• Sogood Islam Syeds

    প্রশ্নোত্তৰ পর্ৱত ডঃ জাকিৰ নায়েকক প্রশ্ন কৰা হয়, বিশ্বত মুছলিমসকলৰ সংখ্যা ১৫-২০% আৰু অধিকাংশ মানুহেই মূর্তিপূজা কৰে।খ্রীষ্টান,বৌদ্ধ,হিন্দুসকলৰ অধিকাংশই মূর্তি পূজা কৰে। অথচ আপোনালোকৰ সংখ্যা মাত্র ২০% তেতিয়াহ’লে এই সকলোৱেই কি ভুল? সকলোবোৰেই মিছাঁ? উত্তৰত ডঃজাকিৰ নায়কে কয়- ⬇ ইছলামত সংখ্যাগুৰুয়েদি সত্যক মাপিব পৰা নাযায়। ইছলামে সকলোবোৰৰ ওপৰত সত্যক বিশ্বাস কৰে। কেইশ’ বছৰ আগতেও পৃথিৱীৰ অধিকাংশ মানুহে বিশ্বাস কৰিছিল পৃথিৱী সমতল। তেতিয়াহ’লে কি পৃথিৱী সমতল? নহয়! তেতিয়াহ’লে বেছিৰ ভাগ মানুহৰেই ভুল হ’ব পাৰে। ইছলাম ধর্মত ছূৰা ইছৰাৰ ৮১ নম্বৰ আয়াতত কোৱা হৈছে, ‘কোৱা! সত্য উপস্থিত হৈছে, মিথ্যা বিলুপ্ত হৈছে। মিথ্যা প্রকৃতিগত কাৰণেই বিলুপ্ত হ’ব।’ আপুনি আমেৰিকাত যাওঁক,তাতে দেখিব অধিকাংশ মানুহেই পর্ণোগ্রাফিত বিশ্বাসী। আপুনি এইটোক বিশ্বাস কৰেনে? নকৰে। কিন্তু পশ্চিমবিশ্বৰ অধিকাংশ মানুহেই পর্ণোগ্রাফিত বিশ্বাস কৰে। তেতিয়াহ’লে কি আপুনি ভুল বিশ্বাসত আছে? অৱশ্যেই নহয়। . আল্লাহ তায়ালাই বিছাৰিলে পৃথিৱীৰ সকলো মানুহকেই মুছলিম বনাব পাৰিলেহেঁতেন। তেখেতে ‘কুন’ (হোৱা) ক’লেই (ফাইয়াকুন) হৈ গ’লেহেঁতেন। কিন্তু এই জীৱনটো হৈছে পৰকালৰ বাবে পৰীক্ষা। আল্লাহে যদি বিছাৰিলেহেঁতেন, পৃথিৱীৰ কোনো মানুহেই মূর্তি পূজা নকৰিলেহেঁতেন, তেতিয়াহ’লে দেখোন আৰু পৰীক্ষা হৈ নাথাকিলে হয়! পৰীক্ষাটো হৈছে, আল্লাহে আপোনাক কিছু আইন দিছে সেইবোৰ মানা নামানা আপোনাৰ কথা! আৰু যিসকল মানুহে মূর্তি পূজা কৰে সিহঁতে সিহঁতৰ নিজৰ ধর্মই মানা নাই! কাৰণ কোনো ধর্মতেই মূর্তিপূজাৰ কথা কোৱা হোৱা নাই। মানুহেই এইসকলো বনাই লৈছে। হিন্দু(সনাতন) ধর্মৰ ধর্মগ্রন্থ বেদতোও মূর্তি পূজাৰ কথা কোৱা হোৱা নাই। গৌতম বৌদ্ধও কেতিয়াও মূর্তি বনাবলৈ কোৱা নাই। খ্রীষ্টান ধর্মৰ অল্ট টেষ্টামেনতো মূর্তি পূজাৰ কথা কোৱা হোৱা নাই। তাৰপিছতোও যদি কোনোবাই মূর্তি পূজা কৰে তেতিয়াহ’লে কি সি সত্য হৈ গ’ল? কোনোবাই যদি নবী মুহাম্মদ ছাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামৰ মূর্তি বনাই তেখেতক পূজা কৰে তাত মই কম সেইটো ভুল। কাৰণ নবী মুহাম্মদ ছাল্লাহু আলাইহি ওয়াছাল্লামে কেতিয়াও তেখেতৰ মূর্তি বনাবলৈ কোৱা নাই। সেয়েহে, কোনোবাই যদি ভুল কাম কৰি থাকে সেইটো কেতিয়াও সত্য হৈ নাযায়, হয় সিহঁত সংখ্যালঘুয়েই হওঁক বা সংখ্যাগুৰু। সেয়েহে কোনোবাই কোনো ধর্ম মানিবলৈ গ’লে অনুসাৰী সকলক নেদেখিব। মই কম সেই ধর্মৰ ধর্মগ্রন্থক চাওঁক, কোৰআনক চাওঁক… . ((আৰু অধিক জটিল প্রশ্নৰ সহজসৰল উত্তৰ পাবলৈ পেইজটো লাইক কৰি সংযোগ বজাই ৰাখক,লগতে পোষ্টটো শ্বেয়াৰ কৰিবলৈ নাপাহৰিব।))
    Dr Zakir Naik In Assamese-অসমীয়াত উন্মুক্ত প্রশ্নোত্তৰ
  • May 12
  • Sogood Islam Syeds
    5/12, 10:30am

