11]-fb.mess-best salaf

  • Sogood Islam Syeds

    #Believe #Hereafter
    Dr Zakir Naik
  • Wednesday
  • Sogood Islam Syeds
    7/13, 11:11pm

    Sogood Islam Syeds

    Please DO NOT ignore this. [Everybody must know] দ্বীনের ভিত্তি ও মূলনীতি হচ্ছে “একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করা এবং তাগুত বর্জন করা”। দ্বীনের ভিত্তি ও মূলনীতি ইছবাত (হ্যাঁ বোধক) ও নাফি(না বোধক) নীতির ওপর প্রতিষ্ঠিত। শাইখ আলী আল খুদাইর তাওহিদ প্রসঙ্গে বলেন, ইবাদতের ক্ষেত্রে আল্লাহর এককত্ব সাব্যস্তকরন দুটি জিনিষকে ওয়াজিব করেঃ ১. নাফি- সমস্ত ব্যাক্তি এবং বস্তুর ইবাদতকে অস্বীকার করা (লা ইলাহা – কোন কিছুরই ইবাদাত পাওয়ার যোগ্যতা নেই) ২. ইছবাত – আল্লাহর জন্য পরিপূর্ণভাবে তা (ইবাদতকে) সাব্যস্ত করা (ইল্লা আল্লাহ –আল্লাহ ব্যতিত) [আত তাওহিদ ওয়া তাতিম্মাত গ্রন্থে] ইমাম মুহাম্মাদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব (রাহি) বলেন, দ্বীনের মূলনীতি দুটি বিষয়ঃ প্রথমত, ক) একমাত্র আল্লাহর ইবাদতের নির্দেশ দেয়া যার কোন অংশীদার নেই। খ) এ বিষয়ে মানুষকে উৎসাহিত করা গ) এ নীতির ভিত্তিতেই বন্ধুত্ব স্থাপন করা। ঘ) এটির বর্জনকারীকে কাফির বলে আখ্যায়িত করা। দ্বিতীয়ত, ক) শিরককে পরিত্যাগ করা এবং আল্লাহর ইবাদতে শিরকের বিষয়ে ভয় প্রদর্শন করা। খ) এ ব্যাপারে কঠোরতা আরোপ করা। গ) এ নীতির ভিত্তিতে বৈরীতা স্থাপন করা। ঘ) যে ব্যক্তি শিরক করে তাকে কাফির বলে অ্যাখ্যায়িত করা। [আদ দুরার আসসানিয়াহ ২/২২]
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    7/13, 11:28pm

    Sogood Islam Syeds

    Khalida Parveen added 2 new photos.
    Am challenging you sadvi prachi come for a debate and defeat me .And take my head with you .But if you fail you must shut your mouth and sit in tapasya permanently…khalida parveen.
    Khalida Parveen
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 12:19am

    Sogood Islam Syeds

    জাকির নায়েক এর দুইটা প্রগ্রামে সরাসরি উপস্থিত ছিলাম । একটি ছিলো পশ্চিমবঙ্গের মালদা জেলায় আরেকটি ছিলো বিহারের কিসানগন্জে । এই কিসানগন্জের প্রগ্রামকে বন্ধ করার জন্যে অনেক চেষ্টা করা হয়েছিল সব চেষ্টা ব্যর্থ হলো তখন কি করলো জানেন ? একপাশে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হলো । কিন্তু রাখে আল্লাহ মারে কে ? সাথে সাথেই সরকারি সামরিক বাহিনী এসে পরিস্থিতি সামাল দেয় । আপনি কি মনে করেন এই কাজ অমুসলিমরা করেছিলো ? জী না এই ন্যাক্কারজনক কাজ করেছিল Saiful Islam Hafeza Juwairiyah Jannat এদের মত কিছু মুসলিম ভাইয়েরা যারা চায় না সঠিক কোরআন এবং সহীহ্ হাদীস এর আলোচনা হোক । সেই প্রগ্রামে অনেক অমুসলিম কালেমা পড়ে মুসলিম হয়েছিলো । সেদিন যদি সেই প্রগ্রামটা বন্ধ হত আর যে অমুসলিমরা মুসলিম হলো তারা একজনো যদি ইসলামের সুশীতল ছায়ায় আশ্রয় নেওয়া থেকে বঞ্চিত হত তাহলে সেটার জন্য দ্বায়ি হতো কে ? জাকির নায়েক কে বন্ধ করার অর্থ কি এই নয় ☞নিজে গু খেয়ে হলেও অন্যের ভাত খাওয়া বন্ধ করবে ? ☜ এই রমজান মাসে দিল্লিতে এক ভাইয়ের সংগে অনেক আলোচনা হলো যিনি ঐ কিসানগন্জের প্রগ্রামে ড’ জাকির নায়েক এর হাতেই ইসলাম গ্রহণ করেছেন । অবশেষে বলব ভন্ডামি ছাড়ুন , কোরআন সহীহ হাদীসের আলোকে জীবন গড়ুন ।
    Md Sanowar Hussain
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 12:22am

    Sogood Islam Syeds

    আল্লাহ, এদেরকে হেদায়েত দাও,,,, প্রচ্ছদ জাকির নায়েকের মাথার দাম ১৫ লাখ টাকা ঘোষণা করলো ভারতীয় শিয়া নেতা ! প্রকাশঃ ১৪-০৭-২০১৬, ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ আন্তর্জাতিক ডেস্ক – ভারতীয় ইসলাম প্রচারক ডা. জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে এবার ক্ষেপেছে দেশটির একটি শিয়া সংগঠন। তার মাথার দাম ১৫ লাখ টাকা বলে ঘোষণা করেছে তারা। মঙ্গলবার এই সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়, জাকির নায়েককে খুন করতে পারলেই ১৫ লক্ষ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে৷ ফেসবুক পোস্টে জাকির নায়েককে ‘খলনায়ক’ বলে সম্বোধন করেন এই শিয়া সংগঠনের সভাপতি সৈয়দ কালবে হুসেন নকভি৷ ফেসবুকে তিনি লেখেন, আল্লাহকে অবমাননা করেছেন জাকির নায়েক৷ জঙ্গিদের সঙ্গে যোগ রয়েছে তাঁর৷ জাকির নায়েককে খুন করতে পারলে পুরস্কৃত করা হবে৷ উল্লেখ্য, কারও মাথার দাম ঘোষণা করা ফৌজদারি অপরাধ৷ এর জন্য সর্বোচ্চ সাত বছর জেল হতে পারে৷ হুসেন নাকভি ফেসবুক পোস্টে এই হুমকি দিলেও তা অজানা পুলিশের কাছে। লখনউ রেঞ্জের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল অফ পুলিশ আর কে এস রাঠোর জানান, এরকম বিবৃতির কথা তাঁরা জানেন না৷
    Nahid Hasan Tutul
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 12:52am

    Sogood Islam Syeds

    ৪ চামড়া ব্যবসায়ীকে বিবস্ত্র করে অকথ্য অত্যাচার গুজরাটে গরুর গোশত ও চামড়ার চোরাকারবার চালানোর অভিযোগে চার যুবককে বিবস্ত্র করে গাড়ির সঙ্গে বেঁধে বেধড়ক পেটিয়েছে পাঁচ যুবক৷ নিজেদের ‘গো-রক্ষাকারী’ বলে দাবি করে ওই চার যুবককে নির্মমভাবে মারধর করে তারা৷ এই ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল ভিজিওয় ভাইরাল হওয়ার পরই ওই তিন যুবককে গ্রেফতার করেছে গুজরাট পুলিশ৷ ওই ভিডিওয় আক্রমণকারীদের বলে শোনা যায়, এরা সকলেই ট্যানারি-কর্মী৷ একটি গরু জবাই করে তার গোশত বিক্রি করার জন্য লুকিয়ে রেখেছে এই চার যুবক৷ গুজরাটের গির সোমনাথে ঘটনাটি ঘটে৷ ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরই পাঁচ অভিযুক্তের খোঁজ শুরু করে পুলিশ৷ অভিযুক্তদের মধ্যে তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ গত বছর বিজেপি-শাসিত বেশ কয়েকটি রাজ্যে গরুর গোশত নিষিদ্ধ করে সরকার৷ এর পরই ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অসহিষ্ণুতার অভিযোগ ওঠে৷ সেপ্টেম্বর মাসে গরুর গোশত খাওয়ার অভিযোগে পিটিয়ে মারা হয়েছিল উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা মোহাম্মদ আখলাক নামে এক বৃদ্ধকে৷ এই ঘটনা সারা ভারতে আলোড়ন ফেলে দেয়৷
    দৈনিক কলম – Daily Kalom
  • Thursday
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 5:15am

    Sogood Islam Syeds

    Mohsin Zaman added a new photo.
    জলসা ইস্তিরাহাহ এর পক্ষে মত দিয়েছেন, ইমাম শাফেয়ী রহ. ইমাম ইসহাক রহ. ইমাম আহমাদ রহ. (ওঁনার ৩ টি মতের একটি, খল্লাল এর মতানুসারে ইমাম আহমেদ রহ. এই মতটিই সব শেষে গ্রহণ করেছেন) ও আহলে হাদীসগণ।
    Mohsin Zaman
  • Thursday
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 9:36pm

    Sogood Islam Syeds

    —সুবহানআল্লাহ! যে আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপট দনিয়ার কোন ঘটনা নয়, বরং জান্নাতের একটি কথোপকথন. .. . আপনার কি জানতে ইচ্ছে হয় সে আয়াত ও সেই ঘটনা? বইঃ সহিহ হাদিসে কুদসি, অধ্যায়ঃ ১/ বিবিধ, হাদিস নম্বরঃ ৬৪ ﴿وَلَا تَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ قُتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمۡوَٰتَۢاۚ بَلۡ أَحۡيَآءٌ عِندَ رَبِّهِمۡ يُرۡزَقُونَ﴾ আয়াতের শানে নুযূল ৬৪. আব্দুল্লাহ ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “যখন তোমাদের ভাইয়েরা উহুদের যুদ্ধে শাহাদাত বরণ করেন, আল্লাহ তাদের রুহগুলো সবুজ পাখির পেটে রাখেন, তারা জান্নাতের নহরসমূহ বিচরণ করে, তার ফল ভক্ষণ করে এবং আরশের ছায়ার নিচে ঝুলন্ত স্বর্ণের প্রদীপে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে। যখন তারা নিজেদের সুস্বাদু খাদ্য-পানীয় এবং সুন্দর বিছানা গ্রহণ করল, বলল: আমাদের হয়ে আমাদের ভাইদেরকে কে পৌঁছাবে যে, আমরা জান্নাতে জীবিত, আমাদেরকে রিযক দেয়া হয়, যেন তারা জিহাদ থেকে পিছপা না হয় এবং যুদ্ধের সময় ভীরুতা প্রদর্শন না করে? আল্লাহ তা‘আলা বললেন: আমি তোমাদের হয়ে তাদেরকে পৌঁছে দেব”। তিনি বলেন: অতঃপর আল্লাহ তা‘আলা নাযিল করেন: ﴿وَلَا تَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ قُتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمۡوَٰتَۢاۚ﴾ إِلَى آخِرِ الْآيَةِ. “আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদেরকে তুমি মৃত মনে করো না[1]। আয়াতের শেষ পর্যন্ত। [আবূ দাউদ ও আহমদ] হাদিসটি হাসান। [1] সূরা আলে ইমরান: (১৬৯) হাদিসের মানঃ হাসান (Hasan)
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 9:47pm

    Sogood Islam Syeds

    Mohsin Zaman added a new photo.
    নিচের হাদীসটি জলসাহ ইসতিরাহাহ এর আরেকটি বড় প্রমাণঃ ———————————————————— আবূ হুমাইদ (রা:) সহ দশজন সাহাবা (রা:) যা সত্যায়িত করেছেন – মুহাম্মাদ ইবনে বাশ্‌শার এবং মুহাম্মাদ ইবনে রিবঈও ছিলেন যাঁদের মধ্যে উপস্থিত, সেই ধরনের দশজন সাহাবীর এক সমাবেশে আমি আবূ হুমায়দ আস-সায়িদীকে (রা:) বলতে শুনেছি: রাসূল (সা:) এর সালাত সম্পর্কে তোমাদের মধ্যে আমি অধিক অবহিত। উপস্থিত সাহাবীরা বললেন: আপনি তো ইসলামে আমাদের তুলনায় প্রবীণ নন এবং রাসূল (সা:) এর দরবারে আমাদের চেয়ে বেশি আসা-যাওয়াও করেন নি। আবূ হুমায়দ (রা:) বললেন: হ্যাঁ, আমি অধিক পরিজ্ঞাত। সাহাবীরা বললেন: আচ্ছা, আপনি আপনার বক্তব্য পেশ করুন। আবূ হুমায়দ (রা:) বললেন: রাসূল (সা:) যখন সালাতের উদ্দেশ্যে দাঁড়াতেন তখন সোজা হয়ে দাঁড়াতেন এবং কাঁধ বরাবার দুই হাত তুলতেন। পরে যখন রুকূতে যেতে চাইতেন তখন কাঁধ বরাবর তাঁর দুই হাত তুলতেন এবং “আল্লাহু আকবার” বলে রুকু করতেন। পিঠ স্থির ও সোজা করে রাখতেন, মাথা নিচে ঝুঁকিয়ে রাখতেন না এবং উপরে তুলেও রাখতেন না। রুকূতে দুই হাত রাখতেন দুই হাঁটুর উপর। পরে “সামিআল্লাহু লিমান হামিদা” বলে দুই হাত তুলতেন এবং এমনভাবে স্থির হয়ে দাঁড়াতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। এরপর সিজদার উদ্দেশ্যে ভুমিতে আনত হতেন এবং বলতেন, “আল্লাহু আকবার”। তাঁর দুই বাহু বগল থেকে সরিয়ে রাখতেন। পায়ের আঙ্গুলি (সামনের দিকে) ভাঁজ করে রাখতেন। পরে বাম পা ঘুরিয়ে তার উপর এমনভাবে স্থির হয়ে বসতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। পরে আবার সিজদার জন্য ঝুঁকতেন এবং “আল্লাহু আকবার” বলতেন। এরপর পা ঘুরিয়ে তার উপর এমনভাবে স্থির হয়ে বসতেন যে, প্রতিটি অঙ্গ স্ব স্ব স্থানে ফিরে আসত। (জলসা ইসতিরাহাহ)। এরপর উঠে দাাঁড়াতেন। পরে দ্বিতীয় রাকআতেও অনুরূপ আমল করতেন। দুই রাকআত শেষ করে যখন দাঁড়াতেন তখনও কাঁধ বরাবর দুই হাত তুলতেন সালাতের শুরুতে যেমন কাঁধ বরাবর দুই হাত তুলতেন। সব রাকআতে এভাবেই আমল করতেন। পরে যে রাকআতে সালাত শেষ হতো তাতে বাম পা’টি বের করে নিতব্বের উপর বসতেন। এরপর সালাম ফিরাতেন। তিরমিযী, হাদীস নং ৩০৪ (ইফা); আবূ দাউদ, হাদীস নং ৭৩০; ইবনে মাজাহ, হাদীস নং ১০৬১। হাদীসের মানঃ ইমাম তিরমিযী রা: বলেন হাদীসটি হাসান সহীহ। নাসিরুদ্দীন আলবানী হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। মুহাদ্দীস যুবাইর আলী যাই হাদীসটিকে সহীহ বলেছেন। শোয়াইব আরনাউত্ব বলেছেন হাদীসটির সনদ সহীহ। আহমাদ শাকীর রহ. হাদীসটির কোন সমালোচনা করেন নি। সৌদি ফাতাওয়া বোর্ড হাদীসটির সনদকে জাইয়্যিদ বলেছে।
    Mohsin Zaman
  • Sogood Islam Syeds
    7/14, 11:56pm

    Sogood Islam Syeds

    সালাতে কাতারের মাঝে ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়ানোর ফযিলতঃ _____________________________________ আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত; তিনি বলেন, রাসূল(ছাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি কাতারের মাঝে ফাঁক বন্ধ করে দাঁড়াবে, এর বিনিময়ে আল্লাহ তার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করে দিবেন এবং তার জন্য জান্নাতে একটি ঘড় নির্মাণ করবেন।” [ত্বাবারাণী,আল-মুজামুল আওসাত্ব হা/ ৫৭৯৫,মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ হা/৩৮২৮,সনদ ছহীহ,সিলসিলা ছহীহাহ হা/১৮৯২]
    আশরাফ খান
  • Friday
  • Sogood Islam Syeds
    7/15, 10:31am

    Sogood Islam Syeds

    পৃথিবীতে আপনি একজন লোক ও দেখাতে পারবেন না যে অন্য মুসলিম কে লা-মাজহাবী বলে অার নিজে মাজহাব শব্দের মানে বুঝে।
    Mugniur Rahman Tabriz
  • Friday
  • Sogood Islam Syeds
    7/15, 6:25pm

    Sogood Islam Syeds

    একখানা দস্তুরমত প্রেসক্রাইবড খুৎবা শুনলাম। পেটপুজারী জিন্দাবাদ! মিটিয়ে নাও মনের সাধ। এ্যানিওয়ে, সবার জন্য একটা ইনফরমেশন। যে আল্লাহর বিধান পরিবর্তনের জন্য তোমরা কুফফারদের গলায় কথা বলছ, সেই আল্লাহর একটি সৃষ্টির ব্যাপারে তোমাদের জানাতে চাই। আশাকরি, বুদ্ধিমানরা আল্লাহর নিদর্শন থেকে শিক্ষা নেবে। “এনজিসি-১৩০০, আমাদের প্লানেট আর্থ হতে ৭ কোটি আলোকবর্ষ দুরের একটি গ্যালাক্সি, যার ব্যাস এক লক্ষ আলোকবর্ষ।” অর্থাৎ, আপনি যদি আজ আলোর বেগে(সেকেন্ডে এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার মাইল) এখান থেকে যাত্রা শুরু করেন, সেই গ্যালাক্সিতে পৌছাতে আপনার সাত কোটি বছর লাগবে। আর সেটার এক প্রান্ত হতে আরেক প্রান্তে পৌছাতে অমন বেগে গেলে এক লক্ষ বছর লাগবে।” — মানুষের তৈরি(!) পোষাক, মানুষের তৈরি(?) গাড়ি ব্যবহার করতে পারলে, কেন মানুষের তৈরি আইন মানা যাবে না, সেই আল্লাহপাক অচিরেই এর উত্তর দেবেন, যিনি ফিরাউনকেও উত্তর দিয়েছিলেন। অপেক্ষা করুন, আল্লাহপাকও অপেক্ষা করছেন।
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    7/15, 8:20pm

    Sogood Islam Syeds

    বাংলাদেশ সরকারকে জাকির নাইকের চ্যালেঞ্জ . . অমিতাভ ভট্টশালী . বিবিসি বাংলা, কলকাতা . ১৫ জুলাই ২০১৬ . শেয়ার করুন  . . ইসলামী ধর্মপ্রচারক জাকির নাইক বলেছেন, তিনি কখনই কোন সন্ত্রাসী কাজে উৎসাহ দেন নি। . . . তিনি বলেছেন, জিহাদের নামে আত্মঘাতী হামলা চালিয়ে নিরপরাধ মানুষকে হত্যা করা ইসলামে দ্বিতীয় বড় পাপ।. . . “এটা ইসলামে নিষিদ্ধ, হারাম,” মন্তব্য জাকির নাইকের। . . বাংলাদেশ সরকারকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে তিনি বলেছেন, তার ভাষণের কোন অংশটা সেদেশে অশান্তি সৃষ্টি করতে পারে বলে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, সেই পুরো অনুষ্ঠানটা দেখানো হোক। . . ভারতীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌদি আরবের মদিনা থেকে স্কাইপের মাধ্যমে জাকির নাইক এক সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দিয়েছেন।. . . মি. নাইক ওই সংবাদ সম্মেলনে বারে বারেই বলতে থাকেন যে তিনি তার কোনও ভাষণেই সন্ত্রাসের পক্ষে কথা বলেন নি। . . . অনেক ক্ষেত্রে ‘ডক্টরড টেপ’ অর্থাৎ কাটছাঁট করা ভিডিও দেখেই তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদে মদত দেওয়ার অভিযোগ করছে সংবাদ মাধ্যম, এমনটাই মত জাকির নাইকের। . . . তিনি বলেন, “সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরছে এরকম ছোট ছোট কিছু ভিডিও ক্লিপ দেখেই এধরনের অভিযোগ করা হচ্ছে। কয়েকটা ভিডিও ক্লিপে আবার আমার ভাষণের একটা দুটো বাক্য অপ্রাসঙ্গিক ভাবে তুলে নিয়ে প্রচার করা হচ্ছে।” . . . “আমি চ্যালেঞ্জ করে বলছি, পিস টিভিতে দেওয়া আমার পুরো ভাষণগুলো কেউ দেখাক। তারপরে বলুক যে কোন অংশটা ভারত বা বাংলাদেশের জন্য অশান্তি তৈরি করতে পারে?” প্রশ্ন জাকির নাইকের।. . . তথাকথিত ইসলামিক স্টেটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি ভারতে আটক এক যুবকের বাবা অভিযোগ করেছেন যে তার ছেলে জাকির নাইকের সঙ্গে ব্যক্তিগতভাবে দেখা করেছিল। . . . এছাড়াও আই এসের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ভারতে আরও কয়েকজনের পরিবার অভিযোগ করেছে যে তারা জাকির নাইকের বক্তব্য দেখেই সন্ত্রাসী কার্যকলাপে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। . . . এই প্রসঙ্গে মি. নাইক বলেন যে তিনি প্রতি মাসে কয়েক হাজার মানুষের সঙ্গে দেখা করেন। তারা তার সঙ্গে ছবিও তোলেন। কিন্তু তাদের মধ্যে মাত্র হাতে গোনা কয়েকজনকেই হয়তো তিনি ব্যক্তিগত ভাবে চেনেন। . . . “জ্ঞাতসারে আমি কোন সন্ত্রাসবাদীর সঙ্গে দেখা করি নি। কিন্তু হাজার হাজার মানুষের মধ্যে যদি এমন ব্যক্তি কেউ থেকে থাকেন যিনি সন্ত্রাসবাদী, তাহলে তো সেটা আমার পক্ষে বোঝা সম্ভব নয়!” . . . ভারতে তার পিস টি ভি চ্যানেলটি দেখানোর অনুমতি কেন দেয় নি সরকার, সেই প্রসঙ্গও তোলেন জাকির নাইক। . . . “কেন অনুমতি দেওয়া হয় নি, তার একটা কারণ আমি আন্দাজ করতে পারি – পিস টি ভি একটা মুসলিম চ্যানেল, এটা ইসলামি চ্যানেল। সেজন্যই অনুমতি দেয় নি ভারত সরকার,” বলছিলেন জাকির নাইক। . . . মুম্বাই পুলিশ জাকির নাইকের বিরুদ্ধে যে তদন্ত চালাচ্ছে, তিনি সেই তদন্তের মুখোমুখি হতেও রাজী। . . . তবে ওই তদন্তের কথা তিনি শুধু সংবাদমাধ্যমেই জেনেছেন। সরকারি পর্যায়ে কেউ তার সঙ্গে এখনও যোগাযোগ করে নি বলে তিনি জানিয়েছেন। . . https://http-www-bbc-com.0.freebasics.com/ bengali?iorg_service_id_internal=8857938314970 00%3BAfpYZuLhlQg48MTU
    Tazul Islam Shaheb
  • Saturday
  • Sogood Islam Syeds
    7/16, 12:50am

    Sogood Islam Syeds

    #দোআঃ উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমলের দো’আঃ اللَّهُمَّ إِنِّي أَسْأَلُكَ عِلْماً نَافِعاً، وَرِزْقاً طَيِّباً، وَعَمَلاً مُتَقَبَّلاً #উচ্চারণঃ আল্লা-হুম্মা ইন্নি আসআলুকা ইলমান নাফে‘আন ওয়া রিয্‌কান তাইয়্যেবান ওয়া ‘আমালান মুতাক্বাব্বালান। #অর্থঃ হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট উপকারী জ্ঞান, পবিত্র রিযিক এবং কবুলযোগ্য আমল প্রার্থনা করি। [হাদীসটি সংকলন করেছেন, ইবনুস সুন্নী, নং ৫৪; ইবন মাজাহ, নং ৯২৫। নাসাঈ, তাঁর আমালুল ইয়াওমি ওয়াল্লাইলাহ গ্রন্থে, হাদীস নং ১০২। মাজমাউয যাওয়াইদ, ১০/১১১। আর আব্দুল কাদের ও শু‘আইব আল-আরনাঊত যাদুল মা‘আদের সম্পাদনায় ২/৩৭৫; এর সনদকে হাসান বলেছেন। আর পূর্ব ৭৩ নং এ ও তা গত হয়েছে]
    আশরাফ খান
  • Saturday
  • Sogood Islam Syeds
    7/16, 10:35am

    Sogood Islam Syeds

    M Towfiqur Rahman added a new photo.
    আমাদের হুজুরদের জন্য অনুসরণীয়। , , আমাদের দেশে অনেক ইমামকে জুম্মার খুতবা মুখস্ত দিতে দেখা যায়। কতটা ভাল আরবী জানেন, অনেকে তা দেখাবার কিংবা হাতে কিছু নিয়ে খুতবা দেয়াতে লোকজন কি ভাববে, সে আশংকা থেকেই কিনা জানিনা, মুখস্ত খুতবা দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। কিন্তু এ কাজ করতে গিয়ে জুম্মার মত একটি অনুষ্ঠানকে তারা যে নিজের অজান্তে কোন গুরুত্ব দিচ্ছে না, সেটি অনেকবার প্রমাণিত হয়েছে। আমি জনৈক ইমামকে অনেকবারই মুখস্ত খুতবাতে এলোমেলো হতে দেখেছি। শেষে তালগোল পাকিয়ে আগার লাইন গোড়ায়, মাঝে পথটা খোড়ায়-কিসিমে খুতবা শেষ করতে হয়েছে। অথচ আরবেই এ খুতবা লিখিতভাবে কাবাতেই উপস্থাপন করার নজীর দেখা যায়। ব্যাখ্যা যাই থাকুক না কেন, আমাদের ইমামগণকেও এ পথ অনুসরণের আহবান জানাই। তাতে কিছু পড়া শুনার প্রয়োজন পড়বে। বই পুস্তকের উপর নির্ভরতা বাড়বে। রেফারেন্স দিতে বললে, ক্ষেপে যাবার হারও কমবে। বক্তব্য লিখিত হওয়ায়, লোকজনকেও বিতরণ করার সুযোগ থাকবে। যেমনটি চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা শাহী জামে মসজিদে করতে দেখা যায়। আল্লাহ আমাদের ইমামদের আরো সাবধানী আর দ্বীনমুখী হবার তওফিক দান করুন। মুসুল্লীদেরও আরো দ্বীনি বিষয়ে জ্ঞান চর্চ্চার তওফিক দিন।
    M Towfiqur Rahman
  • Saturday
  • Sogood Islam Syeds
    7/16, 11:01pm

    Sogood Islam Syeds

    জাকির নায়েকের পিস টিভি নিয়ে ইমা সাকিবের বক্তব্যে সোসাল মিডিয়ায় তোলপাড় (ভিডিও)— http://ebdupdate24.com/?p=3337

    জাকির নায়েকের পিস টিভি নিয়ে ইমা সাকিবের বক্তব্যে সোসাল মিডিয়ায় তোলপাড় (ভিডিও) – Evergreen Bangladesh
    ইমা সাকিবের বক্তব্য জাকির নায়েকের পিস টিভি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোড়নের ঝড় উঠেছে… Related Comments comments
    ebdupdate24.com
  • Sogood Islam Syeds
    12:28am

    Sogood Islam Syeds

    তাওহিদের একটি অন্যতম শর্ত হল, ভালবাসা। অর্থাৎ, আল্লাহপাকের একক সার্বভৌমত্বের বিষয়টিকে আপনার ভালবেসে গ্রহন করতে হবে। দ্বীন ইসলামের সকল বিষয়ের প্রতি আপনার ভাললাগা কাজ করতে হবে, করতেই হবে। কারন, এটি শর্ত। আর শর্ত না পাওয়া গেলে সেটি পরিত্যাজ্য – এটা সবাই জানে। আমি যদি নামাজ রোজা যাকাত ফিতরা ইত্যাদি রুসম রেওয়াজ পালন করি, কিন্তু ইসলাম নামক পরিপুর্ণ জীবনব্যবস্থাটির বিভিন্ন বাঁকে বাঁকে আমার নানান রকম অসন্তোষ আর অসিহষ্ণুতা কাজ করে, যেমন, এটা কি সম্ভব(?), এটা ম্যান্ডেটরি কেন(?), এই যুগে এসব প্রথা হাস্যকর(!), বর্বর(!), আচ্ছা কুরআন হাদিসে আছে থাক, না মানলেই হল, না জানলেই হল, ওসব হুজুররা বলে, ওদের কাজই ওটা(!), দুনিয়াতে চলতে গেলে কি আর ওসব ধরা যায়??? ইত্যাদি ইত্যাদি – তাহলে ইসলাম থেকে বের করে দেয়ার জন্য এসব মানসিকতাই যথেষ্ট। সুরা মুহাম্মদে আল্লাহপাক বলেন, ‘তা এজন্য যে, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তারা তা অপছন্দ করে। অতএব তিনি তাদের আমলসমূহ বিনষ্ট করে দিয়েছেন। Al-Quran (47:9)। ইসলাম বিধ্বংসী মানসিকতাগুলোর মধ্যে অন্যতম আরেকটি বিষয় হল, হক্কানী দাঈদেরকে অপছন্দ করা। তাদের হক্বের দিকে আহবানে সাড়া না দিয়ে উল্টা তাদের বিভিন্ন দোষত্রুটি বের করে তাদের নামে কুৎসা রটানো, তাদের চরিত্রে কালিমা লেপনের চেষ্টা করা। ইসলামের ইতিহাসে যত কাফির মুনাফিকের গল্প পাওয়া যায়, প্রতিটি নবীর আমলে, তাদের মনোনিত সাহাবাদের আমলে – তাদের সকলের চরিত্র ছিল এটা। যেকোন দাঈর কাজকে আপনার অপছন্দ হওয়ার জন্য আপনার কাছে অবশ্যই Valid Standpoint থাকতে হবে with supporting documents in favor of your claim. কুরআন হাদিসের কোন দলিল ছাড়া স্রেফ হিংসা বিদ্বেষ আর জিঘাংসার বশবর্তী হয়ে ইসলামের দিকে আহ্বানকারীর প্রতি আপনার ঘৃনা, অসিহষ্ণুতা প্রদর্শনের অর্থ দাঈর প্রতি নয়, বরং আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের প্রতিই অসিহষ্ণুতা। মুনাফিকদের এই সিমিলার পয়েন্ট অব ভিউ দেখে আল্লাহপাক বলেছিলেন, ‘আমি অবশ্যই জানি যে, তারা যা বলে তা তোমাকে দুঃখ দেয়। কিন্তু তারা তো তোমাকে অস্বীকার করে না, বরং যালিমরা আল্লাহর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করে।’ সুরা আনআম (6:33) সেসব কাফির মুনাফিকরা শুধুমাত্র অপছন্দ করেই ক্ষান্ত ছিল না, বরং তারা আল্লাহর রাস্তায় বাধা প্রদান করার জন্য তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিল। তাদের মেধা, অর্থ, শ্রম এমনকি জীবন পর্যন্ত তারা এসব হক্কানী দাঈদের রাস্তায় কাটা বিছানোর কাজে ব্যবহার করত। বর্তমানেও অনুরুপ নিকৃষ্ট প্রানী আমাদের চারপাশে দৃষ্টিগোচর হয়, যাদের দেহগুলো তো দেখতে মানুষের মতই, কিন্তু ইসলাম ও তার অনুসারীদের প্রতি তাদের পাহাড়সম জিঘাংসা তাদেরকে হায়েনার পর্যায়ে নামিয়ে দিয়েছে। আল্লাহর পথে বাধা প্রদান এবং তাতে বক্রতা অনুসন্ধান ও দ্বীনের বিভিন্ন বিষয়গুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করে জনমনে ইসলাম সম্পর্কে ভীতি ও অনাগ্রহ তৈরিতে যারা অগ্রনী ভুমিকা পালন করছে, তারা নিঃসন্দেহে কাফির। বরং, যুদ্ধরত কাফিরের সমপর্যায়ভুক্ত; এরা যতই তারা নামাজ পড়ুক, রোজা রাখুক, বোরখা পড়ুক, মাথায় পট্টি বাধুক, হজ্ব ওমরা করুক আর মাঠভর্তি ইফতার করাক। আল্লাহপাক তাদেরকে স্পষ্টরুপে কাফির বলেছেন। সুরা আরাফে আল্লাহপাক বলেন, ‘‘যারা আল্লাহর পথে বাধা প্রদান করত এবং তাতে বক্রতা সন্ধান করত এবং তারা ছিল আখিরাতকে অস্বীকারকারী’।’ সুরা আরাফ (7:45) ঈমান না থাকলে কোন ইবাদাত কবুল হয় না, এটা সবাই জানে। কিন্তু, কাফির মুনাফিকদের ব্যাপারটা হল, তারা এগুলোকে থোড়াই কেয়ার করে। সমস্যা তাদের ভেতরে নয়, সমস্যা হল আমাদের মধ্যে যারা তাদেরকে মুসলিম প্রমান করার জন্য ব্যতিব্যস্ত থাকে, তাদেরকে নিরপরাধ প্রমান করার চেষ্টা করে। এদের জেনে রাখা উচিৎ, কাফিরকে কাফির না ভাবা, কাফিরদের স্পষ্ট কুফরীতে সন্দেহ পোষণ করা আরেকটি ঈমান বিধ্বংসী বিষয়। আল্লাহপাক আমাদেরকে ঈমানের বিষয়গুলো সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করে কাফির ও মুসলিমের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয় করার তৌফিক দান করুন।
    Rowshon Kabir
  • Today
  • Sogood Islam Syeds
    5:12am

    Sogood Islam Syeds

    Mohammad Abu Hanif added 5 new photos.
    আল্লাহ সহিহ আলেমদের কে হেফাজত করুন। আমিন
    Mohammad Abu Hanif
  • Today
  • Sogood Islam Syeds
    7:11pm

    Sogood Islam Syeds

    আপনি কাকে অনুসরণ ও অনুকরণ করবেন? পড়ুন নিম্নের হাদিস । আহমদ ইবন হাম্বল (রহঃ) ……… হাজার ইবন হাজার (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ একদা আমরা ইরবায ইবন সারিয়া (রাঃ) এর নিকট গমন করি, যার শানে এ আয়াত নাযিল হয়ঃ তাদের জন্য কোন অসুবিধা নেই, যারা আপনার নিকট এ জন্য আসে যে, আপনি তাদের জন্য বাহ নের ব্যবস্থা করবেন। আপনি বলেনঃ আমি তো তোমাদের জন্য কোন বাহন পাই না। রাবী বলেনঃ আমরা তাঁর কাছে উপস্থিত হয়ে তাঁকে সালাম করি এবং বলিঃ আমরা আপনাকে দেখার জন্য, আপনার খিদ্‌মতের জন্য এবং আপনার কাছ থেকে কিছু সংগ্রহের জন্য এসেছি। তখন তিনি বলেনঃ একদা রাসূলুল্লাহ (সাঃ) আমাদের সঙ্গে সালাত আদায়ের পর, আমাদের দিকে ফিরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দেন, যাতে আমাদের চোখ অশ্রু ভারাক্রান্ত হয় এবং অন্তর ভীত -সন্ত্রস্থ হয়। আমাদের মধ্যে একজন বলেনঃ ইয়া রাসূলাল্লাহ ! মনে হচ্ছে এ আপনার বিদায়ী ভাষণ, কাজেই আপনি আমাদের আরো কিছু অছীয়ত করুন। তখন তিনি (সাঃ) বলেনঃ আমি তোমাদের তাকওয়া অবলম্বনের জন্য বলছি এবং শোনা ও মানার জন্যও, যদিও তোমাদের আমীর হাবশী গোলাম হয়। কেননা, তোমাদের মাঝে যারা আমার পরে জীবিত থাকবে, তারা বহু মতভেদ দেখতে পাবে। এমতাবস্থায় তোমাদের উচিত হবে আমার ও আমার খুলাফায়ে-রাশেদার সুন্নাতের অনুসরণ করা, যারা সত্য ও ন্যায়ের অনুসারী। তোমরা তাদের দৃঢ়ভাবে অনুসরণ করবে। তোমরা বিদ’আতের অনুসরণ ও অনুকরণ করা হতে দূরে থাকবে। কেননা, প্রত্যেক নতুন কথাই বিদ’আত এবং প্রত্যেক বিদ’আতই গুমরাহী। হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) হাদিসঃআবু দাউদ হাদিস নম্বরঃ ৪৫৫২
    Rezuwanur Rahman Mohammadi
  • Today
  • Sogood Islam Syeds
    1:18am

    Sogood Islam Syeds

    কুরআন ও হাদীস অনুসারে মুসলিমদের মাযহাব একটাইঃ @@@@@@@@@@@@@@ মুসলিম জাতির মত বা পথ একটিই। সেটা হল সহজ সরল সোজা পথ। যে পথ সম্পর্কে বলতে যেয়ে একদিন রাসূল (সঃ) একটা সরল রেখা আঁকলেন এবং তার ডান দিকে দুটি এবং বাম দিকে দুটি রেখা আঁকলেন। অতঃপর তিনি তাঁর হাতকে মধ্য রেখায় রেখে বললেনঃ “এটাই আমার পথ। এটাই আমার সোজা পথ, তোমরা এই পথেরই অনুসরণ কর এবং অন্য পথ সমূহের অনুসরণ করো না। যদি কর তবে তা আল্লাহর সোজা পথ হতে তোমাদেরকে বিভ্রান্ত করে দিবে।” {ইব্‌ন মাজাহ/১১} মুসলিম জাতির মাযহাব একটিই তা হলো ইসলাম / যারা একমাত্র মাযহাব ইসলামকে ভেঙ্গে চৌচির করেছে তারা ধৃষ্টতার পরিচয়ই দিয়েছে। কারণ তাদের আল্লাহর রাসূলের (সঃ) সাথে কোন সম্পর্ক নেই। তাদের দায় দায়িত্ব আল্লাহর নিকট। আল্লাহ তায়ালা বলেন: “যারা নিজেদের দ্বীনকে টুকরো টুকরো করে নিজেরাই নানা দল-উপদলে বিভক্ত হয়ে গেছে, তাদের কোনো দায়িত্বই তোমার ওপর নেই; তাদের (ফয়সালার) ব্যাপারটা আল্লাহ তায়ালার হাতে, (যেদিন তারা তাঁর কাছে ফিরে যাবে) তখন তিনি তাদের বিস্তারিত বলবেন, তারা কে কি করছিলো।” {সূরা আল আনয়াম, আয়াত ১৫৯} আল্লাহ তায়ালা আরো বলেন: “ওয়া মাইয়্যাবতাগি গাইরাল ইসলামি দিনান ফালাইয়্যুকবালা মিনহু ওয়াহুয়া ফিল আখিরাতি মিনাল খাছিরিন।” “যদি কেউ ইসলাম ছাড়া (নিজের জন্যে) অন্য কোনো জীবন বিধান অনুসন্ধান করে তবে তার কাছ থেকে সে (উদ্ভাবিত) ব্যবস্থা কখনো গ্রহণ করা হবে না, পরকালে সে চরম ব্যর্থ হবে।” {সূরা আল-ই-ইমরান, আয়াত ৮৫} আল্লাহ এবং তাঁর রাসূল (সঃ) মানুষের কল্যাণে ইসলামের বিধি-বিধান (ইসলামী শরীয়ত) জারি করেছেন। আল্লাহ তায়ালা এই শরীয়তের পূর্ণতার ঘোষণা করে বলেনঃ “আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম, আর তোমাদের ওপর আমার (প্রতিশ্রুত) নেয়ামতও আমি পূর্ণ করে দিলাম, তোমাদের জন্যে জীবন বিধান হিসাবে আমি ইসলামকেই মনোনীত করলাম” {সূরা আল মায়িদা, আয়াত ৩} ইন্তেকালের পূর্বে ঐতিহাসিক বিদায় হজ্জ্বের ভাষণে রাসূল (সঃ) তাঁর সাহাবাগণকে তথা সমগ্র জগতকে সম্বোধন করে বলে গিয়েছেন, “আমি তোমাদের নিকট দুটি মহান বস্তু রেখে গেলাম। যতদিন তোমরা ঐ দুটিকে মজবুত করে ধরে থাকবে ততদিন গুমরাহ হবে না আর তা হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও আমার সুন্নাত।”
    ইসলামের দাওয়াত

10]-fb.mess-best salaf

 

  • June 23
  • Sogood Islam Syeds
    6/23, 4:38am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/23, 5:09am

    Sogood Islam Syeds

    বিদআত বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম কেউ যদি ইসলাম নিয়ে পড়াশোনা করে বাংলাদেশের প্রধান পালিত ধর্মের সাথে মিলিয়ে দেখে তাহলে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যাবে – বুঝতেই পারবেনা যে বাংলাদেশের মানুষ আসলে মানে কী। আর যদি কারো ইসলামের বাংলাদেশ ভার্সন মানতে মানতে আসল ইসলামের সাথে পরিচয় হয় তখন কূল রাখাই দায় হয়ে যায়, মানবো কোনটা? বাপ-দাদার সামাজিক ইসলাম নাকি আল্লাহর ইসলাম? রবীন্দ্রনাথ বলেছিল বাঙালি নাকি ধর্মের খাঁচা নিয়ে উদ্বাহু নৃত্য করে; পাখিটা যে উড়ে গেছে তার কোন খেয়াল রাখেনা। কিন্তু সত্যটা হল আমাদের হাতে যে ভাঙাচোরা খাঁচাটি আছে তা আসলে পাখির খাঁচাই না। ইসলামের বুননটি এমনি যে খাঁচা ঠিক থাকলে পাখি তাতে থাকতে বাধ্য। যারা পাখির খোঁজে দেশ-বিদেশের তাত্বিকদের কাছে ধর্ণা দিচ্ছেন তারা ইসলাম চেনেননি। আচ্ছা ইসলাম কি কোন ধর্ম? আদতে ইসলাম কিন্তু শুধু ধর্ম নয়, কোন ‘বাদ’ বা ‘ইজ্‌ম’ নয়, কোন আদর্শ বা আইডিওলজির নাম নয়। বরং এটি একটি ‘দ্বীন’ বা জীবনব্যবস্থা যার মূল ভিত্তি তাওহিদ। একজন মানুষ যখন তার বিবেক-বুদ্ধি ব্যবহার করে আল্লাহকে তার ‘রব্ব’- সৃষ্টিকর্তা, প্রতিপালক এবং প্রভু হিসেবে চিনতে পারে তখন সে নিঃশর্তভাবে আল্লাহকে একমাত্র ‘ইলাহ্‌’-উপাস্য হিসেবে মেনে নেয়। তখন সে আল্লাহর আদেশ এবং নিষেধ এ দুইয়ের কাছেই করে আত্মসমর্পণ। আর এই আত্মসমর্পণকেই বলা হয় ইসলাম। একজন মুসলিম প্রতিদিন যে কাজই করে তাকে দু’ভাগে ভাগ করা যায় – ১. মু’আমালাত বা জীবন যাপনের সাথে সম্পর্কযুক্ত কাজ- যেমন উপার্জন করা, ঘুমানো, বাজারে যাওয়া, বিনোদন ইত্যাদি। ২. ইবাদাত বা আল্লাহর দাসত্বের সাথে সম্পর্কযুক্ত কাজ- যেমন নামাজ, যাকাত, রোজা, হাজ্ব, কুরবানি, বিচার করা ইত্যাদি। মু’আমালাতের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে নিষেধ আর ইবাদাতের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে আদেশ। এই মূলনীতি এসেছে কুর’আনের এই আয়াতে – “রাসূল তোমাদের যা দেন তা গ্রহণ কর, আর যা থেকে সে তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে বিরত হও” [সূরা হাশর: ৭] মু’আমালাতের ব্যাপারে মূলনীতি হল যা নিষেধ করা হয়েছে তা ছাড়া বাকি সবই করা যাবে। উপার্জন করার ব্যাপারটা ধরা যাক। এ ক্ষেত্রে আল্লাহ তার রসুল (সাঃ) এর মাধ্যমে কিছু জিনিস সুস্পষ্টভাবে হারাম বা নিষিদ্ধ করে দিয়েছেন। এই নিষিদ্ধ জিনিসগুলোর সংশ্লিষ্টতা না থাকা সবকিছুই হালাল বা অনুমোদিত। যেমন সিগারেট ইসলামে হারাম। এখন একজন মুসলিম চাষীর জন্য তামাক গাছ চাষ করা নিষিদ্ধ। একজন মুসলিম ব্যবসায়ীর জন্য সিগারেটের ব্যবসা নিষিদ্ধ। একজন মুসলিম বিজনেস গ্রাজুয়েটের জন্য ব্রিটিশ আমেরিকান টোবাকোতে চাকরি করা নিষিদ্ধ। একজন মানুষ যখন নিজেকে মুসলিম বলে দাবী করবে তার কর্তব্য হবে ইসলামে হারাম যে কোন জিনিস থেকে নিজের উপার্জনকে মুক্ত রাখা। যারা তর্ক শুরু করে ‘ইসলাম ১৪০০ বছর আগের ধর্ম’ – কথাটা বলে তারা বোঝেইনি ইসলাম কী। ১৪০০ বছর আগের কথা বাদ দেই – ৫০ বছর আগেও সিডি বলে কিছু ছিলনা, আজ আছে। এর ব্যবসা করা যাবে কি? ইসলামের মূলনীতি বলে – পর্ন, মিউজিক, পাইরেটেড সফটওয়ার সহ আর যা হারাম আছে সেগুলো বাদ দিয়ে সিডির ব্যবসাতে সমস্যা নেই। অথচ হবু-সেকুলার ডিজিটাল বাংলাদেশের আইটি নীতিমালাই এখনো চুড়ান্ত হয়নি! বিজ্ঞানের বদৌলতে মানুষের দৈনন্দিন জীবনে বহু কিছু নতুন আসবে। সে ক্ষেত্রে আমরা হারামের নীতিমালা মেনে, সেগুলো বাদ দিয়ে বাকি সবকিছু গ্রহণ করতে পারবো। রসুল(সাঃ) এর যুগে চড়ত উটে, ভাসতো জাহাজে। এখন মানুষ প্লেনে চলে, গাড়িতে চড়ে। এতে কোন সমস্যা নেই কারণ আকাশে উড়া যাবেনা বা বা দ্রুত চলা যাবেনা এমন কোন নিষেধ আমরা কুর’আন এবং সহিহ সুন্নাহ থেকে পাইনা। বর্তমান সভ্যতার যে সুবিধাগুলো আমাদের জীবনে ভোগ করছি তা আল্লাহর দেয়া অনুগ্রহ এবং পরিমিতভাবে তার সুব্যবহারে কোন নিষেধ নেই। এবার ইবাদাতের ব্যাপারে আসা যাক। ইবাদাতের ব্যাপারে মূলনীতি হল যা করতে আদেশ করা হয়েছে তা ছাড়া বাকি সব কিছুই নিষিদ্ধ। কোন ইবাদাত যতই ভাল লাগুক না কেন তার পক্ষে যদি কুর’আন এবং সহিহ হাদিস থেকে কোন প্রমাণ না পাওয়া যায় তবে সেটা করা নিষিদ্ধ। কেউ যদি এমন কোন কাজ করে তবে সেটা হবে ‘বিদআত’। ইসলামি পরিভাষায় বিদআত হল আল্লাহ‌র দ্বীনের মধ্যে নতুন করে যার প্রচলন করা হয়েছে এবং এর পক্ষে শরীয়তের কোন সাধারণ কিংবা সুনির্দিষ্ট দলীল নেই। দলীল বলতে আল কুর’আন এবং সহিহ হাদিস বুঝায়। যঈফ বা দুর্বল হাদিস যেহেতু নিশ্চিতভাবে রসুলের(সাঃ) থেকে এসেছে তা প্রমাণ করা যায়না সেহেতু তা দিয়ে কোন বিধানও জারি করা যায়না। বিদআত পাপের তালিকায় অনেক বড় পাপ, শিরকের পরেই এর স্থান। এর কারণ বিদআত করা মানে আল্লাহকে খুশি করতে এমন কিছু করা যা রসুলুল্লাহ (সাঃ) করেননি অথবা করতে বলেননি। আমি যখন বিদআত করি সেটার দু’টো মানে দাড়ায় – ১. মুহাম্মদ(সাঃ) রসুল হিসেবে তাঁর দায়িত্ব ঠিক মত পালন করে যাননি। আমি যে কাজটি (বিদআত) করছি সেটা একটা ভালো কাজ অথচ এই ভালো কাজটির কথা আমাকে রসুল (সাঃ) বলে যাননি। ২. আমি রসুলুল্লাহ(সাঃ) এর চাইতে বেশি ভালো মানুষ, কারণ আমি আল্লাহর সান্নিধ্য পেতে এমন সব ‘ভালো’ কাজ করছি যা তিনি করেননি। – এদু’টিই আমরা যে কালিমা পড়ে মুসলিম হই তার বিরুদ্ধে যায়। কারণ ‘মুহাম্মদুর রসুলুল্লাহ’ কথাটি বলার মাধ্যমে আমরা এই সাক্ষ্য দেই যে – আল্লাহ মানুষ জাতির মধ্যে সবচেয়ে ভাল মানুষটিকে বেছে নিয়ে তাকে শেষ রসুল করে আমাদের কাছে পাঠিয়েছেন। আর তিনি আল্লাহর কাছ থেকে যা কিছু এসেছে তার সবকিছু মানুষের কাছে পৌছে দিয়ে তাঁর দায়িত্ব চমৎকারভাবে পালন করেছেন। শুধু তাই নয় বিদআত কুর’আনের আয়াতের বিরোধীতা পর্যন্ত করে। আল্লাহ বিদায় হাজ্বের দিন নাযিল করেছিলেন – “আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের ওপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে” [সুরা মায়িদা:৩] এর মানে আল্লাহ তার রসুলের জীবদ্দশাতেই কি করতে হবে আর কি করা যাবেনা তা স্পষ্ট করে দিয়েছেন। যখন কেউ বিদআত করছে সে আল্লাহর পূর্ণ করে দেয়া দ্বীনে কিছু যোগ করছে বা বদলে দিচ্ছে। খোদার উপর খোদ্গারির নিকৃষ্টতম উদাহরণ এটি। পূর্ণ মানে পূর্ণ; এতে যোগ-বিয়োগ বা পরিবর্তন করার কোন সুযোগ নেই। ইমাম শাতেবী বিদাতির ১৭টা ভয়াবহ পরিণাম উল্লেখ করেছেন। এর মধ্যে প্রথমটি হলো যে বিদাতির ফরয বা নফল কোন ইবাদাতই কবুল হয়না১ যতক্ষণ পর্যন্ত সে তাওবা করে ঐ বিদআত না ছেড়ে দিচ্ছে! এত কষ্ট করে নামায, যাকাত, হাজ্ব, রোযা সবই আল্লাহর কাছে অগ্রহণযোগ্য হবে কারণ সে বিদাতে লিপ্ত আছে। শুধু তাইনা বিদআত করার কারণে তার উপর আল্লাহ সকল ফেরেশতা এবং মানুষের অভিশাপ নেমে আসে।১ সাধারণ একজন মানুষ একটা পাপ করে অনুতপ্ত হয়, তার খারাপ লাগে, সে আল্লাহর কাছে মাফ চায়। কিন্তু যে বিদআত করছে সে ভাবে সে ভালো কাজ করছে আর তাই তার খারাপও লাগেনা আর সে কখনো ক্ষমাও চায়না। শুধু তাইনা, একজন বিদাতি তার কাজের সাথে একমত না হওয়ায় সুন্নাতের অনুসরণকারীদের ঘৃণা করে। আমরা যে আজ এত ভাগে বিভক্ত তার মূল কারণ সুন্নাত ছেড়ে দেয়া আর বিদআতে জড়িয়ে পড়া। বিদআত সুন্নাতের শত্রু। এক গ্লাস ভর্তি পানির মধ্যে যদি কোন জিনিস ফেলা হয় তখন সেই জিনিসটাকে জায়গা করে দিতে গিয়ে কিছুটা পানি পড়ে যায়। ঠিক তেমন কোন বিদআত যখন চালু হয় তখন সেখানকার সুন্নাত সরে যায়। যেমন আমাদের দেশে ফরজ নামাযের পর হাত তুলে গণ মুনাজাত করা হয়। এর ফলে আল্লাহর রসুল(সাঃ) সালাম ফেরানোর পর যে দু’আগুলো পড়তেন সেগুলো পড়ার আর সুযোগ থাকেনা। কারণ জনগণ তখন ইমামের নাকিকান্নার সাথে আমিন আমিন বলতে ব্যস্ত থাকে। বিদআত নিয়ে রসুলুল্লাহ(সাঃ) উপদেশের সারমর্ম হল – “নিশ্চয়ই সর্বোত্তম বাণী আল্লাহ‌র কিতাব এবং সর্বোত্তম আদর্শ মুহাম্মদের আদর্শ। আমার পর তোমাদের মধ্যে যে জীবিত থাকবে সে বহু মতবিরোধ দেখতে পাবে, এমতাবস্থায় তোমরা অবশ্যই আমার ও হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদিনের সুন্নাত অবলম্বন করবে। আর তা অত্যন্ত মজবুত ভাবে দাঁত দিয়ে আঁকড়ে ধরবে, দ্বীনের ব্যাপারে নতুন আবিষ্কার থেকে অবশ্যই বেঁচে থাকবে। কারণ, নব উদ্ভাবিত প্রত্যেক বিষয় বিদআত এবং প্রত্যেক বিদআত হল ভ্রষ্টতা এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম জাহান্নাম।”২ বিদআত থেকে বেঁচে থাকার জন্য আমাদের যা করতে হবে তা হল সুন্নাত সম্পর্কে জানা। কোন কাজ রসুলুল্লাহ(সাঃ) কিভাবে করতেন সেটা কুর’আন এবং সহিহ সুন্নাহের দলীল থেকে আমাদের জেনে নিতে হবে। এ অভ্যাস জীবনের প্রত্যেক স্তরের প্রয়োগ করতে হবে। নামায কিভাবে পড়ব এটা যেমন রসুলের(সাঃ) এর সহিহ হাদিস থেকে শিখে নিব ঠিক তেমনি মানুষ মারা গেলে কি করতে হবে তাও আল্লাহর রসুল(সাঃ) থেকেই শিখতে হবে। কেউ যদি কোন ইবাদাত করতে বলে তবে যে সেই ইবাদাত করতে বলবে তার সপক্ষে তাকে প্রমাণ দেখাতে হবে। যেমন কেউ যদি বলে – “আসরের নামায ৪ রাকাত ইশার নামায ৪ রাকাত, মাগরিব ৩ রাকাত কেন? নামায পড়া তো ভাল কাজ। বেশি পড়লে সমস্যা কি? মাগরিব ১ রাকাত কম পড়ব কেন? রসুল কোথায় নিষেধ করেছেন যে মাগরিবের নামায ৪ রাকাত পড়া যাবেনা?” যেহেতু রসুল (সাঃ) ৩ রাকাত পড়েছেন তাই তার মানে ৩ বাদে বাকি সব সংখ্যাই বাদ। কোনটা করা যাবেনা সেটার তালিকা হবে অসীম। তাই আল্লাহর রসুল(সাঃ) যা করেছেন সেটা বাদে বাকি সব বাতিল। এর দলীল – “যে কেউ একটি ভালো কাজ করল যা করার আদেশ আমি দেইনি তা প্রত্যাখ্যাত এবং গ্রহণযোগ্য নয়।৩ আমাদের দ্বীনে নতুন কিছু সংযোজন ও সৃষ্টি করবে যা মূলত তাতে নেই সেটি পরিত্যাজ্য।” ৪ অনেকে বিদআতের বিরুদ্ধে কথা তুললেই বলেন তাহলে তো মাইক ব্যবহারও বিদআত – এটাতো নতুন আবিষ্কার। মাইক দিয়ে আযান দিলে বেশি সাওয়াব হবে এ জন্য কেউ মাইকে আযান দেয়না, দেয় যাতে বেশি মানুষ আযান শুনতে পায় সেজন্য। একই কারণে রসুলের যুগে গলার স্বর উঁচু করে আযান দেয়া হত। বিদআত নিয়ে সন্দেহে থাকে অনেকেই, ভাবে শবে বরাতের ইবাদাতের কোন সহিহ হাদিস নেই তো কি হয়েছে, দুর্বল হাদিস তো আছে। ঐ রাতে অনেক নামায পড়লাম, শবে বরাত সত্যি হলে তো সাওয়াব পেলামই- আর না থাকলেও ক্ষতি কি? নামাযের সাওয়াব তো পাব। একথা মনে রাখতে হবে ইসলামে সন্দেহ-সংশয়ের কোন অবকাশ নেই। যা করতে হবে সব কিছু নিশ্চিত হয়ে। রসুল(সাঃ) বলেছেন – ‘হালাল স্পষ্ট, হারাম স্পষ্ট এবং এর মাঝে কিছু সন্দেহের বস্তু আছে যার ব্যাপারে অনেকেই জানেনা। যে এসব সন্দেহের বিষয়গুলো এড়িয়ে চলল সে নিজের দ্বীন এবং সম্মানকে রক্ষা করল। কিন্তু যে সন্দেহের বিষয়ে জড়িয়ে গেল সে (যেন) হারামে জড়িয়ে গেল।’৫ একজন প্রতি রাতে তাহাজ্জুদ পড়ে, সে ১৫ই শাবানের রাতেও নামায পড়বে -তাতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু যদি কেউ এ রাতে নামাযের বিশেষ কোন মর্যাদা আছে সেজন্য নামায পড়ে যে তবে সে বিদআত করল। এ রকম ভূরি ভূরি উদাহরণ দেয়া যাবে। যেমন নামাযের সময় রসুলের(সাঃ) মাথায় কাপড় থাকতো। কিন্তু মাথায় টুপি/পাগড়ি দিলে সাওয়াব বেশি হয় এমনটা ভাবা বিদআত কারণ এর প্রমাণে কোন সহিহ হাদিস নেই। নিশ্চিত প্রমাণ ছাড়া আমল করাই যাবেনা। এর প্রকৃষ্ট উদাহরণ হল ‘ইয়াওমুশ শাক্ক’। শাবান মাসের ২৯ তারিখে যদি আকাশে মেঘের জন্য চাঁদ না দেখা যায় তবে পরের দিনকে বলে ‘ইয়াওমুশ শাক্ক’ বা সন্দেহের দিন কারণ এটি রমযানের ১ তারিখ হতে পারে আবার শাবানের ৩০ তারিখ হতে পারে। কিন্তু আল্লাহর রসুল(সাঃ) এ দিন রোযা থাকতে নিষেধ করেছেন এবং শাবান মাসের ৩০ দিন পুরো করতে বলছেন। অনিশ্চিত অবস্থায় সেফ সাইডে থাকতে গিয়ে একদিন আগে রোযা রাখাকেই হারাম করা হয়েছে।৬ ইমাম ইবনু কাসির তার তাফসির গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে নিচের আয়াতটি বিদাতিদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য- “আমি কি তোমাদের এমন লোকদের কথা বলবো, যারা আমলের দিক থেকে সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্থ? (এরা হচ্ছে) সেসব লোক যাদের সকল প্রচেষ্টা এ দুনিয়ায় বিনষ্ট হয়ে গেছে, অথচ তারা মনে মনে ভাবছে, তারা (বুঝি) ভালো কাজই করে যাচ্ছে।” [আল-কাহফঃ ১০৩-১০৪] আমাদেরকে বুঝতে হবে সিরাতাল মুস্তাকিম একটাই, আর সেটা হ্ল রসুলুল্লাহ(সাঃ) এবং তার সাহাবাদের পথ। এ ছাড়া অন্য যে পথেই মানুষ যাবে সে পথ যত সুন্দর মনে হোক না কেন বা যত কষ্টের হোক না কেন সেটা আল্লাহ থেকে শুধু দূরেই নিয়ে যাবে। আল্লাহ আমাদের বিদআত থেকে বেঁচে রসুলের(সাঃ) সুন্নাত মেনে চলার মানসিকতা ও সামর্থ্য দিন। আমিন। ——————————————————————————————————————————– ১- বুখারিঃ ৩১৮০ ২- মুসলিম, আহমাদ, আবু দাউদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, হাকিম, নাসায়ী। (মিলিত) ৩- বুখারি খন্ড ৯পৃষ্ঠা ৩২৯ ৪- মুসলিমঃ ৩২৪৩ ৫- বুখারিঃ ৫২, মুসলিমঃ ১৫৯৯ ৬- আত তিরমিযিঃ ৬৮৬, আন-নাসায়ীঃ ২১৮৮ যারা বিদআতের ব্যাপারে আরো বিশদ জানতে চান তারা ড. মুহাম্মদ মানজুরে ইলাহী লিখিত ‘বিদআত চেনার মূলনীতি’ বইটি পড়তে পারেন।
    Jobrul Miah
  • June 23
  • Sogood Islam Syeds
    6/23, 7:21pm

    Sogood Islam Syeds

    রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, “পূর্বদিক হতে একদল লোক বের হবে যারা কুর’আন তিলাওয়াত করবে, কিন্তু তা তাদের গলা দিয়ে নামবে না, এবং তারা সেভাবে দীন থেকে বের হয়ে যাবে যেভাবে একটি শিকারকে বিদ্ধ করে তীর বেরিয়ে যায়। তারা ততক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থার উপর ফিরে আসবে না যতক্ষণ না তূণ হতে নিক্ষিপ্ত তীর নিজে থেকে এসে আবার তূণে (তীর রাখার বস্তু) আশ্রয় নেয় ! (যা অসম্ভব)।” সাহাবাগণ আরজ করলেন, ” তাদেরকে সনাক্ত করার উপায় কি?” রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, ” তাদের চিহ্ন হচ্ছে তাদের দাড়ি কামানোর স্বভাব থাকবে।” (বুখারী,৬৫১) হাদীসটি শেয়ার করুন
    Jobrul Miah
  • Sogood Islam Syeds
    6/23, 7:56pm

    Sogood Islam Syeds

    সৌদি’র গ্র্যান্ড মুফতির সাথে সাক্ষাৎ করেছেন ড:যাকির নাইক হাফিজাহুল্লাহ রিয়াদ দিরা মসজিদের খতিব ইমাম আরাফতের ময়দানের খতিব ইমাম গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ আব্দুল আজিজ আল শেখ এবং ডাঃ জাকির নায়েক। ডাঃ জাকির নায়েক চলাফেরা হল দুনিয়ার সব বড় বড় আলেমদের সাথে। অথচ দুই একবার চিল্লা দিয়াই ডাঃ জাকির নায়েকের ভুল দরছেন। আল্লাহ্ আপনাদের হেদায়েত করুক।।।। আমিন।।।
    Salah Ahmed
  • June 24
  • Sogood Islam Syeds
    6/24, 10:30am

    Sogood Islam Syeds

    Maksud Bin Amal added a new photo.
    পৃথিবীর সাড়ে তেইশ ডিগ্রি হেলে থাকাঃ রোজাদারদের উপর আল্লাহ্‌র ন্যায় বিচারে দৃষ্টান্ত প্রতি বছরের মত এবছরেও রমযান মাস শুরু হয়েছে। মুসলিমরা উদ্দীপনার সাথে সিয়াম বা রোযা পালন করে চলেছেন। প্রতি বছর রমযান মাসে অনেকেই একটি প্রশ্ন করে থাকেন (বিশেষ করে অমুসলিমরা, এমনকি কিছু কিছু মুসলিমও) যে, মুসলিমদের কেন আরবি হিজরী সাল অনুজায়ী রোযা রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে? একইভাবে আরও একটি প্রশ্ন উঠছে যে, প্রতি বছরই রমজান মাসে কোনো কোনো জায়গার মানুষ মাত্র ১২-১৩ ঘণ্টা রোযা রাখেন, আবার কোন কোন জায়াগার মানুষকে ২০-২২ ঘণ্টা উপবাস থাকতে হয়। তাদের প্রশ্ন, এটা কি আল্লাহ্‌তায়ালার তাঁর বান্দাদের উপর অবিচার নয়? আমি আমার সীমিত জ্ঞানের সাহায্যে ব্যাপারটি ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করছি। আশা করি, জানাতে পারবো। আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ কতটা গভীর। যারা বুঝতে পারবেন, আমার মনে হয়, তারা আল্লাহ্‌র প্রতি ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশের ভাষা হারিয়ে ফেলবেন। প্রথম প্রশ্নের উত্তরে বলা যায় যে, যদি সৌরবছরের কোন নির্দিষ্ট মাসে রোযা রাখার নির্দেশ দেওয়া হত, তাহলে যে এলাকায় ওই সময় গ্রীষ্মকাল, সেখানকার লোকেদেরকে চিরকাল গ্রীষ্মকালেই রোযা রাখতে হত। আবার যে এলাকায় ওই মাসে শীতকাল, সেখানকার লোকেরা চিরকাল শীতকালেই রোযা রাখতো। হিজরি সাল অনুযায়ী রোযা পালন করার সুবিধা হল, এটি সৌরবছর থেকে ১১ দিন কম। যার ফলে রমযান মাস প্রতি বছর সৌরবছর (অর্থাৎ খ্রিস্টাব্দ) থেকে ১১ দিন করে এগিয়ে আসে। ফলে একই এলাকার মানুষ বিভিন্ন ঋতুতে রোযা পালন করতে পারবেন।। এবছর জুনের প্রথম সপ্তাহে রমযান আরম্ভ হয়েছে। পরের বছর রমযান মাস ১১ দিন এগিয়ে আসবে। হিসেব করলে দেখা যাবে, ঠিক ৩৩ বছর পর আবার এই জুন মাসের প্রথম সপ্তাহেই রমজান শুরু হবে। অর্থাৎ, কোন ব্যক্তি যদি একনাগারে ৩৩ বছর রমজান মাসে রোযা রাখে, তাহলে সে সমস্ত ঋতুতে রোযা করার সুযোগ পাবে। আবার মানুষের গড় আয়ু প্রায় ৭৫ বছর। তাই একজন মানুষ মোটামুটি ৬৫ বছর রোযা করে (প্রথম ১০ বছর বাদ দেওয়া হল)। আবার যেহেতু ৩৩ বছর অন্তর একই ঋতুতে রমযান মাস আসে, তাই কোন ব্যক্তি (পরপর ৬৬ বছরে) ৬৬টি রমযানে রোযা করলে ওই ব্যক্তি সারাজীবনে (একই জায়গায় থাকলে) একই ঋতুতে ২ বার রোযা করার সুযোগ পাবেন। অর্থাৎ, গ্রীষ্মকালে ২ বার, শীতকালে ২ বার, বর্ষাকালে ২ বার রমযান পাবেন। সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে, চান্দ্রবছর অনুযায়ী রোযা রাখার নির্দেশের ফলে মানুষের যে সুবিধা হয়েছে ও সারা বিশ্বের মানুষের উপর যে সমান অধিকার দেওয়া হয়েছে, সৌরবছর অনুযায়ী রোযা রাখার নির্দেশ দিলে তা সম্ভব হত না। দ্বিতীয় আরেকটি প্রশ্ন উঠছে। তা হল, এবছর উত্তর ভারত, বাংলাদেশসহ কর্কটক্রান্তি রেখার কাছে অবস্থিত এলাকার লোকেরা মোটামুটি ১৫ ঘণ্টা রোযা করছেন। সেক্ষেত্রে, আইসল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নরওয়ের মত দেশের মানুষরা প্রায় ২০-২২ ঘণ্টা রোযা রাখছেন! স্বাভাবিকভাবেই অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে যে, এটা কি আল্লাহতায়ালার তাঁর বান্দাদের উপর অবিচার নয়? কিন্তু, হিসেব করলে দেখা যাবে, এটি আল্লাহতায়ালার অবিচার নয়। বরং ন্যায় বিচারের আরেকটি দৃষ্টান্ত। এই আলোচনায় দেখা যাবে, প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীর সবাই গড় হিসেবে একই সময় উপবাস থাকে। বিজ্ঞানীরা গবেষণা করে দেখেছেন, পৃথিবী সাড়ে তেইশ ডিগ্রি (23½°) হেলে সূর্যকে প্রদক্ষিন করে। আবার পৃথিবীর কক্ষপথ সম্পূর্ণ গোলাকার নয়, অনেকটা ডিম্বাকৃতি। যার ফলে ঋতু পরিবর্তন হয়। আবার পৃথিবী গোলাকৃতি হওয়ায় ও 23½° হেলে থাকায় পৃথিবীর সব জায়গায় দিনরাত্রির পরিমাণ সমান নয়, বিভিন্ন অঞ্চলের উষ্ণতাও আলাদা, এমনকি ঋতু পরিবর্তনও একই সময়ে হয় না। উত্তর গোলার্ধে যখন শীতকাল, দক্ষিণ গোলার্ধে তখন গ্রীষ্মকাল। আবার দক্ষিণ গোলার্ধে যখন শীতকাল, উত্তর গোলার্ধে তখন গ্রীষ্মকাল। ২১শে জুন উত্তর গোলার্ধের সর্বত্র দিন সবচেয়ে বড় হয়। অন্যদিকে ওই দিনে দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সর্বত্র ছোট হয়। আবার ২২শে ডিসেম্বর দক্ষিণ গোলার্ধে দিন সবচেয়ে বড় হয়, কিন্তু উত্তর গোলার্ধে দিন সবচেয়ে ছোট হয়। কিন্তু হিসেব করলে দেখা যাবে, সারা বছরের গড় হিসবে পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত্রির পরিমাণ প্রায় সমান। নীচে ঢাকা, কলকাতা, লন্ডন, আফ্রিকার কাম্পালা ও দক্ষিণ আফ্রিকার কেপটাউনের দিনের সময়ের হিসেব দেওয়া হল। ঢাকাঃ ঢাকার অবস্থান ২৩°৪২´ উত্তর, ৯০°২২´ পূর্ব। ঢাকায় ২১শে জুন সূর্যোদয় শুরু হয় ৩টা ৪৫ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৬টা ৪৮ মিনিটে। অর্থাৎ দিনের সময় ১৫ ঘণ্টা ৩ মিনিট। আবার ২২শে ডিসেম্বর সূর্যোদয় শুরু হয় ৫টা ১৭ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৫টা ১৬ মিনিটে। অর্থাৎ দিনের সময় প্রায় ১২ ঘণ্টা। অর্থাৎ, সারাবছরের দিনের গড় সময়ের পরিমাণ প্রায় ১৩ ঘণ্টা ৩১ মিনিট। কলকাতাঃ কলকাতার অবস্থান ২২°৩৪´উত্তর, ৮৮°২২´পূর্ব। কলকাতায় ২১শে জুন সূর্যোদয় শুরু হয় ৩টা ২৫ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৬টা ২৭ মিনিটে। অর্থাৎ দিনের সময় ১৫ ঘণ্টা ২ মিনিট। আবার ২২শে ডিসেম্বর সূর্যোদয় শুরু হয় ৪টা ৫২ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৫টা ১মিনিটে। অর্থাৎ, দিনের পরিমাণ ১২ ঘণ্টা ৯ মিনিট। সুতরাং সারাবছরের দিনের গড় সময় ১৩ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট। লন্ডনঃ লন্ডনের অবস্থান ৫১°৩০´উত্তর, ০°৭´৩৯ˮ পশ্চিম। লন্ডনে ২১শে জুন সূর্যোদয় শুরু হয় ২টা ৪৪ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৯টা ২৫ মিনিটে। অর্থাৎ দিনের পরিমাণ ১৮ ঘণ্টা ৪১ মিনিট। আবার ২২শে ডিসেম্বর সূর্যোদয় শুরু হয় ৬টা ২৩ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৩টা ৫৭ মিনিটে। অর্থাৎ দিনের পরিমাণ মাত্র ৯ ঘণ্টা ৩৪ মিনিট। সারাবছরের দিনের গড় সময় ১৪ ঘণ্টা ৭ মিনিট। কাম্পালাঃ আফ্রিকার উগান্ডার রাজধানী কাম্পালা। কাম্পালা নিরক্ষরেখার খুব কাছে অবস্থিত। এর অবস্থান ০°১৯´উত্তর, ৩৩°৩৫ পূর্ব। নিরক্ষরেখার কাছে অবস্থিত হওয়ায় কাম্পালায় সারা বছর প্রায় একই সময়ে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়। এখানে ২১শে জুন সূর্যোদয় শুরু হয় ৫টা ৩১ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৬টা ৫৯ মিনিটে। অর্থাৎ দিনের´গড় সময় ১৩ ঘণ্টা ২৮ মিনিট। ২২শে ডিসেম্বর সূর্যোদয় শুরু হয় ৫টা ২৯ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৬টা ৫৪ মিনিটে। অর্থাৎ দিনের সময় ১৩ ঘণ্টা ২৫ মিনিট। সুতরাং সারাবছরের দিনের গড় সময়ের পরিমাণ ১৩ ঘণ্টা ২৬ মিনিট (প্রায়)। কেপটাউনঃ কেপটাউন দক্ষিণ আফ্রিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ শহর। এর অবস্থান ৩৩°৫৫´ দক্ষিণ, ১৮°২৫´পূর্ব। এখানে ২১শে জুন সূর্যোদয় শুরু হয় ৬টা ২১ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৫টা ৪৮মিনিটে। অর্থাৎ দিনের গড় সময় ১১ ঘণ্টা ২৭ মিনিট। ২২শে ডিসেম্বর সূর্যোদয় শুরু হয় ৩টা ৪৫মিনিটে এবং সূর্যাস্ত হয় ৪টায়। অর্থাৎ দিনের সময়। অর্থাৎ সারা বছরের দিনের গড় সময় ১৩ ঘণ্টা ৫০ মিনিট। উপরিউক্ত হিসেবগুলি থেকে দেখা যাচ্ছে, বিশ্বের প্রায় সব জায়গায় সারাবছরের দিনের গড় সময় প্রায় সমান। সাড়ে তের ঘণ্টা থেকে ১৪ ঘণ্টার মধ্যে। অর্থাৎ পৃথিবীর যে কোন জায়গার মানুষ যদি (প্রথম ১০ বছর বাদ দিয়েও) সারাজীবন রমজান মাসের ৩০ দিন রোযা রাখে, তাহলে সারাবিশ্বের সব মানুষই প্রায় সমান সময় রোযা থাকে। তাছাড়া, যেসব এলাকার মানুষরা (যেমন আইসল্যান্ড, নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন, উত্তর রাশিয়া) এবছর ২১ ঘণ্টা উপবাস থাকছে, তাঁরা ৩৩ বছর পর মাত্র ৮ ঘণ্টা উপবাস থাকবেন। এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে, নিরক্ষীয় অঞ্চলে দিনের গড় সময় সাড়ে তের ঘণ্টা। কিন্তু ব্রিটেন, জাপান, কানাডার মত দেশগুলিতে এই গড় একটু বেশী। প্রায় ১৪ ঘণ্টা। তৃতীয় আরেকটি প্রশ্ন অনেকেই করেন যে, আফ্রিকার (এবং ভারত-বাংলাদেশেরও) অনেকেই প্রচণ্ড গরমে অনেক কষ্ট করে রোযা রাখেন। এমন কি এব্যাপারে আরবের শায়খদের কাছে মাসয়ালা জানতে চেয়ে প্রশ্ন এসেছে যে, এই অত্যধিক গরমেও তাদের উপর রোযা থাকা ফরয নাকি কোন ছাড় আছে!! শায়খরা এর জবাবে বলেছেন, রোযা প্রত্যেকের উপর ফরয। কোন ছাড় নেই। তবে মৃত্যুর আশংকা থাকলে প্রাণ বাঁচাতে যতটুকু দরকার, ততটুক জল পান করা যেতে পারে। বাস্তবিক পক্ষেই নিরক্ষীয় অঞ্চলগুলিতে সারাবছর অত্যন্ত গরম থাকে। ০° থেকে ২৩.৫° উত্তর ও দক্ষিনে গড় তাপমাত্রা থাকে ২৭° সেলসিয়াসেরও বেশী, এমনকি আফ্রিকার কোন কোন এলাকায় ৫০° সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা উঠে যায়।। ২৩.৫° উত্তর/দক্ষিন অক্ষাংশ থেকে ৬৬.৫° উত্তর/দক্ষিন অক্ষাংশে গড় তাপমাত্রা থাকে ০°-২৭° সেলসিয়াস। ৬৬.৫° উত্তর/দক্ষিন অক্ষাংশ থেকে ৯০° উত্তর/দক্ষিন অক্ষাংশে তাপমাত্রা ০° সেলসিয়াসেরও নীচে থাকে। স্বাভাবিকভাবেই মনে হতে পারে যে, ৬৬.৫° উত্তর/দক্ষিন অক্ষাংশের কাছে অবস্থিত এলাকার মানুষেরা মনোরম আবহাওয়ায় রোযা রাখতে পারেন, যার ফলে তাদের কষ্ট অনেক কম হয়। কিন্তু বাস্তবেই কি তাই? গ্রীষ্মকালে এই এলাকার মানুষদের প্রায় ২০ ঘণ্টা রোযা থাকতে হয়, যা অত্যন্ত দীর্ঘ সময়। কিন্তু নিরক্ষরেখার নিকটবর্তী মানুষদের এতো দীর্ঘ সময় রোযা থাকতে হয় না। অতএব, স্পষ্ট দেখা যাচ্ছে যে, আল্লাহতায়ালা কারো উপরই কোনোরকম অবিচার করেন নি। নিরক্ষীয় এলাকার লোকেরা প্রতিবছর অত্যধিক গরমে উপবাস থাকেন, কিন্তু প্রতিবছর তাদের প্রায় একই পরিমাণ সময় উপবাস থাকতে হয়। অন্যদিকে সুমেরু কিংবা কুমেরু এলাকার লোকেরা ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় রোযা থাকলেও কোন কোন বছর তাদের অনেক দীর্ঘ সময় (২০-২২ ঘণ্টা) উপবাস থাকতে হয়, যা অত্যন্ত কষ্টকর। প্রকৃতপক্ষে সময় ও তাপমাত্রার এই সুষম বণ্টনের মাধ্যমে আল্লাহতায়ালার তাঁর বান্দাদের উপর অনুগ্রহ ও ন্যায়বিচারই ফুটে ওঠে। কে জানে, হয়ত আল্লাহতায়ালা মানুষের রোযা রাখার সুবিধার্থেই পরিকল্পনা করে পৃথিবীকে ২৩.৫° কোণে হেলে পরিচালিত করছেন! যেমন, আল্লাহ্‌ বলেন- “আল্লাহ্‌ উত্তম পরিকল্পনাকারী।” (সূরা আনফালঃ৩০) “আল্লাহ্‌ কি বিচারকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ বিচারক নন?” (সূরা ত্বীনঃ৪) “অতএব তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন অনুগ্রহ অস্বীকার করবে?” (সূরা আর-রহমান) পৃথিবীর ২৩.৫° হেলে থাকার আর কোন উপকারীতা দেখতে পাওয়া যায় না। আর পৃথিবী যদি হেলে না থাকতো, তাহলে সময়ের এরকম সুষম বণ্টন সম্ভব হত না। এর ফলে চিরকাল রমযান মাসে মেরু অঞ্চলের বাসিন্দারা কম সময় উপবাস থাকতো, অন্যদিকে নিরক্ষীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের অত্যধিক গরমের মধ্যেও অনেক বেশী সময় উপবাস থাকতে হত। এজন্যই হয়ত আল্লাহতায়ালা জ্ঞানীদের উদ্দ্যেশ্যে বলেছেন, “আল্লাহ্‌র সৃষ্টিজগতে জ্ঞানবানদের জন্য নিদর্শন আছে।” (সূরা আল-বাক্বারাঃ আয়াত-১৬৪) “আমি রাতকে ও দিনকে দুটো নিদর্শন করেছি।” (সূরা বনী ইসরাইলঃ আয়াত-১২) “নিশ্চয় নভোমণ্ডল ও ভূমণ্ডলে মুমিনদের জন্যে নিদর্শনাবলী রয়েছে। দিবারাত্রির পরিবর্তনে……বুদ্ধিমানদের জন্য নিদর্শনাবলী রয়েছে”। (সূরা আল-জাসিয়াঃ আয়াত ৩-৫) কিন্তু এরপরেও কিছু ব্যক্তি আল্লাহ্‌র অনুগ্রহ অস্বীকার করবে। রোজাদারদের উপর আল্লাহ্‌র এই ন্যায়বিচারকে অস্বীকার করবে। অনেকেই পৃথিবীর দিন-রাত্রি নিয়ে চিন্তা করবে এবং সত্যের কাছে পৌঁছাবে কিন্তু নিজেরদের গোঁড়ামির কারণে তা সত্ত্বেও আল্লাহ্‌কে স্বীকার করবে না, আল্লাহ্‌র নিদর্শনাবলীকে স্বীকার করবে না। এখানে আরেকটি প্রাসঙ্গিক ব্যাপারে সংক্ষেপে আলোচনা করা হচ্ছে, তা হল যেসব এলাকায় স্বাভাবিক নিয়মে সূর্য উদয় হয় না বা অস্ত যায় না, সেখানকার মানুষ কি করবে? সুমেরু বৃত্তরেখার উত্তরে অবস্থিত নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, সুইডেনের মতো দেশগুলির দক্ষিণ অংশে স্বাভাবিক নিয়মে সূর্যোদয়-সূর্যাস্ত হলেও উত্তর অংশের এলাকাগুলিতে গ্রীষ্মকালে সূর্য অনেকদিন অস্ত যায় না, তখন ওইসব এলাকায় দীর্ঘদিন দিনের মতো আলো ঝলমল করে; আবার শীতকালে সূর্য অনেকদিন ওঠে না, তখন ওই এলাকায় দীর্ঘদিন অন্ধকার থাকে। এরকমই একটি এলাকা হল ফিনল্যান্ডের উতসিয়োকি, যেখানে গত ১৫ই মে ১টা ৩২ মিনিটে সূর্যোদয় হয় এবং সূর্যাস্ত হবে আগামি ২৯শে জুলাই, ১২১২টা ৪২ মিনিটে। অর্থাৎ রমযান মাসে সূর্য আর অস্ত যাবে না! যার কারণে এইসব এলাকার মুসলিমরা সেহরি ও ইফতারের সময়ের বিভিন্ন নিয়ম মেনে চলেন। যেমন, কেউ কেউ মক্কার সময় অনুযায়ী রোযা রাখেন। এদের যুক্তি মক্কা হল মুসলিমদের প্রধান কেন্দ্র। আবার কেউ কেউ নিকটবর্তী যেসব এলাকায় স্বাভাবিক নিয়মে সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত হয়, সেখানকার সময় অনুযায়ী রোযা রাখেন। আবার কেউ কেউ রাজধানী শহরগুলির সময় মেনে চলেন। আবার ফিনল্যান্ডের উত্তরের কিছু সংখ্যক মানুষ তুরস্কের সময় অনুযায়ী রোযা রাখেন। এদের যুক্তি তুরস্ক হল এইসব এলাকার সবথেকে কাছের মুসলিম দেশ। প্রকৃতপক্ষে, প্রত্যেক গোষ্ঠীরই নিজেদের নিয়মের সপক্ষে উপযুক্ত যুক্তি আছে। তবে এব্যাপারে প্রায় সবাই একমত যে, ইসলাম একটি সহজ-সরল জীবনব্যবস্থা। এতে মানুষের জন্য কঠিন কোন নিয়ম রাখা হয় নি। আর রোযার উদ্দেশ্য শুধুমাত্র দীর্ঘ সময় কষ্ট করে উপবাস থাকা নয়। তাই সবার মতে, এইসব এলাকায় রোযা রাখার সময় ব্যক্তিবিশেষের উপর নির্ভর করে। উল্লেখ্য এইসব উপরিউক্ত দেশগুলির উত্তর অংশে কয়েক দশক আগে মুসলিম সংখ্যা না থাকলেও বর্তমানে অনেকেই এখানকার বিভিন্ন খনিতে কাজ করেন। এছাড়া ইরাক, আফগানিস্তান, সিরিয়া, লিবিয়া ইত্যাদি দেশের অনেক শরণার্থী এই এলাকাগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে। এ তো গেল উত্তর মেরুর কথা। দক্ষিণ মেরুতে কি হবে? দক্ষিণ মেরুর অ্যান্টার্কটিকা হল এমন একটি মহাদেশ যার প্রায় পুরো এলাকাতেই ৬ মাস দিন ও ৬ মাস রাত। যার কারণে এখানেও স্বাভাবিক নিয়মে রোযা রাখা অসম্ভব। উল্লেখ্য, এখানে কোন স্থায়ী বাসিন্দা নেই। কিন্তু গবেষণার কারণে অনেকে অবস্থান করেন। অনেকের মতে এখানে যারা থাকেন তাদের নিকটবর্তী অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ডের সময় মেনে রোযা থাকা উচিত। তবে ১৯৮৯ সালে সৌদি আরবের গবেষক ডাঃ ইব্রাহিম এ আলম ও আরও কয়েকজন অ্যান্টার্কটিকায় গেলে তাঁরা মক্কার সময় অনুযায়ী নামায পড়েন। সম্ভবত অ্যান্টার্কটিকাতে তাঁরাই প্রথম নামায পড়েন। এখানে মক্কার সময়ানুযায়ী নামায ও রোযা করাই সুবিধাজনক। কেননা নিউজিল্যান্ড কিংবা অস্ট্রেলিয়ায় শীত ও গ্রীষ্মের সময়ের পার্থক্য অনেক। নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে শীত ও গ্রীষ্মের সময়ের পার্থক্য প্রায় সাড়ে ছয় ঘণ্টা। যার ফলে কোন ব্যক্তি গ্রীষ্মকালে অ্যান্টার্কটিকায় গেলে তাঁকে অনেক দীর্ঘসময় উপবাস থাকতে হবে কিন্তু কোন ব্যক্তি শীতকালে এখানে গেলে তাঁকে অনেক কম সময় উপবাস থাকতে হবে। অন্যদিকে মক্কার সময় অনুযায়ী রোযা থাকলে প্রায় সারাবছরই একই পরিমাণ সময় উপবাস থাকতে হবে। কেননা মক্কায় গ্রীষ্মকালে (২১ শে জুন) দিন ১৪ ঘণ্টা ৫৫ মিনিট ও শীতকালে (২২শে ডিসেম্বর) দিন ১২ ঘণ্টা ১৩ মিনিট। তবে, উত্তর মেরু হোক কিংবা দক্ষিণ মেরু হোক, এইসব এলাকার মানুষরা যদি সারা জীবন বিশ্বের যে কোন জায়গার সময় অনুযায়ী রোযা রাখে, তাহলে এখানেও দেখা যাবে তারা গড় সময় (সাড়ে তের ঘণ্টা থেকে ১৪ ঘণ্টা) অনুযায়ী রোযা রাখে। এব্যাপারেও দেখা যাচ্ছে, সৃষ্টির সেরা মানবাজাতীর উপর আল্লাহ্‌ কোনরকম অবিচার করেননি। তাই বিশ্বের প্রতিটি জায়গার সব মানুষ সারাজীবন রোযা রাখলে আসলে তাঁরা প্রত্যেকেই সমান পরিমাণ সময় (গড়ে সাড়ে তের ঘণ্টা থেকে ১৪ ঘণ্টা) রোযা বা উপবাস থাকে। তাই গরম দেশের মানুষ যারা অত্যধিক গরমে রোযা রাখছেন তাদের ভাবা উচিত উত্তর কিংবা দক্ষিণ মেরুর কাছে অবস্থিত দেশগুলির মানুষের কথা, যারা দীর্ঘ ২০-২২ ঘণ্টা রোযা রাখেন। আবার যারা উত্তর কিংবা দক্ষিণ মেরুর কাছে বসবাস করছেন, তাদের ভাবা উচিত নিরক্ষীয় দেশগুলির মানুষদের কথা, যারা অত্যধিক গরমে রোযা রাখেন। পরিশেষে একথাই বলবো যে, এখানে সময় ও তাপমাত্রার যে সুষম বণ্টনের কথা আলোচনা হল, তার জন্য প্রত্যেক মুমিনেরই আল্লাহ্‌র শুকরিয়া আদায় করা উচিত। তথ্যসূত্রঃ http://www.islamicacademy.org, http://www.islamicfinder.com, http://www.sunrise-and-sunset.com, http://www.wikipedia.com সহ বিভিন্ন ওয়েবসাইট। লেখকঃ Ali Mostafa
    Maksud Bin Amal
  • Sogood Islam Syeds
    6/24, 10:31am

    Sogood Islam Syeds

    কুরআনের তাক্বওয়া ও মুত্তাক্বীর আয়াতগুলো বুঝতে শাব্দিক বিশ্লেষণ শিখে রাখুন কাজে দিবে ইনশা-ল্লাহ। তাক্বওয়া, মুত্তাক্বী শব্দের শাব্দিক বিশ্লেষণ >>>> তাক্বওয়া শব্দটি (و ق ي) ধাতু থেকে এসেছে। তাক্বওয়া শব্দের form I verb হল وَقَىٰ (ওয়াক্কা) যার অর্থ রক্ষা করা, বাঁচানো, সংরক্ষণ করা, হেফাজত করা। এবং শব্দটির form VIII verb হল ٱتَّقَىٰ (ইত্তাক্বা) যার অর্থ বেঁচে থাকা, দূরে থাকা, আত্মরক্ষা করা, সতর্ক করা, পরিহার করা, (আল্লাহকে) ভয় করা, মুত্তাক্বী হওয়া। এর nounاتْقَى (আতক্বা) যার অর্থ অধিক ভয়কারী, অধিক পুণ্যবান, বেশী পরহেজগার। এবং এর noun تَقْوَى (তাক্বওয়া) যার অর্থ্ আল্লাহর ভয়, আল্লাহভীতি, পরহেজগারী, দীনদারি, ধার্মিকতা। এর noun تَقِيّ (তাক্বী) যার অর্থ পরহেজগার, দীনদার, ধার্মিক, আল্লাহভীরু, মুত্তাক্বী। এর verbal noun تُقَىٰ (তুক্বা) যার অর্থ আল্লাহর ভয়, আল্লাহভীতি, পরহেজগারী, দীনদারি, আত্মরক্ষা। এর form VIII active participle হল مُتَّقِي (মুত্তাক্বী) যার অর্থ আল্লাহভীরু, পরহেজগার, দীনদার, ধার্মিক, ধর্মপরায়ণ। মুসলিম মনীষীদের দৃষ্টিতে তাকওয়া ও মুত্তাকী >>> ১. আলী ইবনে আবূ তালিব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তাকওয়া হচ্ছে পাপ কাজে জড়িয়ে থাকাকে ছেড়ে দেয়া এবং সৎকাজে প্রতারিত হওয়াকে ছেড়ে দেয়া।” কুরআনের বাণী – يَا أَيُّهَا النَّاسُ اعْبُدُوا رَبَّكُمُ الَّذِي خَلَقَكُمْ وَالَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ “হে মানবজাতি! তোমরা তোমাদের প্রভুর ইবাদত কর, যিনি তোমাদেরকে এবং তোমাদের পূর্ববর্তীদেরকে সৃষ্টি করেছেন, যেন তোমরা তাকওয়া অর্জন করতে পার।” আল-বাকারাহ, ২/২১ ২. ওমর ইবনুল খাত্তাব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু একবার উবাই ইব্‌নু কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু-কে বললেন, “আপনি তাকওয়া সম্পর্কে আমাকে বলুন। জবাবে তিনি বললেন, ‘আপনি কি কখনও কন্টকাকীর্ণ পথ দিয়ে চলেছেন? ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, কাপড় চোপড় গুটিয়ে অত্যন্ত সাবধানে চলেছি। কা‘ব রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ওটাই তো তাকওয়া।” ৩. আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু মুত্তাকীদের পরিচয় দিয়ে বলেন, “যারা মহান আল্লাহর শাস্তিকে ভয় করে এমন সব কর্মকাণ্ড ছেড়ে দিয়ে, যেগুলোর হারাম হওয়া সম্পর্কিত বিধান আল্লাহর দেয়া হেদায়াত তথা কুরআন ও হাদীস থেকে তারা জানে এবং অনুসরণের জন্য মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তার প্রতি দৃঢ় বিশ্বাসী হয়ে আল্লাহর রহমত কামনা করে।” তিনি আরো বলেন, “যে ব্যক্তি নিজেকে শির্ক, কবীরা গুনাহ ও অশ্লীল কাজকর্ম ও কথাবার্তা থেকে বিরত রাখে, তাকে মুত্তাকী বলা হয়।” ৪. আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “তাকওয়া হচ্ছে নিজেকে অন্য যে কারোর তুলনায় উত্তম মনে না করা।” এ কথার অর্থ এ নয় যে, একজন মানুষ নিজেকে হীন, তুচ্ছ, নিকৃষ্ট ও অবহেলিত মনে করবে; বরং এ কথার প্রকৃত মর্ম হচ্ছে, আল্লাহর নির্দেশ পালন তথা ব্যক্তি জীবন থেকে রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ইসলামের যে বিধি-নিষেধ রয়েছে তা মানার ক্ষেত্রে সে ইবলিসের মত এ কথা বলবে না যে, “আমি তার [আদম আলাইহিস্ সালাম] চেয়ে উত্তম-শ্রেষ্ঠ; আপনি আমাকে আগুন দিয়ে সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে মাটি দিয়ে সৃষ্টি করেছেন,(আল-আ‘রাফ, ৭:১২)” অর্থাৎ সে অহংকারী হবে না। ৫. আবূ দারদা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, “সম্পূর্ণ তাকওয়া হল বান্দা আল্লাহকে ভয় করবে (করণীয় বিষয়) ত্যাগ করতে গিয়ে কিছু হালালও বর্জন করবে এই ভয়ে যেন তাকে হারামে পড়তে না হয়; আর যেন সামান্য হালাল বর্জন যেন হারাম এবং হালালের মাঝখানে পর্দা-দেয়াল হয়ে যায়।” ৬. হাসান বসরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “আল্লাহ ব্যতীত কাউকে গ্রহণ না করা এবং সবকিছু তাঁর হাতে ন্যস্ত বলে জানা, এটিই হচ্ছে তাকওয়া। তিনি আরও বলেন, “হারামের ভয়ে বহু হালালও যতক্ষণ মুত্তাকীগণ বর্জন করে চলেন ততক্ষণ পর্যন্ত মুত্তাকীদের মাঝে তাকওয়া বিদ্যমান থাকে।” আল্লাহর বাণী لِلْمُتَّقِينَ (লিলমুত্তাকীন, আল-বাকারাহ, ২:২) এর ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, “মুত্তাকী হচ্ছে তারা, যারা তাদের প্রতি যা হারাম করা হয়েছে তা থেকে দূরে থাকে এবং তাদের ওপর যা ফরয করা হয়েছে তা পালন করে।” ৭. উমর ইব্‌নু আবদুল আযীয (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “আল্লাহ যা হারাম করেছেন তা ছেড়ে দেয়া এবং তিনি যা ফরয করেছেন তা আদায় করার নাম হচ্ছে তাকওয়া”। ৮. সুফইয়ান সাওরী (রহিমাহুল্লাহ) বলেন, “যে বিষয়ে তোমার মনে সন্দেহ হয় তা পরিত্যাগ করার চেয়ে তাকওয়ার সহজ পথ আমার জানা নেই।” সুতরাং সন্দেহপূর্ণ যে কোন কাজ থেকে বিরত থাকা এবং সবসময় নিজের নফসের হিসাব গ্রহণ করা হল তাকওয়া। ৯. আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক (রহিমাহুল্লাহ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “যদি কোন ব্যক্তি পরিহারযোগ্য একটি বিষয়ও করে তাহলে সে ব্যক্তি মুত্তাকীদের অন্তর্ভুক্ত হবে না।” ১০. তালক ইবনে হাবীব বলেছেন- “তাকওয়ার অর্থ: আল্লাহর নির্দেশমতো তুমি তাঁর আনুগত্য কর ও তাঁর সাওয়াবের আশা রাখ এবং তাঁর নির্দেশমত তাঁর নাফরমানী ত্যাগ কর ও তাঁর শাস্তিকে ভয় কর।” ১১. কোন কোন মুফাসসির বলেন, “তাকওয়া হচ্ছে মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর অনুসরণ করা। কেউ কেউ বলেন, আল্লাহর বাণী ‘‘নিশ্চয়ই আল্লাহ আদল ও ইহসান…. এর নির্দেশ দিয়েছেন’ এ বাণীতে তাকওয়ার সমাবেশ রয়েছে।”
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • June 24
  • Sogood Islam Syeds
    6/24, 10:57pm

    Sogood Islam Syeds

    ফিতরা টাকা দ্বারা আদায় সংক্রান্ত কিছু হাদীছের তাহক্বীক্বঃ 10370 – حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ سُفْيَانَ، عَنْ هِشَامٍ، عَنِ الْحَسَنِ، قَالَ: «لَا بَأْسَ أَنْ تُعْطِيَ الدَّرَاهِمَ فِي صَدَقَةِ الْفِطْرِ» অর্থ : হযরত হাসান বসরী (রহ.) বলেন, টাকা দ্বারা সাদাকায়ে ফিতর আদায় করার দ্বারা কোন সমস্যা নেই। ইবনে আবি শায়বা-২/৩৯৮, হাদীস-১০৩৭০। তাহক্বীক্বঃ হাদীছের সনদে আছেন সুফিয়ান সাওরী (سُفْيَانَ), তিনি একজন প্রসিদ্ধ মুদাল্লিস। (তাবাকাতুল মুদাল্লিসিন ১/৩২,৫১)। ইনি হাদীছটি ‘আন’ শব্দে বর্ণনা করেছেন। মুদাল্লিসের ‘আন’ শব্দের রেওয়াত গ্রহণীয় নয়।
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • June 25
  • Sogood Islam Syeds
    6/25, 3:06am

    Sogood Islam Syeds

    সমাজে বহুল প্রচলিত কিছু #বেদাত, যা আপনার আমল ধংস করে দেয়! ……. * জায়নামাজ পাকের দোয়া পড়া বেদাত . * “নাওয়াইতুন আন” নামক যেকোন নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা বেদাত.. নিয়ত মনে মনে সংকল্প করা ফরয কিন্তু মুখে উচ্চারণ করা বেদাত!! . * প্রত্যেক ফরয নামাজ শেষে সম্মলিত মোনাজাত বেদাত . * নামাজ শেষে মাথায় হাত রেখে দোয়া পড়া বেদাত . * ইজতেমার আখেরি মোনাজাত বেদাত। . * সর্বমোট কথা হল, বিতর নামাজের দোয়ায় কুনুতে, বৃষ্টির জন্যে ও মুবালাকা এই তিনটি ক্ষেত্র ব্যাতিত… যেকোন ক্ষেত্রে সম্মলিতভাবে মোনাজাত করা বেদাত। . * শবে মেরাজ, শবে বরাত পালন করা বেদাত . * নবীর নাম শুনলে আংগুলে চুমু খেয়ে চোখ মাসেহ করা বেদাত . * ওযুর সময় ঘাড় মাসেহ করা বেদাত . *প্রচলিত মিলাদ করা বেদাত . * মৃত্যু ব্যাক্তির জন্য কোরআন খতম, সুরা ফাতিহা, ইখলাস, ফালাক, নাস, দুরুদ ইত্যাদি পড়ে বখছিয়ে দেয়া বেদাত . * মৃত্যু ব্যাক্তির জন্য চল্লিশা, কুলখানি, ফয়তা ইত্যাদি করা বেদাত . * তারাবিহর সালাতের ৪ রাকাত পর পর ” সুবহানাযিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি” নামক যে দোয়া পড়া হয় তা বেদাত . * ঈদে মিলাদুন্নবী পালন করা বেদাত . * মাগরীবের পর ছয় রাকাত সালাতুন আওয়াবীন নামক নামাজ পড়া বেদাত . * অযুর পরে আকাশে শাহাদাত আংগুল উঠিয়ে দোয়া করা বেদাত . * উমরি কাজা নামাজ খুজে খুজে আদায় করা বেদাত . * জুম্মার দিনে খুতবার আগের বাংলা বয়ান বেদাত . * জুম্মার আগের ৪ রাকাত কাব্লা জুম্মা আদায় করা বেদাত . * প্রচলিত ইলিয়াসি তাব্লিগ করা বেদাত . * সম্মিলিতভাবে উচ্চস্বরে জিকির করা বেদাত . * ইল্লাল্লাহ ইল্লাল্লাহ জিকির করা বেদাত – এইরকম আরো অসংখ্য বেদাত সমাজে বিদ্যামান। কেউ আবার বইলেন না এইগুলা যে বেদাত তার দলিল কই?? বেদাত হল ইবাদাতের ক্ষেত্রে কুরআন এবং সহিহ হাদিসে যার কোন দলিল কিংবা কোন ভিত্তিইই নেই সেটাই বেদাত । সুতারং দলিল চাওয়ার প্রশ্নই আছে না। – রাসুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, যদি কেউ এমন আমল করে যা আমি মুহাম্মদ নির্দেশ দেইনি তা প্রত্যাখ্যাত (সহিহ মুসলিম: ৪৩৪৪) তিনি আরো বলেন, দ্বীনের ভিতর নতুন কিছু সংযোজনকারী মানে (বেদাতকারী) পথভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক পথভ্রষ্টতাই জাহান্নামি (মুসলিম) – মনে রাখবেন, বেদাত করার কারনে আমল ধংস্ব হয়ে যায় এবং তার সর্বশেষ পরিনাম জাহান্নাম! (সুরা মুহাম্মদ :৩৩) – ইয়া আল্লাহ আমাদের সকলকে বেদাত থেকে বেচে থাকার তৌফিক দান করুন (আমিন)
    Parvej Molla
  • Sogood Islam Syeds
    6/25, 4:49am

    Sogood Islam Syeds

    Salah Ahmed added a new photo.
    আসসালামুআলাইকুম ডিজিটাল বাংলা হাদীস টীম- DBHT-র সার্ভার থেকে মাত্র ১ ক্লিকে ডাউনলোড করুন “অডিও হাদীস”। অনেকে রমাদানে হাফিঁয়ে উঠেন হাদীসের বই ধরে পড়তে মন চায়না, আমলের তাকলিফ দুর করতে আপনার পাশে বন্ধুর মতো আমরা তো আছি, আমরা চাই আপনার আমল যেন সবসময় চালু থাকুক মহান রাব্বুল আলামীনের নিকট আর তাই “Mp3 হাদীসের অডিও” ডাউনলোড করে নিন আর চোখ বন্ধ করে আরাম করে শুনুন পিসি বা আপনার যেকোন মোবাইলে ও সে অনুযায়ী আমল করুন। নিচের লিংক থেকে আপনার পছন্দের অধ্যায় হতে ডাউনলোড করুন। বিঃদ্রঃ- আমরা বুখারীর অডিও নিয়ে কাজ করছি , আমাদের সাথে অডিও হাদীসের কাজ করতে চাইলে দেরি না করে যোগাযোগ করুন যদি আপনার শ্রুতিমধুর কন্ঠস্বর থাকে। সাদকায়ে জারিয়ার এ সুযোগ কেন হাতছাড়া করবেন। প্লীজ সবার সাথে শেয়ার করে ও সাদকায়ে জারিয়া হাসিল করুন। http://www.hadithonlinebd.com/2016/04/11/%E0%A6%A1%E0%A6%BE%E0%A6%89%E0%A6%A8%E0%A6%B2%E0%A7%8B%E0%A6%A1/
    Salah Ahmed
  • June 25
  • Sogood Islam Syeds
    6/25, 11:03am

    Sogood Islam Syeds

    Salah Ahmed added a new photo.
    প্রশ্ন: আমাদের নবী একজন, কিন্তু আমরা চার মাজহাব মানি কেন ?? নবী তো বলেছেন, আমাকে অনুসরণ করো। চার মাজহাবির লোক চারভাবে সালাত আদায় করে কেন ?? নবী তো বলেননি যে, মালয়েশিয়ার লোক একভাবে নামাজ আদায় করবে আর বাংলাদেশের লোক আরেক ভাবে নামাজ আদায় করবে। আবার ভারতের লোক আরেকভাবে নামাজ আদায় করবে। এভাবে কী বলেছেন ?? আমাকে জানাবেন। ************************* উত্তর: আসলে আমাদের বিষয়টি পরিষ্কারভাবে বুঝতে হবে। আমরা মাজহাব এবং দ্বীনের মধ্যে এমনভাবে একাকার করে ফেলেছি যে আমরা এদের মধ্যে পার্থক্য করতে পারছি না। ফলে মাজহাবটাকে আমরা দ্বীন হিসেবে গ্রহণ করে নিচ্ছি। ফলে এ বিভ্রান্তি ও প্রশ্ন আমাদের সামনে উত্থাপিত হচ্ছে। – এখানে কথা হচ্ছে, রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর আনুগত্যই আমাদের জন্য ফরজ করা হয়েছে। আমাদের যে আনুগত্যের নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, তা কোরআনে কারিমের মধ্যে সূরা মুহাম্মাদে আল্লাহতায়ালা বলেছেন, ‌‌‘তোমরা আল্লাহর আনুগত্য করো এবং রাসূলের আনুগত্য করো। আল্লাহ এবং তার রাসূলের আনুগত্য যদি তোমরা পরিহার করো, তাহলে তোমাদের আমলগুলো বরবাদ হয়ে যাবে, তোমাদের আমল নষ্ট হয়ে যাবে। তাই তোমরা তোমাদের আমলগুলো নষ্ট করো না।’ – এ দুই আমলই মূলত আমাদের করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আমরা এই দুটি আমলের জন্যই নির্দেশিত। এ ছাড়া দুনিয়ায় কোনো ব্যক্তির আনুগত্য বা অন্ধ অনুসরণের নির্দেশ রাসূল (সা.) আমাদের দেননি। কিন্তু রাসূলুল্লাহ (সা.) একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। তা হলো এই—দুটি হাদিস পাওয়া যায়, একটি হাদিসের মধ্যে তিনি বলেছেন যে, ‘আমার পরে তোমাদের মধ্যে যদি কেউ জীবিত থাকে, অচিরেই সে দেখতে পাবে অনেক মতপার্থক্য।’ – তাহলে বোঝা গেল যে, রাসূলুল্লাহ (সা.) এ বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, একটি সময় আসবে, যে সময়ে রাসূলের (সা.) তিরোধানের পর মানুষের মধ্যে অনেক মতপার্থক্য বিরাজ করবে। এ মতপার্থক্য ইসলাম নিয়ে, অন্য বিষয় নিয়ে নয়। ইসলাম নিয়ে, ইসলামের বিভিন্ন বিধিবিধান নিয়ে। ইসলামে যে বিধিবিধান আছে, সেগুলো নিয়ে অনেক মতপার্থক্য বিরাজ করবে। – এই হাদিসের মধ্যে স্পষ্ট করে নির্দেশনা দিয়েছেন যে, যখন তোমরা এখতেলাফ দেখতে পাবে, তখন তোমাদের করণীয় কাজ হবে দুটি। একটা হচ্ছে তোমরা আমার সুন্নতকে আঁকড়ে ধরবে। তো, আমার সুন্নতকে আঁকড়ে ধরতে গেলে এ নিয়ে মতবিরোধ তৈরি হতে পারে। কারণ, আমার সুন্নত নিয়ে পরবর্তী সময়ে মানুষ এখতেলাফ করে ফেলতে পারে। সে জন্য রাসূলুল্লাহ (সা.) সঙ্গে আরেকটি নির্দেশনা দিলেন, যাতে করে আমরা রাসূলুল্লাহর (সা.) সুন্নত থেকে বিচ্যুত না হই। এবং আমার পরবর্তী হেদায়েতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদিনের যে সুন্নাহ আছে, সেগুলো তোমরা অনুসরণ করবে; তারা যেভাবে চলেছে, যে রীতিনীতির অনুসরণ করেছে। – এখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, তা হলো, এখানে সুন্নাহ বলতে একটি সিস্টেমকে বোঝানো হয়েছে। কর্মপদ্ধতি ও কর্মনীতিকে বোঝানো হয়েছে। সুন্নাহ বলতে সুন্নতের যে পরিভাষা রয়েছে, সেটাকে বোঝানো হচ্ছে না। – তো, রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, আমার পরবর্তী যে খোলাফায়ে রাশেদিন আছে, তাদের সুন্নতের অনুসরণ করলেই দেখবে যে আমার সুন্নতের সঙ্গে সরাসরি মিলে যাবে। এবং সেখানেই মূলত পথভ্রষ্টতা থেকে বাঁচার সুযোগ তৈরি হবে। – যখন এই এখতেলাফ শুরু হলো, এখতেলাফের একটা দীর্ঘসূত্রতা রয়েছে, যা আজকের এই আলোচনায় শেষ করা সম্ভব নয়। সেই এখতেলাফের ক্ষেত্রে ওলামায়ে কেরাম দেখেছেন যে, সুন্নাহর বক্তব্যের মধ্যে জাল হাদিস, ভুল হাদিস, মিথ্যা হাদিস, অগ্রহণযোগ্য হাদিস, বিচ্ছিন্ন হাদিসের মধ্যে প্রবেশ করেছে এবং মানুষ সেগুলো গ্রহণ করে নিচ্ছে। ফলে যেটি হয়েছে সেটি হলো ওলামায়ে কেরাম এগুলোকে আরো ভালোভাবে যাচাই-বাছাই করার জন্য গবেষণার আশ্রয় নিয়েছেন। সুন্নাহর ক্ষেত্রে, সুন্নাহর বক্তব্যের ক্ষেত্রে, সুন্নাহর বর্ণনার ক্ষেত্রে এবং সুন্নাহর যে লিখিত বর্ণনা আছে, সেগুলোর ক্ষেত্রে। এই গবেষণার পরবর্তী যে আকার সেটি হচ্ছে মূলত ওলামায়ে কেরামের মতামত, গবেষণার পর তাঁরা একটি মতামত দিয়েছেন। সেটাকেই বলা হয় মাজহাব। এটা হচ্ছে স্কুল অব থট। এটা গবেষণারই একটি অংশ এবং গবেষণার পরেই এটা ওলামায়ে কেরামের ব্যক্তিগত মত। এটি কোনো দ্বীন নয় এবং এটা কোনো ইসলামের বিধান নয়। – এখন আমরা আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটকেই যদি সামনে রাখি, এখানে আমরা অধিকাংশ মানুষই হানাফি মাজহাবের অনুসরণ করে থাকি। অর্থাৎ ইমাম আবু হানিফার অনুসরণ করে থাকি। কিন্তু ইমাম আবু হানিফা (রা.) নিজেও বলেন নাই যে, আমার বক্তব্যই তোমাদের জন্য দ্বীন এবং আমার বক্তব্য অনুসরণ করা তোমাদের জন্য ফরজ। – এখন সমস্যা যেটা হয়েছে সেটা হলো এই—যেটা আল্লাহতায়ালা আমাদের ওপর ফরজ করেন নাই, নবী করিম (সা.) আমাদের জন্য ফরজ করেন নাই, আবু হানিফা (রা.) আমাদের জন্য ফরজ করেন নাই সেটাকে আমরা নিজেদের ওপর ফরজ করে নিয়ে, দ্বীন বানিয়ে নিয়ে, অন্ধ অনুসরণ করে থাকি। এবং রাসূলের (সা.) বক্তব্যের ওপর আমরা গুরুত্ব দিচ্ছি না। – ভক্তদের মধ্যে এমন প্রশ্নও অনেকে করে থাকেন, মাজহাব এবং হাদিস দুটোই পাওয়া গেলে আমরা কোনটা অনুসরণ করব। আমরা কি হাদিসের অনুসরণ করব, নাকি আমাদের ইমাম হানিফার (রা.) অনুসরণ করব? – ফলে আমরা বড় ধরনের একটা ভুলের মধ্যে রয়েছি, বিভ্রান্তির মধ্যে রয়েছি। ভুলটি হচ্ছে এই—মাজহাবকে মাজহাবের মর্যাদায় না রেখে আমরা তাকে দ্বীনের মর্যাদায় নিয়ে গেছি। তাই এই ভাই আমাদের এই প্রশ্ন করেছেন যে, রাসূল (সা.) কি আমাদের চার ধরনের নামাজ আদায় করতে বলেছেন? – না, কখনোই না। রাসূল (সা.) আমাদের যে সালাত শিক্ষা দিয়েছেন, ওহির মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন প্রদত্ত বাণীর মাধ্যমে এই জ্ঞান দিয়েছেন। সুতরাং সেখানে দ্বিমত থাকার কোনো সুযোগ নেই। সেখানে দ্বিমত ছিল না। দ্বিমত পরে তৈরি হয়েছে। এ বক্তব্যগুলো পরে যুক্ত হয়েছে। এখানে যে চারটি বা পাঁচটি মাজহাবের কথা এসেছে এবং পৃথিবীতে বর্তমানে প্রায় ৮ থেকে ১০টি মাজহাবের বিস্তার রয়েছে। এবং এদের যে অনুসারী আছে, তারা যদি এটাকে নিজেদের ওপর ফরজ করে নেন, তিনি কিন্তু পথভ্রষ্ট এবং তিনি ভুল করছেন। তিনি যদি এটা মনে করেন যে, এটা ওলামায়ে কেরামের বক্তব্য, তাঁরা আমাদের কাজকে সহজ করার জন্য আমাদের এই নির্দেশনা দিয়েছেন এবং সেটা মনে করে যদি তিনি তা গ্রহণ করেন, তাহলে তিনি পথভ্রষ্ট হবেন না এবং সেটি গ্রহণ করতেও কোনো আপত্তি নেই। ——————————- প্রশ্ন করেছেন: কাউসার উত্তর দিয়েছেন: ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ ভাষান্তর করেছেন: মুন্সী আবদুল কাদির উৎস: এনটিভি’র “আপনার জিজ্ঞাসা” অনুষ্ঠান।
    Salah Ahmed
  • June 26
  • Sogood Islam Syeds
    6/26, 12:38am

    Sogood Islam Syeds

    ধরুন আপনার প্রচণ্ড ইচ্ছা আছে রাসুল সাঃ কে সঠিক ভাবে অনুসরন করার। এই ক্ষেত্রে আপনি আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইসলাম কে সঠিক ভাবে যাচাই বাছাই করতে, কিন্তু তার পরো আপনি কিছুটা প্রতারিত হলেন কারো ভুল ফতোয়ার মাধ্যমে ভুল আমল করে (যদিও আপনার নিয়ত সৎ), সেক্ষেত্রে কি আশা করা যায় আল্লাহ ক্ষমা করবেন ? আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে। حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ ” . পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ অধ্যায়ঃ ভূমিকা পর্ব হাদিস নাম্বার:৫৩ | 53 | ۵۳
    আনসার্টেইনিটি প্রিন্সিপাল
  • Sogood Islam Syeds
    6/26, 12:48am

    Sogood Islam Syeds

    ধরুন আপনার প্রচণ্ড ইচ্ছা আছে রাসুল সাঃ কে সঠিক ভাবে অনুসরন করার। এই ক্ষেত্রে আপনি আপ্রান চেষ্টা করে যাচ্ছেন ইসলাম কে সঠিক ভাবে যাচাই বাছাই করতে, কিন্তু তার পরো আপনি কিছুটা প্রতারিত হলেন কারো ভুল ফতোয়ার মাধ্যমে ভুল আমল করে (যদিও আপনার নিয়ত সৎ), সেক্ষেত্রে কি আশা করা যায় আল্লাহ ক্ষমা করবেন ? আবূ হুরায়রা থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ দলীল-প্রমাণ ও প্রয়োজনীয় যোগ্যতা ব্যতীত কাউকে সিদ্ধান্ত (ফাতাওয়া) দেয়া হলে তার পাপের বোঝা ফাতাওয়া প্রদানকারীর উপর বর্তাবে। حَدَّثَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ، حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ يَزِيدَ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي أَيُّوبَ، حَدَّثَنِي أَبُو هَانِئٍ، حُمَيْدُ بْنُ هَانِئٍ الْخَوْلاَنِيُّ عَنْ أَبِي عُثْمَانَ، مُسْلِمِ بْنِ يَسَارٍ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ ” مَنْ أُفْتِيَ بِفُتْيَا غَيْرَ ثَبَتٍ فَإِنَّمَا إِثْمُهُ عَلَى مَنْ أَفْتَاهُ ” . পাবলিশারঃ বাংলা হাদিস গ্রন্থঃ সুনানে ইবনে মাজাহ অধ্যায়ঃ ভূমিকা পর্ব হাদিস নাম্বার:৫৩ | 53 | ۵۳
    আনসার্টেইনিটি প্রিন্সিপাল
  • Sogood Islam Syeds
    6/26, 2:13am

  • Sogood Islam Syeds
    6/26, 4:52am

    Sogood Islam Syeds

    কোনটো ৰাতি লাইলাতুল কদৰ? এই প্রশ্নটোৰ উত্তৰ হিচাপে হাদীছত তলত দিয়া ধৰণে উল্লেখ আছে, [১] এই ৰাতিটো ৰমজান মাহত আহে। এই ৰাতিৰ ফযীলত কিয়ামত পর্যন্ত জাৰী থাকিব। [২] এই ৰাতিটো ৰমযানৰ শেষ দশকত। ৰাছূল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে….. تَحَرُّوْا لَيْلَةَ الْقَدْرِ فِي الْعَشْرِ الأوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‘‘ৰমাযানৰ শেষ দহদিনত তোমলোকে কদৰৰ ৰাতি বিছৰা।’’ (বুখাৰীঃ ২০২০; মুছলিমঃ ১১৬৯) [৩]এইটো ৰমযানৰ অযুগ্ম ৰাতিত হোৱাৰ সম্ভাৱনা বেছি। ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে…., تَحَرُّوْا لَيْلَةُ الْقَدْرِ فِي الْوِتْرِ مِنَ الْعَشْرِ الأَوَاخِرِ مِنْ رَمَضَانَ ‘‘তোমালোকে ৰমাযানৰ শেষ ১০ দিনেৰ অযুগ্ম ৰাতিবিলাকত কদৰৰ ৰাতিৰ সন্ধান কৰা।’’ (বুখাৰীঃ ২০১৭) [৪] এই ৰাতিটো ৰমযানৰ শেষ সাত দিনত হোৱাৰ সম্ভাৱনা বেছি। ৰাছুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে…, فَمَنْ كَانَ مُتَحَرِّيْهَا فَلْيَتَحَرِّهَا فِي السَّبْعِ الأَوَاخِرِ ‘‘যি ব্যক্তিয়ে লাইলাতুল কদৰ (কদৰৰ ৰাতি) অন্বেষণ কৰিব বিচাৰে, সি যেন ৰমাযানৰ শেষ সাত ৰাতিৰ মাজত সেয়া অন্বেষণ কৰে।’’ (বুখাৰীঃ ২০১৫; মুছলিমঃ ১১৬৫) [৫] ৰমাযানৰ ২৭ নং ৰাতিটো লাইলাতুল কদৰ হোৱাৰ সম্ভাৱনা সকলোতকৈ বেছি । ক) উবাই ইবনে কাবৰ পৰা বর্ণিত হাদীছত আহিছে , তেখেতে কৈছে যে, وَاللهِ إِنِّيْ لأَعْلَمُ أَيُّ لَيْلَةٍ هِيَ اللَّيْلَةُ الَّتِيْ أَمَرَنَا رَسُوْلُ اللهِ -صلى الله عليه وسلم- بِقِيَامِهَا هِىَ لَيْلَةُ سَبْعٍ وَعِشْرِيْنَ “আল্লাহৰ শপথ কাঢ়ি কৈছো, মই যিমানদুৰ জানো ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে আমালোকক যি ৰাতিটোক কদৰৰ ৰাতি হিচাপে কিয়ামুল্লাইল কৰিবলৈ নির্দেশ দিছিল, সেয়া হ’ল ৰমাযানৰ ২৭নং ৰাতি। (মুছলিমঃ ৭৬২) (খ) আব্দুল্লাহ বিন ‘উমাৰৰ পৰা বর্ণিত, ৰাছুূল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে…. مَنْ كَانَ مُتَحَرِّيْهَا فَلْيَتَحَرِّهَا لَيْلَةَ السَّبْعِ وَالْعِشْرِيْنَ ‘‘যি ব্যক্তি কদৰৰ ৰাতি অর্জন কৰিবলৈ ইচ্ছুক, সি যেন সেয়া ৰমাযানৰ ২৭নং ৰাতিত অনুসন্ধান কৰে। (আহমাদঃ ২/১৫৭) [৬] কদৰৰ ৰাতি হোৱাৰ বিষয়ে সম্ভাৱনাৰ পৰৱর্তী দ্বিতীয় সম্ভাৱনা হ’ল ২৫ তাৰিখ, তৃতীয় হ’ল ২৯ তাৰিখ। চতুর্থ হ’ল ২১ তাৰিখ। পঞ্চম হ’ল ২৩ তাৰিখৰ ৰাতি। [৭] সর্বশেষত আৰু এটি মতামত হ’ল- মহিমান্বিত এই ৰাতিটো স্থানান্তৰশীল। অর্থাৎ প্রতি বছৰৰ একেই তাৰিখত বা একেই ৰাতিত সেয়া নহয় আৰু মাত্র ২৭ তাৰিখতেই এই ৰাতটো আহে সেয়া নির্ধাৰিত নহয়। আল্লাহৰ হিকমত ও তেওঁৰ ইচ্ছাত কোনো বছৰত সেয়া ২৫ তাৰিখত, কোনো বছৰত ২৩ তাৰিখত, কোনো বছৰত ২১ তাৰিখত, আকৌ কোনো বছৰত ২৯ তাৰিখতো হৈ থাকে।
    IslamHouse.com Assamese
  • June 26
  • Sogood Islam Syeds
    6/26, 3:04pm

    Sogood Islam Syeds

    Abu Atika added a new photo.
    ‼ যি ৰাতিটো লাইলাতুল কদৰ হব সেইটো বুজি পোৱাৰ কিবা আলামত আছেনে⁉ উত্তৰ : হয় , সেই ৰাতিৰ কিছুমান আলামত হাদীছত বর্ণিত আছে। সেইবিলাক হ’ল (১) ৰাতিটো গভীৰ অন্ধকাৰ নহ’ব । (২) নাতিশীতোষ্ণ হ’ব। অর্থাৎ গৰম বা শীতৰ তীব্রতা নাথাকিব । (৩) মৃদুময় বতাহ প্রৱাহিত হৈ থাকিব । (৪) সেই ৰাতি ইবাদত কৰি মানুহে অপেক্ষাকৃত অধিক তৃপ্তিবোধ কৰিব । (৫) কোনো ঈমানদাৰ ব্যক্তিক আল্লাহে সপোনৰ মাধ্যমেৰে হয়তো সেইটো জনাই দিবও পাৰে । (৬) সেই ৰাতি বৰষুণ হব পাৰে । (৭) ৰাতিপুৱা হালকা আলোকৰশ্মিসহ সূর্যোদয় হ’ব। যিটো দেখিবলৈ পূর্ণিমাৰ চন্দ্ৰৰ নিচিনা হ’ব। (ছহীহ ইবনু খুযাইমাহ : ২১৯০ ; বুখাৰী : ২০২১ ; মুছলিম : ৭৬২)
    Abu Atika
  • June 27
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 10:45pm

    Sogood Islam Syeds

    Salah Ahmed added a new photo.
    ★★★ নামায ৩ রাকআত বিশিষ্ট (মাগরেবের) হলে ৩ রাকআত পড়ে, নচেৎ ৪ রাকআত বিশিষ্ট হলে তা তৃতীয় রাকআতের মত পড়ে শেষ তাশাহহুদের জন্য বসে যেতেন। এই বৈঠকে তিনি তাঁর বাম পাছার উপর বসতেন। এতে তাঁর দু’টি পায়ের পাতা এক দিকে হয়ে যেত। (বুখারী ৮২৮, আবূদাঊদ, সুনান ৯৬৫নং, বায়হাকী) বাম পা-কে ডান পায়ের রলা ও ঊরুর নিচে রাখতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৭৯ নং, আহমাদ, মুসনাদ) আর ডান পায়ের পাতাকে খাড়া রাখতেন। (বুখারী ৮২৮নং) কখনো কখনো খাড়া না রেখে বিছিয়েও রাখতেন। (মুসলিম, সহীহ ৫৭৯, আহমাদ, মুসনাদ) পায়ের আঙ্গুলগুলো কেবলামুখী করে রাখতেন। তাঁর হাত দু’টি প্রথম বৈঠকের মতই থাকত। অবশ্য বামহাত দ্বারা বাম জানুর উপর ভরনা দিতেন। (আবূদাঊদ, সুনান ৯৮৯, সহিহ,নাসাঈ, সুনান ১২০৫ নং) সুতরাং পাছার উপর বসা কেবল ৩ বা ৪ রাকআত (অন্য কথায় দুই তাশাহহুদ) বিশিষ্ট নামাযে সুন্নত। পক্ষান্তরে এক তাশাহহুদ বিশিষ্ট ২ রাকআত নামাযে বাম পায়ের পাতার তলদেশ বিছিয়ে তার উপর বসা সুন্নত। (সিফাতু স্বালাতিন নাবী (সাঃ), আলবানী ১৫৬, ১৮১, আলমুমতে’, শারহে ফিক্‌হ, ইবনে উষাইমীন ৪/১০০, মাজমূআতু রাসাইল ফিস স্বালাহ্‌ ১২৮পৃ:) কারণ পাছার উপর বসার কথাহাদীসে কেবল দুই তাশাহহুদ বিশিষ্ট নামাযের ক্ষেত্রে বর্ণিত হয়েছে। নচেৎ নামাযে বসার সাধারণ সুন্নত হল, বাম পায়ের পাতার উপরেই বসা। (নাসাঈ, সুনান ১১৫৬, ১১৫৭, ১১৫৮, ১২৬১, দারেমী, সুনান ১৩৩০ নং)
    Salah Ahmed
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 10:46pm

    Sogood Islam Syeds

    কবর যিয়ারতের দো‘আ। প্রচলিত ভুল দুআ বাদ দিয়ে সঠিক দুআ জেনে নেয়াই লাভজনক। . . «السَّلاَمُ عَلَيْكُمْ أَهْلَ الدِّيَارِ، مِنَ الْمُؤْمِنِينَ وَالْمُسْلِمِينَ، وَإِنَّا إِنْ شَاءَ اللَّهُ بِكُمْ لاَحِقُونَ، [وَيَرْحَمُ اللَّهُ الْمُسْتَقدِمِينَ مِنَّا وَالْمُسْتأْخِرِينَ] أَسْاَلُ اللَّهَ لَنَا وَلَكُمُ الْعَافِيَةَ». (আস্‌সালা-মু আলাইকুম আহলাদ্দিয়ারি মিনাল মু’মিনীনা ওয়াল মুসলিমীনা, ওয়াইন্না ইনশা-আল্লা-হু বিকুম লা-হিকুনা, ওয়া ইয়ারহামুল্লাহুল মুসতাক্বদিমীনা মিন্না ওয়াল মুসতা’খিরীনা, নাসআলুল্লাহা লানা ওয়ালাকুমুল ‘আ-ফিয়াহ)। “হে গৃহসমূহের অধিবাসী মুমিন ও মুসলিমগণ! তোমাদের প্রতি শান্তি বর্ষিত হোক। আর নিশ্চয় আমরা ইনশাআল্লাহ আপনাদের সাথে মিলিত হবো। [আল্লাহ আমাদের পুর্ববর্তীদের এবং পরবর্তীদের প্রতি দয়া করুন।] আমি আল্লাহ্‌র নিকট আমাদের জন্য এবং তোমাদের জন্য নিরাপত্তা প্রার্থনা করি।” [মুসলিম ২/৬৭১, নং ৯৭৫; ইবন মাজাহ্‌, ১/৪৯৪, আর শব্দ তাঁরই, নং ১৫৪৭; বুরাইদা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে। আর দু ব্রাকেটের মাঝখানের অংশ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহার হাদীস থেকে, যা সংকলন করেছেন, মুসলিম, ২/৬৭১, নং ৯৭৫]
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 10:53pm

    Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin added a new photo.
    ♣যাকাতের টাকা কি কোন গরীব স্টুডেন্টকে তার লেখাপড়ার খরচ বাবদ দেয়া যাবে? উত্তর: স্টুডেন্ট যদি গরীব হয়, তাহলে তো গরীব হওয়ার কারণেই সে যাকাত পাবে; এতে তো কোনো সন্দেহ নেই। ♣যাকাত হিসেব করে নিয়ে সেটা কি একবারে আদায় করতে হয় ? নাকি কয়েক ভাগে সারা বছরে আদায় করা বৈধ? উত্তর: যাকাত হিসাব করে সারা বছরে ভাগ ভাগ করে আদায় করা যেতে পারে, অসুবিধা নেই। তবে যাকাত ওয়াজীব হওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আদায় করে দেয়াই উত্তম। অযথা বিলম্বিত করা উচিৎ না। ♣ ৫২.৫ তোলা রূপা ৭.৫ তোলা স্বর্নের চাইতে অনেক কম দামী। সে হিসাবে ৫২.৫ তোলা রূপা পরিমান সম্পদ থাকলেই কি যাকাত ফরজ হয়ে যাবে? উত্তর :- যে হিসাব করলে গরীব ও অভাবীদের বেশি উপকার হয়, সে হিসাবে দিবে। বর্তমানকালে যেহেতু রূপার হিসাব করলে যাকাত আদায়কারীর সংখ্যা বাড়বে এবং অভাবীদের উপকার বেশি হবে, তাই এ হিসাবেই দেয়া উচিৎ। ♣আমার কী হিসেব করে যাকাত দিতে হবে? মানে ধরুন ৬৫৬ টাকা ১০ পয়সা এমন?? আমি যদি হিসেব-নিকেশ না করে বেশি টাকা দেই, তবে কি গুনাহ হবে? উত্তর: পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসেব করে দেয়ার কথা এজন্যই বলা হয়েছে যে, অনুমাননির্ভর হিসেবে অনেক সময় কম আদায় করা হয়। যদি অনুমান করে হিসেব নিকেশ না করে দেয়ার পর বেশি আদায় হয়, তাহলে তো আদায় হবেই; কিন্তু কম হলে হবে না। এজন্যই প্রথমে হিসেব করতে হবে। হিসেব করার পর বেশি দিলে গোনাহগার হবে না, বরং, সওয়াবের অধিকারী হবে ইনশা’আল্লাহ। সারকথা, ওয়াজীব হওয়া পরিমাণের চেয়ে যাকাত যেন কম আদায় না হয়, বেশি হতে পারে, সমস্যা নেই। ♣মোটর সাইকেল এর জন্য কি যাকাত হিসাব করতে হবে???? উত্তর: না। ব্যবহারের মোটর সাইকেল, গাড়ি ইত্যাদিতে যাকাত আসবে না। তবে যদি সেটা ব্যবসার উদ্দেশে কেনা হয়, তাহলে তাতে যাকাত আসবে। _______________________________ কোন কোন সম্পদে যাকাত আসে: ১. নগদ টাকা-পয়সা, ব্যাংক ব্যালেন্স, বন্ড ও অন্যান্য ফাইন্যানশিয়াল ইন্সট্রুমেন্টস ২. সোনা-রূপা; অর্নামেন্ট, বার যা-ই হোক; তা নিত্যব্যবহার্য হলেও। ৩. ব্যবসার সম্পদ; যা ব্যবসার উদ্দেশে ক্রয়কৃত; কিংবা ব্যবহারের উদ্দেশে ক্রয়ের পর বিক্রয়কৃত। ব্যবসার কাঁচামাল, উৎপাদিত বস্তু, বা, উৎপাদনের বিভিন্ন পর্যায়ে থাকা বস্তু। শেয়ারও এ পর্যায়ে অন্তর্ভুক্ত। কাকে যাকাত দেয়া যাবে: _______________________ ১. মিসকীন: যার কোনো সম্পদ নেই, মানুষের কাছে হাত পেতে চলে। ২. অভাবী: যার সম্পদ আছে, তবে নেসাব পরিমাণ নেই, কারো কাছে হাতও পাতে না সে, অথচ সে তার প্রয়োজন পূরণে অক্ষম। এ কাতারে ঋণ আদায়ে অক্ষম ও ভিনদেশী অভাবী মুসাফিরও পড়বে। চিকিৎসা গ্রহণে অক্ষম ব্যক্তিও এ কাতারে শামিল। অর্থাৎ, কেউ যদি এমনিতে সচ্ছল হয়, কিন্তু প্রয়োজনীয় চিকিৎসা করাতে অক্ষম হয়, তাহলে তাকেও যাকাতের অর্থ দিয়ে সাহায্য করা যেতে পারে। তবে শর্ত হলো, চিকিৎসার পর্যায়টা এমন হতে হবে যে, যা না করালেই নয়, এবং যে চিকিৎসা করালে তার সুস্থতাও অনেকটা নিশ্চিত। উদাহরণস্বরূপ, যে চিকিৎসা বাংলাদেশে সম্ভব, তা যদি সিরফ বিলাসিতা বশত বিদেশে গিয়ে করাতে চায়, তাহলে সে ক্ষেত্রে তাকে যাকাত দেয়া যাবে না। কিন্তু চিকিৎসকরা যদি বলেন যে, তাকে অমুক দেশে নিতেই হবে, এ ছাড়া কোনো গতি নেই, তখন তাকে সাহায্য করা যেতে পারে। মোটকথা, চিকিৎসা যদি কারো সত্যিই প্রয়োজন হয়, এবং এ প্রয়োজন মেটাতে যদি সে সত্যিই অক্ষম হয়, তাহলে সেও এই অভাবীর পর্যায়ভুক্ত হয়ে যাকাত গ্রহণ করতে পারবে। যাকাত বিষয়ক কিছু জরুরী জ্ঞাতব্য: _________________________________ ১. যাকাতের ক্ষেত্রে নিয়ত করা (যাকাত দিচ্ছি এই জ্ঞান করা) আবশ্যক। সেটা প্রদান করার সময়ও হতে পারে বা যাকাতের সম্পদ হিসাব করে পৃথক করার সময়ও হতে পারে। ২. প্রতিটা সম্পদের উপর এক বছর অতিক্রান্ত হওয়া জরুরী নয়। বরং, বছরের মাঝে যে সম্পদ অর্জিত হবে, তাতেও যাকাত আসবে। ৩. যাকাত আদায়ের তারিখে যে যে সম্পদ থাকবে, সে সে সম্পদের যাকাত আদায় করবে। ৪. যাকাতের পরিমাণ নির্ধারণে মনগড়া/অনুমাননির্ভর হিসাব করবে না। বরং পুঙ্খানুপুঙ্খ হিসাব করে যাকাত আদায় করবে। যেন কোনো ক্রমেই পরিমাণের চেয়ে কম আদায় না হয়। ৫. যাকাত যেদিন হিসাব করে পৃথক করবে, সেদিনের মূল্য ধর্তব্য হবে। ৬. চন্দ্র মাস হিসাব করে যাকাত দিবে। উদাহরণস্বরূপ, প্রতি বছর রমজানের বা মুহাররমের এক তারিখ যাকাত আদায় করবে। \\\\\\\\\\\\\ তথ্যসূত্র: ১. যাকাত ও তার উপকারিতা – শেখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন – মাউসুআতুল বুহূসি ওয়াল মাকালাতিল ইলমিয়্যাহ [আরবী] ২. যাকাতের নতুন বিধানাবলী – ফিকহী মাকালাত- মুফতী তাকী উসমানী [উর্দু] ৩. ইসলামী অর্থনীতির আধুনিক রূপায়ণ – মাওলানা আবুল ফাতাহ মুহা: ইয়াহয়া [বাংলা] ৪. জাদীদ ফিকহী মাসায়েল – মাওলানা খালেদ সাইফুল্লাহ রাহমানী [উর্দু] ৫. এছাড়া বিভিন্ন ইংরেজি ফাতাওয়া ওয়েবসাইট যেমন: ইসলামওয়েব, ইসলাম অনলাইন, আস্ক ইমাম, দারুল ইফতা দেওবন্দ ইত্যাদি। ♦ লেখক — ইউসুফ সুলতান
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 10:55pm

    Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin added a new photo.
    আস্সালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ আমরা কিভাবে স্বর্নের যাকাত আদায় করব, তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার প্রয়াস চালাব। যদি আল্লাহ সহায় হন। স্বর্নের যাকাত ওয়াজীব হওয়ার শর্ত: # নিসাব পরিমান স্বর্ন থাকতে হবে। ( নিসাব হল ২০ মিসকাল/ ২০ দিনার / ৮৫ গ্রাম)। # বছর অতিবাহিত হতে হবে। পরিমাপের পদ্ধতি: ৮৫ ( স্বর্নের নিসাব) * প্রতি গ্রাম স্বর্নের মূল্য । উদাহরন: ধরুন প্রতি গ্রাম স্বর্নের মূল্য ১০০০ টাকা। তাহলে অংক হবে এভাবে ৮৫*১০০০ = ৮৫০০০/= ৮৫ গ্রামে কতটাকা যাকাত আসে?? আমাদের মনে রাখতে হবে স্বর্নের যাকাত ( চার দশমাংশ অর্থ্যত ১০/ ৪ = ২.৫) ২.৫% । সহজ পদ্ধতি হল, আপনার স্বর্নের মূল্য যত টাকা আসবে, তা ৪০ দিয়ে ভাগ দিবেন। আমরা পূর্বে স্বর্নের মূল্য ১০০০ টাকা গ্রাম ধরে ৮৫ গ্রামের মূল্য বের করেছিলাম ৮৫০০০ টাকা, তাহলে এটার যাকাত আসবে ২.৫% করে ধরলে, ৮৫০০০ ভাগ ৪০ = ২১২৫ টাকা। বি: দ্র: আপনার গচ্ছিত টাকার যাকাত একই পদ্ধতিতে নির্নয় করতে পারবেন। কারন টাকার / অর্থের মুল স্বর্ন / রৌপ্য। আল্লাহু আ’লাম আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাচ্ছি সমস্ত ভূল ভ্রান্তি থেকে। খালিদ আব্দুল্লাহ ইসলামি বিশ্ববিদ্যালয় মাদিনা আল মুনাওয়ারাহ, সৌদি আরব। ~~~~~~~~~~~ ৮ আনা = ৫.৮৩২ গ্রাম ১৪ আনা = ১০.২০৬ গ্রাম ১ ভরি = ১১.৬৬৪ গ্রাম
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 11:01pm

    Sogood Islam Syeds

    আপনি কি ২৭ এর রাত কেই ক্বদরের রাত হিসাবে পালন করেন? কিন্তু এটাই যে ক্বদরের রাত তা নিশ্চিত হচ্ছেন কিভাবে?? এই রাতটি যেহেতু নির্দিষ্ট নয়,আর হয়তো আপনার জীবনাবস্থায় কখনো ২৭ এর রাতে ক্বদর হলোনা; তার মানে আপনি আপনার জীবনে কোনদিনই ক্বদরের রাত পেলেন না।আফসোস! মা আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ রামাদানের শেষ দশক এসে উপস্থিত হলে আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) (ইবাদতের জন্য) নিজের কোমর (লুঙ্গি) বেঁধে নিতেন, সারারাত্রি জাগরণ করতেন এবং আপন পরিজনকেও জাগাতেন। ’’ [(বুখারী ২০২৪নং, আহমাদ, মুসনাদ ৬/৪১, আবূ দাঊদ ১৩৭৬, নাসাঈ ১৬৩৯, ইবনে মাজাহ ১৭৬৮, ইবনে খুযাইমাহ, সহীহ ২২১৪নং)]
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    6/27, 11:49pm

    Sogood Islam Syeds

    ♣তাবলীগী জামাআত কী প্রচার করে? ♣ ======================== সার্বিকভাবে মূলতঃ তারা পূর্ণাঙ্গ ভাবে ইসলাম প্রচার করে না। তারা ইসলামের কথা মুখে বললেও মূলতঃ তারা মাযহাবের নামে ফিরকা ও তরীকার নামে তাসাউফের দিকে আহবান করে থাকে। ঈমানের দাওয়াতের নামে তারা মুলতঃ ওহাদাতুল ওজুদ অর্থাৎ সর্ব ইশ্বর বাদের দিকে আহবান করে যা মুলতঃ কুফর, মুসলমানদের সালাতের দাওয়াত দেন, সৎ কাজের উপদেশ দেন, ও অসৎ কাজ হতে দূরে থাকার আনুরোধ করেন। কিন্তু সমাজ সংস্কারের জন্য কুরআন জানা ও তাঁর বিধি-বিধানকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য কোন চেষ্টা করা হয় না। কুরআনকে শুধু তুতার বুলিরমত তিলাওয়াত পর্যন্ত সিমাবদ্ধ রাখা হয়। তাঁকে অর্থসহ জানা ও তাফসীর জানার প্রতি উৎসাহ তো দূরের কথা উপরন্ত আরো নিরুৎসাহীত করা হয়। বরং অত্যান্ত সন্তারপনে কুরআনকে মাসজিদ থেকে বের করার ইহুদী-নাসারার চক্রান্তে তারা সহযোগী বলে মনে হয়। কারণ মাসজিদ গুলোতে এখন কুরআনের দরস বন্ধ হয়ে গেছে প্রায় এখন মসজিদে ‘ফাযালেলে আ‘মলের’ তালিম হয়। আল-কুরআনের দরস তারা শুনতে চায় না বরং তারা বলে ১৫টি ভাষায় পারদর্শি না হলে কুরআন বুঝা সম্ভব নয়, এভাবে নানান অজুহাত দেখিয়ে তারা লোকদেরকে কুরআনের পথ থেকে নিবৃত করছে।
    Md Ali Tawhid Badi
  • June 29
  • Sogood Islam Syeds
    6/29, 10:18am

    Sogood Islam Syeds

    Habibullah Reza added a new photo.
    একটি কিডনীর ওয়েট কত? সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম। মেডিকেল সাইন্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় দেড়শ লিটার ব্লাড এই যন্ত্র ডেইলি ফিলটার করে। কত টাকা দিতে হয় এর জন্য আমাদের? এক টাকাও না। একটি ডায়ালাইসিস মেশিনের ওয়েট কত? কমপক্ষে ১০০ কেজি। এই একই কাজ এই মেশিনের মাধ্যমে করাতে খরচ কত? প্রতি চার ঘন্টায় কয়েক হাজার। সাড়ে তিন হাত শরিরের ভেতরই আল্লাহর দেয়া এরকম হাজারো নিয়ামত আমরা বিনামুল্যে ভোগ করছি নিজেদের অজান্তেই। কোনদিন কি এর জন্য শুকরিয়া আদায়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি? তিনি আল্লাহ, আমাদের এই শরিরের নির্মাতা যিনি। তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণে পশু পাখির গায়ে তার নাম অংকিত থাকার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই মেঘের ভাঁজে তাঁর নাম ফুটে উঠার। তার অস্তিত্বের প্রমান আমরা নিজেরাই। বিশ্বাসীদের জন্যে পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না? সূরা যারিয়াত – আয়াত ২০,২১।
    Habibullah Reza
  • June 29
  • Sogood Islam Syeds
    6/29, 1:23pm

    Sogood Islam Syeds

    ফরয নামাযের পর সম্মিলিত মুনাজাত করা বদভ্যাসে পরিণত হয়েছে। . . এ ঘৃণ্য বিদাতকে না বলুন। রাসূল সা. এর পরামর্শমত নামাযের ভেতরেই নিজের দুআগুলো উপস্থাপন করুন। মনে রাখতে হবে, নামাযেই মহান আল্লাহ বান্দার সবচেয়ে কাছে থাকে। তাই আপন প্রভুর কাছে নিকটে থাকাকালে দুআ করাই উত্তম। তাছাড়া নামায নিজেই একটি মুনাজাত। আল্লাহ পাকের দেয়া ফরম্যাটের পর আর কি মুনাজাত থাকতে পারে। যদি কিছু থাকতো, তবে তা রাসূল সা. আমাদের বলে দিতেন। যেখান রাসূল সা. এর কোন নির্দেশনা নেই, সেখানে বরকত নেই। দ্বীন নেই। কল্যান নেই। আছে শুধু গোয়ারতুমি, আছে অকল্যান আর জাহান্নামের উত্তপ্ত আগুন।
    M Towfiqur Rahman
  • July 1
  • Sogood Islam Syeds
    7/1, 4:06am

    Sogood Islam Syeds

    সাহাল ইবনে সায়াদ ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহু পৰা বৰ্ণিত ,তেওঁ কয় ,ৰাছুল চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছালামে কৈছে ,” যি ব্যক্তিয়ে উভয় চোয়ালৰ মধ্যবৰ্তী (অঙ্গ গুপ্তা-ঙ্গ) সম্বন্ধে নিশ্চয়তা দিব , মই তেওঁৰ জান্নাতৰ নিশ্চয়তা দিম ৷ ৰিয়াযুস স্বা-লিহীন ➡হাদীছ নং -১৫২১ সহীহ বুখাৰী ➡হাদীছ নং -৬৪৭৪
    Mukib Ali
  • July 2
  • Sogood Islam Syeds
    7/2, 12:26am

    Sogood Islam Syeds

    Habibullah Reza added a new photo.
    একটি কিডনীর ওয়েট কত? সর্বোচ্চ ২০০ গ্রাম। মেডিকেল সাইন্সের দেয়া তথ্য অনুযায়ী প্রায় দেড়শ লিটার ব্লাড এই যন্ত্র ডেইলি ফিলটার করে। কত টাকা দিতে হয় এর জন্য আমাদের? এক টাকাও না। একটি ডায়ালাইসিস মেশিনের ওয়েট কত? কমপক্ষে ১০০ কেজি। এই একই কাজ এই মেশিনের মাধ্যমে করাতে খরচ কত? প্রতি চার ঘন্টায় কয়েক হাজার। সাড়ে তিন হাত শরিরের ভেতরই আল্লাহর দেয়া এরকম হাজারো নিয়ামত আমরা বিনামুল্যে ভোগ করছি নিজেদের অজান্তেই। কোনদিন কি এর জন্য শুকরিয়া আদায়ের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি? তিনি আল্লাহ, আমাদের এই শরিরের নির্মাতা যিনি। তাঁর অস্তিত্বের প্রমাণে পশু পাখির গায়ে তার নাম অংকিত থাকার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন নেই মেঘের ভাঁজে তাঁর নাম ফুটে উঠার। তার অস্তিত্বের প্রমান আমরা নিজেরাই। বিশ্বাসীদের জন্যে পৃথিবীতে নিদর্শনাবলী রয়েছে এবং তোমাদের নিজেদের মধ্যেও। তোমরা কি অনুধাবন করবে না? সূরা যারিয়াত – আয়াত ২০,২১।
    Habibullah Reza
  • July 3
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 4:01am

    Sogood Islam Syeds

    রামাদানে প্রত্যেক নেক কাজের ফজিলত অত্যন্ত বেশী । তাই এই বরকতপূর্ণ মাসের মূল্যবান সময় অযথা নষ্ট না করে যতো পারেন এর ফায়দা নেয়ার জন্য সচেষ্ট হোন । নীচে কিছু সহজ আযকার, যার সাওয়াব অনেক বেশি তাই এর উপর আমল করতে পারেন। ::::: _____সহজ দশটি আযকার (যিকির) যার সাওয়াব অনেক বেশি____:::::: (১) প্রতিদিন ১০০ বার সুবহান আল্লাহ্ পাঠ করলে ১০০০ সাওয়াব লিখা হয় এবং ১০০০ গুনাহ মাফ করা হয় ।[সহীহ মুসলিম-৪/২০৭৩] (২) আলহামদুলিল্লাহ মীযানের পাল্লাকে ভারী করে দেয় এবং সর্বোত্তম দোআ’। [তিরমিযী-৫/ ৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/ ৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] (৩) লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ সর্বোত্তম যিকর। [তিরমিযী-৫/৪৬২,ইবনে মাযাহ-২/১২৪৯,হাকিম-১/৫০৩,সহীহ আল জামে’-১/৩৬২] (৪) সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর এই কালিমাগুলি আল্লাহর নিকট অধিক প্রিয় এবং নবী (ﷺ) বলেনঃ পৃথিবীর সমস্ত জিনিসের চইতে আমার নিকট অধিক প্রিয়। [ সহীহ মুসলিম -৩/১৬৮৫, ৪/২০৭২ (৫) যে ব্যক্তি সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহী প্রতিদিন ১০০ বার পাঠ করবে সমুদ্রের ফেনা পরিমান (সগীরা) গুনাহ থাকলে ও তাকে মাফ করে দেওয়া হবে। [সহীহ আল-বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭১] (৬) নবী (ﷺ ) বলেনঃ সুবহানাল্লাহি ওয়াবি হামদিহী সুবহানাল্লিল আযীম এই কালীমাগুলি জিহ্বায় উচ্চারনে সহজ , মীযানের পাল্লায় ভারী ,দয়াময় আল্লাহর নিকট প্রিয় । [সহিহ আল- বুখারী-৭/১৬৮,সহীহ মুসলিম-৪/২০৭২]। (৭) যে ব্যক্তি সুবহানাল্লাহিল আযীমি ওয়াবি হামদিহী পাঠ করবে প্রতিবারে তার জন্য জান্নাতে একটি করে (জান্নাতী)খেজুর গাছ রোপন করা হবে । [আত-তিরমিযী-৫/৫১১,আল-হাকীম-১/ ৫০১, সহীহ আল-জামে’-৫/৫৩১, সহীহ আত-তিরমিজী-৩/১৬০ ] (৮) নবী (ﷺ ) বলেনঃ লা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ হচ্ছে জান্নাতের গুপ্তধন সমুহের মধ্যে একটি গুপ্তধন। [ সহীহ আল-বুখারী -১১/২১৩, সহীহ মুসলিম- ৪/২০৭৬] (৯) নবী (ﷺ ) বলেনঃ সুবহান আল্লাহ ওয়াল হামদুলিল্লাহ ওয়ালা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবর ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুয়্যাতা ইল্লা বিল্লাহ এই কালীমাগুলি হচ্ছে “অবশিষ্ট নেকআ’মল সমুহ” । [আহমাদ (সহীহ)-৫১৩, মাজমাউজ জাওয়াঈদ-১/২৯৭] (১০) নবী (ﷺ) বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি একবার দুরুদ পাঠ করবে আল্লাহ তাআ’লা তার প্রতি দশ বার রহমত বর্ষণ করবেন। আল্লাহুম্মা সাল্লি ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা সাল্লায়তা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ আল্লাহুম্মা বারিক ’আলা মুহাম্মাদিঁওয়া ’আলা আলি মুহাম্মাদিন্ কামা বারাকতা ’আলা ইব্রাহীমা ওয়া ’আলা ’আলি ইব্রাহীমা ইন্নাকা হামীদুম মাজিদ এবং তিনি (ﷺ ) আরো বলেনঃ যে ব্যক্তি আমার প্রতি সকালে দশবার এবং বিকেলে দশবার দুরুদ পাঠ করবে সে ব্যক্তি কিয়ামতের দিন আমার শাফায়াত পাবে। [তাবারানী,মাজময়াউজ জাওয়াঈদ-১০/১২০, সহীহ আত-তারগীব ওয়াত তারহীব-১/২৭৩]
    Mahmuda Akther
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 4:04am

    Sogood Islam Syeds

    ‎محمد يونس حسين‎ added a new photo.
    সুলাইমান বিন আমির আযযাব্বী (রা) হতে বর্ণিত, নবী (সা) বলেছেন যখন কেউ ইফতার করবে তখন সে যেন খেজুর দ্বারা ইফতার করে, যদি সে তা না পায় তাহলে পানি দ্বারা ইফতার করবে। কেননা সেটা পবিত্রকারী।।- ইবনু খুযাইমাহ ও ইবনু হিব্বান একে সহীহ্ বলেছেন। (বাংলা বুলুগুল মারাম পৃষ্ঠা: ৩২১, ৬৬১নং হাদীস, সহীহ তিরমিযী: ৬৯৫, আবু দাউদ: ২২৫৫)
    محمد يونس حسين
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 4:07am

    Sogood Islam Syeds

    ‎محمد يونس حسين‎ added a new photo.
    জাবির (রা) হতে বর্ণিত যে, তিনি বলেন, রাসূল (সা) এর নিকট এমন এক মাইয়্যিতকে আনা হল যে লোহার ফলা দ্বারা আত্মহত্যা করেছিল, ফলে তিনি তার উপর সলাত আদায় করেননি। (বুলুগুল মারম বাংলা: পৃষ্টা নং ২৮০, হাদীস নং ৫৫৫, মুসলিম: ৯৭৮, তিরমিযী ১০৬৮, নাসায়ী: ১৯৬৪, ইবনু মাজাহ: ১৫২৬, আহমাদ: ২০৯২)
    محمد يونس حسين
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 4:12am

    Sogood Islam Syeds

    কী পরিমাণ সম্পদ থাকলে ফিতরা দেয়া ফরয হয়? ঈদের দিন যদি কোন মুসলিম ব্যক্তি ও তার পরিবারবর্গের প্রয়োজনীয় খাবারের চেয়ে অতিরিক্ত আরো ২ কেজি ৪০ গ্রাম পরিমাণ নির্দিষ্ট খাবার মওজুদ থাকে তাহলে ঐ ব্যক্তি ও তার পরিবারবর্গের সকল সদস্যদের উপর ফিত্‌রা প্রদান ফরয হয়ে যাবে। (ক) আবদুল্লাহ ইবনে ‘উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম স্বাধীন, কৃতদাস, নারী, পুরুষ, ছোট, বড় প্রত্যেক মুসলিমের প্রতি রমাযানের সিয়ামের কারণে এক সা‘আ খেজুর বা এক সা‘আ যব ফিত্‌রা হিসেবে ফরয করে দিয়েছেন। (বুখারী : ১৫০৩; মুসলিম : ৯৮৪) (খ) আহমাদের একটি বিশুদ্ধ হাদীসে আবূ হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, فِيْ زَكَاةِ الْفِطْرِ عَلَى كُلِّ حَرٍّ وَعَبْدٍ ذَكَرٍ وَأُنْثَى صَغِيْرٍ أَوْ كَبِيْرٍ فَقِيْرٍ أَوْ غَنِىٍّ صَاعًا مِنْ تَمَرٍ প্রত্যেক স্বাধীন, পরাধীন, নারী, পুরুষ ছোট, বড়, ফকীর-ধনী, প্রত্যেকের উপর জনপ্রতি এক সা‘আ (২ কেজি ৪০ গ্রাম) পরিমাণ খেজুর ফিত্‌রা হিসেবে দান করা ওয়াজিব। তবে ইমাম আবূ হানীফার (রহ.) মতে ঈদের দিন যাকাতের নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকলে অর্থাৎ ঐদিন ভোরে প্রয়োজনের অতিরিক্ত হিসেবে যার ঘরে সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা বায়ান্ন তোলা রৌপ্য বা এর সমপরিমাণ নগদ অর্থ থাকবে শুধু ঐ পরিবারের উপর ফিত্‌রা দেয়া ফরয হবে। ফুটনোটঃ প্রশ্নোত্তরে রমযান ও ঈদ ফিত্‌রা অধ্যাপক মোঃ নূরুল ইসলাম
    Jobrul Miah
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 4:30am

    Sogood Islam Syeds

    বাড়ি এসে এক কবরস্থানের পাশ দিয়ে আসা যাওয়া করি । চিন্তা ভাবনা করে দেখলাম একসময় আমি এই মাটির নিচে থাকব আর অনেকে এই পাশ দিয়ে যাবে কিন্তু কেউ মনে রাখবে না!!!!!!!!!!!! আর নিজ গবেষণায় যা বুঝলাম মৃত্যুর পরবর্তী সময় কেউ মনে রাখে না। এমনকি নিজের সন্তানও না!!!!!!!!!!!!!!! পরামর্শ:::: তাই মৃত্যুর পরবর্তী যদি শান্তি পেতে চান তাহলে নিজে আমল করূন। আর খেয়াল করূন আমলটা যেন শুদ্ধ হয় আব্দুস সাত্তার
    ইসলাম শিক্ষা
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 4:45am

    Sogood Islam Syeds

    পীর শব্দের অর্থ….ভাল!! কিন্তু বাস্তবে পীর-পীরানী ও মাঝারের কাজ ইসলাম বিরুধী (শির্কী, বিদাতী)???? ★পীরেরা বিভিন্ন তরিকা বানিয়ে দ্বীনে ভিন্ন ভিন্ন দল তৈরী করে, কুরআনের এই আয়াতগুলো লঙ্গন করে(সুরা ইমরান:১০৩, সুরা রূম:৩১-৩২, সুরা আন আম:১৫৯) ★পীরদের ব্যবসায়িক প্রতিযোগিতা থাকায় এক পীর অন্য পীরের বদনামী ও গালাগালির ফলে মুসলিমদের মধ্যে মত বিরোধ তৈরী করে(সুরা শুরা:৫০) এদের কিছু অনুসারীরাও সহজে অশ্লিল আচরণ করে ফাসেক হয়(বুখারী:৪৮, মুসলিম:২৮) ★পীরেরা ভিন্ন ভিন্ন নাচের তালে তালে চিৎকার সহকারে ঝিকির করে। কেউ কেউ বাঁশ বেয়ে উপরে উঠে এতে কুরআনের এই আয়াত লঙ্গিত হয়?:-সুরা আরাফ: ৫৫ ★পীরেরা নবী(স)কে ‘জিন্দানবী’, ‘নূরের তৈরী’ ও ‘গায়েব জানেন’ বলে প্রচার করে? অথচ আল্লাহ বলেন,”নিশ্চয়ই তোমারও(রসুল সাঃ) মৃত্যু হবে এবং তাদের ও মৃত্যু হবে(সুরা জুমার:৩০) আল্লাহ আরও বলেন,”আপনি(হে রসুল সা:) বলে দিন যে, নিশ্চয়ই আমি তোমাদের মতই একজন মানুষ(সুরা আল কাহফ:১১০) আল্লাহ আরও বলেন,”আপনি হে রসুল(স)! বলুন,আমি তোমাদেরকে বলি না যে, আমার কাছে আল্লাহর ভান্ডার রয়েছে। তাছাড়া আমি অদৃশ্য বিষয়ও অবগত নই। আমি এমনও বলি না যে, আমি ফেরেস্তা(সুরা আন আম:৫০) ★কিছু পীর মাদ্রাসা নির্মান করে ধর্মীয় শিক্ষার সাথে কিছু ভুলে ভরা বান্দার লিখা শির্ক-বিদাতী কিতাবও পীরের নামে বানোয়াট গল্পের কিতাব গুরুত্ব সহকারে পড়ান? ★পীর নিয়ন্ত্রিত শিক্ষা প্রতিষ্টানে কিছু মুরীদী আলেম ও বিদাতী হুজুর তৈরী করে তাদের তাবিজ, ঝাড়-ফুক, মাঝার ব্যবসার প্রসার ও স্হায়ীত্ব বৃদ্ধি করে।”লোকদের মালামাল অন্যায় ভাবে ভোগ করে ও আল্লাহর পথ হতে লোকদের নিবৃত রাখছে”(সুরা তওবা:৩৪) ★পীর মারা গেলে মাঝার বানিয়ে ওয়ারিশরা স্হায়ী শির্কী-মাঝারী ব্যবসা ও বাৎসরিক ওরশ ব্যবসা করে। অথচ নবী(স) কবর পাকা করতে, তার উপর বসতে ও তার উপর ইমারত নির্মান করতে নিষেধ করেছেন(মুসলিম:৯৭১, নাসাঈ:২০৪০, দাউদ:৩২২৮) ★পীরেরা বলে আব্দুল কাদের জিলানী(রহ) নাকি মায়ের পেট থেকে ১৮ পারা কোরআন হাফেজ করেছে। কুরআন বলে,” আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের মায়ের পেট্ থেকে বের করেন, তোমরা কিছুই জানতে না(সুরা নাহল:৭৮)। ★পীরের সন্তান(সাহজাদা) বাবার পীর ব্যবসা ধরে? নামের সাথে শির্কী-বিদাতী টাইটেল লাগায়। যেমনঃ-গাউসুল আযম(মহান উদ্ধারকারী) এটি শির্কী টাইটেল?……ইত্যাদি। ★পীরেরা ধোকাবাজ, প্রতারক? তারা মুরীদেরকে হাশরের দিন সুপারিশ/ জাহাজ নিয়ে পার করার আশ্বাস দেয়। অথচ আল্লাহ বলেন,” তোমরা ভয় কর সেই দিনকে, যে দিন কেউ কারও উপকারে আসবে না(সুরা বাকারা:৪৮) লঙ্গন:-মুসলিম:৪১১ ★আল্লাহ বলেন,”আল্লাহকে ডাকতে কোন বান্দা(রহ) বা পীরের মাধ্যম লাগে না (সুরা ফাতিহা:৪, বাকারা:১৮৬, ইউনুস:১০৬, আনকাবুত: ১৭, মুমিন:৬০, সাফ্ফাত: ৭৫) ★কিছু পীর মারেফতের ভ্রান্ত ব্যাখ্যা দিয়ে ঈবাদত করে না। অথচ নবী(স) সকল অবস্হায় এমন কি মৃত্যুর পূর্ব মুহুর্থ পর্যন্ত এবাদত করেছেন! ★মুরীদরা তাদের পীর ও মাঝারকে সেজদাহ দিয়ে শির্ক করে। আল্লাহ বলেন,” তারা আল্লাহর পরিবর্তে যাকে ডাকে, আল্লাহ তা জানেন।তিনি শক্তিশালী, প্রজ্ঞাময় (সুরা আন কাবুত: ৪১, ৪২) ★এখানে পীর বলতে ভ্রান্ত পীরদের বুঝানো হল। তারা কুরআন হাদীসের এত গুলো আয়াত বর্জন করে কি মুমিন থাকে? অথচ সকল আয়াত মানা সব বান্দার জন্য ফরজ(বাকারা:২০৮)। ★প্রকৃত/হাক্কানী পীরগন, কুরআন ও সুন্নাহ অনুসারী হন(মুহাম্মদ:৩৩)! তাঁরা ধর্ম নিয়ে ব্যবসা(পীর-মুরিদী ও মাঝার) করেন না বা আল্লাহ ছাড়া কারও কাছে কোন বিনিময় ও চান না! তাঁদেরকে বান্দারা সিজদাহ করে না! তাঁরা হক্ব দলিলসহ ধর্ম শিখান ও প্রচার করেন!! তাঁরা বান্দাদের কাছে শিক্ষক তুল্য সম্মানী হন!
    Mahbubul Islam Khokon
  • July 3
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 10:40am

    Sogood Islam Syeds

    কিয়ামতের দিবসের কঠিন ভয়াবহতা! ১. রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, ”কিয়ামতের দিন সকল মানুষকে খালি পা, বস্ত্রহীন ও খাৎনাবিহীন অবস্থায় হাশরের মাঠে একত্রিত করা হবে। হযরত আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ আমি তখন জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসূল (সঃ)! নর- নারী সকলকেই বস্ত্রহীন অবস্থায় উঠানো হবে আর মানুষ একে অপরকে দেখবে? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ হে আয়েশা (রাঃ)! তখনকার অবস্থা এতই ভয়াবহ হবে যে, মানুষ তখন নিজ নিজ চিন্তায় নিমগ্ন থাকবে। একে অপরের দিকে তাকাবার অবকাশ পাবে না।” (সহীহ বুখারী) ২. হযরত আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ”তিনি একদিন দোযখের কথা স্মরণ করে কেঁদে উঠলেন। তখন রাসূলুল্লাহ (সঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, হে আয়েশা! তুমি কেন কাঁদছো? জবাবে হযরত আয়েশা (রাঃ) বললেন, দোযখের কথা স্মরণ করে কাঁদছি। আপনারা কি কিয়ামতের দিন আপনাদের পরিবার-পরিজনের কথা স্মরণ রাখবেন? উত্তরে রাসূলুল্লাহ (সঃ) বললেনঃ তিনটি স্থানে কেউ কাউকে স্মরণ রাখবে না। তা হল- ১. মিযানের কাছে, সেখানে প্রত্যেকেই নিজের নেকীর ওজন ভারী হয় না হালকা হয়, সেই দিকেই খেয়াল থাকবে। ২. যখন আমলনামা দিয়ে বলা হবে, ওহে! লও তোমার আমলনামা, পড়ে দেখ। তখন প্রত্যেকেই এ চিন্তায় বিভোর থাকবে যে, তার আমলনামা ডান হাতে দেয়া হয়, না পিছনে থেকে বাম হাতে দেয়া হয়। ৩. পুলসিরাতের কাছে, যখন তা জাহান্নামের দুই পার্শ্বের উপর স্থাপন করা হবে।” (সুনানে আবু দাউদ)
    Jobrul Miah
  • July 3
  • Sogood Islam Syeds
    7/3, 5:24pm

    Sogood Islam Syeds

    ❤ ঈদ ❤ আহি আছে , ঈদৰ এটি চুন্নত 󾮚󾮚󾮚 ঈদুল ফিতৰৰ ছালাতত যোৱাৰ আগতে খেজুৰ খোৱা । তিনি , পাচ বা তাতোধিক অযুগ্ম ( বেযোৰ ) সংখ্যাত । 󾮜󾮜󾮜 আনাচ ইবনে মালিক ( ৰা:) য়ে কৈছে , ৰাছুল ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওৱা ছাল্লাম ঈদুল ফিতৰৰ ছালাত ( নামাজ ) ত খেজুৰ নোখোৱাকৈ বাহিৰ হোৱা নাছিল আৰু তেওঁ অযুগ্ম (বেযোৰ ) সংখ্যাত হিচাপ কৰি খাইছিল ।󾮛 󾮛󾮛 ( চহিহ বুখাৰী হাদিছ নম্বৰ ৯৫৩ )
    Afjal Hussain
  • July 4
  • Sogood Islam Syeds
    7/4, 10:01am

    Sogood Islam Syeds

    আবু সুহায়ইলা added a new photo.
    এর পরেও কি নারীদেরকে ঈদের সালাতে নেয়া থেকে আপনি বিরত থাকবেন?
    আবু সুহায়ইলা
  • Sogood Islam Syeds
    7/4, 10:02am

    Sogood Islam Syeds

    বিষয় :- মাযহাবের পরিচয় . বিস্তারিত : মাসিক আত-তাহরীক, জুলাই ২০১৬, পৃঃ ৩১।
    Hossain Mahmud Bukhari
  • July 5
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 1:41am

    Sogood Islam Syeds

    ইসলাম সহজ সাধ্য ধর্ম আল্লাহ পাক এরশাদ করেনঃ “আল্লাহ তোমাদের জন্য যা সহজ তা চান এবং যা তোমাদের জন্য কষ্টকর তা চান না” । ( সুরা বাক্কারা-১৮৫) ইসলামী শরীয়তের বিধি-বিধান, শিক্ষা-দীক্ষা, এবং আদর্শ- সভ্যতা, সংস্কৃতি, আচরণ ও নৈতিকতা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে সহজ ও সাবলীল । তা ধনী-গরীব, রাজা-প্রজা, সাবাই বরণ করতে পারে এবং এর মান দন্ডে সবাই এক, কিন্তু বেশি বেশি সৎকাজ করা ও অন্যায় থেকে বিরত থাকা বেশি মর্যাদাপূর্ণ হওয়ার মাপকাঠি ।
    জান্নাতুল ফেরদাউস
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 2:00am

    Sogood Islam Syeds

    Syed Ismat added a new photo.
    জ্ঞানী মানুষকে জিজ্ঞাসা করা
    Syed Ismat
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 2:14am

    Sogood Islam Syeds

    মগৰিবৰ আজান আৰু একামতৰ মাজত দুই ৰাকাত চুন্নত ছালাত কেতিয়াবা পঢ়িছেনে? নে এই বিষয়ে শুনাই নাই?
    Sogood Islam Syeds
  • July 5
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 1:57pm

    Sogood Islam Syeds

    আমি তাহাজ্জুদ ছালাত আদায় করার চেষ্টা করি। অনেক সময় জাগতে না পারায় ছুটে যায়। এমতাবস্থায় কিভাবে বিতর পড়তে হবে? – – উত্তর : তাহাজ্জুদ ছালাত ছুটে গেলে দিনে পড়ে নেয়া ভাল। আয়েশা (রাঃ) বলেন, যে কোন কারণে রাতে ছালাত ছুটে গেলে, নবী করীম (ছাঃ) দিনে ১২ রাক‘আত ছালাত আদায় করতেন (মুসলিম হা/১৭৩৯, ৪৩ ‘মুসাফিরের ছালাত’ অধ্যায়)। তাহাজ্জুদ রাসূলের জন্য ছিল নির্ধারিত নফল ছালাত (বনু ইস্রাঈল ৭৯)। অন্যদেরকেও রাত্রির নফল ছালাত আদায়ে উৎসাহিত করা হয়েছে। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ফরয ছালাতের পর সর্বোত্তম ছালাত হ’ল রাতের ছালাত’ (মুসলিম, মিশকাত হা/২০৩৯)। তিনি বলেন, আল্লাহ্র নিকট প্রিয়তম নেক আমল হ’ল যা নিয়মিত করা হয়। যদিও তা কম হয়’ (মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১২৪২)। কিন্তু দুর্বল মানুষ সবসময় একটি নেক আমল নিয়মিতভাবে করতে সক্ষম হয় না। সেকারণ তিনি বলেন, ‘তাহাজ্জুদের নিয়তে ঘুমিয়ে গেলেও পরে যদি কেউ সময়মত উঠতে না পারে, তাহ’লে নিয়তের কারণে ঐ ব্যক্তি পূর্ণ নেকী পাবে এবং উক্ত ঘুম তার জন্য ছাদাক্বা হবে’ (নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, ইরওয়া হা/৪৫৪)। অন্যত্র তিনি বলেন, ‘যদি কেউ আগ রাতে বিতরের পর দু’রাক‘আত নফল ছালাত আদায় করে এবং শেষ রাতে তাহাজ্জুদে উঠতে সক্ষম না হয়, তাহ’লে উক্ত দু’রাক‘আত তার জন্য যথেষ্ট হবে’ (দারেমী, মিশকাত হা/১২৮৬)। আল্লাহ বলেন, যারা ঈমান আনে ও সৎকর্ম করে, তাদের জন্য রয়েছে অবিচ্ছিন্ন পুরস্কার’ (হা-মীম সাজদাহ ৮, তীন ৬)। অতএব দু’এক রাত ছুটে গেলেও তাহাজ্জুদের অভ্যাস জারি রাখা কর্তব্য। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ বিতর রেখে ঘুমিয়ে গেলে সে যেন সকালে বিতর পড়ে নেয়’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১২৬৮)। অন্য বর্ণনায় আছে, নবী করীম (ছাঃ) বলেন, ‘কেউ বিতর রেখে ঘুমিয়ে গেলে অথবা ভুলে গেলে যখন স্মরণ হবে অথবা যখন ঘুম থেকে জাগবে, তখন সে যেন বিতর পড়ে নেয়’ (তিরমিযী, মিশকাত হা/১২৭৯)। আল্লাহ আমাদের তাহাজ্জুদ গুজার বান্দা হবার হিম্মত হাসিলের তওফিক দান করুন। আমীন।
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 2:06pm

    Sogood Islam Syeds

    এক নাস্তিক ও মুসলিম এর মাঝে কথপকথন: নাস্তিক:-> আল্লাহ কোথায় ?দেখাতে পারবা? আর একটা প্রশ্ন হচ্ছে জিন জাতি আগুনের তেরী কিভাবে আল্লাহ জিন জাতী কে জাহান্নামের আগুন দ্বারা শাস্তি দিবেন?? মুসলিম:-> এর কোর-আন ও হাদিস ভিত্তিক উত্তর আল্লাহ মহান আরশে সমাসিন’ যা সাত আসমানের আনেক উপরে অবস্থিত ।যেহেতু তুমি কোর-আন হাদিসে বিশ্বাসি না এবার যুক্তিতে আস । এবার মুসলিম একটি মাটির ঢিল নিয়ে ওই নাস্তিক লোকের গায়ে ছূরে মারল দুর্ভাগ্যক্রমে তার শরীর থেকে রক্ত ঝরল সে ব্যাথা পেল..এবং চিতকার করতে লাগল আর মুসলিম টাকে গালি গালছ করতে লাগল । এবার মুসলিম লোক টা বলল এর মাঝেই তোমার 2 টি প্রশ্নেই উওর আছে । নাস্তিক বলল কিভাবে? তখন মুসলিম লোকটি বলল আমি তোমাকে ঢিল মারছি তাতে কি তুমি ব্যাথা পাইছ’ আর তুমি কি তোমার ব্যাথা দেখাইতে পারবা?? নাস্তিক তখন বলল ব্যাথা দেখানো যায় না অনুভব করা যায় । তখন মুসলিম বলল আল্লাহ কে দেখা যায় না তবে অনুভব করা যায় আর কিয়ামতের মাঠে অবশ্যই মানুষ আল্লাহ কে ওই ভাবেই দেখবে যে ভাবে মানুষ পূনিমার চাদ দেখতে পায়। আর 2য় প্রশ্নের উওর তুমি তো মানুষ , তোমার মাঝে যে মৌলিক উপাধান বিদ্য মান মাটিতেও তো সেই মৌলিক উপাদান বিদ্যমান সে হিসেবে তুমি তো মাটির তৈরী মাটির ঢিল দ্বারা আঘাত করলে তুমি ব্যাথা পাবে কেন? নিশ্চই আল্লাহ মহা শক্তিশালি । জাহান্নাম কে পূর্ন করবেন মানুষ ও জিন দ্বারা । জাহান্নামের আগুনের উত্তাপ দুনিয়ার আগুনে চয়ে 70 গুন বেশি । “অতএব হে জিন ও মানব তোমরা উভয়ে তোমাদের প্রতিপালকের কোন কোন অনুগ্রহকে অস্বীকার করবে = সুরা আর-রহমান ।
    Jhony Ahmed
  • Sogood Islam Syeds
    7/5, 3:54pm

    Sogood Islam Syeds

    আজকেই বইটি কিনলাম। আপনার কপিটি আপনিও সংগ্রহ করুন। বই- ঈদের সালাতের অতিরিক্ত তাকবীর লেখক- ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রহ. এই বইতে লেখক নিরপেক্ষভাবে ঈদের সালাতের অতিরিক্ত তাকবিরের হাদিসগুলো বিশ্লেষন করেছেন। ঈদের তাকবির নিয়ে আমাদের ভেতর অনেক ঝগড়া বিবাদ আছে। এই বইটি পড়লে তা অনেকাংশেই কেটে যাবে ইনশাআল্লাহ । ডাউনলোড করতে ভিজিট করুন – http://www.assunnahtrust.com
    Mohammad Ashaduzzaman Nur
  • July 6
  • Sogood Islam Syeds
    7/6, 1:36am

    Sogood Islam Syeds

    আআচ্ছালামুআলাইকুম , গুৱাহাটী মহানগৰীৰ আৰু কাষৰ সকলোবোৰ বন্ধুলৈ এখন অনুৰোধোৰ চিঠি ! । আপোনালোকে নিশ্চয় জানে যে ঈদ হল আমাৰ আটাইতকৈ ডাঙৰ ধৰ্মীয় উৎসব আৰু এই উৎসৱৰ প্ৰধান এবাদতটো হৈছে ঈদোৰ ছলাত বা নমাজ , কিন্তু আপুনি কেতিয়াবা চিন্তা কৰি চাইছে নে যে আপুনি বছৰোত এবাৰ আদায় কৰিবলৈ সৌভাগ্য হোৱা এই নমাজ আল্লাহ তা’লাৰ ওচৰত কবুল হল নে নাই ? আমি শতভাগ নিশ্চিত যে আল্লাহ তা’লাৰ কছম আপোনাৰ ঈদোৰ নমাজ কবুল নহয় । কিয়নো আপুনি ঈদোৰ নমাজ পৰি আছে ৩+৩ তাকৱিৰত , যাৰ কোনো হাদিছ ৰছুল ছঃ ৰ পৰা নাই । ৰছুল ছঃৰ হাদিছ হল ৭+৫=১২ তাকৱিৰত পৰিবলৈ কিন্তু আপুনি ৰছুল ছঃ ৰ আদেশোক বুঢ়া আঙুলি দেখাই অমান্য কৰি আছে কাৰ কথাত ?????? এটা কথা মনত ৰাখিব যে আল্লাহৰ ওচৰত আপোনাৰ হিচাপ আপোনাৰহে দিব লাগিব । আপোনাৰ ইমাম চাহাবে নিদিয়ে । গতিকে আপোনাৰ প্ৰতি বিনম্ৰ অনুৰোধ কমপক্ষে আপুনি ঈদোৰ নমাজটো ছহিহ হাদিছ অনুযায়ী ৰছুল ছঃৰ তৰিকাত আদায় কৰক । বিঃদ্ৰঃ = গোটেই গুৱাহাটী মহানগৰীত মাত্র এখন মাছজিদ (দক্ষিণগাওঁ আহলেহাদিছ জামে মাছজিদ) যত ছহিহ হাদিছ অনুযায়ী যিকোনো আম’ল কৰাৰ চেষ্টা কৰা হয় ।
    Md Sanowar Hussain
  • Sogood Islam Syeds
    7/6, 4:24am

