ে ফেলে দিলেন এবং তাকে একটি মোটা উড়না পরতে দিলেন । (মিশকাতুল মাসাবীহ: ৪৩৭৫) ৪- পোশাক (লেবাস) যেন এমন আঁট-সাঁট (টাইটফিট) না হয়, যাতে দেহের উঁচু-নিচু ব্যক্ত হয় । কারণ এমন ঢাকাও খোলার পর্যায়ভুক্ত এবং দৃষ্টি-আকর্ষী । ৫- (নিজ কক্ষের বাহিরে) যেন সুগন্ধি ব্যবহৃত লেবাস না হয় । নবী (সা:) বলেন, “সুগন্ধ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন মহিলা যদি তা ব্যবহার করে অন্য পুরুষের সামনে যায়, তবে সে ব্যভিচারীনী ।” (তিরমিযী, মিশকাত ১০৬৫) এমনকি সুগন্ধি ব্যবহার করে মহিলারা মসজিদেও যেতে পারে না । (ইবনে মাজাহ, সিলসিলাহ সহীহা: ১০৩১) ৬- লেবাস যেন কোন কাফির মহিলার অনুকৃত না হয় । কেননা, নবী (সা:) বলেন, “যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন (লেবাসে-পোশাকে, চাল-চলনে অনুকরণ) করবে সে তাদেরই দলভুক্ত ।” -(সুনানে আবু দাউদ, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৪৩৪৭) ৭- তা যেন পুরুষের লেবাসের অনুরূপ না হয় । কারণ নবী (সা:) সেই নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন, যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে এবং সেই পুরুষদেরকেও অভিশাপ দিয়েছেন, যারা নারীদের বেশ ধারণ করে । (আবু দাউদ: ৪০৯৭; ইবনে মাজাহ: ১৯০৪) ৮- লেবাস যেন জাঁকজমকপূর্ণ প্রসিদ্ধজনক না হয় । কারণ এসব পোশাকে পরিধানকারীর মনে অহংকার সৃষ্টি হয় এবং দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । তাই নবী (সা:) বলেন, “যে ব্যক্তি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধজনক লেবাস পরবে, আল্লাহ্ তাকে কিয়ামত দিবসে লাঞ্চনার লেবাস পরাবেন ।” (সুনানে আবু দাউদ, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৪৩৪৬) উপরের শর্তাবলী বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় যে কোন মহিলার জন্যই যথেষ্ট কঠিন । তবে আমরা (পুরুষেরা) যদি আমাদের স্ত্রী, মেয়ে, মা ও বোনদের সহযোগীতা করি তবে তা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে (ইন শা আল্লাহ্) । আর মহিলারা যদি পরকালীন সুখের চিন্তাটুকু মাথায় রাখে, তবে এতটুকু কষ্ট খুবই সহজ হয়ে যাবে (ইন শা আল্লাহ) এবং সাথে ফ্রী পেয়ে যাবেন ইহকালীন সম্মান ও নিরাপত্তা (ইন শা আল্লাহ্) । আল্লাহ্ আমাদেরকে বুঝতে ও মানতে সহজ করুন এবং পরকালে সম্মানিত করুন । আমীন ।
    Jahidul Hasan Sujon
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 7:33pm

    Sogood Islam Syeds

    আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, গ্রুপ সম্পর্কে আপনাদের কিছু কথা বলি- ১- আমাদের এই গ্রুপের উদ্দেশ্য এই নয় যে, আমাদের গ্রুপে লক্ষ লক্ষ মেম্বার থাক বা মানুষের মুখে মুখে এই গ্রুপের কথা প্রচার হোক কিন্তু আমাদের উদ্দেশ্য ১ জন মানুষকে হলেও আমরা সঠিক ইসলামের নির্দেশনা দেওয়ার চেষ্টা করবো ইন শা আল্লাহ আর সে কারনেই আমাদের গ্রুপে প্রতিদিন অসংখ্য পোস্ট হয় যার বেশিরভাগ আমরা ডিলিট করে দেই কারণ সেগুলো থাকে প্রচলিত ধর্মের, ইসলাম ধর্মের নয় কিন্তু দুক্ষের বিশয় মানুষ বহুদিন থেকে যেটা করে আসছে সেটাকেই ধর্ম মনে করে আর আমরা এর বিপরিতে কুরআন হাদিসের দলিল উপস্থাপন করলেও মনগড়া শয়তানী যুক্তি দেওয়া শুরু করে যার কারনে আমরা ব্যান করতে বাদ্ধ হই ২- গ্রুপ থেকে মেম্বার ব্যান করলে নিশ্চয় আমাদের গ্রুপেরই ক্ষতি তবুও আমরা ব্যান করি কেন সেটা আপনাদের ভেবে দেখা দরকার কারণ এটাই যে, আমাদের কোন সঙ্খার দরকার নেই, আমরা সঠিক দ্বীন যতটা পারি ততটা প্রচারের চেষ্টা করবো কিন্তু মনগড়া ধর্ম প্রচার করে আপনাদের সন্তুষ্ট করে জাহান্নামে যাওয়ার আমাদের কোন ইচ্ছা নেই ৩- গ্রুপে যারা এডমিন রয়েছে তারা সবাই আল্লাহকে এতোটা অন্তত ভয় করে যে, না জেনে ধর্মের ব্যাপারে কিছু বললে পরিনাম বড় খারাপ হবে তাই তারা জানার অক্লান্ত চেষ্টা করে, অনেক পরিশ্রম করে আপনাদের দলিল খুজে দেয় আর একেবারেই অসমর্থ হলে তবুও নিজের থেকে কিছু না বলে আমাদের মদিনার শাইখদের থেকে জেনে দেন, এতো সতর্কতা অবলম্বন করে প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার পরও যদি আপনারা আবোল তাবল উত্তর দিয়ে প্রশ্নকারীকে বিভ্রান্তির মদ্ধে ফেলে দেন সেক্ষেত্রে এডমিনদের রেগে যাওয়া কি খুব বেশি অস্বাভাবিক? বা তাঁকে ব্যান করে দেওয়া কি অস্বাভাবিক? আপনারাই একটু চিন্তা করবেন ইন শা আল্লাহ আর আমাদের উপর কারো রাগ থাকলে ক্ষমা করবেন ৪- গ্রুপে আপনাকে নেওয়া হয়েছে জানার জন্য আপনি জানার চেষ্টা করবেন আর জানানোর কিছু থাকলে সেটা পোস্ট করবেন কিন্তু সেটা না করে প্রশ্নের উত্তর দিতে যাওয়া আপনার সমিচিন নয় এবং আমি বারবার সতর্ক করি এজন্য জাতে আপনি ব্যান হয়ে না জান কারণ এ পর্যন্ত ২০০০+ ব্যান হয়েছে গ্রুপের নিয়ম না মানার কারনে তাই প্রশ্নের উত্তর করতে যাবেন না ইন শা আল্লাহ ৫- আর প্রতিদিন কমপক্ষে ১০০ টা প্রশ্ন আসে, সবগুলোর দলিল খুজে দিতে গেলে আমাদের হাদিসগ্রন্থগুলো হাতে নিয়েই বসে থাকতে হবে তাই সব প্রশ্নের উত্তরে দলিল পেশ করা বাস্তবিকভাবেই সম্ভব নয় এটাও আপনাদের বুঝা উচিত তবুও আমরা দলিল দেবারই সর্বাত্মক চেষ্টা করি ৬- #আমরা আরবের বড় বড় স্কলারের ফতওয়া উল্লেখ করলে অনেক জাহেল টাইপের মেম্বার আছেন তারা বলে থাকেন– আপনারা তো কুরআন হাদিস ছাড়া কিছু মানেন না, এখন আবার উনার রেফারেন্স দিচ্ছেন কেন— তাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, আমরা সবকিছু মানি যদি না সেটা কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে যায় অর্থাৎ কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে না গেলে সবার কথাই গ্রহন করি কিন্তু বিরুদ্ধে গেলে তিনি যত বড় মাপের মানুষই হোক না কেন সেই মত আমরা গ্রহন করি না তাই তাদের এই মিথ্যা অপপ্রচার সঠিক নয় ৭- সর্বাত্মকভাবে চাই, আপনারাসহ আমরা সবাই যেন সঠিক দ্বীন জানতে পারি, মানতে পারি এবং অন্যদের জানাতে পারি আর জান্নাতে যেতে পারি ইন শা আল্লাহ, আপনার বন্ধুদের গ্রুপে অ্যাড করে দ্বীন প্রচারে শরিক হওয়ার আহ্বান থাকলো, আল্লাহ তা”লা সবাইকে উত্তম প্রতিদান দান করুণ, আমিন
    Nayon Ahmed
  • July 8
  • Sogood Islam Syeds
    7/8, 3:59pm

    Sogood Islam Syeds

    #### অলপ আমাৰ শৰীৰটো জানো আহক #### এই পৃথিৱীত 73% পানী আছে আৰু 27% মাটি আছে । এই মাটিত বিভিন্ন ধাতু , যেনে সোন , ৰূপ , তাম আদি আছে । ভগৱানে আমাক আমাৰ শৰীৰটো বুজাৰ বাবে কিমান সৰল কৰি থৈছে ।। আমাৰ শৰীৰত 73% পানী আছে আৰু বাকী খিনি মাটি । যাক আমি হাড় , মাংস আদি বুলি কওঁ । তাৰ মাজত আমাৰ শৰীৰত বিভিন্ন ধাতু যেনে সোন , ৰূপ , তাম , লৌহ আদি আছে ।। যদি আমেৰিকাত ভাৰতৰ পৰা কিবা বস্তু লৈ যাব লগা হয় , তেন্তে জাহাজৰ দ্বাৰা নিয়ে আৰু এই জাহাজ পানীত চলে ।। যদি পানী কম হয় সাগৰত , তেন্তে নিব নোৱাৰে । সাগৰৰ পানী কম হলে নদীৰ পানীও কম হয় , নদীৰ পানী কম হলে পুখুৰীৰ পানীও কম হয় । অৰ্থাৎ আমি খোৱা খাদ্য শৰীৰত পৰিবহনৰ বাবে পানীৰ দৰকাৰ । এই পানী নোহোৱা হলে শৰীৰে বিভিন্ন অংগৰ পৰা পানী লয় । যদি শৰীৰে লিভাৰৰ পৰা পানী লয় , তেন্তে লিভাৰ দুৰ্বল হয় , যদি শৰীৰে কিডনীৰ পৰা লয় , তেন্তে কিডনী দুৰ্বল হয় , যদি হাওঁফাওঁৰ পৰা লয় , হাঁওফাঁও দুৰ্বল হয় ।। শৰীৰৰ পানীৰ অভাৱ হলে পোন প্ৰথমে মগজু আৰু কলিজাক বচাই ৰাখে শৰীৰে । কাৰণ এই দুবিধ প্ৰধান অংগ । মগজুক আৰু কলিজাক বচোৱাৰ বাবে প্ৰথমে হাওঁফাওঁৰ পৰা লয় পানী । যদি বেছিদিন এনেকৈ চলে , তেন্তে হাঁওফাঁওত পানী নোহোৱা হৈ হাওঁফাওঁৰ ৰোগ , যেনে হাপানী , TB আদি হয় ।। এইবোৰক আয়ুৰ্বেদত বাতৰ ৰোগ বুলি কোৱা হয় । অৰ্থাৎ পানী কম হলে বায়ু বাঢ়ি যায় ।। তাৰ পিছত যদি আৰু বেছি পানীৰ দৰকাৰ হয় , তেতিয়া লিভাৰৰ পৰা লব । তেতিয়া ulcer আদি হব । তাৰ পিছত লব pancreas ৰ পৰা । তেতিয়া pancreas কাম নকৰা হব আৰু insulin উৎপন্ন কৰিব নোৱাৰিব ।। ফলত ডায়েবেটিচ হব । তাৰ পিছত শৰীৰে কিডনীৰ পৰা পানী লব ।। ফলত কিডনী কাম নকৰা হব ।। সেইবাবে ডায়েবেটিচ হোৱাৰ পাছতেই কিডনী বেয়া হয় ।। তাৰ পিছত লাহে লাহে হাত ভৰি , চকু আদি সকলোৰে পৰা পানী লৈ কলিজা আৰু মগজুক যোগান ধৰিব ।।। শেষত ডায়েবেটিচ হোৱা মানুহৰ এই দুটা অংগ হে ঠিকে থাকে ।। আমাৰ আধুনিক ডক্টৰ বোৰে এইবোৰত বিশ্বাস নকৰে । সেইবাবে এইবোৰ ৰোগ ঠিক কৰিবও নোৱাৰে ।। 12 বছৰৰ মূৰত কুম্ভমেলাত যি অমৃত পান কৰিব যায় , সেই অমৃত পানীত বাহিৰে আন একো নহয় ।। তাৰ পিছত পানীত ওপঙি থকা বস্তু এটা আগুৱাই যাবলৈ বতাহ লাগিব যঠেষ্ট ।। সেইবাবে আমি অক্সিজেন লওঁ আৰু এই অক্সিজেনে পানীত ওপঙি থকা বস্তুবোৰ , অৰ্থাৎ আমি খাদ্য খোৱাৰ পাছত পোৱা বস্তুবোৰ ঠেলি দিয়ে শৰীৰত ।। সেয়েহে অক্সিজেন বঢ়াব লাগে শৰীৰত ।। প্ৰাণয়ম আদি কৰি অক্সিজেন বঢ়োৱা হয় । আজিলৈ টোপনি লাগিছে ।। সময় হলে আকৌ লিখিম ।
    আচাৰ্য পংকজ পাঠক
  • July 9
  • Sogood Islam Syeds
    7/9, 12:37am

    Sogood Islam Syeds

    আমি চাই না জাকির নায়েককে কেউ কোন মুশরিকের হাতে সোপর্দ করুক, কিন্তু, জাকির নায়েকদের মত যারা রয়েছেন, তাদেরও মনে রাখতে হবে, সিলেকটিভ দাওয়াহ কিংবা তাগুত বর্জনের দাওয়াতকে মোড়কে মুড়িয়ে কাফির-মুশরিক-মুনাফিকদের মনমত দাওয়াহ দিয়েও তাদেরকে বেশিদিন খুশি রাখা যাবে না। হ্যাঁ, ঈমান একটি চারাগাছ। একে কোন মাটিতে স্থাপনের জন্য আপনাকে সে মাটিকে আগে নরম করতে হবে। আর সেজন্য কমপারেটিভ রিলিজিওন, সায়েন্স, জান্নাত-জাহান্নাম, কুফরী শাসনের অপকারিতা, সামাজিক ও নৈতিক উৎকর্ষতা, অর্থনৈতিক দৃঢ় বন্ধন ইত্যাদি অনেক কিছুই আপনি নিয়ে আসতে পারেন। কিন্তু, ঈমানের সে চারা বপন অর্থাৎ কুফর বিত তাগুত ও ঈমান বিল্লাহর দৃপ্ত ঘোষনা না দিয়ে সারাজীবন শুধু মাটি নরম করে গেলে কাজ হবে না। ওদিকে কাফির মুশরিকরাও খুশি হবে না। ইসলামের দাওয়াত একটি অনেক বড় ইবাদাত। যেখানে সামান্য দুই রাকাত নফল নামাজও আমরা নিজের ইচ্ছেমত করতে পারি না, সেখানে দাওয়াতের মত একটি ফরজ ইবাদাত, নবীওয়ালা কাজ কি করে আমরা নিজেদের পলিসি অনুযায়ী করতে পারি? প্রতিটি নবীর দাওয়াত ছিল, আল্লাহ বাদে তোমরা অন্য কারো দাসত্ব কোরো না। ভারতের নয়, বাংলাদেশের নয়, আমেরিকার নয়, সৌদি আরবের নয়, দুবাইর নয়, মরক্কো ইন্দোনেশিয়া মালয়েশিয়া কোন কিছুরই নয়…. দাসত্ব করতে হবে একমাত্র আল্লাহর। আল্লাহ ছাড়া অন্যের হুকুম মানতে গেলেই বিপত্তি। হ্যাঁ, এতে আজকে যে বিপত্তিটা হচ্ছে তার বহু আগেই এই বিপত্তিটি ঘটে যেতে পারত, ঘটত, কিছু টিভি স্টেশন, কিছু লেকচার কম করা যেত হয়ত, কিন্তু, নবীর সুন্নাহ ঠিক থাকত। হয়তোবা এতদিনে ইত্তেবাউস সুন্নাহ ঠিক থাকার দরুন আল্লাহর নুসরাহ তিনি পেয়ে যেতেন, যার ফলে আজ জবাবদিহিতার আসনে তিনি নয়, তিনি উল্টো শিবসেনা আর ভন্ড আলেমদের দাঁড় করাতে পারতেন। কারোরই নিজেকে খুব দামী ভাবা ঠিক নয়। ইসলামের বিকাশের পথ আল্লাহর চিরকাল জারি রাখবেন। আমরা যদি সে পথে কিছুমাত্র অবদান রাখতে পারি সুন্নাহ অনুযায়ী তবে সেটিই আমাদের জন্য যথেষ্ট, আর সেই আপোষহীন প্রতিটি দিনই কাজে লাগে, তা সে যতই সামান্য হোক না কেন। ইসলামের প্রকৃত রুপকে তুলে ধরার জন্য দলে দলে মুসলিম বানানোর চাইতে সামান্য ভুমিকে ইসলামের অভয়ারন্য বানানোটি বেশি জরুরী। সিরাত থেকে এই শিক্ষাটি নেয়া উচিৎ আমাদের সবার আগে। তা না করে কাফির মুশরিক মুরতাদ আর মুনাফিকদের মেডেল ক্রেস্ট আর সহযোগিতায় হয়ত পাবলিসিটি হয় ঠিকই, কিন্তু এসব কুফফারের দল শেষ পর্যন্ত ঠিকই পেছন থেকে ছুরি মারে। তাগুত বর্জনের দাওয়াহ ডে ওয়ান থেকে শুরু করতে হবে, প্রতিটি দাঈকে। নইলে গোটা বিশ্ব তাকে যতই দাঈ বলুক না কেন, তিনি মায়িদা-৬৭ এর শর্ত পুরনে ব্যর্থ হবেনই। ফলে শেষতক তাকে আম-ছালা সবই হারাতে হবে। আল্লাহপাক প্রতিটি মুমিনকে ইখলাস ও ইত্তেবাউস সুন্নাহ অটুট রাখার তৌফিক দান করুন, আমাদেরকে রক্ষা করুন এবং কাফিরদের ওপর আমাদেরকে বিজয় দান করুন।
    Rowshon Kabir
  • Monday
  • Sogood Islam Syeds
    7/11, 10:55am

    Sogood Islam Syeds

    Islamer Prochar added a new photo.
    The person who have changed Dr. Zakir Naik’s life is Shaikh Ahmed Deedat. And the person who have changed my life is Dr. Zakir Naik. It was 2011 when I came to know about this person through Peace TV Bangla. I was surprised at his public lecture, Specially the way he give references and his open question-answer session………ma shaa Allah……ma shaa Allah…..ma shaa Allah. And I was telling that this man may has power. And Yes, it’s true. He actually has power. He has the power of knowledge. Correct Knowledge of Quran and Hadith and also knowledge on many other religious scriptures. He is my Motivator, my Inspirator, my Dawah Teacher. Before I was a muslim by born and now I’m a muslim by myself. Because of him I became a practicing muslim. Because of him I came to know the purpose of my life. Because of him I came to know about the misconceptions of my religion. Because of him I am able to get more close to my Allah. Because of him I am encouraged and I don’t afraid to perform Sunnah of my prophet Muhammad (sallallahu ‘alaihi wa sallam) and I don’t afraid to speak The Truth. He is a man of Peace. He is an Islamic icon. He is an Islamic Star. He is the person who came to expose The Truth. The Islamic Hero is Dr. Zakir Naik in this modern age. May Allah (SWT) protect him from all evil eyes and danger. And may Allah (SWT) increase his hayat and give him great success in the field of Da’wah, in this world and the world hereafter. And may Allah (SWT) reward him greatly. Ameen.
    Islamer Prochar

 

2]-fb.mess-raf.old

 