    Sogood Islam Syeds

    অত্যন্ত শক্তিশালী ও রহস্যজনক আয়াতঃ আয়াত আল নূর ( সূরা নূর- আয়াত ৩৫)
    Meherdad Ahmed অত্যন্ত  শক্তিশালী ও রহস্যজনক আয়াতঃ আয়াত আল নূর ( সূরা নূর- আয়াত ৩৫) কুর’আন আল্লাহ “নিজে” সৃষ্টি করেছেন। এর ভাষা, ব্যাকরন, শব্দচয়ন, উপমা সবকিছু তাঁর সম্পূর্ন নিজের তৈরী। কুর’আনের একট…
    trueleadership4us.wordpress.com
  • May 12
  • Sogood Islam Syeds
    5/12, 3:38pm

    Sogood Islam Syeds

    আসসালামু আলাইকুম।শাইখ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর আর আমাদের মাঝে নেই কিন্তু তার অসংখ্য দ্বীনি কাজের মদ্ধ্যে একটি হলো তার লিখা বই ,যেগুলো তিনি আমাদের মাঝে রেখে গেছেন।আসুন আমরা এই গুরুত্তপুর্ন বইগুলো নিজে পড়ি ,অন্যকে পড়তে সাহায্য করি,নেক আমল করি।নিজের দ্বীনি জ্ঞান বৃদ্ধি করার সাথে সাথে শাইখের জন্যও দুয়া করি যেন তার দ্বীনি কাজগুলো নেকীর জারিয়া হয় ।ইনশাআল্লাহ। ——————– বইঃ হাদীসের নামে জালিয়াতি – প্রচলিত মিথ্যা হাদীস ও ভিত্তিহীন কথা লিখেছেনঃ ড. খোন্দকার আব্দুলাহ জাহাঙ্গীর {পি-এইচ. ডি. (রিয়াদ), এম. এ. (রিয়াদ), এম.এম. (ঢাকা) অধ্যাপক, আল-হাদীস বিভাগ, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, কুষ্টিয়া} এই বইটির প্রথম পর্বে হাদীসের পরিচয়, হাদীসের নামে মিথ্যার বিধান, ইতিহাস, হাদীসের নির্ভুলতা নির্ণয়ে সাহাবীগণ ও পরবর্তী মুহাদ্দিসগণের নিরীক্ষা পদ্ধতি, নিরীক্ষার ফলাফল, মিথ্যার প্রকারভেদ, মিথ্যাবাদী রাবীগণের শ্রেণীভাগ, জাল হাদীস নির্ধারণের পদ্ধতি ইত্যাদি বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আশা করি এই আলোচনা পাঠকের মনের দ্বিধা ও অস্পষ্টতা দূর করবে এবং হাদীসের নির্ভুলতা রক্ষায় মুসলিম উম্মাহর অলৌকিক বৈশিষ্ট্য পাঠকের কাছে স্পষ্ট হবে। দ্বিতীয় পর্বে আমাদের সমাজে প্রচলিত বিভিনড়ব ভিত্তিহীন, বানোয়াট ও জাল হাদীসের বিষয়ভিত্তিক আলোচনা করা হয়েছে। উল্লেখ্য যে, জাল হাদীসের বিষয়ে লেখকের মূলত নিজের কোনো মতামত উলেখ করা হয়নি। দ্বিতীয় হিজরীর তাবেয়ী ও তাবে- তাবেয়ী ইমামগণ থেকে শুরু করে পরবর্তী যুগের অগণিত মুহাদ্দিস রাসূলুলাহ (সাঃ)-এর নামে প্রচারিত সকল হাদীস সংকলন করে, গভীর নিরীক্ষা ও যাচাইয়ের মাধ্যমে সে সকল হাদীস ও রাবীদের বিষয়ে যে সকল মতামত প্রদান করেছেন লেখক মূলত সেগুলির উপরেই নির্ভর করেছেন এবং তাঁদের মতামতই উল্লেখ্য করা হয়েছে। এই লিঙ্ক থেকে ডাওনলোড করুন— http://l.facebook.com/l.php?u=http%3A%2F%2Fwww.quraneralo.com%2F%3Fsmd_process_download%3D1%26download_id%3D5891&h=aAQEQQdWY বিশেষ দ্রষ্টব্য: পিডিএফ বই কখনোই মুল বইয়ের বিকল্প হয়না। তাই সবার প্রতি অনুরোধ বইটি বাজার হতে নিজে কেনার পাশাপাশি অন্যকেও উত্সাহিত করুন। নিকটস্থ মসজিদে দান করুন।
    Shahanaj Amin
  • May 13
  • Sogood Islam Syeds
    5/13, 2:26pm