    Sogood Islam Syeds

    বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ সমূহ বুকের উপর হাত বাঁধার ছহীহ হাদীছ সমূহ : রাসূল (ছাঃ) সর্বদা বুকের উপর হাত বেঁধে ছালাত আদায় করতেন। উক্ত মর্মে একাধিক ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে। নিম্নে কয়েকটি পেশ করা হল : (1) عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ قَالَ كَانَ النَّاسُ يُؤْمَرُوْنَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ الْيَدَ الْيُمْنَى عَلَى ذِرَاعِهِ الْيُسْرَى فِي الصَّلَاةِ قَالَ أَبُوْ حَازِمٍ لَا أَعْلَمُهُ إِلَّا يَنْمِىْ ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ 🁲. (১) সাহল বিন সা‘দ (রাঃ) বলেন, লোকদেরকে নির্দেশ দেওয়া হত, মুছল্লী যেন ছালাতের মধ্যে তার ডান হাত বাম হাতের বাহুর উপর রাখে। আবু হাযেম বলেন, এটা রাসূল (ছাঃ)-এর দিকেই ইঙ্গিত করা হত বলে আমি জানি।[1] ইমাম বুখারী (রহঃ) অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন, بَابُ وَضْعِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى ‘ছালাতের মধ্যে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা অনুচ্ছেদ’।[2] উল্লেখ্য যে, ইমাম নববী (রহঃ) নিম্নোক্ত মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন- ‘তাকবীরে তাহরীমার পর ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে বুকের নীচে নাভীর উপরে রাখা’।[3] অথচ হাদীছে ‘বুকের নীচে নাভীর উপরে’ কথাটুকু নেই। মূলতঃ পুরো ডান হাতের উপর বাম হাত রাখলে বুকের উপরই চলে যায়। যেমন উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, وَمِثْلُهُ حَدِيْثُ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ كَانَ يَضَعُ الْيُمْنىَ عَلَى ظَهْرِ كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَ السَّاعِدِ رَوَاهُ أَبُوْدَاؤُدَ وَ النَّسَائِىُّ بِسَنَدِ صَحِيْحٍ وَ هَذِهِ الْكَيْفِيّةُ نَسْتَلْزِمُ أَنْ يَّكُوْنَ الْوَضْعُ عَلَى الصَّدْرِ إِذَا أَنْتَ تَأَمَّلْتَ ذَلِكَ وَعَمِلْتَ بِهَا فَجَرِّبْ إِنْ شِئْتَ وَ مِمَّا يَنْبَغِىْ أَنْ يَّعْلَمَ أَنَّهُ لَمْ يَصِحُّ عَنْهُ 🁲 الْوَضْعُ عَلَى غَيْرِ الصَّدْرِ كَحَدِيْثِ وَ السُّنَّةُ وَضْعُ الْكَفِّ فِى الصَّلاَةِ تَحْتَ السُّرَّةِ. ‘অনুরূপ ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) ডান হাত বাম হাতের পাতা, হাত ও বাহুর উপর রাখতেন। যা ছহীহ সনদে আবুদাঊদ ও নাসাঈ বর্ণনা করেছেন। এই পদ্ধতিই আমাদের জন্য অপরিহার্য করে যে হাত রাখতে হবে বুকের উপর। যদি আপনি এটা বুঝেন এবং এর প্রতি আমল করেন। অতএব আপনি চাইলে যাচাই করতে পারেন। আর এ সম্পর্কে যা জানা উচিৎ তা হল, বুকের উপর ছাড়া অন্যত্র হাত বাঁধার বিষয়টি রাসূল (ছাঃ) থেকে ছহীহ হিসাবে সাব্যস্ত হয়নি। যেমন একটি হাদীছ, ‘সুন্নাত হল ছালাতের মধ্যে নাভীর নীচে হাতের পাতা রাখা’ (এই বর্ণনা সঠিক নয়)।[4] বিশেষ জ্ঞাতব্য : সুধী পাঠক! ছহীহ বুখারীতে বর্ণিত উক্ত হাদীছের অনুবাদ করতে গিয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন অনুবাদে ‘ডান হাত বাম হাতের কবজির উপরে’ মর্মে অনুবাদ করা হয়েছে।[5] আধুনিক প্রকাশনী কর্তৃক প্রকাশিত বুখারীতেও একই অনুবাদ করা হয়েছে।[6] অথচ ইসলমিক ফাউন্ডেশন প্রকাশিত একই খন্ডের মধ্যে অন্যত্র এর অর্থ করা হয়েছে ‘বাহু’।[7] কিন্তু ‘বাহু’ আর ‘কব্জি’ কি এক বস্ত্ত? সব হাদীছ গ্রন্থে ‘যিরা’ অর্থ ‘বাহু’ করা হয়েছে। যেমন রাসূল (ছাঃ) ওযূ করার সময় মুখমন্ডল ধৌত করার পর বাহুর উপর পানি ঢালতেন।[8] এছাড়া আরবী কোন অভিধানে ‘যিরা’ শব্দের অর্থ ‘কব্জি’ করা হয়নি। অতএব কোন সন্দেহ নেই যে, নাভীর নীচে হাত বাঁধার ত্রুটিপূর্ণ আমলকে প্রমাণ করার জন্যই উক্ত কারচুপি করা হয়েছে। অথচ অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে যে, রাসূল (ছাঃ) তাঁর ডান হাতটি বাম হাতের পাতা, কব্জি ও বাহুর উপর রাখতেন, যা পূর্বে আলবানীর আলোচনায় পেশ করা হয়েছে। (2) عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ قَالَ لَأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلاَةِ رَسُوْلِ اللهِ 🁲 كَيْفَ يُصَلِّى فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ فَقَامَ فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا بِأُذُنَيْهِ ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ فَلَمَّا أَرَادَ أَنْ يَرْكَعَ رَفَعَ يَدَيْهِ مِثْلَهَا … (২) ওয়ায়েল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন, আমি অবশ্যই রাসূল (ছাঃ)-এর ছালাতের দিকে লক্ষ্য করতাম, তিনি কিভাবে ছালাত আদায় করেন। আমি তাঁর দিকে লক্ষ্য করতাম যে, তিনি ছালাতে দাঁড়াতেন অতঃপর তাকবীর দিতেন এবং কান বরাবর দুই হাত উত্তোলন করতেন। তারপর তাঁর ডান হাত বাম হাতের পাতা, কব্জি ও বাহুর উপর রাখতেন। অতঃপর যখন তিনি রুকূ করার ইচ্ছা করতেন তখন অনুরূপ দুই হাত উত্তোলন করতেন…।[9] উল্লেখ্য যে, ‘মাযহাব বিরোধীদের স্বরূপ সন্ধানে’ বইটিতে উক্ত হাদীছটির পূর্ণ অর্থ করা হয়নি; বরং অর্থ গোপন করা হয়েছে।[10] তাছাড়া ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে অর্থ পরিবর্তন করার উদ্দেশ্যে দুইটি শব্দে ভুল হরকত দেয়া হয়েছে।[11] সুধী পাঠক! উক্ত হাদীছ প্রমাণ করে যে, রাসূল (ছাঃ) ডান হাতটি পুরো বাম হাতের উপর রাখতেন। এমতাবস্থায় হাত নাভীর নীচে যাওয়ার প্রশ্নই আসে না। এইভাবে হাত রেখে নাভীর নীচে স্থাপন করতে চাইলে মাজা বাঁকা করে নাভীর নীচে হাত নিয়ে যেতে হবে, যা উচিৎ নয়। আমরা এবার দেখব রাসূল (ছাঃ) তাঁর দুই হাত কোথায় স্থাপন করতেন। (3) عَنْ طَاوُسٍ قَالَ كَانَ رَسُوْلُ اللهِ 🁲 يَضَعُ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ الْيُسْرَى ثُمَّ يَشُدُّ بَيْنَهُمَا عَلَى صَدْرِهِ وَهُوَ فِي الصَّلَاةِ. (৩) ত্বাঊস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) ছালাতের মধ্যে তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতেন এবং উভয় হাত বুকের উপর শক্ত করে ধরে রাখতেন।[12] যরূরী জ্ঞাতব্য : ভারতীয় ছাপা আবুদাঊদে হাত বাঁধা সংক্রান্ত একটি হাদীছও উল্লেখিত হয়নি। এর কারণ সম্পূর্ণ অজানা। তবে ইমাম আবুদাঊদ নাভীর নীচে হাত বাঁধা সম্পর্কে বর্ণিত বর্ণনাগুলোকে যঈফ বলেছেন। আর বুকের উপর হাত বাঁধার হাদীছটিকে ছহীহ হিসাবে পেশ করতে চেয়েছেন। কারণ উক্ত হাদীছ সম্পর্কে কোন মন্তব্য করেননি। সে জন্যই হয়ত কোন হাদীছই উল্লেখ করা হয়নি।[13] উল্লেখ্য যে, উক্ত হাদীছকে অনেকে নিজস্ব গোঁড়ামী ও ব্যক্তিত্বের বলে যঈফ বলে প্রত্যাখ্যান করতে চান। মুহাদ্দিছগণের মন্তব্যের তোয়াক্কা করেন না। নিজেকে শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিছ বলে পরিচয় দিতে চান। অথচ আলবানী উক্ত হাদীছ উল্লেখ করে বলেন, رَوَاهُ أَبُوْ دَاوُدَ بِإِسْنَادٍ صَحِيْحٍ عَنْهُ ‘আবুদাঊদ ত্বাঊস থেকে এই হাদীছকে ছহীহ সনদে বর্ণনা করেছেন’। অতঃপর তিনি অন্যের দাবী খন্ডন করে বলেন, وَهُوَ وَإِنْ كَانَ مُرْسَلاً فَهُوَ حُجَّةٌ عِنْدَ جَمِيْعِ الْعُلَمَاءِ عَلَى اخْتِلاَفِ مَذَاهِبِهِمْ فِى الْمُرْسَلِ لِأَنَّهُ صَحِيْحُ السَّنَدِ إِلَى الْمُرْسَلِ وَقَدْ جاَءَ مَوْصُوْلاً مِنْ طُرُقٍ كَمَا أَشَرْنَا إِلَيْهِ آنِفًا فَكاَنَ حُجَّةً عِنْدَ الْجَمِيْعِ. ‘ত্বাউস যদিও মুরসাল রাবী তবুও তিনি সকল মুহাদ্দিছের নিকট দলীলযোগ্য। কারণ তিনি মুরসাল হলেও সনদের জন্য ছহীহ। তাছাড়াও এই হাদীছ মারফূ‘ হিসাবে অনেকগুলো সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমনটি আমি এই মাত্রই উল্লেখ করলাম। অতএব তা সকল মুহাদ্দিছের নিকট দলীলযোগ্য।[14] এছাড়াও এই হাদীছকে আলবানী ছহীহ আবুদাঊদে উল্লেখ করেছেন।[15] (৪) عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ رضي الله عنه قَالَ صَلَّيْتُ مَعَ اَلنَّبِيِّ 🁲 فَوَضَعَ يَدَهُ اَلْيُمْنَى عَلَى يَدِهِ اَلْيُسْرَى عَلَى صَدْرِهِ. (৪) ওয়াইল ইবনু হুজর (রাঃ) বলেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-এর সাথে ছালাত আদায় করেছি। তিনি তাঁর ডান হাত বাম হাতের উপর স্থাপন করে বুকের উপর রাখতেন।[16] উক্ত হাদীছের টীকায় শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, إِسْنَادُهُ ضَعِيْفٌ لِأَنَّ مُؤَمَّلاً وَهُوَ ابْنُ إِسْمَاعِيْلَ سَيِّئُ الْحِفْظِ لَكِنَّ الْحَدِيْثَ صَحِيْحٌ جَاءَ مِنْ طُرُقٍ أُخْرَى بِمَعْنَاهُ وَفِى الْوَضْعِ عَلَى الصَّدْرِ أَحَادِيْثُ تَشْهَدُ لَهُ. ‘এর সনদ যঈফ। কারণ তা ত্রুটিপূর্ণ। আর তিনি হলেন ইবনু ইসমাঈ। তার স্মৃতি শক্তি দুর্বল। তবে হাদীছ ছহীহ। এই হাদীছ অন্য সূত্রে একই অর্থে বর্ণিত হয়েছে। বুকের উপর হাত রাখার আরো যে হাদীছগুলো আছে, সেগুলো এর জন্য সাক্ষ্য প্রদান করে’। ইমাম শাওকানী উক্ত হাদীছ সম্পর্কে বলেন, وَ لاَشَيْءَ فِى اْلبَابِ أَصَحُّ مِنْ حَدِيْثِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ الْمَذْكُوْرِ فِىْ صَحِيْحِ ابْنِ خُزَيْمَةَ ‘হাত বাঁধা সম্পর্কে ছহীহ ইবনু খুযায়মাতে ওয়ায়েল বিন হুজর (রাঃ) বর্ণিত হাদীছের চেয়ে বিশুদ্ধ কোন হাদীছ আর নেই’।[17] তাছাড়া একই রাবী থেকে অন্যত্র ছহীহ হাদীছ বর্ণিত হয়েছে, যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। (5) عَنْ قَبِيْصَةَ بْنِ هُلْبٍ عَنْ أَبِيْهِ قَالَ رَأَيْتُ النَّبِىَّ 🁲 يَنْصَرِفُ عَنْ يَمِيْنِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ وَرَأَيْتُهُ قَالَ يَضَعُ هَذِهِ عَلَى صَدْرِهِ وَضَعَ يَحْيَى الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَوْقَ الْمِفْصَلِ. (৫) ক্বাবীছাহ বিন হুলব তার পিতা থেকে বর্ণনা করেন, তার পিতা বলেছেন, আমি রাসূল (ছাঃ)-কে ডান ও বামে ফিরতে দেখেছি এবং হাতকে বুকের উপর রাখার কথা বলতে শুনেছি। অতঃপর ইয়াহইয়া ডান হাত বাম হাতের কব্জির উপর রাখেন।[18] উল্লেখ্য যে, কেউ কেউ উক্ত হাদীছকে ত্রুটিপূর্ণ বলেছেন। কিন্তু তাদের দাবী সঠিক নয়। কারণ রাবী ক্বাবীছার ব্যাপারে কথা থাকলেও এর পক্ষে অনেক সাক্ষী রয়েছে। ফলে তা হাসান।[19] (6) عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ رَضِيَ الله عَنْهُمَا قَالَ قَالَ رَسُوْلُ الله 🁲 إِنَّا مَعْشَرَ الأَنْبِيَاءِ أُمِرْنَا أَنْ نُعَجِّلَ إِفْطَارَنَا وَأَنْ نُؤَخِّرَ سَحُوْرَنَا وَنَضَعَ أَيْمَانَنَا عَلَى شَمَائِلِنَا فِي الصَّلاَةِ. (৬) ইবনু আব্বাস (রাঃ) বলেন, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আমরা নবীদের দল। আমাদেরকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে- আমরা যেন দ্রুত ইফতার করি এবং দেরিতে সাহারী করি। আর ছালাতের মধ্যে আমাদের ডান হাত বাম হাতের উপর যেন রাখি।[20] [1]. ছহীহ বুখারী হা/৭৪০, ১/১০২ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭০৪, ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২)। ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৮৭ بَابُ وَضْعِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى। [2]. ছহীহ বুখারী ১/১০২ পৃঃ। [3]. ছহীহ মুসলিম ১/১৭৩ পৃঃ, হা/৯২৩-এর অনুচ্ছেদ-১৫, ‘ছালাত’ অধ্যায়- باَبُ وَضْعِ يَدِهِ الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى بَعْدَ تَكْبِيْرَةِ الإِحْرَامِ تَحْتَ صَدْرِهِ فَوْقَ سُرَّتِهِ وَوَضْعِهِمَا فِى السُّجُوْدِ عَلَى الأَرْضِ حَذْوَ مَنْكِبَيْهِ। [4]. মিশকাত হা/৭৯৮ -এর টীকা দ্রঃ, ১/২৪৯ পৃঃ। [5]. বুখারী শরীফ (ঢাকা : ইসলামিক ফাউন্ডেশন, নবম সংস্করণ, জানুয়ারী ২০১২), ২য় খন্ড, পৃঃ ১০২, হা/৭০৪। [6]. সহীহ আল-বুখারী (ঢাকা : আধুনিক প্রকাশনী, বাংলা বাজার, জুন ১৯৯৭), ১ম খন্ড, পৃঃ ৩২২, হা/৬৯৬। [7]. বুখারী শরীফ ২য় খন্ড, পৃঃ ৯, হা/৫০৭; ৭ম খন্ড, পৃঃ ২৩১, হা/৪০৭৬; ছহীহ বুখারী হা/৫৩২, ১/৭৬ পৃঃ ও হা/৪৪২১। [8]. ছহীহ মুসলিম হা/১৫৯৭, ‘মসজিদ’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৫৬, উল্লেখ্য যে, ভারতীয় ছাপায় হাদীছটি নেই, ১/২৪০-২৪১; মিশকাত হা/৩৯২২; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৩৭৪৬, ৮/২২ পৃঃ; আবাদাঊদ হা/১৩৫, ১/১৮ পৃঃ; মুসনাদে আহমাদ হা/১০০৮ -ثُمَّ قَالَ لَهُ صُبَّ فَصَبَّ عَلَيْهِ فَغَسَلَ كَفَّهُ ثَلاَثاً وَأَدْخَلَ كَفَّهُ الْيُمْنَى فَمَضْمَضَ وَاسْتَنْشَقَ ثَلاَثاً ثُمَّ أَدْخَلَ كَفَّيْهِ فَغَسَلَ وَجْهَهُ ثَلاَثاً ثُمَّ أَدْخَلَ كَفَّهُ الْيُمْنَى فَغَسَلَ ذِرَاعَهُ الأَيْمَنَ ثَلاَثاً ثُمَّ غَسَلَ ذِرَاعَهُ الأَيْسَرَ ثَلاَثاً فَقَالَ هَذَا وُضُوْءُ رَسُوْلِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ । [9]. নাসাঈ হা/৮৮৯, ১/১০২ পৃঃ; আবুদাঊদ হা/৭২৭, পৃঃ ১০৫; আহমাদ হা/১৮৮৯০; ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৪৮০; ইবনু হিববান হা/১৮৬০, সনদ ছহীহ। [10]. ঐ, পৃঃ ২৯০। [11]. আবুদাঊদ, পৃঃ ১০৫। [12]. আবুদাঊদ হা/৭৫৯, সনদ ছহীহ। [13]. আবুদাঊদ, পৃঃ ১২২। [14]. ইরওয়াউল গালীল ২/৭১ পৃঃ। [15]. ছহীহ আবুদাঊদ হা/৭৫৯। [16]. ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/৪৭৯, ১/২৪৩ পৃঃ; বলূগুল মারাম হা/২৭৫। [17]. নায়লুল আওত্বার ৩/২৫ পৃঃ। [18]. আহমাদ হা/২২০১৭; সনদ হাসান। [19]. আলবানী, আহকামুল জানাইয, পৃঃ ১১৮ – فمثله حديثه حسن في الشواهد ولذلك قال الترمذي بعد أن خرج له من هذا الحديث أخذ الشمال باليمين حديث حسن فهذه ثلاثة أحاديث في أن السنة الوضع على الصدر ولا يشك من وقف على مجموعها في أنها صالحة للاستدلال على ذلك.। [20]. ইবনু হিববান হা/১৭৬৭; সনদ ছহীহ, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ৮৭; ইবনু ক্বাইয়িম, তাহযীব সুনানে আবী দাঊদ ১/১৩০ – حَدِيث أَبِي حُمَيْدٍ هَذَا حَدِيث صَحِيح مُتَلَقًّى بِالْقَبُولِ لَا عِلَّة لَهُ وَقَدْ أَعَلَّهُ قَوْم بِمَا بَرَّأَهُ اللَّه ।
    Qk Nizam
  • Sogood Islam Syeds
    7/6, 4:27am

    Sogood Islam Syeds

    Qk Nizam added a new photo.
    রাফ‘উল ইয়াদায়েনের গুরুত্ব ও ফযীলত রাফ‘উল ইয়াদায়েনের গুরুত্ব ও ফযীলত : (১) ইবনু ওমর (রাঃ)-এর ভূমিকা- عَنْ نَافِعٍ أَنَّ ابْنَ عُمَرَ كَانَ إِذَا رَأَى رَجُلًا لَا يَرْفَعُ يَدَيْهِ إِذَا رَكَعَ وَإِذَا رَفَعَ رَمَاهُ بِالْحَصَى. নাফে‘ (রাঃ) বলেন, নিশ্চয় ইবনু ওমর (রাঃ) যখন কোন ব্যক্তিকে দেখতেন যে, সে রুকূতে যাওয়া ও উঠার সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করছে না, তখন তিনি তার দিকে পাথর ছুড়ে মারতেন।[1] (২) উক্ববা বিন আমের (রাঃ)-এর দাবী- قَالَ عُقْبَةُ بْنُ عَامِرٍ الْجُهَنِىُّ صَاحِبُ رَسُوْلِ اللهِ 🁲 إِذَا رَفَعَ يَدَيْهِ عِنْدَ الرٌّكُوْعِ وَعِنْدَ رَفْعِ رَأْسِهِ مِنَ الرٌّكُوْعِ فَلَهُ بِكُلِّ إِشَارَةٍ عَشْرُ حَسَنَاتٍ. রাসূল (ছাঃ)-এর ছাহাবী উক্ববা ইবনু আমের আল-জুহানী (রাঃ) বলেন, যখন মুছল্লী রুকূতে যাওয়ার সময় এবং রুকূ থেকে উঠার সময় রাফ‘উল ইয়াদায়েন করবে, তখন তার জন্য প্রত্যেক ইশারায় দশটি করে নেকী হবে।[2] শায়খ নাছিরুদ্দ্বীন আলবানী (রহঃ) উক্ত হাদীছ বর্ণনা করার পর বলেন, একটি হাদীছে কুদসী এই কথার সাক্ষী। আল্লাহ বলেন, .. যে ব্যক্তি একটি নেকীর কাজ করার ইচ্ছা পোষণ করবে অতঃপর তা করে ফেলবে, আল্লাহ তার জন্য ১০ থেকে ৭০০ নেকী লিপিবদ্ধ করবেন’।[3] (৩) ইমাম বুখারীর উস্তায আলী ইবনুল মাদ্বীনী (১৬১-২৩৪ হিঃ) ইবনু ওমর (রাঃ)-এর বর্ণিত হাদীছ সম্পর্কে বলেন, هَذَا الْحَدِيْثُ عِنْدِىْ حُجَّةٌ عَلَى الْخَلْقِ كُلُّ مَنْ سَمِعَهُ فَعَلَيْهِ أَنْ يَعْمَلَ بِهِ لِأَنَّهُ لَيْسَ فِيْ إِسْنَادِهِ شَيْءٌ. ‘এই হাদীছ আমার নিকটে সমগ্র উম্মতের জন্য দলীল স্বরূপ। প্রত্যেকে যে এই হাদীছ শুনবে তার উপরই আমল করা ওয়াজিব হয়ে যাবে। কারণ এই হাদীছের সনদে কোন ত্রুটি নেই’।[4] (৪) ইমাম বুখারী (১৯৪-২৫৬ হিঃ) বলেন, لَمْ يَثْبُتْ عَنْ أَحَدٍ مِنْهُمْ تَرْكُهُ.. قَالَ وَلَا أَسَانِيْدَ أَصَحُّ مِنْ أَسَانِيْدِ الرَّفْعِ . ‘ছাহাবীদের মধ্যে কোন একজনের পক্ষ থেকেও প্রমাণিত হয়নি যে, তিনি রাফ‘উল ইয়াদায়েন ছেড়ে দিয়েছিলেন। তিনি আরো বলেন, রাফ‘উল ইয়াদায়েনের হাদীছের সনদের চেয়ে সর্বাধিক বিশুদ্ধ আর কোন সনদ নেই’।[5] (৫) ইবনু হাজার আসক্বালানী বলেন, وَذَكَرَ الْبُخَارِيُّ أَيْضًا أَنَّهُ رَوَاهُ سَبْعَةَ عَشَرَ رَجُلًا مِنَ الصَّحَابَةِ وَذَكَرَ الْحَاكِمُ وَأَبُو الْقَاسِم بْنِ مِنْدَهْ مِمَّنْ رَوَاهُ الْعَشَرَةُ الْمُبَشَّرَةُ وَذَكَرَ شَيْخُنَا أَبُو الْفَضْلِ الْحَافِظُ أَنَّهُ تَتَبَّعَ مَنْ رَوَاهُ مِنْ الصَّحَابَةِ فَبَلَغُوْا خَمْسِيْنَ رَجُلًا. ‘ইমাম বুখারী ১৭ জন ছাহাবী থেকে রাফ‘উল ইয়াদায়েনের হাদীছ বর্ণনা করেছেন। হাকেম ও আবুল ক্বাসেম মান্দাহ জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ১০ জন ছাহাবী থেকে হাদীছ বর্ণনা করেছেন। আর হাফেয আবুল ফাযল অনুসন্ধান করে ছাহাবীদের থেকে যে সমস্ত বর্ণনা উল্লেখ করেছেন, তার সংখ্যা ৫০ জনে পৌঁছেছে’।[6] (৬) শাহ অলিউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী বলেন, وَالَّذِيْ يَرْفَعُ أَحَبُّ إِلَيَّ مِمَّنْ لاَّ يَرْفَعُ فَإِنَّ أَحَادِيْثَ الرَّفْعِ أَكْثَرُ وَأَثْبَتُ ‘যে ব্যক্তি রাফ‘উল ইয়াদায়েন করে, ঐ ব্যক্তি আমার নিকট অধিক প্রিয়- ঐ ব্যক্তির চেয়ে, যে রাফ‘উল ইয়াদায়েন করে না। কারণ রাফ‘উল ইয়াদায়েন-এর হাদীছ সংখ্যায় বেশী ও অধিকতর মযবুত’।[7] (৭) আলবানী বলেন, وَهَذَا الرّفْعُ مُتَوَتِرٌ عَنْهُ 🁲 وَكَذَلِكَ الرَّفْعُ عِْندَ الْاِعْتَدَالِ مِنَ الرُّكُوْعِ وَهُوَ مَذْهَبُ الْأَئِمَّةِ الثَّلاَثَةِ وَغَيْرِهِمْ مِنْ جَمَاهِيْرِ المُْحَدِّثِيْنَ وَالْفُقَهَاءِ وَهُوَ اَّلذِىْ مَاتَ عَلَيْهِ مَالِكٌ رَحِمَهُ اللهُ. ‘এই রাফ‘উল ইয়াদায়েনের আমল রাসূল (ছাঃ) থেকে বর্ণিত ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের হাদীছ দ্বারা অনুমোদিত। রুকূ থেকে উঠে দাঁড়িয়েও রাফ‘উল ইয়াদায়েন করতে হবে। এটা তিন ইমামের মাযহাব এবং অন্যান্য অধিকাংশ মুহাদ্দিছ ও ফক্বীহর মাযহাব। ইমাম মালেকও এর উপরই মৃত্যু বরণ করেছেন’।[8] [1]. ইমাম বুখারী, রাফ‘উল ইয়াদায়েন হা/১৪, পৃঃ ১৫; সনদ ছহীহ; সিলসিলা যঈফাহ হা/৯৪৩-এর আলোচনা দ্রঃ; বায়হাক্বী, মা‘রেফাতুস সুনান হা/৮৩৯। [2]. বায়হাক্বী, মা‘রেফাতুস সুনান হা/৮৩৯; আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ১২৯। [3]. বুখারী হা/৬৪৯১, ২/৯৬০ পৃঃ; মুসলিম হা/৩৪৯-৩৫৫- فَمَنْ هَمَّ بِحَسَنَةٍ فَلَمْ يَعْمَلْهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ حَسَنَةً كَامِلَةً فَإِنْ هُوَ هَمَّ بِهَا فَعَمِلَهَا كَتَبَهَا اللهُ لَهُ عِنْدَهُ عَشْرَ حَسَنَاتٍ إِلَى سَبْعِمِائَةِ ضِعْفٍ إِلَى أَضْعَافٍ كَثِيرَةٍ। [4]. তালখীছুল হাবীর ১/৫৩৯ পৃঃ। [5]. ফৎহুল বারী হা/৭৩৬-এর আলোচনা দ্রঃ। [6]. ফৎহুল বারী হা/৭৩৬-এর আলোচনা দ্রঃ। [7]. হুজ্জাতুল্ল­া-হিল বালিগাহ ২/১০ পৃঃ। [8]. আলবানী, ছিফাতু ছালাতিন নাবী, পৃঃ ১২৮-১২৯।
    Qk Nizam
  • July 7
  • Best Islam Salaf
    7/7, 12:50am

    Best Islam Salaf

    Musaraf Hussain added a new photo.
    (এক) ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা… ॥ পীর -মুরীদ -মাজার ও বর্তমান মুসলিম সমাজ ॥ 2011 এর শেষার্ধর থেকে ব্যক্তিগত কর্ম সন্ধান ওঁ অন্যান্য কিছু প্ৰয়োজনে ভারতবর্ষের বহু রাজ্য যেমন দিল্লী,হারিয়ানা,পাঞ্জাব,হিমাচল,ইউ পি,এম পি,ঝারখণ্ড,পি বি, ইউ কে , রাজস্হান, উত্তর পূর্বাঞ্চলের সকল রাজ্য আদি ভ্রমন করতে হয় । ভ্রমনকালে কৌতুহল বশত: অনেক মাজারে উকি মারি ।এইভাবে ছোট -বড় প্ৰায় শতকের ঘর পেরিয়ে গেছি ।কৌতুহলটা আমার এইজন্যেই যে আমাদের সকল মুসলিম এলেকাতেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন পীরের আগমন ঘটে থাকে যেটাকে প্ৰত্যক্ষ করে থাকি ও কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা ।কম বেশি প্ৰায় সকল মুসলমানেই কোনো না কোনো একজন পীরের হাতে মুরীদ (বায়াত) গ্রহণ করেছে ।কিন্তু অতি দু:খের তথা তাৎপর্য্যপৃর্ণ বিষয় যে একজন পীরের কায়দা কানুনের সাথে আরেকজন পীরের সাথে মিলেনা ।কিন্তু একটা কথাত আবার সবাই একমত যে সকলেই যেন জান্নাতের ঠিকাদার বা জান্নাত যেন তাদের কব্জাত ।যার কারণেই কোনো কোনো সময় এক পীরের ভক্তের সাথে আরেক পীরের ভক্তের সাথে তর্কা তর্কি মারা মারি হয় । যাইহোক “এক গুলিত দুই শিকার ” হ’বে বলে ভ্ৰমন কালে মাজার পরিদর্শন ও ব্যক্তিগত কর্ম । 2011 এর শেষার্ধর থেকে ব্যক্তিগত কর্ম সন্ধান ওঁ অন্যান্য কিছু প্ৰয়োজনে ভারতবর্ষের বহু রাজ্য যেমন দিল্লী,হারিয়ানা,পাঞ্জাব,হিমাচল,ইউ পি,এম পি,ঝারখণ্ড,পি বি, ইউ কে , রাজস্হান, উত্তর পূর্বাঞ্চলের সকল রাজ্য আদি ভ্রমন করতে হয় । ভ্রমনকালে কৌতুহল বশত: অনেক মাজারে উকি মারি ।এইভাবে ছোট -বড় প্ৰায় শতকের ঘর পেরিয়ে গেছি ।কৌতুহলটা আমার এইজন্যেই যে আমাদের সকল মুসলিম এলেকাতেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন রূপে বিভিন্ন পীরের আগমন ঘটে থাকে যেটাকে প্ৰত্যক্ষ করে থাকি ও কেউ অস্বীকার করতে পারবেনা ।কম বেশি প্ৰায় সকল মুসলমানেই কোনো না কোনো একজন পীরের হাতে মুরীদ (বায়াত) গ্রহণ করেছে ।কিন্তু অতি দু:খের তথা তাৎপর্য্যপৃর্ণ বিষয় যে একজন পীরের কায়দা কানুনের সাথে আরেকজন পীরের সাথে মিলেনা ।কিন্তু একটা কথাত আবার সবাই একমত যে সকলেই যেন জান্নাতের ঠিকাদার বা জান্নাত যেন তাদের কব্জাত ।যার কারণেই কোনো কোনো সময় এক পীরের ভক্তের সাথে আরেক পীরের ভক্তের সাথে তর্কা তর্কি মারা মারি হয় । যাইহোক “এক গুলিত দুই শিকার ” হ’বে বলে ভ্ৰমন কালে মাজার পরিদর্শন ও ব্যক্তিগত কর্ম । (ক্ৰমশ)
    Musaraf Hussain
  • Best Islam Salaf
    7/7, 12:53am

    Best Islam Salaf

    Remember how easy it was to perform Tawaf.
    Shaykh Mohammed Aslam
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 1:52am

    Sogood Islam Syeds

    এক মাস পর শৃংখলমুক্ত ক্রোধান্বিত শয়তান। ঈদের আনন্দের নামে গুনাহের সয়লাবের সুযোগ… আল্লাহপাক আমাদেরকে প্রবৃত্তির গোলামি থেকে দুরে রাখুন। নিরাপদ রাখুন। আসুন, ছোট্ট একটি দুয়া মুখস্ত করে আল্লাহর কাছে আশ্রয় কামনা করি। “আল্লাহম্মা রাহমাতাকা আরজু, হে আল্লাহ, আমি আপনার রহমতের আকাঙ্খী, ফা লা তাকিলনি ইলা নাফসি তারাফাতা ‘আইনি, সুতরাং এক পলকের জন্যও আমাকে আমার নাফসের ওপর ছেড়ে দেবেন না, ওয়া আছলিহ্, লী শা’নি কুল্লাহু, আর আমার সকল কাজ পরিশুদ্ধ করে দিন, লা ইলাহা ইল্লা আনতা। আপনি ছাড়া কোন ইলাহ নেই।” আল্লাহপাক আমাকে ও আপনাকে সকল নাফরমানী হতে দূরে, বহু দূরে রাখুন। জবানে জারী রাখুক, “আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ, আল্লাহু আকবার আল্লাহু আকবার, ওয়া লিল্লাহিল হামদ্”
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 1:59am

    Sogood Islam Syeds

    আহলেহাদীছ আন্দোলন কি? . ইহা দুনিয়ার মানুষকে পবিত্র কুরআন ও ছহীহ হাদীছের মর্মমূলে জমায়েত করার জন্য ছাহাবায়ে কেরামের যুগ হতে চলে আসা নির্ভেজাল ইসলামী আন্দোলনের নাম।
    Hossain Mahmud Bukhari
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 2:03am

    Sogood Islam Syeds

    আজকে ফজর সলাতের জামাত ছিল ভোর ৪ টায়। আগামীকাল ফজরের জামাত ৪:৫০ এ!!!! সলাত আদায় হবে না তা বলছি না, একদিনের ব্যবধানে ৫০ মিনিট পার্থক্য!!! সলাত দেরি করার পিছনে ফিকহ এর কথা বলে, রমযান মাসে আবার সেই ফিকহ হারিয়ে যায়!!! রমাযানের পর ফিরত আসে।
    Mohammad Alimuddin
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 2:20am

    Sogood Islam Syeds

    Shocking News- ডাঃ জাকির নায়েকের বিরুদ্ধে এবিপি আনন্দের মারাত্মক মিথ্যাচার। গর্জে উঠুন সবাই। সারা বিশ্বের মুসলিমদের প্রাণপ্রিয় নেতা ও তুলনামুলক ধর্মতত্ত্বের গবেষক মুম্বাই নিবাসী ডাঃ জাকির নায়েককে নিষিদ্ধ করতে পারে ভারত! এই ব্যাপারে এবিপি আনন্দের ওয়েবসাইটে খবর প্রকাশিত হয়েছে। সেখানে জাকির নায়েককে ‘বিতর্কিত ইসলাম প্রচারক’ বলা হয়েছে! কে বলেছে তিনি বিতর্কিত?? তিনি কেন বিতর্কিত?? কোথায় পেলেন তারা এই তথ্য?? অথচ তিনি হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিখ সবার মধ্যেই জনপ্রিয়। আরো বলা হয়েছে, তিনি নাকি মুসলিমদেরকে সন্ত্রাসবাদী হতে বলেছেন। কবে বলেছেন তিনি?? কোথায় বলেছেন?? কোথায় পেলেন তারা এই তথ্য?? প্রমান দিতে পারবেন?? অথচ সত্যিটা হল ডাঃ জাকির নায়েক সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে দেশে ও বিদেশে অসংখ্য লেকচার দিয়েছেন। এবিপি আনন্দে আরো বলা হয়েছে, তিনি নাকি ঘৃণা ছড়ান। অথচ, সত্যিটা হল, তিনি সবাইকে ভালোবাসেন ও সবাই তাকে ভালোবাসে। তার সেমিনারে হিন্দু, মুসলিম, খ্রিষ্টান, শিখ সবাই আসে। বিভিন্ন ধর্মের ধর্মীয় নেতারাও আসেন। কেউ তার বিরুদ্ধে আজ পর্যন্ত কিছু বলেন নি। এমনকি হিন্দু ধর্মীয় নেতা শঙ্করাচার্য জাকির নায়েকের প্রশংসাও করেন। আরো বলা হয়েছে, তিনি নাকি মালয়েশিয়ায় নিষিদ্ধ!! অথচ সত্যিটা হল, তিনি মালয়েশিয়ার এক জনপ্রিয় নেতা। তিনি প্রায়ই মালয়েশিয়া যান। এই তো কিছুদিন আগেও গেলেন। আমি আশা করবো, সবাই এর প্রতিবাদ করবেন। এই মিথ্যাচারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে এবিপি আনন্দের অফিস ঘেরাও করা হোক। যতক্ষন না সাংবাদিক সম্মেলন করে ক্ষমা চাইবে, ততক্ষণ ঘেরাও করে রাখা হবে। প্রতিবাদের এটাই সময়। নতুবা আর এই সুযোগ পাওয়া যাবে না। এরপর যে কোন ইমাম/নেতাকেই নিষিদ্ধ করা হবে, মিথ্যাচার করা হবে। এবিপি আনন্দে প্রকাশিত ডাঃ জাকির নায়েকের ফটোটিকে সবাই প্রোফাইল পিকচার হিসেবে সেট করুন। আর Boycott Anandabazar পেজের কভার ফোটোটি আপনার প্রোফাইলের কভার ফোটো হিসেবে সেট করুন। সবাই প্রতিবাদে এগিয়ে আসুন। এখানে আরো উল্লেখ্য, এবিপি আনন্দে জাকির নায়েককে ‘মৌলবী’ বলা হয়েছে। এই মহামুর্খরা এটা জানে না যে, তিনি মৌলবী নন, ডাক্তার। বলা হচ্ছে, বাংলাদেশের কোন জঙ্গী নাকি ফেসবুকে জাকির নায়েকের ভাষণের উদ্ধৃতি দিয়েছে! আচ্ছা, কাউকে নিষিদ্ধ করার এটা কোন যৌক্তিক কারণ হল?? এই পৃথিবীর প্রতিটি ফেসবুক ব্যবহারকারী, সে ভালো হোক কিংবা খারাপ
    IRF welcome to islamic life.
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 2:26am

    Sogood Islam Syeds

    Syed Ismat added a new photo.
    Who to be followed ?
    Syed Ismat
  • July 7
  • Sogood Islam Syeds
    7/7, 5:02pm

    Sogood Islam Syeds

    মহিলাদের লেবাস হবে কেমন ? মহিলাদের লেবাসের শর্তাবলী নিম্নরূপ: ১- লেবাস (পোশাক) যেন দেহের সর্বাঙ্গকে ঢেকে রাখে । দেহের কোন অঙ্গ বা সৌন্দর্য যেন কোন বেগানা (যার সাথে বিবাহ বৈধ) পুরুষের সামনে প্রকাশ না পায় । কেননা, নবী (সা:) বলেন: “মেয়ে মানুষের সবটাই লজ্জাস্থান (গোপনীয়) । আর সে যখন বের হয়, তখন শয়তান তাকে পুরুষের দৃষ্টিতে পরিশোভিতা করে তোলে ।” (তিরমিযী, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৩১০৯) সাহাবাদের মহিলাগণ যখন পথে চলতেন, তখন তাঁদের নিম্নাঙ্গের কাপড়ের শেষ প্রান্ত মাটির উপর ছেঁচড়ে যেত । নাপাক জায়গাতে চলার সময়েও তাদের কেউই পায়ের পাতা বের করতেন না । (মিশকাতুল মাসাবীহ: ৫০৪) ২- যে লেবাস মহিলারা পরিধান করবে সেটা যেন (বেগানা পুরুষের সামনে) সৌন্দর্যময় ও দৃষ্টি-আকর্ষী না হয় । যেহেতু মহান আল্লাহ্ বলেন, “সাধারণতঃ যা প্রকাশ হয়ে থাকে তা ছাড়া তারা যেন তাদের অন্যান্য সৌন্দর্য প্রকাশ না করে ।” (সূরা আন নূর, আয়াত: ৩১) ৩- লেবাস যেন পাতলা না হয়, যাতে কাপড়ের উপর থেকেও ভিতরের চামড়া নজরে আসে । নচেৎ ঢাকা থাকলেও খোলার পর্যায়ভুক্ত । একদা হাফসা বিনতে আব্দুর রহমান (রা:) পাতলা উড়না পরে হযরত আয়িশা (রা:) এর নিকট গেলে তিনি তার উড়নাকে ছিঁড়ে ফেলে দিলেন এবং তাকে একটি মোটা উড়না পরতে দিলেন । (মিশকাতুল মাসাবীহ: ৪৩৭৫) ৪- পোশাক (লেবাস) যেন এমন আঁট-সাঁট (টাইটফিট) না হয়, যাতে দেহের উঁচু-নিচু ব্যক্ত হয় । কারণ এমন ঢাকাও খোলার পর্যায়ভুক্ত এবং দৃষ্টি-আকর্ষী । ৫- (নিজ কক্ষের বাহিরে) যেন সুগন্ধি ব্যবহৃত লেবাস না হয় । নবী (সা:) বলেন, “সুগন্ধ ছড়ানোর উদ্দেশ্যে কোন মহিলা যদি তা ব্যবহার করে অন্য পুরুষের সামনে যায়, তবে সে ব্যভিচারীনী ।” (তিরমিযী, মিশকাত ১০৬৫) এমনকি সুগন্ধি ব্যবহার করে মহিলারা মসজিদেও যেতে পারে না । (ইবনে মাজাহ, সিলসিলাহ সহীহা: ১০৩১) ৬- লেবাস যেন কোন কাফির মহিলার অনুকৃত না হয় । কেননা, নবী (সা:) বলেন, “যে ব্যক্তি যে জাতির সাদৃশ্য অবলম্বন (লেবাসে-পোশাকে, চাল-চলনে অনুকরণ) করবে সে তাদেরই দলভুক্ত ।” -(সুনানে আবু দাউদ, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৪৩৪৭) ৭- তা যেন পুরুষের লেবাসের অনুরূপ না হয় । কারণ নবী (সা:) সেই নারীদের অভিশাপ দিয়েছেন, যারা পুরুষের বেশ ধারণ করে এবং সেই পুরুষদেরকেও অভিশাপ দিয়েছেন, যারা নারীদের বেশ ধারণ করে । (আবু দাউদ: ৪০৯৭; ইবনে মাজাহ: ১৯০৪) ৮- লেবাস যেন জাঁকজমকপূর্ণ প্রসিদ্ধজনক না হয় । কারণ এসব পোশাকে পরিধানকারীর মনে অহংকার সৃষ্টি হয় এবং দর্শকের দৃষ্টি আকর্ষণ করে । তাই নবী (সা:) বলেন, “যে ব্যক্তি দুনিয়াতে প্রসিদ্ধজনক লেবাস পরবে, আল্লাহ্ তাকে কিয়ামত দিবসে লাঞ্চনার লেবাস পরাবেন ।” (সুনানে আবু দাউদ, মিশকাতুল মাসাবীহ: ৪৩৪৬) উপরের শর্তাবলী বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় যে কোন মহিলার জন্যই যথেষ্ট কঠিন । তবে আমরা (পুরুষেরা) যদি আমাদের স্ত্রী, মেয়ে, মা ও বোনদের সহযোগীতা করি তবে তা অনেকটা সহজ হয়ে যাবে (ইন শা আল্লাহ্) । আর মহিলারা যদি পরকালীন সুখের চিন্তাটুকু মাথায় রাখে, তবে এতটুকু কষ্ট খুবই সহজ হয়ে যাবে (ইন শা আল্লাহ) এবং সাথে ফ্রী পেয়ে যাবেন ইহকালীন সম্মান ও নিরাপত্তা (ইন শা আল্লাহ্) । আল্লাহ্ আমাদেরকে বুঝতে ও মানতে সহজ করুন এবং পরকালে সম্মানিত করুন । আমীন ।
    Jahidul Hasan Sujon
  • July 8
  • Sogood Islam Syeds
    7/8, 4:11am

    Sogood Islam Syeds

    Mohammad Abu Hanif shared Mohammad Abu Hanif’s photo to the group: আমি একজন মুসলিম আমার কাজ ইসলাম প্রচার করা.
    Mohammad Abu Hanif
  • Sogood Islam Syeds
    7/8, 4:15am

    Sogood Islam Syeds

    রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল / আবদুল হামীদ ফাইযী / সপ্তদশ অধ্যায়- সুন্নত ও নফল রোযা http://www.hadithbd.com/shareqa.php?qa=4140১। শওয়ালের ছয় রোযা যে ব্যক্তির রমাযানের রোযা পূর্ণ হয়ে যাবে, তার জন্য শওয়াল মাসের ৬টি রোযা রাখা মুস্তাহাব। আর এতে তার জন্য রয়েছে বৃহৎ সওয়াব। মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি রমাযানের রোযা রাখার পরে-পরেই শওয়াল মাসে ছয়টি রোযা পালন করে সে ব্যক্তির পূর্ণ বৎসরের রোযা রাখার সমতুল্য সওয়াব লাভ হয়।’’[1] এই সওয়াব এই জন্য হবে যে, আল্লাহর অনুগ্রহে ১টি কাজের সওয়াব ১০টি করে পাওয়া যায়। অতএব সেই ভিত্তিতে ১ মাসের (৩০ দিনের) রোযা ১০ মাসের (৩০০ দিনের) সমান এবং ৬ দিনের রোযা ২ মাসের (৬০ দিনের) সমান; সর্বমোট ১২ মাস (৩৬০ দিন) বা এক বছরের সওয়াব লাভ হয়ে থাকে। আর এই ভাবে সেই রোযাদারের জীবনের প্রত্যেকটি দিন রোযা রাখা হয়! দয়াময় আল্লাহ বলেন, {مَنْ جَاءَ بِالْحَسَنَةِ فَلَهُ عَشْرُ أَمْثَالِهَا} অর্থাৎ, কেউ কোন ভাল কাজ করলে, সে তার ১০ গুণ প্রতিদান পাবে। (কুরআনুল কারীম ৬/১৬০) এই রোযা বিধিবদ্ধ হওয়ার কারণ -আর আল্লাহই ভাল জানেন – তা হল ফরয নামাযের পর সুন্নাতে মুআক্কাদার মত। যা ফরয নামাযের উপকারিতা ও তার অসম্পূর্ণতা সম্পূর্ণ করে। অনুরূপ এই ছয় রোযা রমাযানের ফরয রোযার অসম্পূর্ণতা সম্পূর্ণ করে এবং তাতে কোন ত্রুটি ঘটে থাকলে তা দূর করে থাকে। সে অসম্পূর্ণতা ও ত্রুটির কথা রোযাদার জানতে পারুক অথবা না পারুক।[2] তা ছাড়া রমাযানের ফরয রোযা রাখার পর পুনরায় রোযা রাখা রমাযানের রোযা কবুল হওয়ার একটি লক্ষণ। যেহেতু মহান আল্লাহ যখন কোন বান্দার নেক আমল কবুল করেন, তখন তার পরেই তাকে আরো নেক আমল করার তওফীক দান করে থাকেন। যেমন উলামাগণ বলে থাকেন, ‘নেক কাজের সওয়াব হল, তার পরে পুনঃ নেক কাজ করা।’[3] এই রোযার উত্তম সময় হল, ঈদের সরাসরি পরের ৬ দিন। কারণ, তাতেই রয়েছে নেক আমলের দিকে সত্বর ধাবমান হওয়ার দলীল। আর এ কথা মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর এই উক্তি ‘‘যে ব্যক্তি রমাযানের রোযা রাখার পরে-পরেই শওয়াল মাসে ছয়টি রোযা পালন করে—’’ থেকে বুঝা যায়। তদনুরূপ উত্তম হল, উক্ত ছয় রোযাকে লাগাতার রাখা। কেননা, এমনটি করা রমাযানের অভ্যাস অনুযায়ী সহজসাধ্য। আর তাতে হবে বিধিবদ্ধ নেক আমল করার প্রতি সাগ্রহে ধাবমান হওয়ার পরিচয়। অবশ্য তা লাগাতার না রেখে বিচ্ছিন্নভাবেও রাখা চলে। যেহেতু হাদীসের অর্থ ব্যাপক। কিন্তু শওয়াল মাস অতিবাহিত হয়ে গেলে তা কাযা করা বিধেয় নয়। যেহেতু তা সুন্নত এবং তার যথাসময় পার হয়ে গেছে। তাতে তা কোন ওযরের ফলে পার হোক অথবা বিনা ওযরে।[4] রমাযানের রোযা কাযা না করে শওয়ালের রোযা রাখা বিধেয় নয়। যেমন কাফ্ফারার রোযা থাকলে তা না রেখে শওয়ালের রোযা রাখা চলে না। আর শওয়াল মাসে রমাযানের কাযা রাখলে তাই শওয়ালের রোযা বলে যথেষ্ট হবে না।[5] [1] (মুসলিম ১১৬৪নং, সুনানে আরবাআহ; আবূ দাঊদ, তিরমিযী, নাসাঈ ও ইবনে মাজাহ) [2] (ফাইযুর রাহীমির রাহমান, ফী আহকামি অমাওয়াইযি রামাযান ৭৬পৃঃ) [3] (ইতহাফু আহলিল ইসলাম বিআহকামিস সিয়াম ৯২পৃঃ) [4] (ইবনে বায : ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১৬৫-১৬৬) [5] (ইবনে জিবরীন, ফাসিঃ ১০৭পৃঃ)
    Hifzur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    7/8, 5:28am

    Sogood Islam Syeds

    ওরা সবাই ভাই ভাই।ওরা সবাই মিলে পীচটিভি বন্ধের সংগ্রাম করছে।
    MD Mosharrof
  • July 9
  • Sogood Islam Syeds
    7/9, 9:46am

    Sogood Islam Syeds

    আমাদের মধ্যে ঈমানদার পুরুষদের লাল রংয়ের শার্ট আর পাঞ্জাবী পরতে দেখা যায়। এটি কেমন? – – উমার(রা) বলেন,রসুলুল্লাহ(ﷺ) আমাদেরকে লাল রঙের পোশাক পরতে নিষেধ করেছেন। (মুসনাদে আহমাদ,ইবনে মাজাহঃ ৩৫৯১) তবে অন্য হাদীস দ্বারা প্রমানিত হয় যে, শুধু এক কালারের লাল না হয়ে যদি লালের মাঝে অন্য রঙের স্ট্রাইপ/চেক থাকে তাহলে সেটা পরা জায়েজ আছে। [বুখারীঃ ৫৪০০] তবে অন্য রঙের স্ট্রাইপ/চেক থাকলেও তাকওয়ার খাতিরে লাল রঙ এড়িয়ে চলাই উত্তম। মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সব ধরণের হারাম থেকে হিফাজত করুন। আমিন।
    M Towfiqur Rahman
  • July 9
  • Sogood Islam Syeds
    7/9, 8:43pm

    Sogood Islam Syeds

    নিচের হাদীসগুলো কি মানুষ হত্যা করতে বলে? হুজুররা কেন এসব হাদীস বর্ণনা করে না? সরকারেরর উচিত যেসব হুজুররা এ হাদীস বর্ণনা করে না তাদের কাছে এর কৈফিয়ত তলব করা। عَنْ أَبِي مُوسَى ـ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ ـ قَالَ قَالُوا يَا رَسُولَ اللَّه أَىُّ الإِسْلاَمِ أَفْضَلُ قَالَ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ আবূ মূসা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, সাহাবায়ে কিরাম জিজ্ঞাসা করলেন, হে আল্লাহর রাসূল! ইসলামের সর্বোত্তম কাজ কোনটি? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, যার জিহবা ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদে থাকে। (সহীহুল বুখারী: হা/১১, সহীহ মুসলিম: হা/৬৬, ৬৭, ৬৮) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- الْمُسْلِمُ مَنْ سَلِمَ الْمُسْلِمُونَ مِنْ لِسَانِهِ وَيَدِهِ، وَالْمُهَاجِرُ مَنْ هَجَرَ مَا نَهَى اللَّهُ عَنْهُ প্রকৃত মুসলিম সেই ব্যক্তি, যার যবান (কথা) ও হাত থেকে অন্য মুসলিম নিরাপদ থাকে। আর মুহাজির সেই ব্যক্তি, আল্লাহ যা নিষেধ করেছেন তা যে পরিত্যাগ করে। (সহীহুল বুখারী: ৬৪৮৪) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ يَضْمَنْ لِي مَا بَيْنَ لَحْيَيْهِ وَمَا بَيْنَ رِجْلَيْهِ أَضْمَنْ لَهُ الْجَنَّةَ যে ব্যক্তি আমার (সন্তুষ্টির) জন্য তার দু’চোয়ালের মধ্যবর্তী স্থানের (অর্থাৎ জিহবার) ও দু’পা-এর মধ্যবর্তী স্থানের (অর্থাৎ লজ্জাস্থানের) হেফাযতের দায়িত্ব নিবে আমি তার জন্যে জান্নাতের যিম্মাদার হবো। সহীহুল বুখারী: ৬৪৭৪, ৬৮০৭
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • July 10
  • Sogood Islam Syeds
    7/10, 3:52am

    Sogood Islam Syeds

    The Reality Of Media… #SupportZakirNaik
    Dr Zakir Naik Fan Club Official
  • July 10
  • Sogood Islam Syeds
    7/10, 11:37am

    Sogood Islam Syeds

    ইচ্ছে করে নীলনদ আর ইউফ্রেটিস নদীর দু’আজলা জল পান করতে, যেগুলোর সমতুল্য নদী রয়েছে আসমানে। ইচ্ছে করে মদীনার পথে প্রান্তরে কিছুক্ষণ হাটাহাটি করতে, যেখানে পদচারণা করেছেন মানবজাতির শ্রেষ্ট সন্তানেরা। ইচ্ছে করে একবেলা কাবার চত্বরটি ঝাড়ু দিয়ে দিই, যেখানে প্রতিনিয়ত রাহমানের বান্দারা সিজদায় রত থাকেন। ইচ্ছে করে তুর পর্বতের পোড়া মাটির কিছু অংশ মুঠো ভরে হাত পেতে নিই, চেয়ে থাকি গভীর চোখে, যেখানে মহান রবের নুরের তাজাল্লি পড়েছিল। বড় সাধ জাগে শামের আকাশতলে দাড়িয়ে তার মিঠেকড়া রোদ গায়ে মাখি, যার ওপর আল্লাহপাকের রহমতের হাত বিস্তৃত। বড় ইচ্ছে করে, আসহাবে কাহাফদের সেই মাটির গুহায় বসে কিছুক্ষণ তার সোঁদা গন্ধ শুকি, যেখানে মহান রব ছায়া বিস্তার করেছেন শতাব্দীজুড়ে। ইতিহাসের সেই তুয়া উপত্যকা, বদর উহুদের পুন্যভুমি, মাদইয়ান আর বাবেলের পবিত্রমরুর উদ্যান, নীনাওয়া, বসরা সানআ ইয়ারমুক কাদেসিয়া আর বায়তুল আকসার পবিত্রভুমি আর আকাশতলের বিশুদ্ধ বাতাসে একবার করে বুকভরে শ্বাস নিতে বড় ইচ্ছে করে। বড় ইচ্ছে করে।
    Rowshon Kabir
  • Monday
  • Sogood Islam Syeds
    7/11, 11:53pm

  • Tuesday
  • Sogood Islam Syeds
    7/12, 8:16pm

  • Wednesday
  • Sogood Islam Syeds
    7/13, 12:55am

 

9]-fb.mess-best salaf

 

  • Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 9
  • Sogood Islam Syeds
    6/9, 4:21pm

    Sogood Islam Syeds

    M Towfiqur Rahman added a new photo.
    হাফেজদের দিয়ে মৃতের জন্য কুরআন খতমের প্রাকটিস ইসলামে নেই। . . সাবধান। এগুলো কিছু আলেমের কিয়াসী চিন্তাধারা থেকে প্রসূত। রাসূল সা. এর বাইরে বিধান দেয়ার ক্ষমতা কারোর নেই। পুরো পৃথিবীর সব আলেম একত্র হলেও নয়। কোন ব্যক্তি নিজে পুরো কুরআন পড়লে কিংবা শুনলে তবেই কুরআন খতম করা বা সম্পূর্ণ পড়া হবে মর্মে বিবেচিত হবে। অনেকের ভাগে ভাগে কুরআন পড়াতে কারোরই এক খতম হবে না। এগুলো চিন্তা করা দুঃখজনক। তাছাড়া কারো ইবাদতে অন্যের কোন লাভালাভ নেই। কেউ কারো নামায যেমন পড়তে পারে না, তেমনি কুরআনও নয়। একটি দৃষ্টান্তও ইসলামে নেই। তাই মনকে শক্ত করতে নিজেই পড়াশুনা করুন। নীচের রেফারেন্স দেখুন। https://islamqa.info/en/7 0317
    M Towfiqur Rahman
  • June 9
  • Sogood Islam Syeds
    6/9, 9:51pm

    Sogood Islam Syeds

    M Towfiqur Rahman added a new photo.
    হাফেজদের দিয়ে মৃতের জন্য কুরআন খতমের প্রাকটিস ইসলামে নেই। . . সাবধান। এগুলো কিছু আলেমের কিয়াসী চিন্তাধারা থেকে প্রসূত। রাসূল সা. এর বাইরে বিধান দেয়ার ক্ষমতা কারোর নেই। পুরো পৃথিবীর সব আলেম একত্র হলেও নয়। কোন ব্যক্তি নিজে পুরো কুরআন পড়লে কিংবা শুনলে তবেই কুরআন খতম করা বা সম্পূর্ণ পড়া হবে মর্মে বিবেচিত হবে। অনেকের ভাগে ভাগে কুরআন পড়াতে কারোরই এক খতম হবে না। এগুলো চিন্তা করা দুঃখজনক। তাছাড়া কারো ইবাদতে অন্যের কোন লাভালাভ নেই। কেউ কারো নামায যেমন পড়তে পারে না, তেমনি কুরআনও নয়। একটি দৃষ্টান্তও ইসলামে নেই। তাই মনকে শক্ত করতে নিজেই পড়াশুনা করুন। নীচের রেফারেন্স দেখুন। https://islamqa.info/en/7 0317
    M Towfiqur Rahman
  • June 10
  • Sogood Islam Syeds
    6/10, 3:05am

    Sogood Islam Syeds

    ছিয়াম পালন কৰা অবস্থাত পঢ়িবলগীয়া দুআঃ ছিয়াম পালনকাৰীৰ উচিৎ, ইফতাৰ কৰাৰ আগ মুহুৰ্ত পর্যন্ত ছিয়াম পালনকালীন অবস্থাত বেছি বেছিকৈ দুআ কৰা। কাৰণ, ছিয়াম পালন কৰা অবস্থাত ছিয়াম পালনকাৰীৰ দুআ আল্লাহৰ ওচৰত মঞ্জুৰ হয়। মহানবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে, ‘‘তিনিজন ব্যক্তিৰ দুআ অগ্রাহ্য কৰা নহয় (বৰং কবুল কৰা হয়); পিতাৰ দুআ, ছিয়াম পালনকাৰীৰ দুআ আৰু মুছাফিৰৰ দুআ।’’ (বাইহাকীঃ ৩/৩৪৫, প্রমুখ, ছিলছিলাহ ছহীহাহ, আলবানীঃ১৭৯৭) পক্ষান্তৰে ইফতাৰ কৰাৰ সময়ত দুআ কবুল হোৱাৰ কথা বিশুদ্ধ বর্ণনা দ্বাৰা প্রমাণিত নহয়। এই ক্ষেত্ৰত যিবোৰ বর্ণনা কৰা হয়, সেয়া যয়ীফ। ঠিক একেদৰে ইফতাৰৰ সময় অকলশৰীয়া বা জামাআতত হাত তুলি দুআ কৰাটোও প্ৰমাণিত নহয়। কাৰণ, ছুন্নাহ (মহানবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি অচাল্লাম বা তেওঁৰ চাহাবাসকলৰ তরীকাত) এই আমলৰ বর্ণনা পোৱা নাযায়। গতিকে ছিয়াম পালনকাৰিসকল সতর্ক হওক। এই ক্ষেত্ৰত পানাহাৰ কৰাৰ সময়ত যিবোৰ দুআ সাধাৰণভাৱে পঢ়নীয় সেয়া তলত দিয়া ধৰণেঃ- ১। পানাহাৰৰ আগত বিছমিল্লাহ কোৱা। কাৰণ, মহানবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে সেয়া পঢ়িবলৈ আদেশ কৰিছিল। (বুখারী ৫৩৭৬, মুসলিম ২০২২নং) তেখেতে আৰু জনাইছে যে, সেয়া নপঢ়িলে চয়তানে ভোজনকাৰীৰ লগত ভোজনত অংশ গ্রহণ কৰি থাকে। (মুছলিমঃ ২০১৭, আবূ দাঊদঃ ৩৭৬৬) এবাৰ এটি বালিকা অৰু এজন বেদুঈন ‘বিছমিল্লাহ’ নপঢ়াকৈয়ে খাবলৈ আৰম্ভ কৰিব বিচাৰিলে, মহানবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাে সিহঁতৰ হাত ধৰিলে আৰু ক’লে, চয়তানে সিহঁতক এইদৰে খাবলৈ উদ্বুদ্ধ কৰিছে আৰু সিহঁতৰ হাতৰ লগত চয়তানৰ হাত তাৰ হাতত ধৰা আছে। আচলতে চয়তানে সিহঁতৰ লগত খাব বিচাৰিছিল। (মুসলিম ২০১৭, আবূ দাঊদ ৩৭৬৬নং) ২। খোৱাৰ আৰম্ভণিত ‘বিছমিল্লাহ’ ক’বলৈ পাহৰি গ’লে আৰু খোৱাৰ সময়ত মনত পৰিলে ক’ব লাগে, ‘বিছমিল্লা-হি আউওয়ালাহু অ আ-খিৰাহ।’ অর্থ- আৰম্ভণি আৰু শেষত আল্লাহৰ নাম লৈ খাইছো। (আবূ দাঊদঃ ৩৭৬৭, তিৰমিজীঃ ১৮৫৮, ইবনে মাজাহঃ ৩২৬৪, ইৰওয়াউল গালীল, আলবানীঃ ১৯৬৫) ৩। খোৱা শেষ হলে ‘আল-হামদু লিল্লাহ’ ক’ব লাগে । যিহেতু কিবা খোৱা পিছত বান্দাই আল্লাহৰ প্রশংসা কৰক,এয়া তেও (আল্লাহ)পছন্দ কৰে। (মুছলিমঃ ২৭৩৪, আহমাদ, মুসনাঃ ৩/১০০, ১১৭, তিৰমিজীঃ ১৮১৬) ইফতাৰ কৰাৰ সময়ত যি দুআ প্রমাণিত, সেয়া ইফতাৰ কৰাৰ পিছত পঢ়িবলগীয়া। ইবনে উমার ৰাদিয়াল্লাহু আনহুৰ পৰা বর্ণিত, নবী কাৰীম চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে ইফতাৰ কৰাৰ পিছতএই দুআ পাঠ কৰিছিল, ‘যাহাবায যামা-উ অবতাল্লাতিল উরুক্বু অষাবাতাল আজরু ইনশা-আল্লাহ’ অর্থ- পিয়াহ দূৰ হ’ল, শিৰা-উপশিৰা সতেজ হ’ল আৰু ইনশা-আল্লাহ ছওয়াব সাব্যস্ত হ’ল। (আবূ দাঊদঃ ২৩৫৭,সহীহ আবূ দাঊঃ ২০৬৬) ইফতাৰৰ সময়ত এই দুআটো সকলোতকৈ ছহীহ হিচাপে নবী কাৰীম চাল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ পৰা বর্ণিত হৈছে। ইয়াৰ বাহিৰে ইফতাৰৰ অন্যান্য (লাকা ছুমতু, ইত্যাদি) দুআ বিশুদ্ধৰূপে প্রমাণিত নহয়।
    IslamHouse.com Assamese
  • June 10
  • Sogood Islam Syeds
    6/10, 10:16am

    Sogood Islam Syeds

    Habibullah Reza added a new photo.
    *** খোশ আমদেদ মাহে রামাদান *** ___________________________ তৃতীয়াংশ ^^^^^^^^ (পুর্ব প্রকাশের পর ) ৫. ফরয সওমের নিয়ত হাফসা বিনতে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: »مَنْلميُجْمِعِالصِّيامَقَبلَالفَجْرِفَلاصِيامَلَه« “যে ফজরের পূর্বে সওমের নিয়ত করল না,তার সওম নেই” ।ইমাম নাসায়ি এভাবে বর্ণনা করেছেন: »مَنْلميُبَيِّتْالصِّيامَقَبْلَالفَجْرِفَلاصِيامَلَهُ«.“যে ফজরের পূর্বে রাত থেকে সওম আরম্ভ করল না,তারসওম নেই”।[34] আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলতেন: »لايَصُومُإِلَّامَنْأَجْمَعَالصِّيامَقَبْلَالفَجْرِ«رواهمالك.“সওম রাখবে না, তবে যে ফজরের পূর্ব থেকে সওমআরম্ভ করেছে”।[35] রাত থেকে সওম আরম্ভ করার অর্থ হচ্ছে: রাত থেকে সওমের দৃঢ় ও চূড়ান্ত নিয়ত করা, যে ফজরের পূর্বে সওমের দৃঢ় নিয়ত করল না, তার সওম হবেনা।[36] ইমাম তিরমিযি রহ. বলেন: আলেমদের নিকট এ হাদিসের অর্থ হচ্ছে: রমযান মাসে ফজরের পূর্বে যে সওম আরম্ভ করল না, অথবা রমযানের কাযা অথবা মান্নতের সওমে যে রাত থেকে নিয়ত করল না, তার সওম শুদ্ধ হবে না।হ্যাঁ,নফল সওমের নিয়ত ভোর হওয়ার পর বৈধ। এটা ইমাম শাফেয়ী,আহমদ ও ইসহাকের অভিমত।[37] শিক্ষা ও মাসায়েল: এক. সিয়ামে ইবাদতের নিয়ত করা জরুরী, যদি কেউ স্বাস্থ্য রক্ষা,ডাক্তারের পরামর্শ,পানাহারেরপ্রতি অনীহা বা অন্য কারণে খাদ্য ও স্ত্রীগমন থেকে বিরত থাকে,তার এ বিরত থাকা শরয়ি সওম গণ্য হবে না, সে এ কারণে সওয়াব পাবে না। দুই. নিয়ত অন্তরের আমল, অতএব যার অন্তরে এ ধারণাহল যে, আগামীকাল সে সওম রাখবে, সে নিয়ত করল। তিন. ওয়াজিব সওম যেমন রমযান,মানত ও কাফফারার ক্ষেত্রে পূর্ণ দিন তথা সুবহে সাদিক থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সওমের নিয়তে থাকা জরুরী।যেব্যক্তি দিনের কোন অংশে সওমের নিয়ত করল,তার সওম পূর্ণ দিন ব্যাপী হল না, তাইতার সওম শুদ্ধ হবে না। এ জন্য ওয়াজিব সওমে সুবহে সাদিকের পূর্ব থেকে নিয়ত করা জরুরী। চার. রাতের যে কোন অংশে ফরয বা নফল সওমের নিয়ত করা বৈধ। নিয়ত করার পর সওমপরিপন্থী কোন কাজ করলে নিয়ত নষ্ট হবে না, নতুন নিয়তেরপ্রয়োজন নেই। ৬. সিয়ামের আদবআবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: »الصيامجنة،فإذاكانأحدكمصائمافلايرفثولايجهل،فإنامرؤشاتمهفليقل:إنيصائم،إنيصائم«.رواهالشيخان“সিয়াম ঢাল,সুতরাং তোমাদের কেউ সিয়াম অবস্থায় হলে সে যেন অশ্লীলতা ও মুর্খতা পরিহার করে, যদি কেউ তাকে গালি দেয়,সে যেন বলে: আমি রোযাদার,আমি রোযাদার”।[38] অপর বর্ণনায় এসেছে: »وإذاكانيومصومأحدكمفلايرفثولايصخب،فإنسابهأحدأوقاتلهفليقلإنيامرؤصائم« .“তোমাদের কারো যখন সওমের দিন হয়, সে যেন অশ্লীলতা ও শোরগোল পরিহার করে, কেউ যদিতাকে গালি দেয় বা তার সাথে মারামারি করে, সে যেন বলে:আমিরোযাদার”।[39] অপর বর্ণনায় এসেছে: »لاتسابوأنتصائم،وإنسابكأحدفقل:إنيصائم،وإنكنتقائمافاجلس« .“সওম অবস্থায় তুমি গালি দেবে না, যদি কেউ তোমাকে গালিদেয় তাহলে তুমি বলবে আমি রোযাদার।আর যদি তুমি দণ্ডায়মান থাক, বসে যাও”।[40 আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত, তিনি বলেন,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: »مَنْلَميَدَعْقَوْلَالزُّورِوَالعَمَلَبِهِوَالجَهْلَفَلَيسَللهحَاجَةٌأَنْيَدَعَطَعَامَهُوشَرَابَهُ«رواهالبخاري.“যেমিথ্যা কথা ও তদনুরূপ কাজ এবং মূর্খতা পরিত্যাগ করল না, তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোনপ্রয়োজন নেই।”[41] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: »الصِّيامُجُنَّةٌمِنَالنَّار،فَمَنْأَصْبَحَصَائِماًفلايَجْهَلْيومَئِذٍ،وإِنْامْرُؤٌجَهِلَعَلَيهِفلايَشْتُمْهُ،ولايَسُبُّه،وَلْيَقُلْ:إِنيصائِم…«رواهالنسائي.“ সিয়াম জাহান্নামের ঢাল,যে সওম অবস্থায় ভোর করল, সে যেন সেদিন মুর্খতার আচরণ না করে। কেউ যদিতারসাথে দুর্ব্যবহার করে, সে তাকে তিরষ্কার করবে না, গালি দেবে না, বরং বলবে: আমি রোযাদার।”[42] আবু হুরাইরা রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত: »أَنَّهُكَانَوأَصْحَابُهُإِذَاصَامُواقَعَدُوافيالمَسْجِدِ،وقَالَوا:نُطَهِّرُصِيَامَنَا«.“তিনি ও তার সাথীগণ যখন সিয়াম পালন করতেন মসজিদে বসেথাকতেন, আর বলতেন:আমাদের সওম পবিত্র করছি”।[43] শিক্ষা ও মাসায়েল: এক. সিয়াম জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেয়, কারণ সে প্রবৃত্তি থেকে বিরত রাখে, আর জাহান্নাম প্রবৃত্তি দ্বারা আবৃত।দুই.রোযাদারের জন্য রাফাস হারাম, রাফাস হচ্ছে অশ্লীল কথা,কখনো সহবাস ও তার আনুষঙ্গিক কর্মকাণ্ডে ব্যবহার হয়।[44] এসব থেকে রোযাদার বিরত থাকবে,তবে যে নিজের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সক্ষম, তার জন্য চুম্বন ও স্ত্রীর সাথে মেলামেশাবৈধ। তিন. রোযাদারের জন্য মুর্খতাপূর্ণ আচরণ হারাম, যেমন চিৎকার ও শোরগোল করা, অযথা ঝগড়ায় লিপ্ত হওয়া ইত্যাদি।চার. রোযাদার যদি করো গালমন্দ, চিৎকার ও ঝগড়ার সম্মুখীন হয়, তাহলে তার করণীয়:(১).গালমন্দকারীকে অনুরূপ প্রতি উত্তর করবে না, বরং ধৈর্য ও সহনশীলতা অবলম্বন করবে।(২).তার সাথে কথা পরিহার করবে, যেন সে মূর্খতার সুযোগ না পায়। কতকবর্ণনায়এসেছে: »وإنْشَتَمَهُإِنسَانٌفلايُكَلِّمْهُ« .“যদি কেউ তাকে গালি দেয়, তার সাথে কথা বলবে না”।[45] (৩).তাকে বলবে: “আমি রোযাদার”।উচ্চস্বরে বলবে,যেন সে মূর্খতা থেকে বিরত থাকে ও প্রতি উত্তর নাকরার কারণ বুঝতে পারে। ফরয-নফল সব সওমের ক্ষেত্রে অনুরূপ করবে।[46] (৪).যদি সে বিরত না হয়, তবে বারবার বলবে আমি রোযাদার, আমি রোযাদার।(৫).এ পরিস্থিতিতে যদি সে দাঁড়ানো থাকে, বসার সুযোগ হলে বসে যাবে, যেরূপ অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে, যেন গোস্বা নিবারণ হয়, প্রতিপক্ষ ও শয়তান পিছু হটে।পাঁচ.এ সকল হাদিস থেকে এ কথা বুঝে নেয়ার অবকাশ নেই যে,অশ্লীলতা,গালিগালাজ,মুর্খতার আচরণ,অসার ও অযথা বিতর্ক শুধু সওম অবস্থায় নিষেধ,অন্য সময় নয়,বরং সর্বাবস্থায় এগুলো নিষেধ ও হারাম, তবে সওম অবস্থায় এগুলোতে লিপ্তহওয়া জঘন্য অন্যায়, কারণ এসব সওমের মূল উদ্দেশ্যকে নস্যাৎ করে।[47] ছয়. ইসলামি জীবন-দর্শনের পবিত্রতা, তার অনুসারীদের ভদ্র আচরণ শিক্ষা দেয়া ও মূর্খদের এড়িয়ে চলার অভিনব কৌশল।সাত.যদি রোযাদারের ওপর কেউ জুলুম করে, তাহলে সহজতর উপায়ে তার প্রতিকার করবে, এ থেকে রোযাদারকে নিষেধ করা হয়নি।[48] আট. সত্যিকারের সিয়াম পাপ থেকে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের সিয়াম, মিথ্যা ও অশ্লীলতা থেকে মুখের সিয়াম, পানাহার থেকে পেটের সিয়াম, স্ত্রীসহবাস ও যৌনতা থেকে লিঙ্গের সিয়াম।[49] নয়. অধিকাংশ আলেম একমত যে,গীবত,পরনিন্দা,মিথ্যা কথা,মূর্খতাপূর্ণ আচরণইত্যাদি কাজগুলো সিয়াম ভঙ্গ করে না, তবে তার সওয়াব অবশ্যই হ্রাস করে, এ জন্য সে গুনাহ্‌গার হবে।[50] দশ. এ থেকে প্রমাণ হলো যে,সিয়ামের উদ্দেশ্য শুধু ক্ষুধা-পিপাসা সহ্য করানয়, বরং মূল উদ্দেশ্য প্রবৃত্তি দুর্বল করা, গোস্বা নিবারণ করা, কু-প্রবৃত্তির চাহিদা নস্যাৎ করা ও নফসে মুতমায়িন্নার আনুগত্য করা, যদি সিয়াম দ্বারা এসব অর্জন না হয়, তাহলে সিয়াম রাখা না-রাখার মত, কারণ সিয়াম তার ওপর কোন প্রভাব ফেলতে পারেনি।[51] এগার. এ হাদিস থেকে বুঝা যায় যে, মিথ্যা কথা, মিথ্যা নির্ভর কাজ সকলঅন্যায়ের মূল। এ জন্য আল্লাহ মিথ্যাকে শির্কের সাথে উল্লেখ করেছেন: ﴿فَٱجۡتَنِبُواْ ٱلرِّجۡسَ مِنَ ٱلۡأَوۡثَٰنِ وَٱجۡتَنِبُواْ قَوۡلَ ٱلزُّورِ ٣٠﴾]الحج: 30[“সুতরাং মূর্তিপূজার অপবিত্রতা থেকে বিরত থাক এবং মিথ্যা কথা পরিহারকর”।[52] এ আয়াতে আল্লাহপৌত্তলিকতার অপরাধের সাথে মিথ্যাকে উল্লেখ করেছেন। এ থেকে মিথ্যার ভয়াবহতা প্রতীয়মান হয়।[53] ৭. এক সাথে সিয়াম রাখা ও ভঙ্গ করাআবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:»الصَّوْمُيَوْمَتَصُومُونَوالفِطْرُيَوْمَتُفْطِرُونَوالأَضْحَىيَوْمَتُضَحُّونَ«رَوَاهُالتِّرْمِذِيُّوقَالَ:حَدِيثٌحَسَنٌغَريبٌ.“সেদিন সওম,তোমরা যেদিন সওম পালন করবে, সেদিন ইফতার, তোমরা যেদিন ইফতার করবে, সেদিন কুরবানি, তোমরা যেদিন কুরবানি করবে”।তিরমিযি, তিনি বলেছেন: হাদিসটি হাসান, গরিব।আবু দাউদের এক বর্ণনায় আছে: »وَفِطْرُكُمْيَوْمَتُفْطِرُونَوَأَضْحَاكُمْيَوْمَتُضَحُّونَ«.“তোমাদের ইফতার, যেদিন তোমরা ইফতার করবে, তোমাদের কুরবানি, যেদিন তোমরা কুরবানি করবে”।[54] আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: »الفِطْرُيَوْمَيُفْطِرُالنَّاسُ،وَالأَضْحَىيَوْمَيُضَحِّيالنَّاسُ«“ইফতার,যেদিন মানুষ ইফতার করে, কুরবানি, যেদিন মানুষ কুরবানি করে”।[55] শিক্ষা ও মাসায়েল: এক. এ হাদিস ইসলামি শরিয়তের সৌন্দর্য ও সহজতার প্রমাণ বহন করে,মানুষ যা করতে পারবে না,তার ওপর তা চাপিয়ে দেয়া হয়নি। ইবাদতের সময় নির্ধারণে সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি তথা চোখে দেখার উপর নির্ভর করা হয়েছে।দুই.ইসলামি শরিয়ত একতার প্রতি যথেষ্ট গুরুত্বারোপ করেছে, যেমন সে মুসলিমদেরকে এক সাথে সওম রাখা, ভঙ্গ করা ও একসাথে ঈদ উৎযাপনের নির্দেশ দিয়েছে। তিন. চাঁদ দেখায় শরয়ি পদ্ধতি অনুসরণ করা, অথবা চাঁদ দেখায় বাঁধার কারণে ত্রিশ দিন পূর্ণ করার পর যদি মাসের শুরু-শেষ ভুল প্রমাণিত হয়, তাহলে তা ক্ষমাযোগ্য। হাফেয ইব্‌ন আব্দুল-বার রহ. বলেন: “সকলওলামায়ে কেরাম এ ব্যাপারে একমত যে,যদি যিলহজ মাসের চাঁদ দেখার ভুলের কারণে দশতারিখে ওকুফে আরাফা করে, তবে তা যথেষ্ট হবে। তদ্রূপ ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহা।আল্লাই ভাল জানেন”।[56] চার এসব হাদিস প্রমাণ করে যে, ঈদ হওয়ার জন্য সবার এক হওয়া জরুরী।যদি কেউ একা ঈদের চাঁদ দেখে তার জন্য জরুরী সবার সাথে ঈদ করা। সে সবার সাথে সওম রাখবে, ভঙ্গ করবে ও কুরবানি করবে। ইবনুল কায়্যিম রহ. বলেন: “এ থেকে প্রমাণিত হয়, একা চাঁদ প্রত্যক্ষকারীর ওপর চাঁদ দেখার বিধান বর্তায় না, সওম রাখা ও ভঙ্গ করার ক্ষেত্রে সে অন্যদের মত”।[57] এ থেকে বলা যায়, কেউ যদি একা চাঁদ দেখে, তাহলে তার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে না, কারণ সে একা সওম রাখবে না, বরং মানুষের সাথে সওম রাখবে। তার বিধান অন্যান্য মানুষের ন্যায়, এ হাদিস থেকে তাই বুঝে আসে”।[58] চলবে ,,,,, ইংশাআললাহ্! __________________সংকলন: ইবরাহিম ইব্‌ন মুহাম্মাদ আল-হাকিল অনুবাদক:সানাউল্লাহ নজির আহমদ সম্পাদনা :আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়া সূত্র :ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব ।
    Habibullah Reza
  • Sogood Islam Syeds
    6/10, 10:19am

    Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin added a new photo.
    ‘সালাতুল তারাবীহ’ ৪ রাকা’আত সালাত আদায়ের পর বিশ্রাম নেওয়ার কারনে এই সালাত ‘সালাতুল তারাবীহ’ বলে প্রসিদ্ধ হয়,তবে এই বিশ্রাম ইবাদতের কোনো অংশ নয়। বিশ্রাম না করলে সওয়াব কম হবে বা বিশ্রামের কমবেশির কারণে সওয়াব কমবেশি হবে এমন কোনো বিষয় নয়। বিশ্রামের সময়ে মুসল্লী যে কোনো কাজ করতে পারেন, বসে বা শুয়ে থাকতে পারেন বা দোযা বা যিকির –এ রত থাকতে পারেন। এ বিষয়ে কোনো নির্ধারিত কিছু নেই। আশংকার বিসয় হলো আমাদের দেশে মকছুদোল মো’মেনীন জাতিয় কিছু বিদাতি বইয়ে চার রাকা’আত পরে একটি নির্দিষ্ঠ দোয়া এবং নির্ধারিত মুনাজাত করার কথা উল্লেখ করা আছে। {[[ দুয়া(সুবহানা জিল মুলকি ওয়াল মালাকুতি……)মুনাজাত (আল্লা-হুম্মা ইন্না নাস আলুকাল্ জান্নাতা ওয়া নাউজুবিকা…)}}}] কিন্তু এ দোয়া ও মুনাজাত উভয়টিই বানোয়াট।বিশ্রামের জন্য তো নয়ই,এমনকি অন্য কোনো স্থানে এই দুটি দোয়ার কোনো অস্তিত্ব খুজে পাওয়া যায় না। আমাদের উচিত এ সকল বানোয়াট দোয়া না পড়ে এ সময়ে দুরুদ পাঠ করা,কুরআন তিলাওয়াত বা মাসনূন যিকর করা ,এছারা সহীহ হাদীসে অনেক প্রকারের দোয়া বর্নিত আছে সেগুলো শুয়ে বসে যেভাবে সুবিধা হয় সাধ্যমতো করতে থাকা।
    Shahanaj Amin
  • June 10
  • Sogood Islam Syeds
    6/10, 4:38pm

    Sogood Islam Syeds

    একটা সময় আসবে, আমরা ইতিহাস হয়ে যাব। পরবর্তী প্রজন্ম আমাদেরকে গালাগাল করবে, নাকি অনুসরন করবে – আমরাই ভাল জানি। সেটা অনেক বড় বিষয়। যেহেতু, রাসুল(স) এর সেই হাদিস থেকে আমরা জানি যে, তিনি বলেছিলেন, সাব্যস্ত হয়ে গেল। একজন মানুষের মৃত্যুর পর তার প্রশংসা করা হচ্ছিল, আরেকজনের দুর্নাম। উভয়ের ক্ষেত্রে এই পরবর্তী মানুষদের স্বাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাদের জন্য জান্নাত জাহান্নাম নির্ধারন করা হয়েছিল। আমাদেরও হয়ত তাই হবে। আল্লাহপাক ক্ষমা করুন। তবে তার চেয়েও বড় কথা হল, এই জাহেলিয়াতের চাকা যদি আমরা সচল রেখে যাই, যেই জাহেলিয়াতের শৃংখল আমাদের ভাঙার কথা ছিল, তাহলে আমাদের কবরে যে সেসব গুনাহের স্রোত জারি থাকবে – এই সরল সত্যটি আমরা কবে বুঝব? সাপ-বিচ্ছুর কবরগুলোতে আরো আরো বিষাক্ত ভয়াল আধাঁর নেমে না আসুক। বরং, সেগুলো আমাদের পরবর্তীদের দুয়ায় যেন আলোকিত হয়ে ওঠে, সেজন্য একটু কষ্ট হলেও আপনাকেই উল্টো স্রোতে হাটঁতে হবে। এ দায়িত্ব কেবল উলামা-মাশায়েখদের নয়। বরং প্রতিটি মুসলিমের জন্য অপরাপর সকল মানবরচিত দ্বীনের অত্যাচার আর কষ্টক্লেশপুর্ণ নাগপাশ থেকে সমাজকে মুক্ত করে আসমানী সেই সুমহান দ্বীনকে সমাজের প্রতিটি স্তরে প্রতিষ্টিত করাটা ঈমানী দায়িত্ব। ফরজ। আসুন, নফল মুস্তাহাবের গলাবাজি ছেড়ে সেই ফরজ পালনার্থে একীভূত হই। আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে ইংশাআল্লাহ।
    Rowshon Kabir
  • June 11
  • Sogood Islam Syeds
    6/11, 3:35am

    Sogood Islam Syeds

    সাইফুল ইসলাম added a new photo.
    ihadis হাদিস অ্যাপের ফিচারসমুহঃ —————————————————– ১. বুখারি, মুসলিম সহ পর্যায়ক্রমে ২৫+ হাদিসের বই ২. শক্তিশালী হাদিস সার্চ ইঞ্জিন ৩. হাদিস পড়ার জন্য সিঙ্গেল মোড ও মাল্টিপল ভিউ ৪. দ্রুত যে কোন হাদিসে যাওয়ার ব্যবস্থা ৫. প্রতিটি হাদিসের সাথে হাদিসের মান উল্লেখ ৬. বুকমার্ক ও সেটিংসসহ আরও অনেক কিছু . ডাউনলোড লিঙ্ক — প্লে ষ্টোর লিঙ্ক- https://play.google.com/store/apps/details?id=com.ihadis.ihadis . শর্ট লিঙ্ক – http://www.bit.ly/ihadis-app . বিকল্প ডাউনলোড লিঙ্ক- https://drive.google.com/file/d/0Bw0LxZad458SbTI0MEdpR2x0bHc/view?usp=sharing https://www.mediafire.com/?63s5nr55jjydpnx
    সাইফুল ইসলাম
  • Sogood Islam Syeds
    6/11, 3:39am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 11
  • Sogood Islam Syeds
    6/11, 11:16am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/11, 11:18am

    Sogood Islam Syeds

    আব্দুর রহমান সালাফি
  • Sogood Islam Syeds
    6/11, 11:58am

    Sogood Islam Syeds

    এক মৃত বোন এর মৃত্যুর পূর্বের ২ টা স্ট্যাটাস :/ 😥 Labiba Binte Nomair june 5 at 1:14PM আচ্ছা বন্ধু , ভেবে দেখেছ কে তোমার সবচেয়ে আপন?? আল্লহর চেয়ে বেশি আপন আর কে হতে পারে?? দয়াময় আল্লহ আমাদেরকে নিজ ইচ্ছায় জীবন দিয়েছেন , মায়ের গর্ভে প্রতিপালন করেছেন , মায়ের দুধ পানের সুব্যবস্থা করে দিয়েছেন , পৃথিবীর সবকিছু আমার জন্য সুশোভিত করে দিয়েছেন । সেই আল্লহই আমাদের সবচেয়ে আপন অভিভাবক । . পবিত্র কুরআনে আল্লহ বলেছেন : “আমি তোমাদের গলদেশের রগ থেকেও তোমাদের কাছে অবস্থান করি ” [সূরা কফ : ২৬] । গলদেশের রগ মানে গলার দুইপাশের রক্তনালির যা মানুষের অনেক কাছের , আল্লহ তার চেয়েও অধিক কাছে অবস্থান করেন । • অন্যত্র আল্লহ বলেছেন : “আমাকে ডাকো , আমি তোমার ডাকে সাড়া দিব ” [মু’মিন : ৬০] . তাই আমাদের সবচেয়ে আপন ও কাছের দয়াময় আল্লহর সাথেই সবচেয়ে বেশি মুহাব্বাত রাখা প্রয়োজন , আর আল্লহর সাথে সম্পর্ক দৃঢ় করার সহজ মাধ্যম হলো রসূল (স.) এর সাথে মুহাব্বাত রাখা , সুন্নাতের অনুসরণ করা । • আল্লহ বলেছেন : “হে রাসূল , আপনি বলুন , যদি তোমরা আল্লহকে ভালোবাসো তাহলে আমার (রাসূলের) অনুসরণ কর ” [আলে ইমরান : ৩১] • তাই আসুন প্রিয় দীনি বন্ধুরা , আল্লহ এবং রসূল (স.) এর সাথে সম্পর্ক ও মুহাব্বাত সুদৃঢ় করার চেষ্টা করতে থাকি । আর এর জন্য সমাগত মাহে রামাদান এর চেয়ে ভালো সময় আর নেই । তাই এখন থেকেই সবার প্রস্তুতি নেওয়া প্রয়োজন । . (ওয়ামমা তাওফিকী ইল্লা বিল্লাহ) আল্লাহূমাগফিরলাহু ওয়ারহামহু আল্লাহ জান্নাত দান করুক তাকে আমিন…।
    Jhony Ahmed
  • Sogood Islam Syeds
    6/11, 12:06pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 12
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 4:29am

    Sogood Islam Syeds

    >>>> তারাবীহ্, তাহাজ্জুদ ও বেতের সালাত প্রসঙ্গে প্রাসঙ্গিক আলোচনা ও বিশ্লেষন এবং তারাবীহ্ সালাতের রাকআত সংখ্যা নিয়ে তাত্ত্বিক ব্যতিক্রমী পর্যালোচনা >>>> সংকলনেঃ সাজ্জাদ সালাদীন। [বিশেষ নোটিশঃ পুরোটা পড়ে তারপর কমেন্টস করবেন। অপ্রাসঙ্গিক কমেন্টস ডিলিট করা হবে প্রয়োজনে]। এই আলোচনায় মক্কা-মদীনায় আসলেই কি ২০ রাকাত তারাবীহ্ পড়া হয় তার আসল কাহিনীটিও বিস্তারিত উপস্থাপন করা হয়েছে প্রবন্ধটির শেষে। ….আরও একটি বিষয় এখানে উল্লেখ করা হয়েছে… ক্বিয়ামুল লাইল কি তা সংক্রান্ত একটা লম্বা হাদীস উপস্থাপন করা হয়েছে। সেটা সবাই পড়ুন এবং প্রকৃত বিষয়টি অনুধান করার চেষ্টা করুন। আমীন। অনেকের অনুরোধে লেখাটা পাবলিশ করতে বাধ্য হলাম। আল্লাহ আমাদের সত্য বুঝার তৌফিক দান করুন, আমীন। ============================== ============================ রাত্রির বিশেষ নফল সালাত তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ নামে পরিচিত। রামাযানে এশার পর প্রথম রাতে পড়লে তাকে ‘তারাবীহ’ এবং রামাযান ও অন্যান্য সময়ে শেষরাতে পড়লে তাকে ‘তাহাজ্জুদ’ বলা হয়। বস্তুতঃ শরী‘আতের মূল হলো রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর নিকট হতে যা নিয়ে এসেছেন। আর নবীর যুগই হলো শরী‘আতের যুগ। কেননা আল্লাহ তা‘আলা বলেন, ﴿ ﻭَﻣَﺎٓ ﺀَﺍﺗَﻯٰﻜُﻢُ ﭐﻟﺮَّﺳُﻮﻝُ ﻓَﺨُﺬُﻭﻩُ ﻭَﻣَﺎ ﻧَﻬَﻯٰﻜُﻢۡ ﻋَﻨۡﻪُ ﻓَﭑﻧﺘَﻬُﻮﺍْۚ﴾ [ ﺍﻟﺤﺸﺮ : 7 ] ‘‘তোমাদের জন্য রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যা নিয়ে এসেছেন তা আঁকড়ে ধর এবং যা হতে নিষেধ করেছেন তা হতে বিরত থাক’’। (সূরা হাশর, আয়াত – ৭)। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন— « ﻣﻦ ﻗﺎﻡ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﺇﻳﻤﺎﻧًﺎ ﻭﺍﺣﺘﺴﺎﺑًﺎ ﻏﻔﺮ ﻟﻪ ﻣﺎ ﺗﻘﺪﻡ ﻣﻦ ﺫﻧﺒﻪ » ‘‘যে ব্যক্তি রমযান মাসে ঈমান ও ইহতেসাবের সাথে রোজা পালন করে তার পূর্বের গুনাহ মাফ করে দেয়া হয়’’ [বুখারী, জামে সহীহ (রিয়াদ দারুস সালাম, ১৯৮৫ খীষ্টাব্দ) হাদীস নং (৩৭); ইমাম মুসলিম,সহীহ (বৈরুত, দারু ইহইয়াউত তুরাছিল আরাবী) তাহকীক: মুহাম্মদ ফুয়াদ আব্দুল বাকী, হাদীস নং (৭৫৯)]। যাই হোক, এ-কথা সুস্পষ্ট যে, শরী‘আত কর্তৃক নির্ধারিত তারাবীহ্ এর রাকা‘আত সংখ্যা জানা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা, এ ক্ষেত্রে অনেক মতবিরোধ সৃষ্টি হয়েছে; এমনকি অনেকে মতবিরোধের ক্ষেত্রে শরী‘আতের সীমালংঘন করেছে। প্রত্যেক দল তাদের মতের ব্যাপারে হয়েছে অবিচল ও অন্ধ; কেউই হক ও সঠিক বিষয় উপলব্ধি করতে চায় না। তাই বিষয়টি বিভিন্ন দলীল-প্রমানাদীর সাহায্যে সুস্পষ্ট করার প্রয়োজনবোধ করছি যেন বিষয়টির একটি সমাধান করা সম্ভব হয়। আল্লাহ আমাদেরকে সঠিক পথে চলার তৌফিক দান করুন, আমীন। >>>> তারাবীহ্ (ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ ) এর শাব্দিক বিশ্লেষন >>>> মূল ধাতু ﺭَﺍﺣَﺔٌ (রা-হাতুন) অর্থ : প্রশান্তি। অন্যতম ধাতু ﺭَﻭْﺡٌ (রাওহুন) অর্থ : সন্ধ্যারাতে কোন কাজ করা। সেখান থেকে ﺗﺮﻭﻳﺤﺔ (তারবীহাতুন) অর্থ : সন্ধ্যারাতের প্রশান্তি বা প্রশান্তির বৈঠক; যা রামাযান মাসে তারাবীহর সালাতে প্রতি চার রাক‘আত শেষে করা হয়ে থাকে। বহুবচনে (ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ ) ‘তারা-বীহ’ অর্থ : প্রশান্তির বৈঠকসমূহ (আল-মুনজিদ)। যেহেতু ‘তারাবীহ্’ ( ﺍﻟﺘﺮﺍﻭﻳﺢ ) শব্দটি বহুবচন, একবচনে ‘তারওয়ীহাতুন’ ‘‘ ﺗﺮﻭﻳﺤﺔ’’ মূলে শব্দটি মাসদার [কসেম ইবন্ আবদুল্লাহ ইবন্ আমীর আলী আল কুনুনী, আনিসুল ফুকাহা ফী তা’রিফাতিল আলফামিল মুতাদাওয়ালাহ বাইনাল ফুকাহা (জিদ্দা: দারুল ওফা, প্রথম সংস্করণ ১৪০৬) তাহকীক : ড. আহমদ ইবন্ আবদুর রাজ্জাক আল কাবীসী, পৃ. ১০৭]। কেউ কেউ বলে মূলতঃ তারবীহা ﺗﺮﻭﻳﺤﺔ বৈঠক বা বসাকে বুঝায় [প্রাগুক্ত পৃ. ১০৭]। ইবনুল আসীর বলেন, ﺗﺮﺍﻭﻳﺢ শব্দটি ﺗﺮﻭﻳﺤﺔ এর বহুবচন। আর এটি ﺭﺍﺣﺔ থেকে ﺗﻔﻌﻴﻠﺔ ওযনে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। যেমন ﺗﺴﻠﻴﻤﺔ শব্দটি ﺳﻼﻡ থেকে এসেছে। । পরিভাষায়, এটি এমন এক সালাত যা রমযান মাসে ইশার সালাতের পর পড়া হয়। অথবা বলা হয়: রমযান মাসে দু’ দু’ রাকা‘আত সালাত আদায় করা, যার রাকা‘আত সংখ্যা সম্পর্কে ফকীহগণের মতভেদ রয়েছে এবং অন্যান্য মাসআলা সম্পর্কেও। >>>> তারাবীহ্র সালাত, রমযানের কিয়াম ও তাহাজ্জুদের সালাতের পার্থক্য >>>> ‘তারাবীহ্ এর সালাত’, ‘রমযানের কিয়াম’, ‘রাত্রের সালাত’, ‘রমযানে তাহাজ্জুদের সালাত’ সবই এক, যদিও প্রত্যেকটি স্বতন্ত্র নামে পরিচিত। রমযানে তারাবীহ্ ব্যতীত কোনো তাহাজ্জুদ নেই। কেননা, কোনো সহীহ বা দুর্বল বর্ণনা দ্বারা এটি সাব্যস্ত হয় নি যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রমযান মাসে রাত্রে দু’ধরনের সালাত আদায় করেছেন, একটি তারাবীহ্ এবং অপরটি তাহাজ্জুদ। অতএব, রমযান মাস ব্যতীত অন্যান্য মাসে যেটি তাহাজ্জুদ সেটিই রমযানে তারাবীহ্। এ মর্মে আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু এর হাদীসটি দলীল হিসেবে পেশ করা যায়। তিনি বলেন, আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামসহ রমযান মাসে সাওম পালন করেছিলাম, তখন তিনি এ মাসের সাতটি রাত অবশিষ্ট থাকা পর্যন্ত কোন অংশ সালাতে দাঁড়ান নি। সে সময় (২৩ তারিখের রাত) তিনি আমাদের সাথে নিয়ে রাতের এক-তৃতীয়াংশ জাগ্রত ছিলেন। তারপর অবশিষ্ট ষষ্ঠ (২৪ তারিখের রাত) জাগ্রত ছিলেন না। অত:পর যখন অবশিষ্ট পঞ্চম রাত্রি (২৫ তারিখের রাত) এলো, তখন তিনি আমাদের নিয়ে রাত্রের অর্ধেক সময় পর্যন্ত জাগ্রত ছিলেন। তখন আমরা বললাম, হে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম! আমরা কি এটাকে আরও বর্ধিত করতে পারি? তখন তিনি বললেন, « ﺇﻥ ﺍﻟﺮﺟﻞ ﺇﺫﺍ ﻗﺎﻡ ﻣﻊ ﺍﻹﻣﺎﻡ ﺣﺘﻰ ﻳﻨﺼﺮﻑ ﻛﺘﺐ ﻟﻪ ﻗﻴﺎﻡ ﻟﻴﻠﺔ » ‘‘কোন ব্যক্তি যখন ঈমামের সাথে সালাত আদায়ে শেষ পর্যন্ত দন্ডায়মান থাকে, তখন তার কিয়ামুল লাইল বা রাত্রি জাগরণ হয়ে যায়’’ [ইমাম আহমদ, মুসনাদ, (বৈরুত: মুয়াসসাসাতুর রিসালাহ, লেবানন, প্রথম সংস্করণ ১৯৯৪ খ্রীঃ) তাহকীক; শুয়াইব আল আরনাউত ও অন্যান্যরা, (৫/১৬৩) শায়খ শুয়াইব আল আরনাউত বলেন হাদীসটির সনদ মুসলিমের শর্তানুযায়ী সহীহ]। তারপর অবশিষ্ট চতুর্থ রাত্রিতেও (২৬ তারিখের রাত) তিনি জাগ্রত ছিলেন না। তারপর যখন অবশিষ্ট তৃতীয় রাত (২৭ তারিখের রাত) এলো, তখন তিনি আমাদের সাথে নিয়ে জাগ্রত রইলেন। এমনকি আমরা ﻓﻼﺡ ‘ফালাহ’ শেষ হয়ে যওয়ার আশংকা করলাম। আমি জিজ্ঞাস করলাম, ফালাহ কি? জবাবে তিনি বললেন, সাহরী। বর্ণনাকারী বলেন, তিনি এ রাত্রিতে তাঁর পরিবার পরিজন, কন্যাগণ ও স্ত্রীগণকেও জাগিয়ে দিতেন। উপরোক্ত হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উল্লেখিত রাত্রিগুলোতে এ সালাত ব্যতীত অন্য কোন সালাত পড়েন নি। অথচ তাহাজ্জুদের সালাত তাঁর জন্য ওয়াজিব ছিল। যদি তারাবীহ্ এর সালাত তাহাজ্জুদের সালাতের ভিন্ন কোন সালাত হতো তবে অবশ্যই রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সে সালাত আদায় করতেন। >>>> তারাবীহর জামা‘আত >>>> রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রামাযান মাসের ২৩, ২৫ ও ২৭ তিন রাত্রি মসজিদে জামা‘আতের সাথে তারাবীহর সালাত আদায় করেছেন। যেমনঃ ইয়াহইয়া ইবন বুকায়র (রঃ) ….‘আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻳَﺤْﻴَﻰ ﺑْﻦُ ﺑُﻜَﻴْﺮٍ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺍﻟﻠَّﻴْﺚُ، ﻋَﻦْ ﻋُﻘَﻴْﻞٍ، ﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺷِﻬَﺎﺏٍ، ﺃَﺧْﺒَﺮَﻧِﻲ ﻋُﺮْﻭَﺓُ، ﺃَﻥَّ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ـ ﺃَﺧْﺒَﺮَﺗْﻪُ ﺃَﻥَّ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺧَﺮَﺝَ ﻟَﻴْﻠَﺔً ﻣِﻦْ ﺟَﻮْﻑِ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ، ﻓَﺼَﻠَّﻰ ﻓِﻲ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ، ﻭَﺻَﻠَّﻰ ﺭِﺟَﺎﻝٌ ﺑِﺼَﻼَﺗِﻪِ، ﻓَﺄَﺻْﺒَﺢَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻓَﺘَﺤَﺪَّﺛُﻮﺍ، ﻓَﺎﺟْﺘَﻤَﻊَ ﺃَﻛْﺜَﺮُ ﻣِﻨْﻬُﻢْ، ﻓَﺼَﻠَّﻮْﺍ ﻣَﻌَﻪُ، ﻓَﺄَﺻْﺒَﺢَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻓَﺘَﺤَﺪَّﺛُﻮﺍ، ﻓَﻜَﺜُﺮَ ﺃَﻫْﻞُ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ ﻣِﻦَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟﺜَّﺎﻟِﺜَﺔِ، ﻓَﺨَﺮَﺝَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﺼَﻠَّﻰ، ﻓَﺼَﻠَّﻮْﺍ ﺑِﺼَﻼَﺗِﻪِ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻛَﺎﻧَﺖِ ﺍﻟﻠَّﻴْﻠَﺔُ ﺍﻟﺮَّﺍﺑِﻌَﺔُ ﻋَﺠَﺰَ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪُ ﻋَﻦْ ﺃَﻫْﻠِﻪِ، ﺣَﺘَّﻰ ﺧَﺮَﺝَ ﻟِﺼَﻼَﺓِ ﺍﻟﺼُّﺒْﺢِ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﻗَﻀَﻰ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮَ ﺃَﻗْﺒَﻞَ ﻋَﻠَﻰ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ، ﻓَﺘَﺸَﻬَّﺪَ ﺛُﻢَّ ﻗَﺎﻝَ ” ﺃَﻣَّﺎ ﺑَﻌْﺪُ، ﻓَﺈِﻧَّﻪُ ﻟَﻢْ ﻳَﺨْﻒَ ﻋَﻠَﻰَّ ﻣَﻜَﺎﻧُﻜُﻢْ، ﻭَﻟَﻜِﻨِّﻲ ﺧَﺸِﻴﺖُ ﺃَﻥْ ﺗُﻔْﺘَﺮَﺽَ ﻋَﻠَﻴْﻜُﻢْ ﻓَﺘَﻌْﺠِﺰُﻭﺍ ﻋَﻨْﻬَﺎ .” ﻓَﺘُﻮُﻓِّﻲَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭَﺍﻷَﻣْﺮُ ﻋَﻠَﻰ ﺫَﻟِﻚَ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কোন এক রাতের মধ্যভাগে বের হন, অতঃপর মসজিদে সালাত আদায় করেন। কতক লোক তার সাথে সালাত আদায় করল। মানুষেরা এ ঘটনা বলাবলি করতে লাগল, ফলে তার চেয়ে অধিক লোক জমা হল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দ্বিতীয় রাতে তাদের নিকট গেলেন, তারা তার সাথে সালাত আদায় করল। মানুষেরা এ ঘটনা বলাবলি করতে লাগল। তৃতীয় রাতে আরো অধিক লোক মসজিদে জড়ো হল। তিনি তাদের নিকট বের হলেন, তারা তার সাথে সালাত আদায় করল। যখন চতুর্থ রাত হল, লোকের সমাগমে মসজিদ সংকীর্ণ হয়ে গেল। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের নিকট বের হলেন না। উপস্থিত কেউ কেউ বলতে ছিল: আস-সালাত, রাসূলুল্লাহ তাদের নিকট বের হলেন না, একেবারে ফজর সালাতের জন্য বের হলেন। যখন ফযর শেষ করলেন মানুষের দিকে মুখ করলেন, অতঃপর খুৎবা পড়ে বললেনঃ « ﺃﻣﺎ ﺑﻌﺪ، ﻓﺈﻧﻪ ﻟﻢ ﻳﺨﻒ ﻋﻠﻲَّ ﺷﺄﻧﻜﻢ، ﻭﻟﻜﻨﻲ ﺧﺸﻴﺖ ﺃﻥ ﺗُﻔﺮﺽ ﻋﻠﻴﻜﻢ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻠﻴﻞ ﻓﺘﻌﺠﺰﻭﺍ ﻋﻨﻬﺎ » “অতঃপর, তোমাদের অবস্থা আমার নিকট গোপন ছিল না, কিন্তু আমি আশঙ্কা করেছি তোমাদের ওপর রাতের সালাত ফরয করে দেয়া হবে, তখন তোমরা তা আদায় করতে সক্ষম হবে না”। এটা ছিল রমযানের ঘটনা” [বুখারী: (৯২৪), মুসলিম: (৭৬১)]। উপরোক্ত হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় মসজিদে জমাতের সাথে সালাতে তারাবীহ্ ও রমযানের কিয়াম বৈধ। >>>> তারাবীহ্র সালাতের অনুমোদন ও বিধান এবং রাকআত সংখ্যা >>>> তারাবীহ্ এর সালাত জামাতে আদায় করার অনুমোদন প্রসঙ্গে হযরত উমর (রাঃ) এর হাদীসটি উল্লেখ যোগ্য। যেমনঃ আব্দুর রাহমান ইবন ‘আবদ আল -ক্বারী (র) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন, ﻭَﻋَﻦِ ﺍﺑْﻦِ ﺷِﻬَﺎﺏٍ، ﻋَﻦْ ﻋُﺮْﻭَﺓَ ﺑْﻦِ ﺍﻟﺰُّﺑَﻴْﺮِ، ﻋَﻦْ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪٍ ﺍﻟْﻘَﺎﺭِﻱِّ، ﺃَﻧَّﻪُ ﻗَﺎﻝَ ﺧَﺮَﺟْﺖُ ﻣَﻊَ ﻋُﻤَﺮَ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﺨَﻄَّﺎﺏِ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ـ ﻟَﻴْﻠَﺔً ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ، ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻤَﺴْﺠِﺪِ، ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺃَﻭْﺯَﺍﻉٌ ﻣُﺘَﻔَﺮِّﻗُﻮﻥَ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﻟِﻨَﻔْﺴِﻪِ، ﻭَﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺍﻟﺮَّﺟُﻞُ ﻓَﻴُﺼَﻠِّﻲ ﺑِﺼَﻼَﺗِﻪِ ﺍﻟﺮَّﻫْﻂُ ﻓَﻘَﺎﻝَ ﻋُﻤَﺮُ ﺇِﻧِّﻲ ﺃَﺭَﻯ ﻟَﻮْ ﺟَﻤَﻌْﺖُ ﻫَﺆُﻻَﺀِ ﻋَﻠَﻰ ﻗَﺎﺭِﺉٍ ﻭَﺍﺣِﺪٍ ﻟَﻜَﺎﻥَ ﺃَﻣْﺜَﻞَ . ﺛُﻢَّ ﻋَﺰَﻡَ ﻓَﺠَﻤَﻌَﻬُﻢْ ﻋَﻠَﻰ ﺃُﺑَﻰِّ ﺑْﻦِ ﻛَﻌْﺐٍ، ﺛُﻢَّ ﺧَﺮَﺟْﺖُ ﻣَﻌَﻪُ ﻟَﻴْﻠَﺔً ﺃُﺧْﺮَﻯ، ﻭَﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻳُﺼَﻠُّﻮﻥَ ﺑِﺼَﻼَﺓِ ﻗَﺎﺭِﺋِﻬِﻢْ، ﻗَﺎﻝَ ﻋُﻤَﺮُ ﻧِﻌْﻢَ ﺍﻟْﺒِﺪْﻋَﺔُ ﻫَﺬِﻩِ، ﻭَﺍﻟَّﺘِﻲ ﻳَﻨَﺎﻣُﻮﻥَ ﻋَﻨْﻬَﺎ ﺃَﻓْﻀَﻞُ ﻣِﻦَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ . ﻳُﺮِﻳﺪُ ﺁﺧِﺮَ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﻳَﻘُﻮﻣُﻮﻥَ ﺃَﻭَّﻟَﻪُ আমি রমযানের এক রাতে ‘উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) – এর সঙ্গে মসজিদে নববীতে গিয়ে দেখতে পাই যে, লোকেরা বিক্ষিপ্ত জামায়াতে বিভক্ত। কেউ একাকী সালাত আদায় করছে আবার কোন ব্যক্তি সালাত আদায় করছে এবং তার ইকতেদা করে একদল লোক সালাত আদায় করছে। ‘উমর (রাঃ) বললেন, আমি মনে করি যে, এই লোকদের যদি আমি একজন ক্বারীর (ইমামের) পিছনে একত্রিত করে দিই, তবে তা উত্তম হবে।এরপর তিনি উবাই ইবন কা‘ব (রাঃ)-এর পিছনে সকলকে একত্রিত করে দিলেন। পরে আর এক রাতে আমি তাঁর [‘উমর (রাঃ)] সঙ্গে বের হই। তখন লোকেরা তাদের ইমামের সাথে সালাত আদায় করছিল। ‘উমর (রাঃ) বললেন, কত না সুন্দর এই নতুন ব্যবস্থা! তোমরা রাতের যে অংশে ঘুমিয়ে থাক তা রাতের ঐ অংশ অপেক্ষা উত্তম যে অংশে তোমরা সালাত আদায় কর, এর দ্বারা তিনি শেষ রাত বুষিয়েছেন, কেননা তখন রাতের প্রথমভাগে লোকেরা সালাত আদায় করত (রাতের স্বলাত (তারাবিহ) অধ্যায় :: সহীহ বুখারী :: খন্ড ৩ :: অধ্যায় ৩২ :: হাদীস ২২৭)। সুতরাং, উপরোক্ত হাদীসটির মাধ্যমে বলা যায় যে, হযরত উমর (রাঃ) তারাবীহ্ সালাত জামাতবদ্ধ করার জন্য লোকদেরকে একত্রিত করেছেন তবে কখনই তিনি তারাবীহ্ এর রাকাত সংখ্যার কথা উল্লেখ করেন নাই। যদি তাই হয়ে থাকে তাহলে কথিত হানাফীরা কেন একজন জান্নাতী সাহাবীর বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করছেন? তাই এসব মিথ্যাচার থেকে দূরে থাকা অবশ্যই উচিত। বস্তুতঃ রমাযানের তারাবীহ্ এর মতভেদ যাই হোক না কেন রমযান বা রমাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) হ’তে রাত্রির এই বিশেষ নফল সালাত তিন রাক‘আত বিতরসহ ১১ রাক‘আত সহীহ সূত্র সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন ইসমা‘ঈল (রঃ) …আবূ সালামা ইবন ‘আব্দুর রাহমান (রঃ) থেকে বর্ণিত, আয়েশা (রাঃ) বলেন, ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺇِﺳْﻤَﺎﻋِﻴﻞُ، ﻗَﺎﻝَ ﺣَﺪَّﺛَﻨِﻲ ﻣَﺎﻟِﻚٌ، ﻋَﻦْ ﺳَﻌِﻴﺪٍ ﺍﻟْﻤَﻘْﺒُﺮِﻱِّ، ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﺳَﻠَﻤَﺔَ ﺑْﻦِ ﻋَﺒْﺪِ ﺍﻟﺮَّﺣْﻤَﻦِ، ﺃَﻧَّﻪُ ﺳَﺄَﻝَ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ـ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ ـ ﻛَﻴْﻒَ ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺻَﻼَﺓُ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺰِﻳﺪُ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ، ﻭَﻻَ ﻓِﻲ ﻏَﻴْﺮِﻫَﺎ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺣْﺪَﻯ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً، ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺃَﺭْﺑَﻌًﺎ ﻓَﻼَ ﺗَﺴَﻞْ ﻋَﻦْ ﺣُﺴْﻨِﻬِﻦَّ ﻭَﻃُﻮﻟِﻬِﻦَّ، ﺛُﻢَّ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺃَﺭْﺑَﻌًﺎ ﻓَﻼَ ﺗَﺴَﻞْ ﻋَﻦْ ﺣُﺴْﻨِﻬِﻦَّ ﻭَﻃُﻮﻟِﻬِﻦَّ، ﺛُﻢَّ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺛَﻼَﺛًﺎ . ﻓَﻘُﻠْﺖُ ﻳَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝَ ﺍﻟﻠَّﻪِ، ﺃَﺗَﻨَﺎﻡُ ﻗَﺒْﻞَ ﺃَﻥْ ﺗُﻮﺗِﺮَ ﻗَﺎﻝَ ” ﻳَﺎ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔُ ﺇِﻥَّ ﻋَﻴْﻨَﻰَّ ﺗَﻨَﺎﻣَﺎﻥِ ﻭَﻻَ ﻳَﻨَﺎﻡُ ﻗَﻠْﺒِﻲ “. রমযান মাসে ও রমযান ছাড়া অন্য সময়ে (রাতে) তিনি এগারো রাক‘আত হতে বৃদ্ধি করতেন না। তিনি চার রাকআত সালাত আদায় করতেন, সে চার রাকআতের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য ছিল প্রশ্নাতীত। এরপর চার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন, সে চার রাকআতের সৌন্দর্য ও দৈর্ঘ্য ছিল প্রশ্নাতীত। এরপর তিন রাকআত সালাত আদায় করতেন। আমি [‘আয়িশা (রাঃ)] বললাম, ইয়া রাসূলাল্লাহ! আপনি বিতর আদায়ের আগে ঘুমিয়ে যাবেন? তিনি বললেনঃ হে ‘আয়িশা! আমার দুচোখ ঘুমায় বটে কিন্তু আমার কালব নিদ্রাভিভূত হয় না [রাতের স্বলাত (তারাবীহ) অধ্যায় :: সহীহ বুখারী :: খন্ড ৩, অধ্যায় ৩২ :: হাদীস ২৩০]। সালফে সালেহীন রমযান মাসে কিয়ামুল লাইলে ও বিতর সালাতের রাকা‘আত সংখ্যা সর্ম্পকে বিভিন্ন মতভেদ করেছেন। ‘খলীফা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হযরত উবাই ইবনু কা‘ব ও তামীম দারী (রাঃ) – কে রামাযানের রাত্রিতে ১১ রাক‘আত সালাত জামা‘আত সহকারে আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেন। এই সালাত ( ﺇﻟﻲ ﻓُﺮُﻭْﻉِ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ ) ফযরের প্রাক্কাল (সাহারীর পূর্ব) পর্যন্ত দীর্ঘ হ’ত’ [মুওয়াত্ত্বা (মুলতান, পাকিস্তান: ১৪০৭/১৯৮৬) ৭১ পৃঃ, ‘রামাযানে রাত্রি জাগরণ’ অনুচ্ছেদ; মুওয়াত্ত্বা, মিশকাত হা/১৩০২ ‘রামাযান মাসে রাত্রি জাগরণ’ অনুচ্ছেদ-৩৭; মির‘আত হা/১৩১০, ৪/৩২৯-৩০, ৩১৫ পৃঃ]। আবদুর রাযযাক তাঁর মুসান্নাফে [আবদুর রাযযাক, আবু বকর আবদুর রাজ্জাক ইবন হুমাম আস-সানআনী (বৈরুত: আল-মাকতাবাতুল ইসলামী, দ্বিতীয় সংস্করণ ১৪০৩ হি.) তাহকীক: হাবীবুর রহমান আল-আজাদী (৪/২৬০)] দাউদ ইবন কায়স ও অন্যান্যরা মুহাম্মদ ইবন ইউসুফ হতে তিনি সায়েব ইবন ইয়াযিদ হতে ৭৭৩০ নং হাদীস বর্ণনা করেছেন যে, ﺃَﻥَّ ﻋُﻤَﺮَ ﺟَﻤَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻋَﻠَﻰ ﺃُﺑَﻲ ﺑﻦِ ﻛَﻌَﺐٍ ﻭَﻋَﻠَﻰ ﺗَﻤِﻴْﻢِ ﺍﻟﺪَّﺍﺭِﻱْ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺣْﺪﻯ ﻭَﻋِﺸْﺮِﻳْﻦَ ﻣِﻦْ ﺭَﻛْﻌَﺔِ ﻳَﻘْﺮَﺅُﻥَ ﺑِﺎﻟْﻤَﺌِﻴﻴﻦ উমার (রাঃ) রমযানে উবাই ইবনে কাব ও তামীম আদদারীকে ইমামতিতে লোকদেরকে একুশ রাকআত সালাতের প্রতি জামাআতবদ্ধ করেছিলেন। (অর্থাৎ তারাবীহ ২০ ও বিতর ১ রাকআত)। প্রকাশ থাকে যে, উক্ত রেওয়ায়াতের পরে ইয়াযীদ বিন রূমান থেকে ‘ওমরের যামানায় ২০ রাক‘আত তারাবীহ পড়া হ’ত’ বলে যে বর্ণনা এসেছে, তা ‘যঈফ’ এবং ২০ রাক‘আত সম্পর্কে ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে ‘মরফূ’ সূত্রে যে বর্ণনা এসেছে, তা ‘মওযূ’ বা জাল [আলবানী, হাশিয়া মিশকাত হা/১৩০২, ১/৪০৮ পৃঃ; ইরওয়া হা/৪৪৬, ৪৪৫, ২/১৯৩, ১৯১ পৃ:]। ইবনে হাজার আসকালানী সহীহুল বুখারীর ব্যাখ্যা ফতহুল বারীতে বলেনঃ ﻭﺃﻣﺎ ﻣﺎ ﺭﻭﺍﻩ ﺍﺑﻦ ﺃﺑﻲ ﺷﻴﺒﺔ ” ﻣﻦ ﺣﺪﻳﺚ ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﻛﺎﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﺼﻠﻲ ﻓﻲ ﺭﻣﻀﺎﻥ ﻋﺸﺮﻳﻦ ﺭﻛﻌﺔ ﻭﺍﻟﻮﺗﺮ، ﻓﺈﺳﻨﺎﺩﻩ ﺿﻌﻴﻒ، ﻭﻗﺪ ﻋﺎﺭﺿﻪ ﺣﺪﻳﺚ ﻋﺎﺋﺸﺔ ﻫﺬﺍ ﺍﻟﺬﻱ ﻓﻲ ﺍﻟﺼﺤﻴﺤﻴﻦ ﻣﻊ ﻛﻮﻧﻬﺎ ﺃﻋﻠﻢ ﺑﺤﺎﻝ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟﻴﻼً ﻣﻦ ﻏﻴﺮﻫﺎ . “যে হাদীসটি ইবনে আবী শায়বা আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা:) থেকে বর্ণনা করেছেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাযান মাসে বিশ রাকাত তারাবী ও বিতর পড়তেন-তার সনদ দুর্বল। আর এটি বুখারী ও মুসলিম শরীফে বর্ণিত আয়েশা (রা:) এর হাদীসের বিরোধী। এতদ্ব্যতীত ২০ রাক‘আত তারাবীহ্ সম্পর্কে কয়েকটি ‘আসার’ এসেছে, যার সবগুলিই ‘যঈফ’ [তারাবীহর রাক‘আত বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মির‘আত হা/১৩১০ -এর আলোচনা দ্রষ্টব্য, ৪/৩২৯-৩৫ পৃঃ; ইরওয়া হা/৪৪৬-এর আলোচনা দ্রঃ ২/১৯৩ পৃঃ]। ২০ রাক‘আত তারাবীহর উপরে ওমরের যামানায় সাহাবীগণের মধ্যে ‘ইজমা’ বা ঐক্যমত হয়েছে বলে যে দাবী করা হয়, তা একেবারেই ভিত্তিহীন ও বাতিল কথা (ﺑَﺎﻃِﻠَﺔٌ ﺟِﺪًّﺍ) মাত্র [তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৮০৩-এর আলোচনা দ্রঃ ৩/৫৩১ পৃঃ; মির‘আত ৪/৩৩৫]। তিরমিযীর ভাষ্যকার খ্যাতনামা ভারতীয় হানাফী মনীষী দারুল উলূম দেউবন্দ-এর তৎকালীন সময়ের মুহতামিম (অধ্যক্ষ) আনোয়ার শাহ কাষ্মীরী (১২৯২-১৩৫২/ ১৮৭৫-১৯৩৩ খৃঃ) বলেন, একথা না মেনে উপায় নেই যে, রাসূলুল্লাহ (সাঃ)-এর তারাবীহ ৮ রাক‘আত ছিল ( ﻛَﺎﻧَﺖْ ﺛَﻤَﺎﻧِﻴَﺔَ ﺭَﻛْﻌَﺎﺕٍ ) ( ﻭَﻻَ ﻣَﻨَﺎﺹَ ﻣِﻦْ ﺗَﺴْﻠِﻴْﻢٍ ﺃَﻥَّ ﺗَﺮَﺍﻭِﻳْﺤَﻪُ আল-‘আরফুশ শাযী শরহ তিরমিযী হা/৮০৬-এর আলোচনা, দ্রঃ ২/২০৮ পৃঃ; মির‘আত ৪/৩২১)। সুতরাং, প্রকৃত হাদীসটি এ ক্ষেত্রে উপস্থাপন করা যায়। হাদীসটি নিম্নরূপঃ ইবনে ইয়াযিদ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, ﺃَﻣَﺮَ ﻋُﻤَﺮَ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﺨَﻄَّﺎﺏِ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﺃُﺑَﻲْ ﺑْﻦِ ﻛَﻌَﺐٍ ﻭَﺗَﻤِﻴْﻤَﺎ ﺍﻟﺪَّﺍﺭِﻱِّ ﺃَﻥ ﻳَّﻘُﻮْﻡَ ﻟِﻠﻨَّﺎﺱِ ﺑِﺈﺣْﺪﻯ ﻋَﺸَﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔٍ উমার ইবনু খাত্তাব রাদিয়াল্লাহু আনহু (তার দুই সঙ্গী সাহাবী) উবাই ইবনে কাব তামীম আদদারীকে এ মর্মে নির্দেশ দিলেন যে, তারা যেন লোকদেরকে নিয়ে (রমযানের রাতে) ১১ রাকআত কিয়ামুল্লাইল (অর্থাৎ তারাবীহর সালাত) আদায় করে। (মুয়াত্তা মালেক : ১/১১৫)। অতএব, উপরোক্ত হাদীসটির মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারলাম যে, হযরত উমর ( ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ) এর সময় ইজমার মাধ্যমে যে ২০ রাকাত তারাবীর কথা প্রচলিত আছে তা সম্পূর্নই জাল হাদীস দ্বারা প্রমানিত যা স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা প্রদান করা হয়েছে। অতএব ইজমায়ে সাহাবা কর্তৃক ওমর, ওসমান ও আলীর যামানা থেকে ২০ রাক‘আত তারাবীহ সাব্যস্ত বলে যে কথা বাজারে চালু রয়েছে, তার কোন শারঈ ভিত্তি নেই। একথাটি পরবর্তীকালে সৃষ্ট তথা বিদ’আত। হাদীসের বর্ণনাকারী ইমাম মালেক নিজে ১১ রাক‘আত তারাবীহ পড়তেন যা রাসূল (ﷺ ) হ’তে প্রমাণিত। (তথ্যসূত্রঃ হাশিয়া মুওয়াত্ত্বা পৃঃ ৭১; দ্রঃ তুহফাতুল আহওয়াযী শরহ তিরমিযী হা/৮০৩-এর ব্যাখ্যা ৩/৫২৬-৩২)। এতদ্ব্যতীত ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) রাত্রির সালাত ১১ বা ১৩ রাক‘আত আদায় করতেন। পরবর্তীকালে মদীনার লোকেরা দীর্ঘ ক্বিয়ামে দুর্বলতা বোধ করে। ফলে তারা রাক‘আত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে, যা ৩৯ রাক‘আত পর্যন্ত পৌঁছে যায়’ [তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া (মক্কা: আননাহযাতুল হাদীছাহ ১৪০৪/১৯৮৪), ২৩/১১৩]। অথচ বাস্তব কথা এই যে, আল্লাহর রাসূল (সাঃ) যেমন দীর্ঘ ক্বিয়াম ও ক্বিরাআতের মাধ্যমে তিন রাত জামা‘আতের সাথে তারাবীহর সালাত আদায় করেছেন, তেমনি সংক্ষিপ্ত ক্বিয়ামেও তাহাজ্জুদের সালাত আদায় করেছেন। যা সময় বিশেষে ৯, ৭ ও ৫ রাক‘আত হ’ত। কিন্তু তা কখনো ১১ বা ১৩ – এর ঊর্ধ্বে প্রমাণিত হয়নি [ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া (মক্কা: আননাহযাতুল হাদীছাহ ১৪০৪/১৯৮৪), ২৩/১১৩]। তিনি ছিলেন ‘সৃষ্টিজগতের প্রতি রহমত স্বরূপ’ (আম্বিয়া ২১/১০৭) এবং বেশী না পড়াটা ছিল উম্মতের প্রতি তাঁর অন্যতম রহমত। >>>> মাসজিদুল হারামে কেন ২০ রাকাত তারবীহ পড়া হয়? – তথাকথিত মাযহাবী কর্তৃক তারাবীহ্ সংক্রান্ত মক্কা – মদীনার ভ্রান্ত দলীল খন্ডন >>>> প্রথমত, মাসজিদুল হারামে ১০ রাকাত + ১০ রাকাতের ২ টি আলাদা জামাত হয়। একজন ইমাম ১০ রাকাত পড়িয়ে চলে যান, কিছুক্ষণ পর আরেকজন ইমাম এসে আবার ১০ রাকাতের আলাদা জামাত পড়ান। ফলে যারা সহিহ হাদিস অনুযায়ী ১১ রাকাত পড়েন ও যারা মাযহাব অনুযায়ী ২০ রাকাত/ তার বেশি পড়েন, তারা উভয়ই লাভবান হন। দ্বিতীয়ত, যদিও এ প্রক্রিয়া বন্ধের জন্য সাউদী উচ্চ উলামা পরিষদ “বাদশাহ আব্দুল আযিয বিন সাউদ” কে তাগিদ দিয়েছিলেন, কিন্তু তুরকিদের সময় থেকে প্রায় ৮০০ বছর চলে আসা এ নিয়ম বন্ধ করলে মুসলিম বিশ্বে বৃহত্তর ফিতনার আশংকায় তিনি তা থেকে বিরত ছিলেন। এটা করতে গেলে তুরকীদের পক্ষ থেকে তাওহীদের দেশ সাউদী আরবে আক্রমণ আসার সম্ভাবনা আছে। আর নফল সালাত তো ২০ বা এর বেশী পড়লেও হারাম নয়। তাই সাউদিতে এ নিয়ম চালু আছে। ফলে সবাই নিজ বুঝ অনুযায়ী সালাত আদায় করে। কেবল মাসজিদে হারাম ও নববী ছাড়া সাউদী আরবের সব মসজিদেই ৮ রাকাত তারাবীহ + ৩ বা ১ রাকাত বিতির জামাতে পড়ানো হয়। তবে রাসূল (সাঃ) এর সুন্নাত পদ্ধতি অনুযায়ী আমাদের তারাবীহ্ সালাত আদায় করা উচিত। আবার কেউ কেউ ক্বিয়ামুল লাইলে এর প্রসঙ্গ টেনে উল্লেখ করেন যে, অতিরিক্ত সালাত আদায় করার ক্ষেত্রে কোনও দোষ নয়। অথচ রাসূল (সাঃ) এর প্রকৃত সুন্নাত এরূপ প্রমান পাওয়া যায় না। সাধারণতঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ তথাকথিত হানাফীরা এ হাদীসের ভূল ব্যাখ্যা করে নিজেদের মাযহাবকে টিকিয়ে রাখতে চান যা সত্যিই গোনাহ্ এর কাজ। প্রকৃত হাদীসটি উল্লেখ করলেই এই বিষয়ে প্রকৃত সত্যটা প্রকাশ পাবে তাতে কোন প্রকার সন্দেহ নেই। প্রকৃত হাদীসটি নিম্নরূপ উল্লেখ করা হলো। যেমনঃ সা’দ ইবনু হিশাম (রঃ) সূত্রে বর্নীত। তিনি বলেন, ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﺣَﻔْﺺُ ﺑْﻦُ ﻋُﻤَﺮَ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻫَﻤَّﺎﻡٌ، ﺣَﺪَّﺛَﻨَﺎ ﻗَﺘَﺎﺩَﺓُ، ﻋَﻦْ ﺯُﺭَﺍﺭَﺓَ ﺑْﻦِ ﺃَﻭْﻓَﻰ، ﻋَﻦْ ﺳَﻌْﺪِ ﺑْﻦِ ﻫِﺸَﺎﻡٍ، ﻗَﺎﻝَ : ﻃَﻠَّﻘْﺖُ ﺍﻣْﺮَﺃَﺗِﻲ ﻓَﺄَﺗَﻴْﺖُ ﺍﻟْﻤَﺪِﻳﻨَﺔَ ﻷَﺑِﻴﻊَ ﻋَﻘَﺎﺭًﺍ ﻛَﺎﻥَ ﻟِﻲ ﺑِﻬَﺎ، ﻓَﺄَﺷْﺘَﺮِﻱَ ﺑِﻪِ ﺍﻟﺴِّﻼَﺡَ ﻭَﺃَﻏْﺰُﻭَ، ﻓَﻠَﻘِﻴﺖُ ﻧَﻔَﺮًﺍ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﻘَﺎﻟُﻮﺍ : ﻗَﺪْ ﺃَﺭَﺍﺩَ ﻧَﻔَﺮٌ ﻣِﻨَّﺎ ﺳِﺘَّﺔٌ ﺃَﻥْ ﻳَﻔْﻌَﻠُﻮﺍ ﺫَﻟِﻚَ ﻓَﻨَﻬَﺎﻫُﻢُ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻭَﻗَﺎﻝَ : ” ﻟَﻘَﺪْ ﻛَﺎﻥَ ﻟَﻜُﻢْ ﻓِﻲ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺃُﺳْﻮَﺓٌ ﺣَﺴَﻨَﺔٌ ” . ﻓَﺄَﺗَﻴْﺖُ ﺍﺑْﻦَ ﻋَﺒَّﺎﺱٍ ﻓَﺴَﺄَﻟْﺘُﻪُ ﻋَﻦْ ﻭِﺗْﺮِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﻘَﺎﻝَ : ﺃَﺩُﻟُّﻚَ ﻋَﻠَﻰ ﺃَﻋْﻠَﻢِ ﺍﻟﻨَّﺎﺱِ ﺑِﻮِﺗْﺮِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻓَﺄْﺕِ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ ﺭﺿﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﺎ . ﻓَﺄَﺗَﻴْﺘُﻬَﺎ ﻓَﺎﺳْﺘَﺘْﺒَﻌْﺖُ ﺣَﻜِﻴﻢَ ﺑْﻦَ ﺃَﻓْﻠَﺢَ ﻓَﺄَﺑَﻰ ﻓَﻨَﺎﺷَﺪْﺗُﻪُ ﻓَﺎﻧْﻄَﻠَﻖَ ﻣَﻌِﻲ، ﻓَﺎﺳْﺘَﺄْﺫَﻧَّﺎ ﻋَﻠَﻰ ﻋَﺎﺋِﺸَﺔَ، ﻓَﻘَﺎﻟَﺖْ : ﻣَﻦْ ﻫَﺬَﺍ ﻗَﺎﻝَ : ﺣَﻜِﻴﻢُ ﺑْﻦُ ﺃَﻓْﻠَﺢَ . ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻭَﻣَﻦْ ﻣَﻌَﻚَ ﻗَﺎﻝَ : ﺳَﻌْﺪُ ﺑْﻦُ ﻫِﺸَﺎﻡٍ . ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻫِﺸَﺎﻡُ ﺑْﻦُ ﻋَﺎﻣِﺮٍ ﺍﻟَّﺬِﻱ ﻗُﺘِﻞَ ﻳَﻮْﻡَ ﺃُﺣُﺪٍ ﻗَﺎﻝَ ﻗُﻠْﺖُ : ﻧَﻌَﻢْ . ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻧِﻌْﻢَ ﺍﻟْﻤَﺮْﺀُ ﻛَﺎﻥَ ﻋَﺎﻣِﺮًﺍ . ﻗَﺎﻝَ ﻗُﻠْﺖُ : ﻳَﺎ ﺃُﻡَّ ﺍﻟْﻤُﺆْﻣِﻨِﻴﻦَ ﺣَﺪِّﺛِﻴﻨِﻲ ﻋَﻦْ ﺧُﻠُﻖِ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ . ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺃَﻟَﺴْﺖَ ﺗَﻘْﺮَﺃُ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻓَﺈِﻥَّ ﺧُﻠُﻖَ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻛَﺎﻥَ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ . ﻗَﺎﻝَ ﻗُﻠْﺖُ : ﺣَﺪِّﺛِﻴﻨِﻲ ﻋَﻦْ ﻗِﻴَﺎﻡِ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﺃَﻟَﺴْﺖَ ﺗَﻘْﺮَﺃُ } ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟْﻤُﺰَّﻣِّﻞُ { ﻗَﺎﻝَ ﻗُﻠْﺖُ : ﺑَﻠَﻰ . ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻓَﺈِﻥَّ ﺃَﻭَّﻝَ ﻫَﺬِﻩِ ﺍﻟﺴُّﻮﺭَﺓِ ﻧَﺰَﻟَﺖْ، ﻓَﻘَﺎﻡَ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏُ ﺭَﺳُﻮﻝِ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺣَﺘَّﻰ ﺍﻧْﺘَﻔَﺨَﺖْ ﺃَﻗْﺪَﺍﻣُﻬُﻢْ، ﻭَﺣُﺒِﺲَ ﺧَﺎﺗِﻤَﺘُﻬَﺎ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﻤَﺎﺀِ ﺍﺛْﻨَﻰْ ﻋَﺸَﺮَ ﺷَﻬْﺮًﺍ، ﺛُﻢَّ ﻧَﺰَﻝَ ﺁﺧِﺮُﻫَﺎ ﻓَﺼَﺎﺭَ ﻗِﻴَﺎﻡُ ﺍﻟﻠَّﻴْﻞِ ﺗَﻄَﻮُّﻋًﺎ ﺑَﻌْﺪَ ﻓَﺮِﻳﻀَﺔٍ . ﻗَﺎﻝَ ﻗُﻠْﺖُ : ﺣَﺪِّﺛِﻴﻨِﻲ ﻋَﻦْ ﻭِﺗْﺮِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ . ﻗَﺎﻟَﺖْ : ﻛَﺎﻥَ ﻳُﻮﺗِﺮُ ﺑِﺜَﻤَﺎﻥِ ﺭَﻛَﻌَﺎﺕٍ ﻻَ ﻳَﺠْﻠِﺲُ ﺇِﻻَّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺜَّﺎﻣِﻨَﺔِ، ﺛُﻢَّ ﻳَﻘُﻮﻡُ ﻓَﻴُﺼَﻠِّﻲ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﺃُﺧْﺮَﻯ، ﻻَ ﻳَﺠْﻠِﺲُ ﺇِﻻَّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺜَّﺎﻣِﻨَﺔِ ﻭَﺍﻟﺘَّﺎﺳِﻌَﺔِ، ﻭَﻻَ ﻳُﺴَﻠِّﻢُ ﺇِﻻَّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺘَّﺎﺳِﻌَﺔِ، ﺛُﻢَّ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺭَﻛْﻌَﺘَﻴْﻦِ ﻭَﻫُﻮَ ﺟَﺎﻟِﺲٌ ﻓَﺘِﻠْﻚَ ﺇِﺣْﺪَﻯ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً ﻳَﺎ ﺑُﻨَﻰَّ، ﻓَﻠَﻤَّﺎ ﺃَﺳَﻦَّ ﻭَﺃَﺧَﺬَ ﺍﻟﻠَّﺤْﻢَ ﺃَﻭْﺗَﺮَ ﺑِﺴَﺒْﻊِ ﺭَﻛَﻌَﺎﺕٍ ﻟَﻢْ ﻳَﺠْﻠِﺲْ ﺇِﻻَّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﺎﺩِﺳَﺔِ ﻭَﺍﻟﺴَّﺎﺑِﻌَﺔِ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳُﺴَﻠِّﻢْ ﺇِﻻَّ ﻓِﻲ ﺍﻟﺴَّﺎﺑِﻌَﺔِ، ﺛُﻢَّ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﺭَﻛْﻌَﺘَﻴْﻦِ ﻭَﻫُﻮَ ﺟَﺎﻟِﺲٌ، ﻓَﺘِﻠْﻚَ ﻫِﻲَ ﺗِﺴْﻊُ ﺭَﻛَﻌَﺎﺕٍ ﻳَﺎ ﺑُﻨَﻰَّ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻘُﻢْ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻟَﻴْﻠَﺔً ﻳُﺘِﻤُّﻬَﺎ ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟﺼَّﺒَﺎﺡِ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﻘْﺮَﺇِ ﺍﻟْﻘُﺮْﺁﻥَ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻗَﻂُّ، ﻭَﻟَﻢْ ﻳَﺼُﻢْ ﺷَﻬْﺮًﺍ ﻳُﺘِﻤُّﻪُ ﻏَﻴْﺮَ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ ﺻَﻠَّﻰ ﺻَﻼَﺓً ﺩَﺍﻭَﻡَ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ، ﻭَﻛَﺎﻥَ ﺇِﺫَﺍ
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 4:30am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 4:52am

    Sogood Islam Syeds

    রমাযানের কিছু বিদআতের নমুনা কোন কোন অঞ্চলে বা সমাজে রমাযান মাসে এক এক প্রকার বিদআত প্রচলিত হয়ে পড়েছে। সে সকল বিদআত থেকে সাবধান করার জন্য এখানে কিছু বিদআত উল্লেখ করা সঙ্গত বলে মনে করছি। ১। রোযার নিয়ত মুখে উচ্চারণ করা। ২। ‘‘নাওয়াইতু আন আসূমা গাদাম মিন শাহরি রামাযান’’ বলে বাঁধা নিয়ত বলা। ৩। রমাযানের রাত্রে কুরআন পড়ার জন্য ভাড়াটিয়া কারী ভাড়া করা।[1] ৪। মাইকে এক রাত্রে কুরআন খতম (শবীনা পাঠ) করা। ৫। মীলাদ বা মওলূদ পাঠ করা এবং তার শেষে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম)-এর শানে দরূদ পাঠ করার জন্য উঠে দাঁড়িয়ে মনগড়া দরূদ পড়া। সেই সাথে মুনাজাতে আমলের সওয়াব আম্বিয়া ও আওলিয়া বা কোন আত্মীয়র রূহের জন্য বখশে দেওয়া।[2] ৬। পূর্বসতর্কতামূলক কর্ম ভেবে ফজর হওয়ার ৫/১০ মিনিট আগে খাওয়া বন্ধ করা এবং সূর্য অস্ত যাওয়ার ৩/৫ মিনিট পরে ইফতার করা।[3] ৭। সেহরী ও ইফতারের সময় জানানোর উদ্দেশ্যে তোপ দাগা।[4] ৮। সেহরী খেতে জাগানোর উদ্দেশ্যে আযানের পরিবর্তে কুরআন ও গজল পাঠ করা। ৯। মসজিদের মিনারে সেহরী ও ইফতারের জন্য নির্দিষ্ট লাইট ব্যবহার করা। যেমন, সেহরীর সময় শেষ হলে লাল বাতি এবং ইফতারীর সময় শুরু হলে সবুজ বাতি জ্বালিয়ে দেওয়া।[5] ১০। সেহরী না খেয়ে অধিক সওয়াবের আশা করা।[6] ১১। কুরআন খতম হওয়ার পর বাকী রাতে তারাবীহ না পড়া।[7] ১২। প্রথমে পানি না খেয়ে আদা ও লবণ দিয়ে ইফতারী করাকে ভালো মনে করা। ১৩। ইফতারের আগে হাত তুলে জামাআতী মুনাজাত করা। ১৪। ইফতারের সময় ‘‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা বিরাহমাতিকাল্লাতী অসিআত কুল্লা শাইইন আন তাগফিরা লী’’ বলে দুআ করা।[8] ১৫। ইফতারের সময় ‘‘আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, অবিকা আ-মানতু, অআলাইকা তাওয়াক্কালতু, অআলা রিযক্বিকা আফতারতু, বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামুর রা-হিমীন’’ বলে দুআ করা। ১৬। বিশেষ করে রজব, শাবান ও রমাযানে মৃতদের কল্যাণের উদ্দেশ্যে দান-খয়রাত করা।[9] ১৭। সারা বছর নামায না পড়ে এবং তার সংকল্প না নিয়ে কেবল রমাযান মাসে রোযা রেখে (ফরয, সুন্নত ও নফল) নামায পড়া ও তসবীহ আওড়ানো।[10] ১৮। শবেকদরের ১০০ বা ১০০০ রাকআত নামায পড়া। ১৯। শবেকদরে বিশেষ করে ‘সালাতুত তাসবীহ’ নামায পড়া। ২০। কেবল ২৭শের রাতকে শবেকদর মনে করা এবং কেবল সেই রাত জাগরণ করা ও বাকী রাত না জাগা। ২১। বিশেষ করে শবেকদরের রাতে উমরাহ করা।[11] ২২। বিশেষ করে ২৭শের রাত্রি জাগরণ করে জামাআতী যিক্র করা, নানা রকমের পানাহার সামগ্রী তৈরী বা ক্রয় করে পান-ভোজন করা, মিষ্টি বিতরণ করা ও ওয়ায-মাহফিল করা।[12] ২৩। নির্দিষ্ট কোন রাতে একাকী বা জামাআতী নির্দিষ্ট যিকর পড়া।[13] ২৪। সাতাশের রাত্রে লোকেদের মিষ্টি কিনতে ভিঁড় করা, (তা খাওয়া ও দান করা)।[14] ২৫। ঈদের রাত্রি জাগরণ করে ইবাদত করা। পূর্বে উল্লেখিত হয়েছে যে, এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদীসটি জাল।[15] ২৬। রমাযানের শেষ জুমআহ (বিদায়ী জুমআহ) বিশেষ উদ্দীপনার সাথে পালন করা। ২৭। মা-বাপের নামে বিশেষ ভোজ-অনুষ্ঠান করা।[16] ২৮। শাবানের ১৫ তারীখের রাতে নামায ও দিনে রোযা রাখা।[17] বলা বাহুল্য এ ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীস নেই। সবশেষে এ কথা সকল মুসলিমের জেনে রাখা উচিত যে, নিশ্চয় উত্তম বাণী আল্লাহর গ্রন্থ এবং উত্তম পথ-নির্দেশ মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) -এর পথ-নির্দেশ। সব চেয়ে মন্দ কর্ম দ্বীনের অভিনব রচিত কর্মসমূহ। এবং প্রত্যেক নব কর্মই বিদআত, আর প্রত্যেক বিদআত্ই ভ্রষ্টতা।’’ ‘‘এবং প্রত্যেক ভ্রষ্টতার স্থান দোযখে।’’[18] মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি কোন এমন কাজ করে যার উপর আমাদের কোন নির্দেশ নেই তা প্রত্যাখ্যাত।’’[19] তিনি আরো বলেন, ‘‘যে ব্যক্তি আমাদের এ (দ্বীন) বিষয়ে কিছু এমন কর্ম উদ্ভাবন করবে যা ওর পর্যায়ভুক্ত নয়, তা প্রত্যাখ্যাত।’’[20] ফুটনোটঃ[1] (মু’জামুল বিদা’ ২৬৮পৃঃ, দুরুসু রামাযান অকাফাত লিস্-সায়েমীন ৪০পৃঃ) [2] (আহকামুল জানায়েয, আলবানী ২৬০-২৬১পৃঃ) [3] (ফাতহুল বারী ৪/১৯৯, তামামুল মিন্নাহ, আল্লামা আলবানী ৪১৫পৃঃ, মু’জামুল বিদা’ ২৬৮, ৩৬১পৃঃ) [4] (মু’জামুল বিদা’ ২৬৮পৃঃ) [5] (ফাতহুল বারী ৪/১৯৯, মু’জামুল বিদা’ ৩৬১পৃঃ) [6] (মু’জামুল বিদা’ ৩৬১পৃঃ) [7] (ঐ ২৬৮পৃঃ) [8] (এ ব্যাপারে আসারটি যয়ীফ। দ্রঃ যয়ীফ ইবনে মাজাহ, আলবানী ৩৮৭, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৯২১নং, আর ইফতারীর বিবরণে আলোচিত হয়েছে যে, ‘‘যাহাবায যামাউ—’’ ছাড়া ইফতারীর জন্য অন্য কোন দুআ বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয়।) [9] (আহকামুল জানায়েয, আলবানী ২৫৭নং বিদআত, মু’জামুল বিদা’ ২৬৯পৃঃ) [10] (মু’জামুল বিদা’ ২৭০পৃঃ) [11] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৪৯৬, ৪৯৭) [12] (মাজাল্লাতুদ দা’ওয়া, ইবনে বায ১৬৭৪/১৪ রমাযান ১৪১৯হিঃ) [13] (ঐ) [14] (মু’জামুল বিদা’ ২৬৯পৃঃ) [15] (দ্রঃ সিলসিলাহ যায়ীফাহ, আলবানী ৫২০, ৫২১, ৫২২নং, মু’জামুল বিদা’ ৩৩২পৃঃ, দুরুসু রামাযান অকাফাত লিস্-সায়েমীন ১০০পৃঃ) [16] (ফাসিঃ মুসনিদ ১০৪পৃঃ, তাযকীরু ইবাদির রাহমান, ফীমা অরাদা বিসিয়ামি শাহরি রামাযান ৫০পৃঃ) [17] (মু’জামুল বিদা’ ৩৬২পৃঃ) [18] (মুসলিম, নাসাঈ) [19] (মুসলিম) [20] (বুখারী, মুসলিম) সুত্রঃ রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল
    Maksud Bin Amal
  • June 12
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 1:02pm

    Sogood Islam Syeds

    ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা ফরয। দলীল সমূহ : . . ১. হযরত উবাদাহ বিন ছামিত (রাঃ) হতে বর্ণিত রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, ঐ ব্যক্তির ছালাত সিদ্ধ নয়, যে ব্যক্তি সূরায়ে ফাতিহা পাঠ করে না।(মুত্তাফাক্ব আলাইহ,মিশকাত হা/৮২২ ছালাতে ক্বিরাআত অনুচ্ছেদ, কুতুবে সিত্তাহ সহ প্রায় সকল হাদীছ গ্রন্থে উক্ত হাদীছটি বর্ণিত হয়েছে)। . ২. আনাস (রাঃ) বর্ণিত হাদীছে রাসূল (সাঃ) মুছল্লীদের উদ্দেশ্যে বলেন,তোমরা কি ইমামের ক্বিরাআত অবস্থায় পিছনে কিছু পাঠ করে থাক?এটা করবে না। বরং কেবলমাত্র সূরা ফাতিহা চুপে চুপে পাঠ করবে। (বুখারী, জুযউল ক্বিরাআত, ত্বাবারাণী আওসাত্ব,বায়হাক্বী, ছহীহ ইবনু হিব্বান হা/১৮৪৪; হাদীছ ছহীহ-আরনাঊত্ব; তুহফাতুল আহওয়াযী,ইমামের পিছনে ক্বিরাআত অনুচ্ছেদ-২২৯, হা/৩১০ এর ভাষ্য,২/২২৮ পৃঃ, নায়লুল আওত্বার ২/৬৭ পৃঃ, মুক্তাদীর ক্বিরাআত চুপ থাকা অনুঃ। . ৩. ছালাতে ভুলকারী,জনৈক ব্যক্তি প্রশিক্ষণ দিতে গিয়ে রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন, অতঃপর তুমি উম্মুল কুরআন বা সূরায়ে ফাতিহা পড়বে এবং যেটুকু আল্লাহ ইচ্ছা করেন কুরআন থেকে পাঠ করবে। (আবুদাঊদ হা/৮৫৯ রুকূ সিজদাহ যে ব্যক্তি পিঠ সোজা রাখে না অনুচ্ছেদ ১৪৯,রাবী রিফাআহ বিন রাফে (রাঃ)।
    Hossain Mahmud Bukhari
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 1:09pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 2:59pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/12, 3:00pm

    Sogood Islam Syeds

    #রোযা_ভঙ্গের_গ্রহণযোগ্য_কারণ_কি_কি? উত্তরঃ রোযা ভঙ্গের কারণ সমূহ হচ্ছেঃ ১) অসুস্থতা, ২) সফর। পবিত্র কুরআনে বর্ণিত হয়েছে। আল্লাহ্‌ বলেন, وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ “আর যে ব্যক্তি অসুস্থ হবে অথবা সফরে থাকবে (সে রোযা ভঙ্গ করে) অন্য দিনে তা কাযা আদায় করে নিবে।” [সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫] ৩) গর্ভবতী নারীর নিজের বা শিশুর জীবনের আশংকা করলে রোযা ভঙ্গ করবে। ৪) সন্তানকে দুগ্ধদানকারীনী নারী যদি রোযা রাখলে নিজের বা সন্তানের জীবনের আশংকা করে তবে রোযা ভঙ্গ করবে। ৫) কোন বিপদগ্রস্ত মানুষকে বাঁচাতে গিয়ে রোযা ভঙ্গ করা: যেমন পানিতে ডুবন্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার, আগুন থেকে বাঁচাতে গিয়ে দরকার হলে রোযা ভঙ্গ করা। ৬) আল্লাহ্‌র পথে জিহাদে থাকার সময় শরীরে শক্তি বজায় রাখার জন্য রোযা ভঙ্গ করা। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) মক্কা বিজয়ের সময় ছাহাবীদেরকে বলেছিলেন, إِنَّكُمْ مُصَبِّحُو عَدُوِّكُمْ وَالْفِطْرُ أَقْوَى لَكُمْ فَأَفْطِرُوا “আগামীকাল তোমরা শত্রুর মোকাবেলা করবে, রোযা ভঙ্গ করলে তোমরা অধিক শক্তিশালী থাকবে, তাই তোমরা রোযা ভঙ্গ কর।”[মুসলিম, অধ্যায়ঃ ছিয়াম, অনুচ্ছেদঃ সফরে থাকা অবস্থায় সিয়াম] বৈধ কোন কারণে রোযা ভঙ্গ করলে দিনের বাকী অংশ রোযা অবস্থায় থাকা আবশ্যক নয়। কেননা সে তো গ্রহণযোগ্য ওযরের কারণেই রোযা ভঙ্গ করেছে। এজন্য এ মাসআলায় বিশুদ্ধ কথা হচ্ছেঃ কোন রুগী যদি অসুস্থতার কারণে দিনে রোযা ভঙ্গ করে আর দিন শেষ হওয়ার আগেই সুস্থ হয়ে যায়, তবে দিনের বাকী অংশ রোযা অবস্থায় থাকার কোন আবশ্যকতা নেই। কোন মুসাফির যদি রোযা ভঙ্গ অবস্থায় দিন থাকতেই সফর থেকে ফিরে আসে তারও দিনের বাকী অংশ রোযা অবস্থায় থাকার আবশ্যকতা নেই। অনুরূপ বিধান ঋতুবতী নারীর। কেননা এরা সবাই বৈধ কারণে রোযা ভঙ্গ করেছে। তাই ঐ দিবস তাদের জন্যই। তাতে তাদের প্রতি ছিয়ামের আবশ্যকতা নেই। কেননা শরীয়ত তাদেরকে রোযা ভঙ্গের অনুমতি প্রদান করে আবার তা আবশ্যক করবে না। এর বিপরীত মাসআলা হচ্ছে, রামাযান মাসের চাঁদ দেখা গেছে একথা যদি দিনের বেলায় প্রমাণিত হয়, তবে খবর পাওয়ার সাথে সাথে রোযার নিয়ত করে নিতে হবে এবং দিনের বাকী সময় রোযা অবস্থায় কাটাতে হবে। উভয় মাসআলায় পার্থক্য সুস্পষ্ট। কেননা যখন কিনা দিনের বেলায় রামাযান মাস শুরু হওয়ার কথা প্রমাণিত হয়েছে, তখন তাদের উপর সে দিনের ছিয়াম পালন করা ওয়াজিব হয়ে গেছে। কিন্তু না জানার কারণে তাদের ওযর গ্রহণযোগ্য এবং তাদের ছিয়াম বিশুদ্ধ। এই কারণে তারা যদি জানতে পারত যে আজ রামাযান শুরু হয়েছে, তবে রোযা রাখা তাদের জন্য আবশ্যক হত। ফজর হওয়ার পর যদি জানতে পারে যে রামাযান মাস শুরু হয়েছে, তখন কি করবে? (ফতোয়া আরকানুল ইসলাম থেকে) মূল: আল্লামা মুহাম্মদ বিন সালিহ আল উছাইমীন (রাহ:) অনুবাদক: শাইখ মুহা: আব্দুল্লাহ আল কাফী
    আশরাফ খান
  • June 13
  • Sogood Islam Syeds
    6/13, 12:14am

    Sogood Islam Syeds

    বাবা মুসলিম__সন্তান মুসলিম বাবা তাবলীগ__সন্তান তাবলীগ বাবা আহলে হাদীস__সন্তান আহলে হাদীস বাবা হানাফি__সন্তান হানাফি বাবা মালেকি__সন্তান মালেকি বাবা হাম্বলী__সন্তান হাম্বলী বাবা শাফেয়ি__সন্তান শাফেয়ি বাবা শিয়া__সন্তান শিয়া বাবা সুন্নী__সন্তান সুন্নী বাবা কাদিয়ানী__সন্তান কাদিয়ানী বাবা পীরের মুরিদ__সন্তান পীরের মুরিদ বাবা হিন্দু__সন্তান হিন্দু বাবা খ্রীষ্টান__সন্তান খ্রীষ্টান বাবা বৌদ্ধ__সন্তান বৌদ্ধ বাবা ইহুদী__সন্তান ইহুদী . কুরআন কি বলে এই বাবা সম্পর্কে দেখি___ . সূরা ইউনুস:78 – তারা বলল, তুমি কি আমাদেরকে সে পথ থেকে ফিরিয়ে দিতে এসেছ যাতে আমরা পেয়েছি আমাদের বাপ-দাদাদেরকে? আর যাতে তোমরা দুইজন এদেশের সর্দারী পেয়ে যেতে পার? আমরা তোমাদেরকে কিছুতেই মানব না। সূরা যুখরুফ:22 – বরং তারা বলে, আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে পেয়েছি এক পথের পথিক এবং আমরা তাদেরই পদাংক অনুসরণ করে পথপ্রাপ্ত। . সূরা আল মায়েদাহ:104 – যখন তাদেরকে বলা হয় যে, আল্লাহর নাযিলকৃত বিধান এবং রসূলের দিকে এস, তখন তারা বলে, আমাদের জন্যে তাই যথেষ্ট, যার উপর আমরা আমাদের বাপ-দাদাকে পেয়েছি। যদি তাদের বাপ দাদারা কোন জ্ঞান না রাখে এবং হেদায়েত প্রাপ্ত না হয় তবুও কি তারা তাই করবে? . সূরা আল আ’রাফ:28 – তারা যখন কোন মন্দ কাজ করে, তখন বলে আমরা বাপ-দাদাকে এমনি করতে দেখেছি এবং আল্লাহও আমাদেরকে এ নির্দেশই দিয়েছেন। আল্লাহ মন্দকাজের আদেশ দেন না। এমন কথা আল্লাহর প্রতি কেন আরোপ কর, যা তোমরা জান না। . সূরা আশ-শো’আরা:74 – তারা বললঃ না, তবে আমরা আমাদের পিতৃপুরুষদেরকে পেয়েছি, তারা এরূপই করত। সূরা লোকমান:21 – তাদেরকে যখন বলা হয়, আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তোমরা তার অনুসরণ কর, তখন তারা বলে, বরং আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদেরকে যে বিষয়ের উপর পেয়েছি, তারই অনুসরণ করব। শয়তান যদি তাদেরকে জাহান্নামের শাস্তির দিকে দাওয়াত দেয়, তবুও কি? . বাপ-দাদার অনুসরন করে জাহান্নাম থেকে বাচা সম্ভব না___ যেটা রাসূল(সা) বলে গেছেন সেটাই মানতে হবে,,,,, কম করা যাবে না,বেশিও করা যাবে না। . আল্লাহ বলেন____সূরা আল বাক্বারাহ:48 – আর সে দিনের ভয় কর, যখন কেউ কারও সামান্য উপকারে আসবে না এবং তার পক্ষে কোন সুপারিশও কবুল হবে না; কারও কাছ থেকে ক্ষতিপূরণও নেয়া হবে না এবং তারা কোন রকম সাহায্যও পাবে না।
    Jhony Ahmed
  • Sogood Islam Syeds
    6/13, 12:52am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন: তারাবীহর নামাজ সুন্নাত না ফরজ? কোনো লোক এই নামাজ এড়িয়ে যেতে পারবে কি? উত্তর: ডা. জাকির নায়েক হাদীসে বলা হয়েছে যে, একদিন রমাদ্বানের রাতে রাসূলুল্লাহ [ﷺ] মসজিদে গিয়ে দেখলেন যে, লোকেরা একাকী বিক্ষিপ্তভাবে তারাবীহর নামায আদায় করছে । অতঃপর তিনি নামাজে দাড়িয়ে গেলেন এবং লোকেরা তার পিছনে দাড়িয়ে গেল। পরের দিন এই খবর ছড়িয়ে পড়লে ঐ দিন রাতে মসজিদ পূর্ণ হয়ে গেল। এভাবে তৃতীয় রাতেও মসজিদ ভরে গেল। চতুর্থ রাতে লোকজন মসজিদের ভিতর এবং বাইরে অপেক্ষা করতে থাকলো। কিন্তু রাসূলুল্লাহ [ﷺ] সেদিন নামাজ পড়ালেন না। তিনি ভাবলেন, এভাবে চলতে থাকলে তার উম্মতরা এই নামাজকে আবার ফরজ ভেবে নেয় কিনা! (সহীহ বুখারী, অধ্যায় তারাবীহ, হাদীস ২০১২) কিন্তু আরেকটি হাদীসে উল্লেখ আছে যে, যে ব্যক্তি রমাদ্বান মাসে বিশ্বস্ততার সাথে আল্লাহর পুরষ্কারের আশায় তারাবীহর নামায বা কিয়ামুল লাইল আদায় করে, আল্লাহ তার পূর্বের সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেন । (সহীহ বুখারী, অধ্যায় তারাবীহ, হাদীস ২০০৯) সুতরাং যদিও এটা ফরজ নয় তবে এটা সুন্নাতে মুয়াক্কাদাহ অর্থাৎ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সুন্নাত এবং যৌক্তিক কারণ ছাড়া তারাবীহর নামাজ বাদ দেওয়া উচিত নয় ।
    MD Mehedi Hasan Farazi
  • June 13
  • Sogood Islam Syeds
    6/13, 7:04pm

    Sogood Islam Syeds

    নবীজি (ﷺ) বলেন, مَنْ صَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব হাসিলের আশায় রমযানে সিয়াম পালন করবে, তার অতীতের সব গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। (বুখারী ও মুসলিম) সুহুর ,ইফতার,সফরের সিয়াম,এহতেকাফ,রোগী ও মাজুরের সিয়াম সম্পর্কে বিস্তারিত মাসলা মাসায়েল আমাদের সাইট হতে জানুন। https://web.facebook.com/idawahsg http://www.islamicdawahsg.com/ https://www.youtube.com/idawahsg1
    Md Hasarul Kabir Rasel
  • June 14
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 12:36am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 12:36am

    Sogood Islam Syeds

    <অসুস্থ রোগীর সাওম বা রোজা কেমন হবে> সুস্থ হলে আদায় করে দিবে আর এমন রোগী যদি হয় যার আরোগ্যের আর আশা করা যায় না তাঁর ক্ষেত্রে ফিদিয়া- ১- চিরস্থায়ী রোগী যেমন-ক্যান্সারের রোগ,কিডনীর রোগ বা এ ধরণের স্থায়ী রোগ (যা অসহনীয়) যা থেকে রোগী সুস্থতা আশা করে না, সে রোগী রমযান মাসে সাওম ভঙ্গ করবে এবং প্রতিদিনের বদলে ফিদিয়া দিবে অর্থাৎ একজন মিসকীন খাওয়াবে। ২-বৃদ্ধ পুরুষ ও নারী, যারা সিয়াম পালনে সক্ষম নয়, তারাও সাওম ভঙ্গ করবে এবং প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীন খাওয়া্বে। কুরআন থেকে এর দলীল হল আল্লাহ তা‘আলার বাণী : “আর যারা তাতে (সিয়াম পালনে ) অক্ষম, তারা যেন ফিদয়াহ হিসেবে মিসকীন খাওয়ায়।” [আল-বাকারাহ: ১৮৪] শাইখ ইবনু বাযকে একজন অতি বৃদ্ধা নারী বা পুরুষ বা চিরস্থায়ী রোগে আক্রান্ত রোগী,সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয়েছিল যিনি সাওম পালনে সক্ষম নন, তিনি কী করবেন? তিনি উত্তরে বলেন: “তাকে প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীনকে আধা সা‘ খাবার খাওয়াতে হবে, তা সে দেশের খাদ্য দ্রব্য থেকে যেমন- খেজুর বা চাল বা এছাড়া অন্যান্য প্রধান খাবার থেকে। আধা সা‘ ওজন হিসেবে এর পরিমাণ হল প্রায় দেড় (১.৫) কিলোগ্রাম। যেমন- নবীর একদল সাহাবী ফাত্‌ওয়া দিয়েছেন, যাঁদের মাঝে ইবনু ‘আব্বাসও (রাদিয়াল্লাহু ‘আনহুমা) আছেন। আর যদি তিনি (অতি বৃদ্ধা নারী) দরিদ্র হন অর্থাৎ খাওয়াতে সক্ষম না হন, তবে তার উপর কিছু বর্তায় না, আর এই কাফফারাহ একজন (মিসকীন)-কে বা অনেকজনকে (মিসকীনদের) দেওয়া যেতে পারে মাসের শুরুতে বা এর মাঝে বা এর শেষে। আর আল্লাহই তাওফীক্বদাতা।”
    Habibullah Reza
  • Sogood Islam Syeds
    6/14, 12:43am

  • June 15
  • Sogood Islam Syeds
    6/15, 2:07pm

    Sogood Islam Syeds

    -এখন তুমি দেখাও , ইলিয়াসি তাবলীগ সমর্থক? -আল্লাহ কোথায় বলছেন, “বুজুর্গের সন্তুষ্টি করলে পরকালে নাজাত পাওয়া যাবে”? -আল্লাহ কি “দীনের তাবলীগ, রাসুল (সাঃ)এর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্য করতে বলেছেন”? -জাকারিয়া সাহেব “বুজুর্গনের সন্তুষ্টিকে পরকালে নাজাতের উসীলা বানিয়েছেন” ! -জাকারিয়া সাহেব তাঁর সকল উম্মতদের জন্য “এই শিক্ষাই রেখে গিয়েছেন” ! -নিজ চোখেই দেখুন, জাকারিয়া সাহেব -ফাজায়েলে তাবলীগ কিতাব লিখতে গিয়ে -চেয়েছেন বুজুর্গনের সন্তুষ্টি ! -পরকালে নাজাতের উসীলা বানিয়েছেন ! -জান্নাতের জন্য ইবাদত করে আল্লাহ’র সন্তুষ্টি অর্জন করতে হবে -এইকথা, {মহান আল্লাহ বলেছেন}। তবে একটা ব্যপার খেয়াল রাখতে হবে -কোনটা {শিরক হবে}, -আর কোনটা {শিরক হবে না }। যেইটা {দুনিয়াবী বিষয়} কিন্তু {ইবাদত না}, -যেমন পিতা-মাতার সেবা করা, কাউকে সাহায্য করা, মানুষের সাথে ভালো ব্যবহার করা – এইগুলো যদি কেউ কোনো {মানুষকে সন্তুষ্ট} করার জন্য করে -{সেটা শিরক হবেনা}। -তবে সে যেহেতু {অন্য কারো জন্য করছে}, সেইজন্য সে {সওয়াব থেকে বঞ্চিত হবে}। কিন্তু এইগুলো {দুনিয়াবী বিষয়/ভালো কাজ} যদি কেউ -{“শুধুমাত্র আল্লাহকে” সন্তুষ্ট করার জন্য করে}, -অন্য কোনো কিছুর জন্য না, -{তাহলে এই কাজ গুলো ভালো কাজ{ইবাদাত} হিসেবে গণ্য হবে} এবং -{সে এর বিনিময়ে ইবাদাতের সওয়াব পাবে}। {সুব্-হানাল্লহ}{আলহামদুলিল্লাহ}{লা ইলাহা ইল্লাল্লহ}{আল্লহু আকবার} -ফাযায়েলে আমাল বইয়ের ভূমিকার কথাটি যদি শির্ক না হয়, -তাহলে এটি কোন পর্যায়ের কথা ? দয়া করে জানাবেন কি? -LIFE OF THIS WORLD IS ONLY THE DECEPTION OF ENJOYMENT {{(“হে নবী,) এরা যা কথাবার্তা বলে আমি তার সবকিছুই জানি । তুমি তো তাদের {{{{{উপর জোর-জবরদস্তি করার কেও নও ।}}}}} অতপর এ কুরআন দিয়ে তুমি সে ব্যক্তিকে সদুপদেশ দাও, যে আমার শাস্তি কে ভয় করে”}} >{{{সুরা ক্বাফ-৪৫}}} -নিজে সতর্ক হন এবং অপরকে সতর্ক করুন https://www.youtube.com/watch?v=n3-unEvZ49w -Purpose is simple-যে বাড়াবাড়ি গুলো করা হইছে সেগুলোর ব্যপারে সতর্ক করা্র চেষ্টা মাত্র।https://www.youtube.com/watch?v=4JLs70Fobso -সৎ অন্তর নিয়ে শুনুন, ইন-শাআ-আল্লাহ বিচার করতে পারবেন কোনটা হক্ক। -@আর যদি আপনি হক্ক বিচার করতে অসমর্থ হন, তবে জেনে রাখুন –“আমি মুসলিম”
    Amin Syed Ruhul
  • June 16
  • Sogood Islam Syeds
    6/16, 1:52am

    Sogood Islam Syeds

    আসুন দেখি হানাফী মাজহাবের ঘরের ইমাম তারাবীহ / তাহাজ্জুদ ছালাত এর রাকআত সংখ্যা কত বর্ণনা করেছেন। 100 – مُحَمَّدٌ، قَالَ: أَخْبَرَنَا أَبُو حَنِيفَةَ، قَالَ حَدَّثَنَا أَبُو جَعْفَرٍ، قَالَ: كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يُصَلِّي مَا بَيْنَ صَلَّاةِ الْعِشَاءِ الْآخِرَةِ إِلَى صَلَاةِ الْفَجْرِ ثَلَاثَ عَشْرَةَ رَكْعَةً: ثَمَانِي رَكَعَاتٍ تَطَوُّعًا، وَثَلَاثَ رَكَعَاتٍ الْوِتْرَ، وَرَكْعَتَيِ الْفَجْرِ ” ইমাম মুহাম্মদ বলেন, “আবূ হানীফা আমাদের জানিয়েছেন, যিনি বলেন, আমাদের নিকট আবূ জাফর বর্ণনা করেছেন, যিনি বলেছেন, নবী (সাঃ) ইশা ও ফজরের সালাতের মধ্যে ১৩ রাকআত পড়তেন, যার ৮ রাকআত নফল, ৩ রাকআত বিতর, এবং দুই রাকআত ফজরের সালাতের সুন্নাত ছিল।” (আছার মুহাম্মাদ বিন হাসান ১/২৩৪,১০০, দারুল কুতুব ইলমিয়াহ, বৈরুত, লেবানন) ►সনদের আবু জাফর একজন ‘সিক্বাহ’ রাবী। ইমাম ইবন হিব্বান তার ‘সিক্বাহ’ গ্রন্থে (৫/৩৪৮,৫১৬০) এনাকে উল্লেখ করেছেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল এনাকে ‘সিক্বাহ’ বলে উল্লেখ করেছেন। (موسوعة أقوال الإمام أحمد بن حنبل في رجال ৩/২৯৫, ২৩৮৯) এই হাদীছের সনদ ছহীহ।
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • June 16
  • Sogood Islam Syeds
    6/16, 4:40pm

    Sogood Islam Syeds

    ওমর (রাঃ) থেকে ২০ রাকআত এবং এর উর্দধে ২১, ২৩ রাকআত এর ৪ টি বর্ণনা পাওয়া যায়। যেগুলি – (১) عَنْ دَاوُدَ بْنِ قَيْسٍ، وَغَيْرِهِ، عَنْ مُحَمَّدِ بْنِ يُوسُفَ، عَنِ السَّائِبِ بْنِ يَزِيدَ، ” أَنَّ عُمَرَ: جَمَعَ النَّاسَ فِي رَمَضَانَ عَلَى أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ، وَعَلَى تَمِيمٍ الدَّارِيِّ عَلَى إِحْدَى وَعِشْرِينَ رَكْعَةُ يَقْرَءُونَ بِالْمِئِينَ وَيَنْصَرِفُونَ عِنْدَ فُرُوعِ الْفَجْرِ ” দাঊদ বিন কায়াস+অন্যান্যরা+মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ+সায়েব বিন ইয়াজিদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) রামাযানে মানুষদেরকে জড়ো করতেন এবং উবাই বিন কাব এবং তামীম আল-দারী কে দিয়ে ২১ রাকআত পড়িয়েছেন, এবং তারা ১০০ টি করে আয়াত পড়তেন, এবং ভোর হওয়ার আগে তারা ছেড়ে দিতেন। (মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, ৪/২৬০, ৭৭৩০, মাকতাবা শামেলা) এই হাদীছের সনদে স্পষ্ট ভাষায় উল্লেখ আছে ‘وَغَيْرِهِ’ ‘এবং অন্যান্যরা’ প্রশ্ন হল এই ‘অন্যান্যরা’ কারা ? ইনারা কি সিক্বাহ, না হাসান, না মুনকার তার কোন পরিচয় পাওয়া যায় না। আপনি কিভাবে এই হাদীছকে ছহীহ বলেন ভাই ? (২) مَالِكٌ، عَنْ يَزِيدَ بْنِ رُومَانَ؛ أَنَّهُ قَالَ: كَانَ النَّاسُ يَقُومُونَ فِي زَمَانِ (1) عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ، فِي رَمَضَانَ، بِثَلاَثٍ وَعِشْرِينَ رَكْعَةً [ق: 20 – ب] . ইমাম মালেক+ইয়াজিদ বিন রুমান থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) এর জামানায় মানুষরা রামাযানে ২৩ রাকআত কিয়াম করতেন। (মুয়াত্তা মালেক ২/১৫৯, ৩৮০, মাকতাবা শামেলা) এই ইয়াজিদ বিন রুমানের সাথে ওমর বিন খাত্তাব এর সাক্ষাত হয়নি। (ইরওয়াউল গালীল ২/১৯২ পেইজ, হা ৪৪৬ এর আলোচনা) এই হাদীছ মুরসাল বিধায় যঈফ। (বিস্তারিত দেখুন শাইখ মুযাফফার বিন মুহসিনের ‘তারাবীহর রাকআত সংখ্যা’ ৩৪-৩৫ পেইজ) (৩) حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مَالِكِ بْنِ أَنَسٍ، عَنْ يَحْيَى بْنِ سَعِيدٍ، «أَنَّ عُمَرَ بْنَ الْخَطَّابِ أَمَرَ رَجُلًا يُصَلِّي بِهِمْ عِشْرِينَ رَكْعَةً» ওয়াকী+মালিক বিন আনাস+ইয়াহইয়া বিন সাঈদ হতে বর্ণিত যে, ওমর বিন খাত্তাব (রাঃ) একজন মানুষকে লোকদেরকে নিয়ে ২০ রাকআত পড়ানোর আদেশ দিলেন। (মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ২/১৬৩, ৭৬৮২, মাকতাবা শামেলা) এই হাদীছ মুরসাল, ইয়াহইয়া বিন সাঈদ ওমর (রাঃ) এর জামানা পাননি। দেখুন কিতাবের টীকা- https://scontent-sit4-1.xx.fbcdn.net/v/t1.0-9/13435323_1024255917670099_6227002273808323085_n.jpg?oh=bd883b37fb71668eeffaf022cfb65930&oe=57C32186 (৪) حَدَّثَنَا حُمَيْدُ بْنُ عَبْدِ الرَّحْمَنِ، عَنْ حَسَنٍ، عَنْ عَبْدِ الْعَزِيزِ بْنِ رُفَيْعٍ قَالَ: «كَانَ أُبَيُّ بْنُ كَعْبٍ يُصَلِّي بِالنَّاسِ فِي رَمَضَانَ بِالْمَدِينَةِ عِشْرِينَ رَكْعَةً، وَيُوتِرُ بِثَلَاثٍ» It was narrated that ‘Abd al-‘Azeez ibn Rafee’ said: Ubayy ibn Ka’b used to lead the people in praying twenty rak’ahs during Ramadaan in Madeenah, and he would pray Witr with three rak’ahs. হুমায়দ ইবনু আব্দুর রহমান+হাসান+আব্দুল আজীজ বিন রাফেঈ হতে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ উবাই বিন কাব মদীনাতে রামাযানে মানুষদেরকে নিয়ে ২০ রাকআত পড়াতেন এবং ৩ রাকআত বিতর পড়াতেন। (মুসান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ২/১৬৩, ৭৬৮৪, মাকতাবা শামেলা) এই হাদীছও মুরসাল, বিধায় যঈফ। স্ক্রীনশট – https://fbcdn-sphotos-e-a.akamaihd.net/hphotos-ak-xpa1/v/t1.0-9/13412889_1024257384336619_2511811958784078338_n.jpg?oh=7d50f28d8395bdaf77fc084935eecb2c&oe=57C2DB12&__gda__=1473538168_63b8af035aa7be1efa1fd2936e973683
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • June 17
  • Sogood Islam Syeds
    6/17, 3:59am

    Sogood Islam Syeds

    ফিতরা হিসেবে কি দেয়া যাবে, টাকা না খাদ্যদ্রব্য? কত পরিমান দিতে হবে এবং কাকে দিতে হবে?
      ফিতরা হিসেবে কি দেয়া যাবে, টাকা না খাদ্যদ্রব্য? কত পরিমান দিতে হবে এবং কাকে দিতে হবে? সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহ্‌র। রাসূল (সাল্লাল্লাহু’আলাইহী’ওয়াসাল্লাম) ফিতরা দেয়া ফরয করেছ…
    islamqabangla.wordpress.com
  • Sogood Islam Syeds
    6/17, 4:17am

    Sogood Islam Syeds

    যারা এক রাকআত বিতর সালাতের দলীল খুজে পান না; তারা এ হাদীসটি পড়ুন, আর এখানে স্পষ্টভাবে এক রাকআতের কথা বলা আছে। ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, أَنَّ رَجُلاً، سَأَلَ رَسُولَ اللَّهِ (ﷺ ) عَنْ صَلاَةِ اللَّيْلِ فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ (ﷺ) صَلاَةُ اللَّيْلِ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خَشِيَ أَحَدُكُمُ الصُّبْحَ صَلَّى رَكْعَةً وَاحِدَةً، تُوتِرُ لَهُ مَا قَدْ صَلَّى এক ব্যক্তি রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ)-কে রাতের স্বলাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করল, অতঃপর রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) বললেন, রাতের স্বলাত দু-রাকআ’ত দু-রাকআ’ত অতঃপর তোমাদের কেউ যখন ভোর হয়ে যাওয়ার আশংকা করে, তখন এক রাকাআত স্বলাত আদায় করবে যা তার স্বলাতকে বিতর করে দেবে। সহীহুল বুখারী: ৯৯০, সহিহ মুসলিম: ১৬৩৩
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • June 17
  • Sogood Islam Syeds
    6/17, 11:02pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/18, 1:13am

    Sogood Islam Syeds

    Tafazzal Hussain added a new photo.
    কত বড় জালেম ঈমাম ! মাসজিদে মুসল্লিদের বলে বুকে হাত বাঁধবেন না। রাফুল ইয়াদাইন করবেন না, জোরে আমিন বলবেন না। বাসায় তার মা, বউ, মেয়ে বুকে হাত বাঁধে। এখানে সে অন্ধ। এখানে সে সালাতের দুই রকম নিয়ম করেছে। অথচ তার খান্দানের পীর বলেছে, উভয় হাদিসই আছে। আমরা পূরুষগণ নিয়েছি নাভীর নীচেরটা আর মহিলাদের দিয়েছি বুকেরটা। ইসলাম তো অন্ধ ও বোকা পীরের কথায় চলে না। ইসলাম চলে রাসূল সাঃ এর কথায়। আমিনের আওয়াজ শুনলে মূর্খ ঈমামের মেজাজ গরম হয়ে যায়। এবার আপনিই বলুন বাড়াবাড়ির সীমা লংগন করে কে ?
    Tafazzal Hussain
  • Sogood Islam Syeds
    6/18, 1:21am

    Sogood Islam Syeds

    এদেশের মালানা মুফতিগণ অনেকেই সৌদি আরব ঘুরে এসেছেন। ১.কখনো কোন দিন বালাগাল উলার আওয়াজ শুনেননি। ২.সম্মিলীত দুরুদের আওয়াজ শুনেননি। ৩. সম্মিলিত জিকিরের আওয়াজ শুনেননি। ৪. কোথায়ও স্বলাতের পর সম্মিলীত মুনাজাত দেখেননি। ৫. শুনেছেন জোরে আমিনের আওয়াজ, ৬. দেখেছেন রাফউল ইয়াদাইন, ৭. দেখেছেন নাভীর ওপরে হাত বাঁধা, ৮. শুনেছেন দেখেছেন ইকামতের পর লাইন সোজা করার জন্য ঈমামের ঘোষনা, ৯. দেখেন নাই কোন মাসজিদে লাল বাতি, ১০. দেখেছেন মাসজিদে ডুকেই ২রাকাত তাহইয়াত পড়তে, ১১. দেখেন নাই মাসজিদে ডুকেই বসে যেতে, ১২. দেখেন নাই ফজরের ফরজ স্বলাত কালিন সুন্নত পড়তে, ১৩. দেখেন নাই মাসজিদে মেহরাবের ওপর ডানে বামে আল্লাহ ও মুহাম্মদ লেখা। ১৪. দেখেন নাই নাওয়াইতুয়ান…………………………………………… ১৫. দেখেন নাই পীর মুরিদী নামক ব্যবসা। ১৬. দেখেছেন মক্কা মদিনার মাসজিদে অসংখ্য সহী তালিমি জলসা। ১৭. দেখেন নাই সবেবরাতের মত বিদআতের মোহড়া। ১৮. দেখেছেন শির্ক ও বিদআত মুক্ত মক্কা মাদিনা। ওস্তাদের দিকে তাকিয়ে, নিজ মাজহাবের গোঁড়ামির কথা মনে করে, নিজস্ব ফেরকার কথা চিন্তা করে , দেওবন্দ এর কথা মনে করে অধিকাংশই সত্য গোপন রেখেছেন। মহান রব বলেনঃ নিশ্চয় যারা সেসব বিষয় গোপন করে, যা আল্লাহ কিতাবে নাযিল করেছেন এবং সেজন্য অল্প মূল্য গ্রহণ করে, তারা আগুন ছাড়া নিজের পেটে আর কিছুই ঢুকায় না। আর আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাদের সাথে না কথা বলবেন, না তাদের পবিত্র করা হবে, বস্তুতঃ তাদের জন্যে রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব। বাকারা ১৭৪।
    Tafazzal Hussain
  • Sogood Islam Syeds
    6/18, 1:27am

  • Sogood Islam Syeds
    6/18, 1:55am

  • June 18
  • Sogood Islam Syeds
    6/18, 10:47pm

    Sogood Islam Syeds

    হাদিস শাস্ত্রের কতিপয় পরিভাষা ======================== সাহাবী ( ﺻﺤﺎﺑﻰ ) যে ব্যক্তি ঈমানের সঙ্গে রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাহচর্য লাভ করেছেন বা তাঁকে দেখেছেন ও তাঁর একটি হাদীস বর্ণনা করেছেন, অথবা জীবনে একবার তাঁকে দেখেছেন এবং ঈমানের সঙ্গে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে এর সাহাবী বলে। তাবিঈ (ﺗﺎﺑﻌﻰ) যিনি রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন সাহাবীর নিকট হাদীস শিক্ষা করেছেন অথবা তাঁকে দেখেছেন এবং মুসলমান হিসাবে মৃত্যুবরণ করেছেন তাঁকে তাবিঈ বলে। মুহাদ্দিস ( ﻣﺤﺪﺙ) যে ব্যক্তি হাদীস চর্চা করেন এবং বহু সংখ্যক হাদীসের সনদ ও মতন সম্পর্কে বিশেষ জ্ঞান রাখেন তাঁকে মুহাদ্দিস বলে। শায়খ ( ﺷﻴﻴﺦ ) হাদীসের শিক্ষাদাতা রাবীকে শায়খ বলে। শায়খায়ন ( ﺷﻴﺨﻴﻦ) সাহাবীগণের মধ্যে আবু বকর ও উমর (রা.)-কে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়। কিন্তু হাদীসশাস্ত্রে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম (রহ.)-কে এবং ফিক্হ-এর পরিভাষায় ইমাম আবু হানীফা (রহ.) ও আবু ইউসুফ (রহ.)-কে একত্রে শায়খায়ন বলা হয়। হাফিয (ﺣﺎﻓﻆ ) যিনি সনদ ও মতনের বৃত্তান্ত সহ এক লক্ষ হাদীস আয়ত্ত করেছেন তাঁকে হাফিয বলা হয়। হুজ্জাত (ﺣﺠﺔ ) অনুরূপভাবে যিনি তিন লক্ষ হাদীস আয়ত্ত করেছেন তাঁকে হুজ্জাত বলা হয়। হাকিম (ﺣﺎﻛﻢ ) যিনি সব হাদীস আয়ত্ত করেছেন তাঁকে হাকিম বলা হয়। রিজাল (ﺭﺟﺎﻝ ) হাদীসের রাবী সমষ্টিকে রিজাল বলে। যে শাস্ত্রে রাবীগণের জীবনী বর্ণনা করা হয়েছে তাঁকে আসমাউর-রিজাল ( ﺍﺳﻤﺎﺀ ﺍﻟﺮﺟﺎﻝ ) বলা হয়। রিওয়ায়ত ( ﺭﻭﺍﻳﺔ) হাদীস বর্ণনা করাকে রিওয়ায়ত বলে। কখনও কখনও মূল হাদীসকেও রিওয়ায়ত বলা হয়। যেমন, এই কথার সমর্থনে একটি রিওয়ায়ত (হাদীস) আছে। সনদ (ﺳﻨﺪ ) হাদীসের মূল কথাটুকু যে সূত্র পরম্পরায় গ্রন্থ সংকলনকারী পর্যন্ত পৌঁছেছে তাকে সনদ বলা হয়। এতে হাদীস বর্ণনাকারীদের নাম একের পর এক সজ্জিত থাকে। মতন (ﻣﺘﻦ ) হাদীসের মূল কথা ও তার শব্দ সমষ্টিকে মতন বলে। মরফূ’ (ﻣﺮﻓﻮﻉ ) যে হাদীসৈর সনদ (বর্ণনা পরম্পরা) রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যš— পৌঁছেছে, তাকে মরফূ’ হাদীস বলে। মাওকুফ (ﻣﻮﻗﻮﻑ) যে হাদীসের বর্ণনা-সূত্র ঊর্ধ্ব দিকে সাহাবী পর্যন্ত পৌঁছেছে, অর্থাৎ যে সনদ-সূত্রে কোন সাহাবীর কথা বা কাজ বা অনুমোদন বর্ণিত হয়েছে তাকে মাওকূফ হাদীস বলে। এর অপর নাম আসার (ﺍﺛﺎﺭ) । মাকতু ( ﻣﻘﻄﻮﻉ) যে হাদীসের সনদ কোন তাবিঈ পর্যন্ত পৌঁছেছে, তাকে মাকতু’ হাদীস বলা হয়। মুত্তাফাকুন আলাইহি ( ﻣﺘﻔﻖ ﻋﻠﻴﻪ ) যে হাদীসের বিশুদ্ধতার ব্যাপারে ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম উভয়ই একমত এবং তারা উক্ত হাদীস লিপিবদ্ধ করেছেন তাই মুত্তাফাকুন আলাইহি হাদীস। সাহীহ (ﺻﺤﻴﺢ) যে মুত্তাসিল হাদীসের সনদে উলেখিত প্রত্যেক রাবীই পূর্ণ আদালত ও যাবতা-গুণসম্পন্ন এবং হাদীসটি যাবতীয় দোষত্র“টি মুক্ত তাকে সাহীহ হাদীস বলে। হাসান (ﺣﺴﻦ) যে হাদীর্সে কোন রাবীর যারতগুণে পরিপূর্ণতার অভাব রয়েছে তাকে হাসান হাদীস বলা হয়। ফিকহবিদগণ সাধারণত সাহীহ ও হাসান হাদীসের ভিত্তিতে শরী‘আতের বিধান নির্ধারণ করেন। যঈফ (ﺿﻌﻴﻒ ) যে হাদীসের রাবী কোন হাসান হাদীসের রাবীর গুণসম্পন্ন নন তাকে যঈফ হাদীস বলে। রাবীর দুর্বলতার কারণেই হাদীসকে দুর্বল বলা হয়, অন্যথায় রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কোন কথাই যঈফ নয়। যঈফ অর্থ দূর্বল কিন্তু একে জাল বলে আখ্যায়িত করা অনূচীত। মাওযূ’ (ﻣﻮﺿﻮﻉ ) যে হাদীসের রাবী জীবনে কখনও ইচ্ছাকৃতভাবে রাসূলুাল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নামে মিথ্যা কথা রটনা করেছে বলে প্রমাণিত হয়েছে, তার বর্ণিত হাদীসকে মাওযূ’ হাদীস বলে। এরূপ ব্যক্তির বর্ণিত হাদীস গ্রহণযোগ্য নয়।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    6/18, 11:10pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রফেসর মুহাম্মাদ আসাদুল্লাহ আল-গালিবের সকল লেকচার এবং বই সমূহর ডাউনলোড লিংক… . Www.at-thareek.com . এছাড়া ও আরো শাইখদের লেকচার এবং বই পাবেন এখানে। . দয়াকরে শেয়ার করুন!
    Hossain Mahmud Bukhari
  • Sogood Islam Syeds
    6/19, 12:56am

    Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin added a new photo.
    রাসুল (সাঃ) বলেছেন যখনই কোনো সম্প্রদায় সমাজে একটি বিদআত চালু করেছে তখনই আল্লাহ পাক সমাজ থেকে একটি সুন্নত উঠিয়ে নিয়েছেন ৷ (মুসনাদে আহমদ,দারিমি তিরমিজি) যেমন বিদআতী মোল্লারা সমাজে চালু করেছে ইফতারের ৫ অথবা ১০ মিনিট পূর্বে একক বা সম্মিলিত মোনাজাত করা,যা রাসুল (সাঃ) এবং সাহাবিগনের তরিকা নয়,আর সেই কারণেই সিয়াম রেখে বিদআতীদের সারাদিন দুয়া করার তৌফিক হয় না,এই যে বড় হুজুর বলেছেন ইফতারের পূর্বে দুয়া করলে কবুল হয় তাই ৷ আরও দেখবেন বড় হুজুর শবে বরাতের নামাজ ও সিয়াম রাখার বিদআতী আমলের এতবেশী ফজিলত বর্ণনা করেন জাল জইফ হাদিস থেকে যার ফলে মানুষ ফরজ সালাত না পরলেও শবে বরাতের নামাজ ঠিকই পড়ে, মসজিদ মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায় ৷ আরও দেখবেন সোমবার,বৃহস্পতিবার,আইয়ামে বিয অর্থাৎ চাঁদের ১৩,১৪,ও ১৫ তারিখের সুন্নতি সিয়াম না রাখলেও শবে বরাতের বিদআতী সিয়াম ঠিকই রাখে ৷ আল্লাহ যেন সবাইকে হ্বক বুঝার তৌফিক দান করেন আমিন ৷ সাহিহ হাদিসে প্রমান সিয়ামকারী সারাদিন দুআ করবে সিয়ামকারীর দুআ সারাদিনই কবুল হয়। _________________________\\\\\\\ ( إن للصائم عنده فطره دعوة لا ترد ) <صلى الله عليه وسلمm> “সওম পালনকারীর ইফতারের সময় দোয়া প্রত্যাখ্যান করা হয়”না। আহমদ: (২/৩০৫), তিরমিযি: (৩৬৬৮), ইবনু খুযাইমাহ: (১৯০১), ইবনু মাজাহ: (১৭৫২), এ হাদিসের সনদে বিদ্যমান ইসহাক ইবনু উবাইদুল্লাহ মাদানি অপরিচিত। ইবনুল কাইয়্যেম হাদিসটি “যাদুল মায়াদ” গ্রন্থে দুর্বল বলেছেন। ইমাম তিরমিযিও হাদিসটি দুর্বল বলেছেন। হাদিসটি দুর্বল। হাদিসের মানঃ যঈফ (Dai’f) Source: 1. https://irrfinfo.files.wordpress.com/2011/12/ramadan-bishoye-jal-durbol-hadith.pdf 2. http://www.hadithbd.com/show.php?BookID=15&SectionID=215
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    6/19, 1:45am

    Sogood Islam Syeds

    অত্যন্ত জরুরি বিজ্ঞপ্তিঃ আপনি সতর্ক না হলে আপনার ক্ষেত্রেও তাই হবে। আমাদের দেশে মাজহাবি গোঁড়ামির কারনে জানাজায় সূরা ফাতেহা পড়া হয় না। ঈমাম আবু হানিফা রহঃ বলেছেন, সহী হাদিস আমার মজহাব। এমন ঘোষনা অন্ধ মুকাল্লিদগণ মানেন না। তহলে আর হানাফি থাকল কোথায় ? দেখুন সহী বুখারি হতে দিনের আলোর মত উজ্জল দলিলঃ সহীহুল বুখারী :: হাদিস : ১৩৩৫ মুহাম্মদ ইবনু বাশ্শার ও মুহাম্মদ ইবনু কাসীর (র)…….. ত্বলহা ইবনু আবদুল্লাহ্ ইবনু আউফ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি (আবদুল্লাহ্) ইবনু আব্বাস -এর পিছনে জানাযার স্বলাত আদায় করলাম । তাতে তিনি সূরা ফাতিহা তিলওয়াত করলেন এবং (স্বলাত শেষে) বললেন, (আমি এমন করলাম) যাতে সবাই জানতে পারে যে, তা (সূরা ফাতিহা তিলাওয়াত করা) জানাযার স্বলাতে সুন্নাত। হাসান (র) বলেছেন, শিশুর জানাযার স্বলাতে সূরা ফাতিহা পাঠ করবে এবং দু’আ পড়বে। হে আল্লাহ! তাঁকে আমাদের জন্য অগ্রে প্রেরিত, আগ্রগামী এবং আমাদের পুরস্কার স্বরূপ গ্রহণ কর। তাহক্বীক:: মারফু হাদিস। তাখরীজ :: ( আ.প্র. ১২৪৭, ই.ফা. ১২৪৫) মহান রবের হুশিয়ারিঃ “বল, ‘সত্য তোমাদের রবের নিকট থেকে প্রেরিত; তাই যার ইচ্ছা বিশ্বাস করুক বা যার ইচ্ছা অবিশ্বাস করুক।’ ‘আমি জালিমদের জন্য অগ্নি প্রস্তুত রেখেছি, যার বেষ্টনী ওদের ঘিরে থাকবে।” (সূরা কাহফ, আয়াত ২৯)
    সত্যের মাঝে ফুটন্ত গোলাপ
  • June 19
  • Sogood Islam Syeds
    6/19, 8:26pm

    Sogood Islam Syeds

    M Towfiqur Rahman added a new photo.
    সম্মিলিতভাবে কুরআন খতমের কোন পদ্ধতি ইসলামে নেই। রাসূল সা. শেখান নি। . . এগুলো ভন্ড আলেম নামধারীদের বানানো মিথ্যাচার। কুরআন যে পড়ে, সেই তার থেকে লাভবান হয়। এক জনের পড়া থেকে অন্যকে লাভবান করা যায় না। তাছাড়া একাধিক লোকের পড়াকে মালার মত গেঁথে জোড়া দেয়ার চেষ্টা হাস্যকর। এগুলো ব্যবসায়ী চিন্তা থেকে উৎসারিত। এমন মন্দ লোকের ছায়াও মাড়াবেন না।
    M Towfiqur Rahman
  • June 20
  • Sogood Islam Syeds
    6/20, 6:40am

    Sogood Islam Syeds

    Abu Atika added a new photo.
    ভূৱা পৰিবেশ !! ✗✗✗ ইছলামৰ সৌন্দৰ্য্যতা অন্তৰেৰে উপভোগ কৰিবলৈ আমি ইছলাম বুজিবলৈ চেষ্টা কৰিব লাগিব , শুদ্ধ আক্কীদাৰ সত্য পৰিৱেশ অন্তৰত জাগ্ৰত হব লাগিব !! কিন্তু দূৰ্ভাগ্য, আমাৰ ইয়াৰ তথাকথিত ইছলামৰ কৰ্ণধাৰসকলে আজি তেনে পৰিবেশ সৃষ্টি হোৱাত সদায়ে প্ৰত্যক্ষ বা পৰোক্ষ ভাবে বাধা দি আহিছে !! সত্য ইছলাম প্ৰচাৰ নকৰি চাৰিওফালে কেৱল ইছলামৰ ভূৱা পৰিৱেশ ৰচনা কৰাত সদায়েই উদগণি দি আহিছে। এনে অসংখ্য ভূৱা পৰিবেশৰ দলিলবিহীন দৃষ্টিভংগী আজি আমাৰ সমাজৰ চাৰিওফালে নিগাজিকৈ খোপনি পুতি বহিছে !! চলিত মাহে ৰমজানৰ লগত সংগতি থকা এনে কিছু ভূৱা প্ৰচলন আপোনালোকৰ জ্ঞাতাৰ্থে দাঙি ধৰিবলৈ ইন শ্বা আল্লাহ চেষ্টা কৰিম, প্ৰয়োজন বোধ কৰিলে ইয়াৰ সত্য সত্যতা অনুসন্ধান কৰাৰ চেষ্টা কৰি চাব , অন্যথা নিজৰ বিবেচনাৰে সিদ্ধান্ত গ্ৰহণ কৰিব !! ভূৱা প্ৰচাৰ ১ – ঈদৰ দুই বা তিনদিন আগত ( ঈদৰ চালাতৰ আগলৈকে ) আজি জন্ম লাভ কৰা শিশুৰ পৰা আৰম্ভ কৰি প্ৰতি গৰাকী পুৰুষ ও নাৰীৰ বাবে ছাদাকাতুল ফিৎৰ আদায় কৰাটো ৱাজিব। নিজে ব্যৱহাৰ কৰা খাদ্য দ্ৰব্যৰ এক ছা’ পৰিমাণত এটা ফিৎৰা আদায় হয়। তিনি লিটাৰ আয়তনৰ এটা পাত্ৰত সম্পূৰ্ণকৈ ধৰা খাদ্য দ্ৰব্যই এটা ফিৎৰাৰ পৰিমাণ নিৰ্দ্ধাৰণ কৰে। ছহীহ হাদীছ সমৰ্থিত এনে অতি স্পষ্ট নিয়মক নিজ স্বাৰ্থ পূৰাবলৈ সমাজত এক ভূৱা পৰিবেশ ৰচনা কৰিলে !! খাদ্যবস্তুৰ পৰিৱৰ্তে কোনো হাদীছতেই তাৰ মূল্য দিয়াৰ বিষয়ে উল্লেখ নাই! তথাপিও কিন্তু আজি আমাৰ সমাজত শতকৰা ৯৫% কৈও অধিক লোকে টকাৰ দ্বাৰা ফিৎৰা আদায় কৰি আহিছে ! ভূৱা প্ৰচাৰ ২ – সমাজত বহুল প্ৰচাৰিত ১৬৩৩ গ্ৰাম ঘেঁহুৰ পৰিমাণ এটা ফিৎৰাৰ সমতুল্য হিচাব শুদ্ধ নহয়! খাদ্য বস্তুৰ প্ৰকাৰ ভেদে তিনি লিটাৰ আয়তনৰ পাত্ৰত ধৰা খাদ্য-বস্তুৰ ওজন ভিন ভিন হব! ফিৎৰা কেতিয়াও নিদিষ্ট ওজন হব নোৱাৰে! ভূৱা প্ৰচাৰ ৩ – পবিত্র ৰমজানৰ শেষৰ ১০ দিনত কৰা ইতেকাফ এক অত্যন্ত গুৰুত্বপূৰ্ণ ইবাদত! এই ইবাদতৰ মূখ্য উদ্দেশ্য হৈছে লাইলাতুল কদৰ তালাচ কৰা। উম্মতৰ কষ্টৰ দিশৰ প্ৰতি লক্ষ্য ৰাখি যদিও এই ইবাদত সকলোৰে বাবে ফৰজ হিচাবে ঘোষিত হোৱা নাই তথাপিও এই ইবাদতৰ মহত্ব অধিক! কিন্তু আমাৰ সমাজত প্ৰচলিত নীতি অনুসৰি কোনো মহল্লাৰ এজন ব্যক্তিয়ে এই ইতেকাফ কৰিলে মহল্লাৰ সকলোৰে দায়িত্ব পূৰণ হব আৰু ইয়াৰ ছাওৱাব সকলোৱে পাব বুলি কোৱা কথাৰ কোনো দলিলভিত্তিক প্ৰমাণ নাই! গতিকে এনে ধৰণৰ ভূৱা প্ৰচাৰে সাধাৰণ মানুহক ইতেকাফৰ দৰে এক গুৰুত্বপূৰ্ণ ইবাদতৰ প্ৰতি অনিহাৰ ভাৱ আনি দিছে , আৰু সেয়েহে সাধাৰণ মানুহে ইতেকাফৰ গুৰুত্ব উপলব্ধি কৰিবলৈ সক্ষম হোৱা নাই! ভূৱা প্ৰচাৰ ৪ – পবিত্ৰ কোৰআনৰ সৰ্বমুঠ ১৫ টি আয়াত পাঠ কৰোতা বা শ্ৰৱন কৰোতাই ছিজদাহ দিয়াটো ৱাজিব! কিন্তু দূৰ্ভাগ্যবশতঃ ছূৰা হজ্জৰ ২ নং ছিজদাহটি শ্বাফেয়ী মাজহাবৰ ছিজদাহ বুলি এক ভূৱা প্ৰচাৰ চলাই আমাৰ খতম তাৰাবীহসমূহত মুঠ ১৪ টি চিজদাহ দিয়াই উপৰোক্ত ছিজদাহটি ত্যাগ কৰি সকলোকে ৱাজিব তৰক কৰাৰ অপৰাধত গুণাহগাৰ কৰাই আছে! ভূৱা প্ৰচাৰ ৫ – “বিছমিল্লাহ ” বুলি কৈ ইফতাৰ কৰা আৰু চেহেৰী খোৱাৰ পাছত ফজৰ চালাতৰ আগত অন্তৰেৰে ফৰজ ৰোজাৰ বাবে সংকল্পবদ্ধ হৈ নিয়ত কৰাটো ছহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্ৰমাণিত নিয়ম! কিন্তু এই সু-প্ৰতিষ্ঠিত নিয়মক আওকাণ কৰি “আল্লাহুম্মা চামতুলাকা ………..” দোৱা পঢ়ি ইফতাৰ কৰা আৰু ” নাৱাইতুৱান আচুম্মা …………..” বুলি শাব্দিক নিয়ত মুখেৰে পঢ়ি ৰোজাৰ নিয়ত কৰাটো দ্বীনত এক নৱ সংযোজন! আমলৰ ক্ষেত্ৰত এনে ধৰণৰ প্ৰত্যেকটো নৱ সংযোজনকেই শ্বৰীয়তে বিদআত বুলি অভিহিত কৰি বিদআতৰ পৰিণতি জাহান্নাম বুলি স্পষ্ট কৰি দিছে! সন্মানীত পাঠক বৃন্দ ! উল্লেখিত বিষয়সমূহ আপোনালোকৰ বাবে আচহুৱা তথা অৱান্তৰ লগাটো খুবেই স্বাভাৱিক! ইয়াৰ মূল কাৰণ হৈছে আমি সাধাৰণতে দ্বীন ইছলামৰ ছহীহ দলিল অনুসন্ধান কৰাৰ প্ৰয়োজন বোধ নকৰো, পৰম্পৰাগত মুখৰ কথাৰ ইছলামত আমি যুগ যুগ ধৰি অভ্যস্ত হৈ পৰিছো! সেয়েহে আমি আহ্বান জনাওঁ প্ৰকৃত ইছলামৰ সন্ধান পাবলৈ গ্ৰহণযোগ্য হাদীছ অনুসন্ধান কৰক! আল্লাহে সত্যক স্পষ্ট ভাষাৰে মুকলি কৰি দি ইছলামক নিয়ামতৰ পৰিপূৰ্ণ দ্বীন বুলি পবিত্ৰ কোৰআনত ঘোষণা কৰিছে । আমাক মাথোঁ লাগে সত্য অনুসন্ধানৰ নিৰ্ভেজাল মানসিকতা ! মুক্তাবুল হুছেইন।
    Abu Atika
  • Sogood Islam Syeds
    6/20, 7:12am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 20
  • Sogood Islam Syeds
    6/20, 12:22pm

    Sogood Islam Syeds

    সম্মানিত ইমামগণ অর্থাৎ ইমাম আবু হানীফা (রাহিঃ), ইমাম মালিক (রাহিঃ), ইমাম আহমাদ ইবনে হাম্বল (রাহিঃ), ইমাম শাফেঈ (রাহিঃ) সকল সহীহ হাদীস জানতেন না? আমাদের অনেক মুসলিমদের মধ্যে একটি ভুল ধারণা কাজ করে আর তা হলোঃ ইমামগণ কি সকল সহীহ হাদীস জানতেন না? অমুক বড় হুজুর কি সহীহ হাদীস জানেন না ইত্যাদি। আসুন আমাদের ভুল ধারণা দূর করার জন্য লেখা টা মনোযোগ দিয়ে পড়ি। শাইখুল ইসলাম আহমদ ইবন আব্দুল হালীম ইবন তাইমিয়্যাহ (রহ)এর বই “রাফউল মালাম” থেকে সংগৃহীত, পৃষ্ঠা(৮-২৫) আবু বকর (রাঃ) দেশে বিদেসে কখনও রাসুল(সঃ) সঙ্গ ত্যাগ করতেন না। উমর(রা) ছিলেন অনুরুপ। এজন্যই রাসুল(সঃ) প্রায়ই বলতেনঃ আমি, আবু বকর ও উমর বের হেয়েছি। আমি, আবু বকর ও উমর বের হেয়েছি। বুখারী, হাদীস নং ৩৬৮৫; মুসিলম, হাদীস নং ২৩৮৯ এরসত্ত্বেও যখন একজন দাদী আবু বকরের নিকট এসে সে তার উত্তরাধিকার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে, আবু বকর সিদ্দিক রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, তোমার জন্য আল্লাহর কিতাবে কোনো অংশ বর্ণিত হয় নি। আর রাসূল(সাঃ)তোমার জন্য কোনো অংশ বর্ণনা করেছেন বলে আমার জানা নেই। তবে আমি মানুষকে জিজ্ঞাসা করব, তারপর তিনি সাহাবীগণকে জিজ্ঞেস করলেন, তখন মুগীরা ইবনে শোবা(রাঃ) এবং মুহাম্মাদ ইবনে মাসলামাহ(রাঃ) সাক্ষ্য দিলেন যে, রাসূল(সাঃ) দাদিকে ছয় ভাগের একভাগ দিয়েছেন। অনুরুপভাবে ইমরান ইবনে হোসাইন(রাঃ) এই হাদিসটি বর্ণনা করেছেন। তিরিমযী, হাদীস নং ২১০০; আবূদাউদ, হাদীস নং ২৮৯৪ উপরোক্ত ৩জন সাহাবী(যারা হাদিসটি বর্ণনা করেছেন),আব বরক(রাঃ) সমকক্ষ নন। তার পর তারাই বিশেষ করে এ হাদিসটির সম্পর্কীয় জ্ঞানের অধিকারী ছিলেন। অনুরূপভাবে ওমর(রাঃ) তিনিও কোন ঘরে প্রবেশ করার পূর্বে অনুমতি প্রার্থনার হাদিস সম্পর্কে জানতেন না। শেষ পর্যন্ত আবু মুসা আসআরী(রাঃ) তাকে এবিষয়ে অবহিত করলেন এবং আনসারদের দ্বারা নিজের বক্তব্যের সপক্ষ্যে প্রমান পেস করেন। বুখারী, হাদীস নং ২০৬২; মুসলিম, হাদীস নং ২১৫৩ অথচ আবু মুসা আসআরী(রাঃ) থেকে ওমর(রাঃ) অনেক বেশী জানতেন। ‘উমর(রাঃ) স্ত্রিকে স্বামীর দিয়তে অংশিদার করা সংক্রান্ত বিষয়ে দাহহাক ইবনে সুফিয়ান আল-কিলাবি থেকে হাদীস শুনে নিজের মত পরিবর্তন করেন। মুসনাদে আহমাদ, ৩/৪৫২; আবুদাউদ, হাদীস নং ২৯২৭; তিরমিযী, হাদীস নং ১৪১৫; ইবন মাজাহ, হাদীস নং ২৬৪২ উমর(রাঃ) অগ্নি উপাসকদের থেকে জিজিয়া কর নেয়া সংক্রান্ত হাদিস সম্পর্কে জানতেন না। তিনি আব্দুর রহমান ইবন আওফ(রাঃ) থেকে হাদিস জেনে তারপর সিধান্ত নেন। মুওয়াত্তা ইমাম মালেক, হাদীস নং ৪২; মুসনাদে শাফে‘ঈ পৃষ্ঠা ২০৯ স্বামীর মৃত্যুর পর স্বামীর ঘরে মহিলার ইদ্দত পালন করার বিষয় ‘উসমান(রাঃ) এর অজানা থাকাতে ফায়সালা দেয়া তার নিকট কঠিন মনে হল, তখন ফুরাই‘আহ্ বিনতে মালেক ইবন সিনান রাদিয়াল্লাহু আনহা, যিনি আবু সাঈদ খুদরী(রাঃ) বোন ছিলেন, তিনি বললেন, রাসূল(সাঃ) তার স্বামীর মৃত্যুর পর তাকে স্বামীর ঘরে ইদ্দত পালন করার নির্দেশ দেন। তারপর ‘উসমান(রাঃ) এই হাদিস অনুযায়ী বিষয়টির ফায়সালা করেন। আবুদাউদ, হাদীস নং ২৩০০; তিরমিযী, হাদীস নং ১২০৪; নাসায়ী, হাদীস নং ৩৫৩২; ইবন মাজাহ, ২০৩১ উসমান(রাঃ) বিধবার নিজ ঘরে ইদ্দত পালন করা সম্পর্কে হাদিস জানতেন না। অবশেষে সাইদ খুদরি(রাঃ)র বোন ফুরাইআহ বিনতে মালেক(রাঃ) তার স্বামী মারা যাবার পর রাসুল(সঃ) নির্দেশ “ইদ্দত পূর্ণ হওয়া পর্যন্ত তোমার ঘরেই থাক” উসমান(রাঃ)কে শুনালেন। তখন উসমান(রাঃ) হাদিসটি গ্রহন করলেন। আবুদাউদ, হাদীস নং ২৩০০; তিরিমযী, হাদীস নং ১২০৪; নাসায়ী, হাদীস নং ৩৫৩২; ইবন মাজাহ, ২০৩১ আলী(রাঃ) কাছে সরাসরি তাওবার সালাত সংক্রান্ত হাদিসটি পৌছায়নি, আবু বকর(রাঃ) থেকে তিনি হাদিসটি জানতে পারেন । রাসুল(সঃ) ব্যতীত অন্য কারো কাছ থেকে হাদিস গ্রহন করার ক্ষেত্রে তিনি সপথ নিতেন। তাই তাওবার সালাত সংক্রান্ত হাদিসটির সপক্ষে আবু বকর(রাঃ) থেকে সপথ নেন। হাদিসটি হচ্ছেঃ যে ব্যক্তি কোন গুনাহ করে, তারপর ভালভাবে ওজু করে দু’রাকআত সালাত আদায় করে এবং আল্লাহর নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করে, তখন আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেন। (মুসনাদে আহমদ, আবুদাউদ, তিরমিযী) এছাড়াও রাসুল(সঃ) থেকে সরাসরি গর্ভবতী বিধবা স্ত্রীলোকের ইদ্দতকাল সংক্রান্ত হাদিস আলী(রাঃ) এবং ইবনে আব্বাস(রাঃ) নিকট পৌঁছেনি। একারনে তারা ফতোয়া দেন, সন্তান প্রসবের ইদ্দত এবং স্বামীর মৃত্যুর পর দ্বিতীয়বার বিয়ের জন্য ইদ্দত এই দুইয়ের মধ্যে যেটি দীর্ঘতম সেটি করতে। সুবাইআহ আল-আসলামিয়্যাহ সম্পর্কে বর্ণিত রাসুল(সঃ)এর হাদিসটি তাদের নিকট পৌঁছেনি। সুবাইআহর গর্ভাবস্থায় তার স্বামী সাদ ইবন খাওলার মৃত্যু হলে রাসুল(সঃ) ফাতয়া দেন “তার ইদ্দতকাল হচ্ছে সন্তান প্রসব পর্যন্ত”। বুখারী, হাদীস নং ৪৯০৯, ৫৩১৯, ৫৩২০; মুসিলম, হাদীস নং ১৪৮৫ সাহাবিগন হতে এরুপ ঘটনার সংখ্যা অগনিত। উল্লেখিত সাহাবিগন ছিলেন উম্মতের মধ্যে সবচেয়ে বেশী অভিজ্ঞ ফকিহ,জ্ঞানী,তাকওয়াবান । কাজেই তাদের পরবর্তীগনের নিকট কোন হাদিস না জানা থাকা কিছুমাত্র বিচিত্র নয়। সুতরাং যারা ধারণা করে যে কোন নির্দিষ্ট ইমামের নিকট রাসূল(সাঃ) এর সকল সহীহ হাদীস পৌঁছেছে তারা নির্বোধ ছাড়া আর কিছুই নয়, তারা মারাত্মক ভুলে নিপাতিত। উপসনহারঃ নিউটন অনেক বড় বিজ্ঞানী ছিলেন কিন্তু বর্তমান একজন পদার্থ বিজ্ঞানে অনার্স করা ছাত্র তার থেকে বেশী জানে। কারন সে নিউটনের সব আবিস্কার করা সূত্রগুলি জানে এবং সাথে সাথে নিউটনের ভুলগুলিও জানে। আরও জানে আইনস্টাইন এবং অন্যান্য বড় বড় বিজ্ঞানিদের সূত্রগুলি । বর্তমানে একজন সাধারন আলেম বেশী জানেন সম্মানিত ইমামদের থেকে। কারন সে সম্মানিত ইমামদের ফতোয়া পড়েছে এবং সাথে সাথে তাদের ভুলগুলিও পড়েছে। ঠিক তেমনি সাহিহ হাদিসের বাছাই করা বইগুলিও পড়েছে এবং পড়েছে রিজাল শাস্ত্র। কিন্তু ইমামদের সময় কালে কাগজই ছিল না। একটা হাদিস জানতে কয়েক হাজার কিলোমিটার যেতে হতো,জাল নাকি সাহিহ তা প্রমান করা ছিল প্রায় অসম্ভব।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • June 20
  • Sogood Islam Syeds
    6/20, 5:58pm

    Sogood Islam Syeds

    যোহরের নামায মূলত কত রাকাত ? উত্তর দিয়েছেন :- ডঃ মুহাম্মাদ সাইফুল্লাহ। যোহরের নামাজ মূলত চার রাকাত।চার রাকাত পড়লেই যোহরের নামায আদায় হয়ে যাবে। আর বাকী আগে পরে যেসব সুন্নৎ নামায আছে সেগুলো যোহরের নামাজ নয়,সেগুলো অতিরিক্ত বা নফল নামাজ। ~~~~~~~~~~~~ বি দ্র: নামাজের মদ্ধ্যে কিছু ক্লাসিফিকেশন আছে। যারা এগুলোর তফাত বুঝে না তারা পাচ অয়াক্ত নামাজ (ফরজ নামাজ )নিয়মিত আদায় করে কিনা এতে যথেষ্ট সন্দেহ আছে। উদাহরণ স্বরুপ- যে নামাজের ভাগ গুলো জানেনা,আর তাকে জানানো হয়েছে এশার নামাজ ১৭ রাকাত, সে এই ১৭ রাকাতের বোঝা নিতেও পারবেনা,এশার নামাজো পড়বেনা।কেউ নিতে পারে ৫ কেজি, তাকে চাপিয়ে দেয়া হল ২০ কেজি তাহলে সে বসে পড়বে এটাই নিয়ম।অথচ তাকে যদি সঠিক জানানো হতো, এশার নামাজ ৪ রাকাত ফরজ।আর এই ৪ রাকাত ফরজ পড়তেই হবে,তা না হলে মুসলিম থাকা যাবেনা।তাহলে সে অবস্যই নামাজমুখি হতো।আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষ বেনামাজি হউয়ার এটা একটা অন্যতম কারন।৫ টাকা দামের রাস্তার পাশের বইগুলো পড়ে যারা নামাজ পড়বে নামাজ তাদের মাথায় এমন বোঝাই হবে। ক্যান্সারের রোগী, যার জীবন সংকটের মুখে তাকে সর্দি কাশির চিকিৎসা দিয়ে তার কি উপকার হবে? বরং তাকে ক্যান্সারের চিকিৎসা করে তার আগে জীবন বাচাতে হবে।তারপর সর্দী কাশির ট্রিটমেন্ট। দিনে রাতে ২৪ ঘিন্টায় ১৭ রাকাত নামাজ ঠিক এরকমই।আগে সে মুসলিম থাকুক,এরপর আগে পরের সুন্নৎ / নফল ঠিকই আদায় করবে। ইনশাআল্লাহ। ===================== দিনে মাত্র ১৭ রাক’আত নামাজ বাধ্যতামূলক: নামাজ ত্যাগ করা কুফরী কাজ -এটা জানার পর অনেকেই সংকল্প করে যে এখন থেকে নিয়মিত ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়ব। কিন্তু পরমুহুর্তেই চিন্তা করে যে – ওরে বাবা! ফজর-আসর ৪ রাক’আত করে, যোহরের নামাজ ১০ রাক’আত, মাগরিব ৫ রাক’আত, ‘ইশার নামাজ ৯ রাক’আত, সারা দিনে মোট ৩২ রাক’আত! এত্ত নামাজ পড়ব কিভাবে? কিন্তু সঠিক তথ্য হলো যে, সারাদিনে মাত্র ১৭ রাক’আত নামাজ পড়া ফরজ – ফজরের ২ রাক’আত, যোহরের ৪ রাক’আত, ‘আসরের ৪ রাক’আত, মাগরিব এর ৩ রাক’আত এবং ‘ইশা এর ৪ রাক’আত। এই ১৭ রাক’আত নামাজ যদি আপনি ওয়াক্তমত পড়তে না পারেন তো গুনাহগার হবেন। বাকী যে সুন্নাত বা নফল নামাজগুলো আছে সেগুলো পড়লে আপনি সওয়াব পাবেন, কিন্তু না পড়লে গুনাহগার হবেন না। তবে, একথা অবশ্যই মনে রাখা উচিত যে আমরা আমাদের নিজের মঙ্গলের জন্যই আমরা ফরজ নামাজ পড়ার পর যত বেশী সম্ভব সুন্নাত/নফল নামাজ পড়ব। এক্ষেত্রে নিচের হাদিসটা উল্লেখ না করে পারছি না। রাসূলুল্লাহ(সা) বলেন: যে ব্যক্তি দিনে-রাতে ১২ রাক’আত (ফরজ বাদে অতিরিক্ত) নামাজ পড়বে তার জন্য জান্নাতে একটি বাড়ি তৈরী করা হবে। এই ১২ রাক’আত হলো: যোহর নামাজের আগে ৪, পরে ২ রাক’আত, মাগরিবের নামাজের পরে ২ রাক’আত, ইশা এর নামাজের পরে ২ রাক’আত এবং ফজরের নামাজের আগে ২ রাক’আত। – (তিরমিযী ৩৮০, সহীহ আল জামি’ ৬৩৬২, হাদিসটি সহীহ)
    Shahanaj Amin
  • June 21
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 2:32am

    Sogood Islam Syeds

    Text Book আল কুরআন, আল্লাহকে রাজী করে জান্নাতে পাবার একমাত্র text book! মাতৃ ভাষায়(সুরা ইব্রাহিম:৪) হলেও বইটা বুঝে পড়ি! ইসলামের সব নিয়ম-কানুনগুলো এটাতেই….! আল্লাহ বলেন,”আমি আপনার প্রতি এমন কিতাব নাজিল করেছি, যা প্রত্যেক বিষয়ে সুষ্পষ্ট ব্যাখ্যা(সুরা নাহল:৮৯)! আমাদেরকে এই কিতাবের A to Z বুঝে মেনে চলতে হয়(বাকারা:২০৮)! কুরআন বিস্তারিত ভাবে বুঝতে, কুরআনের সকল ব্যাখ্যা সমূহ(সুন্নাহ) নবী(স) কর্তৃক করা যা লিখিত আকারে সহি হাদিস আছে। তা পড়ে বিস্তারিত জানা ও মানা ফরজ(হাশর:৭)! মনে রাখি, ইসলাম কোন বান্দা(রহ)র নিজস্ব মতামত কিংবা তাদের লিখিত কিতাব (note book) দিয়ে চলে না(সুরা আরাফ:৩)। সকল বান্দারা কুরআনের অনুবাদক মাত্র! মনে রাখি ইসলামের বড় শত্রু অজ্ঞ মুসলিম? তাই প্রায় মুসলিমদের দিয়ে ইসলাম চেনা যায় না? আল্লাহ বলেন,”যে বিষয়ে তোমার জ্ঞান নাই, সে বিষয়ে আলেমদের নিকট ষ্পষ্ট দলিলসহ জেনে নাও(সুরা নাহল:৪৩, ৪৪) আল্লাহ বলেন, এ কুরআন মানবজাতীর জন্য সুষ্পস্ট দলিল ও নিশ্চিত বিশ্বাসী সম্প্রদায়ের জন্য পথ নির্দেশনা ও করুনা(সুরা জাযিয়াহ:২০)!
    Mahbubul Islam Khokon
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 4:35am

    Sogood Islam Syeds

    (২৪২) নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার বিধান কি? নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করার ব্যাপারে বিদ্বানদের থেকে নিম্নরূপ মত পাওয়া যায়। প্রথম মতঃ নামাযে কখনই সূরা ফাতিহা পাঠ করা ওয়াজিব নয়। স্বরব, নীরব কোন নামাযেই ইমাম, মুক্তাদী, একাকী- কারো জন্য পাঠ করা ওয়াজিব নয়। ওয়াজিব হচ্ছে কুরআন থেকে সহজ যে কোন কিছু পাঠ করা। তাদের দলীল হচ্ছেঃ আল্লাহ্‌ বলেন, فَاقْرَءُوا مَا تَيَسَّرَ مِنْ الْقُرْآنِ “অতএব তোমরা কুরআন থেকে সহজ কোন কিছু পাঠ কর।” (সূরা মুযাম্মিল- ২০) তাছাড়া নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামায শেখাতে গিয়ে গ্রাম্য লোকটিকে বলেছিলেন, “কুরআন থেকে তোমার জন্য সহজ হয় এমন কিছু পাঠ করবে।” দ্বিতীয় মতঃ স্বরব, নীরব সকল নামাযে ইমাম, মুক্তাদী, একাকী- সবার জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা রুকন বা অবশ্য কর্তব্য। অনুরূপভাবে মাসবূক এবং নামাযের প্রথম থেকে জামাআতে শামিল ব্যক্তির জন্যও রুকন। তৃতীয় মতঃ ইমাম ও একাকী ব্যক্তির জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা রুকন। কিন্তু স্বরব বা নীরব কোন নামাযেই মুক্তাদীর জন্য ওয়াজিব নয়। চতুর্থ মতঃ ইমাম ও একাকী ব্যক্তির জন্য স্বরব বা নীরব নামাযে সূরা ফাতিহা পাঠ করা রুকন। কিন্তু মুক্তাদীর জন্য নীরবের নামাযে রুকন স্বরব নামাযে নয়। আমার মতে প্রাধান্যযোগ্য মতটি হচ্ছেঃ স্বরব, নীরব সকল নামাযে ইমাম, মুক্তাদী, একাকী- সবার জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা রুকন বা ফরয। তবে মাসবূক যদি ইমামের রুকূর সময় নামাযে শামিল হয়, তবে সূরা ফাতিহা পাঠ করা রহিত হয়ে যাবে। একথার দলীল হচ্ছে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সাধারণ বাণীঃ তিনি বলেন, لاصَلاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ “যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না তার নামায হবে না।” তিনি আরো বলেন, مَنْ صَلَّى صَلَاةً لَمْ يَقْرَأْ فِيهَا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَهِيَ خِدَاجٌ ثَلَاثًا غَيْرُ تَمَامٍ “যে ব্যক্তি ছালাত আদায় করবে অথচ তাতে উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহা পাঠ করবে না তার ছালাত অসম্পূর্ণ- রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) কথাটি তিনবার বলেছেন।” অর্থাৎ- তার নামায বাতিল। উবাদা বিন ছামেত বর্ণিত হাদীছে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) একদা ফজরের নামায শেষ করে ছাহাবীদের লক্ষ্য করে বললেনঃ لَعَلَّكُمْ تَقْرَءُونَ خَلْفَ إِمَامِكُمْ قُلْنَا نَعَمْ هَذًّا يَا رَسُولَ اللَّهِ قَالَ لَا تَفْعَلُوا إِلَّا بِفَاتِحَةِ الْكِتَابِ فَإِنَّهُ لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِهَا “তোমরা কি ইমামের পিছনে কোন কিছু পাঠ কর? তাঁরা বললেন, হ্যাঁ, হে আল্লাহ্‌র রাসূল! দ্রুত পাঠ করে থাকি। তিনি বললেন, তোমরা এরূপ করো না। তবে উম্মুল কুরআন সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। কেননা যে ব্যক্তি উহা পাঠ করবে না তার নামায হবে না।” স্বশব্দের নামাযের ক্ষেত্রে এটি সুস্পষ্ট দলীল যে, সূরা ফাতিহা ছাড়া নামায হবে না। কিন্তু মাসবূকের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা রহিত হয়ে যাবে। একথার দলীল হচ্ছেঃ আবু বাকরা (রাঃ) এর হাদীছ। তিনি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে রুকূ অবস্থায় পেলেন। তখন দ্রুতগতিতে কাতারে পৌঁছার আগেই তিনি রুকূ করলেন। এরপর ঐ অবস্থায় হেঁটে হেঁটে কাতারে প্রবেশ করলেন। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) নামায শেষ করে জিজ্ঞেস করলেন, কে এরূপ করেছে? আবু বাকরা বললেন, আমি হে আল্লাহ্‌র রাসূল! নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেনঃ زَادَكَ اللَّهُ حِرْصًا وَلَا تَعُدْ “আল্লাহ্‌ তোমার আগ্রহ আরো বাড়িয়ে দিন। তবে এরূপ আর কখনো করিও না।” এ হাদীছে দেখা যায় আবু বাকরা যে রাকাআতটি ছুটে যাওয়ার ভয়ে তাড়াহুড়া করলেন, নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে ঐ রাকাআতটি পুনরায় আদায় করার আদেশ করলেন না। এটা ওয়াজিব হলে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সে আদেশ করতেন। যেমনটি আদেশ করেছিলেন ঐ ব্যক্তিকে যে কিনা তাড়াহুড়া করে নামায আদায় করেছিল, আর নামাযের রুকন ওয়াজিব যথাযথভাবে আদায় করছিল না। তখন নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) তাকে নামায ফিরিয়ে পড়ার আদেশ করেছিলেন। মাসবূকের সূরা ফাতিহা পাঠ রহিত হওয়ার যুক্তিগত দলীল হচ্ছেঃ এই মাসবূক তো কিরআত পাঠ করার জন্য দাঁড়ানোর সুযোগই পায়নি। অতএব সুযোগ না পেলে তার আবশ্যকতাও রহিত হয়ে যাবে। যেমন হাত কাটা ব্যক্তি ওযু করার সময় তার হাতের কাটা অংশের পরিবর্তে বাহু ধৌত করবে না। বরং ধৌত করার স্থান উপস্থিত না থাকার কারণে এ ফরয রহিত হয়ে যাবে। অনুরূপভাবে যে ব্যক্তি ইমামকে রুকূ অবস্থায় পেল তার জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা রহিত হয়ে যাবে। কেননা ক্বিরআত পাঠ করার জন্য দন্ডায়মান হওয়ার সুযোগই সে পায়নি। আর ইমামের অনুসরণ করতে গিয়ে এখানে দন্ডায়মান হওয়াও রহিত হয়ে যাবে। আমার দৃষ্টিতে এমতটিই সর্বাধিক বিশুদ্ধ। পূর্বোল্লেখিত উবাদা বিন ছামেত (রাঃ) এর হাদীছটি- (ফজরের নামাযে ক্বিরআত পাঠ সংক্রান্ত হাদীছটি) যদি না থাকতো, তবে স্বরবে কিরাআত বিশিষ্ট নামাযে মুক্তাদীর সূরা ফাতিহা পাঠ করা আবশ্যক হতো না। আর সেটাই হতো প্রাধান্যযোগ্য মত। কেননা নীরবে শ্রবণকারী পাঠকের মতই ছাওয়াবের অধিকারী হয়। এজন্যই আল্লাহ্‌ তা‘আলা মূসা (আঃ) কে বলেনঃ قَدْ أُجِيبَتْ دَعْوَتُكُمَا “তোমাদের উভয়ের দু’আ কবূল করা হয়েছে।” (সূরা ইউনূসঃ ৮৯) অথচ সে সময় দু’আ শুধু মাত্র মূসা (আঃ) এককভাবে করেছিলেন। আল্লাহ্‌ বলেনঃ وَقَالَ مُوسَى رَبَّنَا إِنَّكَ آتَيْتَ فِرْعَوْنَ وَمَلَأَهُ زِينَةً وَأَمْوَالًا فِي الْحَيَاةِ الدُّنْيَا رَبَّنَا لِيُضِلُّوا عَنْ سَبِيلِكَ رَبَّنَا اطْمِسْ عَلَى أَمْوَالِهِمْ وَاشْدُدْ عَلَى قُلُوبِهِمْ فَلَا يُؤْمِنُوا حَتَّى يَرَوْا الْعَذَابَ الْأَلِيمَ “আর মূসা বললেন, হে আমাদের পালনকর্তা! নিশ্চয় আপনি ফেরাউন ও তার সভাসদদের প্রদান করেছো দুনিয়ার জীবনের চাকচিক্য, সৌন্দর্য ও সম্পদ। হে আমাদের পালনকর্তা! ওরা আপনার পথ থেকে বিভ্রান্ত করে। হে আমাদের পালনকর্তা! তাদের সম্পদ নিশ্চিহ্ন করে দিন, তাদের হৃদয় কঠোর করে দিন, যাতে তারা ঈমান না আনে। যাতে করে তারা যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি প্রত্যক্ষ করতে পারে।” (সূরা ইউনূসঃ ৮৮) এখানে কি আল্লাহ্‌ হারূনের দু’আর কথা উল্লেখ করলেন? উত্তরঃ না। তারপরও আল্লাহ্‌ বললেনঃ “তোমাদের উভয়ের দু’আ কবূল করা হয়েছে।” বিদ্বানগণ বলেনঃ এক ব্যক্তি দু’আ করা সত্বেও দ্বিবচন শব্দ এখানে উল্লেখ করার কারণ হচ্ছে, মূসা (আঃ) দু’আ করছিলেন আর হারূন (আঃ) আমীন বলছিলেন। আর আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীছ: (من كان له إمام، فقراءة الإمام له قراءة) “যার ইমাম রয়েছে, তার ইমামের ক্বিরাতই তার ক্বিরাত (হিসেবে যথেষ্ট)।” কিন্তু হাদীছের সনদ যঈফ (দুর্বল)। কেননা তা মুরসাল সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। যেমন হাফেয ইবনু কাছীর তাঁর তাফসীর গ্রনে’র ভূমিকায় বলেছেন। আরো কয়েকটি সূত্রে হাদীছটি নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়া সাল্লাম) হতে বর্ণিত হয়েছে, কিন্তু কোনটিই ছহীহ্‌ নয়। তারপরও হাদীছটি দ্বারা যারা দলীল নিয়ে থাকে তারা সাধারণভাবে বলেন না যে, কোন অবস্থাতেই সূরা ফাতিহা পাঠ করতে হবে না। বরং তাদের মধ্যে অনেকে বলেনঃ নীরবের নামাযে মুক্তাদীকে অবশ্যই সূরা ফাতিহা পড়তে হবে। যদি প্রশ্ন করা হয়ঃ ইমাম যদি না থামেন (অর্থাৎ- ফাতিহা শেষ করার পর মুক্তাদীদের ফাতিহা পাঠ করার সুযোগ দেয়ার জন্য কিছু সময় নিরব না থাকেন।) তবে মুক্তাদী কখন সূরা ফাতিহা পাঠ করবে? উত্তর হচ্ছেঃ ইমামের পড়ার সময়ই মুক্তাদী পড়বে। কেননা ছাহাবীগণ রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর পড়ার সাথে সাথেই পড়তেন। তখন তিনি তাদেরকে বলেনঃ (لَا تَفْعَلُوا إِلَّا بِأُمِّ الْقُرْآنِ فَإِنَّهُ لَا صَلَاةَ لِمَنْ لَمْ يَقْرَأْ بِهَا) “তোমরা উম্মুল কুরআন (সূরা ফাতিহা) ছাড়া অন্য কিছু পাঠ করবে না। কেননা যে ব্যক্তি তা পাঠ করবে না তার নামায হবে না।” ফুটনোটঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম সালাত শাইখ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমীন (রহঃ)
    Jobrul Miah
  • June 21
  • Sogood Islam Syeds
    6/21, 4:38pm

    Sogood Islam Syeds

    Hadith – Book of Obligatory Charity Tax (Zakat) – Sahih al-Bukhari – Sunnah.com – Sayings and…
    Narrated Ibn `Umar: Allah’s Messenger (ﷺ) enjoined the payment of one Sa’ of dates or one Sa’ of barley as Zakat-ul-Fitr on every Muslim slave or free, male or female, young or old, and he ordered that it be paid before the people went out to offer the `Id prayer. (One Sa’ = 3 Kilograms approx
    sunnah.com
  • June 22
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 4:21am

    Sogood Islam Syeds

    #না বুঝার অজুহাত দিয়ে আজকে রাসুল (সঃ) এর অনুসরণ বাদ নিয়ে শয়তানকে সঙ্গী বানিয়ে চলছেন, কিন্তু বিচারের মাঠে কিন্তু আটকে যাবেন। এমন সঙ্গী ত্যাগ করুন যে আপনাকে আল্লাহ্‌র পথ থেকে সরিয়ে রাখে। এবং এবং সঙ্গী নির্বাচন করুন যে আপনাকে ইসলাম মানতে সাহায্য করে। বোকামির পরিচয় দিয়ে দুনিয়াতে বেঁচে যেতে পারবেন কিন্তু বিচারের মাঠে বাঁচতে পারবেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সত্যি কথাই বলেছেন ! শেয়ার করে আপনার মুসলিম ভাইবোনকে সতর্ক করা আপনার দায়িত্ব।
    Kawsar Ahmed
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 4:25am

    Sogood Islam Syeds

    Anwar Hossan shared জেনে নিন- ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর’s post to the group: আসুন কুরাআন <<“ও”>> সহীহ হাদিসের >>> আলোকে জীবন গড়ি।
    Anwar Hossan
  • June 22
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 9:57am

    Sogood Islam Syeds

    হুযাইফাহ বিন্ ইয়ামান (রা) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেন… তোমরা সোনা ও রুপার পাত্রে পান করো না এবং এগুলোর বাসনে আহার করো না। কেননা দুনিয়াতে এগুলো কাফিরদের জন্য আর আখিরাতে তোমাদের জন্য । আব্দুর রহমান বিন আবূ ইয়া’লা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন… তারা হুযাইফাহ (রা) এর নিকট ছিলেন। তিনি পানি পান করতে চাইলেন। ফলে তাকে এক অগ্নিপূজারী পান করালেন। যখন পানপ্রাত্রটিকে হাত থেকে রাখলেন তখন তাকে ছুড়ে মারলেন এবং বললেন, এ ব্যাপারে আমাকে অনেকবার নিষেধ করা হয়েছে। তিনি যেন বলেছেন, আমি এ কাজ ক রতাম না । (বুখারী:৫৪২৬, মুসলিম:২০৬৭, বুলুগুল মারাম বাংলা: পবিত্রতা অধ্যায়, পৃষ্ঠা ৮৭, হাদীস নং ১৬)
    محمد يونس حسين
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 11:06am

    Sogood Islam Syeds

    ‘জিন’ জিনদের নাম, পরিচয় ও তাদের কাজ: মানুষ যেই জিনিস সম্পর্কে জানেনা, সেটাকে বেশি ভয় করে, কারণ অজানা জিনিস দ্বারা ক্ষতির আশংকা থাকে। সেজন্য অজানা, অন্ধকার জিনিসের ব্যপারে মানুষ ভয় পায়। অনেকে ‘জিন’ ভয় পায়, অথচ একে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা যেমন একটা সৃষ্ট জীব, জিনেরাও আল্লাহর একটা বিশেষ সৃষ্ট জীব। তবে সাপের গায়ে পা দিলে যেমন আমাদের ক্ষতি হতে পারে, ঠিক তেমনি জিন সম্পর্কে না জানলে তাদের থেকে আমাদের বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি হতে পারে। তাই জিন সম্পর্কে যারা ভয় পান, তাদের উচিৎ জিন সম্পর্কে ভালো করে জানা। আর তাদের ক্ষতি বা ফিতনাহ থেকে বাঁচার জন্য ক্বুরআন ও হাদিসে যেই নিয়ম ও আমল দেওয়া আছে সেইগুলো নিয়মিত করা, তাহলে জিন সম্পর্কে ভয় আস্তে আস্তে ইন শা’ আল্লাহ্ চলে যাবে আর তাদের থেকে সম্ভাব্য যেই ক্ষতি তা থেকে বেঁচে থাকা যাবে। (১) ‘ইবলিস’ – আদম (আঃ) কে ওয়াসওয়াসা দিয়ে যেই জিন আল্লাহর আনুগত্য থেকে বিচ্যুত করেছিল, তার নাম হচ্ছে ইবলিস। আল্লাহ ইবলিসকে সরাসরি আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, সে হচ্ছে প্রথম জিন, যেমন আদম (আঃ) হচ্ছেন প্রথম মানুষ। ইবলীস যে প্রথম জিন ছিলো, ক্বুরানের এই আয়াত থেকে দলীল নেওয়া হয়েছে, “আল্লাহ বললেন, আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন (হে ইবলীস) তোকে আদমকে সেজদা করতে কে বারণ করল? সে (ইবলীস) বলল, আমি তার (আদমের) চাইতে শ্রেষ্ট। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।” সুরা আরাফঃ ১২। হাসান আল-বসরী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “ইবলীস কোন ফেরেশতা ছিলোনা, এমনকি এক মুহূর্তের জন্যেও নয়। সে হচ্ছে জিন জাতির পিতা, যেমন আদম আ’লাইহিস সালাম হচ্ছেন মানব জাতির পিতা।” সনদ সহীহ, তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ৩/৮৯। আদম (আঃ)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করে সে আল্লাহর সামনে অহংকার প্রদর্শন করে, এই কারণে সে ‘কাফের’ হয়ে চির জাহান্নামী ও আল্লাহর লানতপ্রাপ্ত হয়েছে। তার সন্তানদের কেউ ঈমানদার মুসলিম, আবার কেউবা কাফের, তাদের পিতা ইবলিসের অনুসারী। যারা কাফের জিন, তাদেরকে সাধারণভাবে ‘শয়তান’ বলা হয়। আদম (আঃ) ও ইবলিসের কাহিনী সংক্ষেপে জানার জন্য আপনারা সুরা ত্বোয়া-হা এর ১১৫-১৩৫ নাম্বার আয়াতগুলো পড়ুন। (২) ‘খানজাব’ – খানজাব হচ্ছে বিশেষ একপ্রকার জিন, যারা মানুষ যখন সালাতে দাঁড়ায় তাদেরকে নানান রকম চিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে সালাত থেকে অমনোযোগী ও উদাসীন করে তোলে। এর ফলে তারা সালাতে ভুল করে, কত রাকাত পড়েছে মনে থাকেনা, কোনটা কি করছে সন্দেহে পড়ে যায়। এর কারণে সওয়াবও কমে যায়। তাই আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে যথযথ খুশু ও খুজু সহকারে মনোযোগী হয়ে সালাত আদায় করার জন্য। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নামাযের জন্য আযান দেওয়ার সময় শয়তান সশব্দে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পলায়ন করে, যেন সে আযানের শব্দ না শোনে। আযান শেষ হলে সে আবার ফিরে আসে। ইকামত আরম্ভ হলে আবার পলায়ন করে। ইকামত বলা শেষ হলে পুনরায় উপস্থিত হয় এবং ওয়াসওয়াসা ঢেলে দিয়ে নামাযী ব্যক্তি ও তার অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যে সকল বিষয় তার স্বরণ ছিল না, সেই সব জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট করে সে বলতে থাকেঃ অমুক বিষয় স্বরণ কর, অমুক বিষয় স্বরণ কর। ফলে সেই ব্যাক্তি কত রাকাত নামায পড়েছে, এমনকি সেটাও ভুলে যায়।” মুয়াত্তা মালিকঃ সালাত অধ্যায় ৩, হাদিসঃ ১৫২। বিঃ দ্রঃ সালাতে ওয়াসওয়াসা প্রদানকারী শয়তানের নাম হচ্ছে “খানজাব”। সালাতে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে বাচার উপায়: সালাতে কিরাত পড়া শুরু করার আগে “আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম” পড়বেন। আ’উযুবিল্ললাহ…দুয়া শুধু প্রথম রাকাতেই পড়তে হয়, এর পরের রাকাতগুলোর শুরুতে পড়তে হয়না। এই দুয়া পড়ে শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়, কারণ সালাতে দাড়ালে খানজাব নামের শয়তান কুমন্ত্রনা দিয়ে সালাত নষ্ট বা ক্ষতি করতে চায়। সালাতের মাঝখানে সুরা-কেরাতে বা কত রাকাত, রুকু সেজদা নিয়ে শয়তান খুব বেশি ওয়াসওয়াসা দেয়/সন্দেহে ফেলে দেয় তাহলে কি করতে হবে? সালাতে ও কেরাতের মাঝে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তি যেই দুয়া করবেঃ “আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম”, এই দুয়া বলে তারপর বাম দিকে তিনবার থুতু ফেলবে (থুতু ফেলার মতো করে নিঃশব্দে ফু দিবে, কিন্তু থুতু ফেলবেনা)। উসমান ইবনুল আ’স রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার ও আমার সালাতের মাঝে অনুপ্রবেশ করে এবং কিরাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা (উপরে যা বলা হয়েছে) বলার নির্দেশ দেন, তিনি সেটা করার পর আল্লাহ তাঁকে সেটা থেকে মুক্ত করেন। মুসলিম ৪/১৭২৯, ২২০৩। (৩) ‘ওলহান’ – এরা হচ্ছে একপ্রকার শয়তান জিন যারা মানুষকে ওযুর সময় ওয়াসওয়াসা দেয়। ওয়াসওয়াসাগ্রস্থ মানুষেরা ওযুতে ভুল করে বেশি, এক কাজ কয়েকবার করে, তবুও মনে সন্দেহ থেকে যায় ওযুর অমুক অংগ ধোয়া হয়েছে কিনা? এরা পানি বেশি অপচয় করে। কি করতে হবে? এই ওয়াসওয়াসায় যারা আক্রান্ত তারা মনোযোগের সাথে কোন পাত্রে নির্দিষ্ট পানি নিয়ে ওযু করবেন, টেপ ছেড়ে দিয়ে অমনোযোগী হলে শয়তান সহজেই ওয়াসওয়াসা দিবে। অবশ্যই আল্লাহর নাম ‘বিসমিল্লাহ’ বলে আস্তে ধীরে ওযু শুরু করবেন, অবশ্যই তাড়াহুড়া করবেন না। প্রতিটা অংগ মনোযোগের সাথে উত্তমরুপে ধৌত হচ্ছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। আর কোন অংগ ধৌত করতে ভুলে গেলে নিশ্চিত হলে মেজাজ খারাপ না করে ঐ অংগ থেকে ধোয়া শুরু করবনে। আর ওয়াসওয়াসা পড়লে এই দুয়া পড়বেনঃ “আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম” – এই দুয়া পড়ে শয়তান মনে কি ওয়াসওয়াসা দেয় সেইদিকে কোন লক্ষ্য করবেন না। যেই অংগ থেকে ভুল করেছেন সেখান থেকে ওযু করবেন। আস্তে আস্তে মনোযোগী হয়ে ওযু করার অভ্যাস গড়ে তুললে আস্তে আস্তে শয়তানের বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে পারবেন ইন শা’ আলাহ। (৪) ‘ক্বারীন’ – ক্বারিন অর্থ হচ্ছে সংগী, প্রত্যেক মানুষের সাথেই শয়তান জিন লেগে থাকে, সংগী হিসেবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন “তোমাদের প্রত্যেককে জিনদের মধ্য হতে একজন ক্বারিন (সঙ্গী) দেওয়া হয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এমনকি আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, “হ্যা, কিন্তু এখন সে আমাকে শুধু ভাল কাজ করতে বলে।” সহীহ মুসলিমঃ ৭১৩৪। এরা সবসময় বান্দার অন্তরে খারাপ চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়ে পাপ কাজ করতে উতসাহিত করে। ক্বুরানে আল্লাহ এদের কথা উল্লেখ করেছেন সুরাতুল ক্বাফে। আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম। “মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেইতো তুমি টালবাহানা করতে। এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে এটা হবে ভয় প্রদর্শনের দিন। প্রত্যেক ব্যক্তি আগমন করবে। তার সাথে থাকবে চালক ও কর্মের সাক্ষী। তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ণ। তার সঙ্গী ফেরেশতা বলবেঃ আমার কাছে যে, আমলনামা ছিল, তা এই। তোমরা উভয়েই নিক্ষেপ কর জাহান্নামে প্রত্যেক অকৃতজ্ঞ বিরুদ্ধবাদীকে, যে বাধা দিত মঙ্গলজনক কাজে, সীমালঙ্ঘনকারী, সন্দেহ পোষণকারীকে। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্য গ্রহণ করত, তাকে তোমরা কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ কর। ‘ক্বারীন’ (তার সঙ্গী শয়তান) বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রান্তিতে লিপ্ত। আল্লাহ বলবেনঃ আমার সামনে বাকবিতন্ডা করো না, আমিতো পূর্বেই তোমাদেরকে আযাব দ্বারা ভয় প্রদর্শন করেছিলাম। আমার কাছে কথা রদবদল হয় না এবং আমি বান্দাদের প্রতি জুলুমকারী নই।” [ক্বাফঃ ১৯-২৯] (৫) ‘শয়তানের সাংগ-পাংগ’ হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেছেন, “শয়তানের চেলা নয়টি। (১) যালিতুন, (২) অসাইন, (৩) লাকুস, (৪) আ’ওয়ান, (৫) হাফফাফ, (৬) মুররাত, (৭) মুসাইবিত, (৮) দাসিম, (৯) ওলহান। যালিয়াতুন বাজারে থাকে। বাজারে থেকে সে তার পতাকা উড্ডয়ন করে। অসাইন মসিবত বা বিপদের মধ্যে থাকে। আওয়ান রাজা-বাদশাহদের সংগে থাকে। হাফফাফ মদের সংগে থাকে। মুররাহ গান-বাজনার সাথে থাকে। লাকুস ‘মাজুসী’ বা অগ্নি পূজারীদের সাথে থাকে। মুসাইবিত, সে এমন সংবাদ দেয় যা ভিত্তিহীন। দাসিম ঘর বাড়িতে থাকে। বাড়িতে প্রবেশের সময় কোন ব্যক্তি যদি বাড়ির লোকদেরকে সালাম না দেয়, তাহলে দাসিম নামক শয়তানের চেলা বাড়ির লোকদেরকে মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি করে দেয়, শেষ পর্যন্ত স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেয়, স্ত্রী খুলা করে স্বামী থেকে পৃথক হয়ে যায়, মারধর করে। ওলহান অযু, নামায ও ইবাদতে ওয়াসওয়াসা দেয়।” উৎসঃ ইবনে হাজার আসকালানী, “আল-ইসতিদাদ লি-ইয়াওমিল মাআ’দ” (পরকালের পাথেয়)।
    Jobrul Miah
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 11:10am

    Sogood Islam Syeds

    জিনদের নাম, পরিচয় ও তাদের কাজ মানুষ যেই জিনিস সম্পর্কে জানেনা, সেটাকে বেশি ভয় করে, কারণ অজানা জিনিস দ্বারা ক্ষতির আশংকা থাকে। সেজন্য অজানা, অন্ধকার জিনিসের ব্যপারে মানুষ ভয় পায়। অনেকে ‘জিন’ ভয় পায়, অথচ একে ভয় পাওয়ার কিছু নেই। আমরা যেমন একটা সৃষ্ট জীব, জিনেরাও আল্লাহর একটা বিশেষ সৃষ্ট জীব। তবে সাপের গায়ে পা দিলে যেমন আমাদের ক্ষতি হতে পারে, ঠিক তেমনি জিন সম্পর্কে না জানলে তাদের থেকে আমাদের বিভিন্ন ধরণের ক্ষতি হতে পারে। তাই জিন সম্পর্কে যারা ভয় পান, তাদের উচিৎ জিন সম্পর্কে ভালো করে জানা। আর তাদের ক্ষতি বা ফিতনাহ থেকে বাঁচার জন্য ক্বুরআন ও হাদিসে যেই নিয়ম ও আমল দেওয়া আছে সেইগুলো নিয়মিত করা, তাহলে জিন সম্পর্কে ভয় আস্তে আস্তে ইং শা’আল্লাহ্ চলে যাবে আর তাদের থেকে সম্ভাব্য যেই ক্ষতি তা থেকে বেঁচে থাকা যাবে। (১) ‘ইবলিস’ – আদম (আঃ) কে ওয়াসওয়াসা দিয়ে যেই জিন আল্লাহর আনুগত্য থেকে বিচ্যুত করেছিল, তার নাম হচ্ছে ইবলিস। আল্লাহ ইবলিসকে সরাসরি আগুন থেকে সৃষ্টি করেছেন, সে হচ্ছে প্রথম জিন, যেমন আদম (আঃ) হচ্ছেন প্রথম মানুষ। ইবলীস যে প্রথম জিন ছিলো, ক্বুরানের এই আয়াত থেকে দলীল নেওয়া হয়েছে, “আল্লাহ বললেন, আমি যখন নির্দেশ দিয়েছি, তখন (হে ইবলীস) তোকে আদমকে সেজদা করতে কে বারণ করল? সে (ইবলীস) বলল, আমি তার (আদমের) চাইতে শ্রেষ্ট। আপনি আমাকে আগুন দ্বারা সৃষ্টি করেছেন এবং তাকে সৃষ্টি করেছেন মাটির দ্বারা।” সুরা আরাফঃ ১২। হাসান আল-বসরী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “ইবলীস কোন ফেরেশতা ছিলোনা, এমনকি এক মুহূর্তের জন্যেও নয়। সে হচ্ছে জিন জাতির পিতা, যেমন আদম আ’লাইহিস সালাম হচ্ছেন মানব জাতির পিতা।” সনদ সহীহ, তাফসীর ইবনে কাসীরঃ ৩/৮৯। আদম (আঃ)-কে সিজদা করতে অস্বীকার করে সে আল্লাহর সামনে অহংকার প্রদর্শন করে, এই কারণে সে ‘কাফের’ হয়ে চির জাহান্নামী ও আল্লাহর লানতপ্রাপ্ত হয়েছে। তার সন্তানদের কেউ ঈমানদার মুসলিম, আবার কেউবা কাফের, তাদের পিতা ইবলিসের অনুসারী। যারা কাফের জিন, তাদেরকে সাধারণভাবে ‘শয়তান’ বলা হয়। আদম (আঃ) ও ইবলিসের কাহিনী সংক্ষেপে জানার জন্য আপনারা সুরা ত্বোয়া-হা এর ১১৫-১৩৫ নাম্বার আয়াতগুলো পড়ুন। (২) ‘খানজাব’ – খানজাব হচ্ছে বিশেষ একপ্রকার জিন, যারা মানুষ যখন সালাতে দাঁড়ায় তাদেরকে নানান রকম চিন্তা মাথায় ঢুকিয়ে সালাত থেকে অমনোযোগী ও উদাসীন করে তোলে। এর ফলে তারা সালাতে ভুল করে, কত রাকাত পড়েছে মনে থাকেনা, কোনটা কি করছে সন্দেহে পড়ে যায়। এর কারণে সওয়াবও কমে যায়। তাই আমাদেরকে চেষ্টা করতে হবে যথযথ খুশু ও খুজু সহকারে মনোযোগী হয়ে সালাত আদায় করার জন্য। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “নামাযের জন্য আযান দেওয়ার সময় শয়তান সশব্দে বায়ু ছাড়তে ছাড়তে পলায়ন করে, যেন সে আযানের শব্দ না শোনে। আযান শেষ হলে সে আবার ফিরে আসে। ইকামত আরম্ভ হলে আবার পলায়ন করে। ইকামত বলা শেষ হলে পুনরায় উপস্থিত হয় এবং ওয়াসওয়াসা ঢেলে দিয়ে নামাযী ব্যক্তি ও তার অভীষ্ট লক্ষ্যের মধ্যে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। যে সকল বিষয় তার স্বরণ ছিল না, সেই সব জিনিসের প্রতি আকৃষ্ট করে সে বলতে থাকেঃ অমুক বিষয় স্বরণ কর, অমুক বিষয় স্বরণ কর। ফলে সেই ব্যাক্তি কত রাকাত নামায পড়েছে, এমনকি সেটাও ভুলে যায়।” মুয়াত্তা মালিকঃ সালাত অধ্যায় ৩, হাদিসঃ ১৫২। বিঃ দ্রঃ সালাতে ওয়াসওয়াসা প্রদানকারী শয়তানের নাম হচ্ছে “খানজাব”। সালাতে শয়তানের কুমন্ত্রনা থেকে বাচার উপায় সালাতে কিরাত পড়া শুরু করার আগে “আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম” পড়বেন। আ’উযুবিল্ললাহ…দুয়া শুধু প্রথম রাকাতেই পড়তে হয়, এর পরের রাকাতগুলোর শুরুতে পড়তে হয়না। এই দুয়া পড়ে শয়তান থেকে আশ্রয় চাওয়া হয়, কারণ সালাতে দাড়ালে খানজাব নামের শয়তান কুমন্ত্রনা দিয়ে সালাত নষ্ট বা ক্ষতি করতে চায়। সালাতের মাঝখানে সুরা-কেরাতে বা কত রাকাত, রুকু সেজদা নিয়ে শয়তান খুব বেশি ওয়াসওয়াসা দেয়/সন্দেহে ফেলে দেয় তাহলে কি করতে হবে? সালাতে ও কেরাতের মাঝে শয়তানের কুমন্ত্রণায় পতিত ব্যক্তি যেই দুয়া করবেঃ “আ’ঊযু বিল্লা-হি মিনাশ শাইত্বানির রাজীম”, এই দুয়া বলে তারপর বাম দিকে তিনবার থুতু ফেলবে (থুতু ফেলার মতো করে নিঃশব্দে ফু দিবে, কিন্তু থুতু ফেলবেনা)। উসমান ইবনুল আ’স রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেন, আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! শয়তান আমার ও আমার সালাতের মাঝে অনুপ্রবেশ করে এবং কিরাতে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে সেটা (উপরে যা বলা হয়েছে) বলার নির্দেশ দেন, তিনি সেটা করার পর আল্লাহ তাঁকে সেটা থেকে মুক্ত করেন। মুসলিম ৪/১৭২৯, ২২০৩। (৩) ‘ওলহান’ – এরা হচ্ছে একপ্রকার শয়তান জিন যারা মানুষকে ওযুর সময় ওয়াসওয়াসা দেয়। ওয়াসওয়াসাগ্রস্থ মানুষেরা ওযুতে ভুল করে বেশি, এক কাজ কয়েকবার করে, তবুও মনে সন্দেহ থেকে যায় ওযুর অমুক অংগ ধোয়া হয়েছে কিনা? এরা পানি বেশি অপচয় করে। কি করতে হবে? এই ওয়াসওয়াসায় যারা আক্রান্ত তারা মনোযোগের সাথে কোন পাত্রে নির্দিষ্ট পানি নিয়ে ওযু করবেন, টেপ ছেড়ে দিয়ে অমনোযোগী হলে শয়তান সহজেই ওয়াসওয়াসা দিবে। অবশ্যই আল্লাহর নাম ‘বিসমিল্লাহ’ বলে আস্তে ধীরে ওযু শুরু করবেন, অবশ্যই তাড়াহুড়া করবেন না। প্রতিটা অংগ মনোযোগের সাথে উত্তমরুপে ধৌত হচ্ছে কিনা সেই দিকে খেয়াল রাখবেন। আর কোন অংগ ধৌত করতে ভুলে গেলে নিশ্চিত হলে মেজাজ খারাপ না করে ঐ অংগ থেকে ধোয়া শুরু করবনে। আর ওয়াসওয়াসা পড়লে এই দুয়া পড়বেনঃ “আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম” – এই দুয়া পড়ে শয়তান মনে কি ওয়াসওয়াসা দেয় সেইদিকে কোন লক্ষ্য করবেন না। যেই অংগ থেকে ভুল করেছেন সেখান থেকে ওযু করবেন। আস্তে আস্তে মনোযোগী হয়ে ওযু করার অভ্যাস গড়ে তুললে আস্তে আস্তে শয়তানের বিরুদ্ধে বিজয়ী হতে পারবেন ইন শা’আলাহ। (৪) ‘ক্বারীন’ – ক্বারিন অর্থ হচ্ছে সংগী, প্রত্যেক মানুষের সাথেই শয়তান জিন লেগে থাকে, সংগী হিসেবে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন “তোমাদের প্রত্যেককে জিনদের মধ্য হতে একজন ক্বারিন (সঙ্গী) দেওয়া হয়েছে।” সাহাবাগণ জিজ্ঞাসা করলেন, “এমনকি আপনাকেও ইয়া আল্লাহর রাসুল? তিনি বললেন, “হ্যা, কিন্তু এখন সে আমাকে শুধু ভাল কাজ করতে বলে।” সহীহ মুসলিমঃ ৭১৩৪। এরা সবসময় বান্দার অন্তরে খারাপ চিন্তা ঢুকিয়ে দিয়ে পাপ কাজ করতে উতসাহিত করে। ক্বুরানে আল্লাহ এদের কথা উল্লেখ করেছেন সুরাতুল ক্বাফে। আ’উযু বিল্লাহিমিনাশ-শাইতানির রাযীম। “মৃত্যুযন্ত্রণা নিশ্চিতই আসবে। এ থেকেইতো তুমি টালবাহানা করতে। এবং শিঙ্গায় ফুঁৎকার দেয়া হবে এটা হবে ভয় প্রদর্শনের দিন। প্রত্যেক ব্যক্তি আগমন করবে। তার সাথে থাকবে চালক ও কর্মের সাক্ষী। তুমি তো এই দিন সম্পর্কে উদাসীন ছিলে। এখন তোমার কাছ থেকে যবনিকা সরিয়ে দিয়েছি। ফলে আজ তোমার দৃষ্টি সুতীক্ষ্ণ। তার সঙ্গী ফেরেশতা বলবেঃ আমার কাছে যে, আমলনামা ছিল, তা এই। তোমরা উভয়েই নিক্ষেপ কর জাহান্নামে প্রত্যেক অকৃতজ্ঞ বিরুদ্ধবাদীকে, যে বাধা দিত মঙ্গলজনক কাজে, সীমালঙ্ঘনকারী, সন্দেহ পোষণকারীকে। যে ব্যক্তি আল্লাহর সাথে অন্য উপাস্য গ্রহণ করত, তাকে তোমরা কঠিন শাস্তিতে নিক্ষেপ কর। ‘ক্বারীন’ (তার সঙ্গী শয়তান) বলবেঃ হে আমাদের পালনকর্তা, আমি তাকে অবাধ্যতায় লিপ্ত করিনি। বস্তুতঃ সে নিজেই ছিল সুদূর পথভ্রান্তিতে লিপ্ত। আল্লাহ বলবেনঃ আমার সামনে বাকবিতন্ডা করো না, আমিতো পূর্বেই তোমাদেরকে আযাব দ্বারা ভয় প্রদর্শন করেছিলাম। আমার কাছে কথা রদবদল হয় না এবং আমি বান্দাদের প্রতি জুলুমকারী নই।” [ক্বাফঃ ১৯-২৯] (৫) ‘শয়তানের সাংগ-পাংগ’ হযরত উমার রাদিয়াল্লাহু আ’নহু বলেছেন, “শয়তানের চেলা নয়টি। (১) যালিতুন, (২) অসাইন, (৩) লাকুস, (৪) আ’ওয়ান, (৫) হাফফাফ, (৬) মুররাত, (৭) মুসাইবিত, (৮) দাসিম, (৯) ওলহান। যালিয়াতুন বাজারে থাকে। বাজারে থেকে সে তার পতাকা উড্ডয়ন করে। অসাইন মসিবত বা বিপদের মধ্যে থাকে। আওয়ান রাজা-বাদশাহদের সংগে থাকে। হাফফাফ মদের সংগে থাকে। মুররাহ গান-বাজনার সাথে থাকে। লাকুস ‘মাজুসী’ বা অগ্নি পূজারীদের সাথে থাকে। মুসাইবিত, সে এমন সংবাদ দেয় যা ভিত্তিহীন। দাসিম ঘর বাড়িতে থাকে। বাড়িতে প্রবেশের সময় কোন ব্যক্তি যদি বাড়ির লোকদেরকে সালাম না দেয়, তাহলে দাসিম নামক শয়তানের চেলা বাড়ির লোকদেরকে মধ্যে ঝগড়া সৃষ্টি করে দেয়, শেষ পর্যন্ত স্বামী স্ত্রীকে তালাক দেয়, স্ত্রী খুলা করে স্বামী থেকে পৃথক হয়ে যায়, মারধর করে। ওলহান অযু, নামায ও ইবাদতে ওয়াসওয়াসা দেয়।” উৎসঃ ইবনে হাজার আসকালানী, “আল-ইসতিদাদ লি-ইয়াওমিল মাআ’দ” (পরকালের পাথেয়)।
    তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 12:52pm

    Sogood Islam Syeds

    আমি তো সৌদির সাথে মিলিয়ে রোজা রেখেছি এটা কি হবে না হবে না জানাবেন
    Limon Khan
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 1:59pm

    Sogood Islam Syeds

    একজন দাঈর জন্য মিনিমাম নুহ(আ), ইব্রাহিম(আ) এবং রাসুল(স) এর লাইফগুলো জানা দরকার। ইনস অ্যান্ড আউট। দাওয়াতের ফিল্ডে নুহ(আ) সবরের এক বিশাল মাইলফলক স্থাপন করে গেছেন। এটা শুধুমাত্র ৯৫০ বছরের জন্য নয়, বরং তাঁর প্রতিটি দিন ছিল পাহাড়সম নিষ্ঠা আর সবরের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। ইবরাহিম(আ) সাহসিকতার আর তাওয়াক্কুলের নজীরবিহীন উপমা পেশ করেছেন এই মানবজাতির সামনে। যাঁকে আল্লাহপাক একাই একটা উম্মাহ বলেছেন। দাওয়াতের মাঠে একটা কমন প্রবলেম হল দ্বীনি ভাইদের অসহযোগিতা। মাঝে মাঝে পরিস্থিতি এমন হয়ে যায় যে, আশেপাশের সবাইকে মুনাফিক মনে হয়। তখন সময়ে আসে একা ডিসিশন নেয়ার, স্ট্রাটেজিতে লোন অ্যাপ্রোচ আনার। ইবরাহিম(আ) সেই রাইট অ্যাপ্রোচটি রাইট টাইমে নিয়েছিলেন। একা। আর আল্লাহপাকও তাঁকে পরিপুর্ণ সহায়তা দান করেছিলেন। সমস্ত অত্যাচারীদের বিরুদ্ধে তাঁর পড়শী হয়ে গিয়েছিলেন। অত্যন্ত ক্ষুদ্র সময়ের ব্যাপ্তিতে সমগ্র জাজিরাতুল আরব থেকেে শিরকের মূলোৎপাটন করার মত অচিন্তনীয় কাজে সফলতা দেখিয়েছেন রাসুলুল্লাহ(স)। তাঁর অনেকগুলো স্ট্রাটেজির মধ্যে একটি অন্যতম প্রধান স্ট্রাটেজি ছিল শৈথিল্য ও কাঠিন্যের এক অনুপম সমাবেশ। তাওহিদ, রিসালাত, আখিরাত আর আখলাকের এমন অপুর্ব সমন্বয় ও মহান আল্লাহপাকের আখেরী নবীর ওপর চুড়ান্ত সহায়তা – এগুলোর মাধ্যমে তিনি এমন একটি মানবগোষ্ঠী গড়ে তুলতে পেরেছিলেন যাঁরা ইসলামে প্রবেশের পর তাদের সমস্ত পিছুটানকে পিছনে ছুড়ে ফেলতে পেরেছিলেন। এমন একটি সমাজব্যবস্থা কায়েম করতে পেরেছিলেন, যেখানে শিরক আর বিদআত ঢোকার সমস্ত পথ রুদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। প্রিয় দাঈগন, নবীদের জীবনীগুলো স্ট্যাডি করুন। এরপর তার অনুরুপ বাস্তবায়নে অগ্রসর হোন। ইংশাআল্লাহ, জালিমরা অচিরেই ধ্বংস হবে, প্রমানসহ। আর মুমিনগন বেঁচে থাকবে, প্রমানসহ।
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 2:04pm

    Sogood Islam Syeds

    Muslim Jashim Shiekh added a new photo.
    বুরায়দা (রাঃ) থেকে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ” যে ব্যক্তি পাশা খেলা খেলল, সে যেন তার হাত শুকরের মাংস ও রক্তে রঞ্জিত করেছে”। সহীহ মুসলিম (ইফাঃ), ৪২/ কবিতা৫৬৯৯। দাবা খেলা হালাল না হারাম? ============================== “দাবা” খেলাকে আরবীতে বলা হয় “শাতরঞ্জ”। অনেকেই এই দাবা খেলাকে হারাম মনে করেন। কিন্তু এই দাবা খেলা হারাম হওয়ার পে কোন গ্রহণযোগ্য দালিল পাওয়া যায় না। যেহেতু এই দাবা খেলা হারাম হওয়ার পে কোন দালিল নেই তাই বুঝে নিতে হবে যে, এই দাবা খেলা বা শাতরঞ্জ খেলা হালাল। এই বিষয়টি একটু বিস্তারিত বলছি। মহান আল্লাহ্ বলেন, “দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের সাথে যুদ্ধ করেনি আর তোমাদেরকে তোমাদের ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দেয়নি। তাদের সঙ্গে সদয় আচরণ করতে আল্লাহ্ তোমাদেরকে নিষেধ করেননি…” -সূরাহ্ মুমতাহিনাহ্ (৬০), ৮। এই আয়াতটির প্রতি গভীরভাবে ল্য করুন। আল্লাহ্ বলেছেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে আমাদের সাথে যুদ্ধ করেনি অথবা ঘর-বাড়ী থেকে বের করে দেয়নি, তাদের সাথে আল্লাহ্ সদয় আচরণ করতে আমাদেরকে নিষেধ করেননি। অর্থাৎ বুঝা গেল যে, যে বিষযে নিষেধ করা হয় না, তা আমরা করতে পারি। তাই বুঝা যায় যে, যা নিষেধ করা হয়নি তা হালাল বুঝে নিতে হবে। ঠিক তেমনিভাবে দাবা খেলা যেহেতু নিষেধ হওয়ার পে গ্রহণযোগ্য কোন দালিল খোঁজে পাওয়া যায় না, তাই বুঝে নিতে হবে যে, দাবা খেলা হালাল। প্রশ্ন ঃ ১ যে বিষয়ে নিষেধ নেই তা যদি হালাল হয় তাহলেতো মিলাদ, খতম পড়া, চল্লিশা ইত্যাদি সব হালাল হয়ে যায়। উত্তরঃ আপনার ব্যাখ্যাটি সঠিক নয়। কারণ, আপনি যেগুলোর কথা বলছেন তা দ্বীনের অংশ। আর দ্বীনের অংশ হিসেবে রসূলুল্লাহ্ (দ.) এবং তাঁর স্বহাবীগণ যা করেননি তা করা হারাম ঘোষণা করা হয়েছে। তাছাড়া এই মিলাদ, খতম পড়া, চল্লিশা ইত্যাদিগুলোকে দ্বীনের অংশ হিসেবে সাওয়াবের নিয়তে পালন করা হয়। এ সম্পর্কিত বর্ণনাটি লক্ষ্য করুন, “নাবী (দ.) বলেছেন, যে আমাদের দ্বীনের মাঝে এমন বিষয় উদ্ভাবন করল যা তাতে (শারী’আতে) নেই তাহলে তা বাতিল বলে গণ্য হবে।” -বুখারী, অধ্যায় ঃ ৫৩, বিবাদ-মিমাংসা, অনুচ্ছেদ ঃ ৫, অন্যের সাথে চুক্তিবদ্ধ হলে তা বাতিল, হাদিস # ২৬৯৭, মুসলিম, অধ্যায় ঃ ৩০, বিচার-ফায়সালা, অনুচ্ছেদ ঃ ৮, বাতিল সিদ্ধান্ত খণ্ডন ও বিদ’আতী কার্যকলাপ পরিত্যাগ, হাদিস # ১৭,১৮/১৭১৮। এ বিষয়টি একটু বিস্তারিত বলছি। এখন যেমন উড়োজাহাজ আবিস্কার হয়েছে, এই উড়োজাহাজে চড়া কি হালাল না হারাম বলবেন? নিশ্চয়ই হালাল বলবেন। কারণ, উড়োজাহাজে চড়া দ্বীনের কোন অংশ নয় এবং উড়োজাহাজে চড়া কুরআন এবং হাদিসে নিষেধও নেই। ঠিক তেমনিভাবে দাবা খেলা শারীয়াহ্’র কোন অংশ নয় এবং দাবা খেলা শারায়াহ্’য় নিষেধও নেই বিধায় তা হালাল বুঝে নিতে হবে। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। প্রশ্ন ঃ ২ আলী (রা.) হতে বর্ণিত, “নিশ্চয়ই তিনি (আলী রা.) বলেন, দাবা হচ্ছে অনারবদের জুয়া।” -বায়হাক্বী, অধ্যায় # ৬৫, কিতাবুশ-শাহাদাৎ, অনুচ্ছে ঃ ৫২, দাবা খেলা নিয়ে মতবিরোধ, হাদিস # ২০৯২৮। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় দাবা খেলা হারাম। উত্তর ঃ এই হাদিসটি যঈফ। যঈফ হওয়ার কারণ হচ্ছে, আবু জাফর তার পিতা থেকে মুরসালভাবে বর্ণনা করেছেন। তাই এই হাদিসটি দাবা খেলা হারামের জন্য দালিল হিসেবে পেশ করা সম্ভব নয়। প্রশ্নঃ ৩ “আলী (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি একবার কিছু লোককে দাবা খেলতে দেখেন তখন তিনি বলেন, “এই মূর্তিগুলো কি যাদের সঙ্গে তোমরা নিজেদের বেঁধে রেখেছ?” -সূরাহ্ আম্বিয়া (২১), ৫২” -বায়হাক্বী, অধ্যায় # ৬৫, কিতাবুশ-শাহাদাৎ, অনুচ্ছে ঃ ৫২, দাবা খেলা নিয়ে মতবিরোধ, হাদিস # ২০,৯২৯ ও ২০৯৩০। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় দাবা খেলা হারাম। উত্তরঃ এই হাদিস দু’টি যঈফ। যঈফ হওয়ার কারণ হচ্ছে, মাইসার বিন হাবিব আলী (রা.) থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছে এবং দ্বিতীয় হাদিসটিতে বর্ণনাকারীদের মাঝে আসবাগ নামে একজন মাতরুক ব্যক্তি রয়েছে। যে কারণে হাদিস দু’টি যঈফ। তাই এই হাদিস দু’টি দ্বারা দাবা খেলা হারামের জন্য দালিল হিসেবে পেশ করা সম্ভব নয়। প্রশ্নঃ ৪ “ইবনু ওমার (রা.) থেকে বর্ণিত, নিশ্চয়ই তাঁকে দাবা খেলা সম্পর্কে প্রশ্ন করা হয়েছিল। তিনি বলেন, তা (দাবা) পাশার থেকেও খারাপ।” -বায়হাক্বী, যঈফ, অধ্যায় # ৬৫, কিতাবুশ-শাহাদাৎ, অনুচ্ছে ঃ ৫২, দাবা খেলা নিয়ে মতবিরোধ, হাদিস # ২০৯৩৪। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় দাবা খেলা হারাম। উত্তরঃ এই হাদিসটি যঈফ। যঈফ হওয়ার কারণ হচ্ছে, বর্ণনাকারীদের মাঝে আহমাদ বিন সালমা নামে একজন ব্যক্তি রয়েছে। সে একজন যঈফ বর্ণনাকারী, যে কারণে হাদিস যঈফ। তাই এই হাদিসটি দাবা খেলা হারামের জন্য দালিল হিসেবে পেশ করা সম্ভব নয়। প্রশ্নঃ ৫ হাকাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, “আলী (রা.) বলেছেন, দাবার অনুসারীরা মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বড় মিথ্যুক। তারা (দাবা খেলোয়াড়রা) বলে আমি হত্যা করেছি কিন্তু তারা হত্যা করেনি।” -বায়হাক্বী, যঈফ, অধ্যায় # ৬৫, কিতাবুশ-শাহাদাৎ, অনুচ্ছে ঃ ৫২, দাবা খেলা নিয়ে মতবিরোধ, হাদিস # ২০৯৩১। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় দাবা খেলা হারাম। এই হাদিসটি যঈফ। যঈফ হওয়ার কারণ হচ্ছে, বর্ণনাকারীদের মাঝে হাকাম নামে একজন ব্যক্তি রয়েছে। যে কি’না আলী (রা.) থেকে মুরসালরূপে বর্ণনা করেছে, যে কারণে হাদিস যঈফ। তাই এই হাদিসটি দাবা খেলা হারামের জন্য দালিল হিসেবে পেশ করা সম্ভব নয়। প্রশ্নঃ ৬ যুক্তি দিয়ে কি দাবা খেলা হারাম হয়না? কারণ দাবা খেলোয়াড়রা আসলেই মিথ্যা কথা বলে। তারা বলে তারা হত্যা করেছে মূলত তারা কিছুই হত্যা করেনি। এ মিথ্যা কথা বলার কারণে খেলাটি কি হারাম হবে না? উত্তরঃ আপনার বক্তব্যটি সঠিক নয়। কারণ এটি মূলতঃ মিথ্যা কথা নয়। মূলতঃ এ কথাটিকে অভিনয় বলা যেতে পারে। আর খেলাধুলায় যা সত্য নয় তা অভিনয় করে বলা যায়। যেমন- মা আইশাহ্ (রা.) তাঁর পুতুলগুলোকে বলতেন যে, এগুলো আমার মেয়ে। কিন্তু আসলে পুতুলগুলো মা আইশাহ্’র (রা.) মেয়ে নয়। অথচ এ অভিনয় দেখে আল্লাহ্’র রসূল (দ.) নিষেধ করলেন না। যা থেকে বুঝা যায় খেলাধুলায় এ ধরণের কথা-বার্তা বলা জায়েয, যদিও তা সত্য নয়। এ সম্পর্কে নিন্মোক্ত হাদিসটি লক্ষ্য করুন, আইশাহ্ (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, “রসূলুল্লাহ্ (দ.) তাবুক অথবা খাইবারের যুদ্ধ হতে ফিরে আসলেন। তখন ঘরের তাকের উপর পর্দা ঝুলানো ছিল। বাতাসের কারণে তার এক পাশ সরে যায় যা’তে আমার খেলার পুতুলগুলো দেখা গেল। তিনি (দ.) পুতুলগুলো দেখে বললেন, হে আইশাহ্; এগুলো কি? উত্তরে আমি বললাম, এগুলো আমার মেয়ে। আর তিনি (দ.) এগুলোর মধ্যে কাপড়ের তৈরী দুই ডানা বিশিষ্ট একটি ঘোড়াও দেখতে পেলেন। তিনি (দ.) প্রশ্ন করলেন, এগুলোর মধ্যে ওটা কি দেখতে পাচ্ছি? আমি বললাম, এগুলো ঘোড়া। তিনি (দ.) বললেন, এ আবার কেমন ঘোড়া, যার পাখা আছে! আমি বললাম, শোনেননি যে, সোলাইমান (আ.) এর ঘোড়ার পাখা ছিল। আইশাহ্, (রা.) বললেন, একথা শোনে রসূলুল্লাহ্ (দ.) হেসে দিলেন। যাতে তাঁর (দ.) সামনে সাঁরির দাঁত দেখতে পেলাম।” -আবু দাউদ, সহীহ, অধ্যায় ঃ ৩৬, শিষ্টাচার, অনুচ্ছেদ ঃ ৬২, পুতুল দ্বারা খেলা করা, হাদিস # ৪৯৩১, ৪৯৩২। প্রশ্নঃ ৭ “আবী জাফর (রা.) হতে বর্ণিত… আবু জাফর (রা.) বর্ণনা করেন… এবং আবু সাঈদ খুদরী (রা.) দাবা খেলা অপছন্দ করতেন।” -বায়হাক্বী, যঈফ, অধ্যায় # ৬৫, কিতাবুশ-শাহাদাৎ, অনুচ্ছে ঃ ৫২, দাবা খেলা নিয়ে মতবিরোধ, হাদিস # ২০৯৩৬। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় দাবা খেলা হারাম। উত্তরঃ এই হাদিসটি যঈফ। যঈফ হওয়ার কারণ হচ্ছে, বর্ণনাকারীদের মাঝে ওবায়দুল্লাহ্ বিন আবী জাফর আবু সাঈদ খুদরী থেকে মুরসালরূপে হাদিসটি বর্ণনা করেছে। যে কারণে হাদিস যঈফ। তাই এই হাদিসটি দাবা খেলা হারামের জন্য দালিল হিসেবে পেশ করা সম্ভব নয়। প্রশ্নঃ ৮ “স্বলেহ্ বিন আবী ইয়াযিদ বলেন, আমি ইবনু মুসাইবকে দাবা খেলা সম্পর্কে প্রশ্ন করেছিলা। তিনি বলেছিলেন, তা (দাবা) বাতিল। আর আল্লাহ্ বাতিলকে ভালবাসেন না।” -বায়হাক্বী, যঈফ, অধ্যায় # ৬৫, কিতাবুশ-শাহাদাৎ, অনুচ্ছে ঃ ৫২, দাবা খেলা নিয়ে মতবিরোধ, হাদিস # ২০৯৩৭। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় দাবা খেলা হারাম। উত্তরঃ এই হাদিসটি যঈফ। যঈফ হওয়ার কারণ হচ্ছে, বর্ণনাকারীদের মাঝে আব্দুল জাব্বার বিন ওমার নামে একজন যঈফ বর্ণনাকারী রয়েছে। যে কারণে হাদিস যঈফ। তাই এই হাদিসটি দাবা খেলা হারামের জন্য দালিল হিসেবে পেশ করা সম্ভব নয়। প্রশঃ ৯ “ইমাম মালিক বলেন, দাবা খেলা পাশা খেলার মতই। আমাদের কাছে খবর পৌঁছেছে ইবনু আব্বাস (রা.) একজন ইয়াতিমের মালে দাবা খেলার বস্তুসমূহ দেখে তা পুড়িয়ে ফেলেছিলেন।” -বায়হাক্বী, যঈফ, অধ্যায় # ৬৫, কিতাবুশ-শাহাদাৎ, অনুচ্ছে ঃ ৫২, দাবা খেলা নিয়ে মতবিরোধ, হাদিস # ২০৯৩৩। এই হাদিস থেকে বুঝা যায় দাবা খেলা হারাম। উত্তরঃ এই হাদিসটি যঈফ। যঈফ হওয়ার কারণ হচ্ছে, ইমাম মালেক কিভাবে খবর পেয়েছে তা তিনি উল্লেখ করেননি। যে কারণে হাদিস যঈফ। তাই এই হাদিসটি দাবা খেলা হারামের জন্য দালিল হিসেবে পেশ করা সম্ভব নয়। প্রশ্নঃ ১০ “আবু মূসা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, “রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলেছেন, যে র্নাদ (পাশা) খেলে সে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের নাফরমানী করেছে।” -ইবনু মাজাহ্, হাসান, অধ্যায় ঃ ৩৩, কিতাবুল আদাব, অনুচ্ছেদ ঃ ৪৩, র্নাদ খেলা প্রসঙ্গে, হাদিস # ৩৭৬২। এই হাদিসে নারদ্ বা পাশা খেলাকে হারাম করা হয়েছে। আর পাশা গুঁটি দিয়ে খেলা হয়। তাই বুঝতে হবে যেসব খেলা গুঁটি দিয়ে খেলা হয় তা পাশার অন্তর্ভূক্ত হবে। অতএব, দাবা খেলা যেহেতু গুঁটি দিয়ে খেলা হয় তাই দাবা খেলাও হারাম হবে। উত্তরঃ আপনার ব্যাখ্যাটি সঠিক নয়। কারণ, হাদিসে গুঁটি দিয়ে খেলে এমন খেলা হারাম করা হয়নি। বরং পাশা খেলাকে হারাম করা হয়েছে। তাছাড়া পাশা খেলার নিয়মের সাথে দাবা খেলার কোনই মিল নেই। পাশা খেলাতে রাজা-রাণী, ঘোড়া, হাতি, নৌকা, মন্ত্রি ইত্যাদি থাকে না। যে কারণে, পাশা খেলার সাথে দাবা খেলাকে মিলানো সম্ভব নয়। তাই এই হাদিস দিয়ে দাবা খেলাকে কোনভাবেই হারাম করা যায় না। প্রশ্নঃ ১১ আপনিই প্রথম দাবা খেলাকে হালাল বললেন। পূর্ববর্তী বিদ্যানগণ দাবা খেলাকে হারাম বলেছিলেন। তাহলে মনে হচ্ছে আপনি পূর্ববর্তী বিদ্যানগণদের থেকেও বেশী বোঝেন ! যা কি’না সত্যি হাস্যকর। উত্তরঃ আসলে আমি শারীয়াহ্’র হালাল-হারামের বিধান আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূলের (দ.) কাছ থেকেই গ্রহণ করি। কোন পূর্ববর্তী বিদ্যানগণকে হালাল-হারামে দালিল হিসেবে উল্লেখ করিনা। তারপরও যেহেতু আপনি প্রশ্ন করেছেন সেই সুবাদে শুধুমাত্র উত্তর দিচ্ছি এবং আপনার বোধগম্যতার জন্য বলছি। পূর্ববর্তী বিদ্যানগণদের মধ্যে ইমাম শাফেঈ ও ইমাম নাববী দাবা খেলাকে হালাল বলেছেন (নাইলুল আওতার ও শরহে মুসলিম-ইমাম নাববী) এবং বর্তমান বিদ্যান শাইখ ইউসুফ আল-কারযাভীও দাবা খেলাকে হালাল বলেছেন (ইসলামে হালাল হারামের বিধান)। তাহলে বুঝা গেল, আমিই প্রথম দাবা খেলা হালাল বলেছি এ কথাটি সঠিক নয়। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন।
    Muslim Jashim Shiekh
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 2:32pm

    Sogood Islam Syeds

    ****************** স্বলাতে হাত বাঁধা ফারয্ ********************** . حَدَّثَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ مَسْلَمَةَ، عَنْ مَالِكٍ، عَنْ أَبِي حَازِمٍ، عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ: ” كَانَ النَّاسُ يُؤْمَرُونَ أَنْ يَضَعَ الرَّجُلُ الْيَدَ الْيُمْنَى عَلَى ذِرَاعِهِ الْيُسْرَى فِي الصَّلَاةِ “، قَالَ أَبُو حَازِمٍ: لَا، أَعْلَمُهُ إِلَّا يَنْمِي ذَلِكَ إِلَى النَّبِيِّ K . “সাহল ইবনু সা’দ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, লোকদের (স্বহাবীদের) নির্দেশ দেয়া হত যে, স্বলাতে বাম হাতের যিরার উপর ডান হাত রাখার জন্য। আবু হাযিম বলেন, সাহল রা. এই হাদিসটি নাবী দ. থেকে বর্ণনা করতেন।” -বুখারী, অধ্যায় ঃ ১০, কিতাবুল আযান, অনুচ্ছেদ ঃ ৮৭, স্বলাতে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা, হাদিস # ৭৪০। . এ হাদিসটি থেকে বুঝা গেলো রসুলুল্লহ্ দ. স্বলাতে হাত বাঁধার জন্য নির্দেশ দিতেন। আর রসূলুল্লহ্ দ. এর নির্দেশটি ফারয্। এর দালিল হলো- . মহান আল্লাহ্ বলেন, . وَما كانَ لِمُؤمِنٍ وَلا مُؤمِنَةٍ إِذا قَضَى اللَّهُ وَرَسولُهُ أَمرًا أَن يَكونَ لَهُمُ الخِيَرَةُ مِن أَمرِهِم ۗ… . “আল্লাহ্ এবং তাঁর রসূল যদি কোনো নির্দেশ প্রদান করেন তাহলে মু’মিন নারী এবং পুরুষের এ নির্দেশ অমান্য করার অধিকার নেই…” -সূরাহ্ আহযাব (৩৩), ৩৬ . ********************* স্বলাতে হাত বাঁধার নিয়ম ************************ . ডান হাত বাম হাতের উপর রাখতে হবে ঃ . أَخْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قال: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ الْعَنْبَرِيِّ، وَقَيْسِ بْنِ سُلَيْمٍ الْعَنْبَرِيِّ، قَالَا: حَدَّثَنَا عَلْقَمَةُ بْنُ وَائِلٍ، عَنْ أَبِيهِ، قال: رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ ” إِذَا كَانَ قَائِمًا فِي الصَّلَاةِ قَبَضَ بِيَمِينِهِ عَلَى شِمَالِهِ ” . “ওয়াইল বিন হুজ্র রা. হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নাবী দ. কে দেখেছি যখনি তিনি স্বলাতে দাঁড়াতেন তখনি বাম হাতের উপর ডান হাত রাখতেন।” -নাসাঈ, স্বহীহ্, হাদিস # ৮৮৭ . ডান হাত বাম হাতের কব্জি, পিঠ ও বাহুর উপর রাখতে হবে ঃ . خْبَرَنَا سُوَيْدُ بْنُ نَصْرٍ، قال: أَنْبَأَنَا عَبْدُ اللَّهِ بْنُ الْمُبَارَكِ، عَنْ زَائِدَةَ، قال: حَدَّثَنَا عَاصِمُ بْنُ كُلَيْبٍ قال: حَدَّثَنِي أَبِي، أَنَّ وَائِلَ بْنَ حُجْرٍ أَخْبَرَهُ، قال: ” قُلْتُ لَأَنْظُرَنَّ إِلَى صَلَاةِ رَسُولِ اللَّهِ كَيْفَ يُصَلِّي فَنَظَرْتُ إِلَيْهِ فَقَامَ فَكَبَّرَ وَرَفَعَ يَدَيْهِ حَتَّى حَاذَتَا بِأُذُنَيْهِ، ثُمَّ وَضَعَ يَدَهُ الْيُمْنَى عَلَى كَفِّهِ الْيُسْرَى وَالرُّسْغِ وَالسَّاعِدِ . ওয়াইল বিন হুজর (রা.) থেকে বর্ণিত- তিনি বলেন আমি রসূলুল্লহ্ (দ.) কে সলাত আদায় করতে দেখেছি। তিনি কিভাবে সলাত আদায় করছিলেন (জানো?) আমি দেখলাম তিনি (দ.) দাঁড়ালেন অতপর আল্লাহু আকবার বললেন এবং তার দুই হাত কাঁন বরাবর উঠালেন। অতপর তার ডান হাতকে বাম হাতের কব্জী, পিঠ ও বাহুর উপর রাখলেন। -নাসাঈ সহিহ, হাদিস # ৮৯০। . বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ ডান হাতকে বাম হাতের শুধু কব্জির উপরেও রাখা যায়। যার বর্ণনা সামনে উল্লেখ করা হলো। . স্বলাতে বুকের উপর হাত বাঁধতে হবে ঃ . #দালিল-১ . حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ سَعِيدٍ، عَنْ سُفْيَانَ، حَدَّثَنِي سِمَاكٌ، عَنْ قَبِيصَةَ بْنِ هُلْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: ” رَأَيْتُ النَّبِيَّ يَنْصَرِفُ عَنْ يَمِينِهِ وَعَنْ يَسَارِهِ، وَرَأَيْتُهُ قَالَ يَضَعُ هَذِهِ عَلَى صَدْرِهِ “، وَصَفَّ يَحْيَى: الْيُمْنَى عَلَى الْيُسْرَى فَوْقَ الْمِفْصَلِ . “হাল্ব (রা.) বলেছেন, আমি রসূলুল্লহ্ (দ.) কে ডানে-বামে ফিরতে দেখেছি (অর্থাৎ মুস্বল্লিদের কাতার ঠিক আছে কি’না দেখার জন্য) এবং (নাবী দ.) ইহা (হাত) তাঁর (দ.) বুকের উপর বাঁধতে দেখেছি। রাবী ইয়াহইয়া বাম হাতের কব্জির উপর (ডান হাত) রেখে বুঝিয়ে দিলেন।” -মুসনাদু আহমাদ, হাসান, হাদিস # ২১৪৫৯। . এই হাদিসের ব্যাপারে একটি অভিযোগ হচ্ছে- سِمَاكٌ (সিমাক) এর ইখতিলাত হয়েছিল, কিন্তু তা কোন সমস্যা নয়। কারণ سِمَاكٌ (সিমাক) থেকে হাদিসটি বর্ননা করেছেন سُفْيَانَ (সুফিয়ান) । আর سُفْيَانَ (সুফিয়ান) তার অর্থাৎ سِمَاكٌ (সিমাক) থেকে ইখতিলাতের পূর্বে বর্ণনা করেছেন। এই সম্পর্কে ইমাম (ইয়াকুব) বলেন- . ومن سمع منه قديما مثل سفيان وشعبة فحديثه عنه صحيح مستقيم . সিমাকের থেকে সুফিয়ান এবং শোবাহ বর্ণিত হাদিস স্বহিহ বক্রতা মুক্ত। -তাহযীবুল কামাল, রাবি # ২৫৭৯। . #দালিল-২ . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ قُدَامَةَ يَعْنِي ابْنَ أَعْيَنَ، عَنْ أَبِي بَدْرٍ، عَنْ أَبِي طَالُوتَ عَبْدِ السَّلَامِ، عَنْ ابْنِ جَرِيرٍ الضَّبِّيِّ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: ” رَأَيْتُ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ يُمْسِكُ شِمَالَهُ بِيَمِينِهِ عَلَى الرُّسْغِ فَوْقَ السُّرَّةِ . “জাবির দ্ববঈ বলেন, আমি আলি রা. কে ডান হাত দ্বারা বাম হাতের কব্জি ধরে নাভীর উপরে রাখতে দেখেছি।” -আবু দাউদ, হাসান, অধ্যায় ঃ ২, কিতাবুস্ স্বলাত, অনুচ্ছেদ ঃ ১২০, স্বলাতরত অবস্থায় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা, হাদিস # ৭৫৭। . এই হাদিসের দু’জন রাবীকে ইমাম যাহাবী তাঁর মিযানুল ই’তিদাল কিতাবে মাজহুল বলেছেন, রাবী দু’জন হল- ১/ ابْنِ جَرِيرٍ الضَّبِّيِّ যার পুরো নাম গযওয়ান বিন জারির غَزْوَانُ بْنُ جَرِيرٍ এবং ২/ (أَبِيهِ) তাঁর পিতা যার নাম জারির দ্ববিঈ جَرِيرٍ الضَّبِّيِّ . কিন্তু এই দু’জন রাবীকে মাজহুল বলা ভুল। কারণ ইমাম বায়হাকী এই দু’জন রাবীকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেছেন, . وَأَخْبَرَنَا أَبُو الْحُسَيْنِ بْنُ بِشْرَانَ، ثنا جَعْفَرُ بْنُ مُحَمَّدٍ الأَنْصَارِيُّ ابْنِ نُصَيْرٍ الْخُلْدِيّ إِمْلاءً، ثنا إِبْرَاهِيمُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مُسْلِمٍ، ثنا مُسْلِمُ بْنُ إِبْرَاهِيمَ، ثنا عَبْدُ السَّلامِ بْنُ أَبِي حَازِمٍ، ثنا غَزْوَانُ بْنُ جَرِيرٍ ، عَنْ أَبِيهِ، …، هَذَا إِسْنَادٌ حَسَنٌ -আস-সুনানুল কুবরা, হাদিস # ২১২৯। . এই হাদিসের সানাদে গযওয়ান বিন জারির ( (غَزْوَانُ بْنُ جَرِيرٍ এবং তাঁর পিতা জারির দ্ববিঈ جَرِيرٍ الضَّبِّيِّ রয়েছেন। আর এই হাদিসের সানাদকে ইমাম বায়হাকী বলেছেন হাসান। তাহলে বুঝা গেল এই দু’জন রাবী মাজহুল নয় বরং হাসান। তাই আলী রা. এর হাত বাধাঁ সংক্রান্ত হাদিসটি হাসান। . এবার হাদিসটি নিয়ে আলোচনা করা যাক। হাদিসটি বলছে যে আলি রা. স্বলাতে নাভীর উপরে হাত বাঁধতেন। কিন্তু একথা স্পষ্ট বলা হয়নি নাভীর উপরে কোথায় হাত বাঁধতেন। যেহেতু নাবী দ. বুকের উপরে হাত বাঁধতেন তাই বুঝে নিতে হবে যে আলি রা. নাভীর উপরে বলতে বুকের উপরেই হাত বাঁধতেন। এভাবে বুঝলেই মারফু হাদিসের সাথে মাওকুফ হাদিসের সমন্বয় সম্ভব হবে। (ফালিল্লাহিল হামদ্) . ****************** দু’টি আপত্তির জবাব ****************** #আপত্তি ঃ وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَضَعَهُمَا فَوْقَ السُّرَّةِ، وَرَأَى بَعْضُهُمْ أَنْ يَضَعَهُمَا تَحْتَ السُّرَّةِ، وَكُلُّ ذَلِكَ وَاسِعٌ عِنْدَهُمْ . “ইমাম তিরমিযী রহ. বলেন, কারো কারো মতে স্বলাতে নাভীর উপরে হাত বাঁধতে হবে আবার কারো কারো মতে নাভীর নিচে হাত বাঁধতে হবে আবার কারো মতে উভয়টিই করা যাবে।” -তিরমিযী, অধ্যায় ঃ কিতাবু মাওয়াক্বিতুস্ স্বলাহ্, অনুচ্ছেদ ঃ ৭৫, স্বলাতে ডান হাত বাম হাতের উপর রাখা। . ইমাম তিরমিযীর এই মন্তব্য থেকে বুঝা গেলো, ইমাম তিরমিযীর যুগ পর্যন্ত স্বলাতে হাত বাধার নিয়ম ছিলো দু’টি। যথা- . ১/ নাভীর উপরে হাত বাঁধা। ২/ নাভীর নিচে হাত বাঁধা। . কিন্তু বুকের উপরে হাত বাঁধার মন্তব্যের ব্যাপারে ইমাম তিরমিযী কিছুই বলেননি। এথেকেই বুঝা যায়, ইমাম তিরমিযীর যুগ পর্যন্ত স্বলাতে বুকের উপর হাত বাঁধার ব্যাপারে কেউই জানতেন না। তাই বুঝা গেলো স্বলাতে বুকের উপর হাত বাঁধা একটি ভুল আ’মাল। . #জবাব ঃ ইমাম তিরমিযী রহ. এর বক্তব্যটি সঠিক, কিন্তু আপনার বুঝটি সঠিক নয়। কারণ নাভীর উপরে হাত বাঁধতে হবে বলতে বুকের উপরে হাত বাঁধাকে অস্বীকার করা হয় না। বরং নাভীর উপরে হাত বাঁধা বলতে বুকের উপরে হাত বাঁধাকেও বুঝানো যায়। যেমনিভাবে পূর্বে আলী রা. এর হাদিস দ্বারা বুঝানো হয়েছে। তাই ইমাম তিরমিযীর বক্তব্য অনুযায়ী বুকের উপরে হাত বাঁধার কথাও ব্যাখ্যা নেয়া যায়। . #আপত্তি ঃ পূর্বের কোন ইমাম স্বলাতে বুকের উপর হাত বাধাঁর কথা বলেননি! . জবাব ঃ এই কথাটি সম্পূর্ণ ভুল। ইমাম বায়হাক্বী তাঁর আস-সুনানুল কুবরতে অনুচ্ছেদ লিখেছেন এভাবে- . عَلَى صَدْرِ فِي الصَّلَاةِ مِنَ السُّنَّةِ اليَديْن وَضْعِ . “স্বলাতে দুই হাত বুকের উপর রাখা সুন্নাহ্।” -অধ্যায় ঃ কিতাবুস স্বলাত, অনুচ্ছেদ ঃ ১৪৭, . স্বলাতে বুকের কাছে হাত বাধাঁর হাদিসগুলো গ্রহণযোগ্য নয় . #দলিল-১ . حَدَّثَنَا إِبْرَاهِيمُ بْنُ سَعِيدٍ، قَالَ: نا مُحَمَّدُ بْنُ حُجْرٍ، قَالَ: حَدَّثَنِي سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ أُمِّهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: شَهِدْتُ النَّبِيَّ،… وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى يَسَارِهِ عِنْدَ صَدْرِهِ . “ওয়াইল বিন হুজর (রা.) বলেন আমি নাবী (দ.) এর ব্যাপারে স্বাক্ষ্য দিচ্ছি… তিনি তার বাম হাতের উপরে ডান হাত রেখে বুকের কাছে রাখতেন।” -মুসনাদু বাজ্জার, হাদিস # ৪৪৮৮। . #জবাব ঃ এই হাদিসটি দুটি কারনে যঈফ- . ১. সাঈদ বিন আব্দুল জাব্বার বিন ওয়াইল বিন হুজর (سَعِيدُ بْنُ عَبْدِ الْجَبَّارِ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ ) সে যঈফ রাবি -তাহযীবুল কামাল রাবি # ২৩০৫। . ২. আরএক রাবি তার মা (أُمِّهِ) মাজহুল (অপরিচিত)। . #দালিল-২ . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، ثنا مُحَمَّدُ بْنُ عَاصِمٍ، قَالَ: ثنا مُؤَمَّلٌ، قَالَ: ثنا سُفْيَانُ، عَنْ عَاصِمِ بْنِ كُلَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، قَالَ: رَأَيْتُ النَّبِيَّ ” وَضَعَ يَدَهُ عَلَى شِمَالِهِ عِنْدَ صَدْرِهِ . ওয়াইল বিন হুজর (রা.) বলেন- আমি নাবী (দ.) কে দেখেছি বা হাতের উপর ডান হাত রেখে বুকের কাছে রাখতে। -ত্ববাকাতুল মুহাদ্দিসিন, হাদিস # ৪২২। . #জবাবঃ এই হাদিসটি যঈফ। কারন সানাদে সুফিয়ান সাওরি (سفيان الثوري) রয়েছেন। আর তিনি মুদ্দালাস রাবি। -তাক্বরিবুত তাহযিব(ইমাম ইবনু হাজার) রাবী # ২৪৫৮। তিনি হাদিসটি আন (عَنْ) শব্দে বর্ণনা করেছেন। আর মুদ্দালাস রাবির আন (عَنْ) শব্দে বর্ণিত সানাদ গ্রহণযোগ্য নয়। -নুখবাতুল ফিকার (ইমাম ইবনু হাজার) . ************ স্বলাতে নাভীর নিচে হাত বাধাঁর হাদিসগুলো গ্রহণযোগ্য নয় ************ . #দালিল-১ . حَدَّثَنَا وَكِيعٌ، عَنْ مُوسَى بْنِ عُمَيْرٍ، عَنْ عَلْقَمَةَ بْنِ وَائِلِ بْنِ حُجْرٍ، عَنْ أَبِيهِ، قَالَ: ” رَأَيْتُ النَّبِيَّ وَضَعَ يَمِينَهُ عَلَى شِمَالِهِ فِي الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ ” . ওয়াইল বিন হুজর রা. বলেন, আমি নাবী দ. কে দেখেছি স্বলাতে ডান হাত বাম হাতের উপর রেখে নাভীর নিচে স্থাপন করেছেন।” -মুস্বন্নাফি ইবনু আবী শাইবাহ্, অধ্যায় ঃ ২, কিতাবুস্ স্বলাত, অনুচ্ছেদ ঃ ১৬৮, বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা, হাদিস # ৩৯৫৯। . এ হাদিসে বর্ণিত تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নাভীর নিচে’র অংশটি মুস্বন্নাফি ইবনু আবী শাইবাহ’র অনেক সংস্করণে নেই। (আমার কাছে মিশরের দারুল হাদিস প্রকাশিত মুস্বন্নাফি ইবনু আবী শাইবাহ্ রয়েছে। তাতে تَحْتَ السُّرَّةِ “নাভীর নিচে”র অংশটুকু নেই।) তাই تَحْتَ السُّرَّةِ ‘নাভীর নিচে’ কথাটির ব্যাপারে সন্দেহ থেকেই গেলো। যার ফলে এই অংশটির উপর আ’মাল করা যাচ্ছে না। . #দালিল-২ . حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مَحْبُوبٍ، حَدَّثَنَا حَفْصُ بْنُ غِيَاثٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ، عَنْ زِيَادِ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ أَبِي جُحَيْفَةَ، أَنَّ عَلِيًّا رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ، قَالَ: ” مِنَ السُّنَّةِ وَضْعُ الْكَفِّ عَلَى الْكَفِّ فِي الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ ” . “আলী রা. বলেছেন, স্বলাত আদায়কালে বাম হাতের তালুর উপর ডান হাতের তালু রেখে নাভীর নিচে রাখা সুন্নাহ।” -আবু দাউদ, অধ্যায় ঃ ২, কিতাবুস্ স্বলাত, অনুচ্ছেদ ঃ ১২০, স্বলাতরত অবস্থায় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা, হাদিস # ৭৫৬, মুসনাদু আহমাদ, হাদিস # ৮৫৩, সুনানু দারাকুৎনী, হাদিস # ১০৯০, ১০৮৯, সুনানুল কুবরা (ইমাম বায়হাক্বী), ২১৩৫, ২১৩৬, আল-আওসাত্ব (ইবনু মুনযিরি), হাদিস # ১২৯০, আত্-তাহক্বীক্বু ফী মাসাইলিল খিলাফি (ইমাম ইবনু যাওজী), হাদিস # ৪৮১, আহকামুল কুরআনুল কারীম (ইমাম ত্বহাবী), হাদিস # ৩২৭। . এই হাদিসটি দু’টি কারণে যঈফ। যথা- . ১. সানাদে আব্দুর রহমান বিন ইসহাক (عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ) রয়েছে, তার পুরো নাম আব্দুর রহমান বিন ইসহাক বিন আল হারিস (عبد الرحمن بن إسحاق بن الحارث) সে একজন যঈফ রাবী। -তাহযীবুল কামাল, রাবী # ৩৭৫৪। . ২. সানাদে যিয়াদ বিন যায়েদ (زياد بن زيد) রয়েছে, তার পুরো নাম যিয়াদ বিন যায়েদ আসসাওয়ায়ি (زياد بن زيد السوائي) সে মাজহুল রাবী। -তাহযীবুল কামাল, রাবী # ২০৪৬। . ইবনু মুনযিরির আল আওসাত্ব গ্রন্থের সানাদে আবু মুয়াওিয়া (أَبُو مُعَاوِيَةَ) রয়েছে, তার পুরো নাম মুহাম্মাদ বিন খযিম আল আ‘মা (محمد بن خازم الأعمى) সে একজন মুদাল্লাস রাবী। -তাহযীবুল কামাল, রাবী # ৫১৭৩। সে হাদিসটি আন (عَنْ) শব্দে বর্ণনা করেছে। আর মুদাল্লাস রাবীর আন (عَنْ) শব্দে বর্ণিত সানাদ গ্রহণযোগ্য নয়। -নুখবাতুল ফিকার (ইমাম ইবনু হাজার) . তাই এই হাদিসটি গ্রহণযোগ্য নয়। #দালিল-৩ . حَدَّثَنَا مُسَدَّدٌ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ بْنُ زِيَادٍ، عَنْ عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ الْكُوفِيِّ، عَنْ سَيَّارٍ أَبِي الْحَكَمِ، عَنْ أَبِي وَائِلٍ، قَالَ: قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: ” أَخْذُ الْأَكُفِّ عَلَى الْأَكُفِّ فِي الصَّلَاةِ تَحْتَ السُّرَّةِ . “আবু হুরইরহ্ রা. বলেন, আমি স্বলাতে কব্জির উপর কব্জি রেখে নাভীর নিচে স্থাপন করেছি।” -আবু দাউদ, অধ্যায় ঃ ২, কিতাবুস্ স্বলাত, অনুচ্ছেদ ঃ ১২০, স্বলাতরত অবস্থায় বাম হাতের উপর ডান হাত রাখা, হাদিস # ৭৫৮, আল-আওসাত্ব (ইবনু মুনযিরি), হাদিস # ১২৯১, আহকামুল কুরআনুল কারীম (ইমাম ত্বহাবী), হাদিস # ৩২৮, আত-তাহমীদ (ইবনু আব্দুল বার), হাদিস # ৩৫১৯। . এই হাদিসটি যঈফ। কারণ, সানাদে আব্দুর রহমান বিন ইসহাক (عَبْدِ الرَّحْمَنِ بْنِ إِسْحَاقَ) রয়েছে, তার পুরো নাম আব্দুর রহমান বিন ইসহাক বিন আল হারিস (الرحمن بن إسحاق بن الحارث ) সে একজন যঈফ রাবী -তাহযীবুল কামাল, রাবী # ৩৭৫৪। . #গবেষক- মুহাম্মাদ ইকবাল বিন ফাখরুল ইসলাম 27-05-2016, জুমাবার
    Samia Zaman
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 4:03pm

    Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin added a new photo.
    সা’ হচ্ছে একটি পাত্র। রাসুলুল্লাহ( সা) যখন ফিতরা দিতেন ওই পাত্র ভরে পাকা পুষ্ট গম বা খেজুর দিতেন । বুখারী, মুসলিম। এক সা’ = (৪) চার মুদ। ১ মুদ = একটি নির্দিষ্ট আকারের পাত্রের পরিমানকে মুদ বলা হয়, কাপ বা বল বা মগ জাতীয় । যার আনুমানিক পরিমান দুই হাত মুনাজাতের মত একত্রিত করে তাতে যতটুকু ফসল নেয়া যায় । ওই পাত্রের আকারে ১ মুদ = আনুমানিক প্রায় ০.৭৫০ লিটার অর্থাত ৭৫০ মিলি লিটার! এখন ৭৫০ মিলি লিটার আয়তনের পাত্রে ফসল ভরলে যতটুকু হয় তা হচ্ছে এক মুদ। তাহলে ১ সা’ = ৪ মুদ = ৪ x ০.৭৫০ মিলি লিটার = ৩ লিটার। এখন ১ সা’ ফসল = ৩ লিটার পাত্রে যেই পরিমান ফসল ধরে । স্বাভাবিকভাবে এভাবে একেক ফসলের ওজন ভিন্ন ভিন্ন হবে ! শায়খ সালেহ আল উসায়্মিন ফতোয়া আরকানুল ইসলামে উল্লেখ করেছেন, রাসুল (সাঃ) এর এক সা’ ছিল আনুমানিক ২ কেজি ৪০ গ্রাম পাকাপুষ্ট গম। এখন ওই পাত্রের পরিমান অনুযায়ী পাকা পুষ্ট গমের কেজি করলে তা দাড়ায় ২ কেজি ৪০ গ্রাম ! এখন ওই পাত্রে যদি খেজুর পূর্ণ করে ওজন দেয়া হয় তখন তো আর ২ কেজি ৪০ গ্রাম হবে না ! বেশি হতে পারে! কারণ খেজুরের আয়তন বড় এবং ওজন বেশি ! একইভাবে যদি ওই পত্র পূর্ণ চাল ওজন দেয়া হয় তাহলেও ওজনের তারতম্য ঘটবে !! স্কলারগণ মানুষের সুবিধার্থে এই কেজির সংখ্যা নিরুপন করেছেন । যে গম হিসেবে তা ২ কেজি ৪০ গ্রাম থেকে শুরু করে প্রায় ৩ কেজি পর্যন্ত। ফিতরা আদায় ফরজ।কোন কারনে কম হয়ে গেলে সঠিক ভাবে ফরজ আদায় হবেনা, অতএব সাবধান। অতএব একটু বেশি দিন।সেটা দান সাদাকা হিসাবে আল্লাহ কবুল করবেন। ইনশাআল্লাহ। দেয়ার সমর্থ থাকলে দিতে তো কোন সমস্যা নাই,তাই না? না হয় সাড়ে ৩ কেজিই দিলেন ! আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা ভালো জানেন। আশা করি সা’ বিষয়ের বিভ্রান্তি দূর হয়েছে ইনশা আল্লাহ।
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 4:55pm

    Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin added a new photo.
    সা’ হচ্ছে একটি পাত্র। রাসুলুল্লাহ( সা) যখন ফিতরা দিতেন ওই পাত্র ভরে পাকা পুষ্ট গম বা খেজুর দিতেন । বুখারী, মুসলিম। এক সা’ = (৪) চার মুদ। ১ মুদ = একটি নির্দিষ্ট আকারের পাত্রের পরিমানকে মুদ বলা হয়, কাপ বা বল বা মগ জাতীয় । যার আনুমানিক পরিমান দুই হাত মুনাজাতের মত একত্রিত করে তাতে যতটুকু ফসল নেয়া যায় । ওই পাত্রের আকারে ১ মুদ = আনুমানিক প্রায় ০.৭৫০ লিটার অর্থাত ৭৫০ মিলি লিটার! এখন ৭৫০ মিলি লিটার আয়তনের পাত্রে ফসল ভরলে যতটুকু হয় তা হচ্ছে এক মুদ। তাহলে ১ সা’ = ৪ মুদ = ৪ x ০.৭৫০ মিলি লিটার = ৩ লিটার। এখন ১ সা’ ফসল = ৩ লিটার পাত্রে যেই পরিমান ফসল ধরে । স্বাভাবিকভাবে এভাবে একেক ফসলের ওজন ভিন্ন ভিন্ন হবে ! শায়খ সালেহ আল উসায়্মিন ফতোয়া আরকানুল ইসলামে উল্লেখ করেছেন, রাসুল (সাঃ) এর এক সা’ ছিল আনুমানিক ২ কেজি ৪০ গ্রাম পাকাপুষ্ট গম। এখন ওই পাত্রের পরিমান অনুযায়ী পাকা পুষ্ট গমের কেজি করলে তা দাড়ায় ২ কেজি ৪০ গ্রাম ! এখন ওই পাত্রে যদি খেজুর পূর্ণ করে ওজন দেয়া হয় তখন তো আর ২ কেজি ৪০ গ্রাম হবে না ! বেশি হতে পারে! কারণ খেজুরের আয়তন বড় এবং ওজন বেশি ! একইভাবে যদি ওই পত্র পূর্ণ চাল ওজন দেয়া হয় তাহলেও ওজনের তারতম্য ঘটবে !! স্কলারগণ মানুষের সুবিধার্থে এই কেজির সংখ্যা নিরুপন করেছেন । যে গম হিসেবে তা ২ কেজি ৪০ গ্রাম থেকে শুরু করে প্রায় ৩ কেজি পর্যন্ত। ফিতরা আদায় ফরজ।কোন কারনে কম হয়ে গেলে সঠিক ভাবে ফরজ আদায় হবেনা, অতএব সাবধান। অতএব একটু বেশি দিন।সেটা দান সাদাকা হিসাবে আল্লাহ কবুল করবেন। ইনশাআল্লাহ। দেয়ার সমর্থ থাকলে দিতে তো কোন সমস্যা নাই,তাই না? না হয় সাড়ে ৩ কেজিই দিলেন ! আল্লাহ সুবহানাহুতায়ালা ভালো জানেন। আশা করি সা’ বিষয়ের বিভ্রান্তি দূর হয়েছে ইনশা আল্লাহ।
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    6/22, 6:13pm

 

8]-fb.mess-best salaf

 

  • ogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 4:56am

    Sogood Islam Syeds

    তারাবীহ ৮ রাক’আত না ২০ রাক’আত? এই প্রশ্নটি না করে আলেমদের প্রশ্ন করুন “ক্বিয়ামুল লাইল কত রাক’আত?” কারণ রমাযান মাসে ক্বিয়ামুল লাইলের মর্যাদা প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে যে, ” যে ব্যক্তি রমাযানে ক্বিয়াম করবে ইমান এবং ইহতেসাবের সাথে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” তারাবীহ শব্দটিই হাদীসে আসেনি। হাদীসে ক্বিয়ামুল লাইলের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। তাই আলেমদের ক্বিয়ামুল লাইল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। নিঃসন্দেহে ক্বিয়ামুল লাইল ৮ রাক’আত এবং এই বিষয়ে দ্বিমত নাই। তবে ৮+৩=১১ এর অধিক কেউ পড়তে পারে । কারণ রাসুল সঃ বলেছেন রাতের স্বলাত দুই দুই করে, যখন ফজর হওয়ার আশংকা করবে তখন বিতর পড়ে নিবে(হুবুহু উল্লেখ করতে পারিনি) । কিন্তু রাক’আত নির্দিষ্ট করে নিয়মিত পড়লে ৮+৩=১১ রাক’আতই পড়া উচিৎ ।
    Shohidullah Alfaruquee
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 5:04am

    Sogood Islam Syeds

    কোনো এক স্থানের চাঁদ দেখা সারা বিশ্বের জন্য প্রযোজ্য কি? লেখক: শাইখ আব্দুর রাকিব আল-বুখারী আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামীন, ওয়াস্ স্বালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিহিল্ আমীন, আম্মা বাদঃ অতঃপর পবিত্র রামাযান মাস এবং ঈদ নিকটে আসলেই মুসলিম সমাজে একটি বিষয়ের চর্চা বৃদ্ধি পায়; বরং সাম্প্রতি বিষয়টির চর্চা একটু বেশীই লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তা হল, পৃথিবীর কোনো স্থানে বা দেশে যদি হিলাল (১ম তারিখের চাঁদ) দেaখা যায় এবং সেই সংবাদ যদি বিভিন্ন দেশে পৌঁছে যায়, তাহলে সেই খবরটি সকল মুসলিমের সাউম শুরু করা বা ছাড়ার জন্য প্রযোজ্য কি না? অনেক স্থানে এ নিয়ে তর্ক-বিতর্ক হয়। পক্ষে বিপক্ষে দলীল-প্রমাণ ও যুক্তি দিতেও দেখা যায়। আবার অনেকে এসবের তোয়াক্কা না করে অন্য দেশে চাঁদ দেখা দিলে বিশেষ করে সউদীতে দেখা দিলে তারা সউদীর সাথে সাউম পালন শুরু করে দেয় কিংবা ঈদ করে। এর ফলে একই দেশে ও সমাজে বসবাস করার পরেও কেউ এক-দুই দিন আগেই রোযা ধরে কিংবা ছাড়ে। আর বিষয়টি এখন শুধু এই তর্কে সীমিত নেই যে, অন্য দেশে চাঁদ দেখা দিলে আমাদের জন্যও তা প্রযো‍জ্য না অপ্রযোজ্য বরং তা একধাপ এগিয়ে এই তর্কে পৌঁছেছে যে, সেই সংবাদের ভিত্তিতে পৃথিবীর সকল মুসলিমের প্রতি সাউম শুরু করা বা ছাড়া জরূরি কি না? বলতে পারেন এর থেকেও এক ধাপ এগিয়ে এখন এই তর্কে পৌঁছেছে যে, যারা এই সংবাদ পাওয়ার পরেও রোযা করে না বা ঈদ করে না, তাদের নাকি সাউম ও ঈদ হয় না, তারা নাকি বড় গুনাহগার, বিদআতী এমন কি তাদের মুসলমানিত্বেও এখন প্রশ্ন! এই সময় কিছু নাম কে ওয়াস্তে মুসলিম এবং মডার্যাুট মুসলিমদেরও ইসলামের কথা বলতে শোনা যায়। তারা যেহেতু এক সাথে সীমাই খেতে পারে না, একই দিনে আনন্দ শেয়ার করতে পারে না, তাই উলামাদের লক্ষ্য করে বলেঃ এদের কারণে মুসলিম সমাজে ঐক্য আসে না, এদের কারণে মুসলিমরা এক হতে পারে না, এদের কারণেই মুসলিমদের এই দুরাবস্থা। এরা অন্যান্য বিষয়ে তো মতভেদ করেই কিন্তু ঈদের মত বড় বিষয়েও মতভেদ করতে ছাড়ে না। এদের কারণেই আমরা ঈদের মত একটি বড় পর্বকে একই দিনে পালন করতে পারছি না, এক সাথে আনন্দ শেয়ার করতে পারছি না। বিশ্বের অমুসলিমরা আমাদের দিকে তাকাচ্ছে আর হাসছে। বড়ই পরিতাপের বিষয়! অতঃপর শুরু হয় বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে মাসের শুরু ও শেষ হওয়ার হিসেব নিকেশ। আমরা বক্ষ্যমান লেখাতে উক্ত বিষয়ের পক্ষে বিপক্ষে শরীয়ার দলীল প্রমাণ এবং সালাফে সালেহীন ও উলামাগণের মন্তব্য পেশ করবো, অতঃপর সেই আলোকে একটি সমাধানে আসতে সচেষ্ট হব, ইন শাআল্লাহ। ওয়ামা তাওফীকী ইল্লা বিল্লাহ। মতভেদের কারণঃ বিশ্বের কোনো দেশে বা প্রান্তে হিলাল দেখা দিলে এবং সেই সংবাদ বাকী দেশে ও প্রান্তে পৌঁছে গেলে, সেই সংবাদের ভিত্তিতে সকল মুসলিমের এক সাথে সাউম শুরু করা বা না করা এবং ঈদ করা বা না করার বিষয়ে যেই মতভেদ বিদ্যমান তার মুখ্য কারণ হচ্ছে দুটি (ক) দলীল-প্রমাণে উভয় মতের অবকাশ থাকা (খ) এই বাস্তবতা যে, পৃথিবীর সব স্থানে একই সময়ে চাঁদ প্রকাশ না পাওয়া। যদি কোনো দেশবাসী রামাযান মাসের হিলাল দেখে, তাহলে তাদের দেখার ভিত্তিতে পৃথিবীর অন্যান্য সমস্ত দেশবাসীর প্রতি সাউম পালন করা জরূরী হয়ে যায়, না উদয়স্থলের তারতম্যের কারণে প্রত্যেক দেশের জন্য ভিন্ন ভিন্ন স্বতন্ত্র দর্শনের ভিত্তিতে তাদের উপর রোযা পালন করা ও ঈদ করা জরূরী হবে? এ বিষয়ে বিগত উলামাগণের দুটি মৌলিক মত পাওয়া যায়। প্রথম মতঃচন্দ্রের উদয়স্থলের পার্থক্যের কারণে এক দেশের চাঁদ দেখা পৃথিবীর সকল দেশের জন্য যথেষ্ট হবে না; বরং প্রত্যেক দেশের জন্য স্বতন্ত্র দর্শন স্বীকৃত হবে। এই মতটি ইকরামা, কাসেম, সালেম, ইসহাক্ব সহ ইমাম শাফেয়ী ব্যক্ত করেছেন। [ফিকহ বিশ্বকোষ ২২/৩৬, আল্ মাজমূ ৫/২৭৩-২৭৫, আল্ মুগনী ৪/৩২৮] এই মতের একটু ব্যাখ্যা স্বরূপ ইমাম নবভী বলেনঃ এই দর্শন সকল মানুষের জন্য সাধারণ ভাবে প্রযোজ্য হবে না; বরং যতখানি দূরত্বে নামায কসর করা বৈধ নয়, ততদূর পর্যন্ত স্বীকৃত হবে। আরোও বলা হয়েছে, যদি চন্দ্রের উদয়স্থল এক হয় তাহলে তাদের সকলের জন্য প্রযোজ্য হবে। [শারহু মুসলিম ৪/২০৯] এই মতের দলীলাদিঃ ১ম দলীলঃ-কুরাইব থেবে বর্ণিত যে, উম্মুল ফায্ল তাকে সিরিয়া প্রদেশে মুআবীয়ার নিকট প্রেরণ করেন। তিনি বলেনঃ “আমি সিরিয়ায় আসলাম এবং তার প্রয়োজন পূরণ করলাম। এই সময় রামাযান শুরু হল আর আমি শুক্রবারের রাতে চাঁদ দেখলাম। অতঃপর মাসের শেষে মদীনায় ফেরত আসলাম। তখন হিলালের প্রসঙ্গ উঠলেআব্দুল্লাহ বিন আব্বাস (রাযিঃ) আমাকে জিজ্ঞাসা করলেনঃ তোমরা হিলাল কখন দেখেছো? আমি বললামঃ জুমআর রাতে। তিনি বললেনঃ তুমি দেখেছিলে? আমি বললামঃ হাঁ এবং অন্য লোকেরাও দেখেছিল। তারা সকলে রোযা রেখেছে এবং মুআবীয়াও রোযা রাখেন। তখন তিনি (ইবনে আব্বাস রাযিঃ) বললেনঃ কিন্তু আমরা তো শনিবারের রাতে চাঁদ দেখেছি। তাই আমরা সাউম রাখবো যতক্ষণে ৩০ পূরণ না হয় কিংবা তা না দেখতে পাই। আমি তাকে বললামঃ আমাদের জন্য মুআবিয়ার দর্শন ও তার রোযা করা যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেনঃ না। আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই আদেশ করেছেন।” [মুসলিম, সিয়াম অধ্যায়, অনুচ্ছেদ নং ৫ হাদীস নং (১০৮৭] প্রমাণকরণঃ ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) শামবাসীদের হিলাল দর্শন মদীনাবাসীদের জন্য যথেষ্ট মনে করলেন না, যা দ্বারা বুঝা যায় এক দেশের হিলাল দর্শন অন্য দেশবাসীদের জন্য প্রযোজ্য নয়। আপত্তিঃ এটি ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর ব্যক্তিগত রায় তথা ইজতিহাদ, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদীস নয়। আপত্তির উত্তরঃ (ক)কোনো সাহাবীর উক্তি যে, ‘আল্লাহর রাসূল আমাদের আদেশ করেছেন’ কিংবা‘আমাদের আদেশ করা হয়েছে’ বা ‘আমাদের নিষেধ করা হয়েছে’বা ‘আদেশ করা হত’ বা নিষেধ করা হত’ এমন বাক্য উসূলে হাদীসের নীতিতে এবং হাদীসের পন্ডিতদের নিকট মারফু ও মুসনাদ হাদীসের অন্তর্ভুক্ত । [উলূমুল হাদীস, ইবনু সালাহ, পৃঃ ৪৯, দারুল ফিকর বৈরূতের ছাপা] তাই ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর উপরোক্ত হাদীস (আমাদের রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এমনই আদেশ করেছেন) একটি মারফূ ও মুসনাদ হাদীস তাঁর ইজতিহাদ বা নিজস্ব রায় নয়। (খ) উসূলে ফিকহের নীতিতে উল্লেখ হয়েছে, সাহাবীর কথা যদি তার বিরোধিতা না করা হয়, তাহলে তা গ্রহণীয়। এই নিয়মেও ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর এই হাদীস গৃহীত ও আমল যোগ্য কারণ তাঁর কথার বিরোধিতা অন্য সাহাবাগণ করেন নি। (গ) যারা এমন মন্তব্য করেন যে, এটা ইবনু আব্বাস (রাযিঃ) এর ইজতেহাদ বা তাঁর ইজতেহাদ গ্রহণ করাটা আমাদের জন্য জরূরী নয়। তাঁদের চিন্তা করা উচিৎ যে, নবী (সাঃ) এর পর এমন একটি বড় বিষয়ে নবীজীর দুআপ্রাপ্ত সম্মানিত সাহাবী যাঁকে (হাবরুল উম্মাহ) ও (তুরজুমানুল কুরআন) উম্মতের পন্ডিত ও কুরআনের মুফাস্সির উপাধী দেওয়া হয়েছে, তাঁর ইজতিহাদ গ্রহণ না করা হলে এ যুগের কার ইজতেহাদ গ্রহণীয় হবে?! ২য় দলীলঃআল্লাহর বাণীঃ ( فَمَنْ شَهِدَ منكم الشّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ) অর্থঃ (কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোযা পালন করে) [বাকারাহ/১৮৫] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ صوموا لرؤيته و أفطروا لرؤيته فإن غُبِّيَ عليكم فأكملوا عدّة شعبان ثلاثين. অর্থঃ “তোমরা তা (চাঁদ) দেখে রোযা রাখ এবং তা দেখে রোযা ছাড়, যদি মেঘাচ্ছন্নের কারণে না দেখতে পাও, তাহলে শা’বান মাস ৩০ পূরণ করে নাও”। [বুখারী, সাউম অধ্যায়, নং ১৯০৯, মুসলিম, সিয়াম অধ্যায়] প্রমাণকরণঃউপরোক্ত কুরআনের আয়াতেসাউম রাখার আদেশ রামাযান মাস পাওয়ার সাথে এবং হাদীসে সাউম রাখার আদেশ চাঁদ দেখার সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে, যা দ্বারা বুঝা যায় যে, যাদের নিকট সেই মাস এখনও উপস্থিত হয় নি বা তারা চাঁদ দেখতে পায় নি, তাদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হয় নি। তাই চন্দ্র উদয়স্থলের পার্থক্যের কারণে ঐ দেশবাসী যাদের দেশে এখনও চাঁদ উঠেনি তাদের অবস্থা এমন যে, তারা না তো হিলাল দেখেছে আর না তাদের নিকট রামাযান মাস উপস্থিত হয়েছে, ফলে এই বিধান তাদের জন্য প্রযোজ্যও হবে না। আপত্তিঃযদিও তারা হিলাল দেখতে পায় নি কিন্তু অন্য সৎ মুসলিম ভাই তো দেখেছে এবং দর্শনকারীর সংবাদ তো তার কাছে পৌঁছেছে। নবী (সাঃ) অন্য সৎ মুসলিম ব্যক্তির চাঁদ দেখার সংবাদের কারণে নিজে রোযা রেখেছেন এবং সাহাবীদেরও রোযা পালনের আদেশ দিয়েছেন। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেনঃ “ লোকেরা হিলাল দেখা-দেখি করে, তারপর আমি রাসূল (সাঃ) কে সংবাদ দিলাম যে, আমি হিলাল দেখেছি। তাই তিনি (সাঃ) রোযা রাখেন এবং লোকদের রোযা রাখার আদেশ দেন”। [আবু দাঊদ, ২৩৪০/ইবনু হিব্বান ৩৪৪৭] উত্তরঃ সাহাবী ইবনে উমার (রাযিঃ) কোনো এমন দেশ থেকে এসে এই সংবাদ দেন নি যে, সেই দেশে চাঁদ দেখা গিয়েছিল আর মদীনায় যায়নি। আর নবী (সাঃ) তার সেই অন্য দেশের দর্শনকে মদীনাবাসীর জন্য প্রযোজ্য মনে করেছিলেন; বরং সাহাবী ইবনে উমার মদীনা শহরের অধিবাসী ছিলেন এবং মদীনাবাসী নবী (সাঃ) কে সংবাদ দিয়েছিলেন।এমন সংবাদ গ্রহণে আপত্তি নেই কারণ এটা এক দেশ বরং একই শহরের সংবাদ, যাতে চন্দ্রের উদয়স্থল এক। আর আমাদের বিষয় হচ্ছে একটি ভিন্ন দেশের সংবাদ যেখানকার চন্দ্রের উদয়স্থল বর্তমান দেশের উদয়স্থল থেকে ভিন্ন। বেদুইনের সংবাদে রোযা শুরু করা ও কাফেলার সংবাদে ঈদ করার হাদীসের জন্যও এই ব্যাখ্যা প্রযোজ্য; কারণ অন্য স্থান থেকে তাদের আগমন কোনো বড় দূরত্ব বুঝায় না। ৩য় দলীলঃ (বিবেক ও বাস্তবতা) দেশের দূরত্বের কারণে যেমন সূর্যের উঠা ডুবাতে পার্থক্য রয়েছে, তেমন চন্দ্রের উদয় ও স্থিমিত হওয়াতে ও পার্থক্য স্বাভাবিক। তাই পূর্ব দিকের কোনো দেশে যখন ফজর হয়, তখন পশ্চিম দিকের দেশগুলিতে সেই সময় ফজর হয় না। এই ভাবে যখন ধরুন ভারত উপমহাদেশে সূর্য অস্ত যায়, তখন মধ্যপ্রাচ্যে অস্ত যায় না। তাই ঐসময় ভারত উপমহাদেশের মুসলিমদের উপর ইফত্বার করা বৈধ হয় এবং মাগরিবের সময় হয় কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিমদের জন্য ইফত্বার জায়েয নয় আর না তাদের ওখানে মাগরিব হয়। তাই মুসলিমদের মাঝে যেমন দৈনন্দিন রোযা শুরু করা ও ইফত্বার করার মধ্যে ব্যবধান রয়েছে, তেমন অবশ্যই মাস শেষে ইফত্বার করা তথা চন্দ্র দর্শনের ব্যাপারে ও ব্যাবধান স্বাভাবিক। আর এই রকম হলে এক সাথে রোযা শুরু করা, ছাড়া এবং ঈদ করা অসম্ভব ও বাস্তবতা বিরোধী। বিগত মুহাদ্দেসগণের জ্ঞানও এ মতের পক্ষেঃ এক দেশের চাঁদ দর্শন অন্য দেশের জন্য প্রযোজ্য নয়, যদি চন্দ্রের উদয় স্থল ভিন্ন হয়। এই মর্মে আমরা যদি মুহাদ্দিসগণের হাদীসের অনুচ্ছেদ তথা শিরোনামগুলির দিকে দৃষ্টি দেই, তাহলে তাঁদের মতামত সম্বন্ধে সহজে অনুমান করেতে পারি। এ সম্পর্কে ইমাম মুসলিম (রাহ) এর অনুচ্ছেদ শিরোনাম হচ্ছে, (এই বিষয়ের বর্ণনা যে, প্রত্যেক দেশের জন্য তাদের দর্শন গৃহীত, তারা যখন কোনো দেশে হিলাল দেখবে, তখন তাদের থেকে দূরবর্তীদের জন্য সেই হিলালের বিধান প্রমাণিত হবে না)। ইমাম ইবনু খুযায়মা (রহ) এর অনুচ্ছেদ শিরোনাম হচ্ছে, (অনুচ্ছেদঃ এ কথার দলীল যে, প্রত্যেক দেশবাসীর উপর তাদের দর্শন অনুযায়ী রোযা করা জরূরী হবে, অন্যের দর্শনে নয়।) ইমাম তিরমিযী কর্তৃক লিখিত শিরোনাম হচ্ছে, (অনুচ্ছেদঃ এ কথার বর্ণনা যে, প্রত্যেক দেশের জন্য তাদের নিজেদের দর্শন রয়েছে )। অতঃপর তাঁরা ইবনে আব্বাস (রাযিঃ) এর হাদীস উল্লেখ করেছেন। ইমাম তিরমিযী উক্ত হাদীস বর্ণনা করার পর বলেনঃ (আহলে ইলমদের) জ্ঞানীদের এই হাদীসের প্রতি আমল রয়েছে যে, প্রত্যেক দেশবাসীর জন্য তাদের নিজের দর্শন গৃহীত।[সাউম অধ্যায়, নং ৬৮৯] সাধারনতঃ ইমাম তিরমিযী আহলে ইলমদের এমন উক্তি নকল করার সময় যদি তাদের মাঝে মতভেদ থাকে, তাহলে তিনি তাদের মতভেদও বর্ণনা করে দেন কিন্তু এই স্থলে তিনি কোনো মতভেদের দিকে ইঙ্গীত করেন নি, যা দ্বারা বুঝা যায় যে, হয়তো তাঁর যুগে এ বিষয়ে তেমন মতভেদ ছিল না। দ্বিতীয় মতঃযদি কোনো এক দেশবাসী চাঁদ দেখে তো পৃথিবীর সমস্ত মুসলিমদেশবাসীর প্রতি সাউম শুরু করা জরূরী হবে [এই ভাবে ঈদ করাও জরূরী হবে।কোনো দেশীয় কিংবা ভৌগলিক পার্থক্য করা যাবে না]। এই মতটি, হানাফী, মালেকী, হাম্বালী তথা জমহূর উলামার মত। তবে মালেকী মাযহাবের উলামাদের মতামতের কিছু ব্যাখ্যা রয়েছে। হাফেয ইবনু আব্দিল বার্র বলেনঃ তারা এক মত পোষণ করেছেন যে, যদি দুটি দেশের মধ্যে দূরত্ব খুব বেশী হয়, যেমন উন্দুলুস (স্পেন) এবং খুরাসানের (ইরান) মাঝে দূরত্ব, তাহলে সেই দর্শন এক অপরের জন্য প্রযোজ্য হবে না। [আল্ ইস্তিযকার, ইবনু আব্দিল বার্র ১০/৩০] ইবনুল মাজেশূন বলেনঃ যেই দেশে চাঁদ দেখা গেছে, তা অপর দেশের জন্য জরূরী হবে না; যতক্ষণে সেই দেসের শাসক জনগণকে আদেশ না করেন। [ইস্তিযকার ১০/২৯] এই মতের প্রমাণসমূহঃ ১ম প্রমাণঃআল্লাহর বাণীঃ ( فَمَنْ شَهِدَ منكم الشّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ) অর্থঃ (কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোযা পালন করে) [বাকারাহ/১৮৫] প্রমাণ করণঃ (তোমাদের মধ্যে) সম্বোধনটি একটি ব্যাপক সম্বোধন, যা পৃথিবীর সকল লোক ও দেশের জন্য প্রযোজ্য। তাই তা কোনো স্থান ও দেশের জন্য নির্দিষ্ট হবে না। ২য় প্রমাণঃনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ صوموا لرؤيته و أفطروا لرؤيته فإن غُبِّيَ عليكم فأكملوا عدّة شعبان ثلاثين. অর্থঃ “তোমরা তা (চাঁদ) দেখে রোযা রাখ এবং তা দেখে রোযা ছাড়, যদি মেঘাচ্ছন্নের কারণে না দেখতে পাও, তাহলে শা’বান মাস ৩০ পূরণ করে নাও”। [বুখারী, সাউম অধ্যায়, নং ১৯০৯, মুসলিম, সিয়াম অধ্যায়] প্রমাণকরণঃ (তোমরা চাঁদ দেখে রোযা রাখ এবং তা দেখে রোযা ছাড়) এখানে তোমরা সম্বোধনটি সকল মুসলিমদের উদ্দেশ্যে, তাই এই আদেশে পৃথিবীর সকল দেশের মুসলিম অন্তর্ভুক্ত। আর এমন হলে পৃথিবীর কোনো এক দেশের লোকদের চাঁদ দেখা বাকী সকল দেশের জন্য জরূরী হবে। আপত্তি সমূহ (ক) আল্লাহ তাআলা এবং তাঁর রাসূলের এই আদেশটি ও সম্বোধনটি সকল মুসলিমের উদ্দেশ্যে ব্যাপক হলেও বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে তা একই সময়ে পৃথিবীর সকল দেশের মুসলিমদের জন্য বাস্তবায়ন করা অসম্ভব। কারণ ইসলামের ঐ সকল বিধান যা সূর্য বা চন্দ্রের উঠা-ডুবা তথা মধ্যাকাশে হওয়ার সাথে সম্পর্ক রয়েছে তা প্রত্যেক দেশ ও স্থান অনুযায়ী উঠা-ডুবার সাথে সম্পর্কিত। এক দেশের চন্দ্র-সূর্য উদয় ও স্তিমিত হওয়া অন্য দেশের জন্য উদয় ও স্তিমিত হওয়া বুঝায় না। উদাহারণ স্বরূপ নবী (সাঃ) বলেনঃ … “এবং সূর্য ডুবে যাবে তখন রোযাদার ইফত্বার করবে”। [বুখারী, সাউম অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ রোযাদারের জন্য কখন ইফত্বার বৈধ?/মুসলিম সিয়াম অধ্যায়] এখন নবী (সাঃ) এর এই আদেশটি ব্যাপক হলেও, তা পৃথিবীর সকল দেশের মুসলিমের জন্য একই সময়ে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব বরং অবৈধ। কারণ ধরুন ভারত উপমহাদেশে যখন সূর্য অস্ত যায় তখন তাদের ইফত্বার করা বৈধ হয় কিন্তু মধ্যপ্রাচ্যবাসীদের জন্য বৈধ হয় না বরং তাদের ইফত্বার করা হারাম কারণ এখনও তাদের ওখানে সূর্য অস্ত যায় নি; অথচ আদেশটি ভারত উপমহাদেশ সহ সারা জগতের জন্য আম ও ব্যাপক। তাই চাঁদ দেখে রোযা ধর ও ছাড় আদেশটি ব্যাপক হলেও একই সময়ে সকল দেশের জন্য আমল করা অসম্ভব ও অবাস্তব। কারণ সূর্যের ন্যায় চন্দ্রের উদয় ও স্তিমিত হওয়াতে পার্থক্য থাকা বাস্তব ও প্রমাণিত এবং যেভাবে দৈনন্দিন সময়-সুচী প্রত্যেক দেশ অনুযায়ী বাস্তবায়ন হয়, সেভাবে মাসিক সময়-সুচীও দেশ অনুযায়ী বাস্তবায়িত হবে। (খ)উপরোক্ত কিতাব ও সুন্নার আদেশটি আমরা যারা সাধারণ ভাবে আম-ব্যাপক বুঝে তা পৃথিবীর সকল মুসলিমের জন্য পালন করা জরূরী মনে করছি, সালাফ ও খুলাফায়ে রাশেদীনগণ তেমন বুঝেন নি। তাই খলীফাদের যুগে ইসলাম যখন আরব উপদ্বীপ পেরিয়ে বহূ দুরে পৌঁছেছিল, তখন কোনো খলীফা তাঁর খেলাফতের সকল বাসিন্দাদের একই সাথে রোযা শুরু করতে হবে বা তাদের সকলকেএক সাথে ঈদ করতে হবে বলে মনে করতেন না। এই কারণে কোনো খলীফার এমন নিয়ম ছিল না যে, যখন তাঁর শহরে রোযার চাঁদ কিংবা ঈদের চাঁদ দেখা দিত, তখন তিনি বিশেষ দূত তাঁর খেলাফতের সকল দূরবর্তী স্থানে প্রেরণ করে এই সংবাদের ব্যবস্থা করতেন। ইমাম সুবক্বী তাঁর স্বীয় গ্রন্থ “আল্ ইলম আল্ মানশূর ফী ইসবাতিশ্ শহূর” পৃঃ ১৫ তে উল্লেখ করেনঃ [… কারণ উমার বিন খাত্তাব এবং সমস্ত খুলাফায়ে রাশেদীন থেকে এটা বর্ণিত নেই যে, তারা যখন হিলাল দেখতেন, তখন দূরবর্তী প্রদেশে পত্র লিখতেন। যদি উপরোক্ত বিধান তাদের উপর জরূরী হত, তাহলে তাঁরা তাদের অবশ্যই লিখতেন; কারণ তাঁরা দ্বীনের বিষয়ে যত্নশীল ছিলেন ……] ৩য় প্রমাণঃ-ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেনঃ “ লোকেরা হিলাল দেখা-দেখি করে, তারপর আমি রাসূল (সাঃ) কে সংবাদ দিলাম যে, আমি হিলাল দেখেছি। তাই তিনি (সাঃ) রোযা রাখেন এবং লোকদের রোযা রাখার আদেশ দেন”। [আবু দাঊদ, সিয়াম অধ্যায় নং ২৩৪২/ইবনু হিব্বান ৩৪৪৭] একদা এক আ’রাবী (বেদুইন) নবী (সাঃ) কে সংবাদ দেয় যে, সে হিলাল দেখেছে, তখন রাসূল (সাঃ) তাকে বলেনঃ “তুমি কি সাক্ষী দিচ্ছ যে, আল্লাহ ব্যতীত সত্য কোনো উপাস্য নেই এবং অবশ্যই মুহাম্মদ আল্লাহর রাসূল”? সে বললঃ হাঁ। তারপর নবীজী বিলালকে বললেনঃ “বিলাল উঠ এবং লোকদের সংবাদ দিয়ে দাও যেন তারা আগামী কাল রোযা রাখে”। [আবু দাঊদ, সিয়াম অধ্যায়, নং (২২৪০) তিরমিযী, সিয়াম অধ্যায়ঃ নং (৬৯১) নাসাঈ, ইবনু মাজাহ] প্রমাণকরণঃউপরোক্ত হাদীসদ্বয়ে নবী (সাঃ) মাত্র এক সৎ ব্যক্তির চাঁদ দেখার সংবাদ শুনে নিজে সাউম পালন করেন এবং অন্যদের সাউম পালনের আদেশ দেন, যা দ্বারা বুঝা যায় যে, যদি আমাদের নিকটও সৎ লোকের মাধ্যমে চাঁদের সংবাদ পৌঁছে যায়, তাহলে সকলের প্রতি রোযা শুরু করা জরূরী হবে; সংবাদটি যেই দেশেরই হোক না কেন। এই ভাবে ঈদ পালনের ক্ষেত্রেও। আপত্তি সমূহঃ (ক) উপরোক্ত হাদীস দুটির মাধ্যমে মুহাদ্দিসগণ এবং উলামাগণ যা বুঝেছেন বা যা প্রমাণ করেছেন, তা হলঃ এক জন সৎ ব্যক্তির চাঁদ দেখার সাক্ষীর উপর নির্ভর করে সাউম শুরু করা বৈধ। এমন নয় যে, এক জন এমন দূর দেশের লোকের সাক্ষী যার দেশের চন্দ্রস্থল বর্তমান দেশ থেকে ভিন্ন, তার পরেও নবী (সাঃ) তার সাক্ষী রোযা পালনে গ্রহণ করেছেন। (খ) আমাদের বিষয়বস্তু হচ্ছে, এমন দেশের চাঁদ দর্শনের সংবাদ বাকী দেশগুলির জন্য জরূরী কি না, যেই দেশের চন্দ্র উদয়স্থল বাকী দেশের চন্দ্র উদয়স্থল থেকে ভিন্ন। কিন্তু উপরোক্ত হাদীসদ্বয়ে হিলাল দেখার সংবাদদাতা এবং সংবাদ গ্রহীতা একই দেশের বরং একই শহরের, যাদের চন্দ্রের উদয় সময়ে পার্থক্য ছিল না। তাই হাদীস দুটি আমাদের আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত নয়। (গ) তার পরেও আমরা যদি উভয় হাদীসকে আলোচ্য বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত মনে করি, তাহলে মনে রাখা উচিৎ যে সেই সংবাদটি দেশের ইমাম (শাসক) অর্থাৎ নবী (সাঃ) গ্রহণ করেন অতঃপর সকল লোকদের তা গ্রহণ করার আদেশ করেন। বুঝা যাচ্ছে, সেই সংবাদটি সাধারণ লোকেরা নিজে নিজে গ্রহণ করে স্বয়ং আমল শুরু করেননি; বরং ইমাম তা সত্যায়িত করেছেন এবং তিনি তাঁর জনগণকে ফরমান জারি করে তা গ্রহণ করার আদেশ জারি করেছেন। আর এই রকম নিয়মে যদি এখনও কোনো দেশের শাসক অন্য দেশের সংবাদের যাঁচাই করে নিজ দেশের জন্য গ্রহণীয় মনে করে সারা দেশের লোকদের সাউম পালন বা ঈদ করতে আদেশ করেন, তাহলে তা গ্রহণে কোনো আপত্তি হতে পারে না। কিন্তু যদি এমন না হয়, তাহলে চন্দ্র উদয় সময়ে পার্থক্য রয়েছে, এমন দেশের সংবাদকে যদি ভিন্ন দেশের সাধারণ জনগণ নিজ ইচ্ছায় নিজের মত করে কেউ মেনে নিয়ে সাউম পালন করে কিংবা রোযা ছাড়ে, তাহলে যেমন নববী তরীকার বরখেলাফ করা হয়, তেমন হাদীসেরও বিপরীত আমল করা হয়, যাতে নবী (সাঃ) তাঁর উম্মতকে এক সাথে রোযা রাখার বা ঈদ করার আদেশ করেছেন। নবী (সাঃ) বলেনঃ “সাউম সেদিন যেদিন তোমরা সকলে রোযা রাখ, আর ঈদ সেদিন, যেদিন তোমরা সকলে ঈদ কর, আর কুরবানী সেদিন যেদিন তোমরা সকলে কুরবানী কর”। [তিরমিযী, আবু দাঊদ, বায়হাক্বী, সহীহ সুনান তিরমিযী ১/২১৩] ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ কতিপয় জ্ঞানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এর অর্থ, রোযা এবং ঈদ জামাআত ও সংখ্যাগুরুর সাথে হবে”। আয়েশা (রাযিঃ) বলেনঃ কুরবানী সেদিন যেদিন সকল লোক কুরবানী করে আর ঈদ সেদিন যেদিন সকল লোক ঈদ করে”। [তিরমিযী, সিলসিলা সহীহা নং (২২৪)] উল্লেখ্য যে, রামাযানের রোযা শুরু করা এবং ঈদ পালন করা একটি সম্মিলিতাকারে পালন করার ইবাদত বিচ্ছিন্নরূপে পালন করার নয়। তাই এক দেশে বা এক অঞ্চলে বা এক শহরে ও গ্রামে বসবাসকারী লোকেরা বিচ্ছিন্নরূপে কেউ আজ আর কেউ কাল রোযা রাখতে পারে না আর না ঈদ করতে পারে। আর এমন হলে আমরা কমপক্ষে একটি দেশীয় ঐক্য রক্ষা করতে সক্ষম হতে পারি। অন্যথায় এই সময়উপরোক্ত মতের দলীলগুলি সরাসরি আমল করতে লাগলে বিশ্ব ঐক্য তো দূরের কথা বরং একটি দেশীয় ঐক্য বরং একটি প্রাদেশিক ঐক্য বরং একটি শহরবাসীর ঐক্য এমন কি একটি বাড়ির ঐক্য স্থাপন করাও দূরুহ হয়ে দাঁড়াবে, যেমন আমরা উপরোক্ত হাদীসের আলোকে দূর দেশের সংবাদ শুনেই সরাসরি রোযা পালনকারীদের মাঝে এই সব মতভেদ লক্ষ্য করছি। ৪তুর্থ প্রমাণ (একটি যুক্তি) এক সাথে রোযা শুরু করা ও ঈদ করাতে মুসলিম ঐক্য প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। আপত্তি সমূহঃ প্রথমতঃ এটি একটি যুক্তি ও অনুমান মাত্র, তা হতেও পারে আর নাও পারে। দ্বিতীয়তঃপ্রশ্ন হচ্ছে,মুসলিম ঐক্য বলতে কি বুঝায় এবং মুসলিম ঐক্য কিসে হতে হবে? সত্যিকারে মুসলিম ঐক্য বলতে বুঝায় তাওহীদের প্রতি ঐক্য। আর ঐক্য হবে ইসলামের মৌলিক ও সার্বিক বিষয় সমূহে; অথচ এক দেশের বা এক সৎ ব্যক্তির চাঁদ দেখা অন্য সকল দেশের ও সকল মুসলিমের জন্য গ্রহণীয় কি না? একটি ইসলামের গৌণ ও ইজতেহাদী বিষয়। তৃতীয়তঃ ধরুন আমরা বর্তমান পৃথিবীর মুসলিমরা এক সাথে রোযা শুরু করতে লাগলাম এবং এক দিনে ঈদ করতে লাগলাম। তাতে কি মুসলিম উম্মার মধ্যে শির্ক দূরীভুত হবে? বিদআতীরা বিদআত প্রত্যাখ্যান করবে? বিভিন্ন দলে বিভক্ত মুসলিম সমাজ তাদের দল ও মত প্রত্যাখ্যন করে এক হবে? বিভিন্ন মুসলিম দেশ তাদের ভৌগলিক সীমা ছেড়ে এক সীমানায় একত্রিত হবে? বর্তমান মুসলিম বিশ্বের অবস্থা সম্পর্কে অবগত পাঠক অবশ্যই এর উত্তরে হাঁ বলতে পারেন না; কারণ এটা কল্পনা মাত্র বাস্তবতা নয়। মনে রাখা উচিৎ মুসলিম উম্মার এক দিনে রোযা শুরু করা ও এক দিনে ঈদ পালনের ঐক্য অপেক্ষামুসলিম উম্মার তাওহীদের প্রতি ঐক্য অধিকতর গভীর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চতুর্থতঃপ্রকৃতপক্ষে মুসলিম ঐক্য ও সংহতির সম্পর্ক চন্দ্র দর্শনে ঐক্যের সাথে নেই। কারণ বিশ্বের মুসলিমগণ দৈনন্দিন নামাযের সময়ে এক নয়, রোযা শুরু ও ইফতার করার সময়ে এক নয়। আর এই পার্থক্য তাদের দলাদলিতে পরিণত করেনি। এই ভাবে মাসের শুরু ও শেষ হওয়াতে পার্থক্য হলেও তাদের দলাদলি হয় নি। এই কারণে বলা সঙ্গত যে, সকল মুসলিমের চন্দ্র দর্শনে ঐক্যবদ্ধ হওয়াতে, তাদের সকলের ঐক্য হওয়া আবশ্যিক নয়। বরং সত্যিকারে মুসলিম ঐক্য হচ্ছে আল্লাহর কিতাব ও সুন্নাতে রাসূলকে দৃঢ়ভাবে ধারণ করে তার প্রতি আমল করা। পঞ্চমতঃএক মুসলিম ব্যক্তির হিলাল দর্শনকে সকল মুসলিমের দর্শন মনে করে যেই বিশৃংখল পদ্ধতিতে আমরা অনেকে ঐক্যের আহব্বান জানাচ্ছি, তা বর্তমানে মুসলিম উম্মতে যতখানি ঐক্য বিরাজ করছে, তাও ধ্বংসের পথে। তাই আজ দেখা যাচ্ছে, এক দেশে এক প্রদেশে এক অঞ্চলে এমনকি এক বাড়িতে তিন শ্রেণীর লোক। কেউ সংবাদের ভিত্তিতে পৃথিবীর সেই দেশের সাথে রোযা রাখছে, যেখানে তারা সবচেয়ে প্রথমে চাঁদ দেখেছে। কেউ সউদী আরবের সাথে আর কেউ নিজ দেশের দর্শন অনুযায়ী। এবার বলুন এটাই কি মুসলিম ঐক্য? এই ভাবে কি ঐক্য হয় ও হতে পারে? আসলে ঐক্য করতে গিয়ে যদি অনৈক্যই বেশী হয়, তাহলে তা অবশ্যই বর্জনীয়। তাই জনৈক সালাফ বলেছেনঃ জামাআত বদ্ধাকারে জীবন-যাপনের সময় তোমরা তাতে যা অপছন্দ কর, তা দলাদলিকারে জীবন-যাপনের সময় যা পছন্দ কর, তা থেকে উত্তম। সম্পূর্ণ লেখা লিংক থেকে পড়ুন। অথবা বাকী অংশ কমেন্টে পড়ুন। http://ierf.me/home/article_details/189#.VWcg1CXjFM4.facebook
    Maksud Bin Amal
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 5:13am

    Sogood Islam Syeds

    লোকেরা দেখি শবে বরাত উপলক্ষে আমালকে এমনভাবে উপস্থাপন করছে যে সেগুলো যয়ীফ হাদিসের উপর ভিত্তি করে এসেছে সেটুকু উল্লেখ করার প্রয়োজন বোধ করছে না। সহীহ ফজীলত আর যয়ীফ আমালের এক অপূর্ব কম্বিনেশন কে এমনভাবে উপ্সথাপন করছে যেন আমালও সহীহ। এটাকে তো ভাই মধ্যমপন্থা বলা যায় না, ইনসাফ বলা যায় না। যারা যইফ হাদিসের উপর আমাল করার নীতি অবলম্বন করেন তারা সবাই কি আদৌ জানে যে যয়ীফ হাদিস কি? নাকি ইমাম নববী (র) এর একটা কওলকেই (ফজিলতের ক্ষেত্রে যয়ীফ হাদিসের উপর আমাল করা যাবে) দ্বীন ধরে নিয়েছেন? যয়ীফ হাদিসের সারাংশ এই যে সেটা রসুল (স) থেকে প্রমাণিত নয়। হতেও পারে তিনি বলেছেন আবার হতেও পারে তিনি আদৌ বলেন নি। অর্থাৎ হাদিসটা মিথ্যা বলা যায় না ঠিকই কিন্তু মিথ্যা সন্দেহের অবকাশ আছে। অনুরুপভাবে এটাকে সত্য বলা যায় না ঠিকই কিন্তু সত্য হতেও পারে। ৫০-৫০। মোট কথা প্রমাণিত নয়। কি আশ্চর্য! অনেকে বলেন “যয়ীফ হাদিস দ্বারা প্রমাণিত!” যেখানে হাদিসই প্রমাণিত নয়! নিজের মতের “অনেক” আলিম আর বিপরীত মতের “কিছু” আলিম বলেছেন-এই সাধারণ উক্তির কোন মূল্য নাই। কোন আলিম কি কি বলেছেন তার আরবী ইবারাত দেখতে হবে। “বিদেশে আছে” “বিদেশে এমন হয়” বলে চালিয়ে দেওয়ার যুগ অতীত হয়েছে। কোন দেশে আছে? কিভাবে আছে বিস্তারিত জানার সময় এসেছে। দেখেন না ইমাম নববীর কথা ঠিকই আসল কিন্তু ইমাম ইবনে হাজার আসকালানীর নিশেধাজ্ঞা আসল না! আবার ঘার মাসেহের সময় তার কথা ঠিকই লাগবে আর ইমাম নববীর কথা তখন ভুলে যাওয়া হবে। এর নাম দ্বীন নয়। এর নাম ইনসাফ নয়। বার বার এটা বলতে চেয়েছি যে যে যার উসুল অনুযায়ী আমাল করবেন ঠিক আছে কিন্তু সহীহ আর যয়ীফ মনে রেখে। মিলিয়ে দিয়েন না। আপনি যয়ীফকে এমনভাবে উপস্থাপন করবেন না যে তাতে কোন সন্দেহ নাই। রসুলুল্লাহ (স) বলেছেন, যে ব্যক্তি আমার নামে কোনো হাদীস বলবে এবং তার মনে সন্দেহ হবে যে, হাদীসটি মিথ্যা, সেও একজন মিথ্যাবাদী।” [সুনান ইবন মাযাহ/৩৯ (সহীহ)]। এখন আপনিই বলুন যখন সন্দেহ করে হাদিস বর্ণনা করা যায় না, আমাল করা কিভাবে যায়! একটা কমন সেন্স চিন্তা করেন। যদি রসুলুল্লাহ (স) তার জীবনে শবে বরাত উদযাপন করতেন, আবু বকর , উমার, উসমান আলী (রা) এরা উদযাপন করতেন তাহলে কয়েকটা মাত্র যয়ীফ হাদিসের উপর আমাদের সিদ্ধান্ত নিতে হয়? এধরনের একটা অকেশন সেটার জন্য কি অন্যান্য সাহাবাগনের উদযাপন ইতিহাস থাকে না? যদিও আমালের জন্য একটা সহীহ হাদিস যথেষ্ট সেখানে আপনিই বলেন এত বড় বিষয়ের কতগুলো সহীহ রেওয়ায়েত থাকা স্বাভাবিক ছিলো! ব্যক্তিগতভাবে আমি সতর্কতামুলক যয়ীফ হাদিসের সতর্কতা গ্রহণ করি, ইতিহাসের বা ভবিষ্যত ইঙ্গিতের ক্ষেত্রেও মনে রাখি। কারন এতে কোন আমাল নাই। তাই বিদয়াত হওয়ারও সুযোগ নাই। আর আমি আপনাদের এই দাওয়াত দিচ্ছি না যে আপনি যয়ীফ হাদিসের উপর আমাল ছেড়ে দেন। আপনার আমাল আপনার যুক্তি, আপনার দায়। আমি কেবল আমার বুঝ উল্লেখ করলাম। সত্য যা বলেছি আল্লাহ ও তার রসুলের (স) পক্ষ থেকে আর মিথ্যা হলে নফসের তাড়নায়। আল্লাহ আপনাদের আমার মিথ্যা থেকে রক্ষা করুক। সত্য হলে বোঝার তৌফিক দিক। আমীন। — From S M Nahid Hasan ভাই।
    Mohammad Alimuddin
  • June 4
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 10:23am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 4
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 3:26pm

    Sogood Islam Syeds

    (স্বলাতুল লাইল) صَلاَةُ اللَّيْل তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ একই সালাত >>> আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করা হলো, রমাদ্বনে রাসূল (ﷺ)-এর স্বলাত কেমন ছিলো? তিনি বললেন, مَا كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيدُ فِي رَمَضَانَ وَلَا فِي غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً “রমাদ্বনে এবং রমাদ্বন ব্যতীত অন্য সময়ে এগার রাকআতের বেশী তিনি পড়তেন না।’’ (সহীহুল বুখারী: ২০১৩; ১১৪৭, ৩৫৬৯; সহিহ মুসলিম: ১৬০৮) এই হাদীস প্রমাণ করে রমাদ্বন এবং রমাদ্বনের বাহিরে রাসূল (ﷺ) একই রকম স্বলাত পড়েছেন। তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ দু’টিকে আলাদা করে দুই রকম সালাত নবী (ﷺ) পড়েন নাই। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) রমাদ্বানের কোন রাতে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ দু’টিই পড়েছেন এ মর্মে সহিহ বা যঈফ সনদে কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। ✔তারাবীহ: মূল ধাতু رَاحَةٌ (রা-হাতুন) অর্থ: প্রশান্তি। অন্যতম ধাতু رَوْحٌ (রাওহুন) অর্থ: সন্ধ্যা রাতে কোন কাজ করা। সেখান থেকে ترويحة (তারবীহাতুন) অর্থ: সন্ধ্যা রাতের প্রশান্তি বা প্রশান্তির বৈঠক; যা রমাদ্বন মাসে তারাবীহর স্বলাতে প্রতি চার রাক‘আত শেষে করা হয়ে থাকে। বহুবচনে (التراويح) ‘তারা-বীহ’ অর্থ: প্রশান্তির বৈঠকসমূহ। ✔তাহাজ্জুদ: মূল ধাতু هُجُوْدٌ (হুজূদুন) অর্থ: রাতে ঘুমানো বা ঘুম থেকে উঠা। সেখান থেকে تَهَجُّدٌ (তাহাজ্জুদুন) পারিভাষিক অর্থে রাত্রিতে ঘুম থেকে জেগে ওঠা বা রাত্রি জেগে স্বলাত আদায় করা। উল্লেখ্য যে, তারাবীহ, তাহাজ্জুদ, স্বলাতূল লাইল, ক্বিয়ামুল লাইল, ক্বিয়ামে রমাদ্বান সবকিছুকে এক কথায় ‘স্বলাতুল লাইল’ বা ‘রাত্রির নফল স্বলাত’ কে বলা হয়। রমাদ্বানের রাতের প্রথমাংশে যখন জামা‘আত সহ এই নফল স্বলাতের প্রচলন হয়, তখন প্রতি চার রাক‘আত অন্তর কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেওয়া হ’ত। সেখান থেকে ‘তারাবীহ’ নামকরণ হয় (ফাৎহুল বারী, আল-ক্বামূসুল মুহীত্ব)। এই নামকরণের মধ্যেই তাৎপর্য নিহিত রয়েছে যে, তারাবীহ প্রথম রাতে একাকী অথবা জামা‘আতসহ এবং তাহাজ্জুদ শেষ রাতে একাকী পড়তে হয়। ১. নিচের হাদীসে “স্বলাতুল লায়ল” নাম পাওয়া যায় >>> আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন; أَفْضَلُ الصَّلاَةِ بَعْدَ الْفَرِيضَةِ صَلاَةُ اللَّيْلِ ফরদ্ব স্বলাতের পর সর্বোত্তম স্বলাত হচ্ছে (স্বলাতুল লাইল) রাতের স্বলাত। সহিহ মুসলিম: ২৬৪৫ আবদুল্লাহ্ ইবনু উমর রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু বলেন, إِنَّ رَجُلاً قَالَ يَا رَسُولَ اللَّهِ، كَيْفَ صَلاَةُ اللَّيْلِ قَالَ مَثْنَى مَثْنَى، فَإِذَا خِفْتَ الصُّبْحَ فَأَوْتِرْ بِوَاحِدَةٍ এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসূলাল্লাহ্! (স্বলাতুল লাইল) রাতের স্বলাতের (আদায়ের) পদ্ধতি কি? তিনি বললেনঃ দুই রাকা’আত দুই রাকা’আত করে আর ফজর হয়ে যাওয়ার আশংকা করলে এক রাকা’আত মিলিয়ে বিতর আদায় করে নিবে। সহীহুল বুখারী: ১১৩৭, ৯৯০, সহিহ মুসলিম: ১৬৩৩, ১৬৩৪, ১৬৩৫, ১৬৩৬, ১৬৪৫ ২. নিচের হাদীসে “ক্বিয়ামে রমাদ্বান” নাম পাওয়া যায় >>> আবূ হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণনা করেন যে, রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেন, مَنْ قَامَ رَمَضَانَ إِيمَانًا وَاحْتِسَابًا غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ যে ব্যক্তি ঈমানের সাথে সাওয়াব লাভের আশায় রমাদ্বন মাসে কিয়ামুল লাইলের স্বলাতে দাঁড়াবে তার পূর্ববর্তী গোনাহসমূহ মাফ করে দেওয়া হবে। সহীহুল বুখারী: ৩৭, ২০০৯; সহিহ মুসলিম: ১৬৬৪, ১৬৬৫ ৩. নিচের হাদীসে “ক্বিয়ামুল লাইল” নাম পাওয়া যায় >>> আব্দুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বণিত। তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ (ﷺ) বলেছেনঃ يَا عَبْدَ اللَّهِ لاَ تَكُنْ بِمِثْلِ فُلاَنٍ كَانَ يَقُومُ اللَّيْلَ فَتَرَكَ قِيَامَ اللَّيْلِ হে আব্দুল্লাহ! তুমি অমুক ব্যক্তির মত হয়ো না যে সারা রাত ক্বিয়ামুল লাইল করে অতঃপর তা ত্যাগ করে। সহিহ মুসলিম: ২৬২৩ আয়েশা রাদিয়াল্লাহু আনহা বলেন, لَا تَدَعْ قِيَامَ اللَّيْلِ فَإِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ كَانَ لَا يَدَعُهُ وَكَانَ إِذَا مَرِضَ أَوْ كَسِلَ صَلَّى قَاعِدًا ‘‘কিয়ামুল লাইল ত্যাগ করো না। কেননা রাসূল (ﷺ) তা ত্যাগ করতেন না। অসুস্থ হলে কিংবা অলসতা বোধ করলে তিনি বসে স্বলাত পড়তেন।’’ (মুসনাদ আহমাদ, হাদীস নং ২৬১১৪ ও সুনান আবি দাঊদ, হাদীস নং ১৩০৭)। সুনানের গ্রন্থসমূহে সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে, নবী (ﷺ) বলেছেন, مَنْ قَامَ مَعَ الْإِمَامِ حَتَّى يَنْصَرِفَ كُتِبَ لَهُ قِيَامُ لَيْلَة ‘‘যে ব্যক্তি ইমাম স্বলাত থেকে বিরত হওয়া পর্যন্ত ইমামের সাথে (কিয়ামুল লাইলে) দাঁড়াবে, তাহলে তার এ আমল রাত্রিভর কিয়ামের সমতুল্য হিসাবে লিখা হবে।’’ (সুনান আত-তিরমিযী, হাদীস নং ৮০৬ ও সুনান আন-নাসাঈ, হাদীস নং ১৬০৫) ৪. নিচের হাদীসে “তাহাজ্জুদ” নাম পাওয়া যায় >>> ইবনু আববাস রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, كَانَ النَّبِيُّ )ﷺ (إِذَا قَامَ مِنَ اللَّيْلِ يَتَهَجَّدُ قَالَ ” اللَّهُمَّ لَكَ الْحَمْدُ، أَنْتَ نُورُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ أَنْتَ قَيِّمُ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ وَمَنْ فِيهِنَّ، وَلَكَ الْحَمْدُ، أَنْتَ الْحَقُّ وَوَعْدُكَ حَقٌّ، وَقَوْلُكَ حَقٌّ، وَلِقَاؤُكَ حَقٌّ، وَالْجَنَّةُ حَقٌّ، وَالنَّارُ حَقٌّ، وَالسَّاعَةُ حَقٌّ، وَالنَّبِيُّونَ حَقٌّ، وَمُحَمَّدٌ حَقٌّ، اللَّهُمَّ لَكَ أَسْلَمْتُ وَعَلَيْكَ تَوَكَّلْتُ وَبِكَ آمَنْتُ، وَإِلَيْكَ أَنَبْتُ، وَبِكَ خَاصَمْتُ، وَإِلَيْكَ حَاكَمْتُ، فَاغْفِرْ لِي مَا قَدَّمْتُ وَمَا أَخَّرْتُ، وَمَا أَسْرَرْتُ، وَمَا أَعْلَنْتُ، أَنْتَ الْمُقَدِّمُ وَأَنْتَ الْمُؤَخِّرُ لاَ إِلَهَ إِلاَّ أَنْتَ ـ أَوْ ـ لاَ إِلَهَ غَيْرُكَ রাসূলুল্লাহ্‌ (ﷺ) রাতে তাহাজ্জুদের উদ্দেশ্যে যখন দাঁড়াতেন, তখন দু’আ পড়তেন- ইয়া আল্লাহ! সমস্ত প্রশংসা আপনারই জন্য, আপনি রক্ষক আসমান ও যমীনের এবং যা কিছু এগুলোর মধ্যে আছে, আপনিই তাদের নূর। আর যাবতীয় প্রশংসা শুধু আপনারই। আসমান যমীন এবং এ দু‘য়ের মধ্যে যা আছে, এসব কিছুকে কায়েম ও সুদৃঢ় রাখার একমাত্র মালিক আপনিই। আর সমস্ত প্রশংসা শুধু একমাত্র আপনারই। আপনিই সত্য, আপনার ওয়াদাই সত্য, আখিরাতে আপনার সাক্ষাত লাভ করা সত্য। ইয়া আল্লাহ! আপনার কাছে আত্মসমর্পণ করছি। আমি একমাত্র আপনার উপরই ভরসা রাখি। একমাত্র আপনার উপরই ঈমান এনেছি। আপনারই দিকে ফিরে চলছি। শত্রুদের সাথে আপনরাই খাতিরে শত্রুতা করি। আপনারই নিকট বিচার চাই। অতএব আমার আগের পরের এবং লুক্কায়িত প্রকাশ্য গুনাহসমূহ আপনি মাফ করে দিন। আপনিই কাউকে এগিয়ে দাতা, আর কাউকে পিছিয়ে দাতা আপনি ছাড়া আর কোন মাবুদ নেই। সহীহুল বুখারী: ১১২০, ৬৩১৭ ৫, তারাবীহঃ রাসূল (ﷺ)- এর কোন হাদীস হতে তারাবীহ শব্দ পাওয়া যায় না। তারাবীহ শব্দ পরবর্তিতে তাহাবীদের সময় থেকে এসেছে। উপরের আলোচনায় প্রমাণিত হচ্ছে; তারাবীহ, তাহাজ্জুদ, স্বলাতূল লাইল, ক্বিয়ামুল লাইল, ক্বিয়ামে রমাদ্বান সবকিছু একই সালাতের কয়েকটি নাম।
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 4:12pm

    Sogood Islam Syeds

    আল্লাহর গোলাম আনিসুল added a new photo.
    রামাযানকে তিনভাগে ভাগ করার দলিল মুনকার, তাহক্বীক্ব মিশকাত ১৯৬৫।
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 4:15pm