  • Tuesday
  • Sogood Islam Syeds
    7/12, 10:01pm

    Sogood Islam Syeds

    সত্যের মাঝে ফুটন্ত গোলাপ added a new photo.
    একজন লোক মাত্র বিয়ে করে তার স্ত্রীকে সাথে নিয়ে বাড়িতে ফিরছিল। তারা যখন নৌকা দিয়ে সাগর পাড় হচ্ছিল, তখন হঠাৎ একটি বড় ঝড়ের কবলে পড়েছিল। লোকটি ছিল একজন সাহসী যোদ্ধা, কিন্তু তার স্ত্রী খুব ভীত হয়ে ওঠে যেহেতু নৌকাটি ছিল ছোট এবং যে কোন মুহূর্তে তারা নিমজ্জিত হতে যাচ্ছে এতে সে খুব নিরাশ হয়ে পড়ল। কিন্তু লোকটি তখনও নীরব এবং শান্ত ছিল যেন কিছুই ঘটেনি। , মহিলার আতঙ্কগ্রস্ত এবং কম্পিত কন্ঠে জিজ্ঞেস করল, “আপনি কি ভীত নন ?”। এটাই আমাদের জীবনের শেষ মুহূর্ত হতে পারে! শুধুমাত্র কিছু অলৌকিক ঘটনা আমাদের রক্ষা করতে পারে; অন্যথায় মৃত্যু নিশ্চিত। , লোকটি হাসতে হাসতে তার তলোয়ারটি খোলস থেকে বের করল। মহিলাটি আরো আতঙ্কিত হয়ে পরল; সে আসলে কি করতে যাচ্ছে? তারপর সে তার খোলা তলোয়ারটি তার স্ত্রীর প্রায় গলাকে স্পর্শ করে ধরে রাখল… , সে বলল, “তুমি কি ভয় পাচ্ছ?” তার স্ত্রী হাসতে শুরু করল আর বলল, “আমি কেন ভয় পাব? তলোয়ারটিতো আপনার হাতে, কেন আমি ভয় পাব? আমি জানি যে আপনি আমাকে আনেক ভালবাসেন।” , “সে তলোয়ারটি খোলসের ভিতর রাখতে রাখতে বলল, “তুমি আমার উত্তর পেয়ে গেছ” আমি জানি আল্লাহ আমাদের ভালবাসেন, এবং ঝড় তাঁরই হাতে। তাই যাহা-কিছুই হতে যাচ্ছে ভালই হবে। যদি আমরা বেঁচে থাকি, ভালো; আর না বাচলেও, ভালো; কারণ সবকিছু তাঁর হাতে এবং তিনি কোন ভুল কিছু করতে পারেন না। , # অনুপ্রেরণার_গল্প : সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস বৃদ্ধি করো এবং তাঁর প্রতি বিশ্বাস রেখো যিনি তোমার জীবনকে পুরো বদলে দিতে সক্ষম। সবকিছুই কোন একটি কারণেই ঘটে।
    সত্যের মাঝে ফুটন্ত গোলাপ
  • Sogood Islam Syeds
    7/13, 12:47am

    Sogood Islam Syeds

    Islamer Prochar added a new photo.
    .প্রশ্ন :মুসলিমগন কেন দাড়ি রাখেন ও গোঁফ ছেটেঁ রাখেন? ✔ জবাব:- ডাঃ জাকির নায়েক ‘‘ইবনে উমর বলেন-রাসুল (ﷺ) বলেছেন-অমুসলিমরা যা করে তার উল্টা করো, গোঁফ ছেটে নাও ও দাড়ি বড় কর।’’ সহিহ বুখারী-৭, হাদীস-৭৮০-৭৮১ মুসলিমের আনঅফিশিয়াল উপাধী- এর পেছনে যুক্তি কি – যেমন একজন ছাত্র সে MBBS পাশ করার পরই তার নামের সাথে ডাক্তার উপাধী যুক্ত হয়, এবং কারে যুক্ত হল । নিজেকে ডাক্তার হিসেবে প্রকাশ করতে তার কোন দ্বিধা বা লজ্জাবোধ কাজ করেনা। একইভাবে দাড়ি মুসলিমের চিহ্ন। দাড়ি রাখতে মুসলিমগন গর্ববোধ করেন আর দুটি দৃশ্যমান নির্দশন হলো টুপি পড়া ও টাখনুর উপর কাপর রাখা। যদি কারো দাড়ি, মাথায় টুপি ও সুন্নতি পোষাক থাকে আপনি খুব সহজেই সনাক্ত করতে পারবেন সে মুসলিম। ধরুন আপনি বাসে ভ্রমন করছেন একজন ভদ্রমহিলা হতে পারে পর্দানশীন তিনিও ভ্রমন করছেন, তখন কেউ যদি ভদ্রমহিলাকে কটুক্তি বা বিরক্ত করতে যায় সে আপনাকে দেখে বিরত হবে যদি বাসে আপনার মত আরও ১০ জন থাকে সে অন্ততপক্ষে ১০ বার চিন্তা করবে ভদ্রমহিলাকে বিরক্ত করা সমচিন হবে কিনা। ঐ বাসে ১০ জন বৃদ্ধ হলেও। কারন সে জানে উত্যক্ত করলে সমস্যায় পড়বে। আল্লাহ বলেন – ‘‘যারা আমার নিদর্শন বিস্বাস করে তাদের সালাম দিন।’’ সুরা আরাফ-৬, আয়াত-৫৪ সালাম ও সহোযোগিতা- একজন লোক সে বেশ কয়েকবার হজ্ব করেছেন তিনি এক বালক ফল বিক্রেতার নিকট ফল কিনতে আসলে জিজ্ঞেস করলেন-তুমি সালাম দিলানা কেন? বালকটি বললো আমি ভেবেছিলাম আপনি অমুসলিম। এবং সালাম দেয়া অপরিহার্য কর্তব্য প্রত্যেক মুসলিমের জন্য। যদি কারো দাড়ি, টুপি থাকে তবে তাকে খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায় এবং এটি মানুষকে সহায়তা করে বিভিন্নভাবে। যখন আপনি অপরিচিত অমুসলিমদের এলাকায় যাবেন (যা সাধারনত পাশ্চাত্য দেশে হয়ে থাকে) স্বভাবতই মসজিদ ও হালাল খাবারের তালাশ আপনাকে করতে হবে। আপনি তখন এমন লোককে খুঁজে বের করবেন যে কিনা মুসলিম।
    Islamer Prochar
  • Wednesday
  • Sogood Islam Syeds
    7/13, 7:02pm

  • Sogood Islam Syeds
    7/13, 7:05pm

    Sogood Islam Syeds

    Musaraf Hussain added 2 new photos.
    বিজেপি তথা বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেত্ৰী সাধ্বী প্ৰাচী এই কালনাগিনীয়ে ড: জাকির নায়েককে উদ্দেশ্য করে মন্তব্য করে , কেউ যদি ড:জাকির নায়েকের মুণ্ড সৌদি আরব থেকে কেটে এনে দিতে পারে তাহলে তাকে পঞ্চাশ লক্ষ (50,00,000) টাকা পুরষ্কার দেয়া হবে। অথচ “দ্যা হিন্দু” নামের ইংরাজী পত্ৰিকায় ড: জাকির নায়েককে ক্লীনশ্বিট দিয়ে জানায় যে SID র হাতে এখনো নায়েকের ভাষণ গুলোতে কোনো ধরণের উষ্কানি মূলক নির্দেশ পাওয়া যায়নি ।বাংলাদেশ সরকারেরও একই মন্তব্য । তবে এই কুলঙ্গনীয়ে এই মন্তব্য কেন করল ? এইটা কি সাম্প্রদায়িক মন্তব্য নয় ? বিজেপিয়ে কি দাঙ্গা করার মানসিকতারে সরকার গঠন করেছে নাকি ? প্ৰত্যক্ষ ভাবে মানূষকে হত্যা করার জন্যে সুপারি ঘোষনা করল , এটা কার কথা শুনাল বিজেপি দলের না হিন্দু পরিষদের দলীয় সাংবিধানিক কথা ? সাম্প্ৰদায়িক সংঘর্ষ যদি লেগে যায় তার জন্যে দাযি কে হ’বে ?
    Musaraf Hussain
  • Wednesday
  • Sogood Islam Syeds
    7/13, 11:15pm

    Sogood Islam Syeds

    বাংলাদেশি দাঈ দের জন্য কতিপয় গুরত্বপুর্ণ পরামর্শ .. 1* ভুলেও বাংলাদেশকে কখনো মুসলিম দেশ মনে করবেন না…মুসলিম পরিবারে জন্ম নিলেও এদের ইসলামি জ্ঞান এর খুবই অভাব…তাই বাংলাদেশ কে দাওয়াত একটা প্লাটফর্ম মনে করে আমাদের প্রচুর দাওয়াতি কাজ করতে হবে অনলাইন এর পাশিপাশি অফলাইনেও । এক্ষেত্রে বেশি বেশি কুরআন ও সহি সুন্নাহ প্রচার করতে হবে যাবতিও শির্ক বিদআত পরিহার করতে হবে মানুষ এর আকিদা বিশ্বাস ঠিক করতে হবে…এবং পাশাপাশি আমল শিক্ষাও দিতে হবে…। 2* বাংলাদেশের মানুষের ইসলাম এর যথেষ্ট আগ্রহ আছে তাই মানুষ এর সামনে সঠিক ইসলাম তুলে ধরতে হবে। 3* দাওয়াত এর ক্ষেত্রে বারাবারি পরিহার করুন মানহাজ ইস সালাফ অনুসরন করুন উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগান অবস্থা বুঝে ব্যাবস্থা নিন…কখনো ধৈর্যহারা হবেন না আর বিপদ আপদে ছবর করুন.. 4* ইসলাম এর শত্রুরা নানা রকম চক্রান্ত করতেছে ইসলাম এর বিরুদ্ধে তাই চোখ কান খোলা রেখে সাবধান এ পা ফেলবেন কোন রকম বিভ্রান্ত হবেন না। আর সময় যাবতিও পরিবেশ পরিস্থিতিতে নিজের অবস্থান পরিষ্কার রাখুন…. 5*কোনরুপ দলের দিকে কোন গোষ্ঠির দিকে কোন ব্যানার এর দিকে মানুষকে ডাকবেন না। যারা ডাকে তাদের থেকে দুরে থাকুন…ডাক হবে ইসলামের দিকে ডাক হবে আল্লাহর দিকে এবং তা শুধুমাত্র কোরআন ও সহি সুন্নাহ দ্বারা সলফে সলেহিন এর নিতিতে সলফে সলেহিন এর পদ্ধতিতে…. 6* দাওয়াতি কাজে আপনি নিজে অংশ নিতে পারেন এছাড়া ভাল ভাল লেখক এর বই তারপর পিডিএফ বই ও যারা কোরআন ও সহি সুন্নাহ ভিত্তিক কথাবার্তা বলেন তাদের অডিও ভিডিও লেকচার ও কোরআন ও হাদিসের ফটো ইসলামি সফটয়্যার এপস মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়ে দাওয়াতি কাজ করতে পারেন। আল্লাহ আমাদের তৌফিক দান করুন…আমীন সঠিক বুঝ দান করুন ও কোরআন ও সহি সুন্নাহ অনুযায়ী চলার তৌফিক দিন আমীন.. সুবহানাকা আল্লাহুম্মা ওয়া বিহামদিকা আশহাদুআল লা ইলাহা ইল্লা আনতা আসতিগফিরুকা ওয়া আতুবূ ইলাইক. .
    Jhony Ahmed
  • Thursday
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 4:45am

    Sogood Islam Syeds

    ——————————-মাসয়ালা——————————— বিষয় : বিবাহ অনেকেই ঢালাওভাবে বলে থাকে, বিয়ে করা ফরজ । চলুন জেনে নিই বিয়ে করার বিধান । ফরজ : – যার আর্থিক ও শারীরিক ক্ষমতা আছে এবং বিয়ে না করলে অশ্লীল কাজে লিপ্ত হওয়ার সম্ভাবনা আছে, তার জন্য বিয়ে করা ফরজ । হারাম :- যার আর্থিক ও শারীরিক ক্ষমতা নেই, অশ্লীল কাজে লিপ্ত হওয়ার ভয়ও নেই, তার জন্য বিয়ে করা হারাম । সুন্নাত :- যার আর্থিক ক্ষমতা নেই, শারীরিক ক্ষমতা আছে এবং অশ্লীল কাজে লিপ্ত হওয়ার কিছুটা ভয়ও আছে, তার জন্য বিয়ে করা সুন্নাত । মুস্তাহাব :- যার আর্থিক ক্ষমতা নেই, শারীরিক ক্ষমতা আছে এবং অশ্লীল কাজে লিপ্ত হওয়ার ভয়ও নেই , তার জন্য বিয়ে করা মুস্তাহাব । মাকরূহ:- যার শারীরিক ক্ষমতা নেই, শুধু আর্থিক ক্ষমতা আছে, তার জন্য বিয়ে করা মাকরূহ । ✔ শারীরিক ক্ষমতা মানে = যৌবনশক্তি . . . । ✔ আর্থিক ক্ষমতা মানে = স্ত্রী ও নিজের ভরণপোষণ . . । যারা সব থাকা সত্ত্বেও যে কোন কারণে বিয়ে করতে বিলম্ব করছেন, তারা বেশি বেশি রোজা রাখতে ভুলবেন না । এই রোজা আপনাকে সংযত রাখবে । নিজেকে নিয়ে একটু ভেবে দেখুন ! আপনি এর কোন পর্যায়ে রয়েছেন । তারপর বিয়ের সিঁড়িতে পা রাখুন । (শাইখ আইয়ুব আল মাদানি)
    Habibullah Reza
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 5:27am

  • Thursday
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 9:29am

    Sogood Islam Syeds

    যারা Peace TV বন্ধের চক্রান্ত করে যাচ্ছে তাদেরকে দস্যু হালাকু খানের ইতিহাস জানানো উচিত ______________ ৬৫৬ হিজরীতে যখন বাগদাদ ধ্বংস হয়েছিল তার পূর্বের ঘটনা এটি। ঐ সময়ে মাজহাবের কোন্দল নিয়ে পরিস্থিতি এমন জটিল হলো যে, এক মাজহাবের লোক আরেক মাজহাবের ইমামের পিছনে নামাজ হবে না বলে ফতোয়া দেওয়া শুরু করল। ______________ ঠিক ঐ সময় চীনের মঙ্গলিয়া এলাকার দস্যু হালাকু খান, যারা এমন দস্যু ছিল যে, নিজেদের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য কোন কিছু না পেলে নিজের ঘোড়ার পিঠে চাবুক মেরে রক্ত বের করে সে রক্ত পান করতো। চিঙ্গিস খানের দৌহিত্র হালাকু খান আব্বাসীয় খলিফার শেষ সময়ে যারা রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল সে সময় পরপর ৭ বার বাগদাদে আক্রমণ করে। কিন্তু প্রতিবারই মুসলমানদের জয় হয়। ______________ অবশেষে ৬৫৬ হিজরীর পূর্বে ইমাম শা’ফী মাজহাবের অনুসারীদের সাথে ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ)-এর অনুসারীদের বিতর্ক হয়! জেহেরী নামাজে সূরা ফাতিহার পূর্বে “বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম” সশব্দে পড়া নিয়ে। শা’ফী মাজহাবের অনুসারীরা বলেছিল সশব্দে পড়তে হবে আর হানাফী মাজহাবের দাবী ছিল আস্তে পড়তে হবে। ______________ এ নিয়ে ঝগড়া করে হানাফী মাজহাবের লোকেরা শা’ফী মাজহাবের লোকজনের হাতে মার খেয়েছিল। এরপর হানাফী মাজহাবের লোকরা প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দস্যু হালাকু খানের সাথে আতাত করেছিল। বাগদাদের লোকজনের সহযোগীতায় ৮ম বার ৬৫৬ হিজরীতে দস্যু হালাকু খান বাগদাদে আক্রমণ করে এবং সেদিন হানাফী, শা’ফেয়ী, মালেকী ও হাম্বলী সকল মাজহাবের অনুসারীদেরকে দস্যু হালাকু বাহিনী কঁচু কাটা কেটেছিল এবং মুসলমানদের পরাজয় হয়েছিল। ______________ খলিফা মুহতাসিম বিল্লাহকে চামড়ার বস্তায় ভরে কুঠার আঘাত করে করে হত্যা করা হয়েছিল। ঘটনা জানতে পড়ুন .. ফেরকাবন্ধী ও অনুসরণীয় ইমামগণের নীতি লিখেছেন – আল্লামা আব্দুল্লাহিল কাফী আল কুরাইশী (রহঃ)। ______________ উপরের ঘটনা তুলে ধরলাম এই জন্য যে, আজকে Peace TV-এর মাধ্যমে সারা পৃথিবী দলিলসহ হক্কের দাওয়াত পাচ্ছে। চিঙ্গিস খানের দৌহিত্র দস্যু হালাকু খানের মতো পৃথিবীর অনেক অমুসলিম দস্যুই এই Peace Tv-র শত্রু কিন্তু শত্রুতা করে সুবিধা করতে পারে নাই। ______________ আজ বাগদাদের ঘটনার মতো মুসলমানদের একটি দলই ছোটখাটো কিছু ফেরকা নিয়ে দস্যুদের সাথে হাত মিলিয়ে মুসলমানদেরই ধ্বংস করার চক্রান্ত করতে যাচ্ছে যার পরিণতি হতে পারে বাগদাদের মতো কারণ ইসলামের শত্রুদের কাছে কে হানাফী, কে মালেকী, কে শা’ফেয়ী আর কে হাম্বলী এটি বিষয় নয় তাদের মিশন মুসলমানদের ধ্বংস করা। ______________ কাজেই আসুন দলাদলি না করে পবিত্র কোরআন এবং সহীহ হাদিসের উপর আমল করার চেষ্টা করি তাহলে শেষ হবে সকল মতবাদের অবসান। তখনই ফিরে আসবে শান্তি আর ফিরে আসবে শৃঙ্খলা। লাইক, কমেন্ট, শেয়ার অথবা কপি-পেস্ট করে হলেও বেশি বেশি প্রচারের মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করুন। ______________ আল্লাহ আমাদের সবাইকে হক্ক বুঝার তওফিক দিক এবং হক্কের উপর অবিচল রাখুক। আমিন… — cltd
    ভালো ছেলে
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 9:40am

    Sogood Islam Syeds

    ‎মুহাম্মদ ﷺ ও সাহাবীদের কাহিনী‎ published a note.
    মুহাম্মদ ﷺ ও সাহাবীদের কাহিনী
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 11:02am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Friday
  • Sogood Islam Syeds
    7/15, 10:26am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন :- পায়ের টাখনুর নীচে কাপড় পরা যাবে কি? . উত্তর :- না। টাখনুর নিচে কাপড় পরিধান করলে জাহান্নামে যেতে হবে। . আবূ হুরায়রাহ (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, যে ব্যক্তি পায়ের টাখনুর নীচে কাপড় ঝুলিয়ে পরবে সে জাহান্নামী (বুখারী, মিশকাত হা/৪৩১৪, বাংলা ৮৮ খন্ড, হা/৪১২৫ শিষ্টাচার অধ্যায়)। . দয়াকরে শেয়ার করুন!
    Hossain Mahmud Bukhari
  • Friday
  • Sogood Islam Syeds
    7/15, 2:17pm

    Sogood Islam Syeds

    ব্রিটিশ এক পর্যটক ভারতবর্ষ সফর করে দেশে ফিরে যাওয়ার পর তাকে প্রশ্ন করা হল,” ওয়াবী মতবাদ কি? ভারতের মুসলমানরা ওয়াহাবী মতবাদের বিরোধীতা করে কেন বা ওয়াহাবী মতবাদকে ভয় পায় কেন? পর্যটক বলল : আমি যা জেনেছি, আরবের মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাব নামে এক লোক মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহর আনীত ধর্মমত প্রচার-প্রসার করে এবং মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহর পদাঙ্ক অনুসরন করে চলে। তাই ভারতে যারা মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহাবের পদাঙ্ক অনুসরন করে তাদেরকে ওয়াহাবী বলা হয়। আর সেই মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহর ইসলামকেই তারা ওয়াহাবী মতবাদ বলে থাকে। ( তথ্যসূত্র মনে নেই, তবে যতদুর মনে পরে ” আহলে হাদীসের বিরোদ্ধে বিষোদঘারের তথ্য রহস্য কিতাবে পড়েছিলাম।) আর বর্তমানে ডা: জাকির নায়কের বিরোধীতার কারণ ও একই।
    Abu Hanifa
  • Friday
  • Sogood Islam Syeds
    7/15, 8:18pm