    Sogood Islam Syeds

    MP Zahid Bin Zonab added a new photo.
    আপনি কি আল-কুরআন ও সহীহ্ হাদিসের উপর জীবন গড়তে চান?আপনি কি শির্ক-বিদাআত মুক্ত ইসলামের সহীহ জ্ঞান অর্জন করতে চান?তাহলে প্রকৃত কুরআন-সুন্নাহর অনুসারী আলেমগনের লেকচার শুনুন….এই নামগুলো এখনই ঝড়েরবেগে মুখস্ত করে রাখুন…..ইনশাআল্লাহ অনেক উপকৃত হবেন।.✔ শাইখ মতিউর রহমান মাদানী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ আমানুল্লাহ বিন ইসমাঈল (হাফেজাহুল্লাহ)✔ প্রফেসর কাজী মুহাম্মদ ইবরাহীম (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ কামালুদ্দীন জাফরী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ সাইফুদ্দীন বেলাল মাদানী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ শহীদুল্লাহ খান মাদানী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ মুহাম্মদ ওয়ালিউল্লাহ্ (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ মুযাফ্ফর বিন মুহসিন (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ আব্দুর রাকীব বুখারী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ হারুন হোসেইন (হাফেজাহুল্লাহ)✔ শাইখ মুহাম্মাদ আক্তার মাদানী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ্ (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মুহাম্মদ মানজুরে ইলাহী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মোসলেহ্ উদ্দীন (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আসাদুল্লাহ আল গালিব (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আ ব ম যাকারিয়া (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আবুল কালাম আজাদ (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মুহাম্মাদ মতিউল ইসলাম (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. আহমাদুল্লাহ ত্রিশালী (হাফেজাহুল্লাহ)✔ ড. মুহাম্মদ লোকমান হোসেইন (হাফেজাহুল্লাহ).★ এই সকল বিশ্ববিখ্যাত কুরআন-সুন্নাহর অনুসারী আলেমে-দ্বীনগন মানুষকে ডাকছে সুধু মাত্র আল-কুরআন ও রাসূল(সঃ) এর সহীহ সুন্নহর দিকে। তার ভন্ড মোল্লাদের মত পীর-ফকিরী আর কবর-মাজার পূজার দিকে ডাকে নাহ। তার শির্ক-বিদা’আতেরবিরুদ্ধে এক-একজন এক-একটি খোলা তলোয়ার, আলহামদুলিল্লাহ!তাদের লেকাচারগুলো দয়াকরে খুব মনোযোগ দিয়ে শুনুন, বুঝুন তারপর সিদ্ধান্তনিন যে, আপনি কি কোরআন ও সহীহ্ হাদিসের উপর জীবন গড়তে চান? নাকি মাজহাবের নামে গোড়ামী আর অন্ধ অনুকরন-অনুসরণ করে এবং পীরবাবা-খাজাবাবাদের মুরিদ হয়ে শির্ক-বিদা’আতকারী রূপে চিরদিন অন্ধকারেই ডুবে থাকতে চান!? হে আমার দ্বীনি ভাই-বোনেরা, জীবন আপনার তাই সিদ্ধান্তও আপনাকেই নিতে হবে, আমরা সুধু আপনাদের দিক নির্দেশনা দিচ্ছি মাত্র! মহান আল্লাহপাক আমাদের সবাইকে সঠিক দ্বীন-ইসলামকে জানার, বুঝার ও সেই অনুযায়ী আমল করে শির্ক-বিদা’আতমুক্ত জীবন গড়ার তৌফিক দান করুন…আমীন!
    MP Zahid Bin Zonab
  • May 13
  • Sogood Islam Syeds
    5/13, 6:55pm