    Sogood Islam Syeds

    রমযানকে স্বাগত জানানোর ক্ষেত্রে সুন্নত – – রমযানের চাঁদ দেখে নিম্নের দু‘আটি পাঠ করা। আবদুল্লাহ ইবন উমর রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন চাঁদ দেখতেন, তখন তিনি বলতেন, اللَّهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْيُمْنِ وَالإِِيمَانِ ، وَالسَّلامَةِ وَالإِِسْلامِ ، رَبِّي وَرَبُّكَ اللَّهُ. উচ্চারণ : ‘আল্লাহুম্মা আহিল্লাহু আলাইনা বিন ইউমনি ওয়াল-ঈমান ওয়াস-সালামাতি ওয়াল-ইসলাম, রাব্বী ওয়া রব্বুকাল্লাহ’। অর্থ : হে আল্লাহ আপনি একে আমাদের ওপর বরকত ও ঈমানের সঙ্গে এবং সুস্থতা ও ইসলামের সঙ্গে উদিত করুন, তোমার এবং আমার রব হলেন আল্লাহ। [তিরমিযী : ৩৪৫১, শায়খ আলবানী সহীহ বলেছেন। মুসনাদ আহমদ : ১৩৯৭। সহীহ ইবন হিব্বান : ৮৮৮] অতপর একে স্বাগত জানানোর সর্বোত্তম উপায়, রমযানকে সকল গুনাহ থেকে বিশেষ তাওবার সঙ্গে গ্রহণ করা। কারণ এটাতো তাওবারই মৌসুম। এ মাসে তাওবা না করলে তাওবা করবে কবে? অনুরূপভাবে রমযানকে স্বাগত জানানো ইবাদাতে দ্বিগুণ চেষ্টা, দান-সাদাকা, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-ইস্তেগফার এবং অন্যান্য নেক আমল অধিক পরিমাণে করার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে। এবং এ দু‘আর মাধ্যমে- হে আল্লাহ, আমাদেরকে তোমার সন্তুষ্টি মত রোযা রাখার এবং তারাবীহ আদায় করার তাওফীক দাও। [QuranerAlo.com – কুর’আনের আলো]
    M Towfiqur Rahman
  • June 5
  • Sogood Islam Syeds
    6/5, 7:15am

    Sogood Islam Syeds

    Aqika in sahih tarika󾮚 ::আক্বিকা হচ্ছে আল্লাহর উদ্দেশ্যে নিত্য-নতুন নিয়ামতের উপর শুকরিয়া আদায় ও নব জাতক শিশুর মুক্তিপণ এবং আল্লাহর নৈকট্য লাভ। আক্বিকাঃ নবজাতক শিশুর মাথার চুল অথবা সপ্তম দিনে নবজাতকের মাথার চুল ফেলার সময় যবহকৃত বকরীকে আক্বিকা বলা হয়। (আল মুজামুল ওয়াসীত্ব)। আক্বিকা ও আক্বিকার প্রচলনঃ বুরায়দা (রাঃ) বলেন, জাহেলী যুগে আমাদের কারও সন্তান ভূমিষ্ট হলে তার পক্ষ হতে একটা বকরী যবহ করা হত এবং তার রক্ত শিশুর মাথায় মাখিয়ে দেওয়া হত। অতঃপর ইসলাম আসার পর আমরা শিশুর জন্মের সপ্তম দিনে বকরী যবহ করি এবং শিশুর মাথা মুন্ডন করে সেখানে যাফরান’ মাখিয়ে দেই’। (আবূ দাউদ)। রাযীন এর বর্ণনায় এসেছে যে, ঐ দিন আমরা শিশুর নাম রাখি। (মিশকাত হা/৪১৫৮, যবহ ও শিকার অধ্যায়, আক্বিকা অনুচ্ছেদ)। হুকুমঃআক্বীকা করা সুন্নাত। সাহাবী, তাবেঈ ও ফক্বীহ বিদ্বানগণের প্রায় সকলে এতে একমত। হাসান বছরী ও দাউদ যাহেরী একে ওয়াজিব বলেন। তবে এটি (হানাফী) উলামাগণ একে সুন্নাত বলেন না। কেননা এটি জাহেলী যুগে রেওয়াজ ছিল। কেউ বলেন এটি তাদের কাছে ইচ্ছাধীন বিষয়। (ইবনু কুদামা, আল-মুগনী ৩/৫৮৬; নায়ল ৬/২৬০ পৃষ্ঠা)। (১) রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, সন্তানের সাথে আক্বীক্বা জড়িত। অতএব তোমরা তার পক্ষ থেকে রক্ত প্রবাহিত কর এবং তার থেকে কষ্ট দূর করে দাও (অর্থাৎ তার জন্য একটি আক্বীক্বার পশু যবেহ কর এবং তার মাথার চুল ফেলে দাও)। (বুখারী, মিশকাত হা/৪১৪৯ আক্বীক্বা অনুচ্ছেদ)। (২) তিনি বলেন, প্রত্যেক শিশু তার আক্বীক্বার সাথে বন্ধক থাকে। অতএব জন্মের সপ্তম দিনে তার পক্ষ থেকে পশু যবহ করতে হয়, নাম রাখতে হয় ও তার মাথা মুন্ডন করতে হয়’। (আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনু মাজাহ, আহমাদ, ইরওয়া হা/১১৬৫)। ইমাম খাত্তাবী (রহঃ) বলেন, আক্বীক্বার সাথে শিশু বন্ধক থাকে’- একথার ব্যাখ্যায় ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহঃ) বলেন, যদি বাচ্চা আক্বীক্বা ছাড়াই শৈশবে মারা যায়, তা’হলে সে তার পিতা-মাতার জন্য কিয়ামতের দিন শাফা’আত করবে না’। কেউ বলেছেন, আক্বীক্বা যে অবশ্য করনীয় এবং অপরিহার্য বিষয়, সেটা বুঝানোর জন্য এখানে বন্ধক’ শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে, যা পরিশোধ না করা পর্যন্ত বন্ধকদাতার নিকট বন্ধক গ্রহিতা আবদ্ধ হয়ে থাকে’। (শাওকানী, নায়লুল আওত্বার ৬/২৬০ পৃঃ ‘আক্বীক্বা’ অধ্যায়)। শিশুর আক্বিক্বার সময় তাঁর মাথা মুন্ডনকৃত চুলের ওজনে রৌপ্য সাদক্বা করা সুন্নাত। (তিরমিযী, মিশকাত হা/৪১৫৪)। পশুর ভাগা অংশ দিয়ে আক্বীক্বা করা । ‘কুরবানী ও আক্বীক্বা দু’টিরই উদ্দেশ্য আল্লাহর নৈকট্য হাছিল করা’ এই (ইহতিসানের) যুক্তি দেখিয়ে কোন কোন হানাফী বিদ্বান কুরবানীর গরু বা উটে এক বা একাধিক সন্তানের আক্বীক্বা সিদ্ধ বলে মত প্রকাশ করেছেন (যা এদেশে অনেকের মধ্যে চালু আছে)। (আশরাফ আলী থানভী, বেহেশতী জেওর (ঢাকাঃ এমদাদিয়া লাইব্রেরী, ১০ম মুদ্রন ১৯৯০) ‘আক্বীক্বা’ অধ্যায়, মাসআ-২, ১/৩০০ পৃঃ; বুরহানুদ্দীন মারগানানী, হেদায় (দিল্লিঃ ১৩৫৮ হিঃ) ‘কুরবানী’ অধ্যায় ৪/৪৩৩ পৃঃ; (দেওবন্দ ছাপা ১৪০০ হিঃ) ৪/৪৪৯ পৃঃ)। হানাফী মাযহাবের স্তম্ভ বলে খ্যাত ইমাম আবু ইউসুফ (রহঃ) এই মতের বিরোধীতা করেন। ইমাম শাওকানী (রহঃ) এর ঘোর প্রতিবাদ করে বলেন, এটি শরী’আত। এখানে সুনির্দিষ্ট দলীল ব্যতীত কিছুই প্রমাণ করা সম্ভব নয়। (নায়লুল আওত্বার, আক্বীক্বা’ অধ্যায় ৬/২৬৮ পৃঃ)। বলা আবশ্যক যে, কুরবানীর পশুতে আক্বীক্বার ভাগ নেওয়ার কোন প্রমাণ রাসূলুল্লাহ(ছাঃ) বা সাহাবায়ে কেরামের কথা ও কর্মে পাওয়া যায় না। এটা স্রেফ ধারণা ভিত্তিক আমল, যা হানাফী মাযহাবের দোহাই দিয়ে এদেশে চালু হয়েছে। যদিও ইমাম আবূ হানিফা (রহঃ) থেকে এ বিষয়ে কোন নির্দেশ নেই। (মাসায়েল কুরবানী ও আক্বীক্বা পৃঃ ২০)। কুরবানী ও আক্বিকার জন্য পৃথক পৃথক পশু হতে হবে। যেমন একটি পশু কুরবানী ও আক্বিকা দুই নিয়্যতে জবেহ করা বাঞ্ছনিয় নয়। (কুরবানীর বিধান পৃঃ ২৪, আব্দুল হামিদ মাদানী)। সমাজে প্রচলিত কুরবানীর পশুতে আক্বীক্বার নিয়ত করা শরী‘আত সন্মত নয়। রাসূল (ছাঃ) বা সাহাবায়ে কেরামগনের যুগে এধরনের আমলের অস্তিত্ব ছিলনা (নায়লুল আওত্বার ৬/২৬৮,‘আক্বীকা অধ্যায়’;মিরআত২/৩৫১ও৫/৭৫)। রাসূল (ছাঃ) বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি এমন আমল করল যার উপর আমার নির্দেশ নেই সে আমলটি অগ্রহনযোগ্য”। (বুখারী, মুসলিম-৩২৪৩)। ১। পিতার সম্মতিক্রমে অথবা তার অবর্তমানে দাদা, চাচা, নানা, মামা যেকোন অভিভাবক আক্বীকা দিতে পারেন। হাসান ও হোসাইনের পক্ষে তাদের নানা রাসূল (ছাঃ) আক্বীক্বা দিয়েছিলেন। (আবূ দাউদ, নাসাঈ, মিশকাত হা/৪১৫৫)। ৭দিনের পরে ১৪ ও ২১ দিনে আক্বীক্বা দেওয়ার ব্যাপারে বায়হাক্বী তাবারানী ও হাকেমে বুরাইদা ও আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হাদীস তাহক্বীকে শায়খ আলবানী যঈফ বলেছেন। তবে সহীহুল জামে হা/৪১৩২ নম্বর, উদ্দাহ ৩০০ পৃষ্ঠা, শিশু প্রতিপালন, আঃ হামিদ আল মাদানী পৃষ্ঠা-১৭ তে উল্লেখ করা হয়েছে, শিশু জন্মের সপ্তম দিনে, সম্ভব না হলে, ১৪তম দিনে, তাও সম্ভব না হলে ২১ম দিনে আক্বিকা দেওয়া যাবে। এবং তাও সম্ভব না হলে, তারপর যেকোন দিনে আক্বিকা দেওয়া সুন্নাত। হাসান বসরী বলেন, তোমার তরফ থেকে আক্বিকা না হয়ে থাকলে, তুমি বড় হয়ে গেলেও নিজেই আক্বিকা দাও। (মুহাল্লা ৮/৩২২, সিলসিলাহ সহীহা ৬/৫০৬)। উল্লেখ্যঃ নবুয়্যত লাভের পর রাসূল (ছাঃ) নিজের আক্বীক্বা নিজে করেছিলেন বলে বায়হাক্বীতে আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসটি ‘মুনকার’ বা যঈফ। (নায়লুল আওত্বার ৬/২৬৪)। এ বিষয়ে এটাই প্রমাণিত যে, তার জন্মের সপ্তম দিনে তার দাদা আব্দুল মুত্ত্বালিব তার আক্বীক্বা করেন এবং ‘মুহাম্মদ’ নাম রাখেন। (বায়হাক্বী, দালায়েলুন নবুয়্যত ১/১১৩; সোলাইমান মানসুরপুরী, রহুমাতুল্লিল আলামিন ১/৪১ পৃঃ)। শাফেঈ বিদ্বানগণের মতে আক্বীক্বার বিষয়টি সীমা নির্দেশ মূলক নয়। ইচ্ছাকৃতভাবে কেউ সাত দিনের পরে আক্বীক্বা করবে না। যদি কোন কারণে বিলম্ব হয় এমনকি সন্তান বালেগ হয়ে যায় তাহলে তার পক্ষে তার অভিভাবকের আক্বীক্বার দায়িত্ব শেষ হয়ে যায়। এমতাবস্থায় সে নিজের আক্বীকা নিজে করতে পারবে। (নায়লুল আওত্বার ৬/২৬১ পৃঃ)। সহীহ দলীল হচ্ছে সপ্তম দিনেই আক্বীক্বা দিতে হবে। এটাই সুন্নাত। (আবূ দাউদ, নাসাঈ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, আহমাদ, ইরওয়া হা/১১৬৫; মিশকাত হা/৪১৫৮)। আক্বিকার দিন (ছেলে) শিশুর মাথা নাড়া করে মাথায় জাফরান গুলানো বিধেয়। (আবু দাউদ ২৮৪৩, হাকেম ৪/২৩৮, বায়হাক্বী ৯/৩০৩)। আক্বীক্বার পশু কেমন হবেঃ মহিলারা ৫টি বিষয়ে পুরুষের অর্ধেক উত্তরাধিকার, হত্যার দিয়ত তথা জরিমানা, সাক্ষ্য প্রদান, আক্বীক্বা এবং আজাদের ব্যাপারে। (তোয়াইজিরী, কোরআন হাদীসের আলোকে ইসলামী ফিকাহ ২/৩০২ পৃষ্ঠা, বঙ্গঃ)। যেহেতু ছেলে হচ্ছে আল্লাহর পক্ষ থেকে বড় নিয়ামত ও অনুগ্রহ, তাই তার ক্ষেত্রে শুকরিয়া বড় হওয়া চাই। বিধায় সেক্ষেত্রে ২টি ছাগল ও মেয়ের ক্ষেত্রে ১টি ছাগল প্রযোজ্য। (১) রাসুলুল্লাহ বলেন, ‘ছাগ হৌক বা ছাগী হৌক, ছেলের পক্ষ থেকে দু’টি ও মেয়ের পক্ষ থেকে একটি আক্বীক্বা দিতে হয়’। (নাসাঈ তিরমিযী, আবূ দাউদ, ইবনু মাজাহ মিশকাত হা/৪১৫২,৪১৫৬; ইরওয়া হা/১১৬৬)। পুত্র সন্তানের জন্য দু’টি দেওয়া উত্তম। তবে একটা দিলেও চলবে। (আবূ দাউদ, মিশকাত হা/৪১৫৫; নায়লুল আওত্বার ৬/২৬২,২৬৪ পৃঃ)। ছাগল দু’টিই কুরবানীর পশুর ন্যায় ‘মুসিন্নাহ’ অর্থাৎ দুধে দাঁত ভেঙ্গে নতুন দাঁতওয়ালা হ’তে হবে এবং কাছাকাছি সমান স্বাস্থ্যের অধিকারী হ’তে হবে। এমন নয় যে, একটি মুসিন্নাহ হবে অন্যটি মুসিন্নাহ নয়। (নায়লূল আওত্বার ৬/২৬২ পৃঃ, আয়নুল মা’বুদ হা/২৮১৭-এর ব্যাখ্যা দ্রষ্টব্য)। একটি খাসী ও অন্যটি বকরী হওয়ায় কোন দোষ নেই। শায়খ আঃ রায্যাক বিন ইউছুফ বলেন, গরু,উট দিয়ে আক্বিকা হবে না। (পিস টিভি আলোচক)। (২) তাবারানীতে উট, গরু বা ছাগল দিয়ে আক্বীক্বা করা সম্পর্কে যে হাদীস এসেছে, তা মওযু’ অর্থাৎ জাল। (আলবানী, ইরওয়াল গালীল হা/১১৬৮)। তাছাড়া এ বিষয়ে রাসূল (ছাঃ) ও সাহাবায়ে কেরাম থেকে কোন আমল নেই। (মাসায়েল কুরবানী ও আক্বীক্বা পৃঃ ৪৯)। কোনো কোনো উলামা বলেন, যদি দিতেই হয় তবে একটি করেই দিতে হবে। যেমন, আহকাম ও বয়স এবং গুনাগুনে আক্বীক্বা কুরবানীর মতই। কিন্তু আক্বীক্বাতে ভাগা চলবে না। তাই একজনের পক্ষ থেকে ১টি ছাগল/গরু/উট ছাড়া সঠিক হবে না। (কোরআন সুন্নাহর আলোকে ইসলামী ফিকাহ পৃষ্ঠা-২/৩০২, মোহাম্মদ বিন ইব্রাহীম আত তোয়াইজিরী)। গোশত বিতরণঃ আক্বিকার গোশত বিতরণ কুরবানীর মতই। গোশত কাঁচা বিতরণ করার চাইতে রান্না করে খাওয়ানোটাই উত্তম। আর পশুর চামড়াটা বিক্রয় করে তার মুল্য গরীবকে দান করা উচিত। (আঃ হামিদ মাদানী, শিশু প্রতিপালন পৃষ্ঠা নং-১৭)। কুরবানীর একাংশে আক্বীকা দেওয়া প্রসঙ্গ লেখক: শাইখ আব্দুর রাকীব (মাদানী) সম্পাদক: শাইখ আব্দুল্লাহিল হা�� আল্ হামদুলিল্লাহি রাব্বিল্ আলামীন, ওয়াস্ স্বালাতু ওয়াস্ সালামু আলা রাসূলিহিল্ কারীম। আম্মা বাদঃ অতঃপর কুরবানীর সময় আমরা আমাদের সমাজে একটি প্রচলিত আমল দেখতে পাই, তা হচ্ছে, গরু কিংবা উট কুরবানী দেয়ার সময় তাতে সন্তানের আক্বীকা দেওয়া। বিষয়টির ব্যাখ্যা এই রকম যে, যেহেতু একটি গরু কিংবা উটে সাতটি ভাগ প্রমাণিত। অর্থাৎ সাত ব্যক্তি শরীক হয়ে কুরবানী দিতে পারে এবং সেটি সাত জনের পক্ষে স্বীকৃত। তাই কোন কুরবানীদাতা যদি কুরবানীর উদ্দেশ্যে একটি গরু বা উট ক্রয় করে, অতঃপর তার পরিবারের সদস্য সংখ্যা যদি ৪ কিংবা ৫ কিংবা ৬য় হয়, তাহলে সে অতিরিক্ত ভাগগুলিতে কুরবানীর নিয়ত না করে সেই সকল সন্তানের আক্বীকার নিয়ত করে, যাদের সে নির্দিষ্ট সময়ে আক্বীকা দেয় নি বা দিতে পারে নি। তাই সুযোগের সদ্ব্যবহার করতঃ কুরবানীর একই পশুতে আক্বীকাও করে। আমরা এই আমলটি প্রায় দেখতে পাই। এখন প্রশ্ন হল, এই রকম করা কি শরীয়ত স্বীকৃত, এটা কি সহীহ দলীল সম্মত? আমরা এ স্থানে এ সম্পর্কে কিছু আলোচনা করার চেষ্টা করবো। [ওয়ামা তাউফীকী ইল্লা বিল্লাহ ] **********************************
    Sogood Islam Syeds
  • June 5
  • Sogood Islam Syeds
    6/5, 12:26pm

    Sogood Islam Syeds

    “একটি দ্বীনি আবেদন” – – তারাবীহ নামাজের রাকাত সংখ্যা নিয়ে যুদ্ধের ইতি টানুন। 󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞󾮞 যিনি রাসুলুল্লাহ (সা) থেকে বর্ণিত পদ্ধতিতে ১১ রাক্‌‘আত নামাজ আদায় করবেন তিনি সুন্নাহ পালন করলেন। আর যিনি বেশী সংখ্যায় ২০, ৩০, ৪০ রাকা’আত আদায় করলেন, তিনিও সুন্নাহর অনুসরণ করলেন। তার বিরুদ্ধেও অভিযোগ বা মন্তব্য করার কিছু নেই। আর যে বা যিনি ২০ রাকাত বা অন্য কোন সংখ্যক রাকাতের পক্ষে অতো অতো হাদীস আছে বলে লাখ/কোটি টাকার চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন, তাঁকে আল্লাহর হাতে ছেড়ে দেন। আমরা উপরের দুইভাবে আদায়কারী কাউকেই নিষেধ করা থেকে বিরত থাকবো। কেননা, দুটো পদ্ধতিই চলছে। মনে রাখা খুব জরুরী, এ নামায নফল স্বলাত। এ নিয়ে মনোমালিন্য করা, পক্ষ বিপক্ষ দাঁড় করানো খুবই মন্দ কাজ। মন্দ চর্চ্চা। বরং আমলে ইহসান করবো ; এটাই খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেককে নিজের আখিরাতকে আলোকিত করার জন্য সহীহ জ্ঞানের দিকে ছুটতে হবে। ভাল থেকে ভালোর দিকে। কল্যান থেকে অধিকতর কল্যানের দিকে। এতে আমাদের সকলেরই দুনিয়া ও আখিরাতের ফায়দা হবে । ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ মানার তাওফিক দিন। আমিন।
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    6/5, 12:35pm

  • June 5
  • Sogood Islam Syeds
    6/5, 5:55pm

  • Sogood Islam Syeds
    6/5, 6:14pm

    Sogood Islam Syeds

    Firoz Sjr shared Dr.zakir naik- bangla lecture’s post to the group: মাসিক আত-তাহরীক.
    Firoz Sjr
  • June 6
  • Sogood Islam Syeds
    6/6, 12:01pm

    Sogood Islam Syeds

    ছিয়ামৰ (ৰোজাৰ) নিয়ত কেনেকৈ কৰিব ?? ‘নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে : যি ব্যক্তিয়ে ফজৰৰ পূর্বে ছিয়ামৰ (ফৰজ ছিয়াম) নিয়ত নকৰিব, তাৰ কোনো ছিয়াম নাই।(ছহীহ আবুদাউদ-২১৪৩) নিয়ত কৰিব লাগে, পঢ়িব নালাগে, নিয়ত হয় অন্তৰৰ পৰা অর্থাৎ আপুনি ছিয়াম পালন কৰিব বুলি মনে মনে সিদ্ধান্ত লোৱাটোৱেই হ’ল নিয়ত, মুখেৰে উচ্চাৰণ কৰি ছিয়ামৰ নিয়ত কৰাৰ কোনো প্রমাণ শ্বৰীয়তত নাই । অর্থাৎ ৰাতিৰ ভাগতেই আপুনি সিদ্ধান্ত লব যে, অহাকালি মই ছিয়াম পালন কৰিম । তেতিয়া নিয়ত হৈ যাব নাইবা ৰমজানৰ সম্পূৰ্ণ মাহৰ ছিয়ামৰ নিয়ত এবাৰতে কৰিলেই নিয়ত কৰা হৈ যাব অর্থাৎ প্রথম ৰাতিয়েই এই সিদ্ধান্ত বা নিয়তত উপনীত হব যে, মই সম্পূৰ্ণ মাহৰ ছিয়াম পালন কৰিম¸ তেনেহ’লেই আপোনাৰ গোটেই মাহৰ নিয়ত হৈ গ’ল। অৱশ্যে অসুস্থতাৰ কাৰণে, চফৰৰ কাৰণে ছিয়াম ভাঙিবলৈ বাধ্য হ’লে পুনৰ যেতিয়া ছিয়াম পালন কৰিব তেতিয়া আকৌ নতুনকৈ নিয়ত কৰিব লাগিব । অৱশ্যে অন্তৰেৰে নিয়ত কৰিব । কিয়নো সকলো আমলেই নিয়তৰ ওপৰত নির্ভৰ কৰে। (বুখাৰীঃ ১) গতিকে নিয়ত কৰা জৰুৰী¸ কিন্তু মুখেৰে উচ্চাৰণ কৰি নাওৱাইতুয়ান আচুমা গাদাম————এই ধৰণৰ বাক্য কোৱাৰ শ্বৰীয়াতত কোনো প্রমাণ নাই । সেয়ে উচ্চাৰণ কৰি নিয়ত পঢ়া বিদ‘আত । সহজ কথাত, মনে মনে ছিয়াম পালনৰ সংকল্প কৰিলেই নিয়ত হৈ গ’ল । আল্লাহে আমাক সকলোকে বিদাতৰ পৰা বাছি থাকিবলৈ তৌফিক দান কৰক ।
    অসমত ইচলাম প্ৰচাৰ -Q.A
  • June 6
  • Sogood Islam Syeds
    6/6, 3:44pm

    Sogood Islam Syeds

    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান added a new photo.
    ==== বিষয়ঃ আযানের মর্মার্থ ==== আমরা প্রতিদিন পাঁচবার আযান শুনি কেউ সালাত আদায় করি আর কেউ সালাত আদায় করি না। কুরআনে আল্লাহ বলেন-إِنَّ الصَّلاةَ كَانَتْ عَلَى الْمُؤْمِنِينَ كِتَابًا مَوْقُوتًا নিশ্চয় সালাত মুমিনদের উপর নির্দিষ্ট সময়ে ফরয। আন-নিসা, ৪/১০৩ মসজিদে মুয়াজ্জিন আযান দেয় কিন্তু আমরা ঐ আযানের মর্মার্থগুলো কি বুঝতে পারি? মুয়াজ্জিন আযান দেওয়া শুরু করল >>>> اللهُ أَكْبَرُ (‘আল্লা-হু আক্ববার’) চারবার বলা হল যার অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান। এ কথা বলে আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্ব ঘোষণা করা হল। أَشْهَدُ أَنْ لآ إلَهَ إلَّا الله (‘আশ্‌হাদু আল্ লা—ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’) দু’বার বলা হল যার অর্থ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি আল্লাহ ব্যতীত কোন (সত্য) ইলাহ নেই। এ কথা বলার মানে একমাত্র আল্লাহর ইবাদত করতে হবে অন্য কারো ইবাদত করা যাবে না। সালাতে আমাদের বলতে হয় إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ ‘আমরা শুধুমাত্র তোমারই ইবাদত করি এবং শুধুমাত্র তোমারই নিকট সাহায্য চাই।’ আর ইবাদতে কাউকে শরীক করা যাবে না। হোক সে ওলী, গাউস, কুতুব, পীর, মাযার বা অন্য যে কেউ। যদি ইবাদতে কাউকে শরীক করা হয় তাহলে তার অতীতের সমস্ত আমল বাতিল হয়ে যাবে এবং সে মুশরিকদের অর্ন্তভুক্ত হবে। আল্লাহ বলেন- وَلَقَدْ أُوحِيَ إِلَيْكَ وَإِلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكَ لَئِنْ أَشْرَكْتَ لَيَحْبَطَنَّ عَمَلُكَ وَلَتَكُونَنَّ مِنَ الْخَاسِرِينَ আর অবশ্যই তোমার কাছে এবং তোমার পূর্ববর্তীদের কাছে ওয়াহী পাঠানো হয়েছে যে, যদি তুমিও শির্ক কর তাহলে তোমার কর্ম নিষ্ফল হবেই আর অবশ্যই তুমি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হবে। আয-যুমার, ৩৯/৬৫ وَلَوْ أَشْرَكُوا لَحَبِطَ عَنْهُمْ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ আর তারাও যদি শির্ক করত, তাহলে যে আমলসমূহ (কর্মসমূহ) তারা করেছিল, তা অবশ্যই ধ্বংস হয়ে যেত। আল-আন‘আম, ৬/৮৮ أَشْهَدُ أَنَّ مُحَمَّدًا رَسُولُ اللَّهِ (‘আশ্‌হাদু আন্না মুহাম্মাদার রাসূ-লুল্লা—হ্’) দু’বার বলা হল যার অর্থ আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর রাসূল। এ কথা বলার মানে, আমি যে ইবাদত করব তা একমাত্র মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর তরিকা বা পদ্ধতিতে করতে হবে অন্য কারো তরিকা বা পদ্ধতিতে ইবাদত করা যাবে না যদি করা হয় তাহলে আল্লাহ তা কবুল করবেন না। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ যে ব্যক্তি এমন আমল করল যার উপর আমাদের কোন নির্দেশনা নেই, তাহলে তা পরিত্যাজ্য হবে। সহিহ মুসলিম: ৪৩৮৫ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যত্র বলেছেন- مَنْ أَحْدَثَ فِي أَمْرِنَا هَذَا مَا لَيْسَ فِيهِ فَهُوَ رَدٌّ যে ব্যক্তি আমাদের এই দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু উদ্ভাবন করবে তাহলে তা পরিত্যাজ্য হবে। সহীহুল বুখারী: ২৬৯৭ সহিহ মুসলিম: ৪৩৮৪ حَىَّ عَلَى الصَّلاَةِ (‘হায়্যইয়া আলাছ্ ছালা—হ’) দু’বার বলা হল যার অর্থ সালাতের জন্য এসো। সালাত একটি শ্রেষ্ঠ ইবাদত। সালাত অবশ্যই আদায় করতে হবে। সালাত পরিত্যাগকারীর জন্য আল্লাহর আযাব অপরিহার্য। আল্লাহ বলেন- فَخَلَفَ مِنْ بَعْدِهِمْ خَلْفٌ أَضَاعُوا الصَّلاةَ وَاتَّبَعُوا الشَّهَوَاتِ فَسَوْفَ يَلْقَوْنَ غَيًّا অতপর তাদের পরে স্থলাভিষিক্ত হল এমন বংশধর যারা সালাত নষ্ট করল আর প্রবৃত্তির অনুসরণ করল, সুতরাং অচিরেই তারা (জাহান্নামের) শাস্তি প্রত্যক্ষ করবে। মারইয়াম, ১৯/৫৯ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- إِنَّ بَيْنَ الرَّجُلِ وَبَيْنَ الشِّرْكِ وَالْكُفْرِ تَرْكَ الصَّلاَةِ বান্দা এবং শিরক ও কুফরের মধ্যে পার্থক্য হচ্ছে স্বলাত পরিত্যাগ করা। সহিহ মুসলিম ১৪৯, ১৫০ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্যত্র বলেছেন- العهد الذي بيننا وبينهم الصلاة فمن تركها فقد كفر আমাদের ও তাদের মধ্যকার অঙ্গীকার হল সালাত। অতএব যে ব্যক্তি সালাত ত্যাগ করল তবে অবশ্যই সে কুফরী করল। আত-তিরমিযী, আহমাদ: ২১৮৫৯ এই সালাতও আদায় করতে হবে মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের তরিকা বা পদ্ধতিতে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- صَلُّوْا كَمَا رَأَيْتُمُوْنِيْ أُصَلِّيْ তোমরা ঠিক সেভাবে সালাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে সালাত আদায় করতে দেখছো। সহীহুল বুখারী: ৬৩১, ৬০০৮, ৭২৪৬ রাসুলের তরিকা ব্যতীত সালাত কবুল হবে না। যদি রাসুলের তরিকায় সালাত আদায় করা হয় তাহলে তার ফলাফল পাওয়া যাবে। যা পরে বলা হচ্ছে- حَىَّ عَلَى الْفَلاَحْ (‘হায়্যইয়া আলাল্ ফালা—হ’) দু’বার বলা হল যার অর্থ কল্যাণের জন্য এসো। যদি সালাত আদায় করা হয় আর তা যদি রাসুলের তরিকায় হয় তাহলেই দুনিয়া ও আখেরাতে সার্বিক কল্যাণ ও নিরাপত্তা রয়েছে। আল্লাহ বলেন- الَّذِينَ آمَنُوا وَلَمْ يَلْبِسُوا إِيمَانَهُمْ بِظُلْمٍ أُولَئِكَ لَهُمُ الأمْنُ وَهُمْ مُهْتَدُونَ যারা ঈমান এনেছে ও নিজ ঈমান জুলুমের (মানে শির্ক) সাথে মিশ্রিত করে নাই, তাদের জন্যেই রয়েছে নিরাপত্তা আর তারাই সরল পথ প্রাপ্ত। আল-আন‘আম, ৬/৮২ اللهُ أَكْبَرُ (‘আল্লা-হু আক্ববার’) দু’বার বলা হল যার অর্থ আল্লাহ সর্বশক্তিমান। আবারও আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্ব ও মহত্ত্ব ঘোষণা করা হল। لآ إلَهَ إلَّا اللهُ (‘লা—ইলা-হা ইল্লাল্লা-হ’) একবার বলা হল যার অর্থ আল্লাহ ব্যতীত কোন (সত্য) ইলাহ নেই। আবারও এ কথা বলে বুঝান হল ইবাদতের হকদার একমাত্র আল্লাহ। ফজরের আযানের সময় হায়্যাইয়া আলাল্ ফালা—হ এর পরে أُصَّلاَةُ خَيْرٌ مِّنَ النَّوْمِ (‘আসসালা-তু খায়-রূম মিনান নাউম’) দু’বার বলা হল যার অর্থ্ নিদ্রা হতে সালাত উত্তম। এ থেকে বুঝা যায় সালাত সর্বোত্তম আমল। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ‘কোন আমল উত্তম’ জিজ্ঞাসা করা হলে তার প্রত্যুত্তরে তিনি বলেছেন- الصَّلاَةُ عَلَى مِيقَاتِهَا সময় মত স্বলাত আদায় করা। সহীহুল বুখারী: ২৭৮২ পরিশেষে বলা যায়, আল্লাহর বিধান অনুযায়ী, আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের আনুগত্যের মাধ্যমে, আল্লাহর ক্রোধ ও যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি থেকে বাঁচার জন্য, সময়মত সালাত আদায় করা প্রতিটি মুসলিমের অবশ্যই কর্তব্য। তাহলেই সালাতের ফলাফল পাওয়া যাবে। আল্লাহ বলেন- وَأَقِمِ الصَّلاةَ إِنَّ الصَّلاةَ تَنْهَى عَنِ الْفَحْشَاءِ وَالْمُنْكَرِ আর সালাত কায়েম কর, নিশ্চয় সালাত অশ্লীল ও মন্দকাজ থেকে বিরত রাখে। আল-আনকাবূত, ২৯/৪৫ আল্লাহ অন্যত্র বলেন- يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا اسْتَعِينُوا بِالصَّبْرِ وَالصَّلاةِ إِنَّ اللَّهَ مَعَ الصَّابِرِينَ হে ঈমানদারগণ, তোমরা ধৈর্য ও সালাতের মাধ্যমে সাহায্য চাও, নিশ্চয় আল্লাহ ধৈর্যশীলদের সাথে আছেন। আল-বাকারাহ, ২/১৫৩ তথ্যসূত্র : বই: ওয়াহীর জ্ঞান। সংকলন: মোহাম্মদ সাইদুর রহমান; সম্পাদনা: অধ্যাপক মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক; প্রকাশনায়: তাওহীদ পাবলিকেশন্স। অষ্টাদশ অধ্যায়ঃ বিবিধ; পৃষ্ঠাঃ ৫৭৩ হতে ৫৭৬ পর্যন্ত।
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    6/6, 5:09pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/6, 5:25pm

    Sogood Islam Syeds

    ✔ তাড়াতাড়ি ইফতার করাঃ সূর্য অস্ত যাওয়া নিশ্চিত হলে তাড়াতাড়ি ইফতার করা সায়িমের জন্য মুস্তাহাব। রাসূল (ﷺ) বলেন, لَا يَزَالُ النَّاسُ بِخَيْرٍ مَا عَجَّلُوا الْفِطْرَ মানুষ যতদিন পর্যন্ত দ্রুত ইফতার করবে ততদিন পর্যন্ত তারা কল্যাণের উপর প্রতিষ্ঠিত থাকবে। সহীহ বুখারী ১৯৫৭ ও সহীহ মুসলিম: ২৪৪৪ ✔ কি দিয়ে ইফতার করবেঃ আনাস রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم يُفْطِرُ عَلَى رُطَبَاتٍ قَبْلَ أَنْ يُصَلِّىَ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ رُطَبَاتٌ فَعَلَى تَمَرَاتٍ فَإِنْ لَمْ تَكُنْ حَسَا حَسَوَاتٍ مِنْ مَاءٍ রাসূলুল্লাহ (ﷺ) (মাগরিবের) স্বলাতের পুর্বে তাজা খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। যদি তাজা খেজুর পাওয়া না যেত তবে শুকনো খেজুর দ্বারা ইফতার করতেন। আর যদি শুকনা খেজুর পাওয়া না যেত তাহলে কয়েক ঢোক পানি দ্বারা ইফতার করতেন। মুসনাদ আহমাদ: ১২৬৭৬ ও আবু দাউদ: ২৩৫৬ ✔ সায়িমকে ইফতার করানোঃ সহীহ সনদে তিরমিযী ও আহমাদ বর্ণনা করেন যে, নবী (ﷺ) বলেন, مَنْ فَطَّرَ صَائِمًا كُتِبَ لَهُ مِثْلُ أَجْرِهِ إِلَّا أَنَّهُ لَا يَنْقُصُ مِنْ أَجْرِ الصَّائِمِ شَيْء ‘‘যে ব্যক্তি কোন সায়িমকে ইফতার করায়, সে উক্ত সায়িমের সাওয়াবের কোনরূপ ঘাটিত না করেই তার সমপরিমাণ সওয়াব লাভ করবে।’’ সুনান তিরমিযী: ৮০৭ ও মুসনাদ আহমাদ: ১৭০৩৩
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    6/6, 5:32pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 6
  • Sogood Islam Syeds
    6/6, 11:23pm

    Sogood Islam Syeds

    প্যাচাল তরাবী নিয়ে প্যাচাল-২ পর্ব এর পরে ৩++== >>>>>>>>চুনো পুটি বাদ দিন চলুন >>>প্রখ্যাত বিশেষজ্ষ আলেমগণের মতামত জানি >>>> আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী হানাফী (রহঃ) বলেন, আলেমগণের মতামতসমূহ ৯টিতে উপনীত হয়েছে। অতঃপর সর্বশেষ অভিমত সম্পর্কে তিনি বলেন, তবে তারাবীহ সালাত ১১ রাক’আত এটি ইমাম মালিক (রহঃ) এর অভিমত। এবং তাই তিনি তার নিজের জন্য গ্রহন করেছিলেন। আর ইমাম আবূ বকর, ইবনুল আরাবীও তাই গ্রহন করেছেন। (উমদাতুল ক্বারী ১১/১৮১/২০১০)। ১। আল্লামা ছানআনী হানাফী ২০ রাক’আত এর বর্ণনা সমূহকে ভিত্তিহীন সাব্যস্ত করার পর বলেন, এ সমস্ত আলোচনা থেকে তুমি উপলব্ধি করতে পারলে যে, অধিকাংশ লোকই যারা এই পদ্ধতিতে ২। ইবনুল আরাবী,মালেকী,(মৃঃ ৫৪৬ হিঃ) তার তিরমীযি ভাষ্য গ্রন্থে ‘আরেযাতুল আহওয়াযী’-তে ২০ রাক’আত তারাবী সংক্রান্ত আলোচনার পর বলেন, সহীহ হলো ১১ রাক’আত আদায় করা। যা ছিল রাসূল (ছাঃ) এর রাতের সালাত। আর এর অতিরিক্ত যে রাক’আত সংখ্যা রয়েছে তা মূলতঃ তার কোন ভিত্তি নেই এবং তার কোন সীমাও নেই।— অতএব তারাবীহর সালাতের ব্যাপারে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) এর অনুসরণ করাই ওয়াজিব। (আরেযাতুল আহওয়াযী ৪/১৯, সালাতুত তারাবীহ ৮০ পৃষ্ঠা)। ৩। ২০ রাক’আত তারাবীহ এর প্রমানে বর্ণিত হাদীসটি জাল। (আলবানী ইরওয়াউল গালীল হা/৪৪৫; ২/১৯১ পৃঃ)। ৪। তারাবীহ সালাত ইমাম সাহেব মুসল্লিদের নিয়ে ১১ বা ১৩ রাক’আত আদায় করবে। (কুরআন সুন্নার আলোকে ইসলামি ফিকাহ মুহাম্মদ বিন ইবরাহীম আত তুয়াইজিরী ২/৬৯ পৃষ্ঠা)। ৫। শায়খ আলবানী (রহঃ) বলেন, নিশ্চয় প্রত্যেক জ্ঞানী ব্যক্তির নিকট সুস্পষ্ট হয়েছে যে, সাহাবীদের কোন একজনের পক্ষ থেকেও ২০ রাক’আত তারাবীহ সালাত সহীহ বলে প্রমাণিত হয় নি। (সালাতুত তারাবীহ পৃষ্ঠা-৭৫)। ৬। শায়খ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল-উছায়মিন তারাবীহর রাক’আত সংখ্যা ব্যাপারে ৪১,৩৯,২৯,২৩,১৯,১১ ইত্যাদি বক্তব্য রয়েছে। তবে এ সমস্ত বক্তব্যের মধ্যে আমি ১১ বা ১৩ রাক’আতকেই সর্বাধিক প্রাধান্য দিয়ে থাকি। যেমন, আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে—–এবং সায়েব বিন ইয়াযীদ থেকে উমর (রাঃ) এর ১১ রাক’আতের নির্দেশ রয়েছে। যা তিনি উবাই ইবনু ক্বাব ও তামীমদারীকে নির্দেশ করেছিলেন। (মাযালিসা শাহরি রমাযান ১/৩৩ পৃষ্ঠা)। ৭। ভারতের বিখ্যাত আলেমে দ্বীন আনোয়ার কাশ্মীরী (রহঃ) হানাফী বলেন, বিশ রাক’আত সম্পর্কে যত হাদীস এসেছে তার সবগুলিই যঈফ।(আরফুশ শাযী, তারাবীহ অধ্যায় পৃঃ-৩০৯)। ৮। হেদায়া-র ভাষ্যকার ইবনুল হুমাম হানাফী বলেন, ২০ রাক’আতের হাদীস যঈফ এবং সহীহ হাদীস সমূহের বিরোধী। (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/২০৫ পৃঃ)। ৯। আল্লামা যাঈলায় হানাফী বলেন, ২০ রাক’আতের হাদীস যঈফ এবং আয়েশা (রাঃ) বর্ণিত সহীহ হাদীসের বিরোধী। (নাসবুর রায়াহ ২/১৫৩ পৃঃ)। ১০। মোল্লা আলী কারী হানাফী (রহঃ) বলেন,‘আমাদের কোন ইমামের বক্তব্য হ’ল-রাসূল(ছাঃ) লোকদের সাথে ২০ রাকআত সালাত আদায় করছেন। সম্ভবত তনি মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ থেকে এটি গ্রহণ করেছেন যে, তিনি রমাযান মাসে ২০রাক‘আত তারাবীহ পড়েছেন। অনুরুপভাবে বায়হাক্বীও বর্ণনা করেছেন যে,তিনি দশ সালামে ২০ রাক‘আত তারাবীহ আদায় করেছেন। তৃতীয় রাত্রিতে তিনি আর বের হননি। কিন্তু উক্ত দু‘টি বর্ণনাই যঈফ,। (আলী ইবনু সুলতান মুহম্মদ আল-ক্বারী,মিরক্বাতুল মাফাতীহ শরহে মিশকাতুল মাছাবিহ (ঢাকা:রশিদীয়া লাইব্রেরী,তাবি),৩য় খন্ড,পৃঃ১৯৪) মোল্লা আলী কারী হানাফী (রহঃ)অনত্রে বলেন, তারাবীহ ৮ রাক’আত । (মিরকাত ১/১৫৫পৃঃ)। ১১। একই বক্তব্য ইমাম তাহাবী (রহঃ)-এর (দুররে মুখতার হালিয়া তাহতবি ১/২৯৫পৃঃ) ১২। দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা ক্বাসিম নানুতুবী বলেন, বিতরসহ ১৩ রাক’আত তারাবীহ রাসূল (ছাঃ) থেকে প্রমানিত, যা ২০রাক’আতের চেয়ে জোরদার।(ফুয়ূযে ক্বাসিমিয়্যাহ পৃঃ ১৮)। ১৪। হানাফী ফিকাহ কানযুদ দাক্বয়েক্ব এর টীকাকার আহসান নানুতুবী বলেন,নবী করীম(ছাঃ) ২০ রাক’আত তারাবীহ পড়েননি; বরং ৮ রাক’আত পড়েছেন। (হাশিয়া কানযুদ দাক্বায়েক্ব, পৃঃ৩৬)। ১৫। আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলোভী হানাফী বলেন, রাসূল থেকে ২০ রাক’আত তারাবীহ প্রমানিত নয়, যা বাজারে প্রচলিত আছে। এছাড়া ইবনু আবু শায়বাহ বর্ণিত ২০ রাক’আতের হাদীস যঈফ এবং সহীহ হাদীসের বিরোধী। (ফাৎহু সির্রিল মান্নান লিতা য়ীদি মাযহাবিল পৃঃ ৩২৭)। ১৬। আল্লামা ইবনু আবেদীন বলেন, সহীহ হাদীসের আলোকে সালাতে তারাবীহ ৮ রাক’আতই সুন্নাত। (হাশিয়া দুররে মুখতার ১ম খন্ড ৬৬০ পৃঃ)। ১৭। ইবনে হাজার আসক্বালানি বলেন, ১১ রাক’আত তারাবীহ বিতর সহ প্রমানিত। বিশ রাক’আত সহীহ ও বিশুদ্ধ হাদীসের পরিপন্থী হওয়ার কারনে বিনা দ্বিধায় তা বর্জনীয়। (ফাৎহুল বারী ৩/৩৩ পৃঃ)। ১৮। হানাফী জগতের বড় মুহাদ্দিস এবং তাবলীগ জাম’আতের বিশিষ্ট মাওলানা যাকারিয়া (রহঃ) বলেন, ২০ রাক’আত তারাবীহ নির্দিষ্টরূপে নবী (ছাঃ) থেকে মারফুভাবে মুহাদ্দিসীনে কেরামের তরিক্বা অনুযায়ী প্রমানিত নেই। এ ব্যপারে কোন সন্দেহ নেই। (আওযাযুল মাসা-লেক শারহে মুয়াত্বা ইমাম মালেক ১ম খন্ড ৩৯৭ পৃষ্ঠা)। ১৯। মুহাক্কিক ইবনুল হুমাম, দ্বিতীয় হানীফা ইমাম ইবনে নুজাইম, ইমাম তাহাভী,আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী সকলে নিজ নিজ গ্রন্থ সমূহে লিখেছেন। তারাবীহ সালাত ২০ রাক’আতের মধ্যে ৮ রাক’আতই হলো রাসূল (ছাঃ) এর সুন্নাত আর অবশিষ্ট ১২ রাক’আত হচ্ছে মুস্তাহাব। ২০। আব্দুল হাই লাখনৌভী জাবির (রাঃ) এর বর্ণিত ৮ রাক’াতের হাদীস উদ্বৃত করার পর দ্বিধাহীন চিত্তে বলেন, মোদ্দাকথা হলো যদি প্রশ্ন করা হয়, রাসূল (ছাঃ) যে রাতগুলোতে তারাবীহ পড়েছিলেন তা কত রাক’আত ছিল? তাহলে জাবির (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত হাদীসের আলোকে এর উত্তর হবে, ৮ রাক’আত। আর যদি প্রশ্ন করা হয় তিনি কখনো কি ২০ রাক’আত পড়েছেন? তাহলে উত্তর হবে, হ্যাঁ। এই মর্মে যঈফ হাদীস রয়েছে। (তুহফাতুল আখবার পৃষ্ঠা-২৮, তারাবীর রাক’আত সংখ্যা পৃষ্ঠা-৫০)। ২১। শাহ ওয়ালিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভী ‘মুয়াত্তা মালেক’ এর ভাষ্য ‘আল মুসাফ্ফা’ গ্রন্থে ঘোষনা করে রাসূল (ছাঃ) এর আমল দ্বারা তারাবীর সালাত বিতর সহ ১১ রাক’আতই প্রমাণিত। (আল মুসাফ্ফা, শরহ মালেক মুয়াত্তা, ফারসী পৃষ্ঠা-১৭৭)। ২২। শাইখ রশীদ আহমাদ গাংগুহি হানাফী (রহঃ) বলেন তারাবীহ ৮ রাক’আত। (রেসালা আল হাককুস সাবীহাপৃঃ২২) ২৩। মাওলানা আঃ রহিম বলেন, সায়েব ইবনে ইয়াযীদ হতে বর্ণিত হাদীস (আছার) এবং তাবারানীতে হযরত আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত হাদীসদ্বয়ের সনদ দুর্বল। হযরত আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত বুখারী, মুসলিম ও অন্যান্য গ্রন্থে সহীহ হাদীসের বিপরীত। মুসনাদে আহমাদে এরুপ হাদীস বর্ণিত হয়েছে। তা হইতে তারাবি ৮ রাক’আতই প্রমানিত হয়।(হাদীছ শরীফ ২/২১৮ পৃঃ ৭ম প্রকাশ খাইরুন প্রকাশ-১৯৯৯)। রাসূল (ছাঃ) রমাযানের রাতে তারাবীহ ও তাহাজ্জুদ দুটোই পড়েছেন এই মর্মে সহীহ বা যঈফ কোন সনদে কোন হাদীস পাওয়া যায় না। (মিরআত ৪/৩১১ পৃঃ)।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    6/6, 11:28pm

    Sogood Islam Syeds

    ● ছিয়াম(ৰোজা) কি? ⬇ ‘ছিয়াম’ শব্দৰ শাব্দিক অর্থ হ’ল- বিৰত থকা । শ্বৰীয়তৰ পৰিভাষাত ছিয়ামৰ অর্থ হ’ল- আল্লাহ্ পাকৰ ইবাদাতৰ উদ্দেশ্যে সূর্য উদয়ৰ (ফজৰৰ আৰম্ভনীৰ) পৰা সূর্যাস্ত লৈকে ছিয়াম ভঙ্গকাৰী #যাবতীয়_বিষয় (যেনেঃ খোৱা-বোৱা, স্বামী-স্ত্রীৰ সহবাস ইত্যাদি)ৰ পৰা বিৰত থকা। ছিয়াম পালন ইছলামৰ পঞ্চস্তম্ভৰ মাজত তৃতীয়তম। . কোৰআনত আল্লাহে কৈছে, “হে বিশ্বাসীসকল! #ছিয়াম তোমালোকৰ উপৰত ফৰজ (অৱশ্য পালনীয়) কৰা হৈছে, যেনেকৈ ফৰজ (অৱশ্য পালনীয়) কৰা হৈছিল তোমালোকৰ পূর্বৱর্তী লোকসকলৰ উপৰত, যাতে তোমালোকে সততা আৰু সংযম গুন (পৰহেযগাৰী) অর্জন কৰিব পাৰা।” [কোৰআনঃ ২/১৮৩] . ⚠ উল্লেখ্য যে, ফাৰ্চী ভাষাত ইয়াক #ৰোজা বোলা হয়।
    Mahibur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    6/6, 11:30pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 1:50am

  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 1:51am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 2:18am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন (১২৪৫): জান্নাতী মহিলাদের হূর কয়টি থাকবে? তাদের হূর কেমন হবে? …………………………………………… উত্তর : ‘হূর’ (حُوْرٌ) শব্দটি স্ত্রীলিঙ্গ। এটি জান্নাতী পুরুষদের জন্য নির্ধারিত। তবে জান্নাতী মহিলাদের জন্য অবশ্যই জান্নাতী স্বামী হবেন। যদিও তাদেরকে হূর বলা হবে না। নারীদের প্রতি পুরুষদের অধিক আসক্তির কারণে কুরআনে পুরুষদের জন্য হূরের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু জান্নাতী নারীদের জন্য তাদের স্বামীর ব্যাপারে কুরআন চুপ রয়েছে। এর অর্থ এই নয় যে, তাদের কোন স্বামী থাকবে না। বরং বনু আদমের মধ্য থেকেই তাদের স্বামী থাকবেন। (ফাতাওয়া উছায়মীন নং ১৭৮, ২/৫৩) . যেমন আল্লাহ সেদিন বলবেন, তোমরা ও তোমাদের স্ত্রীগণ সন্তুষ্টচিত্তে জান্নাতে প্রবেশ কর’। (যুখরুফ ৪৩/৭০) . দুনিয়াতে নারী ও পুরুষ পরস্পরের কাম্যবস্ত্ত হিসাবে জান্নাতেও প্রত্যেকে তা পাবে। যেমন আল্লাহ বলেন, ‘তোমাদের জন্য সেখানে রয়েছে, যা কিছু তোমাদের মন চাইবে এবং যা কিছু তোমরা দাবী করবে’। (হা-মীম সাজদাহ ৪১/৩১) অতএব জান্নাতে নারীগণ তাদের চাহিদা অনুযায়ী স্বামী পাবেন। ——————————– দারুল ইফতা হাদীছ ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ মাসিক আত-তাহরীক প্রশ্নোওর
    ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন-উওর
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 2:21am

  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 2:23am

    Sogood Islam Syeds

    সঊদিয়ার চাঁদ অনুসারে রোযা-ঈদ চলবে না – – যে মুসলিম যে দেশে বাস করবে, সে সেই দেশেরই চাঁদ দেখা অনুযায়ী রোযা-ঈদ করবে। কেননা, মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যেদিন তোমরা রোযা রাখ, সেদিন রোযার দিন, যেদিন তোমরা ঈদ কর, সেদিন ঈদের দিন এবং যেদিন তোমরা কুরবানী কর সেদিন কুরবানীর দিন।’’ [(তিরমিযী, সিলসিলাহ সহীহাহ, আলবানী ২২৪নং)] সুতরাং সঊদী আরবে চাঁদ দেখার কথা প্রমাণ ও ঘোষণা করা হলে এবং যে দেশে ঐ মুসলিম বাস করে সে দেশ পূর্বে হলে ও সেখানে চাঁদ দেখার কথা প্রমাণ ও ঘোষণা না হলে সে সঊদিয়ার ঘোষণা মতে রোযা-ঈদ করতে পারে না। যেমন সঊদিয়ার ইফতারীর সময় অনুসারে অন্য দেশের কেউ ইফতারী করতে পারে না। [(ফাসিঃ, মুসনিদ ২০পৃঃ)] গ্রন্থঃ রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল | রচনা/অনুবাদ/সংকলনঃ আবদুল হামীদ ফাইযী
    M Towfiqur Rahman
  • June 7
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 9:59am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 10:06am

    Sogood Islam Syeds

    #তারাবীহ ৮ রাকাত পড়া সুন্নাত। ২১টা সহীহ দলিলসমূহ: . . ১. মিশকাত ৩য় খন্ড, হা/১২২১, ১২২৭, ১২২৮, ১২২৯। মাওলানা নূর মোহাম্মাদ আযমী। ২. মিশকাত ২য় খন্ড হা/১২২১, ১২২৮, ১২২৯। মাদ্রাসার পাঠ্য। ৩. বুখারী ১ম খন্ড হা/৬০৮। মাওলানা আজীজুল হক। ৪. বুখারী ১ম খন্ড হা/১০৫৮, ১০৭৬। ২য় খন্ড হা/১৮৭০। ৫. বুখারী ৩য় খন্ড হা/১৮৮১। ইসলামিক ফাউন্ডেশন। ৬. মুসলিম ৩য় খন্ড হা/১৫৮৭, ১৫৮৮, ১৫৯০, ১৫৯৩, ১৫৯৪, ১৫৯৬, ১৫৯৭। 14 hrs · Friend
    সত্যের মাঝে ফুটন্ত গোলাপ
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 11:15am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 11:28am

    Sogood Islam Syeds

    বিষয় :- তারাবীহ ৮ রাকাত পড়া সুন্নাত।সহীহ হাদীছ সমূহ: . . রামাযান বা রামাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ (সা:) হতে রাত্রির ছালাত তিন রাকআত বিতরসহ ১১ রাকাত ছহীহ সূত্রে প্রমাণিত হয়েছে। যেমন মা আয়েশা (রা:) বলেন, . রামাযান বা রামাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ (সা:) রাতের ছালাত এগার রাকাতের বেশী আদায় করেননি। তিনি প্রথমে (২+২)১ চার রাকআত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিঙ্গেস কর না। অতঃপর তিনি (২+২) চার রাকআত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিঙ্গেস করো না। অতঃপর তিন রাকআত পড়েন।২ . ১. মুত্তাফাক্ব আলাইহ, মিশকাত হা/১১৮৮ রাত্রির ছালাত অনুচ্ছেদ। ২. বুখারী ১/১৫৪ পৃঃ, হা/১১৪৭। মুসলিম ১/২৫৪ পৃঃ, হা/১৭২৩। তিরমিযী হা/৪৩৯।আবুদাঊদ হা/১৩৪১। নাসাঈ হা/১৬৯৭। মুত্তয়াত্ত্বা, পৃঃ ৭৪,হা/২৬৩। আহমাদ হা/২৪৮০১।ছহীহ ইবনু খুযায়মা হা/১১৬৬।বুলূগুল মারাম হা/৩৬৭।তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৪৩৭।বায়হাক্বী ২/৪৯৬ পৃঃ হা/৪৩৯০।ইরওয়াউল গালীল হা/৪৪৫-এর ভাষ্য, ২/১৯১-১৯২। মিরআতুল মাফাতীহ হা/১৩০৬ এর ভাষ্য, ৪/৩২০-২১। . আরো একাধিক সহীহ হাদীছ আছে, যে গুলো প্রমান করে যে,রাসূল (সা:) তারাবি ৮রাকআত পড়তেন।আল্লাহ আমাদের হেদায়াত করুন। {আমিন!} . দয়াকরে
    Hossain Mahmud Bukhari
  • June 7
  • Sogood Islam Syeds
    6/7, 11:33pm

    Sogood Islam Syeds

    তারাবিহ ২০ রাকাত নয়, ৮ রাকাতই সহীহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত ৷ [ ১ম পর্ব ] ======================================= [ সত্যের সাথে, সত্যের পথে ] ———————— আবূ সালামাহ ইবনু ‘আবদুর রাহমান রহঃ হতে বর্ণিত। তিনি ‘আয়িশাহ্ রাযিঃ-কে জিজ্ঞেস করেন যে, রমাযানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর সালাত কিরূপ ছিল? তিনি বললেন, রমাযান মাসে ও রমাযানে ব্যতীত অন্য সময়ে (রাতে) তিনি এগার রাক‘আত হতে বৃদ্ধি করতেন না। তিনি চার রাক‘আত সালাত আদায় করতেন, তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি চার রাক‘আত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। এরপর তিন রাক‘আত সালাত আদায় করতেন। আমি [‘আয়িশাহ রাযিঃ ] বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আপনি বিতর আদায়ের আগে ঘুমিয়ে যাবেন? তিনি বললেন, হে ‘আয়িশাহ্! আমার দু’চোখ ঘুমায় বটে কিন্তু আমার কালব নিদ্রাভিভূত হয় না। [সহীহ বুখারী, তাওহীদ প্রকাশনীঃ ২০১৩, আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৮৭০, ইসলামী ফাউন্ডেশনঃ ১৮৮৩ ] তারাবীহর রাক‘আতের সংখ্যা : সহীহ ও নির্ভরযোগ্য হাদীসের মাধ্যমে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে তিন ধরনের সংখ্যা বর্ণনা করা হয়েছে, ১৷ ১১ রাক‘আতঃ আয়িশাহ রাযিঃ থেকে বিভিন্ন সনদে ও ভাষা-ভঙ্গিতে বর্ণিত হয়েছে যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাত্রিকালে ইশার পরের দু’রাক‘আত ও ফাজরের পূর্বের দু’রাক‘আত সুন্নাত বাদে সর্বমোট এগার রাক‘আত সলাত আদায় করতেন। এক বর্ণনায় এসেছে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাযান ও অন্যান্য মাসেও রাত্রে ১১ রাক‘আতের বেশী নফল সলাত আদায় করতেন না। [ বুখারী হাদীস নং- ১১৪৭, ১১৩৯, ৯৯৪, ২০১৩, মুসলিম- সলাতুল্লাইল ওয়াল বিত্র ৬/১৬,১৭,২৭] ২৷ ১৩ রাক‘আতঃ- ইবনু আববাস রাঃ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাত্রিকালে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১৩ রাক‘আত নফল সলাত আদায় করতেন। [ বুখারী হাদীস নং ১১৩৮, তিরমিযী (তুহ্ফা সহ) ৪৪০] ইবনু আববাস রাঃ-এর হাদীসে ১১ রাক‘আতের চেয়ে দু’রাক‘আত বৃদ্ধি পাওয়া যায়। এ বর্ধিত ২ রাক‘আত এর ব্যাখ্যা বিভিন্নভাবে পাওয়া যায়। নাসাঈ গ্রন্থে ইবনু আববাসের বর্ণিত হাদীসে- ১৩ রাক‘আতের বর্ণনা এসেছে। ৮ রাক‘আত রাত্রের সলাত, তিন রাক‘আত বিত্র ও দু’রাক‘আত ফজরের পূর্বের সুন্নাত। [ নাসাঈ ৩/২৩৭, ফাতহুল বারী ২/৫৬২] ফাজরের দু’রাক‘আত সুন্নাত ধরে আয়িশাহ রাযিঃ ও ১৩ রাক‘আতের কথা বর্ণনা করেছেন। দেখুন বুখারী হাদীস নং ১১৪০, মুসলিম- সলাতুল লাইলি ওয়াল বিত্র ৬/১৭-১৮, ফাতহুল বারী ২/৫৬২, বুখারীতে আয়িশাহ রাযিঃ-এর কোন কোন বর্ণনায় ১১ ও দু’রাক‘আতকে পৃথক করে দেখানো হয়েছে; হাদীস নং ৯৯৪, ১১৪০। যে সমস্ত বর্ণনায় ১৩ রাক‘আতের বিস্তারিত বর্ণনা আসেনি, সে সমস্ত বর্ণনায় ফজরের ২ ক‘আত কিংবা ইশার ২ রাক‘আত সুন্নাত উদ্দেশ্য। [ ফাতহুল বারী ২/৫৬২ পৃষ্ঠা] কোন কোন বর্ণনায় এসেছে যে, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রাত্রের সলাত উদ্বোধন করতেন হালকা করে দু’রাক‘আত সলাত আদায়ের মাধ্যমে। হতে পারে এই ২ রাক‘আত নিয়ে ১৩ রাক‘আত। কিন্তু এই ২ রাক‘আত সলাত বিভিন্ন হাদীসের মাধ্যমে ইশার সুন্নাত বলেই প্রতীয়মান হয়। [ আলবানী প্রণীত সলাতুত্ তারাবীহ ১৭ নং টীকা ] ৩৷ পনের রাক‘আতঃ- ইশার পরের ও ফজরের পূর্বের দু’রাক‘আত সুন্নাত সলাত সহ আয়িশাহ রাযিঃ ও ইবনু আববাস উভয়েই ১৫ রাক‘আত বর্ণনা করেছেন। আয়িশাহ রাযিঃ-এর হাদীস নং ১১৬৪, ইবনু আববাস রাঃ-এর হাদীস নং ৯৯২। সহীহ হাদীসসমূহের মাধ্যমে ও পূর্বাপর প্রায় সকল মুহাদ্দিস ও ফাক্বীহগণের মতে রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১১ বা ইশা অথবা ফজরের সুন্নাত মিলিয়ে ১৩ বা উভয় সলাতের সুন্নাত মিলিয়ে ১৫ রাক‘আতের বেশী রাত্রের সলাত পড়েননি। [ রমাযান সম্পর্কিত রিসালাহঃ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম] কেউ বলতে পারেন যে, যদি ১১ বা ১৩ এর অধিক রাক‘আত তারাবীহ পড়া সহীহ হাদীস দ্বারা সাব্যস্ত না হয় বরং সহীহ সাব্যস্ত হাদীসের বিপরীত হয় তবে সঊদী আরবে মাক্কাহ-মাদীনার মাসজিদদ্বয়ে কেন ২০ রাক‘আত পড়ানো হয় ? হ্যাঁ- এ কথা সত্য, তবে ১০ রাকাত পড়ানোর পর ঈমাম পরিবর্তন হয়ে চলে যায় ৷ মাক্কার মাসজিদুল হারাম, মাসজিদে ‘আয়িশাহ সহ দু’চারটি মাসজিদ এবং মাদীনার মাসজিদে নাববী, কূবা ও ক্বিবলাতাইন এবং বিভিন্ন শহরে দু’একটি করে মাসজিদ ব্যতীত সৌদি আরবের হাজার হাজার মাসজিদে লক্ষ লক্ষ ও কোটি মুসলিম সহীহ হাদীস মোতাবেক ১১ রাক‘আত পড়েন। কেউ প্রশ্ন করতে পারেন যদি ২০ রাক‘আত সহীহ হাদীসের বিপরীত হত তবে মাক্কাহ- মাদীনাহর মাসজিদে পালন করা হত না। জবাবে বলা হবে, ৮০১ হিজরী থেকে শুরু করে ১৩৪৩ হিজরী পর্যন্ত সর্বমোট ৫৪২ বৎসর ধরে মাক্কার মাসজিদুল হারামে এক সলাত চার জামা‘আতে আদায় করার জঘন্যতম বিদ‘আত যদি এতদিন চলতে পারে তবে তারাবীর ক্ষেত্রে সহীহ হাদীসের বিপরীত আমল চালু থাকা বিচিত্র কিছু নয়। আজ থেকে ৬৯ বৎসর পূর্বে যেমন চার জামা‘আত উঠে গেছে, সহীহ হাদীস মুতাবিক এক জামা‘আতে আদায় করা হচ্ছে তেমনি এক সময় ২০ রাক‘আত উঠে গিয়ে সহীহ হাদীস মোতাবেক ১১ রাক‘আত চালু হওয়া দূরের কোন ব্যাপার নয়। যে সমস্ত হাদীসের কিতাবে ১১ রাক‘আতের দলীল বিদ্যমান তা উল্লেখ হলো :- ১৷ বুখারী ১ম খন্ড ১৫৪,২৬৯ পৃষ্ঠা। ২৷ মুসলিম ২৫৪ পৃষ্ঠা। ৩৷ আবূ দাঊদ ১ম খন্ড ১৮৯ পৃষ্ঠা। ৪৷ নাসাঈ ১৪৮ পৃষ্ঠা। তিরমিযী ৯৯ পৃষ্ঠা। ৫৷ ইবনু মাজাহ ৯৭-৯৮ পৃষ্ঠা। ৬৷ মুয়াত্তা মালিক ১৩৮ পৃষ্ঠা। ৭৷ সহীহ ইবনু খুযাইমাহ ৩য় খন্ড ৩৪১ পৃষ্ঠা। ৮৷ যাদুল মাআদ ১ম খন্ড ১৯৫ পৃষ্ঠা। ৯৷ বুখারী ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৩য় খন্ড হাদীস নং ১৫৯২-১৫৯৭। ১০৷ বুখারী আযিযুল হক ১ম খন্ড হাদীস নং ৬০৮। ১১৷ বুখারী আধুনিক প্রকাশনী ১ম খন্ড হাদীস নং ১০৭৬, ২য় খন্ড হাদীস নং ১৮৭০। ১২৷ মিশকাত নূর মোহাম্মদ আযমী ৩য় খন্ড ও মাদ্রাসা পাঠ্য ২য় খন্ড হাদীস নং ১২২৮। ১৩৷ হাদীস শরীফ মাওঃ আব্দুর রহীম ২য় খন্ড ৩৯০ পৃষ্ঠা ৷ আসুন নিজেকে পরিবর্তন করি, কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ মোতাবেক জীবন গড়ি ৷ শান্তির জন্য পরিবর্তন আর পরিবর্তনের জন্যেই ইসলাম ৷
    সত্যের মাঝে ফুটন্ত গোলাপ
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 12:32am

    Sogood Islam Syeds

    বিশ রাকআত তারাবীহ এর পক্ষে একটি ইশতিহারের সংক্ষিপ্ত জবাব
    আমার একজন বন্ধু (হাফেয ফেরদাউস হাযরাভী) আমাকে একটি ইশতিহার দিয়েছেন। যেখানে এই দাবি করা হয়েছে যে, “মাসনূন তারাবীহ বীস হ্যায়” এবং এই দাবি করা হয়েছে যে, এর প্রমাণপুষ্ট জবাব যেন লেখা হয়। সে জন্য এই সংক্ষিপ্ত জবাবটি ইনছাফ প্রিয় পাঠকদের খেদমতে পেশ করা হল। বিশ রাকআত তারাবীহর সুন্নাতের… #beesh #bish #er
    shottanneshi.com
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 12:43am

    Sogood Islam Syeds

    সৌদিতারাবিহ রসূল(সাঃ) এর সুন্নাত হলো ৮ রাকাআত তারাবীহ ৷ আপনারা বলতে পারেন, যদি ১১ রাকাত তারাবীহ পড়া সহীহ হাদিস দ্বারা সাব্যস্ত হয়, তবে সউদী আরবে মক্কা-মদীনার মসজিদ দুটোতে কেন ২০ রাকাত পড়ানো হয় ? এটা সত্য কথা। ওখানেও কেউ চাইলে ৮রাকাত পড়ে চলে আসতে পারেন। তবে মক্কার মসজিদুল হারাম,মাসজিদে আয়েশাসহ ২/৩ টা মসজিদ ও মদীনার মসজিদে নববী,কুবা ও কিবলাতাইন এবং বিভিন্ন শহরে ২/১ টা মসজিদ করে মসজিদ ছাড়া সৌদী আরবের হাজার হাজার মসজিদে সহীহ হাদীস অনুযায়ী ১১ রাকাত পড়ানো হয়। এবার বলতে পারেন ২০ রাকাত সহীহ হাদীসে না থাকলে, বাইতুল্লাহ /মসজিদে নববীতে কিভাবে পড়ানো হয় ? জবাব হল, ৮০১ হিজরী থেকে শুরু করে, ১৩৪৩ হিজরী পর্যন্ত মোট ৫৪২ বছর ধরে মক্কার “মসজিদুল হারামে” “১ সালাত ৪ জামাতে” আদায় করার বিদ’য়াত যদি এতদিন চলতে পারে, তবে তারাবীর ক্ষেত্রে সহীহ হাদিসের বিপরীত আমল চালু থাকা কোন ব্যাপার না। এখন থেকে মাত্র ৭০ বছর আগে “৪ জামাত” উঠে গেছে, সহীহ হাদীস অনুযায়ী “১ জামাত” আদায় করা হচ্ছে। তেমনি হঠাৎ হয়তো এমন একজন সংস্কারক আসবেন, যিনি সঠিকটা চালু করবেন।কিন্তু ৫৪২ বছরে কি বিশাল পরিমান মানুষ, এই বিদ’য়াতী আমল করে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। কাজেই আমাদের সঠিক হাদীস অনুসরন করা উচিৎ। ::::>- ৮রাকাত তারাবির সলাতের সহি দলিলসমূহঃ——- ♦একদা উম্মুল মুমিনীন আয়েশা(রাঃ) কে জিজ্ঞেস করা হল রমজান মাসে রসুল(সঃ) এর সলাত কেমন ছিল? তিনি বল্লেন, রামাযান ও রামাযান ছাড়া অন্য মাসে রসুল(সঃ) এর রাতের সলাত ১১ রাকাতে বেশী ছিল না(বুখারী:২০১৩, মুসলিম:৭৩৮, আবু দাউদ:১৩৪১, নাসাঈ:১৬৯৭, তিরমিঝি:৪৩৯, আহমদ:২৪১১৯, মুওয়াত্তা মালেক:৩৯৪)। ♦যাবের ইবনু আব্দুল্লাহ(রা:) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন রমযান মাসে রসুলু্ল্লাহ(সঃ) আমাদেরকে ৮রাকাত তারাবিহ ও বিতর সলাত পড়াতেন(সহি ইবনু খুযায়মা:১০৭০, সনদ হাসান:২/১৩৮পৃ:, মিরআত:৪/৩২০) ♥তারাবি ২০ রাকাত বলতে – ইসলাম ধর্ম গ্রহন্তে কছুু নেই? (৮+ ৩) রাসূল(সা:) পড়ছেন:- সহহী বুখারী – ২০১৩, সহহী বুখারি – ১১২৩, সহহী বুখারি – ১১৩৯, ১১৪০, সহহী বুখারি – ৯৯৪, ২০১০। —————-++++———> ইসলাম।
    Mahbubul Islam Khokon
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 12:47am

    Sogood Islam Syeds

    রোজা এবং নামাযের নিয়ত করতে হয় না পড়তে হয়? ১৩ জন আলিমের কাছ থেকে জেনে নিন!
    রোজা এবং নামাযের নিয়ত করতে হয় না পড়তে হয়? ১৩ জন বিজ্ঞ আলিমের কাছ থেকে জেনে নিন!
    youtube.com
  • June 8
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 9:25am

  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 9:28am

    Sogood Islam Syeds

    সিয়ামের কাযা ও কাফফারা কী জিনিস? এগুলো কীভাবে আদায় করতে হয়? অনিচ্ছাকৃত বা উযরবশত ছুটে যাওয়া সাওমের বদলে কাযা, আর উযরছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে ছেড়ে দেয়া সাওমের বদলে দিতে হয় কাফফারা। কাযা হলে সম পরিমাণ সাওম আদায় করতে হয়। আর কাফ্ফারা হলে, সাওম না রাখার কারণে সুনির্দিষ্ট কিছু কর্তব্য পালন করতে হয়। কাফফারা তিন ধরনের। (১) গোলাম আযাদ করা, আর তা সম্ভব না হলে (২) একাধারে ৬০টি রোযা রাখা, আর সেটিও সম্ভব না হলে (৩) ৬০ জন মিসকীনকে এক বেলা খানা খাওয়ানো।
    Jhony Ahmed
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 10:53am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 8
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 7:47pm

    Sogood Islam Syeds

    ২০ রাকাত তারাবির পোস্টমর্টেম রিপোর্ট এবং ৮ রাকাতই সহীহ সুন্নাহ দ্বারা প্রমানিত ৷ [ ২য় পর্ব ] ======================================= [ সত্যের পথে, সত্যের সাথে ] ———————— ইবনে আববাস রাঃ বলেন, রসূলুল্লাহ রমাযান মাসে জামাআত ব্যতীতই বিশ রাক‘আত তারাবীহ পড়তেন। তারপর বিতর পড়তেন।-এটি জাল হাদীস। হাদীসটি বর্ণিত হয়েছে ইবনে আবি শায়বা ‘মুসান্নাফ’ ২/৯০/২, আব্দ বিন হামিদ ‘মুনতাখাব মিনাল মুসনাদ’, তাবারানী ‘মু’জামুল কাবীর’ ৩/১৪৮/২ ও ‘আওসাত’ ইবনে আদী ‘কামেল’ ১/২৩, খতীব ‘‘মুওয়াজ্জেহ’’ গ্রন্থে ১/২১৯, বাইহাকী ২/৪৯৬ ও অন্যান্যরা। এদের প্রত্যেকেই আবী শায়বার সনদে এটি বর্ণনা করেছেন। হাদীসের পূর্ণ সনদ নিম্নরূপ- ইমাম তাবারানী বলেন, ইবনে আববাস হতে এই সনদ ব্যতীত অন্য সনদে এটি বর্ণিত হয়নি। ইমাম বাইহাকী বলেন, এটি আবূ শায়বার একক বর্ণনা আর সে হলো যঈফ রাবী। আল্লামা আলবানী রহঃ বলেন- ‘‘আর অনুরূপ হাইসামী রহঃ বলেছেন যে, এখানে আবূ শায়বা হলো যঈফ’’। হাফিয রহঃ বলেন, ইবনে আবি শায়বার সম্পৃক্ততার কারণে সনদটি দুর্বল। হানাফী মাযহাবের বিখ্যাত হাফিযে হাদীস আল্লামা জামালুদ্দীন যায়লায়ী হানাফী রহঃ-ও এর সনদকে যঈফ বলেছেন। তিনি হাদীসের মতনকে অস্বীকার করে বলেন, আর এটি আয়িশাহ রাযি. হতে বর্ণিত বিশুদ্ধ হাদীসের বিপরীত। আয়িশার হাদীসটি হলো- রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমাযানে ও অন্যান্য সময়ে এগারো রাকআতের বেশি পড়তেন না। অতঃপর দেখুন নাস্বুর রায়া ২/১৫৩, হাফিয ইবনু হাজার রহঃ- ও একই কথা বলেছেন। ফকীহ আহমাদ বিন হাজার রহঃ ‘ফাতাওয়া কুবরা’ গ্রন্থে বলেন- নিশ্চয় ওটি চরম দুর্বল হাদীস। ইরওয়াউল গালীল ৪৪৫। এছাড়াও সনদে আবূ শায়বা ইবরাহীম বিন ওসমান সম্পর্কে- ইমাম নাসাঈ রহঃ বলেন- সে পরিত্যক্ত ইমাম শু’বা রহঃ বলেন, সে মিথ্যাবাদী। ইমাম দারেমী রহঃ বলেন, তার বর্ণিত কথা দলিল হিসেবে গণ্য নয়। মিযানুল ঈতিদাল ১ম খন্ড। আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী রহঃ বলেন, আমার দৃষ্টিতে তিনটি কারণে হাদীসটি জাল। ১৷ হাদীসটি ‘আয়িশাহ রাযিঃ ও জাবির রাঃ বর্ণিত হাদীসের বিপরীত। ২৷ সনদে আবূ শায়বা দুর্বলতায় চরম যা ইমাম বাইহাকী ও অন্যান্যদের উদ্ধৃতি দ্বারা বুঝা গেছে। তদুপরি তার সম্পর্কে-ইবনে মাঈন বলেছেন, সে নির্ভরযোগ্য নয়। জাওযাজানী বলেছেন, সে বর্জিত। শু’বা তাকে মিথ্যাবাদী বলেছেন। ইমাম বুখারী রহঃ বলেছেন- তার ব্যাপারে কেউ মত ব্যক্ত করেননি। ইমাম বুখারী যখন কারো সম্পর্কে বলেন, তখন সেই ব্যক্তির অবস্থান হয় নিকৃষ্টতর ও তার নিকট অধিকতর খারাপ। ৩৷ আবূ শায়বার হাদীসে বলা হয়েছে যে, নাবী রমাযানে জামাআত ছাড়া নামায পড়েছেন। এটি অনুরূপ জাবির রাঃ-এর হাদীসের বিরোধী। ‘আয়িশাহ রাযিঃ-এর অন্য হাদীসে রয়েছে- নিশ্চয় রসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এক রাত্রিতে রাতের মধ্যভাগে বের হলেন এবং মাসজিদে সলাত আদায় করলেন। লোকেরাও তাঁর সাথে সলাত আদায় করল। অতঃপর মানুষেরা সকালে উপস্থিত হয়ে বলাবলি করতে লাগল এবং দ্বিতীয় রাত্রে তাদের চেয়েও বেশি লোক জমায়েত হলো এবং তাঁর সাথে সলাত আদায় করল। এরপর লোকেরা সকালে উপনীত হয়ে সলাতের ব্যাপারে বলাবলি করতে লাগল। অতঃপর তৃতীয় রাত্রিতে মাসজিদে মুসল্লীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেল। অতঃপর রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বের হয়ে সলাত আদায় করলেন। হাদীসটি জাবির রাঃ-এর হাদীসের অনুরূপ। আর তাতে রয়েছে যে- বরং আমি ভয় করেছিলাম তোমাদের উপর ফারজ হয়ে যাবার। ফলে তা পালনে তোমরা অপারগ হয়ে পড়বে। সহীহ বুখারী ও মুসলিম। এ সকল দিকগুলোই প্রমাণ করে যে, আবী শায়বার হাদীসটি বানোয়াট। [ সিলসিলাতুল আহাদীসিয যঈফা অল-মাওযুআ ৫৬০] ২ ৷ ইয়াহইয়া বিন সাঈদ হতে বর্ণিত। নিশ্চয় উমার রাঃএক ব্যক্তিকে তাদের সাথে বিশ রাক‘আত নামায পড়ার নির্দেশ দিয়েছেন। হাদীসটি মুনকাতে‘। ইবনে আবী শায়বা- মুসান্নাফ ২য় খন্ড ১৬৩ পৃষ্ঠা, হাদীস নং ৭৬৮২, এই বর্ণনাটি মুনকাতি‘। আল্লামা মুবারাকপুরী ‘তুহফাতুল আহওয়াযী’ গ্রন্থে বলেছেন, আল্লামা নিমভী রহঃ ‘আসার আসসুনান’ গ্রন্থে বলেছেন, ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আনসারী উমার রাঃ-এর সময় পান নাই। আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলবানী বলেন, তার সিদ্ধান্ত নিম্ভী রহঃ-এর অনুরূপ। এই আসারটি মুনকাতে‘ যা দলিল গণ্য হবার জন্য শুদ্ধ নয়। তদুপরি এটি উমার রাঃ হতে বিশুদ্ধ সনদে বর্ণিত প্রতিষ্ঠিত হাদীসের বিপরীত। হাদীসটি হলো- ‘উমার রাঃ দু’জন সাহাবী (১) উবাই বিন কা‘ব (২) তামীমদারীকে রমাযান মাসে ১১ রাক‘আত নামায পড়ানোর নির্দেশ প্রদান করেছিলেন। [ মুয়াত্তা মালিক হাদীস নং ২৫৩] হাদীসটি ‘মুয়াত্তা’ মালিক গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। এমনিভাবে ইয়াহইয়া বিন সাঈদের হাদীস রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে প্রমাণিত বিশুদ্ধ হাদীসের বিরোধী। তাছাড়া ইয়াহইয়া বিন সাঈদকে কেউ কেউ মিথ্যাবাদীও বলেছেন। যেমন, ইমাম আবূ হাতিম রহঃ বলেন, ইয়াহইয়া বিন সাঈদ কর্তৃক বর্ণিত কোন কথাই সত্য নয় বরং প্রত্যাখ্যাত। কারণ, সে হলো মিথ্যাবাদী। [ জরহে আত্তাদীল ৯ম খন্ড, তাহযীবুত তাহযীব ৬ষ্ঠ খন্ড ] আবুল হাসানা বলেন, আলী রাঃ এক ব্যক্তিকে বিশ রাক‘আত তারাবীহ পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। এ হাদীসের সনদ যঈফ। মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ২য় খন্ড, বাইহাকী ২/৪৯৬, ইমাম বাইহাকী বলেন, এর সনদে দুর্বলতা রয়েছে। আল্লামা আলবানী রহঃ বলেন, এতে আবুল হাসানা ত্রুটি যুক্ত। তার সম্পর্কে ইমাম যাহাবী বলেছেন, সে কে তা জানা যায়নি। হাফিয রহঃ বলেছেন, সে অজ্ঞাত। আবুল হাসানা কর্তৃক বর্ণিত হাদীস প্রত্যাখ্যাত। মিযানুল ই‘তিদাল ১ম খন্ড, যঈফ সুনানুল কুব্রা ২য় খন্ড, বাইহাকী। আব্দুল আযীয বিন রাফে‘ বলেন, উবাই বিন কা‘ব রমাযান মাসে মদীনায় লোকদের সাথে বিশ রাক‘আত (তারাবীহ) নামায পড়েছেন এবং বিতর পড়েছেন তিন রাকাআত। হাদীসটি মুনকাতে‘। মুসান্নাফ আবী শায়বা ২/৯০/১। এখানে আব্দুল আযীয ও উবাই এর মধ্যে ইনকিতা‘ হয়েছে। কেননা, তাদের উভয়ের মৃত্যুর ব্যবধান ১০০ বছর বা তারও অধিক সময়ের। দেখুন- (তাহযীবুত তাহযীব) আর এজন্যই আল্লামা নিম্ভী হিন্দী রহঃ বলেছেন যে, আব্দুল আযীয বিন রাফে, উবাই বিন কা‘বের সময় পান নাই। আল্লামা আলবানী বলেন, এখানে উবাই বিন কা‘বের আসারটি মুনকাতে‘। সাথে সাথে এটি উমার রাঃ বর্ণিত হাদীসের বিরোধী। যা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে ৷ অনুরূপ এটি উবাই এর সপ্রমাণিত বর্ণনার বিরোধী। বর্ণনাটি হলো- উবাই বিন কা‘ব বলেন, তিনি রমাযান মাসে তার ঘরে মহিলাদের নিয়ে আট রাক‘আত (তারাবীহ) সলাত আদায় করতেন। অনুরূপ আবূ ইয়ালায় বর্ণিত জাবির রাঃ-এর হাদীস- আব্দুল্লাহ বলেন, উবাই বিন কা‘ব রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর নিকট এসে বললো, হে আল্লাহর রসূল! রমাযানের রাত্রিতে আমার একটি ব্যাপার ঘটে গেছে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তা কী হে উবাই! সে বললো, আমার ঘরের নারীরা বলে যে, আমরা কুরআন পাঠ করবো না বরং আপনার সঙ্গে নামায পড়বো ? তিনি বললেন, আমি তাদের নিয়ে আট রাক‘আত নামায পড়লাম এবং বিতর পড়লাম। হাইসামী বলেছেন, এর সনদ হাসান, আলবানীর মতও তাই। সায়িব বিন ইয়াযীদ বলেন, আমরা উমার ইবনুল খাত্তাব রাঃ-এর সময় ২০ রাক‘আত তারাবীহ ও বিতর পড়তাম। [ নাস্বুর রায়া- লিআহাদীসে হিদায়া ২য় খন্ড, ৯৯ পৃষ্ঠা ] হাদীসটির সনদ যঈফ। হাদীসের সনদে- ১) আবূ উসমান বাসরী রয়েছে। সে হাদীসের ক্ষেত্রে অস্বীকৃত। ২) খালিদ বিন মুখাল্লাদ রয়েছে। সে যঈফ। তার বর্ণনা প্রত্যাখ্যাত, তার কোন বর্ণনা দলীল হিসেবে গণ্য নয়। তদুপরি সে ছিল শিয়া ও মিথ্যাবাদী। [তাহ্যীব ২য় খন্ড] ৩) ইয়াযীদ বিন খুসাইফা রয়েছে। তার সকল বর্ণনা প্রত্যাখ্যাত। [মিযানুল ই’তিদাল, তাহযীবুত্ তাহযীব ২য় খন্ড] ইয়াযীদ বিন রুমান বলেন, উমার রাঃ-এর সময় লোকেরা (রমাযানে) ২৩ রাক‘আত নামায পড়তো। এটির সনদ যঈফ। মালিক ১/১৩৮, ফিরইয়াবী ৭৬/১, অনুরূপ বাইহাকী ‘সুনান’ ২/৪৯৬ এবং ‘‘মা’রেফা’’ গ্রন্থে আর তাতে তিনি হাদীসটিকে এই বলে যঈফ বলেছেন যে, ইয়াযীদ বিন রুমান উমার রাঃ-এর যামানা পান নি। ইমাম যায়লায়ী হানাফী (রহঃ) ও নাস্বুর রায়াহ গ্রন্থে একই কথা বলেছেন- দেখুন নাস্বুর রায়াহ ২/১৫৪। ইমাম নববী রহঃ- এটিকে যঈফ বলেছেন, মজমু’ গ্রন্থে। অতঃপর তিনি বলেছেন, হাদীসটি ইমাম বাইহাকী বর্ণনা করেছেন। কিন্তু সেটি মুরসাল। কেননা, ইয়াযিদ বিন রুমান উমার (রাঃ)-এর সময়ে ছিলো না ৷ * অনুরূপ আল্লামা বদরুদ্দীন আইনী রহঃ এটিকে যঈফ বলেছেন- ‘উমদাতুল কারী শরহে সহীহ বুখারী [৫/৩০৭] গ্রন্থে এই বলে যে, এর সনদ মুনকাতে‘। * আল্লামা নাসিরুদ্দীন আলাবানী রহঃ-ও এটিকে যঈফ বলেছেন। [ ইরওয়ালিল গালীল ২/১৯২] তারাবীহর রাক‘আত সম্পর্কে মনীষীদের পর্যালোচনা * শায়খ আব্দুল হক মুহাদ্দিস দেহলভী হানাফী রহঃ বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে ২০ রাকআতের প্রমাণ নেই। ২০ রাকআতের হাদীস দুর্বল সনদে বর্ণিত হয়েছে। যার দুর্বলতার ব্যাপারে সকল হাদীস বিশারদগণ একমত। * হিদায়া গ্রন্থের ব্যাখ্যাকার আল্লামা ইবনেল হুমাম রহঃ বলেন, তাবারানী ও ইবনে আবী শায়বার হাদীস দুর্বল এবং বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত বিশুদ্ধ হাদীসের বিরোধী। ফলে এটি বর্জনীয়। * আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী রহঃ বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কেবলমাত্র ৮ রাক‘আত তারাবীহ-এর হাদীসটি সহীহ সনদে বর্ণিত হয়েছে। ২০ রাক‘আতের হাদীস যঈফ। এ ব্যাপারে সকলে একমত। খুবই সঠিক কথা স্বীকার করা ছাড়া আমাদের উপায় নেই যে, রসূলুল্লাহর তারাবীহের নামায ছিল ৮ রাক‘আত। [আল-‘উরফুশ শাযী ৩০৯ পৃষ্ঠা ] * মোল্লা আলী কারী হানাফী রহঃ বলেন, হানাফী শায়খদের কথার দ্বারা বিশ রাক‘আত তারাবীহ বুঝা যায় বটে কিন্তু দলীল প্রমাণ মতে বিতর সহ ১১ রাক‘আতই সঠিক। [মিরকাত ১ম খন্ড] * আল্লামা ইবনে হাজার আসকালানী রহঃ বলেন,২০ রাক‘আতের হাদীস সহীহ হাদীসের বিরোধী হওয়ায় তা বিনা দ্বিধায় বর্জনীয়। একই ধরনের মন্তব্য করেছেন- ইমাম নাসাঈ ‘যুআফা’ গ্রন্থে, আল্লামা আইনী হানাফী উমদাতুল কারী গ্রন্থে, আল্লামা ইবনু আবেদীন ‘হাশিয়া দুররে মুখতার’ গ্রন্থে এবং অন্যান্য বহু মনীষীগণ। বর্তমান জগতে সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আলবানী রহঃ তাঁর প্রণীত ‘সলাতুত তারাবীহ’ গ্রন্থে তারাবীহর রাক‘আত সংখ্যা সম্পর্কে বলেন : নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ১১ রাক‘আত তারাবীহ সলাত আদায় করেছেন। যে হাদীসে তাঁর বিশ রাক‘আত পড়ার উল্লেখ রয়েছে তা খুবই দুর্বল। তাই এগার রাক‘আতের বেশি তারাবীহ পড়া জায়িয নয়। কেননা, বৃদ্ধি করাটাই রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর কর্মকে বাতিল ও তাঁর কথা অসার করাকে আবশ্যক করে দেয়। আর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর ভাষ্যঃ ‘‘তোমরা আমাকে যেরূপ সলাত আদায় করতে দেখেছ ঠিক সেভাবেই সলাত আদায় করো’’। আর সেজন্যই ফাজরের সুন্নাত ও অন্যান্য সলাতে বৃদ্ধি করা বৈধ নয়। যখন কারোর জন্য সুন্নাত স্পষ্ট হয় না এবং প্রবৃত্তির অনুসরণও করে না, ১১ রাক‘আতের বেশি তারাবীহ পড়ার কারণে তাদেরকে আমরা বিদ‘আতীও বলি না এবং গোমরাহও বলি না। এ ব্যাপারে চুপ থাকাটাই নিঃসন্দেহে উত্তম। কেননা, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণী হলোঃ ‘‘মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম -এর হিদায়াতই উত্তম হিদায়াত’’। আর উমার রাঃ তারাবীহ সলাতে কোন নতুনত্বই সৃষ্টি করেননি। বস্তুতঃ তিনি এই সুন্নাতে জামা‘আতবদ্ধতা সৃষ্টি করেছেন এবং সুন্নাতী রাক‘আত সংখ্যার ১১ হিফাজত করেছেন। উমার রাঃ সম্পর্কে যে উক্তি বর্ণনা করা হয়- তিনি এ তারাবীহর সংখ্যাকে অতিরিক্ত বিশ পর্যন্ত পৌঁছিয়েছেন- এর সনদের কিছুই সহীহ নয়। নিশ্চয় এর সনদের একটি অপরটিকে শক্তিশালী করে না এবং সমার্থতার ভিত্তিতে শক্তিশালী বুঝায় না। ইমাম শাফিয়ী রহঃ ও ইমাম তিরমিযী রহঃ এটিকে দুর্বল বর্ণনা বলেই নির্দেশনা দিয়েছেন এবং ইমাম নববী রহঃ, ইমাম যায়লায়ী রহঃ সহ অন্যান্যরাও এর কতককে যঈফ সাব্যস্ত করেছেন। যদি উল্লেখিত অতিরিক্ত করাটা প্রমাণিত হয়ও তথাপিও আজকের যুগে তা আমল করা ওয়াজিব নয়। কেননা, অতিরিক্ত করণটি এমন একটি কারণ যা সহীহ হাদীস থাকার কারণে দূর হয়ে গেছে। এই ২০ সংখ্যার উপর বাড়াবাড়ির ফল এই যে, সলাত আদায়কারীরা তাতে তাড়াহুড়া করে এবং সলাতের একাগ্রতা নষ্ট হয়ে যায়। এমনকি সলাতের বিশুদ্ধতাও নষ্ট হয়ে যায়। এ অতিরিক্ত সংখ্যা আমাদের গ্রহণ না করার কারণ ঠিক সেরূপ যেমন ইসলামী আইনে উমারের ব্যক্তিগত অভিমতঃ এক বৈঠকে তিন তালাককে তিন তালাক হিসেবে গ্রহণ না করা। আর এতদুভয়ের মাঝে কোনই পার্থক্য নেই। বরং আমরা গ্রহণ করেছি সেই যিনি [ নবী (সাঃ) ] তাদের (২০ রাক‘আতপন্থীর) গৃহীত ব্যক্তি হতে উত্তম। এমনকি তাদের গৃহীত ব্যক্তি মুকাল্লিদদের নিকটেও উত্তম। সাহাবীদের কেউ ২০ রাক‘আত তারাবীহ পড়েছেন- তার প্রমাণ নেই। বরং ইমাম তিরমিযী রহঃ আলী রাঃ-এর সূত্রে বর্ণিত হাদীসটি দুর্বল হওয়ার প্রতি ইঙ্গিত দিয়েছেন। নিশ্চয় ২০ রাক‘আতের ব্যাপারে ইজমা সাব্যস্ত হয়নি। তাই সুন্নাত সম্মত ১১ সংখ্যাকে আঁকড়ে ধরাই অবশ্য কর্তব্য যা রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও উমার রাঃ হতে প্রমাণিত। আর আমরাতো আদিষ্ট হয়েছি নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও তার খালীফা চতুষ্টয়ের সুন্নাত পালনে যারা ছিলেন সঠিক পথের দিশারী। ইমাম মালিক, ইবনুল আরাবীসহ অন্যান্য উলামা এই অতিরিক্ত ২০ সংখ্যাকে অপছন্দ করেছেন ৷ মহান আল্লাহ আমাদের সকলকে সহীহ বুঝ দান করুন এবং সে অনুযায়ী আমল করার তৌফিক দান করুন ৷ আমীন— আসুন কুরআন ও সহীহ সুন্নার অনুসরণ করি, আদর্শ জীবন গড়ি ৷ শান্তির জন্য পরিবর্তন আর পরিবর্তনের জন্যেই ইসলাম ৷
    সত্যের মাঝে ফুটন্ত গোলাপ
  • Sogood Islam Syeds
    6/8, 7:55pm

    Sogood Islam Syeds

    Habibullah Reza added a new photo.
    ***পবিত্র মাহে রামাদান **** পর্ব – 1 (প্রথমাংশ) ১. রমযানের পূর্বে সওমের নিষেধাজ্ঞা আবুহুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামইরশাদ করেন:»لا يَتَقَدَّمَنَّ أحَدُكُم رَمَضَانَ بصَومِ يومٍ أو يومَينِ إلا أنْ يَكونَ رَجُلٌ كان يَصُومُ صَومَه فَليَصُمْ ذَلكَ اليَوم« رواه الشيخان.“তোমাদের কেউ যেন একদিন বা দু’দিনের সওমের মাধ্যমে রমযানকে এগিয়ে না আনে, তবে কারো যদি পূর্বের অভ্যাস থাকে, তাহলে সে ঐ দিন সওম রাখবে”। [1] তিরমিযিতে হাদিসটি এভাবে এসেছে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন:»لا تَقَدَّمُوا الشَّهرَ بِيَوْمٍٍ ولا بِيَومَين إلا أن يُوَافِقَ ذَلكَ صَوْماً كَانَ يَصُوُمُهُ أَحَدُكُم…«.“তোমরা একদিন বা দু’দিনের মাধ্যমে (রমযান) মাস এগোবে না, তবে সেদিন যদি সওমের দিন হয়, যা তোমাদের কেউ পালন করত…”শিক্ষা ও মাসায়েল: এক. রমযানের সতর্কতার জন্য তার পূর্বে সওমের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।ওলামায়ে কেরাম বলেছেন: হাদিসের অর্থ: তোমরা সওমের মাধ্যমে রমযানের সতর্কতার নিয়তে রমযানকে এগিয়ে আনবে না। [2] ইমাম তিরমিযি রাহিমাহুল্লাহু বলেন: “আহলে ইলমেরআমল এ হাদিস মোতাবেক। তারা রমযান মাস আসার আগে রমযান হিসেবে সওম পালন করা পছন্দ করতেন না।হ্যাঁ কেউ যদি পূর্ব থেকে নির্দিষ্ট দিন সওম পালন করে, আর সেদিন রমযানের আগের দিন হয়, তবে এতে তাদের নিকট কোন সমস্যা নেই”।[3] দুই .রমযানের পূর্বে [রমযানের সাথে লাগিয়ে] নফল সওম রাখা নিষেধ। [4] তিন.এ দিন যার সওমের দিন, সে এ থেকে ব্যতিক্রম, যেমনকাফফারা বা মান্নতের সওম, এবং যার এ দিন নফল সওমের অভ্যাস রয়েছে, যেমন সোমবার ও বৃহস্পতিবার। চার .এ নিষেধাজ্ঞা সম্পর্কে সবচে’যৌক্তিক যে হিকমত বর্ণনা করা হয়েছে তা হলো,রমযানের সওম শরয়ি চাঁদ দেখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, সুতরাং যে শরয়িভাবে চাঁদ দেখারএক বা দু’দিন আগে সওম রাখল সে শরিয়তের এ বিধানে ত্রুটির নির্দেশ করল,এবং যেসব ‘নস’ বা দলিলে চাঁদ দেখার সাথে সওম সম্পৃক্ত করা হয়েছে, তা সে প্রত্যাখ্যান করল। [5] পাঁচ.এ হাদিসে‘রাফেযি’সম্প্রদায়ের প্রতিবাদ রয়েছে, যারা চাঁদ না দেখে সওম পালন বৈধ বলে। [6]ছয়. এ হাদিস থেকে জানা গেল,নফল ও ফরয ইবাদতের মাঝে প্রাচীর ও বিরতি রয়েছে, যেমন শাবানের নফল ও রমযানের ফরযের বিরতি সন্দেহের দিন সওম পালন করা হারাম।অনুরূপ রমযানের শেষ ও শাওয়ালেরপ্রথম দিন তথা ঈদের দিন সওম পালন করা হারাম।ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুও একদল সলফ ফরয ও নফল সালাতের মাঝে বিরতি সৃষ্টি করা মোস্তাহাব বলেছেন, যেমন কথাবার্তা বলা বা নড়াচড়ার করা বা সালাতের স্থানে আগ-পিছ হওয়া।[7] সাত .শরয়িত আঁকড়ে ধরা ওয়াজিব, তাতে বৃদ্ধি বা হ্রাস করা বৈধ নয়, কারণ তা দ্বীনের মধ্যে বাড়াবাড়ি অথবা দ্বীন থেকে বিচ্যুতির আলামত। সতর্কতামূলক রমযানের আগে রমযানের নিয়তে সওমের নিষেধাজ্ঞা থেকে এ বিষয়টি স্পষ্টহয়।2 . মাসের শুরু-শেষ নির্ধারণআব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একদারমযান প্রসঙ্গে বলেন:»لا تَصُومُوا حَتَّى تَرَوا الهِلال، ولا تُفْطِروا حَتَّى تَروْهُ، فَإِنْ غُمَّ عليكُمُ فاقْدُرُوا لهُ« رواه الشيخان.“তোমরা সওম রাখবে না যতক্ষণ না হেলাল (নতুন চাঁদ) দেখ, আর সওম ছাড়বে না যতক্ষণ না তাকে দেখ, আর যদি তোমাদের থেকে তা অদৃশ্য হয়, তাহলে মাস পূর্ণ কর”।বুখারির অপর বর্ণনায় আছে:»إِذا رَأَيتُمُوهُ فصُومُوا، وإِذا رَأَيتمُوهُ فأفطِرُوا، فَإِنْ غَمَّ عَلَيكُم فاقدُرُوا له«.“যখন তোমরা তা (নতুন চাঁদ) দেখ সওম পালন কর, আর যখন তোমরা তা দেখ সওম ভঙ্গ কর, যদি তা তোমাদের থেকে আড়াল হয়, তবে ত্রিশ দিন পূর্ণকর”।[8] জমহুরওলামায়ে কেরাম বলেন: যদি ঊনত্রিশ তারিখ চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করবে। [9] যেমন অন্যান্য বর্ণনায় এসেছে:»فَإِنْ أُغْمِىَعَلَيْكُم فَاقْدُروا لَهُ ثَلاثِين«، ورِوايةُ:»فَعُدُّوا ثَلاثينَ« ورِوايَةُ: »فَأَكْمِلُوا العَدَدَ« وكُلُّها في صَحِيحِ مُسْلِمٍ.“যদি চাঁদ তোমাদের থেকে আড়াল করা হয়, তাহলে তার ত্রিশ দিন পূর্ণ কর”। অপর বর্ণনায় এসেছে: “ত্রিশ দিন গণনা কর”।অপর বর্ণনায় এসেছে: “সংখ্যা পূর্ণ কর”।এসব বর্ণনা মুসলিমে রয়েছে। [10] আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন: রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন:»إِذا رأَيتُم الهِلالَ فصُومُوا، وإِذا رَأيتُمُوهُ فَأَفْطِروا، فإن غُمَّ عَلَيكُمْ فصُومُوا ثلاثِينَ يَوماً«.“যখন তোমরা চাঁদ দেখ সওম পালন কর, আবার যখন তোমরাচাঁদ দেখ সওম ত্যাগ কর। যদি তা তোমাদের থেকে আড়াল করা হয়, তাহলে ত্রিশ দিন সিয়াম পালন কর”।»صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ، وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ، فَإِن غُمَّ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا عِدَّةَشَعْبَانَ ثَلاثينَ«.অপর বর্ণনায় আছে: “তোমরা চাঁদ দেখে সওম রাখ ও চাঁদ দেখে সওম ত্যাগ কর, যদি তোমাদের থেকে আড়াল করা হয়, তাহলে শাবানের ত্রিশ দিন পূর্ণ কর”। »فَإِن غَبِيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا عِدَّةَ شَعْبَانَ ثَلاثِينَ« رواه الشيخان.অপর বর্ণনায় আছে: “যদি তা তোমাদের থেকে লুকিয়েথাকে, তাহলে শাবানের ত্রিশ দিন পূর্ণকর”। (বুখারি ও মুসলিম।) [11] আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুথেকে বর্ণিত,তিনি বলেন:»تَرَاءَى النَّاسُ الهلالَ فَأَخْبَرْتُرَسُولَ الله ﷺ أَني رَأَيْتُهُ فَصَامَهُ وأَمَرَ النَّاسَ بِصيَامِهِ« رواه أبو داود وصححهابن حبان والحاكم.“লোকেরা চাঁদ দেখছিল, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে সংবাদ দিলাম, আমি চাঁদ দেখেছি, অতঃপর তিনি সওম পালন করেন ও লোকদের সওম পালনের নির্দেশ দেন”। [12] শিক্ষা ও মাসায়েল: এক.রমযানের সওম শরয়ি চাঁদ দেখার ওপর নির্ভরশীল। যদি মেঘ,ধুলো,ধুঁয়া ইত্যাদি চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়, তাহলে শাবান মাসের ত্রিশ দিন পূর্ণ করা ওয়াজিব। দুই .যদি মেঘ বা ধুলোইত্যাদির কারণে চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে সতর্কতাস্বরূপ শাবানের শেষ দিন সওম রাখবে না।কারণরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিষেধ করেছেন: “চাঁদনা দেখা পর্যন্ত সওম পালন কর না”।আর নিষেধাজ্ঞার দাবি হচ্ছে হারাম।তিন.যখন চাঁদ দেখা প্রমাণিত হলে সওম ওয়াজিব, তারপর জ্যোতিষ্ক ও গণকদেরকথায় কর্ণপাত করা যাবেনা। [13] চার.ইসলামি শরিয়তের সরলতার প্রমাণ যে, সওম রাখা ও ত্যাগ করা চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল করেছে, যার জন্য শিক্ষার প্রয়োজন হয় না, দৃষ্টি সম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তি তা দেখতে পায়, পক্ষান্তরে যদি তা নক্ষত্রের উপর নির্ভরশীল করা হত, তাহলে অনেক জায়গায় মুসলিমদের নিকট চাদেঁর বিষয়টি কঠিন আকার ধারণ করত, যেখানে গণক ও জ্যোতিষ্ক অনুপস্থিত [14]পাঁচ.যে দেশে চাঁদ দেখা গেল, তার অধিবাসীদের ওপরসওম ওয়াজিব। যে দেশে চাঁদ দেখা যায়নি, তার অধিবাসীদের ওপর সওম ওয়াজিব নয়, কারণ সওমের সম্পর্ক চাঁদ দেখার সাথে, দ্বিতীয়ত চাঁদের কক্ষপথ বিভিন্ন দেশে ভিন্ন ভিন্ন। [15]ছয় .রমযানের চাঁদ দেখার ক্ষেত্রে একজন বিশ্বস্ত (শরিয়তের ভাষায় আদেল) ব্যক্তির সাক্ষীগ্রহণযোগ্য, যার প্রমাণ ইব্‌ন ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহুর হাদিস।কিন্তুরমযান সমাপ্তির সংবাদের জন্য দু’জন নির্ভরযোগ্য লোকের সাক্ষী অপরিহার্য। একাধিক হাদিস দ্বারা এবিষয়টিপ্রমাণিত।[16] সাত. যিনি দেশের প্রধান তিনি সওম বা ঈদের ঘোষণা দিবেন।[17] আট. যে চাঁদ দেখে তার দায়িত্ব দেশেরপ্রধান বা তার প্রতিনিধির নিকট সংবাদ পৌঁছে দেয়া। নয়. আধুনিক প্রচার যন্ত্র থেকে প্রচারিত রমযান শুরু বা সমাপ্তির সংবাদ বিশ্বাস করা জরুরী, যদি তা দেশের প্রধান বা তার প্রতিনিধি থেকে প্রচার করা হয়। দশ .মাসের শুরু-শেষ জানার জন্য ত্রিশে শাবান ও ত্রিশে রমযানের চাঁদ দেখা মোস্তাহাব। এগার. নারী যদি চাঁদ দেখে, তার সাক্ষী গ্রহণ করারব্যাপারে আলেমদের দ্বিমত রয়েছে। শায়খ ইব্‌ন বায রাহিমাহুল্লাহু তারচাঁদ দেখার সাক্ষী গ্রহণ না করার অভিমত প্রাধান্য দিয়েছেন, কারণ চাঁদ দেখা পুরুষদের বৈশিষ্ট্য, এ ব্যাপারে তারা নারীদের থেকে অধিক জ্ঞানের অধিকারী।[18] চলবে ,,,,,ইংশাআললাহ্! __________________সংকলন:ইবরাহিম ইব্‌ন মুহাম্মাদ আল-হাকিলঅনুবাদক:সানাউল্লাহ নজির আহমদসম্পাদনা :আবু বকর মুহাম্মাদ যাকারিয়াসূত্র :ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব ।
    Habibullah Reza
  • June 9
  • Sogood Islam Syeds
    6/9, 10:22am

    Sogood Islam Syeds

    The Message
    themessagecanada.com
  • Sogood Islam Syeds
    6/9, 10:31am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/9, 11:02am

    Sogood Islam Syeds

    যদি পরিপূর্ণ নিরাপত্তার সাথে জান্নাতে যেতে চান তবে খুব সহজ এই আমলগুলো নিয়মিত করুণ- ১- প্রত্যেক ওযুর পর কালেমা শাহাদত পাঠ করুণ(আশ্‌হাদু আল্লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহ্‌দাহু লা- শারীকা লাহূ ওয়া আশহাদু আন্না মুহাম্মাদান ‘আব্দুহূ ওয়া রাসূলুহূ) এতে জান্নাতের ৮টি দরজার যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন।(মুসলিম-২৩৪) ২- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে আয়াতুল কুরসি পাঠ করুণ এতে মৃত্যুর সাথে সাথে জান্নাতে যেতে পারবেন।(সহিহ নাসাই, সিলসিলাহ সহিহাহ-৯৭২) ৩- প্রত্যেক ফরজ সলাত শেষে ৩৩ বার সুবহানাল্লাহ, ৩৩ বার আলহামদুলিল্লাহ্‌, ৩৩ বার আল্লাহু আকবার এবং ১ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে আপনার অতীতের সব পাপ ক্ষমা হয়ে যাবে।(মুসলিম-১২২৮) সেই সাথে জাহান্নাম থেকেও মুক্তি পেয়ে যাবেন কেননা দিনে ৩৬০ বার এই তাসবিহগুলো পড়লেই জাহান্নাম থেকে মুক্ত রাখা হয় আর এভাবে ৫ ওয়াক্তে ৫০০ বার পড়া হচ্ছে।(মুসলিম, মিশকাত-১৮০৩) ৪- প্রতিরাতে সূরা মুলক পাঠ করুণ এতে কবরের শাস্তি থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।(সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব, হাকিম-৩৮৩৯, সিলসিলাহ সহিহাহ-১১৪০) ৫- রাসুল (সাঃ)-এর উপর সকালে ১০ বার ও সন্ধ্যায় ১০ বার দরুদ পড়ুন(আল্লাহুম্মা সল্লি ওয়া সাল্লিম আ’লা নাবিয়া’না মুহাম্মাদ) এতে আপনি নিশ্চিত রাসুল (সাঃ)-এর সুপারিশ পাবেন।(তবরানি, সহিহ তারগিব-৬৫৬) ৬- সকালে ১০০ বার ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহিল আজিম ওয়া বিহামদিহি পাঠ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা আপনাকে সৃষ্টিকুলের সমস্ত মানুষ থেকে বেশী মর্যাদা দান করবেন। (সহিহ আবু দাউদ-৫০৯১) ৭- সকালে ১০০ বার ও সন্ধ্যায় ১০০ বার সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি পাঠ করুণ এতে কিয়ামতের দিন আপনার চেয়ে বেশী সওয়াব নিয়ে আর কেও উপস্থিত হতে পারবে না। (মুসলিম-২৬৯২) ৮- সকালে ও বিকালে ১০০ বার সুবহানাল্লাহ, ১০০ বার আলহামদুলিল্লাহ্‌, ১০০ বার আল্লাহু আকবার এবং ১০০ বার (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর) পাঠ করুণ এতে মক্কায় ১০০ টি উট কুরবানির চেয়ে বেশী সওয়াব, জিহাদে ১০০ টা ঘোড়া পাঠানোর চেয়ে শ্রেষ্ঠ, ১০০ টি গোলাম আযাদ করার চেয়ে শ্রেষ্ঠ, এবং পৃথিবীর সব মানুষের চেয়ে বেশী সওয়াব হবে আপনার। (সহিহ নাসাই, সহিহ তারগিব-৬৫১) ৯- বাজারে প্রবেশ করে- (লা ইলা-হা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারীকা লাহু, লাহুল মুলকু ওয়ালাহুল হামদু য়্যুহয়ী ওয়া য়্যুমীতু ওয়া হুয়া হাইয়ুল লা য়্যামূত, বিয়াদিহিল খাইরু ওয়াহুয়া ‘আলা কুল্লি শাই’ইন কাদীর)পাঠ করুণ এতে ১০ লক্ষ পুণ্য হবে, ১০ লক্ষ পাপ মোচন হবে, ১০ লক্ষ মর্যাদা বৃদ্ধি হবে এবং জান্নাতে আপনার জন্য ১ টি গৃহ নির্মাণ করা হবে। (তিরমিজি-৩৪২৮,৩৪২৯ শাইখ আলবানী হাদিসটিকে হাসান সহিহ বলেছেন) ১০- বাড়িতে সালাম দিয়ে প্রবেশ করুণ এতে আল্লাহ তা’লা নিজ জিম্মাদারিতে আপনাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন। (ইবনু হিব্বান-৪৯৯, সহিহ তারগিব-৩১৬) ১১- জামাতে ইমামের প্রথম তাকবীরের সাথে ৪০ দিন সলাত আদায় করুন এতে আপনি নিশ্চিত জাহান্নাম থেকে মুক্তি পেয়ে যাবেন।(তিরমিজি, সিলসিলাহ সহিহাহ-৭৪৭, সহিহ তারগিব-৪০৪) ১২- প্রতিমাসের আয়ের একটা অংশ এতিমখানা বা মসজিদ মাদ্রাসা বা গরিব-দুখি, বিধবা ও দুস্থদের মাঝে দান করবেন হোক সেটা অতি অল্প এতে আপনি আল্লাহ তা’লার কাছে জিহাদকারির সমতুল্য হবেন। (বুখারি-৬০০৭) ১৩- মহিলারা ৪টি কাজ করবেন, ১- ৫ ওয়াক্ত সলাত ২- রমজানের সিয়াম, ৩- লযযাস্থানের হেফাজত, ৪- স্বামীর আনুগত্য করুণ এতে জান্নাতের যে কোন দরজা দিয়ে প্রবেশ করতে পারবেন। (সহিহ ইবনু হিব্বান-৪১৬৩, মুস্নাদে আহমাদ-১৬৬১, তবরানি কাবির-৯৯১) ১৪- মসজিদে ফজরের সলাত আদায় করে বসে দোয়া জিকির পাঠ করুণ এবং সূর্য উঠে গেলে ২ রাকাত চাস্তের সলাত আদায় করুণ এতে আপনি প্রতিদিন নিশ্চিত কবুল ১ টি হজ্জ ও ১ টি উমরার সওয়াব পাবেন আর কবুল হজ্জের সওয়াব জান্নাত ছাড়া আর কিছু নয়। (তিরমিজি, সহিহ তারগিব-৪৬১) বি দ্রঃ শির্ক, বিদআত ও হারাম ভক্ষণ থেকে দূরে থেকে(কেননা এই ৩পাপে লিপ্ত থাকলে কোন ইবাদতই কবুল করা হয়না সুতরাং এ বিষয়ে শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইযি আল মাদানির ১-সরল তাওহিদ, ২-বিদাত দর্পণ, ৩- হারাম ও কবিরা গুনাহ বই ৩টি অবশ্যই পরবেন) যে কেও এই অতি সহজ আমলগুলো করবে সে পরিপূর্ণ নিরাপত্তার সাথে অর্থাৎ কবর, কিয়ামত ও জাহান্নামের শাস্তি থেকে বেঁচে গিয়ে অতি সহজেই জান্নাতে প্রবেশের নিশ্চয়তা পাবে যে নিশ্চয়তা দিয়েছেন স্বয়ং আল্লাহ তা’লার পক্ষ থেকে তার রাসুল মুহাম্মাদ (সাঃ)। সুতরাং মৃত্যুর আগেই প্রত্যেকেই উত্তম পাথেও সংগ্রহ করুণ, আপনার মৃত্যু আসা পর্যন্ত আমলগুলো করতে থাকুন। পড়া শেষে শেয়ার করে আল্লাহ তা’লার দ্বীন প্রচারে সাহায্য করুণ।
    Nayon Ahmed

 

7]-fb.mess-best salaf

 

  • Sogood Islam Syeds

    যে সকল হতভাগ্য ব্যক্তির উপর ফেরেশতাগণ অভিশাপ দেন তাদের মধ্যে অন্যতম এক শ্রেণীর লোক হচ্ছে তারা, যারা কুফরী মতবাদ গ্রহণ করে সে অবস্থায়ই মৃত্যুবরণ করেছে। কুফরী অবস্থায় মৃত্যুবরণকারীদের ব্যপারে মহান আল্লাহ বলেন…. নিশ্চয়ই যারা কুফরী করেছে এবং কুফরী অবস্থাতেই মৃতুবরণ করেছে, তাদের উপর আল্লাহ, ফেরেশতামন্ডলী, এবং সমগ্র মানবজাতীর অভিশাপ। তারা উক্ত অবস্থাতেই জাহান্নামে অবস্থান করবে। কখনো তাদের আযাব হ্রাস করা হবে না এবং নিষ্কৃতি দেয়া হবে না। (সূরা: আল-বাকারা, ১৬১-১৬২) এ প্রসঙ্গে শায়খ মুহাম্মাদ রশীদ রেজা বলেছেন, চিরস্থায়ী অভিশাপের শাস্তিপ্রাপ্ত হওয়ার জন্য যার পরিণতিতে স্থায়ী অপমান ও লাঞ্ছনার আবাস জাহান্নামে অবস্থান করতে হবে, এমন শর্তারোপ করা হয়েছে যে, তার মৃত্যু কুফরের ওপর হবে। এ ধরনের মানুষের ওপর স্থায়ী অভিশাপ হবে এবং এ অবস্থায় কোন প্রকার শাফায়াত-সুপারিশ অথবা কোন মাধ্যম তাদের কোন উপকারে আসবে না। (তাফসিরুল মানার ২/৫২-৫৩) আল্লাহ রাব্বুল আলামীন কাফেরদের অভিশপ্ত ও শাস্তির যোগ্য হওয়ার জন্য কুফরী অবস্থায় মৃত্যুকে শর্ত করেছেন। হাফেজ ইবনে জাওয়ী (র) উক্ত শর্তারোপের অন্তর্নিহিত কারণ বর্ণনা প্রসঙ্গে বলেন, মৃত্য অবস্থায় কুফরীর শর্ত এ জন্যই আরোপ করা হয়েছে যে, কারো ব্যাপারে কুফরীর বিধান আরোপ তার মৃত্যু কুফরীর অবস্থায় হওয়ার কারণেই সাব্যস্ত হবে। (যাদুল মাসির ১/১৬৬) হে ময়িয়ান দয়ালু প্রভু আল্লাহ! আমাদেরকে তুমি অনুরুপ লোকেদের অন্তরভূক্ত করো না। আমীন।
    محمد يونس حسين
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 1:17am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্নঃ (৪০৪) আধুনিক যুগের যাতায়াত ব্যবস্থা উন্নত ও আরাম দায়ক হওয়ার কারণে সফর অবস্থায় রোযা রাখা মুসাফিরের জন্য কষ্টকর নয়। এ অবস্থায় রোযা রাখার বিধান কি? উত্তরঃ মুসাফির রোযা রাখা ও ভঙ্গ করার ব্যাপারে ইচ্ছাধীন। আল্লাহ্‌ বলেন, ]وَمَنْ كَانَ مَرِيضًا أَوْ عَلَى سَفَرٍ فَعِدَّةٌ مِنْ أَيَّامٍ أُخَرَ يُرِيدُ اللَّهُ بِكُمْ الْيُسْرَ وَلَا يُرِيدُ بِكُمْ الْعُسْرَ[ আর যে লোক অসুস্থ অথবা মুসাফির অবস্থায় থাকবে, সে অন্য দিনে গণনা পূরণ করে নিবে।(সূরা বাক্বারাঃ ১৮৫) ছাহাবায়ে কেরাম নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে সফরে থাকলে কেউ রোযা রাখতেন কেউ রোযা ভঙ্গ করতেন। কোন রোযা ভঙ্গকারী অপর রোযাদারকে দোষারোপ করতেন না, রোযাদারও রোযা ভঙ্গকারীকে দোষারোপ করতেন না। নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)ও সফর অবস্থায় রোযা রেখেছেন। আবু দারদা (রাঃ) বলেন, একদা রামাযান মাসে কঠিন গরমের সময় আমরা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর সাথে সফরে ছিলাম। তখন আমাদের মধ্যে রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ও আবদুল্লাহ্‌ বিন রাওয়াহা ছাড়া আর কেউ রোযা রাখে নি।[12] মুসাফিরের জন্য মূলনীতি হচ্ছে, সে রোযা রাখা ও ভঙ্গ করার ব্যাপারে ইচ্ছাধীন। কিন্তু কষ্ট না হলে রোযা রাখাই উত্তম। কেননা এতে তিনটি উপকারীতা রয়েছেঃ প্রথমতঃ রাসূলুল্লাহ্‌ (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)এর অনুসরণ। দ্বিতীয়তঃ রোযা রাখতে সহজতা। কেননা সমস্ত মানুষ যখন রোযা রাখে তখন সবার সাথে রোযা রাখা অনেক সহজ। তৃতীয়তঃ দ্রুত নিজেকে যিম্মামুক্ত করা। কিন্তু কষ্টকর হলে রোযা রাখবে না। এ অবস্থায় রোযা রাখা পূণ্যেরও কাজ নয়। কেননা এক সফরে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) দেখলেন জনৈক ব্যক্তির পাশে লোকজন ভীড় করছে এবং তাকে ছাঁয়া দিচ্ছে। তিনি বললেন, এর কি হয়েছে? তারা বলল, লোকটি রোযাদার। তখন তিনি বললেন, لَيْسَ مِنَ الْبِرِّ الصَّوْمُ فِي السَّفَرِ সফর অবস্থায় ছিয়াম পালন করা কোন পূণ্যের কাজ নয়।[13] এভিত্তিতে আমরা বলব, বর্তমান যুগে সাধারণতঃ সফরে তেমন কোন কষ্ট হয় না। তাই ছিয়াম পালন করাই উত্তম। মুসাফির মক্কায় পৌঁছে রোযা ছেড়ে দিয়ে প্রশান্তির সাথে ওমরা করতে পারে।
    Salah Ahmed
  • May 31
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 12:00pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 12:10pm

    Sogood Islam Syeds

    ইসলামী শরীয়তে সুন্নাহর গুরুত্ব ও তাৎপর্য ইসলাম কোন মানব রচিত জীবন ব্যবস্থা নয় বরং এটি একটি ওহী ভিত্তিক আল্লাহ প্রদত্ত ও মনোনীত জীবন ব্যবস্থা। ইসলামী শরীয়তের মূলনীতি হল কুরআন ও সুন্নাহ। পবিত্র কুরআন যেমন ওহী প্রদত্ত, সুন্নাহও তেমনি ওহী প্রদত্ত। শরীয়তের এ দুটি মূলনীতি একটির সাথে অপরটি আঙ্গাঙ্গিন ভাবে জড়িত। এ দুটির কোন একটিকে বাদ দিয়ে শরীয়তের কথা চিন্তা করার কোন অবকাশ নাই। কুরআন হল, আল্লাহর পক্ষ হতে অবতীর্ণ ওহী, আর হাদিস তারই ব্যাখ্যা। কুরআনের কোন বিধানের উপর আমল করতে হলে হাদিস অবশ্যই জরুরি। হাদিস ছাড়া কুরআন অনুযায়ী আমল করা কোন ক্রমেই সম্ভব নয়। এক- আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু হতে হাদিস বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, دعوني ما تركتكم إنما أهلك[1] من كان قبلكم لكثرة سؤالهم واختلافهم على أنبيائهم فإذا نهيتكم عن شيء فاجتنبوه وإذا أمرتكم بأمر فأتوا منه ما استطعتم متفق عليه “আমি তোমাদের যে অবস্থায় রেখে যাই তার উপর তোমরা অটুট থাক। তোমাদের পূর্বের উম্মতরা অধিক প্রশ্ন করা এবং নবীদের সাথে বিরোধ করার কারণেই ধ্বংস হয়েছে। আমি যখন তোমাদের কোন বিষয়ে নিষেধ করি, তোমরা তা হতে বিরত থাক। আর যখন তোমাদের কোন বিষয়ে নির্দেশ দেই তা যথা সম্ভব পালন করতে চেষ্টা কর”।[1] দুই-এরবায ইবনে সারিয়া রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, عليكم بسنتي وسنة الخلفاء الراشدين المهديين عضوا عليها بالنواجذ رواه أبو داود والترمذي وقال حديث حسن صحيح “তোমরা আমার সূন্নাতকে আঁকড়ে ধর এবং খুলাফায়ে রাশেদীনের সূন্নাতকে আঁকড়ে ধর। তার উপর তোমরা অটুট থাক। আবু দাউদ, তিরমিযি ইমাম তিরমিযি হাদিসটিকে হাসান বলে আখ্যায়িত করেন”।[2] তিন- আবু হুরাইরা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, كل أمتي يدخلون الجنة إلا من أبى ، قيل: ومن يأبى يا رسول الله؟ قال: من أطاعني دخل الجنة ومن عصاني فقد أبى رواه البخاري “যে ব্যক্তি অস্বীকার করে, সেই ব্যক্তি ব্যতীত আমার সকল উম্মত জান্নাতে প্রবেশ করবে; সাহাবীগণ জিজ্ঞাসা করলেন: হে আল্লাহর রাসূল! কোন ব্যক্তি অস্বীকার করে? তখন তিনি বললেন: যে ব্যক্তি আমার আনুগত্য করবে, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে; আর যে ব্যক্তি আমার অবাধ্য, সে ব্যক্তিই অস্বীকার করে।”[3] সুতরাং যে ব্যক্তি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অবাধ্য হয় এবং তাঁর সুন্নাহ’র বিরুদ্ধাচরণ করে, সে ব্যক্তিই জান্নাতে প্রবেশ করতে অস্বীকার করে; আর আবদ্ধ হয় জাহান্নামের প্রচণ্ড হুমকির জালে। চার- আবু রাফে রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, لا ألفين أحدكم متكئا على أريكة يأتيه الأمر من أمري مما أمرت به أو نهيت عنه فيقول لا أدري: ما وجدناه في كتاب الله اتبعناه حديث صحيح رواه الشافعي ، “তোমাদের কাউকে কাউকে দেখা যাবে, সে হেলান দিয়ে বসে আছে, কিন্তু তার নিকট যখন আমার কোন আদেশ- যে বিষয়ে আমি আদেশ দিয়েছি বা কোন নিষেধ- যে বিষয়ে আমি নিষেধ করেছি তা পৌঁছবে তখন সে বলবে, এ সম্পর্কে আমি কিছুই জানি না। আমরা আল্লাহর কিতাবে যা পেয়েছি তাই মানবো”। ইমাম শাফেয়ী রাহিমাহুল্লাহ বলেন, রাসূল রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নির্দেশের অনুসরণ করা মানুষের উপর ফরয প্রমাণ করে রাসূলের সূন্নাত আল্লাহর পক্ষ থেকেই গৃহীত। যে ব্যক্তি রাসূলের সূন্নাতের অনুসরণ করল, সে আল্লাহর কিতাবেরই অনুসরণ করল। কারণ, আমরা এমন কোন প্রমাণ পাই নাই যাতে আল্লাহ তা’আলা তার বান্দাদের শুধু আল্লাহর কিতাবের অনুসরণের জন্য বাধ্য করেছেন। বরং সব জায়গায় আল্লাহ তা’আলা প্রথমে তার কিতাব তারপর তার নবীর সূন্নাতের অনুসরণের কথা বলেছেন। পবিত্র কুরআনে সুন্নাতের গুরুত্ব: ১- আল্লাহ তা’আলা বলেন: ﴿ وَمَا يَنطِقُ عَنِ ٱلۡهَوَىٰٓ ٣ إِنۡ هُوَ إِلَّا وَحۡيٞ يُوحَىٰ ٤ ﴾ [النجم : ٣، ٤] “আর তিনি [নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম] প্রবৃত্তির তাড়নায় কথা বলেন না বরং শুধুমাত্র তাকে যা ওহী করা হয় তাই বলেন”।[4] সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দ্বীনী কথা, কাজ ও সম্মতি সব কিছুই ওহী ভিত্তিক। এ জন্যই আল্লাহর নির্দেশকে যেমন কোন ঈমানদার নর-নারীর উপেক্ষা করে চলার সুযোগ নেই। তেমনিভাবে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশেরও কোন অবস্থাতেই উপেক্ষা করার কোন সুযোগ নাই। আল্লাহ তা’আলা বলেন: ﴿ وَمَا كَانَ لِمُؤۡمِنٖ وَلَا مُؤۡمِنَةٍ إِذَا قَضَى ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥٓ أَمۡرًا أَن يَكُونَ لَهُمُ ٱلۡخِيَرَةُ مِنۡ أَمۡرِهِمۡۗ وَمَن يَعۡصِ ٱللَّهَ وَرَسُولَهُۥ فَقَدۡ ضَلَّ ضَلَٰلٗا مُّبِينٗا ٣٦ ﴾ [الاحزاب : ٣٦] “আল্লাহ ও তাঁর রাসূল কোন কাজের নির্দেশ দিলে কোন ঈমানদার পুরুষ ও ঈমানদার নারীর সে বিষয়ে কোন এখতিয়ার থাকে না, আর যে আল্লাহর ও তাঁর রাসূলের অবাধ্য হয় সে প্রকাশ্য পথভ্রষ্টটায় পতিত হয়”।[5] এ আয়াত ইসলামী শরীয়তে সুন্নাহর গুরুত্ব ও তাৎপর্যকে স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, আল্লাহ বা কুরআনের নির্দেশের অবস্থান এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বা সুন্নাহর নির্দেশের অবস্থান পাশাপাশি। অনুরূপভাবে আল্লাহর নির্দেশ অমান্য করলে যেমন পথভ্রষ্ট হয়ে যায়, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশ অমান্যের পরিণতিও একই; কোন অংশে তা কম নয়। এমনকি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সিদ্ধান্ত ও সমাধানকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে মাথা পেতে মেনে নেয়া ছাড়া ঈমানদার হওয়া কখনই সম্ভব নয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন: ﴿ فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤۡمِنُونَ حَتَّىٰ يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيۡنَهُمۡ ثُمَّ لَا يَجِدُواْ فِيٓ أَنفُسِهِمۡ حَرَجٗا مِّمَّا قَضَيۡتَ وَيُسَلِّمُواْ تَسۡلِيمٗا ٦٥ ﴾ [النساء : ٦٥] “অতঃপর তোমার রবের কসম তারা কখনও ঈমানদার হতে পারবে না, যতক্ষণ না তারা তাদের মধ্যে সৃষ্ট বিবাদের ব্যাপারে তোমাকে ফায়সালা কারী হিসাবে মেনে নেয়, অতঃপর তোমার ফায়সালার ব্যাপারে তারা তাদের অন্তরে কোন রকম সংকীর্ণতা পাবে না এবং তা হৃষ্টচিত্তে কবুল করে নিবে”।[6] সুন্নাতের অনুসরণ ছাড়া যেমন ঈমানদার হওয়া সম্ভব নয়, ঈমানদার হওয়ার পর তেমনি আবার সুন্নাতের অনুসরণ ছাড়া পূর্ণ ইসলাম মানাও সম্ভব নয়। প্রসিদ্ধ তাবেয়ী হাসান বাসরী [রাহিমাহুল্লাহ] হতে বর্ণিত, তিনি বলেন: একদা সাহাবী ঈমারান বিন হুসাইন রাদিআল্লাহু আনহু কিছু ব্যক্তিসহ শিক্ষার আসরে বসেছিলেন। তাদের মধ্য হতে একজন বলে ফেললেন, আপনি আমাদেরকে কুরআন ছাড়া অন্য কিছু শোনাবেন না। তিনি [সাহাবী] বললেন: নিকটে আস, অতঃপর বললেন, তুমি কি মনে কর, যদি তোমাদেরকে শুধু কুরআনের উপরই ছেড়ে দেয়া হয়? তুমি কি যোহরের সালাত চার রাকাত, আসর চার রাকাত, মাগরিব তিন রাকাত, প্রথম দুই রাকাতে কিরাত পাঠ করতে হয় ইত্যাদি সব কুরআনে খুঁজে পাবে? অনুরূপভাবে কাবার তাওয়াফ সাত চক্কর এবং সাফা-মারওয়ার তাওয়াফ ইত্যাদি কি কুরআনে খুঁজে পাবে? অতঃপর বললেন: হে মানব সকল! তোমরা আমাদের [সাহাবীদের] নিকট হতে সুন্নাহর আলোকে ঐ সব বিস্তারিত বিধি-বিধান জেনে নাও। আল্লাহর কসম করে বলছি, তোমরা যদি সুন্নাহ্ মেনে না চল, তাহলে অবশ্যই পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে। শুধু কুরআনুল করীমকে আঁকড়িয়ে ধরে পূর্ণ ইসলাম মানা কখনও সম্ভব নয় বরং এ নীতি মানুষকে পথভ্রষ্ট করে ইসলাম হতে বের করে দিবে এবং পরকালে জান্নাত পাওয়াও অসম্ভব হয়ে যাবে। সুতরাং পরকালে জান্নাত পেতে হলে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিয়ে আসা আল্লাহর বাণী আল-কুরআনুল করীম এবং তাঁর হাদিস বা সুন্নাহ্ উভয়েরই একনিষ্ঠ অনুসারী হতে হবে। হাদিসে এসেছে: عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ أَنَّ رَسُولَ اللهِ قَالَ كُلُّ أُمَّتِي يَدْخُلُونَ الْجَنَّةَ إِلاَّ مَنْ أَبَى قَالُوا يَا رَسُولَ اللهِ وَمَنْ يَأْبَى قَالَ مَنْ أَطَاعَنِي دَخَلَ الْجَنَّةَ وَمَنْ عَصَانِي فَقَدْ أَبَى সাহাবী আবু হুরায়রা রাদিআল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন: আমার সকল উম্মতই জান্নাতে প্রবেশ করবে তবে যারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে তারা ব্যতীত। জিজ্ঞাসা করা হল, কারা অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে? তিনি বললেন: যে আমার অনুসরণ করে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে, আর যে আমাকে অমান্য করে সেই অস্বীকৃতি জ্ঞাপন করেছে।[7] এ হাদিস স্পষ্ট করে দিচ্ছে যে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সুন্নাহ্ অনুসরণের কোন বিকল্প পথ নেই। অতএব ইসলামী শরীয়তে সুন্নাহর গুরুত্ব ও তাৎপর্য কতটুকু তা বলার আর অপেক্ষা রাখে না। ইহা ছাড়াও সুন্নাহর গুরুত্ব সম্পর্কে আরও কতগুলি বিষয় তৃতীয় পরিচ্ছেদে তুলে ধরা হল। তথ্যসূত্রঃ [1] বুখারী, হাদিস:৭২৮৮, মুসলিম: 1337 [2] তিরমিযি, হাদিস: ২৬৭৬, ইবনু মাযা: ৪৭ [3] বুখারী, আস-সহীহ: ৬ / ২৬৫৫ / হাদিস নং- ৭২৮০ [4] [সূরা আন্-নাজম: ৩-৪] [5] সূরা আহযাব, আয়াত: ৩৬ [6] সূরা নিসা: ৬৫ [7] বুখারি, হাদিস: ৭২৮০ বইঃ সুন্নাহের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা লেখকঃ জাকেরুল্লাহ আবুল খায়ের
    Maksud Bin Amal
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 12:11pm

    Sogood Islam Syeds

    Sheikh Zahid added a new photo.
    উনাকে চিনতে পারছেন ?
    Sheikh Zahid
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 12:18pm

  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 12:18pm

  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 12:21pm

    Sogood Islam Syeds

    #####বিসমিল্লাহ হির রহমানীর রহীম##### #####সিয়াম পালনের ক্ষেত্রে কী কী কাজ ও আমল অত্যাবশ্যক##### সিয়াম অবস্থায় অত্যাবশ্যকীয় আমলসমূহ””””””””””” [১] পাঁচ ওয়াক্ত ফরয সালাত আদায় করা। কোন শরয়ী উযর না থাকলে সালাত মাসজিদে গিয়ে জামাআতের সাথে আদায় করা। জামাআতে সালাত আদায়কে বিজ্ঞ ওলামায়ে কিরাম ওয়াজিব বলেছেন। যারা জামাআতের সাথে সালাত আদায় করে না তারা ২৭ গুণ সাওয়াব থেকে বঞ্চিততো হয়ই, উপরন্তু ফজর ও ঈশার জামাআত পরিত্যাগকারীকে হাদীসে মুনাফিকের সাথে তুলনা করা হয়েছে। যারা অবহেলা করে বিনা ওযরে সালাত দেরী করে আদায় করে তার সালাত একশবার পড়লেও তা কবুল হবে না বলে উলামায়ে কিরাম মন্তব্য করেছেন। আর মসজিদে গিয়ে সালাত আদায় থেকে বিরত থাকতে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্ধ ব্যক্তিকেও অনুমতি প্রদান করেন নি। [২] মিথ্যা না বলা। [৩] গীবত না করা- আর তা হলো অসাক্ষাতে কারো দোষত্রুটি বা সমালোচনা করা [৪] চোগলখোরী না করা- আর তা হলো এক জনের বিরুদ্ধে আরেকজনকে কিছু বলে ক্ষেপিয়ে তোলা ও ঝগড়া লাগিয়ে দেয়া। [৪] ক্রয় বিক্রয় ও অন্যান্য কাজে কাউকে ধোঁকা না দেয়া। [৫] গান গাওয়া ও বাদ্যযন্ত্র বাজানো থেকে বিরত থাকা, মধুর কণ্ঠে গাওয়া যৌন উত্তেজনামূলক গান থেকে আরো বেশি সাবধান থাকা। [৬] সকল প্রকার হারাম কাজ-কর্ম পরিহার করা। #####জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেছেন, إِذَا صُمْتَ فَلْيَصُمْ سَمْعُكَ وَبَصَرُكَ وَلِسَانُكَ عِنْدَ الْكَذِبِ وَالْمَحَارِمِ وَدَعْ عَنْكَ أَذَى الْجَارِ وَلْيَكُنْ عَلَيْكَ وَقَار وَسَكِيْنَة وَلاَ يَكُنْ يَوْمُ صَوْمِكَ وَيَوْمُ فِطْرِكَ سَوَاء যখন তুমি সিয়াম রাখবে তখন যেন তোমার কর্ণ, চক্ষু এবং জিহবাও মিথ্যা ও হারাম কাজ থেকে সিয়াম রাখে। তুমি প্রতিবেশিকে কষ্ট দেয়া থেকে বিরত থাকো। আত্মমর্যাদা ও প্রশান্তভাব যেন তোমার উপর বজায় থাকে এমন হলে তোমার সিয়াম রাখা ও না রাখা সমান হবে না। (ইবন আবী শাইবা : ৮৮৮০)। [৭] ইসলামকে জীবনের সকলক্ষেত্রে অনুসরণ করা। মসজিদে যেমনভাবে ইসলাম তেমনি পরিবার, সমাজ, ব্যবসা এবং রাষ্ট্রীয় জীবনেও ইসলামকে একমাত্র জীবন বিধান হিসেবে বাস্তবায়ন করা। আল্লাহ বলেন, ﴿ يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُواْ ٱدۡخُلُواْ فِي ٱلسِّلۡمِ كَآفَّةٗ ﴾ [البقرة: ٢٠٨] ####হে ঈমানদারগণ! তোমরা ইসলামে দাখিল হও পরিপূর্ণভাবে (অর্থাৎ জীবনের সর্বক্ষেত্রে)। (বাকারাহ ২০৮)। [৮] সিয়াম আবস্থায় পাপাচার ত্যাগ করা এবং অন্যায় কাজ থেকে বিরত থাকা। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন#### كَمْ مِنْ صَائِمِ لَيْسَ لَهُ مِنْ صِيَامِهِ إِلاَّ الظَّمْأَ وَكَمْ مِنْ قَائِمِ لَيْسَ لَهُ مِنْ قِيَامِهِ إِلاَّ السَّهْر (ক) কত সিয়াম পালনকারী আছে যাদের সিয়াম হবে শুধু উপোস থাকা। আর কতলোক রাতের ইবাদতকারী আছে যাদের রাত জাগরণ ছাড়া ইবাদতের কিছুই হবে না। (অর্থাৎ পাপকাজ থেকে বিরত না হওয়ার কারণে তার সিয়াম যেন সিয়াম নয়,তার রাতের সালাতও যেন ইবাদত নয়)। (আহমাদ : ৯৬৮৩; দারেমী : ২৭৬২)। فَإِذَا كَانَ يَوْمُ صَوْمِ أَحَدِكُمْ فَلاَ يَرْفُثْ يَوْمَئِذٍ وَلاَ يَصْخَبْ فَإِنْ سَابَّهُ أَحَدٌ أَوْ قَاتَلَهُ فَلْيَقُلْ إِنِّي امْرُؤٌ صَائِمٌ (খ) তোমাদের মধ্যে কেউ যদি সিয়াম পালন করে,সে যেন তখন অশ্লীল কাজ ও শোরগোল থেকে বিরত থাকে। সিয়াম রত অবস্থায় কেউ যদি তাকে গালাগালি ও তার সাথে মারামারি করতে আসে, সে যেন বলে ‘‘আমি সিয়াম পালন করছি। (মুসলিম : ১১৫১) لَيْسَ الصِّيَامُ مِنَ الأَكْلِ وَالشُّرْبِ إِنَّمَا الصِّيَامُ مِنَ اللَّغْوِ وَالرَّفَثِ (গ) শুধুমাত্র পানাহার ত্যাগের নাম সিয়াম নয়, প্রকৃত সিয়াম হল (সিয়াম অবস্থায়) বেহুদা ও অশ্লীল কথা এবং কাজ থেকে বিরত থাকা। (ইবনু খুযাইমা : ১৯৯৬) مَنْ لَمْ يَدَعْ قَوْلَ الزُّورِ وَالْعَمَلَ بِهِ وَالْجَهْلَ فَلَيْسَ للهِ حَاجَةٌ أَنْ يَدَعَ طَعَامَهُ وَشَرَابَهُ (ঘ) যে ব্যক্তি মিথ্যা কথা ও কাজ এবং অজ্ঞতা থেকে মুক্ত হতে পারেনি সে ব্যক্তির শুধুমাত্র পানাহার বর্জনের (এ সিয়ামে) আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। (বুখারী : ৬০৫৭) [৯] সিয়াম পালন (ও অন্যান্য ইবাদত) একমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য করা। আল্লাহ বলেন, ﴿ وَمَآ أُمِرُوٓاْ إِلَّا لِيَعۡبُدُواْ ٱللَّهَ مُخۡلِصِينَ لَهُ ٱلدِّينَ حُنَفَآءَ … ﴾ [البينة: ٥] ####মানুষকে এ নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, তাদের ইবাদত যেন শুধুমাত্র আল্লাহকে খুশী করার জন্য হয়।’’ (বাইয়্যেনাহ : ৫) [১০] সকল হুকুম আহকাম পালনে নাবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম’র সুন্নাত তরীকা অনুসরণ করা। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, مَنْ عَمِلَ عَمَلاً لَيْسَ عَلَيْهِ أَمْرُنَا فَهُوَ رَدٌّ ####যে ব্যক্তি এমন কোন আমল করল যা,রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক নির্দেশিত নয় সেই কাজ আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য তো হবেই না রবং) তা হবে প্রত্যাখ্যাত’। (মুসলিম : ১৭১৮) [১১] সিয়াম ভঙ্গের সহায়ক কাজ-কর্ম পরিহার করা স্বামী-স্ত্রীর আলিঙ্গন, চুম্বন বা একত্রে শয়ন জায়েয হলেও তা যেন সিয়াম ভঙ্গের পর্যায়ে নিয়ে না যায় সে বিষয়ে সতর্ক থাকা। [১২] অন্তরে ভয় ও আশা পোষণ করা। কোন অজানা ভুলের জন্য সিয়াম ভেঙ্গে যায় কিনা এ ধরনের ভয় থাকা এবং আল্লাহর কাছে এর প্রতিদান পাবো এ আশাও পোষণ করা। অন্তরকে এ দু’য়ের মধ্যে সামঞ্জস্য করে রাখতে হবে। #আল্লাহ আমাদের সকল মুমিন মুসলিম ভাই বোনদের সঠিকভাবে রসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তিক নির্দেশিত পন্থায় সিয়াম পালনের তাওফিক দান করুন আমিন!!!!
    Tauhid Siddique
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 12:22pm

    Sogood Islam Syeds

    @@@@@তারাবীহ বা তাহাজ্জুদের রাকআত সংখ্যা@@@@@ রামাযান বা রামাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে রাত্রির এই বিশেষ নফল ছালাত তিন রাক‘আত বিতরসহ ১১ রাক‘আত ছহীহ সূত্র সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন####আয়েশা (রাঃ) বলেন, مَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيْدُ فِيْ رَمَضَانَ وَلاَ فِيْ غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ ثَلاَثًا، متفق عليه- অর্থ : রামাযান বা রামাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রাত্রির ছালাত এগার রাক‘আতের বেশী আদায় করেননি। তিনি প্রথমে (২+২) [8] চার রাক‘আত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি (২+২) চার রাক‘আত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিন রাক‘আত পড়েন।(বুলূগুল মারাম হা/৩৬৭)। বন্ধ হওয়ার পরে পুনরায় জামা‘আত চালু####সম্ভবত: নব প্রতিষ্ঠিত ইসলামী খেলাফতের উপরে আপতিত যুদ্ধ-বিগ্রহ ও অন্যান্য ব্যস্ততার কারণে ১ম খলীফা হযরত আবুবকর ছিদ্দীক্ব (রাঃ)-এর সংক্ষিপ্ত খেলাফতকালে (১১-১৩ হিঃ) তারাবীহর জামা‘আত পুনরায় চালু করা সম্ভবপর হয়নি। ২য় খলীফা হযরত ওমর ফারূক (রাঃ) স্বীয় যুগে (১৩-২৩ হিঃ) রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার কারণে এবং বহু সংখ্যক মুছল্লীকে মসজিদে বিক্ষিপ্তভাবে উক্ত ছালাত আদায় করতে দেখে রাসূল (ছাঃ)-এর রেখে যাওয়া সুন্নাত অনুসরণ করে তাঁর খেলাফতের ২য় বর্ষে ১৪ হিজরী সনে মসজিদে নববীতে ১১ রাক‘আতে তারাবীহর জামা‘আত পুনরায় চালু করেন।( তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৪৩৭)। যেমন সায়েব বিন ইয়াযীদ (রাঃ) বলেন,#### أَمَرَ عُمَرُ بْنُ الْخَطَّابِ أُبَيَّ بْنَ كَعْبٍ وَتَمِيْمًا الدَّارِيَّ أَنْ يَّقُوْمَا لِلنَّاسِ فِىْ رَمَضَانَ بِإِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً…. رواه في المؤطأ بإسناد صحيح- খলীফা ওমর ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হযরত উবাই ইবনু কা‘ব ও তামীম দারী (রাঃ)-কে রামাযানের রাত্রিতে ১১ রাক‘আত ছালাত জামা‘আত সহকারে আদায়ের নির্দেশ প্রদান করেন। এই ছালাত(إلي فُرُوْعِ الْفَجْرِ) ফজরের প্রাক্কাল (সাহারীর পূর্ব) পর্যন্ত দীর্ঘ হ’ত’( বায়হাক্বী ২/৪৯৬ পৃঃ, হা/৪৩৯০)। —————————————————————————————————————————————————— বিশ রাক‘আত তারাবীহ####প্রকাশ থাকে যে, উক্ত রেওয়ায়াতের পরে ইয়াযীদ বিন রূমান থেকে ‘ওমরের যামানায় ২০ রাক‘আত তারাবীহ পড়া হ’ত’ বলে যে বর্ণনা এসেছে, তা ‘যঈফ’ এবং ২০ রাক‘আত সম্পর্কে ইবনু আব্বাস (রাঃ) থেকে ‘মরফূ’ সূত্রে যে বর্ণনা এসেছে, তা ‘মওযূ’ বা জাল।( আলবানী, হাশিয়া মিশকাত হা/১৩০২, ১/৪০৮ পৃঃ; ইরওয়া হা/৪৪৬, ৪৪৫, ২/১৯৩, ১৯১ পৃ:)। এতদ্ব্যতীত ২০ রাক‘আত তারাবীহ সম্পর্কে কয়েকটি ‘আছার’ এসেছে, যার সবগুলিই ‘যঈফ’।(তারাবীহর রাক‘আত বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য মির‘আত হা/১৩১০ -এর আলোচনা দ্রষ্টব্য, ৪/৩২৯-৩৫ পৃঃ; ইরওয়া হা/৪৪৬-এর আলোচনা দ্রঃ ২/১৯৩ পৃঃ)। ২০ রাক‘আত তারাবীহর উপরে ওমরের যামানায় ছাহাবীগণের মধ্যে ‘ইজমা’ বা ঐক্যমত হয়েছে বলে যে দাবী করা হয়, তা একেবারেই ভিত্তিহীন ও বাতিল কথা (بَاطِلَةٌ جِدًّا) মাত্র।(তুহফাতুল আহওয়াযী হা/৮০৩-এর আলোচনা দ্রঃ ৩/৫৩১ পৃঃ; মির‘আত ৪/৩৩৫)। তিরমিযীর ভাষ্যকার খ্যাতনামা ভারতীয় হানাফী মনীষী দারুল উলূম দেউবন্দ-এর তৎকালীন সময়ের মুহতামিম (অধ্যক্ষ) আনোয়ার শাহ কাষ্মীরী (১২৯২-১৩৫২/১৮৭৫-১৯৩৩ খৃঃ) বলেন, একথা না মেনে উপায় নেই যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর তারাবীহ ৮ রাক‘আত ছিল।( كَانَتْ ثَمَانِيَةَ رَكْعَاتٍ) r (وَلاَ مَنَاصَ مِنْ تَسْلِيْمٍ أَنَّ تَرَاوِيْحَهُ আল-‘আরফুশ শাযী শরহ তিরমিযী হা/৮০৬-এর আলোচনা, দ্রঃ ২/২০৮ পৃঃ; মির‘আত ৪/৩২১)। এটা স্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদ্বীন থেকে এবং রাসূল (ছাঃ)-এর অন্য কোন স্ত্রী ও ছাহাবী থেকে ১১ বা ১৩ রাক‘আতের ঊর্ধ্বে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদের কোন বিশুদ্ধ প্রমাণ নেই।( মুওয়াত্ত্বা, ৭১ পৃঃ, টীকা-৮ দ্রষ্টব্য)। বর্ধিত রাক‘আত সমূহ পরবর্তীকালে সৃষ্ট। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রাত্রির ছালাত ১১ বা ১৩ রাক‘আত আদায় করতেন। পরবর্তীকালে মদ্বীনার লোকেরা দীর্ঘ ক্বিয়ামে দুর্বলতা বোধ করে। ফলে তারা রাক‘আত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে, যা ৩৯ রাক‘আত পর্যন্ত পৌঁছে যায়’।(ইবনু তায়মিয়াহ, মাজমূ‘ ফাতাওয়া (মক্কা: আননাহযাতুল হাদীছাহ ১৪০৪/১৯৮৪), ২৩/১১৩)। অথচ বাস্তব কথা এই যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) যেমন দীর্ঘ ক্বিয়াম ও ক্বিরাআতের মাধ্যমে তিন রাত জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদায় করেছেন, তেমনি সংক্ষিপ্ত ক্বিয়ামেও তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করেছেন। যা সময় বিশেষে ৯, ৭ ও ৫ রাক‘আত হ’ত। কিন্তু তা কখনো ১১ বা ১৩ -এর ঊর্ধ্বে প্রমাণিত হয়নি।( মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১৮৮ ‘রাত্রির ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৩১; আবুদাঊদ, মিশকাত হা/১২৬৪ ‘বিতর’ অনুচ্ছেদ-৩৫, আয়েশা (রাঃ) হ’তে; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১১৯৫, ‘রাত্রির ছালাত’ অনুচ্ছেদ-৩১, ইবনু আববাস (রাঃ) হ’তে)। ####তিনি ছিলেন ‘সৃষ্টিজগতের প্রতি রহমত স্বরূপ’ (আম্বিয়া ২১/১০৭) এবং বেশী না পড়াটা ছিল উম্মতের প্রতি তাঁর অন্যতম রহমত। শৈথিল্যবাদ####অনেক বিদ্বান উদারতার নামে ‘বিষয়টি প্রশস্ত’ (الأمر واسع) বলে শৈথিল্য প্রদর্শন করেন এবং ২৩ রাক‘আত পড়েন ও বলেন শত রাক‘আতের বেশীও পড়া যাবে, যদি কেউ ইচ্ছা করে। দলীল হিসাবে ইবনু ওমর (রাঃ) বর্ণিত প্রসিদ্ধ হাদীছটি পেশ করেন যে, ‘রাত্রির ছালাত দুই দুই (مَثْنَى مَثْنَى) করে। অতঃপর ফজর হয়ে যাবার আশংকা হ’লে এক রাক‘আত পড়। তাতে পিছনের সব ছালাত বিতরে (বেজোড়ে) পরিণত হবে’।( মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১২৫৪, ‘বিতর’ অনুচ্ছেদ-৩৫)। অত্র হাদীছে যেহেতু রাক‘আতের কোন সংখ্যাসীমা নেই এবং রাসূল (ছাঃ)-এর কথা তাঁর কাজের উপর অগ্রাধিকারযোগ্য, অতএব যত রাক‘আত খুশী পড়া যাবে। তবে তারা সবাই একথা বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ১১ রাক‘আত পড়েছেন এবং সেটা পড়াই উত্তম। অথচ উক্ত হাদীছের অর্থ হ’ল, রাত্রির নফল ছালাত (দিনের ন্যায়) চার-চার নয়, বরং দুই-দুই রাক‘আত করে।( কেননা অত্র হাদীছের রাবী ইবনু ওমর (রাঃ) দিনের নফল ছালাত এক সালামে চার রাক‘আত করে পড়তেন। -মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বা হা/৬৬৯৮, ২/২৭৪, সনদ ছহীহ, আলবানী, তামামুল মিন্নাহ পৃঃ ২৪০; বায়হাক্বী, মা‘রিফাতুস সুনান ওয়াল আ-ছা-র হা/১৪৩১, ৪/১৯২। ছহীহ বুখারীর বর্ণনায় (হা/৯৯০) এসেছে যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) খুৎবা দিচ্ছিলেন। এমতাবস্থায় জনৈক ব্যক্তি এসে তাঁকে জিজ্ঞেস করল, রাত্রির ছালাত কিভাবে পড়তে হবে? জবাবে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন, দুই দুই করে। ভাষ্যকার ইবনু হাজার বলেন, জবাবে এটা স্পষ্ট হয় যে, ঐ ব্যক্তি রাক‘আত সংখ্যা অথবা (চার রাক‘আত) পৃথকভাবে না মিলিয়ে পড়তে হবে, সেকথা জিজ্ঞেস করেছিল’ (ফাৎহুল বারী হা/৯৯০ ‘বিতর’ অধ্যায়-১৪, ২/৫৫৫-৫৬; মির‘আত ৪/২৫৬)। তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় উম্মতকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা ছালাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ’।(বুখারী হা/৬৩১; ঐ, মিশকাত হা/৬৮৩ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘দেরীতে আযান’ অনুচ্ছেদ-৬)। এ কথার মধ্যে তাঁর ছালাতের ধরন ও রাক‘আত সংখ্যা সবই গণ্য। তাঁর উপরোক্ত কথার ব্যাখ্যা হ’ল তাঁর কর্ম, অর্থাৎ ১১ রাক‘আত ছালাত। অতএব ইবাদত বিষয়ে তাঁর কথা ও কর্মে বৈপরীত্য ছিল, এরূপ ধারণা নিতান্তই অবাস্তব। এক্ষণে যখন সকল বিদ্বান এ বিষয়ে একমত যে, আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) ১১ রাক‘আত পড়তেন এবং কখনো এর ঊর্ধ্বে পড়েননি এবং এটা পড়াই উত্তম, তখন তারা কেন ১১ রাক‘আতের উপর আমলের ব্যাপারে একমত হ’তে পারেন না? কেন তারা শতাধিক রাক‘আত পড়ার ব্যাপারে উদারতা দেখিয়ে ফের ২৩ রাক‘আতে সীমাবদ্ধ থাকেন? এটা উম্মতকে ছহীহ হাদীছের ভিত্তিতে ঐক্যবদ্ধ হওয়া থেকে বিরত রাখার নামান্তর বৈ-কি! এক্ষণে যদি কেউ রাতে অধিক ইবাদত করতে চান এবং কুরআন অধিক মুখস্থ না থাকে, তাহ’লে দীর্ঘ রুকূ ও সুজূদ সহ ১১ রাক‘আত তারাবীহ বা তাহাজ্জুদ শেষ করে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাসবীহ ও কুরআন তিলাওয়াতে রত থাকতে পারেন, যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত ও অধিক ছওয়াবের কাজ। এছাড়াও রয়েছে যেকোন সাধারণ নফল ছালাত আদায়ের সুযোগ। যেমন ছালাতুল হাজত, ছালাতুত তাওবাহ, তাহিইয়াতুল ওযূ, তাহিইয়াতুল মাসজিদ ইত্যাদি। অতএব রাতের নফল ছালাত ১১ বা ১৩ রাক‘আতই সর্বাধিক বিশুদ্ধ ও সর্বোত্তম। আল্লাহ সর্বাধিক অবগত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) প্রতি দু’রাক‘আত অন্তর সালাম ফিরিয়ে আট রাক‘আত তারাবীহ শেষে কখনও এক, কখনও তিন, কখনও পাঁচ রাক‘আত বিতর এক সালামে পড়তেন।(আবুদাঊদ, নাসাঈ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/১২৬৪-৬৫ ‘বিতর’ অনুচ্ছেদ-৩৫)। জেনে রাখা ভাল যে, রাক‘আত গণনার চেয়ে ছালাতের খুশূ-খুযূ ও দীর্ঘ সময় ক্বিয়াম, কু‘ঊদ, রুকূ, সুজূদ অধিক যরূরী। যা আজকের মুসলিম সমাজে প্রায় লোপ পেতে বসেছে। ফলে রাত্রির নিভৃত ছালাতের মূল উদ্দেশ্য ব্যাহত হচ্ছে।@@@@
    Tauhid Siddique
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 12:24pm

    Sogood Islam Syeds

    উমর(রঃ) কত রাকাত তারাবি প্রচলন করেছিলেন তার সহিহ পর্যালোচনাঃ (১)সায়েব ইবনু ইয়াযীদ(রাঃ)হতে বর্ণিত,তিনি বলেন,’ওমর(রাঃ)উবাই ইবনে কা’ব ও তামীম আদ-সারী(রাঃ) কে লোকদের নিয়ে ১১ রাকাত ছালাত আদায় করার নির্দেশ প্রদান করেন।(মুয়াত্তা মালেক ১খন্ড ১৭১ পৃষ্টা, ইসলামিক ফাউন্ডেশন) পর্যালোচনাঃউপরিউক্ত হাদিসটি অনেকগুলো হাদিছে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে।যার সবগুলোই সহিহ।আল্লামা নামভী হানাফী(রহঃ)তার ‘আছারুস সুনান’গ্রন্থে হাদিছটির সনদ সম্পর্কে বলেন, ‘এই হাদিছের সনদ ছহীহ।(তুফাতুল আহওয়াযী ৩য় খন্ড,পৃষ্টা ৪৪২) শায়খ আলবানী বলেন,’এই হাদিছের সনদ অত্যন্ত বিশুদ্ব।কারন সায়েব ইবনু ইয়াযীদ একজন ছাহাবী।তিনি ছোটতে রাসূল(সাঃ)এর সাথে হজ্ব করেছেন।(ইরওয়াউল গালীল)অন্যত্র তিনি বলেন,’আমি বলছি,এই হাদিছের সনদ অত্যন্ত ছহীহ।কেননা এর রাবী মুহাম্মদ ইবনু ইউসুফ ইমাম মালেক(রহঃ)এর উসতাদ।সকলের ঐক্যমতে তিনি একজন অত্যন্ত নির্ভরযোগ্য রাবী। তাছাড়া ইমাম বুখারি ও মুসলিম তার দ্বারা দলিল গ্রহণ করেছেন।(ছালাতুত তারাবীহ-৪৫) শায়খ আল্লামা ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী মিশকাতুল মাছাবীহ এর জগদ্বিখ্যাত ভাষ্য’মির’আতুল মাফাতীহ’গ্রন্থে ওমর(রাঃ)এর হাদিছের আলোচনায় বলেন,’ওমর (রাঃ) রমাযান মাসে রাত্রের ছালাতের জন্য লোকদের একত্রিত করেছিলেন এবং তিনি যে তাদেরকে বিতর সহ ১১ রাকা’ত করে পড়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন,এই হাদিছ তার প্রামাণ্য দলীল।এছাড়া তাঁর যুগে সকল সাহাবি ও তাবেঈগনও যে তারাবির ছালাত ১১ রাকাতই পড়তেন এটি তার সুস্পষ্ট প্রমাণ।কারন এ হাদীছটি পূর্বে বর্ণিত আয়েশ(রাঃ)এর হাদিছের সাথে পুরোপুরি সামঞ্জস্যশীল। অতএব সহিহ হাদিছ দ্বারা প্রমাণিত যে উমর(রাঃ) ৮ রাকাত তারাবিহ জামাতে প্রচলন করেন।
    Ahd Imran Shaikh
  • May 31
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 7:47pm

    Sogood Islam Syeds

    Tarawi 8 not 20 :-https://youtu.be/YY2QgXK7j0c

    102 MOkka madinay keno 20 rakat tarabi (Abdur Razzak bin Yousuf)
    মক্কায় কেন ২০ রাকায়াত তারাবীহ পড়ানো হয় ? তারাবীহ কি ২০ রাকায়াত না ৮ রাকাত। আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ।
    youtube.com
  • June 1
  • Sogood Islam Syeds
    6/1, 1:59am

    Sogood Islam Syeds

    আল্লাহর গোলাম আনিসুল added a new photo.
    ২০ রাকআত জাল এবং যঈফ হাদীছ সমূহের পর্যালোচনা এবং ৮ রাকআত এর ছহীহ বর্ণনাগুলির দলিলভিত্তিক পর্যালোচনা করা হয়েছে বইটিতে। লিঙ্কঃ http://www.mediafire.com/download/07ht89rvegfgym0/Salatut+Tarabeeh+-+Abu+Hibban+%26+Abu+Khuzaimah+Ansaari.pdf
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • Sogood Islam Syeds
    6/1, 2:11am

    Sogood Islam Syeds

    দাড়ী রাখা কি সুন্নত, ওয়াযীব নাকি ফরজ এই বিষয়ে অনেক মত পার্থক্য আছে, তবে আমরা মত পার্থক্য বাদ দিয়ে দেখি কোরআন ও সহীহ হাদীসে দাড়ি রাখার ব্যপারে কি বলা আছে। প্রথমত, মহান আল্লাহ বান্দাকে আল কোরআনে সরাসরি বলেন নি যে তোমরা দাড়ি রাখো, তবে মহান আল্লাহ সূরা আল-আহযাবের ২১নং আয়াতে বলেন… (لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ) (নিশ্চয়ই রাসূল (সা) জীবনে রয়েছে তোমাদের জন্য উত্তম আদর্শ। সূরা আল-আহযাব ২১) তার অর্থ আমরা বুঝতে পারি যেহেতু মহান আল্লাহ রাসূল (সা) এর আদর্শকে আমাদের জন্য উত্তম বলেছেন তাই দাড়ী রাখা ফরজ। কারন রাসূল (সা) কে আদর্শ রুপে গ্রহণ করতে হয় তার সুন্নত দিয়ে, তার আমল দিয়ে তার আদেশ ও নিষেধ মেনে। তাই বলা চলে দাড়ি রাখা ফরজ। এছাড়াও মহান আল্লাহ আল-কোরআনের সূরা আল-ইমরানের ৩১নং আয়াতে বলেন .قُلْ إِن كُنتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ۗ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَّحِيمٌ ﴿٣١ (হে রাসূল (সা) আপনি বলুন যদি তোমরা আমাকে ভালোবাসতে চাও তাহলে রাসূল অনুসণ করো আমি তোমাদের ভালোবাসবো এবং তোমাদের ক্ষমা করবো। সূরা: আল-ইমরান ৩০) তাই আমরা বলতে পারি রাসূল (সা) কে ভালোবাসতে হবে তার সুন্নত দিয়ে আর দাড়ি রাখা রাসূল (সা) এর একটি বড় দায়েমী সুন্নত। যেহেতু রাসূল (সা) ভালোবাসতে হয় তার সুন্নত ও আমল দিয়ে আর সে কথা বলেছেন আল্লাহ তাই দাড়ী রাখা ফরজ। দারি রাখা এক ধরনের ওয়াযীও বটে, কারন রাসূল (সা) বলেছেন….. ইববেন ওমর (রা) হতে বর্ণিত যে তোমরা মোচ (গোফ) ছোট করো এবং দাড়িকে ছেড়ে দাও বা বড় করো। রাসূল (সা) এর কথা মান্য করা ওয়াযীব এবং তার বিরোধীতা করা হারাম। তাই বল যায় দাড়ি রাখা ওয়াযীব। দাড়ি রাখা এক ধরনের সুন্নত কারন রাসূল (সা) এর পুরুষের জন্য যে দশটি দায়েমী সুন্নতের কথা বলেছেন তার মধ্যে দাড়ি রাখা অন্যতম।তাই বলা চলে দাড়ি রাখা সুন্নত। তবে অনেকেই বলে দাড়ি রাখা সুধু নবীর সুন্নত বটে। তাদের নিকট প্রশ্ন যদি দাড়ি রাখা সুধু নবীর সুন্নত হয় তবে মহাল আল্লাহ, রাসূল (সা) আর্দশ রুপে গ্রহণ করতে বলেছেন কেনো তাহলে কি তার আদর্শ আমরা কাজেই পরিনত করবো নাকি তাকে সুন্নত দিয়ে ভালোবাসবো ?? তবে দাড়ি রাখার যে তরিকা রয়েছে বা রাসূল (সা) এর দাড়ি রাখার তরিকার নাম হচ্ছে সুন্নত। অতএব আমার বলেতে পারি দাড়ি রাখা, ফরজ, ওয়াযীব ও সুন্নত সব কিছুই বটে, আর ইসলামে পরিপূর্ণ ভাবে প্রবেশের জন্য পুরুষদের ক্ষেতে দাড়ি রাখাটা আবশ্যিক। আর আল্লাহ আল-কোরআনের বলেন… (তোমরা পরিপূর্ণ রুপে ইসলামে প্রবেশ করো)
    محمد يونس حسين
  • Sogood Islam Syeds
    6/1, 2:14am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 1
  • Sogood Islam Syeds
    6/1, 12:56pm

    Sogood Islam Syeds

    (আমি আমার কোন পোষ্ট এড়িয়ে না যাওয়ার জন্য কখনও রিকোয়েস্ট করিনি। আজ করছি। একটু কষ্ট করে পড়ুন। ইংশাআল্লাহ, সময়টা জলে যাবে না।) রমজানের প্রস্তুতির কথা বললে অনেকে অনেক কিছুই বোঝে। কিন্তু, রমজানের মুল যে প্রস্তুতি সেটা হল শিরকমুক্ত ঈমান আনয়ন। আমরা মুসলিম পরিবারগুলো থেকে আগত হওয়া সত্বেও ঈমান আনার শর্ত কালিমার তাৎপর্য সম্পর্কে অনেকেই জ্ঞান রাখি না। ফলশ্রুতিতে, জীবনের পদে পদে শিরক মিশ্রিত হয়ে আমরা মুলত আর কোন আমলের যোগ্যতা হারিয়ে ফেলি। তাই ঈমান নবায়নের প্রয়োজন হয়। আসুন ঈমান নবায়ন করে রমজানের প্রস্তুতি নিই। আর তাই কালিমার কিছু বেসিক জ্ঞান পুনরায় স্মরণ করি। কালিমার দুটি অংশ। একটি বর্জনীয়, এই বর্জনটি আগে করতে হয়। আর তা হল সমস্ত তাগুতকে বর্জন। এরপর আল্লাহর ওপর ঈমান – এটা গ্রহন। তাই অধিকাংশ ওলামাগন বাকারা-২৫৬, নাহল-৩৬, যুমার-১৭ ইত্যাদি আয়াতের ভিত্তিতে তাওহিদের দুটি রুকন বা ভিত্তি ঠিক করেছেন। ১. তাগুত বর্জন ২. ঈমান আনয়ন। যেহেতু, এগুলো ভিত্তি, সুতরাং তাগুত সম্পর্কে জানা, এটি বর্জনের প্রক্রিয়া জানা প্রতিটি ইসলাম গ্রহনে প্রত্যাশী মানুষের জন্য প্রথম ফরজ। এরপর নামাজ রোযা। নট বিফোর দ্যান দ্যাট। এরপর আসছে কালিমার শর্তাবলী। একজন মানুষ যে কুফর বিত তাগুত ও ঈমান বিল্লাহর ঘোষনা দিয়ে ইসলামে আসবে, সেজন্য তাকে কিছু শর্তাবলী পুরন করতে হবে। তোতাপাখির মত “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” ঘোষনা দেবে, আবার সাথে সাথে দ্বীনের বিষয়গুলোকে অপশনাল করে নেবে, কখনও অপছন্দ বা বিরোধীতা করবে – এটা কখনো হতে পারে না। কালিমার শর্তসমুহ দুইটি ভিত্তির ওপর প্রতিষ্টিত। এক হল, কেউ যদি এই কালিমার মাধ্যমে শুধু নিজের জান ও মালের হিফাজত কামনা করে, তবে তাকে দুটি অাবশ্যকীয় শর্ত পুরন করতে হবে। যেহেতু, রাসুল(স) যতক্ষণ না কেউ কালিমার স্বাক্ষ্য দিচ্ছে, ততক্ষণ তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার জন্য আদিষ্ট হয়েছেন। তো সেই শর্ত দুটি হল – ১. সেই ব্যক্তিকে প্রকাশ্যে কালিমার ঘোষনা দিতে হবে। ২. এরপর তার কাছ থেকে কোন ঈমান বিধ্বংসী বিষয় প্রকাশ পাওয়া যাবে না। আর যারা কালিমার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাত উভয় জাহানের মুক্তি ও কামিয়াবি তথা জাহান্নাম থেকে মুক্তি ও জান্নাত লাভের আশা রাখে তাদের জন্য কালিমার শর্ত মোট সাতটি। এগুলো হলঃ— ১. আল ইলম বা কালিমা সম্পর্কে সম্যক জ্ঞান রাখা। (সুত্র-সুরা মুহাম্মাদঃ১৯) ২. আল ইয়াক্বীন বা দৃঢ় বিশ্বাস। (সুত্র- হুজুরাতঃ১৫, মুসলিম-৪৪,৪৫) ৩. আল ক্ববুল বা গ্রহন করা। (সুত্র- সাফফাতঃ ৩৫-৩৬) ৪. আল ইনকিয়াত বা সমর্পন করা। (সুত্রঃ নিসাঃ৬৫) ৫ আস সিদক বা সত্যনিষ্ঠতা। (সুত্রঃ মুসলিম-৫৩) ৬. আল ইখলাস বা একনিষ্ঠতা। (সুত্রঃ বাইয়্যেনাহঃ৫) ৭. আল মুহাব্বাহ বা ভালবাসা। (সুত্রঃ বাকারা-১৬৫) উপরোক্ত বিষয়গুলো ভালভাবে অধ্যয়ন ও তা অনুশীলন করার জন্য নিজেকে ও সবাইকে তাগিদ দিচ্ছি। ঈমান আনুন আগে। এরপর আমল করুন। সওয়াব পাবেন। নইলে নয়। প্রসেডিওর তো মেইনটেইন করতেই কবে। কালিমা সম্পর্কিত এই বিষয়গুলো আরো গভীরভাবে জানার জন্য আপনার নিকটস্থ আলেমের কাছে শুনুন, নিজেদের স্ট্যাডি সার্কেলে রমজানের আগে আরেকবার গ্রুপ ডিসকাশন করুন, এরপর ছড়িয়ে দিন বন্ধু-বান্ধব, পরিবার ও আত্মীয় পরিজন যতদুর পারেন। বিষয়টি অতীব জরুরী।
    Rowshon Kabir
  • June 2
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 1:32am

    Sogood Islam Syeds

    Sajid Kasmani added a new photo.
    It was narrated from ‘Abd-Allaah ibn ‘Umar that the Messenger of Allaah (peace and blessings of Allaah be upon him) said: “Make your rows straight, stand shoulder to shoulder and close the gaps, and do not resist your brothers’ hands. Do not leave any gaps for the Shaytaan. Whoever complete a row, Allaah will reward him, and whoever breaks a row, Allaah will forsake him. Abu Dawood said: What is meant by “Do not resist your brothers’ hands” is that a man should be easy-going if his brother pushes him forwards or backwards to make the row straight. (‘Awn al-Ma’bood). Narrated by Abu Dawood, 666; al-Nasaa’i, 819. Classed as saheeh by al-Albaani in Saheeh Abi Dawood, 620.
    Sajid Kasmani
  • June 2
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 5:01am

    Sogood Islam Syeds

    Rowshon Kabir added a new photo.
    তাওহিদের বুঝ যাদের ঠিক নাই, তারা যখন মানুষকে দ্বীন শেখাতে আসে, তখন পরিনতিটা হয় খুব ভয়াবহ। পড়ছিলাম শরীফ আবু হায়াত অপুর “বাক্সের বাইরে”। তাগুত সম্পর্কে তার জ্ঞানের বহর দেখে আশ্চর্য হলাম। ইব্রাহিম আ যেখানে তাগুতের সাথে স্পষ্ট শত্রুতা ঘোষনা করেছেন, তাদেরকে মানি না বলে দিয়েছেন, যেমনটি আমরা সুরা মুমতাহিনাতে দেখি, সেখানে অপু নিজের সমাজ ও ব্যক্তিজীবনে তাওহিদ প্রতিষ্টা করেই সেটাকে যথেষ্ট ভাবছে। রাষ্ট্রে তাওহিদ ছাড়া কিভাবে সমাজে বা ব্যক্তিজীবনে তাওহিদ প্রতিষ্টা করা যায়, এটাও বুঝে আসল না আমার। কেউ পারলে আমার এই রিকোয়েস্ট তাকে পৌছে দেবেন। কুফর বিত তাগুতের উসুল যাদের এখনও ক্লিয়ার হয় নি, তারাও এই রমজানে রোযা রাখবেন, নামাজ পড়বেন। আফসোস, এদের জন্য। আসুন, দ্বীনের জ্ঞান অর্জন করি আগে। আমিনু কামা আমানান্নাসের শর্ত পুরন করে সাহাবাদের ফরম্যাটে ঈমান আনি আগে। এরপর আমল। ‘ইবরাহীম ও তার সাথে যারা ছিল তাদের মধ্যে তোমাদের জন্য রয়েছে উত্তম আদর্শ। তারা যখন স্বীয় সম্প্রদায়কে বলছিল, ‘তোমাদের সাথে এবং আল্লাহর পরিবর্তে তোমরা যা কিছুর উপাসনা কর তা হতে আমরা সম্পর্কমুক্ত। আমরা তোমাদেরকে অস্বীকার করি; এবং উদ্রেক হল আমাদের- তোমাদের মাঝে শত্রুতা ও বিদ্বেষ চিরকালের জন্য; যতক্ষণ না তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান আন। তবে স্বীয় পিতার প্রতি ইবরাহীমের উক্তিটি ব্যতিক্রম: ‘আমি অবশ্যই তোমার জন্য আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করব আর তোমার ব্যাপারে আল্লাহর কাছে আমি কোন অধিকার রাখি না।’ হে আমাদের প্রতিপালক, আমরা আপনার ওপরই ভরসা করি, আপনারই অভিমুখী হই আর প্রত্যাবর্তন তো আপনারই কাছে। ‘ সুরা মুমতাহিনা (60:4)
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 7:49am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 7:56am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 8:04am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 2
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 12:26pm

    Sogood Islam Syeds

    হানাফি মাযহাব প্ৰকৃততে সত্যৰ পথত আছেনে? যদি আছে তেনেহ’লে তাক মানাটো ফৰজ হ’ল কেনেকৈ? Posted by IslamQABangla সকলো প্রশংসা একমাত্ৰ আল্লাহৰ কাৰণে। যিসকলে কয় মাযহাব মানা ফৰজ, তেওঁলোকে আল্লাহ্‌ আৰু তেওঁৰ ৰাছূল চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লাম সম্পর্কে মিছা কথা কয়। মাযহাব মানা ফৰজ এই কথা কুৰআনত আছে, নে কোনো হাদীছত! সেয়ে যিসকলে কয় মাযহাব মানা ফৰজ তেওঁলোকে আল্লাহ্‌ৰ কিতাব আৰু তেওঁৰ ৰাছূল চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ হাদীছ অস্বীকাৰ কৰিলে আৰু মিছা ক’লে যে মাযহাব মানা ফৰজ। যিসকলে এনেকুৱা বিশ্বাস কৰিব তেওঁলোক পথভ্রষ্ট আৰু জাহান্নামী। কাৰণ তেওঁলোকে অন্ধভাৱে মাযহাব মানাৰ মাধ্যমত, একাধিক ছহীহ হাদীছক অস্বীকাৰ কৰে। ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ ছহীহ হাদীছ অস্বীকাৰ কৰা হৈছে ইছলাম ভঙ্গকাৰী বিষয়, যাৰ পৰিণাম চিৰকাল জাহান্নাম। যদি মাযহাব মানা ফৰজ হয়¸ তেনেহ’লে ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে তেওঁৰ জীৱনৰ কোনো এটা সময়ত বা বিদায় হজ্জৰ সময়ত তাক কৈ গ’লহেঁতেন। কিন্তু ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে, “তোমালোকে মোৰ ছুন্নাত আৰু মোৰ পিছৰ হিদায়াতপ্রাপ্ত খুলাফায়ে ৰাশ্বিদাৰ (৪ খলিফাৰ) ছুন্নাতৰ অনুসৰণ কৰিবা আৰু তাক দৃঢ়ভাৱে খামুচি ধৰিবা আৰু তোমালোকে দ্বীনৰ বিষয়ত নৱ আৱিষ্কৃত বিষয়ৰ পৰা সাৱধান থাকিব। কাৰণ প্রতিটি নৱ আবিষ্কৃত বিষয়েই বিদয়াত আৰু প্রতিটি বিদআতেই গোমৰাহী বা পথভ্ৰষ্টতা…[আবু দাউদ] ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে¸ তেওৰঁ ছুন্নাহ্‌ আৰু চাহাবীসকলৰ ছুন্নাহৰ অনুসৰণ কৰিবলৈ, কোনো আলিমৰ অনুসৰণ কৰিবলৈ কোৱা নাই। কোনো আলিমৰ অন্ধ অনুসৰণ কৰা উচিত নে? নিশ্চয় উচিত নহয়। হানাফি মাযহাবত ছালাতৰ মাছালাত বহুত ভুল আছে আৰু যিবোৰ ছহীহ হাদীছৰ পৰিপন্থী। যেনে- তলৰ বিষয়সমূহ কোনো ছহীহ হাদীছত নাই: ১. নিয়ত পঢ়া। ২. ছালাতত ভুল হ’লে “আল্লাহু আকবৰ” কোৱা। ৩. বিতৰ ছালাতৰ কুনুতৰ পূর্বে তাকবীৰ কোৱা। ৪. জায়নামাযৰ দোৱ়া…ইত্যাদি অন্যান্য ভুলসমূহ হৈছে: ১. মিলাদ পঢ়া (বিদাআত আৰু শ্বিৰ্ক) ২. তাবীজ ব্যৱহাৰ কৰা (শ্বিৰ্ক) ৩. জর্দা খোৱা (হাৰাম) ৪. ধুমপান (হাৰাম) ৫. সন্মিলিত মোনাযাত (বিদাআত, ছালাতৰ পিছত বা ওৱাজ মাহফিল)…ইত্যাদি যিসকলে অন্ধভাৱে হানাফি ফিক্কাহ অনুসৰণ কৰে তেওঁলোকে কয় জর্দা খোৱা হাৰাম নহয়, কাৰণ সেইটো তেওঁলোকৰ মাছালাত নাই। কিন্তু তেওঁলোকে ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ এই হাদীছ নামানে: য’ত ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে: যদি কোনো বস্তুৰ বেছি পৰিমাণে নিচা সৃষ্টি কৰে, তেনেহ’লে তাৰ কম পৰিমাণো হাৰাম…[তিৰমিযী] জর্দাই মানুহৰ নিচাৰ সৃষ্টি কৰে, তেনেহ’লে জৰ্দা হাৰাম নহয় নেকি? নিশ্চয় হাৰাম। হাৰাম কিবা ভক্ষণ কৰিলে ইবাদত কবুল নহব। যিসকল ব্যক্তিয়ে জর্দা খাই তেওঁলোকৰ ছালাত কবুল নহব আৰু যিসকল ইমামে জর্দা খাই তেওঁলোকৰ পিছত ছালাত আদায় কৰিলে সি কবুল নহব। আমি ইমাম আবু হানিফাৰ মাযহাব মানো, ইমাম শ্বাফেয়ীৰ মাযহাব মানো, ইমাম মালিক, ইমাম হাম্বলৰ মাযহাব মানো। কিন্তু মাযহাব মানা ফৰয বুলি তেওঁলোকৰ অন্ধ অনুসৰণ নকৰোঁ। তেওঁলোকৰ মতে যি ছহীহ হাদীছৰ অনুকূলত তাক মানো আৰু যি প্রতিকূলত তাক বর্জন কৰোঁ। এই হৈছে আহলে ছুন্নাহ্‌ওৱাল জামাতৰ আক্কিদা। গতিকে হানাফি মাযহাব সত্যৰ পথত নাই বা এককভাৱে কোনো মাযহাবই সত্যৰ পথত নাই। সেয়ে এনেধৰণে মাযহাব মানা নিষিদ্ধ। জীৱন গঢ়িব লাগিব ছহীহ হাদীছ অনুসাৰে, মাযহাব অনুসাৰে নহয়। আল্লাহে যেন আমাক বুজাৰ তৌফিক দান কৰে।
    Abu Atika
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 12:32pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 2
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 5:52pm