    Sogood Islam Syeds

    বাংলাদেশ সরকারকে জাকির নাইকের চ্যালেঞ্জ . . অমিতাভ ভট্টশালী . বিবিসি বাংলা, কলকাতা . ১৫ জুলাই ২০১৬ . শেয়ার করুন  . . ইসলামী ধর্মপ্রচারক জাকির নাইক বলেছেন, তিনি কখনই কোন সন্ত্রাসী কাজে উৎসাহ দেন নি। . . . তিনি বলেছেন, জিহাদের নামে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা ইসলামে দ্বিতীয় বড় পাপ।. . . “এটা ইসলামে নিষিদ্ধ, হারাম,” মন্তব্য জাকির নাইকের। . . বাংলাদেশ সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন, তার ভাষণের কোন অংশটা সেদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেই পুরো অনুষ্ঠানটা দেখানো হোক। . . ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌদি আরবের মদিনা থেকে স্কাইপের মাধ্যমে জাকির নাইক এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।. . . মি. নাইক ওই সংবাদ সম্মেলনে বারে বারেই বলতে থাকেন যে তিনি তার কোনও ভাষণেই সন্ত্রাসের পক্ষে কথা বলেন নি। . . . অনেক ক্ষেত্রে ‘ডক্টরড টেপ’ অর্থাৎ কাটছাঁট করা ভিডিও দেখেই তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করছে সংবাদ মাধ্যম, এমনটাই মত জাকির নাইকের। . . . তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে এরকম ছোট ছোট কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেই এধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। কয়েকটা ভিডিও ক্লিপে আবার আমার ভাষণের একটা দুটো বাক্য অপ্রাসঙ্গিক ভাবে তুলে নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।” . . . “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, পিস টিভিতে দেওয়া আমার পুরো ভাষণগুলো কেউ দেখাক। তারপরে বলুক যে কোন অংশটা ভারত বা বাংলাদেশের জন্য অশান্তি তৈরি করতে পারে?” প্রশ্ন জাকির নাইকের।. . . তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ভারতে আটক এক যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন যে তার ছেলে জাকির নাইকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছিল। . . . এছাড়াও আই এসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভারতে আরও কয়েকজনের পরিবার অভিযোগ করেছে যে তারা জাকির নাইকের বক্তব্য দেখেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। . . . এই প্রসঙ্গে মি. নাইক বলেন যে তিনি প্রতি মাসে কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। তারা তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজনকেই হয়তো তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন। . . . “জ্ঞাতসারে আমি কোন সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে দেখা করি নি। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মধ্যে যদি এমন ব্যক্তি কেউ থেকে থাকেন যিনি সন্ত্রাসবাদী, তাহলে তো সেটা আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়!” . . . ভারতে তার পিস টি ভি চ্যানেলটি দেখানোর অনুমতি কেন দেয় নি সরকার, সেই প্রসঙ্গও তোলেন জাকির নাইক। . . . “কেন অনুমতি দেওয়া হয় নি, তার একটা কারণ আমি আন্দাজ করতে পারি – পিস টি ভি একটা মুসলিম চ্যানেল, এটা ইসলামি চ্যানেল। সেজন্যই অনুমতি দেয় নি ভারত সরকার,” বলছিলেন জাকির নাইক। . . . মুম্বাই পুলিশ জাকির নাইকের বিরুদ্ধে যে তদন্ত চালাচ্ছে, তিনি সেই তদন্তের মুখোমুখি হতেও রাজী। . . . তবে ওই তদন্তের কথা তিনি শুধু সংবাদমাধ্যমেই জেনেছেন। সরকারি পর্যায়ে কেউ তার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করে নি বলে তিনি জানিয়েছেন। . . https://http-www-bbc-com.0.freebasics.com/ bengali?iorg_service_id_internal=8857938314970 00%3BAfpYZuLhlQg48MTU
    Tazul Islam Shaheb
  • Sogood Islam Syeds
    7/15, 8:20pm

    Sogood Islam Syeds

    বাংলাদেশ সরকারকে জাকির নাইকের চ্যালেঞ্জ . . অমিতাভ ভট্টশালী . বিবিসি বাংলা, কলকাতা . ১৫ জুলাই ২০১৬ . শেয়ার করুন  . . ইসলামী ধর্মপ্রচারক জাকির নাইক বলেছেন, তিনি কখনই কোন সন্ত্রাসী কাজে উৎসাহ দেন নি। . . . তিনি বলেছেন, জিহাদের নামে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা ইসলামে দ্বিতীয় বড় পাপ।. . . “এটা ইসলামে নিষিদ্ধ, হারাম,” মন্তব্য জাকির নাইকের। . . বাংলাদেশ সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন, তার ভাষণের কোন অংশটা সেদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেই পুরো অনুষ্ঠানটা দেখানো হোক। . . ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌদি আরবের মদিনা থেকে স্কাইপের মাধ্যমে জাকির নাইক এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।. . . মি. নাইক ওই সংবাদ সম্মেলনে বারে বারেই বলতে থাকেন যে তিনি তার কোনও ভাষণেই সন্ত্রাসের পক্ষে কথা বলেন নি। . . . অনেক ক্ষেত্রে ‘ডক্টরড টেপ’ অর্থাৎ কাটছাঁট করা ভিডিও দেখেই তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করছে সংবাদ মাধ্যম, এমনটাই মত জাকির নাইকের। . . . তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে এরকম ছোট ছোট কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেই এধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। কয়েকটা ভিডিও ক্লিপে আবার আমার ভাষণের একটা দুটো বাক্য অপ্রাসঙ্গিক ভাবে তুলে নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।” . . . “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, পিস টিভিতে দেওয়া আমার পুরো ভাষণগুলো কেউ দেখাক। তারপরে বলুক যে কোন অংশটা ভারত বা বাংলাদেশের জন্য অশান্তি তৈরি করতে পারে?” প্রশ্ন জাকির নাইকের।. . . তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ভারতে আটক এক যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন যে তার ছেলে জাকির নাইকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছিল। . . . এছাড়াও আই এসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভারতে আরও কয়েকজনের পরিবার অভিযোগ করেছে যে তারা জাকির নাইকের বক্তব্য দেখেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। . . . এই প্রসঙ্গে মি. নাইক বলেন যে তিনি প্রতি মাসে কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। তারা তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজনকেই হয়তো তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন। . . . “জ্ঞাতসারে আমি কোন সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে দেখা করি নি। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মধ্যে যদি এমন ব্যক্তি কেউ থেকে থাকেন যিনি সন্ত্রাসবাদী, তাহলে তো সেটা আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়!” . . . ভারতে তার পিস টি ভি চ্যানেলটি দেখানোর অনুমতি কেন দেয় নি সরকার, সেই প্রসঙ্গও তোলেন জাকির নাইক। . . . “কেন অনুমতি দেওয়া হয় নি, তার একটা কারণ আমি আন্দাজ করতে পারি – পিস টি ভি একটা মুসলিম চ্যানেল, এটা ইসলামি চ্যানেল। সেজন্যই অনুমতি দেয় নি ভারত সরকার,” বলছিলেন জাকির নাইক। . . . মুম্বাই পুলিশ জাকির নাইকের বিরুদ্ধে যে তদন্ত চালাচ্ছে, তিনি সেই তদন্তের মুখোমুখি হতেও রাজী। . . . তবে ওই তদন্তের কথা তিনি শুধু সংবাদমাধ্যমেই জেনেছেন। সরকারি পর্যায়ে কেউ তার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করে নি বলে তিনি জানিয়েছেন। . . https://http-www-bbc-com.0.freebasics.com/ bengali?iorg_service_id_internal=8857938314970 00%3BAfpYZuLhlQg48MTU
    Tazul Islam Shaheb
  • Today
  • Sogood Islam Syeds
    5:17am

    Sogood Islam Syeds

    Uddipta Narayan Raja added 2 new photos.
    এনে পৰিৱৰ্তন আমাৰ কাম্য নাছিল। পূৰ্বৰ চৰকাৰৰ দৰে নিৰীহ জনতাৰ ওপৰত যদি এনেকে আৰক্ষী, অৰ্ধ সামৰিক বাহিনী জঁপিয়াই পৰে, প্ৰতিবাদৰ ভাষা বুজি নাপাই তেন্তে পূৰ্বৰ চৰকাৰ আৰু বৰ্তমানৰ খিলঞ্জীয়াৰ চৰকাৰৰ মাজত পাৰ্থক্য কি থাকিল ???? ৰহাত এইমছ হব লাগিব বুলি আপুনি এ পত্ৰ লিখা নাছিল নে প্ৰধানমন্ত্ৰীলৈ, এতিয়া সকলো পাহৰিলে যে ?? মুখ্যমন্ত্রীৰ চকী খন বচোৱাৰ স্বাৰ্থত হিমন্ত বিশ্বৰ ওচৰত আঠু ললে নেকি ??? আজিৰ পৰিস্থিতিৰ বাবে দায়ী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা। কাৰণ নিৰ্বাচনৰ সময়ত এখন প্ৰচাৰ সভাত ৰহাৰ নাম তেখেতেই প্ৰস্তাৱ কৰা বুলি দম্ভালি মাৰিছিল। এইমছ ৰহাতে হব বুলিও প্ৰতিশ্ৰুতি দিছিল। আমি কেৱল নিৰ্বাচনি প্ৰতিশ্ৰুতিৰ ভিত্তিত এইমছ দাবী কৰা নাই। expert টিমৰ প্ৰতিবেদনত ৰহাক “more suitable” বুলি কোৱা স্বত্তেও চক্ৰান্ত কৰি বঞ্চিত কৰাৰ হে প্ৰতিবাদ কৰিছোঁ। 2মাহ নহওঁতেই খিলঞ্জীয়াৰ চৰকাৰ বণিয়াৰ চৰকাৰ লৈ পৰিবৰ্তিত হল। এইয়াই নেকি পৰিৱৰ্তন !!!! পূৰ্বৰ আন্দোলনকাৰি সকলে শাসনৰ বাঘজৰী লৈ IMDT আইনৰ বাবে বিদেশী খেদিব নোৱাৰিলে, ভোগ বিলাহত ডুব গৈ অসম চুক্তি ৰূপায়ন কৰিবও পাহৰিলে। কিন্তু এতিয়া বাধা কত। কেন্দ্ৰত আপোনালোকৰ চৰকাৰ। ৰাজ্যত জাতীয় নায়কৰ নেতৃত্বত তথা কথিত খিলঞ্জীয়াৰ চৰকাৰ। তাৰ পিছত বিদেশীক খেদাৰ সলনি ৰঙা দলিচা পাৰি আদৰণি জনোৱাৰ প্ৰয়োজন কি। অসমৰ সম্পদৰ ওপৰত অসমৰ অধিকাৰ, তেজ দিম তেল নিদিওঁ শ্লোগান আপোনালোকেই দিয়া নাছিল নে ??? হিন্দু হওক মুছলমান হওক অবৈধ বিদেশী যাবই লাগিব বুলি হুংকাৰ দিয়া নাছিল নে ?? বিশ্বৰ প্ৰভাৱশালী নেতা যে সচাঁ অৰ্থত হয় প্ৰমাণ কৰক। ইমান যদি দৰদ উপজিছে তেন্তে তেওঁলোকক বাংলাদেশ, পাকিস্তান চৰকাৰক বাধ্য নকৰে কিয় তেওঁলোকৰ সুৰক্ষা নিশ্চিত কৰিবলৈ। ৰাষ্ট্ৰসংঘৰ পৰা হেঁচা প্ৰয়োগ কৰাওক। প্ৰয়োজন হলে বাংলাদেশ নিৰ্মাণ কৰা দৰে বাংলাদেশ আক্ৰমণ কৰি হিন্দু বাংলাদেশ নিৰ্মাণ কৰক আৰু তাতে পাকিস্তানৰ নিৰ্যাতিত হিন্দু সকলক সংস্থাপিত কৰক । ১৯৭১ ৰ পিছত আহি অবৈধ ভাবে অসমত থকা সকললৈ যদি ইমান মৰম জাগিছে তেন্তে bjp শাসিত প্ৰদেশ গুজৰাট, ৰাজস্থান, মহাৰাষ্ট্ৰ লৈ যোৱাৰ সাহস দেখাওক। বাংলাদেশী আমি গ্ৰহণ নকৰোঁ কোনো কাৰণত। সকীয়াই থলো, অন্যথা ভয়ংকৰ পৰিস্থিতিৰ মুখামুখি হবলৈ সাজু থাকক। ✍ উদ্দীপ্ত নাৰায়ণ ৰজা।
    Uddipta Narayan Raja
  • Today
  • Sogood Islam Syeds
    12:58am

    Sogood Islam Syeds

    Aminur Rahman Noyon shared ইসলামের দাওয়াত’s post to the group: মাসিক আত-তাহরীক.
    Aminur Rahman Noyon

 

1]-fb.mes-old-raf

 

  • Sogood Islam Syeds
    1:05am

    Sogood Islam Syeds

    সাধারণ মুসল্লীদের সালাত আদায়ের মধ্যে ভিন্নতার কারণঃ @@@@@@@@@@@@@ আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের বাস্তব সালাত এবং রাসূলের (স.) সালাতের তরীকার মধ্যে সচরাচর অনেক পার্থক্য দৃশ্যমান হয়। অথচ সহীহ হাদীস অনুযায়ী রাসূলের (স.) সালাতের একটি মাত্রই নিয়ম ছিল। তবে কোন কোন সময় কোন কোন বিষয়ে কিঞ্চিৎ পার্থক্য দেখা দিত। যেমন, তিনি কখনো সালাতকে লম্বা করতেন আবার কখনো সংক্ষিপ্ত করতেন, এমনি ভাবে সিনার উপর হাত রাখার পর কখনো ডান হাতকে বাম বাহুর উপর রাখতেন, আবার কখনো কব্জির উপর রেখে ধরতেন, আবার কখনো হাতের উপর হাত রাখতেন। এমনি ভাবে রাফ’উল ইয়াদাইন করতে কখনো তিনি কাঁধ পর্যন্ত আবার কখনো কান পর্যন্ত হাত উঠাতেন। মোট কথা এই পার্থক্যগুলি ছিল শুধু বাহ্যিক কার্যভঙ্গি এবং লম্বা ও সংক্ষিপ্ত করার ব্যাপারে, কিন্তু কাজটি করার ব্যাপারে কোন পার্থক্য ছিল না। এই পার্থক্যের মূল কারণগুলি হল রাসূল (স.)-এর সালাত আদায় পদ্ধতি সম্বন্ধে অজ্ঞতা, মাযহাবগত ধারণা ও সংকীর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি। মাযহাবের ভয়াবহতা সম্বন্ধে সচেতনতার প্রয়োজনীয়তাঃ এই একবিংশতিতম শতাব্দীর প্রারম্ভে বর্তমান দুনিয়ার প্রায় ১৪০ কোটি মুসলমানই সর্বত্র কমবেশী নিগৃহীত হচ্ছে এ জন্য যে, মুসলমানরা বিভিন্ন মাযহাব, ফিরকাহ ও ঘরানায় বিভক্ত এবং সাধারণ (Common) শত্রুর বদলে পরস্পর পরস্পরের বিরুদ্ধে দ্বন্দ্বেই অধিকতর লিপ্ত। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে মাযহাব, ফিরকাহ, ঘরানা নির্বিশেষে গোটা মুসলিম উম্মাহর ঐক্য এখনই গড়ে না তুললে সামাজ্যবাদী-ইহুদীবাদী ও উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের সুপরিকল্পিত রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামরিক আগ্রাসন থেকে আত্মরক্ষা করা কোনক্রমেই সম্ভবপর হবে না।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:16am

    Sogood Islam Syeds

    বাংলাদেশে মানুষের মাযহাব সম্বন্ধে ভ্রান্ত ধারণাঃ @@@@@@@@@@@@@@ বাংলাদেশ একটি মুসলিম প্রধান দেশ, এখানকার জনগোষ্ঠির প্রায় ৯০% মুসলমান। এ দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলমান ধর্মভীরু সুন্নী, কিন্তু সঠিক ধর্মীয় শিক্ষাদীক্ষার অভাবে তারা প্রায়শঃই বিভিন্ন ধরণের শিরক, বিদ’আতকে ইসলামী শরিয়াহ-র অংশ হিসাবে গণ্য করে আসছে। এরা মাযহাব সম্বন্ধে খুবই সচেতন, এক মাযহাব অনুসারী অন্য মাযহাবীকে বা যারা মাযহাব অনুসরণ করেন না তাদেরকে তাচ্ছিল্য করে। এদের বেশীর ভাগের ধারণা চারজন ইমামের অনুসরণীয় মাযহাব স্বীকার করা ফরজ, শরীয়তের উপর আমল করতে চার ইমামের একজনের পয়রবী করা ওয়াজিব, বিপরীত করলে অর্থাৎ যে কোন একটি মাযহাব না মানলে শরীয়ত হতে খারিজ হতে হবে, এক মাযহাব-এ থেকে অন্য মাযহাবের কোন অংশ অনুসরণ করা যাবে না, চারজনের মধ্যে আজীবন শুধু মাত্র একজনের অন্ধ অনুসরণ করতে হবে ইত্যাদি। এছাড়াও বিভিন্ন অপসংস্কৃতির সংমিশ্রনে এদেশে যে সব আচার-আচরণ, ধর্মীয় বিশ্বাস গড়ে উঠেছে সেগুলির বেশির ভাগই ভ্রান্ত এবং কুরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত সঠিক আচার আচরণ নয়। এই কারণেই বর্তমানে আমাদের দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিমদের আদায়কৃত সালাত এবং রাসূলের (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আদায়কৃত সালাতের তরীকার মধ্যে সচরাচর ভিন্নতা দৃশ্যমান হয়। তাই মাযহাব-এর শাব্দিক অর্থ কি, চার মাযহাব কখন সৃষ্টি হয়েছে, রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও তাঁর সাহাবীগণের মাযহাব কি ছিল, চারজন ইমাম কোন মাযহাব মানতেন, চার মাযহাব মানা কি ফরয, মাযহাব ইসলামের কি ক্ষতি করছে ইত্যাদি বিভিন্ন প্রশ্নের সঠিক উত্তর জানার মাধ্যমে মাযহাব সম্বন্ধে একটি স্বচ্ছ ধারণা থাকা ও কোরআন ও সুন্নাহ নির্দেশিত সঠিক দিকনির্দেশনা জেনে রাখা একান্ত অপরিহার্য।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:19am

    Sogood Islam Syeds

    ইমামগণের মধ্যে মতানৈক্যের একটি উদাহরনঃ @@@@@@@@@@@@@ ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) এর মতে কোন মহিলাকে স্পর্শ করলে ওযু নষ্ট হয়ে যায়। অপরদিকে ইমাম আবু হানিফার (রহঃ) মতে ওযু নষ্ট হয় না। দুই ইমামের মতামতের এই বৈষম্যতার কারণে আমাদের অপরিহার্য কর্তব্য হল, কুরআন ও সহীহ হাদীসের দিকে প্রত্যাবর্তন করা। কারণ মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: “অতঃপর কোনো ব্যাপারে তোমরা যদি একে অপরের সাথে মতবিরোধ করো, তাহলে সে বিষয়টি (ফয়সালার জন্যে) আল্লাহ তায়ালা ও তাঁর রসূলের দিকে ফিরিয়ে নিয়ে যাও, যদি তোমরা (সত্যিকার অর্থে) আল্লাহর ওপর এবং শেষ বিচার দিনের ওপর ঈমান এনে থাকো! (তাহলে) এই পদ্ধতিই হবে (তোমাদের বিরোধ মিমাংসার) সর্বোত্কৃষ্ট উপায় এবং বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহের ব্যাখ্যার দিক থেকেও (এটি) হচ্ছে উত্তম পন্থা। {সূরা আন্ নিসা, আয়াত ৫৯} আর আমরাতো কেবল আল্লাহর নিকট হতে অবতারিত কুরআনের অনুসরণ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছি। আর রাসূল (সঃ) সহীহ হাদীসের মাধ্যমে তার ব্যাখ্যা দান করেছেন। তাই এরশাদ হচ্ছে: “(হে মানুষ, এ কিতাবে) তোমাদের মালিকের কাছ থেকে তোমাদের কাছে যা কিছু পাঠানো হয়েছে তোমরা তার (যথাযথ) অনুসরণ করো এবং তা বাদ দিয়ে তোমরা অন্য কোনো অলি আউলিয়ার পৃষ্ঠপোষকদের অনুসরণ করো না; (আসলে) তোমরা খুব কমই উপদেশ মেনে চলো।” {সূরা আল আ’রাফ, আয়াত ৩} সত্য কোন সময় একাধিক হতে পারে না। প্রকৃত সত্য হল, ওযু ভঙ্গের কারণগুলির মধ্যে কোন মহিলাকে স্পর্শ করা অন্তর্ভুক্ত নয় বিধায় কোন মহিলার শরীর স্পর্শ করলে ওযু ভঙ্গ হবে না। সুতরাং কোন মুসলিমের সামনে কোন সহীহ হাদীস উপস্থাপিত হলে তাকে একথা বলা জায়েয নয় যে, এটা আমাদের মাযহাব বিরোধী। কারণ সমস্ত ইমামের ইজমা (ঐকমত্য) হচ্ছে যে সহীহ হাদীস গ্রহণ করবে এবং ঐ সমস্ত মতবাদ পরিহার করবে যা সহীহ হাদীসের পরিপন্থী।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:21am