    Sogood Islam Syeds

    আসসালমু ওয়ালাইকুম সবাইকে। কবর যিয়ারতের স‌হি দুয়া ক জন জা‌নি,আমরা যেটা জা‌নি সেটা হ‌লো আসসালামু ওয়ালাইকুম ইয়া আহলাল কুবুর। দুয়া‌টি স‌হি নয়,সবার জন্য কবর যিয়ার‌তের স‌হি দুয়া‌টি নি‌চে দেয়া হ‌লো। বাবা,মা চাচা যার জন্যই কবর যিয়ারত করব ইনশাললাহ আজ থে‌কে এটা পড়ব। আললাহ আমা‌দের তও‌ফিক দিক~আ‌মিন।
    Sayed Sarker
  • May 13
  • Sogood Islam Syeds
    5/13, 11:52pm

    Sogood Islam Syeds

    সাইফুল ইসলাম added 15 new photos.
    প্রতিদিনই নামাজ পড়ছি আমরা। কিন্তু নামাজে যা বলছি বা পড়ছি তার কিছুই হয়তো জানি না, অর্থ না জেনে তোতা পাখির বুলির মত আউড়ে যাচ্ছি! অর্থ না জানার ফলে আমরা কম বেশি সকলেই নামাযে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারি না। অমনযোগী হলে নামাজের মাঝে আল্লাহর প্রতি বিনয়, শ্রদ্ধা, ভয়,আত্মসমর্পনই বা আসবে কিভাবে? অথচ আল্লাহ তা’লা বলেছেন – “দূর্ভোগ সে সকল নামাজীদের যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর এবং যারা লোক দেখানো নামাজ পড়ে।” (সূরা আল মা’ঊন: আয়াত ৪ – ৬) নামাজে মনোযোগ আনতে হলে অবশ্যই নামাজে কি কি বলছি বা পড়ছি, তার অর্থ ভাল ভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে। তাহলে চলুন, আমরা জেনে নেই নামাজের বাংলা অনুবাদ আর সঠিকভাবে মনোনিবেশ করি নামাজে। কোন ভুল-ভ্রান্তি হলে আল্লাহ তা’লা আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ আমাদের খাটিভাবে আত্ম-সমর্পন করে নামাজ পড়ার তওফিক দিন। আমিন। . – সৌজন্যে ইসলাম : সম্পূর্ণ জীবনবিধান
    সাইফুল ইসলাম
  • Sogood Islam Syeds
    5/13, 11:57pm

    Sogood Islam Syeds

    আসসালামু আলাইকুম। ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর হাফিজাহুল্লাহ লেখা বইয়ের মধ্যে অত্যেন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বই হলো এই বইটি। এই বইয়ের মধ্যে স্যার সুন্নাত প্রতি ভালোবাসা এবং সুন্নাতই আমাদের লাগাম তা বুঝানোর জন্য খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। সুন্নাতের বাহিরে যেন আমাদের আমল না হয় এবং যেটুকুই আমল করিনা কেন? যেন সুন্নাত মোতাবিক আমল করে সাওয়াবের জন্য নিশ্চিত আশা রাখি তা বুঝানোর চেষ্ঠা করেছেন। বিভিন্ন বাহানার কারণে যেন সুন্নাত না ছেড়ে দেই। বরং সুন্নাতের বাহানায় যেন বাকি সব ছেড়ে দেই খুব সুন্দর করে বুঝিয়েছেন। আমার নিকট স্যারের এই বইটি বেস্ট অব বেস্ট মনে হয়। বইটি যেভাবেই পারেন প্রচার করুন। বইঃ এহইয়াউস সুনান লেখকঃ ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর বইটি ফ্রি ডাউনলোড করুন নিচের লিংক থেকেঃ http://assunnahtrust.com/site/wp-content/uploads/2012/02/Ehyaus-Sunan-.pdf কপি করেছি–Tareq Bin abdul Malik থেকে ।
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    5/13, 11:59pm

    Sogood Islam Syeds

    সাইফুল ইসলাম added 15 new photos.
    প্রতিদিনই নামাজ পড়ছি আমরা। কিন্তু নামাজে যা বলছি বা পড়ছি তার কিছুই হয়তো জানি না, অর্থ না জেনে তোতা পাখির বুলির মত আউড়ে যাচ্ছি! অর্থ না জানার ফলে আমরা কম বেশি সকলেই নামাযে সঠিকভাবে মনোনিবেশ করতে পারি না। অমনযোগী হলে নামাজের মাঝে আল্লাহর প্রতি বিনয়, শ্রদ্ধা, ভয়,আত্মসমর্পনই বা আসবে কিভাবে? অথচ আল্লাহ তা’লা বলেছেন – “দূর্ভোগ সে সকল নামাজীদের যারা তাদের নামাজ সম্পর্কে বেখবর এবং যারা লোক দেখানো নামাজ পড়ে।” (সূরা আল মা’ঊন: আয়াত ৪ – ৬) নামাজে মনোযোগ আনতে হলে অবশ্যই নামাজে কি কি বলছি বা পড়ছি, তার অর্থ ভাল ভাবে জানতে হবে, বুঝতে হবে। তাহলে চলুন, আমরা জেনে নেই নামাজের বাংলা অনুবাদ আর সঠিকভাবে মনোনিবেশ করি নামাজে। কোন ভুল-ভ্রান্তি হলে আল্লাহ তা’লা আমাকে ক্ষমা করুন। আল্লাহ আমাদের খাটিভাবে আত্ম-সমর্পন করে নামাজ পড়ার তওফিক দিন। আমিন। . – সৌজন্যে ইসলাম : সম্পূর্ণ জীবনবিধান
    সাইফুল ইসলাম
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 12:23am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • May 14
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 4:55am