    Sogood Islam Syeds

    হুজুর দলিল দেয়; মক্কা মদিনায় ২০ রাকাতের জামাত পড়ে আমরাও পড়ি। হুজুর…., মক্কা মদিনায় ২০ রাকাতের জামাত হয় আপনার কথা ১০০% সঠিক; কিন্তু মক্কা মদিনার ঈমামরা ২০ রাকাত পড়ে না, ১০ রাকাত পড়ে চলে যায় আবার নতুন ঈমাম এসে ১০ রাকাত পড়ায়। হুজুর, আপনারা যেহেতু মক্কা মদিনার নিয়মে সালাত পড়েন তাহলে মক্কা মদিনায় যেভাবে কুরআন তেলওয়াত করা হয় ধীরে ধীরে স্পষ্ট করে কেন সেভাবে কুরআন তেলওয়াত করেন না? কেন দৌড়িয়ে কুরআন তেলওয়াত করেন? কেন বিতর সালাত, মক্কা মদিনার মত পড়েন না? বিতর সালাতও মক্কা মদিনার মত পড়ুন। মক্কা মদিনায় ঈদের সালাত ১২ তাকবিরে হয়; আপনারা কেন ৬ তাকবিরে পড়েন? মক্কা মদিনায় আমিন জোরে বলে; আপনারা কেন আমিন আস্তে বলেন? মক্কা মদিনায় রাফউন ইয়াদাইন করে; আপনারা কেন রাফউন ইয়াদাইন করেন না? মক্কা মদিনায় বুকের উপর হাত বাধে; আপনারা কেন বুকের উপর হাত বাধেন না? মক্কা মদিনায় মহিলাদের জন্য সালাতের ব্যবস্থা আছে; আপনাদের মসজিদে কেন মহিলাদের জন্য সালাতের ব্যবস্থা নেই? মক্কা মদিনায় মিলাদ পড়ে না; আপনারা কেন মিলাদ পড়েন? মক্কা মদিনায় শবে-বরাত নেই; আপনারা কেন শবে-বরাত পালন করেন? মক্কা মদিনায় কোন মাযার নেই; আপনাদের দেশে কেন এত উচু উচু মাযার? …. মক্কা মদিনার ২০ রাকাতটাই শুধু চোখে পড়ল বাকীগুলো কেন চোখে পড়ে না, হুজুর?
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • June 2
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 8:58pm

    Sogood Islam Syeds

    Safdar Hashim added a new photo.
    #FRIEND
    Safdar Hashim
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 9:17pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 10:36pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 10:58pm

    Sogood Islam Syeds

    Jhony Ahmed added a new photo.
    আমার #জীবন এর গল্প বলি…… শুনেন সময়টা ছিল ২০১০ আজ থেকে ৬ বছর আরে কথা ঠিক সেই বছর রমজান মাস ঠিক তখন থেকেই শুরু হইছিল জীবন এর টারনিং পয়েন্ট তখন থেকে আসছিলো জীবন এর ব্যাপক পরিবর্তন… পাল্টে গেছিলো জীবন এর দৃষ্টিভঙ্গি বদলে গেছিলো জীবন এর গতিপথ… তার আগের সময়টা ছিল গতানুগতিক ভাবেই চলা… কেন না মুসলিম পরিবার এ জন্ম নিয়েও ইসলাম এই ভাবে প্র্যাকটিস করার সুযোগ হইছিল না কারন একটাই সেটা হল পরিবার ও সমাজ এর ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞতা… আলহামদুলিল্লাহ্‌ আলা কুল্লিহহাল আল্লাহ তা’আলা পথ দেখিয়েছেন… সুযোগ হয়চে অন্ধকার থেকে আলোর পথে/ হেদায়েত এর পথে হাঁটার… এখন আমার জীবন হেদায়েত এর আলোতে আলোকিত… সেই বছর প্রথম রমজান এর ৩০ টা রোজা রাখি তারপর এক দুই ওয়াক্ত করে শুরু হয় সালাহ আদায় করা তারপর একসময় ৫ ওয়াক্ত আদায় করা আস্তে আস্তে জীবন থেকে অনেক কিছু বাদ পড়তে থাকে আবার অনেক নতুন সাবজেক্ট যোগ হইতে থাকে… তারপর শুরু হয় আস্তে আস্তে প্র্যাকটিসইং হওয়া… আস্তে আস্তে মুখে দাঁড়ি বড় হয়তে থাকে প্যান্ট তাখনুর উপর পড়া শুরু হয়…। ইসলাম সম্পর্কে যেন আগ্রহ বেড়েই চলচে… তারপর চলে ছোটখাটো ইসলামিক বই পড়া তারপর অডিও ভিডিও লেকচার শুনা… এর মাজে সব থেকে বেশি যেটা প্রভাব ফেলে তা হচ্ছে কুরআন বাংলা তে বুজে পড়া অথচ তখন আমি আরবি পাড়ি না… এর পর শুরু হল আরবি শেখার আগ্রহ… তার পিছনে ছুটলাম নিজের গ্রাম এ কোন মক্তব না থাকায় এক গ্রাম পার হয়ে গেলাম পাশের গ্রাম এ মক্তব এ কুরআন পড়া শিখতে আরবিতে… সেখানে সবাই ৭ থেকে ১০ বছর এর পোলাপান আর আমি একাই ১৬/১৭ বছর এর যুবক তবুও আমার কোন লজ্জাবোধ হতো না কারন আমার বুক ভরা আগ্রহ কুরআন শিখার…। তারপর একসময় শিখলাম কুরআন পড়া তারপর আমার হটাত এমন চেঞ্জ দেখে পরিবার ও আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু মহলে শুরু হল আমাকে নিয়ে গবেষণা নানা রকম পজেটিভ ও নেগেটিভ মতামত তবে কেও কোন দিন আমার সামনে কোন কিছু বলার সাহস করে নি আমাকে কোন কাজে বাঁধা সৃষ্টি করে নি…। এই ভাবেই চলতে থাকলো আমার ইসলাম স্টাডি আর আমিও আস্তে আস্তে আরও আলোকিত হওয়া শুরু করলাম আমার ভেতর হেদায়েত আরও বাড়তে থাকলো… আমিও আমার লিখাপড়ার পাশাপাশি চালিয়া গেলাম ইসলাম স্টাডি অডিও ভিডিও লেকচার শুনা বই পড়া… তারপর ২০১১ সাল এ নেট এর জগত এ প্রথম পা রাখলাম তারপর প্রথম ফেসবুক এ প্রবেশ করলাম আস্তে আস্তে আরও দীনি ভাই দের সাথে মিশতে থাকলাম ২০১২ তে হাতে পাইলাম স্মার্ট ফোন তখন ফেসবুক এ আরও আক্টিভ হইলাম পাশাপাশি নেট থেকে আরও বেশি জানার সুযোগ হইল অনেক অডিও ভিডিও ও পি ডি এফ বই পড়ে আমার ইসলাম স্টাডি আরও বেড়ে গেলো… নিজের মাজে একটা জিনিষ বেশি দেখতাম সেটা হল আমার প্রচুর জানার আগ্রহ ছিল এখনো বিদ্যমান আর এই থেকেই আমার ইসলামিক গবেষণা আরও বেড়ে গেলো… আরও ব্যাপক ভাবে ইসলাম কে জানার চেষ্টা করলাম পেয়ে গেলাম অনেক দীনি ভাই আর অনেক শাইখ যারা সঠিক ইসলাম জানার বেপার এ অনেক সাহায্য করল আমাকে… এই ভাবে চলতে চলতে চলে গেলো ৬ টি বছর আর আমার জীবন হল আলোকময় আসলো জীবন এ ব্যাপক পরিবর্তন আলহামদুলিল্লাহ্‌ আলা কুল্লিহহাল এখন জীবন এর গতিপথ সম্পূর্ণ ভিন্ন কোন কিছু করতে গেলে আমাকে আগে চিন্তা করতে হয় ইসলাম এই বেপার এ কি বলে ? এই ভাবে আজ আমি আবার সেই রমজান এর নিকটে যে রমজান এ শুরু হইছিল জীবন এর পরিবর্তন…। তাই এই রমজান এর প্রস্তুতি হিসেবে থাকছে এখনো যে পাপ গুলো আমার মাজে বিদ্যমান তা পরিহার করা এবং নতুন কিছু আমল যোগ করা যা আমাকে আল্লাহ সুবহানআল্লাহ তা”আলা এর আরও নিকটবর্তী করে দিবে… ইন শা আল্লাহ এই ভাবে প্রতিটি রমজান বয়ে আনুক আমাদের জন্য আল্লাহ তা”আলার আশীর্বাদ যার মাধ্যমে আল্লাহ আমাদের অন্ধকার এর থেকে হেদায়েত এর আলোতে নিয়ে আসেন । আল্লাহ আমাদের সবাই কে দ্বীন এর সঠিক বুঝ দান করুন সঠিক পথে পরিচালিত করুন আমাদের কবুল করুন আমিন…। ২ঃ৮ হে আমাদের রাব্ব! আমাদেরকে পথ প্রদর্শনের পর আমাদের অন্তরসমূহ বক্র করবেননা এবং আমাদেরকে আপনার নিকট হতে করুণা প্রদান করুন, নিশ্চয়ই আপনি প্রভূত প্রদানকারী। رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً ۚ إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ আমিন…।
    Jhony Ahmed
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 11:04pm

    Sogood Islam Syeds

    রমজানে আমরা কি কি নেক আমল করতে পারি :— (১) কিয়ামুল লাইল কিয়ামুল লাইল শব্দের অর্থ রাতের সালাত। অর্থাৎ সালাতে তারাবীহ। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন :— من قام رمضان إيمانا واحتسابا غفر له ما تقدم من ذنبه. رواه مسلم যে রমজান মাসে ঈমান ও ইহতিসাবের সাথে রাতে সালাত আদায় করবে তার অতীতের পাপসমূহ ক্ষমা করে দেয়া হবে। বর্ণনায় : মুসলিম সালাতে তারাবীহ যেমন কিয়ামুল লাইলের মধ্যে পড়ে তেমনি শেষ রাতে তাহাজ্জুদও সালাতুল লাইল এর অন্তর্ভুক্ত। ইমাম সাহেবের সাথে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত জামাতে সালাত আদায় করলে রমজানের পূর্ণ রাত সালাত আদায়ের সওয়াব অর্জিত হবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :— من قام مع الإمام حتى ينصرف كتب له قيام ليلة (رواه أبو داود) ইমাম সাহেব সালাত শেষ করা পর্যন্ত তার সাথে যে সালাত আদায় করবে সে পূর্ণ এক রাত সালাত আদায়ের সওয়াব পাবে। বর্ণনায় : আবু দাউদ যে সামর্থ্য রাখে সে ইমামের সাথে সালাত শেষ করে একা একা যত ইচ্ছা তত সালাত আদায় করবে। এ ক্ষেত্রে অনেকের মধ্যে যে অমনোযোগিতা দেখা যায় তা হল রমজানের প্রথম রাতে তারা সালাতে অংশ নিতে পারে না। আবার অনেককে রমজানের শেষ দিকে অলসতায় পেয়ে বসে। ফলে তারা পূর্ণ রমজানের কিয়ামুল লাইলের সওয়াব থেকে বঞ্চিত হয়ে থাকেন। (২) আল-কোরআন খতম ও তিলাওয়াত : নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :— الصيام والقرآن يشفعان للعبد يوم القيامة . . . সিয়াম ও কোরআন কেয়ামতের দিন মানুষের জন্য সুপারিশ করবে…। হাদিসে এসেছে, রমজানে জিবরাইল রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-কে কোরআন পাঠ করে শোনাতেন। আর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম পূর্ণ কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে জিবরাইলের কাছে তুলে ধরতেন। আল-কোরআন তিলাওয়াত হল সর্বশ্রেষ্ঠ জিকির। সিয়াম পালনকারী এ জিকির থেকে বঞ্চিত থাকতে পারেন না। আল-কোরআন তিলাওয়াতের একটি সঠিক দিক-নির্দেশনামুলক প্রবন্ধ এ বইয়ের শেষ দিকে যুক্ত করে দেয়া হয়েছে। পাঠক এ থেকে উপকৃত হতে পারবেন। যদি কেউ কোরআন তিলাওয়াত করতে অপারগ হন তাহলে বিভিন্ন তাসবীহ, তাহলীল, তাহমীদ আদায়ের মাধ্যমে মুখে আল্লাহর জিকির অব্যাহত রাখবেন। (৩) সদকা বা দান : প্রখ্যাত সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস বলেন :— كان رسول الله صلى الله عليه وسلم أجود الناس بالخير، وكان أجود ما يكون في شهر رمضان. رواه مسلم নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ছিলেন মানুষের মধ্যে সবচেয়ে বেশি দানশীল। আর রমজানে তার বদান্যতা আরো বেড়ে যেত। বর্ণনায় : মুসলিম ইমাম শাফেয়ি (র.) বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অনুসরণ করে তার উম্মতের জন্য উত্তম কাজ হল রমজান মাসে তারা বেশি করে দান-সদকা করবে। কারণ এ মাসে মানুষের প্রয়োজন বেশি থাকে। অপরদিকে রমজান হল জিহাদের মাস। তাই প্রত্যেকের উচিত অর্থ-সম্পদ দান করার মাধ্যমে জিহাদে অংশ নেয়া। (৪) এতেকাফ :— ইবনে উমার রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন :— كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يعتكف العشر الأواخر من رمضان . رواه مسلم রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশকে এতেকাফ করতেন। বর্ণনায় ; মুসলিম। এতেকাফ প্রসঙ্গে ইমাম যুহরি বলেন, আশ্চর্যজনক হল মুসলমানরা এতেকাফ পরিত্যাগ করে অথচ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনায় আসার পর থেকে ইন্তেকাল পর্যন্ত কখনো এতেকাফ পরিত্যাগ করেননি। (৫) ওমরাহ আদায় :— যেমনটি হাদিসে এসেছে নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :— عمرة في رمضان كحجة معي রমজান মাসে ওমরাহ আদায় আমার সাথে হজ আদায়ের সমতুল্য। (৬) রোজাদারদের ইফতার করানো : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :— من فطر صائما كان له مثل أجره ، غير أنه لا ينقص من أجر الصائم شيئا. رواه أحمد যে ব্যক্তি কোন সিয়াম পালনকারীকে (রোজাদারকে) ইফতার করাবে সে সিয়াম পালনকারীর অনুরূপ সওয়াব লাভ করবে, তবে তাতে সিয়াম পালনকারীর সওয়াব বিন্দুমাত্র কমে যাবে না। বর্ণনায় : আহমদ (৭) দোয়া-প্রার্থনা করা : আল্লাহ রাব্বুল সিয়ামের বিধান বর্ণনা করার পর বলেছেন – وَإِذَا سَأَلَكَ عِبَادِي عَنِّي فَإِنِّي قَرِيبٌ أُجِيبُ دَعْوَةَ الدَّاعِ إِذَا دَعَانِ (البقرة : 186) আমার বান্দাগণ যখন আমার সম্পর্কে তোমাকে প্রশ্ন করে, আমি তো নিকটেই। প্রার্থনাকারী যখন আমার কাছে প্রার্থনা করে আমি তার প্রার্থনায় সাড়া দেই। সূরা আল-বাকারা : ১৮৬। তাই সিয়াম পালনকারী আল্লাহর কাছে অধিক পরিমাণে দোয়া-প্রার্থনা করবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :— ثلاث دعوات مستجابة : دعوة الصائم، دعوة المظلوم، دعوة المسافر. رواه البيهقي في شعب الإيمانوصححه الألباني في الجامع তিনজনের দোয়া কবুল করা হয় ; সিয়াম পালনকারীর দোয়া, অত্যাচারিত ব্যক্তির দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া। সহি আল-জামে (৮) তওবা করা : সর্বদা তওবা করা ওয়াজিব। বিশেষ করে এ মাসে তো বটেই। এ মাসে তওবার অনুকূল অবস্থা বিরাজ করে। শয়তানকে শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয়, জাহান্নাম থেকে মানুষকে মুক্তি দেয়া হয়। এ ছাড়া রমজান মাসের সকল ইবাদত বন্দেগি তওবার অনুকুল পরিবেশ সৃষ্টি করে। এ কারণেই রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :— رغم أنف رجل دخل عليه رمضان، ثم انسلخ قبل أن يغفر له (رواه الترمذي) যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপ ক্ষমা করাতে পারেনি তার নাক ধুলায় ধূসরিত হোক। বর্ণনায় : তিরমিজি তাই রমজান মাসটাকে তওবা ও ক্ষমা পাওয়ার মাস হিসেবে গ্রহণ করে সে অনুযায়ী আমল করা উচিত। (৯) নেক আমল করতে অধিক হারে চেষ্টা অব্যাহত রাখা: বিশেষ করে রমজানের শেষ দশকে – عن عائشة رضي الله عنها قالت : كان رسول الله صلى الله عليه وسلم إذا دخل العشر أحيى الليل، وأيقظأهله، وجد وشد المئزر. رواه مسلم আয়েশা রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন : যখন রমজানের শেষ দশক এসে যেত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তখন রাত্রি জাগরণ করতেন, পরিবারবর্গকে নিদ্রা থেকে জাগিয়ে দিতেন, লুঙ্গি শক্ত ও ভাল করে বেঁধে (প্রস্তুতি গ্রহণ) নিতেন। বর্ণনায় : মুসলিম তিনি আরো বলেন :— كان رسول الله صلى الله عليه وسلم يجتهد في العشر الأواخر ما لا يجتهده في غيره. رواه مسلم রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমজানের শেষ দশকে ইবাদত-বন্দেগিতে যে পরিশ্রম করতেন অন্য সময় এ রকম করতেন না। বর্ণনায় : মুসলিম (১০) ইসলামি শিক্ষা অর্জনের প্রতি গুরুত্ব প্রদান : ইসলামি শিক্ষা হল সকল প্রকার শিক্ষার মূল। তা ছাড়া দুটি বিষয় লক্ষ্য করা খুব জরুরি এক. ইসলামের সকল ইবাদত-বন্দেগি সঠিকভাবে আদায় করতে হলে ইসলামি শিক্ষা অর্জন করতে হয়। এ ব্যাপারে কোন ওজর-আপত্তি গ্রহণযোগ্য নয়। সালাতের নিয়মকানুন, সিয়ামের বিধান, জাকাতের নিয়ম-নীতি, হজের আহকাম না শিখে এগুলো আদায় করা যায় না। দুই. আল-কুরআনের তফসির শেখা ও অধ্যয়ন অত্যন্ত জরুরি। বিশেষ করে আমরা যে সকল সূরা-কেরাত সালাতের মাঝে পড়ে থাকি সেগুলোর মর্ম অনুধাবন করে তিলাওয়াত করা দরকার। কাজেই রমজান মাসকে আমরা ইসলামি শিক্ষা অর্জন ও শিক্ষা প্রসারের একটি সুযোগ হিসেবে নিতে পারি। মূর্খতার অবসান ঘটানো সিয়ামের একটা গুরুত্বপূর্ণ দাবি। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন :— من لم يدع قول الزور والعمل به والجهل، فليس لله حاجة أن يدع طعامه وشرابه . رواه البخاري যে মিথ্যা কথা ও কাজ এবং মূর্খতা পরিত্যাগ করতে পারল না তার পানাহার বর্জনে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই। বর্ণনায় : বোখারি হাদিসটি দ্বারা স্পষ্ট বুঝে আসে যদি মূর্খতা পরিহার না করা হয় তবে সিয়াম আল্লাহর কাছে গুরুত্বহীন হয়ে পড়ে। আর মূর্খতা ত্যাগ করা যাবে শুধু শিক্ষা অর্জনের মাধ্যমে।
    Dawati Islam
  • Sogood Islam Syeds
    6/2, 11:53pm

    Sogood Islam Syeds

    Warning:- بسم الله الرحمن الرحيم The Virtues of the Kursi verse according to authentic Hadiths are: 1) It is the Greatest Verse in the Quran [ Refer to Sahih Bukhari: Hadith258] 2) It protects you from the Shyatan [ Refer to Sahih Bukhari: Hadith 2187] 3) If it is recited after each Salah then it wil be a reason to get you into Jannah [ Refer to Sunan Al-Nisa’e Alkubra: Hdaith 9928] That is all what I know as authentic in regards the virtue of Ayet Al-Kursi. However, The virtues you have stated in points number ( 1, 2, 4 and 5) are fabricated ones. Wallahu A’lam __________________++(((((++++++++++++++ BENIFITS OF AAYATUL QURSI 1) Recite Ayatul Qursi at the time of leaving the house because 70,000 angels protect the person from left, right, front, and back and if a person dies before returning, he will get 70 martyrs reward. 2) Recite Ayatul Qursi 40 times every day at the time of sunset, you’ll receive the reward of 40 Hajj. 3) Recute Ayatyk Qursi every night at bed, this creates one angel who will guard the person until morning. 4) Recite Ayatul Qursi every thime after ablution (wuzu) and this will raise you 40 times in rant from each word. 5)Recite Ayatul Qursi every time after returning home because it keeps poverty away.
    Sogood Islam Syeds
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 12:17am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • June 3
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 8:50am

  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 8:53am

    Sogood Islam Syeds

    হানাফী মাজহাবের যে সমস্ত বিজ্ঞ আলেম ২০ রাকআত তারাবী পড়ার পক্ষের হাদীছগুলাকে যঈফ বলেছেন, তাদের নামের একটি বিশাল তালিকাঃ ১) মুআত্তা ইমাম মুহাম্মাদ, অধ্যায়ঃ কিয়ামে শাহরে রামাযান, পৃষ্ঠা নং-১৩৮। মুস্তফায়ী ছাপা, ১২৯৭ হিঃ। ২) নাসবুর রায়া, (২/১৫৩)আল্লামা যায়লাঈ হানাফী,মাজলিসুল ইলমী ছাপা, ভারত। ৩) মিরকাতুল মাফাতীহ,(৩/১৯৪) মোল্লা আলী কারী হানাফী, এমদাদীয়া লাইব্রেরী, মুলতান, ভারত। ৪) উমদাতুল কারী শরহে সহীহ আল-বুখারী,(৭/১৭৭)প্রণেতা আল্লামা বদরুদ দীন আইনী হানাফী মিশরী ছাপা। ৫) ফতহুল কাদীর শরহে বেদায়া (১/৩৩৪) প্রণেতা ইমাম ইবনুল হুমাম হানাফী। ৬) হাশিয়ায়ে সহীহ বুখারী (১/১৫৪) প্রণেতা মাওলানা আহমাদ আলী সাহরানপুরী। ৭) আল-বাহরুর রায়েক (২/৭২) প্রণেতা ইমাম ইবনে নুজাইম হানাফী। ৮)হাশিয়ায়ে দুররে মুখতার (১/২৯৫) প্রণেতা আল্লামা তাহাভী (রঃ)হানাফী। ৯) দুররুল মুখতার (ফতোয়া শামী)(১/৪৯৫) প্রণেতা আল্লামা ইবনে আবেদীন হানাফী। ১০) হাশিয়াতুল আশবাহ পৃষ্ঠা নং-৯ প্রণেতা সায়্যেদ আহমাদ হামুভী হানাফী। ১১) হাশিয়ায়ে কানযুদ দাকায়েক পৃষ্ঠা নং-২৬, প্রণেতা মাওলানা মুহাম্মাদ আহমাদ নানুতুভী। ১২) মারাকীউল ফালাহ শরহে নুরুল ইজাহ পৃষ্ঠা নং- ২৪৭, প্রণেতা আবুল হাসান শরানবালালী। ১৩) মা ছাবাতা ফিস সুন্নাহ,পৃষ্ঠ নং- ২৯২, প্রণেতা শাইখ আব্দুল হক মুহাদ্দিছ দেহলবী। ১৪) মাওলানা আব্দুল হাই লাখনুভী হানাফী বিভিন্ন কিতাবের হাশিয়াতে ২০ রাকআতের হাদীছগুলোকে যঈফ বলেছেন। উদাহরণ স্বরূপ দেখুন উমদাতুর রেআয়া (১/২০৭)। ১৫) তালীকুল মুমাজ্জাদ, পৃষ্ঠা নং-১৩৮। ১৬) তুহফাতুল আখয়ার পৃষ্ঠা নং-২৮,লাখনু ছাপা। ১৭)হাশিয়ায়ে হেদায়া (১/১৫১) কুরআন মহল, করাচী ছাপা। ১৮) ফাইযুল বারী,(১/৪২০) প্রণেতা মাওলানা আনোয়ার শাহ কাশমীরী। ১৯) আলউরফুয্ শাযী পৃষ্ঠা নং- ৩০৯। ২০) কাশফুস সিতর আন সালাতিল বিতর পৃষ্ঠা নং- ২৭। ২১) শরহে মুআত্তা ফারসী,(১/১৭৭) প্রণেতা শাহ অলীউল্লাহ মুহাদ্দিছ দেহলভী। কুতুব খান রাহীমিয়া, দিল্লী, ১৩৪৬ হিঃ। উপরোক্ত আলেমগণ ছাড়া আরও অনেকেই ২০ রাকআত তারাবীর হাদীছগুলোকে যঈফ বলেছেন।
    Hifzur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 8:55am

    Sogood Islam Syeds

    #বিধর্মী_বিজাতীর_অন্ধানুকরণ_হারাম? যে কোন কওমের সাথে সামঞ্জস্য রাখল, সে সেই কওমের অন্তর্ভূক্ত হল (দাউদ: ৩৫১৪)। আল্লাহ বলেন,”ইহুদী-খৃষ্টানরা কখনও আপনার প্রতি সন্তুষ্ট হবে না, যে পর্যন্ত আপনি তাদের ধর্মের অনুসরণ না করেন(বাকারা:১২০)! মহা নবী(স) বলেন,” অবশ্যই তোমরা তোমাদের পূর্ববর্তী জাতীর পথ অনুসরণ করবে বিঘত-বিঘত এবং হাত-হাত সম পরিমান। এমন কি তারা যদি গো-সাপের(সান্ডা)র গর্তে প্রবেশ করে, তাহলেও তোমরা তার পিছনে পিছনে যাবে।(এবং তাদের কেউ যদি রাস্তার উপর প্রকাশ্যে সঙ্গম করে, তাহলে তোমরাও তা করবে!)[বুখারী:৩৪৫৬, ৭৩২০, মুসলিম: ৬৯৫২) অথচ আল্লাহ বলেন, “তাদের পথ অনুসরণ করনা যাদের জ্ঞান নাই(ইউনুস:৮৯) এবং “তোমরা ইসলাম বিরুধী শক্তির মোকাবিলায় সাধ্যানুযায়ী প্রস্তুতি গ্রহন করো (আনফল: ৬০)। ♦> মনে রাখি, #আমাদের_ছাড়া_ইসলাম_অবশ্যিই-জয়ী-হবে, কিন্তু #ইসলাম_ছাড়া_আমরা-হব-পথভ্রষ্ট এবং পরাজিত (সুরা আহযাব:৩৬) আল্লাহর কথা দৃঢ ভাবে ধরলে, আমরা সরল পথ পাব (ইমরান: ১০১)! দ্বীনের ব্যাপারে কোন জোর-জবরদস্তী নাই(ইউনুস:৯৯),নিশ্চয়ই সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে সৎপথ ভ্রান্ত পথ থেকে(সুরা বাকারা:২৫৬)। ♥>যাচাই করে আমল করি(নাহল:৮৯) ♥>অন্ধঅনুসরণ না করি(সুরা আরাফ:৩) ♥>বিধর্মী অনুসরণ না করি(দাউদ:৩৫১৪) ♥বিজাতী অনুসরণ নাকরি(বুখারী:৩৪৫৬) #ত্যাগ_করি_সর্ব_প্রকার_শির্ক_বিদাআত! যেমন:–♦পীর-মুরীদ♦পূজা-পর্ব♦ভালবাসা-দিবস♦মা-দিবস ♦বাবাদিন ♦জন্মদিন ♦মৃত্যুদিবস ♦অশ্লিলতা-বেহায়াপনা ♦চালিশা ♦বিধর্মী-উৎসব ♦বিধর্মী-বন্ধু………ইত্যাদি।
    Mahbubul Islam Khokon
  • June 3
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 1:21pm

    Sogood Islam Syeds

    Sis Islam added a new photo.
    Sis Islam
  • June 3
  • Sogood Islam Syeds
    6/3, 8:45pm

    Sogood Islam Syeds

    মাসআলাঃ আমাদের ইমামে আযম মুহাম্মাদ রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এশার ছলাতের পর ফজর পর্যন্ত এগারো রাকআত পড়তেন। দলীল-০১ উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহা হ’তে বর্ণিত আছেঃ ﻛَﺎﻥَ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻳُﺼَﻠِّﻲ ﻓِﻴﻤَﺎ ﺑَﻴْﻦَ ﺃَﻥْ ﻳَﻔْﺮُﻍَ ﻣِﻦْ ﺻَﻠَﺎﺓِ ﺍﻟْﻌِﺸَﺎﺀِ – ﻭَﻫِﻲَ ﺍﻟَّﺘِﻲ ﻳَﺪْﻋُﻮ ﺍﻟﻨَّﺎﺱُ ﺍﻟْﻌَﺘَﻤَﺔَ – ﺇِﻟَﻰ ﺍﻟْﻔَﺠْﺮِ، ﺇِﺣْﺪَﻯ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً، ﻳُﺴَﻠِّﻢُ ﺑَﻴْﻦَ ﻛُﻞِّ ﺭَﻛْﻌَﺘَﻴْﻦِ، ﻭَﻳُﻮﺗِﺮُ ﺑِﻮَﺍﺣِﺪَﺓٍ রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এশার ছলাত হ’তে অবসর হওয়ার পর ফজর পর্যন্ত এগারো রাকআত পড়তেন। আর এই ছলাতকে লোকেরা ‘আতামাহ’ও বলতেন। তিনি প্রত্যেক দু’রাকআতের উপর সালাম ফেরাতেন এবং এক রাকআত বিতর পড়তেন (ছহীহ মুসলিম হা/৭৩৪, ১/২৫৪)। দলীল-০২ আবূ সালামাহ বিন আব্দুর রহমান উম্মুল মু’মিনীন সাইয়িদাহ আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহাকে জিজ্ঞাসা করলেন, রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রমযানের মধ্যে (রাতের) ছলাত (তারাবীহ) কেমন হ’ত? তখন উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহা বললেন, ﻣَﺎ ﻛَﺎﻥَ ﻳَﺰِﻳﺪُ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﻭَﻻَ ﻓِﻲ ﻏَﻴْﺮِﻩِ ﻋَﻠَﻰ ﺇِﺣْﺪَﻯ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً রমযান হোক বা রমযান ব্যতিত হোক রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এগারো রাকআতের চাইতে অধিক পড়তেন না (ছহীহ বুখারী হা/২০১৩; উমদাতুল ক্বারী ১১/১২৮ ‘ছওম’অধ্যায় ‘তারাবীহ’ অনুচ্ছেদ)। একটি অভিযোগঃ এই হাদীছটির সম্পর্ক তাহাজ্জুদের সাথে রয়েছে! জবাবঃ তাহাজ্জুদ, তারাবীহ, ক্বিয়ামুল লাইল, ক্বিয়ামে রমযান ও বিতর একই ছলাতের ভিন্ন ভিন্ন নাম। প্রমাণ-০১ঃ নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে তাহাজ্জুদ এবং তারাবীহ আলাদা আলাদা আদায় করা একেবারেই সাব্যস্থ নয়। প্রমাণ-০২ঃ মুহাদ্দিছ ইমামগণ এবং অন্যান্য আলেমগণ সাইয়িদাহ আয়িশাহ রাযিআল্লাহু আনহা-র হাদীছের উপর ‘ক্বিয়ামে রমযান’ এবং ‘তারাবীহ’র অনুচ্ছেদসমূহ বেঁধেছেন। যেমনঃ (০১) ছহীহ বুখারী, কিতাবুছ ছওম, কিতাবু ছলাতিত তারাবীহ (তারাবীহর অনুচ্ছেদ), ক্বিয়ামে রমযানের ফযীলত পরিচ্ছেদ। (০২) মুয়াত্তা মুহাম্মাদ ইবনুল হাসান আশ-শায়বানী (পৃঃ ১৪১, ক্বিয়ামে রমযান এবং এর ফযীলত এর অনুচ্ছেদ। আব্দুল হাই লাখনোভী এর উপর টীকা লিখেছেন, ‘ক্বিয়ামে রমযান এবং তারাবীহ একই।” (০৩) বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা (২/৪৯৫, ৪৯৬) ‘রমযান মাসের ক্বিয়ামের রাকআত সংখ্যা সম্পর্কে যা বর্ণিত হয়েছে’ এর অনুচ্ছেদ। প্রমাণ-৩ঃ পূর্ববর্তীদের মধ্য হ’তে কোন একজন মুহাদ্দিছ বা ফক্বীহ এটি বলেন নি যে, এই হাদীছের সম্পর্ক তারাবীর ছলাতের সাথে নয়। প্রমাণ-৪ঃ এই হাদীছটিকে অসংখ্য আলেম বিশ রাকআত সম্বলিত বানোয়াট এবং মুনকার হাদীছের মোকাবেলায় বিপক্ষীয় দলীল হিসাবে পেশ করেছেন। যেমনঃ ০১. আল্লামা যায়লাঈ হানাফী (নাছবুর রায়াহ ২/১৫৩)। ০২. হাফেয ইবনে হাজার আসক্বালানী (আদ-দিরায়াহ ১/২০৩)। ০৩. আল্লামা ইবনে হুমাম হানাফী (ফাৎহুল ক্বাদীর ১/৪৬৭, প্রকাশনায়: দারুল ফিকর)। ০৪. আল্লামা আইনী হানাফী (উমদাতুল ক্বারী ১১/১২৮)। ০৫. আল্লামাহ সুয়ূত্বী (আল-হাবী লিল-ফাতাবী ১/৩৪৮ ইত্যাদি)। প্রমাণ-৫ঃ প্রশ্নকর্তার প্রশ্ন স্রেফ ক্বিয়ামে রমযান সম্পর্কিত ছিল যাকে তারাবীহ বলে। তাহাজ্জুদ ছলাতের সম্পর্কে প্রশ্নকর্তা প্রশ্নই করেন নি। কিন্তু উম্মুল মু’মিনীন আয়িশাহ ছিদ্দীক্বা রাযিআল্লাহু আনহা জবাবের মধ্যে প্রশ্নের চাইতে অধিক ব্যাখ্যা দিয়ে দিলেন নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রমযানের ক্বিয়াম এবং রমযান ব্যতিত ক্বিয়াম সম্পর্কে। সুতরাং এই হাদীছ থেকে এগারো রাকআত তারাবীহর প্রমাণ স্পষ্টভাবে মিলে।(খাতেমায়ে ইখতিলাফ পৃঃ ৬৪ সংক্ষেপিত)। প্রমাণ-৬ঃ যে সকল লোকদের এই দাবি আছে যে, তাহাজ্জুদ এবং তারাবীহ আলাদা আলাদা ছলাত। তাদের উছূল অনুসারে রসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ২৩ রাকআত তারাবীহ পড়েছিলেন (২০+৩)। যেমনটি এই লোকদের আমল রয়েছে। এবং একই রাতে এগারো রাকআত তাহাজ্জুদ পড়েছিলেন (৮+৩)। যেমনটি তাদের নিকটে ছহীহ বুখারীর হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয়। এখানে প্রশ্ন এই যে, এভাবে তো অপরিহার্য হয়ে যায় যে, এক রাতে মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম দু’ দফা বিতর পড়েছিলেন। অথচ নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ﻟَﺎ ﻭِﺗْﺮَﺍﻥِ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ একই রাতে দু’বার বিতর নেই (তিরমিযী, হা/৪৭০; আবূ দাঊদ, হা/১৩৪৯; নাসাঈ, হা/১৬৭৮; ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ, হা/১১০১; ছহীহ ইবনে হিব্বান, হা/৬৭১, এর সনদ ছহীহ)। এই হাদীছ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, “এই হাদীছটি হাসান গরীব।” স্মর্তব্য যে, এই হাদীছের সকল রাবী ছিক্বাহ। যেহেতু রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথা এবং কাজের মধ্যে বৈপরীত্য হ’তে পারে না, সেহেতু এটি প্রমাণিত হয়ে গেল যে, তিনি রাতে স্রেফ একবারই বিতর পড়তেন। তার থেকে স্রেফ এগারো রাকআত (৮+৩) প্রমাণিত আছে, ২৩ (২০+৩) নয়। অর্থাৎ ২৩ এবং ১১ সম্বলিত রেওয়ায়াতসমূহের মধ্যে স্রেফ এগারো রাকআত সংক্রান্ত রেওয়ায়াতগুলিই প্রমাণিত আছে। সুতরাং তাহাজ্জুদ এবং তারাবীর মাঝে পার্থক্য করা বাতিল। প্রমাণ-৭ঃ আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী দেওবন্দী এটি স্বীকার করেছেন যে, তাহাজ্জুদ এবং তারাবীহ একই ছলাত। এবং উভয়ের মাঝে কোন পার্থক্য নেই। (দেখুন: ফায়যুল বারী, ২/৪২০; আল-আরফুশ শাযী, ১/১৬৬)। এটি প্রতিপক্ষদের ঘরের সাক্ষ্য। [অর্থাৎ হানাফীদের নিজেদেরই বড় আলেমের সাক্ষ্য এটি।-অনুবাদক] কাশ্মিীর উক্তিটির জবাব আজ পর্যন্ত কোন পক্ষ হ’তে আসে নি। কবি বলেছেন, “ঘরে আগুন লেগেছে ঘরের চেরাগ দ্বারা” প্রমাণ-৮ঃ সাইয়েদুনা আমীরুল মু’মিনীন ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহুও তাহাজ্জুদ এবং তারাবীহ উভয়কে একই অনুধাবন করতেন। (বিস্তারিত জানার জন্য দেখুন: ফায়যুল বারী, ২/৪২০)। প্রমাণ-৯ঃ কতিপয় আলেম ঐ ব্যক্তিকে তাহাজ্জুদ পড়তে নিষেধ করেছেন যে তারাবীহর ছলাত পড়েছে (মারওয়াযী, ক্বিয়ামুল লাইল, ফায়যুল বারীর বরাতে ২/৪২০)। প্রমাণ-১০ঃ সাইয়েদুনা জাবের বিন আব্দুল্লাহ আল-আনছারী রাযিআল্লাহু আনহুর রেওয়ায়াত- ﺻَﻠَّﻰ ﺑِﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺛَﻤَﺎﻥِ ﺭَﻛَﻌَﺎﺕٍ ﻭَﺍﻟْﻮِﺗْﺮ আমাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান মাসে আট রাকআত এবং এক রাকআত বিতর পড়িয়েছেন। এটিও তার সমর্থনকারী। যেমনটি সামনে বিস্তারিত সহকারে আসছে। সুতরাং এই হাদীছের সম্পর্ক তারাবীহর সাথে নিশ্চিৎরূপে রয়েছে। দলীল-০৩ ﺻَﻠَّﻰ ﺑِﻨَﺎ ﺭَﺳُﻮﻝُ ﺍﻟﻠَّﻪِ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓِﻲ ﺭَﻣَﻀَﺎﻥَ ﺛَﻤَﺎﻥِ ﺭَﻛَﻌَﺎﺕٍ ﻭَﺍﻟْﻮِﺗْﺮ সাইয়েদুনা জাবের বিন আব্দুল্লাহ আনছারী রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে রেওয়ায়াত আছে যে, আমাদেরকে নিয়ে রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রমযান মাসে আট রাকআত এবং এক রাকআত বিতর পড়িয়েছেন (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ, হা/১০৭০; ছহীহ ইবনে হিব্বান, আল-ইহসান, হা/২৪০১, ২৪০৬)। প্রথম অভিযোগঃ “এর সনদে মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ আর-রাযী আছেন (মারওয়াযী, মুখতাছারু ক্বিয়ামি রমযান, পৃঃ ১৯৭)। যিনি মহা মিথ্যুক।” জবাবঃ এই হাদীছটিকে ইয়াকূব বিন আব্দুল্লাহ আল-কুম্মী হ’তে মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ ব্যতিত আরো অনেক রাবী বর্ণনা করেছেন। যেমনঃ (০১) জাফর বিন হুমায়দ কুফী (ইবনে আদী, আল-কামিল ৫/১৮৮৯; ত্বাবারানী, আল-মুজামুল কাবীর ১/১৯০)। (০২) আবুর রবী’ (আয-যাহরানী, মুসনাদু আবী ইয়ালা আল-মূছিলী, হা/১৮০১; ছহীহ ইবনে হিব্বান হা/২৪০১, ২৪০৬)। (০৩) আব্দুল আলা বিন হাম্মাদ (মুসনাদু আবী ইয়ালা হা/১৮০১; ইবনে আদী, আল-কামিল, ৫/১৮৮৮)। (০৪) মালেক বিন ইসমাঈল (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/১০৭০)। (০৫) উবায়দুল্লাহ অর্থাৎ ইবনে মূসা (ছহীহ ইবনে খুযায়মাহ হা/১০৭০)। এই সকল রাবী ছিক্বাহ এবং সত্যবাদী। সুতরাং মুহাম্মাদ বিন হুমায়দ এর উপর অভিযোগটি ভুল এবং প্রত্যাখ্যাত। দ্বিতীয় অভিযোগঃ “এর সনদে ‘ইয়াকূব আল-কুম্মী’ যঈফ রাবী রয়েছেন। তার সম্পর্কে ইমাম দারাকুৎনী বলেছেন, তিনি শক্তিশালী নন।” জবাবঃ ইয়াকূব আল-কুম্মী ছিক্বাহ। তাকে জমহুর আলেমগণ ছিক্বাহ বলেছেন। যেমনঃ (০১) নাসাঈ বলেছেন, তাকে নিয়ে কোন অসুবিধা নেই। (০২) আবুল ক্বাসেম আত-ত্বাবারানী বলেছেন, তিনি ছিক্বাহ। (০৩) ইবনে হিব্বান ‘কিতাবুছ ছিক্বাত’গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন (এবং তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন)। (০৪) জারীর বিন আব্দুল হামীদ তাকে ‘ফেরাউনের পরিবারের মুমিন’ বলতেন। (০৫) ইবনে মাহদী তার থেকে রেওয়ায়াত করেছেন (তাহযীবুত তাহযীব, ১১/৩৪২, ৩৪৩)। আর ইবনে মাহদী স্রেফ ছিক্বাহ হ’তে রেওয়ায়াত করতেন (তাদরীবুর রাবী, ১/৩১৭)। (০৬) হাফেয যাহাবী বলেছেন, তিনি সত্যবাদী (আল-কাশিফ ৩/২৫৫)। (০৭) ইবনে খুযায়মাহ তার হাদীছকে হাসান বলেছেন। (০৮) নূরুদ্দীন হায়ছামী তার হাদীছকে হাসান বলেছেন। (০৯) ইমাম বুখারী তালীক বর্ণনাসমূহের মধ্যে তার থেকে বর্ণনা গ্রহণ করেছেন। এবং স্বীয় “আত-তারীখুল কাবীর”গ্রন্থে (রাবী নং ৩৪৪৩) তার বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন নি। সুতরাং তিনি তার নিকটে থানবীর কথানুসারে ছিক্বাহ। (দেখুন: যাফর আহমাদ থানবী, ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ১৩৬)। (১০) হাফেয ইবনে হাজার “ফাৎহুল বারী”গ্রন্থে (৩/১২, হা/১১২৯ এর অধীনে) তার মুনফারিদ (একক) হাদীছের উপর চুপ থেকেছেন। এবং এই চুপ থাকা (দেওবন্দীদের নিকটে) তার হাদীছকে হাসান আখ্যাদানের দলীল হয়ে থাকে (দেখুন: ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ৫৫)। তৃতীয় অভিযোগঃ “এই রেওয়ায়াতের সনদের মধ্যে ঈসা বিন জারিয়াহ যঈফ। এর উপর ইবনে মাঈন, আস-সাজী, উক্বায়লী, ইবনে আদী এবং আবূ দাঊদ সমালোচনা করেছেন। কতিপয় তাকে ‘মুনকারুল হাদীছ ও লিখেছেন।” জবাবঃ ঈসা বিন জারিয়াহ জমহুর আলেমদের নিকটে ছিক্বাহ, সত্যবাদী অথবা হাসানুল হাদীছ। (০১) আবূ যুরআহ বলেছেন, তাকে নিয়ে কোন অসুবিধা নেই। (০২) ইবনে হিব্বান ‘আছ-ছিক্বাত’ তথা ছিক্বাহ রাবীদের গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করেছেন। (০৩) ইবনে খুযায়মাহ তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন। (০৪) হায়ছামী তার হাদীছকে ছহীহ বলেছেন (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ২/৭২)। এবং বলেছেন, তিনি ছিক্বাহ (ঐ, ২/১৮৫)। (০৫) বূছীরী যাওয়ায়েদে সুনানে ইবনে মাজাহ গ্রন্থে তার হাদীছকে হাসান বলেছেন (দেখুন হাদীছ নং ৪২৪১)। (০৬) যাহাবী তার মুনফারিদ (এককভাবে বর্ণিত) হাদীছ সম্পর্কে ‘এর সনদ মধ্যম মানের”বলেছেন। (০৭) বুখারী আত-তারীখুল কাবীর (৬/৩৮৫) গ্রন্থে তাকে উল্লেখ করেছেন। আর তার বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা করেন নি। (০৮) হাফেয ইবনে হাজার ‘ফাতহুল বারী’ গ্রন্থে তার হাদীছের উপর চুপ থেকেছেন (ঐ, ৩/১০, হা/১১২৯)। (০৯) হাফেয মুনযিরী তার একটি হাদীছকে ‘জাইয়েদে সনদ” (দ্বারা বর্ণিত) বলেছেন (আত-তারগীবু ওয়াত-তারহীব, ১/৫০৭)। (১০) আবূ হাতেম আর-রাযী তাকে উল্লেখ করেছেন এবং তার বিরুদ্ধে কোন সমালোচনা করেন নি (দেখুন: আল-জারহু ওয়াত-তাদীল, ৬/২৭৩)। আবূ হাতেমের চুপ থাকা (দেওবন্দীদের নিকটে) রাবীর তাওছীক্ব হয়ে থাকে (যাফর আহমাদ থানভী, ক্বওয়ায়েদ ফী উলূমিল হাদীছ, পৃঃ ২৪৭)। (১১) নিমাবী হানাফী তার বর্ণনাকৃত একটি হাদীছকে “এর সনদ ছহীহ” বলেছেন (আছারুস সুনান: ৯৬০, জাবের রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে)। প্রতীয়মান হ’ল যে, এই সনদটি হাসান। [আব্দুল মতীন ছাহেব ঈসা বিন জারিয়াকে দুর্বল বলেছেন। যা সঠিক নয় (দলিলসহ নামাযের মাসায়েল পৃঃ ৪৪২)।-অনুবাদক] দলীল-০৪ সাইয়েদুনা উবাই বিন কা‘ব রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে রেওয়ায়াত আছে যে, আমি রমযানের মধ্যে আট রাকআত এবং বিতর পড়েছি। এবং নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে বললাম, তখন তিনি কিছুই বললেন না। অতএব এটি সন্তুষ্টিমূলক সুন্নাত হয়ে গেল (মুসনাদু আবী ইয়ালা, হা/১৮০১)। আল্লামা হায়ছামী এই হাদীছ সম্পর্কে বলেছেন, ﺭَﻭَﺍﻩُ ﺃَﺑُﻮ ﻳَﻌْﻠَﻰ ﻭَﺍﻟﻄَّﺒَﺮَﺍﻧِﻲُّ ﺑِﻨَﺤْﻮِﻩِ ﻓِﻲ ﺍﻟْﺄَﻭْﺳَﻂِ ﻭَﺇِﺳْﻨَﺎﺩُﻩُ ﺣَﺴَﻦٌ একে আবূ ইয়ালা বর্ণনা করেছেন। এবং একে ত্বাবারানী আল-আওসাত্ব গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। এর সনদটি হাসান (মাজমাউয যাওয়ায়েদ, ২/৭৪)। এই হাদীছটির সনদ ঐটিই যেটি জাবের রাযিআল্লাহু আনহুর হাদীছে রয়েছে। (দেখুন দলীল নং ৩)। সরফরায ছফদর দেওবন্দী লিখেছেন, “স্বীয় যামানায় যদি আল্লামা হায়ছামীর (হাদীছের) শুদ্ধতা এবং দুর্বলতা পর্যবেক্ষণ না থাকত তবে আর কার ছিল? (আহসানুল কালাম, ১/২৩৩; তাওযীহুল কালাম, ১/২৭৯)। দলীল-০৫ সাইয়েদুনা আমীরুল মু’মিনীন ওমর ইবনুল খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহু সাইয়েদুনা উবাই বিন কা‘ব এবং সাইয়েদুনা তামীমুদ দারী রাযিআল্লাহু আনহুমাকে হুকুম দিয়েছিলেন যে লোকদেরকে (রমযানে রাতের সময়) এগারো রাকআত পড়াবে (মুয়াত্তা ইমাম মালেক, হা/২৪৯; বায়হাক্বী, আস-সুনানুল কুবরা, ২/৪৯৬)। এই হাদীছটি অস্যংখ্য গ্রন্থে বিদ্যমান আছে। যেমনঃ (০১) শারহু মাআনিল আছার (১/২৯৩)। তিনি এর দ্বারা দলীল পেশ করেছেন। (০২) হাফেয যিয়াউল মাক্বদেসী, আল-মুখতারাহ (কানযুল উম্মালের বরাতে হা/২৩৪৬৫)। (০৩) বায়হাক্বী, মারিফাতুস সুনান ওয়াল আছার, (হা/১৩৬৬)। (০৪) মারওয়াযী, ক্বিয়ামুল লাইল (পৃঃ ২০০)। (০৫) মুছান্নাফ আব্দুর রাযযাক্ব (হা/২৩৪৬৫, কানযুল উম্মালের বরাতে)। (০৬) মিশকাতুল মাছাবীহ (হা/১৩০২)। (০৭) বাগাবী, শারহুস সুন্নাহ (হা/৯৯০)। (০৮) যাহাবী, আল-মুহাযযাব ফী ইখতিছারিস সুনান আল-কাবীর (২/৪৬১)। (০৯) কানযুল উম্মাল (হা/২৩৪৬৫)। (১০) নাসাঈ, আস-সুনানুল কুবরা (হা/৪৬৮৭)। এই ফারূক্বী বিধানটির সনদ একেবারেই ছহীহ। দলীল-০১ঃ এর সকল রাবী অত্যন্ত শক্তিশালী প্রকারের ছিক্বাহ রাবী। দলীল-০২ঃ এই সনদের কোন রাবীর উপর কোন সমালোচনা নেই। দলীল-০৩ঃ এই সনদের সাথে একটি হাদীছ ছহীহ বুখারীর ‘কিতাবুল হাজ্জ’ এর মধ্যেও বিদ্যমান আছে (হা/১৮৫৮)। দলীল-০৪ঃ শাহ ওয়ালিউল্লাহ আদ-দেহলভী “আহলুল হাদীছ” হ’তে বর্ণনা করেছেন যে, মুয়াত্তার সকল হাদীছ ছহীহ (হুজ্জাতুল্লাহিল বালিগাহ ২/২৪১, উর্দূ)। দলীল-০৫ঃ ত্বাহাবী হানাফী “সুতরাং প্রমাণ করছে” বলে এই আছারটি হুজ্জাত তথা দলীলস্বরূপ পেশ করেছেন (মাআনিল আছার, ১/১৯৩)। দলীল-০৬ঃ যিয়াউল মাক্বদেসী ‘আল-মুখতারাহ’ গ্রন্থে এই আছারটি এনে নিজের কাছে এর ছহীহ হওয়া প্রমাণ করে দিয়েছেন (দেখুন: ইখতিছারু উলূমিল হাদীছ পৃঃ ৭৭)। দলীল-০৭ঃ ইমাম তিরমিযী এরকম একটি সনদ সম্পর্কে বলেছেন, “হাসান ছহীহ (হা/৯২৬)।” দলীল-০৮ঃ এই রেওয়ায়াতটিকে পূর্বেবর্তীদের মধ্য হ’তে কোন একজন মুহাদ্দিছও যঈফ বলেন নি। দলীল-০৯ঃ আল্লামাহ বাজী এই আছারটিকে গ্রহণ করেছেন (মুয়াত্তা, শারহুয যুরক্বানী, হা/২৪৯)। দলীল-১০ঃ প্রসিদ্ধ গায়ের আহলেহাদীছ মুহাম্মাদ বিন আলী আন-নিমাবী (মৃঃ ১৩২২ হিঃ) এই বর্ণনা সম্পর্কে বলেছেন, এর সনদটি ছহীহ (আছারুস সুনান পৃঃ ২৫০)। সুতরাং কতিপয় গোড়া লোকদের পনেরোশ শতাব্দীতে একে মুযত্বারিব বলা বাতিল এবং ভিত্তিহীন। খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাত রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, ﻓَﻤَﻦْ ﺃَﺩْﺭَﻙَ ﺫَﻟِﻚَ ﻣِﻨْﻜُﻢْ ﻓَﻌَﻠَﻴْﻪِ ﺑِﺴُﻨَّﺘِﻲ ﻭَﺳُﻨَّﺔِ ﺍﻟﺨُﻠَﻔَﺎﺀِ ﺍﻟﺮَّﺍﺷِﺪِﻳﻦَ ﺍﻟﻤَﻬْﺪِﻳِّﻴﻦَ، ﻋَﻀُّﻮﺍ ﻋَﻠَﻴْﻬَﺎ ﺑِﺎﻟﻨَّﻮَﺍﺟِﺬِ তোমাদের মধ্য হ’তে যে এই ইখতিলাফ পাবে, তার উপর আবশ্যক যে, সে আমার সুন্নাত এবং হেদায়াতপ্রাপ্ত খোলাফায়ে রাশেদীনদের সুন্নাতকে অবশ্যই আঁকড়ে ধরবে (সুনানে তিরমিযী হা/২৬৭৬)। এই হাদীছ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, “এই হাদীছটি হাসান ছহীহ।” স্মর্তব্য যে, সাইয়েদুনা ওমর রাযিআল্লাহু আনহুর খোলাফায়ে রাশেদ হওয়া ছহীহ দলীল দ্বারা প্রমাণিত আছে। এবং এর পক্ষে মুসলমানদের ইজমা আছে। অন্য একটি হাদীছে আছে যে, ﺍﻗْﺘَﺪُﻭﺍ ﺑِﺎﻟﻠَّﺬَﻳْﻦِ ﻣِﻦْ ﺑَﻌْﺪِﻱ ﺃَﺑِﻲ ﺑَﻜْﺮٍ، ﻭَﻋُﻤَﺮ নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, আমার পরে এই দুই ব্যক্তি আবূ বকর এবং ওমরের আনুগত্য কর (সুনানে তিরমিযী, হা/৩৬৬২; ইবনে মাজাহ, হা/৯৭)। এই হাদীছ সম্পর্কে ইমাম তিরমিযী বলেছেন, এটি হাসান হাদীছ। সুতরাং সাবেত হ’ল যে, ফারূক্বী বিধানও মারফূ হাদীছের বিধানের মধ্যে রয়েছে। যখন মারফূ হাদীছসমূহও এর সমর্থন করছে এবং একটিও ছহীহ মারফূ হাদীছ এর বিরোধী নয়। দলীল-০৬ সাইয়েদুনা আস-সায়েব বিন ইয়াযীদ (ছাহাবী) রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে বর্ণনা আছে, ﻛُﻨَّﺎ ﻧَﻘُﻮﻡُ ﻓِﻲ ﺯَﻣَﺎﻥِ ﻋُﻤَﺮَ ﺑْﻦِ ﺍﻟْﺨَﻄَّﺎﺏِ ﺑِﺈِﺣْﺪَﻯ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً আমরা (ছাহাবা রাযিআল্লাহু আনহুম) ওমর বিন খাত্তাবের যুগে এগারো রাকআত পড়তাম (সুনানে সাঈদ বিন মানছূর, আল-হাবী লিল-ফাতাবীর বরাতে ১/৩৪৯; হাশিয়া আছারুস সুনান, পৃঃ ২৫০)। এই রেওয়ায়াতের সকল রাবী জমহুর বিদ্বানদের নিকটে নির্ভরযোগ্য এবং সত্যবাদী। জালালুদ্দীন সুয়ূত্বী (মৃঃ ৯১১ হিঃ) এই রেওয়ায়াত সম্পর্কে লিখেছেন, “আর এটি (এগারো রাকআতের বর্ণনাটি) মুছান্নাফ সাঈদ বিন মানছূরের মধ্যে অত্যন্ত ছহীহ সনদের সাথে আছে (সুয়ূত্বী, আল-মাছাবীহ ফী ছলাতিত তারাবীহ পৃঃ ১৫; আল-হাবী লিল-ফাতাবী, ১/৩৫০)। সুতরাং প্রমাণিত হয়েছে যে, এগারো রাকআত ক্বিয়ামে রমযান (তারাবীহ) এর উপর ছাহাবায়ে কেরামের ইজমা আছে। আল্লাহ তাদের সবার উপর সন্তুষ্ট হোন। দলীল-০৭ মুছান্নাফ ইবনে আবী শায়বাহ (মৃঃ ২৩৫ হিঃ) গ্রন্থে আছে যে, ﺃَﻥَّ ﻋُﻤَﺮَ ﺟَﻤَﻊَ ﺍﻟﻨَّﺎﺱَ ﻋَﻠَﻰ ﺃُﺑَﻲٍّ ﻭَﺗَﻤِﻴﻢٍ ﻓَﻜَﺎﻧَﺎ ﻳُﺼَﻠِّﻴَﺎﻥِ ﺇِﺣْﺪَﻯ ﻋَﺸْﺮَﺓَ ﺭَﻛْﻌَﺔً নিশ্চয়ই ওমর রাযিআল্লাহু আনহু লোকদেরকে উবাই (বিন কাব) এবং তামীম (আদ-দারী) রাযিআল্লাহু আনহুমার উপর একত্রিত করেছেন। তাই উভয় এগারো রাকআত পড়াতেন (হা/৭৬৭০)। দলীল-০৮ নবী কারীম ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে বিশ রাকআত তারাবীহ আদৌ প্রমাণিত নয়। আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী দেওবন্দী বলেছেন, আর বিশ রাকআত – এটি মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে যঈফ সনদে বর্ণিত। আর এর দুর্বল হওয়ার উপর ঐক্যমত রয়েছে (আল-আরফুশ শাযী ১/১৬৬)। সুতরাং বিশ রাকআত সম্বলিত রেওয়ায়াতকে উম্মাতে মুসলিমা “তালাক্কী বির-রাদ্দ” তথা বর্জন করেছেন। অর্থাৎ উম্মাতে মুসলিমাহ একে ঐক্যমতানুসারে বর্জন করেছেন। ত্বাহত্বাবী হানাফী এবং মুহাম্মাদ আহসান নানূতুবী বলেছেন, কেননা মুহাম্মাদ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বিশ রাকআত পড়েননি বরং আট (রাকআত পড়েছেন)। (হাশিয়াতুত ত্বাহত্বাবী আলাদ দুর্রিল মুখতার, ১/২৯৫; হাশিয়াহ কানযুদ দাক্বায়েক্ব পৃঃ ৩৬, টীকা-৪)। খলীল আহমাদ সাহারানপুরী দেওবন্দী বলেছেন, আর আট রাকআত তারাবীর সুন্নাতে মুয়াক্কাদা হওয়া তো ঐক্যমত প্রাপ্ত (বারাহীনে ক্বাতিআহ, পৃঃ ১৯৫; উপরন্তু দেখুন: পৃঃ ১০৯)। আব্দুশ শাকূর লাখনোভী বলেছেন, “যদিচ নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হ’তে আট রাকআত তারাবীহ মাসনূন রয়েছে। এবং একটি যঈফ রেওয়ায়াতের মধ্যে ইবনে আব্বাস হ’তে বিশ রাকআতও আছে” (ইলমুল ফিক্বহ পৃঃ ১৯৮)। এই উদ্ধৃতিটি ইলযামী হিসাবে পেশ করা হয়েছে। দলীল-০৯ আমীরুল মু’মিনীন সাইয়েদুনা ওমর বিন খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহু হ’তে ছহীহ এবং মুত্তাছিল সনদে বিশ রাকআত তারাবীহ নিশ্চিৎরূপে প্রমাণিত নেই। ইয়াহইয়া বিন সাঈদ আনছারী এবং ইয়াযীদ বিন রূমান – এর রেওয়ায়াতসমূহ মুনক্বাত্বি বা বিচ্ছিন্ন (এই কথাটি হানাফী তাক্বলীদী আলেমগণও স্বীকার করেছেন)। এবং অবশিষ্ট যা কিছু আছে তা না খলীফার হুকুম আর না খলীফার আমল আর না খলীফার সম্মুখে লোকেরা আমল করেছেন। যঈফ এবং মুনক্বাত্বি রেওয়ায়াতসমূহকে ঐ ব্যক্তিই পেশ করেন যিনি খোদ যঈফ এবং মুনক্বাত্বি। দলীল-১০ কোন একজন ছাহাবী হ’তেও ছহীহ, মুত্তাছিল সনদের সাথে বিশ রাকআত তারাবীহ আদৌ প্রমাণিত হয়নি। সুতরাং প্রমাণিত হ’ল যে, এগারো রাকআত হ’ল রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সুন্নাত, খোফায়ে রাশেদীন এবং ছাহাবাগণের (রাযিআল্লাহু আনহুম) সুন্নাত। আবূ বকর ইবনুল আরাবী (মৃঃ ৫৪৩ হিঃ) চমৎকার বলেছেন, “আর বিশুদ্ধ কথা এই যে, এগারো রাকআত পড়াই হল উচিত। এটি হ’ল নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছলাত এবং ক্বিয়াম। আর এ ব্যতিত যে সংখ্যাগুলি রয়েছে সেগুলির কোন ভিত্তি নেই (আরেযাতুল আহওয়াযী শারহু তিরমিযী, ৪/১৯)। ইমাম মালেক রহিমাহুল্লাহ হ’তে বর্ণিত আছে যে, আমি আমার জন্যে তাই নির্ধারণ করছি যার উপর ঊমর বিন খাত্তাব রাযিআল্লাহু আনহু লোকদেরকে একত্রিত করেছিলেন। আর তা হচ্ছে এগার রাকআত। এটিই হ’ল রাসূলুল্লাহ ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের ছলাত। আর আমি জানি না যে কে এত অধিক রাকআত নতুনভাবে আবিস্কার করেছেন। (কিতাবুত তাহাজ্জুদ, পৃষ্ঠা ১৭৬, হা/৮৯০; অপর একটি নূসখায় পৃ: ২৮৭)। সম্মানিত পাঠক! অসংখ্য আলেম (হানাফী আলেমগণ সহ) হ’তে এগারো রাকআত (তারাবীহ) এর সুন্নাত হওয়া প্রমাণিত আছে। আমাদের পেয়ারা নাবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং খোলাফায়ে রাশেদীন এবং ছাহাবায়ে কেরামগণ (রাযিআল্লাহু আনহুম) হ’তে এগারো রাকআত প্রমাণিত আছে। যেমনটি উপরে আলোচিত হয়েছে। সে জন্য কোন আলেমের বরাত দেওয়ার কোন প্রয়োজন এখানে নেই। মূলঃ নূরুল মাছাবীহ ফী মাসআলাতিত তারাবীহ লেখকঃ শায়েখ যুবায়ের আলী যাই (রহঃ) অনুবাদ ও পরিবেশনায়ঃ সত্যান্বেষী রিসার্চ টীম © Shottanneshi – সত্যান্বেষী কর্তৃক সর্বস্বত্ব সংরক্ষিত
    Elias Hossain
  • June 4
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 4:45am

    Sogood Islam Syeds

    জাহান্নামীদের প্রথম দলটি যখন সেখানে প্রবেশ করবে, তারা সেখানে তার দরজার ওপরে চার লক্ষ ফেরেশতা দেখতে পাবে, যাদেরকে যাবানিয়্যাহ বলা হয়। এসকল ফেরেশতা এত বিশালাকায় যে, এদের একেকজনের এক কাঁধ থেকে অপর কাঁধে পৌছার জন্য একটা পাখিকে টানা দুমাস উড়তে হবে। প্রথম দরজা(ইনফ্যাক্ট গর্তের মুখ) অতিক্রমের পর পাচঁশ বছর এরা নিচে পড়তেই থাকবে, তারপর দ্বিতীয় দরজা পাবে। সেখানে থাকবে উনিশজন স্পেশাল ফেরেশতা, যাদের বক্ষ এত প্রশস্ত যে তা হবে ৭০ বছরের পথ। আর তাদের অন্তরে অনুপরিমাণ দয়ামায়াও রাখা হয়নি। তারা কঠোর ও নির্মম হৃদয়ের অধিকারী। তাদেরকে যে আদেশ করা হয়, তারা তা অকাতরে বিনা বাক্যব্যয়ে পালন করে। (সুত্রঃ ইবনে কাছির- সুরা তাহরীমের তাফসির) এমন ভীষণদর্শন ও নিষ্ঠুর ফেরেশতাদেরর শাস্তির কবলে যদি আমরা পড়ি, তবে সেখানে মৃত্যু ছাড়া আর কোন কিছুই কামনা করব না। আসুন, এক আল্লাহর গোলামি করি। ফ্রান্স, ব্রাজিল, ইসরায়েল, ভারত আমেরিকা চীন জাপান আর ইহুদি খ্রিষ্টানদের গোলামিগুলো কি সেসব ফেরেশতার চোখ রাঙানিও একটু কমাতে পারবে? সেই আসমান ও জমিনের অধিপতিকে যদি আমরা এখনও না চিনি, তবে আর কবে চিনব? কেন আমরা তার হুকুমে শরীক করছি? কেন আমরা নিজেদের পরিবার, সম্পদ, জীবন ও দলগুলোকে আল্লাহর চেয়ে বেশি প্রায়োরিটি দিচ্ছি? আমাদের হাতগুলো, পাগুলো, আমাদের নিউরনের অনুরনন, আমাদের যৌনসুখ সম্ভার, আমাদের আকাশ পৃথিবীর আলো-আধারি, সৌর ঝড় ও এস্টেরয়েড বেল্ট থেকে প্রতি মুহুর্তের নিরাপত্তা কি তারা দেয়, নাকি আল্লাহ?? মাথা খাটান। দুনিয়াবি ক্ষেত্রে তো একটু ভাল থাকার জন্য, ভাল খাওয়ার জন্য ভাবতে ভাবতে শেষ হয়ে যান। ভেবে ভেবে আর খেটে খেটে যে জিনিষগুলো পান, সেগুলো যিনি দিচ্ছেন, সেই মহান রবকে চিনতে আর কতদিন লাগবে? তাঁর কাছে নিজের সবকিছু ভেঙে-চুরে আত্মসমর্পণ করতে আর কতটি রজব-শাবান-রমজানের দিনরাত্রি পেরোতে হবে? নিজেকে সেসব ভীষণদর্শন কঠোর হৃদয় শাস্তিদাতা ফেরেশতাদের কাষ্টডিতে সপেঁ দিয়ে কী সুখ পাচ্ছ, কী সুখ???
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 4:46am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    6/4, 4:56am

    Sogood Islam Syeds

    তারাবীহ ৮ রাক’আত না ২০ রাক’আত? এই প্রশ্নটি না করে আলেমদের প্রশ্ন করুন “ক্বিয়ামুল লাইল কত রাক’আত?” কারণ রমাযান মাসে ক্বিয়ামুল লাইলের মর্যাদা প্রসঙ্গে হাদীসে এসেছে যে, ” যে ব্যক্তি রমাযানে ক্বিয়াম করবে ইমান এবং ইহতেসাবের সাথে, তার অতীতের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হবে।” তারাবীহ শব্দটিই হাদীসে আসেনি। হাদীসে ক্বিয়ামুল লাইলের বিষয়ে উল্লেখ রয়েছে। তাই আলেমদের ক্বিয়ামুল লাইল সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করুন। নিঃসন্দেহে ক্বিয়ামুল লাইল ৮ রাক’আত এবং এই বিষয়ে দ্বিমত নাই। তবে ৮+৩=১১ এর অধিক কেউ পড়তে পারে । কারণ রাসুল সঃ বলেছেন রাতের স্বলাত দুই দুই করে, যখন ফজর হওয়ার আশংকা করবে তখন বিতর পড়ে নিবে(হুবুহু উল্লেখ করতে পারিনি) । কিন্তু রাক’আত নির্দিষ্ট করে নিয়মিত পড়লে ৮+৩=১১ রাক’আতই পড়া উচিৎ ।
    Shohidullah Alfaruquee

 

6]-fb.mess-best salaf

 

  • Sogood Islam Syeds

    যেসব হানাফী আলেম তারাবীহ সালাত ৮ রাকায়াত বলেছেন তাদের একটি তালিকাঃ >>> ১. আনোয়ার শাহ্ কাশ্মিরী (রহঃ) তিনি তার কিতাব, আল্ আরফুসসাজি। তিরমিজির সরাহ/ব্যখ্যা ভারত দেওবন্দ ছাপা, সেই কিতাবের ৩৩০ পৃষ্ঠায় লিখেছেন। কোন উপায় নেই, এ কথা মেনে নেওয়া ছাড়া, যে নবী করিম (সাঃ) এর তারাবীহ্ ৮ রাকায়াত ছিল। এ কথা মানা ছাড়া আমাদের কোন উপায় নেই। ২. মোল্লা আলী ক্বারী হানাফী মিস্কাতের সরাহ্/ব্যাখ্যা (ভাষ্য) মিরকাত ১ম খণ্ড ১১৫ পৃষ্ঠা লিখেছেন। তারাবীহ্ আসলে এগার রাকাত। রাসুল (সা.) পরেছেন অতঃপর বিশেষ কারণে তিনি ছেড়ে দিয়েছেন। ৩. আল্লামা ইবনুল হুমাম হানাফী তিনি তার কিতাব হিদায়াত ব্যাখ্যা তাতে তিনি ১ম খণ্ড ২০৫ পৃষ্ঠায় লিখেছেন, ….আমার যে বক্তব্য তার সারকথা হচ্ছে যে, রমজান মাসের কিয়াম, তারাবীহ হচ্ছে এগার রাকাত সুন্নাত, বিতর সহ জামায়াতে। নবী করিম (সা.) এটা করেছেন এবং বিশেষ কারণে ছেড়ে দিয়েছেন। ৪. আল্লামা আব্দুল হাই লখনবী (রহ:) তার একটি ভাষ্য রয়েছে শরহে বেকায়া’র, হেদারার পরে ফিকাহ’র প্রসিদ্ধ কিতাব আরবি কওমী মাদ্রাসায় পড়া হয়। সেই উমদাতুর রেয়ায়আ কিতাবে তিনি- ইবনে হীব্বান যে তিনটি দলিলের একটি যাবের (রা:) যে বর্ননা দিয়ে বলেছেন নবী করিম (সা.) ৮ রাকাত পড়েছেন তারপর তিন রাকাত বিতর পড়েছেন। এটাই সবচাইতে বেশি সহীহ্। ৫. আল্লামা আব্দুল হক মোহাদ্দেস দেহলভী ভারতের দিল্লীর অধিবাসী ছিলেন। শাহ ওয়ালী উল্লাহ মোহাদ্দেস দেহলভীর আগের জামানার লোক ছিলেন। তারই লিখা মিসকাতের একটি ভাষ্য আছে ফারসি ভাষায়। তার লিখা একটি কিতাব। নাম মাসাবাতিস্ সুন্নাহ তাহা হাদিস দ্বারা, সুন্নাত দ্বারা প্রমাণিত সেই কিতাবের ২১৭ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন মা আয়েশা (রা.) থেকে যে এগার রাকাতের হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে সেটা সহীহ্। যাহা রাসুল (সা.) রাতের নামাজে অভ্যস্ত ছিলেন। বর্ণিত আছে যে, হযরত ওমর ইবনে আব্দুল আজিজ (রহ:) খিলাফত যুগে রাসুল (সা.) সুন্নাত এর অনুসরণের আশায় এগার রাকাত নামাজ পড়তেন। ৬. দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা কাশেম নানাতুবি (রহ:) তার একটি কিতাব রয়েছে ফউযে কাশেমিয়া। তার ১৮ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন ফারসি ভাষায় লেখা কিতাবটি। রাসুল (স.) আমল দ্বারা প্রমাণিত এগার রাকাত। এটাই হচ্ছে বলিষ্ঠ প্রমাণ। ৭. জাকারিয়া কান্দলবি (র.) তিনি তার একটি কিতাব রয়েছে, মুয়াত্তা মালিক এর একটি ভাষ্য লিখেছেন নাম আউযাজুল মাছালে। এই কিতাবের ১ম খণ্ড ৩৯৭ পৃষ্ঠায় লিখেছেন এতে কোন সন্দেহ নেই যে বিশ রাকাত তারাবীহ নির্ধারণ করবো এ বিষয়টি প্রমাণিত নয়। মারফু হাদিস দ্বারা নবী করিম (স.) পর্যন্ত প্রমাণিত করবো যে তিনি বিশ রাকাত তারাবীহ পড়েছেন তা প্রমাণ করা যাবে না এবং এতে কোন সন্ধেহ নেই। হাদিসের মোহাদ্দিগণের যে হাদিস পরীক্ষা করায় যে পদ্ধতি সহী যঈফের সেই কায়দা কানুন মোতাবেক কোন বিশুদ্ধ সুত্র দিয়ে সহীহ্ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত করা সম্ভব নয়। ৮. আল্লামা সৈয়দ আহম্মদ হানাফী ভারতের আলেম তিনি বলেছেন তারাবী এগার রাকাত ছিল। ৯. আল্লামা হামুবি হানাফী সারুল আসবা ওয়াল নাযায়ের কিতাবে লেখেন নবী করিম (সা.) বিশ রাকাত পড়েননি বরং (ছামানিয়ান) আট রাকাত পড়েছেন। ১০. মারাকিউল ফালাসা নূরুল ইজা কিতাবে ২৪৭ পৃষ্ঠায় লেখেন প্রমানিত হয়েছে যে জামাতে নবী (স.) বেতের সহ এগার রাকাত পড়েছেন। ১১. দারুল উলুম দেওবন্দ এর প্রসিদ্ধ আলেম রশিদ আহমেদ গাঙ্গুহী তার একটি কিতাব রয়েছে হাক্কুছ সেরিহ এই কিতাবে তিনি লিখেছেন ১১ রাকাত তারাবীহ রাসুল (স.) থেকে বলিষ্ঠভাবে প্রমাণিত। ১২. আবু তাইয়্যেব মোহাম্মদ বিন আবদুল কাদের সিন্দ (নক্সবন্দী) ইবনে আব্বাস থেকে বর্ণিত যে নবী (স.) বিশ রাকাত এবং বিতর পরেছেন রমজান মাসে ইবনে আবী সায়বা যে ইহা বর্ননা উহার সনদ যঈফ। অথচ বুখারী/মুসলিমে আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত এগার রাকাতের বেশি না পড়ার হাদিস বিরোধী। কাজেই ২০ রাকাতের দলিল হতে পারে না। বিশ রাকাতের হাদিস যঈফ আর এগার রাকাতের হাদিস সহী তিরমিজির ভাষ্য ৪২৩ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন। ১৩. ইবনে আবেদীন সামি সামদেশের হানাফি আলেম তিনি লিখেছেন-সুন্নাত হচ্ছে আট রাকাত পড়া বাকি মুস্তাহাব। কিতাবের নাম রদ্দুল মোহতার। দুররে মোখতার এর ভাষ্য রদ্দুল মোখতার। ১ম খণ্ড ৪৯৫ পৃষ্ঠা। ১৪. আবু সৌদ হানাফি একজন ফকিহ্ তিনি বলেছেন- নবী করিম (স.) বিশ রাকাত পরেননি বরং ৮ রাকাত পড়েছেন। কিতাবের নাম সাররে কানযুত দাকায় ২৬৫ পৃষ্ঠাতে তিনি একথা লিখেছেন। ১৫. ভারতের হানাফী আলেম মোহাম্মদ আহছান নানাতুবি তিনি বলেছেন নবী (স.) বিশ রাকাত পরেননি বরং আট রাকাত পরেছেন। হাসিয়া কানযুত দাকায় হাসিয়া বা টিকায় ৩৬ পৃষ্ঠায়। ১৬. হানাফি ফকিহ্ আল্লামা কামাল ইবনুল হামাম হানাফী লিখেছেন রমজান মাসের কিয়াম হচ্ছে এগার রাকাত বিতর সহ, জামাত সহকারে নবী করিম (স.) পড়েছেন। এটা রয়েছে ফতহুল কাদির, ফতহুল কাদির হয় হাসিয়া বা টিকায়। ফতহুল কাদির একটি ফিকাহ্ কিতাবের ভাষ্য এর ১ম খণ্ড ১৯৮ পৃষ্ঠায় মিশরের ছাপা। ১৭. আল্লামা আহমদ তাহাবী তিনি এক প্রখ্যাত ফকিহ্ তিনি বলেছেন- নবী (স.) বিশ রাকাত পরেননি বরং আট রাকাত পড়েছেন। তাহবীর হাসিয়া, দুররে মুহতার। ১৮. ইবনে নাজিম হানাফী ইবনে নাজিম হানাফীর একটি কিতাব রয়েছে ফিকাহ্র কিতাবের নাম বাহারুর রাইখ তার ২য় খণ্ড ৭২ পৃষ্ঠায় তিনি লিখেছেন তারবীহ নামাজ এগার রাকাত ছিল বিতর সহ। বুখারী, মুসলিমে আয়েশা (রা.) হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। সুতরাং আমাদের মাশায়েক হানাফি ওলামাদের নিকটে আমাদের তরিকা মোতাবেক ফতোয়া হচ্ছে সুন্নত হচ্ছে আট রাকাত আর বার রাকাত হচ্ছে মুস্তাহাব । ১৯. আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী দেওবন্দের একজন ওস্তাদ ছিলেন। হাদিস পড়াইতেন সেই আল্লামা আনোয়ার শাহ কাশ্মিরী লিখেছেন নবী করিম (স.) হতে বিশুদ্ধ সূত্রে প্রমাণিত হচ্ছে আট রাকাত পক্ষান্তরে বিশ রাকাত হচ্ছে দুর্বল সনদ দিয়ে। বিশ রাকাতের হাদিস যইক এর উপর ইজমা রয়েছে। তাহলে বর্তমান যুগে উল্টো হয়ে গেল কেন?
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 7:14pm

    Sogood Islam Syeds

    তারাবীর জন্য হাফেজ নিয়োগ করে হাদিয়া দেওয়া-নেওয়া হারাম! ১৭১৪.প্রশ্ন: খতম তারাবীর ইমামতি করে বিনিময় বা হাদিয়া নেওয়া জায়েয কি না ? এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন দিলে জায়েয হবে কি না ? কেউ কেউ বলেন, ফরয নামাযের ইমামতির বিনিময় যখন জায়েয তখন খতম তারাবীর বিনিময় গ্রহণও জায়েয হবে । এছাড়া হাফেজ সাহেবকে যদি দু’এক ওয়াক্ত ফরয নামাযের দায়িত্ব দেওয়া হয় তবে তো নাজায়েয হওয়ার প্রশ্নই আসে না । তাদের একথা ঠিক কি না ? ইমামতির হীলা হোক বা অন্য কোনো উপায়ে তারাবীর বিনিময় বৈধ কি না ? উত্তর:খতম তারাবীর বিনিময় দেওয়া-নেওয়া দুটোই নাজায়েয । হাদিয়ার নামে দিলেও জায়েয হবে না । এক মাসের জন্য নিয়োগ দিয়ে বেতন হিসাবে দিলেও জায়েয নয় । কারণ এক্ষেত্রেও প্রদেয় বেতন তারাবীহ এবং খতমের বিনিময় হওয়া স্বীকৃত । মোটকথা, খতম তারাবীর বিনিময় গ্রহণের জন্য হিলা অবলম্বন করলেও তা জায়েয হবে না । কারণ খতমে তারাবীহ খালেস একটি ইবাদত, যা নামায ও রোযার মতো ‘ইবাদতে মাকসূদা’-এর অন্তর্ভুক্ত । আর এ ধরনের ইবাদতের বিনিময় বা বেতন দেওয়া-নেওয়া উম্মতে মুসলিমার ঐকমত্যের ভিত্তিতে নাজায়েয । এতে না কোনো মাযহাবের মতপার্থক্য আছে, না পূর্ববর্তী ও পরবর্তী ফকীহগণের মাঝে কোনো মতভেদ আছে । ইমামতির বেতন ঠিক করা এবং তা আদায় করা যদিও পরবর্তী ফকীহগণের দৃষ্টিতে জায়েয, কিন্তু খতম তারাবীর বিনিময়টা ইমামতির জন্য হয় না; বরং তা মূলত খতমের বিনিময়ে হয়ে থাকে । আর তেলাওয়াতের বিনিময় গ্রহণ করা সকল ফকীহ্ নিকট হারাম । অধিকন্তু পরবর্তী ফকীহ্গণ যে ইমামতির বেতন জায়েয বলেছেন সেটা হল ফরযের ইমামতি । সুন্নাত জামাতের ইমামতি এর অন্তর্ভুক্ত নয় । আর হাফেযদের দেওয়া বিনিময়কে জায়েয করার জন্য এই হিলা অবলম্বন করা যে, শুধু রমযান মাসের জন্য তার উপর দু-এক ওয়াক্ত নামাযের দায়িত্ব দেওয়া হবে-এটা একটা বাহানামাত্র; যা পরিহার করা জরুরি । কারণ এই হিলার যে বিমিনয়টা তাকে ফরযের ইমাতির জন্য দেওয়া হচ্ছে আর তারাবীর খতম সে বিনিময়হীনভাবেই করে দিচ্ছে । কিনা’ আপনার মনকে একটু প্রশ্ন করে দেখুন, যদি ওই হাফেয সাহেব তার দায়িত্বে অর্পিত ফরয নামাযের ইমামতি যথাযথ গুরুত্বের সাথেও আদায় করেন আর খতম তারাবীতে অংশগ্রহণ না করেন তবে কি তাঁকে ওই বিনিময় দেওয়া হবে, যা খতম তারাবী পড়ালে দেওয়া হত ? এ কথা সুস্পষ্ট যে, কখনো তা দেওয়া হবে না । বোঝা গেল, বিনিময়টা মূলত খতম তারাবীর, ফরযের ইমামতির নয় । এ জন্যই আকাবিরের অনেকে এই হিলা প্রত্যাখ্যান করেছেন । আর দলীলের ভিত্তিতেও তাঁদের ফতওয়াই সহীহ । দেখুন: ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৩২২; ইমদাদুল আহকাম ১/৬৬৪ সারকথা হল, কুরআন তেলাওয়াত, বিশেষত যখন তা নামাযে পড়া হয়, একটি খালেস ইবাদত, যা একমাত্র আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্যই হওয়া চাই । তাতে কোনো দুনিয়াবী উদ্দেশ্য শামিল করা গুনাহ । নিচে এ বিষয়ে কিছু হাদীস, আছারের অনুবাদ ও ফিকহের উদ্ধৃতি পেশ করা হল । ১. হযরত আবদুর রহমান ইবনে শিবল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পড় তবে তাতে বাড়াবাড়ি করো না এবং তার প্রতি বিরূপ হয়ো না । কুরআনের বিনিময় ভক্ষণ করো না এবং এর দ্বারা সম্পদ কামনা করো না ।’-মুসনাদে আহমদ ৩/৪২৮; মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৫/২৪০; কিতাবুত তারাবীহ ২. ‘ইমরান ইবনে হোসাইন রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে বলতে শুনেছি যে, তোমরা কুরআন পড় এবং আল্লাহ তাআলার কাছে প্রার্থনা কর । তোমাদের পরে এমন জাতি আসবে, যারা কুরআন পড়ে মানুষের কাছে প্রার্থনা করবে ।’-মুসনাদে আহমদ ৪/৪৩৭; জামে তিরমিযী ২/১১৯ ৩. ‘হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মা’কিল রা. থেকে বর্ণিত, তিনি এক রমযান মাসে লোকদের নিয়ে তারাবীহ পড়লেন । এরপর ঈদের দিন উবাইদুল্লাহ ইবনে যিয়াদ রাহ. তাঁর কাছে এক জোড়া কাপড় এবং পাঁচশ দিরহাম পাঠালেন । তখন তিনি কাপড় জোড়া ও দিরহামগুলো এই বলে ফেরত দিলেন যে, আমরা কুরআনের বিনিময় গ্রহণ করি না ।’-মুসান্নাফ ইবনে আবী শায়বা ৫/২৩৭ আরো দেখুন: ফাতাওয়া শামী ৬/৫৭; তানকীহুল ফাতাওয়া হামীদিয়া ২/১৩৭-১৩৮; আলইখতিয়ার লিতা’লীলিল মুখতার ২/৬২; শিফাউল আলীল ওয়াবাল্লুল গালীল (রাসায়েলে ইবনে ইবনে আবেদীন) ১/১৫৪-১৫৫; ইমদাদুল ফাতাওয়া ১/৩১৫-৩১৯ ও ৩২২; রাফেউল ইশকালাত আনহুরমাতিল ইসি-জার আলাত্তাআত, মুফতিয়ে আযম হযরত মাওলানা মুফতী ফয়যুল্লাহ রাহ. সংগ্রহ-http://www.alkawsar.com/section/question-answer?page=365 বিঃ দ্রঃ সমাধানের উপায়ঃ- ¤ মসজিদের ইমাম হিসাবে হাফেজ ও আলেম যোগ্যতাসম্পন্ন ইমাম নিয়োগ দিতে পারেন । ¤ মুয়াজ্জিন হিসাবে একজন হাফেজ নিয়োগ দিতে পারেন । তাহলে প্রতি রমযানে এদের দ্বারাই খতমে তারাবীর নামায পড়ানো যাবে । ¤ মসজিদের ইমাম ও মুয়াজ্জিন কেউ কুরআনে হাফেজ না হলে, রমযান মাসে তারাবীর জন্য হাফেজ নিয়োগ না করে (ইমাম-মুয়াজ্জিন যা জানে তা দ্বারা) তাদের দ্বারাই তারাবীর নামায পড়াতে পারেন । ¤ কোন এতিম খানার হাফেজ দ্বারা খতমে তারাবী পড়াতে পারেন । তবে উক্ত হাফেজকে কোন রকম হাদিয়া নেওয়া বা দেওয়া যাবে না । ¤ এতিম খানা পরিচালকের নিকট তারাবীর বিনিময় না ভাবিয়া প্রতিষ্ঠান পরিচালনার জন্য বাৎসরিকভাবে প্রতি বছর নির্দিষ্ট অংকের হাদিয়া দিতে পারেন যা প্রতিষ্ঠান পরিচালনার কাজে ব্যয় করবেন । ¤ পরিচালক সেখান থেকে উক্ত হাফেজকে একটি টাকা এমনকি কোন পোষাক, লেখা পড়ার সামগ্রি কিনে দিতে পারবে না । অর্থাৎ হাফেজকে কোনভাবেই এ টাকার অংশ দেয়া যাবে না । ¤ কোন হাফেজ বিনা মুল্যে স্বেচ্ছায় তারাবী পড়াতে চায় অর্থাৎ যাতায়াত খরচ, খাওয়ার খরচ, জামা কাপর ইত্যাদি কোন খরচই নিবে না, তাহলে পড়ানো যেতে পারে । এভাবে কুরআন-হাদিসের আলোকে সহিহ হতে পারে । এছাড়া সমাধানের আর কোন পদ্ধতি বা নিয়ম অবলম্বন করা যায় কিনা তা আপনারা নিরপেক্ষভাবে সুষ্ঠু শান্ত মস্তিষ্কে চিন্তা করুন । বিষয়টির উত্তর জানা ও সংগ্রহে রাখা খূবই জরুরী এবং আপনার মসজিদের ইমাম সাব, হাফেজ ও আলেম সমাজকে কপি প্রিন্ট করে দিতে পারেন । আল্লাহ আমাদের সকলকে সহিহ দ্বীন বুঝার তাওফিক দিন । আমীন!!
    Sohih Janan
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 7:15pm

    Sogood Islam Syeds

    Shahanaj Amin shared her post to the group: মাসিক আত-তাহরীক.
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 7:22pm

    Sogood Islam Syeds

    রাতে অপবিত্র অবস্থায় রোজার নিয়ত করা যাবেকি? _________________________________ রাসুল কখনো কখনো রাতে অপবিত্র অবস্থাতেই রোজার নিয়ত করে নিতেন। বিষয়টির প্রমাণ রাসুলের সহধর্মিণী উম্মুল মোমিনীন আয়েশা রা. বর্ণিত হাদিস রাসুল কখনো কখনো রাতে অপবিত্র অবস্থাতেই রোজার নিয়ত করে নিতেন। বিষয়টির প্রমাণ রাসুলের সহধর্মিণী উম্মুল মোমিনীন আয়েশা রা. বর্ণিত হাদিস— كان النبي صلى الله عليه و سلم يدركه الفجر في رمضان وهو جنب من غير حلم، فيغتسل ويصوم. রমজান মাসে স্বপ্নদোষ ব্যতীতই অপবিত্র অবস্থায় রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সুবহে অতিক্রম করতেন। অত:পর তিনি গোসল করে রোজা রাখতেন। [বোখারি : ১৮২৯, মুসলিম : ১১০৯।] রাসুলের অপর স্ত্রী উম্মুল মোমিনীন উম্মে সালামা রা. বর্ণনা করেন:— كان يدركه الفجر وهو جنب من أهله ثم يغتسل ويصوم. সহবাসের ফলে না-পাকি অবস্থায় রাসুল সুবহে সাদিক অতিক্রম করতেন, অত:পর গোসল করে রোজা রাখতেন। [বোখারি : ১৯২৬] একই হুকুম-ভুক্ত হায়েজ ও নেফাসগ্রস্ত নারীরা। ফজর হওয়ার পূর্বেই যদি তারা পবিত্র হয়ে যায়, তবে গোসল না করেই নিয়ত করে নিবে।
    জেনে নিন- ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 8:34pm

    Sogood Islam Syeds

    তাক্বদীর কি? “এই বিশ্বজগতে যা কিছু ঘটে তার সবকিছু আল্লাহর ‘তাক্বদীর’ (ভাগ্যের নির্ধারণ) অনুযায়ী ঘটে থাকে। সুতরাং, যে তাক্বদীরের প্রতি বিশ্বাস রাখে তাকে এটা অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যেঃ (ক) এই বিশ্বজগতে যা কিছু ঘটে তার সমস্ত কিছু আল্লাহ পূর্ব থেকেই জানতেন, (খ) যা কিছু ঘটবে তা ঘটার পূর্বেই আল্লাহ ‘লাওহে মাহফুজে’ লিখে রেখেছেন, (গ) যা কিছু ঘটবে তা ঘটার জন্যে আল্লাহ ইচ্ছা করেছেন এবং (ঘ) যা কিছু ঘটবে তা আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন।” উৎসঃ IslamQA.
    Shahab Babu
  • May 28
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 11:51pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন : রাফেউল ইয়াদেন এর ফযীলত কতটুক? অনেকে বলে থেকে এটা তো একটু সুন্নাহ মাএ। উওর : রাসুল (সঃ) বলেছেন, নামায পড় সেভাবে, যেভাবে অামাকে পড়তে দেখেছ অতএব নামায সংক্রান্ত মাসাঅালায় কোন সহীহ হাদিস পেলে নির্দিধ্বায় অনুসরন করতে হবে। নামাযের মত একটা অত্যান্ত শ্রেষ্ট অামলে যেন কোন ছোট বড় কিছুই বাদ না যায়,সেইটা করতে হবে। ফযীলত সমুহ : রাফেউল ইয়াদেন সুন্নাহ টা অামাদের সমাজে অনেকটা বিলুপ্ত প্রায় শুধুমাএ গৌড়ামির কারনে।অার অাপনি যদি তা পালন করেন,সংরক্ষন করেন,তাহলে… রাসুল (সঃ) বলেন, যে অামার মৃত্যুর পর একটি হারিয়ে যাওয়া সুন্নাহ কে জাগ্রত করবে বা ফিরিয়ে সংরক্ষন করবে, সে সাহাবিদের জমানার ৫০ জন শহীদের মর্যাদার সওয়াব লাভ করবে। (তাবারানি:১৮২,সিলসিলা সহীহ :৮৯২) উকবা বিন অামির জুহানি (রাঃ) বলেন, কেউ যদি রুকুতে যেতে কিংবা উটতে রাফেউল ইয়াদেন করে সে প্রত্যেক ইশারায় ১০ টি করে নেকী পাবে। (কানযুল উম্মাল,৭ম খণ্ড, পৃষ্টা ৩৩৯-৩৮০) অাল্লামা নাসিরুদ্দিন অালবানি তার সিফাতুত সালাতুত নাবি বইয়ের রাফেউল ইয়াদেন অধ্যায়ে ‘হাদিসে কুদসি’ থেকে একটি হাদিস বলেন, রাসুল (সঃ) বলেছেন, মহান অাল্লাহ বলেন, অামার কোন বান্দা যদি কোন একটা সৎ কাজ করতে চায় এবং তা করে ফেলে,অামি অাল্লাহ তাকে ১০ থেকে ৭০০ নেকী দান করি। রাসুল (সঃ) অারো বলেন,অাল্লাহ চাইলে সেইটা দ্বিগুণ বাড়িয়ে দিতে পারেন। (বুখারি ৯৬৩ পৃষ্টা) #অার অাল্লামা অালবানি তার বইয়ের ১২৮ পৃষ্টা তে হাদিস টি অানার পর,তিনি দাবি করেছেন, কেউ যদি রাফেউল ইয়াদেন করে সে প্রতিবারে কমপক্ষে ৭০০ নেকি পাবে। __________♥__________ সংক্ষেপে: ১. ৫০ জন শহীদের সওয়াব। ২.প্রত্যেক বারে ৭০০ কমপক্ষে নেকী। ৩. রাসুলের সুন্নাহ অনুসরন মানে অাল্লাহ কে ভালবাসা। (ইমরান:৩১) +++++++++ ২নং এর ব্যাখ্যা: অাপনি যদি দুই রাকাঅাত নামায পড়েন তাতে ৫ বার,চার রাকাঅাত পড়লে ১০ বার।অাপনি একদিনে শুধুই ফরয পড়লে তাহলে কয়বার রাফেউল ইয়াদেন করবেন??তার সাথে সুন্নাহ কিংবা নফল পড়লে অার কত বার হয়? এবার অাপনি প্রত্যেক রাফেউল ইয়াদেন X ৭০০ নেকি গুণ করুন। অার চিন্তা করুন, এভাবে অাপনি প্রতিদিন কত নেকী থেকে বন্চিত হচ্ছেন??? একবছরে কত নেকী থেকে বন্চিত হচ্ছেন???? অাপনার পুরো হায়াত জুড়ে কত অগনিত সওয়াব থেকে বন্চিত হচ্ছেন????????? অাজই ফিরে অাসুন কুরঅান ও সুন্নাহ এর অনুসরনে….. (শেয়ার করুন)
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 11:58pm

    Sogood Islam Syeds

    গ্রন্থঃ ইসলাম কিউ এ ফতোয়া সমগ্র | রচনা/অনুবাদ/ সংকলনঃ শাইখ মুহাম্মাদ সালিহ আল-মুনাজ্জিদ আমাদের স্থানীয় ইমাম মানুষকে কতিপয় বিদআতের দিকে আহ্বান করেন। কিছু দ্বীনদার ভাই দলিল-প্রমাণসহ এ ব্যাপারে তাঁকে সাবধান করেছেন। কিন্তু এখন পর্যন্ত তিনি এ বিদআতগুলোর পক্ষে অটল অবস্থানে রয়েছেন। যদি জানা যায় যে, আজকের খোতবায় খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করবেন যেমন- মিলাদ, শবে বরাত, ইত্যাদি সেক্ষেত্রে আপনারা কি এ পরামর্শ দিবেন যে, সে ব্যক্তি জুমার খোতবা শুনতে যাবে না। কেউ যদি মসজিদে গিয়ে শুনতে পায় যে, খতীবসাহেব বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করছেন তখন সে ব্যক্তির করণীয় কী? সে কী খোতবার মাঝখানে উঠে বাড়ীতে এসে যোহরের নামায আদায় করবে? অন্যথায় সে কী করবে? এ ধরণের খোতবা শুনায় হাজির থাকলে ব্যক্তি কি গুনাহগার হবে? কারণ কিছু ভাই নসিহত করার পরও খতীবসাহেব তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির উপর অটল অবস্থানে রয়েছেন। কেউ যদি খোতবার মধ্যে দুর্বল ও বানোয়াট হাদিস উল্লেখ করে তার ক্ষেত্রেও কি একই হুকুম প্রযোজ্য? আল্লাহ আপনাদেরকে উত্তম প্রতিদান দিন। আলহামদুলিল্লাহ। এক: যে ব্যক্তির এলাকার মসজিদে কোন বিদআতপন্থী ইমাম ইমামতি করেন: তার বিদআত হয়তো কুফরি বিদআত হবে অথবা সাধারণ কোন বিদআত হবে। যদি কুফরি বিদআত হয় তাহলে ঐ ইমামের পিছনে সাধারণ নামায কিংবা জুমার নামায কোনটা পড়া জায়েয হবে না। আর যদি ইসলাম থেকে খারিজ করে দেয় এমন কোন বিদআত না হয় তাহলে অগ্রগণ্য মতানুযায়ী- তার পিছনে জুমা পড়া ও জামাতে নামায পড়া জায়েয। এ হুকুমটি এত বেশি প্রচার পেয়েছে যে, এটা এখন সুন্নাহ অনুসারীদের নিদর্শনে পরিণত হয়েছে। বিশুদ্ধ মতানুযায়ী, যদি কেউ এমন ইমামের পিছনে নামায আদায় করে ফেলে তাহলে তাকে সে নামায শোধরাতে হবে না। এ বিষয়ক নীতি হচ্ছে- “যে ব্যক্তির নিজের নামায শুদ্ধ; সে ব্যক্তির ইমামতিও শুদ্ধ”। আর যদি সেই বিদআতী ইমামকে বাদ দিয়ে অন্য কোন ইমামের পিছনে নামায পড়ার সুযোগ থাকে তাহলে সেটাই করতে হবে। বিশেষতঃ আলেম শ্রেণী ও তালিবুল ইলমকে সেটা করতে হবে। তা করা সৎকাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ তুল্য। কিন্তু এ ইমামের পিছনে নামায বর্জন করতে গিয়ে ঘরে নামায পড়া জামাতযুক্ত নামাযের ক্ষেত্রে জায়েয নেই। সুতরাং জুমার ক্ষেত্রে জায়েয না হওয়া আরও বেশি যুক্তিযুক্ত। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া বলেন: যদি মোক্তাদি জানে যে, ইমাম বিদআতি, বিদআতের দিকে আহ্বান করে অথবা এমন ফাসেক (কবিরা-গুনাহগার) যার মধ্যে গুনাহর আলামত প্রকাশ্য এবং সেই-ই নির্ধারিত ইমাম; নামায পড়লে তার পিছনেই পড়তে হবে যেমন- জুমার ইমাম, ঈদের ইমাম, আরাফাতে হজ্জের নামাযের ইমাম ইত্যাদি এক্ষেত্রে পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সকল আলেমের অভিমত হচ্ছে- মোক্তাদিকে তার পিছনেই নামায আদায় করতে হবে। এটি ইমাম আহমাদ, ইমাম শাফেয়ী, ইমাম আবু হানিফা ও অন্যান্য আলেমের অভিমত। এ কারণে আলেমগণ আকিদার কিতাবে লিখেন যে, ইমাম নেককার হোক কিংবা পাপাচারী হোক তিনি ইমামের পিছনে জুমার নামায ও ঈদের নামায আদায় করেন। অনুরূপভাবে এলাকাতে যদি শুধু একজন ইমাম থাকে তাহলে তার পিছনেই জামাতে নামাযগুলো আদায় করতে হবে। কেননা জামাতে নামায আদায় করা, একাকী নামায আদায় করার চেয়ে উত্তম; এমনকি ইমাম ফাসেক (কবিরা- গুনাতেলিপ্ত) হলেও। এটি অধিকাংশ আলেম: আহমাদ ইবনে হাম্বল, শাফেয়ী ও অন্যান্যদের অভিমত। বরং ইমাম আহমাদের প্রকাশ্য অভিমত হচ্ছে- জামাতে নামায আদায় করা ফরজে আইন। ইমাম ফাসেক হওয়ার কারণে যে ব্যক্তি জুমার নামায ও জামাতে নামায পড়ে না সে ইমাম আহমাদ ও আহলে সুন্নাহর অন্যান্য ইমামের মতে- বিদআতী; আব্দুস, ইবনে মালেক ও আত্তারের ‘রিসালা’ তে এভাবে এসেছে। সঠিক মতানুযায়ী: সে ব্যক্তি নামায পড়ে নিবে; তাকে এ নামাযকে পুনরায় আদায় করতে হবে না। কারণ সাহাবায়ে কেরাম জুমার নামায, জামাতে নামায ফাসেক ইমামদের পিছনেও আদায় করেছেন; তাঁরা তাদের পিছনে আদায়কৃত নামায পুনরায় আদায় করতেন না। যেমন- ইবনে উমর হাজ্জাজের পিছনে নামায পড়তেন। ইবনে মাসউদ ও অন্যান্য সাহাবী ওয়ালিদ ইবনে উকবার পিছনে নামায পড়তেন। ওয়ালিদ বিন উকবা মদ্যপ ছিল। একবার ফজরের নামায চার রাকাত পড়িয়েছে। এরপর বলল: আরো বাড়াব নাকি? তখন ইবনে মাসউদ বললেন: আজ তো আপনি বেশিই পড়িয়েছেন! এরপর তাঁরা তার বিরুদ্ধে ওসমান (রাঃ) এর নিকট অভিযোগ করেন। সহিহ বুখারিতে এসেছে- ওসমান (রাঃ) যখন অবরুদ্ধ হলেন এবং জনৈক লোক এগিয়ে গিয়ে নামাযের ইমামতি করল তখন এক ব্যক্তি ওসমান (রাঃ) কে প্রশ্ন করল: নিঃসন্দেহে আপনি সর্বসাধারণের ইমাম। আর যে ব্যক্তি এগিয়ে এসে ইমামতি করল সে ফিতনার ইমাম। তখন ওসমান (রাঃ) বললেন: ভাতিস্পুত্র শুন, নামায হচ্ছে- ব্যক্তির সবচেয়ে উত্তম কাজ। যদি লোকেরা ঠিকভাবে নামায আদায় করে তাদের সাথে ভাল ব্যবহার কর। আর যদি তারা মন্দ আচরণ করে তাদের সে মন্দ আচরণকে এড়িয়ে চল। এ ধরণের বাণী অনেক আছে। ফাসেক বা বিদআতীর নামায সহিহ। অতএব, মোক্তাদি যদি তার পিছনে নামায পড়ে তাহলে তার নামায বাতিল হবে না। তবে, যারা বিদআতির পিছনে নামায পড়াকে মাকরুহ বলেছেন তারা দিক থেকে বলেছেন: সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধ ওয়াজিব। যে ব্যক্তি প্রকাশ্য বিদআত করে তাকে ইমাম হিসেবে নির্ধারণ না করাটা সৎ কাজের আদেশ ও অসৎ কাজের নিষেধের অন্তর্গত। কেননা সে শাস্তিযোগ্য যতক্ষণ না তওবা করে। যদি তাকে এড়িয়ে চলা যায় যাতে করে সে তওবা করে সেটা— ভাল। যদি কোন কোন লোক তার পিছনে নামায পড়া ছেড়ে দিলে, অন্যেরা নামায পড়লে সেটা তার উপরে প্রভাব ফেলে যাতে করে সে তওবা করে অথবা বরখাস্ত হয় অথবা মানুষ এ জাতীয় গুনাহ থেকে দূরে সরে আসে এবং সে মোক্তাদির জুমা বা জামাত ছুটে না যায় যদি এমন হয় তাহলে এ ধরণের লোকের তার পিছনে নামায বর্জন করাতে কল্যাণ আছে। পক্ষান্তরে মোক্তাদির যদি জুমা ও জামাত ছুটে যাওয়ার আশংকা থাকে তাহলে তার পিছনে নামায বর্জন করাটা বিদআত এবং সাহাবায়ে কেরামের আমলের পরিপন্থী।[আল-ফা তাওয়া আল-কুবরা (২/৩০৭-৩০৮)]। দুই: ইতিপূর্বের আলোচনা থেকে জানা যায় যে, যদি কেউ কোন খতীবকে বিদআতের দিকে ডাকে (যেমন যে বিদআতগুলোর কথা আপনি প্রশ্নে উল্লেখ করেছেন) অথবা বিদআতের ব্যাপারে উদ্বুদ্ধ করে অথবা দুর্বল ও বানোয়াট হাদিসগুলো উদ্ধৃত করতে শুনে তদুপরি তার জন্য মসজিদ ত্যাগ করা, খোতবা না- শুনা জায়েয হবে না। তবে যদি প্রভাবশালী আলেম হন এবং তিনি অন্য কোন খতীবের পিছনে নামায পড়বেন তাছাড়া ইতিপূর্বে ঐ খতীবকে নসিহত করেছেন, সত্যকে তার নিকট সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরেছেন- তিনি তার পিছনে নামায বর্জন করতে পারেন। যদি তিনি ইতিপূর্বে তাকে নসিহত না করে থাকেন অথবা অন্য কোন মসজিদে তার নামায পড়ার সুযোগ না থাকে তাহলে অগ্রগণ্য মত হচ্ছে- খোতবাকালে মসজিদ থেকে বেরিয়ে যাওয়া জায়েয হবে না। তবে যদি এমন হয় যে, এ খতীবের পিছনে নামায পড়া জায়েয হবে না এমন পর্যায়ের তাহলে বেরিয়ে যেতে পারেন। 6366 নং প্রশ্নের জবাবে আমরা উল্লেখ করেছি জুমার নামাযের খতীব যদি কোন বিভ্রান্তির কথা বলে অথবা কোন বিদআত সাব্যস্ত করে অথবা শিরকের দিকে আহ্বান করে আমরা সে প্রশ্নের জবাবে খোতবার মাঝখানে প্রতিবাদ করাকে বৈধ উল্লেখ করেছি। তবে শর্ত হচ্ছে- মানুষের মাঝে বিশৃংখলা সৃষ্টি হতে পারবে না এবং জুমার নামায নষ্ট করা যাবে না। যে ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে চায় তিনি খোতবা শেষে দাঁড়িয়ে মানুষের কাছে খতীবের ভুল তুলে ধরবেন। যে ব্যক্তি প্রতিবাদ করতে চায় তার উচিত সত্য তুলে ধরা ও সে খতীবের সমালোচনার ক্ষেত্রে কোমল হওয়া। যাতে করে মন্দের প্রতিবাদ ফলপ্রসু হয়। স্থায়ী কমিটির আলেমগণকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে- যে খতীব তার খোতবার মাঝে অথবা গোটা খোতবা জুড়ে শুধু ইসরাইলী বর্ণনা ও দুর্বল হাদিস উল্লেখ করে এর মাধ্যমে মানুষকে চমকে দিতে চান ইসলামে এর হুকুম কী? তাঁরা জবাবে বলেন: যদি আপনি সুনিশ্চিতভাবে (ইয়াকীনসহ) জানেন যে, খতীব খোতবার মধ্যে যে ইসরাইলী বর্ণনাগুলো উল্লেখ করেছেন সেগুলো ভিত্তিহীন অথবা হাদিসগুলো দুর্বল তাহলে আপনি তাকে নসিহত করুন যেন অন্য সহিহ হাদিসগুলো উল্লেখ করে, আয়াতে কারীমাগুলো নিয়ে আসে। আর যে ব্যাপারে নিশ্চিতভাবে জানেন না সেটাকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দিকে সম্পৃক্ত করবে না। যেহেতু নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন: “দ্বীন হচ্ছে- নসিহত”। হাদিসটি ইমাম মুসলিম তাঁর সহিহ গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন। তবে নসিহত হতে হবে উত্তম পন্থায়; কর্কশ ও কঠিন আচরণের মাধ্যমে নয়। আল্লাহ আপনাকে তাওফিক দিন ও আপনাকে কল্যাণের ধারক বানান। শাইখ আব্দুল আযিয বিন বায, শাইখ আব্দুর রাজ্জাক আফিফি, শাইখ আব্দুল্লাহ গাদইয়ান। ফাতাওয়াল লাজনাহ দায়িমা (৮/২২৯-২৩০) সার কথা হচ্ছে- যদি আপনি এমন কোন মসজিদে যেতে পারেন যেখানে বিদআত নেই, যে মসজিদের খতীব বিদআতের দিকে আহ্বান করে না সেটা ভাল। যদি না যেতে পারেন অথবা আপনাদের নিকটে অন্য কোন মসজিদ না থাকে তাহলে উল্লেখিত কারণে জামাত ও জুমা ত্যাগ করা আপনাদের জন্য জায়েয হবে না। আপনাদের কর্তব্য হচ্ছে- নসিহত করা ও আল্লাহর দিকে আহ্বান করা। দাওয়াতের ভাষা যেন কোমল হয় এবং পদ্ধতি যেন সুন্দর হয় সে ব্যাপারে সচেষ্ট থাকা। আল্লাহই ভাল জানেন।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 12:04am

    Sogood Islam Syeds

    ০১-প্রশ্ন: আল্লাহ কোথায়? উত্তর: মহান আল্লাহ স্ব-সত্তায় সপ্ত আসমানের উপর অবস্থিত মহান ‘আরশের উপরে আছেন। দলীল: কুরআন, সুন্নাহ ও প্রসিদ্ধ চার ইমামের উক্তি- মহান আল্লাহর বাণী: “রহমান (পরম দয়াময় আল্লাহ) ‘‘আরশে সমুন্নত।” (সূরা ত্বা-হা: ২০: ৫) রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর বানীঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম একজন দাসীকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন: “আল্লাহ কোথায়? দাসী বলল: আসমানের উপরে। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: আমি কে? দাসী বলল: আপনি আল্লাহর রাসূল। অতঃপর তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: একে আজাদ (মুক্ত) করে দাও, কেননা সে একজন মুমিনা নারী।” [সহীহ মুসলিম: ১ম খণ্ড ২০৩ পৃষ্ঠা; {বাংলা অনুবাদ (ইসলামিক ফাউন্ডেশন হাদিস/১০৮২; (বাংলাদেশ ইসলামিক সেন্টার) হাদিস/১০৮৮; (হাদীস একাডেমী) হাদিস/১০৮৬}] ইমাম আবু হানীফাহ (রহিমাহুল্লাহ)-এর উক্তি: “যে ব্যক্তি বলবে, আমি জানি না, আমার রব আসমানে না জমিনে – সে কাফির। অনুরূপ (সেও কাফির) যে বলবে, তিনি আরশে আছেন, তবে আমি জানি না, ‘আরশ আসমানে না জমিনে। (আল ফিকহুল আকবার: ১/১৩৫) ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ)-এর উক্তি: ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ)-এর নিকট একদা এক ব্যক্তি এসে জিজ্ঞেস করল, “হে আবু ‘আব্দুল্লাহ! (মহান আল্লাহ বলেন) ‘‘রহমান (পরম দয়াময় আল্লাহ) ‘আরশের সমুন্নত হলেন” (সূরা ত্বাহা: ২০:৫)। এই সমুন্নত হওয়ার রূপ ও ধরণ কেমন? প্রশ্নটি শোনামাত্র ইমাম মালিক (রহিমাহুল্লাহ) মাথা নীচু করলেন, এমনকি তিনি ঘর্মাক্ত হলেন: অতঃপর তিনি বললেন: ইসতিওয়া শব্দটির অর্থ (সমুন্নত হওয়া) সকলের জানা, কিন্তু এর ধরণ বা রূপ অজানা, এর উপর ঈমান আনা ওয়াজিব এবং এর ধরণ সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা বিদ‘আত। আর আমি তোমাকে বিদ‘আতী ছাড়া অন্য কিছু মনে করি না। অতঃপর তিনি (রহিমাহুল্লাহ) তাকে মজলিস থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। (ইতিকাদ লিল বাইহাকী ১/৬৭, হাশিয়াতুস সিন্ধী ‘আলা ইবনি মাজাহ ১/১৬৭, মিরকাতুল মাফাতীহ ২/১৭, ১৩/৮৯)। ইমাম শাফি‘ঈ (রহিমাহুল্লাহ)-এর উক্তি: আর নিশ্চয় আল্লাহ আসমানের উপরে স্বীয় ‘আরশে সমুন্নত। (তাহযীবু সুনানে আবী দাউদ ২/৪০৬) ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বাল (রহিমাহুল্লাহ)-এর উক্তি: ইমাম আহমাদ ইবন হাম্বাল (রহিমাহুল্লাহ)-কে মুহাম্মাদ ইবন ইবরাহীম জিজ্ঞেস করলেন; “এ মর্মে ইবনুল মুবারাক (রহিমাহুল্লাহ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, ‘‘আমাদের রবের পরিচয় কীভাবে জানবো? উত্তরে তিনি বললেন, ‘‘সাত আসমানের উপর ‘আরশে”। (এ ব্যাপারে আপনার মতামত কী?) ইমাম আহমাদ (রহিমাহুল্লাহ) বললেন, ‘‘বিষয়টি আমাদের নিকট এ রকমই”।(তাহযীবু সুনানে আবী দাউদ ২/৪০৬) উল্লিখিত দলীল-প্রমাণাদি দ্বারা মহান আল্লাহ তা‘আলার পরিচয় সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায়। ০২.প্রশ্ন: মহান আল্লাহ ‘আরশে আযীমের উপরে আছেন-এটা আল-কুরআনের কোন সূরায় বলা হয়েছে? উত্তর: এ ব্যাপারে পবিত্র কুরআনে সুস্পষ্ট সাতটি আয়াত রয়েছে: ১. সূরা আল ‘আরাফ ৭:৫৪ ২. সূরা ইউনুস ১০:৩ ৩. সূরা আর্ রা‘দ ১৩:২ ৪. সূরা ত্ব-হা- ২০:৫ ৫. সূরা আল ফুরকান ২৫:৫৯ ৬. সূরা আস্ সাজদাহ্ ৩২:৪ ৭. সূরা আল হাদীদ ৫৭:৪
    জেনে নিন- ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর
  • May 29
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 9:44am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 10:23am

    Sogood Islam Syeds

    Sadda Hussain added a new photo.
    ” ধৰ্মৰ ক্ষেত্ৰত জবৰদস্থি নাই , সত্যপথ নিশ্চয়ে ভ্ৰান্তপথৰ পৰা সুস্পষ্ট কৰা হৈ গৈছে …….” ( কুৰআন 2: 256 ) ” আৰু সিহঁতে আল্লাহক এৰি যিবিলাকৰ উপাসনা কৰে সেইবিলাকক গালি নিদিবা , পাচে সিহঁতেও সীমালঙ্গন কৰি জ্ঞানহীনতাৰ কাৰণে আল্লাহক গালি পাৰে ….” ( কুৰআন 6: 108 ) “…. তোমালোকৰ কাৰণে তোমালোকৰ ধৰ্ম আৰু মোৰ কাৰণে মোৰ ধৰ্ম ” ( কুৰআন 109 :6 ) ” যি সকলে তোমালোকৰ ধৰ্মৰ বাবে তোমালোকৰ বিৰুদ্ধে যুদ্ধ কৰা নাই , আৰু যি সকলে তোমালোকক ঘৰ বাৰীৰ পৰা খেদি পঠিওৱা নাই , তেওঁলোকৰ প্ৰতি সদয় হোৱা আৰু ন্যায় ব্যৱহাৰ কৰাটো আল্লাহে তোমালোকক নিষেধ কৰা নাই , নিশ্চয় যি সকলে ন্যায় ব্যৱহাৰ কৰে আল্লাহে তেওঁলোকক ভাল পায় ” ( কুৰআন 60 :8 ) সকলো ধর্মৰ মানুহৰ প্ৰতি ইছলামে সহনশীলতাৰ কথা কয়, সহমর্মিতাৰ আৰু ন্যায়বিচাৰৰ কথা কয়। কাৰণ এইটো মানুহৰ বনোৱা ধর্ম নহয়, এইটো আহিছে আল্লাহ্ ছুবহানাহু ওয়া তা’আলাৰ ওচৰৰ পৰা, যিজন চবতকৈ বেছি ন্যায়বিচাৰক। এজন মু’মীনৰ ওচৰত এজন মুছলিম যিমানখিনি নিৰাপদ, এজন অমুছলিমও সিমানখিনিয়েই নিৰাপদ – যেনেকৈ ৰাছূলুল্লাহ(ছাঃ)য়ে শিকাই দি গৈছে। ৰাছূলুল্লাহ(ছাঃ) য়ে কৈছেঃ সাবধান! যি ব্যক্তি কোনও মুয়াহিদৰ (মুয়াহিদঃ মুছলিম ৰাষ্ট্ৰত ন্যায়সঙ্গতভাবে বসবাস কৰা অমুছলিম) উপৰত অত্যাচাৰ কৰিব অথবা তাৰ কোনো অধিকাৰ উলংঘা কৰিব অথবা তাক অসহনীয় যন্ত্ৰণা দিব অথবা তাৰ অনুমতি অবিহনে তাৰ কোনো কিবা লৈ ল’ব, সি জানি ৰাখক যে বিচাৰ দিবসত মই তাৰ (অত্যাচাৰী ব্যক্তিৰ) বিৰুদ্ধে যুদ্ধ কৰিম। – (আল্ হাদিছ্) (চুনান আবু দাউদ, ভলিউম ৩, হাদিছ ৩০৫২)
    Sadda Hussain
  • May 29
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 1:54pm

    Sogood Islam Syeds

    Mosharaf Hossain Ujjol added a new photo.
    ২৪ ঘন্টা অনবরত গোনাহ হতেই থাকে যে পাপ কাজ করলে। অর্থাৎ গোনাহ-এ জারিয়া। – ১. দাঁড়ি না রাখলে।— আপনি এখন শেভ করনেম, কিন্তু পাপ শুধু এখন হল তাই নয়। বরং যতক্ষণ পর্যন্ত দাঁড়ি লম্বা না করবেন তখন পর্যন্ত আপনার পাপ হতেই থাকবে। ততখন পর্যন্ত আপনি পাপী, আপনি কাবিরা গোনাহ-তে লিপ্ত। – ২. কোন নারী নিজের বেপর্দা ছবি আপলোড করলে।। এছাড়া ছেলেদের মধ্যে-ও অনেকে বা অশ্লীল ছবি বা ভিডিও বা মিউজিক আপলোড বা পোস্ট করে থাকে। তাদের এই আপলোডকৃত ছবি যত দিন যত মানুষ দেখবে তত দিন তত মানুষের পাপ তার ঘাড়ে চাপতে থাকবে। এমনকি সে যদি এই ছবি আপলোড করে মরেও যায়, তবুও এই ছবি যতদিন মানুষ দেখতে থাকবে ততদিন তার কবরে পাপ যেতেই থাকবে। এর নাম গোনহ-এ জারিয়া। অনন্তকালের পাপ।
    Mosharaf Hossain Ujjol
  • May 29
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 7:48pm

    Sogood Islam Syeds

    Sadda Hussain added a new photo.
    ” আৰু তেৱেঁই দুখন সাগৰ প্ৰবাহিত কৰিছে ; এখনৰ পানী মধুৰ , তৃষ্ণা নিবাৰণ কৰিব পৰা , আৰু সিখনৰ পানী লোনা ; বেজবেজীয়া আৰু দুয়োৰ মাজতে তেওঁ স্থাপন কৰিছে অন্তৰায় আৰু অভেদ্ৰ অৱৰোধ ” ( কুৰআন 25: 53 )
    Sadda Hussain
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 7:50pm

    Sogood Islam Syeds

    —ছালাতের মাসায়েল সমুহ— (কুরঅান ও সহীহ হাদিস অনুসরনে) ================================ ছালাতের রুকন সমুহ: রুকন অর্থ স্তম্ভ। একটি অপরিহার্য বিষয়।ইচ্ছেকৃতভাবে বা ভুল করে ছুটে গেলেও সালাত বাতিল বা নষ্ট হয়ে গেছে। সালাতে রুকন ৭ টি। নিম্নরুপ: ১. কিয়াম বা দাড়ানো : তোমরা তোমার প্রভুর জন্য একনিষ্ঠচিক্তে দাড়িয়ে যাও। (বাকারা :২৩৮) ২.তাকবীরে তাহরীমা: অর্থাৎ অাল্লাহু অাকবর বলে কাধ বা কান বরাবর হাত উঠানো। রাসুল (সঃ) বলেন, ছালাতের জন্য সবকিছু হারাম হয় তাকবিরের মাধ্যমে, সবকিছু হালাল হয় সালামের মাধ্যমে। (অাবু দাউদ,তিরমিযি, মিশকাত হা/৩১২) ৩.সুরা ফাতিহা পাঠ করা। রাসুল (সঃ) বলেন, ঐ ব্যাক্তির সালাত সিদ্ধ হয় না,যে সালাত সুরা ফাতিহা পড়া হয় না। (মুক্তাফাক অালাইহে,মিশকাত হা/৮২২) ৪.রুকু করা। অাল্লাহ বলেন,হে মুমিনগন! তোমরা রুকু সিজদাহ করা। (হজ্ব :৭৭) ৫. সিজদাহ করা। অাল্লাহ বলেন,হে ঈমানদারগন তোমরা রুকু, সিজদাহ কর। (হজ্ব:৭৭) ৬. তা’দীলে অারকান বা ধীরেসুস্থে সালাত অাদায় করা। (দলিল: মুক্তাফাক অালাইহে,মিশকাত হা/৭৯০ হাদিস টি) ৭.শেষ বৈঠক। (বুখারি,মিশকাত হা/৯৪৮) ================================ ছালাতের ওয়াজিবসমুহ: রুকনের পর ওয়াজিবের স্হান।ইচ্ছেকৃতভাবে ভুল করলে সালাত বাতিল,ভুল করে বাদ গেলে সহো সিজদাহ দিতে হয়। ওয়াজিব ৮টি। ১.তাকবিরে তাহরীমা ব্যাতিত অন্য সকল তাকবীর। (বুখারি, মুসলিম,মিশকাত হা/৭৯৯,৮০১) ২.রুকুতে তাসবিহ পড়া।কমপক্ষে “সুবাহানা রাব্বিয়াল অাযীম” (নাসাঈ, অাবু দাউদ,তিরমিযি মিশকাত হা/৮৮১) ৩.ক্বাওমার সময় “ছামিওল্লাহ হুলিমান হামিদাহ” বলা। (বুখারি, মুসলিম,মিশকাত হা/৮৭০,৭৪,৭৫,৭৭) ৪.ক্বওমার সময় “রব্বানা লাকাল হামদ অথবা রব্বানা লাকাল হামদ,হামদান কাসিরান ত্বাইয়েবান মুবাররকান ফীহি ” (বুখারি, মিশকাত হা/৭৩২-৩৫,৭৩৮) ৫.সিজদাহ গিয়ে তাসবিহ পড়া। কমপক্ষে ‘সুবাহানা রাব্বিয়াল অালা’ পড়া। (নাসাঈ, অাবু দাউদ,তিরমিযি, মিশকাত হা/৮৮১) ৬.দুই সিজদাহ এর মাঝখানে স্হির হয়ে বসা ও দোঅা পাঠ করা।কমপক্ষে ‘রব্বিগফীরলি ২ বার” পাঠ করা। (ইবনু মাজাহ, হা/৮৯৭,অাবু দাউদ হা/৮৫০) অথবা, “অাল্লাহুম্মাগফিরলী ওয়ারহামনী ওয়াজবুরনী ওয়াহদ্বিনী ওঅা ফিনী ওয়ারযুকনী” (তিরমিযি, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৯০০) ৭.প্রথম বৈঠকে বসা ও তাশাহুদ পাঠ করা। (মুক্তাফাক অালাইহে,মিশকাত হা/৯০৯) ৮.সালামের মাধ্যমে ছালাত শেষ করা। (অাবু দাউদ,তিরবানি, মিশকাত হা/৩১২) ================================ ছালাত নষ্টের কারন সমুহ: ১.ছালাতরত অবস্হায় কোন কিছু খাওয়া বা পান করা। ২.সালাতের স্বার্থ ব্যতিরেক অন্য কারনে ইচ্ছেকৃতভাবে কথা বলা। ৩.ইচ্ছেকৃতভাবে বাহুল্য কাজ বা ‘অামলে কাছীর’ করা। যা দেখলে মনে হয় সে সালাতের মধ্যে নেই। ৪.ইচ্ছেকৃতভাবে বা ভুলবশত কোন রুকন ছুটে গেলে। ৫. সালাতের মধ্যে অধিক হাস্য করা। (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২০৫ পৃঃ) ================================ ওযু ও প্রবিএতা সংক্রান্ত কিছু মাছায়েল: ১.ওযুতে অঙ্গগুলি এক,দুই, বা তিনবার করে ধৌত করা যাবে। রাসুল (সঃ) তিনবার করেই বেশি ধৌত করকেন। (মুক্তাফাক অালাইহে,মুসলিম,মিশকাত হা/২৮৭) ২.ওযুর মধ্যে তারতীব বা ধারাবাহিকতা বজায় রাখা জরুরি। (মায়েদা :০৬) ৩.ওযুতে অঙ্গগুলি ডান দিক থেকে ধৌত করা সুন্নত। (অাহমদ,মুসলিম,মিশকাত হা/৪০০,৪০১) ৪.মুখে ওযুর নিয়ত পাঠ করার কোন দলিল নেই,প্রত্যেক অঙ্গ ধৌত করতে গিয়ে দোয়া পড়ার হাদিস মওযু বা জাল। (তাযকিরাতুল মাওযুঅাত,পৃষ্টা :৩২) ৫.গর্দান মাসাহ করার কোন বিশুদ্ধ প্রমান নেই।ইমাম নববী এটাকে বিদাঅাত বলেছেন। (নায়লুল অাওত্বার ১/২৪৫-৪৭) ৬.ওযুর অঙ্গে যখমপটৃি বাধা থাকলে, তাতে পানি ভাজলে রোগ বৃদ্ধির অাশংকা থাকলে তার উপর দিয়ে ভিজা হাতে মাসাহ করবে। (ছহীহ ইবনু খুজাইয়ামা হা/২৭৩) ৭.হালাল পশুর মলমুএ পাক। অতএব এসব পোষাকে লাগলেও নাপাক হবেনা। (মুক্তাফাক অালাইহে,মিশকাত হা/৩৫৩৯) ৮.দুগ্ধপোষ্য কন্যা শিশুর পেশাব গায়ে লাগলে ঐ স্হানটুকু ধুয়ে নেবে,পুএ শিশু হলে পানি ছিটিয়ে দিবে। (অাবু দাউদ,নাসাঈ, মিশকাত হা/৫০১-০২) ৯.বীর্য ও তার অাগে পিছে সর্দির ন্যায় নির্গত অাঠালো বস্তুকে যথাক্রমে মনী,মযী,অদি বলে। উক্তোজনাবশত বীর্যপাতে গোসল ফরয।বাকী দুটোতে কেবল অঙ্গ ধুতে হয় ও অযু করতে হয়। কাপড়ে লাগলে ঐ স্হানটুকু ধুবে বা পানি ছিটিয়ে দিবে। অার শুখনো হলে নখ দিয়ে খুটে ফেলবে। (ফিক্বহুস সুন্নাহ ১/২০-২১) ১০.ফরয গোসলের পুর্বে নাপাক অবস্হায় কোরঅান স্পর্শ করা যাবেনা, তবে মুখে কুরঅান পাঠ কিংবা মসজিদে প্রবেশ জায়েজ অাছে। তবে সাধারন নাপাক অবস্হায় কুরঅান স্পর্শ বা বহন করা জায়েজ অাছে। (ফিক্বহুস সুন্নাহ, ১/৪৩,৫১-৫২) ================================ সুৎরার বিধান: মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াত নিষেধ। মুসল্লীর সামনে দিয়ে যাতায়াত করার গোনাহ যদি জানত তার জন্য ৪০ দিন বা ৪০ বছর দাড়িয়ে থাকত।[1] কিবলার দিকে লাটি,মানুষ,দেওয়াল,যেকোন বস্তু দ্বারা মুসল্লীর সামনে সুৎরা বা অাড়াল করতে হয়।[2] তবে জামাঅাত চলার সময় অনিবার্য কারনবশত সামনে দিয়ে যাওয়া জায়েজ অাছে।[3] সিজদাহ এর স্হান হতে সুৎরার মধ্যে বকরি চলাচলের জায়গা থাকতে হবে।[4] অতএব মসজিদে বা খোলা স্হানে সিজদাহ এর স্হান হতে বকরি যাতায়াতের জায়গা রেখে অতিক্রম করা যায়।তবে দাড়িয়ে অপেক্ষা করা উওম।সুৎরা না পেলে সম্মুখ রেখা টানার হাদিস জইফ[5] অাজকাল অনেক মসজিদে সুৎরা বানিয়ে রাখা হয়।যা সামনে রেখে যাতায়াত করা হয়।এটি সামনে দিয়ে যাওয়ার শামিল।শরীঅতে এর কোন প্রমান নেই। দলিল: [1] মুক্তাফাক অালাইহে,মিশকাত হা/৭৭৬. [2]বুখারি, মুসলিম,মিশকাত হা/৭৭৩,৭৭৭. [3]মুক্তাফাক অালাইহে,মিশকাত হা/৭৮৩. [4]বুখারি হা/৪৯৬. [5]অাবু দাউদ,মিশকাত হা/৭৮১. ==================================== “অার যারা তাদের নামাযসমুহের হিফাজত করে,তারাই হবে উওরাধিকারী। অধিকারী হবে জান্নাতুল ফিরদাউসের। তাতে তারা চিরকাল থাকবে। (সুরা:মুমিনুন, অায়াত :৯-১১)
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 8:02pm

    Sogood Islam Syeds

    Firoz Sjr added a new photo.
    Firoz Sjr
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 9:53pm

    Sogood Islam Syeds

    #রমজান_মাসের আগমনে মুসলিমগণ আনন্দ প্রকাশ করে থাকেন। আনন্দ প্রকাশ করাই স্বাভাবিক স্বতঃস্ফূর্ততা। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেনঃ قُلْ بِفَضْلِ اللَّهِ وَبِرَحْمَتِهِ فَبِذَلِكَ فَلْيَفْرَحُوا هُوَ خَيْرٌ مِمَّا يَجْمَعُونَ (يونس: ৫৮) “বলুনঃ এটা আল্লাহর অনুগ্রহ ও তাঁর দয়া। সুতরাং এতে তারা আনন্দিত হোক। তারা যা সঞ্চয় করে এটা তার চেয়ে উত্তম।” [সূরা ইউনুসঃ৫৮] পার্থিব কোন সম্পদের সাথে আল্লাহর এ অনুগ্রহের তুলনা চলে না, তা হবে এক ধরনের অবাস্তব কল্পনা। যখন রমজানের আগমন হত তখন রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম অতিশয় আনন্দিত হতেন, তার সাহাবাদের বলতেনঃ أتاكم رمضان شهر مبارك “তোমাদের দ্বারে বরকতময় মাস রমজান এসেছে।” এরপর তিনি এ মাসের কিছু ফজিলত বর্ণনা করে বলতেনঃ— فرض الله عز وجل عليكم صيامه، تفتح فيه أبواب السماء، وتغلق فيه أبواب الجحيم، وتغل فيه مردة الشياطين، لله فيه ليلة خير من ألف شهر، من حرم خيرها فقد حرم. رواه النسائي “আল্লাহ তাআলা তোমাদের জন্য সিয়াম পালন ফরজ করেছেন। এ মাসে আকাশের দ্বারসমূহ খুলে দেয়া হয়। বন্ধ করে দেয়া হয় জাহান্নামের দরজাগুলো। অভিশপ্ত শয়তানকে বন্দি করা হয়। এ মাসে রয়েছে একটি রাত যা হাজার রাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। যে ব্যক্তি এর কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হলো সে মূলত সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত হল।” [সুনানে নাসায়ী] #আমাদের_কর্তব্যঃ আল্লাহর এ অনুগ্রহের মূল্যায়ন করতে চেষ্টা করা, এ মাসের ফজিলত ও তাৎপর্য অনুধাবনে সচেষ্ট হওয়া ও ইবাদত-বন্দেগিসহ সকল কল্যাণকর কাজে নিয়োজিত থাকা। এ মাসের যে সকল ফজিলত রয়েছে তা হলঃ— #এক. এ মাসের সাথে ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ রুকনের সম্পর্ক রয়েছে ; আর তা হলে সিয়াম পালনঃ হজ যেমন জিলহজ মাসের সাথে সম্পর্কিত হওয়ার কারণে সে মাসের মর্যাদা বৃদ্ধি করেছে এমনি সিয়াম রমজান মাসে হওয়ার কারণে এ মাসের মর্যাদা বেড়ে গেছে। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেনঃ— يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا كُتِبَ عَلَيْكُمُ الصِّيَامُ كَمَا كُتِبَ عَلَى الَّذِينَ مِنْ قَبْلِكُمْ لَعَلَّكُمْ تَتَّقُونَ. سورة البقرة : ১৮৩ “হে মোমিনগণ! তোমাদের উপর সিয়াম ফরজ করা হয়েছে, যেমনি ফরজ করা হয়েছে তোমাদের পূর্ববর্তীদের উপর—যাতে তোমরা মুত্তাকি হতে পার।” [সূরা বাকারাঃ ১৮৩] রাসূলে করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ ইসলাম যে পাঁচটি ভিত্তির উপর প্রতিষ্ঠিত তার একটি হল সিয়াম পালন। এ সিয়াম জান্নাত লাভের একটি মাধ্যম; যেমন হাদিসে এসেছেঃ— من آمن بالله ورسولـه، وأقام الصلاة، وآتى الزكاة، وصام رمضان، كان حقاً على الله أن يدخله الجنة … رواه البخاري “যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আনল, সালাত কায়েম করল, জাকাত আদায় করল, সিয়াম পালন করল রমজান মাসে, আল্লাহ তাআলার কর্তব্য হল তাকে জান্নাতে প্রবেশ করানো…।” [সহীহ বোখারি] #দুই. রমজান হল কোরআন নাজিলের মাসঃ আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেনঃ— شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآَنُ هُدًى لِلنَّاسِ وَبَيِّنَاتٍ مِنَ الْهُدَى وَالْفُرْقَانِ : البقرة : ১৮৪ “রমজান মাস, এতে নাজিল হয়েছে আল-কোরআন, যা মানুষের দিশারি এবং স্পষ্ট নিদর্শন ও সত্য-মিথ্যার পার্থক্যকারী।” [সূরা বাকারাঃ ১৮৪] রমজান মাসে সপ্তম আকাশের লওহে মাহফুজ থেকে দুনিয়ার আকাশে বায়তুল ইজ্জতে পবিত্র আল-কোরআন একবারে নাজিল হয়েছে। সেখান হতে আবার রমজান মাসে অল্প অল্প করে নবী করিম সাল্লাললাহু আলাইহিসালাম এর প্রতি নাজিল হতে শুরু করে। কোরআন নাজিলের দুটি স্তরই রমজান মাসকে ধন্য করেছে। শুধু আল-কোরআনই নয় বরং ইবরাহিম আলাইহিসালাম এর সহিফা, তাওরাত, যবুর, ইঞ্জিল সহ সকল ঐশী গ্রন্থ এ মাসে অবতীর্ণ হয়েছে বলে তাবরানী বর্ণিত একটি সহি হাদিসে উল্লেখ করা হয়েছে।[সহি আল-জামে] এ মাসে মানুষের হেদায়াত ও আলোকবর্তিকা যেমন নাজিল হয়েছে তেমনি আল্লাহর রহমত হিসেবে এসেছে সিয়াম। তাই এ দুই নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করতে বেশি বেশি করে কোরআন তিলাওয়াত করা উচিত। প্রতি বছর রমজান মাসে জিবরাইল আলআলাইহিসালাম রাসূলুল্লাহ সাল্লাললাহু আলাইহিস ালাম-কে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন এবং রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহিসালাম-ও তাকে পূর্ণ কোরআন শোনাতেন। আর জীবনের শেষ রমজানে আল্লাহর রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহিসালাম দু বার পূর্ণ কোরআন তিলাওয়াত করেছেন। [সহি মুসলিমের হাদিস দ্বারা এটা প্রমাণিত] #তিন. রমজান মাসে জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয় ও জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয়। শৃঙ্খলাবদ্ধ করা হয় শয়তানদেরঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ— إذا جاء رمضان فتحت أبواب الجنة، وأغلقت أبواب النار، وصفدت الشياطين. وفي لفظ : (وسلسلت الشياطين) رواه مسلم “যখন রমজান মাসের আগমন ঘটে তখন জান্নাতের দরজাগুলো খুলে দেয়া হয়, জাহান্নামের দরজা বন্ধ করে দেয়া হয় এবং শয়তানদের আবদ্ধ করা হয়। অন্য বর্ণনায় বলা হয়েছে—‘শয়তানদের শিকল পড়ানো হয়।”[সহীহ মুসলিম] তাই শয়তান রমজানের পূর্বে যে সকল স্থানে অবাধে বিচরণ করত রমজান মাস আসার ফলে সে সকল স্থানে যেতে পারে না। শয়তানের তৎপরতা দুর্বল হয়ে যায়। ফলে দেখা যায় ব্যাপকভাবে মানুষ তওবা, ধর্মপরায়ণতা, ও সৎকর্মের দিকে অগ্রসর হয় ও পাপাচার থেকে দূরে থাকে। তারপরও কিছু মানুষ অসৎ ও অন্যায় কাজ-কর্মে তৎপর থাকে। কারণ, শয়তানের কু-প্রভাবে তারা অনেক বেশি প্রভাবিত হয়ে পড়েছে। #চার. রমজান মাসে রয়েছে লাইলাতুল কদরঃ আল্লাহ তাআলা বলেন:— لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ ﴿৩﴾ تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ ﴿৪﴾ سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ ﴿৫﴾ (القدر: ৩-৫) “লাইলাতুল কদর সহস্র মাস অপেক্ষা উত্তম। সে রাতে ফেরেশতাগণ ও রুহ অবতীর্ণ হয় প্রত্যেক কাজে তাদের প্রতিপালকের অনুমতিক্রমে। শান্তিই শান্তি, সে রজনি উষার আবির্ভাব পর্যন্ত।” [সূরা আল-কদর : ৩-৫] #পাঁচ. রমজান মাস দোয়া কবুলের মাস : রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামবলেনঃ— لكل مسلم دعوة مستجابة، يدعو بـها في رمضان. رواه أحمد “রমজান মাসে প্রত্যেক মুসলিমের দোয়া কবুল করা হয়।”[মুসনাদ আহমদ] অন্য হাদিসে এসেছে— إن لله تبارك وتعالى عتقاء في كل يوم وليلة، (يعني في رمضان) وإن لكل مسلم في كل يوم وليلة دعوة مستجابة. صحيح الترغيب والترهيب. “আল্লাহ রাব্বুল আলামিন রমজানের প্রতি রাতে ও দিনে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে থাকেন এবং প্রতি রাত ও দিবসে মুসলিমের দোয়া-প্রার্থনা কবুল করা হয়।” [সহি আত-তারগীব ওয়াত-তারহীব] তাই প্রত্যেক মুসলমান এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে নিজের কল্যাণের জন্য যেমন দোয়া-প্রার্থনা করবে, তেমনি সকল মুসলিমের কল্যাণ, শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য সর্বশক্তিমান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা জ্ঞাপন করবে। #ছয়. রমজান পাপ থেকে ক্ষমা লাভের মাসঃ যে ব্যক্তি রমজান মাস পেয়েও তার পাপসমূহ ক্ষমা করানো থেকে বঞ্চিত হলো আল্লাহর রাসূল তাকে ধিক্কার দিয়েছেন। তিনি বলেছেন:— .. رغم أنف رجل، دخل عليه رمضان، ثم انسلخ قبل أن يغفر له. .رواه الترمذي “ঐ ব্যক্তির নাক ধুলায় ধূসরিত হোক যার কাছে রমজান মাস এসে চলে গেল অথচ তার পাপগুলো ক্ষমা করা হয়নি।” [সুনানে তিরমিজি] সত্যিই সে প্রকৃত পক্ষে সকল কল্যাণ থেকে বঞ্চিত যে এ মাসেও আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের অনুগ্রহ থেকে বঞ্চিত রয়ে গেল। #সাত. রমজান জাহান্নাম থেকে মুক্তির লাভের মাসঃ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ— إذا كان أول ليلة من رمضان صفدت الشياطين ومردة الجن، وغلقت أبواب النار، فلم يفتح منها باب، وفتحت أبواب الجنة فلم يغلق منها باب، وينادي مناد كل ليلة : يا باغي الخير أقبل! ويا باغي الشر أقصر! ولله عتقاء من النار، وذلك في كل ليلة. رواه الترمذي “রমজান মাসের প্রথম রজনির যখন আগমন ঘটে তখন শয়তান ও অসৎ জিনগুলোকে বন্দি করা হয়। জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়, এ মাসে আর তা খোলা হয় না। জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়, এ মাসে তা আর বন্ধ করা হয় না। প্রত্যেক রাতে একজন ঘোষণাকারী এ বলে ঘোষণা দিতে থাকে যে, হে সৎকর্মের অনুসন্ধানকারী তুমি অগ্রসর হও ! হে অসৎ কাজের অনুসন্ধানকারী তুমি থেমে যাও ! এ মাসের প্রতি রাতে আল্লাহ তাআলা জাহান্নাম থেকে বহু মানুষকে মুক্তি দিয়ে থাকেন।” [সুনানে তিরমিজি] #আট. রমজান ধৈর্য ও সবরের মাসঃ এ মাসে ঈমানদার ব্যক্তিগণ খাওয়া-দাওয়া, বিবাহ-শাদি ও অন্যান্য সকল আচার-আচরণে যে ধৈর্য ও সবরের এত অধিক অনুশীলন করেন তা অন্য কোন মাসে বা অন্য কোন পর্বে করেন না। এমনিভাবে সিয়াম পালন করে যে ধৈর্যের প্রমাণ দেয়া হয় তা অন্য কোন ইবাদতে পাওয়া যায় না। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেনঃ— إِنَّمَا يُوَفَّى الصَّابِرُونَ أَجْرَهُمْ بِغَيْرِ حِسَابٍ. الزمر: ১০ “ধৈর্যশীলদের তো বিনা হিসাবে পুরস্কার দেয়া হবে।” [সূরা যুমারঃ১০] সংকলন : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান تأليف: عبد الله شهيد عبد الرحمن সম্পাদনা : কাউসার বিন খালিদ مراجعة: كوثر بن خالد সূত্র: ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব المكتب التعاوني للدعوة وتوعية الجاليات بالربوة بمدينة الرياض
    আশরাফ খান
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 10:10pm

    Sogood Islam Syeds

    ক্বুরানের অনুবাদ কোনটা পড়বো? উত্তরঃ আজ ২০শে শাবান ১৪৩৭ হিজরী। ইন শা’ আল্লাহ আর মাত্র ৯/১০ দিন পর থেকেই রমযান মাস শুরু হচ্ছে। রমযান মাসের সম্মান, মর্যাদা ফযীলত সব কিছুই হচ্ছে ক্বুরানুল কারীম নাযিল হওয়ার জন্য। তাই আমাদের উচিত রমযান মাসে ক্বুরানের উপর বেশি মনোযোগী হওয়া। ক্বুরানের হক্ক আদায় করার প্রথম হচ্ছে – ক্বুরানুল কারীম তেলাওয়াত করা। ক্বুরান তেলাওয়াত করার ৩টা স্তর রয়েছেঃ- ১. ক্বুরানের আয়াত আরবীতে সুন্দর সুরে সঠিক উচ্চারণে তেলাওয়াত করা। যারা তাজবীদ পারেন না তারা এই মাসে উস্তাদ রেখে তালীম নিন। শুদ্ধ উচ্চারনে ক্বুরান তেলাওয়াত করা ফরয। ২. ক্বুরানুল কারীমের অর্থ বোঝা এর মর্মার্থ অনুধাবন করা। এটা প্রথম স্তর থেকে আরো বেশি জরুরী। এইজন্য আরবীতে তেলাওয়াতের পাশাপাশি অবশ্যই আপনার ক্বুরানের অনুবাদ, তাফসীর পড়বেন। ৩. ক্বুরানুল কারীমের উপর আমল করা, এর বেধে দেওয়া হালাল ও হারামের সীমানা মেনে চলা। আমরা যারা আরবী বুঝিনা তাদেরকে ক্বুরানুল কারীম বোঝার জন্য এর বাংলা/ইংরেজী অনুবাদ পড়তে হবে এবং এর সাথে সাথে আয়াতের তাফসীর দেখতে হবে। ক্বুরানুল কারীমের সবচেয়ে ভালো অনুবাদ করেছেন আল্লামাহ মুহসিন খান ইংরেজীতে। তিনি ক্বুরান ও সহীহ হাদীসের অনুসারী একজন আলেম, তাই তার অনুবাদ প্রচলিত যেকোন অনুবাদের চেয়ে উত্তম ও ক্বুরানের সবচাইতে কাছাকাছি। এছাড়া এর ফুটনোটে তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে বিভিন্ন হাদীস ও সংক্ষিপ্ত ব্যখ্যা দেওয়া আছে, যা আয়াতগুলো বুঝতে সাহায্য করে। আমার দৃষ্টিতে এটা বাংলা যেকোন অনুবাদের চাইতে সহজবোধ্য এবং নির্ভরযোগ্য, কারণ এটা একজন আলেম অনুবাদ করেছেন, সংক্ষিপ্ত তাফসীরসহ এবং এর ভাষা সহজ। বিদেশে অনেক মসজিদ ও ইসলামী সেন্টারে এটা বিনামূল্যে বিতরণ করা হয়। উল্লেখ্য আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলীর অনুবাদে অনেক মিথ্যা, অপব্যখ্যা দেওয়া আছে। অনেক ইসলামিক বক্তা আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলীর অনুবাদের প্রশংসা করলেও, মূলত আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলী ছিলেন একজন বাহায়ী/বোহরা শিয়া। এদের অনেক শিরকী কুফুরী আকীদাহ আছে, যা তিনি তার অনুবাদে উল্লেখ করে রেখছেন। তাই আব্দুল্লাহ ইউসুফ আলীর ইংরেজী অনুবাদ পড়া যাবেনা। যদিও প্রথমে সৌদি আরব থেকে এটা বিনামূল্যে দেওয়া হতো, পরবর্তীতে শায়খ বিন বাজ রাহিমাহুল্লাহকে এ ব্যপারে অবহিত করা হলে তিনি তদন্ত করে এটা নিষিদ্ধ করে করে মুহসিন খানের অনুবাদ প্রচার করার আদেশ দেন। আর বাংলাতে ভালো অনুবাদের জন্য আপনারা “তাফসীর আহসানুল বায়ান” এটা পড়তে পারেন। এটা আসলে পাকিস্থানী একজন আলেম – সালাউদ্দিন ইউসুফ এর সংক্ষিপ্ত (৩খন্ডে) তাফসীর, যা বাংলাতে ‘তাওহীদ প্রকাশনী’ প্রকাশ করেছে। মূল বইয়ের বাংলা অনুবাদ করেছেন শায়খ আব্দুল হা’মীদ মাদানী ফাইজী। এটা ফ্রী ডাউনলোড করা যাবে এখান থেকে http://www.islamhouse.com/409362/bn/bn/books/%E0%A6%A4%E0%A6%AB%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%B0_%E0%A6%86%E0%A6%B9%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%A8%E0%A7%81%E0%A6%B2_%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%BE%E0%A6%A8 এছাড়া শুধু ক্বুরানের অনুবাদের জন্যে তাওহীদ প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত “তাইসিরুল ক্বুরান” এই বইটা কিনতে পারেন। তাফসীরঃ উপরের বাংলা ইংরেজী ২টাই সংক্ষিপ্ত তাফসীর। এর যেকোন একটা পড়া হলে আরো বিস্তারিত তাফসীর পড়বেন “তাফসীর ইবনে কাসীর থেকে”। মারেফুল কুরান, তাফহীমুল কুরান, ফি যিলালিল কুরান, তাফসীর মাযহারী, তফসীরে আশরাফ আলী থানবী এইগুলো পড়ে শিরক, বিদাত ও ক্বুরানের অপব্যখ্যা নেবেন না। এইগুলোতে আছে সূফীবাদের ভ্রান্ত শিরকি কুফুরী আকীদাহ, আশারি মাতুরিদিদের ভ্রান্ত আকীদাহ, কুরান হাদীসের মনগড়া অপব্যখ্যা। কুরআনের আরেক নাম হলো “ফুরক্বান” – যার অর্থঃ সত্য মিথ্যার পার্থক্যকারী। আপনি যদি কুরআনের অর্থ বুঝে পড়েন, কুরআনের সঠিক তাফসীর পড়েন, আলেমদের কুরআন শিক্ষার লেকচার শুনেন, তাহলে আপনি এই “ফুরক্বান” দিয়ে কোনটা সঠিক কোনটা ভুল বুঝতে পারবেন। তাফসীর হলো হাদীস ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর জীবনী দিয়ে কুরআনের আয়াতের ব্যখ্যা। এই আয়াতটা কেনো নাযিল হয়েছিলো, এই আয়াতের আসল অর্থ কি হবে, এই আয়াত থেকে কি শিক্ষা বা আদেশ অথবা নিষেধ পাওয়া গেলো এই হচ্ছে তাফসীরের মূল আলোচনার বিষয়। অনেক সময় তাফসীর জানা না থাকলে আয়াতের আসল অর্থই বুঝা যায়না, ভুল বোঝার সম্ভাবনা থাকে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, তাফসীর নামে কুরআনের অপব্যখ্যা থেকে বেঁচে থাকার জন্য। “মারেফুল কুরআন” না বা “তাফহীমুল কুরআন” এই দুইটি তাফসীর আমাদের দেশে খুব প্রচলিত থাকলেও আকীদাগত ভুল ও কুরআনের অপব্যখ্যা থাকায় কুরআন সুন্নাহর আলেমরা ও আরব দেশগুলোতে এই দুইটা তাফসীরকে প্রত্যাখ্যান করে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শ্রেষ্ঠ তাফসীর গ্রন্থের মাঝে একটি হলো ইমাম ইবনে কাসীরের “তাফসীর ইবনে কাসীর” যা বাংলায় অনুবাদ করা হয়েছে। যে কোনো আয়াতের আসল অর্থ জানার জন্য অথবা কোনো প্রশ্ন থাকলে দেরী না করে সবার আগে এই গ্রন্থটিতে চেক করে নিবেন, আসল অর্থ জানার জন্য। অনলাইনে ফ্রী ডাউনলোড লিংক- http://www.quraneralo.com/tafsir
    তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
  • Sogood Islam Syeds
    5/29, 11:12pm

    Sogood Islam Syeds

    আহক! চাই লওঁ ইমাম আবু হানীফা (ৰহঃ)-ৰ সকলো মাছায়ালা সঠিক আছিল নে নাই। ০১) যিকোনো ভাষাত নামাজৰ ছুৰা (কিৰাআত) পঢ়িলে ইমাম আবু হানিফাৰ মতে উত্তম যদিও সেই ব্যক্তিয়ে আৰবী ভাষা জানে। কিন্তু ইমাম আবূ ইউচুফ আৰু ইমাম মুহাম্মাদৰ মতে সেইটো নাজায়েজ। (হিদায়াৰ ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ১০২ পৃঃ) ০২) আল্লাহ তা’আলাই কুৰআনত যিসকল মহিলাক বিবাহ কৰা হাৰাম কৰিছে সেই সকল মহিলাক কোনোবাই বিবাহ কৰালে আৰু যৌন ক্ষুধা পূৰণ কৰিলে ইমাম আবূ হানিফাৰ মতে কোনো হদ (শাস্তিৰ) প্রয়োজন নাই। কিন্তু ইমাম আবূ ইউচুফ আৰু ইমাম মুহাম্মদৰ মতে হদ দিব লাগিব। (হিদায়াৰ ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ৫১৬ পৃঃ) ০৩) ৰোগ মুক্তিৰ কাৰণে হাৰাম জানোৱাৰৰ পেচাব পান কৰা ইমাম আবূ হানিফাৰ মতে হাৰাম কিন্তু ইমাম আবূ ইউচুফ আৰু ইমাম মুহাম্মাদৰ মতে হালাল। (হিদায়াৰ ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ৪২ পৃঃ) ০৪) কুঁৱাৰ ভিতৰত এন্দুৰ পৰি মৰি গ’লে সেই কুঁৱাৰ পানীৰ দ্বাৰা অজু কৰি নামাজ পঢ়িলে ইমাম আবু হানিফাৰ মতে নামাজ হব¸ কিন্তু শ্বাগৰেদদ্বয়ৰ মতে নামাজ নহব। (হিদায়াৰ ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছাপাৰ ১ম খণ্ডৰ ৪৩ পৃঃ) ০৫) কোনো ব্যক্তি যদি কোনো স্ত্রীৰ মলদ্বাৰত যৌন ক্ষুধা নিবাৰণ কৰে তেতিয়া ইমাম আবূ হানিফাৰ মতে কোনো কাফফাৰাৰ (শাস্তিৰ) প্রয়োজন নাই। কিন্তু ইমাম মুহাম্মাদৰ মতে কাফফাৰা দিব লাগিব। (হিদায়াৰ ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ৫১৬ পৃঃ) ০৬) ইমাম আবূ হানীফাৰ মতে ছাঁ দ্বিগুণ হোৱাৰ পিছৰ পৰা আছৰৰ নামাজৰ সময় আৰম্ভ হয়¸ কিন্তু ইমাম আবূ ইউচুফ আৰু ইমাম মুহাম্মাদৰ মতে ছাঁ একগুণ হোৱাৰ পিছৰ পৰাই আছৰৰ সময় আৰম্ভ হয়। (হিদায়াৰ ১২৯৯ হিঃ৯মোস্তফায়ী ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ৬৪ পৃঃ) ০৭) ফাৰ্চী ভাষাত তাকবীৰ ক’লে নামাজ পঢ়াটো ইমাম আবূ হানীফা আৰু আবূ ইউচূফৰ মতে জায়েজ, কিন্ত ইমাম মুহাম্মাদৰ মতে নাজায়েজ। (হিদায়াৰ ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ১০১ পৃঃ) ০৮) খেজুৰ ভিজোৱা পানী য’ত ফেন ধৰি গৈছে এনেকুৱা পানীৰে অজু কৰা ইমাম আবূ হানীফাৰ মতে জায়েজ¸ কিন্তু ইউচুফৰ মতে হালাল নহয়। (হিদায়াৰ ১২৯৯ হিঃ মোস্তফায়ী ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ৩০ পৃঃ) ০৯) ইমাম আবূ হানীফাৰ মতে নামাজৰ ছিজদাৰ সময়ত নাক অথবা কপালৰ যিকোনো এটা মাটিত লাগি থাকিলেই নামাজ হব¸ কিন্তু মুহাম্মাদৰ মতে জায়েজ নহব। নাক কপাল দুয়োবিধেই লাগিব লাগিব। (হিদায়াৰ ১২৯৯ হিঃ মোস্তফায়ী ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ৯০ পৃঃ) পাঠকসকল এনেকুৱ ৬১ টা মতবিৰোধ হিদায়া কিতাপত আছে যিবোৰ সময়ৰ অভাৱত টাইপ কৰিব নোৱাৰিলোঁ। এই মতবিৰোধৰ পৰা বুজা যায় ইমাম আবু হানীফা ভুলৰ উর্দ্ধত নাছিল। তেওঁলোকৰ সময়ত ছহীহ হাদীছ সংকলন হোৱা নাছিল কাৰণে বেছি ভাগ সমস্যাই ইজমা-কিয়াছ আৰু যুক্তিৰ দ্বাৰা সমাধান কৰিছিল। অৱশেষত এই সংকটময় অবস্থাত চাৰি ইমাম চাহেবেই নিজ নিজ অনুসাৰীসকলক কৈ যায়, “আমি যি ফয়চালা দিছোঁ ভবিষ্যতে যদি ছহীহ হাদীছ সংকলিত হয় আৰু আমাৰ ফয়চালা ছহীহ হাদীছৰ পৰিপন্থী হয়, তেনেহ’লে আমাৰ ফয়চালা পৰিত্যাগ কৰি ছহীহ হাদীছৰ অনুসৰণ কৰিবা।” ইয়াৰ পিছতো যদি কোনোবাই অন্ধ-গোড়া স্বভাৱৰ হয় তেনেহ’লে আবু হানীফাৰ নিম্ন ফতোৱাসমূহ নিশ্চয় মানিব। কাৰণ এইবোৰ বিখ্যাত হিদায়া আৰু অন্যান্য ফতোৱাৰ কিতাপৰ পৰা সংকলিত। ইয়াত ভুল হোৱাৰ কোনো আশংকা নাই। যদি এই ফতোৱাসমূহ অস্বীকাৰ কৰে তেনেহ’লে হিদায়াখনকেই অস্বীকাৰ কৰা হব। অথচ হিদায়া সম্পর্কে এনেকুৱা কথা কোৱা হৈছেঃ “নিশ্চয় হিদায়া কিতাপখন নির্ভুল পবিত্র কুৰআনৰ দৰে (নাঊজুবিল্লাহ)। নিশ্চয় এইখনে তেওঁৰ পূর্বৱর্তী ৰচিত শ্বৰীয়তৰ সকলো গ্রন্থৰাজীক ৰহিত (বাতিল) কৰি পেলাইছে।” (হিদায়া মোকাদ্দমা-আখেৰাইন ৩য় পৃঃ, হিদায়া ৩য় খণ্ড ২য় ভলিউম ৪পৃঃ আৰবী, মাদ্রাছাৰ ফাজিল ক্লাছৰ পাঠ্য হিদায়া ভুমিকা পৃঃ ৬, আৰাফাত পাব্লিবেচন্স) আহক! তেনেহ’লে ইয়াৰ পবিত্রতা পৰীক্ষা কৰোঁ আহক- ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ হাদীছ অনুযায়ী স্বামী আৰু স্ত্রীয়ে সঙ্গম কৰাৰ উদ্দেশ্যে উভয়ৰ লিঙ্গ একত্ৰিত কৰি সামান্য অংশ প্রৱেশ কৰিলেও উভয়ৰ ওপৰত গোছল ফৰজ হয়, তাতে বীর্যপাত হওঁক বা নহওঁক। (ছহীহ তিৰমিযী) ছহীহ হাদীছৰ বিপৰীতমুখী যিসকল জঘন্যতম ফতোৱা এতিয়াও মাযহাবীসকলে চালু ৰাখিছে তাৰ কিছুমান তলত উল্লেখ কৰা হ’ল- **** নিশ্চিত যে হিদায়া কিতাপখন পবিত্র কুৰআনৰ দৰে(নাঊজুবিল্লাহ)। নিশ্চয় এইখন তেওঁৰ পূর্বৱর্তী ৰচিত শ্বৰীয়তৰ সকলো গ্রন্থৰাজীক ৰহিত (বাতিল) কৰি পেলাইছে। (হিদায়া মোকাদ্দমা-আখেৰাইন ৩য় পৃঃ, হিদায়া ৩য় খণ্ড ২য় ভলিউম পৃঃ ৪ আৰবী, মাদ্রাছাৰ ফাজিল ক্লাছৰ পাঠ্য হিদায়া ভূমিকা পৃঃ ৬, আৰাফাত পাব্লিকেচনন্স) ০১) ইমাম আবূ হানিফাৰ তৰীকা অনুযায়ী চতুষ্পদ জন্তু, মৃতদেহ অথবা নাবালিকা ছোৱালীৰ লগত সঙ্গম কৰাৰ উদ্দেশ্যে উভয়ৰ লিঙ্গ একত্রিত হৈ কিছু অংশ প্রৱেশ কৰিলেও অজু নষ্ট নহয়। কেৱল পুংলিঙ্গ ধুই লব লাগিব। (দুৰ্ৰে মুখতাৰ অজু অধ্যায়) ০২) যদি কোনো লোকে মৃত স্ত্রী অথবা চতুষ্পদ জন্তুৰ যোনীপথত বা অন্য কোনো দ্বাৰত ৰোজা অৱস্থাত বলাৎকাৰ কৰে তেনেহ’লে তাৰ ৰোজা নষ্ট নহব। (শ্বাৰহে বিকায়া, লক্ষ্নৌভি-ৰ ইউচুফী ছপাৰ ১ম খণ্ডৰ ২৩৮পৃঃ) ০৩) আল্লাহ তা’আলাই কুৰআনত যিসকল মহিলাক বিবাহ কৰা হাৰাম কৰিছে। যথা- মাতা, ভগ্নী, নিজৰ কন্যা, মাহী, পেহী ইত্যাদি মহিলাসকলক যদি কোনো ব্যক্তিয়ে বিবাহ কৰে আৰু তেওঁৰ লগত যৌন-সঙ্গম কৰে তেনেহ’লে ইমাম আবু হানিফাৰ মতে তাৰ ওপৰত কোনো হদ (শাস্তি) নাই। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপা ৫১৬ পৃঃ, আলমগিৰী মিছৰী ছপা ২য় খণ্ড ১৬৫ পৃঃ, বাবুল ওৱাতী ৪৯৫ পৃঃ) ০৪) বাদশ্বাহে যদি কাৰোবাৰ সৈতে বলপূর্বক জ্বিনা কৰে তেনেহ’লে আবূ হানিফাৰ মতে সেই ব্যক্তিৰ ওপৰত কোনো শাস্তিৰ প্রয়োজন নাই। কিন্তু বাদশ্বাহ ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তিয়ে যদি বলপূর্বক কাৰোবাৰ সৈতে জ্বিনা কৰে তেনেহ’লে আবূ হানিফাৰ মতে সেই ব্যক্তিৰ ওপৰত হদ জাৰী কৰা হব। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপা ১ম খণ্ড ৫১৯ পৃঃ) ০৫) কোনো ব্যক্তিয়ে যদি কাৰোবাৰ সৈতে জ্বিনা (যৌন সঙ্গম) কৰি থাকে আৰু জ্বিনাৰ অৱস্থাত যদি অন্য কোনোবাই দেখে আৰু জ্বিনাকাৰী ব্যক্তিয়ে যদি মিছাকৈ কয় যে¸এই ছোৱালীজনী মোৰ স্ত্রী তেনেহ’লে উভয় জ্বিনাকাৰীৰ ওপৰতেই হদৰ (শাস্তিৰ) প্রয়োজন নাই। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপা ১ম খণ্ড ৫১৯ পৃঃ) ০৬) ৰমজান মাহত ৰোজা অৱস্থাত যদি কোনোৱে মলদ্বাৰত সঙ্গম কৰে¸ তেনেহ’লে ইমাম আবূ হানিফাৰ মতে কাফ্ফাৰা ওৱাজিব নহয়। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপা ১ম খণ্ড ২১৯ পৃঃ) ০৭) কোনোবাই যদি ‘বিছমিল্লাহ’ বুলি কুকুৰ জবেহ কৰি তাৰ মাংস বজাৰত বিক্রী কৰে¸ তেনেহ’লে নিশ্চয় সেয়া জায়েজ হব। (শ্বাৰহে বেকায়া ১ম খণ্ড) ০৮) গম, যব, মধু, জোৱাৰ পৰা যি মদ প্রস্তুত কৰা হয় তাক ইমাম আবূ হানিফা’ৰ মতে পান কৰা হালাল আৰু এইবোৰ মদ পানকাৰী লোকৰ নিচা হ’লেও হদ (শাস্তি) দিয়া নহব। (হিদায়াৰ মোস্তফায়ী ছপা ২য় খণ্ড ৪৮১ পৃঃ) ০৯) আঙুলি আৰু মহিলাৰ স্তন মল-মূত্রৰ দ্বাৰা নাপাক হৈ গ’লে, তিনিবাৰ জিভাৰে চেলেকি দিলেই পাক হৈ যাব। (দুৰ্ৰে মোখতাৰৰ ৩৬ পৃষ্ঠাত বাবুল আনজাচত চাওঁক) ১০) যদি কোনোবাই তেওঁৰ পিতাৰ কৃতদাসীৰ সৈতে সহবাস (যৌন মিলন) কৰে তথাপি কোনো শাস্তি নাই। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপা ১ম খণ্ড ৫১৫ পৃঃ) ১১) কোনো মহিলাৰ স্বামীৰ মৃত্যু হ’লে আৰু মৃত্যুৰ দুই বছৰ পিছত সেই মহিলাৰ সন্তান হ’লে, তথাপি সেই সন্তান তাৰ মৃত স্বামীৰেই হব। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশ্ৰফী হিন্দ ছপা ১ম খণ্ড ৩৩১ পৃঃ) ১২) স্বামী প্রবাসত আছে, সুদীর্ঘকাল অতীত হৈছে। বহু বছৰ ধৰি স্বামী উভতি অহা নাই। এইফালে স্ত্রীৰ পুত্র সন্তান জন্ম হৈছে। তেনেহ’লেও এই সন্তান হাৰামী বা জাৰজ নহব। সেই স্বামীৰেই ঔৰসজাত হব। (বেহেস্তি জেওৰ ৪র্থ খণ্ড ৪৪পৃঃ) ১৩) আবূ বকৰ বিন ইছকানে কৈছে, যদি কোনো ব্যক্তিয়ে কাৰোবাৰ মাল চুৰি-ডকাইতি কৰি লৈ আহি চোবাই চোবাই খায়¸ তেনেহ’লে ইমাম আবূ হানিফাৰ মতে হালাল হব। (কাজি খাঁ ৪র্থ খণ্ড ৩৪৩ পৃঃ) ১৪) পিতাৰ পো-পুত্রৰ দাসীৰ লগত যৌন মিলন কৰা সকলো অৱস্থাতে হালাল। আৰু যুক্তি দর্শোৱা হৈছে- দাসী হৈছে পূত্রৰ সম্পদ আৰু পুত্রৰ সম্পদত পিতা-পুত্র উভয়ৰেই হক আছে। ফলত একেই নাৰীৰ দ্বাৰা উভয় পুৰুষৰ যৌন ক্ষুধা পূৰোৱা হালাল। (নুৰুল আনওৱাৰ ৩০৪পৃঃ) ১৫) কুৰআন আৰু ছহীহ হাদীছৰ স্পষ্ট বিৰোধী মাছআলাহ- চাৰি মাযহাব চাৰি ফৰজ। হানাফী, শ্বাফিঈ, মালিকী আৰু হাম্বলী। এই চাৰি মাযহাব। (বেহেস্তি জেওৰ স্ত্রী শিক্ষা ১০৪ পৃঃ দ্রঃ, আলহাজ্জ মৌলভী আব্দুৰ ৰহীম। কুৰআন মঞ্জিল লাইব্রেৰী-ৰবিশাল) ১৬) যদি কোনো ব্যক্তিয়ে পইচাৰ বিনিময়ত কোনো নাৰীৰ সৈতে জ্বিনা কৰে¸ তথাপি আবূ হানিফাৰ বিধান মতে কোনো হদ (শাস্তি) নাই। (অর্থাৎঃ গোটেই বিশ্বত যিমান বেশ্যাখানা আছে সকলোৱেই বৈধ)। (জাখীৰাতুল উকবাও শ্বাৰহে বিকায়াৰ হাশ্বিয়া চাল্পিত আছে। (বিস্তাৰিত চাওঁক ‘আচায়ে মুহাম্মাদী’) ১৭) কুৰআন আৰু ছহীহ হাদীছক পদাঘাত কৰি হানাফী মাযহাবৰ বিখ্যাত ফতোৱাৰ কিতাপত চুৰি, ডকাইতি, মাস্তানি, লুট, খুন বা হত্যা কৰাকে বৈধ কৰা হৈছে। (চাওঁক হিদায়া ২য় খণ্ড ৫২৭ পৃঃ, ৫৩৭ পৃঃ, ৫৪০-৫৪২ পৃঃ, ৫৪৬ পৃঃ, ৫৫৭ পৃঃ, ৫৫৮ পৃঃ, হিদায়া ৩য় খণ্ড ৩৫৬ পৃঃ, ৩৬৪-৩৬৫পৃঃ। হিদায়া ৪র্থ খণ্ড ৫৪৭ পৃঃ, ৫৫০ পৃঃ) ১৮) পবিত্রতম ছূৰা হুদৰ ৮৪-৮৫ ৰ বিশিষ্ট ৪৪ নম্বৰ আয়াত পবিত্রতম ছূৰা মূলকৰ প্রায় ৪০ ৰ বিশিষ্ট পবিত্র শেষ আয়াতত কেৰামতি তাবিজৰূপে ধাৰণ কৰিলে শীঘ্ৰ বীর্যপাত নহব। (বেহেস্তি জেওৰ ৯ম খণ্ডৰ ১৫৪পৃঃ) এয়াই হৈছে আমাৰ ফিকাহৰ কিতাপ!?! আল্লাহে আমাক সঠিক পথ অনুসৰণ কৰাৰ তৌফিক দান কৰক। আমীন….
    Moulana Abdul Goni
  • May 30
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 6:06am

    Sogood Islam Syeds

    Chanchal Hossain added a new photo.
    রাক‘আত সংখ্যা : রামাযান বা রামাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) হ’তে রাত্রির এই বিশেষ নফল ছালাত তিন রাক‘আত বিতরসহ ১১ রাক‘আত ছহীহ সূত্র সমূহ দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে। যেমন আয়েশা (রাঃ) বলেন, مَا كَانَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ يَزِيْدُ فِيْ رَمَضَانَ وَلاَ فِيْ غَيْرِهِ عَلَى إِحْدَى عَشْرَةَ رَكْعَةً، يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ أَرْبَعًا فَلاَ تَسْأَلْ عَنْ حُسْنِهِنَّ وَطُوْلِهِنَّ ثُمَّ يُصَلِّيْ ثَلاَثًا، متفق عليه- অর্থ : রামাযান বা রামাযানের বাইরে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রাত্রির ছালাত এগার রাক‘আতের বেশী আদায় করেননি। তিনি প্রথমে (২+২) [8] চার রাক‘আত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিনি (২+২) চার রাক‘আত পড়েন। তুমি তার সৌন্দর্য ও দীর্ঘতা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করো না। অতঃপর তিন রাক‘আত পড়েন।[9] বিশ রাক‘আত তারাবীহ : প্রকাশ থাকে যে, উক্ত রেওয়ায়াতের পরে ইয়াযীদ বিন রূমান থেকে ‘ওমরের যামানায় ২০ রাক‘আত তারাবীহ পড়া হ’ত’ বলে যে বর্ণনা এসেছে, তা ‘যঈফ’ এবং ২০ রাক‘আত সম্পর্কে ইবনু আববাস (রাঃ) থেকে ‘মরফূ’ সূত্রে যে বর্ণনা এসেছে, তা ‘মওযূ’ বা জাল।[12] এতদ্ব্যতীত ২০ রাক‘আত তারাবীহ সম্পর্কে কয়েকটি ‘আছার’ এসেছে, যার সবগুলিই ‘যঈফ’।[13] ২০ রাক‘আত তারাবীহর উপরে ওমরের যামানায় ছাহাবীগণের মধ্যে ‘ইজমা’ বা ঐক্যমত হয়েছে বলে যে দাবী করা হয়, তা একেবারেই ভিত্তিহীন ও বাতিল কথা (بَاطِلَةٌ جِدًّا) মাত্র। [14] তিরমিযীর ভাষ্যকার খ্যাতনামা ভারতীয় হানাফী মনীষী দারুল উলূম দেউবন্দ-এর তৎকালীন সময়ের মুহতামিম (অধ্যক্ষ) আনোয়ার শাহ কাষ্মীরী (১২৯২-১৩৫২/১৮৭৫-১৯৩৩ খৃঃ) বলেন, একথা না মেনে উপায় নেই যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর তারাবীহ ৮ রাক‘আত ছিল। [15] এটা স্পষ্ট যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ও খুলাফায়ে রাশেদীন থেকে এবং রাসূল (ছাঃ)-এর অন্য কোন স্ত্রী ও ছাহাবী থেকে ১১ বা ১৩ রাক‘আতের ঊর্ধ্বে তারাবীহ বা তাহাজ্জুদের কোন বিশুদ্ধ প্রমাণ নেই।[16] বর্ধিত রাক‘আত সমূহ পরবর্তীকালে সৃষ্ট। ইমাম ইবনু তায়মিয়াহ (রহঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রাত্রির ছালাত ১১ বা ১৩ রাক‘আত আদায় করতেন। পরবর্তীকালে মদীনার লোকেরা দীর্ঘ ক্বিয়ামে দুর্বলতা বোধ করে। ফলে তারা রাক‘আত সংখ্যা বৃদ্ধি করতে থাকে, যা ৩৯ রাক‘আত পর্যন্ত পৌঁছে যায়’।[17] অথচ বাস্তব কথা এই যে, আল্লাহর আল্লাহর রাসূল (ছাঃ) যেমন দীর্ঘ ক্বিয়াম ও ক্বিরাআতের মাধ্যমে তিন রাত জামা‘আতের সাথে তারাবীহর ছালাত আদায় করেছেন, তেমনি সংক্ষিপ্ত ক্বিয়ামেও তাহাজ্জুদের ছালাত আদায় করেছেন। যা সময় বিশেষে ৯, ৭ ও ৫ রাক‘আত হ’ত। কিন্তু তা কখনো ১১ বা ১৩ -এর ঊর্ধ্বে প্রমাণিত হয়নি।[18] তিনি ছিলেন ‘সৃষ্টিজগতের প্রতি রহমত স্বরূপ’ (আম্বিয়া ২১/১০৭) এবং বেশী না পড়াটা ছিল উম্মতের প্রতি তাঁর অন্যতম রহমত। শৈথিল্যবাদ : অনেক বিদ্বান উদারতার নামে ‘বিষয়টি প্রশস্ত’ (الأمر واسع) বলে শৈথিল্য প্রদর্শন করেন এবং ২৩ রাক‘আত পড়েন ও বলেন শত রাক‘আতের বেশীও পড়া যাবে, যদি কেউ ইচ্ছা করে। দলীল হিসাবে ইবনু ওমর (রাঃ) বর্ণিত প্রসিদ্ধ হাদীছটি পেশ করেন যে, ‘রাত্রির ছালাত দুই দুই (مَثْنَى مَثْنَى) করে। অতঃপর ফজর হয়ে যাবার আশংকা হ’লে এক রাক‘আত পড়। তাতে পিছনের সব ছালাত বিতরে (বেজোড়ে) পরিণত হবে’।[19] অত্র হাদীছে যেহেতু রাক‘আতের কোন সংখ্যাসীমা নেই এবং রাসূল (ছাঃ)-এর কথা তাঁর কাজের উপর অগ্রাধিকারযোগ্য, অতএব যত রাক‘আত খুশী পড়া যাবে। তবে তারা সবাই একথা বলেন যে, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) ১১ রাক‘আত পড়েছেন এবং সেটা পড়াই উত্তম। অথচ উক্ত হাদীছের অর্থ হ’ল, রাত্রির নফল ছালাত (দিনের ন্যায়) চার-চার নয়, বরং দুই-দুই রাক‘আত করে। [20] তাছাড়া রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) স্বীয় উম্মতকে নির্দেশ দিয়েছেন যে, তোমরা ছালাত আদায় কর, যেভাবে আমাকে ছালাত আদায় করতে দেখছ’।[21]
    Chanchal Hossain
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 6:14am

    Sogood Islam Syeds

    তাহিয়্যাতুল মাসজিদ নামায তাহিয়্যাতুল মাসজিদ বা মসজিদ সেলামীর নামায (২ রাক্‌আত) মসজিদ প্রবেশ করার পর বসার পূর্বেই পড়তে হয়। এর জন্য কোন সময়-অসময় নেই। প্রিয় নবী (সাঃ) বলেন, “তোমাদের মধ্যে যে কেউ যখন মসজিদে প্রবেশ করবে, তখন সে যেন বসার পূর্বে ২ রাক্‌আত নামায পড়ে নেয়।” অন্য এক বর্ণনায় আছে, “সে যেন ২ রাক্‌আত নামায পড়ার পূর্বে না বসে।” (বুখারী, মুসলিম, সহীহ প্রমুখ ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৪৬৭নং) এই দুই রাকআত নামায বড় গুরুত্বপূর্ণ। তাই তো জুমআর দিনে খুতবা চলাকালীন সময়েও মসজিদে এলে হাল্কা করে তা পড়ে নিতে হয়। (মুসলিম, মিশকাত ১৪১১নং) আযান চলাকালে মসজিদ প্রবেশ করলে না বসে আযানের জওয়াব দিয়ে শেষ করে তারপর ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ পড়তে হবে। তবে জুমআর দিন খুতবার আযান হলে জওয়াব না দিয়ে ঐ ২ রাকআত নামায আযান চলা অবস্থায় পড়ে নিতে হবে। যেহেতু খুতবা শোনা আরো জরুরী। (ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ্‌, সঊদী উলামা-কমিটি ১/৩৩৫) মসজিদে প্রবেশ করে সুন্নাতে মুআক্কাদাহ পড়তে হলে ঐ নামায আর পড়তে হয় না। কারণ, তখন এই সুন্নতই ওর স্থলাভিষিক্ত ও যথেষ্ট হয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ১৫/৬৭, লিকাউবাবিল মাফতূহ্‌, ইবনে উসাইমীন ৫৩/৬৯) যেমন হারামের মসজিদে প্রবেশ করে (বিশেষ করে মুহ্‌রিমের জন্য) ‘তাহিয়্যাতুল মাসজিদ’ হল তওয়াফ; ২ রাকআত সুন্নত নয়। (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ্‌ ৬/২৬৪-২৬৫)
    QuranerAlo.com – কুর’আনের আলো
  • May 30
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 9:35am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন : যদি কেউ ফজরের স্বলাত কাদ্বা করে ফেলে এবং যোহর পর্যন্ত আদায় না করে বা আদায় করার সুযোগ না পায় বা ভুলে যায়, আর এ অবস্থায় যোহর পড়ে ফেললো, তাহলে তার জন্য করনীয় কি? সে কি যোহরের পর ফজরের কাদ্বা আদায় করতে পারবে? -শেখ রায়হান, নবাবগঞ্জ, ঢাকা, বাংলাদেশ। উত্তর: কাদ্বা স্বলাতের নিয়ম হলো, পরবর্তী নামাযের আগেই তাকে তা আদায় করে নিতে হবে। তারতীব রক্ষা করা ওয়াজিব। খন্দকের যুদ্ধে রাসূলুল্লাহ (ﷺ) ও সাহাবীদের পাঁচ ওয়াক্ত স্বলাত কাদ্বা হয়ে যায়। রাসূলুল্লাহ (ﷺ) সাহাবীগণকে নিয়ে তা তারতীব তথা ধারাবাহিকতা রক্ষা করে কাদ্বা আদায় করেন। তবে আলেমরা বলেন, তিন কারণে কাদ্বা নামাযের তারতীব ত্যাগ করা যায়- ১- যদি কাদ্বা নামায আদায় করার কারণে ওয়াক্তিয়া নামাযের সময় শেষ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। ২- যদি কাদ্বা নামাযের কথা ভুলে যায়, আর ওয়াক্তিয়া নামায আদায়ের পর তা স্মরণ হয়। ৩- পাঁচ ওয়াক্তের বেশী স্বলাত কাদ্বা হয়ে গেলে। সুতরাং উপরোক্ত অবস্থায় তিনি যোহরের পর ফজরের কাদ্বা আদায় করতে পারবেন। কারণ তিনি ভুলে গিয়েছিলেন। বা যোহরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাচ্ছে। কিন্তু জামাত দাঁড়িয়ে যাওয়া কোন অজুহাত নয়। প্রয়োজনে তিনি ইমামের সাথে কাদ্বা নামাযের নিয়ত করে তা আদায় করে পরে নিজের ওয়াক্তিয়া নামায আদায় করতে পারেন। আল্লাহ আমাদের জানার ও বুঝার তৌফিক দিন। আমীন ,,,উত্তর দিয়েছেন ড: আবু বকর মুহাম্মদ যাকারিয়া
    জেনে নিন- ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর
  • May 30
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 4:35pm