    Sogood Islam Syeds

    হাদিস সম্পর্কে ইমাম শাফেয়ী (রহ:) এর অভিমতঃ @@@@@@@@@@@@@@ ইমাম শাফেয়ী (রহঃ) যিনি আহলে-বাইতের (নবীর বংশধরের) একজন, তিনি বলেন: (১) এমন কেউ নেই যার নিকট রাসূলের (সঃ) সমস্ত হাদীস পৌঁছেছে বরং কিছু হাদীস পৌঁছেছে আর কিছু তাঁর অজ্ঞাত রয়ে গেছে, তাই আমি যত কথাই বলিনা কেন, আর যতই কায়দা প্রণয়ন করিনা কেন, যদি রাসূল (সঃ) হতে তার প্রতিকূলে কোন কথা থাকে তবে রাসূল (সঃ) এর কথাই গ্রহণযোগ্য আর সেটাই আমার উক্তি বা মত। (২) মুসলমানদের ইজমা (ঐকমত্য) এই যে, যদি কোন ব্যক্তির নিকট রাসূল (সঃ) এর কোন সুন্নাত স্পষ্টভাবে প্রকট হয় তবে তাঁর কথা ছাড়া অন্য কারো কথা গ্রহণ করা জায়েয হবে না। (৩) যদি আমার কোন কিতাবে রাসূল (সঃ) এর হাদীসের বিপরীত কোন কথা পাও, তবে রাসূল (সঃ) এর কথাকেই গ্রহণ করবে সেটাই আমার মত। (৪) যদি কোন হাদীস সহীহ হয় তাহলে সেটাই আমার মাযহাব। (৫) ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রঃ) কে সম্বোধন করে উক্তিঃ তোমরা আমার অপেক্ষ‍া হাদীস ও তার বর্ণনাকারীদের বিষয়ে অধিক জ্ঞাত আছ। অতএব যদি কোন হাদীস সহীহ সূত্রে পাও তাহলে আমাকে সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দেবে যেন আমি তা অবলম্বন করতে পারি। (৬) যে সমস্ত মাসআলা আমি বলেছি তার প্রতিকূলে যদি হাদীস বিশারদদের নিকট সহীহ হাদীস প্রমাণিত হয়, তাহলে আমার বলা মাসআলা থেকে আমি আমার জীবদ্দশাতে ও মৃত্যুর পর প্রত্যাবর্তন করছি। (গ্রন্থসূত্রঃ তারীখে দেমাশক / আলঈকায, পৃ. ৫৮, ১০০, ১০৪, ১০৭, ১৫২ / এলামুল মোআক্কেঈন, ২য় খন্ড, পৃ. ৩০২, ৩২৫, ৩৬১, ৩৬৩-৩৬৪, ৩৭০ / যম্মুল কালাম, ৩য় খন্ড, পৃ. ১, ৪৫ / আল এহতেজাজ বিশশাফেয়ী, ৮ম খন্ড, পৃ. ২ / ইবনে আসাকের তারীখ গ্রন্থের ১৫তম খন্ড, পৃ. ৯, ৯২ / আলমাজমূ, ১ম খন্ড, পৃ. ৬৩ / আলহেলইয়াতুল আওলিয়া, ৯ম খন্ড, পৃ. ১০৫, ১০৭, ৬০৬ / আলমীযান, ১ম খন্ড, পৃ. ৫৭ / ইবনে আবী হাতেম এর আল আদাবুশ শাফেয়ী গ্রন্থের পৃ. ৯৩-৯৫ / আলএনতেকা, পৃ. ৭৫ / মানরাবেকুল ইমাম আহমদ, পৃ. ৪৯৯ / আলহেরাবী, পৃ. ৪৭ / আল আমালী / আলমোন্তাকা, ১ম খন্ড, পৃ. ২৩৪
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:22am

    Sogood Islam Syeds

    হাদিস সম্পর্কে ইমাম মালেক এবং আহমাদ বিন হাম্বল (রহ:) এর অভিমতঃ @@@@@@@@@@@@@@ ইমাম (রহঃ) গণের কতিপয় উক্তি তুলে ধরা হচ্ছে। তাদেরকে কেন্দ্র করে যেসব দোষারোপ করা হয় তাঁদের এই উক্তির মাধ্যমেই তা দূরীভূত হবে এবং তাদের অনুসারীদের নিকট ন্যায় ও সত্য স্পষ্ট রূপে উদঘাটিত হবে। ইমাম মালেক (রহঃ) যিনি মদীনাবাসীদের ইমাম বলে সুবিদিত ছিলেন, তিনি বলেন: (১) আমিতো একজন মানুষ মাত্র, ভুলও বলি, সঠিকও বলি। তাই আমার অভিমতকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করে তার মধ্যে যেগুলো কুরআন ও হাদীসের অনুকূলে হয় তা গ্রহণ কর, আর যে গুলো কুরআন ও হাদীসের প্রতিকূলে হয়, তাকে পরিহার কর। (২) রাসূল (সঃ) এর পরে কোন ব্যক্তি নেই যার সব কথা গ্রহণীয়, বর্জনীয় নয় বরং কিছু কথা গ্রহণীয় হতে পারে আবার বর্জনীয় হতে পারে। একমাত্র রাসূলের (সঃ) কথার সবগুলোই গ্রহণীয়, কোন কিছুই অগ্রহণীয় নয়। (গ্রন্থসূত্র: আলজামেউ ফী বয়ানিল এলম, ১ম খন্ড, পৃ. ২২৭, ২য় খন্ড, পৃ. ৩২ / উসূলুল আহকাম, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ. ১৪৫-১৭৯ / আলঈকায, পৃ. ৭২ / এরশাদুল সালেক, ১ম খন্ড, পৃ. ২২৫ / তকীউদ্দীন সুবকী (র.) এর ফতোয়া গ্রন্থের ১ম খন্ড, পৃ. ১৪৮ **ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) যাঁকে আহলে সুন্নাতদের ইমাম বলা হয়, তিনি বলেন: (১) আমার তকলীদ (অন্ধ অনুসরণ) করো না, আর না মালেকের (রহঃ), বা শাফেয়ী (রহঃ) বা আওযায়ী (রহঃ) অথবা সাওয়ারীর (রহঃ) বরং তাঁরা যেখান হতে গ্রহণ করেছেন সেখান হতে গ্রহণ কর (কুরআন ও হাদীস হতে)। (২) যে ব্যক্তি রাসূল (সঃ) এর কোন হাদীসকে প্রত্যাখ্যান করবে সে তো ধ্বংসের কিনারায় এসে দাঁড়িয়েছে। (গ্রন্থসূত্র: আলঈকায, পৃ. ১১৩ / এলামুল মোআক্কেঈন, ২য় খন্ড, পৃ. ৩০২ / আবূ দাঊদ, মাসায়েলে ইমাম আহমদ, পৃ. ২৭৬-২৭৭ / জামে বয়ানিল এলম, ২য় খন্ড, পৃ. ১৪৯ / মানাকেবে ইমাম আহমদ, পৃ. ১৮২
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:23am

    Sogood Islam Syeds

    হাদীস সম্পর্কে ইমাম আবু হানিফা (রহ:) এর অভিমতঃ @@@@@@@@@@@@@ ইমাম (রহঃ) গণের কতিপয় উক্তি তুলে ধরা হচ্ছে। তাদেরকে কেন্দ্র করে যেসব দোষারোপ করা হয় তাঁদের এই উক্তির মাধ্যমেই তা দূরীভূত হবে এবং তাদের অনুসারীদের নিকট ন্যায় ও সত্য স্পষ্ট রূপে উদঘাটিত হবে। প্রত্যেক ব্যক্তিই যার ফিকহের নিকট ঋণী সেই ইমাম আবু হানিফা (রহঃ) বলেন: (১) কোন ব্যক্তির জন্য আমাদের কোন কথাকে গ্রহণ করা হালাল হবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত সে জ্ঞাত না হবে যে, তা আমরা কোথা থেকে প্রাপ্ত হয়েছি। (২) আমার দলীল না জেনে, শুধু কথার উপর ভিত্তি করে ফতোয়া দেয়া হারাম। কারণ আমরা মানুষ, আজ এক কথা বলি, আগামীকাল আবার ওটা হতে প্রত্যাবর্তন করি। (৩) যদি আমি এমন কোন কথা বলি, যা আল্লাহর কিতাব কিংবা রাসূল (সঃ) এর হাদীসের পরিপন্থী হয়, তাহলে আমার কথাকে পরিহার করবে। (৪) যদি কোন হাদীস সহীহ প্রমাণিত হয় তাহলে ওটা মাযহাবের প্রতিকূলে হলেও ঐ হাদীসেরই উপর আমল করতে হবে, আর সেটাই হবে আমার মাযহাব। কোন মুকাল্লিদ (অন্ধানুসারী) সেই হাদীসের উপর আমলের দরুন হানাফী মাযহাব থেকে বের হয়ে যাবেনা। (৫) যদি হাদীস সহীহ প্রকট হয়, তবে ওটাই আমার মাযহাব। (গ্রন্থসূত্র: আল-হাশিয়া, ১ম খন্ড, পৃষ্ঠা ৬৬ / রসমুল মুফতী, পৃ ৪ / শরহে হেদায়া / আল এনতেকা ফী ফাসায়েলিস সালাসাতিল আয়েম্মাতিল ফোকাহা, পৃ ১৪৫ / এলামুল মোআক্কেঈন, ২য় খন্ড, পৃ. ৩০৯ / আলবাহারোর রায়েক, ৬ষ্ঠ খন্ড, পৃ. ২৯৩, রসমুল মুফতী, পৃ. ৭৭ / আলঈকায, পৃ. ৫০)
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:24am

    Sogood Islam Syeds

    ভারত উপমহাদেশে অপসংস্কৃতিই মাযহাব উদ্ভবের কারণঃ @@@@@@@@@@@@@@ ভারত উপমহাদেশের মুসলিমগণের মধ্যেও এই মাযহাবগত বিভক্তি প্রকটভাবে বিদ্যমান। বিভিন্ন যুগে মধ্য এশিয়া হতে সামরিক শক্তি দ্বারা এই উপমহাদেশ আক্রান্ত হয়েছে, তাদের দ্বারা বহু বৎসর এই দেশ শাসিত হয়েছে, পরবর্তী দুই শত বৎসর ধরে ইংরেজরা শাসন করেছে এবং বহু পীর, ফকির, আউলিয়া দরবেশ এদেশে ইসলামী দাওয়াত নিয়ে এসেছে। ফলে এদেশের আদি ধর্মানুরাগীগণ যারাই ইসলাম ধর্মে দীক্ষিত হয়েছিল তারা তাদের পুরাতন ধর্ম বিশ্বাস, সংস্কৃতি, কৃষ্টি, দার্শনিক মতবাদ ইত্যাদি বিজাতীয় সংস্কৃতির সঙ্গে ইসলামী আকীদাহ-র সংমিশ্রণে কোরআন ও হাদীসের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক হারিয়ে ফেলে বিভিন্ন নেতা ও পীরের অধীনে পৃথক মাযহাব-এ বিভক্ত হয়ে পড়ে। ইংরেজরা প্রায় ২০০ বৎসর এই উপমহাদেশ শাসনকালে মাদ্রাসা শিক্ষার পাঠ্যক্রম প্রণয়ন সহ বিভিন্ন মাসলা মাসায়েলের পুস্তক প্রণীত হয়। সেকেন্দার আলী ইব্রাহীমি কর্তৃক লিখিত এবং ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ কর্তৃক প্রকাশিত Reports on Islamic Education and Madrasah Education in Bengal গ্রন্থ হতে জানা যায় যে ভারতের মুসলিম সংখ্যা যখন এক তৃতীয়াংশে পৌঁছায় তখন মুসলিমরা মাদ্রাসা এডুকেশন নামে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের দাবী জানালে তৎকালীন ভারতবর্ষের শাসনকর্তা লর্ড হেষ্টীংস ১৭৮০ সনে সানন্দে ঐ প্রস্তাব গ্রহণ করেন এবং মইজুদ্দিন নামে জনৈক ব্যক্তিকে তিনি নিজ পকেট হতে ৩০০ টাকা বেতনে ঐ মাদ্রাসার শিক্ষক নিযুক্ত করেন। (মোঃ নূরুল ইসলাম কর্তৃক প্রণীত পুস্তক ‘আমরা কোন পথে!’) ঐ সময় একজন প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসারের বেতন ছিল ১৫০ টাকা। লর্ড হেষ্টিংসের উদ্দেশ্য ছিল হিন্দু মুসলিম দুই জাতিকে পৃথক করা। তাই তিনি এক ঢিলে দুই পাখি মারার পরিকল্পনা নেন এবং তাতে তিনি কৃতকার্যও হন। হিন্দু মুসলিম বিবাদ বাধিয়ে দেন এবং মুসলমানদের বিভ্রান্ত করে তাদেরকে প্রকৃত ইসলাম হতে অপসারণের চেষ্টা চালান। মুসলমানরা অজ্ঞতার কারণে এই মুইজুদ্দিন কে, কোথাকার লোক, কোন জাতীয় তারও কোন খোঁজখবর নেন নাই এবং কি উদ্দেশ্যে লর্ড সাহেব নিজ পকেটের টাকা খরচ করে মুসলমানদের বন্ধু সাজেন তাও চিন্তা করে দেখেন নাই। ১৭৮১ সাল হতে ১৮১৯ সাল পর্যন্ত ৩৮ বছর মাদ্রাসা পরিচালক দ্বারা এবং ১৮১৯ সাল হতে ১৮৫০ সাল পর্যন্ত ইংরেজ সেক্রেটারী ও মুসলমান সহকারী সেক্রেটারীর কর্তৃত্বাধীনে পরিচালক পরিষদ দ্বারা উক্ত মাদ্রাসা পরিচালিত হয়। ১৮৫০ সাল থেকে ঐ মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের পদ সৃষ্টি হলে ১৯২৭ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ প্রথম ৭৭ বছর পর্যন্ত ১৭ জন ইংরেজ অফিসার উক্ত পদে বহাল ছিলেন। > বিদেশী শাসনামলে সুকৌশলে বহু জাল হাদীসের সংমিশ্রণে উল্লেখিত পাঠ্যক্রম ও মাসলা মাসায়েলের পুস্তকাদি রচনা করে কুরআন ও হাদীসের সঠিক শিক্ষাকে কলুষিত করা হয়। ফলে উপমহাদেশের মুসলিমগণ সুন্নী, শিয়া, শাফেয়ী, কাদিয়ানী, মেমন, আহলে হাদীস ইত্যাদি বিভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে অখন্ড ইসলামকে খন্ড খন্ড করে ফেলে।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:26am