    Sogood Islam Syeds

    আত তাহরীকের প্রশ্নোত্তর added a new photo.
    বইঃ কিতাবুত তাওহীদ, অধ্যায়ঃ ১ হতে ৬৭ তম অধ্যায়, অনুচ্ছেদঃ ৮ – ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ ৮ – ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজ ১। আবু বাসীর আনসারী রা. থেকে বর্ণিত আছে যে, তিনি একবার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সফর সঙ্গী ছিলেন। এ সফরে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একটি নির্দিষ্ট এলাকায় একজন দূত পাঠালেন। এর উদ্দেশ্য ছিল কোন উটের গলায় যেন ধনুকের কোন রজ্জু লটকানো না থাকে অথবা এ জাতীয় রজ্জু যেন কেটে ফেলা হয়। (বুখারি) ২। আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, ‘‘আমি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে একথা বলতে শুনেছি, أن الرقى والتمائم والتولة شرك (رواه أحمد وأبو داؤد) ‘‘ঝাড়-ফুঁক ও তাবিক- কবজ হচ্ছে শিরক’’ (আহমাদ, আবু দাউদ) ৩। আবদুল্লাহ বিন উকাইম থেকে মারফু’ হাদীসে বর্ণিত আছে, من تعلق شيئا وكل اليه (رواه أحمد والترمذي) ‘‘যে ব্যক্তি কোন জিনিস [অর্থাৎ তাবিজ- কবজ] লটকায় সে উক্ত জিনিসের দিকেই সমর্পিত হয়’’। [অর্থাৎ এর কুফল তার উপরই বর্তায়] (আহমাদ, তিরমিজি) تمائم বা তাবিজ হচ্ছে এমন জিনিস যা চোখ লাগা বা দৃষ্টি লাগা থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য সন্তানদের গায়ে ঝুলানো হয়। ঝুলন্ত জিনিসটি যদি কুরআনের অংশ হয় তাহলে সালাফে সালেহীনের কেউ কেউ এর অনুমতি দিয়েছেন। আবার কেউ কেউ অনুমতি দেননি বরং এটাকে শরীয়ত কর্তৃক নিষিদ্ধ বিষয় বলে গণ্য করতেন। ইবনে মাসউদ রা. এ অভিমতের পক্ষে রয়েছেন। আর رقى বা ঝাড়-ফুঁককে عزائم নামে অভিহিত করা হয়। যে সব ঝাড়-ফুঁক শিরক মুক্ত তা দলিলের মাধ্যমে খাস করা হয়েছে। তাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাললাম চোখের দৃষ্টি লাগা এবং সাপ বিচ্ছুর বিষের ব্যাপারে ঝাড়-ফুঁকের অনুমতি দিয়েছেন। تولة এমন জিনিস যা কবিরাজদের বানানো। তারা দাবী করে যে, এ জিনিস [কবজ] দ্বারা স্ত্রীর অন্তরে স্বামীর ভালবাসা আর স্বামীর অন্তরে স্ত্রীর ভালবাসার উদ্রেক হয়। সাহাবী রুআইফি থেকে ইমাম আহমাদ বর্ণনা করেন, তিনি [রুআইফি] বলেছেন, ‘‘রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, يا رويفع لعل الحياة تطول بك فاخبر الناس أن من عقد لحيته أو تقلد وترا أو استنجى برجيع فإن محمدا برئ عنه ‘‘হে রুআইফি, তোমার হায়াত সম্ভবত দীর্ঘ হবে। তুমি লোকজনকে জানিয়ে দিও, ‘‘যে ব্যক্তি দাড়িতে গিরা দিবে, অথবা গলায় তাবিজ- কবজ ঝুলাবে অথবা পশুর মল কিংবা হাড় দ্বারা এস্তেঞ্জা করবে, মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার জিম্মাদারী থেকে সম্পূর্ণ মুক্ত।’’ সাঈদ বিন জুবাইর থেকে বর্ণিত আছে, তিনি বলেন, من قطع تميمة من إنسان كان كعدل رقبة (رواه وكيع) ‘‘যে ব্যক্তি কোন মানুষের তাবিজ- কবজ ছিড়ে ফেলবে বা কেটে ফেলবে সে ব্যক্তি একটি গোলাম আযাদ করার মত কাজ করলো।’’ (ওয়াকী) ইবরাহীম থেকে বর্নিত হাদীসে তিনি বলেন, তাঁরা সব ধরনের তাবীজ- কবজ অপছন্দ করতেন, চাই তার উৎস কুরআন হোক বা অন্য কিছু হোক। এ অধ্যায় থেকে নিম্নোক্ত বিষয়গুলো জানা যায়ঃ ১। ঝাড়-ফুঁক ও তাবিজ-কবজের ব্যাখ্যা। ২। (تولة) ‘‘তাওলাহ’’ এর ব্যাখ্যা। ৩। কোন ব্যাতিক্রম ছাড়াই উপরোক্ত তিনটি বিষয় শিরক এর অন্তর্ভূক্ত। ৪। সত্যবাণী তথা কুরআনের সাহায্যে [চোখের] দৃষ্টি লাগা এবং সাপ বিচ্ছুর বিষ নিরাময়ের জন্য ঝাড়-ফুঁক করা শিরকের অন্তর্ভূক্ত নয়। ৫। তাবিজ- কবজ কুরআন থেকে হলে তা শিরক হওয়া না হওয়ার ব্যাপারে আলেমদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে। ৬। খারাপ দৃষ্টি থেকে বাঁচার জন্য পশুর রশি বা অন্য কিছু বুঝলানো শিরকের অন্তর্ভূক্ত। ৭। যে ব্যক্তি ধনুকের রজ্জু গলায় ঝুলায় তার উপর কঠিন অভিসম্পাত। ৮। কোন মানুষের তাবিজ- কবজ ছিড়ে ফেলা কিংবা কেটে ফেলার ফজিলত। ৯। ইবরাহীমের কথা পূর্বোক্ত মতভেদের বিরোধী নয়। কারণ এর দ্বারা আব্দুল্লাহর সঙ্গী- সাহাবীদেরকে বুঝানো হয়েছে। http://www.hadithbd. com/shareqa.php?qa=5084
    আত তাহরীকের প্রশ্নোত্তর
  • May 14
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 8:58am