    Sogood Islam Syeds

    আলহা’মদুলিল্লাহ্ !! আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নতকে ভালোবাসি আর সমস্ত প্রকার বিদআ’তকে অন্তর থেকে ঘৃণা করি। আমাদের দেশের ইমাম সাহেবেরা ফরয নামায শেষ হলেই দুই হাত তুলে বিভিন্ন দুয়া করেন, আর মুক্তাদীরা সাথে সাথে আমিন আমিন বলেন – এই যে সম্মিলিত মুনাজাতের যে সিস্টেম বানানো হয়েছে – এটা সুস্পষ্ট কুরান ও সুন্নত বিরোধী, বিদআ’তী একটা আমল। মক্কা মদীনার মসজিদে এই বিদআ’তী আমল করা হয়না, আলহা’মদুলিল্লাহ! এইরকম দুয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) করতেন না, তাঁর মৃত্যুর পর সাহাবীরা করতেন না, তাবেয়ী, তাবে তাবেয়ীরা কেউই করতেন না। এমনকি ইমাম আবু হানীফা (রহঃ) ও করতেন না। তাহলে আপনারা কেনো করছেন? আপনাদের হুজুর মাওলানারা কি তাদের থেকে ইসলাম বেশি জানেন (নাউযুবিল্লাহ)!!! রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয নামায শেষ করে যেই দুয়াগুলো পড়তেনঃ ১. নামায শেষে ১ বার উচ্চস্বরে “আল্লাহু আকবার” এবং ৩ বার “আসতাগফিরুল্লাহা” সহীহ মুসলিমঃ ১২২২। ২. “আল্লাহুম্মা আনতাস সালাম ওয়া মিনকাস সালাম, তাবারাকতা ইয়া যাল-জালা-লী ওয়াল ইকরাম” হে আল্লাহ্! তুমিই শান্তি, তোমার থেকেই আসে শান্তি। বরকতময় তুমি হে মর্যাদা ও সম্মানের মালিক। সহীহ মুসলিমঃ ১২২২। ৩. লা ইলা-হা ইল্লাল্লা-হু ওয়াহ্দাহু লা শারীকা লাহু; লাহুল মুলকু ওয়া লাহুল হামদু ওয়া হুয়া আ’লা কুল্লি শাইয়িন ক্বাদীর (১ বার)। [মুসলিম, ১২৪০] ৪. রাসূলুল্লাহ ( সা: ) মুআয বিন জাবাল (রাঃ) কে বলেছিলেনঃ ‘‘তুমি অবশ্যই প্রত্যেক নামাযের পর এই দুয়া করবে, আল্লাহুম্মা আ’ ইন্নী আ’লা যিকরিকা ওয়া শুকরিকা ওয়া হু’সনি ইবাদাতিকা। হে আল্লাহ! তোমার স্মরণ, কৃতজ্ঞতা এবং সুন্দর ইবাদত করার ব্যাপারে আমাকে সাহায্য কর “। [সুনানু নাসায়ী ,আবু দাউদ ] ৫. আয়াতুল কুরসী (সূরা বাক্বারা আয়াত-২৫৫) ১ বার পড়া। [নাসাঈ] ৬. সুবহা-নাল্লা-হ (৩৩ বার) , আলহাম্দুলিল্লা-হ (৩৩ বার), আল্লাহু-আকবার (৩৩ বার) । এছাড়াও আরো অন্যান্য দুয়া ও যিকির আছে – যার যার সামর্থ্য ও পছন্দনীয় সেইগুলো করবেন ইন শা’ আল্লাহ। (এইগুলো ইন শা আল্লাহ শীঘ্রই আরবীসহ আলাদা পোস্টে দেওয়া হবে)। কিন্তু রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নতী আমল বাদ দিয়ে নিজের মনগড়া পদ্ধতিতে এইযে জামাতে হাত তুলে মুনাজাত করার যে সিস্টেমে চালু করা হয়েছে, এটা কি জায়েজ হবে? চলুন আপনি আমি ফালতু প্যাচাল না পেড়ে দেখি সম্মানিত আলেমরা কি বলেছেন – এই সম্পর্কেঃ বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ আলেম ও সৌদি আরবের প্রধান মুফতি, আল-আল্লামাহ শায়খ আব্দুল আজীজ বিন আব্দুল্লাহ বিন বায (রাহঃ) কে এই ব্যপারে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিলো। এর উত্তরে শায়খ বিন বায (রাহঃ) বলেনঃ “পাঁচ ওয়াক্ত ফরয নামায ও নফল নামাযের পর জামাতে এক সাথে দু’আ করা স্পষ্ট বিদ’আত। কারণ, এরূপ দু’আ রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর যুগে এবং তাঁর সাহাবীদের যুগে ছিল না। যে ব্যক্তি ফরয নামায ও নফল নামাযের পর জামাতে এক সাথে দু’আ করে সে যেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জামা’আতের বিরোধীতা করে।” হাইয়াতু কেবারিল ওলামা ১/২৪৪ পৃঃ বিগত শতাব্দীর শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দীস আল্লামা শায়খ নাসিরউদ্দীন আল-আলবানী (রহঃ) বলেন, “দু’আয়ে কুনুতে হাত তুলার পর মুখে হাত মুছা বিদ’আত। নামাযের পরেও এমন করা ঠিক নয়। এ সম্পর্কে যত হাদীস রয়েছে, এর সবগুলিই যঈফ। এজন্য ইমাম আযউদ্দীন বলেন, “নামযের পর হাত তুলে দু’আ করা মুর্খদের কাজ।” সিফাতু সালাতিন নাবী (সাঃ) পৃঃ ১৪১। সৌদি আরবের আরেকজন বিখ্যাত আলেমে দ্বীন ও মুফতি শায়খ মুহাম্মাদ বিন সালিহ আল-উসাইমিন (রহঃ) বলেন, “নামাযেরর পর জামাতে দু’আ করা বিদআ’ত। যার প্রমাণ রাসূল (সাঃ) ও তাঁর সাহাবীগণ থেকে নেই। মুসল্লিদের জন্য বিধান হচ্ছে প্রত্যেক মানুষ ব্যক্তিগতভাবে যিকির করবে”। ফাতাওয়া উসাইমিন, পৃঃ ১২০। এতো গেলো আরব দেশের যুগশ্রেষ্ঠ আলেমদের বক্তব্য। এবার চলুন দেখি আমাদের পাক-ভারত উপমহাদেশের দেওবন্দী হানাফী আলেমরা কি ফতওয়া দিয়েছেন। তাফসীর “মারেফুল কুরানের” লেখক – মুফতি শফী সাহবে যিনি এই উপমহাদেশে হানাফীদের বড় একজন আলেম, তিনি এই সম্মিলিত দুয়া সম্পর্কে বলেনঃ মুফতী মুহাম্মাদ শফী (রাহঃ) বলেনঃ “বর্তমানে অনেক মসজিদের ইমামদের অভ্যাস হয়ে গেছে যে, কিছু আবরী দু্’আ মুখস্থ করে নিয়ে সালাত শেষ করেই (দু’হাত উঠিয়ে) ঐ মুখস্থ দু’আগুলি পড়েন। কিন্তু যাচাই করে দেখলে দেখা যাবে যে, এ দু’আগুলোর সারমর্ম তাদের অনেকেই বলতে পারে না। আর ইমামগণ বলতে পারলেও এটা নিশ্চিত যে, অনেক মুক্তাদী এ সমস্ত দু’আর অর্থ মোটেই বুঝে না। কিন্তু না জেনে না বুঝে আ-মীন, আ-মীন বলতে থাকে। এ সমস্ত তামাশার সারমর্ম হচ্ছে কিছু শব্দ পাঠ করা মাত্র। প্রার্থনার যে রুপ বা প্রকৃতি , তা এতে পাওয়া যায় না । মা’আরেফুল কুরআন, ৩য় খন্ড, পৃঃ ৫৭৭। তিনি আরো বলেনঃ রাসূল (সাঃ) এবং সাহাবায়ে কেরাম এবং তাবেঈনে ইযাম হ’তে এবং শরীয়তের চার মাযহাবের ইমামগণ হ’তেও নামাযের পরে এই ধরনের মুনাজাতের প্রমাণ পাওয়া যায় না। সারকথা হ’ল, এই প্রথা পবিত্র কুরআন ও সহীহ হাদীসের প্রদর্শিত পন্থা ও সাহাবায়ে কেরামের আদর্শের পরিপন্থি। আহকামে দু’আ, পৃঃ ১৩। দেওবন্দ মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা ও তাদের বড় আলেম আবুল কাশেম নানুতুবী (রহঃ) বলেনঃ ফরয নামাযের সালাম ফিরানোর পর ইমাম মুক্তাদি সম্মিলিতভাবে মুনাজাত করা নিকৃষ্ট বিদ’আত। এমদুদ্দীন, পৃঃ ৩৯৭। মাওলানা আশরাফ আলী থানভী (রহঃ) বলেনঃ ফরয নামাযের পর ইমাম সাহেব দু’আ করবেন এবং মুক্তাদীগণ আ-মীন আ-মীন বলবেন, এ সম্পর্কে ইমাম আরফাহ এবং ইমাম গারবহিনী বলেন, এ দু’আকে সুন্নাত অথবা মুস্তহাব মনে করা না জায়েজ। ইস্তিবাবুদ দাওয়াহ পৃঃ৮। আল্লামা আব্দুল হাই লাক্ষনৌভী (রহঃ) বলেন, বর্তমান সমাজে প্রচলিত প্রথা যে, ইমাম সালাম ফিরানোর পর হাত উঠিয়ে দু’আ করেন এবং মুক্তাদীগণ আ-মীন, আ-মীন বলেন, এ প্রথা রাসূল (সাঃ) এর যুগে ছিল না। ফৎওয়া আব্দুল হাই, ১ম খন্ড, পৃঃ ১০০। এইবার সিদ্ধান্ত আপনার আপনি কোন তরীকা মানবেন – কুরান, সুন্নত ও আলেম ওলামার তরীকা। আর সেটা হলো কুরান ও সহীহ হাদীস মোতাবেক আমল। নাকি আপনার কাছে আপনার আধা মৌলভী আর ভুয়া মুফতি মাওলানা টাইটেল ধারী হুজুরের কথাই বেশি দামী? বিঃদ্রঃ যাদের হেদায়েত আল্লাহ লিখে রাখছেন, তারা সামনে থেকে এই বেদাতী দুয়ায় শরীক হবেন না। যতটুকু সম্ভব সুন্নতী দুয়া, যিকির আযকার করবেন। আর কখনো ইচ্ছা হলে ২-১ বার বা মাঝে মাঝে হাত তুলে একাকী দুয়া করতে পারেন। কিন্তু জামাতে এইভাবে দুয়া করাতে কখনোই শরীক হবেন না, কারণ আল্লাহর রাসুল (সাঃ) এর সুন্নতের বিপরীত হওয়ায় সেটা সম্পূর্ণ পরিত্যজ্য। আল্লাহ আমাদের জানার ও মানার তোওফিক দান করুন।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 4:45pm

    Sogood Islam Syeds

    আবু সুহায়ইলা added a new photo.
    ইমাম আবু হানিফা রহ. দেওবান্দী হানাফিদের নিকট আকিদার ক্ষেত্রে ভ্রান্ত। —————————————- দেওবান্দী হানাফিরা বলে মুখে বলে তারা ইমাম আবু হানিফা রহ. এর অনুসারী। কিন্তু বাস্তবাতায় তা পুরাই ভিন্ন। তারা সকল ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফাকে অনুস্বরণ করেন না। দেওবান্দী আকাবির মাওলানা খলিল আহমেদ শাহারানপুরী তিনি দারুল উলুম দেওবান্দ থেকে পুরো দেওবান্দীরেদ আকিদা রিপ্রেজেন্ট করেছেন তার বই “আল মুহান্নাদ আলাল মুফান্নাদ” বাংলাদেশে তা ”দেওবান্দী আহলে সুন্নাতের আকীদা” নামে অনুবাদ করা হয়েছে। খলীল আহমাদ শাহারানপুরী পুরো দেওবান্দীদের আকীদা বলতে গিয়ে বলেন: ”আমরা আমাদের জামাত শরীয়তের সকল বিধান-প্রাবিধানে আল্লাহর ইচ্ছায় ইমাম আযম আবু হানিফা রহ. এর অনুসারী। ”আকাইদের ক্ষেত্রে ইমাম আবুল হাসান আশআরী ও ইমাম আবু মনসুর মাতুরিদী এর অনুসারী” এর মানে, ফিকহের ক্ষেত্রে ইমাম আবু হানিফা আর আকিদার ক্ষেত্রে আশআরী বা মাতুরিদী!! তাদের কাছে ইমাম আবু হানিফার আকিদা একটি ভ্রান্ত আকিদা তা নাহলে কেন তারা তার আকিদাকে আকড়ে ধরেনি? এটাই হচ্ছে দেওবান্দী আকিদা। এখন নব্য জাগ্রত দেওবন্দীরা বলতে পারে যে না আমরা এটা মানি না। তাহলে কান দিয়ে ও চোখ খুলে শুনে রাখুন আপনি দেওবান্দী নামের কলংক। এই কলংক থেকে মুক্তির একটাই উপায় নিজেদের আকাবিরদের কিতাবের সংশোধনি করা বা তার বিপরিতে বইলিখে সবাইকে জানিয়ে দেয়া যে আমরা আমাদের আকিদা চেঞ্জ করেছি, এখন থেকে আমারা আকিদার ক্ষেত্রেও ইমাম আবু হানিফার অনুসারী। আরও জানতে শায়খ তালেবুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ এর লেকচার: আহলুল হাদীস ও দেওবান্দীদের মাঝে পার্থক্য লেকচারটি শুনুন: https://www.youtube.com/watch?v=UGEeozgLr1Y আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দিন আমীন।
    আবু সুহায়ইলা
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 7:28pm

    Sogood Islam Syeds

    আশরাফ খান added a new photo.
    #মুখে_উচ্চারণ_করে_রোযার_নিয়ত_পাঠ_করাঃ ছিয়ামের জন্য নিয়ত বা সংকল্প করা জরুরী। কেননা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ مَنْ لَمْ يُبَيِّتِ الصِّيَامَ قَبْلَ الْفَجْرِ فَلَا صِيَامَ لَهُ” “যে ব্যক্তি (প্রথম) ফজরের পূর্বে নিয়ত করবেনা তার ছিয়াম হবে না।” [সুনানে আন-নাসাঈ] নিয়্যাহ-আরবী শব্দ, উহার শাব্দিক অর্থ ইচ্ছা, সংকল্প ও মনে মনে কিছুর আকাঙ্খা রাখা। উহা অন্তরের কাজ (মুখের নয়)। [দেখুন লিসানুল আরব, ১৮ খণ্ড ৩৪৩ পৃঃ] শরীয়ত আমাদেরকে প্রতিটি ইবাদতের জন্য নিয়ত করতে বলেছে। কেননা নিয়তবিহীন আমল অর্থহীনঃ عَنْ أَمِيرِ الْمُؤْمِنِينَ أَبِي حَفْصٍ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ رَضِيَ اللهُ عَنْهُ قَالَ: سَمِعْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ: ” إنَّمَا الْأَعْمَالُ بِالنِّيَّاتِ، وَإِنَّمَا لِكُلِّ امْرِئٍ مَا نَوَى، فَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ إلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ فَهِجْرَتُهُ إلَى اللَّهِ وَرَسُولِهِ، وَمَنْ كَانَتْ هِجْرَتُهُ لِدُنْيَا يُصِيبُهَا أَوْ امْرَأَةٍ يَنْكِحُهَا فَهِجْرَتُهُ إلَى مَا هَاجَرَ إلَيْهِ”. رَوَاهُ إِمَامَا الْمُحَدِّثِينَ أَبُو عَبْدِ اللهِ مُحَمَّدُ بنُ إِسْمَاعِيل بن إِبْرَاهِيم بن الْمُغِيرَة بن بَرْدِزبَه الْبُخَارِيُّ الْجُعْفِيُّ [رقم:1]، وَأَبُو الْحُسَيْنِ مُسْلِمٌ بنُ الْحَجَّاج بن مُسْلِم الْقُشَيْرِيُّ النَّيْسَابُورِيُّ [رقم:1907] رَضِيَ اللهُ عَنْهُمَا فِي “صَحِيحَيْهِمَا” اللذِينِ هُمَا أَصَحُّ الْكُتُبِ الْمُصَنَّفَةِ. অর্থ: আমীরূল মুমিনীন আবু হাফস উমর বিন খাত্তাব (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছিঃ সকল আমলের ফলাফল নিয়তের উপর নির্ভরশীল। প্রত্যেক ব্যক্তি যা নিয়ত করে সে তার যথার্থ ফলাফল পায়। সুতরাং যে ব্যক্তি আল্লাহ ও তার রাসূলের জন্য হিজরত করেছে তার হিজরত আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্যই হয়েছে। আর হিজরত দুনিয়া (পার্থিব বস্তু) অর্জন করার জন্য বা কোন মহিলাকে বিয়ে করার জন্য হয়েছে তার হিজরত সে জন্যই সাব্যস্ত হয়েছে। [মুহাদ্দিসগণের মাঝে দুই প্রসিদ্ধ ইমাম বুখারী ও মুসলিম (রহঃ) স্ব স্ব গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন] তাখরীজুল হাদীসঃ [সহীহ বুখারী, হা/নং (১, ৬১৯৫, ৬৪৩৯) সহীহ মুসলিম, (৩৫৩, ১৯০৭) সুনান তিরমিযী (১৫৭১) নাসায়ী, (৭৪, ৩৩৮৩, ৩৭৩৪) মুসনাদু আহমদ, (১৬৩) সুনান বায়হাকী (২/১৪, ৪/১১২, ৫/৩৯) তাহযীবুল আছার-ত্ববরী, (৮৯০, ৯১০) শুআবুল ঈমান -বায়হাকী, (৬৫৬৯) দারাকুতনী, (১৩৪), সহীহ ইবনু খুযাইমা, (১৪৩) মুশকিলুল আছার-ত্বাহাবী, (৪৪৬৬)। এছাড়া আরো অনেক মুহাদ্দিস তাদের নিজ নিজ গ্রন্থে হাদীসটি বর্ণনা করেছেন] নিয়ত অনেক দামী সম্পদঃ “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ-“নিশ্চয় আল্লাহ তাআলা তোমাদের চেহারা ও সম্পদের দিকে তাকান না,বরং তিনি তোমাদের অন্তর ও কর্মের দিকে লক্ষ্য করেন।”[সহীহ মুসলিম] আর অন্তরের দিকে লক্ষ্য করা মানে নিয়্যাতের দিকে লক্ষ্য করা;কেননা,নিয়্যাত হলো কাজের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য। অপর এক হাদিসে তিনি (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ “যে ব্যক্তি ভালোকাজের পরিকল্পনা করল, কিন্তু বাস্তবে সে কাজ করতে পারল না,সে ব্যক্তির জন্য সাওয়াব লেখা হবে।” [সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, তারগীব ওয়া তারহীব] সুতরাং শুধু ভালোকাজের পরিকল্পনা করার দ্বারাই কাজটি ভালোকাজ হিসেবে গণ্য হয়ে যায়, প্রতিদান সাব্যস্ত হয়,সাওয়াব অর্জন হয়; আর এটা শুধু ভালো নিয়্যাতের করণেই সম্ভব হয়। ইমাম মুসলিম (রহঃ) সাহাল ইবনু হুনাইফ (রাঃ) থেকে বর্ণনা করেন; রাসূল সাসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ “যে ব্যক্তি খালিছ নিয়্যাতে আল্লাহর কাছে শাহাদাতের মৃত্যুর আশা করবে,সে নিজের বিছানায় মারা গেলেও আল্লাহ তাআলা তাকে শহীদগণের মর্যাদায় পৌঁছিয়ে দিবেন।” [সহীহ মুসলিমঃ ৪৯০৭] নিয়্যাতের ভালো-মন্দের ফলাফল এর নমুনাঃ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ- “এ উম্মতের দৃষ্টান্ত চার ব্যক্তির দৃষ্টান্তের মতো- ১. আল্লাহ তাআলা এক ব্যক্তিকে সম্পদ ও ‘ইলম(জ্ঞান) দান করেছেন, অতঃপর সে তার জ্ঞান দ্বারা আমল করেন, তার সম্পদকে হক পথে খরচ করেন; ২. আরেক ব্যক্তিকে আল্লাহ ‘ইলম দান করেছেন, কিন্তু তাকে সম্পদ দেননি, অতঃপর সে বলে,আমার যদি এ ব্যক্তির মতো সম্পদ থাকত,তাহলে আমি ঐ ব্যক্তির মতই কাজ করতাম; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ- সাওয়াবের ক্ষেত্রে তারা উভয়ে সমান। ৩. আরেক ব্যক্তিকে আল্লাহ তাআলা সম্পদ দান করেছেন,কিন্তু তাকে ‘ইলম দেননি, অতঃপর সে তার সম্পদকে এলোমেলোভাবে কাজ করে তা অন্যায় পথে খরচ করে; ৪. অপর আরেক ব্যক্তি হলো আল্লাহ তাকে সম্পদ ও ‘ইলম কোনটিই দান করেননি,অতঃপর সে বলে, আমার যদি এ ব্যক্তির মতো সম্পদ থাকত, তাহলে আমিও ঐ ব্যক্তির মতোই কাজ করতাম।রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ- গুনাহের ক্ষেত্রে তারা উভয়ে সমান।” [সুনানে তিরমিজি, সুনানে ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, তারগীব ওয়া তারহীব] পরিশেষে… যেহেতু ভালো নিয়্যাতকারী ব্যক্তিকে ভালো কাজের সাওয়াব দেওয়া হয়; আর মন্দ নিয়্যাতকারী ব্যক্তিকে মন্দ কাজের প্রতিদান দেয়া হয়। সুতরাং আল্লাহর তাআলা যেন মুসলিমউম্মাহকে সব সময় উত্তম কাজ এবং উত্তম নিয়্যাতের ওপর থাকার তাওফিক দান করেন। (আল্লাহুম্মা আমীন) কোথাও নিয়ত মুখে বলতে বলা হয় নি। অতএব #নাওয়াইতু…… শব্দের মাধ্যমে নিয়ত বলা একটি অহেতুক কাজ। আর শরীয়তের দৃষ্টিতে জঘন্যতম বিদআত। কেননা এই অহেতুক কাজটি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম), ছাহাবাহবর্গ, তাবেঈন, আত্‌বাউত তাবেঈন ও চার ইমামের কেউ-ই করেন নি। এ মর্মে কুরআন-সুন্নাতে কোন দলীলও খুঁজে পাওয়া যাবে না। [বিঃদ্রঃ বিদাত অন্যতম একটা কাবীরাহ (বড়) গুনাহ ]
    আশরাফ খান
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 7:39pm

    Sogood Islam Syeds

    মোল্লা সংবাদ -২) আমাৰ সমাজত এটা নিয়ম আছে – ঘৰখনৰ যিটো ল’ৰা আটাইতকৈ উৎপতীয়া আৰু পঢ়া – শুনাত একেবাৰে গাধ তাক নিয়ন্ত্ৰণ কৰিবলৈ শেষ উপায় হিচাপে মাদ্ৰাছাত মৌলানা পঢ়িবলৈ পঠিয়াই দিয়ে । যি নিজৰ মাতৃভাষাৰ পাঠ্যক্ৰম সম্পূৰ্ণ কৰিব নোৱাৰে তাক এটা বিদেশী ভাষাত শিক্ষা প্ৰদান কৰা হয় । কিবাকৈ মৌলানা পাছ কৰি আহি আমাৰ নিচিনা মুৰ্খৰ দল এটাৰ প্ৰতিনিধিত্ব কৰিবলৈ আৰম্ভ কৰে । জোনাবে যিটো কয় সেইটোৱেই সঁচা । লাগিলে জোনাব চাহাবৰ কথা মিছাই হওঁক । প্ৰতিবাদ কৰাৰ সাহস নাই কাৰণ সেই বিষয়ৰ ওপৰত আমাৰ সম্যক জ্ঞান নাই । এনে মোল্লাই জিহাদ মানে কি ক’ব নোৱাৰে । জিহাদ মানে হিন্দুক জোৰ জুলুম কৰি ধৰ্মান্তৰিত কৰা নহ’লে মাৰি কাটি খাস্তাং কৰাটোকে বুজে অথবা ব্যাখ্যা কৰে । অপব্যাখ্যা কৰি ধৰ্মীয় অসহিষ্ণুতাৰ বীজ ৰোপণ কৰে । ধৰ্মৰ নামত উন্মাদ হৈ পৰে এওঁলোক । আজমল কাচাব নামৰ সন্ত্ৰাসবাদীটোও এনেকুৱা ধাৰণাৰে পৰিপুষ্ট এটা প্ৰি প্ৰগেম্ড ৰিলিজিয়াছ এটম বম্ব । এই মোল্লা মখাও একেই । যিকোনো সময়তে গাত বান্ধি থোৱা বোমাটো ফুটাই দিব পাৰে । ইছলাম ধৰ্মৰ ঘাই সুঁতিৰ পৰা ইহঁত বহু দূৰত । সুবিধাবাদী এইসকল মোল্লাই নিজাকৈ নিয়ম কানুন সৃষ্টি কৰি মানুহক বিপথগামী কৰাত উঠি পৰি লাগিছে । সকলো সাৱধান হ’বৰ হ’ল । বি.দ্ৰ.- মই ইয়াত সকলো মৌলানা/আলীমৰ কথা কোৱা নাই । এচাম পথভ্ৰষ্ট মৌলানাৰ কথাহে কৈছোঁ । বিজ্ঞ হাক্কানী আলীম সকল সমালোচনাৰ উৰ্ধত । তেওঁলোকক সমালোচনা কৰাৰ অধিকাৰ অথবা ক্ষমতা এটাও আমাৰ নাই । মোৰ শুদ্ধ অধ্যয়ন আৰু বাস্তৱ অভিজ্ঞতাৰ পৰা এইখিনি আগবঢ়ালোঁ ।
    Firoz Sultan
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 7:56pm

    Sogood Islam Syeds

    আঃ কাদির জিলানী রহঃ কে গাউসুল আযম বলা শিরক । কেননা, গাউসুল অর্থ বিপদ থেকে মুক্তিদানকারী এবং আযম অর্থ সবচেয়ে বড় । অতএব, গাউসুল আযম আঃ কাদির জিলানী রহঃ এর অর্থ= বিপদ থেকে সবচেয়ে বড় মুক্তিদানকারী হলো আঃ কাদির জিলানী রহঃ । নাউযুবিল্লাহি মিন যালিক । এভাবেই “অধিকাংশ লোক ঈমান আনার পরেও শির্কে লিপ্ত” । অতএব, শির্ক থেকে বেচে থাকুন মুসলিম ভাইয়েরা । Rh Qadir Jilani said Azam, who Gausul AS header. For example, bidapa Gausul money from money is the biggest so forgiving and Azam Azam AS Gausul money Qadir, who was released from the dangers of the biggest Qadir Jilani RA AS.
    Muhammad Tufazzul Husain
  • Sogood Islam Syeds
    5/30, 8:05pm

    Sogood Islam Syeds

    Rowshon Kabir added a new photo.
    যারা ভিন্ন ভিন্ন দিনে সিয়াম ঈদ তথা চান্দ্রমাস শুরু করেন, তাদের জন্য প্রথম লজিকথ্রেড। দয়াকরে অংশগ্রহন করবেন। ১. যে মুহুর্তে নতুন চাঁদ দেখা যাচ্ছে, তা সে পৃথিবীর যে অংশ থেকেই দেখা যাক না কেন, ধরুন রমযানের চাঁদ, সেই মুহুর্ত থেকেই পৃথিবীর আকাশে, ফোকাস করুন, গোটা পৃথিবীর আকাশে যে চাদঁটি ঘুর্নায়মান – সেটা রমযানের চাঁদ। বাংলাদেশে যে সময় সেটা দেখা যাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু দেখা যায় নি, কারন সুর্যের আলো সেখানে পড়েনি তখনও। তিন ঘন্টা পর পৃথিবী আরেকটু সরেছে, চাঁদও সরেছে, সোমালিয়ার মানুষ তিন ঘন্টা পর তাদের আকাশে প্রথম সে চাঁদ দেখে। নতুন চাঁদ। রমযানের চাঁদ। কিন্তু, বাংলাদেশের মানুষ সেদিন সারারাত, পরদিন সারাদিন ধরে নিল, তাদের আকাশে এখনও শাবানের চাঁদ। চাঁদ কয়টি? একটিই। হ্যাঁ, পরে দেখেছে। কতক্ষণ পর? ২১ ঘন্টা পর। ২১ ঘন্টা পরের যে চাঁদকে আমরা রমযানের নতুন চাঁদ ভাবছি, পুরো পৃথিবীকে চাদ-সুর্য-পৃথিবীর সীমানার বাইরে থেকে দেখা একজনের দর্শকের জন্য(স্যাটেলাইট, তৃতীয়/চতুর্থ আসমানের কেউ, আসমানের কোন ফিরিশতা কিংবা আল্লাহ সুবহানাতায়ালা), তার জন্য সেটি রমযানের ২১ ঘন্টা পাড়ি দেয়া চাঁদ, যেটি আর তিন ঘন্টা পরই রমযানের দ্বিতীয় দিনের চাদে পরিনত হবে – গোটা পৃথিবীর আকাশসীমার হিসেবে। সুতরাং, লজিক্যালি যখন চান্দ্রমাস পৃরো পৃথিবীতে শেষ হওয়ার কথা দশ/এগার ঘন্টার মধ্যে, সেটা একটি রং ক্যালকুলেশনে গিয়ে ২৪+১০/১১ ঘন্টায় শেষ হচ্ছে। এভরি মানথ্, এভরি ইয়ার! উপরোক্ত হাইপোথিসিসে (যদিও এটাকে ফ্যাক্ট হিসেবে প্রমান করা এই বিজ্ঞানের যুগে কয়েক মিনিটের ব্যাপার মাত্র, কিন্তু সাধারন মানুষের বোঝানোর জন্য এত কথা বলতে হচ্ছে) যদি কোন ভুল পান, তবে বলুন, উদারমনে গ্রহন করা হবে।
    Rowshon Kabir
  • May 31
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 1:04am

  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 1:05am

  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 1:09am

    Sogood Islam Syeds

    http://www.waytojannah.com/mujamul-quran-with-encyclopedic-index/ পবিত্র কুরআনের মহান শিক্ষাকে বাংলা ভাষাভাষী মানুষের কাছে সহজলভ্য করার একটি মহৎ স্বপ্ন বাস্তবায়নের লক্ষে মুজামুল কুরআন রচিত। এটিতে পবিত্র কুরআনের তরজমাসহ একটি পূর্ণাঙ্গ শব্দসূচী (Encyclopedic Index) প্রণয়ন করা হয়েছে। এত কুরআনের প্রায় প্রতিটি শব্দ বা বিষয় বর্ণমালার ক্রমানুসারে সাজানো হয়েছে। প্রথমে রয়েছে মূল শব্দ এরপর রয়েছে দ্বিতীয় প্রসঙ্গ। প্রতিটি শব্দ ধরেই কাঙ্খিত আয়াত পাওয়া যাবে। ইনডেক্সে প্রতটি বিষয়ের ডানপাশে রয়েছে বইটির পৃষ্ঠা নম্বর, সুরার নাম ও আয়াত নম্বর। পৃষ্ঠা নম্বর ও আয়াত নম্বর অনুসরণ করেও কাঙ্খিত বিষযটি দেখে নেওয়া যাবে। এছাড়া বিস্তারিত জানার জন্য কুরআনের তরজমার সাথে সংশ্লিষ্ঠ আয়াতটি পড়ার সুবিধা রয়েছে। ইনডেক্স এর ব্যবহারবিধি প্রথমেই উল্লেখ করা হয়েছে। সেই সাথে এতে সংযোজিত হয়েছে কুরআনের সহজ ও সাবলীল তরজমা বা অনুবাদ। এটি প্রকাশ করেছে আই.ই.আর.এফ (ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন এন্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন)। এতো বড় বই স্ক্যান করে দিয়েছেন মানহাজ উস সালেহীন ভাই। আমাদের টীম বইটির এডিট করেছে। আল্লাহ তাদের সকলকে কবুল করুন। মুজামুল কুরআনের বিশেষত্ব: মুজামুল কুরআনের অনুবাদে পবিত্র কুরআনের মুল টেক্সট এর প্রতিটি শব্দের অর্থ সন্নিবেশিত করা হয়েছে। সেই সাথে মৌলিক বাক্যবিন্যাস ও কুরআনের নিজস্ব প্রকাশভঙ্গির স্বকীয়তা বজায় রাখা হয়েছে। অনুবাদে প্রতিটি শব্দের অর্থ থাকায় এর পূর্ণাঙ্গ ইনডেক্স প্রণয়ন করা সহজ হয়েছে। আরবী ও বাংলা ভাষার বাক্যগঠন ও প্রকাশরীতি অনুযায়ী আলাদাভাবে সাজানো হয়েছে। যেখানে কোন আয়াতের বিভিন্ন তাফসির রয়েছে সেখানে যে তাফসিরটি আয়াতের পূর্বাপর প্রসঙ্গের সাথে অধিক সামঞ্জস্যপূর্ণ সে আলোকেই সংশ্লিষ্ট আয়াতের তরজমা করা হয়েছে। প্রতিটি শব্দ যথাযথ তাহক্কীক করার পরই তরজমা করা হয়েছে। এক্ষেত্রে নির্ভরযোগ্য বিখ্যাত আরবী অভিধানসমূহের সাহায্য নেয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে মৌলিক তাফসীর গ্রন্থাবলীর সাহায্য নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট আয়াতে আরবী ব্যাকরণগত দিক নিশ্চিত হওয়ার জন্য বিভিন্ন মৌলিক তাফসীর গ্রন্থাবলীতে বর্ণিত ব্যাকরণগত বিশ্লেষণের সাহায্য নেয়া হয়েছে। কুরআনে যে শব্দটি বহুবচন ব্যবহৃত হয়েছে সেটার সঠিক মর্ম প্রকাশের স্বার্থে বাংলা তরজমায়ও বহুবচন লেখা হয়েছে। বাংলায় ভাব প্রকাশের জন্য কোন বিশেষ্যের একাধিক বিশেষণ এবং বাক্যের উদ্দেশ্য এর একাধিক বিধেয় থাকার ক্ষেত্রে ‘ও’ ব্যবহার করা হয়েছে। কুরআনের মুল টেক্সট-এ যেসব যতিচিহ্ন ব্যবহার করা হয়েছে তার আলোকে বাংলা ভাষার যতিচিহ্ন যেমন দাড়ি, কমা, হাইফেন, ইনভার্টেড কমা ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়েছে। বাংলা ভাষায় বর্তমানে প্রচলিত তরজমার সাথে এ তরজমা কুরআনের স্বকীয়তা বজায় রাখার কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্বতন্ত্র ও ভিন্নধর্মী হযেছে। এ তরজমা যথাসম্ভব সঠিকভাবে সম্পাদনার জন্য প্রাচীন ও আধুনিক প্রায় অর্ধশত তাফসীরের সাহায্য নেয়া হয়েছে। এক নজরে বইটি: মু’জামুল কুরআন পবিত্র কুরআন, কুরআনের তরজমা ও পূর্ণাঙ্গ শব্দসূচী তরজমা, টীকা, সংকলন ও পূর্ণাঙ্গ শব্দসূচী সম্পাদনা: মু’জামুল কুরআন সম্পাদনা পরিষদ প্রকাশনায়: ইন্টিগ্রেটেড এডুকেশন এন্ড রিসার্চ সেন্টার। (আই.ই.আর.এফ)
    Maksud Bin Amal
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 1:10am

    Sogood Islam Syeds

    মহিলাগণ কোথায় ইতিকাফ করবে? এক বোনের প্রশ্ন: ———————– আসসালামু আলাইকুম। শাইখ, আমার এক খালাম্মা প্রতি রমজানের শেষে ঘরের মধ্যে ইতিকাফে বসেন। তাকে নিষেধ করা হলেও বসবে। কারণ, মসজিদের হুজুররা বলে ঘরে মহিলাদের ইতিকাফ হবে। আমাকে কুরআন- হাদিসের দলিল সহকারে এ বিষয়ে একটু জানাবেন প্লিজ। জাযাকাল্লাহু খয়রান। ———————— উত্তর: ওয়ালাইকুমুস সালাম ওয়া রাহতুল্লাহ। ইতিকাফের জন্য শর্ত হল, মসজিদ। মসজিদ ছাড়া ইতিকাফ সহীহ নয়। এই শর্ত পুরুষ-মহিলা সবার জন্য প্রযোজ্য। আল্লাহ তায়ালা বলেন: أَن طَهِّرَا بَيْتِيَ لِلطَّائِفِينَ وَالْعَاكِفِينَ وَالرُّكَّعِ السُّجُودِ “তোমরা আমার গৃহকে তওয়াফকারী, অবস্থানকারী ও রুকু-সেজদাকারীদের জন্য পবিত্র রাখ।” (সূরা বাকারা: ১২৫) আল্লাহ আরও বলেন: وَلَا تُبَاشِرُوهُنَّ وَأَنتُمْ عَاكِفُونَ فِي الْمَسَاجِدِ “আর যতক্ষণ তোমরা এতেকাফ অবস্থায় মসজিদে অবস্থান কর, ততক্ষণ পর্যন্ত স্ত্রীদের সাথে মিশো না। ” (সূরা বাকরা:১৮৭) এ আয়াতগুলোতে মসজিদে ইতিকাফ করার কথা উল্লেখিত হয়েছে। সহীহ বুখারী ও মুসলিমে বর্ণিত হয়েছে, উম্মুল মুমিনীন আয়েশা রা. হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يعتكف العشر الأواخر من رمضان حتى توفاه الله، ثم اعتكف أزواجه من بعده “রাসূল সাল্লাল্লাহ আলাইহি ওয়া সাল্লাম মৃত্যুর আগ পর্যন্ত রামযানের শেষ দশকে ইতিকাফ করেছেন আর তাঁর ইন্তিকালের পরে তাঁর স্ত্রীগণ ইতিকাফ করেছেন।” নারীদের জন্য তার ঘরকে মসজিদ বলা ঠিক নয়। কারণ, মসজিদে ঋতুবতি মহিলাদের প্রবেশ নিষেধ। ঘর যদি মসজিদ হত তাহলে সে ঘরে মহিলাদের অবস্থান করা বৈধ হত না এবং ঐ ঘর বিক্রয় করা বৈধ হত না। বি: দ্র: মসজিদের মধ্যে মহিলাদের যদি নিরাপত্তার ব্যবস্থা থাকে এবং তার ইতিকাফের কারণে যদি সন্তান প্রতিপালন, ঘর-সংসারের নিরাপত্তা এবং তার উপর অর্পিত অপরিহার্য কবর্ত্য পালনে ব্যাঘাত না ঘরে তবে স্বামী বা অভিভাবকের অনুমতি স্বাপেক্ষে ইতিকাফ করা বৈধ হবে। অন্যথায়, তার জন্য ইতিকাফ না করে বরং নিজ দায়িত্ব যাথাযথভাবে পালন, সংসার দেখা-শোনা, স্বামীর সেবা ইত্যাদিতেই অগণিত কল্যাণ নিহীত রয়েছে। তিনি কাজের ফাঁকে যথাসাধ্য দুয়া, তাসবীহ, কুরআন তিলাওয়াত, নফল সালাত ইত্যাদির মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের চেষ্টা করবেন। আল্লাহই তাওফীক দাতা। উত্তর দাতা: আবদুল্লাহিল হাদী বিন আবদুল জলীল।
    জেনে নিন- ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর
  • Sogood Islam Syeds
    5/31, 1:11am

    Sogood Islam Syeds

    আবূ হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু ‘আনহু থেকে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “আমি কি তোমাদের এমন জিনিসের খবর দেব না যার দ্বারা আল্লাহ্ গোনাহ্ মাফ করেন এবং তোমাদের মর্যাদা উন্নত হয়? সাহাবাগণ বললেন: অবশ্যই বলুন হে আল্লাহর রাসূল! তিনি বললেন: তা হচ্ছে- কষ্টের সময়ে সুন্দরভাবে অযূ করা, মসজিদের দিকে বেশী বেশী পদচারণা করা এবং এক নামাযের পর অন্য নামাযের জন্য অপেক্ষা করা। আর এ হলো জিহাদে প্রতিরক্ষার কাজের ন্যায়।” [মুসলিম: ২৫১]
    জান্নাতুল ফেরদাউস

 

5]-fb.mess-best salaf

 

  • Sogood Islam Syeds

    Nurul Islam Patwary added a new photo.
    বাংলাদেশীরা কি এতকাল বিদ’আত করছে? ====================== আমরা বাংলাদেশীরা বাপ দাদাদের যুগ হতেই প্রতিবছর বেশ ঘটা করেই শবে বরাত উৎযাপন করে আসছি, পরদিন রোযা রাখছি। তাহলে যুগ যুগ ধরে কি আমরা এত কাল বিদ’আত করেছি? উত্তরঃ ==== রাসূল ﷺ থেকে বহু সহীহ হাদীসে প্রমাণিত হয়েছে যে, তিনি শা‘বান মাসে সবচেয়ে বেশী নফল রোযা রাখতেন। [বুখারী, হা/১৯৬৯, ১৯৭০; মুসলিম হা/১১৫৬, ১১৬১; মুসনাদে আহমাদ ৬/১৮৮, সুনানে আবু দাউদ, হা/২৪৩১, সহীহ ইবনে খুযাইমা হা/২০৭৭, সুনানে তিরমিঝি, হ/৬৫৭]। সে হিসাবে যদি কেউ শাবান মাসে রোযা রাখেন তবে তা হবে সুন্নাত। শাবান মাসের শেষ ২/১ দিন ছাড়া বাকী যে কোন দিন রোযা রাখা জায়েয বা সওয়াবের কাজ। তবে রোজা রাখার সময় মনে করতে হবে যে, রাসূল ﷺ যেহেতু শাবান মাসে রোজা রেখেছিলেন তাকে অনুসরন করে রোযা রাখা হচ্ছে। অথবা যদি কারও আইয়ামে বীযের নফল রোযা তথা মাসের ১৩,১৪,১৫ এ তিন দিন রোযা রাখার নিয়ম থাকে তিনিও রোযা রাখতে পারেন। কিন্তু শুধুই ফজিলতের আশায় শুধুমাত্র শাবানের ১৫ (পনের) তারিখ রোযা রাখা বিদ‘আত হবে। কারণ শরীয়তে এই একদিন রোযা রাখা কোন ভিত্তি প্রমানীত হয় নাই। যদি শাবানের মধ্যরাত্রিকে উদযাপন করা বা ঘটা করে পালন করা জায়েয হতো তাহলে অবশ্যই রাসূল ﷺ এ ব্যাপারে আমাদের জানাতেন বা তিনি নিজেই তা করতেন। আর এমন কিছু তিনি করে থাকতেন তাহলে সাহাবাগণ অবশ্যই তা উম্মাতের কাছে বর্ণনা করতেন। তারা নবীদের পরে জগতের শ্রেষ্টতম মানুষ, সবচেয়ে বেশী নসীহতকারী, কোন কিছুই তারা গোপন করেননি। আর দেশের ধোহাই দিয়ে কোন আমল যায়েজ প্রমানীত হয় না। আপনি কি জানেন যে, শুধু মাত্র বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানসহ অনারব দেশসমূহেই “শবে বরাত” উৎযপাতি হয়। আরব দেশেগুলোতে এটি পালিত হয়না বললেই চলে। বিশেষ করে তাওহীদবাদী রাষ্ট্র “সৌদি আরব”-এ “শবে বরাত” -এর কোন অস্তিত্ব-ই দেখা যায় না। ইসলাম যেখান থেকে শুরু তারা “শবে বরাত” কি জিনিস বুঝলো না, “শবে বরাত” বুঝলো বাংলাদেশে আর ভারতের বিদ’আতী হুজুরেরা! আপনার বিবেক কি বলে?
    Nurul Islam Patwary
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 2:12pm

    Sogood Islam Syeds

    মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির published a note.
    মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির
  • May 22
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 5:25pm

    Sogood Islam Syeds

    Aminur Rahman Noyon shared ইসলামের দাওয়াত’s post to the group: নিশ্চয় আমরা আল্লাহর জন্য এবং তাঁর নিকটই ফিরে যাব.
    Aminur Rahman Noyon
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 5:35pm

    Sogood Islam Syeds

    একটু পরেই সাবাই বিদআত করার মহাউৎসব শুরু করবে !!! আমি কিছুই বলব না, শুধু এই হাদিসটি জানিয়ে দিতে চাই … ( সবাই অবশ্যই শেয়ার করুন )
    আব্দুর রহমান সালাফি
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 6:06pm

    Sogood Islam Syeds

    গাছের গোড়ায় পানি ঢালতে হবে। তর্কের খাতিরে যদি ধরেও নিই, শবে বরাতের রাতে আল্লাহর অনুগ্রহ স্পেশালি তালাশ করা বৈধ, তাহলে আমাদেরকে দুটি জিনিষের ওপর ফোকাস করতে হবে আগে। শিরক করা যাবে না। হিংসা-বিদ্বেষ রাখা যাবে না। হিংসা-বিদ্বেষ তো বুঝি। কিন্তু, শিরক সম্পর্কে এই উম্মাহর অধিকাংশ আলেমগণই আজো অন্ধকারে রয়ে গেলেন। আল্লাহপাক নিজে যেখানে বলছেন, অধিকাংশ মানুষ ঈমান আনা সত্বেও মুশরিক, সেখানে আমরা সেই শিরকের বিষয়টি ক্লিয়ার না হয়ে মাগরিবের পর গোসল, সালাতুল আলফিয়া, নফল রোযা, রুটি হালুয়াতে লেগে পড়লাম। ক্ষমার শর্ত শয়তান আমাদের ভুলিয়ে দিয়ে বিদআতে উৎসাহিত করল, আর আমরাও তাতে তাল মিলিয়ে চলেছি। পবিত্র কুরআনের মুফাসসিরের অভাব নাই দেশে। অথচ কুরআনে যেসকল উপায়ে পুর্বাপর যত শিরক উল্লেখ করা হয়েছে, সেগুলোকে জনগনের সামনে আজ উন্মোচন করা হচ্ছে না। নফসের গোলামি, কবর-মাজার ইত্যাদির কিছু শিরকের কথা আবছাভাবে বলা হলেও রাস্ট্রীয় শিরক,তাগুতের শিরক, বিচার ও আইনি ব্যবস্থার শিরক, অর্থনীতিতে শিরক – এগুলোকে উদ্দেশ্যপ্রনোদিতভাবে জনগনের জ্ঞানের বাইরে রাখছে আজ কিছু স্বল্পমুল্যে কুরআনের আয়াত বিক্রয়কারী আলেম নামক জালেম সমাজ। এই রাতে মাফ পেতে চাইলে শিরক সম্পর্কে জানুন। যত শিরক, সেগুলো সাধারনত আরবাব, আলিহা, আনদাদ ও তাগুত – এই চারভাবেই হয়। এগুলো সম্পর্কে আজ রাতেই আপনার আলেমকে জিজ্ঞেস করুন, জানুন, শিরক থেকে তাওবা করুন। গাছের আগায় পানি ঢেলে গোড়াকাটা গাছকে বেশিক্ষণ তরতাজা রাখা যায় না। এগুলো শিরক সম্পর্কে প্রাথমিক ধারনা পেতে নিচের লেখাগুলো পড়তে পারেন। ওভার অল আইডিয়াঃ https://mobile.facebook.com/notes/rowshon-kabir/%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%95-%E0%A6%B8%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A7%E0%A6%BE%E0%A6%A8/10204109283652929/?ref=bookmarks আরবাবের শিরকঃ https://mobile.facebook.com/notes/rowshon-kabir/%E0%A6%86%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%95-%E0%A6%AC%E0%A6%B9%E0%A7%81-%E0%A6%B0%E0%A6%AC%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%B6%E0%A6%BF%E0%A6%B0%E0%A6%95/10203895281303004/?ref=bookmarks আনদাদের শিরকের একটা কেইস স্ট্যাডিঃ https://mobile.facebook.com/story.php?story_fbid=10204551498788031&id=1850407632
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 6:42pm

    Sogood Islam Syeds

    আমরা কিভাবে শবে বরাত পালন করব?? ~~~~~~~~~~~~~~ শব শব্দের অর্থ রাত, বরাত অর্থ ভাগ্য। বিশুদ্ধ কথা এই যে, এই রাত ভাগ্য-রজনী নয়। এ রাতে মানুষের ভাগ্য লেখা হয় না। . হাদিসে এই রাতটি এসেছে “লাইলাতুল নিসমি মিন শাবান” নামে। ১৫ই শাবানের রাত সম্পর্কে অনেক হাদিস এসেছে তবে সবগুলা হাদিসই দ্বয়িফ(দুর্বল সনদ), যা আমলযোগ্য নয়। একাধিক দ্বয়িফ হাদিসের আলোকে একটি হাদিসকে মুহাদ্দিসগণ সহিহ বলেছেন আর সেই হাদিসের অর্থ এমনঃ আল্লাহ তায়ালা এই রাতে সবাইকে ক্ষমা করে দেন শুধুমাত্র মুশরিক ও হিংসুক বাদে। অতএব, এই রাতে মূর্তি পূজারি, মাজার পূজারি, সুতা-তাবিজ ব্যবহারকারী, অন্যের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত, টাকনুর নিচে কাপড় পড়া ইত্যাদি শ্রেনীর মানুষ ক্ষমা পাবে না। . রাতটি মর্যাদাবান হলেও এই রাত উপলক্ষে কোন প্রকার ইবাদাত সহিহ হাদিস দ্বারা প্রমানিত নয়। যেসব হাদিস আছে তা অত্যন্ত দ্বয়িফ, কোন কোন ক্ষেত্রে মাউদু(জাল হাদিস)। তাই আশা করা যায় আমরা ঘুমিয়ে থাকলেও ক্ষমা পেয়ে যাব। এই রাতের হাদিসের মান সম্পর্কে জানতে পড়তে পারেনঃ “নাসিরুদ্দিন আলবানির(রহঃ) তাহকিকের পুনঃতাহকিক করেছেন জুবায়ের আলি জাই(রহঃ)”। বইটি মাত্র কিছুদিন আগে বেরিয়েছে। আধুনিক যুগের দুই সর্বশ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিস হতে হাদিসগুলোর মান সম্পর্কে জেনে নিন। . সাহাবারা (রাদিঃ) এই রাত আনুষ্ঠানিকতার সহিত পালন করেননি এবং আজও মক্কা-মদীনায় এই রাত উপলক্ষে বিশেষ কোন ইবাদাত চোখে পরে না। তবে পাস্ট স্কলারদের মধ্যে কেউ কেউ এই রাতে ব্যাক্তিগত ভাবে ইবাদাত করার কথা উল্লেখ করেছেন। এদের মাঝে আছেন, ইবনে তাইমিয়া(রহঃ), ইবনে রজব হাম্বলি(রহঃ) প্রমুখ। আধুনিক যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ তিন মুফতির একজন সউদি আরবের সাবেক গ্র‍্যান্ড মুফতি আব্দুল আজিজ বিন বায(রহঃ) এই রাতকে কেন্দ্র করে যেকোন প্রকারের নামাজ-রোজাকে বিদআত বলেছেন। হানাফি মাযহাব সহ অন্যান্য মাযহাবেও শবে বরাত সম্পর্কে কিছু বলা নেই। . শবে বরাতকে ঘিরে আতশবাজি, হালুয়া-রুটি, দলবদ্ধভাবে ইবাদত, সম্পুর্নরূপে নাজায়েজ। এসব করলে ক্ষমা পাবার আশা করা যায়না। . সংক্ষিপ্ত আকারে বিস্তারিত জানতে পড়ুনঃ “শরিয়তের দৃষ্টিতে শব ই বরাত” http://goo.gl/fnV9EP লেখকঃ ড. আবু বকর জাকারিয়া (পিএইচডি, মদীনা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি।) . . এছাড়া আরো পড়তে পারেনঃ ১. শবে বরাত ফযিলত ও আমলঃ ড. আব্দুল্লাহ জাহাংগির(রহঃ) (পিএইচডি, কিং সউদ ইউনিভার্সিটি, রিয়াদ) ২. শবে বরাত সমাধানঃ আকরামুজ্জামান বিন আব্দুস সালাম (বিএ, এমএ, মদীনা ইসলামিক ইউনিভার্সিটি)
    S. Ahmed Enan
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 7:11pm

    Sogood Islam Syeds

    ক্বারী সাহেবের বাংলা লিখাগুলি পড়তে খুবই কষ্ট হয়। লিখাতো নয় যেন, বগার পাঁড়া, এরপরে প্রতি লাইনে ২/৩ টা বানান ভুল। আমি কথা প্রসংগে ডা: জাকির নায়েকের কিছু গুনাগুন বর্ণনা করছিলাম। তা উনার সহ্য হলনা। অনধিকারচর্চা করে আমার কথার মধ্যে উনি ঢুকে গিয়ে বললেন, ডা: জাকির নাইক কোনু আলেম না, তাই উনার কথা মানা যাবেনা” ফলে শ্রোতারা উনার দিকে ক্ষেপে গেলেন। হৈ হুল্লর শুরু হল। আমি তাদের থামিয়ে দিয়ে ক্বারী সাহেবকে জিজ্ঞাসা করলাম (১) ডা: জাকির নাইক কি নিজেকে আলেম বলে দাবী করেছে? ক্বারী : না। আমি : তাহলে আপনি উনাকে মিথ্যা অপবাদ দিচ্ছেন কেন? উনি যদি নিজেকে নিজে আলেম বলে দাবী করতেন, তাহলে না হয় বলা যেত যে, আপনি আলেম নন। যাক, আপনি কি আলেম? ক্বারী : না, আমি আলেম না। আমি : আপনি যদি আলেম না হন, তাহলে আপনার কথা আমরা কি করে মানবো? ক্বারী : আমি তো আমার কথা মানতে আপনাদেরকে বলি নি। আমি : এই যে আপনি বললেন। “ডা: জাকির নাইক কোনু আলেম নন।” আপনার এই কথাটি আমরা কি করে মানবো? যেহেতু আপনি একজন আলেম নন। তাই আপনার এই কথাটিও আমরা মেনে নিতে পারছিনা। চালুনি যদি সুইকে বলে ” সুঁই, তোর পাছায় কেন ছেদা? তা হলে কি চালুনির পিছনের হাজার হাজার ছেদার কথা মানুষ বলবেনা। ক্বারী : চুপ হয়ে গেলেন।
    Abu Hanifa
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 7:19pm

    Sogood Islam Syeds

    বইঃ জাল হাদিছের কবলে রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর ছালাত লেখকঃ মুযাফফর বিন মুহসিন বইটির PDF ভার্সন ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে: ——————————————————– http://download913.mediafire.com/ugjn6nbf5kbg/lmfpw3e7lxfnnc1/Jal+Hadiser+Kobole+Rasulullar+Salat.pdf
    ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন-উওর
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 7:19pm

    Sogood Islam Syeds

    নামঃ ভ্রান্তির বেড়াজালে ইক্বামাতে দ্বীন লেখকঃ শাইখ মুযাফফর বিন মুহসিন ************************************ জঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে শায়খ মুজাফফর বিন মুহসিনের জ্বলন্ত লেখনী * বইটি ফ্রি ডাউনলোড করুন নিচের লিংক থেকেঃ http://download1389.mediafire.com/wfsv5q37ay8g/w2mp6e690ei6fnw/Vranteer+Berajale+Iqamote+Deen.pdf * বেশি বেশি কোরআন ও সহীহ হাদীস পড়ুন জ্ঞান কে বৃদ্ধি করুন। নিজে জানুন অপরকে জানানোর ব্যাবস্থা করুন।
    ইসলাম সম্পর্কে প্রশ্ন-উওর
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 7:38pm

    Sogood Islam Syeds

    আপনি কি জানেন মক্কা-মদিনাতে শবেবরাত পালন করা হয়না। কারন শবেবরাত পালন করা স্পষ্ট বিদাত (যদি একটু সময় লাগে তবু ও পড়ুন ইনশাল্লাহ নিজেকে বিশাল বড় বেদাত থেকে রক্ষা করতে পারবেন) ———————————— প্রথমে বলে রাখি শবেবরাত শব্দটা কুরআন ও সহিহ হাদিসে কোথাও উল্লেখ নেই। . আমাদের সমাজের আলেম ওলামাগণ শবে বরাতে পক্ষে ওয়াজ করার সময় প্রথমেই নিম্নের এই আয়াতের শেষ অংশ পাঠ করে বলে ‘এই দেখুন শবে বরাত বা বরকতময় রাতের কথা কুরআনে আছে’। কি সুন্দর ভণ্ডামি!! কুরআনের আয়াতকে ঘুরিয়ে পেঁচিয়ে বাঁকা করে তারপর অর্ধেকটা শুনিয়ে দেয় আর সাথে সাথে মুসল্লিরা বলে ওঠে ‘সোবহানাল্লাহ!’। অথচ তারা পুরোটা পড়ে শোনায় না বা মুসল্লিরা অর্থ বোঝেনা। এখানে উল্লেখ করা আছে, . হা-মীম। শপথ সুস্পষ্ট কিতাবের। আমিতো এটা অবতীর্ণ করেছি এক বরকতময় রাতে। আমি তো সতর্ককারী। এই রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় স্থিরকৃত হয়। (সূরা দুখান, ১-৪) . শবে বরাত পন্থী আলেম উলামারা এখানে বরকতময় রাত বলতে ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন। আমি এখানে স্পষ্টভাবেই বলব যে, যারা এখানে বরকতময় রাতের অর্থ ১৫ শাবানের রাতকে বুঝিয়ে থাকেন তারা এমন বড় ভুল করেন যা আল্লাহর কালাম বিকৃত করার মত অপরাধ। কারণ : . (এক) কুরআন মাজীদের এ আয়াতের তাফসীর বা ব্যাখ্যা সূরা আল-কদর দ্বারা করা হয়। সেই সূরায় আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন : . إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةِ الْقَدْرِ ﴿১﴾ وَمَا أَدْرَاكَ مَا لَيْلَةُ الْقَدْرِ ﴿২﴾ لَيْلَةُ الْقَدْرِ خَيْرٌ مِنْ أَلْفِ شَهْرٍ ﴿৩﴾ تَنَزَّلُ الْمَلَائِكَةُ وَالرُّوحُ فِيهَا بِإِذْنِ رَبِّهِمْ مِنْ كُلِّ أَمْرٍ ﴿৪﴾ سَلَامٌ هِيَ حَتَّى مَطْلَعِ الْفَجْرِ ﴿৫﴾ অর্থ : আমি এই কুরআন নাযিল করেছি লাইলাতুল কদরে। আপনি জানেন লাইলাতুল কদর কি? লাইলাতুল কদর হল এক হাজার মাস অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ। এতে প্রত্যেক কাজের জন্য মালাইকা (ফেরেশ্‌তাগণ) ও রূহ অবতীর্ণ হয় তাদের পালনকর্তার নির্দেশে। এই শান্তি ও নিরাপত্তা ফজর পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। (সূরা কাদর, ১-৫) . অতএব বরকতময় রাত হল লাইলাতুল কদর। লাইলাতুল বারায়াত নয়। সূরা দুখানের প্রথম সাত আয়াতের ব্যাখ্যা হল এই সূরা আল-কদর। আর এ ধরনের ব্যাখ্যা অর্থাৎ আল-কুরআনের এক আয়াতের ব্যাখ্যা অন্য আয়াত দ্বারা করা হল সর্বোত্তম ব্যাখ্যা। . (দুই) সূরা দুখানের লাইলাতুল মুবারাকার অর্থ যদি শবে বরাত হয় তাহলে এ আয়াতের অর্থ দাড়ায় আল কুরআন শাবান মাসের শবে বরাতে নাযিল হয়েছে। অথচ আমরা সকলে জানি আল-কুরআন নাযিল হয়েছে রামাযান মাসের লাইলাতুল কদরে। . যেমন সূরা বাকারার ১৮৫ নং আয়াতে আল্লাহ রাব্বুল ‘আলামীন বলেন : . شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِي أُنْزِلَ فِيهِ الْقُرْآَنُ. অর্থ : রামাযান মাস, যাতে নাযিল করা হয়েছে আল-কুরআন। . সুতরাং বরতময় রাত্রিটি অবশ্যই রমজান মাসে (যদি আপনি কুরআন বিশ্বাস করেন তবে এটাও মানবেন)। . প্রশ্ন থেকে যায় হাদীসে কি লাইলাতুল বরাত বা শবে বরাত নেই? সত্যিই হাদীসের কোথাও আপনি শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত নামের কোন রাতের নাম খুজে পাবেন না। যে সকল হাদীসে এ রাতের কথা বলা হয়েছে তার ভাষা হল ‘লাইলাতুন নিস্‌ফ মিন শাবান’ অর্থাৎ মধ্য শাবানের রাত্রি। শবে বরাত বা লাইলাতুল বারায়াত শব্দ আল-কুরআনে নেই, হাদীসে রাসূলেও নেই। এটা মানুষের বানানো একটা শব্দ। ভাবলে অবাক লাগে যে, একটি প্রথা ইসলামের নামে শত শত বছর ধরে পালন করা হচ্ছে অথচ এর আলোচনা আল-কুরআনে নেই। সহীহ হাদীসেও নেই। অথচ আপনি দেখতে পাবেন যে, সামান্য নফল ‘আমলের ব্যাপারেও হাদীসের কিতাবে এক একটি অধ্যায় বা শিরোনাম লেখা হয়েছে। . শবেবরাত সম্পর্কে যেসব জাল হাদিস বর্ননা তার মধ্যে এই জাল হাদিস্টা খুবই প্রচলিত . আলী ইবনে আবী তালেব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাত জেগে সালাত আদায় করবে আর দিবসে সিয়াম পালন করবে। কেননা আল্লাহ তা’আলা সূর্যাস্তের পর দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করে বলেন : আছে কি কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আমি তাকে ক্ষমা করব। আছে কি কোন রিয্‌ক প্রার্থনাকারী আমি রিয্‌ক দান করব। আছে কি কোন বিপদে নিপতিত ব্যক্তি আমি তাকে সুস্থ্যতা দান করব। এভাবে ফজর পর্যন্ত বলা হয়ে থাকে। (ইবনে মাজাহ ও বাইহাকী) . প্রথমতঃ এ হাদীসটি জাল। কেননা এ হাদীসের সনদে (সূত্রে) ইবনে আবি সাবুরাহ নামে এক ব্যক্তি আছেন, যিনি অধিকাংশ হাদীস বিশারদের নিকট হাদীস জালকারী হিসাবে পরিচিত।ইমাম বুখারি তাকে খুবই দুর্বল বলেছেন।ইমাম বুখারির উস্তাদ আহমদ তাকে জাল বলেছেন। এ যুগের বিখ্যাত মুহাদ্দিস নাসিরুদ্দীন আল-বানী (রহঃ) বলেছেন, হাদীসটি সনদের দিক দিয়ে একেবারেই জাল। . দ্বিতীয়তঃ অপর একটি সহীহ হাদীসের বিরোধী হওয়ার কারণে এ হাদীসটি গ্রহণযোগ্য নয়। সে সহীহ হাদীসটি হাদীসে নুযুল নামে পরিচিত, যা ইমাম বুখারী ও মুসলিম তাদের কিতাবে বর্ণনা করেছেন। হাদীসটি হল : . অর্থ : আবূ হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : আমাদের রব আল্লাহ তা’আলা প্রতি রাতের এক তৃতীয়াংশ বাকী থাকতে দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন ও বলতে থাকেন : কে আছ আমার কাছে দু’আ করবে আমি কবুল করব। কে আছ আমার কাছে চাইবে আমি দান করব। কে আছ আমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করবে আমি তাকে ক্ষমা করব। (বুখারী ও মুসলিম) . আর উল্লিখিত হাদীসের বক্তব্য হল আল্লাহ তা’আলা মধ্য শাবানের রাতে নিকটতম আকাশে আসেন ও বান্দাদের দু’আ কবুলের ঘোষণা দিতে থাকেন। কিন্তু বুখারী ও মুসলিম বর্ণিত এই সহীহ হাদীসের বক্তব্য হল আল্লাহ তা’আলা প্রতি রাতের শেষের দিকে নিকটতম আকাশে অবতরণ করে দু’আ কবুলের ঘোষণা দিতে থাকেন। আর এ হাদীসটি সর্বমোট ৩০ জন সাহাবী বর্ণনা করেছেন এবং বুখারী এবং মুসলিম ও সুনানের প্রায় সকল কিতাবে এসেছে। তাই হাদীসটি প্রসিদ্ধ। অতএব এই মশহুর হাদীসের বিরোধী হওয়ার কারণে হাদীসটি পরিত্যাজ্য হবে। . যারা বাপদাদার দেখানো পথের পূজা করেনা, যারা আল্লাহকে ভয় করে কুরআনের কাছে মাথা নত করে দেয় সেইসব মুমিনদের জন্য এটুকু দৃষ্টান্তই যথেষ্ট যে ইসলামে আলাদা কোন শবে বরাতের স্থান নেই। এক্ষেত্রে আর কোন যুক্তি দিতে হবে বলে মনে করিনা। অবশ্য যারা সত্যটা মানতে দ্বিধা করে তারা মুসলমান নয়। তারা হিন্দু পরিবারে জন্ম নিলে কট্টোর হিন্দুই হতো, তারা সত্যটা খুঁজেও দেখেনা। কুরআন কোথাও বলেনি ‘আমাকে না যাচাই করেই বিশ্বাস করো’ বরং বারবার বলেছে ‘যাচাই করো, চিন্তা করো, উপলব্ধি করো, প্রচার করো।’ আল্লাহ্‌ যুক্তি দিয়ে কথা বলতে বলেছে (সুরা জুমার, ১৮) তাই যুক্তি দিয়েই প্রমান করা হল যে শবে বরাত একটি বিদআত এবং কুফরি। কারন আল্লাহ্‌ যেখানে বলছে রমজান মাসে কুরআন নাজিল করেছেন এবং সেটাই বরকতময় রাত সেখানে নিজেদের তৈরি বানোয়াট রাতকে বরকতময় রাত ঘোষনা করাটা আল্লাহ্‌র সাথে মশকরা করা ছাড়া আর কিছুই নয়। আর আল্লাহ্‌র বাণীকে অস্বীকার করাই কুফরি এবং সে সঙ্গে সঙ্গে কাফির হয়ে যায়। আল্লাহ্‌ আমাদের রক্ষা করুন। . এবার আসুন দেখি আমাদের সমাজে প্রচলিত শবে বরাত মানক বিদআতটির ভণ্ডামি। ভণ্ডদের ফতোয়ামতে শবে বরাত একটি পুন্যের রাত বা বরকতময় রাত। অনেক ওলামায়ে কেরামগন বিশ্বাস করেন যে, এই রাত্রিতে মানুষের ভাগ্য লিখা বা বন্টন করা হয়। অথচ আল্লাহ্‌ পাক ইরশাদ করছেন ‘এটা ছিল সেই রাত যে রাতে আমার নির্দেশে প্রতিটি বিষয়ে বিজ্ঞোচিত ফায়সালা দেয়া হয়ে থাকে৷’ (সুরা দুখান, ০৪)। সুতরাং ভাগ্য বন্টন করা হয় কেবল লাইলাতুল কদরেই, শবে বরাতে নয়। তাই এইধরনের আকিদাহ তে বিশ্বাসীরা কাফির হয়ে যাবে। এ রাতে মানুষ আল্লাহকে খুশি করার জন্য সারারাত নফল নামাজ আদায় করে। হাজার রাকাতের নামাজ খ্যাত সালাতুল মুবারক আদায় করে, অথচ এই সালাতের কোন দলিল নেই এটা ভুয়া এবং বিদআত। কোন সহিহ হাদিসে এটা নেই। . এবার আসুন রুটি ও হালুয়ার ভণ্ডামি পেশ করি। শবে বরাতে বাড়িতে বাড়িতে হালুয়া ও রুটি তৈরি করে খাওয়া হয়। কারন জানতে চাইলে তারা বলে ‘উহুদের যুদ্ধে রাসুল সাঃ এর দাঁত শহিদ হওয়াতে তিনি শক্ত গোসত রুটি খেতে পারেন নি তাই হালুয়া রুটি খেয়েছিলেন।’ বাহবা কত সুন্দর ভণ্ডামি। কিন্তু শয়তানের বুদ্ধি মুমিনের চেয়ে উত্তম নয়। উহুদের যুদ্ধ হয়েছিল কবে? উহুদের যুদ্ধ হয়েছিল শাউয়াল মাসের ১১ তারিখ রোজ শনিবার সকাল ১১ টায়। আর শবে বরাত পালিত হয় শাবান মাসের ১৫ তারিখ। কত সুন্দর যুক্তি বিদআতের! শাউয়াল মাসে দাঁত শহিদ হয়ে রাসুল সাঃ রুটি খেয়েছিলান শাবান মাসে?? এটা কি মেনে নেওয়ার মত কোন যুক্তি? রুটি হালুয়া আরেকটি বিদআত। হ্যাঁ আপনি খাওয়ার জন্য তৈরি করুন, প্রতিবেশীদের বণ্টন করুন, গরীব দুঃখীদের বণ্টন করুন এতে সওয়াব আছে কিন্তু শবে বরাতের উদ্দেশে তা পালিন করে হালুয়া রুটি খাওয়া সম্পুর্ন বিদআত ও কুফরি। . তাই সাবধান! মুসলিম ভাইয়েরা, জেনে শুনে কুরআন ও হাদিস বিরোধি বিদাতে লিপ্তি হবেন না। শবে বরাত কোন ইসলামিক রাত না, এটি আর দশটা সাধারণ রাতের মতই। আর এই রাতের জন্য আলাদা কোন নামাজ নেই, পীরের বাচ্চারা এই নামাজেও বিদআত এনেছে। খবরদার তাদের পাতানো ফাঁদে পা দিয়ে নিজের ঈমান নষ্ট করবেন না।
    ড়া. জাকির নায়েক এর উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তরসমূহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 8:17pm

    Sogood Islam Syeds

    Maksud Bin Amal added a new photo.
    আসসালামু আলাইকুম। http://unityofmuslimummah.wordpress.com/islamic-book/
    Maksud Bin Amal
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 8:22pm

  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 8:22pm

  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 8:35pm

    Sogood Islam Syeds

    Anwar Hossan
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 8:36pm

    Sogood Islam Syeds

    many sahih videos of San e barat above….

  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 9:58pm

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত বিষয়ক সহীহ, যয়ীফ ও জাল হাদীস: প্রসঙ্গত এ বিষয়ক সহীহ ও যয়ীফ হাদীসগুলোর বিষয়েও কিছু কথা আসবে। ১. মধ্য শাবানের রাত্রির বিশেষ মাগফিরাত: এ বিষয়টি সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। হাদীস শরীফে বলা হয়েছে: ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﻟَﻴَﻄَّﻠِﻊُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔِ ﺍﻟﻨِّﺼْﻒِ ﻣِﻦْ ﺷَﻌْﺒَﺎﻥَ ﻓَﻴَﻐْﻔِﺮُ ﻟِﺠَﻤِﻴﻊِ ﺧَﻠْﻘِﻪِ ﺇِﻻ ﻟِﻤُﺸْﺮِﻙٍ ﺃَﻭْ ﻣُﺸَﺎﺣِﻦٍ ‘‘মহান আল্লাহ মধ্য শাবানের রাতে তাঁর সৃষ্টির প্রতি দৃষ্টিপাত করেন এবং মুশরিক ও বিদ্বেষ পোষণকারী ব্যতীত সকলকে ক্ষমা করে দেন।’’ এ অর্থের হাদীস কাছাকাছি শব্দে ৮ জন সাহাবী: আবূ মূসা আশআরী, আউফ ইবনু মালিক, আব্দুল্লাহ ইবনু আমর, মুয়ায ইবনু জাবাল, আবু সা’লাবা আল-খুশানী, আবূ হুরাইরা, আয়েশা ও আবূ বাকর সিদ্দীক (রাঃ) থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে।[1] এ সকল হাদীসের সনদ বিষয়ক বিস্তারিত আলোচনা উপর্যুক্ত গ্রন্থে করেছি। এগুলোর মধ্যে কিছু সনদ দুর্বল ও কিছু সনদ ‘হাসান’ পর্যায়ের। সামগ্রিক বিচারে হাদীসটি সহীহ। শাইখ আলবানী বলেন, ‘‘হাদীসটি সহীহ। তা অনেক সাহাবী থেকে বিভিন্ন সনদে বর্ণিত হয়েছে, যা একটি অন্যটিকে শক্তিশালী হতে সহায়তা করে।…[2] এ হাদীস থেকে প্রমাণিত হয় যে, এ রাত্রিটি একটি বরকতময় রাত এবং এ রাতে আল্লাহ তাঁর বান্দাদেরকে ক্ষমা করেন। কিন্তু এ ক্ষমা অর্জনের জন্য শিরক ও বিদ্বেষ বর্জন ব্যতীত অন্য কোনো আমল করার প্রয়োজন আছে কি না তা এই হাদীসে উল্লেখ নেই। ২. মধ্য শাবানের রাত্রিতে ভাগ্য লিখন কিছু কিছু হাদীসে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এ রাত্রিতে ভাগ্য অনুলিপি করা হয় বা পরবর্তী বছরের জন্য হায়াত-মউত ও রিযক ইত্যাদির অনুলিপি করা হয়। হাদীসগুলোর সনদ বিস্তারিত আলোচনা করেছি উপর্যুক্ত পুস্তকটিতে। এখানে সংক্ষেপে বলা যায় যে, এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলো অত্যন্ত দুর্বল অথবা বানোয়াট। এ অর্থে কোনো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীস বর্ণিত হয় নি। এখানে উল্লেখ্য যে, কুরআন কারীমে মহান আল্লাহ বলেন: ﺇِﻧَّﺎ ﺃَﻧْﺰَﻟْﻨَﺎﻩُ ﻓِﻲ ﻟَﻴْﻠَﺔٍ ﻣُﺒَﺎﺭَﻛَﺔٍ ﺇِﻧَّﺎ ﻛُﻨَّﺎ ﻣُﻨْﺬِﺭِﻳﻦَ ﻓِﻴﻬَﺎ ﻳُﻔْﺮَﻕُ ﻛُﻞُّ ﺃَﻣْﺮٍ ﺣَﻜِﻴﻢٍ ‘‘আমি তো তা অবতীর্ণ করেছি এক মুবারক রজনীতে এবং আমি তো সতর্ককারী। এ রজনীতে প্রত্যক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় স্থিরীকৃত হয়।’’[3] এ বাণীর ব্যাখ্যায় তাবিয়ী ইকরিমাহ, বলেন, এখানে ‘মুবারক রজনী’ বলতে ‘মধ্য শা’বানের রাতকে’ বুঝানো হয়েছে। ইকরিমাহ বলেন, এ রাতে গোটা বছরের সকল বিষয়ে ফয়সালা করা হয়।[4] মুফাস্সিরগণ ইকরিমার এ মত গ্রহণ করেন নি। ইমাম তাবারী বিভিন্ন সনদে ইকরিমার এ ব্যাখ্যা উদ্ধৃত করার পরে তার প্রতিবাদ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেছেন যে, ইকরিমার এ মত ভিত্তিহীন। তিনি বলেন যে, সঠিক মত হলো, এখানে ‘মুবারক রজনী’ বলতে ‘লাইলাতুল ক্বাদ্র’-কে বুঝানো হয়েছে। আল্লাহ যে রাত্রিতে কুরআন অবতীর্ণ করেছেন সে রাত্রিকে এক স্থানে লাইলাতুল কাদ্র: ‘তাকদীরের রাত’ বা ‘মর্যাদার রাত’ বলে অভিহিত করেছেন[5]। অন্যত্র এ রাত্রিকেই ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ বা ‘বরকতময় রজনী’ বলে অভিহিত করেছেন। এবং এ রাত্রিটি নিঃসন্দেহে রামাদান মাসের মধ্যে; কারণ অন্যত্র আল্লাহ ঘোষণা করেছেন যে, তিনি রামাদান মাসে কুরআন নাযিল করেছেন।[6] এথেকে প্রমাণিত হয় যে, মুবারক রজনী রামাদান মাসে, শাবান মাসে নয়।[7] পরবর্তী মুফাস্সিরগণ ইমাম তাবারীর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। তাঁরা বলেছেন যে, ‘মুবারক রজনী’ বলতে এখানে ‘মহিমান্বিত রজনী’ বা ‘লাইলাতুল ক্বাদ্র’ বুঝানো হয়েছে। তাঁদের মতে ‘লাইলাতুম মুবারাকা’ এবং ‘লাইলাতুল কাদ্র’ একই রাতের দুটি উপাধি। দুটি কারণে মুফাস্সিরগণ ইকরিমার তাফসীরকে বাতিল ও অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছেন: (ক) ইকরিমার মতটি কুরআনের সুস্পষ্ট বাণীর সাথে সাংঘর্ষিক। কুরআনে বলা হয়েছে যে, আল্লাহ রামাদান মাসে কুরআন নাযিল করেছেন। অন্যত্র বলেছেন যে, একটি মুবারক রাত্রিতে ও একটি মহিমান্বিত রাত্রিতে তিনি কুরআন নাযিল করেছেন। এ সকল আয়াতের সমন্বিত সুস্পষ্ট অর্থ হলো, আল্লাহ রামাদান মাসের এক রাত্রিতে কুরআন নাযিল করেছেন এবং সে রাতটি বরকতময় ও মহিমান্বিত। মুবারক রজনীকে শবে বরাত বলে দাবী করলে এ আয়াতগুলোর স্পষ্ট অর্থ বিভিন্ন অপব্যাখ্যার মাধ্যমে বাতিল করতে হয়। (খ) বিভিন্ন সাহাবী ও তাবিয়ী থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তাঁরা ‘মুবারক রজনী’-র ব্যাখ্যায় বলেছেন যে, এ রাতটি হলো ‘লাইলাতুল কাদ্র’ বা ‘মহিমান্বিত রজনী’। সাহাবীগণের মধ্য থেকে ইবনু আববাস (রা) ও ইবনু উমার (রা) থেকে অনুরূপ ব্যাখ্যা বর্ণিত হয়েছে। তাবিয়ীগণের মধ্যে থেকে আবু আব্দুর রহমান আল-সুলামী (৭৪ হি), মুজাহিদ বিন জাব্র (১০২ হি), হাসান বসরী (১১০ হি), ক্বাতাদা ইবনু দি‘আমা (১১৭ হি) ও আব্দুর রহমান বিন যায়েদ বিন আসলাম মাদানী (১৮২ হি) বিশেষ ভাবে উল্লেখযোগ্য। তাঁরা সকলেই বলেছেন যে, লাইলাতুম মুবারাকাহ অর্থ লাইলাতুল কাদ্র।[8] ৩. মধ্য-শাবানের রাত্রিতে দোয়া-মুনাজাত মধ্য শাবানের রজনীর ফযীলত বিষয়ে বর্ণিত তৃতীয় প্রকারের হাদীসগুলোতে এ রাত্রিতে সাধারণভাবে দোয়া করার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এ রাতে দোয়া করা, আল্লাহর কাছে নিজের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আকুতি জানানো এবং জীবিত ও মৃতদের পাপরাশি ক্ষমালাভের জন্য প্রার্থনার উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে। এ অর্থে কোনো সহীহ বা গ্রহণযোগ্য হাদীস নেই। এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলোর মধ্যে কিছু হাদীস দুর্বল এবং কিছু হাদীস জাল। ৪. অনির্ধারিত সালাত ও দোয়া মধ্য শাবানের রাত্রি সম্পর্কে বর্ণিত কিছু হাদীসে এ রাত্রিতে সালাত আদায় ও দোয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এ সকল হাদীস এ রাত্রির সালাতের জন্য কোনো নির্ধারিত রাক‘আত, নির্ধারিত সূরা বা নির্ধারিত পদ্ধতি উল্লেখ করা হয় নি। শুধু সাধারণভাবে এ রাত্রিতে তাহাজ্জুদ আদায় ও দোয়া করার বিষয়টি এ সকল হাদীস থেকে জানা যায়। এ অর্থে বর্ণিত হাদীসগুলো প্রায় সবই বানোয়াট। দু-একটি হাদীস দুর্বল হলেও বানোয়াট নয়। ৫. নির্ধারিত রাক‘আত, সূরা ও পদ্ধতিতে সালাত শবে বরাত বিষয়ক অন্য কিছু হাদীসে এ রাত্রিতে বিশেষ পদ্ধতিতে, বিশেষ সুরা পাঠের মাধ্যমে, নির্দ্দিষ্ট সংখ্যক রাকআত সালাত আদায়ের বিশেষ ফযীলতের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। মুহাদ্দিসগণের সর্বসম্মত মত অনুযায়ী এই অর্থে বর্ণিত সকল হাদীস বানোয়াট। হিজরী চতুর্থ শতকের পরে রাসুলুলাহ (ﷺ ) -এর নামে বানিয়ে এগুলো প্রচার করা হয়েছে। এখানে এ জাতীয় কয়েকটি জাল ও বানোয়াট হাদীস উল্লেখ করছি। ৬. ৩০০ রাক‘আত, প্রতি রাক‘আতে ৩০ বার সূরা ইখলাস ‘‘যে ব্যক্তি মধ্য শাবানের রাতে প্রত্যেক রাকআতে ৩০বার সুরা ইখলাস পাঠের মাধ্যমে ৩০০ রাকআত সালাত আদায় করবে জাহান্নামের আগুন অবধারিত এমন ১০ ব্যক্তির ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।’’ হাদীসটি ইবনুল ক্বাইয়িম বাতিল বা ভিত্তিহীন হাদীস সমূহের মধ্যে উল্লেখ করেছেন।[9] ৭. ১০০ রাক‘আত, প্রতি রাক‘আতে ১০ বার সুরা ইখলাস মধ্য শাবানের রজনীতে এ পদ্ধতিতে সালাত আদায়ের প্রচলন হিজরী চতুর্থ শতকের পরে মানুষের মধ্যে প্রসিদ্ধি লাভ করে। মুহাদ্দিস ও ঐতিহাসিকগণ উল্লেখ করেছেন যে, ৪৪৮ হি. সনে বাইতুল মুকাদ্দাসে প্রথম এ রাত্রিতে এ পদ্ধতিতে সালাত আদায়ের প্রচলন শুরু হয়।[10] এ সময়ে বিভিন্ন মিথ্যাবাদী গল্পকার ওয়ায়িয এ অর্থে কিছু হাদীস বানিয়ে বলেন। এ অর্থে ৪টি হাদীস বর্ণিত হয়েছে যার প্রত্যেকটিই বানোয়াট ও ভিওিহীন। এর প্রথমটি আলী (রা)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ )-এর নামে প্রচারিত: যে ব্যক্তি মধ্য শাবানের রাতে ১০০ রাকআত সালাত আদায় করবে, প্রত্যেক রাকআতে সুরা ফাতিহা ও ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে সে উক্ত রাতে যত প্রয়োজনের কথা বলবে আল্লাহ তায়ালা তার সকল প্রয়োজন পূরণ করবেন। লাওহে মাহফুযে তাকে দুর্ভাগা লিপিবদ্ধ করা হলেও তা পরির্বতন করে সৌভাগ্যবান হিসেবে তার নিয়তি নির্ধারণ করা হবে, আল্লাহ তায়ালা তার কাছে ৭০ হাজার ফিরিশতা প্রেরণ করবেন যারা তার পাপরাশি মুছে দেবে, বছরের শেষ পর্যন্ত তাকে সুউচ্চ মর্যাদায় আসীন রাখবে, এছাড়াও আল্লাহ তায়ালা ‘আদন’ জান্নাতে ৭০ হাজার বা ৭ লাখ ফিরিশতা প্রেরণ করবেন যারা জান্নাতের মধ্যে তার জন্য শহর ও প্রাসাদ নির্মাণ করবে এবং তার জন্য বৃক্ষরাজি রোপন করবে…। যে ব্যক্তি এ নামায আদায় করবে এবং পরকালের শান্তি কামনা করবে মহান আল্লাহ তার জন্য তার অংশ প্রদান করবেন। হাদীসটি সর্বসম্মতভাবে বানোয়াট ও জাল। এর বর্ণনাকারীগণ কেউ অজ্ঞাত পরিচয়এ। এবং কেউ মিথ্যাবাদী জালিয়াত হিসেবে পরিচিত।[11] এ বিষয়ক দ্বিতীয় জাল হাদীসটিতে জালিয়াতগণ ইবনু উমার (রা)-এর সূত্রে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর নামে বলেছে: ‘‘যে ব্যক্তি মধ্য শাবানের রাতে এক শত রাকআত সালাতে এক হাজার বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে তার মৃত্যুর পূর্বে আল্লাহ তা‘য়ালা তার কাছে ১০০ জন ফিরিশতা প্রেরণ করবেন, তন্মধ্যে ত্রিশজন তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিবে, ত্রিশজন তাকে জাহান্নমের আগুন থেকে নিরাপত্তার সুসংবাদ প্রদান করবে, ত্রিশজন তাকে ভুলের মধ্যে নিপতিত হওয়া থেকে রক্ষা করবে এবং দশজন তার শত্রুদের ষড়যন্ত্রের জবাব দেবে।’’ এ হাদীসটিও বানোয়াট। সনদের অধিকাংশ রাবী অজ্ঞাতপরিচয়। বাকীরা মিথ্যাবাদী হিসাবে সুপরিচিত।[12] এ বিষয়ক তৃতীয় জাল হাদীসটিতে মিথ্যাবাদীগণ বিশিষ্ট তাবিয়ী ইমাম আবু জাফর মুহাম্মাদ আল বাকির (১১৫ হি) থেকে রাসূলুল্লাহ ﷺ -এর বরাতে বর্ণনা করেছে: ‘‘যে ব্যক্তি মধ্য শাবানের রাতে ১০০ রাকআত সালাতে ১০০০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করবে তার মৃত্যুর পূর্বেই মহান আল্লাহ তার কাছে ১০০ ফিরিশতা প্রেরণ করবেন। ৩০ জন তাকে জান্নাতের সুসংবাদ দিবে, ৩০ জন তাকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবে, ৩০ জন তার ভুল সংশোধন করবে এবং ১০ জন তার শত্রুদের নাম লিপিবদ্ধ করবে।’’ এ হাদীসটিও বানোয়াট। সনদের কিছু রাবী অজ্ঞাতপরিচয় এবং কিছু রাবী মিথ্যাবাদী হিসাবে সুপরিচিত।।[13] ১০০ রাকআত সংক্রান্ত এ বিশেষ পদ্ধতিটি হিজরী চতুর্থ শতাব্দী থেকে বিভিন্ন গল্পকার ওয়ায়িযদের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের কাছে প্রসিদ্ধি লাভ করে এবং যুগে যুগে তা বৃদ্ধি পেতে থাকে। এক পর্যায়ে ভারতীয় ওয়ায়িযগণ এ সালাতের পদ্ধতির মধ্যে প্রত্যেক দু রাকআতের পরে ‘‘তাসবীহুত তারাবীহ’’র প্রচলন করেন এবং ১০০ রাকআত পূর্ণ হওয়ার পর কতিপয় সাজদা, সাজদার ভিতরে ও বাহিরে কতিপয় দোয়া সংযুক্ত করেছেন। আল্লামা আব্দুল হাই লাখনবী (১৩০৬ হি) বানোয়াট ও ভিত্তিহীন হাদীস সমুহের মধ্যে এ হাদীসটি উল্লেখ করেছেন। যার সারমর্ম হলো, মধ্য শাবানের রাতে পঞ্চাশ সালামে ১০০ রাকআত সালাত আদায় করতে হবে। প্রত্যেক রাকাতে সুরা ফাতিহার পর ১০ বার সুরা ইখলাস পাঠ করতে হবে। প্রত্যেক দুই রাকআত পর ‘তাসবীহুত তারাবীহ’ পাঠ করবে, এর পর সাজদা করবে। সাজদার মধ্যে কিছু নির্ধারিত বানোয়াট দোয়া পাঠ করবে। অতঃপর সাজদা থেকে মাথা তুলবে এবং নবী (ﷺ ) এর উপর দুরূদ পাঠ করবে ও কিছু নির্ধারিত বানোয়াট দোয়া পাঠ করবে। অতঃপর দ্বিতীয় সাজদা করবে এবং তাতে কিছু নির্ধারিত বানোয়াট দোয়া পাঠ করবে।[14] ৮. ৫০ রাক‘আত ইমাম যাহাবী এ হাদীসটি ভিত্তিহীন ও বানোয়াট হাদীস হিসেবে হাদীসটির বর্ণনাকারী অজ্ঞাত রাবী মুহাম্মাদ বিন সাঈদ আলমীলী আত তাবারীর জীবনীতে উল্লেখ করেছেন। উক্ত মুহাম্মাদ বিন সাঈদ এ হাদীসটি তার মতই অজ্ঞাত রাবী মুহাম্মদ বিন আমর আল বাজালী এর সনদে আনাস (রা) থেকে মারফু হিসেবে বর্ণনা করেনঃ যে ব্যক্তি মধ্য শাবানের রাতে ৫০ রাকআত সালাত আদায় করবে, সে ব্যক্তি আল্লাহ তা‘আলার কাছে যত প্রকার প্রয়োজনের কথা বলবে তার সবটুকুই পূরণ করে দেয়া হবে। এমনকি লাওহে মাহফুযে তাকে দুর্ভাগ্যবান হিসেবে লিপিবদ্ধ করা হলেও তা পরিবর্তন করে তাকে সৌভাগ্যবান করা হবে। এবং আল্লাহ তা‘আলা তার কাছে ৭ লাখ ফেরেশতা প্রেরণ করবেন যারা তার নেকী লিপিবদ্ধ করবে, অপর ৭ লাখ ফেরেশতা প্রেরণ করবেন যারা তার জন্য বেহেশতে প্রাসাদ নির্মাণ করবে ….. এবং ৭০ হাজার একত্ববাদীর জন্য তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে…। ইমাম যাহাবী এ মিথ্যা হাদীসটি উল্লেখ করে বলেন, যে ব্যাক্তি এ হাদীসটি বানোয়াট করেছে আল্লাহ তা‘আলা তাকে লাঞ্চিত করুন।[15] ৯. ১৪ রাক‘আত ইমাম বায়হাকী তাঁর সনদে আলী (রা) থেকে বর্ণনা করেন, তিনি বলেন: আমি রাসূলুল্লাহ্ ﷺ -কে মধ্য শাবানের রাতে ১৪ রাকআত সালাত আদায় করতে দেখেছি। সালাত শেষে বসে তিনি ১৪ বার সূরা ফাতিহা, ১৪ বার সূরা ইখলাস, ১৪ বার সূরা ফালাক, ১৪ বার সূরা নাস, ১ বার আয়াতুল কুরসী এবং সূরা তাওবার শেষ দু আয়াত তিলাওয়াত করেন, এ সব কাজের সমাপ্তির পর আমি তাঁকে এগুলো সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম। তিনি বললেন: তুমি আমাকে যে ভাবে করতে দেখেছ এভাবে যে করবে তার আমলনামায় ২০টি কবুল হজ্জের সাওয়াব লেখা হবে এবং ২০ বছরের কবুল সিয়ামের সাওয়াব লিখা হবে। পরদিন যদি সে সিয়াম পালন করে তবে দু বছরের সিয়ামের সাওয়াব তার আমলনামায় লেখা হবে। হাদীসটি উল্লেখ করার পর ইমাম বায়হাকী বলেন: ইমাম আহমাদ বলেছেন যে, এ হাদীসটি আপত্তিকর, পরিত্যক্ত, জাল ও বানোয়াট বলে প্রতীয়মান। হাদীসটির সনদে অজ্ঞাত পরিচয় বর্ণনাকারীগণ রয়েছে।[16] অন্যান্য মুহাদ্দিস হাদীসটিকে জাল বলে গণ্য করার বিষয়ে ইমাম বাইহাকীর সাথে ঐকমত্য পোষণ করেছেন। আল্লামা ইবনুল জাওযী ও ইমাম সুয়ুতী বলেন: হাদীসটি বানোয়াট, এর সনদ অন্ধকারাচ্ছন্ন। …. সনদের মধ্যে মুহাম্মাদ বিন মুহাজির রয়েছেন। ইমাম আহমাদ বিন হাম্বাল বলেন: মুহাম্মদ বিন মুহাজির হাদীস বানোয়াট-কারী।[17] ১০. ১২ রাক‘আত, প্রত্যেক রাক‘আতে ৩০ বার সূরা ইখলাস জালিয়াতগণ আবু হুরাইরা (রা) পর্যন্ত একটি জাল সনদ তৈরী করে তাঁর সূত্রে রাসূলুল্লাহ (ﷺ ) থেকে বর্ণনা করেছে: ‘‘যে ব্যক্তি মধ্য শা’বানের রাতে ১২ রাকআত সালাত আদায় করবে, প্রত্যেক রাকাতে ৩০ বার সূরা ইখলাস পাঠ করবে, সালাত শেষ হওয়ার পূর্বেই বেহেশতের মধ্যে তার অবস্থান সে অবলোকন করবে এবং তার পরিবারের সদস্যদের মধ্য থেকে জাহান্নাম নির্ধারিত হয়েছে এমন দশ ব্যক্তির ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।’’ এ হাদীসের সনদের অধিকাংশ বর্ণনাকারীই অজ্ঞাত। এছাড়াও সনদের মধ্যে কতিপয় দুর্বল ও পরিত্যাজ্য বর্ণনাকারী রয়েছে।[18] উপরের আলোচনার মাধ্যমে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট ভাবে প্রতিভাত হয়েছে যে, মধ্য শা’বানের রাতে নির্দ্দিষ্ট পদ্ধতিতে নির্দ্দিষ্ট সূরার মাধ্যমে নির্দ্দিষ্ট রাকআত সালাত আদায় সংক্রান্ত হাদীস সমূহ বানোয়াট ও ভিত্তিহীন। মুহাদ্দিসগণ এ ব্যাপারে সকলেই একমত। কিন্তু কতিপয় নেককার ও সরলপ্রাণ ফকীহ ও মুফাস্সির তাঁদের রচনাবলিতে এগুলোর জালিয়াতি ও অসারতা উল্লেখ ছাড়াই এসকল ভিত্তিহীন হাদীস স্থান দিয়েছেন। এমনকি কেউ কেউ এগুলোর উপর ভিত্তি করে ফতোয়া প্রদান করেছেন ও তদনুযায়ী আমল করেছেন, যা পরবর্তীতে এ রীতি প্রসারিত হওয়ার ক্ষেত্রে সহায়তা করেছে। মোল্লা আলী ক্বারী (১০১৪ হি) মধ্য শাবানের রাতে সালাত আদায়ের ফযীলত সংক্রান্ত হাদীসগুলোর অসারতা উল্লেখপূর্বক বলেন, সবচেয়ে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো যে, যারা সুন্নাতের ইলমের সন্ধান পেয়েছেন তারা এগুলো দ্বারা প্রতারিত হন কি করে! এ সালাত চতুর্থ হিজরী শতকের পর ইসলামের মধ্যে অনুপ্রবেশ করেছে যার উৎপত্তি হয়েছে বায়তুল মুকাদ্দাস থেকে। এব্যাপারে অসংখ্য জাল হাদীস তৈরী করা হয়েছে যার একটিও সঠিক বা নির্ভরযোগ্য নয়।[19] তিনি আরো বলেন, হে পাঠক, এ সকল ভিত্তিহীন মিথ্যা হাদীস ‘কুতুল কুলুব’, ‘এহয়িয়াউ উলুমিদ্দীন’ ও ইমাম সা‘লাবীর তাফসীর গ্রন্থে উল্লেখ থাকার কারণে আপনারা প্রতারিত ও বিভ্রান্ত হবেন না।[20] ইসমাঈল বিন মুহাম্মদ আজলুনীও (১১৬২ হি) অনুরূপ মন্তব্য করেছেন।[21] আল্লামা শাওকানী (১২৫০ হি) শবে বরাতের রাত্রিতে আদায়কৃত এ সালাত সংক্রান্ত হাদীসের ভিত্তিহীনতা উল্লেখ পূর্বক বলেন, এ সকল হাদীস দ্বারা এক দল ফকীহ প্রতারিত হয়েছেন। যেমন ‘এহয়িয়াউ উলূমিদ্দীন’ গ্রন্থকার ইমাম গাযালী ও অন্যান্যরা। এমনিভাবে কতিপয় মুফাস্সিরও প্রতারিত হয়েছেন। এ সালাতের বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের জাল হাদীস রচিত হয়েছে। এ সকল হাদীস মাউযূ বা বানোয়াট হওয়ার অর্থ হলো, এই রাত্রিতে নির্ধারিত পদ্ধতিতে নির্ধারিত রাক‘আত সালাত আদায়ের প্রচলন বাতিল ও ভিত্তিহীন। তবে কোনো নির্ধারিত রাক‘আত, সূরা বা পদ্ধতি ব্যতিরেকে সাধারণ ভাবে এ রাত্রিতে ইবাদত বা দোয়া করার বিষয়ে দুই একটি যয়ীফ হাদীস রয়েছে।’’[22] [1] ইবনু মাজাহ, আস- সুনান ১/৪৪৫; বাযযার, আল-মুসনাদ ১/১৫৭, ২০৭, ৭/১৮৬; আহমাদ ইবনু হাম্বল, আল-মুসনাদ ২/১৭৬; ইবনু আবি আসিম, আস-সুন্নাহ,পৃ ২২৩-২২৪; ইবনু হিববান, আস-সহীহ ১২/৪৮১; তাবারানী, আল-মুজাম আল-কাবীর, ২০/১০৮, ২২/২২৩; আল-মুজাম আল-আওসাত, ৭/৬৮; বায়হাক্বী, শু’আবুল ঈমান, ৩/৩৮১; ইবনু খুযায়মা, কিতাবুত তাওহীদ ১/৩২৫-৩২৬। [2] আলবানী, সাহীহাহ (সিলসিলাতুল আহাদীসিস সাহীহাহ) ৩/১৩৫। [3] সূরা (৪৪) দুখান: আয়াত ৩-৪। [4] তাবারী, তাফসীর ২৫/১০৭-১০৯। [5] সূরা (৯৭) কাদ্র: আয়াত ১। [6] সূরা (২) বাকারা: আয়াত ১৮৫। [7] তাবারী, তাফসীর ২৫/১০৭-১০৯। [8] নাহহাস, মা’আনিল কুরআন ৬/৩৯৫; যামাখশারী, আল-কাশশাফ ৩/৪২৯; ইবনুল আরাবী, আহকামুল কুরআন ৪/১৬৯০; ইবনু আতিয়্যাহ্, আল- মুহাররার আল ওয়াজীয ৫/৬৮-৬৯; কুরতুবী, তাফসীর ১৬/১২৬; আবু হাইয়্যান, আল-বাহর আল-মুহীত ৮/৩২-৩৩; ইবনু কাছীর, তাফসীর ৪/১৪০; সুয়ূতী, আদদুররুল মানসূর ৫/৭৩৮-৭৪২; আবুস সু’উদ, তাফসীর-ই-আবিস সু’উদ ৮/৫৮; শাওকানী, ফাতহুল ক্বাদীর ৪/৫৭০-৫৭২; আলুসী, রূহুল মা’আনী ১৩/১১০; থানবী, তাফসীর-ই আশরাফী ৫/৬১৫-৬১৬; শানক্বীতী, মুহাম্মদ আমীন, আদওয়া আল- বায়ান ৭/৩১৯; সাবুনী, মুহাম্মদ আলী, সাফওয়াতুত তাফাসীর ৩/১৭০-১৭১; মুফতী শফী, মা’আরেফ আল-কুরআন ৭/৮৩৫-৮৩৬। [9] ইবনুল কাইয়িম, নাক্বদুল মানকুল ১/৮৫। [10] মোল্লা আলী ক্বারী, মিরক্বাতুল মাফাতীহ ৩/৩৮৮। [11] ইবনুল জাওযী, আল-মাওদু‘আত ২/৪৯-৫০; সুয়ুতী, আল-লাআলী, ২/৫৭-৫৮; ইবনু আর্রাক, তানযীহ, ২/৯২-৯৩; মোল্লা ক্বারী, আল-আসরার, পৃ- ৩৩০-৩৩১; আল মাসনু’, পৃ- ২০৮-২০৯; শাওকানী, আল ফাওয়ায়েদ ১/৭৫-৭৬। [12] ইবনুল জাওযী, আল-মাউদূ‘আত, ২/৫০-৫১; ইবনু হাজার, লিসানুল মীযান ৫/২৭১; সুয়ূতী, আল লাআলী, ২/৫৯; ফাকিহানী, মুহাম্মদ বিন ইসহাক্ব, আখবারু মাক্কাহ ৩/৮৬-৮৭। [13] ইবনুল জাওযী, আল-মাউদূ ‘আত, ২/৫১; সুয়ূতী, আল-লাআলী, ২/৫৯। [14] আব্দুল হাই লাখনবী, আল-আসার আল-মারফুআ, পৃ- ১১৩-১১৪। [15] যাহাবী, মীযানুল ই’তিদাল, ৬/১৬৮-১৬৯। [16] বায়হাকী, শুআবুল ঈমান, ৩/৩৮৬ – ৩৮৭, হাদীস নং – ৩৮৪১। [17] ইবনুল জাওযী, আল-মাউদূআত, ২/৫২; সুয়ূতী, আল-লাআলী, ২/৫৯-৬০। [18] ইবনুল জাওযী, আল-মাউদূআত, ২/৫২; সুয়ূতী, আল-লাআলী, ২/৫৯। [19] মোল্লা ‘আলী ক্বারী, আল-আসরার, পৃ- ৩৩০-৩৩১; ইবনুল কাইয়িম, আল-মানার আল-মুনীফ, পৃ- ৮৯-৯৯। [20] মোল্লা আলী ক্বারী, আল মাসনূ’, পৃষ্ঠা- ২০৮-২০৯। [21] আজলুনী, কাশফুল খাফা, ২/৫৫৪-৫৫৫। [22] শাওকানী, আল-ফাওয়ায়িদ ১/৭৬।
    Habibullah Reza
  • Sogood Islam Syeds
    5/23, 12:40am

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত নিয়ে মুফতি জসীমুদ্দিন রাহমানীর লেখা –

    https://www.mediafire.com/download/jaw5z7b6eb3fqua

    16.Shob-e-borat.pdf
    MediaFire is a simple to use free service that lets you put all your photos, documents, music, and video in a single place so you can access them anywhere and share them everywhere.
    mediafire.com
  • Sogood Islam Syeds
    5/23, 3:08am

    Sogood Islam Syeds

    >>>শবে-ই-বরাত Logic Level :যে পরিমাণ খাজনা,বাজনার আয়োজন নফল নামাজকে কেন্দ্র করে,সেই পরিমাণ অায়োজন যদি সতেরো রাকআত ফরজ নামাজ সুন্দর করার জন্য হতো কতইনা ভালো হতো। —– Mango Level:এত বড় পাগড়িওয়ালা হুজুর কি ভুল কইতে পারে?বুইজ্জা ফালাইছি আপনি ওয়াহাবী,জামাতী।আংগর হুজুর ডবল টাইটেল পাস,খালি মাজারে বইয়া ট্যাহা গুণে,লাইট বন্ধ করে জিকির করে আর বইয়া বইয়া আগরবাতি পাহারা দেয়।বুইজ্জুন,মিয়া।
    হিজল পাতা
  • Sogood Islam Syeds
    5/23, 3:46am

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত সম্পর্কে মানুষকে সতর্ক করার দায়িত্ব উলামায়ে কিরামের ইসলাম ধর্মে যতগুলো বিদ‘আত চালু হয়েছে তা কিন্তু সাধারণ মানুষ বা কাফির মুশরিকদের মাধ্যমে প্রসার ঘটেনি। উহার প্রসারের জন্য দায়ী যেমন এক শ্রেণীর উলামা, তেমনি উলামায়ে কিরামই যুগে যুগে বিদ‘আতের বিরুদ্ধে সংগ্রাম করেছেন, নির্যাতন সহ্য করেছেন, দেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন, জেল-যুল্ ম বরদাশত করেছেন। তাই বিদ‘আত যে নামেই প্রতিষ্ঠা লাভ করুক না কেন উহার বিরুদ্ধে লড়াই-সংগ্রাম করতে হবে আলেমদেরকেই। তারা যদি এটা না করে কারো অন্ধ অনুসরণ বা অনুকরণ করেন, বিভ্রানি- ছড়ান বা কোন বিদ‘আতী কাজ-কর্ম প্রসারে ভূমিকা রাখেন, তাহলে এ জন্য তাদেরকে আল্লাহর সম্মুখে জবাবদিহি করতে হবে। যে দিন বলা হবেঃ ﻭَﻳَﻮْﻡَ ﻳُﻨَﺎﺩِﻳﻬِﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﺎﺫَﺍ ﺃَﺟَﺒْﺘُﻢُ ﺍﻟْﻤُﺮْﺳَﻠِﻴﻦَ . ( ﺍﻟﻘﺼﺺ :৬৫) অর্থঃ আর সে দিন আল্লাহ তাদেরকে ডেকে জিজ্ঞেস করবেন, তোমরা রাসূলদের আহ্বানে কিভাবে সাড়া দিয়েছিলে? (সূরা কাসাস, ৬৫) সেদিন তো এ প্রশ্ন করা হবে না যে, তোমরা অমুক পীরের মত অনুযায়ী বা অমুক ইমামের মত অনুযায়ী ‘আমল করেছিলে কিনা। যারা সহীহ সুন্নাহ মত ‘আমল করবে তারাই সেদিন সফলকাম হবে। একটি বিভ্রান্তির নিরসন ১৫ শাবানে দিনের সিয়াম ও রাতের ইবাদাত-বন্দেগী, কুরআন তেলাওয়াত, নফল স্বলাত, কান্নাকাটি, দু‘আ-মুনাজাত, কবর যিয়ারাত, দান-সাদকাহ, ওয়াজ- নাসীহাত প্রভৃতি নেক ‘আমল গুরুত্বসহকারে পালন করাকে যখন কুরআন ও হাদীস সম্মত নয় বলে আলোচনা করা হয় তখন সাধারণ ধর্ম-প্রাণ ভাই- বোনদের পক্ষ থেকে একটি প্রশ্ন আসে যে, জনাব! আপনি শবে বরাতে উল্লিখিত ইবাদাত-বন্দেগীকে বিদ‘আত বা কুরআন ও সুন্নাহ সম্মত নয় বলেছেন, কিন্তু সওম রাখা সওয়াবের কাজ ও রুটি তৈরী করে গরীব দুঃখীকে দান করা ভাল কাজ নয় কি? আমরা কান্নাকাটি করে আল্লাহর কাছে কিছু চাইলে দোষের কি? সুপ্রিয় পাঠকবৃন্দ! নিঃসন্দেহে আল্লাহ তা‘আলার সন’ষ্টি অর্জনের জন্য দ‘ুআ-মুনাজাত, স্বলাত, সিয়াম, দান-ছাদাকাহ, কুরআন তিলাওয়াত, রাত্রি জাগরণ হল নেক ‘আমল। এতে কারও দ্বি-মত নেই। আমরা কখনো এগুলিকে বিদ‘আত বলি না। যা বিদ‘আত বলি এবং যে সম্পর্কে উম্মাহকে সতর্ক করতে চাই তা হল এ রাতকে শবে বরাত বা সৌভাগ্য রজনী অথবা মুক্তি রজনী মনে করে বিভিন্ন প্রকার ‘আমল ও ইবাদাত বন্দেগীর মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করা। এটা কুরআন ও সুন্নাহ পরিপন’ী। এটাই ধর্মে বাড়াবাড়ি। যা ধর্মে নেই তা উদযাপন করা ও প্রচলন করার নাম বিদ‘আত। নবী কারীম সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর নবুওয়াতের তেইশ বছরের জীবনে কখনো তার সাহাবীগণকে সাথে নিয়ে মক্কায় মাসজিদুল হারামে অথবা মদীনায় মাসজিদে নবুবীতে কিংবা অন্য কোন মাসজিদে একত্র হয়ে উল্লিখিত ইবাদাত-বন্দেগীসমূহ করেছেন এমন কোন বর্ণনা পাওয়া যায় না। তাঁর ইন্তেকালের পরে তাঁর সাহাবায়ে কিরাম (রাঃ) তথা খুলাফায়ে রাশেদীনের যুগে কেহ জানতো না শবে বরাত কি এবং এতে কি করতে হয়। তারা নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের ‘আমল প্রত্যক্ষ করেছেন। আমাদের চেয়ে উত্তম রূপে কুরআন অধ্যয়ন করেছেন। তারা তাতে শবে বরাত সম্পর্কে কোন দিক-নির্দেশনা পেলেন না। তারা তাদের জীবন কাটালেন আল্লাহর নবী সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের সঙ্গে, অথচ জীবনের একটি বারও তাঁর কাছ থেকে শবে বরাত বা মুক্তির রজনীর ছবক পেলেন না? যা পালন করতে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলে যাননি, যা কুরআনে নেই, রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লামের তা’লীমে নেই, সাহাবীগণের ‘আমলে নেই, তাদের সোনালী যুগের বহু বছর পরে প্রচলন করা শবে বরাতকে আমরা বিদ‘আত বলতে চাই। আমরা বলতে চাই, এটা একটা মনগড়া পর্ব। আমরা মানুষকে বুঝাতে চাই, এই সব প্রচলিত ও বানোয়াট মুক্তির রজনী উদযাপন থেকে দূরে থাকতে হবে। আমরা উম্মতকে কুরআন ও সুন্নাহমুখী করতে এবং সেই অনুযায়ী আমল করাতে অভ্যাস করতে চাই।
    Habibullah Reza
  • May 24
  • Sogood Islam Syeds
    5/24, 12:59am

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্ন : ওমর (রাঃ)-এর খেলাফতকালে জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর কবরের নিকটে এসে বলেছিলেন, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! আপনি আল্লাহর কাছে আপনার উম্মতের জন্য পানি প্রার্থনা করুন। তারা তো ধ্বংস হয়ে গেল’- এ ঘটনার সত্যতা আছে কি? উত্তর : আছারটি বিভিন্ন গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। যেমন মালেকুদ্দার বলেন, ওমর (রাঃ)-এর যুগে লোকেরা দুর্ভিক্ষে পতিত হ’ল। তখন জনৈক ব্যক্তি রাসূল (ছাঃ)-এর কবরের নিকটে এলো এবং বলল, হে আল্লাহর রাসূল! আপনার উম্মতের জন্য পানি প্রার্থনা করুন। কারণ তারা ধ্বংস হয়ে গেল। অতঃপর আল্লাহর রাসূল স্বপ্নে ঐ ব্যক্তির নিকটে এলেন এবং তাকে বলা হ’ল, ‘তুমি ওমরের নিকটে যাও ও তাকে আমার সালাম বল। তাকে খবর দাও যে, তোমরা পানি প্রার্থী। আর তাকে বল, তুমি সাধ্যমত জনগণের সেবা কর। অতঃপর ঐ ব্যক্তি ওমরের নিকটে এল এবং তাকে এ খবর দিল। তখন ওমর (রাঃ) ক্রন্দন করলেন এবং বললেন, হে আমার প্রতিপালক আমি সাধ্যমত চেষ্টা করব’ (ইবনু আবী শায়বাহ হা/৩২০০২, ইবনু কাছীর, আল-বিদায়াহ ৩/৫৬; বুখারী, তারীখুল কাবীর ৭/৩০৪)। আছারটির সনদ যঈফ, যা থেকে দলীল গ্রহণ করা যায় না। কারণ (১) ঘটনাটি সঠিক নয়। (২) রাবী মালেকুদ্দার ন্যায়পরায়ণতা এবং স্মৃতিশক্তির ব্যাপারে অপরিচিত। যা মুহাদ্দেছীনের নিকট গ্রহণযোগ্য নয় (৩) এটি শরী‘আতের বিরোধী। কেননা দুর্ভিক্ষের জন্য শরী‘আতে ইস্তিসক্বার ছালাত আদায়ের বিধান রয়েছে। স্বয়ং ওমর (রাঃ) ইস্তিসক্বার ছালাত আদায় করেছেন এবং আববাস (রাঃ)-এর অসীলায় আল্লাহর নিকটে বৃষ্টি প্রার্থনা করেছেন (বুখারী হা/১০১০; মিশকাত হা/১৫০৯)। (৪) ছাহাবায়ে কেরামের কারু থেকে এমন কোন আমল পাওয়া যায় না যে তারা দুর্ভিক্ষের সময় রাসূল (ছাঃ)-এর কবরে গিয়েছেন এবং তাঁর নিকটে বৃষ্টি প্রার্থনা করেছেন। যদি এটি শরী‘আতসম্মত হ’ত, তাহ’লে খলীফা হিসাবে ওমর (রাঃ) নিজেই সর্বাগ্রে কবরের নিকটে যেতেন এবং রাসূল (ছাঃ) সরাসরি তাঁকেই স্বপ্ন দেখাতেন। (৫) সর্বোপরি এটি কুরআনের আয়াতের বিরোধী। যেখানে আল্লাহ তাঁর রাসূলকে বলেন, তুমি কোন কবরবাসীকে শুনাতে পারো না’ (নমল ২৭/৮০. ফাত্বির ৩৫/২২)। মূলতঃ কবরপূজারীদের স্বার্থের অনুকূলে হওয়ায় তারা ভিত্তিহীন এই কাহিনীটিকে বিশুদ্ধ প্রমাণের জন্য গলদঘর্ম হয়ে থাকে। (বিস্তারিত আলোচনা দ্রঃ নাছিরুদ্দীন আলবানী, আত-তাওয়াস্সুল পৃঃ ১২০-২৪)।
    Abdullah Rumi
  • Sogood Islam Syeds
    5/24, 1:09am

    Sogood Islam Syeds

    দুইটি ভুল ধারণা দূর হওয়া দরকারঃ (১) শুধুমাত্র শাবানের ১৫ তারিখ রাতে নয়, আল্লাহ তাআ’লা সারা বছর ধরে সপ্তাহের প্রতি সোম ও বৃহস্পতিবারে বান্দার গুনাহ মাফ করেনঃ আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেছেন, “নাবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখতেন। একদিন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হলো, হে আল্লাহর রসূল! আপনি সোমবার ও বৃহস্পতিবার রোযা রাখেন কেনো? তিনি বললেন, “আল্লাহ তাআ’লা সোমবার ও বৃহস্পতিবার এ দুইদিন প্রত্যেক মুসলমানের গুনাহ ক্ষমা করেন। কিন্তু পরস্পর সম্পর্ক ছিন্নকারী সম্পর্কে (আল্লাহ বলেন): এদেরকে ছেড়ে দাও, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা নিজেদের মধ্যে সমঝোতা স্থাপন করে।” সুনানে ইবনে মাজাহঃ ১৭৪০, শায়খ আলবানী রাহিমাহুল্লাহ বলেনঃ “হাদীসটি সহীহ।” সহীহ আত-তারগীবঃ ১০২৮। (২) শুধুমাত্র শাবানের ১৫ তারিখ রাতে নয়, আল্লাহ তাআ’লা সারা বছর ধরে প্রতি রাতেই নিকটবর্তী আকাশে অবতরণ করে বান্দাদেরকে আহবান করেনঃ আবু হুরাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আ’নহু থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “মহামহিম আল্লাহ তাআ’লা প্রতি রাতের শেষ তৃতীয়াংশ অবশিষ্ট থাকাকালে পৃথিবীর নিকটবর্তী আসমানে অবতরন করে ঘোষণা করতে থাকেন, “কে আছে এমন, যে আমাকে ডাকবে? আমি তার ডাকে সাড়া দিব। কে আছে এমন, যে আমার নিকট চাইবে? আমি তাকে তা দিব। কে আছে এমন, যে আমার নিকট ক্ষমা চাইবে? আমি তাকে ক্ষমা করব।” সহীহ বুখারীঃ ১১৪৫, সহীহ মুসলিমঃ ৭৫৮, আহমাদঃ ৭৫৯৫ আবু দাউদঃ ১৩১৫, তিরমিযিঃ ৪৪৬, মুওয়াত্তা মালিকঃ ৩০, মিশকাতঃ ১২২৩।
    তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
  • May 24
  • Sogood Islam Syeds
    5/24, 11:57am

    Sogood Islam Syeds

    মানুষের উপর কি বদ নজর লাগে? _____________________________ বদ নজরের প্রভাব সত্য। আল্লাহ বলেনঃ )وَإِنْ يَكَادُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَارِهِمْ( “কাফেরেরা তাদের দৃষ্টির মাধ্যমে আপনাকে আছাড় দিয়ে ফেলে দিতে চায়।” (সূরা আল-কলমঃ ৫১) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ الْعَيْنُ حَقٌّ وَلَوْ كَانَ شَيْءٌ سَابَقَ الْقَدَرَ سَبَقَتْهُ الْعَيْنُ وَإِذَا اسْتُغْسِلْتُمْ فَاغْسِلُوا “বদ নজরের প্রভাব সত্য। কোন জিনিষ যদি তাকদীরকে অতিক্রম করতে পারত, তাহলে বদ নজর তাকে অতিক্রম করত। তোমাদেরকে গোসল করতে বলা হলে তোমরা গোসল করবে এবং গোসলে ব্যবহৃত পানি দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করবে।” নাসাঈ এবং ইবনে মাজাহ্‌ শরীফে বর্ণিত আছে যে, একদা আমের ইবনে রাবীয়া সাহল ইবনে হুনাইফের কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন। সাহল ইবনে হুনাইফ (রাঃ) তখন গোসল করতে ছিলেন। আমের ইবনে রাবীয়া সাহলকে দেখে বলল, আমি আজকের মত লুকায়িত সুন্দর চামড়া আর কখনো দেখিনি। এ কথা বলার কিছুক্ষণ পর সাহ্‌ল অসুস্থ হয়ে পড়ে গেল। তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে নিয়ে এসে বলা হল, সাহ্‌ল বদ নজরে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বললেন, তোমরা কাকে সন্দেহ করছ? তারা বলল, আমের ইবনে রাবীয়াকে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেন তোমাদের কেউ তার ভাইকে হত্যা করতে চায়। কেউ যদি কারো মধ্যে ভাল কিছু দেখে, তাহলে সে যেন তার জন্য ভাই এর কল্যাণ কামনা করে এবং দু’আ করে। অতঃপর তিনি পানি আনতে বললেন এবং আমেরকে অযু করতে বললেন। অযুতে মুখমন্ডল, কনুই সহ উভয় হাত এবং হাটু পর্যন্ত এমনকি লুঙ্গীর নীচ পর্যন্ত ধৌত করে সাহলের শরীরে ঢালতে বললেন। কোন বর্ণনায় পাওয়া যায় পানির পাত্র যেন পেছন থেকে ঢালে। এটি বাস্তব ঘটনা, যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বদ নজরে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা হলঃ (১) হাদীছে বর্ণিত দু’আগুলো পাঠ করে আক্রান্ত রোগীর উপর ঝাড়-ফুঁক করতে হবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ لَا رُقْيَةَ إِلَّا مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ “বদ নজর এবং বিচ্ছুর বিষ নামানোর ঝাঁড়-ফুঁক ব্যতীত কোন ঝাড়-ফুঁক নেই।” জিবরীল (আঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এই দু’আর মাধ্যমে ঝাড়তেন, بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ “আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি প্রতিটি এমন জিনিষ হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয় এবং প্রত্যেক জীবের অমঙ্গল হতে ও হিংসুকের বদ নজর হতে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি।” (২) যার বদ নজর লাগছে বলে সন্দেহ করা হয়, তাকে গোসল করিয়ে গোসলের পানি রোগীর শরীরে ঢালতে হবে। যেমনভাবে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমের বিন রাবীয়াকে গোসল করতে বলেছিলেন। সন্দেহ যুক্ত ব্যক্তির পেশাব-পায়খানা বা অন্য কোন কিছু দিয়ে চিকিৎসা করার কোন দলীল নেই। অনুরূপভাবে তার উচ্ছিষ্ট বা অযুর পানি ইত্যাদি ব্যবহার করাও ভিত্তিহীন। হাদীছে যা পাওয়া যায় তা হল তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং লুঙ্গির নিচের অংশ ধৌত করা এবং সম্ভবতঃ মাথার টুপি, পাগড়ী বা পরিধেয় কাপড়ের নিচের অংশ ধৌত করা এবং তা ব্যবহার করাও বৈধতার অন্তর্ভুক্ত হবে। বদ নজর লাগার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়াতে কোন দোষ নেই। এটা আল্লাহর উপর ভরসা করার পরিপন্থীও নয়। কারণ আল্লাহর উপর পরিপূর্ণভাবে ভরসার স্বরূপ হল বান্দা বৈধ উপকরণ অবলম্বন করে বদনজর ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং সেই সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান্তহুসাইন (রাঃ)কে এই বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেনঃ أُعِيْذُكُماَ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ “আমি আল্লাহর কাছে তাঁর পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান এবং বিষধর বস্ত ও কষ্ট দায়ক নযর হতে তোমাদের জন্য আশ্রয় চাচ্ছি।” নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইবরাহীম (আঃ) তাঁর পুত্র ইসহাক এবং ইসমাঈল (আঃ)কে এই দু’আর মাধ্যমে ঝাড়-ফুক করতেন।
    Wahidul Islam Salafi
  • Sogood Islam Syeds
    5/24, 12:15pm

    Sogood Islam Syeds

    মানুষের উপর কি বদ নজর লাগে? _____________________________ বদ নজরের প্রভাব সত্য। আল্লাহ বলেনঃ )وَإِنْ يَكَادُ الَّذِينَ كَفَرُوا لَيُزْلِقُونَكَ بِأَبْصَارِهِمْ( “কাফেরেরা তাদের দৃষ্টির মাধ্যমে আপনাকে আছাড় দিয়ে ফেলে দিতে চায়।” (সূরা আল-কলমঃ ৫১) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ الْعَيْنُ حَقٌّ وَلَوْ كَانَ شَيْءٌ سَابَقَ الْقَدَرَ سَبَقَتْهُ الْعَيْنُ وَإِذَا اسْتُغْسِلْتُمْ فَاغْسِلُوا “বদ নজরের প্রভাব সত্য। কোন জিনিষ যদি তাকদীরকে অতিক্রম করতে পারত, তাহলে বদ নজর তাকে অতিক্রম করত। তোমাদেরকে গোসল করতে বলা হলে তোমরা গোসল করবে এবং গোসলে ব্যবহৃত পানি দিয়ে রোগীর চিকিৎসা করবে।” নাসাঈ এবং ইবনে মাজাহ্‌ শরীফে বর্ণিত আছে যে, একদা আমের ইবনে রাবীয়া সাহল ইবনে হুনাইফের কাছ দিয়ে অতিক্রম করলেন। সাহল ইবনে হুনাইফ (রাঃ) তখন গোসল করতে ছিলেন। আমের ইবনে রাবীয়া সাহলকে দেখে বলল, আমি আজকের মত লুকায়িত সুন্দর চামড়া আর কখনো দেখিনি। এ কথা বলার কিছুক্ষণ পর সাহ্‌ল অসুস্থ হয়ে পড়ে গেল। তাকে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর কাছে নিয়ে এসে বলা হল, সাহ্‌ল বদ নজরে আক্রান্ত হয়েছেন। তিনি বললেন, তোমরা কাকে সন্দেহ করছ? তারা বলল, আমের ইবনে রাবীয়াকে। তখন নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন, কেন তোমাদের কেউ তার ভাইকে হত্যা করতে চায়। কেউ যদি কারো মধ্যে ভাল কিছু দেখে, তাহলে সে যেন তার জন্য ভাই এর কল্যাণ কামনা করে এবং দু’আ করে। অতঃপর তিনি পানি আনতে বললেন এবং আমেরকে অযু করতে বললেন। অযুতে মুখমন্ডল, কনুই সহ উভয় হাত এবং হাটু পর্যন্ত এমনকি লুঙ্গীর নীচ পর্যন্ত ধৌত করে সাহলের শরীরে ঢালতে বললেন। কোন বর্ণনায় পাওয়া যায় পানির পাত্র যেন পেছন থেকে ঢালে। এটি বাস্তব ঘটনা, যা অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। বদ নজরে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসা হলঃ (১) হাদীছে বর্ণিত দু’আগুলো পাঠ করে আক্রান্ত রোগীর উপর ঝাড়-ফুঁক করতে হবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেনঃ لَا رُقْيَةَ إِلَّا مِنْ عَيْنٍ أَوْ حُمَةٍ “বদ নজর এবং বিচ্ছুর বিষ নামানোর ঝাঁড়-ফুঁক ব্যতীত কোন ঝাড়-ফুঁক নেই।” জিবরীল (আঃ) নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)কে এই দু’আর মাধ্যমে ঝাড়তেন, بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ مِنْ كُلِّ شَيْءٍ يُؤْذِيكَ مِنْ شَرِّ كُلِّ نَفْسٍ أَوْ عَيْنِ حَاسِدٍ اللَّهُ يَشْفِيكَ بِاسْمِ اللَّهِ أَرْقِيكَ “আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি প্রতিটি এমন জিনিষ হতে, যা আপনাকে কষ্ট দেয় এবং প্রত্যেক জীবের অমঙ্গল হতে ও হিংসুকের বদ নজর হতে আল্লাহ আপনাকে আরোগ্য দান করুন। আমি আপনাকে আল্লাহর নামে ঝাড়-ফুঁক করছি।” (২) যার বদ নজর লাগছে বলে সন্দেহ করা হয়, তাকে গোসল করিয়ে গোসলের পানি রোগীর শরীরে ঢালতে হবে। যেমনভাবে নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমের বিন রাবীয়াকে গোসল করতে বলেছিলেন। সন্দেহ যুক্ত ব্যক্তির পেশাব-পায়খানা বা অন্য কোন কিছু দিয়ে চিকিৎসা করার কোন দলীল নেই। অনুরূপভাবে তার উচ্ছিষ্ট বা অযুর পানি ইত্যাদি ব্যবহার করাও ভিত্তিহীন। হাদীছে যা পাওয়া যায় তা হল তার অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ এবং লুঙ্গির নিচের অংশ ধৌত করা এবং সম্ভবতঃ মাথার টুপি, পাগড়ী বা পরিধেয় কাপড়ের নিচের অংশ ধৌত করা এবং তা ব্যবহার করাও বৈধতার অন্তর্ভুক্ত হবে। বদ নজর লাগার আগেই সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়াতে কোন দোষ নেই। এটা আল্লাহর উপর ভরসা করার পরিপন্থীও নয়। কারণ আল্লাহর উপর পরিপূর্ণভাবে ভরসার স্বরূপ হল বান্দা বৈধ উপকরণ অবলম্বন করে বদনজর ইত্যাদি থেকে বেঁচে থাকার চেষ্টা করবে এবং সেই সাথে আল্লাহর উপর ভরসা করবে। নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হাসান্তহুসাইন (রাঃ)কে এই বাক্যগুলো দিয়ে ঝাড়-ফুঁক করতেনঃ أُعِيْذُكُماَ بِكَلِمَاتِ اللَّهِ التَّامَّةِ مِنْ كُلِّ شَيْطَانٍ وَهَامَّةٍ وَمِنْ كُلِّ عَيْنٍ لَامَّةٍ “আমি আল্লাহর কাছে তাঁর পরিপূর্ণ বাক্যের মাধ্যমে প্রতিটি শয়তান এবং বিষধর বস্ত ও কষ্ট দায়ক নযর হতে তোমাদের জন্য আশ্রয় চাচ্ছি।” নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, ইবরাহীম (আঃ) তাঁর পুত্র ইসহাক এবং ইসমাঈল (আঃ)কে এই দু’আর মাধ্যমে ঝাড়-ফুক করতেন।
    Wahidul Islam Salafi
  • Sogood Islam Syeds
    5/24, 12:31pm

    Sogood Islam Syeds

    নিসফে শা’বান (শবে বরাত) সংক্রান্ত হাদীস কি ছহীহ?-By-Mufti Kazi Ibrahim
    নিসফে শা’বান (শবে বরাত) সংক্রান্ত হাদীস কি ছহীহ?-By-Mufti Kazi Ibrahim
    youtube.com
  • Sogood Islam Syeds
    5/24, 12:34pm

    Sogood Islam Syeds

    জামাত-শিবিরের কিছু গোপন কথাঃ- আবুল আলা মওদূদী ১৯০৩ খৃষ্টাব্দে ভারতের অন্ধর প্রদেশে জণ্ম গ্রহন করেন, তিনি কোন মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেননি, তাই ইসলাম সম্পর্কে তাঁর জানাশুনা খুবই স্বল্প ছিল। কিন্তুু তিনি লিখতেন বেশী, তাই তার দ্বারা ইসলামের অনেক অপব্যাখ্যা ও ফেতনা ছড়িয়েছে। তিনি নিজে নিজে যা বুঝতেন সেই মতই কুরআনের ব্যাখ্যা করতেন, অথচ কুরআনের ব্যাখ্যা হবে হাদীস দ্বারা, যা তার জন্মের তেরশত বছর পূর্বে রাসূল (সঃ) অহীর মাধ্যমে করে গিয়েছেন এবং স্বয়ং আল্লাহ নবীর যুগেই ইসলাম পরিপূর্ণ করেছেন বলে ঘোষনা দিয়েছেন।(সূরা মায়িদাঃ৩) কেননা এটা নবীরই দায়িত্ব ছিলো। তাই নবীর মৃত্যর শত শত বছর পরে মওদূদীর কুরআনের মনমতো ব্যাখ্যা করার অর্থ দ্বারায় তাঁর উপর নতুন করে ওহী নাযিল হয়েছে। (নাউযুবিল্লাহ) তিনি সূরা শুরার ১৩ নং আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেন, আক্বিমুদ্দিন বা দ্বীন কায়েমের আর্থ হলো যেভাবেই হোক আগে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করা একে আক্বিমুদ্দিন বা দ্বীন কায়েম বলে।(তাহফীমুল কুরআন, আধুনিক প্রকাশনী, ১ম খন্ড ৬০-৬১পৃষ্ঠা) অথচ নবী (সঃ) অহী দ্বারা এই আয়াতের ব্যাখ্যা দিয়েছেন তিনি বলেন, দ্বীন কায়েম মানে ধর্ম পালন করা, আল্লাহ যখন কোন নবীকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দিয়েছেন তখন তারা রাষ্ট্রেও দ্বীন কায়েম করেছেন, আর যেসকল নবীকে রাষ্ট্র ক্ষমতা দেননি তারা ব্যাক্তি জীবনে দ্বীন কায়েম করেছেন এবং মানুষকে সেপথে ডেকেছেন। এটিই ছিল নবীদের দ্বীন কায়েম বরং অধিকাংশ নবীকে আল্লাহ রাষ্ট্র ক্ষমতা দেননি। দ্বীন অর্থ রাষ্ট্র নয় ধর্ম।(তাফসিরে কুরতুবী ১৬ খন্ড ১০-১১পৃষ্ঠা) মওদূদী তাঁর বইয়ে লিখেছেন, রাষ্ট্র দখল করাই হলো ইসলামের মূল কাজ। (মিনহাজুস সুন্নাহ ১খন্ড ২৮ পৃষ্ঠা) তাই তিনি রাষ্ট্র দখলের আশায় গণতন্ত্রের সাথে যুক্ত হয়েছেন যা স্পস্ট শিরক।(সূরাঃ বাকারাহ ২৫৬, সূরা নাহল ৩৬) অথচ বহুযুগ আগে ইবনে তাইমিয়া বলে গেছেন, রাষ্ট্র দখলই ইসলামের মূল কাজ মনে করা কুফরী কেননা ইসলামের মূল কাজ হলো তাওহীদ বা আল্লাহর একত্ববাদের উপর দৃঢ় থাকা।( মুখতাসার ২খন্ড ২৮পৃষ্ঠা) মওদূদী সূরা তোহার ৬ নং আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন, আল্লাহর আরশ মানে ক্ষমতা।( তাহফীমুল কুরআন, আধুনিক প্রকাশনী ৮ম খন্ড ৩৯পৃষ্ঠা) অথচ স্বয়ং আল্লাহ বলেন, আরশ হলো আমার সমাসিন হওয়ার স্খান।(সূরা তোহাঃ ৫) সূরা ফাতিহার ৬ নং আয়াতেন ব্যাখ্যায় বলেন, সিরাতুল মুসতাকিম মানে রাজনিতীর পথ। (তাহফীমুল কুরআন, আধুনিক প্রকাশনী ১ খন্ড ৪৩পৃষ্ঠা) অথচ রাসূল (সঃ) বলেছেন সিরাতুল মুসতাকিম মানে ইসলামেন পথ।(তাফসীরে তাবারী ১ম খন্ড ১৭৩ পৃষ্ঠা) মওদূদী বলেন, নামাজ রোজা ইবাদাত নয়, ক্ষমতা দখলের ট্রেনিং মাত্র। (তাফহীমাত, উর্দূ ১ম খন্ড ৬৯পৃষ্ঠা) রাসূল (সঃ) বলেন নামাজ সর্বোত্তম ইবাদাত।( ছহীহ বূখারী)। মওদূদী বলেন, হাদীস মানা জরুরী নয়।( তাফহীমাত, দিল্লি ছাপা-১৯৭৯ সাল, ১ম খন্ড ৩৫৬ পৃষ্ঠা) অথচ আল্লাহ বলেন, হাদীছও অহী তা মানতেই হবে তা অস্বিকার কারী মুসলিম থাকবেনা।( সূরাঃ নাজম৪-৫, সূরাঃ নাহল ৪৩) এই মওদূরী তাঁর নিজস্ব মিশন বাস্তবায়ন করতে ১৯৪১ সালের ২৬ শে আগস্ট জামাতে ইসলামি নামে একটি দল তৈরী করে।আল্লাহ এদের থেকে আমাদের ঈমান রক্ষা করুন। আমিন।
    Tazul Islam Shaheb
  • Sogood Islam Syeds
    5/24, 12:40pm

    Sogood Islam Syeds

    সুরাহ মুলক তেলাওয়াত করার ফযীলতঃ প্রতিদিন সুরাহ মুলক তেলাওয়াত করা গুরুত্বপূর্ণ একটি সুন্নত। অনেকে মনে করেন, সুরাহ মুলক শুধুমাত্র রাতের বেলাতেই পড়তে হবে, এটা ঠিক নয়। সুরাহ মুলক কেউ রাতের বেলা পড়লে সেটা উত্তম, তবে সুবিধামতো সময়ে দিনে বা রাতে, যেকোনো সময়েই তা পড়া যাবে। এই সুরার ফযীলত পাওয়ার জন্য হাদীসে যা বোঝানো হয়েছে হয়েছে তা হচ্ছে, এই সুরার দিকে বিশেষভাবে খেয়াল রাখা, সুরাটি মুখস্থ করা, এর অর্থ বোঝা এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সুরাটি নিয়মতি পড়া। সুরাটি মুখস্থ করে সালাতে পড়তে পারেল ভালো। তবে মুখস্থ না থাকলে, সালাতের বাইরে দেখে দেখে পড়লেও এই সুরার পূর্ণ ফযীলত পাওয়া যাবে। নাবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম প্রতিদিন সুরা মুলক পড়তেনঃ জাবির রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত। “নাবী সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম সুরাহ ‘আলিফ লাম মীম তানজিলুল কিতাব’ (সুরাহ আস-সাজদা) ও ‘তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু’ (সুরা মুলক) না পড়ে ঘুমাতেন না।” হাদীসটি সহীহঃ তিরমিযী ২৮৯২, মুসনাদে আহমাদ ১৪৬৫৯, সুনানে দারেমি। তাহক্বীকঃ শায়খ শুয়া’ইব আরনাউত্ব বলেন, হাদীসটি সহীহ। শায়খ আহমাদ শাকির বলেন (হা/১৪৫৯৪) এর সানাদ সহীহ। বুখারীর ‘আদাবুল মুফরাদ’ নাসায়ীর ‘আমালুল ইয়াওমি ওয়াল লাইলাহ’, সিলসিলাহ সহীহাহ হা/৫৮৫, শায়খ আলবানী বলেনঃ হাদীসটি সহীহ। সুরাহ মুলক নিয়মিত পাঠ করলে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেঃ আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহ আনহু থেকে বর্ণিত। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “সুরাহ মুলক (তিলাওয়াতকারীকে) কবরের আজাব থেকে প্রতিরোধকারী।” হাদীসটি হাসান সহীহঃ হাকিমঃ ৩৮৩৯, তাবাকাতে আসবাহানিয়্যিনঃ ২৬৪। ইমাম হাকিম ও ইমাম যাহাবী হাদীসটির সনদকে সহীহ বলেছেন। শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ, সিলসিলাতুল আহাদীস সহীহাহঃ ১১৪০। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহ আনহু বলেন, “যে ব্যক্তি প্রত্যেক রাতে ‘তাবারাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলকু’ (সুরাহ মুলক) পাঠ করবে এর মাধ্যমে মহীয়ান আল্লাহ তাকে কবরের আজাব থেকে রক্ষা করবেন। সাহাবায়ি কিরাম বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম এর যামানায় এই সুরাটিকে আমরা ‘কবরের আজাব থেকে রক্ষাকারী আল-মানিআ’হ’ বা সুরক্ষাকারী বলতাম। সুরাহ মুলক মহান আল্লাহর কিতাবের এমন একটি সুরাহ, যে ব্যক্তি প্রতি রাতেই এই সুরাটি পাঠ করে সে অধিক করলো এবং অতি উত্তম কাজ করলো।” হাদীসটি হাসান সহীহঃ সুনানে আন-নাসায়ী ৬/১৭৯। শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি হাসান সহীহ, সহীহ আত-তারগীব ওয়াল তারহীব ১৪৭৫, ইমাম হাকিম ও ইমাম যাহাবী হাদীসটির সনদকে সহীহ বলেছেন সুরাহ মুলক পাঠ করলে কিয়ামতের দিন সুপারিশ করে জান্নাতে নিয়ে যাবেঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আ’লাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “কুরআনে ত্রিশ আয়াত বিশিষ্ট এমন একটি সুরাহ আছে, যা তার পাঠকারীর জন্য সুপারিশ করবে এবং শেষা পর্যন্ত তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হবে। আর সেটা হলো ‘তাবা-রাকাল্লাযী বিয়াদিহিল মুলক’ (সুরাহ মুলক)।” হাদীসটি হাসান সহীহঃ তিরমিযী ২৮৯১, সুনানে আবু দাউদ ১৪০০, ইবনে মাজাহ ৩৭৮৬, মুসনাদে আহমাদ। ইমাম তিরমিযী বলেছেন হাদীসটি হাসান, ইবনে তাইমিয়্যা বলেছেন সহীহ মাজমুঃ ২২/২২৭, শায়খ আলবানীর মতে হাদীসটি সহীহ, সহীহ তিরমিযী ৩/৬, সহীহ ইবনে মাজাহ ৩০৫৩। সুরাহ মুলক তেলাওয়াত করা নিয়ে কিছু কথাঃ সউদী আরবের স্থায়ী ফতোয়া বোর্ডের সম্মানিত আলেমদের ফতোয়া হচ্ছে, “(সুরা মুলক নিয়ে সবগুলো) হাদীসের আলোকে বলা যায় যে, যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য সুরাহ মুলক বিশ্বাস করবে এবং নিয়মিত তেলাওয়াত করবে, এই সুরাহ থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবে এবং যে সুরাটিতে যে হুকুম-আহকাম দেওয়া আছে সেইগুলো মেনে চলবে, কেয়ামতের দিন তার জন্য এই সুরাটি শাফায়াত বা সুপারিশ করবে।” ফতাওয়া আল-লাজনাহ আদ-দায়িমাহঃ ৪/৩৩৩, ৩৩৫। সুতরাং, এই সুরাহটি নিয়মিত তেলাওয়াত করার পাশাপাশি, সুরাটির তর্জমা ও তাফসীর জানতে হবে, আয়াতগুলো নিয়ে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে এবং সেই অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে। আল্লাহ তাআ’লা আমাদের সকলকে সেই তোওফিক দান করুন, আমিন।
    তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
  • May 24
  • Sogood Islam Syeds
    5/24, 8:34pm

    Sogood Islam Syeds

    Alhamdulillah added 12 new photos to the album: শবেবরাত ইসলামে নেই.
    #শবেবরাত_ইসলামে_নেই শবে-বরাত ইসলামে নেই। এই রাতে বিশেষ কন ইবাদাত নেই, বরং এই পুরো মাস রাসুল (সঃ) সিয়াম (রোজা) রাখতেন। সুতরাং ইবাদাত করতে হলে রাসুলের (সঃ) পদ্ধতিতেই আপনাকে ইবাদাত করতে হবে। নতুবা আপনার সমস্ত আমল বাতিল হবে এই কথা আল্লাহ্‌ বলেছেন। আমাদের জন্য মুহাম্মাদ (সঃ) কে অনুসরন করার জন্য পাঠানো হয়েছে, কন হুজুরের বা বুজুর্গের অনুসরন এর জন্য নয় যদিনা সে কুরআন হাদিসের সাথে রেফারেন্স দিয়ে কথা বলে…। ১৫ ই সাবান মাসে বিশেষ ইবাদাত করতে হবে মর্মে হুজুরেরা যতগুলো হাদিস বলে সবই মেড ইন চায়না। হুজুরের পকেটে কিছু ধান্দা হয় , এছাড়া আর কিছুই না। ইসলাম এর ব্যাপারে সচেতন হউন, এখন আর চোখে ধুলা ছিটিয়ে দিয়ে যা খুশি বুঝানোর দিন নেই। হুজুরের কাছে দলীল খোঁজ করুন কোথায় আছে সবেবরাত ? যদি না থাকে তাহলে আপনার এত সাহস হয় কিভাবে ? আপনি কি নিজেকে রাসুল (সঃ) আর সাহাবীদের চেয়ে বেশী তাকওয়াবান মনে করেন ? (নাউজুবিল্লাহ) ! যদি কেউ ভালো মনে করেও কন আমল করে যেই আমল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে স্বীকৃত নয় তাহলে সেটা বাতিল হবে এবং তাঁর থাকার জায়গা জাহান্নাম। কারন সে রাসুল (সঃ) কে অপমান করলো। শেয়ার করে আপনার মুসলিম ভাইবোনকে জানতে সুযোগ দিন।
    Alhamdulillah
  • May 25
  • Sogood Islam Syeds
    5/25, 8:04am

    Sogood Islam Syeds

    সাইফুল ইসলাম added a new photo.
    GreenTech থেকে উম্মার জন্য রামাদানের উপহারঃ নামাযে (সলাতে) আল্লাহর সামনে দাঁড়িয়ে কি বলছেন তা কি জানেন?? অর্থপূর্ণ নামায (সলাত) এমন একটি অ্যাাপ যার দ্বারা আপনি নামাযের পঠিত সূরা, তসবিহ, দোআ ইত্যাদির অর্থ (প্রতিটি শব্দের অর্থ সহ) শিখতে পারবেন। :::::এতে আছে:::::: ১। সলাতে(নামাযে) পঠিত সূরা, তাসবিহ, দোআর অর্থ ২। সূরা ফাতিহাহ এবং শেষ ১৩ সূরা ৩। শব্দে শব্দে অনুবাদ, গভীর শাব্দিক এনালাইসিস ও তাফসির আহসানুল বায়ান ৪। সলাতের ওয়াক্ত, ওয়াক্ত নোটিফিকেশান এবং কিবলা ৫। Pinch zoom করে মন মত ফন্ট সাইজ পরিবর্তন করে নিন ৬। ছবি ও লেখা শেয়ার করার সুবিধা ৭। কোন অ্যাড নেই! ডাউনলোড লিঙ্ক কমেন্টে –
    সাইফুল ইসলাম
  • May 25
  • Sogood Islam Syeds
    5/25, 11:50am

    Sogood Islam Syeds

    আমাদের দেশে কিছু মুর্খ-জাহেল পন্ডিত আছে, যারা বলে থাকে; আল্লাহ কোথায় আছেন? এই প্রশ্ন করা বিদ‘আত। আবার কেউ কেউ বলে; আল্লাহ কোথায় আছেন? এই কথা মুখেই আনা যাবে না। মুআবিয়া ইবনুল হাকাম আস-সুলামী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন; فَقَالَ لَهَا অতঃপর তিনি (ﷺ) তাকে (দাসীকে) জিজ্ঞাসা করলেন; أَيْنَ اللَّهُ (আয়নাল্লাহ) আল্লাহ কোথায় আছেন? قَالَتْ দাসীটি উত্তর দিল, فِي السَّمَاءِ (ফিস সামায়ে) আকাশে আছেন। قَالَ তিনি (ﷺ) বললেন, مَنْ أَنَا (মান আনা) আমি কে? قَالَتْ দাসীটি উত্তর দিল, أَنْتَ رَسُولُ اللَّهِ (আনতা রাসূলুল্লাহ) আপনি আল্লাহর রাসূল। (সহীহ মুসলিম: হা/১০৮৬) আল্লাহ কোথায় আছেন? এই প্রশ্ন করা যদি বিদআত হয় তাহলে রাসুল (ﷺ) বিদআত করেছিলেন নাকি? আস্তাগফিরুল্লাহ। তাহলে তো রাসূলকেও বিদ‘আতী বানিয়ে দেয়া হলো। যে প্রশ্ন রাসুল করেছিলেন সেই প্রশ্ন করা বিদ‘আত নয় অবশ্যই সেই প্রশ্ন করা সুন্নাহ। রাসুলের যুগে একজন দাসীও জানতো আল্লাহ কোথায় আছেন। দাসী জানতো আল্লাহ আকাশে আছেন। আর বর্তমানে যুগে বড় বড় হুজুরও জানে না আল্লাহ কোথায় আছেন আর জানলেও ভুল জানে।
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    5/25, 11:54am

    Sogood Islam Syeds

    #জুমার_দিনে_বা_রাতে_মারা_গেলে_কবরের_আযাব_থেকে_রক্ষা_পাবেঃ মর্মে হাদীছটি দুর্বল______ বিসমিল্লাহির রহমানির রহীম حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ بَشَّارٍ قَالَ: حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ مَهْدِيٍّ، وَأَبُو عَامِرٍ العَقَدِيُّ، قَالَا: حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ سَعْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ أَبِي هِلَالٍ، عَنْ رَبِيعَةَ بْنِ سَيْفٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ عَمْرٍو قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَمُوتُ يَوْمَ الجُمُعَةِ أَوْ لَيْلَةَ الجُمُعَةِ إِلَّا وَقَاهُ اللَّهُ فِتْنَةَ القَبْرِ রাসুলুল্লাহ সাল্লাললাহু আলাইহিসালাম বলেনঃ “যে কোন মুসলিম ব্যক্তি জুমুআহর দিনে বা রাতে ইন্তেকাল করবে, আল্লাহ তা’আলা তাকে কবরের ফিতনা থেকে হিফাযত করবেন।” [তিরমিযী, হা/১০৭৪; মুসনাদে আহমাদ, ২/১৬৯, হা/৬৫৮২; মুসনাদে আবু ইয়া’লা, হা/৪১১৩; মিশকাত, হা/১৩৬৭] ইমাম তিরমিযী (রহঃ) বলেনঃ এই হাদীছটি গারীব। এর সানাদ মুত্তাছিল নয়। রাবীআহ বিন সাইফ এই হাদীছটিকে আসলে আবু আবদুর রহমান হুবুল্লী থেকে, তিনি আবদুল্লাহ বিন আমর(রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। কারণ আবদুল্লাহ বিন আমর(রা) থেকে রাবীআহ বিন সাইফ সরাসরি কিছু শুনেছেন বলে আমরা জানি না। [তিরমিযী, হা/১০৭৪] ইমাম নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহঃ) বলেনঃ হাদীছটি হাসান। [নাসিরুদ্দীন আলবানী, তাহক্বীক তিরমিযী, হা/১০৭৪; তাহক্বীক মিশকাত, হা/১৩৬৭] হাফিয যুবায়ের আলী জাই (রহঃ) বলেনঃ হাদীছটি হাসান। [যুবায়ের আলী জাই, তাহক্বীক তিরমিযী, হা/১০৭৪] কিন্তু পরবর্তীতে তিনি তার মত পরিবর্তন করে এটিকে দুর্বল বলেছেন কেননা রাবীআহ বিন সাইফ আবদুল্লাহ বিন আমর(রা) থেকে কিছু শুনেন নি। তাই সানাদটি মুনক্বাতি বা বিচ্ছিন্ন। [যুবায়ের আলী জাই, তাহক্বীক মিশকাত, হা/১৩৬৭] আহমাদ শাকির বলেনঃ এর সানাদ দুর্বল কেননা এর সানাদ বিচ্ছিন্ন। [আহমাদ শাকির, তাহক্বীক মুসনাদে আহমাদ, ২/১৬৯, হা/৬৫৮২] শু’আইব আরনাউত্ব বলেনঃ এর সানাদ দুর্বল। কেননা রাবীআহ বিন সাইফ আবদুল্লাহ বিন আমর(রা) থেকে কিছু শুনেন নি। তিনি এবং হিশাম বিন সা’দ উভয়েই দুর্বল। [শু’আইব আরনাউত্ব, তাহক্বীক মুসনাদে আহমাদ, ২/১৬৯, হা/৬৫৮২] হুসাইন সালীম আসাদ দারানী বলেনঃ এর সানাদ দুর্বল। [হুসাইন সালীম আসাদ দারানী, তাহক্বীক মুসনাদে আবু ইয়া’লা, হা/৪১১৩] এই হাদীছটির কোন শাওয়াহিদ ছহীহ হাদীছ নেই। যেগুলো রয়েছে তা সবই দুর্বল। সুতরাং, উক্ত হাদীছটি দুর্বল। তাই আমাদের সকলের উচিত তাক্বলীদ মুক্ত হয়ে কুরআন ও ছহীহ হাদীছ দৃঢ়ভাবে গ্রহণ করা এবং মেনে চলা। আল্লাহ আমাদের সকলকে হিদায়াত দান করুক। আমীন
    আশরাফ খান
  • Sogood Islam Syeds
    5/25, 2:29pm

    Sogood Islam Syeds

    িতির সালাতের নিয়মঃ “বিতির” শব্দের অর্থ কি? বিতির শব্দের অর্থ হলো বেজোড়। আর বেজোড় সংখ্যা হলো ১, ৩, ৫, ইত্যাদি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বিতির সালাত হিসেবে ১ রাকাত, ৩ রাকাত, ৫ রাকাত, ৭ রাকাত, এমনকি নয় রাকাতও পড়েছেন। বিতির পড়া কি ফরয/ওয়াজিব না সুন্নতঃ যদিও আমাদের দেশের বেশির ভাগ মানুষ বিতির সালাতকে ওয়াজিব মনে করে কিন্তু আসলে বিতির সালাত হলো সুন্নতে মুয়াক্কাদা। দলীলঃ ১ – আলী (রাঃ) বলেন, “বিতির সালাত ফরয সালাতের মতো বাধ্যতামূলক নয়, তবে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) একে সুন্নত করেছেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, নিশ্চয় আল্লাহ বেজোড় (বিতির), তিনি বেজোড় সংখ্যা পছন্দ করেন। সুতরাং, হে আহলে কুরআন! তোমরা বিতির পড়তে থাকো।” আবু দাউদ, তিরমিযী, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ। দলীলঃ ২ – আবু মুহাম্মাদ নামে এক লোক বললো, বিতির সালাত ওয়াজিব। এই কথা শুনে প্রখ্যাত সাহাবী উবাদাহ বিন সামিত (রাঃ) বলেন, আবু মুহাম্মাদ ভুল বলেছে।……হাদীসের শেষ পর্যন্ত। আবু দাউদ, নাসায়ী, ইবনে হিব্বান। দলীলঃ ৩ – রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ফরয সালাত কখনোই সওয়ারীর (গাধা বা ঘোড়ার) পিঠে চড়ে পড়তেন না, শুধু নফল সালাত পড়তেন। কিন্তু তিনি বিতির সালাত সওয়ারীর উপর পড়েছেন। এ থেকে প্রমানিত হয় বিতির সালাত ফরয বা ওয়াজিব নয়। বুখারী, মুসলিম, দারা কুতনী ১৬১৭। বিতির পড়ার সওয়াব কতটুকুঃ বিতির নামায লাল রংয়ের উটের চাইতে বেশি মূল্যবান। রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ “আল্লাহ একটি নামায দান করে তোমাদেরকে বিশেষ সুযোগ করে দিয়েছেন যা তোমাদের জন্য লাল রংয়ের উটের চাইতে উত্তম। সাহাবারা জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রাসুল! সেটা কোন নামায? তিনি বললেন, ‘বিতির নামায’ যা পড়া হয় ইশা নামাযের পর থেকে ফযর উদয় হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত।” আবু দাউদঃ ১৪১৮, তিরমিযীঃ ৪৫২, ইবনে মাজাহ, দারেমী, হাদীসটি সহীহ। * বর্তমান যুগে যেমন দামি গাড়ি মার্সিডিস বেঞ্চ বা ফেরারী ঠিক তেমনি, তখনকার যুগে লাল রংয়ের উটের দাম অনেক বেশি ছিলো। কখন পড়তে হবে? ইশার পর থেকে ফযরের আগে পর্যন্ত পড়া যাবে। তবে রাতের সর্বশেষ সালাত হিসেবে বিতির পড়তে হবে। বিতির রাতের শেষ অংশে পড়া বেশি সওয়াব, তবে নিয়মিত উঠার অভ্যাস না থাকলে বা শেষ রাত্রে উঠার নিশ্চয়তা না থাকলে ঘুমানোর আগেই পড়ে ফেলতে হবে। বিতির সালাত কাযা পড়া যাবেঃ বিতির ফযরের আগে পড়তে না পারলে ফযরের পরে বা সকাল বেলায় সুযোগ মতো পড়া যাবে। এনিয়ে বিভিন্ন হাদীস বর্ণিত হয়েছে। এমনকি রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজে সকাল বেলা বিতির কাযা পড়েছেন (তাবারানী)। বিতির সালাত কত রাকাতঃ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কয়েকভাবে বিতির পড়েছেন। তিনি বিতির ১ রাকাত, ৩ রাকাত, ৫ রাকাত, ৭ রাকাত, ৯ রাকাত পড়েছেন। এইসবগুলোই সুন্নত। কারো ইচ্ছা হলে সে এর যেকোনো একটা পড়তে পারে। তবে নিচে শুধুমাত্র ১ আর ৩ রাকাত বিতির পড়ার নিয়ম বর্ণনা করা হলো। বিতির কিভাবে পড়তে হবেঃ ১ রাকাত – অনেকে হয়তো প্রথম শুনছেন বা মনে করতে পারেন ১ রাকাত আবার সালাত আছে নাকি? লেখক সম্পর্কে বাজে মন্তব্য করার আগে বলছি, আপনি কুরআন-হাদীস পড়বেন না, জানবেন না সেটা আপনার দোষ। এখন কেউ যদি কুরআন, সুন্নাহ থেকে কিছু বলার কারণে আপনার কাছে অদ্ভুত লাগে সেটা আপনার ব্যর্থতা। ১ রাকাত বিতির এটা জানার জন্য খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। ইমাম বুখারী বিতির সালাত সম্পর্কে সবার প্রথম যে হাদীস নিয়ে এসেছেন সেখানেই আছে, বিতির সালাত ১ রাকাত। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “রাতের সালাত (তারাবীহ/ তাহাজ্জুদ/কিয়ামুল লাইল) ২ রাকাত ২ রাকাত করে। অতঃপর তোমাদের কেউ ফযর হওয়ার আশংকা করলে সে যেনো এক রাকাত বিতির পড়ে নেয়।” বুখারী ও মুসলিম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “বিতির হলো শেষ রাতে এক রাকাত”। মুসলিম। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “বিতির প্রত্যেক মুসলমানের উপর হক্ক। সুতরাং যে ৫ রাকাত পছন্দ করে সে ৫ রাকাত পড়ুক, যে ৩ রাকাত পছন্দ করে সে ৩ রাকাত পড়ুক, যে ১ রাকাত পছন্দ করে সে ১ রাকাত পড়ুক”। ইবনে মাজাহ, মিশকাত ১২৬৫। ১ রাকাত পড়ার নিয়মঃ নিয়ত করে (নাওয়াইতু পড়েনা, অন্তরে নিয়ত করে) সানা, আউযুবিল্লাহ, বিসমিল্লাহ পড়ে সুরা ফাতিহা পড়বে। এর পরে যে কোনো একটা সুরা মিলাবে। এর পরে দুয়া কুনুত পড়বে। কুনুত দুইভাবে পড়া যায়, রুকুর আগে ও রুকুর পরে, তবে রুকুর পরে পড়াই উত্তম। তাই রুকুর পরে পড়ার অভ্যাস করা যেতে পারে। আমাদের দেশে কুনুত পড়ার আগে আল্লাহু আকবার বলে হাত তুলে ইশারা করার যে নিয়ম এই নিয়ম রাসুলুল্লাহ (সাঃ) থেকে প্রমানিত না। তাই আল্লাহু আকবার বলে হাত না তুলে কিরাতের পরে সরাসরি দুয়া কুনুত পড়তে হবে। কুনুত পড়ার সময় মুনাজাত করার মতো হাত তুলে কুনুত পড়া মুস্তাহাব। আর রুকুর পরে কুনুত পড়লে, কিরাতের পরে রুকু করবেন, রুকু থেকে দাঁড়িয়ে সামিয়াল্লাহ হুলিমান হা’মীদাহ, রাব্বানা লাকাল হা’মদ বলার পরে দাঁড়ানো অবস্থাতে মুনাজাতের মতো হাত তুলে কুনুত পড়বেন। কুনুত শেষ হলে আল্লাহু আকবার বলে সিজদাতে যাবেন। দুই সিজদা করার পর আর দাঁড়াবেন না (কারণ আপনি ১ রাকাত বিতির পড়ছেন). আত্তাহিয়্যাতু, দুরুদ ও অন্য দুয়া পড়ে সালাম ফিরাবেন। কুনুত পড়া কি ওয়াজিব? কুনুত পড়া ওয়াজিব নয়। কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) সব সময় বিতির সালাতে কুনুত পরতেন না। তাই আমাদের উচিত বিতির সালাতে কখনো কখনো দুয়া কুনুত ছেড়ে দেওয়া, কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর সুন্নত এমনই। আবু দাউদ, নাসায়ী, তিরমিযী, মিশকাত ১২৯১-১২৯২। ৩ রাকাত বিতিরের নিয়মঃ বিতির ৩ রাকাত দুইভাবে পড়া যায়, এক সালামে অথবা দুই সালামে। এক সালামে পড়লে, আপনি সাধারণ সালাতের মতো দুই রাকাত পড়বেন কিন্তু দুই রাকাতের যে বৈঠক সেখানে বসবেন না। কারণ রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা বিতিরকে মাগরিবের মতো করে দিওনা”. এখন দুই রাকাতের বৈঠকে না বসে আপনি ৩ রাকাত বিতিরকে মাগরিবের সালাতের সাথে পার্থক্য সৃষ্টি করে দিলেন। ২য় রাকাতে বৈঠকে না বসে দাঁড়িয়ে ৩য় রাকাত পুরো করবেন, আর ৩য় রাকাতে আপনি ১ রাকাত বিতির পড়ার যে নিয়ম সেইভাবে কুনুত পড়বেন। এর পরে রাকাত পুরো করে সালাম ফিরাবেন। বিতির সালাতের এই নিয়মটা আজ পর্যন্ত মক্কা ও মদীনাতে অনুসরণ করা হয় (ভিডিও দেখুন) – আর দুই সালামে পড়তে চাইলে, প্রথম দু রাকাত সাধারণ নফল সালাতের মতো পড়বেন, বৈঠক করে সালাম ফিরাবেন। এর পরে ১ রাকাত বিতিরের যে নিয়ম বর্ণনা করা হলো ঠিক সেইভাবেই ১ রাকাত পড়বেন, এই হলো ২+১=৩ রাকাত বিতির। উল্লেখ্য – কারো অতিরিক্ত নফল সালাত পড়ার ইচ্ছা থাকলে সে ২ রাকাতের পর আরো দুই রাকাত পড়বে, এইভাবে ২ রাকাত রাকাত পড়ে শেষে ১ রাকাত দিয়ে সবগুলোকে বেজোড়ে (বিতিরে) পরিণত করবে।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • May 25
  • Sogood Islam Syeds
    5/25, 7:42pm

    Sogood Islam Syeds

    The seeking of knowledge is obligatory for every Muslim. […] 󾁀Prophet Muhammad (s) as reported by Ibn Majah and Bayhaqi in Shu’ab al-Iman; also reported by Anas Ibn Malik in Al Tirmidhi, hadith #74.
    Raudhaatul Nisaa
  • May 26
  • Sogood Islam Syeds
    5/26, 10:56pm

    Sogood Islam Syeds

    বার্ধক্যজনিত বা অসুস্থতার কারণে সাওম পালনে অক্ষম ব্যক্তির ফিদইয়াহ এর পরিমাণ। (ফাত্‌ওয়া নং- 93243) প্রশ্ন : আমার বাবা বার্ধক্য জনিত ও অসুস্থতার কারণে অক্ষম হয়ে পুরো রমযান মাসে সাওম ভঙ্গ করেছেন। এরপর সেই সিয়াম এর কাযা আদায় না করেই সেই মাসেই মারা যান। তারপর আমরা দরিদ্রদেরকে অর্থ দানের মাধ্যমে এর কাফফারাহ আদায় করি। এরপর জানতে পারলাম যে, এই কাফফারাহ (ফিদইয়াহ) শুধু খাদ্য খাওয়ানোর মাধ্যমেই আদায় করতে হয়। আমাদের কি পুনরায় তাঁর পক্ষ থেকে সেই কাফফারাহ আদায় করতে হবে এবং এর পরিমাণ কত? উত্তর : সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। প্রথমত : ইমাম মালিক, ইমাম আশ-শাফি’ঈ ও ইমাম আহমাদ ইব্‌ন হাম্বাল এর অনুসারী ফাক্বীহগণের (ফিক্বহ্‌ বিশেষজ্ঞগণ) অধিকাংশের মতে অর্থদানের মাধ্যমে সাওমের ফিদইয়াহ আদায় যথেষ্ট নয়। বরং ওয়াজিব হল তা খাদ্য দানের মাধ্যমে আদায় করা। এর দলীল আল্লাহ্ তা’আলার বাণী : ﴿وَعَلَى ٱلَّذِينَ يُطِيقُونَهُۥ فِدۡيَةٞ طَعَامُ مِسۡكِينٖۖ﴾ [البقرة: ١٨٤] “আর যারা তা (সিয়াম) পালনে অক্ষম, তারা ফিদইয়াহ হিসাবে মিসকীন খাওয়াবে।” [আল-বাকারাহ: ১৮৪] ইবনু ‘আব্বাস-রাদ্বিয়াল্লাহু ‘আনহুমা- বলেছেন : هُوَ الشَّيْخُ الْكَبِيرُ وَالْمَرْأَةُ الْكَبِيرَةُ لا يَسْتَطِيعَانِ أَنْ يَصُومَا فَيُطْعِمَانِ مَكَانَ كُلِّ يَوْمٍ مِسْكِينًا. رواه البخاري (4505) . “তিনি হলেন অতি বৃদ্ধ, পুরুষ ও নারী যারা সাওম পালনে অক্ষম, তাঁরা উভয়ই প্রতিদিনের বদলে একজন মিসকীন খাওয়াবেন।” [এটি বর্ণনা করেছেন আল-বুখারি (৪৫০৫)] ‘ফাত্‌ওয়া আল-লাজনাহ আদ্-দা’ইমাহ (১০/১৯৮) এ এসেছে : “যখন ডাক্তাররা এই সিদ্ধান্ত দিলেন যে আক্রান্ত রোগের কারণে আপনি সাওম পালন করতে পারবেন না এবং তা থেকে সুস্থতা আশাও করা যায় না, তখন আপনাকে বিগত ও আগত মাসগুলোর প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকীন খাওয়াতে হবে, যার পরিমাণ হল দেশীয় খাদ্যদ্রব্য যেমন খেজুর ইত্যাদি থেকে অর্ধেক সা’। আর যদি আপনি (ছুটে যাওয়া) দিনগুলোর সংখ্যায় একজন মিসকীনকে রাতের বা দুপুরের খাবার খাওয়ান, তবে তা যথেষ্ট হবে। আর অর্থ দানের মাধ্যমে ফিদইয়াহ আদায় করলে তা যথেষ্ট হবে না।” বৃদ্ধ অথবা অসুস্থ ব্যক্তি যার সুস্থতা আশা করা যায় না, তিনি প্রতিদিনের পরিবর্তে একজন মিসকীন খাওয়াবেন। এর পরিমাণ দেশীয় খাদ্যদ্রব্য যেমন গম অথবা খেজুর অথবা চাল ইত্যাদি এর অর্ধেক সা‘ আর তা প্রায় ১.৫ কিলোগ্রামের সমান। দেখুন- ‘ফাতাওয়াহ রমযান’ (পৃষ্ঠা ৫৪৫) তিনি সব দিনের ফিদইয়াহ মাসের শেষে একবারে আদায় করতে পারেন। যেমন ৪৫ কিলোগ্রাম চাল- তা যদি রেঁধে মিসকীনদের দাওয়াত করে খাওয়ানো হয় তবে তা উত্তম কারণ ‘আনাস -রাদ্বিআল্লাহু ‘আনহ্- এমনটি করতেন। দ্বিতীয়ত : আর আপনারা যদি কোন ‘আলিমের ফাত্‌ওয়ার উপর ভিত্তি করে অর্থের দ্বারা ফিদইয়াহ আদায় করে থাকেন, তবে তা পুনরায় আদায় করতে হবে না। আর যদি আপনারা কাউকে (না জিজ্ঞেস করে) নিজেরা নিজেরাই তা করে থাকেন, তবে সে ক্ষেত্রে ওয়াজিব হবে পুনরায় (খাদ্যের মাধ্যমে) তা আদায় করা, যা আপনাদের বাবার জন্য বেশি সাবধানের ও নিরাপদ- আল্লাহ্ তাঁর উপর দয়া করুন ও তাঁকে মাফ করুন। আল্লাহই সবচেয়ে ভালো জানেন। Islam Q & A
    জেনে নিন- ইসলামিক প্রশ্ন উত্তর
  • Sogood Islam Syeds
    5/26, 10:59pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 12:21am

    Sogood Islam Syeds

    ঈমান ভঙ্গকারী আমল =============== মাক্কা শরীফের দারুল হাদীসের শিক্ষক ও বহু গ্রন্থ প্রণেতা আল্লামা মুহাম্মদ বিন জামিল যাইনুর রচনাবলী থেকে ঈমান ভঙ্গকারী আমলসমূহর সার সংক্ষেপ নিচে তুলে ধরা হলো ঃ [১] আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট দু’আ করা। যেমন নবী বা মৃত আওলিয়াদের নিকট কিছু চাওয়া। অথবা কোন ওলি আওলিয়ার অনুপস্থিতিতে দূর থেকে তার কাছে সাহায্য চাওয়া। অথবা ঐ পীর বুজুর্গের উপস্থিতিতে তার কাছে এমন কিছু চাওয়া যা দেয়ার ক্ষমতা তার নেই। এ সম্বন্ধে আল্লাহ তা’আলা বলেন, {وَلا تَدْعُ مِنْ دُونِ اللهِ مَا لا يَنْفَعُكَ وَلا يَضُرُّكَ فَإِنْ فَعَلْتَ فَإِنَّكَ إِذاً مِنَ الظَّالِمِينَ} “আর আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডেকো না, যে না করতে পারে তোমার কোন উপকার, আর না করতে পারে তোমার ক্ষতি। আর যদি তা করেই ফেল, তবে অবশ্যই তুমি যালিমদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।” (অর্থাৎ তুমি মুশরিক হয়ে যাবে।”) (ইউনুস : ১০৬) এ বিষয়ে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, ( مَنْ مَاتَ وَهُوَ يَدْعُو مِنْ دُوْنِ اللهِ نِدًّا دَخَلَ النَّارَ ) অর্থাৎ যে, ব্যক্তি এ অবস্থায় মারা যায় যে, সে আল্লাহ ব্যতীত অন্যকে সমকক্ষ দাঁড় করিয়ে তার কাছে সাহায্য চায়, তাহলে সে জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করবে। (বুখারী ৪২২) [২] তাওহীদের কথা শুনে যাদের মনে বিতৃষ্ণা আসে এবং বিপদে আপদে আল্লাহর কাছে সাহায্য চাওয়া থেকে দূরে থাকে। আর অন্তরে মুহাব্বতের সাথে ডাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে এবং মৃত ওলি আওলিয়া ও জীবিত (অনুপস্থিত), পীর মাশায়েখদেরকে এবং সাহায্য চায় তাদেরই কাছে। এ বিষয়ে মুশরিকদের উদাহরণ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলেন, {وَإِذَا ذُكِرَ اللهُ وَحْدَهُ اشْمَأَزَّتْ قُلُوبُ الَّذِينَ لا يُؤْمِنُونَ بِالآخِرَةِ وَإِذَا ذُكِرَ الَّذِينَ مِنْ دُونِهِ إِذَا هُمْ يَسْتَبْشِرُونَ} “যখন আল্লাহর নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন আখিরাতের উপর বেঈমান লোকদের অন্তর বিতৃষ্ণায় ভরে যায়। আর যখন আল্লাহ ছাড়া অন্য উপাস্য (পীর বুজুর্গের) নাম উচ্চারণ করা হয়, তখন তাদের মনে আনন্দ লাগে। (যুমার : ৪৫) [৩] রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা কোন ওলির নাম নিয়ে পশু যবাই করা। এটা নিষেধ করে আল্লাহ তা’আলা বলেন : {فَصَلِّ لِرَبِّكَ وَانْحَرْ} “সুতরাং তুমি তোমার প্রতিপালকের উদ্দেশ্যে সালাত আদায় কর এবং তাঁরই জন্য যবেহ কর।” (কাওসার : [২) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : لَعَنَ اللهُ مَنْ ذَبَحَ لِغَيْرِ اللهِ যে ব্যক্তি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উদ্দেশ্যে যবাই কার্য করে আল্লাহ তা’আলা প্রতি অভিশাপ বর্ষণ করেন। (মুসিলম) উল্লেখ্য যে, যবাইয়ের সময় কেউ যদি বলে, “খাজা বাবা- জিন্দাবাদ” তাহলে এটা তার ঈমান ভঙ্গের কারণ হয়ে দাঁড়াবে। [৪] কোন সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মান্নত করা, যেমন কবরে মাযারে মান্নত করা (শিরনী দেয়া) অত্যন্ত গর্হিত কাজ ও ঈমান বিনষ্টকারী শির্ক ও কবীরা গুনাহ। কারণ, মান্নত একমাত্র আল্লাহর জন্যই হতে হবে। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {رَبِّ إِنِّي نَذَرْتُ لَكَ مَا فِي بَطْنِي مُحَرَّراً} “হে পালনকর্তা! আমার গর্ভে যে সন্তান রয়েছে আমি তাকে তোমার উদ্দেশ্যে মান্নত করলাম।” (আলে-ইমরান : ৩৫) [৫] নৈকট্য লাভ ও ইবাদতের নিয়তে কোন কবরের চতুষ্পার্শে প্রদক্ষিণ বা তাওয়াফ করা আল্লাহ তা’আলা বলেন : {ثُمَّ لْيَقْضُوا تَفَثَهُمْ وَلْيُوفُوا نُذُورَهُمْ وَلْيَطَّوَّفُوا بِالْبَيْتِ الْعَتِيقِ} “অতঃপর তারা যেন তাদের দৈহিক অপরিচ্ছন্নতা দূর করে, তাদের মান্নত পূর্ণ করে, আর তারা যেন বেশি বেশি এ প্রাচীনতম (কাবা) ঘরের তাওয়াফ করে। (হাজ্জ : ২৯) [৬] আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো উপর তাওয়াক্‌কুল বা ভরসা করা। আল্লাহ তা’আলা বলেন { فَعَلَيْهِ تَوَكَّلُوا إِنْ كُنْتُمْ مُسْلِمِينَ} “একমাত্র আল্লাহর উপরই ভরসা কর যদি তোমরা মুসলিম হয়ে থাক।” (ইউনুস : ৮৪) [৭] জেনে বুঝে কোন রাজা, বাদশা বা সম্মানিত কোন পীর বুজুর্গ জীবিত বা মৃত ব্যক্তিকে ইবাদতের নিয়তে রুকু বা সিজদা করা। কেননা রুকু বা সিজদা একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত ইবাদত। [৮] ইসলামের রুকনসমূহ হতে কোন একটি রুকন বা ভিত্তিকে অস্বীকার করা। যথা : সালাত, সওম, হজ্জ ও যাকাত। অথবা ঈমানের ভিত্তিসমূহের কোন একটি ভিত্তিকে অস্বীকার করা। আর সেগুলো হলো আল্লাহ, তাঁর রাসূলগণ, তাঁর ফেরেশতাগণ, তাঁর কিতাবসমূহ, তাকদীরের ভালমন্দ আল্লাহর পক্ষ হতে এবং আখেরাতের প্রতি ঈমান আনা। এছাড়াও দীনের অন্যান্য অত্যাবশ্যকীয় কার্যসমূহ যা দীনের অন্তর্ভুক্ত বলে সর্বজন বিদিত। এসবগুলোর উপর ঈমান আনতেই হবে। এর কোন একটিকে অস্বীকার করলেও ঈমান বিনষ্ট হয়ে যায়। [৯] ইসলামী জীবন বিধান বা এর অংশ বিশেষকে ঘৃণা করা। এর কোন কোন বিধান পুরাতন ও অকেজো হয়ে গেছে মনে করা। আলেমগণ একমত হয়েছে এমন কোন ইবাদতের ক্ষেত্রে বা বৈষয়িক লেনদেন কিংবা অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড অথবা চারিত্রিক বিষয়ে ইসলামের উপদেশাবলীকে ঘৃণার চোখে দেখা। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {وَالَّذِينَ كَفَرُوا فَتَعْساً لَهُمْ وَأَضَلَّ أَعْمَالَهُمْ، ذَلِكَ بِأَنَّهُمْ كَرِهُوا مَا أَنْزَلَ اللهُ فَأَحْبَطَ أَعْمَالَهُمْ} “আর যারা কুফুরী করেছে তাদের জন্য রয়েছে নিশ্চিত ধ্বংস। আর তাদের কর্মফল বরবাদ করে দেয়া হবে। ঐ কারণে যে, আল্লাহর নাযিল করা (কুরআন বা তার অংশ বিশেষকে) তারা অপছন্দের দৃষ্টিতে দেখে। ফলে আল্লাহ তাদের সকল নেক আমল বরবাদ করে দিবেন। (মুহাম্মাদ : ৯) [১০] কুরআন কারীম বা সহীহ হাদীসের কোন বিষয় নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করা। কিংবা ইসলামের কোন হুকুম আহকাম নিয়ে তামাশা করা। এ বিষয়ে আল্লাহ তা’আলা বলেন : {قُلْ أَبِاللهِ وَآيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ – لا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ} “বল, তোমরা কি আল্লাহ, তাঁর আয়াতসমূহ ও তাঁর রাসূলকে নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করেছিলে? (কাজেই আজ আমার সামনে) তোমরা কোন ওজর আপত্তি পেশ করার চেষ্টা করোনা। ঈমান আনার পরও (সে বিদ্রূপের কারণে) পুনরায় অবশ্যই তোমরা কুফুরী করেছ।” (তাওবাহ : ৬৫-৬৬) [১১] জেনে শুনে ইচ্ছাকৃতভাবে কুরআন কারীমের কিংবা বিশুদ্ধ হাদীসের কোন অংশ বা কথা অস্বীকার করলে ইসলাম থেকে একেবারেই বহিস্কার হয়ে যায়। যদিও তা কোন ক্ষুদ্র বিষয়ে হোক। [১২] মহান রবকে গালি দেয়া, দ্বীন ইসলামকে অভিশাপ দেয়া, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে গালি দেয়া বা তাঁর কোন অবস্থা নিয়ে ঠাট্টা বিদ্রূপ করা, তার প্রদর্শিত জীবন বিধানের সমালোচনা করা। এ জাতীয় কর্মকাণ্ডের কোন একটি কাজ করলেও সে কাফির হয়ে যাবে। [১৩] আল্লাহর সুন্দর নামসমূহ অথবা তাঁর গুণাবলীর কোন একটিকেও অস্বীকার করা অথবা কুরআন হাদীস দ্বারা প্রমাণিত আল্লাহর কোন কার্যাবলী অস্বীকার করা বা এগুলোর অপব্যাখ্যা করা। [১৪] রাসূলগণের প্রতি বিশ্বাস না করা, বা সবাইকে বিশ্বাস করলেও কোন একজন নবীকে অবিশ্বাস করা। অথবা নবী রাসূলদের কাউকে তুচ্ছ ধারণা করা বা তাচ্ছিল্যের দৃষ্টিতে দেখা। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {لا نُفَرِّقُ بَيْنَ أَحَدٍ مِنْ رُسُلِهِ} “আমরা তাঁর রাসূলগণের মধ্যে কারো ব্যাপারে তারতম্য করি না।” (বাকারা : ২৮৫) [১৫] আল্লাহ প্রদত্ত বিধান বাদ দিয়ে (মানব রচিত আইন দিয়ে) বিচার ফায়সালা করা- এ ধারণা করে যে, এ যুগে ইসলামের আইন কানুন আর চলবে না। কারণ এ আইন অনেক পুরাতন। অথবা আল্লাহ প্রদত্ত আইনের বিপরীতে মানব রচিত আইনকে জায়েয মনে করা এবং আল্লাহর আইনের উপর মানুষের তৈরী আইনকে প্রাধান্য দেয়া। ঈমান ভঙ্গের কারণ হিসেবে এটি একটি ধ্বংসাত্মক আকীদা। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {وَمَنْ لَمْ يَحْكُمْ بِمَا أَنْزَلَ اللهُ فَأُولَئِكَ هُمُ الْكَافِرُونَ} “আর যারা আল্লাহর অবতীর্ণ বিধান অনুযায়ী শাসন কার্য পরিচালনা করে না, তারা কাফিরদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়।” (আল-মায়িদা : ৪৪) [১৬] ইসলামী বিচারে সন্তুষ্ট না হওয়া। ইসলামী বিচারে অন্তরে সংকোচ বোধ করা ও কষ্ট পাওয়া। বরং ইসলাম বহির্ভুত আইনের কাছে বিচারপ্রার্থী হতে স্বস্তি বোধ করা। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {فَلا وَرَبِّكَ لا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجاً مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا} “কিন্তু না, (হে মুহাম্মদ!) তোমার রবের শপথ। তারা ততক্ষণ পর্যন্ত মুমিন হবে না যতক্ষণ পর্যন্ত তারা তাদের নিজেদের বিবাদ-বিসম্ববাদের মীমাংসার ভার তোমার উপর ন্যস্ত না করে, অতঃপর তোমার ফায়সালার ব্যাপারে তাদের মনে কোন দ্বিধা না থাকে, আর তারা সর্বান্তকরণে তার সামনে নিজেদেরকে পূর্ণরূপে সমর্পণ করে।” (নিসা : ৬৫) [১৭] আল্লাহর আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এমন ধরনের আইন প্রণয়নের জন্য কোন মানুষকে ক্ষমতা প্রদান করা বা তা সমর্থন করা। অথবা ইসলামী আইনের সাথে সাংঘর্ষিক এমন ধরনের কোন আইনকে সঠিক বলে মেনে নেয়া। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللهُ} “তাদের কি এমন অংশীদার আছে যারা তাদের জন্য এমন কোন জীবন বিধান প্রণয়ন (ও আইন কানুন তৈরী) করে নিয়েছে যার অনুমতি আল্লাহ তাদেরকে দেননি। (শূরা : ২১) [১৮] আল্লাহ কর্তৃক বৈধকৃত কাজকে অবৈধ করে নেয়া এবং অবৈধ কাজকে বৈধ করে ফেলা। যেমন সুদকে বৈধ বা হালাল কাজ বলা কিংবা হালাল মনে করা ইত্যাদি। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {وَأَحَلَّ اللَّهُ الْبَيْعَ وَحَرَّمَ الرِّبا} “আর আল্লাহ ব্যবসাকে বৈধ করেছেন আর সুদকে করেছেন হারাম।” (আল-বাকারা : ১৭৫) [১৯] আকীদা ধ্বংসাত্মক মতবাদের উপর ঈমান আনা। যেমন নাস্তিক্যবাদ, মাসুনিয়া, মার্কসবাদ, সমাজতন্ত্র, ধর্মমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা বা ধর্ম নিরপেক্ষতাবাদ, বা এমন জাতীয়তাবাদ যা আরবের অমুসলিমদেরকে অনাবর (আজমী) মুসলিমদের উপর প্রাধান্য দেয়। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {وَمَنْ يَبْتَغِ غَيْرَ الأِسْلامِ دِيناً فَلَنْ يُقْبَلَ مِنْهُ وَهُوَ فِي الآخِرَةِ مِنَ الْخَاسِرِينَ} “আর যে কেউ ইসলাম ব্যতীত অন্য কিছুকে দীন হিসেবে (অর্থাৎ জীবন বিধান হিসেবে) গ্রহণ করতে চাইবে, (আল্লাহর সমীপে) কক্ষনো তা কবূল করা হবে না। বরং সে ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্তদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে। (আলে ইমরান : ৮৫) [২০] দ্বীনের বিধি বিধান পরিবর্তন করা, এবং ইসলাম ছেড়ে অন্য কোন ধর্মে দীক্ষা গ্রহণ করা অর্থাৎ মুরতাদ হয়ে যাওয়া। আল্লাহ তা’আলা বলেন: {وَمَنْ يَرْتَدِدْ مِنْكُمْ عَنْ دِينِهِ فَيَمُتْ وَهُوَ كَافِرٌ فَأُولَئِكَ حَبِطَتْ أَعْمَالُهُمْ فِي الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ وَأُولَئِكَ أَصْحَابُ النَّارِ هُمْ فِيهَا خَالِدُونَ} “আর তোমাদের যে কেউ নিজের দ্বীন (ইসলাম) থেকে (অন্য ধর্মে) ফিরে যায়, অতঃপর সে ব্যক্তি কাফির অবস্থায় মৃত্যুবরণ করে তবে ঐ ধরনের লোকের (সমস্ত নেক) আমল, ইহকাল ও পরকাল উভয়জাহানেই বাতিল হয়ে যাবে। ফলে তারা হয়ে যাবে আগুনের বাসিন্দা। সেখানে (জাহান্নামে) তারা স্থায়ী হবে চিরকাল। (বাকারা : ২১৭) [২১] মুসলমানদের বিরুদ্ধে অমুসলিমদেরকে সাহায্য সহযোগিতা করা। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {لا يَتَّخِذِ الْمُؤْمِنُونَ الْكَافِرِينَ أَوْلِيَاءَ مِنْ دُونِ الْمُؤْمِنِينَ وَمَنْ يَفْعَلْ ذَلِكَ فَلَيْسَ مِنَ اللهِ فِي شَيْءٍ إِلاَّ أَنْ تَتَّقُوا مِنْهُمْ تُقَاةً} “মুমিনগণ যেন মুমিন লোক ছাড়া কাফেরদের সাথে বন্ধুত্ব না করে। যদি কেউ এমন কাজ করে তবে আল্লাহর সাথে তার আর কোন সম্পর্ক থাকবে না। তবে ব্যতিক্রম হলো যদি তোমরা তাদের যুল্‌ম হতে আত্মরক্ষার জন্য সতর্কতা অবলম্বন কর। (আলে ইমরান : ২৮) [২২] অমুসলিমদেরকে অমুসলিম না বলা। কেননা আল্লাহ তা’আলা কুরআনে তাদেরকে কাফির বলে আখ্যা দিয়েছেন। অতঃপর বলেছেন : {إِنَّ الَّذِينَ كَفَرُوا مِنْ أَهْلِ الْكِتَابِ وَالْمُشْرِكِينَ فِي نَارِ جَهَنَّمَ خَالِدِينَ فِيهَا أُولَئِكَ هُمْ شَرُّ الْبَرِيَّةِ} “নিশ্চয় কিতাবীদের মধ্যে যারা কুফুরী করেছে, আর যারা মুশরিক তারা জাহান্নামের আগুনে চিরস্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই হল সৃষ্টির মধ্যে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম।” (আর বাইয়্যেনা : ৬) [২৩] এ আকীদা পোষণ করা যে, সবকিছুর মধ্যেই আল্লাহ রয়েছে। এমনকি কুকুর শুকরের মধ্যেও। গীর্জার পাদ্রীর মধ্যেও আল্লাহ রয়েছেন। আল্লাহই পাদ্রী। আল্লাহ সর্বত্র বিরাজমান এ আকীদাকে অহদাতুল উজূদ বলা হয়। এটা র্শি‌কী চিন্তাধারা। এতে ঈমান ভঙ্গ হয়ে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে যায়। [২৪] দীনকে রাষ্ট্রীয় বিষয় হতে পৃথক করা। আর একথা বলা যে, ইসলামে রাজনীতি নেই। এরূপ ধারণা ও মন্তব্যও রাসূলের সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনাদর্শকে মিথ্যা প্রতিপন্ন করে। [২৫] কিছু কিছু বিভ্রান্ত সুফীরা বলে যে, আল্লাহ তা’আলা দুনিয়া পরিচালনার চাবি কুতব নামধারী কয়েকজন আওলিয়ার হাতে অর্পণ করেছেন। তাদের এ ধারণা আল্লাহর কার্যাবলীর সাথে শিরক বলে পরিগণিত হয়। এ আকীদা আল্লাহর বাণীর বিপক্ষে চলে যায়। আল্লাহ তা’আলা বলেন : {لَهُ مَقَالِيدُ السَّمٰوَاتِ وَالأَرْضِ} “আসমান ও যমীনের কর্তৃত্ব ও ক্ষমতার চাবি শুধুমাত্র আল্লাহরই হাতে। (যুমার : ৬৩) উপরে বর্ণিত বিষয়গুলো অযূ ভঙ্গের কারণসমূহের মতই ঈমান ভঙ্গকারী বিপজ্জনক উপাদান। এর কোন একটি আকীদা বা আমল কেউ যদি করে তাহলে সে লোকটি মুসলিম থেকে বহিষ্কার হয়ে যায়। ফলে তার সালাত, সাওম ইবাদত কবূলতো হবেই না। বরং অমুসলমান হয়ে আখিরাতে কাফিরদের সাথে চিরস্থায়ী জাহান্নামী হয়ে যাবে। (নাউযুবিল্লাহ) প্রশ্ন: জেনে না জেনে বা ভুলে উপরে বর্ণিত কোন এক বা একাধিক পাপ যদি কেউ করে ফেলে তাহলে এ থেকে শুধরানোর উপায় কি? উত্তর : তাকে আবার নতুন করে ইসলাম গ্রহণ করতে হবে। তাওবা করতে হবে খালেছ দিলে, অনুশোচনা করা ও অনুতপ্ত হতে হবে। ভবিষ্যতে এমন পাপের ধারে কাছেও আর যাবেনা, এরূপ দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হতে হবে। তার এ তাওবা হতে হবে মৃত্যুর পূর্বে। এতে ইনশাআল্লাহ তা’আলা তাওবা কবুল হবে এবং আল্লাহ তাকে মাফ করে দেবেন। আল্লাহর নামতো তওয়াব এবং তিনি গাফুরুর রাহীম। * সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ, সৌদিআরব
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 12:24am