    Sogood Islam Syeds

    বিশ্বে অখন্ড ইসলামে মাযহাব এবং বিভিন্ন ফিরকা উদ্ভবের কারণে যে ভয়াবহ পরিণতির সৃষ্টি হয়েছিল তার করুন ইতিহাসঃ @@@@@@@@@@@@@@ কোরআন ও হাদীসের ব্যবহারিক পতনের পটভূমিকায় পৃথিবীতে ফিরকাবন্দী বা দলীয় মাযহাব সমূহের আত্মপ্রকাশ শুরু হয়। বনী উমাইয়া শাসনের অবসানকাল অর্থাৎ নূন্যাধিক ১৫০ হিজরী পর্যন্ত কোন ব্যক্তি নিজেকে হানাফী, শাফেয়ী ইত্যাদি বলতেন না বরং স্ব স্ব গুরুগণের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে কোরআন ও হাদীসের ব্যাখ্যা করতেন। আব্বাসীয়দের শাসনকালে সর্বপ্রথম প্রত্যেকেই নিজের জন্য পৃথক পৃথক দলীয় নাম নির্ধারিত করে নিতেন এবং নিজ গুরুদের নির্দেশ খুঁজে বের না করা পর্যন্ত কোরআন ও হাদীসের ব্যবস্থা মেনে নিতে অস্বীকৃতি জানাতেন। সুতরাং মতভেদ দৃঢ়তর হল, মাযহাবের সূত্রপাত হল। মাযহাবের মহাব্যাধি মুসলমানগণের জাতীয় জীবনে প্রবেশ করায় সবচেয়ে মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হয়েছিল শিয়া সম্প্রদায় ও দলপন্থী সুন্নীগণ। উত্তর কালে এই শিয়া সুন্নীর লড়াই আর মাযহাব চতুষ্টয়ের অন্ধ অনুসারীগণের উদ্দাম, অবিশ্রান্ত ও নির্মম গৃহযুদ্ধের ফলেই মুসলিমগণের উজ্জ্বল জাতীয় গৌরব অস্তমিত হয়ে যায়। ৩১৭ হিজরীতে একটি আয়াতের অন্তর্ভুক্ত মকামে মাহমুদের ব্যাখ্যা নিয়ে বাগদাদে হাম্বলী ও অপর তিন মাযহাবের অনুসারীগণের মধ্যে সংগ্রাম শুরু হয়, এই সংগ্রামে সৈন্য বাহিনী ও জনসাধারণও যোগ দেয় এবং শত সহস্র লোক হতাহত হয়। ৩২৩ হিজরীতে হাম্বলী ও শাফেয়ীদের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়ে ৭ বৎসর পর্যন্ত চলে। ৩৯৮ হিজরীতে বাগদাদ শহরে সুন্নী ও শিয়াগণের মধ্যে এক ভয়াবহ সংঘর্ষ সংঘটিত হয় এবং যুদ্ধে অসংখ্য লোক নিহত হয়। ইমাম কুশয়রী ৪৪৮ হিজরীতে বাগদাদে প্রবেশ করেন এবং আকীদা সংক্রান্ত খুঁটিনাটি নিয়ে তিনি হাম্বলীদের সঙ্গে বিবাদে প্রবৃত্ত হন, কারণ তিনি নিজে গোড়া আশাইরা মতবাদের ছিলেন। এই বিবাদ শেষে সংগ্রামে রূপ নেয় এবং উভয় পক্ষে বহু লোক হতাহত হয়। এভাবে ৪৮৩ হিজরীতে বাগদাদ নগরে শিয়া ও সুন্নীগণের মধ্যে, ৫৫৪ হিজরীতে নেশাপুর শহরে হানাফী ও শাফেয়ীগণের মধ্যে, পুনরায় ৫৬০ হিজরীতে হানাফী শাফেয়ীদের মধ্যে, ৫৮৭ হিজরীতে মিসরে হাম্বলী ও শাফেয়ীগণের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ৬৫৫ হিজরীতে বাগদাদে শিয়া ও সুন্নীগণের মধ্যে সংঘর্ষে ভয়াবহ লুটতরাজ, হত্যাকান্ড চলে, বহু বাড়ীঘর বিধ্বস্ত হয়। এ ধরণের মাযহাবগত দলাদলি অন্যান্য মুসলিম দেশে ছড়িয়ে পড়ে এবং এই সুযোগ নিয়ে চীনের মঙ্গোলিয়া হতে আগত চেঙ্গীস খাঁ ও হালাকু খাঁ বাগদাদকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করে। ৬৫৬ হিজরীর ১২ই মুহাররম হালাকুর সৈন্যদল বাগদাদে প্রবেশ করে এবং ১৪ই সফর বুধবার খলীফাতুল মুসলেমীন শহীদ হন। খলীফার দুই পুত্র আমীর আবু বকর আহমদ ও আবুল ফাযায়েল আবদুর রহমানকে তাতারীরা নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং খলীফার কন্যা ও পূর-মহিলাগণকে দাসীতে পরিণত করে। ডঃ সৈয়দ মাহমুদুল হাসান তাঁর রচিত‘ইসলাম ও আধুনিক বিশ্ব’ পুস্তকে আব্বাসীয় খিলাফতের পতন ও হালাকু খানের বাগদাদের ধ্বংসযজ্ঞের বর্ণনা দিতে যেয়ে উল্লেখ করেছেন যে, সর্বশেষ আব্বাসীয় খলিফা আল-মুসতাসিম বিল্লাহ এর রাজত্বকালে শিয়া, সুন্নী এবং হানাফী ও হাম্বলী সম্প্রদায়ের দ্বন্দ্ব ও বৈষম্য চরম আকার ধারণ করে। খলিফা শিয়া সম্প্রদায়কে সমূলে উৎপাটিত করার জন্য অভিযান পাঠালে শিয়া মতাবলম্বী মন্ত্রী মুযাইদ উদ্দিন মুহম্মদ আলকামী হালাকু খানকে বাগদাদে আমন্ত্রণ জানিয়ে খলিফার উপর প্রতিশোধ গ্রহণের সংকল্প করেন। হালাকু খান ১২৫৮ খৃঃ বাগদাদে অভিযান করেন। দীর্ঘ চব্বিশ দিন অবরোধের পর খলিফা তার পরিবার-পরিজনসহ হালাকু খানের কাছে আত্মসমর্পণ করে প্রাণ ভিক্ষা চান। কিন্তু হালাকু খান বাগদাদ দখলের দশ দিনের মধ্যে খলিফা ও তার পরিবারবর্গকে হত্যা করে। হালাকু খানের খৃষ্টান মন্ত্রী ডকুজ (Doquz) এবং শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত লোক ব্যতীত প্রায় ২০ লক্ষ লোক মাত্র ছয় সপ্তাহে মোঙ্গল বাহিনীর বর্বরতা ও হত্যাকান্ডের শিকার হয়। কথিত আছে যে, তিন দিন ধরে নগরীর রাজপথগুলিতে রক্তের স্রোত প্রবাহিত হয় এবং ইউফ্রেটিস নদীর পানি রক্তে রঞ্জিত হয়ে যায়। ঐতিহাসিক গিলম্যান বলেন, “এভাবে শতসহস্র নিহতের গগণভেদী আর্তনাদ এবং বর্বর বিজয়োন্মত্ত মোঙ্গলদের প্রকট উন্মাদনায় যে বাগদাদ পাঁচশত বৎসর ধরে শিল্প, বিজ্ঞান এবং সাহিত্যের গৌরবোজ্জল কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল তা চিরতরে বিলুপ্ত হয়ে যায়। ৬৩২ খৃঃ রাসূল (স.)-এর ওফাতের পর মদীনায় যে খিলাফতের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল তা দীর্ঘ ছয় শতাব্দীরও বেশী সময় নিরবচ্ছিন্নভাবে চলার পর ১২৫৮ খৃঃ মোঙ্গলদের আক্রমণে বিলুপ্ত হয়ে যায়। এর ফলে শুধু একটি সাম্রাজ্যেরই পতন হল না, একটি সভ্যতারও অবসান হল। মোঙ্গল আক্রমণের ফলে সুন্নী ইসলামের বিপর্যয় ঘটে। শিয়া ও সুন্নীদের বিরোধ চরম আকারে দেখা দেয়। মুসতাসিমের খিলাফতে শিয়া প্রধান উজীর আলকামী হালাকু খানের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করার প্রয়াস পান এবং এর মূলে ছিল সুন্নী ইসলামের প্রতি তার বিদ্বেষ। এছাড়া শিয়া সম্প্রদায়ভুক্ত নাসির উদ্দিন তুসী হালাকু খানের পরামর্শদাতা ছিলেন। এর ফলে আব্বাসীয় সাম্রাজ্যের পতনে সুন্নী ইসলাম যে মারাত্মক পরিস্থিতির সম্মুখীন হয় তা হতে পুনরুদ্ধার করা আর সম্ভবপর হয়নি। বলা বাহুল্য, আব্বাসীয় খিলাফতের পতনে সুন্নী মুসলিম সমাজ ধর্মীয় ও রাষ্ট্রীয় প্রতীক হারিয়ে দিকভ্রান্ত হয়ে পড়ে। ঐতাহাসিক হিট্টি বলেন, “ইতিহাসে প্রথমবারের মত মুসলিম বিশ্ব খলিফা বিহীন হয়ে পড়ে যার নাম শুক্রবারের জুম’আর সালাতে খুতবায় উচ্চারিত হয়নি।” প্রফেসর ব্রাউন তার বিখ্যাত Literary History of Persia বইতে বাগদাদের পতন কাহিনীর এভাবে বর্ণনা দেন- “বাগদাদের লুণ্ঠন কাজ ১২৫৮ খৃষ্টাব্দের ১৩ই ফেব্রুয়ারী তারিখে আরম্ভ হয় এবং সপ্তাহকাল চলতে থাকে। এই সময়ের মধ্যে আট লক্ষ অধিবাসীকে হত্যা করা হয়। সঙ্গে সঙ্গে যে বাগদাদ মহানগরী শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে আব্বাসী খলীফাগণের বিশাল সাম্রাজ্যের কেন্দ্রস্থল ছিল তার সমুদয় ধনভান্ডার এবং সাহিত্যিক ও বৈজ্ঞানিক সম্পদ যা দীর্ঘকাল হতে সঞ্চিত হয়ে আসছিল সমস্তই লুণ্ঠিত ও বিধ্বস্ত করা হয়। তাতারীদের দ্বারা মুসলিম সংস্কৃতির যে মহা সর্বনাশ সাধিত হয়েছিল পরবর্তী যুগে তা কখনও পূরণ হতে পারেনি। এই ক্ষতির বিবরণ প্রদান করা অসম্ভব ও কল্পনাতীত। কেবল যে লক্ষ লক্ষ গ্রন্থরাজী সম্পূর্ণভাবে নিশ্চিহ্ন করে ফেলা হয়েছিল তা নয়, অগণিত বিদ্বজ্জন মন্ডলীর বিনাশ সাধন দ্বারা অথবা রিক্ত হস্তে শুধু প্রাণ নিয়ে তাদের পলায়ন করার দরুণ মৌলিক গবেষণার পদ্ধতি এবং সঠিক রেওয়ায়েত সমূহের সনদগুলি বিনষ্ট হয়ে যায়। পৃথিবীর ইতিহাসে এত বড় বিরাট ও মহান সভ্যতাকে এত দ্রুত আগুনে ভস্মীভূত ও রক্তসমুদ্রে নিমজ্জিত করার দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে না। তাতারী অভিযানের ফলে ইসলামী সাম্রাজ্যের অন্যান্য স্থানগুলি যথা সমরকন্দ, বুখারা, খোরাসান, আজারবাইজান, মসুল এবং ইউরোপের কতকাংশ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিল।” জাতীয় জীবনের উল্লিখিত ভয়াবহ বিপর্যয় ও সংকটের মূল কারণ ছিল মুসলমানদের গৃহ বিবাদ এবং গৃহ বিবাদের অন্যতম কারণ ছিল মাযহাবী কোন্দল এবং তাকলীদ পরস্তদের গোঁড়ামী ও বিদ্বেষ। দুঃখের বিষয় এত বড় আঘাতের পরও মুসলমানগণ সমবেতভাবে চৈতন্য লাভ করতে পারে নাই এবং নিদারুণ পরিণতি স্বরূপ আজ তাতারী অভিযানের স্থানে নাস্তিকতা ও জড়বাদের যে সয়লাব সমগ্র ইসলাম জগতকে গ্রাস করতে উদ্যত হয়েছে তার প্রতিকারের জন্য তারা কোরআন ও সুন্নাহ-র দিকে ফিরে আসতে প্রস্তুত হচ্ছে না। ঐতিহাসিক ইয়াফেয়ী (মৃ ৭৬৮ হিঃ) ইসলাম জগতের তৎকালীন দুরবস্থায় মর্মাহত হয়ে লিখেছিলেন, হায় দুরদৃষ্ট। ইসলাম কি ভয়াবহ বিপদে আক্রান্ত হয়েছে এবং হানাফী-শাফেয়ী ও অনুরূপ কলহ সমূহের কি হৃদয় বিদারক পরিণতি ঘটেছে। প্রত্যেকটি দল যে মাযহাবের অনুসরণ করে থাকে তার গোঁড়ামিতে অন্ধ হয়ে স্বীয় দলভুক্ত দুশ্চরিত্রদেরকে অকপট সমর্থন জ্ঞাপন করছে, আর অন্য মাযহাবের যারা প্রকৃত সাধুসজ্জন, তাদের বিরুদ্ধে কোমর বেঁধে লেগে গিয়েছে অথচ দুর্ভাগ্যবশতঃ এই দুস্কার্যকে তারা সত্যপরায়ণতা ও সত্যের সহায়তা বলে ধারণা করছে, কিন্তু আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সবাই মিলে আল্লাহর রশিকে শক্ত করে আঁকড়ে ধরো এবং কখনো পরস্পর বিচ্ছিন্ন হয়ো না।’ {সূরা আল-ই-ইমরান, আয়াত ১০৩} আল্লাহ আরও বলেছেন, ‘যারা নিজেদের দ্বীনকে টুকরো টুকরো করে নিজেরাই নানা দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে গেছে, তাদের কোনো দায়িত্বই তোমার ওপর নেই’ {সূরা আল আনয়াম, আয়াত ১৫৯} মুসলমানদের মধ্যে মাযহাব নিয়ে আত্মকলহ মারাত্মক আকার ধারণ করলে বিবরুহ বাদশাহর আমলে মিশরে চারটি মাযহাব সরকারী স্বীকৃতি লাভ করে এবং চার মাযহাবের জন্য চারজন সরকারী কাজীও নিযুক্ত করা হয়। ৬৬৫ হিজরীতে সরকারীভাবে চার মাযহাব স্বীকৃতি লাভ করায় ইসলামী দুনিয়া হতে অন্য মাযহাবগুলি লোপ পেতে থাকে। চরম পরিণতি স্বরূপ ৮০১ হিজরীতে সুলতান ফরহ বিন বরকুক সরকেশী পবিত্র কাবা ঘরের চার পাশে চার মাযহাবের জন্য চারটি ভিন্ন ভিন্ন মুসল্লা নির্দিষ্ট করে দেন। তখন থেকে এক আল্লাহর দ্বীন এবং মুসলিম জাতির প্রতিষ্ঠাকেন্দ্র চার ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ল। অর্থাৎ সত্য ধর্মকে চারটি মাযহাবে বিভক্ত করে নবীর দ্বীনে বিপর্যয় ঘটান হল। এই ঘটনার সাড়ে পাঁচশত বৎসর পর সৌদী আরবের বাদশাহ আব্দুল আযীয আল সউদের রাজত্বকালে ১৩৪৩ হিজরীতে কাবার হেরেম হতে এ জঘন্য বিদ’আত উৎপাটিত হলেও পৃথিবীর প্রায় সব মুসলিম প্রধান দেশে এই মাযহাবগত বিভক্তি এখনও প্রকটভাবে বিদ্যমান।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:26am

    Sogood Islam Syeds

    অখন্ড ইসলামকে খন্ড-বিখন্ড করে কত গুলো দল বা ফিরকার জন্ম হয়েছে তার বিবরণঃ @@@@@@@@@@@@@@ হযরত আবদুল কাদের জিলানী (রহ.) তাঁর “৭৩ ফিরকার বিবরণ” গ্রন্থে সমগ্র মুসলিমগণকে প্রথমতঃ ১০ ভাগে বিভক্ত করেছেন, যথা- (১) আহলে সুন্নাত, (২) খারিজী, (৩) শিয়াহ, (৪) মুতাজিলা, (৫) মুরজিয়া, (৬) মুশাব্বিয়া, (৭) জাহমিয়া, (৮) জরারিয়াহ, (৯) নাজ্জারিয়া এবং (১০) কালাবিয়াহ। উপরোক্ত দলগুলির মধ্যে মুক্তি পাওয়ার যোগ্য দল হল আহলে সুন্নাত কারণ একমাত্র এরাই কোরআন ও সুন্নাহ অবলম্বন ও অনুসরণ করে থাকেন এবং প্রমাণস্থলে উভয়কেই অগ্রাধিকার দিয়ে থাকেন। অন্য ৯টি দল হতে বাহাত্তরটি উপদল বা ফিরকার সৃষ্টি হয়েছে। এ দলগুলো সাহাবাদের বহু জামানার পর সৃষ্টি হলেও কোন কোন সাহাবাদের জীবদ্দশায় দু একটি বিদ’আতের সূত্রপাত হয়েছিল। সাহাবাগণও সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গেই ঘোর প্রতিবাদ করেছেন। একদিন আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা.) শুনলেন যে কিছু লোক মসজিদে সমবেত হয়ে হালকাবদ্ধভাবে বসে (অর্থাৎ কয়েকজন গোল হয়ে বসে) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, সুবহানাল্লাহ ও দরূদ প্রভৃতি পাঠ করছে। এই খবর পাওয়া মাত্র তিনি মসজিদে এসে সমবেত লোকদের বললেন, “হে লোক সকল, রাসূল (স.)-এর ইন্তেকালের পর এখনও খুব বেশী দিন অতীত হয়নি, তাঁর পরিধেয় বস্ত্র এখনও বিদ্যমান রয়েছে, আর তোমরা এখনই তাঁর শরীয়তকে পরিবর্তন করতে আরম্ভ করে দিয়েছ? দেখ, আমি রাসূলের (স.) যামানায় এভাবে কলেমা ও দরূদ পাঠ করতে দেখিনি।” এভাবে সতর্কবাণী করতে করতে তিনি তাদের মসজিদ হতে তাড়িয়ে দিলেন। হযরত আবদুল কাদের জিলানী তাঁর উপরোল্লিখিত গ্রন্থে উক্ত নয়টি দল যে বাহাত্তর দলে বিভক্ত হয়েছে সেগুলির নাম উল্লেখ করেছেন নিম্নোক্তভাবেঃ ১ম দল – খারেজী – এরা ১৫টি দলে বিভক্ত ২য় দল – শিয়া – ৩ দলে বিভক্ত, এই ৩টি দল আবার যথাক্রমে (i) ১২, (ii) ৬ ও (iii) ১৪টি উপদলে বিভক্ত ৩য় দল – মুতাজিলা – ৬টি দলে বিভক্ত ৪র্থ দল – মুর্‌জীয়া – ১২টি দলে বিভক্ত ৫ম দল – মুশাব্বিয়া – এরা ৩টি দলে বিভক্ত অবশিষ্ট ৪টি দল হল জহমিয়া বা জব্‌রিয়াহ, জরারিয়াহ, নজ্জারিয়াহ বা ছেফাতিয়াহ এবং কালাবিয়াহ। মোট ৭২ উপদল বা ফিরকা উপরোক্ত দল/উপদলগুলি বহু যামানা পরে সৃষ্টি হলেও কোন কোন সাহাবার জীবদ্দশায়ই দু একটি বিদ’আতের সূত্রপাত হয়েছিল। কিন্তু সাহাবাগণ সূত্রপাতের সঙ্গে সঙ্গেই এর ঘোরতর প্রতিবাদ করেছেন। (তরীকায়ে মোহাম্মদীয়া, ১ম খন্ড; মোহাম্মদ মতিউর রহমান মোহাম্মদী সালাফী)
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:28am

    Sogood Islam Syeds

    ইসলাম কিভাবে খন্ড-বিখন্ড হলো এবং কিভাবে বিভিন্ন দল/ফিরকার সৃষ্টি হলোঃ @@@@@@@@@@@@@@ ইসলাম কোন মানব রচিত জীবন ব্যবস্থা নয় বরং একটি ওয়াহী ভিত্তিক আল্লাহ প্রদত্ত ও মনোনীত জীবন ব্যবস্থা, ইসলামী শরী’আতের মূলনীতি হলো কুরআন ও সুন্নাহ। পবিত্র কুরআন যেমন ওয়াহী প্রদত্ত, সুন্নাহও তেমনি ওয়াহী প্রদত্ত। আল্লাহ তা’আলা বলেন, > “আর তিনি (নবী ছাঃ) প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না বরং শুধুমাত্র তাকে যাওয়াহী করা হয় তা-ই বলেন।” (আন-নাজম: ৩-৪) সুতরাং নবী (ছাঃ) -এর দ্বীনী কথা, কাজ ও সম্মতি সবকিছুই ওয়াহী ভিত্তিক। এজন্যই আল্লাহর নির্দেশকে যেমন কোন ঈমানদার নর-নারীর উপেক্ষা করে চলার সুযোগ নেই, নবী (ছাঃ) -এর নির্দেশেরও একই অবস্থা। আল্লাহ তা’আলা বলেন, > “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন কাজের নির্দেশ দিলে কোন ঈমানদার পূরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে কোন এখতিয়ার থাকে না, আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয় সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টতায় পতিত হয়।” (আহযাব: ৩৬) এ আয়াত ইসলামী শরীয়তে সুন্নাহর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, আল্লাহ বা কুরআনের নির্দেশের অবস্থান এবং রাসূল (ছাঃ) বা সুন্নাহর নির্দেশের অবস্থান পাশাপাশি। অনুরুপভাবে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করলে যেমন পথভ্রষ্ট হয়ে যায়, রাসূল (ছাঃ) এর নির্দেশ অমান্যের পরিণতিও একই, কোন অংশে কম নয়। এমনকি রাসূল (ছাঃ) -এর সিদ্ধান্ত ও সমাধানকে সতস্ফূর্তভাবে মাথা পেতে নেয়া ছাড়া ঈমানদার হওয়া কখনও সম্ভব নয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন, > “অতঃপর তোমার রবের কসম তারা কখনও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যপারে তোমাকে ফয়সালাকারী হিসাবে মেনে নেয়, অতঃপর তোমার ফয়সালার ব্যপারে তারা কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবূল করে নিবে।” (নিসা: ৬৫) রাসূল (স.)-এর পর খোলাফায়ে রাশেদীন এই কুরআন ও সুন্নাহর জীবন ব্যবস্থার উপর কায়েম ছিলেন, এক চুল পরিমাণও ব্যতিক্রম ঘটতে দেননি। পরবর্তীকালে অন্যান্য সাহাবা ও তাবেয়ীগণও কুরআন ও সুন্নাহর মধ্যে কিছুমাত্র রদবদল হতে দেননি। বরং রাসূল (স.)-এর কোন হাদীস তাঁদের সম্মুখে উপস্থিত হলে বিনা শর্তে তা মেনে নিতেন। সাহাবা কেরাম ও তাবেয়ীগণের পরবর্তী যুগে যেমন নানা দেশের, নানা বর্ণের, নানা ধর্মের লোক ইসলামের পতাকা তলে আসতে লাগল তেমনি তাদের সঙ্গে সঙ্গে নানা ধর্মমত ও দার্শনিক মতবাদও আসা শুরু হল। ফলে, মুসলিমগণ নীতিগতভাবে এক আল্লাহকে সার্বভৌম শক্তির অধিকারী ও তাঁর রাসূল (স.)-কে একমাত্র নেতা বলে স্বীকার করলেও কার্যতঃ তারা বিভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত হয়ে ইসলামের প্রকৃত নীতি হতে সরে যেতে লাগল এবং কোনো কোনো সম্প্রদায় একেবারে ইসলামের গন্ডীর বাইরে চলে গেল। ফলে, মুসলিম জাতীয় জীবনে ভাঙ্গন শুরু হল। তারা রাসূল (স.)-এর নেতৃত্ব ত্যাগ করে বিভিন্ন নেতার অধীনে ভিন্ন ভিন্ন দলে বিভক্ত হয়ে পড়ল। এভাবে ইসলামে শুরু হল ফিরকাবন্দী। অখন্ড ইসলাম হয়ে গেল খন্ড বিখন্ড।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:29am

    Sogood Islam Syeds

    হানাফিদের বিখ্যাত উস্তাদ তাক্বী উসমানীর “মাযহাব কি ও কেন” বইটি অনুযায়ী মাযহাবীদের নিকট মুজতাহিদ দুরকমের হয়ে থাকে। @@@@@@@@@@@@@@ যেমনঃ ১. পূর্ণাঙ্গ মুজতাহিদ => পূর্ণাঙ্গ মুজতাহিদ বলতে “নীতিমালা প্রণয়ন করতে ও মাসাইলের ক্ষেত্রে” মুজতাহিদ, যেমন সম্মানিত ৪ ইমাম। ২. অপূর্ণাঙ্গ মুজতাহিদ বা মাসয়ালা মাসায়েলের ক্ষেত্রে মুজতাহিদ => এই প্রকারের মুজতাহিদ শুধুমাত্র মাসাইলের ক্ষেত্রে মুজতাহিদ কিন্তু মূলনীতির বিচারে মুকাল্লিদ। এই প্রকারের মুজতাহিদরা ৪ ইমামের যে কোন একজনের মুকাল্লিদ, যেমন ইমাম আবু ইউসুফ রহ. এবং ইমাম মুহাম্মাদ রহ. বহু সংখ্যক মাসাইলে ইমাম আবু হানিফা রহ. এর সাথে ভিন্ন মত পোষণ করেছেন, অথচ হানাফীদের মতে উনারা মূলনীতির দিক থেকে আবু হানিফা রহ. এর মুকাল্লিদ। এমতাবস্থায় মাহাযাবিদের নিকট প্রশ্ন হচ্ছে : ১. ঈসা আ: ও ইমাম মাহদি কোন মাযহাব মানবেন? হানাফী নাকি শাফিঈ নাকি হাম্বলী নাকি মালিকী? নাকি লা মাযহাবী হবেন? ২. যদি বলেন উনারা মুজতাহিদ হবেন, তবে প্রশ্ন উনারা কি ‘পূর্ণাঙ্গ মুজতাহিদ’হবেন নাকি ‘শুধুমাত্র মাসয়ালা মাসায়েলের ক্ষেত্রে মুজতাহিদ’ হবেন? ৩. যদি বলেন, উনারা “নীতিমালা প্রণয়ন ও মাসাইল”কারী পূর্ণাঙ্গ মুজতাহিদ হবেন, তবে যারা নীতিমালা প্রণয়ন ও মাসাইলের ক্ষেত্রে মুজতাহিদ, তাঁদের নামে তো আপনারা মাযহাব বানান, যেমন হানাফী মাযহাব, শাফী মাযহাব ইত্যাদি। তো ঈসা আ: ও ইমাম মাহদীর নামে কোন মাযহাব বানাবেন? ৪. ঈসা আ: ও ইমাম মাহদীর মাযহাবের নাম কি হবে? ৫. “ঈসা আ: ও ইমাম মাহদী” উনাদের দুজনকে কেন্দ্র করে কি ১টি মাযহাবহবে, নাকি উনাদের দুজনের নামে ২টি মাযহাব হবে? ৬. ঈসা আ: ও ইমাম মাহদীর নামে যে দুটি মাযহাব হবে, সেগুলোতে প্রবেশ করা কি মুসলিমদের জন্যফরজ হবে নাকি সুন্নত বা ওয়াজিব হবে? ৭. তখন হানাফী শাফী হাম্বলী মালেকী মাযহাবের কি হবে? মানুষজন কি ঈসা আ: ও ইমাম মাহদির মাযহাব মানবে নাকি উপরোক্ত ৪ মাযহাবের ইমামদের মাযহাব মানবে? ৮. হানাফী মাযহাব ছেড়ে ঈসা আ: বা ইমাম মাহদির মাযহাবে প্রবেশ করা কি হানাফীদের জন্য তখন জায়েজ হবে? নাকি নিজ ইমামের স্বপে শক্ত দলিল আছে ধারণা রেখে নিজ ইমামকে আকড়ে ধরে থাকবে? ৭. যদি বলেন, ঈসা আ: ও ইমাম মাহদী“শুধুমাত্র মাসায়েলের ক্ষেত্রে”মুজতাহিদ তথা ২য় প্রকারের মুজতাহিদ হবেন, তাহলে বলুন, উনারামূলনীতির দিক থেকে কোন ইমামের মুকাল্লিদ হবেন? => ইমাম আবু হানিফা রহ. এর নাকি => ইমাম শাফিঈ রহ. নাকি => ইমাম মালেক রহ. নাকি => ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল রহ. এর? হানাফী মাযহাবের ডিলারগণের নিকট এই প্রশ্নগুলোর উত্তর চাই। সকলকে গোঁড়া অন্ধ তাকলীদ ছেড়ে আল্লাহ্‌ এবং আল্লাহ্‌র রাসুলের অনুসরণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:30am