    Sogood Islam Syeds

    যে ব্যক্তি এই দো’আটি সকালে সাতবার এবং সন্ধ্যায় সাতবার বলবে দুনিয়া ও আখেরাতের সকল চিন্তা-ভাবনার জন্য আল্লাহ তার জন্য যথেষ্ট হবেন – حَسْبِيَ اللّهُ لا إِلَـهَ إِلاَّ هُوَ عَلَيْهِ تَوَكَّلْتُ وَهُوَ رَبُّ الْعَرْشِ الْعَظِيمِ “আল্লাহই আমার জন্য যথেষ্ট, তিনি ব্যতীত আর কারো বন্দেগী নেই। আমি তাঁরই ভরসা করি এবং তিনিই মহান আরশের অধিপতি।”[ সূরা আত-তাওবাহ -১২৯] [আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ -২/৩৩২] উচ্চারণ- হাছবী আল্লাহু লা ইলাহা ইল্লা হুয়া আ’লাইহি তাওয়াক্কালতু ওয়া হুয়া রাব্বুল আরশীল আযীম
    QuranerAlo.com – কুর’আনের আলো
  • May 14
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 2:32pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্নঃ পুরুষ এবং মহিলারা যখন সালাত আদায় করে তখন আলাদা নিয়মে কেন আদায় করে? উত্তরঃ ডাঃ জাকির নায়েকঃ বাজারে অনেক বই পাবেন যেখানে সালাত আদায়ের বিভিন্ন নিয়ম-কানুন দেয়া আছে। বেশিরভাগ বইয়ে আলাদা একটি অধ্যায় থাকে যে, মহিলারা কিভাবে সালাত আদায় করবে এবং পুরুষরা কিভাবে সালাত আদায় করবে। আর সেখানে নিয়মগুলোও আলাদা। সত্যি বলতে এমন একটি সহীহও হাদীস খুজে পাবেন না; যেটা বলছে পুরুষরা মহিলাদের থেকে ভিন্ন নিয়মে সালাত আদায় করবে। এমন কোনো সহীহ হাদীস নেই। আর আপনারা যদি সহীহ বুখারী পড়েন এক নম্বর খন্ডে পাবেন, হযরত উম্মে দারদা (রা) তাশাহুদে বসেছিলেন পুরুষদের মতো করে। (সহীহ বুখারী) তিনি ছিলেন এমন একজন যিনি ধর্মীয় বিষয়ে যথষ্ট জ্ঞান রাখতেন, এরকম আরো অনেক সহীহ হাদীস আছে যেগুলোর বর্ণনা দিয়েছিলেন হযরত আয়েশা (রা) এবং নাবী (সা)-এর অন্যান্য স্ত্রীরা আর অন্য মহিলা সাহাবীরা। আল্লহ তাদের শান্তিতে রাখুন। আর এগুলোর উল্লেখ আছে সহীহ বুখারী ও সহীহ মুসলিম শরীফে। তবে তাদের কেউ বলেননি যে, পুরষদের এবং মহিলাদের সালাত আদায় করার নিয়ম একবারে আলাদা। উত্তরটা পরিস্কারভাবে আমার লেকচারে আগেও বলেছি যে নাবী (সা) বলেছেন, ইবাদত করো যেভাবে আমাকে ইবাদত করতে দেখো। (সহীহ বুখারী) তাহলে পুরষ এবং মহিলারা সালাত আদায় করবে একই রকম নিয়মে একই পদ্ধতিতে। আশা করি উত্তরটা পেয়েছেন।
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • May 14
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 8:52pm