  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 12:37am

  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 12:57am

  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 12:59am

  • May 27
  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 1:51pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 2:02pm

    Sogood Islam Syeds

    “অভিশাপ ” দেয়া কবীরা গুনাহের মধ্যে একটি ******************************************** রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন— ‘‘মুসলমানদের অভিশাপ করা অন্যায় এবং তাকে হত্যা করা কুফর।’’ (বুখারী:৪৬) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন- ‘‘কোন লোক যখন অন্য কাউকে অভিশাপ করে তথন অভিশাপটি আকাশে উঠতে চেষ্টা করে । কিন্তু তার জন্য আকাশের দরজাগুলি বন্ধ হয়ে যায়। অতঃপর যমীনের দিকে অবতরণ করে। কিন্তু জমিনের দরজাগুলোও বন্ধ হয়ে যায়। অহতঃপর অভিশাপটি ডানে বামে ঘুরতে থাকে। কোথাও যাওয়ার সুযোগ না পেয়ে যার উপর করা হল তার নিকট যায়, যদি সে অভিশাপের উপযুক্ত হয়। অন্যথায় অভিশাপকারীর উপর প্রত্যাবর্তন করে।’’ (আবু দাউদ:৪৬৫৯) কখন অভিশাপ করা যায় ? ? ? যে কারণেই হোক কোন মুসলিম ভইয়ের উপর অভিশাপ করা সম্পূর্ণ হারাম। খারাপ দোষে দুষ্ট ব্যক্তিদের উপর তাদের দোষ উল্লেখ করে অভিশাপ করা যায়। যেমন অত্যাচারীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ, কাফেরদের উপর আল্লাহর অভিশাপ, প্রাণীর ছবি অংকনকারীদের উপর আল্লাহর অভিশাপ ইত্যাদি। =——————————————————–= ধৌর্য ধারন করুন। কখনো নিজেকে,ছেলে মেয়ে বা কাউকেই অভিশাপ দিবেন না। উপরের হাদিস থেকে ভেবে দেখুন আপনি হয়তো আপনার অভিশাপ দেওয়ার কারনে নিজের বা যাকে দিয়েছেন তার অনেক বড় ক্ষতি করে ফেললেন। মানুষতো দূরের কথা, এমনকি প্রাণী বা অন্য কোনোকিছুকেও অভিশাপ দিতে রাসুলুল্লাহ (সা) নিষেধ করেছেন।ধৈর্য ধারণ করুন, অভিশাপ নয়, সেই মুসলিম ভাইটির জন্য আল্লাহর কাছে দুয়া করুন। এটাই ইসলামের শিক্ষা। আল্লাহ আমাদের সবর দিন,আমিন।
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 2:03pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • May 27
  • Sogood Islam Syeds
    5/27, 9:14pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • May 28
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 2:08am

    Sogood Islam Syeds

    আল্লাহর সিফাত সমূহকে খাস দলীল ছাড়া তাবীল করলে বাতিল মতবাদের পথ উন্মুক্ত হয়ে যায়। জাহমীয়া, মু’তাজিলা, মুজাসসিমা, মুশাব্বিহা, আশআরীয়া, মাতুরিদীয়া প্রভৃতি বাতিল সম্প্রদায় সমূহের পথভ্রষ্ঠ হওয়ার কারণ আল্লাহর সিফাত সমূহকে প্রকাশ্য অর্থে না নেওয়া। ছোটবেলায় যখন আল্লাহর সিফাত বা গুণাবলীর (যেমনঃ হাত, পা, আঙ্গুল) কথা শুনতাম, তখনই বুঝ এসে যেত “আরে এগুলো তো রূপক”! কতই না ভয়াবহ আক্বীদাহ নষ্টকারী বিশ্বাস রাখতাম। কিছুই করার নেই, কেননা সমাজে এভাবেই প্রচলিত আছে। এমনকি দেশীয় অনেক মাদরাসাতে এভাবেই শিক্ষা দেওয়া হয়। একবার এক ছাত্রের সাথে আমার তর্ক হয়। তাকে আমি আল্লাহর রাতের শেষ প্রহরে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ সংক্রান্ত সহীহ বুখারীর বিখ্যাত হাদীছটির কথা বললে সে বলে, “আরে ভাই এটা তো রূপক”! মনে রাখবেন কোন কিছুকে “রূপক” বলা সেটাকে অস্বীকার করার মতো। রূপক মানে কাল্পনিক। আল্লাহর শানে রূপক আখ্যা দেওয়া কত বড গোমরাহী তা বলার অপেক্ষা রাখে না।
    মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 2:10am

    Sogood Islam Syeds

    আবু সুহায়ইলা added a new photo — with Mahdi Hassan.
    আবু সুহায়ইলা
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 2:11am

    Sogood Islam Syeds

    আবু সুহায়ইলা added a new photo.
    ইমাম মুসলিম (রহ), একজন নাম, একজন বীর, হাদীসের জগতে একজন বীর। ইমাম মুসলিমকে চেনেননা এমন কেউ নেই। একদা, ইমাম মুসলিমের উস্তাদ মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া আয যুহলী ও ইমাম বুখারী (রহ) এর মতবিরোধ পূরণ মাসালাতে ইমাম মুসলিম (রহ) তার উস্তাদ ইমাম বুখারী (রহ) এর মতে প্রধান্য দেন। কেননা তার উস্তাদ মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া আয যুহলী এর মতগুলো ভুল ছিলো। মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া আয যুহলী এই ঘটনা জানার পরে মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া আয যুহলী একদিন দারসে বলেন: যে ব্যাক্তি ইমাম বুখারী (রহ) এর মতকে সমরথন করে সে যেন আমাদের মজলিসে না বসে। ইমাম মুসলিম (রহ) সেই মুহুরতে চাদর পাগড়ির উপর চরিয়ে দারিয়ে গেলন। বাড়িতে গিয়ে তার উস্তাদ মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া আয যুহলী থেকে যত হাদীস সিখেছেন তার কপি গুলো একজন বাহক মারফত তার কাছে পাঠিয়ে দিলেন। তার থেকে সরে আসলেন ও তার মসজিদে যাতায়াত হতে বিরত থাকলেন। এমনকি, ইমাম মুসলিম তার সহিহ তে মুহাম্মাদ বিন ইয়াহইয়া আয যুহলী থেকে একটিও হাদীষ রেওয়ায়েত করেন নি। এখেত্রে দেওবান্দি আকবির ও তার ছাত্রদের উসুল কি: —————————————————————– দেওবান্দি আকাবির সিরাজুল ইসলমা (বড় হুুজুর) তিনি তার তালিবুল ইলমদেরকে উপদেশ দেয়ার সময় বলেন: যে ব্যাক্তি নিজ উস্তাদের সমালোচনা করবে, সে ৪ টি বিপদে পতিত হবে। *ঐ ব্যাক্তির ইলম লোপ হয়ে যাবে। *দুনইয়াতে অভাব অনটনে পতিত হবে। *সে যুবক অবস্থায় অকালে মৃত্যুবরণ করবে। *সে বে-ঈমান হয়ে দুনিয়া ত্যাগ করবে। (সিরাজ চরিত, পৃষ্টা: ৮৩-৮৪) তাহলে বলুন: – কিভাবে দেওবান্দিরা তার উস্তাদের ভুল কে ভুল ধরে দিবে? -অকালে কে মরতে চায়? -এভাবে আকাবির পুজার সূচনা নয় কি? – এভাবে মাথা ওয়াশড করা হয় নাই কি? এজন্যই দেওবান্দিরা তাদের আকরিব ভুল বললেও সেটাকে সঠিক করেই ছাড়ে যদিও এতে তাদেরকে গহীন সমুদ্রে ডুব দিতে হয়। এমন সমুদ্র যেখানে আলোও পৈছায় না। আল্লাহ আমাদেরকে বোঝার তাওফিক দিন। তাদেরকে সঠিক পথে ফিরিয়ে আনুন। আমীন।
    আবু সুহায়ইলা
  • May 28
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 10:00am

    Sogood Islam Syeds

    নবীদের জীবনীগুলো স্ট্যাডি করা আমাদের সবার জন্য যে কতটা গুরুত্বপুর্ন, তা যে ব্যক্তি সত্যিই ৭৩ রকম ইসলাম থেকে একটি খাটি ইসলাম বের করতে চায়, সে বুঝতে পারে। বিশেষ করে যারা নিজেদের নবীদের ওয়ারিশ ভাবেন, তাদের জন্য, সেসব মাদ্রাসার ছাত্র শিক্ষকদের জন্য নবীদের জীবনগুলো বিশ্লেষণ করে সেখান থেকে শিক্ষা নিয়ে এই উম্মাহকে সেভাবেই নেতৃত্ব দেয়া কর্তব্য যেভাবে নবীগন দিয়েছিলেন। ইমাম আনোয়ার আওলাকি(রাহি) এর ক্ষুরধার বিশ্লেষনধর্মী, দালিলিক ও প্রজ্ঞাপুর্ণ আলোচনা থেকে সেসব নবীদের মুল মিশনগুলো এবং তাদের এক্সপার্টাইজ গুলো আমরা স্পষ্ট বুঝতে পারি। বের হয়েছে তার ২৯ তম পথিকৃৎদের পদচিহ্ন এর লেকচার সুলাইমান আ এর জীবনীর ১ম পার্ট। পাবেন এখানে— https://ia800504.us.archive.org/0/items/Thelivesofprophets/29.BnTheStoryOfSulaimanPart1.mp3 যারা আগেরগুলো শুনে দেখেননি, খুব মিস করছেন। ট্রাই ওয়ানস। Life changing materials are there.
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 12:34pm

    Sogood Islam Syeds

    সালাতুল জানাযা ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা প্রবন্ধটি পড়া হলে, শেয়ার করতে ভুলবেন না রহমান রহীম আল্লাহ্‌ তায়ালার নামে- লেখকঃ শায়খ আব্দুল আযীয ইব্‌ন আব্দুল্লাহ ইব্‌ন বায রাহিমাহুল্লাহ অনুবাদঃ শিহাবউদ্দিন হোসাইন প্রশ্ন -১ দাফনের পর সালাতে জানাযার হুকুম কি? তা কি একমাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ? উত্তর – দাফনের পর জানাযা পড়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (সাঃ) দাফনের পর জানাযার সালাত পড়েছেন। যে ব্যক্তি জামাতের সহিত সালাত পাড়েনি সে দাফনের পর পড়বে। যে একবার পড়েছে সে ইচ্ছা করলে অন্যান্য মুসল্লিদের সাথে একাধিকবার পড়তে পারবে, এতে কোন সমস্যা নেই। আলেমদের প্রসিদ্ধ মতানুসারে দাফনের একমাস পর পর্যন্ত জানাযার সালাত পড়া যায়। প্রশ্ন ২- জানাযায় অংশগ্রহণকারীর যদি আংশিক সালাত ছুটে যায় তাহলে তা আদায় করতে হবে কি? উত্তর – হ্যাঁ, ছুটে যাওয়া অংশ সাথে সাথে আদায় করে নিবে। যদি ইমামকে তৃতীয় তাকবীরে পায় তাহলে সে তাকবির বলে সূরা ফাতিহা পড়বে, ইমাম যখন চতুর্থ তাকবীর বলবে তখন সে দ্বিতীয় তাকবীর বলে রাসূলের উপর দরুদ পড়বে, ইমাম যখন সালাম ফিরাবে তখন সে তৃতীয় তাকবীর বলে দু’আ পড়বে অতঃপর চতুর্থ তাকবির দিয়ে সালাম ফিরাবে। প্রশ্ন ৩- ছুটে যাওয়া আংশিক সালাত আদায়ের আগেই যদি লাশ তুলে নেয়া হয় তাহলে অবশিষ্ট সালাত কিভাবে আদায় করবে? উত্তর – সাথে সাথে তাকবিরে তাহরিমা বলে সূরা ফাতিহা পড়বে, অতঃপর ইমামের সাথে তাকবির বলবে ও রাসূলের (সাঃ) উপর দরুদ পড়বে। অতঃপর ইমাম সালাম ফিরালে সে তাকবির দিয়ে দো‘আ করবে, যার অর্থ: “হে আল্লাহ, তুমি এ মৃতকে ক্ষমা কর”, অতঃপর তাকবির বলে সালাম ফিরাবে। ইমামের সাথে দু’তাকবির পেলে বর্ণিত পদ্ধতি অনুসরণ করবে। প্রশ্ন ৪- জানাযার সালাতে ইমামের ডানপাশে কাতার বন্ধি জায়েয কি না? উত্তর – প্রয়োজনে ইমামের ডান ও বাম দিকে কাতার বন্ধি করা যেতে পারে, তবে ইমামের পিছনে কাতার বন্ধি করাই সুন্নত, কিন্তু জায়গার সঙ্কীর্ণতার কারণে ইমামের ডান ও বামে কাতার হতে পারবে। প্রশ্ন ৫- মুনাফেকের উপর জানাযার নামাজ পড়া যাবে কি? উত্তর – যার নেফাক সুস্পষ্ট, তার উপর জানাযার সালাত পড়া যাবে না। কারণ আল্লাহ তাআলা বলেনঃ ﴿وَلَا تُصَلِّ عَلَىٰٓ أَحَدٖ مِّنۡهُم مَّاتَ أَبَدٗا ٨٤﴾ [التوبة: 84] “আর তাদের মধ্যে যে মারা গিয়েছে, তার উপর তুমি জানাযা পড়বে না”। (সূরা আত-তাওবাহ: ৮৪) আর যদি নেফাকির বিষয়টি অস্পষ্ট বা অপবাদমুলক হয়, তাহলে তার উপর জানাযা পড়া যাবে, কারণ মৃতের উপর জানাযা পড়া অকাট্য দলীলের কারণে ওয়াজিব, যা কোন সন্দেহের দ্বারা রহিত হবে না। প্রশ্ন ৬- লাশ দাফনের একমাস পর কবরের উপর জানাযা পড়া যাবে? উত্তর – এ প্রসঙ্গে আলেমদের মতানৈক্য রয়েছে, তাই উত্তম হল একমাসের পর না পড়া। অধিকাংশ বর্ণনা মতে দেখা যায় যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একমাস পর্যন্ত কবরের উপর জানাযা পড়েছেন, একমাসের বেশী সময় অতিবাহিত হওয়ার পর নামাজ পড়ছেন বলে কোন প্রমাণ নেই। তাছাড়া প্রকৃতপক্ষে জনাযা তো দাফনের পূর্বে পরে নয়। প্রশ্ন ৭- জানাযার স্থানে পৌঁছতে অক্ষম ব্যক্তি গোসল খানায় জানাযা পড়তে পারবে? উত্তর – হ্যাঁ, পড়তে পারবে যদি গোসলখানা পাক হয়। প্রশ্ন ৮- মৃতব্যক্তিকে সালাত পর্যন্ত কোন কক্ষে রাখতে কোন অসুবিধা আছে কি? উত্তর – না, তাতে কোন অসুবিধা নেই। প্রশ্ন ৯-এ হাদিসটি কতটুকু শুদ্ধ যেখানে বলা হয় যে, «إنَّ الشَّيَاطِيْنَ تَلْعَبُ بِالْمَيِّتِ» “শয়তান মৃতব্যক্তিকে নিয়ে খেলা করে”। উত্তর – এটি একটি বিভ্রান্তিকর কাথা, আমাদের জানামতে ইসলামি শরি‘আতে এর কোন ভিত্তি নেই। প্রশ্ন ১০- যারা কবরের উপর নির্মিত মসজিদে নামায পড়া বৈধ মনে করে, তারা তাদের সপক্ষে দলিল পেশ করে যে, মসজিদে নববিও তো কবরের উপর, সেখানে কিভাবে সালাত শুদ্ধ হচ্ছে? উত্তর – রাসূলের কবর মসজিদে নয় বরং রাসূলের কবর তাঁর ঘরের ভিতর। যারা ধারণা করে যে মসজিদে নববি রাসূলের কবরের উপর তাদের ধারণা ভুল। প্রশ্ন ১১- জানাযার নামাজে ইমামতির জন্য মসজিদের স্থায়ী ইমাম অধিক হকদার, না মৃতের ওয়ারিসগণ? উত্তর – জানাযা যদি মসজিদে হয়, তাহলে মসজিদের ইমামই জানাযা পড়াবে। প্রশ্ন ১২- আমরা জানি যে দাফনের পর প্রায় একমাস পর্যন্ত মৃতের উপর নামাজ পড়া যায়। তাহলে প্রশ্ন জাগে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কিভাবে তাঁর শেষ জীবনে “জান্নাতুল বাকি”তে (মসজিদের নববির পাশে অবস্থিত গোরস্তান) দাফন কৃত সাহাবাদের উপর জানাযা পড়েছেন এবং তাদেরকে সম্বোধন করে কথা বলেছেন? উত্তর – তাদের উপর জানাযা পড়েছেন, এর অর্থ হচ্ছে তাদের জন্যে দু’আ করেছেন, আর মৃতদের জন্যে দো‘আ যে কোন সময় হতে পারে। প্রশ্ন ১৩- যে মসজিদে কবর বিদ্যমান, সেখানে কি সালাত পড়া যাবে? উত্তর – না, যে মসজিদে কবর রয়েছে সেখানে সালাত পড়া যাবে না। কারণ রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহূদী ও খৃস্টানদেরকে এ জন্যে অভিশাপ করেছেন যে, তারা তাদের নবীগণের কবরকে মসজিদে পরিণত করেছিল। প্রশ্ন ১৪- যদি অবস্থা এমন হয় যে পুরা শহরে একটি মাত্র মসজিদ, আর তাতে রয়েছে কবর এমতাবস্থায় মুসলিমগণ কি ঐ মসজিদে নামায পড়বে? উত্তর – মুসলিম কখনো সে মসজিদে সালাত পড়বে না। যদি কবরহীন অন্য কোন মসজিদ পাওয়া যায় তা হলে ঐ মসজিদে পড়বে অন্যথায ঘরেই সালাত পড়বে। কোন মসজিদে কবর থাকলে দেখতে হবে যে, মসজিদ আগে নির্মাণ হয়েছে না কবর আগে তৈরি হয়েছে, যদি মসজিদ আগে হয়ে থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষের উপর ওয়াজিব হচ্ছে কবর খনন করে সেখান হতে অবশিষ্ট হাড্ডি মাংশ উত্তলন করে সাধারণ জনগনের জন্যে ব্যাবহারিত কবরস্থানে স্থানান্তর করা। আর যদি কবর পূর্ব হতে থাকে আর মসজিদ পরে নির্মাণ হয়। তাহলে সেখান থেকে মসজিদ ভেঙ্গে অন্য জায়গায় নির্মাণ করবে, যেখানে কোন কবর নেই। কারণ আম্বিয়ায়ে কেরামের কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইয়াহূদী ও খৃস্টানদেরকে অভিশাপ দিয়েছেন (মুসলিমঃ কিতাবুস সালাতঃ ১০৭৯)। মুমিন জননী উম্মে সালমা ও উম্মে হাবীবাহ যখন সংবাদ দিলেন যে, হাবশায় তাঁরা এমন একটি গির্জা দেখেছেন যেখানে প্রতিমার ছবি নির্মিত। এতদশ্রবণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “তাদের মাঝে কোন সৎকর্মশীল লোক মারা গেলে তারা তাদের কবরের উপর মসজিদ নির্মাণ করত এবং সেখানে তাদের প্রতিমা স্থাপন করত। তারা আল্লাহর নিকট এ ভূ-পৃষ্ঠের মধ্যে নিকৃষ্টতম প্রাণী”(মুসলিম ১০৭৬) এ থেকে প্রমাণিত হয় যে, কোন ব্যক্তি কবরের উপর নির্মিত মসজিদে সালাত পড়লে তা বাতিল বলে গণ্য, এ সালাত পুনরায় পড়তে হবে। প্রশ্ন ১৫- জানাযার নিয়ম কি ? উত্তর – জানাযার নিয়ম এই যে, প্রথমে তাকবির বলে ইমাম সাহেব আউযুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ে সূরা-ফাতিহা পড়বে। সূরা ফাতিহার সাথে সূরায়ে ইখলাস বা সূরায়ে ‘আসরের ন্যায় কোরআনের কোন ছোট সূরা বা কিছু আয়াত মিলিয়ে নেয়া মুস্তাহাব। সাহাবি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এভাবে সূরা মিলিয়ে জানাযা পড়তেন। অতঃপর দ্বিতীয় তাকবির দিয়ে রাসূলের (সাঃ) উপর দরুদ পড়বে, যেমন অন্যান্য নামাযের শেষ বৈঠকে পড়া হয়। অতঃপর তৃতীয় তাকবির দিয়ে মৃতের জন্যে দু’আ করবে, দু’আর সময় নারী-পুরুষের ক্ষেত্রে শব্দের আভিধানিক পরিবর্তন প্রয়োগ করবে, একাধিক জানাযা হলে বহুবচনের সর্বনাম ব্যবহার করবে। অতঃপর চতুর্থ তাকবির বলবে এবং ক্ষণকাল চুপ থেকে ডান দিকে এক সালাম ফিরিয়ে জানাযা শেষ করবে। আর ছানা ইচ্ছা করলে পড়তেও পারে, আবার ইচ্ছা করলে ছেড়েও দিতে পারে। তবে তা পরিত্যাগ করাই উত্তম হবে। কেননা, রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তোমরা জানাযা নিয়ে তাড়াতাড়ি করবে।” ( মুসলিম ২০৬১) প্রশ্ন ১৬- যে ব্যক্তি জানাযা ও দাফনে অংশগ্রহণ করবে সে কি দু’কিরাত নেকি পাবে? উত্তর – হ্যাঁ, সে দু’কিরাত নেকি পাবে। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ ولقوله صلى الله عليه وسلم «من شهد الجنازة حتى يصلى عليها فله قيراط ومن شهدها حتى تدفن فله قيراطان» قيل يارسول الله: وما القيراطان ؟ قال: «مثل الجبلين العظيمين» “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আরও বলেছেন, যে ব্যক্তি জানাযায় অংশগ্রণ করত নামাজ পর্যন্ত অপেক্ষা করবে সে এক কিরাত নেকি পাবে, আর যে জানাযায় অংশগ্রহণ করে দাফন পর্যন্ত অপেক্ষা করবে সে দু’কিরাত নেকি পাবে”। জিজ্ঞসা করা হল, হে আল্লাহর রাসূল! দু’কিরাত বলতে কি বুঝায়? রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেনঃ “দুইটি বড় পাহাড় সমপরিমাণ”। (বুখারি ৪৫; মুসলিম ২০৬৮, ২০৬৫, ২০৬৭, ২০৬৯) প্রশ্ন ১৭- ইসলামে বিশেষ অবদান রেখেছেন এমন ব্যক্তির জানাযা একদিন বা ততোধিক বিলম্ব করা যাবে? উত্তর – বিলম্ব করাতে যদি কল্যাণ থাকে তাহলে করা যাবে। যেমন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের মৃত্যু হয়েছে সোমবার অথচ তাঁর দাফন হয়েছে বুধবার রাতে। তাই ইসলামের সেবায় নিবেদিত এমন ব্যক্তির দাফন বিলম্বে যদি কোন কল্যাণ থাকে, যেমন তার আত্মীয় স্বজনের আগমন ইত্যাদি, তাহলে বিলম্ব করা যেতে পারে। প্রশ্ন ১৮- কোন মৃতের উপর একাধিক বার জানাযা পড়ার হুকুম কি? উত্তর – বিশেষ কারণে একাধিক বার জানাযা পড়া যেতে পারে, যেমন জানাযা শেষে কিছু লোক উপস্থিত হলো, তাহলে এরা মৃতের উপর দাফনের পূর্বে বা পরে জানাযা পড়তে পারবে। এমনিভাবে যে একবার সবার সাথে জানাযা পড়েছে সে আগত লোকদের সাথে লাশ দাফনের পরে ও পুনরায় জানাযা পড়তে পারবে। কারণ এতে সালাত আদায়কারী ও মৃত ব্যক্তি উভয়ের জন্য কল্যাণ রয়েছে। প্রশ্ন ১৯- মায়ের গর্ভে মৃত সন্তানের জানাযা পড়া যাবে কি? উত্তর – পাঁচ মাস বা ততোধিক সময় গর্ভে অবস্থান করে যদি কোন সন্তান মৃত ভূমিষ্ঠ হয়, তাহলে তাকে গোসল দেবে, তার জানাযা পড়বে ও তাকে মুসলিমদের গোরস্থানে দাফন করবে। প্রশ্ন ২০- আত্মহত্যাকারীর জানাযা পড়া যাবে কি? উত্তর – যেহেতু আহলে সূন্নত ওয়াল জামায়াতের মতানুসারে আত্মহত্যার কারণে কেউ মুসলিমদের গন্ডি হতে বেরিয়ে যায় না, তাই অন্যান্য অপরাধীদের ন্যায় তার উপরও কিছু সংখ্যক লোক জানাযা পড়ে নিবে। প্রশ্ন ২১- নিষিদ্ধ সময়ে জানাযার নামাজা পড়ার বিধান কি? উত্তর – নিষিদ্ধ সময়ে জানাযা পড়া যাবে না, তবে নিষিদ্ধ সময়টি যদি লম্বা হয়, যেমন ফজরের সালাতের পর হতে সূর্য উঠা পর্যন্ত এবং আসরের সালাতের পর হতে সুর্যাস্ত পর্যন্ত, বিশেষ প্রয়োজনে এ দু’সময়ে জানাযা পড়া ও লাশ দাফন করা যাবে। আর যদি নিষিদ্ধ সময়টি স্বল্প হয় তাহলে জানাযা ও দাফন কিছুই করা যাবে না। আর সল্প সময় বলতে বুঝায় ঠিক বেলা উঠার পূর্ব মুহূর্ত এবং ঠিক দ্বিপ্রহর ও সুর্যাস্তের সময়। সাহাবি উকবা ইবন আমের রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, «ثلاث ساعات كان رسول الله صلى الله عليه وسلم ينهانا أن نصلي فيهن و أن نقبر فيهن موتانا: حين تطلع الشمس بازغة حتى ترفع وحين يقوم قائم الظهيرة حتى تزول وحين تضيّف الشمس للغروب». “রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তিন সময়ে আমাদেরকে জানাযা পড়তে ও তাতে আমাদের মৃতদেরকে দাফন করতে নিষেধ করেছেন, সুর্যোদয়ের সময় যতক্ষণ না তা পরিপূর্ণরূপে উদয় হয়, ঠিক দ্বিপ্রহরের সময় যতক্ষণ না সূর্য পশ্চিম দিকে হেলে যায় এবং ঠিক সূর্যাস্তের সময়। [মুসলিম] প্রশ্ন ২২- বিদ’আতির জানাযায় অংশ গ্রহণ না করার বিধান কি? উত্তর – বিদ’আতির বিদ‘আত যদি বিত’আতিকে কুফর পর্যন্ত নিয়ে যায়, যেমন খারেযি, মুতাযিলা ও জাহমিয়া প্রমূখ পথভ্রষ্ট সম্প্রদায়ের বিদ‘আত। তাহলে এরূপ বিদ’আতির জানাযায় অংশ গ্রহণ করা কারো পক্ষেই জায়েয নয়। আর যদি তার বিদ‘আত এ পর্যায়ের না হয়, তবুও আলেমদের উচিত বিত’আতের প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করে তার জানাযা পরিত্যাগ করা। প্রশ্ন ২৩- আলেমদের ন্যায় জনসাধারণ কি বিদ’আতির জানাযা পরিত্যাগ করবে না ? উত্তর – প্রতিটি মুসলিমের জানাযা পড়া ওয়াজিব, যদিও সে বিদ’আতি হয়। সুতরাং বিদ‘আত যদি কুফরের পর্যায়ের না হয়, তাহলে এরূপ বিদ’আতির জানাযা মুষ্টিমেয় কিছু লোক পড়ে নেবে। আর যদি বিদ‘আত কুফরের পর্যায়ের হয়, যেমন খারেযি, রাফেযি, মুতাযিলা ও জাহমিয়া প্রমূখদের বিদ‘আত, যারা বিপদে-আপদে আলী রাদিয়াল্লাহু আনহু ও রাসূলের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের শরণাপন্ন হয়, তাদেরকে আহ্বান করে, তাহলে এরূপ বিদ‘আতিদের জানাযায় অংশগ্রহণ করা কাহারো জন্যই জায়েয নেয়। আল্লাহ তাআলা মুনাফেক ও তাদের ন্যায় অন্যান্য কাফেরদের প্রসঙ্গে বলেছেনঃ ﴿وَلَا تُصَلِّ عَلَىٰٓ أَحَدٖ مِّنۡهُم مَّاتَ أَبَدٗا وَلَا تَقُمۡ عَلَىٰ قَبۡرِهِۦٓۖ إِنَّهُمۡ كَفَرُواْ بِٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦ وَمَاتُواْ وَهُمۡ فَٰسِقُونَ ٨٤﴾ [التوبة: 84] “আর তাদের মধ্যে যে মারা গিয়েছে, তার উপর তুমি জানাযা পড়বে না এবং তার কবরের উপর দাঁড়াবে না। নিশ্চয় তারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলকে অস্বীকার করেছে এবং তারা ফাসিক অবস্থায় মারা গিয়েছে”। (সূরা আত-তাওবাহ: ৮৪) প্রশ্ন ২৪- জানাযায় অধিক সংখ্যক লোকের অংশ গ্রহণে কি বিশেষ কোন ফজিলত আছে? উত্তর – সাহাবি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ «ما من رجل مسلم يموت فيقوم على جنازته أربعون رجلا لايشركون بالله شيئاً إلا شفعهم الله فيه» “যদি কোন মুসলিম মৃত্যুবরণ করে, আর তার জানাযায় চল্লিশ জন লোক এমন উপস্থিত হয়, যারা আল্লাহর সাথে কাউকে শরিক করে না, আল্লাহ মৃত ব্যক্তির ব্যাপারে তাদের সুপারিশ কবুল করবেন”। (মুসলিম ২০৭২) তাই আলেমগণ বলেছেন, যে মসজিদে মুসল্লি বেশী হয়, জানাযার জন্য ঐ মসজিদ অন্বেষণ করা মুস্তাহাব, মুসল্লি যত বেশী হবে ততই মৃতের জন্যে কল্যাণ হবে, কারণ এতে সে অধিক মানুষের দু’আ পাবে। প্রশ্ন ২৫- জানাযার সালাতে ইমামের দাঁড়ানোর নিয়ম কি? উত্তর – সুন্নত হচ্ছে ইমাম পুরুষদের মাথা বরাবর আর মহিলাদের মাঝা বরাবর দাঁড়াবে। জানাযা একাধিক লোকের হলে প্রথমে সালাবক পুরুষদের লাশ, অতঃপর নাবালেক ছেলেদের লাশ, অতঃপর সাবালক নারীদের লাশ, অতঃপর নাবালেক মেয়েদের লাশ রাখবে। একই সাথে সবার উপর নামাজ পড়ার জন্য প্রথমে পুরুষদের লাশ লাখবে, অতঃপর তাদের মাথা বরাবর বাচ্ছাদের মাথা রাখাবে, অতঃপর তাদের মাথা বরাবর নারী ও মেয়েদের কোমর রাখবে। প্রশ্ন ২৬- জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ার হুকুম কি? উত্তর – জানাযার সালাতে সূরা ফাতিহা পড়া ওয়াজিব। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ « صلوا كما رأيتموني أصلي » “তোমরা আমাকে যেভাবে সালাত আদায় করতে দেখ, সেভাবেই সালাত আদায় কর”। (বুখারি) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ « لا صلاة لمن لم يقرأ بفاتحة الكتاب » “ঐ ব্যক্তির কোন সালাত হয়নি, যে সূরা ফাতিহা পাঠ করে নি”। (বুখারি ৭২৩) প্রশ্ন ২৭- চতুর্থ তাকবির শেষে কিছু পড়ার বিধান আছে কি? উত্তর – চতুর্থ তাকবির শেষে কিছু পড়ার প্রমাণ নেই, তবে চতুর্থ তাকবির শেষে একটু চুপ থেকে অতঃপর সালাম ফিরাবে। প্রশ্ন ২৮- ব্যক্তিত্ব সম্পন্ন মৃতলোকের জানাযায় অতিরিক্ত তাকবির বলা যাবে কি? উত্তর – প্রচলিত নিয়ম তথা চার তাকবিরের উপর সীমাবদ্ধ থাকাই উত্তম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শেষ জীবনে জানাযার পদ্ধতি এরূপই ছিল। হাবশার বাদশা নাজ্জাশী অত্যন্ত সম্মানী মানুষ হওয়া সত্বেও রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার জানাযায় চারের অধিক তাকবির বলেননি। প্রশ্ন ২৯- জানাযার নামাজে রাসূলের উপর দরূদ পড়ার হুকুম কি? উত্তর – ওলামায়ে কেরামের প্রসিদ্ধ উক্তি অনুযায়ী জানাযার সালাতে রাসূলের উপর দরূদ পড়া ওয়াজিব। মুসল্লিরা জানাযায় কখনো রাসূলের উপর দরূদ পরিত্যাগ করবে না। প্রশ্ন ৩০- জানাযায় সূরা-ফাতিহা পড়ার বিধান কি? উত্তর – সূরা ফাতিহা পড়া উত্তম, সাহাবি ইব্‌ন ইব্বাস রাদিআল্লাহ আনহু সূত্রে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাযায় সূরা ফাতেহা পড়তেন। প্রশ্ন ৩১- জানাযার প্রতি তাকবিরে হাত উঠানো কি সুন্নত ? উত্তর – জানাযার প্রতি তাকবিরে হাত উঠানো সুন্নত। বর্ণিত আছে যে, সাহাবি আব্দুল্লাহ ইব্‌ন ওমর ও আব্দুল্লাহ ইব্‌ন আব্বাস প্রতি তাকবিরে হাত উঠাতেন। (দারা কুতনি) প্রশ্ন ৩২- জনৈক ব্যক্তি জানাযা পড়তে মসজিদে প্রবেশ করল, কিন্তু তখনো সে ফরজ সালাত পড়েনি, এমতাবস্থায় সে কি প্রথমে ফরজ নামাজ পড়বে, না অন্যান্য লোকদের সাথে জানাযায় অংশগ্রহণ করবে। যদি ইতিমধ্যে লাশ তুলে নেয়া হয় তাহলে সে জানাযার নামাজ পড়বে কি না? উত্তর -এমতাবস্থায় সে প্রথমে জানাযার নামাজ আদায় করবে অতঃপর ফরজ নামাজ পড়বে, কারণ তখন যদি সে জানাযা না পড়ে পরবর্তীতে পড়তে পারবে না, পক্ষান্তরে ফরজ নামাজ তো পরেও পড়া যাচ্ছে। লাশ তুলে নেয়ার হলে দাফনের পর জানাযা পড়বে। প্রশ্ন ৩৩- আমাদেরে কর্মক্ষেত্রে দেখা যায় যে, কোন সহকর্মী মারা গেলে বিজ্ঞাপন বিতরণ করা হয়, যাতে জানাযার সময় ও দাফনের স্থানের উল্লেখ থাকে, এ ব্যাপারে শরি‘আতের হুকুম কি? উত্তর – যদি এরূপ বলা হয় যে অমুক মসজিদে অমুকের জানাযা হবে ইত্যাদি, তাহলে আমার জানা মতে দোষের কিছু নেই, যেমন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নাজ্জাশির ব্যাপারে বলেছিলেন। প্রশ্ন ৩৪- গায়েবানা জানাযার বিধান কি? উত্তর – প্রসিদ্ধ মতানুসারে এটা নাজ্জাশীর জন্যে নির্দিষ্ট ছিল। তবে কতিপয় আলেম বলেছেন যে, মৃত ব্যক্তি যদি বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অধিকারী হয়, যেমন বড় আলেম, বড় দায়ি, ইসলাম প্রচারের ক্ষেত্রে যার বিশেষ অবদান রয়েছে, এরূপ ব্যক্তির ক্ষেত্রে গায়েবানা জানাযা পড়া যেতে পারে। কিন্তু আমাদের জানা মতে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এক নাজ্জাশি ছাড়া অন্য কারো উপর গায়েবানা জানাযা পড়েননি, অথচ তাঁর নিকট মক্কাতুল মুক্কারামাহসহ বিভিন্ন স্থান হতে অনেক সাহাবিদের মৃত্যুর সংবাদ এসে ছিল। বাস্তবতার নিরিখে এটাই সত্য মনে হচ্ছে যে, গায়েবানা জানাযা নাজ্জাশির জন্যেই নির্দিষ্ট ছিল, তথাপিও যদি কেউ বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বের অধিকারী যেমন আলেম ও সরকারী কর্মকর্তা প্রমূখদের উপর পড়তে চায়, তাহলে পড়ার অবকাশ রয়েছে। প্রশ্ন ৩৫- জানাযায় অধিক কাতার মুস্তাহাব, তাই প্রথম কাতারে জায়গা রেখে দ্বিতীয় কাতার করা যাবে কি? উত্তর – ফরজ নামাজের কাতারের ন্যায় জানাযার নামাজের কাতার হবে। তাই আগে প্রথম কাতার পূর্ণ করবে অতঃপর দ্বিতীয় কাতার। এক্ষেত্রে সাহাবি মালেক ইব্‌ন হুবাইরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু সূত্রে বর্ণিত হাদিসের উপর আমল করা যাবে না, কারণ তার বর্ণিত হাদিসটি বিশুদ্ধ হাদিসের বিপরীত, যার দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, প্রথম কাতার পূরণ করা ওয়াজীব। প্রশ্ন ৩৬- জানাযার নামাজ কি মাঠে পড়া উত্তম না মসজিদে? উত্তর – সম্ভব হলে মাঠে পড়াই উত্তম। তবে মসজিদে পড়াও জায়েয আছে, যেমন মুমিন জননী আয়শা রাদিয়াল্লাহু আনহা সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বয়জা নামীয় ব্যক্তির দু’পুত্রের জানাযা মসজিদেই পড়েছেন। (মুসলিম) প্রশ্ন ৩৭- জানাযায় সূরা ফাতিহা পড়া সুন্নত, এ ব্যাপারে লোকজনকে অবগত করার জন্যে মাঝে মধ্যে তা স্বশব্দে পড়া কেমন? উত্তর – কখনো কখনো সূরা ফাতিহা স্বশব্দে পড়তে সমস্যা নেই, যদি সূরা ফাতিহার সাথে অন্য কোন ছোট একটি সূরা বা কিছু আয়াত মিলিয়ে নেয়া হয় তাহলে আরও ভাল। সাহাবি আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা সূত্রে বর্ণিত আছে যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানাযার নামাজে সূরা ফাতিহার সাথে অন্য সূরা মিলিয়ে নিতেন। তবে যদি শুধু সূরা ফাতিহা পড়ে তাও যথেষ্ট। প্রশ্ন ৩৮-গায়েবানা জানাযার পদ্ধতি কি? উত্তর – লাশ উপস্থিত থাক আর না থাক জানাযার পদ্ধতি একই। by QuranerAlo
    Rafia Begum
  • Best Islam Salaf
    5/28, 2:45pm

    Best Islam Salaf

    so good Islam

    প্রশ্ন : মহিলারা কি মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবে? উত্তর : পবিত্র আল কোরআনে এমন কোনো আয়াত নেই, যেটা মহিলাদের মসজিদে সালাত আদায়কে নিষেধ করেছে, এ ছাড়াও এমন কোনো সহীহ্ হাদীস ও নেই, যেখানে বলা হচ্ছে যে মহিলারা মসজিদে সালাত আদায় করতে পারবেনা বা মসজিদে যেতে পারবেনা। সত্যি বলতে এমন অনেক সহীহ্ হাদীস আছে যেগুলো উল্টোটা বলছে। সহীহ্ বুখারীর 1নং খন্ড অধ্যায় 84 হাদীস 832 ( যখন তোমাদের স্ত্রীগণ তারা মসজিদে যেতে চাই তাদেরকে বাঁধা দিওনা) আরো রয়েছে সহীহ্ বুখারীর 1 নং খন্ড অধ্যায় 80 হাদীস 824 ( যখন মহিলারা রাতের বেলায় মসজিদে যেতে চাইবে যেতে দাও,) একি কথা সহীহ্ মুসলিমের 1নং খন্ড অধ্যায় 175 হাদীস 881 ( আবু হুরায়রা (রা:) তিনি বলেছেন পুরুষের জন্য শ্রেষ্ঠ সারি হলো প্রথম সারি, সব চেয়ে খারাপ সারি হলো শেষের সারি। আর মহিলাদের জন্য শ্রেষ্ঠ সারি হলো শেষের সারি আর সবচেয়ে খারাপ সারি হলো সামনের সারি) এতে সুস্পষ্ট ভাবে বুঝা গেলো পুরুষ ও মহিলারা একসাথে মসজিদে সালাত আদায় করতো, এমন আরো হাদীস রয়েছে যেমন সহীহ্ মুসলিমের 1নং খন্ড অধ্যায় 177 হাদীস 884 ( তোমরা মসজিদে যেতে আল্লাহর কোনো গোলাম কে বাঁধা দিওনা) অত্র অধ্যায়ের 891নং হাদীসে বলা হয়েছে ( তোমরা মসজিদের ভেতরে মহিলাদের জায়গাটা কেড়ে নিওনা) তার মানে আমাদের নবীজির সময়ে মহিলারা মসজিদে যেতেন, আর নবীজি কখনোই মসজিদে ঢুকতে বাঁধা দেননি। তবে বর্তমানে আমাদের দেশে বেদাতী হুজুরদের কাছে প্রশ্ন. করে দেখুন, তারা বলবেন আস্তাগফিরুল্লাহ আপনি কি বলছেন, আজব কথা এগুলো আমাদের বাপের বয়সেও শুনিনি!
    Anwar Bin Mozammal
  • Sogood Islam Syeds
    5/28, 4:19pm

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it

 

4]-fb.mess-best salaf

 

  • May 18
  • Sogood Islam Syeds
    5/18, 10:18pm

    Sogood Islam Syeds

    X Łõvę Şhîşhîŕ added a new photo.
    খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করুন…!! নিজের মৃত দেহ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেইঃ . মৃত্যুর পর আমাদের শরীরের কি ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়? ১) তিন দিন পর নখ পড়ে যেতে শুরু করে। ২) চার দিন পর চুল ক্ষয় হওয়া শুরু করে। ৩) পাঁচদিন পর মস্তিষ্ক গলে যেতে শুরু করে। ৪) ছয়দিন পর পাকস্থলি গলে মুখ দিয়ে এবং গোপন অঙ্গ দিয়ে বের হতে থাকে। ৫) ষাট দিন পর হাড় ছাড়া কিছুই থাকেনা। . এবার একটু ভাবুনতো, একটু চিন্তা করুন মনোযোগ দিয়ে… যদি এই মুহুর্তে আমি বা আপনি মারা যাই তাহলে উপরোক্ত ঘটনা ঘটা শুরু হবে আমি অথবা আপনার দেহের আপনার কিংবা আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা অহংকার করার জন্য। সাজার জন্য অথবা পরিপাটি হওয়ার জন্য। অপরদিকে, আমরা এরকমও দেখতে পাই যে, যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা তাদের লাশ শত শত বছর পরও অক্ষত থেকে যায়। আল্লাহ বলেছেন, ”যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদের তোমরা মৃত বলোনা বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা বুঝনা।” – (সূরা বাকারা ১৫৪) . ★ তাহলে কি জন্য কিংবা কোন বিষয়ে আমরা অহংকার করব? ★ কি কারনে আমরা আল্লাহর অবাধ্য হব? ★ কোন অজুহাতে আমরা নামাজ ছেড়ে দেব? ★ কি কারনে আমরা নিশ্চিত মৃত্যু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে জেনেও গাফলতির মধ্যে সময় কাটাব? . আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, “মিনহা খালাক নাকুম ওয়াফিহা নুয়িদুকুম ওয়ামিনহা নুখরিজুকুম তা রাতান উখরা।” অর্থাৎ ,”মাটি দিয়ে আমি সৃষ্টি করেছি, এই মাটিতেই আবার ফিরিয়ে দেব এই মাটি থেকেই আবার আমি তুলে আনব। (সূরা ত্বাহা :২০ :৫৫) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো বলেন, “প্রত্যেক প্রাণিকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে।” -(আল কোরআন) . তাই আসুন, সব ধরনের অহংকার পরিত্যাগ করে আমরা সবাই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করি। নিজে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচি এবং আমাদের পরিবার পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাই।’ . আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবাইকে সেই তওফিক দান করুন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন। . সবাই বলুন ‘আমিন’!! . কেউ আমিন না লিখে যাবেননা। “শেয়ার/ ট্যাগ/ম্যানশন” করে আপনার বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিন।
    X Łõvę Şhîşhîŕ
  • Sogood Islam Syeds
    5/18, 10:23pm

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত-১ শবে বরাতের তত্ত্বকথা এবং ‘লা মাযহাবী’ ভাইদের বিভ্রান্তির জবাব শবে বরাত তথা অর্ধ শাবানের রাত হচ্ছে বছরের অন্যান্য সাধারণ রাতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। নির্ভরযোগ্য হাদীসে এ রাতের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের কিছু ভাই এ রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করেন। তাদের সাফ কথা, এ রাতের কোন গুরুত্ব নেই। বছরের অন্যান্য রাতে যাদের ইবাদতের অভ্যাস নেই তারা এ রাতে ইবাদত করলে বিদআত হবে। তারা বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে থাকেন। তাদের বিভ্রান্তির মধ্যে একটি হচ্ছে যে, অর্ধ শা’বানের রাতের আমল ৪৪৮ হিজরীতে উৎপত্তি হয়, এর আগে অর্ধ শা’বানের রাতে কোন ইবাদত পালন করা হতো না। সুতরাং এ রাতে ইবাদত করা বিদআত। কেননা ‘খাইরুল কুরূনে’র পরবর্তী সৃষ্ট সবকিছুই তো বিদআত। এক্ষেত্রে তারা তারতুশী রহ. এর একটি বক্তব্য উল্লেখ করে থাকেন। তাদের এধরণের বক্তব্য শুনে প্রথমে খুবই কৌতূহলী ছিলাম। যে রাতের ফযীলতের কথা সহীহ হাদীসে এসেছে, যে রাতের ইবাদতের প্রতি যুগশ্রেষ্ট উলামা, ফুকাহা ও মুহাদ্দিসগণ গুরুত্বারূপ করেছেন এবং মুস্তাহাব বলেছেন, সেই রাতের ইবাদত পাঁচশত শতাব্দির উৎপত্তি!! খুবই আশ্চর্যের বিষয়! একসময় পৌঁছে গেলাম তারতুশী রহ. কিতাব ‘মুখতাসারুল হাওয়াদিছি ওয়াল বিদা’ পর্যন্ত। সেখানে তাঁর বক্তব্য পড়ে তো আমি হতবাক! তিনি কী বলেছেন আর তারা কি বলে বিভ্রান্ত করছে! তাদের কথার সাথে তারতুশী রহ. এর বক্তব্যের কোন মিল খোঁজে পেলাম না। দেখুন, তিনি কী বলেছ-‘‘আবু মহাম্মদ মাকদিসী আমাকে জানিয়েছেন যে, এই ‘সালাতুর রাগাইব’ যা রজব এবং শা’বানে পড়া হয় তা ‘বাইতুল মুকাদ্দাসে’ ছিল না। সর্বপ্রথম এটি চালু হয় ৪৪৮ হিজরির শরুর দিকে। ‘ইবনু আবিল হামরা’ নামে পরিচিত ‘নাবুলুস’ এর এক ব্যক্তি বাইতুল মুকাদ্দাসে আমাদের কাছে আসে। সে সুন্দর তেলাওয়াত করতে পারত। অর্ধ শা’বানের রাতে ‘মসজিদে আকসা’য় সে নামায পড়ল। তার পিছনে আরেকজন তাহরিমা বাঁধল এরপর তৃতীয় আরেকজন এরপর চতুর্থ আরেকজন এভাবে নামায শেষ করতে করতে দেখা গেল অনেক লোকের জামাত। পরবর্তী বছর আবার আসল এবং তার সাথে অনেক লোক নামায পড়ল একসময় এই নামাযটি মসজিদে ছড়িয়ে পড়ল। এমনকি মসজিদে আকসাসহ মানুষের ঘর-বাড়িতেও নামাজটি প্রচার লাভ করল। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত এটি এমনভাবে স্থির হয়ে গেল যেন এটিই নিয়ম।! (মুখতাসারুল হাওয়াদিছি ওয়াল বিদা, তারতুশী, পৃ. ৮৬-৮৭) এই হচ্ছে তারতুশী রহ. এর বক্তব্য। দেখুন, কিভাবে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন! তারতুশী রহ. কথা থেকে একথা কি বুঝা গেল যে অর্ধ শা’বানের রাতের সকল ইবাদত ৪৪৮ হিজরীতে উৎপত্তি লাভ করেছে? কখনো নয়। তিনি শুধু বিশেষ পদ্ধতির ভিত্তিহীন নামাযের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন। মুহাদ্দিসীনে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে শবে বরাতে বিশেষ পদ্ধতির নামায যেমন এতো রাকাত পড়তে হবে, প্রতি রাকাতে সূরা এখলাছ এতো বার পড়তে হবে, এধরণের বিশেষ পদ্ধতির কোন নামায নেই। এসংক্রান্ত সকল হাদীস সম্পর্কে তাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, এগুলো জাল, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। তারতুশী রহ. সেই ভিত্তিহীন নামাযের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন আর আমাদের ‘লা মাযহাবী’ ভাইয়েরা তাঁর কথাকে পুঁজি করে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করছেন এই বলে যে, অর্ধ শা’বানের সকল ইবাদত চারশত শতাব্দির পরের উৎপত্তি! অথচ যেসকল মুহাদ্দিসগণ এই ‘সালাতুর রাগাইব’ নামক বিশেষ পদ্ধতির নামাযকে ভিত্তিহীন বলেছেন সেই তারাই বলেছেন, কোন বিশেষ পদ্ধতি নির্ধারিত না করে নফল নামায পড়া, দুআ-দরূদ, যিকির-আযকার, তেলাওয়াতে কোরআন ইত্যাদি করা এ রাতে মুস্তাহাব। তাদের কথার উদ্দেশ যদি হয়, দলবদ্ধ হয়ে মসজিদে গিয়ে এ রাতের ইবাদত শুরু হয়েছে ৪৪৮ হিজরীতে, তবুও তাদের কথা সঠিক হবে না। কেননা ফাকিহী রহ. (২১৭-২৭৫হি:) ‘আখবারে মাক্বা’ গ্রন্থে (৩/৮৪) আহলে মাক্কার আমল এই বলে উল্লেখ করেছেন- ‘‘অতীত কাল থেকে আজ পর্যন্ত আহলে মক্কার আমল চলে আসছে যে, অর্ধ শা’বানের রাতে সাধারণ নর-নারী মসজিদে বের হতো অতঃপর নামায পড়ত, তাওয়াফ করত এবং পুরো রাত ইবাদত করে কাটাতো। সকাল পর্যন্ত মসজিদে হারামে কোরআন তেলাওয়াত এবং কোনআন খতম করতো আর নামায পড়তো। যারা নামায পড়তো প্রতি রাকাআতে ‘আল হামদু’ পড়তো এবং দশবার ‘কুল হুয়াল্লাহ’ পড়তো। আর যমযমের পানি পান করতো ও তা দিয়ে গোসল করত এবং অসুস্থদের জন্য তা জমা করে রাখতো। উদ্দেশ্য এ রাতের বরকত অর্জন করা।’’ (আখবারে মাক্বা: ৩/৮৪) বুঝা গেল, অর্ধ শা’বানের রাতে দলবদ্ধ ইবাদতের এই বিদআতের সূচনা ৪৪৮ হিজরীরও আগে হয়েছে। কেননা ফাকিহী রহ. আনুমানিক ২৭৫ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন সুতরাং বুঝা গেল আহলে মাক্কা ২৭৫ হিজরীর আগেই এই ভিত্তিহীন নামায এবং পুরুষ-মহিলা মসজিদে গিয়ে দলবদ্ধ দলবদ্ধ ইবাদতে অভ্যস্ত ছিল। যাই হোক, আহলে মাক্কা যেভাবে এই রাতটি উদযাপন করত বা বাইতুল মুকাদ্দাসে যেভাবে জড়ো হয়ে বিশেষ পদ্ধতির নামায পড়া হতো এটি তো শরীয়ত-স্বীকৃত অর্ধ শা’বানের আমল নয়। আমরাও এটিকে সঠিক বলছি না। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, অর্ধ শা’বানের রাতে কোন ইবাদতই করা যাবে না বরং এ রাতে একাকী নামায তেলাওয়াতে কোরআন, দুআ ইত্যাদি করা মুস্তাহাব। কেউ কেউ বলেন, এ রাতে ইবাদতের সূচনা হয়েছে শামের কিছু তাবেয়ীনদের মাধ্যমে। কিন্তু যাচাই করে দেখা যায় তাদের বক্তব্য সঠিক নয়। বরং শামের কিছু আলেম সমজিদে জড়ো হয়ে ইবাদতের পক্ষে মত দিয়েছিলেন এবং নিজেরাও এভাবে ইবাদত করা শুরু করেছিলেন তখন অন্যান্য আলেমগণ তাদের বিরোধিতা করেন এবং জড়ো না হয়ে একাকী ইবাদতের পক্ষে মত দেন। শামের প্রসিদ্ধ ফকীহ ও মুহাদ্দিস আওযায়ী রহ. (১৫৭ হি.) মতও তাই ছিল। বিষয়টি ইবনে হাজার হাইতামী রহ. (৯০৯-৯৭৪ হি.) এর বক্তব্য থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি শামের ঐ সকল ফুকীহদের শবে বরাত উদযাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এই বিশেষ পদ্ধতিতে জড়ো হওয়া এমন নবসৃষ্ট বিষয় যা শরীয়তে ছিল না। সুতরাং যেই এমন কাজ করবে তার এই কাজ নবীজীর হাদীস অনুযায়ী প্রত্যাখ্যাত হবে। কেননা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শরীয়তে এমন জিনিস সৃষ্টি করবে যা এতে ছিল না তা প্রত্যাখ্যাত হবে। তিনি বলেন, সম্ভবত তাদেরকে এই কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষে যে সকল জাল হাদীস বর্ণিত হয়েছে এগুলো। তারা এগুলো জাল মনে করেন নি তাই এগুলোর উপর আমল করেছেন আর অসংখ্য মানুষ তাদের অনুসরণ করেছে। পরবর্তীতে যখন একথা সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, এগুলো (এ সকল হাদীস) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে মিথ্যারোপ করা হয়েছে তখন উলামাগণ এগুলো পরিত্যাগ করলেন এবং কঠিনভাবে প্রত্যখ্যান করলেন আর নিন্দাজ্ঞাপন করলেন।’’ (আল ঈযাহ ওয়াল বায়ান, ইবনে হাজার হাইতামী [মাখতুত] হাইতামী রহ.এর উপরোক্ত বক্তব্য থেকে কয়েকটি বিষয়ের সমাধান পাওয়া গেল: ক. বুঝা গেল, অর্ধ শাবানের রাতে ইবাদতের সূচনা শামের ঐ সকল আলেমদের থেকে হয় নি, বরং তাদের নতুন উদ্ভাবিত বিষয় ছিল মসজিদে বিশেষ পদ্ধতির জড়ো হওয়া। খ. হাইতামী রহ. কথা থেকে আরেকটি বিষয় বুঝা যায় যে, তাদের নবসৃষ্ট বিষয়ের মধ্যে বিশেষ পদ্ধতির ভিত্তিহীন নামায অর্থাৎ বিশেষ বিশেষ সূরা দিয়ে নির্ধারিত সংখ্যক নামাযও ছিল। কেননা তিনি বলেছেন তাদেরকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষে বর্ণিত হাদীসগুলো। আর দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষে তিনি বিশেষ পদ্ধতির নামায সংক্রান্ত জাল হাদীসগুলো উল্লেখ করেছেন। ইতিপূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে, মুহাদ্দেসীনে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এধরণের নামায সংক্রান্ত হাদীসগুলো ভিত্তিহীন। সুতরাং এধরণের বিশেষ পদ্ধতির নামায মসজিদে জড়ো হয়ে পড়েছেন এজন্যেই উলামাগণ তাদের এ কাজের বিরোধিতা করেছেন। গ. হাইতামী রহ. এর বক্তব্য থেকে আরেকটি বিষয় সুস্পষ্ট হলো, তা হচ্ছে যেসকল আলেমদের ব্যাপারে বলা হয় তারা অর্ধ শাবানের রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করেছেন তাদের এই অস্বীকারের অর্থ হয়তো এ রাতের বিশেষ পদ্ধতির নামযকে অস্বীকার করা অথবা মসজিদে জড়ো হয়ে ইবাদত করা ইত্যাদি। একাকী ইবাদত করার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন নি। ইবনে হাজার হাইতামী রহ. নিজেও এ রাতে দুআ, ইস্তিগফার, কান্নাকাটি করার কথা বলেছেন। সারকথা: অর্ধ শা’বানের রাতে দলবদ্ধ ইবাদতের বা ‘সালাতুর রাগাইব’ এর সূচনা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় হয়েছে উপরের আলোচনা থেকে বিষয়টি সুস্পষ্ট বুঝা গেল। তবে মসজিদে জড়ো না হয়ে একাকী এ রাতে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ইবাদত করার নিয়ম নবীজী এবং সাহাবীদের পরবর্তী যুগের সৃষ্ট নয় বরং যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অর্ধ শা’বানের রাতের ফযীলতের কথা উল্লেখ করেছেন তখন থেকেই এর সূচনা হয়ে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আয়েশা রা. এর একটি হাদীস থেকে সুস্পষ্ট বুঝা যায় যে, এ রাতে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া, যাতে সেজদাও দীর্ঘ হবে, শরীয়তে কাম্য। হযরত আয়েশা রা. থেকে হাদীসটিকে বাইহাকী রহ. তাঁর আস সুনানুল কুবরা গ্রন্থে (৫/৩৬১) مرسل جيد বলেছেন। আল্লাহপাক আমাদেরকে সকল বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হয়ে অর্ধ শাবানের মতো বরকতময় রাতে ইবাদত করার তাওফীক দান করুন, আমীন। শা‍‍‍‍‘বান ও শবে বরাত, পৃ.১১২-১১৮ থেকে (সংক্ষিপ্ত)
    Mahbubul Hasan Arife
  • Sogood Islam Syeds
    5/18, 10:31pm

    Sogood Islam Syeds

    আসছে শবে বরাত। অনেকে আবার বলেন পবিত্র শবে বরাত। জেনে রাখা ভাল হবে বিদআত কখনো পবিত্র হয়না, বিদআত সবসময় নিকৃষ্ট(সওয়াবের নিয়্যাতে এমন কোন আমল করা, যা রাসূল সাঃ বা সাহাবীরা করেন নি)। যাইহোক যদি আপনি শবেবরাত পালন করেন তাহলে এও জেনে রাখা ভাল হবে যে আপনি মোহাম্মদ (সাঃ) কে আল্লাহ্‌র রাসূল হিসেবে মানতে পারেন নি কারন আল্লাহ্‌ তাঁর রাসূল এর মাধ্যমে দ্বীনকে পরিপূর্ণ ঘোষনা করে দিয়েছেন (সূরা মায়ীদাহ ৫/৩) আর রাসূল সাঃ বলেন “যে ব্যাক্তি শরিতের মধ্যে এমন কোন কাজ করল যা আমাদের দ্বারা নির্দেশিত নয় তা প্রত্যাখ্যাত” (মুসলিম/১৭১৮) রাসূল বা সাহাবারা এই ধরনের কোন রাত্রি পালন করেননি। আল্লাহ্‌ আর বলেন “যে রাসূল কে অমান্য করবে সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে”( সূরা আহযাব ৩৩/৩৬) বহু সহিহ হাদিস ও কুরানের আয়াতের মাধ্যমে প্রমানিত যে এই সব নব আবিষ্কার/বিদআত। প্রসিদ্ধ ইমাম ও মুজতাহিদ গন ও এইসব এর অনুমতি দেননি, বরং ঘৃনা করতেন। I কিন্তু, সবাই, এত লোক করছে, অলি আউলিয়া করছে, বাপ দাদা করছে অজুহাত দেখিয়ে আসছেন, আর আল্লাহ্‌ বলেন, ১) তোমরা অনুসরন কর জা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে তাঁর এছাড়া কোন ওলি আউলিয়ার অনুসরন করোনা” (সূরা আরাফ ৭/৩) ২)তারা বলে কখনো না আমরা আমাদের বাপ দাদাদেরকে দেখেছি” ( সূরা বাকারা ২/১৭০) ৩)আপনি যদি অধিকাংশ লোকের কথা মানেন তারা আপনাকে আল্লাহ্‌র পথ থেকে গোমরাহ করে দেবে” (সূরা আনয়াম ৬/১১৬) অধিকাংশ লোকই আন্দাজ অনুমানের উপর ভিত্তি করে চলে (সূরা ইউনুস ১০/৩৬) I আপনি বলছেন আরে বাপ্রে……… মসজিদের ইমাম কি কম জানে? আরে আপনার মসজিদের ইমাম প্রত্যেক জুম্মার খুৎবায় আপনাকে হাদিস শুনাচ্ছে “প্রত্যেক বিদআত ই গোমরাহি, আর গোমরাহি মানুষকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে” বুজবেন কি করে হুজুর যে আরবিতে বলেছে ( কুল্লা বিদাতিন দলালা, ওয়া কুল্লা দলালিন নার) এর পর কোন রকম ২ রাকাত পড়ে হুজুর নিজেই বসে গেছে জিলাফির প্যাকেট নিয়ে, আর চিৎকার দিয়ে পড়ছে ‘ইয়া নাবি সালামুয়ালাইকা’ আপনার হুজুর বুজেনি হাদিস, আপনি না বুজলে কার কি?? I মূল হাদিস হচ্ছে “আমার পর তোমাদের মধ্যে যারা জীবিত থাকবে, তারা অল্প দিনের মধ্যেই অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। তখন তোমারা আমার সুন্নাতকে এবং সৎপথ প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে এবং তাকে শক্তভাবে ধরে থাকবে। অতএব সাবধান তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে কিতাব ও সুন্নাহ এর বাইরে নতুন কথা ও কাজ হতে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথা/কাজ বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা’ (আবু দাউদ, মিশকাত হা/১৫৮)। I আল্লাহ্‌ আমাদেরকে কুরআন ও রাসূলের সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন, এবং আমলের নামে নিকৃষ্ট বিদআত থেকে বেঁছে থাকার জ্ঞান দিন (আমীন)
    Mugniur Rahman Tabriz
  • May 19
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 9:58am

    Sogood Islam Syeds

    রউফুল ইয়াদাইন একটি প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত। – – – -স্বলাতে তাকবিরে তাহরিমার পর অনুরূপভাবে হাত তোলা (রউফুল ইয়াদাইন) প্রমাণিত, সত্যিকারের হানাফিগণ এ বিষয়টি অস্বীকার করেন না। -যেহেতু হানাফিগন হাত তোলা তথা রউফুল ইয়াদাইন করার বিষয়টিকে প্রমানিত বলে স্বীকার করেন, সেহেতু তারা স্বলাতে হাত তোলা তথা রউফুল ইয়াদাইনের উপর আমল করবেন, সমালোচনা নয়। –দারসে তিরমিযী, ২য় খন্ড, মুফতি তকি উসমানি। অতএব, যে সকল হানাফী দাবীদার ভাইয়েরা এর উপর আমল না করে সমালোচনা করেন কিংবা পসন্দ করেন না, তারা সত্যিকারের বিভ্রান্ত। তারা কোন মানের মাযহাবী নন। [সৌজন্যেঃ পিস ইন ইসলাম-কিছু পরিমার্জনসহ]
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 9:59am

    Sogood Islam Syeds

    -হাত তোলা (রফউল ইয়াদাইন) প্রমানীত, হানাফিগণ এ বিষয়টি অস্বিকার করেন না। -যেহুতু হানাফিগন হাত তোলার বিষয়টিকে প্রমানিত বলে স্বীকার করেন, সেহুতু তারা হাত তোলার বরণনা গুলোর সমালোচনা করেন না। –দারসে তিরমিযী, ২য় খন্ড, মুফতি তকি উসমানি। অতএব, যেসকল হানাফি রফউল ইয়াদাইন প্রমাণীত বলে স্বিকার করেন না তারা হানাফি নয়। তারা লা-মাযহাবী।
    আবু সুহায়ইলা
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 10:09am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 10:10am

    Sogood Islam Syeds

    আল্লাহর বাণীঃ ( فَمَنْ شَهِدَ منكم الشّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ) অর্থঃ (কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোযা পালন করে) [বাকারাহ/১৮৫] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ صوموا لرؤيته و أفطروا لرؤيته فإن غُبِّيَ عليكم فأكملوا عدّة شعبان ثلاثين. অর্থঃ “তোমরা তা (চাঁদ) দেখে রোযা রাখ এবং তা দেখে রোযা ছাড়, যদি মেঘাচ্ছন্নের কারণে না দেখতে পাও, তাহলে শা’বান মাস ৩০ পূরণ করে নাও”। [বুখারী, সাউম অধ্যায়, নং ১৯০৯, মুসলিম, সিয়াম অধ্যায়] প্রমাণকরণঃ উপরোক্ত কুরআনের আয়াতে সাউম রাখার আদেশ রামাযান মাস পাওয়ার সাথে এবং হাদীসে সাউম রাখার আদেশ চাঁদ দেখার সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে, যা দ্বারা বুঝা যায় যে, যাদের নিকট সেই মাস এখনও উপস্থিত হয় নি বা তারা চাঁদ দেখতে পায় নি, তাদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হয় নি। তাই চন্দ্র উদয়স্থলের পার্থক্যের কারণে ঐ দেশবাসী যাদের দেশে এখনও চাঁদ উঠেনি তাদের অবস্থা এমন যে, তারা না তো হিলাল দেখেছে আর না তাদের নিকট রামাযান মাস উপস্থিত হয়েছে, ফলে এই বিধান তাদের জন্য প্রযোজ্যও হবে না। আপত্তিঃ যদিও তারা হিলাল দেখতে পায় নি কিন্তু অন্য সৎ মুসলিম ভাই তো দেখেছে এবং দর্শনকারীর সংবাদ তো তার কাছে পৌঁছেছে। নবী (সাঃ) অন্য সৎ মুসলিম ব্যক্তির চাঁদ দেখার সংবাদের কারণে নিজে রোযা রেখেছেন এবং সাহাবীদেরও রোযা পালনের আদেশ দিয়েছেন। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেনঃ “ লোকেরা হিলাল দেখা-দেখি করে, তারপর আমি রাসূল (সাঃ) কে সংবাদ দিলাম যে, আমি হিলাল দেখেছি। তাই তিনি (সাঃ) রোযা রাখেন এবং লোকদের রোযা রাখার আদেশ দেন”। [আবু দাঊদ, ২৩৪০/ইবনু হিব্বান ৩৪৪৭] উত্তরঃ সাহাবী ইবনে উমার (রাঃ) কোনো এমন দেশ থেকে এসে এই সংবাদ দেন নি যে, সেই দেশে চাঁদ দেখা গিয়েছিল আর মদীনায় যায়নি। আর নবী (সাঃ) তার সেই অন্য দেশের দর্শনকে মদীনাবাসীর জন্য প্রযোজ্য মনে করেন নি; বরং সাহাবী ইবনে উমার মদীনা শহরের অধিবাসী ছিলেন এবং মদীনাবাসী নবী (সাঃ) কে সংবাদ দিয়েছিলেন। এমন সংবাদ গ্রহণে আপত্তি নেই কারণ এটা এক দেশ বরং একই শহরের সংবাদ, যাতে চন্দ্রের উদয়স্থল এক। আর আমাদের বিষয় হচ্ছে একটি ভিন্ন দেশের সংবাদ যেখানকার চন্দ্রের উদয়স্থল বর্তমান দেশের উদয়স্থল থেকে ভিন্ন। বেদুইনের সংবাদে রোযা শুরু করা ও কাফেলার সংবাদে ঈদ করার হাদীসের জন্যও এই ব্যাখ্যা প্রযোজ্য; কারণ অন্য স্থান থেকে তাদের আগমন ভিন্ন কোনো দেশের সংবাদ পৌছানো বুঝায় না।
    Asfer Saleh
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 10:18am

    Sogood Islam Syeds

    Abdullah Arif Lalbagh added a new photo.
    একই দিনে সিয়াম ও ঈদ পালন প্রসঙ্গে সংশয়মূলক প্রশ্নোত্তর: ——————————————————————————– প্রশ্ন (২) ঃ ইবনে ওমার (রা.) হতে বর্ণিত, “তিনি বলেন, (ইবনে ওমার) লোকেরা রমজানের নতুন চাঁদ অন্বেষণ করছিল। আমি রসূলুল্লাহ্ (দ.) কে জানালাম যে, আমি (নতুন চাঁদ) দেখেছি। অতঃপর তিনি (দ.) নিজেও স্বওম রাখলেন এবং লোকদেরকেও রমজানের স্বওম পালনের আদেশ দিলেন।” . #সূত্র: আবু দাউদ, স্বহীহ্, অধ্যায় ঃ ৮, কিতাবুস্ স্বিয়াম, অনুচ্ছেদ ঃ ১৪, রমজানে নতুন চাঁদ দেখার ব্যাপারে একজনের স্বাক্ষ্য দেয়া, হাদিস # ২৩৪২, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায় ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদ ঃ ৬, রমজানে নতুন চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য, হাদিস # ১৬৯১ (হাদিসটি আবু দাউদের বর্ণনা)। . এই হাদিসটি বলছে যে, রমজানের চাঁদ দেখার স্বাক্ষী একজন হলেও যথেষ্ট। তাহলে, আপনি কোন যুক্তিতে বলছেন যে, ইবনে আব্বাস (রা.) সিরিয়ার চাঁদ গ্রহণ করেননি একজন স্বাক্ষ্য ছিল বিধায়! আ র রমজানের চাঁদ দেখার স্বাক্ষী দু’জন প্রয়োজন? আপনার এই ব্যাখ্যাটি কি অযৌক্তিক নয়? . #উত্তরঃ না ভাই, এই ব্যাখ্যাটি অযৌক্তিক নয়। কারণ, রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিস যখন ফে’লী (যা করেছেন) হাদিসের বিপরীতে হয় তখন ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিসই গ্রহণযোগ্য হয়। আ র ফে’লী (যা করেছেন) হাদিসটি রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর জন্য খাস হয়ে যায়। . রমজান এবং ঈদের চাঁদ দেখার স্বাক্ষী দু’জন লাগবে, এই হাদিসটি ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিস। আর রসূলুল্লাহ্ (দ.) রমজানের চাঁদ দেখার একজনের স্বাক্ষী গ্রহণ করেছেন। এই হাদিসটি ফে’লী (যা করেছেন) হাদিস তাই, রসূলুল্লাহ (দ.) আমাদেরকে যা বলেছেন আমরা তাই মানবো অর্থাৎ রমজান এবং ঈদের চাঁদ দেখার স্বাক্ষী দু’জন লাগবে। একজনের স্ব্যাক্ষ্য মানবো না। আর একজনের চাঁদ দেখার স্ব্যাক্ষ গ্রহণযোগ্যতা রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর জন্য খাস ধরতে হবে। . . এই বিষয়টি একটু বিস্তারিত বলছি। আবু হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলেছেন, তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা করতে বসলে কখনো যেন সে ক্বিবলার দিকে পীঠ বা মুখ করে না বসে।” বুখারী, হাদিস # ১৪৪, নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায় ঃ ১, পবিত্রতা, অনুচ্ছেদ ঃ ১৯, প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় ক্বিবলামূখী হওয়া নিষেধ, হাদিস # ২০, . . এই হাদিসটি বলছে যে, আমরা যেন ক্বিবলার দিকে পীঠ বা মুখ করে প্রস্রাব-পায়খানা না করি। অথচ আরেকটি হাদিস বলছে, ইবনে ওমার (রা.) হতে বর্ণিত, . “তিনি বলেন (ইবনে ওমার), আমি একদা আমার বোন হাফসা (রা.) এর ঘরের ছাদে উঠলাম তখন রসূলুল্লাহ্ (দ.) কে প্রস্রাব-পায়খানায় বসা অবস্থায় দেখলাম, তিনি শামের (সিরিয়া) দিকে মুখ করে এবং ক্বিবলার দিকে পীঠ করে বসে ছিলেন।” -বুখারী, অধ্যায় ঃ ৪, উযু, অনুচ্ছেদ ঃ ১৪, গৃহের মধ্যে প্রস্রাব-পায়খানা করা। . . এই হাদিসটি বলছে যে, রসূলুল্লাহ্ (দ.) একবার ক্বিবলার দিকে পীঠ করে ইস্তেঞ্জা করছিলেন। তাই কেউ যদি এখন বলে যে, রসূলুল্লাহ্ (দ.) ক্বিবলার দিকে পীঠ করে ইস্তেঞ্জা করেছেন তাই আমরাও ক্বিবলার দিকে পীঠ করে ইস্তেঞ্জা করতে পারবো। তার কথা কি ঠিক হবে? নিশ্চয়ই না। কারণ, . রসূলূল্লাহ্ (দ.) আমাদেরকে ক্বিবলার দিকে পীঠ বা মুখ করে প্রস্রাব-পায়খানা না করতে নির্র্দেশ দিয়েছেন। তাই, এখানে ক্বিবলার দিকে পীঠ করে প্রস্রাব বা পায়খানা করার ব্যপারে রসূলুল্লাহ্ (দ.) কে অনুসরণ করা যাবে না। তাই, বুঝতে হবে যে, ক্বিবলার দিকে পীঠ বা মুখ করে প্রস্রাব-পায়খানা না করা আদেশটি রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিস। . আর তিনি (দ.) ক্বিবলার দিকে পীঠ করে প্রস্রাব-পায়খানা করেছেন তা ফে’লী (যা করেছেন) হাদিস। আ র ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিসের বিপরীতে ফে’লী (যা করেছেন) হাদিস আমাদের পালনীয় নয়। ঠিক তেমনিভাবে রসূলুল্লাহ্ (দ.) দু’জন মুসলিমের রমজানের বা ঈদের চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য নিতে বলেছেন। . এই হাদিসটি ক্বওলী (যা বলেছেন)। আ র তিনি (দ.) রমজানের নতুন চাঁদ দেখার স্বাক্ষী একজন নিয়েছেন তা ফে’লী (যা করেছেন) হাদিস। তাই, ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিস বলছে দু’জন মুসলিমের নতুন চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য হতে হবে। এই আদেশটিই আমাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। আর একজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করার বিধান রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর জন্য খাস। . . তাই বুঝতে হবে যে, ইবনে আব্বাস (রা.) কুরাইব (রহ.) এর স্বাক্ষ্য গ্রহণ না করে বলেছিলেন যে, “(লা, হাকাযা আমারনা রসূলুল্লাহ্ (দ.), অর্থ- না, রসূলুল্লাহ্ (দ.) আমাদের এরূপ আদেশই দিয়েছেন” অর্থাৎ ইবনে আব্বাস (রা.) বুঝিয়েছেন রসূলুল্লাহ্ (দ.) আমাদেরকে দু’জন মুসলিমের চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করতে বলেছেন, একজন থেকে নয়। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। . .—————————————————————————————– মূল বই: সকল মুসলিমকে একই দিনে বিশ্বব্যাপী সিয়াম ও ঈদ পালন করতে হবে। লেখক: মুহাম্মাদ ইকবাল বিন ফাখরুল ইসলাম প্রাপ্তি স্থান: 1/ রাহেলা প্রকাশনী, বংশাল, 2/ হোসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, বংশাল
    Abdullah Arif Lalbagh
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 10:26am

    Sogood Islam Syeds

    আত তাহৰীকৰ প্রশ্নোত্তৰ

    প্রশ্ন (৭/১২৭) : চাৰি হাতৰ মুছাফাহা কৰাৰ বিষয়টো ছহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্রমাণিত হয় নে? বিস্তাৰিত জনাই বাধিত কৰিব। -শ্বাহাদত বিন আব্দুৰ ৰহমান, ইশ্বৰদী।

    উত্তৰ : মুছাফাহা )ﺍﻟﻤﺼﺎﻓﺤﺔ ( শব্দটি বাবে ﻣﻔﺎﻋﻠﺔ-ৰ ক্রিয়ামূল। ইয়াৰ আভিধানিক অর্থ, ﺍﻹﻓﻀﺎﺀ ﺑﺼﻔﺤﺔ ﺍﻟﻴﺪ ﺇﻟﻲ ﺻﻔﺤﺔ ﺍﻟﻴﺪ অর্থাৎ এক হাতৰ তালুৰ সৈতে অন্য হাতৰ তালুক খামুচি ধৰা (ইবনু হাজাৰ, ফৎহুল বাৰী ১১/৫৪)। আৰবী ভাষাৰ কোনো অভিধানত চাৰি হাতৰ সংযোগক মুছাফাহা বুলি অভিহিত কৰা হোৱা নাই আৰু দুই দুই কৈ চাৰি হাতৰ তালু মিলাই মুছাফাহাৰ প্রমাণত কোনো মাৰফূ হাদীছ নাই (ছিদ্দীক হাছান খান ভূপালী, তানকীহুৰ ৰুওৱাত শ্বৰহ মিশকাত ৩/২৮৭ পৃঃ, টোকা-৬)। আনাচ ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহুৰ দ্বাৰা বর্ণিত, এজন ব্যক্তিয়ে ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামক প্ৰশ্ন কৰিলে যে, মই মোৰ বন্ধুৰ আগমনত মাথা নত কৰিম নে? ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে ক’লে, নাই। তেনেহ’লে কি আলিঙ্গন কৰিম? তেওঁ ক’লে, নাই। মই তেওঁক চুম্বন কৰিব পাৰিম? তেখেতে ক’লে, নোৱাৰা। তেওঁ ক’লে যে, তেনেহ’লে তেওঁৰ এখন হাতত মুছাফাহা কৰিব পাৰিম নে? )ﺃَﻓَﻴَﺄْﺧُﺬُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ﻭَﻳُﺼَﺎﻓِﺤُﻪُ ( ৰাছূলুল্লাহ (চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে ক’লে, হয়। (তিৰমিযী হা/২৭২৮; ছহীহাহ হা/১৬০; মিশকাত হা/৪৬৮০ ‘শিষ্টাচাৰ’ অধ্যায় ‘মুছাফাহা আৰু মু‘আনাকা’ অনুচ্ছেদ)। হাছান ইবনে নূহে কৈছে, মই আব্দুল্লাহ ইবনে বুছৰক কোৱা শুনিছোঁ, তোমালোকে মোৰ এই হাতৰ তালুখন দেখিছা? তোমালোকে সাক্ষী থাকা, মই এই তালুখন মুহাম্মাদ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ তালু মোবাৰকত ৰাখিছোঁ। অর্থাৎ মুছাফাহা কৰিছোঁ (আহমাদ হা/১৭৭২৬, তুহফাতুল আহওৱাযী ৭/৪৩০ পৃঃ ‘মুছাফাহা’ অনুচ্ছেদ)। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে মাছ‘ঊদ ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহুৰ দ্বাৰা বর্ণিত যে, তেওঁক তাশ্বাহহুদ শিক্ষা দিয়াৰ সময়ত তেওঁৰ হাতৰ তালুখন ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ দু’হাতৰ তালুৰ মাজত আছিল (বুখাৰী হা/৬২৬৫)। উক্ত হাদীছটিৰ ব্যাখ্যাত আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌবী হানাফীয়ে নিজৰ ফাতওৱা গ্রন্থত কৈছে, হাদীছটি মুছাফাহাৰ সৈতে সম্পৃক্ত নহয়। বৰং শিক্ষাৰ প্রতি শিক্ষার্থীৰ অধিক আগ্রহ সৃষ্টিৰ কাৰণে ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে এনেকুৱা কৰিছিল। (তুহফাতুল আহওৱাযী হা/২৮৭৫-ৰ ভাষ্য, ৭/৫২২)। আব্দুল্লাহ ইবনে মাছঊদ ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহুৰ উক্ত হাদীছৰ পৰাও চাৰি হাতৰ তালু মিলোৱা প্রমাণিত নহয়; বৰং তিনি হাতৰ তালু প্রমাণিত হয়। গতিকে উভয়ৰ সোঁ-হাতৰ তালুৰ দ্বাৰা মুছাফাহা কৰাই ছহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্রমাণিত।yranslte.jubet Brahman.wap

  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 11:20am

    Sogood Islam Syeds

    অহেতুক মন্তব্যের জবাব ও সংশোধনের আহবানঃ- I গতকাল একটা পোস্ট দিয়েছিলাম “প্রচলিত ১৫ই শাবান শবে বরাত পালন করা বিদআত” বিষয়ে। পোস্ট ছোট রাখার জন্য সব কিছু বলা সম্ভব হয়নি। যার ফলে অনেকেই না বুঝেই অহেতুক মন্তব্য করেছেন, ইনশাহআল্লাহ সব গুলো মন্তব্যের জবাব পেয়ে যাবেন এখন। আর যেকোনো ভূল কে যৌক্তিকভাবে সংশোধন করে দিবেন আমি শিখতেই চাই, অযথা কথা বলে মৌনমালিন্য করবেন না দয়া করে। প্রচার করা আমার দায়ীত্ব, আপনাকে মানতেই হবে কখনো বলিনি। I ১) হাদিস গুলা তুই বানাইছস+শালা বেকুব কোথাকার+তুই মুশরিক+দাড়ি তো রবীন্দ্রনাথ ও রাখছে, খালি দাড়ি রাখলে মুসলমান হওয়া যায়নাঃ- I উত্তরঃ বললেন হাদিস আমি বানাইছি, তার মানে জাল হাদিস সাব্যস্থ করলেন, অথচ আমি সব গুলোর রেফারেন্স দিয়েছি, যদি হাদিস আমি বানাই আমি রাসূলের নামে মিথ্যা বলেছি, যে সহিহ হাদিস কে জাল বলল সেও রাসুলের নামের মিথ্যা বলল, আর রাসূল সাঃ বলেন “যে ব্যাক্তি আমার নামে মিথ্যা বলল সে নিজের স্থান নিজেই জাহান্নামে করে নিল (বুখারি ১০৬-১১০)। আমাকে কাফির সাব্যস্থ করলেন অথচ আমি একজন গর্বিত মুস্লিম(আলহামদুলিল্লাহ) তার মানে নিজের গালে নিজে থুতু দিলেন, রাসুল বলেন “যে ব্যাক্তি অপর মুসলিম ভাইকে কাফির বলল, সে যদি কাফির না হয় তাহলে যে বলল সেই কাফির (বুখারি ৬১০৩) যে ব্যাক্তি অপর মুসলিম ভাইকে গালি দিল সে ফাসিক(বুখারি ৪৮) I ২) আপনি নিজের মত করে কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা করলেন – উত্তরঃ- তাফসীরে ইবনে কাসির পড়ে দেখেন ভাই, ভূল হলে সংশোধন করে দিন। হাদিস গুলোর ব্যাখ্যা দেখুন ফাতহুল বারী, ফাতহুল কাদীর। I ৩) সবাই নিজেকে আলেম ভাবে, আর নিজে নিজে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছেঃ- উত্তরঃ- ভাই, আমি একজন তালেবে ইল্ম মাত্র। আর তালেবে ইল্ম ফতোয়া দেয়া জায়েজ নয়, তবে আলেমদের থেকে শিখে প্রচার করতে পারবে (দায়ী)। আমি নিজ থেকে বলিনি ভাই, শাইখদের সাথে আমাদের প্রতিদিন যোগাযোগ হয়(আলহামদুলিল্লাহ), আর যে সব বই গুলো থেকে শিখেছি সেগুলোর নাম দিলাম— I 1) সুন্নাতে রাসূল আঁকড়ে ধরা এবং বিদআতের থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য। [শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায(গ্র্যান্ড মুফতি, ফতোয়া বোর্ড সৌদি) I 2) বিদআত। [শাইখ সালেহ ফাওজান (ফতোয়া বোর্ড সৌদি)] I 3) ফির্কাহ না-জিয়াহ ও নাজাত প্রাপ্ত জামায়াতের মতাদর্শ। [মুহাম্মদ জামীল মইনু(অধ্যাপক দারুল হাদীস আল খাইরিয়াহ, মক্কা আল মুকাররামাহ)] I 4) তাওহীদ শিরক সুন্নাত ও বিদআত [হাফেয মুহাম্মদ আইয়ুব] 5) ইকামতে দ্বীন পথ ও পদ্ধতি [ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব] 6) হাদিসের প্রামাণিকতা [ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, পি এইচ ডি] I 7) এহিয়াউস সুনান, সুন্নাতের পুনরুজ্জীবন ও বিদআতের বিসর্জন[ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, পি এইচ ডি] I 8) ইলম হাসিল সম্পর্কে পূর্বসরীদের কিছু বানী [হিসামুদ্দিন সালিম কিলানী রহঃ] 9) অন্তর বিধ্বংসী বিষয়, প্রবৃত্তির অনুসরন। [মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রহঃ] 10) ফতোয়া আরকানুল ইসলাম [শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন রহঃ, (ফতোয়া বোর্ড সৌদি)] 11) স্বলাতে মুবাশশির [শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইযী মাদানী] I ৪) আগের ইমামরা পড়ে নেককার হয়েছে, আর তোরা এসেছিস না জায়েজ করতেঃ- উত্তরঃ ইমাম বললে তো বেশিরভাগ ভাই ৪জন (ইমাম আবু হানিফা রহঃ, শাফেয়ী রহঃ, মালেক রহঃ, হাম্বলী রহঃ) ছাড়া আর কাউকে চিনেন না তাইনা? ভাই, শত বললে ভূল হবে হাজারো ইমাম আছে যাদেরকে চিনেন না। যাইহোক চার জনের এক জনের মত কি আপনি দেখাতে পারবেন? যে তারা ১৫ই শাবান কে শবে বরাত পালন করতেন ও নির্দেশ দিয়েছেন। নিজেকে তো হানাফী দাবী করেন তাইনা? পড়ে দেখেন “ফিকহুল আকবর” বুজতে পারবেন ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর সাথে আপনাদের আকিদা কতটুকু মিল আর অমিল। আর হানাফি মাজহাবের শ্রেষ্ঠ কিতাব মালাবুদ্দা মিনহু, নুরুল ইজহা, কুদুরি, কানযুদ দাকায়েক, শরহে বেকায়া, শরহে হিদায়াহ কোন একটিতে শবে বরাত এর কথা বলা আছে কি? পূর্বের ইমামরা পালন করলে প্রমাণ দেখান। I ৫) তোরা ভ্রান্ত আহলে হাদিসের দলঃ- উত্তরঃ আপনার সাথে আমি একমত না, আমি আর আপনি একই মুসলিম ভাই। তবে সংগঠন আলাদা কথা। আর যদি আহলে হাদিস ই বলবেন, আহলে হাদিস সম্পর্কে পূর্ববর্তীদের মত দেখুনঃ- I 1) শাইখ আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ “গুনিয়াতুত তালেবীন” এ উল্লেখ করেছেন ““তোমরা অবহিত হও, ভন্ড ভ্রান্ত বিদা’আতীদের কতিপয় লক্ষন আছে যা দ্বারা তাদের পরিচয় জানা যায়। বিদ’আতীদের কতিপয় লক্ষনের অন্যতম এই যে তারা আহলে হাদীসগনের কুৎসা রটনা করে। (গুনিয়াতুত তালেবীন, অর্দু অনুবাদসহ ১৯৭পৃঃ) I ২) জাফর বিন মুহাম্মদ বিন হাসান কাজী (রঃ) আহলে হাদীস গনের সম্পর্কে মন্তব্য করার পর বলেছেন, যারা আহলে হাদীসগনের বিরুদ্বাচরন করে তারা বিদ’আতী। (কানাবিলূত তাওহীদ ১৫৫-১৫৬পৃঃ) I ভাই, কেন এত জ্বলে উঠেন? ইসলামের কোন কিছুই দলিল প্রমাণ ছাড়া করা যাবেনা। আর সত্যবাদীদের কাছে অবশ্যয় প্রমাণ থাকবে। [আল্লাহ্‌ বলেন “যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে প্রমাণ দেখাও- সূরা বাকারাহ ০২/১১১] আর যেহেতু আমি আলেম নই সেহেতু শিখতেই চাই তবে দলিল প্রমাণ সহ কারন [আল্লাহ্‌ বলেন – যদি তোমরা না জান তবে প্রমাণ সহ জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস কর”- সূরা নাহল১৬/৪৩-৪৪] I ফালিল্লাহিল হামদ আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
    Mugniur Rahman Tabriz
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 12:48pm

    Sogood Islam Syeds

    কুরআন হাদিসের বানী added a new photo.
    #মধ্য শা’বানের রাত্রিতে ইবাদত ও দিবসে সিয়াম পালনের দলীল হিসেবে শবে-বরাত পালনকারীরা ইবনু মাজাহ’র এই হাদিসটিকে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করে থাকেন। কিন্তু হাদীসের ইমামগণের মত অনুযায়ী এ হাদিসটি বানোয়াট বা অত্যন্ত দুর্বল। . বিস্তারিতঃ . আলী (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ . যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাতে (সালাতে-দোয়ায় দন্ডায়মান থাক এবং দিবসে সিয়াম পালন কর। কারণ; ঐ দিন সূর্যাস্তের পর মহান আল্লাহ্‌ পৃথিবী আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। কোন রিযক অনুসন্ধানকারী আছে কি? আমি তাকে রিযক প্রদান করব। কোন দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তি আছে কি? আমি তাকে মুক্ত করব। এভাবে সুবহে সাদিক উদয় হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে। . এ হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ তাঁর উস্তাদ হাসান বিন আলী আল-খাল্লাল থেকে, তিনি আব্দুর রাজ্জাক থেকে, তিনি ইবনু আবি সাব্‌রাহ থেকে, তিনি ইবরাহীম বিন মুহাম্মাদ থেকে, তিনি মুয়াবিয়া বিন আব্দুল্লাহ বিন জাফর থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে আব্দুল্লাহ বিন জাফর থেকে, তিনি আলী ইবনু আবী তালিব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। . {ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮} . এ হাদীসে মধ্য শা’বানের রাত সালাত-ইবাদতে কাটানোর উৎসাহ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দিনের বেলা সিয়াম পালনের উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে এ হাদীসে। . কিন্তু হাদীসের ইমামগণের মত অনুযায়ী এ হাদিসটি বানোয়াট বা অত্যন্ত দুর্বল। কিন্তু এ হাদিসটি একমাত্র ইবনু আবি সাব্‌রাহ বর্ণনা করেছেন। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীস বর্ণনা করেননি। আব্দুল্লাহ বিন জাফর থেকেও তাঁর কোন ছাত্র হাদীসটি বর্ণনা করেননি। এমনকি মু’আবিয়া ও ইবরাহিম বিন মুহাম্মাদ থেকেও তাদের কোন ছাত্র হাদিসটি বর্ণনা করেন নি। শুধুমাত্র ইবনু আবি সাব্‌রাহ দাবী করেছেন যে, তিনি ইবরাহীম থেকে উক্ত সনদে হাদীসটি শ্রবণ করেছেন। তাঁর কাছ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন। . ইবনু আবি সাব্‌রাহ (১৬২ হি) –এর পূর্ণনাম আবু বকর বিন আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আবি সাব্‌রাহ। তিনি মদীনার একজন বড় আলিম ও ফক্বীহ ছিলেন। কিন্তু তুলনামূলক নিরীক্ষা ও বিচারের মাধ্যমে হাদীসের ইমামগণ নিশ্চিত হয়েছেন যে, তিনি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নিতেন। ইমাম আহমাদ, ইয়াহয়িয়া বিন মাঈন, আলী ইবনুল মাদানী, বুখারী, ইবনু আদী, ইবনু হিব্বান ও হাকিম নিশাপুরী ও অন্যান্য মুহাদ্দিস তাকে মিথ্যা ও বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। . {ইবনু হাজার, তাক্বরীবুত তাহযীব, পৃষ্ঠা ৬৩২; তাহযীবুত তাহযীব ১২/২৫-২৬} . এরই আলোকে আল্লামা শিহাব উদ্দীন আহমাদ বিন আবি বকর আল-বুসরী (৮৪০ হি) এ হাদীসের টিকায় বলেছেন, ইবনু আবি সাব্‌রাহর দুর্বলতার কারণে এ সনদটি দুর্বল। ইমাম আহমাদ ও ইবনু মাঈন তাকে হাদীস বানোয়াটকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। . {আল-বুসরী, যাওয়ায়েদ ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা ২০৩} . নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ) বলেছেন, হাদীসটি অত্যন্ত দুর্বল বা বানোয়াট। তিনি আরো বলেন, সনদটি বানোয়াট। . {আলবানী, সিলসিলাহ আহাদীস আদদাঈফা, ৫/১৫৪, হাদীস নং ২১৩২} ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣
    কুরআন হাদিসের বানী
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 1:38pm

    Sogood Islam Syeds

    নাফে (রাঃ) বলেন, নিশ্চয় ইবনু ওমর (রাঃ) যখন কোন ব্যাক্তি কে দেখতেন যে,সে রুকুতে যাওয়া ও উঠার সময় রাফেউল ইয়াদায়েন করছে না,তখন তিনি তার দিকে পাথর ছুটে মারতেন। (ইমাম বুখারি, রাফেউল ইয়াদায়েন হা/১৪,পৃষ্টা :১৫,সনদ সহীহ) ইমাম বুখারির ওস্তাদ অালী ইবনুল মাদানী (১৬১-২৩৪ হিঃ) ইবনু ওমর (রাঃ) এর বর্ণিত হাদিস সম্পর্কে বলেন, এই হাদিস অামার নিকটে সমগ্র উম্মতের জন্য দলিল স্বরুপ।প্রত্যেকে যে এই হাদিস শুনবে তার উপরই অামল করা ওয়াজিব হয়ে যাবে।কারন এই হাদিসের সনদে কোন এুটি নেই। (তালখীছুল হাবীর ১/৫৩৯ পৃঃ) মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল(রঃ)—আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে দেখেছি, তিনি যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয়হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন এবং সামিআল্লাহু লিমান হামিদা বলতেন। তবে সিজদার সময় এরূপ করতেন না। সহীহ বুখারী, ২য় খণ্ড, হাদিস নং ৭০০, পৃষ্ঠা নং১০০, প্রকাশনী- ইসঃ ফাউঃ বাংলাদেশ। সমগ্র মুহাদ্দিসগনের ওস্তাদ,মুহাদ্দিসগণের শিরোমনি ঈমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহ (১৯৪-২৫৬ হিঃ) বলেন, “ছাহাবীদের মধ্যে কোন একজনের পক্ষ থেকে প্রমানিত হয় নি যে,তিনি রাফেউল ইয়াদায়েন ছেড়ে দিয়েছিলেন।তিনি অারো বলেন,রাফেওল ইয়াদায়েনের হাদিসের সনদের চেয়ে বিশুদ্ধ অার কোন সনদ নেই” (ফৎহুল বারী হা/৭৩৬ এর অালোচনা দ্রঃ) ইবনু হাজার অাসকালনী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ঈমাম বুখারি ১৭ জন ছাহাবী থেকে রাফেউল ইয়াদায়েনের হাদিস বর্ণনা করেন।হাকেম ও অাবুল কাসেম মান্দাহ জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ১০ জন ছাহাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন।অার হাফেয অাবুল ফাযল অনুসন্ধান করে ছাহাবীদের থেকে যে সমস্ত বর্ণনা উল্লেখ করেছেন,তার সংখ্যা ৫০ জনে পৌছেছে। (ফৎহুল বারী হা/৭৩৬- এর অালোচনা দ্রষ্টব্য) ভারতগুরু অলিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভি বলেন, যে ব্যাক্তি রাফেউল ইয়াদায়েন করে,ঐ ব্যাক্তি অামার নিকট অধিক প্রিয় ঐ ব্যাক্তির চেয়ে যে রাফেউল ইয়াদায়েন করে না।কারন রাফেউল ইয়াদায়েন এর হাদিস সংখ্যায় বেশি ও অধিকতর মজবুত। (হুজ্জাতুল বালিগাহ ২/১০ পৃঃ) শায়খ অালবানি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই রাফেউল ইয়াদায়েনের অামল রাসুল (সঃ) থেকে বর্ণিত ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের হাদিস দ্বারা প্রমানিত। এটা তিন ইমামের মাযহাব ও অধিকাংশ মুহাদ্দিস ও ফক্বীহের মাযহাব। ইমাম মালেক এর উপরই মৃত্যু বরন করেছেন। (অালবানি, ছিফাতু ছালাতিন নাবি পৃঃ ১২৮-১২৯)
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • May 19
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 5:11pm

    Sogood Islam Syeds

    আল্লাহর গোলাম আনিসুল added a new photo.
    ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://www.shottanneshi.com/zaadul-maad/
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • May 19
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 8:36pm

    Sogood Islam Syeds

    ১৭৫ এর উপর হাদীছ গ্রন্থ (متون الحديث) আছে। আমার জানা মতে তার মধ্যে মাত্র ৬ থেকে ৭ টি গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ হয়েছে। গননায় আমার ভুলও হতে পারে। আমরা তাহলে কি করছি ? রাসুল (সাঃ) এর সুন্দর কথাগুলি, সুন্দর আমলগুলিকে এখনও বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষগুলির কাছে পৌঁছে দিতে পারলাম না !! আসুন সবাই বিষয়টির দিকে একটু নজর দেই। তাহক্বীক্বযুক্ত হাদীছগ্রন্থসমূহ অনুবাদের জন্য নিজের জ্ঞান, শ্রম, অর্থ ব্যায় করি।
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 9:19pm

    Sogood Islam Syeds

    আসুন! আমরা এভাবে পায়ে পা,কাঁধে কাঁধ,বুকে হাত_জ্বোরে আমিন বলে রাসূলের পদ্ধতিতে সালাত আদাই করি| ****** কে?কে? এভাবেই রাসুলের পদ্ধতিতে করেন??
    আহলে হাদীসের গোয়েন্দা
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 11:11pm

    Sogood Islam Syeds

    ☞☞ মাহে ৰমজানৰ বিশেষ সতৰ্কতা ☜☜ ইছলামীয় হিজৰীৰ বাৰটি চন্দ্ৰমাহৰ আটাইতকৈ বৰকতময় আৰু ফজিলত পূৰ্ণ মাহে ৰমজান ইন শ্বা আল্লাহ সমাগত । এই পবিত্ৰ মাহটোত মহান আল্লাহে আমাক ইমান নিয়ামত ভৰা বৰকত আৰু ফজিলত দান কৰিছে যে বিশুদ্ধ আন্তৰিকতা আৰু শুদ্ধ পদ্ধতিৰে আমি যদি আমাৰ কৰণীয় ইবাদত সমূহ আদায় কৰো, তেন্তে ইন শ্বা আল্লাহ পৰম দয়ালু আল্লাহে আমাৰ পূৰ্বৰ সকলো গুণাহ মাফ কৰি আমাক এক নিস্পাপ শিশুৰ দৰে কৰি তুলিব বুলি আমি আশা কৰিব পাৰো । কিন্তু এই আশা পূৰণৰ মূল স্বৰ্ত হব যে একান্ত বিশ্বাসেৰে আমি কৰা ইবাদতৰ তৰিকা সমূহ একমাত্র আল্লাহ আৰু ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ নিৰ্দেশনাৰ অনুকুল হব লাগিব । কিন্তু অতি দুখঃজনক বিষয় যে নিজ স্বাৰ্থলোভী সমাজৰ এক বিশেষ চক্ৰই আমাৰ অঞ্জতাৰ সুযোগ লৈ আমাৰ ইবাদত সমূহৰ বিশুদ্ধতাত আমি বুজি নোপোৱাকৈ নিজৰ স্বাৰ্থ পূৰণৰ বাবে প্ৰদূষিত কৰিছে ! আল্লাহ আৰু ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে নিৰ্ধাৰণ কৰি দিয়া পথৰ পৰা আমাক আঁতৰাই মানৱ ৰচিত পথত আমাক পৰিচালিত কৰিছে ! বহু ক্ষেত্ৰত আমাৰ ইছলামীয় জ্ঞানৰ অভাৱৰ বাবেও আমি আদায় কৰা ইবাদত সমূহৰ বিশুদ্ধতাক আমি নিজেই নষ্ট কৰিছো । সেয়েহে নিম্ন উল্লেখিত এনে কিছু বিষয়ৰ প্ৰতি আমি সদায় সতৰ্কতা অৱলম্বন কৰা উচিত – ( ১) ৰমজান মাহ অহাৰ আগে আগে আমি প্ৰায় প্ৰত্যেক জামাতে উপযুক্ত হাফিজ বিচাৰি খতম তাৰাবীৰ বাবে হাজাৰ হাজাৰ টকাৰ বিনিময়ত পূৰ্ব চুক্তি সম্পন্ন কৰি হাফিজ মকৰল কৰাত উঠি পৰি লাগো । উল্লেখযোগ্য বিষয় যে এনেদৰে কোৰআন খতমৰ মাধ্যমেৰে ৰমজানৰ তাৰাবী চালাত আদায় কৰাৰ শ্বৰীয়তৰ কোনো নিৰ্দেশনা নাই বৰং ই এক মানৱ ৰচিত নিতী, সেয়েহে ইয়াক বৰ্জন কৰাটো উত্তম । যিহেতু ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে :” কোনোবাই যদি কোনো আমল কৰে, যি আমলৰ নিৰ্দেশ আমি দিয়া নাই, তেনে আমল প্ৰত্যাখিত “( চহীহ মুচলীম )। (২) ধীৰ সুস্হিৰে চালাত আদায় কৰাটো চালাত গৃহিত হোৱাৰ এক অন্যত্বম ৰুকুন বা স্তম্ভ , যাক তা’দীলে আৰকান বোলা হয় । এই ৰুকুন পৰিত্যাগ কৰিলে চালাত বাতিল হিচাবে বিবেচিত হব । জৈনক ব্যক্তি ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ উপস্থিতিত মছজিদত প্ৰৱেশ কৰি চালাত আদায় কৰা দেখি তিনিবাৰকৈ তেখেতক চালাত আদায় হোৱা নাই বুলি কৈ চালাত পুনৰাই আদায় কৰাৰ নিৰ্দেশ দিছিল । অৱশেষত ব্যক্তি গৰাকীয়ে ইয়াতকৈ আৰু ভালদৰে চালাত আদায় কৰিব নাজানোঁ বুলি কোৱাত ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে তেখেতক ধীৰ সুস্হিৰতা অৱলম্বন কৰাৰ নিৰ্দেশ দি কৈছিল অন্যথা চালাত বাতিল হব । সেয়েহে আমি আদায় কৰা খতম তাৰাবীৰ গতিবেগ ✈✈ আৰু এই হাদীছ তুলনা কৰি আপুনি নিজেই পৰিণতি বিবেচনা কৰক ! (৩) পবিত্ৰ কোৰআনত স্বয়ং ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে মুঠ ১৫ টা আয়াতত চিজদাহ দিছিল । আমি প্ৰত্যেকেই এই আয়াত সমূহ তিলাৱত কৰোতা আৰু শ্ৰবন কৰোতাই চিজদাহ দিয়াটো ৱাজিব । কিন্তু ৰহস্য জনক কাৰণত মাজহাবৰ দোহাই দি আমাৰ খতম তাৰাবী সমূহত ইয়াৰে এটা চিজদাহ ( চুৰা হজ্জৰ ২নং চিজদাহ ) ত্যাগ কৰি মুঠ ১৪ টি চিজদাহ আদায় কৰা হয় । সেয়েহে তিলতিলকৈ আমাক সকলোকে এই এটা চিজদাহ ত্যাগ কৰি ৱাজিব তৰকৰ গুণাহত লিপ্ত কৰাইছে ! (৪) ৰমজানত সকলোৱে আদায় দিব লগা এক গুৰুত্বপূৰ্ণ চাদকা হৈছে ফিতৰা । কিন্তু সমাজত বহল প্ৰচাৰিত আৰু আমি সকলোৱে আদায় দি অহা ১৬৩৩ গ্ৰাম ঘেঁহু বা তাৰ মূল্য , এই ত্বথ্য সঠিক নহয় ও ই এক মানৱ ৰচিত বিধান ! চহীহ হাদীছৰ ত্বথ্য অনুসৰি ঈদৰ ৩-৪ দিন আগত তিনিলিটাৰ আয়তনৰ কোনো পাত্ৰত আমি ব্যৱহাৰ কৰা খাদ্য সামগ্ৰীয়ে এটা ফিতৰাৰ পৰিমাণ নিৰ্দ্ধাৰণ কৰে । এই ক্ষেত্ৰত উক্ত পৰিমাণৰ খাদ্য সামগ্ৰীৰ মূল্য দিয়াৰ বিষয়ে কোনো হাদীছতেই উল্লেখ নাই, এইয়া নিজ স্বাৰ্থ পূৰণৰ বাবে সৃষ্টি কৰা নিয়ম ! যিহেতু ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ও চাহাবা সকলে উক্ত পৰিমাণৰ খেজুৰ, ঘেঁহু, বাৰ্লি আদি খাদ্য সামগ্ৰী আদায় কৰিছিল , সেয়েহে আমিও খাদ্য সামগ্ৰীৰে ফিতৰা আদায় দিয়া উচিত । (৫) একমাত্ৰ ২৭ ৰমজানৰ ৰাতি শ্ববে কদৰ তালাচ নকৰি ৰমজানৰ শেষৰ দহ দিনৰ বিশেষকৈ বেজোৰ নিশা কেইটিত উজাগৰে থাকি শ্ববে কদৰৰ নিয়তত ইবাদতত লিপ্ত হলে ইন শ্বা আল্লাহ সেই বিশেষ ৰাতিৰ ফজিলত লাভৰ সম্ভাৱনা বৃদ্ধি পায় । আল্লাহে আমাক সকলোকে মাহে ৰমজানৰ গুৰুত্ব বুজি সঠিক পদ্ধতিৰে ইবাদত কৰাৰ তৌফিক দান কৰক । । । আমীন । । । । ।
    Muktabul Hussain
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 11:16pm

    Sogood Islam Syeds

    Sogood Islam Syeds shared Muktabul Hussain’s photo to the group: Sogoodislam-Assamese-Muslim Group.
    Sogood Islam Syeds
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 1:09am

    Sogood Islam Syeds

    Sogood Islam Syeds added a new photo.
    আমাৰ এজন বন্ধুৱে ১৫ই শাবান, শবে বৰাত পালন কৰাটোযে বিদআত, তাৰ ওপৰত এটা লেখা প্রকাশ কৰিছিল। সেই লেখাৰ ওপৰত বহুতে কিছু মন্তব্য দিছিল এনেদৰেঃ- মন্তব্য(comment):- হাদিছসমূহ তই বনাইছ+শালা বেকুব কৰবাৰ+তই মুশৰিক+দাড়ি ৰবীন্দ্রনাথেও ৰাখিছিল, খালি দাড়ি ৰাখিলেই মুছলমান নহয়। —————————————————————- উত্তৰঃ- তাৰমানে হাদিছ মই বনাইছো বুলি কৈছে, তাৰ মানে জাল হাদিছ সাব্যস্ত কৰিলে, অথচ মই আটাইবোৰৰেই ৰেফাৰেন্স দিছো, যদি হাদিছ মই বনাও মই ৰছুলৰ(দঃ) নামত মিছা কলো, যি সহিহ হাদিছক জাল বুলিলে তেওঁ ৰছুলৰ(দঃ) নামত মিছা কলে, আৰু ৰছুলে(দঃ) কৈছে “যি ব্যাক্তিয়ে মোৰ নামত মিছা কয় তেওঁ নিজেৰ স্থান নিজেই জাহান্নামত কৰি ললে (বুখাৰি১০৬-১১০)”। –মোক কাফিৰ সাব্যস্ত কৰিলে অথচ মই এজন গর্বিত মুস্লিম(আলহামদুলিল্লাহ) তাৰ মানে নিজেৰ গালৈ নিজেই থুৱাই দিলে, ৰছুলে(দঃ) কৈছে“যি ব্যাক্তিয়ে অান মুছলিম ভাইক কাফিৰ কয়, তেওঁ যদি কাফিৰ নহয় তেন্তে যি তেনেকৈ কব তেৱেই কাফিৰ (বুখাৰি ৬১০৩) যি ব্যাক্তি অান মুছলিম ভাইক গালি দিয়ে তেওঁ ফাসিক(বুখাৰি ৪৮)।
    Sogood Islam Syeds
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 4:00am

    Sogood Islam Syeds

    Is there any difference between men and women with regard to the actions of Salah (Prayer) Q: Is there any difference between men and women with regard to the actions of Salah (Prayer) like raising hands to the ears and putting them over the chest? A: The correct opinion maintains that the way in which women perform Salah is the same as that of men, as the Messenger of Allah (peace be upon him) said: Perform Salah as you see me perform it. and he (peace be upon him) made no exclusions for women. So men and women are equally addressed with the prescribed actions of Salah such as raising the hands, putting them over the chest, putting them on the knees when bowing down, and resting them on the ground opposite the shoulders or ears in Sujud (prostration). Similarly, they both have to recite Al-Fatihah (Opening Chapter of the Qur’an) and some verses of the Qur’an in both the first and second Rak`ahs (units of Prayer) of Zhuhr (Noon), `Asr (Afternoon), Maghrib (Sunset), `Isha’ (Night) and Fajr (Dawn) Prayers. Yet, only Al-Fatihah is to be recited in the third Rak`ah of Maghrib Prayer, and the third and fourth of Zhuhr, `Asr and `Isha’ Prayers. So women are on an equal footing with men in this regard. Fatwas of Nur `Ala Al-Darb>Volume 9>Book of Salah>Completion of the chapter on the description of Salah>Demonstrating that men and women are on an equal footing
    Sadiya Maryam
  • May 20
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 11:31am

    Sogood Islam Syeds

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু এখন যিয়ারত কর, যাতে ইহা তোমাদেরকে ভাল কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সহিহ মুসলিম)। যিয়ারত কিভাবে করবেন?????? ১। কবরস্থানে প্রবেশ কিংবা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সুন্নত হচ্ছে তাদের সালাম করা এবং তাদের জন্য দোয়া করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবিদের শিখিয়েছেন : اহে ঘরের মুমিন-মুসলিম বাসিন্দাগণ! তোমাদের উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। আমরাও আল্লাহ চাহে তো তোমাদের সাথে মিলিত হব। আল্লাহর কাছে আমাদের এবং তোমাদের জন্য তাঁর আযাব হতে ক্ষমা চাই। (সহিহ মুসলিম)। ২। কবরের উপর বসা নিষেধ এবং তার উপর দিয়ে চলাফেরা করার রাস্তা বানানোও নিষেধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা কবরের দিকে সালাত আদায় কর না এবং কবরের বসবে না। (মুসলিম)। ৩। নৈকট্য লাভের আশায় কবরের চারপাশে তাওয়াফ করা নিষেধ। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তারা যেন প্রাচীন ঘরের (কাবার) চার পার্শ্বে তাওয়াফ করে। ( সূরা হজ ২২: আয়াত, ২৯) ৪। কবরস্থানে কোরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ। কারণ, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা বাসস্থানসমূহকে কবরস্থান বানাবে না। কারণ, শয়তান সেসব বাড়ী হতে পলায়ন করে যেখানে সূরা বাকারা পাঠ করা হয়। ( মুসলিম)। এ হাদিস দ্বারা এটাই বুঝা যায় যে, কবরস্থান কোরআন পাঠের স্থান নয়, বরং কোরআন তেলাওয়াতের স্থান হচ্ছে নিজ নিজ বাসস্থান। যে সব হাদিসে কবরস্থানে কোরআন পাঠের কথা বলা হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। ৫। মৃতদের কাছ থেকে মদদ বা সাহায্য চাওয়া বড় শিরক। যদিও সে নবী কিংবা ওলী হয়। এ সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা বলেন : আর আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে ডেকো না, যা তোমার উপকার করতে পারে না এবং তোমার ক্ষতিও করতে পারে না। যদি তুমি কর, তাহলে নিশ্চয় তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ( সূরা ইউনুস: আয়াত, ১০৬) ৬। কবরের উপর ফুলের তোড়া দেয়া কিংবা কবরস্থানে তা স্থাপন করা নাজায়েয। কারণ, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা সাহাবিরা কেউ এমনটি করেননি। তাছাড়া এতে খ্রীষ্টানদের অনুকরণ হয়। এবং এটি অপচয় অপব্যয়ের রাস্তা। এসব টাকা-পয়সা যদি অনাথ-গরীবদেরকে দেয়া হত তবে তারা উপকৃত হত। এবং অনুমোদিত জায়গায় ব্যয় নিশ্চিত হত। ৭। কবরের উপর কোনো সৌধ বানানো বা সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য দেয়াল দেয়া জায়েয নেই। তাতে কোরআনের আয়াত কিংবা কবিতা লেখাও নিষেধ। তবে ইট, পাথর কিংবা মাটি দিয়ে এক বিঘত পরিমাণ উঁচু করা জায়েয, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে এটি কবর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান ইবনে মাজউনের কবরকে এরূপ করেছিলেন, যাতে মানুষ কবর বলে বুঝতে পারে।
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 11:33am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 11:35am

    Sogood Islam Syeds

    সাইফুল ইসলাম added a new photo.
    আলহামদুলিল্লাহ ! বাংলাভাষীদের জন্য এই রমজানের উপহার – বাংলা ভাষায় হাদিসের সুবিশাল সম্ভার নিয়ে আসছে আল হাদিস অ্যাপ …….ইনশাআল্লাহ খুব শিঘ্রই ▬▬ শেয়ার করে সুখবরটি জানিয়ে দিন বন্ধুদের ▬▬
    সাইফুল ইসলাম
  • May 20
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 2:58pm

    Sogood Islam Syeds

    শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপনের বিধান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রদান করেছেন পূর্ণাঙ্গ একটি জীবন বিধান। এরশাদ হচ্ছে : الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ﴿ المائدة : ৩﴾ আজ আমি তোমাদের দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম। পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম আমার নেয়ামত ; তোমাদের জন্য ইসলাম ধর্ম মনোনীত ও পছন্দ করলাম। (সূরা মায়েদা : ৩) অপর স্থানে এরশাদ হয়েছে : أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ ﴿ الشورى:২১﴾ তাদের কি আল্লাহর সমকক্ষ শরিক-দেবতা আছে ?—যারা তাদের জন্য আল্লাহকে পাশ কাটিয়ে এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি তিনি প্রদান করেননি ?’ শুরা-২১। হাদিসে এসেছে : وفي الصحيحين عن عائشة رضي الله عنها، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال : (من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد). আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে আমাদের ধর্মে এমন কিছু আবিষ্কার করল, যা এতে নেই, তা পরিত্যক্ত। বোখারি, মুসলিম। অপর হাদিসে এসেছে : وفي صحيح مسلم عن جابر رضي الله تعالى عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقول في خطبته يوم الجمعة: (أما بعد : فإن خير الحديث كتاب الله، وخير الهدي هدي محمد (صلى الله عليه وسلم)، وشر الأمور محدثاتها، وكل بدعة ضلالة). জাবের রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় প্রায় বলতেন: সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। সর্বোত্তম আদর্শ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদর্শ। ধর্মের ভেতর নতুন আবিষ্কার ঘৃণিত ও নিন্দিত। প্রত্যেক বেদআত বিচ্যুতি ও গোমরাহি। মুসলিম। আরো অনেক আয়াত, অসংখ্য হাদিস বিদ্যমান, যার মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় : এ দ্বীন পরিপূর্ণ, তাতে সংযোজন-বিয়োজনের কোন সুযোগ নেই-সম্ভাবনা নেই। আল্লাহ এ উম্মতের ধর্ম পূর্ণ করে দিয়েছেন, প্রদান করেছেন সমূহ নেয়ামত। দ্বীন সম্পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অন্তর্ধাম হয়নি। তিনি আল্লাহর প্রণয়নকৃত, মনোনীত সমস্ত আমল ও বিধি-নিষেধের সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। বাণী ও কাজের মাধ্যমে পেশ করেছেন বাস্তব নমুনা। আরো বলেছেন : যে নতুন কোন বাণী বা আমল আবিষ্কার করে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত করবে, সংশ্লিষ্ট করবে তার আহকামের সাথে, সে আমল বা বাণী খোদ আবিষ্কারকের উপর নিক্ষিপ্ত হবে—যদিও তার নিয়ত ভাল হয়। সাহাবায়ে কেরাম রা. এবং ওলামায়ে ইসলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণী যথার্থভাবে উপলব্ধি ও হৃদয়ংগম করেছেন। প্রত্যাখ্যান করেছেন-নিন্দাবাদ জানিয়েছেন নতুন আবিষ্কৃত আমল তথা বেদআতের প্রতি। ইবনে ওদ্দাহ, তরতুশি, ইবনে শামাদের মত যারা সুন্নত, বেদআতের উপর কিতাব প্রণয়ন করেছেন, তারাও বর্ণনা করেছেন এ বিষয়টি স্পষ্ট করে। মানুষের আবিষ্কৃত একটি বেদআতের উদাহরণ : শাবান মাসের পনেরো তারিখের রাতে মাহফিলের আয়োজন করা, দিনের বেলায় রোজা রাখা। বাস্তবতা হল, এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোন প্রমাণ নেই। তবে, এ রাতের ফজিলতের ব্যাপারে কয়েকটি দুর্বল হাদিসের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা হাদিস নিরীক্ষার বিচারে গ্রহণযোগ্য নয় কোনভাবে। এ রাতে নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত সব কটি হাদিস জাল, বানোয়াট। নিম্নে বিষয়টি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার প্রয়াস পাব। শাম দেশের একদল আলেম শাবানের পনেরো তারিখের রাতের ফজিলত এবং এতে মাহফিলের আয়োজন করা, এবাদত করা ও পরদিন রোজা রাখার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে, অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের অভিমত : এ রাতে মাহফিল আয়োজন বেদআত। এ রাতের ফজিলতের ব্যাপারে বর্ণিত হাদিসগুলো খুবই দুর্বল ; তার মাঝে কিছু বানোয়াট ও জাল। এ প্রসঙ্গে হাফেজ ইবনে রজব লাতায়েফুল মাআরেফ কিতাবে, ও আরো অনেকে স্বীয় লিখনিতে বিস্তারিত লিখেছেন। স্মর্তব্য : অকাট্য ও প্রামাণ্য দলিল দ্বারা মূল বিষয়টি প্রামাণ্যতার স্তরে উপনীত হলে, আনুষঙ্গিক বিষয়-বস্তুর জন্য দুর্বল হাদিস বিবেচ্য, গ্রহণীয়। আলোচ্য শাবান মাসের পনেরো তারিখের ফজিলতের ব্যাপারে যেহেতু কোন প্রামাণ্য দলিল নেই, তাই এ রাতের নামাজ, দিনের রোজার ব্যাপারে বর্ণিত দুর্বল হাদিস বিবেচ্য, গ্রহণযোগ্য নয়। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. এ মূল-নীতি লিপিবদ্ধ করেছেন। আরেকটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য : সকল ওলামায়ে কেরামের মতানৈক্য ও বিরোধপূর্ণ অমীমাংসিত বিষয়ে কোরআন হাদিসের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। কোরআন-হাদিস উভয়ের সম্মিলিত, কিংবা তার একটির প্রদানকৃত, সমর্থিত সিদ্ধান্ত-ই পালনীয়, অবশ্য-করণীয়। অন্যথায় পরিত্যাজ্য, পরিত্যক্ত। কোরআন হাদিস বহির্ভূত এবাদত বেদআত, অবৈধ। তার জন্য শ্রম ব্যয় করা, তার প্রতি আহ্বান করা নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا ﴿ النساء : ৫৯﴾ হে ইমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহ এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং যারা তোমাদের ভেতর কোরআন-হাদিসের জ্ঞানে জ্ঞানী, তাদের অনুসরণ কর। যদি তোমরা আল্লাহ এবং কেয়ামত-দিবস প্রকৃত অর্থে বিশ্বাস কর, প্রমাণ-স্বরূপ বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো অবশ্যই আল্লাহ এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সিদ্ধান্তের উপর সোপর্দ কর। মঙ্গল এতেই, এটাই সুন্দর মীমাংসা। (নিসা:৫৯) আরো বলেন : وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِنْ شَيْءٍ فَحُكْمُهُ إِلَى اللَّهِ ﴿الشورى : ১০﴾ তোমাদের বিরোধপূর্ণ বিষয়ের সুষ্ঠু মীমাংসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার নিকট। (শুরা:১০) আরো এরশাদ হয়েছে : قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ﴿آل عمران : ৩১﴾ হে নবি, আপনি বলুন : তোমরা যদি আল্লাহকে মহব্বত কর, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদের মহব্বত করবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন। আলে ইমরান : ৩১ আরো বলেন : فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿النساء : ৬৫﴾ না, তোমার প্রভুর শপথ ! তারা ইমানদার নয়—যতক্ষণ পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ বিষয়ে তারা আপনাকে মীমাংসাকারী স্থির না করবে। এবং আপনার ফয়সালা কোন ধরনের সংশয় বোধ না করে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে না নিবে, সর্বান্তকরনে। নিসা:৬৫ এ ব্যাপারে আরো হাদিস আছে, যা দ্বারা প্রতীয়মান হয় : বিরোধপূর্ণ বিষয়ে কোরআন-হাদিসের শরণাপন্ন হওয়া অবশ্য কর্তব্য ; এবং সে ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের পরিচায়ক। ইহজগৎ ও পরজগতের বিবেচনায় এতেই বান্দার মঙ্গল নিহিত। হাফেজ ইবনে রজব রহ. স্বরচিত কিতাব ‘লাতায়েফুল মা‘আরেফ’-এ বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলোর সুষ্ঠু মীমাংসার আলোচনায় বলেন : শাম দেশের কয়েকজন তাবেয়ী যেমন খালেদ ইবনে মাদান, মাকহুল, লুকমান ইবনে আমের এবং আরো অনেকে শাবানের পনেরো তারিখের রাতকে খুব গুরুত্ব দিতেন, এবং এতে যথাসাধ্য এবাদত করতেন। পরবর্তীতে, তাদের থেকেই মানুষ এ রাতকে সম্মান প্রদর্শন ও গুরুত্বারোপ করা শিখেছে। বলা হয় : এ ব্যাপারে তাদের কাছে কিছু ইসরাইলী বর্ণনা পৌঁছেছে। অর্থাৎ ইহুদি রেওয়ায়েত রয়েছে। … তবে, এ আমল মক্কা-মদিনার অধিকাংশ আলেম প্রত্যাখ্যান করেছেন। যেমন আতা, ইবনে আবি মুলাইকা, আব্দুর রহমান ইবনে জায়েদ ইবনে আসলাম। মদিনার ফেকাহবিদ আলেম সমাজও বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইমাম মালেক, তার অনুসারী এবং অন্যান্য আলেমদের মতও এটি। ইমাম আহমদ রহ. হতে শাবানের পনেরো তারিখ সম্পর্কে কোন অভিমত পাওয়া যায়নি। আলোচনার সমাপ্তিতে ইবনে রজব বলেন : শাবানের পনেরো তারিখে নামাজ পড়া—ইত্যাদির ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার সাহাবাদের নিকট হতে কোন প্রমাণ নেই। সুতরাং, বলা যায় : যে সমস্ত বিষয় শরিয়তের মানদণ্ডে প্রমাণিত-উন্নীত নয়, তা উদ্ভাবন করা কোন মুসলমানের জন্য বৈধ বা সিদ্ধ হতে পারে না, হোক-না তার সম্পাদন একক বা সম্মিলিতভাবে। প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্যভাবে। কারণ, সব-ধরনের আমল-ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিুোক্ত বানীর নিষেধ ভুক্ত। এরশাদ হচ্ছে : (من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد). যে এমন আমল সম্পাদন করল, যে আমলের নমুনা আমাদের আমলে নেই, তা পরিত্যক্ত। মুসলিম ইমাম আবু বকর তরতুশি রহ. কিতাবুল হাওয়াদেস ওয়াল বিদা নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেন : ইবনে ওদ্দাহ হতে বর্ণিত, জায়েদ ইবনে আসলাম বলেছেন বিদগ্ধ ও গবেষক আলেম, এবং ফেকাহবিদদের কাউকে শাবানের পনেরো তারিখের প্রতি কোন প্রকার ভ্রক্ষেপ করতে দেখিনি। ভ্রক্ষেপ করতেন না তারা মাকহুলের হাদিসের প্রতিও। আবু মুলাইকাকে কেউ বলেছে, জিয়াদ আন-নামিরি বলে, শাবান মাসের পনেরো তারিখের সওয়াব লাইলাতুল কদরের সওয়াব-তুল্য। তিনি বলেন, আমি যদি তাকে এ কথা বলতে শুনি, আর আমার হাতে লাঠি থাকে, অবশ্যই তাকে শায়েস্তা করব। জিয়াদ একজন গল্পকার। শাওকানি রহ. আল-ফাওয়ায়েদ আল-মাজমুআ- তে বলেন, একটি হাদিস আছে : হে আলি, যে ব্যক্তি শাবানের পনেরো তারিখে একশত রাকাত নামাজ পড়ে, প্রত্যেক রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা এবং দশবার সূরায়ে এখলাস, আল্লাহ তার সমস্ত প্রয়োজন পুরো করবেন। … হাদিসটি মওজু, বানোয়াট, জাল ; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর স্পষ্ট অপবাদ। এ হাদিসের সওয়াবের প্রতিশ্র“তির প্রতি দৃষ্টি দিলে যে কোন বিবেকবান বুঝতে পারবে, এটি বানোয়াট। এর বর্ণনাকারীরও পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ হাদিসের আরো বর্ণনার সূত্র পাওয়া যায়, সবগুলো বানোয়াট। বর্ণনাকারীগণ পরিচয়হীন। মুখতাসার নামক কিতাবে আছে, ইবনে হিব্বানে আলি রা. হতে একটি হাদিস আছে, যখন শাবান মাসের পনেরো তারিখ সমাগত হয়, তোমরা রাতে নামাজ পড়, দিনের বেলায় রোজা রাখ। হাদিসটি দুর্বল। লাআ-লি নামক কিতাবে আছে, দশবার সূরা এখলাস দিয়ে একশত রাকাত নামাজ পড়ার হাদিসটি বানোয়াট। এর তিনটে সূত্রের অধিকাংশ বর্ণনাকারী অবিশ্বস্ত, দুর্বল, অপরিচিত। তদ্রুপ ত্রিশবার সূরায়ে এখলাস দিয়ে বার রাকাত কিংবা চৌদ্দ রাকাত নামাজ পড়ার হাদিসও বানোয়াট। পরিতাপের বিষয়, এ সমস্ত হাদিসের কারণে ফুকাহায়ে কেরামের একটি দল ধোঁকায় পতিত হয়েছেন ; যেমন, ইমাম গাজ্জালি। তদ্রুপ মুফাসসিরিনদের এক দলও। এ রাতে নামাজের যে বিভিন্ন পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে, সবগুলোই পরিত্যাজ্য। হাফেজ ইরাকি রহ. বলেন, শাবান মাসের পনেরো তারিখে নামাজের ব্যাপারে বর্ণিত হাদিস বানোয়াট, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ। ইমাম নববী রহ. মাজমুউ কিতাবে বলেন, রাগায়েব নামক সালাত অর্থাৎ রজবের প্রথম জুমায় মাগরিব এবং এশার মধ্যবর্তী সময়ে বার রাকাত নামাজ এবং শাবানের পনেরো তারিখে একশত রাকাত নামাজ, মূলত বেদআত, নিন্দনীয়, পরিত্যাজ্য। কুতুল কুলুব তদ্রুপ এহইয়া উলুমুদ্দিন-এ নামাজ দুটির উল্লেখ এবং এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদিস দেখে কারো ধোঁকায় পড়া ঠিক হবে না। কারণ, সবগুলো-ই ভিত্তিহীন, অমূলক। এ ব্যাপারে যদি কেউ দু’চার পৃষ্ঠা লিখে থাকে, তা দেখেও বিভ্রান্ত হওয়া চলবে না। কারণ, এগুলো তাদের বিচ্যুতি। শায়েখ আবু মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান ইসমাইল মাকদিসি এ দুই নামাজের অসারতা প্রমাণ করে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রামাণ্য একটি কিতাব রচনা করেছেন। তাছাড়া, এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন আলেমদের বাণী ও উক্তির ব্যাপারে অবগত, যার উল্লেখ কলেবর অনেক বাড়িয়ে দেবে। আশা রাখি, অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তির জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কোরআনের উপরোক্ত আয়াত, হাদিস এবং আলেমদের বাণী আলোচনায় প্রতীয়মান হয়, শাবান মাসের পনেরো তারিখ নামাজ ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্যাপন কিংবা অন্য কিছুর আয়োজন, বিশেষ করে এ দিনে রোজা রাখা অধিকাংশ আলেমদের নিকট বেদআত ও গর্হিত কাজ। এ ব্যাপারে ইসলামি শরিয়তে কোন ভিত্তি নেই। বাস্তববাদীদের জন্য কুরআনের নিুোক্ত আয়াত-ই যথেষ্ট। এরশাদ হচ্ছে : الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ ﴿ المائدة : ৩﴾ আজ আমি তোমাদের দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম। মায়েদা : ৩ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد. وفي صحيح مسلم عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (لا تخصوا ليلة الجمعة بقيام من بين الليالي، ولا تخصوا يومها بالصيام من بين الأيام، إلا أن يكون في صوم يصومه أحدكم). যে আমাদের ধর্মে নতুন কিছু আবিষ্কার করল, যা ইতিপূর্বে বিদ্যমান ছিল না, তা পরিত্যক্ত। আবু হুরায়রা রা. হতে মুসলিম শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : তোমরা অন্যান্য রাত বাদ দিয়ে বিশেষ করে জুমার রাতকে এবাদতের জন্য নির্দিষ্ট কর না। আবার অন্যান্য দিন বাদ দিয়ে বিশেষ করে এ দিন রোজা রেখ না। তবে, কারো যদি রোজা রাখার পরম্পরায় এ দিন চলে আসে, তবে আপত্তি নেই। যদি কোন রাতকে এবাদতের জন্য বিশিষ্ট করা বৈধ হত, জুমার দিবসই ছিল শ্রেয়তর। কারণ, বিশুদ্ধ সনদে প্রাপ্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, জুমার দিবস, দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিবস। যখন এ রাতকেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবাদতের জন্য বিশিষ্ট করতে নিষেধ করেছেন, অন্য রাতের প্রশ্নই উঠে না। তবে, সহি ও বিশুদ্ধ দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে ভিন্ন কথা। যেহেতু কদরের রাত এবং রমজানের রাতে এবাদতের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ, নামাজ পড়া শরিয়ত সিদ্ধ ও যথার্থ, সেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় উম্মতকে এ জন্য উৎসাহিত করেছেন, প্রেরণা দিয়েছেন। নিজেও সাধ্য-মত এবাদত করেছেন। বোখারি, মুসলিমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন : ففي الصحيحين عن النبي صلى الله وسلم أنه قال : (من قام رمضان إيمانا وإحتسابا غفرالله له ما تقدم من ذنبه)، (ومن قام ليلة القدر إيمانا واحتسابا غفر الله له ما تقدم من ذنبه). যে ব্যক্তি রমজান মাসে ইমান ও সওয়াবের নিয়তে নামাজ পড়বে, আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমান ও সওয়াবের নিয়তে নামাজ পড়বে আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। যদি শাবানের পনেরো তারিখ রাত, রজব মাসের প্রথম জুমার রাত অথবা ইসরা ও মেরাজের রাতে কোন মাহফিল কিংবা সাধারণ নিয়মের বহির্ভূত কোন এবাদত করা বৈধ হত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতকে অবগত করে যেতেন, অথবা নিজে সম্পাদন করতেন। আর তিনি এর কিছু সম্পাদন করলে, অবশ্যই সাহাবায়ে কেরাম আমাদের পর্যন্ত পৌঁছে দিতেন, গোপন রাখতেন না। তারাই সর্বোত্তম উম্মত, মানব জাতির প্রতি সীমাহীন হিতাকাক্সক্ষী। আমাদের কাছে স্পষ্ট : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কিংবা তার সাহাবায়ে কেরাম হতে রজবের প্রথম জুমার রাত এবং শাবানের পনেরো তারিখের রাতের ফজিলতের ব্যাপারে কোন প্রমাণ নেই। সুতরাং, এ রাত উদযাপন ইসলামে এক নতুন আবিষ্কার। তদ্রুপ, এ রাতকে কোন এবাদতের জন্য বিশিষ্ট করা বেদআত। অনুরূপ, রজবের সাতাশ তারিখের রাত কতিপয় মানুষের ধারণা, এ রাতে ইসরা ও মেরাজ হয়েছে এবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করা জায়েয নয়। এটি করা যেত, যদি ইসরা ও মেরাজের তারিখ নিশ্চিতরূপে জানা যেত। ওলামাদের সঠিক সিদ্ধান্ত হল এ রাতটি নিরূপিত হওয়ার ব্যাপারে সঠিক প্রমাণ মিলেনা। আর যারা বলে, সাতাশ তারিখ ইসরা ও মেরাজের রাত, তাদের কথা অমূলক, ভিত্তিহীন। সহিহ হাদিসে এর কোন সমর্থনও পাওয়া যায় না। কবি বলেন : وخير الأمور السالفات على الهدى ***وشر الأمور المحدثات البدائع রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শানুযায়ী সম্পাদিত কর্মই সর্বোত্তম কর্ম। নতুন উদ্ভাবিত, আবিষ্কৃত কর্মই সবচে’ নিন্দিত। আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা, তিনি আমাদেরকে সুন্নতকে আঁকড়ে ধরে তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তওফিক দান করুন। তওফিক দান করুন এর বিপরীত সব কিছু হতে নিরাপদ থাকার।আমিন। লেখক : আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায অনুবাদক : সানাউল্লাহ নজির আহমদ সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 3:03pm

    Sogood Islam Syeds

    ░▒▓█►শুক্রবার দিন যে দরুদ 80 (আশি) বার পড়লে 80 (আশি) বছরের গুনাহ মাফ’’।

    ❖আসুন দেখি এর বস্তবতা কতটুকু?

    :- ❖হাদীস : রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন আছরের নামায পড়ে নিজ স্থানে বসে থেকেই-

    اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدَنِ النَّبِىِّ الْاُمِّیِّ وَعَلٰۤى اٰلِهٖ وَسَلِّمْ تَسْلِيْمًا

    এ দরুদটি 80 পাঠ করবে, তার 80 বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। অন্য বর্ণনায় আছে, 80 (আশি) বছরের ইবাদতের ছাওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।

    ✿ উক্ত হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য। একাধিক মুহাদ্দীসগণ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এছাড়াও কতক ইমাম হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন কিন্তু এর সমর্থনে অন্য হাদীস থাকার কারণে হাদীসটি হাসান হাদীসে পরিণত হয়েছে।

    ❀ হাদীসটি বিভিন্ন সনদে বিভিন্ন সাহাবায়ে কেরাম (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নিন্মে তার কিছু রূপরেখা-

    :-হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) এর হাদীস

    ❖ الترغيب في فضائل الأعمال وثواب ذلك لابن شاهين (ص: 14)

    22 – حَدَّثَنَا عُمَرُ، نا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الضَّبِّيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَصْرِ بْنِ بُجَيْرٍ، قَالَا: نا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَوَّابٍ، أنا عَوْنُ بْنُ عُمَارَةَ، أنا سَكَنٌ الْبُرْجُمِيُّ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَظُنُّهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الصَّلَاةُ عَلَيَّ نُورٌ عَلَى الصِّرَاطِ فَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ثَمَانِينَ مَرَّةً غُفِرَتْ لَهُ ذُنُوبُ ثَمَانِينَ عَامًا»

    মুসনাদে দাইলামি-2/408, হাদীস-3814, আত তারগীব লি ইবনে শাহীন-18, হাদীস-22, আল কাওলুল বাদী লিস সাখাবী-198, লিসানুল মিযান-2/448, তাখরীজু আহাদীসিল ইহয়া লিল ইরাকী-1/220, ইমাম দারে কুতনী (রহ.) ও এই হাদীসটিকে তার আল ইফরাদ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন।

    ❏ আর আল কুরবা লি ইবনে বাশক্ওয়াল-111-114, নং পৃষ্ঠায় হাদীসটি এই ভাবে এসেছে যে- ❖ القربة الى رب العالمين بالصلاة على محمد سيد المرسلين (ص: 111-114)

    وفي لفظ عند ابن بشكوال من حديث أبي هريرة أيضاً من صلى صلاة العصر من يوم الجمعة فقال قبل أن يقوم من مكانه اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليماً ثمانين مرة غفرت له ذنوب ثمانين عاماً وكتبت له عبادة ثمانين سنة

    ❖ القربة الى

  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 5:23pm

    Sogood Islam Syeds

    বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান-এ শবে-বরাত পালন হয় শাবান মাসে। আর আরব দেশসমুহে শবে-বরাত পালন হয় রমযানে মাসে। শব শব্দটি যেহেতু ফার্সি তাই বরাত শব্দটিও ফার্সি হবে। ফার্সীতে শবে-বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আর ভাগ্য রজনী-এর আরবী হলো লাইলাতুল ক্বদর। যেমন- নামায ফার্সী শব্দ আর এর আরবি হলো সালাত। আরব দেশসহ সারা বিশ্বে ভাগ্য রজনী বা লাইলাতুল ক্বদর পালন হয় রমযান মাসে। শাবান মাসে কোন বিশেষ দিবস নেই। তাই আসুন আমরা সবাই রমযান মাসে ভাগ্য রজনী পালন করি।
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 7:24pm

    Sogood Islam Syeds

    আমরা গুনাহে জর্জরিত অবস্থায় প্রায়ই হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেই ! দেখুন কোর’আনে আল্লাহ তা’য়ালা কি বলছেন – “হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ – আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়োনা; আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তিনিতো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”[সূরা আল-যুমার ৩৯-৫৩] বান্দা যখন বিপদে পড়ে অনুতপ্ত হয়ে তাঁর রবকে ডাকে , হে আল্লাহ, আমি আমার নিজের উপর অনেক বেশি জুলুম করেছি আর তুমি ছাড়া গুনাহ্‌সমূহ কেহই মাফ করতে পারে না। সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুনে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি তুমি রহম কর। তুমি তো মার্জনাকারী ও দয়ালু। [বোখারি : ৫৮৫১] আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের সান্ত্বনা দেন , ” আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না। [সূরা ইউসূফ -৮৭] তিনি তাদের আরো বলেন- “… তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।” [সূরা আল বাক্বারাহ -১৫২] আমরা প্রায়ই বলি, আল্লাহ ! আমাকেই কেনো পরীক্ষায় ফেলেছো তুমি ?- দেখুন এর জবাবে কোর’আন কি বলছে – মানুষ কি মনে করেছে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এ কথা বললেই তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবেনা?আমিতো তাদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম; আল্লাহ অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী। [সূরা আল আনকাবুত – ০২,০৩] বান্দাহ আল্লাহ্‌র কাছে গুনাহের স্বীকৃতি দিয়ে বলে , ইয়া আল্লাহ্‌! আমি নিজের উপর জুলুম করেছি – আল্লাহ বলেন – “…হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।…” [সূরা আল-যুমার -৫৩] বান্দাহ আল্লাহকে তার অন্তরের অশান্তি এবং উদ্বেগের কথা বলে – আল্লাহ বলেন – “…আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।” [সূরা রা’দ -২৮] বান্দাহ আল্লাহকে তার একাকীত্বের কথা জানায় – আল্লাহ বলেন – “…আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।” [সূরা ক্বাফ -১৬] বান্দাহ আল্লাহর কাছে সভয়ে জানায়, আমার গুনাহ অসীম – আল্লাহ তাঁর বান্দাকে আশ্বস্ত করেন – “আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন?” [সূরা আল-ইমরান -১৩৫] বান্দা আল্লাহর কাছে কাতর প্রার্থনা করে – আল্লাহ বলেন -“…তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো ..।” [সূরা আল বাক্বারাহ -১৫২] বান্দা আল্লাহর কাছে জীবনের সমস্যা জানিয়ে সাহায্য চায় – আল্লাহ বলেন -“…যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।” [সূরা আত্ব-ত্বালাক -০২] বান্দা হতাশ হয়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় খুঁজে – আল্লাহ বলেন -“নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।” [সূরা আল ইনশিরাহ -০৬] বান্দা তার সমস্ত কিছুর জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করে – আল্লাহ বলেন -“… যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন।…” [সূরা আত্ব-ত্বালাক -০৩]
    QuranerAlo.com – কুর’আনের আলো
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 8:11pm

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত সম্পর্কে যুগ শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের অভিমত! ========================= إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ أَمْرًا مِّنْ عِندِنَا ۚ إِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ -এই সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ, আমি এটি এক বরকত ও কল্যাণময় রাতে নাযিল করেছি৷ কারণ, আমি মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছিলাম৷ এটা ছিল সেই রাত যে রাতে আমার নির্দেশে প্রতিটি বিষয়ে বিজ্ঞোচিত ফায়সালা দেয়া হয়ে থাকে৷ [সুরা দুখান:২-৪] এই আয়াতগুলোর তফসীরে ইমাম ইবনে কাসীর (রহ.) বলেছেন, -‘নিশ্চয়ই আমি এই সুষ্পষ্ট কিতাব নাযিল করেছি বরকতময় রাতে আর তা হচ্ছে লাইলাতুল কদর। এই রেওয়াতটি বর্নিত হয়েছে ইবনে আব্বাস (রা:) হতে’। অধিকাংশ মুফাস্সেরগণ এই বর্ণনাই করেছেন যে লাইলাতুল মোবারকই হচ্ছে লাইলাতুল কদরের রাত। তবে ইকরামাসহ কয়েকজন বলেন, ‘ররকতের রাত হচ্ছে শাবানের মধ্য রাত। আর এই মধ্য শাবানের রাত হচ্ছে লাইলাতুল রহমান, লাইলাতুল মোবারক, লাইলাতুল চেক, লাইলাতুল বারাহ’! তাফসীরে রুহুল মানিতে এই নামগুলো পাওয়া যায়। ইমাম ইবনে কাসীর (রহ.) ইকরামার এই মন্তব্যের ব্যাপারে বলেন, -‘সে ব্যক্তি বলবে যে লাইলাতুল মোবারকা হচ্ছে বরকতের রাত মানে শবে বরাতের রাত, সেই ব্যক্তি সত্য থেকে, হক্ব থেকে অনেক দুরে চলে গেলো’। শবে বরাত সর্ম্পকে ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, -‘ওলামাদের ইখতেলাফ আছে, শাবানের ১৫ তারেখে কোন ফজিলত আছে কিনা! এই সম্পর্কে কিছু হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। সালাফদের কিছু লোকেরা একা একা নামাজ পড়তেন আর আম ভাবে রোজা রাখতেন। অধিকাংশ সালাফগণ, বিশেষ করে মদিনারবাসীরা ও অন্যান্য শহরের লোকেরা এই মধ্য শাবানেরর ফজিলত অস্বীকার করেছেন, তারা বলছেন এই রাতের কোন ফজিলত নেই। আর এই মর্মে যেই হাদিসগুলো বর্ণনা করা হয়েছে সেইগুলোর কোনটি সহীহ নয় বরং জঈফ বা জাল হাদীস। শাবানের ১৫ তারিখের রাত অন্যান্য রাতের মাঝে কোন পার্থক্য নেই’। ইমাম ইবনে তাইমিয়া আরও বলেন, -‘এই রাতের ফাজিলত আছে তার জন্য যে ব্যক্তি মুশরীক নয় ও যে ব্যক্তি বিদ্বেষী নয়। এই এই রাতে আল্লাহ মাফ করেন’। ইমাম ইবনে তাইমিয়া আরও বলেন, -‘তবে শুধু ১৫ তারিখে দিনে রোজা রাখা এর কোন ভিত্তি নেই। বরং এটি হচ্ছে অপছন্দনীয়। এটাকে উত্সবে পরিনত করা, এতে খাদ্য তৈরী করা (হালুয়া, রটি তৈরী করা) এবং সাজ-সোজ্জা করা এইগুলো হচ্ছে বিদাআতী কাজ, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। মসজিদে মসজিদে, বাড়ীতে বা বাজারে একত্রিত হয়ে নফল নামাজ পড়া, আলফিয়া নামাজ পড়া হারাম, শরীয়তে তার প্রমান নেই।’ Collected
    Islamer Prochar
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 8:33pm

    Sogood Islam Syeds

    অহেতুক মন্তব্যের জবাব ও সংশোধনের আহবানঃ- I গতকাল একটা পোস্ট দিয়েছিলাম “প্রচলিত ১৫ই শাবান শবে বরাত পালন করা বিদআত” বিষয়ে। পোস্ট ছোট রাখার জন্য সব কিছু বলা সম্ভব হয়নি। যার ফলে অনেকেই না বুঝেই অহেতুক মন্তব্য করেছেন, ইনশাহআল্লাহ সব গুলো মন্তব্যের জবাব পেয়ে যাবেন এখন। আর যেকোনো ভূল কে যৌক্তিকভাবে সংশোধন করে দিবেন আমি শিখতেই চাই, অযথা কথা বলে মৌনমালিন্য করবেন না দয়া করে। প্রচার করা আমার দায়ীত্ব, আপনাকে মানতেই হবে কখনো বলিনি। I ১) হাদিস গুলা তুই বানাইছস+শালা বেকুব কোথাকার+তুই মুশরিক+দাড়ি তো রবীন্দ্রনাথ ও রাখছে, খালি দাড়ি রাখলে মুসলমান হওয়া যায়নাঃ- I উত্তরঃ বললেন হাদিস আমি বানাইছি, তার মানে জাল হাদিস সাব্যস্থ করলেন, অথচ আমি সব গুলোর রেফারেন্স দিয়েছি, যদি হাদিস আমি বানাই আমি রাসূলের নামে মিথ্যা বলেছি, যে সহিহ হাদিস কে জাল বলল সেও রাসুলের নামের মিথ্যা বলল, আর রাসূল সাঃ বলেন “যে ব্যাক্তি আমার নামে মিথ্যা বলল সে নিজের স্থান নিজেই জাহান্নামে করে নিল (বুখারি ১০৬-১১০)। আমাকে কাফির সাব্যস্থ করলেন অথচ আমি একজন গর্বিত মুস্লিম(আলহামদুলিল্লাহ) তার মানে নিজের গালে নিজে থুতু দিলেন, রাসুল বলেন “যে ব্যাক্তি অপর মুসলিম ভাইকে কাফির বলল, সে যদি কাফির না হয় তাহলে যে বলল সেই কাফির (বুখারি ৬১০৩) যে ব্যাক্তি অপর মুসলিম ভাইকে গালি দিল সে ফাসিক(বুখারি ৪৮) I ২) আপনি নিজের মত করে কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা করলেন – উত্তরঃ- তাফসীরে ইবনে কাসির পড়ে দেখেন ভাই, ভূল হলে সংশোধন করে দিন। হাদিস গুলোর ব্যাখ্যা দেখুন ফাতহুল বারী, ফাতহুল কাদীর। I ৩) সবাই নিজেকে আলেম ভাবে, আর নিজে নিজে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছেঃ- উত্তরঃ- ভাই, আমি একজন তালেবে ইল্ম মাত্র। আর তালেবে ইল্ম ফতোয়া দেয়া জায়েজ নয়, তবে আলেমদের থেকে শিখে প্রচার করতে পারবে (দায়ী)। আমি নিজ থেকে বলিনি ভাই, শাইখদের সাথে আমাদের প্রতিদিন যোগাযোগ হয়(আলহামদুলিল্লাহ), আর যে সব বই গুলো থেকে শিখেছি সেগুলোর নাম দিলাম— I 1) সুন্নাতে রাসূল আঁকড়ে ধরা এবং বিদআতের থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য। [শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায(গ্র্যান্ড মুফতি, ফতোয়া বোর্ড সৌদি) I 2) বিদআত। [শাইখ সালেহ ফাওজান (ফতোয়া বোর্ড সৌদি)] I 3) ফির্কাহ না-জিয়াহ ও নাজাত প্রাপ্ত জামায়াতের মতাদর্শ। [মুহাম্মদ জামীল মইনু(অধ্যাপক দারুল হাদীস আল খাইরিয়াহ, মক্কা আল মুকাররামাহ)] I 4) তাওহীদ শিরক সুন্নাত ও বিদআত [হাফেয মুহাম্মদ আইয়ুব] 5) ইকামতে দ্বীন পথ ও পদ্ধতি [ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব] 6) হাদিসের প্রামাণিকতা [ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, পি এইচ ডি] I 7) এহিয়াউস সুনান, সুন্নাতের পুনরুজ্জীবন ও বিদআতের বিসর্জন[ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, পি এইচ ডি] I 8) ইলম হাসিল সম্পর্কে পূর্বসরীদের কিছু বানী [হিসামুদ্দিন সালিম কিলানী রহঃ] 9) অন্তর বিধ্বংসী বিষয়, প্রবৃত্তির অনুসরন। [মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রহঃ] 10) ফতোয়া আরকানুল ইসলাম [শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন রহঃ, (ফতোয়া বোর্ড সৌদি)] 11) স্বলাতে মুবাশশির [শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইযী মাদানী] I ৪) আগের ইমামরা পড়ে নেককার হয়েছে, আর তোরা এসেছিস না জায়েজ করতেঃ- উত্তরঃ ইমাম বললে তো বেশিরভাগ ভাই ৪জন (ইমাম আবু হানিফা রহঃ, শাফেয়ী রহঃ, মালেক রহঃ, হাম্বলী রহঃ) ছাড়া আর কাউকে চিনেন না তাইনা? ভাই, শত বললে ভূল হবে হাজারো ইমাম আছে যাদেরকে চিনেন না। যাইহোক চার জনের এক জনের মত কি আপনি দেখাতে পারবেন? যে তারা ১৫ই শাবান কে শবে বরাত পালন করতেন ও নির্দেশ দিয়েছেন। নিজেকে তো হানাফী দাবী করেন তাইনা? পড়ে দেখেন “ফিকহুল আকবর” বুজতে পারবেন ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর সাথে আপনাদের আকিদা কতটুকু মিল আর অমিল। আর হানাফি মাজহাবের শ্রেষ্ঠ কিতাব মালাবুদ্দা মিনহু, নুরুল ইজহা, কুদুরি, কানযুদ দাকায়েক, শরহে বেকায়া, শরহে হিদায়াহ কোন একটিতে শবে বরাত এর কথা বলা আছে কি? পূর্বের ইমামরা পালন করলে প্রমাণ দেখান। I ৫) তোরা ভ্রান্ত আহলে হাদিসের দলঃ- উত্তরঃ আপনার সাথে আমি একমত না, আমি আর আপনি একই মুসলিম ভাই। তবে সংগঠন আলাদা কথা। আর যদি আহলে হাদিস ই বলবেন, আহলে হাদিস সম্পর্কে পূর্ববর্তীদের মত দেখুনঃ- I 1) শাইখ আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ “গুনিয়াতুত তালেবীন” এ উল্লেখ করেছেন ““তোমরা অবহিত হও, ভন্ড ভ্রান্ত বিদা’আতীদের কতিপয় লক্ষন আছে যা দ্বারা তাদের পরিচয় জানা যায়। বিদ’আতীদের কতিপয় লক্ষনের অন্যতম এই যে তারা আহলে হাদীসগনের কুৎসা রটনা করে। (গুনিয়াতুত তালেবীন, অর্দু অনুবাদসহ ১৯৭পৃঃ) I ২) জাফর বিন মুহাম্মদ বিন হাসান কাজী (রঃ) আহলে হাদীস গনের সম্পর্কে মন্তব্য করার পর বলেছেন, যারা আহলে হাদীসগনের বিরুদ্বাচরন করে তারা বিদ’আতী। (কানাবিলূত তাওহীদ ১৫৫-১৫৬পৃঃ) I ভাই, কেন এত জ্বলে উঠেন? ইসলামের কোন কিছুই দলিল প্রমাণ ছাড়া করা যাবেনা। আর সত্যবাদীদের কাছে অবশ্যয় প্রমাণ থাকবে। [আল্লাহ্‌ বলেন “যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে প্রমাণ দেখাও- সূরা বাকারাহ ০২/১১১] আর যেহেতু আমি আলেম নই সেহেতু শিখতেই চাই তবে দলিল প্রমাণ সহ কারন [আল্লাহ্‌ বলেন – যদি তোমরা না জান তবে প্রমাণ সহ জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস কর”- সূরা নাহল১৬/৪৩-৪৪] I ফালিল্লাহিল হামদ আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
    Mugniur Rahman Tabriz
  • May 21
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 12:12am

  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 12:33am

    Sogood Islam Syeds

    good I hv in hard disc FM arfan sir

    Arabic Language Course Videos – Book 1 – DVD 1 – Part 1
    Based on the World Renowned Madina Books written by Dr. V. Abdur Rahim. Presented by The Institute of the Language of the Qur’an, Toronto, Canada. Instructor…
    youtube.com
  • May 21
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 2:06pm

    Sogood Islam Syeds

    রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, অাল্লাহ বিদাঅাতি ব্যাক্তির সাওম,সালাত,সাদকাহ,হজ্ব,উমরা,ফিদাইয়া,ন্যায় বিচার, জিহাদ কিছুই কবুল করবেন না। সে এমনভাবে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে যেভাবে অাটা থেকে পশম পৃথক হয়ে যায়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস :৪৯) (অাউযুবিল্লাহ) বর্তমানে উপমহাদেশের প্রচলিত বিদাঅাতের ভিতর অন্যতম নিকৃষ্ট একটা বিদাঅাত হচ্ছে “শবে বরাত”। প্রথমত কুরঅানে এর কোন অস্তিত্ব নেই।কিছু দ্বাজ্বাল টাইপের অালেম শুধুমাএ একটা অায়াতের ভুল ব্যাখ্যা।অথচ উল্লেখিত অায়াতটির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা অাল্লাহ সুবাহানা তাঅালা নিজেই কুরঅানে দিয়ে দিয়েছেন। সেই অায়াতটি হল, “অামি কুরঅান নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে।এদিনে প্রত্যেক গুরত্বপুর্ণ বিষয় স্হির হয়। (দুখান:৩-৪) যে মুসলিমটা ধর্মের নুন্যতম কিছু জানে না,সে ও জানে যে কুরঅান নাযিল কোন মাসে??? অাপনারা দেখতে পারেন সুরা কদর ও সুরা বাকারা এর ১৮৫ নং অায়াতটা। অতএব শবে বরাতে কুরঅান নাযিল কুরঅান বিরোধি অাকিদা। দ্বিতীয়ত, সহীহ হাদিসে ও এর অস্তিত্ব নেই। তবে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়,(প্রায় ১১টি)যার বেশিরভাগ ‘ইবনু মাজাহ ‘ বর্ণনা করেছেন। #সবগুলোই হাদিসই জাল-জয়ীফ, মুনকার কিংবা মওযু হিসেবে মুহাদ্দিস গন পরিষ্কার রায় দিয়ে দিয়েছেন। #হাদিস গুলার সনদ এতটাই দুর্বল যে যা দিয়ে কথাগুলা রাসুল (সঃ) বলেছেন বলে অনুমান করা যায় না। তবে ১টা হাদিস দুর্বল হলেও ৭-৮টি সনদে বর্ণনা হওয়াই শায়খ নাসিরুদ্দিন অালবানি হাদিস টাকে হাসান বলেছেন।তবে হাদিস টাতে কোন ইবাদত নেই। হাদিস টা এইরুপ, রাসুল (সঃ) বলেন, মধ্য শাবানের রাএিতে অাল্লাহ সৃষ্টিকুলের প্রতি একটা বিশেষ দৃষ্টি দেন।সেইদিন সব ব্যাক্তি কে ক্ষমা করেন,তবে দুই ব্যাক্তি কে ক্ষমা করেন না। অার তারা হল,১.মুশরিক ,২.মুসাহিন। অর্থাৎ যারা শির্ক কর এবং ‘মুসাহিন’ এর ব্যাখ্যা করেছেন ইমাম অাওযায়ি, অার তা হল মুসাহিন অর্থ যারা সুন্নাহ কে ঘৃণা করে,(এবং বিদাঅাত কে ভালবাসে)। (হাদিস টি ইবনে মাজাহ বর্ণনায়) এইখানে কোন ইবাদত নেই। অাপনি যদি শির্ক ও বিদাঅাত থেকে মুক্ত হয়ে সুন্নাহ কে অনুমরণ করেন অাল্লাহ চাইলে অাপনাকে মাফ করে দিবেন এই দিনে এমনকি অাপনি ঘুমিয়ে থাকলেও। অার উক্ত হাদিস টা দ্বারা বিদাঅাত কে চরম ভাবে ঘৃণিত দাবি করা হয়েছে।অতএব সুস্পষ্ট যে এই রাএিকে বিশেষ দিন মনে করা,এর জন্য অায়োজন করা,ইবাদত করা ফযিলত রাত মনে করে পরিষ্কার বিদাঅাত, গোমরাহি। অাল্লাহ অামাদের হক বুঝার, মানার তৌফিক দান করুন,অামিন
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 4:52pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান অনূদিত ও প্রফেসর ডঃ আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফি সম্পাদিত এবং দারুস সালাম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বাংলা কুরআনুল কারিম কি বাংলাদেশে পাওয়া যাবে? দাম কত পড়বে? আমি অনলাইনে পিডিএফ দেখেছি। দেশে ভ্রান্ত অনুবাদ ও তাফসীরের ছড়াছড়ি। আশা করি দ্বীনী ভাইগন মূল্যবান মতামত দিবেন।
    মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 7:09pm

    Sogood Islam Syeds

    এজন মুছলিমৰ হৃদয়ে কয়: আমি মুছলিম। আমাৰ ধর্ম ইছলাম সম্পূর্ণ নির্ভুল, নিখুঁত আৰু এটি পূর্ণাঙ্গ-পৰিপূর্ণ জীৱন বিধান কিন্তু আমি নির্ভুল, নিখুঁত নহয়। আমি ভুলৰ উর্দ্ধত নহয়। কিন্তু চয়তানৰ দৰে ভুলৰ ওপৰত স্থিৰ থাকি চয়তানৰ এজন বন্ধু হোৱাৰ প্রচেষ্টা নহয়, আল্লাহৰ ভয়ত চবসময়তে এজন পৰিপূর্ণ মুছলিম হোৱাৰ প্রচেষ্টাত থাকো। আমি যদি কিবা ভুল কৰি থাকো আমাক দোষ দিয়ক, শুধৰাই দিয়ক সঠিক পথ দেখুৱাই দিয়ক কিন্তু আমাৰ ধর্মক দোষ নিদিব। ইছলাম ধর্মই মানৱজাতিৰ শান্তি আৰু পৃথিৱীত সুশাসন প্রতিষ্ঠাৰ বাবে এটি কল্যাণকৰ আলোকবার্তা লৈ আহিছে । গতিকে ইছলামক গালি দি নহয়, ইছলামৰ সৌন্দর্য্য অনুভৱ কৰিব খুজিলে আগতে ইছলাম সম্পর্কে জানক আৰু বুজক, তাৰপিছত সিদ্ধান্ত লওঁক। http://askislambd.weebly.com/248824942471249424802467-247425092480248625092472-24412468250924682480.html
    Arfan Ali
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 8:30pm

  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 10:02pm

    Sogood Islam Syeds

    Sogood Islam Syeds added a new photo.
    শ্ববে-বৰাত সম্পৰ্কে দু-আষাৰ। প্রিয় ভাইসকল! প্ৰতি বছৰে শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে ভাৰত উপ-মহাদেশৰ প্ৰায়বোৰ অঞ্চলত মহা-সমাৰোহেৰে শ্ববে-বৰাত উদযাপন কৰা হয়। যাক ভাগ্যৰ ৰাতি বুলিও কোৱা হয়। সেই দিনা চৰকাৰী ছুটি ঘোষণা কৰা হয়। হালুৱা-ৰুটি খোৱাৰ ধুম উঠে। অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল আৰু জিকিৰৰ মজলিছ। তাৰ লগতে প্ৰতি মূহুৰ্তত আতচবাঁজীত কঁপি উঠে শ্ববে-বৰাতৰ ৰাতিৰ আকাশ-বতাহ। লগতে দেখা যায় মছজিদৰ বাৰান্দাত যিসকলৰ পদযুগল নপৰে সেই ৰাতি তেওঁলোকেই আঁতৰ-সুগন্ধি লগাই¸ টুপী-পাঞ্জাৱী পিন্ধি প্রথম কাতাৰত মুছল্লী সাঁজি অৱস্থান কৰে আৰু বিশেষ কিছুমান ইবাদত-বন্দেগী কৰি ভাৱিবলৈ লয় জীবনৰ সকলো গুনাহ মাফ হৈ গ’ল। তাৰ পিছদিনা পুৱাৰ পৰা পুনৰ লিপ্ত হয় যাৱতীয় অন্যায়-অপকর্ম, দুর্নীতি আৰু আল্লাহৰ নাফৰমানিত। হয়তো সেইদিনা ৰাতিপুৱাৰ ফজৰৰ নামাজ পঢ়াৰো সময় নহয়। পুনৰ আগন্তুক বছৰৰ শ্ববে বৰাতৰ অপেক্ষাত ৰৈ থাকে। এনেদৰেই আৰু কত কি? আহক! আমাৰ সমাজৰ এই অৱস্থাৰ কাৰণ হিচাবে আমি জনাৰ চেষ্টা কৰোঁ এই কামসমূহ কিমানখিনি ইছলাম সমর্থিত? যিসমূহ ইবাদতৰ ক্ষেত্রত ইছলামে সমর্থন দিয়া নাই সেইবোৰ ইছলামৰ নামত কৰাটোৱেই তো বিদআত। কুৰআন আৰু ছহীহ হাদীছৰ দলিলবিহীন সকলো ইবাদাতেই বিদাত। লাগিলে সি যিমান ভাল ইবাদাতেই হওঁক কিয়। বিদআতৰ পৰিণাম অতি ভয়াৱহ। এই বিষয়ে কুৰআন আৰু হাদীছত অসংখ্য সতর্কতা উচ্চাৰিত হৈছে। যেনে- বিদ’আতীৰ কোনো আমল কবুল কৰা নহব : ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে : “যি ব্যক্তিয়ে দ্বীনৰ মাজত নতুন কিবা আবিষ্কাৰ কৰিব বা কোনো নৱ আবিষ্কাৰকাৰীক আশ্রয় দিব তাৰ ওপৰত আল্লাহ¸ আল্লাহৰ ফিৰিস্তাসকল আৰু সকলো মানুহৰ অভিশাপ … তাৰ ফৰজ ইবাদাত বা তাওবাহ , নফল ইবাদাত বা ফিদইয়া কবুল কৰা নহব ….।” বুখাৰী , কিতাবুল জিযিয়াহ , হা/৩১৮০ । বিদ’আত পৰিত্যাগ নকৰালৈকে বিদ’আতীয়ে কোনো প্রকাৰ তওবাহ কৰাৰ সুযোগ নাথাকিব : “আল্লাহ তা‘আলাই প্রত্যেক বিদ’আতিয়ে বিদ’আতক পৰিত্যাগ নকৰালৈকে তাৰ তওবাৰ পথ ৰুদ্ধ কৰি দিছে” – ছহীহ আত তাৰগীব ওৱাত তাৰহীব ১/১৩০পৃ হাদীছ নং ৫৪। তাৰোপৰি বিদাতীক হাওজে কাওচাৰৰ পানী পিবলৈ দিয়া নহব। বিদাতীক নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে শ্বাফায়াত নকৰিব। বিদাতীৰ পৰিণাম জাহান্নাম। সেয়েহে আহক! আমি নিজে বিদআতৰ পৰা বাঁচি থাকোঁ আৰু তাৰ লগতে বচোঁৱাৰ চেষ্টা কৰোঁ আমাৰ সমাজখনক। আল্লাহে আমাক তাওফীক দান কৰক। আমাৰ সমাজত শ্ববে বৰাত উপলক্ষে প্রচলিত কিছুমান বিদআতৰ উদাহৰণ: ১) শ্ববে বৰাত উপলক্ষে ১৪ শ্বাবান দিনত ৰোজা ৰখা আৰু ১৪ তাৰিখ দিবাগত ৰাতি ১৫ শ্বাবানত এশ ৰাকাআত নামাজ আদায় কৰা: এই ৰাতি এক অদ্ভূত পদ্ধতিত এশ ৰাকাআত নামাজ আদায় কৰা হয়। যাক চালাতুল আলফিয়া বুলি কোৱা হয়। এশ ৰাকাআত নামাজ পঢ়াৰ পদ্ধতিটো তলত উল্লেখ কৰা হ’ল : মুঠ এশ ৰাকাআত নামাজ পঢ়া হয়। প্রতি দুই ৰাকাআতৰ পিছত ছালাম ফিৰোৱা হয়। প্রতি ৰাকাআতত ছূৰা ফাতিহাৰ পিছত দহ বাৰ ছূৰা ইখলাছ পাঠ কৰিব লাগে। এশ ৰাকাআত নামাজত ছূৰা ইখলাছ পাঠ কৰা হয় মুঠ এক হাজাৰ বাৰ। সেইকাৰণে এই নামাজক ছালাতে আলফিয়া বোলা হয়।[1] শ্ববে বৰাতত এশ ৰাকাআত নামাজ পঢ়াৰ বিধান: ইছলামত এই ধৰণৰ নামাজ পঢ়াৰ নিয়ম সম্পূর্ণ নৱ আৱিষ্কৃত বিদআত। এই ক্ষেত্ৰত সর্ব যুগৰ সকলো আলিম একমত। কাৰণ, এই নামাজ ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লাম আৰু খোলাফায়ে ৰাশ্বেদীনে কেতিয়াও পঢ়া নাই। তাৰোপৰি ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শ্বাফিঈ, আহমদ বিন হাম্বল, চুফিয়ান চাওৰী, আওযাঈ, লাইচ প্রমূখ যুগশ্রেষ্ঠ ইমামসকলে কোনেও এনে ধৰণৰ বিশেষ নামাজ পঢ়াৰ কথা কোৱা নাই। এই সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছটি হাদীছ বিশেষজ্ঞসকলৰ মতে বানোয়াট আৰু জাল। যেনে, ইব্‌নুল জাওযী উক্ত হাদীছটি মাওযু’আত (জাল হাদীছ সংগ্রহ) কিতাবত তিনিটা চনদত উল্লেখ কৰি কৈছে, এইটো যে বানোয়াট তাত কোনো সন্দেহ নাই। তিনিওটা চনদতেই এনেবোৰ বর্ণনাকাৰী আছে যিসকলৰ অধিাকংশৰেই পৰিচয় অজ্ঞাত। আৰু কিছুমান বর্ণনাকাৰী খুব দূর্বল। গতিকে হাদীছটি নিশ্চিতভাৱে জাল।[2] এই নামাজ কোনে কেতিয়া কেনেকৈ চালু কৰিলে? ইমাম ত্বৰতূছী (ৰহ:)-য়ে কৈছে: শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে ৰাতি এশ ৰাকআত নামাজ পঢ়াৰ পদ্ধতি সর্বপ্রথম যিজন ব্যক্তিয়ে চালু কৰে তাৰ নাম হ’ল ইব্‌নু আবুল হামৰা। তেওঁ আছিল ফিলিষ্টাইনৰ নাবলুছ চহৰৰ অধিবাসী। তেওঁ ৪৪৮ হিজৰী চনত বাইতুল মুকাদ্দাছলৈ আহে। তেওঁৰ কুৰআন তিলাওৱাত আছিল খুব সুন্দৰ। তেওঁ শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে ৰাতি মছজিদুল আক্কছালৈ আহি নামাজ আৰম্ভ কৰে আৰু এজন ব্যক্তি তেওঁৰ পিছত ইক্তেদা কৰে। ইয়াৰ পিছত আৰু এজন আহে। কিছুসময়ৰ পিছত আৰু এজন। এনেদৰে নামাজৰ শেষত দেখা গ’ল বিৰাট এটা জামাআতত পৰিণত হৈছে। পৰৱর্তী বছৰ শ্ববে বৰাতত পুনৰ সেই ব্যক্তিৰ সৈতে প্রচুৰ পৰিমাণ মানুহে নামাজত শ্বৰীক হয়। এনেদৰে এই নামাজ মছজিদে আক্বছাসহ বিভিন্ন মছজিদত পঢ়া আৰম্ভ হয়। কিছুমান মানুহে নিজৰ ঘৰত এই নামাজ পঢ়া আৰম্ভ কৰি দিলে। পৰিশেষত এনে অৱস্থা আহি পৰিল যেন এইটো এটি ছুন্নাত।[3] অনুৰূপভাৱে কেৱল চৌধ্য তাৰিখে দিনত ৰোজা ৰখাও বিশুদ্ধভাৱে প্রমাণিত নহয়। বৰং আল্লাহৰ নাবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ ছুন্নাত হ’ল, শ্বাবান মাহৰ প্রথমৰ পৰাই বেছি বেছি নফল ৰোজা ৰখা। বিশেষভাৱে এই দিনটোত ৰোজা ৰখাৰ কোনো ভিত্তি নাই। ২) হালুৱা-ৰুটি খোৱা: শ্ববে বৰাত উপলক্ষ্যে ঘৰে ঘৰে হালুৱা-ৰুটি খোৱাৰ প্ৰৱণতা আহি যায়। কেৱল সেয়াই নহয় বৰং সেই দিনা গৰীব মানুহেও টকা ধাৰ কৰি হ’লেও মাছ-মাংস কিনি খায়। কাৰণ, সেই দিনা যদি ভাল কিবা খোৱা যায় তেনেহ’লে হেনো গোটেই বছৰ ভাল বস্তু খাবলৈ পোৱা যায় আৰু হালুৱা-ৰুটি খোৱাৰ কাৰণ হিচাবে কোৱা হয়, নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে ওহুদ যুদ্ধত দাঁত ভঙাৰ পিছত টান বস্তু খাব পৰা নাছিল। সেইকাৰণে তেওঁৰ প্রতি সমবেদনা জনোৱাৰ উদ্দেশ্যে সেইদিনা হালুৱা ৰুটি খোৱা হয়। কিন্তু ইয়াৰ বাস্তৱতা কি? প্রথমতে: আমি জানোঁ ওহুদৰ এক ৰক্তক্ষয়ী যুদ্ধত কাফিৰসকলৰ আঘাতত নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ দাঁত ভাঙি গৈছিল। কিন্তু সেই যুদ্ধ শ্বাবান মাহত হোৱা নাছিল। বৰং ওহুদ যুদ্ধ হৈছিল ৩য় হিজৰী শ্বাওৱাল মাহৰ সাত তাৰিখে। তেনেহ’লে এই সমবেদনা শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে কি কাৰণত কৰা হয়? দ্বিতীয়তে: তেওঁ নৰম খাদ্য কেৱল এদিনৰ বাবে খাইছিল নেকি? তেনেহ’লে এয়া কেনে ভালপোৱা? আপুনি শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে অলপ হালুৱা-ৰুটি খালে পুনৰ কিছুসময় পিছত গৰুৰ মাংসৰেও এসাজ পৰম তৃপ্তিৰে ভক্ষণ কৰিলে!!! তৃতীয়তে: ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে তো কাফিৰসকলৰ সৈতে এক কঠিন ৰক্তক্ষয়ী যুদ্ধত বীৰৰ দৰে যুদ্ধ কৰি তেওঁৰ পবিত্র দাঁত হেৰুৱাইছিল¸ কিন্তু আমাৰ এই নবীভক্তসকলৰ অধিকাংশৰেই অৱস্থা হ’ল, আল্লাহৰ নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে ৰাখি থৈ যোৱা সাধাৰণ ছুন্নাতসমূহো পালন নকৰে। ছুন্নাত বাদেই বহুতে ফৰজ নামাজেই ঠিকমতে আদায় নকৰে। যিসকলে পঢ়ে তেওঁলোকৰো সৰহ সংখ্যকৰে নামাজৰ পদ্ধতি ছহীহ হাদীছসন্মত নহয়। ইমাম আবু হানিফা (ৰহঃ)-ৰ নামত হিদায়া-কুদৰী-ফতোৱায়ে আলমগিৰিৰ লগতে বিভিন্ন ধৰণৰ কুৰআন হাদীছৰ দলীলবিহীন নামাজ শিক্ষাৰ মনেগঢ়া পদ্ধিতত নামাজ পঢ়ি আছে¸ যিবোৰৰ ছহীহ হাদীছৰ লগত কোনো মিল নাই। অথচ ইবাদাত কবুল হোৱাৰ এটা গুৰুত্বপূৰ্ণ চৰ্তই হ’ল নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ পদ্ধতি। এইটোৱেই হ’ল এওঁলোকৰ তথাকথিত ভালপোৱাৰ নমুনা। ৩) ছবি আৰু মূর্তি তৈয়াৰ কৰা: শ্ববে বৰাত উপলক্ষ্যে দেখা যায় নানা ৰং-বিৰঙৰ ছবি আৰু মূর্তিৰ আৰ্হিত তৈয়াৰ কৰা মিঠাইৰে বজাৰ ভৰি পৰে। অথচ ছবি আৰু মূর্তি-প্ৰতিকৃতি ইত্যাদি তৈয়াৰ কৰা ইছলামত হাৰাম। আকৌ আল্লাহে দিয়া ৰিযিকক লৈ এনেকুৱা খেল-তামাচা!!! ৪) মীলাদ আৰু যিকিৰ: শ্ববে বৰাত উপলক্ষ্যে মছজিদ, খানকাহ আৰু দৰগাহসমূহত আৰম্ভ হয় মীলাদ মাহফিল। চলে মিষ্টি খোৱাৰ ধুম। চলি থাকে বিদআতী পন্থাত গৰম যিকিৰৰ মজলিছ। এই সকলো কাম দ্বীনৰ মাজত নৱ-আৱিষ্কৃত বিদআতৰ বাহিৰে আন একো নহয়। ৫) কবৰ যিয়াৰত: এক শ্রেণীৰ মানুহে এই ৰাতি কবৰস্থান বা মাযাৰ জিয়াৰত কৰিবলৈ যায়। আনকি কিছুমান ঠাইত এই প্রথাও দেখা যায় যে, এদল মানুহে এই ৰাতি ধাৰাবাহিকভাৱে এলাকাৰ সকলো কবৰ যিয়াৰত কৰি থাকে। এওঁলোকৰ দলীল হ’ল, শ্বাবান মাহত ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ বাকী কবৰস্থান যিয়াৰতৰ হাদীছ। অথচ মুহাদ্দিছসকলে উক্ত হাদীছটি জাল হিচাবে সাব্যস্ত কৰিছে। ৬) আলোক সজ্জা কৰা আৰু আতচবাঁজী কৰা : শ্ববে-বৰাত উপলক্ষ্যে ৰাষ্টা-ঘাট, ঘৰ-বাৰী, মছজিদ, বিভিন্ন অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি আলোকসজ্জাৰে সজোৱা হয়। সেই ৰাতি আশ্চর্যজনকভাৱে চলিয়েই থাকে আতচবাঁজী বা ফটকা ফুটোৱা অনুষ্ঠান। মূলত: এইবোৰ কামৰ জৰিয়তে এফালে কেৱল লক্ষ লক্ষ টকাৰ অপচয় কৰাই নহয় বৰং এইবোৰ অগ্নি পুজকসকলৰ সৈতে সাদৃশ্যপূর্ণ। ৭) মৃতসকলৰ আত্মাৰ দুনিয়াত পূণৰাগমণৰ বিশ্বাস: এই উপলক্ষ্যে দেখা যায় মহিলাসকলে ঘৰ-বাৰী পৰিষ্কাৰ-পৰিচ্ছন্ন কৰি আঁতৰ-সুগন্ধি লগাই পৰিপাটী কৰি ৰাখে। বিশেষকৈ বিধবা মহিলাসকলে এনেকুৱা কৰে। আনকি তেওঁলোকে কিছুমান খোৱা-বস্তু এটুকুৰা কাপোৰত পুৰি ঘৰত ওলোমাই ৰাখে। কাৰণ, তেওঁলোকৰ বিশ্বাস হ’ল, তেওঁলোকৰ মৃত স্বামী-স্বজনসকলৰ আত্মা এই ৰাতি মুকলি হৈ নিজ নিজ পৰিবাৰৰ সৈতে দেখা কৰিবলৈ আহে। এইটো যে কিমান ডাঙৰ মূর্খতা তাক একমাত্র আল্লাহে জানে। মানুহৰ মৃত্যু হ’লে তেওঁলোকৰ আত্মা বছৰৰ কোনো এটি সময়ত পুনৰ দুনিয়ালৈ উভতি অহা মুছলিমসকলৰ আকীদাহ নহয়। বৰং বহু ক্ষেত্ৰত সেইটো হিন্দুয়ানী আকীদাৰ সৈতে সামঞ্জস্যপূৰ্ণ। এনেকুৱা অসংখ্য বিদাত আৰু শ্বিৰ্কেৰে আজি আমাৰ সমাজখন ভাৰাক্ৰান্ত। শেষত আল্লাহৰ ওচৰত দোৱা কৰিছোঁ যাতে আমাৰ মুছল্লি ভাইসকলক সকলো প্ৰকাৰ বিদাত আৰু শ্বিৰ্কৰ পৰা হিফাজাতে ৰাখে। [1] ইমাম গাজ্জালী (ৰহ.)-য়ে এই পদ্ধতিটো এহিয়া উলুমুদ্দীন কিতাবত উল্লেখ কৰিছে। চাওঁক: ১ম খণ্ড ২০৩ পৃষ্ঠা। [2] আল মাউযূআত ২য় খণ্ড ১২৭-১৩০ পৃষ্ঠা। [3] আত্‌ ত্বাৰতুশী ৰচিত আত্‌তাহযীৰ মিনাল বিদা। পৃষ্টা: ১২১ ও ১২২। আহক! হৃদয় দি অনুধাৱন কৰোঁ, সঠিক ইছলাম জানোঁ, বাতিলক বর্জন কৰোঁ, নিজকে শ্বিৰ্ক আৰু বিদাতৰ কবলৰ পৰা ৰক্ষা কৰোঁ। আল্লাহে আমাক হিফাজাত কৰক, আমীন।(post prepared by..Juber Rahman )
    Sogood Islam Syeds
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 12:06am