    Sogood Islam Syeds

    একটি নির্দিষ্ট মাহযাবের অন্ধ তাকলীদ করার কোন ভিত্তি আছে কি?? @@@@@@@@@@@@@@ মাহযাবীরা সর্বদাই একটি কথার উপর অটল থাকে যে, নির্দিষ্ট যে কোন একটি মাহযাবের অন্ধ তাকলীদ অবশ্যই করতে হবে। তাদের মতে ৪ মাহযাবের যে কোন একটি মাহযাব মানা ওয়াজিব। অর্থাৎ আপনাকে নাকি হানাফি, মালেকী, শাফিঈ অথবা হাম্বলী এর যে কোন একটা অবশ্যই হতে হবে। কেউ কেউ তো আবার মাহযাব মানা-কে ফরজ বলেও চালিয়ে দেয়।। এখন প্রশ্ন হচ্ছে- “ঈসা আ: ও ইমাম মাহদি যখন আসবেন তখন উনারা কোন মাযহাব মানবেন” ??? হানাফীরা কখনো এই প্রশ্নের উত্তর তো দিতেই পারেনি, পাল্টা গোঁজামিল দিয়ে প্রশ্নটি এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছে। ইদানিং তারা সবাই মিলে “বালি দিয়ে প্রাসাদ নির্মাণের মতোই” একটি উত্তর দাঁড় করিয়েছে আর তা হচ্ছে ঈসা আ: ও ইমাম মাহদি মুজতাহিদ হবেন- আর মুজতাহিদদের জন্য মাযহাব মানা লাগে না। সুতরাং তাঁরা কোন মাযহাব মানবেন না। অর্থাৎ হানাফীদের মতে ঈসা আ: ও ইমাম মাহদি লা-মাযহাবী হবেন। কিন্তু তাদের এই ভাঙ্গাদাঁতের জবাব দেখে না হেঁসে আর পারা যায় না।।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:33am

    Sogood Islam Syeds

    চার মাযহাব সম্পর্কে জানতে হলে চারজন ইমাম সম্পর্কে জানা দরকার। চার ইমামের সংক্ষিপ্ত জীবনীঃ @@@@@@@@@@@@@@ ইমাম আবু হানিফা (রা) নাম নুমান বিন ছাবিত। উপনাম আবু হানিফা। রাসূল (সা) –এর ইন্তেকালের ৭০ বছর পর ৮০ হিজরীতে ইরাকের কুফায় জন্ম গ্রহণ করেন। ১৫০ হিজরীতে ৭০ বছর বয়সে বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তিনি তর্ক ও ফিকাহ শাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনি উচ্চ মানের একজন পরহেজগার ছিলেন। ইমামের কোন প্রামাণ্য লেখা বর্তমানে নেই। ইমাম মালিক (রা) নাম মালিক বিন আনাস। রাসূল (সা) এর ইন্তেকালের ৮৩ বছর পর ৯৩ হিজরীতে পবিত্র মাদীনাতে জন্ম গ্রহণ করেন। ১৭৯ হিজরীতে ৮৬ বছর বয়সে মদীনাতেই ইন্তেকাল করেন। তিনি হাদীস ও ফিকাহ শাস্ত্রে গভীর জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। তিনিই সর্বপ্রথম হাদীসের ইল্লেখযোগ্য কিতাব লিখেছেন। এটি ‘মুয়াত্বা মালিক” নামে প্রসিদ্ধ। এছাড়া আরও বহু কিতাব তিনি লিখেছেন। ইমাম শাফিয়ী (রা) নাম মুহাম্মদ বিন ইদ্রিস আশ-শাফেয়ী। রাসূল (সা) এর ইন্তেকালের ১৪০ বছর পর ১৫০ হিজরীতে গাযায় জন্ম গ্রহণ করেন। পবিত্র মক্কায় বড় হন এবং জ্ঞান অর্জন করেন। ২০৪ হিজরীতে ৫৪ বছর বয়সে মিশরে ইন্তেকাল করেন। তিনি উচ্চ মানের একজন হাদীস বিশারদ ছিলেন। তিনি মহামূল্যবান বহুগ্রন্থ লিখেছেন। এসবের মধ্যে ‘কিতাবুল উম্ম’ ও ‘আর-রিসালাহ’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। ইমাম আহমদ (রা) নাম আহমদ বিন মুহাম্মদ বিন হাম্বল। রাসূল (সা)-এর ইন্তেকালের ১৫৪ বছর পর ১৬৪ হিজরীতে বাগদাদে জন্মগ্রহণ করেন। ২৪১ হিজরীতে ৭৭ বছর বয়সে বাগদাদে ইন্তেকাল করেন। তিনি হাদীস জগতে এক উজ্জল নক্ষত্র। হাদীসের এক বিশাল সমুদ্র। তিনি তাঁর সু-প্রসিদ্ধ কিতাব “আল মুসনাদ” এ চল্লিশ হাজার হাদীস মুসলিম বিশ্বকে উপহার দিয়ে গেছেন। এছাড়া আরও বহু গ্রন্থ তিনি লিখেছেন। গ্রন্থ রচনা ও হাদীসের জ্ঞানের ক্ষেত্রে চার ইমামের মধ্যে তিনিই সবার সেরা। বিস্তারিত দেখুন বই- চার ইমামের অবস্থান । সন্মানিত ইমামগণের ইমামগণের বক্তব্য থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় যে, তাঁদের ভুল ইজতেহাদ এবং দুর্বল দলিলের বিপরীতে সহীহ হাদীস পাওয়া গেলে তাঁদের কথা বর্জন করে সহীহ হাদীস অনুযায়ী আমল করতে হবে
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:33am

    Sogood Islam Syeds

    মাযহাব মূলত: একটাইঃ @@@@@@@@@@@@@ মাননীয় ইমামগণের বক্তব্য থেকে এ কথাও ফুটে উঠেছে যে, চার ইমামের প্রকৃত মাযহাব মূলত: একটাই। আর তা হলো, পবিত্র কুরআন এবং সহীহ হাদীস অনুসরণ করা। এটাই রাসূল (সা) ও সাহবয়ে কেরামের মাযহাব। এই মাযহাবের নাম হলো ইসলাম আর অনুসারীর নাম মুসলিম। এই মাযহাবের ইমামে আজম হলেন মুহাম্মাদুর রাসূলুল্লাহ (সা) এই মাযহাবের প্রথম কাতারের অনুসারী হলেন সাহাবায়ে কেরাম। দ্বীতীয কাতারের অনুসারী হলেন তাবেঈগণ। আর তৃতীয় কাতারের অনুসারী তাবে তাবেঈগণ এবং মুজতাহিদ সকল ইমাম। এভাবে প্রত্যেক যুগের খাঁটি মুমিম-মুসলিমগণ এই জামাতে শরীক হয়েছেন। আমরাও এই জামাতের অনুসারী। কিয়ামত পর্যন্ত যত মানুষ দুনিয়াতে আসবে, মুক্তি পেতে হলে এই জামাতেই শরীক হতে হবে
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:34am

    Sogood Islam Syeds

    প্রচলিত চার মাযহাব মানা কি ফরজ? @@@@@@@@@@@@@@ মাযহাব আরবী শব্দ। মাযহাব অর্থ চলার পথ, ধর্মমত এবং বিশ্বাস। বিশ্ব মুসলিমের চলার পথ, ধর্মমত এবং বিশ্বাস এক-অভিন্ন। কারণ, বিশ্ব মুসলিমের আল্লাহ এক, কুরআন এক, রাসূল এক, কিবলা এক, দ্বীন এক। সুতরার মুসলিমরা চার মাযহাবের নামে চার দলে বিভক্ত হবে কেন? আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: তোমরা আল্লাহর রজ্জুকে শক্তভাবে ধারণ করো এবং তোমরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে যেও না। (সুর ইমরান- ৩:১০৩) আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন: যারা নিজেদের ধর্মকে ভাগ ভাগ করে পৃথক পৃথক দলে বিভক্ত হয়ে পড়েছে (হে রাসূল) আপনার কোনো সম্পর্ক নেই তাদের সাথে। তাদের বিষয় আল্লাহর হাতে। তিনি তাদেরকে (এর কুফল) জানিয়ে দিবেন। (সুরা আন আম- ৬:১৫৯) আল্লাহ তায়ালা আরও বলেছেন: নিশ্চয় এটাই হচ্ছে আমার সরল-সোজা পথ। সুতরাং তোমরা এই পথেই চলো। আর অন্যান্য পথের অনুসরণ করো না। তা হলে সেসব পথ তোমাদেরকে তাঁর পথ থেকে বিচ্ছিন্ন করে দিবে। (সূরা আন-আম – ৬:১৫৩) মুসনাদে আহমদ ও হাকিমে সহীহ সানাদে বর্ণিত হয়েছে, ইবনে মাসউদ (রা) বলেন, রাসূল (সা) একবার আমাদের সামনে একটি সরল-সোজা দাগ টানলেন। অতঃপর বলেন, এটা আল্লাহর সরল-সোজা পথ। তারপর ঐ দাগের ডানে-বাম আরও কতগুলি দাগ দিয়ে বললেন, এগুলি অন্যান্য ভ্রান্ত পথ। এই পথগুলির প্রত্যেকটার উপর একটি করে শয়তান আছে। সে ঐ পথের দিকে মানুষকে ডাকে। অতঃপর রাসূল (সা) উল্লেখিত (সুরা আনআমের ১৫৩ নং) আয়াতখানা তিলাওয়াত করলেন। উল্লেখিত আয়াত এবং হাসীস থেকে পরিকষ্কার বুঝা যায় যে, সিরাতে মুস্তাকিম-সোজা পথ একটাই। সকলকে এক পথেই চলতে বলা হয়েছে। দলে দলে বিভক্ত হতে নিষেধ করা হয়েছে
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:35am

    Sogood Islam Syeds

    চারশত হিজরীর পর প্রচলিত চার মাযহাব শুরু হয়েছেঃ @@@@@@@@@@@@@@ সম্মানিত চার ইমাম নিজ নিজ সময়ে স্ব স্ব এলাকায় বড় আলিম হিসেবে খ্যাত ছিলেন। ফলে লোকজন তাঁদেরকে জরুরী মাসআলা-মাসাইল জিজ্ঞাসা করতো। তাঁরা ফয়সালা দিতেন। ইমামগণের ইন্তেকালের পর তাঁদের ভক্তরা তাঁদের মতামত ও নীতি প্রচার প্রসার করেন। এমনকি গ্রন্থ আকারে প্রকাশ করতে থাকেন। এক ইমামের ভক্তরা অন্য ইমামের ভক্তদের সাথে তর্ক-বাহাস করতে থাকেন। দলাদলি-বাড়াবাড়ি চলতে থাকে। রাজনৈতিক ফায়দা লুঠতে শাসকবর্গও এতে জড়িত হয়ে পড়েন। এভাবে কালক্রমে ধীর ধীর প্রচলিত চার মাযহাবের রূপ ধারণ করেছে। উপমহাদেশের সর্বজন শ্রদ্ধেয় আলিম, আল্লামা শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিসে দেহ্‌লভী (রা) লিখেছেন: ‘জেনে রাখ! হিজরী চতুর্থ শতাব্দীর আগের লোকেরা কোন একজন নিদিষ্ট ব্যক্তির একক মাযহাবী তাক্বলীদের উপরে ঐক্যবদ্ধ ছিলেন না’। চার ইমামের যে কোন একজনকেই মানতে হবে। সর্ব বিষয়ে এক মাযহাবের মাসআলা মতেই চলতে হবে। অন্য কিছু মানা যাবেনা- ‘মাযহাবের এমন অন্ধ অনুসরণ হিজরী চারশত বছরের পর থেকে শুরু হয়েছে। বর্তমানে কোরআনের সঠিক তরজমা, নির্ভরযোগ্য তাফসীর এবং হাদীসের বিশাল ভান্ডার রয়েছে। সহীহ হাদীস থেকে জঈফ ও জাল বর্ণনা পৃথক করা আছে। মাযহাবের যে সব মাসআলা পবিত্র কোরআন ও সহীহ হাদীসের সাথে মিলে তা মানতে হবে। আর যা মিলে না তা বর্জন করতে হবে। ভুল কিয়াস এবং জঈফ ও জাল দলিল ভিত্তিক যে সব মাসআলা মাযহাবে আছে তা মানা ফরজ নয়। বরং তা বর্জন করে কোনআন-হাদীস মোতাবেক আমল করা ফরজ। এটাই আমাদের মূল বক্তব্য। আর এটাই সম্মানিত চার ইমামের প্রকৃত মাযহাব। আমরা তাঁদের প্রতি কৃতজ্ঞ ও শ্রদ্ধাশীল। তাই আসুন দলে উপদলে বিভক্ত না হয়ে কুরআন এবং সহীহ হাদীসকে আকড়িয়ে ধরি
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:36am

    Sogood Islam Syeds

    চার মায়হাব রাসূল (সা) –এর সুন্নাতও নয় এবং খোলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতও নয়ঃ @@@@@@@@@@@@@@ সুন্নাত রাসূল (সা) বলেছেন, তোমারাদের মধ্যে যারা আমার পর বেঁচে থাকবে তারা (দ্বীনি বিষয়ে) বহু মতভেদ দেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের অপরিহার্য্য কর্তব্য হলো আমার সুন্নাত এবং সুপথ প্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশিদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরা। সুন্নাতকে মাড়িয়ে দাঁত দ্বারা শক্তভাবে কামড় দিয়ে ধরবে। আর সাবধান থাকবে (দ্বীনের নামে) নব আবিস্কৃত বিষয় সমূহ হতে। কারণ, প্রতিটি নব আবিস্কৃত বিষয় হল বিদআত। আর সকল প্রকার বিদআত হলো পথভ্রষ্টতা (আর সকল পথ ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম) – সুনানে আবু দাউদ, তিরমিজী; সানাদ সহীহ। প্রচলিত চার মাযহাব রাসূল (সা) এর সুন্নাতও নয়, খলিফা আবুবকর, উমর, উসমান এবং আলী (রা)-এর সুন্নাতও নয়। বরং তাঁদের অনেক পরে এসব নতুন আবিষ্কার করা হয়েছে। রাসূল (সা) বলেছেন: বনি ইসরাঈল ৭২ দলে বিভক্ত হয়েছে। আর আমার উম্মত ৭৩ দলে বিভক্ত হবে। একটি ছাড়া সবই জাহান্নামে প্রবেশ করবে। জিজ্ঞাসা করা হলো ঐ নাজাত প্রাপ্তদল কারা? রাসূল (সা) বললেন, যারা ঐ পথে থাকবে যে পথে আমি ও আমার সাহাবাগণ রয়েছি। – সুনানে আবু দাউদ উল্লেখিত হাদীস থেকে পরিষ্কার বুঝা যায় যে, মুক্তি পেতে হলে সে পথেই চলতে হবে যে পথে রাসূল (সা) এবং সাহাবীগণ ছিলেন। এবার প্রশ্ন হলো, আমরা কি সেপথে আছি, যে পথে তাঁরা ছিলেন? তাঁরা কি চার মাযহাবের নামে চার দলে বিভক্ত ছিলেন? “চার মাযহাবের যে কোন এক মাযহাব মানতেই হবে- মাযহাব মানা ফরজ”- এমন আক্বীদা-বিশ্বাস কি তাঁদের ছিল? কোরআন-হাদীসের কোনো স্থানে চার মাযহাব মানা ফরজ বা ওয়াজিব এমন কথা লেখা নেই। এমন কি, কোরআন-হাদীসের কোথাও চার ইমামের অথবা চার মাযহাবের নামটুকুও উল্লেখ নেই। সর্বোপরি, ঈমামগণ প্রচলিত চার মাযহাব চালুও করেননি। আর তা মেনে চলা ফরজ বা ওয়াজিব এমন কথা ঘোষনাও করেননি। তাঁরা রাসূল (সা) এবং সাহাবায়ে কেরামের আলোকিত সহীহ পথের পথিক ছিলেন। তাঁদের ইন্তে-কালের বহু বছর পর প্রচলিত চার মাযহাব আবিষ্কার করা হয়েছে। সুতরাং কোনো দিক থেকেই প্রচলিত মাযহাব মানা ওয়াজিব বা ফরজ নয়
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:36am

    Sogood Islam Syeds

    চার ইমামের আক্বীদাসমূহ ও মাযহাব মতভেদঃ @@@@@@@@@@@@@@ মুসলিম বিশ্ব আজ দলে উপদলে বিভক্ত হয়ে নিজেদের মনগড়া বানানো পথে চলছে। কুরআন ও রাসূলুল্লাহ (সা) এর হাদীসকে ভাগ করে এক একটি দলের জন্যে এক একটি নিয়ে কিছু মেনে কিছু পরিত্যাগ করে নিজেদের মতো করে চলছে। আর প্রত্যেকটি দলই দাবী করে তারা হাক্বের উপর প্রতিষ্ঠিত। অথচ আল্লাহ, রাসূল(সা), কুরআন, ঈমান ইত্যাদি সম্পর্কে ঐ সকল দলের আক্বীদাও ভুলে পরিপূর্ণ। পরকালে মু্ক্তি পেতে হলে অবশ্যই ‘আক্বীদাহ্‌ বিশুদ্ধ হতে হবে। কারণ আল্লাহ তা’আলা নূহ (আ) থেকে শেষ নাবী ও রাসূর মুহাম্মাদ (স) পর্যন্ত যত নাবী ও রাসূল প্রেরণ করেছেন সকলকেই তাদের উম্মাতদের ‘আক্বীদাহ বিশুদ্ধ করার জন্য প্রেয়ণ করেছেন। যেমন- আল্লাহ বলেন: আমি প্রত্যেক উম্মাতদের নিকট তাদের নাবী-রাসূলদেরকে এ দাওয়াত নিয়ে প্রেরণ করেছি যে, তোমরা এক আল্লাহর ‘ইবাদাত করবে এবং তাগুত থেকে বেঁচে থাকবে” (সুরা নাহল- ১৬:৩৬) তাই ‘আক্বীদার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আমাদের বাংলাদেশে চারটি মাযহাব বা দল খুবই পরিচিত। এ সকল মাযহাবের সর্বস্তরের লোকদের আল্লাহ, রাসূল (সা) কুরআন, ঈমান ইত্যাদি সম্পর্কে তাদের ‘আক্কীদাহ ভুলে পরিপূর্ণ। তা সত্বেও তারা তাদের ‘আক্বীদাহকে বিশুদ্ধ বলে দাবী করে। তারা বলে থাকে আমরা অমুক মাযহাবের লোক, অথচ সে মাযহাবের ইমামের ‘আক্বীদাহ বা বিশ্বাস কি ছিল তা তারা খতিয়ে দেখার প্রয়োজন বলে মনেও করে না। তারা দেখেনা রাসূল (সা) সাহাবা গণ, তাবেয়ীগণ, তাবে তাবেয়ীগণ অর্থ্যাৎ – সালাফগনদের আক্বীদাহ কী ছিল? চার ইমাম যেমন- ইমাম আবূ হানিফাহ (র), ইমাম মালিক (র), ইমাম শাফিয়ী (র), ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (র), এদের সকলেরই আক্বীদাহ বিশুদ্ধ ছিল। তাদের আক্বীদাহ ছিল কুরআন ও সহীহ হাদীস অনুযায়ি ‘আক্বীদাহ। তাদের আক্বীদাহ ছিল রাসূল (সা) এবং তার সাহাবা কিরামদের ‘আক্বীদাহ্‌। অর্থাৎ তাদের সকলেরই ‘আক্বীদাহ ছিল এক। কিন্তু আমরা সেদিকে কর্ণপাত না করে, মাযহাবের দোহাই দিয়ে নিজেদের খেয়াল খুশি মতো চলছি। যা একজন সত্যিকারের মুসলমানের উচিৎ নয়।
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:36am