    Sogood Islam Syeds

    আব্দুর রহমান সালাফি added a new photo.
    একটি অপব্যখ্যা ও তার জবাব ………. কিছু ভ্রান্ত হুজুর বলে থকেঃ সরব ও নীরব কোন নামাযেই ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে না। দলীল হিসাবে নিম্নের আয়াত ও কিছু হাদীছ পেশ করে । আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর এবং চুপ থাক। তোমাদের উপর রহম করা হবে’ (আ‘রাফ ২০৪) আরো বলা হয় যে, ছালাতে কুরআন পাঠ করার বিরুদ্ধেই উক্ত আয়াত নাযিল হয়। পর্যালোচনা : মূলতঃ উক্ত আয়াতে তাদের কোন দলীল নেই। বরং তারা অপব্যাখ্যা করে এর হুকুম লংঘন করে থাকে। কারণ কুরআন পাঠ করার সময় চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে বলা হয়েছে। কিন্তু যোহর ও আছরের ছালাতে এবং মাগরিবের শেষ রাক‘আতে ও এশার শেষ দুই রাক‘আতে ইমাম কুরআন পাঠ করেন না। অথচ তখনও তারা সূরা ফাতিহা পাঠ করে না। দ্বিতীয়তঃ সূরা ফাতিহা উক্ত হুকুমের অন্তরভুক্ত নয়। তাই উক্ত আয়াতের আমল বিদ্যমান। কারণ সূরা ফাতিহার পর ইমাম যা-ই তেলাওয়াত করুন মুক্তাদী তার সাথে পাঠ করে না, যদি ইমাম ছোট্ট কোন সূরাও পাঠ করেন। বরং মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করে থাকে। তাছাড়া উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর। আর তিনিই সূরা ফাতিহাকে এর হুকুম থেকে পৃথক করেছেন এবং চুপে চুপে পাঠ করতে বলেছেন। ( ছহীহ ইবনে হিব্বান হা/১৮৪১, তাহক্বীক্ব আলবানী, সনদ ছহীহ লিগায়রিহী; মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/২৮০৫। মুহাক্কিক হুসাইন সালীম আসাদ বলেন, এর সনদ জাইয়িদ। ) আর এটা আল্লাহর নির্দেশেই হয়েছে। ( নাজম ৩-৪; আবুদাঊদ হা/১৪৫ ) উল্লেখ্য যে, উক্ত আয়াতের হুকুম ব্যাপক। সর্বাবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ( মির‘আতুল মাফাতীহ ৩/১২৫ পৃঃ) তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলাও সূরা ফাতিহাকে কুরআন থেকে পৃথক করে উল্লেখ করেছেন। রাসূল (ছাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, আমি আপনাকে মাছানী থেকে সাতটি আয়াত এবং মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছি’ (সূরা হিজর ৮৭)। আপনারা খেয়াল করুন আল্লাহ এখানে সুরা ফাতিহা এবং আল কুরআন বলেছেন । দুটি এক জিনিস হলে কেন এখানে ” এবং” হল ??? সুতরাং সূরা ফাতিহা ও কুরআন পৃথক বিষয়। যেমন ভূমিকা মূল গ্রন্থ থেকে পৃথক। এটি কুরআনের ভূমিকা। ভূমিকা যেমন একটি গ্রন্থে’র অধ্যায় হতে পারে কিন্তু মূল অংশের অন-র্ভুক্ত হতে পারে না। তেমনি সূরা ফাতিহা কুরআনের ভূমিকা। আর ‘ফাতিহা’ অর্থও ভূমিকা। অতএব ক্বিরাআত বলতে সূরা ফাতিহা নয়। যেমন ইমাম বুখারী (রহঃ) পরিষ্কারভাবে দাবী করেছেন।( বুখারী, আল-ক্বিরাআতু খালফাল ইমাম, পৃঃ ২০ ) অনুরূপ ইবনুল মুনযিরও বলেছেন। ( ইবনুল মুনযির, আল-আওসাত্ব ৪/২২৪ পৃঃ হা/১২৭১) ভাইয়েরা আমার! কিভাবে উদ্ভট ব্যাখ্যা দেয়া হল তা কি লক্ষ্য করেছেন? মনে হচ্ছে, আয়াতটি ঐ অপব্যখ্যাকারিদের উপরই নাযিল হয়েছে (নাঊযুবিল্লাহ )। তা না হলে কুরআনের ব্যাখ্যা এভাবে কেউ দিতে পারেন? যেখানে শর্ত করা হয়েছে, কুরআন যখন তেলাওয়াত করা হবে তখন মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং চুপ থাকতে হবে। এর মধ্যে কিভাবে যোহর ও আছর ছালাত অন্তর্ভুক্ত হল? মূল কারণ হল, এই অপব্যাখ্যা ছাড়া তাদের জন্য