  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 12:18am

  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 1:35am

    Sogood Islam Syeds

    চারটি মূলনীতি লেখক: ইমাম মুহাম্মদ বিন আব্দুল ওয়াহহাব রহ. অনুবাদক: আব্দুর রাকীব (মাদানী) সম্পাদক: আব্দুল্লাহিল হাদী আরশে আযীমের প্রতিপালক মহান আল্লাহর নিকট দুআ করি, তিনি যেন আপনাকে দুনিয়া ও আখেরাতে বন্ধুরূপে গ্রহণ করেন,আপনাকে বরকতময় করেন আপনি যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, আপনাকে তাদের অন্তর্ভুক্ত করেন, যাকে কিছু প্রদান করা হলে সে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, পরীক্ষায় পড়লে ধৈর্য ধারণ করে এবং গুনাহ করলে ক্ষমা প্রার্থনা করে। কারণ এই তিনটি বিষয় হচ্ছে সৌভাগ্যের প্রতীক। জেনে নিন-আল্লাহ আপনাকে তাঁর আনুগত্যের পথ দেখাক- নিষ্ঠাবান মিল্লাতে ইব্রাহীম হচ্ছে, আপনি এক আল্লাহর ইবাদত করবেন নিষ্ঠার সাথে। আর আল্লাহ তাআ’লা সকল মানুষকে এরই আদেশ করেছেন এবং এর কারণে তাদের সৃষ্টি করেছেন। যেমন মহান আল্লাহ বলেন : وَ مَا خَلَقْتُ الجنَّ والإنْسَ إلاّ لِيَعْبُدُونِ “আমি জিন ও মানুষকে সৃষ্টি করিনি কিন্তু আমার ইবাদতের উদ্দেশ্যে।” [যারিয়াত/৫৬] অতঃপর যখন জানতে পারলেন যে, আল্লাহ তায়ালা আপনাকে তাঁর ইবাদতের উদ্দেশ্যে সৃষ্টি করেছেন, তখন এটাও জেনে নিন, যে তাওহীদ ব্যতীত ইবাদত, ইবাদত হিসেবে গণ্য নয়, যেমন পবিত্রতা ব্যতীত নামায, নামায হিসাবে গণ্য নয়। ইবাদতে শিরক প্রবেশ করলে তা নষ্ট হয়ে যায়, যেমন পবিত্রতার পর বায়ু নির্গত হলে তা বিনষ্ট হয়। অতঃপর যখন জানলেন যে, যখন ইবাদতে শিরকের সংমিশ্রণ হয় তখন আমলকে নষ্ট করে দেয় এবং সে ব্যক্তি চিরস্থায়ী জাহান্নামীদের অন্তর্ভুক্ত হয়ে যায়। তাই এই বিষয়টি জানা জরুরী যেন আল্লাহ আপনাকে এই বেড়াজাল থেকে মুক্তি দেন। আর তা হচ্ছে আল্লাহর সাথে অংশী স্থাপন করা যার সম্পর্কে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন: إنَّ اللهَ لا يَغْفِرُ أن يُشْرَكَ بِهِ ، و يَغْفِرُ مَا دُونَ ذالكَ لِمن يشاَءُ “নিশ্চয়ই আল্লাহ তাঁর সাথে অংশী স্থাপন করলে তাকে ক্ষমা করবেন না এবং তদ্ব্যতীত যাকে ইচ্ছা ক্ষমা করবেন।” [ নিসা/৪৮] আর এটা চারটি মূলনীতি জানার মাধ্যমে হবে, যা আল্লাহ তায়ালা তাঁর কিতাবে বর্ণনা করেছেন : প্রথম মূলনীতি: জানা প্রয়োজন যে, ঐ সমস্ত কাফের যাদের সাথে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যুদ্ধ করেছিলেন, তারা স্বীকার করত যে আল্লাহ তায়ালাই সৃষ্টিকর্তা এবং পরিচালক। তবুও এই স্বীকারোক্তি তাদের ইসলামের গণ্ডিতে প্রবেশ করায় নি।এর প্রমাণে আল্লাহর বাণী: قُلْ مَن يَرزُقُكُمْ من السماءِ والأرْضِ أمّن يملكُ السمْعَ والأبْصارَ وَ مَن يُخْرِجُ الحَيَّ مِنَ المَيِّتِ وَيُخْرِجُ المَيِّتَ مِنَ الحَيِّ وَ مَن يُدَبِّرُ الأمْرَ ، فَسَيَقُولُونَ اللهُ ، فَقُلْ أفَلا تَتَّقُونَ “তুমি বল : তিনি কে, যিনি তোমাদেরকে আসমান ও জমিন হতে রিজিক দিয়ে থাকেন? অথবা কে তিনি, যিনি কর্ণ ও চক্ষুসমূহের উপর পূর্ণ অধিকার রাখেন? আর তিনি কে, যিনি জীবন্তকে প্রাণহীন হতে বের করেন, আর প্রাণহীনকে জীবন্ত হতে বের করেন? আর তিনি কে যিনি সমস্ত কাজ পরিচালনা করেন? তখন অবশ্যই তারা বলবে যে, আল্লাহ। অতএব, তুমি বল: তবে কেন তোমরা (শিরক হতে) বিরত থাকছ না? ” (সূরা ইউনুস: ৩১) দ্বিতীয় মূলনীতি: তারা বলে: আমরা তাদের নিকট প্রার্থনা করি না এবং তাদের শরণাপন্ন হই না কিন্তু নৈকট্য এবং সুপারিশ পাওয়ার আশায়। নৈকট্যের প্রমাণে আল্লাহর বাণী : وَالذيْنَ اتَّخَذُوا مِنْ دُونِه أولِيَاءَ مَا نَعْبُدُهُمْ إلاَّ لِيُقَرِّبُوْنَا إلى اللهِ زُلْفَى إنَّ اللهَ يَحْكُمُ بَيْنَهُمْ فِي مَا هُمْ فِيْهِ يَخْتَلِفُوْنَ ، إنَّ اللهَ لا يَهْدِى مَنْ هُوَ كَاذِبٌ كَفَّارٌ “যারা আল্লাহর পরিবর্তে অন্যকে অভিভাবক রূপে গ্রহণ করে, (তারা বলে) আমরা তো এদের পূজা এজন্যেই করি যে, এরা আমাদের আল্লাহর সান্নিধ্যে এনে দিবে। তারা যে বিষয়ে নিজেদের মধ্যে মতভেদ করছে আল্লাহ তার ফায়সালা করে দিবেন । যে মিথ্যাবাদী ও কাফির , আল্লাহ তাকে সৎ পথে পরিচালিত করেন না।” [জুমার/৩] শাফায়াতের প্রমাণে আল্লাহর বাণী : “আর তারা আল্লাহ ছাড়া এমন বস্তুসমূহেরও ইবাদত করে যারা তাদের কোন অপকারও করতে পারে না এবং তাদের কোন উপকারও করতে পারে না, আর তারা বলে: এরা হচ্ছে আল্লাহর নিকট আমাদের সুপারিশ কারী ।” [ ইউনুস/১৮] সুপারিশ বা শাফাআত দুই প্রকার। যথা: ক) অস্বীকৃত খ) স্বীকৃত। ক- অস্বীকৃত সুপারিশ হচ্ছে, যা আল্লাহ ব্যতীত অন্যের নিকট চাওয়া হয়, যার ক্ষমতা আল্লাহ ছাড়া অন্যের নেই। যেমন আল্লাহ বলেন: يأيُّها الذيْنَ آمَنوا أنْفِقُوا ممَّا رَزَقْناكُمْ مِنْ قَبْلِ أن يأتِيَ يَومٌ لا بَيْعٌ فيْهِ وَ لا خُلَّةٌ وَ لا شَفَاعَةٌ والكَافِرُونَ هُمُ الظّالِمُونَ “হে বিশ্বাসীগণ! আমি তোমাদেরকে যে জীবিকা দান করেছি, তা হতে সে সময় আসার পূর্বে ব্যয় কর যাতে ক্রয়-বিক্রয়, বন্ধুত্ব ও সুপারিশ নেই, আর কাফেররাই অত্যাচারী।” [ বাক্বারাহ: ২৫৪] খ- স্বীকৃত সুপারিশ হচ্ছে, যা আল্লাহর কাছে চাওয়া হয়। সুপারিশ কারী সুপারিশের মাধ্যমে সম্মানিত। সে হবে সেই ব্যক্তি যার কথা ও কাজ থেকে আল্লাহ সন্তুষ্ট। অনুরূপ সে এমন হবে যাকে সুপারিশের জন্য অনুমতি দেয়া হয়েছে। যেমন আল্লাহ তাআ’লা বলেন : مَنْ ذَا الذي يَشْفَعُ عِنْدَهُ إلا بِإذْنِهِ “এমন কে আছে যে অনুমতি ব্যতীত তাঁর নিকট সুপারিশ করতে পারে?” বাক্বারাহ/২৫৫] তৃতীয় মূলনীতি: নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর আগমন ঘটে এমন লোকদের মাঝে যারা তাদের ইবাদতে এক ছিল না; বরং তাদের মধ্যে কেউ ফেরেশতার ইবাদত করতো, কেউ নবী ও সৎ লোকদের ইবাদত করতো, কেউ গাছ-পালা ও পাথরের পূজা করতো এবং কেউ সূর্য ও চন্দ্রের ইবাদত করতো। আর নবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) পার্থক্য ছাড়াই এদের সবার সাথে যুদ্ধ করেন। এর প্রমাণে আল্লাহর বাণী: তোমরা “সদা তাদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে থাকবে যতক্ষণ না ফিতনার অবসান হয় এবং দ্বীন সম্পূর্ণরূপে আল্লাহর জন্যেই হয়ে যায়।” [ আন্ ফাল/৩৯] সূর্য চন্দ্রের ইবাদতের প্রমাণে : আল্লাহ বলেন : وَ مِنْ ءَايَاتِهِ الَّيْلُ والنَّهَارُ والشَّمسُ والْقَمَرُ لا تَسْجُدُوا للشَّمْسِ وَ لا للقَمَرِ واسْجُدُوا للهِ الذي خَلَقَهُنَّ إنْ كُنْتُمْ إيّاهُ تَعْبُدُونْ “তাঁর নিদর্শনা বলীর মধ্যে রয়েছে রাত ও দিন, সূর্য ও চন্দ্র । তোমরা সূর্যকে সিজদা করো না, চন্দ্রকেও না; সিজদা কর আল্লাহকে, যিনি এইগুলো সৃষ্টি করেছেন, যদি তোমরা তাঁরই ইবাদত কর।” [ হা মীম সাজদা/৩৭] সেকালে ফেরেশতার ইবাদতের প্রমাণে আল্লাহ বলেন : وَ لا يأمُرُكُمْ أنْ تَتَّخِذُوا المَلائِكَةَ والنَّبِيّيْنَ أرْبَاباً “আর তিনি আদেশ করেন না যে, তোমরা ফেরেশতাগণ ও নবীগণকে প্রতিপালক রূপে গ্রহণ কর।” [ আল্ ইমরান/৮০] নবীগণের ইবাদতের দলীল: আল্লাহ বলেন: “আর যখন আল্লাহ বলবেন, হে মারইয়ামের পুত্র ঈসা! তুমি কি লোকদেরকে বলেছিলে তোমরা আল্লাহ ছাড়া আমাকে ও আমার মাতাকে মা’বূদ বানিয়ে নাও ? ঈসা নিবেদন করবেন আমি তো আপনাকে পবিত্র মনে করি; আমার পক্ষে কোনক্রমেই শোভনীয় ছিল না যে, আমি এমন কথা বলি যা বলবার আমার কোনই অধিকার নেই; যদি আমি বলে থাকি, তবে অবশ্যই আপনার জানা থাকবে; আপনি তো আমার অন্তরের কথাও জানেন, পক্ষান্তরে আপনার অন্তরে যা কিছু রয়েছে আমি তা জানি না; সমস্ত গায়েবের বিষয় আপনিই জ্ঞাত।” [ আল্ মায়েদা/১১৬] নেক লোকদের ইবাদতের প্রমাণস্বরূপ আল্লাহর বাণী : أولئك الذينَ يَدْعُونَ يَبْتَغُونَ إلى رَبِّهمُ الوَسِيْلَةَ أيُّهُمْ أقْرَبُ وَ يَرْجُونَ رَحْمَتَهُ وَ يَخافُونَ عَذابَه “ তারা যাদের আহ্বান করে তারাই তো তাদের প্রতিপালকের নৈকট্য লাভের উপায় সন্ধান করে যে তাদের মধ্যে কে কত নিকট হতে পারে, তাঁর দয়া প্রত্যাশা করে ও তাঁর শাস্তিকে ভয় করে।” [ ইস্ রা/৫৭] গাছ-পালা ও পাথরের ইবাদতের দলীল। আল্লাহ বলেন : أفَرأيْتُمُ اللاتَ والْعُزَّى ، والْمَنَاتَ الثّالِثَةَ الأخْرَى “তোমরা কি ভেবে দেখেছো ‘লাত’ ও ‘উযযা’ সম্বন্ধে এবং তৃতীয় আরেকটি ‘মানাত’ সম্বন্ধে?” [নাজম/১৯-২০] এ প্রসঙ্গে ওয়াকিদ লায়সী (রাযিঃ) এর হাদীস, তিনি বলেন: আমরা রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) এর সঙ্গে হুনাইনের যুদ্ধে বের হলাম আমরা তখন নূতন মুসলমান ছিলাম।সেকালে মুশরিকদের একটি কুল-বৃক্ষ ছিল, যার পার্শ্বে তারা অবস্থান করতো এবং তাতে তাদের অস্ত্র ঝুলিয়ে রাখতো। ওটাকে বলা হত ‘যাতু আন্ওয়াত্’ (বরকতের গাছ)। আমরা এই ধরনের এক কুল-গাছের নিকট দিয়ে অতিক্রম করলাম। আমরা আল্লাহর রাসূলকে বললাম : হে আল্লাহর রাসূল ! আমাদের জন্যও একটি ঝুলিয়ে রাখার বৃক্ষ নির্ধারণ করে দিন যেমন তাদের রয়েছে ..। চতুর্থ মূলনীতিঃ আমাদের যুগের শিরক কারীরা পূর্বের যুগের শিরক কারীদের থেকে অধিক কঠোর। কারণ পূর্বের লোকেরা সুখ-সচ্ছলতার সময় শিরক করতো আর দুঃখের সময় তাকেই ডাকতো। কিন্তু আমাদের যুগের শিরককারীরা সুখ-দুঃখ সর্বাবস্থায় অংশী করে। এর স্বপক্ষে দলীল, আল্লাহ বলেন : فَإذَا رَكِبوا فَي الفُلْكِ دَعَوُا اللهَ مُخْلِصِيْنَ له الدينَ فَلَما نجَّاهُمْ إلى البَرِّ إذا هُمْ يُشْرِكُونَ “তারা যখন নৌকায় আরোহণ করে তখন তারা বিশুদ্ধ চিত্তে খাঁটি ভাবে আল্লাহকে ডাকে; অতঃপর তিনি যখন স্থলে এনে তাদের উদ্ধার করেন, তখনই তারা শরীক করতে থাকে।” [ আনকাবূত/৬৫] পরিশেষে নবী মুহাম্মদ, তাঁর পরিবার – পরিজন ও সাথীদের প্রতি রহমত ও শান্তি বর্ষিত হোক। অনুবাদক : Abdur Raquib বি.এ. অনার্স ফিকহ (মদীনা বিশ্ববিদ্যালয়, সউদী আরব) এম.এ. এরাবিক ( জামিয়া মিল্লিয়া ইসলামিয়া,নিউ দিল্লী ) দাঈ, বাংলা বিভাগ: ইসলামিক দাওয়াত সেন্টার, খাফজী, সউদী আরব।
    Maksud Bin Amal
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 1:45am

    Sogood Islam Syeds

    শাবান মাসঃ করণীয় ও বর্জণীয় রচনায় :- আব্দুল্লাহ শাহেদ মাদানী হিজরী সনের ৮ম মাস হচ্ছে শাবান মাস। তার পরই আসে বছরের শ্রেষ্ঠ রামাযান মাস। সে হিসেবে মুসলিমের জীবনে এ মাসের যথেষ্ঠ গুরুত্ব রয়েছে। দীর্ঘ এক মাস তাকে সিয়াম সাধনা করতে হবে। এর জন্য মানসিক, শারিরিক ও আর্থিক প্রস্তুতির প্রয়োজন রয়েছে। আমাদের প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম রামাযানের প্রস্তুতি স্বরূপ অন্য মাসের তুলনায় শাবান মাসে বেশী বেশী নফল রোযা রাখতেন। আয়েশা (রাঃ) বলেনঃ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم يَصُومُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يُفْطِرُ وَيُفْطِرُ حَتَّى نَقُولَ لاَ يَصُومُ فَمَا رَأَيْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم اسْتَكْمَلَ صِيَامَ شَهْرٍ إِلاَّ رَمَضَانَ وَمَا رَأَيْتُهُ أَكْثَرَ صِيَامًا مِنْهُ فِى شَعْبَانَ আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে রামাযন ব্যতীত অন্য কোন পূর্ণ মাস রোযা রাখতে দেখি নি। আর তাঁকে আমি শাবান মাসের চেয়ে অধিক নফল রোযা অন্য কোন মাসে রাখতে দেখিনি। (বুখারী) সুতরাং শাবান মাসে আমরাও রাসূলের সুন্নাত অনুযায়ী বেশী বেশী করে রাখবো এবং আল্লাহর কাছে প্রাণ খুলে দুআ করবো, তিনি যেন আমাদেরকে রামাযান পর্যন্ত হায়াত দান করেন এবং রামাযানের ফজীলত ও বরকত হাসিল করার তাওফীক দেন। কিন্তু পরিতাপের বিষয় এই যে, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের মধ্যেই শাবান মাস সম্পর্কে ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে। বিশেষ করে মধ্য শাবানের রাতে নফল নামায আদায় করা এবং পরের দিন সিয়াম পালন করার চিরাচরিত নিয়ম প্রচলিত আছে। যদিও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে এই রাতের নফল নামায এবং দিনের বেলা রোযা রাখার ব্যাপারে কোন সহীহ হাদীছ পাওয়া যায়না। এ রাতকে আমাদের দেশের পরিভাষায় শবে বরাত বলা হয়ে থাকে। আসলে শবে বরাত নামে কুরআন, হাদীছ এমনকি ফিকহের কিতাবসমূহেও কোন রাত আছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায় না। এ রাত সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যে সমস্ত বিদআতী বিশ্বাস ও আমল রয়েছে তার বিস্তারিত বিবরণ প্রয়োজন। শবে বরাতে কুরআন নাযিল হয়েছে বলে ধারণাঃ শবে বরাত পালনকারীদের বক্তব্য হল, শবে বরাতের রাতেই কুরআন নাযিল হয়েছে। সূরা দুখানের ৩নং আয়াতকে তারা দলীল হিসাবে পেশ করে থাকে। আল্লাহ তাআলা বলেন, إِنَّا أَنْزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنْذِرِينَ (৩) فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ “আমি কুরআনুল কারীমকে একটি বরকতপূর্ণ রাতে অবতীর্ণ করেছি। নিশ্চয় আমি সতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় নির্ধারণ করা হয়। (সূরা দুখানঃ ৩-৪) এ বরকতপূর্ণ রাতই হল শবে বরাতের রাত। কতিপয় আলেম এভাবেই অত্র আয়াতের ব্যাখ্যা করেছেন। তাদের এ ব্যাখ্যা মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়; বরং এখানে বরকতপূর্ণ রাত বলতে লাইলাতুল ক্বদর উদ্দেশ্য। আল্লামা ইবনে কাছীর (রঃ) বলেন, অত্র বরকতপূর্ণ রাতই হল লাইলাতুল কদর বা কদরের রাত। যেমন অন্যত্র সুস্পষ্টভাবে উল্লেখিত হয়েছে। কুরআনের ব্যাখ্যার ক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য কথা হল, কুরআনের কোন অস্পষ্ট আয়াতের ব্যাখ্যা যদি অন্য কোন আয়াতে সুস্পষ্টভাবে পাওয়া যায়, তাহলে কুরআনের ব্যাখ্যাই গ্রহণ করতে হবে। আমরা দেখতে পাই যে, আল্লাহ সূরা কদরের শুরুতে বলেন, إِنَّ أَنْزَلْنَاهُ فِى لَيْلَةِ الْقَدْرِ “আমি কুরআনকে কদরের রাতে অবতীর্ণ করেছি। (সূরা কদরঃ ১) আর এ কথা সর্বসম্মতভাবে স্বীকৃত যে, লাইলাতুল কদর রামাযান মাস ব্যতীত অন্য কোন মাসে নয়। আল্লাহ তায়ালা রামাযান মাসে কুরআন অবতীর্ণ হওয়ার কথা সুস্পষ্টভাবে উল্লেখ করে সূরা বাকারায় বলেনঃ شَهْرُ رَمَضَانَ الَّذِى أُنْزِلَ فِيْهِ الْقُرْآنُ “রামাযান মাস এমন একটি মাস, যাতে কুরআন অবতীর্ণ করা হয়েছে। (সূরা বাকারাঃ ১৮৫) সুতরাং শবে বরাতে কুরআন নাযিল হওয়ার কথা গ্রহণযোগ্য হতে পারেনা। শবে বরাতের রাতে আল্লাহ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসার ধারণাঃ শবে বরাতের ইবাদতের পক্ষের আলেমগণ বলে থাকে, এ রাতের শেষের দিকে আল্লাহ দুনিয়ার আসমানে নেমে আসেন। তারা দলীল হিসাবে নিম্নের হাদীছটিকে পেশ করে থাকেনঃ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ فَقَدْتُ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم لَيْلَةً فَخَرَجْتُ فَإِذَا هُوَ بِالْبَقِيعِ فَقَالَ ্র أَكُنْتِ تَخَافِينَ أَنْ يَحِيفَ اللَّهُ عَلَيْكِ وَرَسُولُهُ গ্ধ. قُلْتُ يَا رَسُولَ اللَّهِ إِنِّى ظَنَنْتُ أَنَّكَ أَتَيْتَ بَعْضَ نِسَائِكَ فَقَالَ ্র إِنَّ اللَّهَ عَزَّ وَجَلَّ يَنْزِلُ لَيْلَةَ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا فَيَغْفِرُ لأَكْثَرَ مِنْ عَدَدِ شَعْرِ غَنَمِ كَلْبٍ উপরোক্ত অর্থ বহনকারী হাদীছটি কয়েকটি সূত্রে বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু সকল বর্ণনাই যঈফ বা দূর্বল। ইমাম আলবানী (রঃ) এই হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। ইমাম তিরিমিযী বলেনঃ আমি আমার উস্তাদ মুহাম্মাদ বিন ইসমাঈল আল-বুখারীকে বলতে শুনেছি যে, এই হাদীছটি যঈফ। দেখুন তিরমিযী, হাদীছ নং- ৭৪৪। নির্দিষ্টভাবে এ রাতে আল্লাহর দুনিয়ার আকাশে নেমে আসার এবং সকল বান্দাকে ক্ষমা চাওয়ার প্রতি আহবান জানানোর হাদীছটি সুনানের কিতাবে যঈফ ও জাল সনদে বর্ণিত হয়েছে। তা ছাড়া হাদীছটি বুখারীসহ অন্যান্য হাদীছ গ্রন্থে বর্ণিত সহীহ হাদীছের বিরোধী। আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ يَنْزِلُ رَبُّنَا تَبَارَكَ وَتَعَالَى كُلَّ لَيْلَةٍ إِلَى السَّمَاءِ الدُّنْيَا حِينَ يَبْقَى ثُلُثُ اللَّيْلِ الآخِرُ يَقُولُ مَنْ يَدْعُونِى فَأَسْتَجِيبَ لَهُ مَنْ يَسْأَلُنِى فَأُعْطِيَهُ مَنْ يَسْتَغْفِرُنِى فَأَغْفِرَ له আল্লাহ্ তায়ালা প্রত্যেক রাতের শেষ তৃতীয়াংশে দুনিয়ার আকাশে নেমে আসেন এবং বলতে থাকেনঃ কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি ক্ষমা করে দিব। অমুক আছে কি? অমুক আছে কি? এভাবে প্রতি রাতেই ঘোষণা করতে থাকেন। বুখারী, হাদীছ নং- ১০৯৪, মুসলিম, হাদীছ নং- ১৬৮। সুতরাং জাল হাদীছের উপর ভিত্তি করে সহীহ হাদীছের মর্ম প্রত্যাখ্যান করে শবে বরাতের রাতে আল্লাহ্ দুনিয়ার আকাশে নেমে আসার আকীদা পোষণ করা এবং সে রাতে বিশেষ ইবাদত করা সম্পূর্ণ বিদআত। মৃত ব্যক্তির রূহ দুনিয়াতে আগমণের বিশ্বাসঃ শবে বরাত পালনের পিছনে যুক্তি হল, এ রাতে মানুষের মৃত আত্মীয়দের রূহসমূহ দুনিয়াতে আগমণ করে থাকে। তাই অনেকে এই রাতে মৃত ব্যক্তিদের রুহের মাগফিরাতের জন্য দান-খয়রাত করে থাকে। এই জন্য এটি একটি অবান্তর ধারণা, যা কুরআন-সুন্নার সুস্পষ্ট বিরোধী। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ وَ مِنْ وَرَائِهِمْ بَرْزَخٌ إِلَى يَوْمِ يُبْعَثُوْنَ “ওদের (মৃতদের) পিছনে রয়েছে অন্তরায়, তারা সেখানে কিয়ামত দিবস পর্যন্ত অবস্থান করবে। (সূরা মুমেনূনঃ ১০০) এ রাত্রে মানুষের ভাগ্য লিখা হয় বলে ধারণাঃ যারা শবে বরাত পালন করে, তারা জোর দিয়ে বলে থাকেন, এটি হচ্ছে ভাগ্য রজনী। এ রাতে আগামী এক বছরে কারা মৃত্যু বরণ করবে, কারা জন্মগ্রহণ করবে, তাদের তালিকা করা হয় এবং কে কি রোজগার তাদের এ ধারণাটিও ঠিক নয়। এ কথার পিছনে কুরআন হাদীছের কোন দলীল নেই। সহীহ হাদীছে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেনঃ كَتَبَ اللَّهُ مَقَادِيرَ الْخَلَائِقِ قَبْلَ أَنْ يَخْلُقَ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضَ بِخَمْسِينَ أَلْفَ سَنَةٍ “আসমান-জমিন সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বেই আল্লাহ তায়ালা স্বীয় মাখলুকের তাকদীর লিখে রেখেছেন। (সহীহ মুসলিম) শবে বরাতের কতিপয় বিদআতী আমলঃ হালুওয়া রুটি বিতরণঃ শবে বরাতকে কেন্দ্র করে হালুওয়া-রুটির যে অনুষ্ঠান করা হয়, তাও বিদআত। এ রাতে কবর যিয়ারতের পিছনে যুক্তি ও তা খন্ডনঃ এ রাতে রাসূল (সাঃ) বাকী কবরস্থান যিয়ারত করেছেন। তাই আমাদেরকেও এ রাতে কবর যিয়ারত করতে হবে। এ মর্মে ইবনে মাজাহ শরীফে বর্ণিত হাদীছটি যঈফ। হাদীছের সনদে হাজ্জাজ বিন আরতাত নামক একজন যঈফ রাবী রয়েছে। ইমাম বুখারী সহ অন্যান্য মুহাদ্দিছ হাদীছটিকে যঈফ বলেছেন। একশত রাকাত নামাযের ভিত্তি খন্ডনঃ এ রাতে একশত রাকাত নামাযের ব্যাপারে যত হাদীছ রয়েছে, তার সবই জাল বা বানোওয়াট। এ নামায সম্পর্কে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে কোন সহীহ হাদীছ নেই। হাফেয ইরাকী (রঃ) বলেনঃ নিসফে শাবানের রাতের নামায রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের উপর মিথ্যা রচনা ছাড়া অন্য কিছু নয়। ইমাম নববী (রঃ) স্বীয় কিতাব মাজমুতে বলেনঃ মধ্য শাবানের রাত্রিতে সালাতুর রাগায়েব নামে যেই একশ রাকআত নামায পড়া হয়, তা বিদআত। একশত রাকাত নামায পড়ার বিদআতটি ৪৪৮ হিজরীতে সর্বপ্রথম জেরুজালেমের বাইতুল মুকাদ্দাস মসজিদে প্রবর্তিত হয়। ইমাম মাকদেসী (রঃ) বলেনঃ ৪৪৮ হিজরীতে বাইতুল মাকদিসে আমাদের নিকট ইবনে আবী হুমায়রা নামক একজন লোক আগমণ করল। তার তেলাওয়াত ছিল খুব সুন্দর। অর্ধ শাবানের রাতে সে মসজিদে আকসায় নামাযে দাঁড়িয়ে গেল। তার পিছনে একজন এসে দাঁড়াল। তারপর আরেকজন আসল। এভাবে এক, দুই তিন করে নামায শেষ করা পর্যন্ত বিরাট এক জামাতে পরিণত হল। পরবর্তীতে মসজিদের ইমামগণ অন্যান্য নামাযের ন্যায় এ নামাযও চালু করে দেয়। (দেখুনঃ الباعث على انكار البدع والحوادث ১২৪-১২৫) বর্তমানে পাক-ভারত বাংলাদেশে এই নামাযকে শবে বরাতের নামায বলা হয়। শবে বরাত উপলক্ষে আমাদের দেশের রেডিও, টেলিভিশন, ওয়াজ মাহফিল ও বিভিন্ন প্রচার মাধ্যমে শবে বরাতের পক্ষে বিশেষ প্রচারণা চালনা হয় এমনকি ঐ দিন সরকারী ছুটি পর্যন্ত ঘোষণা করা হয়। এর পক্ষে ব্যাপক প্রচারণার ফলে সকল শ্রেণীর মানুষই শবে বরাত পালন করে থাকে। এমনকি যারা সারা বছর ফরজ নামায আদায় করেনা এমনকি জুমআর নামাযও আদায় করেনা তারাও শবে বরাতের নামায আদায় করে থাকে। ক্ষেত্রে বিশেষে এমনও দেখা যায় যে কোন মুসুল্লি সারা রাত শবে বরাতের নামায আদায় করার পর ঐ দিনের ফজরের নামাযও পড়ার গুরুত্ব অনুভব করেনা। এখানে আরেকটি কথা বিশেষভাবে স্মরণীয় যে, আরব দেশসমূহে এর তৎপরতা নেই বললেই চলে। বিশেষ করে ইসলামের প্রাণ কেন্দ্র সৌদি আরবে শবে বরাত পালনের কোন অস্তিত্বই দেখা যায়না। মক্কা-মদীনার সম্মানিত ইমামগণের কেউ কোন দিন শবে বরাত উদ্যাপন করার প্রতি জনগণকে উৎসাহিত করেন না। কারণ তারা ভাল করেই জানেন যে ইহা দ্বীনের কোন অংশ নয়; বরং তা একটি নব আবি®কৃত বিদআত। ইসলামে যদি এর কোন অস্থিত্ব থাকত, তাহলে পৃথিবীর সকল স্থানেই এটি পালিত হত। দলীল প্রমাণের মাধ্যমে যে বিষয়টি ইসলামের অন্তর্ভূক্ত বলে প্রমাণিত হবে, পৃথিবীর সকল স্থানেই তার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে। আর যেটি বিদআত হবে, তা কোথাও পাওয়া যাবে, আবার কোথাও পাওয়া যাবেনা এবং সব জায়গায় একই রূপে পাওয়া যাবেনা। নিসফে শাবানের রাতের নামায সম্পর্কে বিন বায (রঃ)-এর একটি ফতোয়াঃ আল্লামা আব্দুল আযীয বিন বায (রঃ)কে নিসফে শাবানের রাত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হল- এ রাতে বিশেষ কোন নামায আছে কি না? উত্তরে তিনি বলেনঃ অর্ধ শাবানের রাত সম্পর্কে একটি সহীহ হাদীছও পাওয়া যায় নি। এ ব্যাপারে বর্ণিত সকল হাদীছ বানোয়াট ও যঈফ, যার কোন ভিত্তি নেই। আর এটি এমন রাত্রি, যার অতিরিক্ত কোন মর্যাদা নেই। তাতে কুরআন পাঠ, একাকী কিংবা জামাত বদ্ধ হয়ে কোন নামায আদায় করা যাবে না। কতিপয় আলেম এই রাতের যে ফজীলতের কথা বলেছেন, তা দুর্বল। সুতরাং এ রাতের কোন অতিরিক্ত বৈশিষ্ট নেই। এটিই সঠিক কথা। ইমাম আলবানী (রঃ) বলেনঃ অর্ধ শাবানের রাতের ফজীলতে অনেকগুলো দুর্বল হাদীছ এসেছে। সবগুলো হাদীছ এক সাথে মিলালে সহীহর স্তরে পৌঁছে যায়। (দেখুন সিলসিলায়ে সহীহা, হাদীছ নং- ১১৪৪) তবে তিনি এ রাতে বিশেষ কোন এবাদত করাকে বিদআত বলে উল্লেখ করেছেন এবং কঠোর ভাষায় তার প্রতিবাদ করেছেন। (দেখুনঃ ইমাম আলবানীর ফতোয়া সিরিজ) শবে বরাতের রোযাঃ শবে বরাতের রোযা রাখার প্রমাণ স্বরূপ যে হাদীছটি পেশ করা হয়ে থাকে। عن عَلِىِّ بْنِ أَبِى طَالِبٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ্র إِذَا كَانَتْ لَيْلَةُ النِّصْفِ مِنْ شَعْبَانَ فَقُومُوا لَيْلَهَا وَصُومُوا يَوْمَهَا. فَإِنَّ اللَّهَ يَنْزِلُ فِيهَا لِغُرُوبِ الشَّمْسِ إِلَى سَمَاءِ الدُّنْيَا فَيَقُولُ أَلاَ مِنْ مُسْتَغْفِرٍ فَأَغْفِرَ لَهُ أَلاَ مُسْتَرْزِقٌ فَأَرْزُقَهُ أَلاَ مُبْتَلًى فَأُعَافِيَهُ أَلاَ كَذَا أَلاَ كَذَا حَتَّى يَطْلُعَ الْفَجْرُ ইমাম ইবনে মাজাহ এই হাদীছটি বর্ণনা করেছেন। এই হাদীছের সনদে ইবনে আবু সাব্রাহ নামক একজন জাল হাদীছ রচনাকারী রাবী থাকার কারণে হাদীছটি গ্রহণযোগ্য নয়। সুতরাং হাদীছটি মাউযু বা সম্পূর্ণ বানোয়াট। (দেখুনঃ সিলসিলায়ে যাঈফা, হাদীছ নং- ২১৩২) মুসলিম জাতির উচিৎ এ বিদআত থেকে বিরত থাকা। পরিতাপের বিষয় এই যে, অনেকেই এবিদআতকে বিদআতে হাসানাহ বলে থাকে। আসলে বিদআতে হাসানাহ বলতে কিছু নেই। ইসলামের নামে তৈরীকৃত সকল বিদআতই মন্দ, হাসানাহ বা ভাল বিদআত নামে কোন বিদআতের অস্তিত্ব নেই। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ كُلُّ بِدْعَةٍ ضَلَالَةٍ وَ كُلُّ ضَلَالَةٍ فِى النَّارِ “প্রতিটি বিদআতই ভ্রষ্টতা আর প্রত্যেক ভ্রষ্টতার পরিণাম হল জাহান্নাম। (নাসাঈ) ইবনে উমার (রাঃ) বলেন, “সমস্ত বিদআতই ভ্রষ্টতা যদিও মানুষ তাকে উত্তম বলে থাকে। (দেখুনঃالإبداع في بيان كمال الشرع وخطر الابتداع পৃষ্ঠা নং ২১-২১) ইসলাম একটি পরিপূর্ণ দ্বীন। আল্লাহ্ তাআলা কুরআন ও হাদীছের মাধ্যমে এ দ্বীনকে পূর্ণ করে দিয়েছেন। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا“ আজ তোমাদের জন্য তোমাদের দ্বীনকে পূর্ণ করে দিলাম এবং আমার নেয়ামতকে তোমাদের জন্য পূর্ণ করে দিলাম। এবং তোমাদের জন্য ইসলামকে দ্বীন হিসাবে মনোনীত করলাম। (সূরা মায়েদাঃ ৩) আল্লাহ তআলা আরও বলেনঃ وَمَا آَتَاكُمُ الرَّسُولُ فَخُذُوهُ وَمَا نَهَاكُمْ عَنْهُ فَانْتَهُوا“ তোমাদের রাসূল তোমাদেরকে যে বিষয়ের আদেশ করেন, তা তোমরা পালন কর এবং যা থেকে নিষেধ করেন, তা থেকে বিরত থাক”। (সূরা হাশরঃ ৭) আল্লাহ্ তাআলা আরও বলেনঃ قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ وَاللَّهُ غَفُورٌ رَحِيمٌ (سورة آل عمران ৩১) “বলোঃ যদি তোমরা আল্লাহ্কে ভালবাস তাহলে আমাকে অনুসরণ কর, যাতে আল্লাহ্ও তোমাদেরকে ভালবাসেন এবং তোমাদের পাপ মার্জনা করে দেন। আর আল্লাহ্ হলেন ক্ষমাকারী দয়ালু।” (সূরা আল-ইমরানঃ ৩১) রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ تَركْتُ فيكُمْ أَمْرَيْنِ لنْ تَضِلُّوا ما تَمسَّكْتُمْ بهما كتابَ الله وسنّة رسولِهِ আমি তোমাদের মধ্যে দু’টি জিনষ রেখে যাচ্ছি। যতদিন তোমরা সে অনুযায়ী আমল করবে, ততদিন তোমাদের পথভ্রষ্ট হওয়ার কোন আশঙ্কা নেই। একটি হচ্ছে আল্লাহর কিতাব এবং অন্যটি তাঁর রাসূলের সুন্নাত। (মুআত্তা ইমাম মালেক, হাদীছ নং- ৬৪) ইরাবায বিন সারিয়া (রাঃ) হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ صَلَّى بِنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ذَاتَ يَوْمٍ ثُمَّ أَقْبَلَ عَلَيْنَا فَوَعَظَنَا مَوْعِظَةً بَلِيغَةً ذَرَفَتْ مِنْهَا الْعُيُونُ وَوَجِلَتْ مِنْهَا الْقُلُوبُ فَقَالَ قَائِلٌ يَا رَسُولَ اللَّهِ كَأَنَّ هَذِهِ مَوْعِظَةُ مُوَدِّعٍ فَمَاذَا تَعْهَدُ إِلَيْنَا فَقَالَ ্র أُوصِيكُمْ بِتَقْوَى اللَّهِ وَالسَّمْعِ وَالطَّاعَةِ وَإِنْ عَبْدًا حَبَشِيًّا فَإِنَّهُ مَنْ يَعِشْ مِنْكُمْ بَعْدِى فَسَيَرَى اخْتِلاَفًا كَثِيرًا فَعَلَيْكُمْ بِسُنَّتِى وَسُنَّةِ الْخُلَفَاءِ الْمَهْدِيِّينَ الرَّاشِدِينَ تَمَسَّكُوا بِهَا وَعَضُّوا عَلَيْهَا بِالنَّوَاجِذِ وَإِيَّاكُمْ وَمُحْدَثَاتِ الأُمُورِ فَإِنَّ كُلَّ مُحْدَثَةٍ بِدْعَةٌ وَكُلَّ بِدْعَةٍ ضَلاَلَةٌ) “একদিন রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে নিয়ে নামায পড়লেন। অতঃপর আমাদের দিকে ফিরে এক গুরুত্বপূর্ণ ভাষণ দিলেন। এতে আমাদের চক্ষু থেকে অশ্র ধারা প্রবাহিত হল এবং অন্তরসমূহ বিগলিত হল। তখন এক ব্যক্তি বললঃ হে আল্লাহর রাসূল! সম্ভবতঃ এটিই বিদায়ী ভাষণ। সুতরাং আমাদেরকে আপনি কিসের উপদেশ দিচ্ছেন? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেনঃ আমি তোমাকে আল্লাহকে ভয় করার এবং আমীরের কথা শ্রবণ এবং তা মানার উপদেশ দিচ্ছি। আমীর যদিও একজন হাবশী গোলাম হয়। কেননা আমার পরে তোমাদের মধ্যে যারা জীবিত থাকবে, তারা অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। সুতরাং তোমরা সে সময় আমার সুন্নাত এবং খোলাফায়ে রাশেদার সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে। তোমরা দ্বীনের মাঝে নতুন বিষয় আবিষ্কার করা থেকে বিরত থাকবে, কেননা প্রত্যেক নতুন বিষয়ই বিদআত। আর প্রতিটি বিদআতের পরিণাম গোমরাহী বা ভ্রষ্টতা”। (আবু দাউদ, ও তিরমিযী) عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ: جَاءَ ثَلاثَةُ رَهْطٍ إِلَى بُيُوتِ أَزْوَاجِ النَّبِيِّ يَسْأَلُونَ عَنْ عِبَادَةِ النَّبِيِّ ، فَلَمَّا أُخْبِرُوا كَأَنَّهُمْ تَقَالُّوهَا، فَقَالُوا: وَأَيْنَ نَحْنُ مِنَ النَّبِيِّ ؟ قَدْ غُفِرَ لَهُ مَا تَقَدَّمَ مِنْ ذَنْبِهِ وَمَا تَأَخَّرَ، قَالَ أَحَدُهُمْ: أَمَّا أَنَا فَإِنِّي أُصَلِّي اللَّيْلَ أَبَدًا، وَقَالَ آخَرُ: أَنَا أَصُومُ الدَّهْرَ وَلا أُفْطِرُ، وَقَالَ آخَرُ: أَنَا أَعْتَزِلُ النِّسَاءَ فَلا أَتَزَوَّجُ أَبَدًا. فَجَاءَ رَسُولُ اللَّهِ إِلَيْهِمْ فَقَالَ: ্রأَنْتُمُ الَّذِينَ قُلْتُمْ كَذَا وَكَذَا؟ أَمَا وَاللَّهِ إِنِّي لأَخْشَاكُمْ لِلَّهِ، وَأَتْقَاكُمْ لَهُ، لَكِنِّي أَصُومُ وَأُفْطِرُ، وَأُصَلِّي وَأَرْقُدُ، وَأَتَزَوَّجُ النِّسَاءَ، فَمَنْ رَغِبَ عَنْ سُنَّتِي فَلَيْسَ مِنِّيগ্ধ (بخارى:৫০৬৩) আনাস বিন মালেক (রাঃ) বলেনঃ তিনজন লোক নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল সম্পর্কে জিজ্ঞেস করার জন্যে তাঁর স্ত্রীদের বাড়িতে আসলেন। তাদেরকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমল সম্পর্কে সংবাদ দেয়া হলে তারা নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের আমলকে খুব কম মনে করল। তারা বললেনঃ আমরা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সমান হতে পারবো? কেননা তাঁর পূর্বাপর সমস্ত গুনাহ ক্ষমা করে দেয়া হয়েছে। তাদের একজন বললেনঃ আমি সারা জীবন রাতের বেলা নামায আদায় করবো। আরেকজন বললেনঃ আমি সারা জীবন রোজা রাখবো। কখনই রোজা ছাড়বো না। অন্যজন বললঃ আমি স্ত্রীদের থেকে দূরে থাকবো। কখনই তাদের সাথে মিলিত হবো না। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের কথা শুনার পর তাদের কাছে গিয়ে বললেনঃ তোমরা কি এরূপ এরূপ কথা বলো নি? আল্লাহর শপথ! আমি তোমাদের তুলনায় আল্লাহ্কে অধিক ভয় করি। কিন্তু আমি রোজা রাখি, রোজা থেকে বিরত থাকি, নামায পড়ি, নিদ্রা যাই আবার স্ত্রীদের সাথেও মিলিত হই। সুতরাং যে ব্যক্তি আমার সুন্নাত হতে বিমুখ হবে, সে আমার উম্মাতের অন্তর্ভূক্ত নয়। (বুখারী) উপসংহারঃ উপরোক্ত আলোচনার মাধ্যমে প্রমাণিত হলো যে, শবেবরাত নামে কোন রাত নেই। মধ্য শাবানের রাতে আলাদা কোন এবাদত নেই। সুতরাং মুসলিমদের উচিত, দ্বীনের ক্ষেত্রে সকল বিদআত পরিহার করে কুরআন ও সহীহ হাদীছ মুতাবেক তাদের সকল আমল সংশোধন করে নেওয়া। আল্লাহই তাওফীক দানকারী।
    Maksud Bin Amal
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 2:14am

    Sogood Islam Syeds

    আত তাহরীকের প্রশ্নোত্তর added a new photo.
    বইঃ ফাতাওয়া আরকানুল ইসলাম, অধ্যায়ঃ ছিয়াম (রোযা), অনুচ্ছেদঃ (৪৩৬) ইফতারের জন্য কোন দু’আ কি প্রমাণিত আছে? রোযাদার কি মুআয্‌যিনের জবাব দিবে নাকি ইফতার চালিয়ে যাবে? (৪৩৬) ইফতারের জন্য কোন দু’আ কি প্রমাণিত আছে? রোযাদার কি মুআয্‌যিনের জবাব দিবে নাকি ইফতার চালিয়ে যাবে? দু’আ কবূল হওয়ার অন্যতম সময় হচ্ছে ইফতারের সময়। কেননা সময়টি হচ্ছে ইবাদতের শেষ মূহুর্ত। তাছাড়া মানুষ সাধারণতঃ ইফতারের সময় অধিক দুর্বল হয়ে পড়ে। আর মানুষ যত দুর্বল হয় তার অন্তর তত নরম ও বিনয়ী হয়। তখন দু’আ করলে মনোযোগ আসে বেশী এবং আল্লাহ্‌র দিকে অন্তর ধাবিত হয়। ইফতারের সময় দু’আ হচ্ছেঃ اللَّهُمَّ لَكَ صُمْتُ وَعَلَى رِزْقِكَ أَفْطَرْتُ “হে আল্লাহ্‌ আপনার জন্য রোযা রেখেছি এবং আপনার রিযিক দ্বারা ইফতার করছি।” নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) ইফতারের সময় এই দু’আ পাঠ করতেনঃ ذَهَبَ الظَّمَأُ وَابْتَلَّتِ الْعُرُوقُ وَثَبَتَ الْأَجْرُ إِنْ شَاءَ اللَّهُ “তৃষ্ণা বিদূরিত হয়েছে, শিরা-উপশিরা তরতাজা হয়েছে এবং আল্লাহ্‌ চাহে তো প্রতিদান সুনিশ্চিত হয়েছে।” হাদীছ দু’টিতে যদিও দুর্বলতা রয়েছে কিন্তু কোন কোন বিদ্বান উহাকে হাসান বলেছেন। মোটকথা এগুলো দু’আ বা অন্য কোন দু’আ পাঠ করবে। ইফতারের সময় হচ্ছে দু’আ কবূল হওয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ মূহুর্ত। কেননা হাদীছে এরশাদ হয়েছে নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, إِنَّ لِلصَّائِمِ عِنْدَ فِطْرِهِ لَدَعْوَةً مَا تُرَدُّ “ছিয়াম পালনকারীর ইফতারের সময়কার দু’আ প্রত্যাখ্যান করা হয় না।” আর ইফতারের সময় মুআয্‌যিনের জবাব দেয়া শরীয়ত সম্মত। কেননা নবী (ছাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, إِذَا سَمِعْتُمُ الْمُؤَذِّنَ فَقُولُوا مِثْلَ مَا يَقُولُ “মুআয্‌যিনের আযান শুনলে তার জবাবে সে যা বলে তোমরাও তার অনুরূপ বল।” এ হাদীছটি প্রত্যেক অবস্থাকে শামিল করে। তবে দলীলের ভিত্তিতে কোন অবস্থা ব্যতিক্রম হলে ভিন্ন কথা। http://www.hadithbd.com/shareqa.php?qa=1110
    আত তাহরীকের প্রশ্নোত্তর
  • May 22
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 10:22am

    Sogood Islam Syeds

    ১৫ শাবান রিপোর্ট পেশ করা হয়, এ কথা আমাদের নবি মুহাম্মদ(স) এর জানা ছিল না। কিভাবে কিভাবে,ভারত,বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের লোকেরা,আলেম-ওলামা জেনে নিল সেই দিন পনেরই(১৫) শাবান। তাই তারা কল-কারখানা,অফিস-আদালত,কোট-কাচারি,শিক্ষা-প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে রাতে গোসল করে আতর গোলাপ মেখে দিনে সিয়াম থাকে যা একেবারে নগদ মিথ্যা কথ্যা,এগুলা ডাহা মিথ্যা। দুই শত মানুষের বানানো হাদিস আছে।এগুলো দিন রাত আপনি চ্যানেলে দেখতে পারবেন যে পনেরো(১৫) শাবানের ব্যাপারে বলা হচ্ছে। পনেরো(১৫) শাবান রিপোর্ট পেশ করা হয়।পনেরো(১৫) শাবান রুজি বন্টন হয়। ওওওও ভ্যান চালক? জনাব(উত্তরে),রুজি যদি পনেরো(১৫)শাবান বন্টন হয়,তো তুমি সেদিন ভাগ নিয়ে সারা বছর করলা কোথায়? তুমি তো ধনী হও না। তারমানে এগুলা একেবারে মিথ্যা। একাবারেই মিথ্যা।হুজুরও মিথ্যা কথা বলছে।চ্যানেল আলাও মিথ্যুক, একেবারে নগদ মিথ্যুক। শাবান মাসে বেশি বেশি ছিয়াম পালন করতে হবে।আরেকটি কথা উল্লেখ্য যে পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে আপনার রুজি নির্ধারন হয়েছে।কি খাবেন আর কি করবেন।মানুষের মরণ যেমন মানুষকে ভূল করে না,মানুষের রুজি মানুষকে তেমন ভূল করবে না। তাহলে পনেরো(১৫) শাবান রুজি নির্ধারণ হয় কি করে? সাথে সাথে বাৎসরিক কল্যান যেটা দেওয়া হয় সেটা হচ্ছে লাইলাতুল কদর (রমাজান মাসে)।সেটা আবার পনেরো(১৫) শাবান আসল কি করে? আশ্চর্য!!!!!!!!!!!! ফাতেমা কান্দিয়া কয়,আজ বুঝি হোসাইন কারবালাতে শহিদ হয়।আশ্চর্য! যেদিন হোসাইন কারবালায় শহিদ হয় তার ৪৯ বছর আগে ফাতেমা(র:)মারা গেছেন।তো ফাতেমা কাদবেন কি করে? দেখেন ধর্মের নামে কত নগদ মিথ্যা কথা।বেহেশতি জেওর এ লিখা আছে,স্বামী যদি হারিয়ে যায় তবে নব্বই বছর যাবৎ তাকে খুজতে হবে।ধরে নিন দশ বছর বয়সে কোন মেয়ের বিবাহ হয়েছে।বিবাহের পরের দিনই তার স্বামী হারিয়ে গেছে।৯০ বছর খুজলো,এখন ওর ১০০ বছর হলো,এখন ও বিবাহ করবে কোথায়?১০০ বছরের মহিলাকে কেউ বিবাহ করবে? ধর্মের কথা লিখতে হলে কি এভাবে লিখতে হবে।রূপক কথা কি আর এভাবে লিখতে হয়!!! পনেরো(১৫) শাবানকে এভাবে মানতে হয়! সন্মানিত মুসলিম ভাই ও বোনেরা,আপনারা সকলেই খুব সচেতন মানুষ,আপনারা বিষয়গুলো কুর-আন ও সহিহ হাদিসের দেখে মানার চেষ্টা করিয়েন।এভাবে চ্যানেল দেখে,হুজুরের বাইশ হাতের পাগড়ি দেখে,আল খাল্লা দেখে, জুব্বা দেখে, বিশাল কিছুর আকৃতি দেখে,বুর্জুগানে দ্বীনের দোহাই দেখে আর পীর সাহেবের দোহাই দেখে ভূল পদ্বতিতে আমল করিয়েন না।নইলে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করা যাবে না।
    Ahd Imran Shaikh
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 10:27am

    Sogood Islam Syeds

    মসজিদে ইমামতী করে কি টাকা নেওয়া যাবে? যুক্তিভিত্তিক উত্তর চাই
    Hreday Hosen Rashed
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 10:36am

    Sogood Islam Syeds

    এদের বাড়ি বা নিজের এলাকায় পিকনিক করে মজা লাগে না। আমাদের মসজিদে এসেছে পিকনিক করতে। হে আল্লাহ কবে যে এই বিদআতি পিকনিক মুক্ত সমাজ পাবো???
    Hreday Hosen Rashed
  •  

    3]-fb.mess-best salaf

     

    • Sogood Islam Syeds

      প্রশ্নোত্তৰ পর্ৱত ডঃ জাকিৰ নায়েকক প্রশ্ন কৰা হয়, বিশ্বত মুছলিমসকলৰ সংখ্যা ১৫-২০% আৰু অধিকাংশ মানুহেই মূর্তিপূজা কৰে।খ্রীষ্টান,বৌদ্ধ,হিন্দুসকলৰ অধিকাংশই মূর্তি পূজা কৰে। অথচ আপোনালোকৰ সংখ্যা মাত্র ২০% তেতিয়াহ’লে এই সকলোৱেই কি ভুল? সকলোবোৰেই মিছাঁ? উত্তৰত ডঃজাকিৰ নায়কে কয়- ⬇ ইছলামত সংখ্যাগুৰুয়েদি সত্যক মাপিব পৰা নাযায়। ইছলামে সকলোবোৰৰ ওপৰত সত্যক বিশ্বাস কৰে। কেইশ’ বছৰ আগতেও পৃথিৱীৰ অধিকাংশ মানুহে বিশ্বাস কৰিছিল পৃথিৱী সমতল। তেতিয়াহ’লে কি পৃথিৱী সমতল? নহয়! তেতিয়াহ’লে বেছিৰ ভাগ মানুহৰেই ভুল হ’ব পাৰে। ইছলাম ধর্মত ছূৰা ইছৰাৰ ৮১ নম্বৰ আয়াতত কোৱা হৈছে, ‘কোৱা! সত্য উপস্থিত হৈছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হৈছে। মিথ্যা প্রকৃতিগত কাৰণেই বিলুপ্ত হ’ব।’ আপুনি আমেৰিকাত যাওঁক,তাতে দেখিব অধিকাংশ মানুহেই পর্ণোগ্রাফিত বিশ্বাসী। আপুনি এইটোক বিশ্বাস কৰেনে? নকৰে। কিন্তু পশ্চিমবিশ্বৰ অধিকাংশ মানুহেই পর্ণোগ্রাফিত বিশ্বাস কৰে। তেতিয়াহ’লে কি আপুনি ভুল বিশ্বাসত আছে? অৱশ্যেই নহয়। . আল্লাহ তায়ালাই বিছাৰিলে পৃথিৱীৰ সকলো মানুহকেই মুছলিম বনাব পাৰিলেহেঁতেন। তেখেতে ‘কুন’ (হোৱা) ক’লেই (ফাইয়াকুন) হৈ গ’লেহেঁতেন। কিন্তু এই জীৱনটো হৈছে পৰকালৰ বাবে পৰীক্ষা। আল্লাহে যদি বিছাৰিলেহেঁতেন, পৃথিৱীৰ কোনো মানুহেই মূর্তি পূজা নকৰিলেহেঁতেন, তেতিয়াহ’লে দেখোন আৰু পৰীক্ষা হৈ নাথাকিলে হয়! পৰীক্ষাটো হৈছে, আল্লাহে আপোনাক কিছু আইন দিছে সেইবোৰ মানা নামানা আপোনাৰ কথা! আৰু যিসকল মানুহে মূর্তি পূজা কৰে সিহঁতে সিহঁতৰ নিজৰ ধর্মই মানা নাই! কাৰণ কোনো ধর্মতেই মূর্তিপূজাৰ কথা কোৱা হোৱা নাই। মানুহেই এইসকলো বনাই লৈছে। হিন্দু(সনাতন) ধর্মৰ ধর্মগ্রন্থ বেদতোও মূর্তি পূজাৰ কথা কোৱা হোৱা নাই। গৌতম বৌদ্ধও কেতিয়াও মূর্তি বনাবলৈ কোৱা নাই। খ্রীষ্টান ধর্মৰ অল্ট টেষ্টামেনতো মূর্তি পূজাৰ কথা কোৱা হোৱা নাই। তাৰপিছতোও যদি কোনোবাই মূর্তি পূজা কৰে তেতিয়াহ’লে কি সি সত্য হৈ গ’ল? কোনোবাই যদি নবী মুহাম্মদ ছাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামৰ মূর্তি বনাই তেখেতক পূজা কৰে তাত মই কম সেইটো ভুল। কাৰণ নবী মুহাম্মদ ছাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামে কেতিয়াও তেখেতৰ মূর্তি বনাবলৈ কোৱা নাই। সেয়েহে, কোনোবাই যদি ভুল কাম কৰি থাকে সেইটো কেতিয়াও সত্য হৈ নাযায়, হয় সিহঁত সংখ্যালঘুয়েই হওঁক বা সংখ্যাগুৰু। সেয়েহে কোনোবাই কোনো ধর্ম মানিবলৈ গ’লে অনুসাৰী সকলক নেদেখিব। মই কম সেই ধর্মৰ ধর্মগ্রন্থক চাওঁক, কোৰআনক চাওঁক… . ((আৰু অধিক জটিল প্রশ্নৰ সহজসৰল উত্তৰ পাবলৈ পেইজটো লাইক কৰি সংযোগ বজাই ৰাখক,লগতে পোষ্টটো শ্বেয়াৰ কৰিবলৈ নাপাহৰিব।))
      Dr Zakir Naik In Assamese-অসমীয়াত উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তৰ
    • May 12
    • Sogood Islam Syeds
      5/12, 10:30am

      Sogood Islam Syeds

      অত্যন্ত শক্তিশালী ও রহস্যজনক আয়াতঃ আয়াত আল নূর ( সূরা নূর- আয়াত ৩৫)
      Meherdad Ahmed অত্যন্ত  শক্তিশালী ও রহস্যজনক আয়াতঃ আয়াত আল নূর ( সূরা নূর- আয়াত ৩৫) কুর’আন আল্লাহ “নিজে” সৃষ্টি করেছেন। এর ভাষা, ব্যাকরন, শব্দচয়ন, উপমা সবকিছু তাঁর সম্পূর্ন নিজের তৈরী। কুর’আনের একট…
      trueleadership4us.wordpress.com
    • May 12
    • Sogood Islam Syeds
      5/12, 3:38pm

      Sogood Islam Syeds

      আসসালামু আলাইকুম।শাইখ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর আর আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার অসংখ্য দ্বীনি কাজের মদ্ধ্যে একটি হলো তার লিখা বই ,যেগুলো তিনি আমাদের মাঝে রেখে গেছেন।আসুন আমরা এই গুরুত্তপুর্ন বইগুলো নিজে পড়ি ,অন্যকে পড়তে সাহায্য করি,নেক আমল করি।নিজের দ্বীনি জ্ঞান বৃদ্ধি করার সাথে সাথে শাইখের জন্যও দুয়া করি যেন তার দ্বীনি কাজগুলো নেকীর জারিয়া হয় ।ইনশাআল্লাহ। ——————– বইঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি – প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা লিখেছেনঃ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর {পি-এইচ. ডি. (রিয়াদ), এম. এ. (রিয়াদ), এম.এম. (ঢাকা) অধ্যাপক, আল-হাদীস বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া} এই বইটির প্রথম পর্বে হাদীসের পরিচয়, হাদীসের নামে মিথ্যার বিধান, ইতিহাস, হাদীসের নির্ভুলতা নির্ণয়ে সাহাবীগণ ও পরবর্তী মুহাদ্দিসগণের নিরীক্ষা পদ্ধতি, নিরীক্ষার ফলাফল, মিথ্যার প্রকারভেদ, মিথ্যাবাদী রাবীগণের শ্রেণীভাগ, জাল হাদীস নির্ধারণের পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি এই আলোচনা পাঠকের মনের দ্বিধা ও অস্পষ্টতা দূর করবে এবং হাদীসের নির্ভুলতা রক্ষায় মুসলিম উম্মাহর অলৌকিক বৈশিষ্ট্য পাঠকের কাছে স্পষ্ট হবে। দ্বিতীয় পর্বে আমাদের সমাজে প্রচলিত বিভিনড়ব ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জাল হাদীসের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাল হাদীসের বিষয়ে লেখকের মূলত নিজের কোনো মতামত উলেখ করা হয়নি। দ্বিতীয় হিজরীর তাবেয়ী ও তাবে- তাবেয়ী ইমামগণ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগের অগণিত মুহাদ্দিস রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর নামে প্রচারিত সকল হাদীস সংকলন করে, গভীর নিরীক্ষা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে সে সকল হাদীস ও রাবীদের বিষয়ে যে সকল মতামত প্রদান করেছেন লেখক মূলত সেগুলির উপরেই নির্ভর করেছেন এবং তাঁদের মতামতই উল্লেখ্য করা হয়েছে। এই লিঙ্ক থেকে ডাওনলোড করুন— http://l.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.quraneralo.com%2F%3Fsmd_process_download%3D1%26download_id%3D5891&h=aAQEQQdWY বিশেষ দ্রষ্টব্য: পিডিএফ বই কখনোই মুল বইয়ের বিকল্প হয়না। তাই সবার প্রতি অনুরোধ বইটি বাজার হতে নিজে কেনার পাশাপাশি অন্যকেও উত্সাহিত করুন। নিকটস্থ মসজিদে দান করুন।
      Shahanaj Amin
    • May 13
    • Sogood Islam Syeds
      5/13, 2:26pm

      Sogood Islam Syeds

      MP Zahid Bin Zonab added a new photo.
      আপনি কি আল-কুরআন ও সহীহ্ হাদিসের উপর জীবন গড়তে চান?আপনি কি শির্ক-বিদাআত মুক্ত ইসলামের সহীহ জ্ঞান অর্জন করতে চান?তাহলে প্রকৃত কুরআন-সুন্নাহর অনুসারী আলেমগনের লেকচার শুনুন….এই নামগুলো এখনই ঝড়েরবেগে মুখস্ত করে রাখুন…..ইনশাআল্লাহ অনেক উপকৃত হবেন।.✔ শাইখ মতিউর রহমান মাদানী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (হাফেজাহুল্লাহ)✔ প্রফেসর কাজী মুহাম্মদ ইবরাহীম (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ কামালুদ্দীন জাফরী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ সাইফুদ্দীন বেলাল মাদানী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ শহীদুল্লাহ খান মাদানী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ্ (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ মুযাফ্ফর বিন মুহসিন (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ আব্দুর রাকীব বুখারী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ হারুন হোসেইন (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ মুহাম্মাদ আক্তার মাদানী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মুহাম্মদ মানজুরে ইলাহী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মোসলেহ্ উদ্দীন (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আ ব ম যাকারিয়া (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আবুল কালাম আজাদ (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মুহাম্মাদ মতিউল ইসলাম (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেইন (হাফেজাহুল্লাহ).★ এই সকল বিশ্ববিখ্যাত কুরআন-সুন্নাহর অনুসারী আলেমে-দ্বীনগন মানুষকে ডাকছে সুধু মাত্র আল-কুরআন ও রাসূল(সঃ) এর সহীহ সুন্নহর দিকে। তার ভন্ড মোল্লাদের মত পীর-ফকিরী আর কবর-মাজার পূজার দিকে ডাকে নাহ। তার শির্ক-বিদা’আতেরবিরুদ্ধে এক-একজন এক-একটি খোলা তলোয়ার, আলহামদুলিল্লাহ!তাদের লেকাচারগুলো দয়াকরে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনুন, বুঝুন তারপর সিদ্ধান্তনিন যে, আপনি কি কোরআন ও সহীহ্ হাদিসের উপর জীবন গড়তে চান? নাকি মাজহাবের নামে গোড়ামী আর অন্ধ অনুকরন-অনুসরণ করে এবং পীরবাবা-খাজাবাবাদের মুরিদ হয়ে শির্ক-বিদা’আতকারী রূপে চিরদিন অন্ধকারেই ডুবে থাকতে চান!? হে আমার দ্বীনি ভাই-বোনেরা, জীবন আপনার তাই সিদ্ধান্তও আপনাকেই নিতে হবে, আমরা সুধু আপনাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছি মাত্র! মহান আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে সঠিক দ্বীন-ইসলামকে জানার, বুঝার ও সেই অনুযায়ী আমল করে শির্ক-বিদা’আতমুক্ত জীবন গড়ার তৌফিক দান করুন…আমীন!
      MP Zahid Bin Zonab
    • May 13
    • Sogood Islam Syeds
      5/13, 6:55pm

      Sogood Islam Syeds

      আসসালমু ওয়ালাইকুম সবাইকে। কবর যিয়ারতের স‌হি দুয়া ক জন জা‌নি,আমরা যেটা জা‌নি সেটা হ‌লো আসসালামু ওয়ালাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর। দুয়া‌টি স‌হি নয়,সবার জন্য কবর যিয়ার‌তের স‌হি দুয়া‌টি নি‌চে দেয়া হ‌লো। বাবা,মা চাচা যার জন্যই কবর যিয়ারত করব ইনশাললাহ আজ থে‌কে এটা পড়ব। আললাহ আমা‌দের তও‌ফিক দিক~আ‌মিন।
      Sayed Sarker
    • May 13
    • Sogood Islam Syeds
      5/13, 11:52pm

      Sogood Islam Syeds

      সাইফুল ইসলাম added 15 new photos.
      প্রতিদিনই নামাজ পড়ছি আমরা। কিন্তু নামাজে যা বলছি বা পড়ছি তার কিছুই হয়তো জানি না, অর্থ না জেনে তোতা পাখির বুলির মত আউড়ে যাচ্ছি! অর্থ না জানার ফলে আমরা কম বেশি সকলেই নামাযে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারি না। অমনযোগী হলে নামাজের মাঝে আল্লাহর প্রতি বিনয়, শ্রদ্ধা, ভয়,আত্মসমর্পনই বা আসবে কিভাবে? অথচ আল্লাহ তা’লা বলেছেন – “দূর্ভোগ সে সকল নামাজীদের যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর এবং যারা লোক দেখানো নামাজ পড়ে।” (সূরা আল মা’ঊন: আয়াত ৪ – ৬) নামাজে মনোযোগ আনতে হলে অবশ্যই নামাজে কি কি বলছি বা পড়ছি, তার অর্থ ভাল ভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে। তাহলে চলুন, আমরা জেনে নেই নামাজের বাংলা অনুবাদ আর সঠিকভাবে মনোনিবেশ করি নামাজে। কোন ভুল-ভ্রান্তি হলে আল্লাহ তা’লা আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ আমাদের খাটিভাবে আত্ম-সমর্পন করে নামাজ পড়ার তওফিক দিন। আমিন। . – সৌজন্যে ইসলাম : সম্পূর্ণ জীবনবিধান
      সাইফুল ইসলাম
    • Sogood Islam Syeds
      5/13, 11:57pm

      Sogood Islam Syeds

      আসসালামু আলাইকুম। ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর হাফিজাহুল্লাহ লেখা বইয়ের মধ্যে অত্যেন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বই হলো এই বইটি। এই বইয়ের মধ্যে স্যার সুন্নাত প্রতি ভালোবাসা এবং সুন্নাতই আমাদের লাগাম তা বুঝানোর জন্য খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। সুন্নাতের বাহিরে যেন আমাদের আমল না হয় এবং যেটুকুই আমল করিনা কেন? যেন সুন্নাত মোতাবিক আমল করে সাওয়াবের জন্য নিশ্চিত আশা রাখি তা বুঝানোর চেষ্ঠা করেছেন। বিভিন্ন বাহানার কারণে যেন সুন্নাত না ছেড়ে দেই। বরং সুন্নাতের বাহানায় যেন বাকি সব ছেড়ে দেই খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন। আমার নিকট স্যারের এই বইটি বেস্ট অব বেস্ট মনে হয়। বইটি যেভাবেই পারেন প্রচার করুন। বইঃ এহইয়াউস সুনান লেখকঃ ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বইটি ফ্রি ডাউনলোড করুন নিচের লিংক থেকেঃ http://assunnahtrust.com/site/wp-content/uploads/2012/02/Ehyaus-Sunan-.pdf কপি করেছি–Tareq Bin abdul Malik থেকে ।
      Shahanaj Amin
    • Sogood Islam Syeds
      5/13, 11:59pm

      Sogood Islam Syeds

      সাইফুল ইসলাম added 15 new photos.
      প্রতিদিনই নামাজ পড়ছি আমরা। কিন্তু নামাজে যা বলছি বা পড়ছি তার কিছুই হয়তো জানি না, অর্থ না জেনে তোতা পাখির বুলির মত আউড়ে যাচ্ছি! অর্থ না জানার ফলে আমরা কম বেশি সকলেই নামাযে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারি না। অমনযোগী হলে নামাজের মাঝে আল্লাহর প্রতি বিনয়, শ্রদ্ধা, ভয়,আত্মসমর্পনই বা আসবে কিভাবে? অথচ আল্লাহ তা’লা বলেছেন – “দূর্ভোগ সে সকল নামাজীদের যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর এবং যারা লোক দেখানো নামাজ পড়ে।” (সূরা আল মা’ঊন: আয়াত ৪ – ৬) নামাজে মনোযোগ আনতে হলে অবশ্যই নামাজে কি কি বলছি বা পড়ছি, তার অর্থ ভাল ভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে। তাহলে চলুন, আমরা জেনে নেই নামাজের বাংলা অনুবাদ আর সঠিকভাবে মনোনিবেশ করি নামাজে। কোন ভুল-ভ্রান্তি হলে আল্লাহ তা’লা আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ আমাদের খাটিভাবে আত্ম-সমর্পন করে নামাজ পড়ার তওফিক দিন। আমিন। . – সৌজন্যে ইসলাম : সম্পূর্ণ জীবনবিধান
      সাইফুল ইসলাম
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 12:23am

      Sogood Islam Syeds

      Attachment Unavailable
      This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
    • May 14
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 4:55am

      Sogood Islam Syeds

      আত তাহরীকের প্রশ্নোত্তর added a new photo.
      বইঃ কিতাবুত তাওহীদ, অধ্যায়ঃ ১ হতে ৬৭ তম অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ ৮ – ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ ৮ – ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ ১। আবু বাসীর আনসারী রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সফর সঙ্গী ছিলেন। এ সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একজন দূত পাঠালেন। এর উদ্দেশ্য ছিল কোন উটের গলায় যেন ধনুকের কোন রজ্জু লটকানো না থাকে অথবা এ জাতীয় রজ্জু যেন কেটে ফেলা হয়। (বুখারি) ২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একথা বলতে শুনেছি, أن الرقى والتمائم والتولة شرك (رواه أحمد وأبو داؤد) ‘‘ঝাড়-ফুঁক ও তাবিক- কবজ হচ্ছে শিরক’’ (আহমাদ, আবু দাউদ) ৩। আবদুল্লাহ বিন উকাইম থেকে মারফু’ হাদীসে বর্ণিত আছে, من تعلق شيئا وكل اليه (رواه أحمد والترمذي) ‘‘যে ব্যক্তি কোন জিনিস [অর্থাৎ তাবিজ- কবজ] লটকায় সে উক্ত জিনিসের দিকেই সমর্পিত হয়’’। [অর্থাৎ এর কুফল তার উপরই বর্তায়] (আহমাদ, তিরমিজি) تمائم বা তাবিজ হচ্ছে এমন জিনিস যা চোখ লাগা বা দৃষ্টি লাগা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সন্তানদের গায়ে ঝুলানো হয়। ঝুলন্ত জিনিসটি যদি কুরআনের অংশ হয় তাহলে সালাফে সালেহীনের কেউ কেউ এর অনুমতি দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ অনুমতি দেননি বরং এটাকে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয় বলে গণ্য করতেন। ইবনে মাসউদ রা. এ অভিমতের পক্ষে রয়েছেন। আর رقى বা ঝাড়-ফুঁককে عزائم নামে অভিহিত করা হয়। যে সব ঝাড়-ফুঁক শিরক মুক্ত তা দলিলের মাধ্যমে খাস করা হয়েছে। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাললাম চোখের দৃষ্টি লাগা এবং সাপ বিচ্ছুর বিষের ব্যাপারে ঝাড়-ফুঁকের অনুমতি দিয়েছেন। تولة এমন জিনিস যা কবিরাজদের বানানো। তারা দাবী করে যে, এ জিনিস [কবজ] দ্বারা স্ত্রীর অন্তরে স্বামীর ভালবাসা আর স্বামীর অন্তরে স্ত্রীর ভালবাসার উদ্রেক হয়। সাহাবী রুআইফি থেকে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন, তিনি [রুআইফি] বলেছেন, ‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, يا رويفع لعل الحياة تطول بك فاخبر الناس أن من عقد لحيته أو تقلد وترا أو استنجى برجيع فإن محمدا برئ عنه ‘‘হে রুআইফি, তোমার হায়াত সম্ভবত দীর্ঘ হবে। তুমি লোকজনকে জানিয়ে দিও, ‘‘যে ব্যক্তি দাড়িতে গিরা দিবে, অথবা গলায় তাবিজ- কবজ ঝুলাবে অথবা পশুর মল কিংবা হাড় দ্বারা এস্তেঞ্জা করবে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জিম্মাদারী থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।’’ সাঈদ বিন জুবাইর থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, من قطع تميمة من إنسان كان كعدل رقبة (رواه وكيع) ‘‘যে ব্যক্তি কোন মানুষের তাবিজ- কবজ ছিড়ে ফেলবে বা কেটে ফেলবে সে ব্যক্তি একটি গোলাম আযাদ করার মত কাজ করলো।’’ (ওয়াকী) ইবরাহীম থেকে বর্নিত হাদীসে তিনি বলেন, তাঁরা সব ধরনের তাবীজ- কবজ অপছন্দ করতেন, চাই তার উৎস কুরআন হোক বা অন্য কিছু হোক। এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ ১। ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজের ব্যাখ্যা। ২। (تولة) ‘‘তাওলাহ’’ এর ব্যাখ্যা। ৩। কোন ব্যাতিক্রম ছাড়াই উপরোক্ত তিনটি বিষয় শিরক এর অন্তর্ভূক্ত। ৪। সত্যবাণী তথা কুরআনের সাহায্যে [চোখের] দৃষ্টি লাগা এবং সাপ বিচ্ছুর বিষ নিরাময়ের জন্য ঝাড়-ফুঁক করা শিরকের অন্তর্ভূক্ত নয়। ৫। তাবিজ- কবজ কুরআন থেকে হলে তা শিরক হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ৬। খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য পশুর রশি বা অন্য কিছু বুঝলানো শিরকের অন্তর্ভূক্ত। ৭। যে ব্যক্তি ধনুকের রজ্জু গলায় ঝুলায় তার উপর কঠিন অভিসম্পাত। ৮। কোন মানুষের তাবিজ- কবজ ছিড়ে ফেলা কিংবা কেটে ফেলার ফজিলত। ৯। ইবরাহীমের কথা পূর্বোক্ত মতভেদের বিরোধী নয়। কারণ এর দ্বারা আব্দুল্লাহর সঙ্গী- সাহাবীদেরকে বুঝানো হয়েছে। http://www.hadithbd. com/shareqa.php?qa=5084
      আত তাহরীকের প্রশ্নোত্তর
    • May 14
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 8:58am

      Sogood Islam Syeds

      যে ব্যক্তি এই দো’আটি সকালে সাতবার এবং সন্ধ্যায় সাতবার বলবে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তা-ভাবনার জন্য আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হবেন – حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ “আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।”[ সূরা আত-তাওবাহ -১২৯] [আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ -২/৩৩২] উচ্চারণ- হাছবী আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশীল আযীম
      QuranerAlo.com – কুর’আনের আলো
    • May 14
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 2:32pm

      Sogood Islam Syeds

      প্রশ্নঃ পুরুষ এবং মহিলারা যখন সালাত আদায় করে তখন আলাদা নিয়মে কেন আদায় করে? উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ বাজারে অনেক বই পাবেন যেখানে সালাত আদায়ের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন দেয়া আছে। বেশিরভাগ বইয়ে আলাদা একটি অধ্যায় থাকে যে, মহিলারা কিভাবে সালাত আদায় করবে এবং পুরুষরা কিভাবে সালাত আদায় করবে। আর সেখানে নিয়মগুলোও আলাদা। সত্যি বলতে এমন একটি সহীহও হাদীস খুজে পাবেন না; যেটা বলছে পুরুষরা মহিলাদের থেকে ভিন্ন নিয়মে সালাত আদায় করবে। এমন কোনো সহীহ হাদীস নেই। আর আপনারা যদি সহীহ বুখারী পড়েন এক নম্বর খন্ডে পাবেন, হযরত উম্মে দারদা (রা) তাশাহুদে বসেছিলেন পুরুষদের মতো করে। (সহীহ বুখারী) তিনি ছিলেন এমন একজন যিনি ধর্মীয় বিষয়ে যথষ্ট জ্ঞান রাখতেন, এরকম আরো অনেক সহীহ হাদীস আছে যেগুলোর বর্ণনা দিয়েছিলেন হযরত আয়েশা (রা) এবং নাবী (সা)-এর অন্যান্য স্ত্রীরা আর অন্য মহিলা সাহাবীরা। আল্লহ তাদের শান্তিতে রাখুন। আর এগুলোর উল্লেখ আছে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম শরীফে। তবে তাদের কেউ বলেননি যে, পুরষদের এবং মহিলাদের সালাত আদায় করার নিয়ম একবারে আলাদা। উত্তরটা পরিস্কারভাবে আমার লেকচারে আগেও বলেছি যে নাবী (সা) বলেছেন, ইবাদত করো যেভাবে আমাকে ইবাদত করতে দেখো। (সহীহ বুখারী) তাহলে পুরষ এবং মহিলারা সালাত আদায় করবে একই রকম নিয়মে একই পদ্ধতিতে। আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।
      ইসলামিক দাওয়াহ
    • May 14
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 8:52pm

      Sogood Islam Syeds

      আব্দুর রহমান সালাফি added a new photo.
      একটি অপব্যখ্যা ও তার জবাব ………. কিছু ভ্রান্ত হুজুর বলে থকেঃ সরব ও নীরব কোন নামাযেই ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে না। দলীল হিসাবে নিম্নের আয়াত ও কিছু হাদীছ পেশ করে । আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর এবং চুপ থাক। তোমাদের উপর রহম করা হবে’ (আ‘রাফ ২০৪) আরো বলা হয় যে, ছালাতে কুরআন পাঠ করার বিরুদ্ধেই উক্ত আয়াত নাযিল হয়। পর্যালোচনা : মূলতঃ উক্ত আয়াতে তাদের কোন দলীল নেই। বরং তারা অপব্যাখ্যা করে এর হুকুম লংঘন করে থাকে। কারণ কুরআন পাঠ করার সময় চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে বলা হয়েছে। কিন্তু যোহর ও আছরের ছালাতে এবং মাগরিবের শেষ রাক‘আতে ও এশার শেষ দুই রাক‘আতে ইমাম কুরআন পাঠ করেন না। অথচ তখনও তারা সূরা ফাতিহা পাঠ করে না। দ্বিতীয়তঃ সূরা ফাতিহা উক্ত হুকুমের অন্তরভুক্ত নয়। তাই উক্ত আয়াতের আমল বিদ্যমান। কারণ সূরা ফাতিহার পর ইমাম যা-ই তেলাওয়াত করুন মুক্তাদী তার সাথে পাঠ করে না, যদি ইমাম ছোট্ট কোন সূরাও পাঠ করেন। বরং মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করে থাকে। তাছাড়া উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর। আর তিনিই সূরা ফাতিহাকে এর হুকুম থেকে পৃথক করেছেন এবং চুপে চুপে পাঠ করতে বলেছেন। ( ছহীহ ইবনে হিব্বান হা/১৮৪১, তাহক্বীক্ব আলবানী, সনদ ছহীহ লিগায়রিহী; মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/২৮০৫। মুহাক্কিক হুসাইন সালীম আসাদ বলেন, এর সনদ জাইয়িদ। ) আর এটা আল্লাহর নির্দেশেই হয়েছে। ( নাজম ৩-৪; আবুদাঊদ হা/১৪৫ ) উল্লেখ্য যে, উক্ত আয়াতের হুকুম ব্যাপক। সর্বাবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ( মির‘আতুল মাফাতীহ ৩/১২৫ পৃঃ) তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলাও সূরা ফাতিহাকে কুরআন থেকে পৃথক করে উল্লেখ করেছেন। রাসূল (ছাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, আমি আপনাকে মাছানী থেকে সাতটি আয়াত এবং মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছি’ (সূরা হিজর ৮৭)। আপনারা খেয়াল করুন আল্লাহ এখানে সুরা ফাতিহা এবং আল কুরআন বলেছেন । দুটি এক জিনিস হলে কেন এখানে ” এবং” হল ??? সুতরাং সূরা ফাতিহা ও কুরআন পৃথক বিষয়। যেমন ভূমিকা মূল গ্রন্থ থেকে পৃথক। এটি কুরআনের ভূমিকা। ভূমিকা যেমন একটি গ্রন্থে’র অধ্যায় হতে পারে কিন্তু মূল অংশের অন-র্ভুক্ত হতে পারে না। তেমনি সূরা ফাতিহা কুরআনের ভূমিকা। আর ‘ফাতিহা’ অর্থও ভূমিকা। অতএব ক্বিরাআত বলতে সূরা ফাতিহা নয়। যেমন ইমাম বুখারী (রহঃ) পরিষ্কারভাবে দাবী করেছেন।( বুখারী, আল-ক্বিরাআতু খালফাল ইমাম, পৃঃ ২০ ) অনুরূপ ইবনুল মুনযিরও বলেছেন। ( ইবনুল মুনযির, আল-আওসাত্ব ৪/২২৪ পৃঃ হা/১২৭১) ভাইয়েরা আমার! কিভাবে উদ্ভট ব্যাখ্যা দেয়া হল তা কি লক্ষ্য করেছেন? মনে হচ্ছে, আয়াতটি ঐ অপব্যখ্যাকারিদের উপরই নাযিল হয়েছে (নাঊযুবিল্লাহ )। তা না হলে কুরআনের ব্যাখ্যা এভাবে কেউ দিতে পারেন? যেখানে শর্ত করা হয়েছে, কুরআন যখন তেলাওয়াত করা হবে তখন মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং চুপ থাকতে হবে। এর মধ্যে কিভাবে যোহর ও আছর ছালাত অন্তর্ভুক্ত হল? মূল কারণ হল, এই অপব্যাখ্যা ছাড়া তাদের জন্য অন্য কোন উপায় নেই। ইয়াযীদ ইবনু শারীক একদা ওমর (রাঃ)-কে ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি উত্তরে বললেন, তুমি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ কর। আমি বললাম, যদি আপনি ইমাম হোন? তিনি বললেন, আমিও যদি ইমাম হই। আমি পুনরায় বললাম, যদি আপনি জোরে ক্বিরাআত পাঠ করেন? তিনি বললেন, যদিও আমি জোরে ক্বিরআত পাঠ করি। ( বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৩০৪৭; সনদ ছহীহ) রাসূল (ছাঃ)-এর সহিহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমামের পিছনে মুক্তাদী শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। সুতরাং সেদিকেই ফিরে যেতে হবে। ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা ফরয। কারণ কেউ ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে তার ছালাত হবে না। উবাদা বিন ছামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করে না তার ছালাত হয় না’ – ( ছহীহ বুখারী হা/৭৫৬, ১/১০৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭২০, ২/১০৯ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯৫; ছহীহ মুসলিম ১/১৬৯ পৃঃ, মুসলিম হা/৯০০, ৯০১, ৯০২, ৯০৪, ৯০৬, ৯০৭ (ইফাবা হা/৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬২); মিশকাত পৃঃ ৭৮,হা/৮২২ ও ৮২৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৬৫, ৭৬৬, ২/২৭২ পৃঃ, ‘ছালাতে ক্বিরআত পাঠ করা’ অনুচ্ছেদ ) এই হাদিস ভালো করে লক্ষ্য করুন, উবাদাহ বিন সাবিত রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে আমরা ফজরের নামায পড়ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্বিরাআত পড়া তাঁর জন্য ভারী মনে হলো। সালাম ফিরানোর পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তোমরা মনে হয় তোমাদের ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পড়েছ”? তখন আমরা বললাম, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেন: “তোমরা ইমামের পিছনে কিছুই পড়বেনা সূরা ফাতিহা ব্যতিত। কেননা যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়বেনা তার নামায হবেনা”। [আবুদাউদ,হাদীস নং ৮২৩. তিরমিযী, হাদীস নং ৩১১] তাই ইমামের পিছনে সরব ও নিরব উভয় নামাযেই সুরা ফাতিহা পড়তেই হবে। এরপরও কেউ তা মানতে না চাইলে কিছু বলার নেই । [ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “আমার জীবনে তিনটি জিনিসের বড় ভয়। তার প্রথমটা হলো ‘আয়াম্যায়ে দোয়াল্লিন’ বা ভ্রান্ত হুজুর”। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীসটি সহীহ ] ~~ শেয়ার করুন ও সকলকে হক জানার সুযোগ দিন ~~ আপনার প্রচারের জন্য যদি ১ টি লোকও জানতে পেরে আমল করে তবে আপনারও সমান সাওয়াব হবে । – আব্দুর রহমান সালাফি https://www.facebook.com/AbdurRahmanSalafi
      আব্দুর রহমান সালাফি
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 8:59pm

      Sogood Islam Syeds

      আব্দুর রহমান সালাফি added a new photo.
      একটি অপব্যখ্যা ও তার জবাব ………. কিছু ভ্রান্ত হুজুর বলে থকেঃ সরব ও নীরব কোন নামাযেই ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে না। দলীল হিসাবে নিম্নের আয়াত ও কিছু হাদীছ পেশ করে । আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর এবং চুপ থাক। তোমাদের উপর রহম করা হবে’ (আ‘রাফ ২০৪) আরো বলা হয় যে, ছালাতে কুরআন পাঠ করার বিরুদ্ধেই উক্ত আয়াত নাযিল হয়। পর্যালোচনা : মূলতঃ উক্ত আয়াতে তাদের কোন দলীল নেই। বরং তারা অপব্যাখ্যা করে এর হুকুম লংঘন করে থাকে। কারণ কুরআন পাঠ করার সময় চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে বলা হয়েছে। কিন্তু যোহর ও আছরের ছালাতে এবং মাগরিবের শেষ রাক‘আতে ও এশার শেষ দুই রাক‘আতে ইমাম কুরআন পাঠ করেন না। অথচ তখনও তারা সূরা ফাতিহা পাঠ করে না। দ্বিতীয়তঃ সূরা ফাতিহা উক্ত হুকুমের অন্তরভুক্ত নয়। তাই উক্ত আয়াতের আমল বিদ্যমান। কারণ সূরা ফাতিহার পর ইমাম যা-ই তেলাওয়াত করুন মুক্তাদী তার সাথে পাঠ করে না, যদি ইমাম ছোট্ট কোন সূরাও পাঠ করেন। বরং মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করে থাকে। তাছাড়া উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর। আর তিনিই সূরা ফাতিহাকে এর হুকুম থেকে পৃথক করেছেন এবং চুপে চুপে পাঠ করতে বলেছেন। ( ছহীহ ইবনে হিব্বান হা/১৮৪১, তাহক্বীক্ব আলবানী, সনদ ছহীহ লিগায়রিহী; মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/২৮০৫। মুহাক্কিক হুসাইন সালীম আসাদ বলেন, এর সনদ জাইয়িদ। ) আর এটা আল্লাহর নির্দেশেই হয়েছে। ( নাজম ৩-৪; আবুদাঊদ হা/১৪৫ ) উল্লেখ্য যে, উক্ত আয়াতের হুকুম ব্যাপক। সর্বাবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ( মির‘আতুল মাফাতীহ ৩/১২৫ পৃঃ) তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলাও সূরা ফাতিহাকে কুরআন থেকে পৃথক করে উল্লেখ করেছেন। রাসূল (ছাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, আমি আপনাকে মাছানী থেকে সাতটি আয়াত এবং মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছি’ (সূরা হিজর ৮৭)। আপনারা খেয়াল করুন আল্লাহ এখানে সুরা ফাতিহা এবং আল কুরআন বলেছেন । দুটি এক জিনিস হলে কেন এখানে ” এবং” হল ??? সুতরাং সূরা ফাতিহা ও কুরআন পৃথক বিষয়। যেমন ভূমিকা মূল গ্রন্থ থেকে পৃথক। এটি কুরআনের ভূমিকা। ভূমিকা যেমন একটি গ্রন্থে’র অধ্যায় হতে পারে কিন্তু মূল অংশের অন-র্ভুক্ত হতে পারে না। তেমনি সূরা ফাতিহা কুরআনের ভূমিকা। আর ‘ফাতিহা’ অর্থও ভূমিকা। অতএব ক্বিরাআত বলতে সূরা ফাতিহা নয়। যেমন ইমাম বুখারী (রহঃ) পরিষ্কারভাবে দাবী করেছেন।( বুখারী, আল-ক্বিরাআতু খালফাল ইমাম, পৃঃ ২০ ) অনুরূপ ইবনুল মুনযিরও বলেছেন। ( ইবনুল মুনযির, আল-আওসাত্ব ৪/২২৪ পৃঃ হা/১২৭১) ভাইয়েরা আমার! কিভাবে উদ্ভট ব্যাখ্যা দেয়া হল তা কি লক্ষ্য করেছেন? মনে হচ্ছে, আয়াতটি ঐ অপব্যখ্যাকারিদের উপরই নাযিল হয়েছে (নাঊযুবিল্লাহ )। তা না হলে কুরআনের ব্যাখ্যা এভাবে কেউ দিতে পারেন? যেখানে শর্ত করা হয়েছে, কুরআন যখন তেলাওয়াত করা হবে তখন মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং চুপ থাকতে হবে। এর মধ্যে কিভাবে যোহর ও আছর ছালাত অন্তর্ভুক্ত হল? মূল কারণ হল, এই অপব্যাখ্যা ছাড়া তাদের জন্য অন্য কোন উপায় নেই। ইয়াযীদ ইবনু শারীক একদা ওমর (রাঃ)-কে ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি উত্তরে বললেন, তুমি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ কর। আমি বললাম, যদি আপনি ইমাম হোন? তিনি বললেন, আমিও যদি ইমাম হই। আমি পুনরায় বললাম, যদি আপনি জোরে ক্বিরাআত পাঠ করেন? তিনি বললেন, যদিও আমি জোরে ক্বিরআত পাঠ করি। ( বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৩০৪৭; সনদ ছহীহ) রাসূল (ছাঃ)-এর সহিহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমামের পিছনে মুক্তাদী শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। সুতরাং সেদিকেই ফিরে যেতে হবে। ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা ফরয। কারণ কেউ ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে তার ছালাত হবে না। উবাদা বিন ছামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করে না তার ছালাত হয় না’ – ( ছহীহ বুখারী হা/৭৫৬, ১/১০৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭২০, ২/১০৯ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯৫; ছহীহ মুসলিম ১/১৬৯ পৃঃ, মুসলিম হা/৯০০, ৯০১, ৯০২, ৯০৪, ৯০৬, ৯০৭ (ইফাবা হা/৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬২); মিশকাত পৃঃ ৭৮,হা/৮২২ ও ৮২৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৬৫, ৭৬৬, ২/২৭২ পৃঃ, ‘ছালাতে ক্বিরআত পাঠ করা’ অনুচ্ছেদ ) এই হাদিস ভালো করে লক্ষ্য করুন, উবাদাহ বিন সাবিত রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে আমরা ফজরের নামায পড়ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্বিরাআত পড়া তাঁর জন্য ভারী মনে হলো। সালাম ফিরানোর পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তোমরা মনে হয় তোমাদের ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পড়েছ”? তখন আমরা বললাম, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেন: “তোমরা ইমামের পিছনে কিছুই পড়বেনা সূরা ফাতিহা ব্যতিত। কেননা যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়বেনা তার নামায হবেনা”। [আবুদাউদ,হাদীস নং ৮২৩. তিরমিযী, হাদীস নং ৩১১] তাই ইমামের পিছনে সরব ও নিরব উভয় নামাযেই সুরা ফাতিহা পড়তেই হবে। এরপরও কেউ তা মানতে না চাইলে কিছু বলার নেই । [ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “আমার জীবনে তিনটি জিনিসের বড় ভয়। তার প্রথমটা হলো ‘আয়াম্যায়ে দোয়াল্লিন’ বা ভ্রান্ত হুজুর”। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীসটি সহীহ ] ~~ শেয়ার করুন ও সকলকে হক জানার সুযোগ দিন ~~ আপনার প্রচারের জন্য যদি ১ টি লোকও জানতে পেরে আমল করে তবে আপনারও সমান সাওয়াব হবে । – আব্দুর রহমান সালাফি https://www.facebook.com/AbdurRahmanSalafi
      আব্দুর রহমান সালাফি
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 9:55pm

      Sogood Islam Syeds

      M Towfiqur Rahman added a new photo.
      দয়া করে ছোট বেলায় মাদ্রাসা “মুখস্ত করা গতানুগতিক খুতবা” দেবেন না। . . গত দীর্ঘ বছরগুলো থেকে একই খুতবা। বিরক্তি ধরে গেছে খুতবার আর খতীবের উপর। সুযোগ মত দুয়েক লাইন কুরআন আর দু/তিনটি হাদীস সেট করেই সেই একই খুতবার ক্যাসেট। মেজাজ খারাপ করার ভাষাও যেন নিঃশেষ হতে চলেছে। মানুষের সামনে নিজের ইজ্জতকে বড় করতে গিয়ে খুতবার নামে প্রতারণা করা থেকে বিরত থাকুন। খুতবা আরবীতেই দিতে হবে, এমন কোন বিধিবদ্ধ কথা নেই। চেয়ে দেখুন, মাযহাবী ইমামের মতামতের দিকে। বরং খুতবা দিতে হবে স্থানীয় ভাষায়; এ মতটি প্রাধান্য পেয়েছে। তাই গোয়ারতুমি ঝেড়ে ফেলে মুসুল্লীদের অধিক কল্যান কামনার্থে খুতবা স্থানীয় ভাষায় দেয়ার ব্যবস্থা নিন। রাসূল সা. বলেছেন, খুতবা হবে স্বল্পাকার আর স্বলাত হবে দীর্ঘ; এটি ইমামের প্রজ্ঞার পরিচায়ক। তাই রাসুল সা. এর হাদীসের দিকে তাকান, আখেরাতের কথা ভাবুন-সহীহ দ্বীনের দিকে আসুন ফিরে যাই।
      M Towfiqur Rahman
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 11:00pm

      Sogood Islam Syeds

      সিজদায়ে সহো (سجود السهو) তাশাহহুদ শেষে কেবল ডাইনে একটি সালাম দিয়ে দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ করে পুনরায় তাশাহ্হুদ ও দরূদ পড়ে দু’দিকে সালাম ফিরানোর প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তি নেই। [ভিত্তিহীন আমল থেকে ১০০০০০০০ মাইল দূরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন] – – ছালাতে ভুলক্রমে কোন ‘ওয়াজিব’ তরক হয়ে গেলে শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে সালাম ফিরানোর পূর্বে ‘সিজদায়ে সহো’ দিতে হয়। রাক‘আতের গণনায় ভুল হ’লে বা সন্দেহ হ’লে বা কম বেশী হয়ে গেলে বা ১ম বৈঠকে না বসে দাঁড়িয়ে গেলে ইত্যাদি কারণে এবং মুক্তাদীগণের মাধ্যমে ভুল সংশোধিত হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ আবশ্যক হয়। শাওকানী বলেন, ওয়াজিব তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ ওয়াজিব হবে এবং সুন্নাত তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ সুন্নাত হবে।[88] অতএব ছালাতে ক্বিরাআত ভুল হ’লে বা সের্রী ছালাতে ভুলবশত ক্বিরাআত জোরে বা তার বিপরীত হয়ে গেলে সহো সিজদার প্রয়োজন নেই। নিয়ম : (১) যদি ইমাম ছালাতরত অবস্থায় নিজের ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হন কিংবা সরবে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলার মাধ্যমে লোকমা দিয়ে মুক্তাদীগণ ভুল ধরিয়ে দেন, তবে তিনি শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে তাকবীর দিয়ে পরপর দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ দিবেন। অতঃপর সালাম ফিরাবেন।[89] (২) যদি রাক‘আত বেশী পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেন, অতঃপর ভুল ধরা পড়ে, তখন (পূর্বের ন্যায় বসে) তাকবীর দিয়ে ‘সিজদায়ে সহো’ করে সালাম ফিরাবেন। [90] (৩) যদি রাক‘আত কম করে সালাম ফিরিয়ে দেন। তখন তাকবীর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বাকী ছালাত আদায় করবেন ও সালাম ফিরাবেন। অতঃপর (তাকবীর সহ) দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ দিয়ে পুনরায় সালাম ফিরাবেন।[91] (৪) ছালাতের কমবেশী যাই-ই হৌক সালামের আগে বা পরে দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ দিবেন।[92] মোট কথা ‘সিজদায়ে সহো’ সালামের পূর্বে ও পরে দু’ভাবেই জায়েয আছে। কিন্তু তাশাহহুদ শেষে কেবল ডাইনে একটি সালাম দিয়ে দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ করে পুনরায় তাশাহ্হুদ ও দরূদ পড়ে দু’দিকে সালাম ফিরানোর প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তি নেই। [93] সিজদায়ে সহো-র পরে ‘তাশাহ্হুদ’ পড়ার বিষয়ে ইমরান বিন হুছাইন (রাঃ) হ’তে যে হাদীছটি এসেছে, সেটি ‘যঈফ’।[94] তাছাড়া একই রাবী কর্তৃক বর্ণিত বুখারী ও মুসলিমের ছহীহ হাদীছের বিরোধী। কেননা সেখানে তাশাহ্হুদের কথা নেই।[95] ইমামের ভুল হ’লে পুরুষ মুক্তাদী সরবে ‘সুবহা-নাল্লা-হ’ বলে এবং মহিলা মুক্তাদী হাতের পিঠে হাত মেরে শব্দ করে ‘লোকমা’ দিবে (কুরতুবী)। [96] অর্থাৎ ভুল স্মরণ করিয়ে দিবে। এখানে নারী ও পুরুষের লোকমা দানের পৃথক পদ্ধতির কারণ হ’ল এই যে, নারীর কণ্ঠস্বরটাও লজ্জার অন্তর্ভুক্ত (لِأَنَّ صَوْتَهُنَّ عَوْرَةٌ)। যা প্রকাশ পেলে পুরুষের মধ্যে ফিৎনার সৃষ্টি হ’তে পারে। বস্ত্তত: একারণেই নারীদের উচ্চকণ্ঠে আযান দিতে নিষেধ করা হয়েছে।[97] [88] . শাওকানী, আস-সায়লুল জাররা-র (বৈরূত: দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ১/২৭৪ পৃঃ। [89] . মুসলিম, মিশকাত হা/১০১৫; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৮ ‘সহো’ অনুচ্ছেদ-২০। [90] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৬ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘সহো’ অনুচ্ছেদ-২০। [91] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৭ ; মুসলিম, মিশকাত হা/১০২১। [92] . মুসলিম হা/১২৮৭ (৫৭২), ‘সহো’ অনুচ্ছেদ-১৯; নায়লুল আওত্বার ৩/৪১১ পৃঃ। [93] . মির‘আতুল মাফাতীহ ২/৩২-৩৩ পৃঃ ; ঐ, ৩/৪০৭, হা/১০২৪-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য। [94] . তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইরওয়াউল গালীল হা/৪০৩, ২/১২৮-২৯ পৃঃ। [95] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৭ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘সহো’ অনুচ্ছেদ-২০। [96] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৯৮৮ ‘ছালাতে সিদ্ধ ও অসিদ্ধ কর্ম সমূহ’ অনুচ্ছেদ-১৯; মির‘আত ৩/৩৫৭। [97] . মির‘আত ৩/৩৫৭-৫৮; اَلْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ তিরমিযী, মিশকাত হা/৩১০৯ ‘বিবাহ’ অধ্যায়-১৩; فَلاَ تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ… আহযাব ৩৩/৩২।
      M Towfiqur Rahman
    • Sogood Islam Syeds
      5/14, 11:14pm

      Sogood Islam Syeds

      প্রশ্নঃ নারী-পুরুষের ছালাতের মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে ?? নারী-পুরুষের ছালাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তবে বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। ************************** বিবারণ:—— ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে ছালাত আদায় করতে দেখছ, সেভাবেই ছালাত আদায় কর’ (বুখারী, মিশকাত হা/৬৮৩)। তিনি নারী ও পুরুষের জন্য দু’বার দু’ভাবে ছালাত আদায় করেননি। বিশিষ্ট তাবেঈ ইবরাহীম নাখঈ বলেন, ‘পুরুষেরা ছালাতে যা করে নারীরাও তাই করবে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ১/৭৫ পৃঃ সনদ ছহীহ)। তবে বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যেমন- (১) মহিলা ইমাম মহিলাদের সামনের কাতারের মাঝ বরাবর দাঁড়াবে (আবুদাঊদ, দারাকুৎনী, ইরওয়া হা/৪৯৩)। (২) ইমাম কোন ভুল করলে মহিলা মুক্তাদীগণ হাতে হাত মেরে আওয়ায করবেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৯৮৮)। (৩) প্রাপ্ত বয়স্কা মহিলাগণ বড় চাদর দিয়ে পুরা দেহ না ঢাকলে তাদের ছালাত হবে না (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৭৬২-৬৩)। পুরুষের জন্য টাখনুর উপরে কাপড় থাকতে হবে (আবূদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৪৩৩১)। কিন্তু মহিলাগণ টাখনু ঢাকতে পারেন (তিরমিযী, আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৩৪-৩৫)
      ইসলামিক দাওয়াহ
    • May 15
    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 9:20am

      Sogood Islam Syeds

      বিতর ছালাতে কুনুত পড়া। – – কুনূত পড়ার ছহীহ নিয়ম : বিতরের কুনূত দুই নিয়মে পড়া যায়। শেষ রাক‘আতে ক্বিরাআত শেষ করে হাত বাঁধা অবস্থায় দু‘আয়ে কুনূত পড়া।[1] অথবা ক্বিরাআত শেষে হাত তুলে দু‘আয়ে কুনূত পড়া। রুকূর আগে বিতরের কুনূত পড়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রুকূর আগে বিতরের কুনূত পড়তেন। عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يُوْتِرُ بِثَلَاثِ رَكَعَاتٍ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْأُولَى بِسَبِّحْ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى وَفِي الثَّانِيَةِ بِقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ وَفِي الثَّالِثَةِ بِقُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ وَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوْعِ فَإِذَا فَرَغَ قَالَ عِنْدَ فَرَاغِهِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوْسِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ يُطِيْلُ فِيْ آخِرِهِنَّ. উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) তিন রাক‘আত বিতর ছালাত আদায় করতেন। প্রথম রাক‘আতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা কাফেরূন এবং তৃতীয় রাক‘আতে সূরা ইখলাছ পাঠ করতেন। আর তিনি রুকূর পূর্বে কুনূত পড়তেন। যখন তিনি ছালাত থেকে অবসর হতেন তখন বলতেন, ‘সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস’। শেষের বারে টেনে বলতেন।[2] عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يُوْتِرُ فَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوْعِ. উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) যখন বিতর পড়তেন তখন রুকূর পূর্বে কুনূত পড়তেন।[3] আল্লামা ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী আগে কুনূত পড়াকেই উত্তম বলেছেন।[4] তবে অনেক বিদ্বান রুকূর পরে পড়ার কথাও বলেছেন।[5] ———————————————– রেফারেন্সঃ [1]. আলবানী, ইরওয়াউল গালীল ২/৭১ পৃঃ, ২/১৮১ পৃঃ। [2]. নাসাঈ হা/১৬৯৯, ১/১৯১ পৃঃ, সনদ ছহীহ। [3]. ইবনু মাজাহ হা/১১৮২, পৃঃ ৮৩, সনদ ছহীহ; ইরওয়াউল গালীল হা/৪২৬। [4]. মির‘আতুল মাফাতীহ ৪/২৮৭ পৃঃ, হা/১২৮০-এর আলোচনা দ্রঃ- قلت: يجوز القنوت في الوتر قبل الركوع وبعده والأولى عندى أن يكون قبل الركوع لكثرة الأحاديث في ذلك وبعضها جيد الإسناد ولا حاجة إلى قياس قنوت الوتر على قنوت الصبح مع وجود الأحاديث المروية في الوتر من الطرق المصرحة بكون القنوت فيه قبل الركوع। [5]. আলবানী, ক্বিয়ামু রামাযান, পৃঃ ৩১।
      M Towfiqur Rahman
    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 9:32am

      Sogood Islam Syeds

      Hussian Bin Moazzem Polash added a new photo.
      [ শবে বরাত:প্রসঙ্গ ] সংকলক শায়েখ: আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল-মাদানী(হাফি:) ১. শবে বরাত আর্থ: শব ফার্সী শব্দ যার অর্থ রাত। আর বরাত শব্দ যদি ফার্সী ধরা হয়, তবে তার অর্থ-হিসসা ও পরিমাণ এবং নির্দেশ। আসলে খাজনা আদায়ের পরিমাণ ও নির্দেশের রাতকে ফার্সীতে শবে বরাত বলা হয়। এ ছাড়া বরাত শব্দটিকে আরবী বরাআতুন ধরা হলে তার অর্থ হবে সম্পর্কচ্ছেদ করা। যেমন আল্লাহ তা‘য়ালা সূরা বারাতে (তাওবাতে) বলেন:বারাআতুন মিনাল্লাহি ওয়ারাসূলিহী ইলাল্লাযীনা আহাত্তুম মিনালমুশরিকীন অর্থ: সম্পর্কচ্ছেদ করা হলো আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরেকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে। [সূরা তাওবাহ:১] এ দ্বারা স্পষ্ট হলো যে, শবে বরাত অর্থ সম্পর্কচ্ছেদের রাত। আর এ রাতে যে সব বিদাতের পাহাড় গড়া হয়েছে তা দ্বারা আল্লাহর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ছাড়া অন্য কিছু ভাগ্যে জুটবে কী? আর যদি বরাত অর্থ নাজাত ও মুক্তি পাওয়া ধরা হয়, তবে সর্বপ্রকার শিরক মুক্ত ঈমান ও হিংসা মুক্ত পরিস্কার অন-র হওয়া জরুরি। আর এমটি প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার হয়ে থাকে। (ক) আবু সা‘লাবা আল-খুছানী [রা:] থেকে বর্ণিত, নবী [সা:] বলেন: যখন শা‘বানের মধ্য রাত হয় তখন আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিরাজির প্রতি উঁকি দেন। অত:পর মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং কাফেরদেরকে ঢিল দেন। আর হিংসুকদের হিংসা বিদ্বেষ ত্যাগ না করা পর্যন- সুযোগ দেন। [হাদীসটি হাসান, সহীহুল জামে‘- আলবানী হা: ৭৮৩ ও সিলসিলা সহীহা-আলবানী হা: ১১৪৪] (খ) মু‘আয ইবনে জাবাল [রা:] থেকে বর্ণিত, নবী [সা:] বলেন:আল্লাহ তাঁর সমস- সৃষ্টির (মানুষের) প্রতি ১৫ শা‘বানের রাতে উঁকি দেন। অত:পর মুশরেক ও হিংসা- বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। [হাদীসটি সহীহ লিগাইরিহী, সিলসিলা সহীহা- আলবানী: ৩/১৩৫-১৩৯ হা: ১১৪৪] (গ) আবু হুরাইরা [রা:] থেকে বর্ণিত, নবী [সা:] বলেন: প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল (আল্লাহর নিকট) পেশ করা হয়। অত:পর আল্লাহ শিরককারী ব্যতিত সকল মানুষকে ক্ষমা করে দেন। কিন’ যাদের মাঝে হিংসা- বিদ্বেষ রয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করেন না। বলা হয়: তাদের দুইজনের মধ্যে মীমাংসা হওয়া পর্যন- সুযোগ দাও। তাদের দুইজনের মাধ্যে মীমাংসা হওয়া পর্যন- সুযোগ দাও। [মুসলিম হা: ৪৬৫৩] আর বরাত অর্থ ভাগ্য তথা শবে বরাত মানে ভাগ্য রজনী বলার পক্ষে কোন সঠিক প্রমাণ নেই। এ ছাড়া ভাগ্য রজনীর আরবী শব্দ হলো: লাইলাতুল ক্বদর যা আমাদের রমজানের শেষ দশকে রয়েছে। তাই ভাগ্য রজনীর আরবী শব্দ লাইতুল ক্বদর ব্যবহার না করে ফার্সী বলার পেছনে রহস্য ও উদ্দেশ্য কী? আরো মনে রাখতে হবে যে, আমাদের দ্বীন আরবী অর্থাৎ- দ্বীনের মূল উৎস কুরআন ও হাদীস আরবী ভাষায়। অতএব, ঘরের শত্রু ইরানীদের ফার্সী শবে বরাত বলে দিচ্ছে যে, ডাল মে কুচ কালা হায়। আর শবে বরাতকে ভাগ্য রজনী প্রমাণ করার জন্য অপচেষ্টা করাও একটি বড় অপরাধ। ২. শবে বরাত কী? শবে বরাত বলতে আমাদের সমাজে মনে করা হয় যে: (ক) ইহা ভাগ্য রজনী ও ভাগ্য পরিবর্তনের রাত। (খ) ইহা সাধারণ ক্ষমার রাত্রি। (গ) এ রাতে কুরআন কারীম নাজিল হয়েছে। (ঘ) এ রাতে বয়স ও রিজিক বৃদ্ধি করা হয়। (ঙ) এ রাতে হায়াত ও মউত লেখা হয়। (চ) এ রাতে সমস- রুহগুলো জমিনে নেমে আসে। (ছ) এ দিনে ওহুদের যুদ্ধে কাফেররা নবী [সা:]-এর দাঁত মোবারক ভেঙ্গে দেয়। (জ) বিবিধ। ৩. শবে বরাতে যা করা হয়? (ক) সরকারী ছুটি ঘোষণা ও বিভিন্ন মিডিয়াতে বহুল প্রচার ও প্রসার। (খ) সরকারী ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং অনুষ্ঠান করা। (গ) গোসল করা ও নতুন পোশাক ও আতর ব্যবহার করা। (ঘ) সারা রাত ধরে একশ রাকাত সালাত আদায় ও দিনভরে রোজা রাখা। (ঙ) হালুয়া, রুটি, মাংস পাকানো। (চ) আগরবাতি, মোমবাতি জ্বালানো ও আলোকসজ্জা করা। (ছ) পটকা ফুটানো। (জ) কবর জিয়ারত করা। (ঝ) স্বামীর সাথে রুহানী সাক্ষাতের আশায় বিধবাদের সারা রাত বসে অপেক্ষা করা। (ঞ) মৃতদের জন্য দান-খয়রাত ও মোল্লা ভাড়া করে দোয়া করানো। (ট) গত এক বছরের মৃতদের পূর্বের মৃত্যু আত্মার সাথে রুহ মিলানো অনুষ্ঠান করা। ৪. এ সবের ভিত্তি কী? এ সবরে পেছনে কাজ করে ধর্মীয় অনুভূতি, বাতিল আকীদা, জাল ও দুর্বল হাদীস, মিথ্যা কেসসা-কহেনী এবং এক শ্রেণীর মোল্লাদের ধর্মের নামে পেট- পকেটের ব্যবসা। এ ছাড়া রয়েছে মতলববাজদের কুরআন ও সহীহ হাদীসের ইচ্ছামত অপব্যাখ্যা। ৫. শবে বরাত পালনের পক্ষে দলিল ও তার খণ্ডন: প্রথমত: শবে বরাতের রাত ও দিনের জন্য বিশেষ এবাদত নির্দিষ্ট করে তারা বেশ কিছু হাদীস উল্লেখ করে থাকে। এ সবই জাল অথবা অতি দুর্বল। যেমন: ১. আলী [রা:] থেকে বর্ণিত। যখন ১৫ শবা‘না হয় তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম কর ও দিনের রোজা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘য়ালা এ রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন। অত:পর বলেন: কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ যাকে আমি ক্ষমা করে দেব। কেউ আছ রিজিক তালাশকারী যাকে আমি রিজিক দান করব। কেউ আছ অসুস’ যাকে সুস’তা দিব। কেউ এমন আছ, কেউ এমন আছ—-। এভাবে সারা রাত ফজর পর্যন-। [হাদীসটি জাল তাখরীজুল এহইয়া:১/৫৮২, আল-ইলালুল মুতানাহিয়া:২/৯২৩, মীজানুল ই‘তিদাল: ৪/৫০৪, য‘য়ীফ ইবনে মাজাহ: হা:১৩৮৮, সৌদি ফতোয়া বোর্ড:৩/৪২] ২. যে ব্যক্তি ঈদের দুই রাত এবং ১৫ শা‘বানের রাত জাগবে, যে দিন সবার অন-র মরে যাবে সে দিন তার অন-র মরবে না। [হাদীসটি মুনকার মুরসাল, মীজানুল ই‘তিদাল: ৩/৩৮০, কামেল: ৩/৯৯০২, আল-ইসাবাহ: ৩/২৯৭, উসদুল গাবাহ: ৪/২৩৫] ৩. যে ব্যক্তি ৫টি রাত জাগবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। রাতগুলো হলো: ৮ জিল হজ্বের তারবীয়ার রাত, আরাফাতের রাত, ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতিরের রাত ও ১৫ শাবানের রাত। [হাদীসটি জাল, আত্তারগীব: ২/১৩১৫, সিলসিলা য‘য়ীফা:২/৫২২, স’উদি ফতোয়া বোর্ড:৩/৪২] ৪. ৫টি রাতে কোন দোয়া ফেরৎ দেয়া হয় না। রাতগুলো হচ্ছে: রজব মাসের প্রথম রাত, শা‘বানের ১৫ তারিখের রাত, জুমার দিনের রাত এবং ঈদুল ফিতির ও ঈদুল আজহার রাত। [হাদীসটি জাল, ফিরদাউসুল আখবার:২/২৭৯৭, আল-আরায়িশ: পৃ: ৮৪. সিলসিলা য‘য়ীফা:৩/১৪৫২, লাইলাতুন নিসফি মিন শা‘বান ওয়াফাযলুহা: পৃ:৮৩, ফাযায়িলুল আওক্ব-ত: পৃ:১৫০] ৫. যখন ১৫ শা‘বানের রাত হয় তখন একজন আহবানকারী ডাকতে থাকে। কেউ ক্ষমা প্রার্থী আছ আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? কেউ যাচনাকারী আছ যাকে আমি দান করব? যে কেউ যা কিছু এ রাতে আল্লাহর নিকট চাইবে তিনি তাকে তা দেবেন। কিন’ যে ব্যভিচারিণী তার লজ্জাস’ান দ্বারা জেনা করে এবং মুশরিক ব্যতিত। [হাদীসটি দুর্বল, লাইলাতুন নিসফি মিন শা‘বান ওয়াফাযলুহা: পৃ:৬৬, শু‘য়াাবুল ঈমান:৭/৩৫৫৯, আল-মাওযু‘আতুল কুবরা:২/১৩০, তানজিহুশ শারী‘য়া:২/৯৩. আল-লালিল মাসনু‘য়া:২/৬০] ৬. আলী [রা:] থেকে বর্ণিত। শা‘বান মাসের ১৫ তারিখের রাতে ১০০ রাকাতের সালাত। যার প্রতি রাকাতে ১০বার করে সূরা এখলাস পাঠ করতে হবে। আর অন্য এক বর্ণনায় ১২ রাকাত সালাত। [হাদীস দুইটি জাল, আল-মানারুল মুনীফ: পৃ:৯৮-৯৯, আল-লালিল মাসনু‘য়া:২/৫৭, আল-আছারুল মারফু‘য়াহ: পৃ:৩২১, হিদায়াতুল হায়রান: পৃ:১৭-১৮] ৭. আয়েশা [রা:] হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ [সা:]কে ১৫ শা‘বানের রাত্রিতে বিছানায় না পেয়ে তালাশ করার উদ্দেশ্যে বের হন। অত:পর তাঁকে মদীনার কবরস’ানে জিয়ারত অবস’ায় দেখেন।—-এরপর তিনি [সা:] ফিরে এসে আমার চাদরের ভিতরে প্রবেশ করেন। এ সময় আমাল বড় বড় শ্বাস পড়তে ছিল। অত:পর তিনি [সা:] বললেন: হুমাইরা কেন বড় বড় নি:শ্বাস?—— এরপর নবী [সা:] বললেন: এ কোন রাত তুমি জান কী? এ রাতে আল্লাহ শেষ আসমানে নেমে আসেন এবং বনি কালবের ছাগল-ভেড়ার চুল ও পশম পরিমাণ মানুষকে ক্ষমা করে দেন। [হাদীসটি অতি দুর্বল, আল-‘ইলালুল মুতানাহিয়া: প্র: ৬৮, য‘য়ীফুত তিরমিযী: হা: ১১৯, য‘য়ীফুল জামে‘ হা: ১৭৬১, হিদায়াতুল হায়রান: পৃ:১৯-২০, আর কিতাবু ইলমিল মানশুর এর লেখক বলেন: আয়েশা [রা:] থেকে বর্ণিত এ হাদীসটি জাল: পৃ:১৪৩-১৪৪ দ্র:] আর পূর্বে উল্লেখিত আবু ছা‘লাবা ও মু‘য়ায [রা:] হতে বর্ণিত সহীহ হাদীসদ্বয় দ্বারা ১৫ শা‘বানের ফজিলত প্রমাণিত সাব্যস- হলেও কোন বিশেষ আমল সুসাব্যস- হয়নি। তাই নিজেদের পক্ষ থেকে কোন এবাদত করা হবে বিদাত যা শরিয়তে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং ভ্রষ্টতার কাজ। নবী [সা:] বলেন: (ক) তোমরা দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু আবিস্কার করা থেকে দূরে থাক। কারণ দ্বীনের ভিতরে প্রতিটি নতুন আবিস্কার বিদাত। আর প্রতিটি বিদাত হলো ভ্রষ্টতা এবং প্রতিটি ভ্রষ্টতার পরিণাম হলো জাহান্নাম। [আবু দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ও আহমাদ] (খ) যে আমাদের দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু আবিস্কার করে যা তার অন-র্ভুক্ত না, তা পরিত্যাজ্য।” [বুখারী ও মুসলিম] (গ) যে কেউ যে কোন আমল করবে যা আমাদের দ্বীনের অন-র্ভুক্ত নয়, তা অগ্রহণযোগ্য। [মুসলিম] সময়ের ফজিলত ও আমলের ক্ষেত্রে তা ৩ প্রকার: এ ছাড়া আরো মনে রাখতে হবে যে, কোন সময়ের বিশেষ ফজিলত ও তাতে আমল করা না করা নিয়ে তা তিন প্রকার। যেমন: (১) যে সময়ের বিশেষ ফজিলত ও আমল সুসাব্যস-। যেমন লাইলাতুল কদরের রাত্রি। এ রাত্রির বিশেষ ফজিলত ও আমল সুসাব্যস-। নবী [সা:] তাঁর বাণী ও কাজ দ্বারা উম্মতকে এর প্রতি উৎসাহিত করেছেন। (২) যে সময়ের বিশেষ ফজিলত প্রমাণিত কিন’ কোন নির্দিষ্ট কোন আমল সাব্যস- না। যেমন ১৫ শা‘বানের রাত্রি। এ রাতের নবী [সা:] বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করলেও কোন নির্দিষ্ট আমলের জন্য না তাঁর বাণী বা আমল দ্বারা এর প্রতি উৎসাহিত করেছেন। বরং এ রাত্রিতে শিরক ও হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত মুমিন- মুসলিমদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বরং জুমার দিনের ফজিলত সুসাব্যস- হওয়ার পরেও নবী [সা:] সে দিনকে নির্দিষ্ট করে রাতে কিয়াম ও দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। অতএব, এ রাতে বা দিনে কোন বিশেষ এবাদত নির্দিষ্ট করা জঘন্য বিদাত। [আত্তাহযীর মিনাল বিদা‘-শাইখ বিন বাজ: পৃ:১৫-১৬ দ্র:] অতএব, মনে রাখতে হবে যে, শিরক হলো আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ এবং হিংসা-বিদ্বেষ হলো মানুষের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ। এ দুইটি ত্যাগ করতে পারলেই এ রাতে নাজাত ও মুক্তির আশা করা যায়। এ ছাড়া বিদাত দ্বারা আল্লাহ ও মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করা ব্যতিত অন্য কিছু হয় না। (৩) যে সময়ের বিশেষ কোন ফজিলত এবং নির্দিষ্ট কোন আমলও সাব্যস- না। যেমন মে‘রাজের রাত্রি। নবী [সা:] এ রাত্রের কোন ফজিলত বর্ণনা করেননি এবং কোন আমলও তাঁর বাণী বা কাজ দ্বারা উম্মতকে উৎসাহি করেননি। এ ছাড়া মধ্য শা‘বানে রোজা রাখার পক্ষে একটি সহীহ হাদীসও তারা বর্ণনা করে থাকেন। সেটি হলো: ইমরান ইবনে হুসাইন [রা:] থেকে বর্ণিত, নবী [সা:] তাকে বা অন্য এক ব্যক্তিকে বলেন:তুমি কি সারারে শা‘বানের রোজা রেখেছ? সে [রা:] বলল, না। তিনি [সা:] বললেন:“যখন তুমি (রমজানের) রোজা শেষ করবে তখন দুইটি রোজা রাখবে। [বুখারী মু‘য়াল্লাক:৭/১০২, মুসলিম: ৪/১৮১হা: ১৯৭৯] অন্য বর্ণনায় আছে:সে স’লে দুইটি রোজা রাখবে। [মুসলিম: হা: ১৯৮০] এ হাদীসে সারার শব্দটি সুরার ও সিরারও পড়া যায়। সারার শব্দটির ইমাম আওজা‘য়ী, আবু উবাইদ এবং ভাষাবিদ, হাদীসবিদ ও অপ্রসিদ্ধ শব্দবিদগণের অধিকাংশ উলামারা অর্থ করেছেন মাসের শেষাংস। তবে কিছু আলেমদের মতে এর অর্থ মাসের প্রথম বা মধ্যাংশ। সারার শব্দটি ‘ইসি-সরার’ শব্দ থেকে ব্যুৎপত্তি যার অর্থ গোপন হওয়া। মাসের শেষে চাঁদ গোপন থাকে বলে এ সময়টিকে সারার বলে। এ সাহাবীর মাসের শেষে দুইটি রোজা রাখা অভ্যাস ছিল। কিন’ যখন তিনি রমজানের পূর্বে দুই একটি রোজা রাখা নিষেধ শুনেছেন তখন তা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন। তাই নবী [সা:] যখন জানতে পারলেন যে সে নিয়মিত রাখত তখন তাকে সেটি শাওয়াল মাসে কাজা করার নির্দেশ করেন। আর নিষেধ ঐ ব্যক্তির জন্য যে রামজানকে স্বাগত জানানোর জন্য এক দুইটা রাখে। [শারহুন নববী ‘আলা মুসলিম: ৪/১৮১, ফাতহুলবারী-ইবনে হাজার আসকালানী: ৬/২৬০] এ ছাড়া হাদীসে দুইটি রোজার কথা উল্লেখ হয়েছে। তাই একে আইয়ামে বীয তথা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ অথবা শুধুমাত্র ১৫ শা‘বানের রোজা রাখার পক্ষে প্রমাণ গ্রহণ করা হাদীস সম্মত নয়। দ্বিতীয়ত: কিছু তাবে‘য়ীদের আমল দ্বারা এর পক্ষে দলিল গ্রহণ করে থাকে তারা। যেমন: শামের খালেদ ইবনে মা‘দান, মাকহূল ও লোকমান ইবনে ‘আমের (রহ:)- এর আমল। এ ছাড়া কিছু ইসরাঈলী বর্ণনা দ্বারাও তারা দালিল গ্রহণ করে থাকে। এর কয়েকভাবে খণ্ডন: ১. ইসরাঈলী বর্ণনা আবার কবে হতে শরিয়তের মানদণ্ড হলো? ইহা তো শরিয়তে একেবারেই ভিত্তিহীন। আর বিশেষ করে বিপরীত হলে যা এখানে প্রযোজ্য। ২. আর তাবে‘য়ীদের আমলও কখন থেকে শরিয়তের দলিল হলো? এতো হলো যখন শরিয়তের পরিপন’ী না হবে। আর যদি বিপরীত হয় তবে তার অবস’া কি দাঁড়াই? সাহাবীর কথা দলিল হওয়া না হওয়া নিয়ে আহলে উসুল মতনৈক্য করেছেন। আর তাবে‘য়ীদের ইজমা‘ ছাড়া কারো একক মত দলিল না এ ব্যাপারে তো কোন দ্বিমতই নেই। আর সাহাবীর কথা বা কাজ যদি তাঁর বর্ণনার বিপরীত হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। ইহা অধিকাংশ ইমামদের মতামত। ৩. সে সময় শামের ঐ সব তাবে‘য়ীদের আমলের প্রতিবাদ করেছেন অধিকাংশ ওলামা কেরাম। যেমন: আতা, ইবনে আবি মুলাইকাহ, ইমাম মালেকের সাথীগণ। বরং হেজাজের অধিকাংশ তাবে‘য়ীগণ। তাঁরা ওদের কাজকে বিদাত গণনা করেছেন। আর তাঁরাই হলেন হারামাই শারীফাইনের অধিবাসী ও অহির অবতরণক্ষেত্র ও শরিয়ত নাজিলের স’ানের মানুষ। এ ছাড়া তাঁরা হলেন শরিয়ত সম্পর্কে আহলে শামের চাইতে অধিক জ্ঞানী ও সংখ্যায়ও বেশি। আর ইহা আহলে মাদীনার বিপরীত আমলও বটে। ৪. এ ছাড়া সালাফে সালেহীনের অধিকাংশ যাকে বিদাত গণনা করেছেন তাকে কিছু সংখ্যক মানুষের আমলের উপর ভিত্তি করে জায়েজ মনে করা সঠিক নয়। আর এ ছিল তাদের পক্ষ থেকে এক প্রকার ইজতিহাদ। তাই ভুল হলেও তাদের একটি সওয়াব রয়েছে। কিন’ যারা নিজেদের ব্যক্তি সার্থের জন্য তাদের ভুলের অনুসরণ করবে তাদের জন্য রয়েছে পাপ এতে কোন দ্বিমত নেই। অতএব, শবে বরাতের রাত জাগা পরিত্যাজ্য। নবী [সা:] বলেন:যে কেউ যে কোন আমল আমাদের দ্বীনের মাঝে করবে যার নির্দেশ নেই তা অগ্রহণযোগ্য। এই বর্ণনার পরেও কি তাদের কোন হুজ্জত-দলিল বাকি রইল। সুতরাং,সর্বপ্রকার কল্যাণ রয়েছে নবী [সা:]-এর হেদায়েত ও তাঁর সাহাবা কেরামে [রা:]-এর হেদায়েতের মধ্যে। ৫. ইমাম মাকদেসী (রহ:) বলেন: শা‘বানের ১৫ তারিখে সালাত আদায়ের বিদাতটি সর্বপ্রথম চালু করে ইবনে আবিল হামরা ৪৪৮ হিজরিতে। সে নাবলুস শহর থেকে এসে বায়তুল মাকদিসে সালাত আদায় করা শুরু করে। তার মিষ্টি সুরে কুরআন তেলাওয়াতে সাধারণ মানুষরা আকৃষ্ট হয়ে তার সাথে শরিক হয় সালাতে। ইবনুল আরাবী (রহ:) তাঁর গ্রন’ আরিযাতুল আহকামে বলেন: শা‘বানের ১৫ তালিখের ফজিলতে কোন হাদীস মিলে না যার প্রতি ভরসা করা চলে। আর গাজ্জালীর এহইয়াউল উলুম ও ইবনে আরাবী সূফীর কিতাব কুতূলকুলূব এ বর্ণিত হাদীস দ্বারা কেউ যেন ধোঁকায় না পড়ে। হাফেয ইরাকী (রহ:) বলেন: অর্ধেক শা‘বানের বর্ণিত হাদীস জাল। ইমাম নববী তাঁর কিতাব আল-মাজমূ‘তে বলেন: ১৫ শা‘বানে ১০০ রাকাত ও রজবের প্রথম জুমাতে মাগরিব ও এশার মাঝে ১২ রাকাতের সালাত ভ্রষ্ট বিদাত। আর গাজ্জালীর এহইয়াউল উলুম ও ইবনে আরাবী সূফীর কিতাব কুতুলকুলূব-এর দ্বারা কেউ যেন ধোঁকায় না পড়ে। তৃতীয়ত: শবে বরাতকে কুরআন নাজিল ও ভাগ্য রজনী এবং এ রাতে সমস- রুহ জমিনে অবতরণ করে ধারণা করা সবই মিথ্যা। এর পক্ষে যে সব দলিল গ্রহণ করে তা নিম্নরূপ: ১. আল্লাহর বাণী: আমি একে নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সকতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় সি’রকৃত হয়। [সূরা দুখান:৩-৪] তাদের ধারণা এ আয়াতে বর্ণিত বরকতময় রাত শবে বরাত। আর এর জন্য ইকরিমা হতে বর্ণিত দুর্বল বর্ণনাকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে থাকে যা সমস- সহীহ বর্ণনার বিপরীত। এ রাত যে লাইলাতুল কদরের রাত সে ব্যাপারে সকল প্রসিদ্ধ মুফাসসিরগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। [তাফসীর তাবারী, কুরতুবী, ইবনে কাছীর ইত্যাদি দ্র:] এ ছাড়া যদি তর্কের খাতিরে কিছুক্ষণের জন্য ধরে নেয়া যায় যে, কুরআন শা‘বানের শবে বরতে নাজিল হয়েছে, তবে কুরআন যে রমজানে (সূরা বাকারা:১৮৫) লাইলাতুল কদরে (সূরাা কদর) নাজিল হয়েছে এর সম্পূর্ণ বিপরীত দাঁড়াই না কী? ইহা মেনে নিলে কুরআনের মাঝে বৈপরীত্য সাব্যস- হয় না কী? আর আল্লাহ বলেছেন: কুরআন যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে আসত, তবে তার মাঝে পৈরীত্য রইত। [সূরা নিসা:৮২] এর উত্তরে ওরা বলে, কুরআন দুই রাত্রিতে নাজিল হয়েছে, একবার লাইলাতুল কদরে আর দ্বিতীয়বার শবে বরাতে। এমনটিই যদি হয় তাহলে নবী [সা:] যেমন লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য এতেকাফ ও এবাদত করেছেন সেরূপ শবে বরাতে করেননি কেন? এ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, সবকিছুই মন গড়া বাতিল অগ্রহণযোগ্য। তাই মতলব হাসিলের জন্য দুর্বল বর্ণনা ও নিজস্ব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দ্বারা কুরআনের তাফসীর করা একটি বড় ধরণের অপরাধ। ২. উল্লেখিত সূরা দুখানের আয়াত ও কিছু দুর্বল হাদীস দ্বারা শবে বরাত ভাগ্য রজনী তারা প্রমাণ করার অপচিষ্টা চালিয়ে থাকে। দুর্বল হাদীস দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া ভাগ্য রজনী তো রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে রয়েছে। তাই লাইলাতুল কদর মানে ভাগ্য রজনী যা রমজানে ত্যাগ করে হুবহু আরবী শব্দের ফার্সী শবে বরাত যা শা‘বানে নাম দেয়া প্রমাণ করে ডাল মে কুচ কালা হায়। আর শবে বরাতে ভাগ্য লিখা হয় বা পরিবর্তন হয় ইত্যাদি ধারণা বাতিল আকীদা। কারণ, আসমান ও জমিন সৃষ্টির ৫০ হাজার পূর্বে ভাগ্য লেখা হয়েছে। [মুসলিম] আর পূর্ণ এক বছরের তফসিল যা ফেরেশতাদেরকে দেওয়া হয় তা লাইলাতুল কদরে শবে বরাতে নয়। এ ছাড়া শবে বরাতে নতুন কাপড় পরে, ভাল খানাপিনা পানাহার করে ও আতর মেখে কারো ভাগ্য পরিবর্তন হয় ধারণা করা বাতিল আকীদা। আর এর দ্বারা কারো পরিবর্তন হতে দেখেছেন কী? আর যদি হত তাহলে এ রাতের পর আর কেউ গরিব ও অভাবী থাকত না? ৩. শবে বরাতে সমস- রুহগুলো জমিনে নেমে আসার পক্ষে সূরা কদরের আয়াত তানাজ্জালুল মালায়িকাতু ওয়াররুহ কে তারা দলিল গ্রহণ করে। নি:সন্দেহে ইহা অজ্ঞতা ও অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। কারণ, এখানে রুহ অর্থ জিবরাঈল [আ:] যা সমস- তাফসীর গ্রনে’ লিপিবদ্ধ। আর রুহ একবচন যার অর্থ একটি রুহ। তাই সকল রুহ অর্থ হলে রুহ-এর বহুবচন আরওয়াহ্ হওয়া উচিত ছিল যা এ আয়াতে নেই। এ ছাড়া রুহ জমিনে নেমে আসে তা বাতিল আকীদা। কারণ মুমিনদের রহুগুলো জান্নাতের ইল্লি‘য়ীনে এবং অন্যান্যদের রুহগুলো থাকে জাহান্নামের সিজ্জীনে অবস’ান করে। আর পুনরুত্থান পর্যন- সবাই বারযাখী জীবনে সেখানেই থাকবে। [সূরা আল-মুমিনূন:১০০] এ ছাড়া রুহগুলোকে স্বাগত জনানোর জন্য আগরবাতি, মোমবাতি জ্বালানো এবং আলকসজ্জা ও পটকা ফুটানো সবই অগ্নিপূজক ও হিন্দুদের দেয়ালী পূজার সদৃশ। আর এ রাতে জটা ও ঘটা করে কবর জিয়ারত করা বিদাতী কবর জিয়ারতের অন-র্ভুক্ত এবং নবী [সা:]-এর আমলের বিপরীত। কারণ তিনি অধিক সংখ্যক একাকী কবর জিয়ারত করতেন যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। [মুসলিম:৫/১০১ হা:১৬১৮] । ছাড়া এ রাতে কবর জিয়ারতের পক্ষে আয়েশা [রা:] থেকে পূর্বে উল্লেখিত হাদীস অতি দুর্বল। আর মেনে নিলেও তা ছিল একাকী জটা ও ঘটা এবং মোল্লা ভাড়া করে দল বেধে নয়। চতুর্থত: নবী [সা:]-এর ওহুদের যুদ্ধে দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে তিনি নরম খাদ্য হিসেবে হালুয়া খেয়েছিলেন বলে এ রাতে হালুয়া, রুটি ও মাংস খাওয়া হয় ও মৃত রুহের মাগফেরাতের জন্য বিতরণ করাও হয়। সীরাতে রাসূলের গ্রন’সমূহে নবী [সা:]-এর ওহুদের যুদ্ধ কখন ছিল? এ ছিল ৩য় হিজরি সালের ১১ শাওয়াল রোজ শনিবার সকালে। তাই একে শা‘বানের ১৫ তারিখে টেনে নিয়ে আসার মধ্যে উদ্দেশ্য কী? এ ছাড়া দাঁত ভাঙ্গা রোগীর জন্য হালুয়া উপযুক্ত খাদ্য হলেও রুটি এবং এর সাথে মাংস কি উপযুক্ত? আর সাহাবা কেরাম [রা:] নবীর যারা দাঁত ভেঙ্গে ছিল তাদের দাঁত ভেঙ্গেই ভালবাসা প্রমাণ করেছেন। কিন’ যারা হালুয়া এবং এর সাথে মজার রুটি ও মাংস খেয়ে নবীর ভালবাসা প্রকাশ করে তারা কে? মোট কথা এ সব বলে দিচ্ছে যে, সবকিছুর সম্পর্ক পেট ও পকেটের সাথে নবীর ভালবাসার সাথে নয়। আর দিন নির্দিষ্ট করে মৃতদের নামে দান-সদকা করাও শরিয়ত সম্মত নয় বরং বিদাত। তাই নবীর ভালবাসা ও মৃতদের নামে দান- খয়রাত দ্বারা নিজেদের পেট-পকেটের মতলব হাসিল করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কী? মৃতদের কবরে সওয়াব পৌঁছানোর নামে নিজেদের পেটে হালুয়া, রুটি ও মাংস এবং পকেটে টাকা পৌঁছানোর ধান্দ্বাবাজি বন্ধ করেন দেখা যাবে শবে বরাত বন্ধ হয় কি না? পঞ্চমত: তাদের কিছু শংসয় ও তার খণ্ডন: ১. শংসয়: শবে বরাত বিষয়ে কোন সহীহ হাদীস না থাকলেও অনেক দুর্বল হাদীস তো আছে। আর ফজিলতে দুর্বল হাদীসের আমল চলে। খণ্ডন: দ্বীনের মাঝের সমস- এবাদত মওকুফ তথা কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের উপর নির্ভরশীল। তাই কোন বিশুদ্ধ বিশ্বস- দলিল ছাড়া কোন আমল গ্রহণযোগ্য নয়। আর ফজিলতেও দুর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য না হলো সঠিত মত। কারণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূল এবং দ্বীন কী দুর্বল এবং অন্যে মুখাপেক্ষী? না কক্ষনো না। এ ছাড়া যারা ফজিলতে দুর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য মত দিয়েছেন তারা এর জন্য বিশেষ শর্ত করেছেন। যেমন: (ক) এর মূল ভিত্তি কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা হতে হবে। (খ) এ যেন কোন আকীদা বা হালাল-হারাম ও এবাদতের ক্ষেত্রে না হয়। (গ) কঠিন দুর্বল যেন না হয়। (ঘ) আমলের সময় নবীর সুন্নত মনে করে আমল না করে। (ঙ) জন সাধারণের সামনে যেন আমল না করে। (চ) এর আমল সব সময় যেন না করে। আর শবে বরাত ও অন্যান্য বিদাতে তারা এসব শর্তকে উপেক্ষা করে ইচ্ছামত অতি দুর্বল ও জাল সবই তারা চালিয়ে থাকে। আর নবীর সুন্নত মনে করেই আমল করে থাকে। ২. শংসয়: বিদাত দুই প্রকার: বিদাত হাসানাহ ও বিদাত সায়্যিয়াহ। খণ্ডন: নবী [সা:] বলেছেন প্রতিটি বিদাত ভ্রষ্ট আর ভ্রষ্টতার ঠিকানা জাহান্নাম। আর তারা বলে, কিছু ভাল বিদাত আছে এতো নবীর কথার সম্পূর্ণ বিপরীত। যদি বলা হয়: প্রতিটি মানুষ মরণশীল, তবে কি বলবেন কিছু মানুষ মরণশীল নয় আর কিছু মরণশীল? যে সব জিনিসকে তারা ভাল বিদাত বলছে, হয়তো মূলত সেগুলো বিদাত নয়। যেমন: দুনিয়ার আধুনিক যুগের বিভিন্ন ধরণের মাধ্যম ও পদ্ধতি। অথবা সেগুলো দ্বীনেরই অন-র্ভুক্ত কিন’ তারা দ্বীনের বাইরের নির্ধারণ করে বিদাত সাব্যস- করে নব আবিস্কৃত বিদাতের পক্ষে দলিল গ্রহণ করে। যেমন: রমজানে রাত্রের নামাজ জামাত করে পড়া নবী [সা:]-এর আমল দ্বারা প্রমাণিত। এরপর উমার [রা:] শুধুমাত্র নতুন করে তা চালু করেন। এ ছাড়া বিদাতকে দুইভাগে ভাগ করাটাও একটি বিদাত। ৩. শংসয়: বিদাত হলে কী এতো অধিক মানুষ করত। খণ্ডন: শরিয়তের বিধিবিধানের দলিল অধিক সংখ্যা দ্বারা হয় না। বরং এর জন্য প্রয়োজন কুরআন অথবা বিশুদ্ধ হাদীস। আর সংখ্যা বেশি তো বাতিলের আলামত এবং কম সংখ্যাই সত্যের লক্ষণ যা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। শবে বরাতকে কেন্দ্র করে যে সব বিদাত ও বাতিল আকীদা: ১. শবে বরাতকে ভাগ্য রজনী মনে করা। ২. এ রাতে কুরআন নাজিল হয়েছে ধারণা করা। ৩. এ রাতে আল্লাহ সাধারণ ক্ষমা করেন আকীদা পোষণ করা। ৪. এ রাতে বয়স ও রিজিক নির্ধারণ করা হয় মনে করা। ৫. এ রাতে ভাগ্য পরিবর্তন হয় বিশ্বাস করা। ৬. এ রাতকে লাইলাতুল কদরের সম মানের এ আকীদা রাখা। ৭. এ রাতকে লাইলাতুল কদরের চাইতেও বেশি প্রাধান্য দেওয়া। ৮. এ রাতে জটা-ঘটা করে কবর জিয়ারত করা। ৯. এ রাতে নির্দিষ্ট করে মৃতদের নামে বিশেষভাবে দান-খয়রাত করা। ১০. এ রাতে হালুয়া, রুটি ও মাসং পাকানো। ১১. এ রাতে আগরবাতি, মোমবাতি জ্বালানো এবং আলোকসজ্জা করা। ১২. এ রাতে গোসল করা এবং নতুন কাপড় পরে সারারাত নামাজ পড়া। ১৩. এ রাতের দিনে রোজা রাখা। ১৪. এ রাতে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান করা। ১৫. এ রাতে বিধবাদের স্বামীর প্রিয় খানা পাকিয়ে তা সামনে করে রাতভর রুহানী সাক্ষাতের আশায় বসে বসে অপেক্ষা করা। ১৬. গত এক বছরে মৃত মানুষের রুহগুলোর আগের রুহের সাথে মিলানো অনুষ্ঠান করা। ১৭. এ রাতে সূরা দুখান পাঠকারীর জন্য সারা দিন ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করবে মনে করে তা পাঠ করা। [জাল হাদীস] ১৮. এ রাতে সূরা ইয়াসীন তিনবার পাঠ করা। প্রথমবার বয়স বৃদ্ধির জন্য, দ্বিতীয়বার বালা-মসিবত দূর করার জন্য এবং তৃতীয়বার কোন মানুষেরমুখাপেক্ষীর না হওয়ার জন্য। ১৯. এ রাতে জমজমের পানি অন্যান্য দিনের চেয়ে বৃদ্ধি পায় ধারণা করা। ২০. এ রাতে শিয়া-রাফেযীদের মিথ্যা কল্পিত ইমাম মাহদীর জন্ম দিবস পালন করা। ২১. বিবিধ। শবে বরাতের মূল রহস্য দুইটি: (এক) শিয়া-রাফেযীদের বাতিল আকীদা যে, তাদের ১২তম ইমাম মাহদীর জন্ম হয়েছে ১৫ শা‘বানে। তিনি এখন আত্মগোপন করে আছেন। তাদের কল্পিত ইমামের ১৫ শা‘বানে জন্ম বলেই এ রাত নিয়ে এতো ওস-াদের বাড়াবাড়ি এবং সূফী ছাত্রদের ছড়াছড়ি। শিয়ারা এ রাতে তাদের ইমামকে আহবানের উদ্দেশ্যে পত্র লেখে তা সাগরে, নদীতে, কূপে, জঙ্গলে, গুহাতে ও মরুভূমিতে নিক্ষেপ করে থাকে। আর বলে: আমাতের প্রতি সুন্নী মুসলমানরা জুলুম করছে আপনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে তার প্রতিশোধ গ্রহণ করুন এবং আমাদেরকে মুক্তি করুন—। (দুই) পেট ও পকেটের ধান্দ্ববাজদের ধর্মের নামে জমজমাট ব্যবসা। যে ব্যবসায় লাগে না কোন পুঁজি, লাগে না লাইসেন্স। আর নাই কোন চাঁদাবাজদর চাঁদাবাজি এবং নাই কোন নোকসান শুধু লাভ আর লাভ। ইহা বন্ধ করে দেন সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদেরকে কিছু বলতে হবে না বরং তারাই বন্ধ করে দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। চলবে
      Hussian Bin Moazzem Polash
    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 9:33am

      Sogood Islam Syeds

      আহলে হাদীছ অসম added a new photo.
      বিদ’আতী নবী (সাঃ) এর হাওযে কাওসারের পানি পান করা হতে বঞ্চিত হবে : আবু হাসেম হতে বর্ণিত , তিনি বলেন আমি সাহালকে বলতে শুনেছি তিনি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন , “আমি তোমাদের পূর্বেই হাওযে কাওসারের নিকট পৌঁছে যাব । যে ব্যক্তি সেখানে নামবে এবং তার পানি পান করবে সে আর কখনও পিপাসিত হবে না । কতিপয় লোক আমার নিকট আসতে চাইবে , আমি তাদেরকে চিনি আর তারাও আমাকে চেনে । অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে পর্দা পড়ে যাবে । রাসূল (সাঃ) বলবেন : তারা তো আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত । তাকে বলা হবে আপনি জানেন না আপনার পরে তারা কি আমল করেছে । তখন যে ব্যক্তি আমার পরে (দ্বীনকে) পরিবর্তন করেছে তাকে আমি বলবো : দূর হয়ে যা , দূর হয়ে যা” সহীহ মুসলিম হা/৪২৪৩ । বিদ’আতী অভিশপ্ত : কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন : “যে ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিস্কার করবে বা কোন নবাবিস্কারকারীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ এবং সকল ফেরেশতা ও মানুষের অভিশাপ ।” বুখারী , কিতাবুল জিযিয়াহ , হা/৩১৮০ ।
      আহলে হাদীছ অসম
    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 10:03am

      Sogood Islam Syeds

      fm wap irc by saiful Islam … হিদায়াহ! হানফি মাযহাব!

      (নোট: আমার বিশ্বাস! নিচের এই কথাগুলি ইমাম আবু হানীফাহ(র:) নামে মিথ্যা বানানো হয়েছে, তাই সকলে এই মাযহাব থেকে তাওবাহ করুন! এবং কুরঅান ও সুন্নাহের দিকে ফিরে আসুন!।

      -রমযান মাসে রোযার অবস্থায় যদি কেউ মল দ্বারে সঙ্গম করে তবে ইমাম আবূ হানিফার মতে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবেনা। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ২১৯ পৃঃ) ০৭) কেউ যদি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে কুকুর যবেহ করে তার মাংস বাজারে বিক্রয় করে তবে অবশ্যই তা জায়েয হবে। (শারহে বেকায়া ১ম খন্ড) ০৮) গম, যব, মধু, জোয়ার হতে যে মদ প্রস্তুত করা হয় তা ইমাম আবূ হানিফা’র মতে পান করা হালাল এবং এই সকল মদ পানকারী লোকের নেশা হলেও হদ (শাস্তি) দেয়া হবে না। (হিদায়ার মোস্তফায়ী ছাপা ২য় খন্ড ৪৮১ পৃঃ) ০৯) আঙ্গুলি ও স্ত্রীলোকের স্তন মল-মূত্র দ্বারা নাপাক হয়ে গেলে, তিনবার জিবদিয়ে চেটে দিলেই পাক হয়ে যাবে। (দুররে মোখতারের ৩৬ পৃষ্ঠায় বাবুল আনজাসে দেখুন) ১০) যদি কেউ তার পিতার কৃতদাসীর সাথে সহবাস (যৌন মিলন) করে তবে কোন শাস্তি নাই। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৫১৫ পৃঃ) ১১) কোন স্ত্রীর স্বামী মারা গেলে এবং মারা যাওয়ার দুই বৎসর পর সেই স্ত্রীর সন্তান হলে, তবে সেই সন্তান তার মৃত স্বামীরই হবে। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৩৩১ পৃঃ) ১২) স্বামী প্রবাসে রয়েছে, সুদীর্ঘকাল অতীত হয়েছে বহু বছর ধরে স্বামী ফিরেনি এই দিকে স্ত্রীর পুত্র সন্তান জন্ম হয়েছে তাহলেও এই ছেলে হারামী বা জারজ হবে না সেই স্বামীরই ঔরসজাত হবে। (বেহেস্তি জেওর ৪র্থ খন্ড ৪৪পৃঃ) ১৩) আবূ বকর বিন ইসকান বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কারো মাল চুরি ডাকাতি করে নিয়ে এসে চিবিয়ে চিবিয়ে খায় তাহলে ইমাম আবূ হানিফার মতে হালাল হবে। (কাজি খাঁ ৪র্থ খন্ড ৩৪৩ পৃঃ) ১৪) পিতার পে পুত্রের দাসীর সঙ্গে যৌন মিলন করা সর্বাবস্থায় হালাল। আরো যুক্তি দর্শান হয়েছে দাসী হচ্ছে পূত্রের সম্পদ আর পুত্রের সম্পদে পিতা পূত্র উভয় ব্যক্তিরই হক আছে। ফলে একই নারী দ্বারা উভয় নরের যৌন ক্ষুধা মিটানো হালাল। (নুরুল আনওয়ার ৩০৪পৃঃ) ১৫) কুরআন ও সহীহ হাদীসের স্পষ্ট বিরোধী মাসআলাহ- চার মাযহাব চার ফরয। হানাফী, শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলী এই চার মাযহাব। (বেহেস্তি জেওর স্ত্রী শিা ১০৪ পৃঃ দ্রঃ, আলহাজ্জ মৌলভী আব্দুর রহীম। কুরআন মঞ্জিল লইব্রেরী-বরিশাল) ১৬) যদ

    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 10:06am

    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 10:06am

    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 10:07am

    • May 15
    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 2:20pm

      Sogood Islam Syeds

      তাবলীগ জামাতের কিতাব ফাজায়েলে আমলে কবরের আযাব সম্পর্কে কুরআন ও হাদীস বিরোধী আজগুবি কিসসা-কাহিনীঃ ‘’একজন স্ত্রীলোকের মৃত্যু হইয়াছিল। তাহার ভাই দাফনের কাজে শরীক ছিল। ঘটনাক্রমে দাফনের সময় তাহার টাকার থলি কবরে পড়িয়া যায়। তখন খেয়াল হয় নাই। কিন্তু পরে যখন খেয়াল হইল, তখন তাহার খুব আফসোস হইল। চুপে পুপে কবর খুলিয়া উহা বাহির করিতে এরাদা করিল। অতঃপর যখন কবর খুলিল তখন কবর আগুনে পরিপূর্ণ ছিল। সে কাঁদিতে কাঁদিতে মায়ের নিকট আসিল এবং অবস্থা বর্ণনা করিয়া কারন জিজ্ঞাসা করিল। মা, বলিলেন, সে নামাজে অলসতা করিত এবং কাজা করিয়া দিত’’ ফাজায়েলে আমল; ফাজায়েলে নামাজ; মুহাম্মাদ জাকারিয়া ছাহেব কান্ধলভি; অনুবাদক- মুফতি মুহাম্মাদ উবাইদুল্লাহ; নজরে ছানী ও সম্পাদনা হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ যুবায়ের ছাহেব ও মাওলানা রবিউল হক ছাহেব; কাকরাইল মসজিদ, ঢাকা। উপরোক্ত গল্পের মাধ্যমে আমরা দু’টি বিষয় বুঝতে পারিঃ # কবরে আযাব হয়। # কবরের আযাব মানুষ দেখতে পায়। কবরের আযাব কুরআন ও হাদিস দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত সত্য। কবরের আযাব সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে বহু বিষয় জানিয়ে গেছেন। যাই হোক, আমাদের আলোচনার মুল বিষয় রাসুল (সাঃ) ছাড়া কবরের আযাব, যা গায়েবী বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত তা অন্য কেউ দেখেছেন কি না? কবরের আযাব গায়েবের বিষয়ঃ যদি কবরের আযাব প্রকাশ্যে হত, তাহলে তার প্রতি ঈমান আনয়নের কোন বিশেষত্ব থাকতো না। কেননা দৃশ্যমান কোন জিনিসকে সাধারনত প্রত্যাখ্যান করা হয় না। যেমন মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেনঃ ‘’অতঃপর যখন তারা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল, তখন বলল, আমরা এক আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনলাম এবং আমরা তাঁর সঙ্গে যাদেরকে শরীক করতাম, তাঁদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম’’ (মুমিনঃ ৮৪) সুতরাং মানুষ যদি দাফনকৃতদের দেখতে ও তাদের চিৎকার শুনতে পেত, তখন তারা অবশ্যই ঈমান আনত। কবরের আযাব গায়েবী বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। কত মানুষ কবরে আযাব ভোগ করে, কিন্তু আমরা তা অনুভব করতে পারি না। অনুরুপ কত কবরবাসীর জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, তারা ভোগ করে অফুরন্ত সুখ-শান্তি। অথচ আমরা তা জানতে বা অনুধাবন করতে পারি না। তা কেবল আল্লাহ্‌ জানেন। এবং আল্লাহ্‌ তায়ালা ওয়াহীর মাধ্যমে রাসুল (সাঃ)-কে কবরের আযাব ও সুখ-শান্তির কথা জানিয়েছেন। কবরের আযাব, তার নেয়ামত সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত আছে। সুতরাং তার প্রতি যথাযথভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা আবশ্যক। তবে কবরের শাস্তি ও নেয়ামতের প্রকৃতি ও স্বরূপ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে যা বর্ণিত হয়েছে তার চেয়ে বেশি কিছু আমরা জানি না। রাসুল (সাঃ)-কে আল্লাহ্‌ তায়ালা কবরের আযাব দেখিয়েছেন এবং রাসুল (সাঃ) ছাড়া অন্য কেউ কবরের আযাব দেখেননিঃ আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’বান্দাহকে যখন তার কবরে রাখা হয় এবং তাঁকে পিছনে রেখে তার সাথীরা চলে যায় (এতটুকু দূরে যে), তখনও সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায়। এমন সময় দু’জন ফেরেশতা তার নিকট এসে তাকে বসিয়ে দেন। অতঃপর তাঁরা প্রশ্ন করেন মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে তুমি কি বলতে? তখন মুমিন ব্যাক্তি বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহ্‌র বান্দাহ এবং তাঁর রাসুল। তখন তাঁকে বলা হবে, জাহান্নামে তোমার অবস্থানের জায়গাটি দেখে নাও, যার পরিবর্তে আল্লাহ্‌ তায়ালা তোমার জন্য জান্নাতে একটি স্থান নির্ধারণ করেছেন। নাবী (সাঃ) বলেন, তখন সে দুটি স্থানের দিকেই দৃষ্টি দিবে। আর কাফির বা মুনাফিক ব্যাক্তিকে যখন প্রশ্ন করা হবে, তুমি এই ব্যাক্তি অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে কি বলতে? সে উত্তরে বলবেঃ আমি জানি না, লোকেরা যা বলত আমি তাই বলতাম। তখন তাঁকে বলা হবেঃ তুমি না নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। অতঃপর তার দু’ কানের মাঝখানে লোহার মুগুর দ্বারা এমনভাবে আঘাত করা হবে, যার ফলে সে এমন বিকট চিৎকার করে উঠবে যে, তার আশেপাশের সকলেই তা শুনতে পাবে, মানুষ ও জ্বিন ছাড়া’’ (বুখারী ১৩৩৮, ১৩৭) এমনকি সাহাবীরা পর্যন্ত কবরের আযাব দেখেননিঃ জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবন মুয়ায (রাঃ) যখন মৃত্যুবরণ করেন, আমরা রাসুল (সাঃ)-এর সাথে তাঁর জানাযায় হাজির হলাম। জানাযা পড়ার পর সা’দ (রাঃ)-কে যখন কবরে রাখা হল ও মাটি সমান করে দেয়া হল, তখন রাসুল (সাঃ) সেখানে দীর্ঘ সময় আল্লাহ্‌র তাসবীহ পাঠ করলেন, আমরাও দীর্ঘ তাঁর সাথে তাসবীহ পাঠ করলাম। অতঃপর তিনি তাকবীর বললেন। আমরাও তাঁর সাথে তাকবীর বললাম। এ সময় রাসুল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলঃ হে আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ)! কেন আপনি এরুপ তাসবীহ ও তাকবীর বললেন? তিনি বললেনঃ তাঁর কবর অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল; অতএব আমি এরুপ করলাম, এতে আল্লাহ্‌ তাঁর কবরকে প্রশস্ত করে দিলেন’’ (আহমাদ; মিশকাত হাদীস নঃ ১৩৫; ইরওয়াউল গালীল ৩/১৬৬; সনদ সহীহ) ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যে কবর দু’টিতে শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেনঃ ‘’এ দু’ব্যাক্তিকে কবরে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। অথচ বড় কোন পাপের জন্য তাদেরকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। তাদের একজন পেশাব থেকে সতর্কতা অবলম্বন করত না, আর অপরজন চোগলখোরী করে বেড়াত’’ (বুখারী ২১৬, ১৩৬১) কবরের আযাব যদি মানুষ দেখতে পেত তাহলে কেউ দাফন কর্মে উপস্থিত হত নাঃ যায়িদ বিন সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’এ উম্মাতকে তাদের কবরের মধ্যে পরীক্ষা করা হবে। তোমরা মৃত ব্যাক্তিকে দাফন করা বর্জন করবে, এ আশংকা না হলে আমি আল্লাহ্‌র নিকট দু’আ করতাম যেন তিনি তোমাদেরকে কবরের আযাব শুনান যা আমি শুনতে পাচ্ছি’’ (মুসলিম ৭১০৫, ৭১০৬) হে আমার মুসলিম ভাই! এখন তুমি চিন্তা করে দেখ, তাবলীগ জামাতের কিতাবে কিভাবে কুরআন ও হাদীস বিরোধী ভ্রান্ত আকিদাহ পেশ করা হচ্ছে! আল্লাহ্‌ আমাদেরকে কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী সঠিক আকিদাহ পোষণ করার তৌফিক দান করুন।
      Salah Ahmed
    • May 15
    • Sogood Islam Syeds
      5/15, 9:23pm

      Sogood Islam Syeds

      তিরমিযী ও ইবনে মাজাহতে বর্ণিত শবে বরাতের (জাল/জয়ীফ) হাদীসঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের আরবী বোঝার ক্ষমতা নাই, আর কুরআন-হাদীস সব হলো আরবীতে। তাই শরীয়ত জানার জন্য আমরা বেদাতীদের অনুবাদ করা (কুরআন, বুখারী, তিরমিযী ইত্যাদির অনুবাদ) বা লেখা বইগুলোই (বেহেশতি যেওর, মকসুদুল মুমিনিন, ফাযায়েলে আমল, নেওয়ামুল কুরআন সহ অন্যান্য বেদাতি বই পুস্তক) পড়ি। কিন্তু, আপনি যদি কানা হন তাহলে বেদাতীরা আপনাকে কুঁড়েঘর দেখিয়ে হাইকোর্ট বলে চালিয়ে দেবে, আর আপনি অন্ধ বিশ্বাসে সেটাকেই মেনে নিবেন – এটাই সত্যি। চলুন আজকে আমরা এমন একটা ঘটনা দেখি, যেখানে বেদাতী হুজুরের হাদীসের নামে প্রতারণা করে শবে বরাতের রাতে হালুয়া-রুটি খাওয়ার ধর্ম চালু করেছে। শবে বরাত নিয়ে তিরমিযীতে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, আর হাদীসটি একই সনদে ইবনে মাজাহ সহ আরো দুই-একটা হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি হচ্ছে, মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, একবার আমি রাতের বেলায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হঠাত্‍ আমি দেখতে পেলাম যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ‘বাকী’ নামক কবরস্থানে অবস্থান করছেন। আমাকে দেখেই তিনি বললেন, হে আয়েশা! তুমি কি আল্লাহ ও রাসুলের পক্ষ থেকে তোমার উপর কোন জুলুমের আশংকা করছ? আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোন বিবির ঘরে তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন যে, আল্লাহ তায়ালা ১৫ই শাবানের রজনীতে দুনিয়ার আসমানে (অর্থাত্‍ ১ম আসমানে) অবতরণ করেন এবং বনী ক্বালব নামক গোত্রের বকরীসমূহের পশমের চাইতেও বেশি সংখ্যক মানুষকে ক্ষমা করে দেন। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শবে বরাতের রাতে কবর জিয়ারত করছেন আর এর ফযীলতের কথা বলছেন (আসলে বলেন নি, হাদীসটি জয়ীফ), তাহলে অনেকেই কেনো শবে বরাত পালন করাকেত বেদাত বলছেন? এবারতো আপনি পুরাই হতভম্ব, কার কথা বিশ্বাস করবেন? সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরেকটু যাচাই করুন। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) তার হাদীসের গ্রন্থে যে জায়গায় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ঠিক তার নিচে নিজেই হাদীসটি সম্পর্কে মন্তব্য লিখেছেন, “আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত এই হাদীস আমি এই সনদ ছাড়া অন্য কোনো সূত্রের কথা জানিনা। এই হাদীসটি আমি হাজ্জাজ বিন আরকার কাছ থেকে, হাজ্জাজ ইহইয়া ইবনে কাসীর থেকে, ইহইয়া উওরওয়া থেকে, উরওয়া আয়িশাহ থেকে), এই সনদে জেনেছি। আমি মুহাম্মাদকে (ইমাম বুখারী রহঃ কে যিনি তার ওস্তাদ ছিলেন) এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাস করেছিলাম। তিনি এই হাদীসকে জয়ীফ (দুর্বল) বলতেন। এই হাদীসটি দুর্বল এই কারণে যে, এই হাদীস ইহইয়া বিন কাসীর উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন কিন্তু ইহইয়া উরওয়া থেকে এই হাদীস শুনেননি।” এখানে ইমাম বুখারী বলতে চাচ্ছেন, দুই জন বর্ণনাকারী রাবীর মাঝে বিচ্ছিন্নতা আছে অর্থাৎ ইহইয়া উরওয়ার কাছ থেকে সরাসরি শুনেননি, মাঝখানে অন্য আরেকজন আছে যার নাম সনদে উল্লেখ করা হয় নি। এই ধরণের হাদীসকে ‘মুনকাতা’ (সূত্র বিচ্ছিন্ন) বলা হয় যার কারণে হাদীসটি ‘জয়ীফ’ বলে গণ্য হয়। হাদীস মুনকাতা হলে সমস্যা হলো, মাঝখানে একজন অজ্ঞাত রাবী আছে, হতে পারে সে মুনাফেক, ধর্মের শত্রু, মিথ্যুক বা জাল হাদীস প্রচারকারী অথবা সে সত্যবাদী। এই সন্দেহের জন্য হাদীসটি জয়ীফ, আর সন্দেহযুক্ত জিনিস শরীয়তে দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয় না। এছাড়া হাদীসটি জয়ীফ হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, হাজ্জাজ ইহইয়ার কাছ থেকেও সরাসরি শুনেননি। তৃতীয় কারণ, মুহাদ্দিসদের (হাদীস বিশেষজ্ঞ) নিকট হাজ্জাজ হাদীস বর্ণনাকারী হিসেবে নিজেই জয়ীফ, তাই তার বর্ণিত হাদীসও জয়ীফ। সুতরাং, শবে বরাতের রাতে কবর জিয়ারত একটি ভিত্তিহীন আমল – কারণ এর পক্ষে সহীহ কোন হাদীসের দলীল পাওয়া যায়না। দেশি মাওলানাদের মিথ্যাচার ও ভন্ডামী প্রসঙ্গেঃ ‘মীনা বুক হাউস’ থেকে প্রকাশিত তিরমিযীর অনুবাদে শুধু হাদীসটা কোট করা হয়েছে, কিন্তু ইমাম তিরমিযী ও ইমাম বুখারী যে হাদীসটিকে জয়ীফ বলে যে আলোচনা করেছেন, সেই অংশটুকু গায়েব করে দিয়েছে। কারণ, সেই অংশ অনুবাদ করলে সাধারণ মানুষ জেনে যাবে, শবে বরাত সম্পর্কিত এই হাদীস সহীহ না, সুতরাং হালুয়া রুটি খাওয়া ধর্ম হতে পারেনা। আর এইরকম প্রতারণার অনুবাদ পড়ে জামাতুল আসাদ ওরফে “জামাতুল ফাসাদ” এর মতো মুফতিরা এই হাদীস বর্ণনা করে শবে বরাতের বেদাত প্রচার করছে। দেশের অন্য একটি প্রকাশনী, তাওহীদ পাবলিকেশানের অনুবাদে পুরোটা আরবীসহ বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে। শবে বরাতের ২য় হাদীস নিয়ে মিথ্যাচারঃ শবে বরাত সম্পর্কে আরেকটা (জাল) হাদীস খুব বেশি প্রচার করে বিদাতপন্থীরা। আলী (রা:) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যখন শাবানের ১৫ তারিখ আগমন করে, সে দিন তোমরা রোযা পালন কর এবং রজনীতে আল্লাহর ইবাদতে দন্ডায়মান থাক। কেননা, উক্ত দিবসে সূর্যাস্তের পর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং জগতবাসীকে ডেকে বলেন, হে মানব জাতি! কেউ কি আছ তোমাদের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। ওহে আছ কি তোমাদের কেউ অভাবী? আমি তার অভাব পূরণ করব। আছ কি কেউ বিপদগ্রস্থ? আমি তোমাদের বিপদ মুক্ত করব। আছ কি কেউ এই সমস্যায়? এমনি ভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত ডাকতে থাকবেন । এই হাদীস বর্ণিত হয়েছে ইবনে মাজাহ ও মিশকাতে ১৩০৮ নাম্বার হাদীস। উল্লেখ্য, ইবনে মাজাতে বহু জয়ীফ হাদীসতো রয়েছে এমনকি কয়েক ডজন জাল হাদীসও রয়েছে আর এই হাদীসও জাল হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। এই হাদীস হচ্ছে জাল (মানুষের বানানো কথা নবীর নামে চালানো হয়েছে)। কারণ এই হাদীস বর্ণনাকারীর একজন ইবন আবি বাসরাহ, যার সম্পর্ক ইমাম আহমাদ ও ইমাম ইবনে মাঈন বলেন, “ইবনে আবি বাসরাহ হাদীস জাল করতো।” এখন পছন্দ আপনার, বিদাতী হুজুদের প্রচার করি মিথ্যুকদের জাল হাদীস মেনে নিয়ে শবে বরাত উদযাপন করবেন নাকি বিদাতী আমল থেকে বিরত থেকে নবী (সাঃ) এর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবেন। ইমাম ইবনে আল-জাওযী আলাদা একটা বই লিখেছেন, সমস্ত জাল হাদীসগুলোকে একত্রিত করে “আল মাওজুয়াত” নামে। আর সেই বইয়ে (২/১২৭) তিনি ইবনে মাজাহর বর্ণিত এই জাল হাদীসকে জাল বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া এই হাদীসকে জাল বলেছেন, ইমাম ইবনে কাইয়্যিম তার আল-মানার আল-মুনীফ ফিল সহীহ ওয়াল জয়ীফ (পৃষ্ঠা ৯৮), ইমাম শওকানী তার আল-ফাওয়ায়েদ আল-মাজমুয়াতে (পৃষ্ঠা ৫১)। যেহেতু আমাদের দেশের মাওলানাদের সহীহ জয়ীফ নিয়ে কোনো পড়াশোনা নাই তাই এই সমস্ত জাল জয়ীফ হাদীস একটা কিছু পেলেই হলো, সুন্নতী আমলগুলো বাদ দিয়ে বেদাতকে প্রতিষ্ঠা করতে তারা উঠে পড়ে লেগে যায়। কিন্তু যিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ইবাদত নিয়ে তাদেরকে এতো উচঁাচ্চ করতে দেখা যায়না, অথচ কুরআন হাদীসে এই দিনগুলোর ইবাদত নিয়ে কত ফযীলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। বিঃদ্রঃ বিস্তারিত জানতে আরো দেখুন ও পড়ুন – http://islamqa.info/en/ref/154850 http://www.youtube.com/watch?v=YMDtVNoKd2Y
      তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
    • May 16
    • Sogood Islam Syeds
      5/16, 1:31am

      Sogood Islam Syeds

      Attachment Unavailable
      This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
    • May 16
    • Sogood Islam Syeds
      5/16, 3:30pm

      Sogood Islam Syeds

      প্রশ্নোত্তর | ১] এগারো মাসে নামায পড়ে না। রমযান এলে রোযা রাখে ও নামায পড়ে। এমন লোকের রোযা কবুল হবে কি? ২] রোযার উপর নামাযের প্রভাব আছে কি? ৩] তাঁরা রোযা রেখে (জান্নাতের) ‘রাইয়ান’ গেটে প্রবেশকারীদের সঙ্গে প্রবেশ করবে না কি? ৪] এক রমযান থেকে ওপর রমযান মধ্যবর্তী সকল গোনাহকে মোচন করে দেয়।’—এ কথা ঠিক নয় কি? জবাব বেনামাযীর রোযা কবুল হবে না। যেহেতু নামায ইসলামের খুঁটি, যা ব্যতিরেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। পরন্ত বেনামাযী কাফের ও ইসলামের মিল্লাত থেকে বহির্ভূত। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “মানুষ ও কুফুরীর মধ্যে (পর্দা) হল, নামায ত্যাগ করা।” (মুসলিম) তিনি আরো বলেছেন, “যে চুক্তি আমাদের ও তাঁদের (কাফেরদের) মধ্যে বিদ্যমান, তা হচ্ছে নামায (পড়া)। অতএব যে নামায ত্যাগ করবে, সে নিশ্চয় কাফের হয়ে যাবে।” (তিরমিযী) শাক্বীক ইবনে আব্দুল্লাহ তাঁবেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “মুহাম্মাদ (সঃ) এর সহচরবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরীমূলক কাজ বলে মনে করতেন না।” (তিরমিযী) (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৮৭) আর কাফেরের নিকট থেকে আল্লাহ রোযা, সাদকা, হজ্জ এবং অন্যান্য কোনও নেক আমল কবুল করেন না। যেহেতু আল্লাহ পাক বলেন, “ওদের অর্থ সাহায্য গৃহীত হতে কোন বাধা ছিল না। তবে বাধা এই ছিল যে, ওরা আল্লাহ ও তাদীয় রাসুলকে অস্বীকার (কুফরী) করে এবং নামাযে আলস্যের সঙ্গে উপস্থিত হয়। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থদান করে।” (সূরা তাওবা ৫৪ আয়াত) সুতরাং যদি কেউ রোযা রাখে এবং নামায না পড়ে, তাহলে তাঁর রোযা বাতিল ও অশুদ্ধ। আল্লাহ্‌র নিকট তা কোন উপকারে আসবে না এবং তা তাকে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য দান করেতেও পারবে না। আর আর তাঁর অমূলক ধারনা যে, “এক রমযান থেকে অপর রমযান মধ্যবর্তী পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জুমআহ থেকে জুমআহ এবং রমযান থেকে রমযান; এর মধ্যবর্তী সকল গোনাহকে মোচন করে দেয়— যতক্ষণ পর্যন্ত কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকা হয়।” (মুসলিম, মিশকাত ৫৬৪ নং) সুতরাং রমযান থেকে রমযানের মধ্যবর্তী পাপসমূহ মোচন হওয়ার জন্য মহানবী (সঃ) শর্তারোপ করেছেন যে, কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকতে হবে। কিন্তু সে তো নামাযই পড়ে না, আর রোযা রাখে। যাতে সে কাবীরা গোনাহ থেকে দূরে থাকতে পারে না। যেহেতু নামায ত্যাগ করার চেয়ে অধিক বড় কাবীরা গোনাহর কাজ আর কি আছে? বরং নামায ত্যাগ করা তো কুফরী। তাহলে কি করে সম্ভব যে, রোযা তাঁর পাপ মোচন করবে? সুতরাং নিজ প্রভুর কাছে তাঁর জন্য তওবা (অনুশোচনার সাথে প্রত্যাবর্তন) করা ওয়াজেব। আল্লাহ যে তাঁর উপর নামায ফরয করেছেন, তা পালন করে তারপর রোযা রাখা উচিৎ। যেহেতু নবী (সঃ) মু’আয (রাঃ) কে ইয়ামান প্রেরণকালে বলেছিলেন, “ওদেরকে তোমার প্রথম দাওয়াত যেন ‘আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর রাসুল’- এই সাক্ষ্যদানের প্রতি হয়। যদি ওরা তা তোমার নিকট থেকে গ্রহণ করে, তবে তাঁদেরকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ ওদের উপর প্রত্যেক দিবা রাত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন।” অতএব দুই সাক্ষ্যদানের পর নামায, অতঃপর যাকাত দিয়ে (দাওয়াত) শুরু করেছেন। (ইবনে উষাইমীন) নিকৃষ্ট মানুষ সে, যে নিজ প্রভুকে কেবল রমযানে চেনে ও স্মরণ করে, বাকী এগারো মাস ভুলে থাকে! অথচ সে এক মাসের চেনা তাঁদের কোন কাজে লাগবে না। (লাজনাহ দায়েমাহ) রচনা/অনুবাদ/সংকলনঃ আবদুল হামীদ ফাইযী
      M Towfiqur Rahman
    • May 16
    • Sogood Islam Syeds
      5/16, 7:45pm

      Sogood Islam Syeds

      M Towfiqur Rahman added a new photo.
      দোআ: বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্‌র। – بِسْمِ اللَّهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ – বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অনুবাদঃ আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। [ আবূ দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, ৩৪২৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫১। দোআ ও যিকির, হিসনুল মুসলিম]
      M Towfiqur Rahman
    • May 18
    • Sogood Islam Syeds
      5/18, 5:03pm

      Sogood Islam Syeds

      ফেরেশতারা যাদের জন্য দুয়া করেন—— যারা অজু অবস্থায় ঘুমায়। (সুত্রঃ ইবনে হিব্বান ৩/৩২৮) সালাতের জন্য অপেক্ষাকারী। (সুত্রঃ মুসলিম-৬১৯) প্রথম কাতারে সালাত আদায়কারী। (সুত্রঃ ইবনে হিব্বান ২১৫৭) কাতারের ডান পার্শ্বের মুসল্লি। (সুত্রঃ আবু দাউদ-৬৭২) কাতারে পরস্পর মিলিতভাবে দন্ডায়মান ব্যাক্তি। (সুত্রঃ আল মুসনাদ ৬/৬৭) ইমামের সুরা ফাতিহা শেষ করে আমিন বলার সময় যার আমিন ফেরেশতাদের সাথে মিলে যায়। (সুত্রঃ বুখারিঃ ৭৮২) নামাজান্তে নামাজের স্থানে বসে থাকা ব্যাক্তি। (সুত্রঃ আল মুসনাদ- ৮১০৬) জামাতের সাথে ফজর ও আসর নামাজ আদায়কারী। (সুত্রঃ ইবনে হিব্বানঃ ২০৬১) কুরআন খতমকারীর জন্য। (সুত্রঃ দারেমিঃ ৩৪৮৬) রাসুল(স) এর ওপর দরুদ পাঠকারী। (সুত্রঃ আল মুসনাদঃ ৬৬০৫) অনুপস্থিত মুসলিমের জন্য দুয়াকারী। (সুত্রঃ মুসলিমঃ ৮৮) কল্যানের পথে দানকারী। (সুত্রঃ ১৪৪২) সাহরী ভক্ষণকারী। (সুত্রঃ ইবনে হিব্বানঃ ৩৪৬৭) যে রোজাদারের সম্মুখে পানাহার করা হয়। (সুত্রঃ আল মুসনাদঃ ৭/৩৭০) রোগীকে পরিদর্শনকারী। (সুত্রঃ আল মুসনাদঃ ৭৫৪) রোগী ও মৃত ব্যাক্তির নিকট দুয়াকারী। (সুত্রঃ তিরমিজিঃ ৯৮৪) ইলম শিক্ষাদানকারী। (সুত্রঃ তিরমিজিঃ ২৮২৫) মুমিন ও তাদের আত্মীয়দের জন্য। (সুত্রঃ সুরা মুমিন, ৭-৯)
      Rowshon Kabir
    • Sogood Islam Syeds
      5/18, 6:40pm

      Sogood Islam Syeds

      #শবে_বরাত আভিধানিক অর্থ অনুসন্ধানঃ ‘শব’ ফারসি শব্দ। অর্থ রাত বা রজনী। বরাত শব্দটিও মূলে ফারসি। অর্থ ভাগ্য। দু’শব্দের একত্রে অর্থ হবে, ভাগ্য-রজনী। বরাত শব্দটি আরবি ভেবে অনেকেই ভুল করে থাকেন। কারণ ‘বরাত’ বলতে আরবি ভাষায় কোন শব্দ নেই। যদি বরাত শব্দটি আরবি বারা’আত শব্দের অপভ্রংশ ধরা হয় তবে তার অর্থ হবে— সম্পর্কচ্ছেদ বা বিমুক্তিকরণ। কিন্তু কয়েকটি কারণে এ অর্থটি এখানে অগ্রাহ্য, মেনে নেয়া যায় না- ১. আগের শব্দটি ফারসি হওয়ায় ‘বরাত’ শব্দটিও ফারসি হবে, এটাই স্বাভাবিক ২. শা’বানের মধ্যরজনীকে আরবি ভাষার দীর্ঘ পরম্পরায় কেউই বারা’আতের রাত্রি হিসাবে আখ্যা দেননি। ৩. রমযান মাসের লাইলাতুল ক্বাদরকে কেউ-কেউ লাইলাতুল বারা’আত হিসাবে নামকরণ করেছেন, শা‘বানের মধ্য রাত্রিকে নয়। আরবি ভাষায় এ রাতটিকে কি বলা হয়? আরবি ভাষায় এ রাতটিকে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা‘বান’ — শাবান মাসের মধ্য রজনী — হিসাবে অভিহিত করা হয়। শাবানের মধ্যরাত্রির কি কোন ফযীলত বর্ণিত হয়েছে? শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে: #১নং আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: এক রাতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন। হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮), তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২) বর্ণনা করে বলেন, এ হাদীসটিকে ইমাম বুখারী দুর্বল বলতে শুনেছি। অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদ দুর্বল বলে সমস্ত মুহাদ্দিসগণ একমত। #২নং আবু মূসা আল আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মু’জামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি বলেন: ইবনে মাজাহ বর্ণিত হাদীসটির সনদ দুর্বল। তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাজমা‘ আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫) গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী। হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ জাম‘আন, হাদীস নং (১৯৮০), পৃঃ (৪৮৬)। #৩নং আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন শা‘বানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ (২/১০) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনে আবি সুবরাহ রয়েছেন যিনি হাদীস বানাতেন। তাই হাদীসটি বানোয়াট। #উল্লিখিত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে, শা‘বানের মধ্যরাত্রির ফযীলত বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই দুর্বল অথবা বানোয়াট, আর তাই গ্রাহ্যতারহিত।
      আশরাফ খান