    Sogood Islam Syeds

    ইসলামে কোন অন্ধ অনুসরণ নেই; @@@@@@@@@@@@@ ইসলামে যে অন্ধ অনুসরণ নেই , তা সালাতের মাধ্যমে পরিস্কার বুঝা যায় । সালাতে ইমামের মর্যাদা সকলের জানা আছে । ইমামের আগে দাঁড়ালে সালাত নষ্ট হয় । ইমামের আগে রুকু সিজদা করলেও সালাত নষ্ট হয় । কিন্তু তাই বলে ইমাম যদি সালাতে ভুল করেন , তাহলে চুপ থেকে নিজেরাও ভুল করা চলবে না , লোকমার মাধ্যমে ইমামের ভুল ধরিয়ে দিতে হবে । এর অর্থ হল , মুক্তাদি ইমামকে জানিয়ে দিচ্ছে যে , যদিও এখন তাকে ইমাম করে সালাত আদায় করা হচ্ছে কিন্তু আসল ইমাম তিনি নন , আসল ইমাম নবী (সাঃ) । যতক্ষণ তিনি আসল ইমামের অনুসরণ করবেন ততক্ষণ তার ইমামতিতে সালাত হবে । কিন্তু তিনি যদি ভুল করেন , তবে লোকমা দ্বারা ভুল ধরিয়ে দিয়ে তাকে সংশোধনের চেষ্টা করা হবে । তিনি যদি নিজেকে সংশোধন করে নেন ঠিক আছে , কিন্তু যদি তা না করে তিনি নিজের ফর্মূলা মত সালাত চালু করতে চান তাহলে সর্বপ্রথম তাকে অপসারণ করে অতঃপর নতুন ইমাম নিযুক্ত করবে । ইমাম নবী (সাঃ) এর অনুসারী হবেন । তার ইমামতিতে পূনরায় সালাত আদায় করতে হবে । অতএব অন্ধ অনুসরণ যেহেতু ইসলামে নেই সুতরাং অজ্ঞ থাকার সুযোগও ইসলামে নেই । আর মাযহাবীরা সবাই অন্ধ অনুসরণ করে থাকে । তারা তাদের ইমামের কোন ভুলকে ভুল মনে করে না । মনে হয় ইমামরা যেন মানুষ ‍ছিলেন না । তাদের ভুল হতেই পারে না । তারা নবী-রাসূলেরও উর্ধে । মাযহাবীরা তাদের ইমামের মতামতের বিরুদ্ধে সহীহ হাদীস পেলেও তারা ইমামের কথাকে নয় হাদীসকেই প্রত্যাখ্যান করে । এভাবে তারা রিসালাতের সাথে শিরক করছে । মনে হয় মুহাম্মাদ (সাঃ) নয় ইমাম আবু হানীফাই তাদের রাসূল । মুহাম্মাদ সাঃ এর হাদীস প্রত্যাখ্যান করা যাবে , কিন্তু ইমাম আবু হানীফার কথার এদিক-ওদিক করা যাবে না । আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক বুঝ দান করুন । আমীন!
    ইসলামের দাওয়াত
  • Sogood Islam Syeds
    1:37am

    Sogood Islam Syeds

    জাল হাদীস বিবেকবান লোকের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়ঃ @@@@@@@@@@@@@@ বাজারে গেলে কোন ক্রেতাই পচাষড়া মাছ বা অন্য কোন পচা পণ্য খরিদ করেন না, বরং বাজরে ঘুরে ঘুরে দেখে ভাল পণ্যই খরিদ করে থাকেন। তাহলে ইসলামের মধ্যে যখন ভেজাল ঢুকেই গেছে আর ভেজাল ঢুকবে এরূপ ভবিষ্যৎ বাণীও করা হয়েছে তখন বেছে সঠিক আমল আক্বীদার উপর আমল করেই আমাদেরকে চলতে হবে এবং এটা আমাদের জন্য এক বিরাট পরীক্ষাও বটে। জাল হাদীসের প্রচার ও প্রসার সহীহ বিশুদ্ধ হাদীস সন্ধনের কথা এ কারণে বলছি যে, আমাদের মুসলিম সমাজের মধ্যে অনৈসলামিক রীতিনীতির প্রবেশ ঘটেছে, ইসলাম বিরোধী চক্র ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টান কর্তৃক ইসলাম ধর্মকে ভেজাল মিশ্রিত করার জন্য যুগে যুগে প্রচেষ্টা চলেছে এখনও চলছে, আর এর ফলেই সৃষ্টি হয়েছে জাল ও বানোয়াট হাদীসের। আল্লাহর পক্ষ থেকে দলীল লাভ করা ছাড়া তাঁর রাসূল (সাঃ) কোন কথাই বলেননি, কিন্তু তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে এ উম্মাতের মাঝে এমন বহু লোক আসবে দুনিয়ার স্বার্থ সিদ্ধির জন্য তাদের অনেকে অনেক কিছু নিজেদের পক্ষ থেকে বানিয়ে বলবে। তাই তিনি সতর্ক করে বলেন : “যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যারোপ করল সে যেন জাহান্নামে তার স্থান বানিয়ে নিল” (বুখারী; মুসলিম)। “যে ব্যক্তি আমার নিকট হতে এমন ধরনের হাদীস বর্ণনা করবে, ধারনা করা যাচ্ছে যে, সেটি মিথ্যা। সে ব্যক্তি মিথ্যুকদের একজন বা দুই মিথ্যুকের একজন” (মুসলিম)। জাল হাদিস প্রচারের পরিণাম “আমার উপর মিথ্যারোপ করা তোমাদের পরস্পরের মাঝে মিথ্যারোপের মত নয়। যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে আমার উপর মিথ্যারোপ করল সে তার স্থান জাহান্নামে বানিয়ে নিল” (মুসলিম)। “যে ব্যক্তি আমার উদ্ধৃতিতে এমন কথা বলল যা আমি বলিনি, সে তার স্থান জাহান্নামে বানিয়ে নিল” (ইবনু হিব্বান)। এ হাদীস গুলো প্রমাণ করছে যে, ইচ্ছাকৃতভাবে রাসূল (সাঃ) এর উদ্ধৃতিতে কিছু বানিয়ে বলুক আর অনিচ্ছাকৃতভাবে বানিয়ে বলুক উভয় অবস্থায় তাঁর উদ্ধৃতিতে কিছু বানিয়ে বললে সে জাহান্নামী। কারণ শেষের হাদীসটিতে ইচ্ছাকৃতভাবে এ কথা উল্লেখ করা হয় নি। এই হাদীস গুলো আরো প্রমাণ করছে যে, তাঁর উম্মাতের মধ্যে তাঁর উদ্ধৃতিতে জাল-যঈফ হাদীসের প্রসার ঘটবে এবং বাস্তবেও তা ঘটেছে এবং প্রত্যেক মাযহাবের বিজ্ঞ মুহাদ্দিসগণ জাল ও যঈফের ব্যাপারে সতর্ক করে গ্রন্থ রচনাও করেছেন। যদি জাল ও যঈফ হাদীসের প্রসার এ উম্মাতের মধ্যে না ঘটতো তাহলে রাসূল (সাঃ) এর উপরোক্ত বাণীগুলো অনর্থক বলেছেন বলে গণ্য হতো। অথচ আমরা সকলে জেনেছি তিনি ওহীর মাধ্যম ছাড়া কোন কথা বলেননি। আর ওহীর মাধ্যমে যা পাওয়া যায় তা অর্থহীন হতে পারে না। আর আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) থেকে কোন অর্থহীন বেকার কথা বের হতেও পারে না। জাল হাদিসের ব্যাপারে রাসূলের ভবিষ্যত বাণীঃ রাসূল (সাঃ) আরো বলেন : “অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তীদের অনুসরণ করবে বিঘতে বিঘতে ও হাতে হাতে এমনকি তারা যদি দব নামক জন্তুর গর্তে প্রবেশ করে তাহলে সে ক্ষেত্রেও তোমরা তাদের অনুসরণ করবে। আমরা বললাম : তারা কি ইয়াহুদ ও নাসারা হে আল্লাহর রাসূল (সাঃ) ! তিনি বললেন : তারা ছাড়া আর কারা” – বুখারী হা/৭৩২০ ; মুসলিম হা/২৬৬৯। অর্থাৎ তারা যেমন দ্বীনের মধ্যে নবাবিস্কার করে ধর্মীয় রীতিনীতিগুলো নিজেদের প্রবৃত্তি অনুযায়ী বানিয়ে নিয়েছিল, মুসলিমগণের মাঝেও অনুরুপ কর্মকারীদের আবির্ভাব ঘটবে এবং এরাও এ ক্ষেত্রে তাদের হুবহু অনুসরণ করবে। অতএব আমাদেরকে বেছে বেছে, দেখেশুনে সহীহ দলীল নির্ভর আমল করতে হবে, তাহলেই আমরা মুত্তাকী হতে পারবো এবং আখেরাতে মুক্তি পাওয়ার আশা করতে পারবো। আমাদেরকে জানতে হবে আমরা যে আমল করছি, আমরা যে আক্বীদাহ পোষণ করছি সেগুলোর সমর্থনে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) এর বাণী হতে সহীহ দলীল রয়েছে কিনা? কারণ আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে তাঁর রাসূল (সাঃ) এর আনুগত্য করার নির্দেশ দিয়ে বলেছেন: “রাসূল (সাঃ) তোমাদেরকে যা দেন তা গ্রহণ কর এবং যা থেকে নিষেধ করেন তা থেকে বিরত থাক এবং আল্লাহকে ভয় কর, নিশ্চয়ই আল্লাহ কঠোর শাস্তিদাতা।” (সূরা হাশর : ৭)। তিনি কোন ইমাম, আলেম, পীর মাশায়েখের আনুগত্য করার নির্দেশ দেননি। হাঁ উক্ত ব্যক্তিগণ যদি আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ) এর সহীহ দলীল-নির্ভর কথার দিকে দাওয়াত দেন, দিক নির্দেশনা দেন, চলার জন্য উৎসাহিত করেন তাহলে অবশ্যই তাদের মাধ্যমে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সাঃ) এর অনুসরণ করতে হবে। তবে সেই আলেম বা হুজুর আমাদেরকে যে কথা বলছেন বা শুনাচ্ছেন বা যা করতে বলছেন সেটি কি সঠিক কিনা তা আমাদেরকে জেনে নিতে হবে, যাচাই-বাছাই করে নিতে হবে। কারণ আল্লাহ আমাদেরকে বিবেক দিয়েছেন ভাল-মন্দ দেখে ও জেনে-বুঝে নেয়ার জন্যই। উদাহরণ স্বরূপ আমরা মাছের বাজারে গেলে যেরুপ পচা মাছ ক্রয় করি না, বেছে যেটি ভাল মাছ সেটি ক্রয় করি, অনুরুপভাবে আমাদের ধর্মীয় আমলের ক্ষেত্রেও একই নীতি অবলম্বন করে সহীহ দলীল-নির্ভর আমলকেই বেছে নিয়ে সে মাফিক আমল করতে হবে। যাতে আমাদেরকে পথভ্রষ্টদের অন্তর্ভুক্ত হতে না হয়। আল্লাহ রব্বুল আলামীন আরো বলেছেছন:”অতএব তোমার পালনকর্তার কসম, তারা ঈমানদার হবে না যতক্ষণ না তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ন্যায়বিচারক বলে মনে না করে। অতঃপর তোমার মীমাংসার ব্যাপারে মনে কোন রকম সংকীর্ণতা রাখবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নেবে।” – সূরা নিসা : ৬৫। এখানে দ্বন্দ্বের সময় রাসূল (সাঃ) কতৃক প্রদানকৃত সমাধানকে যারা মেনে নিবে না এবং মেনে নিতে সংকোচবোধ করবে তারা ঈমানদার হতে পারবে না এ সাবধান বানী উচ্চারণ করা হয়েছে। আল্লাহ রব্বুল আলামীন আরো বলেছেন : “তোমরা রাসূল (সাঃ) এর আহ্বানকে তোমাদের এক অপরকে আহ্বানের মত গণ্য করো না। আল্লাহ তাদেরকে জানেন তোমাদের মধ্যে যারা চুপিসারে কেটে পড়ে। অতএব যারা তাঁর (রসূলের) আদেশের বিরুদ্ধাচরণ করে, তারা এ বিষয়ে সতর্ক হোক যে, বিপর্যয় তাদেরকে স্পর্শ করবে অথবা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি তাদেরকে গ্রাস করবে।” – সূরা নূর : ৬৩।
    ইসলামের দাওয়াত

 

about Engr.Muhammad Ali Mirza.by.saahnur siddiqur:

 

[3:51PM, 2/15/2016] sogood islam syeds: assalamu alikum wa rahmatullahi wa barkatuhu …..Engr.Muhammad Ali Mirza r bokhoia olop kobo naki……mana salator ata video sai sob thiki palu…but tawr aqidar gondogul asa naki..Moi collect kore cancel korisu…tolot link dim….in sha allah👇
[3:55PM, 2/15/2016] sogood islam syeds: https://sogoodislam.wordpress.com/…/1x-complete-video-of-e…/
[5:53PM, 2/15/2016] saahnur siddiqur: Engineer Ali Mirza r authentic duiyotai puwa jay. Teok muqallid nohoy. Taqleed or birudhita kore. Teo tableegi, deobandi, berelovi hokolor birudhita kore, logote ahle hadis or o birudhita kore.
Teor mote Saudi arab or aleem bur saudi govt. Or money t chole.
Sahaba hokolor bhul bur bayan kori thake. Specially Muwabiya ra. aru Yazeed or against.
[5:54PM, 2/15/2016] saahnur siddiqur: Teor uporot aleem hokolor jarah hoise-,👇🏼

Teor uporot jarah hoise-

1. Ali Mirza Ki Haqeeqat – Hafiz Sher Muhammad-
https://m.youtube.com/watch…

2. Reply to Engineer Muhammed ali Mirza || By Hafiz Zubair Ali Zai { Rahimaullah }
https://m.youtube.com/watch?v=ZQRD8LymN_8

3. Engineer Muhammad Ali Mirza , Sheikh Hafiz Zubair Ali Zai ki Nazar Mein-
https://m.youtube.com/watch…

4. Ali Mirza Aur Teen Talaq – Sheikh Maqsood Ul Hassan Faizi
https://m.youtube.com/watch…

5.,Engineer Muhammad Ali Mirza ,Omar Ibn Saleem Se Goftago Karte howy Faraar
https://m.youtube.com/watch…

6. Engineer Muhammad Ali Mirza , Sheikh Hafiz Umar Siddique ki Nazar Mein
https://m.youtube.com/watch…

7. Engineer Muhammad Ali Mirza ke Ilzam ka Jawaab – by Sheikh Syed Tauseef Ur Rehman
https://m.youtube.com/watch…
[9:52PM, 2/15/2016] sogood islam syeds: aibur sabo lagibo in sha allah…jazak allahu khairan sahnur sahab…now copy kori rakhu…🏿👆🏻

Buja nubujar dumujat

ganaahikar

LINK-http://ganaadhikar.com/29012016/page6.html

e-mail:-ganaadhikar123@gmail.com

………………………………………………………………………………………

-বুজা নুবুজাৰ দুমোজাত আব্দুছ ছাত্তাৰ ভূঞা-

চৈয়দ চ’গুদ ইছলাম,গুৱাহাটী।[৩১/০১/২০১৬]

“গণ অধিকাৰ”ৰ যোৱা ২৯।০১।২০১৬ তাৰিখৰ ধর্ম-দর্শন ভাগত আব্দুছ ছাত্তাৰ ভূঞা চাহেবৰ “মজহাব কেন্দ্রিক মনোভাবৰ বাবেই মুছলমান সম্প্রদায় ‘বা-মাৰলীত’ পৰিছে” নামৰ প্রৱন্ধটো পঢ়ি ভালৰ লগতে বেয়াও লাগিল। ভাল এই কাৰণেই লগিলযে অবাস্তবৰ মাজতেই প্রৱন্ধটোত বাস্তবো আছিল। বাস্তবখিনি বাদদি আমি ভূঞা চাহেবে নজনাখিনিৰ কথাহে ক’ব বিছাৰিছো।

             ইছলামৰ বিষয়ে কিবা লিখাৰ আগতে কিছুমান মৌলিক সংজ্ঞাৰ ওপৰত জ্ঞান থকাটো অতি জৰুৰি, অন্যথা কালে বিপৰীত হোৱাৰ সম্ভাৱনা থাকে, যেনে-বে’দাত, শির্ক, ওহাবী, খাৰেজী, আহলে-হাদীছ ইত্যাদি। লগতে কোৰআন মজিদ আৰু হাদীছৰ ওপৰতো সম্যক জ্ঞানৰ প্রয়োজন হয়।

             ভূঞা চাহেবৰ দেখিছো ‘ওহাবী’ আৰু ‘আহলে-হাদীছ’ৰ ওপৰত লগতে মুছলমান সম্প্রদায় কিহৰ বাবে বহু বিভক্ত হৈছে তাৰ মুঠেই জ্ঞান নাই। ভূঞা চাহেবে কৈছে কোৰআন মজিদ তথা হাদীছত মুছলমান সম্প্রদায়ৰ বহু বিভক্তৰ কথা নাই। আমি কৈছো বাৰ বাৰ ৰেড চিগনেল আছে আৰু ইয়াৰ পৰিণামৰ কথাও গভীৰভাবে উল্লেখ আছে। এইবোৰৰে পাতনি মেলিম বুলি ভাবিছো, ইন ছা আল্লাহ।

               “ওহাবী” শব্দটো প্রায়েই শুনা যায়।সাধাৰণভাবে ইয়াক ইটো মজহাবে সিটো মজহাবক গালি হিচাবে ব্যৱহাৰ কৰা দেখা যায়। কিন্তু আব্দুছ ছাত্তাৰ ভূঞা চাহেবৰ দৰে বহুতৰেই ইয়াৰ ধাৰণা নাই এইটো আচলতে কি বস্তু। ইয়াতে কৈ থওঁ “ওহাবী” কোনো মাজহাব নহয়। তেনেহলে ক’ৰ পৰা এই নামটো আহিল। “ওহাবী” শব্দটো আহিছে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওহহাবৰ(ৰহিমুল্লাহ) পৰা। তেওঁ আছিল কোৰআন মজিদ আৰু আল্লাহৰ ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ ছুন্নাহ অনুসৰণকাৰী।
.
১৮ শতিকাৰ আৰব উপদ্বীপেৰ এটা সৰু বিবৰণ দিয়া যাওঁক। বর্তমান ছৌদি আৰবৰ যি অঞ্চল ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম আৰু ছহাবীসকলৰ ভূমি, সেই ভূমিৰ প্রায় লোকসকলে গ্রহণ কৰিছিল ইমাম আহমাদ বিন হাম্বলৰ(ৰঃ) মাজহাব । তেওঁলোকে ছাহাবীসকল কবৰৰ ওপৰত গম্বুজ বনাই পূজা আৰম্ভ কৰিছিল। যায়েদ বিন খাত্তাব (ৰাজিয়াল্লাহুআনহু) [ওমাৰৰ(ৰাজিয়াল্লাহুআনহু) ভায়েক; ইয়ামাৰ যুদ্ধত শ্বহীদ হৈছিল],খাদিজা (ৰাজিয়াল্লাহুআনহা)আদি এই মহান ব্যক্তিসকলৰ কবৰত গম্বুজ বনাই পূজা আৰম্ভ কৰিছিল।আৰবৰ মহিলাসকলে গছৰ ওচৰত সন্তান কামনা কৰিছিল, পীৰক ছিজদাহ কৰা হৈছিল। কবৰত মানত কৰিছিল। ইৰাকীবিলাকে ইমাম আবু হানিফাৰ(ৰহমাতুল্লাহি) কবৰত পূজা কৰিছিল। ছিয়াসকলে হুছেইনৰ(ৰাজিয়াল্লাহুআনহু) কবৰ পুজা কৰা কথাটো সর্বজনবিদীত।

                 মুহাম্মাদ বিন কাছিমৰ(ৰহিমুল্লাহ) নেক জিহাদৰ ভূমি ভাৰতবর্ষৰ লোকসকলেও ঠিক আৰব উপদ্বীপৰ লোকসকলৰ দৰেই কবৰ-মাজাৰ আৰু পীৰ পূজাত মগ্ন আছিল(আজিও আছে)।

                 এনে এক সময়তে মুহাম্মাদ ইবন আবদুল ওয়াহহাবৰ(ৰহিমুল্লাহ) জন্ম হয়। তেওঁ দেখিলে কোৰআন আৰু আল্লাহৰ ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ ছুন্নাহত যি আছে, মানুহে ঠিক তাৰ বিপৰীত কাম কৰিছে। তেওঁ মানুহক কোৰআন আৰু ছুন্নাহ অনুসৰণ কৰাৰ দাৱাত দিয়া আৰম্ভ কৰিলে। এই“সহজ” কামটো কৰাৰ কাৰণে সেই ১৮ শতিকাতেই মানুহ যথেষ্ট নাছিল। কোৰআন আৰু ছুন্নাহৰ দাৱাত দিয়াৰ বাবে আজিও তেওঁক অপৰাধী সাব্যস্ত কৰি বহু মানুহে তেওঁক গালি দিয়ে। তেওঁৰ আন্দোলনৰ নামত ভ্রান্ত কথা প্রচাৰ কৰে।

         *             *               *             *                   *                 *         *

             ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ যুগৰ পৰাই হক্বপন্থীসকলক ‘আহলেহাদীছ’, ‘ছালাফী’, ‘আহলে সুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত’ নামেৰে উল্লেখ কৰা হলেও ‘আহলেহাদীস’ নামটো মুছলমানৰ মাজত ‘ছুন্নাতপন্থী আলিম ও গবেষকসকলৰ বাবেহে প্রযোজ্য যেন লাগ।

             হক্বপন্থীসকলৰ পৰিচয়ঃ- ‘আহলেহাদীছ’, ‘ছালাফী’, ‘আহলে ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আত’ মুছলিম বিজ্ঞ আলিমসকলৰ পৰিচিতি ও বৈশিষ্ট্য। যাৰ মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা , ছুন্নাত ও ইলমক হেফাজত কৰে। সেইটোৱেই ‘মুছলিম’ নামেৰে উম্মাতে মুহাম্মাদীৰ (চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম)- সর্বসাধাৰণৰ পৰিচয় ।……

           ইছলাম মহান আল্লাহ প্রদত্ত এক সার্বজনীন জীবন বিধান। মানব জাতিৰ সার্বিক কল্যাণৰ ববেই ই নিয়োজিত। পবিত্র কোৰআন মজিদ আৰু ছহীহ হাদীছৰ মাধ্যমত ইয়াৰ বাস্তব নমুনা বিদ্যমান।ইয়াৰ মৌলিক উদ্দেশ্য হল, মানুহক পৰীক্ষা কৰা। এইবাবেই আল্লাহ তা‘আলাই তেওঁৰ ৰজ্জুক খামুছি ধৰি ‘ছিৰাতে মুস্তাক্বীম’ত চলাৰ নির্দেশ দিছে। তাৰ লগতেই ভ্রান্ত পথত চলাত নিষেধ কৰিছে (আলে ইমৰাণ ১০১, ১০৩; আন‘আম ১৫৩)।

         ছুৰা আলে ইমৰাণৰ ১০১ নং আয়াতত কোৱা হৈছে : আল্লাহক দৃঢ়ভাবে খামুছি ধৰিলে ছিৰাতে মুস্তাক্বীমৰ হিদায়েৎ পোৱা যাব।

         ১০৩ নং আয়াতত কোৱা হৈছে : আল্লাহৰ ৰজ্জুক জামা‘আতবদ্ধভাবে খামুছি থাকিবলৈ ।ফির্কা বা ভাগ কৰিবলৈ নিষেধ কৰা হৈছে। নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে : كتاب الله عز وجل هو حبل الله ‘কিতাবুল্লাহ হ’ল হাবলুল্লাহ (আল্লাহৰ ৰজ্জু)।’ [ছহীহ মুছলিম, তাহ: মিছকাত হা/৬১৩১]

                 ছুৰা আলে ইমৰাণৰ ১০১ আৰু ১০৩নং আয়াতত যাক ‘ছিৰাতে মুস্তাক্বীম’ আৰু ‘আল্লাহৰ ৰজ্জু’ কোৱা হৈছে, তাক ছুৰা আনআমৰ ১৫৩ নং আয়াতত অনুসৰণ কৰিবলৈ কোৱা হৈছে।। ভিন্নপথ তথা ফির্কাবোৰৰ অন্তর্ভুক্ত হবলৈ নিষেধ কৰা হৈছে। ছুৰা আলে ইমৰাণৰ ১০২ ও ১০৩ নং আয়াত মিলাই পঢ়িলে বুজা যায়, ফির্কাৰ পথ মুছলিমসকলৰ পথ নহয়।

–ছুৰা আলে ইমৰাণৰ ১০২ আৰু ১০৩নং আয়াতকেইটাত এনেদৰে কোৱা হৈছেঃ-

“হে মু’মিনসকল ! তোমালোকে আল্লাহক ভয় কৰা, যিভাবে তেওঁক ভয় কৰা উচিত, আৰু মুছলিম নোহোৱাকৈ মৃত্যুবৰণ নকৰিবা। আৰু তোমালোকে আল্লাহৰ ৰজ্জুক জামা‘আতবদ্ধভাবে খামুছি থাকিবা আৰু ফির্কাৰ সৃষ্টি নকৰিবা।”

         ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামক লক্ষ্য কৰি আল্লাহ তা’লাই কৈআছে, ‘আপুনি কৈদিয়ক! নিশ্চয় এই সোজা পথটি মোৰ পথ। তোমালোকে এই পথেকেই অনুসৰণ কৰিবা। অন্যান্য পথৰ অনুসৰণ নকৰিবা। অন্যথা এই সোজা পথৰ পৰা বিচ্যুত হৈ যাবা। ইয়াৰ বাবে আল্লাহ তা’লাই তোমালোকক অছিয়ত কৰিছে, যেন তোমালোকে সতর্কতা অবলম্বন কৰিব পাৰা (আন‘আম ১৫৩; আহমাদ হা/৪১৪২)। উক্ত আয়াতত অন্য যাবতীয় পথ বর্জন কৰি এটা পথত চলিবলৈ কোৱা হৈছে।

       প্রশ্ন হ’ব পাৰে মুছলিমসকলৰ মাজত ইমান বিভক্তি ও দল-উপদল কিয় হৈছে? এই সম্পর্কে আল্লাহ তা’লাই কৈছে, ‘আল্লাহে ইচ্ছা কৰিলে তোমালোকক এক উম্মতভুক্ত কৰি দিলে হেঁতেন। কিন্তু তেওঁ তোমালোকক যি বিধান দিছে, তাৰবাবে পৰীক্ষা কৰাৰ বাবে তাক কৰা নাই। সেয়েহে তোমালোকে সৎকর্মৰ প্রতিযোগিতা কৰা। আল্লাহৰ ফালেই তোমালোক প্রত্যাবর্তনৰ স্থল। আৰু তোমালোকে কি বিষয়ে মতভেদ কৰিছা সেই বিষয়ে তেওঁ তোমালোকক জানাই দিব’ (মায়েদাহ -৪৮)*।

* উক্ত পৰীক্ষাত উত্তীর্ণ হবৰ বাবে আল্লাহৰ ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে ভবিষ্যবাণী কৰিছেযে, মোৰ উম্মত ৭৩ দলেত বিভক্ত হ’ব। এটাৰ বাহিৰে সকলো জাহান্নামত যাব। উক্ত জান্নাতী দলৰ পৰিচয় সম্পর্কে কৈছে, ‘মই আৰু মোৰ ছাহাবীসকল যাৰ ওপৰত আছে তেওঁলোকৰ ওপৰত যিসকল থাকিব’ (তিৰমিযী হা/২৬৪১)। অন্য বর্ণনাত আহিছে, সেইটো হ’ল, ‘জামা‘আত’ বা ঐক্যবদ্ধ এটা দল’ (আবুদাঊদ হা/৪৫৯৭)।
অন্য হাদীছত ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে , ইছলামৰ সূচনা হৈছিল অলপ সংখ্যক মানুহৰ মাধ্যমেৰে। পুনৰায় ইছলাম অলপ সংখ্যক মানুহৰ মাজলৈ ঘূৰি যাব।তাতেই তেওঁলোকৰ বাবে আছে জান্নাতৰ ‘তুবা’ নামৰ গাছৰ সুসংবাদ। তেওঁলোক হ’ল , যি মোৰ মৃত্যুৰ পিছত মোৰ ছুন্নাতক সংস্কাৰ কৰিব, যেতিয়া মানুষহে তাক নষ্ট কৰিব’ )মুছলিম হা/৩৮৯; আহমাদ হা/১৬৭৩৬; ছহীহাহ হা/১৯৮৫ ও ২৫১৪)। **
উক্ত হাদীছবোৰত ছিৰাতে মুস্তাক্বীমৰ পথিকসকলৰ তিনিটা পৰিচয় ফুটি উঠিছে। আৰু উক্ত বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন জান্নাতী দল ক্বিয়ামত পর্যন্ত হক্বেৰ উপৰত বিজয়ী থাকিব। তেওঁলোকক কোনেও ক্ষতি কৰিব নোৱাৰিব (মুছলিম হা/৫০৫৯)।

             এতেকে আমি ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ প্রদর্শিত সৰল সোজা জান্নাতী পথত চলিব লাগিব আৰু হক্বপন্থীসকলৰ অন্তর্ভুক্ত হব লাগিব। কাৰণ হক্বপন্থী জামা‘আতৰ লগৰ অবস্থানক শৰী‘আতে অত্যধিক গুৰুত্ব দিছে (বুখাৰী হা/৭০৮৪; আহমাদ হা/১৮৪৭২; ছহীহাহ হা/৬৬৭)।

*                 *                     *                 *               *             *

         ১) ছালাফীঃ- ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ আৰু তেখেতৰ ছাহাবী তথা পূর্বসুৰীসকলৰ অনুসাৰী হিচাবে `ছালাফী’। (বুখাৰী হা/৬২৮৬; মুছলিম হা/৬৪৬৭; ফাতাওয়া আলবানী পৃ: ২)।
২) আহলুল হাদীছ বা আছহাবুল হাদীছঃ- ছাহাবায়ে কেৰাম কোৰআন মজিদ ও হাদীছেৰ ওপৰত সুপ্রতিষ্ঠিত আছিল বাবেই আহলেহাদীছ বা আছহাবুল হাদীছ। আৰু কোৰআন আৰু হাদীছ উভয়কে শৰী‘আতে হাদীছ বুলি কোৱা হৈছে (যুমাৰ ২৩; মুছলিম হা/২০৪২, শু‘আবুল ঈমান হা.১৭৪১)।

         ৩) আহলুছ ছুন্নাহ ওয়াল জামা‘আতঃ- ইয়াত দুই হাদীছত বর্ণিত দুটা গুণ একেলগে যুক্ত হৈছে (মুক্বাদ্দামা মুছলিম হা/২৭; আবুদাঊদ হা/৪৫৯৭) (৫) আহলুল ইলম (বুখাৰী ২/১০৭৮ পৃঃ, হা/৭৩১২; ছহীহাহ হা/২৭০-ৰ আলোচনা)।
ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ মৃত্যুৰ পিছৰ পৰাই সকলো যুগৰ বৰেণ্য মুহাদ্দিছ ওলামায়ে কেৰাম হক্বপন্থীসকলক উক্ত নামেৰেই চিহ্নিত কৰি উল্লেখিত কৰিছে। বেলেগ আন কোনো  নামেৰে মতা হোৱা নাই।

         তাৰ বাদেও উক্ত নামবোৰ কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তি, গোষ্ঠী, জাতি, দল মাজহাব বা স্থান কেন্দ্রীক নহয়। যিধৰণেৰে ভ্রান্ত ফের্কাসমূহক বিভিন্ন গোষ্ঠী ও ব্যক্তি কেন্দ্রীক সৃষ্টি হৈছে। (বিস্তাৰিত দ্রঃ আলবানী, ছিলছীলা ছহীহাহ হা/২৭০-ৰ আলোচনা)।

         আমাৰ ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ প্রদর্শিত সৰল সোজা জান্নাতী পথেদি চলিব লাগিব আৰু হক্বপন্থীসকলৰ অন্তর্ভুক্ত হ’ব লাগিব। কাৰণ হক্বপন্থীসকলৰ লগত থাকিলে শৰী‘আতে অত্যধিক গুৰুত্ব দিছে (তাওবা ১১৯; বুখাৰী হা/৭০৮৪; আহমাদ হা/১৮৪৭২; ছহীহাহ হা/৬৬৭)।

*                 *               *               *                     *                 *

         সদৌ শেষত আব্দুছ ছাত্তাৰ ভূঞা চাহেবে তেখেতৰ প্রৱন্ধটিত উল্লেখ কৰা পাচঁটা ছালাতৰ বৈশিষ্ট কেইটা আমি আলোচনা কৰা বিশুদ্ধ দলৰ আৰু সেই দলটিয়েই তলত উল্লেখ কৰি আমাৰ প্রৱন্ধটি সামৰণি মাৰিলো। ভূঞা চাহেবৰ পৰা বহু নজনা কথা জানিবলৈ পোৱাৰ বাবে জাযাক আল্লাহু খাইৰান।
1]- দলটিৰ নামঃ ইছলাম (ছুৰা আল ইমৰাণ:১৯, ৮৫)

2]- দলটিৰ ঈমামঃ আমাৰ নবী হযৰত মুহাম্মদ(চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম) (ছুৰা নিসা:৫৯, ৮০ মুহাম্মদ:৩৩)

3]- দলটিৰ পৰিচয়ঃ মুছলিম(ছুৰা হাজ্জ:৭৮,ছুৰা হামীম ছাজদাহ:৩৩)

4]-দলটিৰঅনুসাৰী(follower)সকল:ছাহাবীসকল(ৰাজিয়াল্লাহুআনহু),তাবেঈ(ৰহমাতুল্লাহি),

তাবেঈন(ৰহমাতুল্লাহি), ঈমাম(ৰহমাতুল্লাহি)সকল, ৪০০হিজৰী পর্যন্ত মুছলিমসকল আৰু আমি

 

ৰাছুলৰ (সাঃ) মনক্ষুন্ন(Upset)হৈ কৈছিল, “আমাৰ উম্মতসকল ৭৩ দলত বিভক্ত হব, সকলো দল জাহান্নামত যাব , মাত্র এটা দলৰ বাহিৰে । যিটোৱে মোক ও মোৰ লগৰীয়াসকলৰ অনুসৰণ কৰিব আৰু কোৰআন ছুন্নাহ মানি চলিব।(তিৰমিজিঃ১৭১)।

→আহক,আমি সকলোৱে তথাকথিত কোন মাধ্যম/ ঈমাম/পীৰ আদি বাদদি সকলোৱে এই প্রথম-দল/একক-দল/নবী(চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম)য়ে দেখুৱাই দিয়া দলৰ অনুসৰণকাৰী হওঁ, আল্লাহ তা’লাৰ হক্ আমল কৰো।ইন ছা আল্লাহ। ।

………………………………………………সমাপ্ত……………………………………………………।

ইজতেমা-ইলি,তাবলীগ-বিদাতের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট বিদআত

z0

বিশ্ব ঘৃন্য দিবস।
বিদাতের মধ্যে সর্বনিকৃষ্ট বিদআত!

একটা সুন্দর উদাহরণ নিম্নে ঃঃ

আমাদের তাবলীগভক্ত এক ইমামকে বলা হয়েছিল রাস্তার ধারে ধারে যে মূর্তি বানানো হচ্ছে সে সম্পর্কে মসজিদে জুমুআহ নামাজের দিনে কথা বলার জন্যে। উনি বললেন ,”মূর্তি বানানো হারাম তবে এই বিষয়ে কিছু বলা যাবে না কারণ পুলিশের ভয় আছে।”আমি বললাম , “তাবলীগ জামাত তো অনেক বিষয়ে দাওয়াত দেয়। যেই লোকই তাবলীগ করে ঘুরে আসে সে জাকির নায়েক কেন খারাপ বা ইসলাম কায়েম করতে কেন কোন জিহাদের দরকার নাই তা খুব ভালোই শিখে আসে। আজ পর্যন্ত কোন তাবলীগওয়ালা দেখলাম না যে কিনা জামাত-শিবির বা জিহাদি দলগুলোর সমালোচনা করে না। তাহলে তাবলীগের ভাইরা এই মূর্তি নির্মাণের ব্যাপারে প্রকাশ্যে কিছু বলছে না কেন? খারাপ কাজ দেখলে তা হাত দ্বারা প্রতিরোধ করতে হয়,তা না পারলে মুখ দিয়ে কথা বলতে হবে। তাও না পারলে অন্তরে সেটাকে ঘৃণা করতে হবে আর কিভাবে অবস্থার পরিবর্তন করা যায় সেই চিন্তা করতে হবে ,আর এটা হল দুর্বল ঈমানের লক্ষন।
আপনারা তাবলিগীরা তো ঈমানী জযবা তৈরি করছেন মুসলমানদের ভেতর। আপনাদের ঈমান আর ব্যবহার দেখেই নাকি দুনিয়ায় কাফেররা ইসলাম কবুল করে নিবে আর ইসলাম কায়েম হয়ে যাবে। তো আপনারা এত দুর্বল ঈমানগিরি দেখাচ্ছেন কেন? দিনের পর দিন তাবলীগ করে যদি আপনারা ঈমানের এই নিম্নতম স্তরে আটকে থাকেন তাহলে কবে আপনাদের ঈমান পূর্ণাঙ্গ হবে আর কবে ইসলাম কায়েম করতে পারবেন?”উনি আমার এহেন প্রশ্নে অত্যন্ত বিরক্ত হলেন। আর তার আশেপাশের সবাই আমাকে হরকত বা শিবির ধারণা করা শুরু করল।
এরপর মাননীয় মুফতি সাব পবিত্র ফাযায়েলে আমল এর কিছু কথা দ্বারা আমার দিলখুশ করার চেষ্টা চালালেন। এই হলো তাবলীগের কাল্পনিক ঈমানী জযবার স্বরুপ| আল্লাহর রাসূল আর তার সাহাবারা যেখানে ঈমানের কোন কমতি না থাকা সত্বেও শুধু দাওয়াত দিয়ে দ্বীন কায়েম করতে পারেন নাই ,সেখানে ফাযায়েলে আমলওয়ালারা ইসলাম কায়েম করবে। বাহ! বাহ!
ভালো তো , ভালো না? এদের কুযুক্তির শেষ নেই। উনারা নাকি ঈমান মজবুত করছেন। ঈমান মজবুত হইলেই উনারা ঈমান দিয়া যুদ্ধ করব, কোন অস্র লাগবো না! দারুণ কাহিণী|
আরেকজন বললো , এইযুগে জিহাদ-ক্বিতাল দিয়া কাম হইবো না।
আমাগো তো এটম বোম , সাবমেরিন নাই! আমি বললাম, “হযরত
ঈসা এসে তো আর তাবলিগ করবেন না। তিনি তো জিহাদ করবেন।”
উনারা বললেন ,”আরে মিয়া , হযরত ঈসা তো সাথে কইরা মুযিজা লইয়া আসবেন। তোমার আমার কাছে কি আল্লাহর মুজিযা আছে নাকি?”
আমি বললাম ,”কিন্তু উনি তো এসে যোগ দিবেন ইমাম মাহদির বাহিনীর
সাথে যারা বহু আগে থেকেই এমনকি ইমাম মাহদির আগমনের বহু
আগে থেকেই জিহাদ করে আসছিল। তাদের কাছে তো তখন মুজিযা ছিল
না.”এইবার আমাকে মুফতি সাহেব বললেন ,”তারা বেশী ঈমানওয়ালা মানুষ ,আমাদের ঈমান কম তাই আমরা জিহাদ করার উপযুক্ত নই।”
আমার তো মনে হয় এরা আর কোন দিনই জিহাদের উপযোগী ঈমানদার
হতে পারবে না।

sourse-comments= istima maidan