অন্য কোন উপায় নেই। ইয়াযীদ ইবনু শারীক একদা ওমর (রাঃ)-কে ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি উত্তরে বললেন, তুমি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ কর। আমি বললাম, যদি আপনি ইমাম হোন? তিনি বললেন, আমিও যদি ইমাম হই। আমি পুনরায় বললাম, যদি আপনি জোরে ক্বিরাআত পাঠ করেন? তিনি বললেন, যদিও আমি জোরে ক্বিরআত পাঠ করি। ( বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৩০৪৭; সনদ ছহীহ) রাসূল (ছাঃ)-এর সহিহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমামের পিছনে মুক্তাদী শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। সুতরাং সেদিকেই ফিরে যেতে হবে। ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা ফরয। কারণ কেউ ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে তার ছালাত হবে না। উবাদা বিন ছামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করে না তার ছালাত হয় না’ – ( ছহীহ বুখারী হা/৭৫৬, ১/১০৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭২০, ২/১০৯ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯৫; ছহীহ মুসলিম ১/১৬৯ পৃঃ, মুসলিম হা/৯০০, ৯০১, ৯০২, ৯০৪, ৯০৬, ৯০৭ (ইফাবা হা/৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬২); মিশকাত পৃঃ ৭৮,হা/৮২২ ও ৮২৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৬৫, ৭৬৬, ২/২৭২ পৃঃ, ‘ছালাতে ক্বিরআত পাঠ করা’ অনুচ্ছেদ ) এই হাদিস ভালো করে লক্ষ্য করুন, উবাদাহ বিন সাবিত রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে আমরা ফজরের নামায পড়ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্বিরাআত পড়া তাঁর জন্য ভারী মনে হলো। সালাম ফিরানোর পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তোমরা মনে হয় তোমাদের ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পড়েছ”? তখন আমরা বললাম, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেন: “তোমরা ইমামের পিছনে কিছুই পড়বেনা সূরা ফাতিহা ব্যতিত। কেননা যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়বেনা তার নামায হবেনা”। [আবুদাউদ,হাদীস নং ৮২৩. তিরমিযী, হাদীস নং ৩১১] তাই ইমামের পিছনে সরব ও নিরব উভয় নামাযেই সুরা ফাতিহা পড়তেই হবে। এরপরও কেউ তা মানতে না চাইলে কিছু বলার নেই । [ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “আমার জীবনে তিনটি জিনিসের বড় ভয়। তার প্রথমটা হলো ‘আয়াম্যায়ে দোয়াল্লিন’ বা ভ্রান্ত হুজুর”। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীসটি সহীহ ] ~~ শেয়ার করুন ও সকলকে হক জানার সুযোগ দিন ~~ আপনার প্রচারের জন্য যদি ১ টি লোকও জানতে পেরে আমল করে তবে আপনারও সমান সাওয়াব হবে । – আব্দুর রহমান সালাফি https://www.facebook.com/AbdurRahmanSalafi
    আব্দুর রহমান সালাফি
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 8:59pm

    Sogood Islam Syeds

    আব্দুর রহমান সালাফি added a new photo.
    একটি অপব্যখ্যা ও তার জবাব ………. কিছু ভ্রান্ত হুজুর বলে থকেঃ সরব ও নীরব কোন নামাযেই ইমামের পিছনে সূরা ফাতিহা পড়া যাবে না। দলীল হিসাবে নিম্নের আয়াত ও কিছু হাদীছ পেশ করে । আল্লাহ বলেন, ‘আর যখন কুরআন তেলাওয়াত করা হয়, তখন তোমরা মনোযোগ সহকারে শ্রবণ কর এবং চুপ থাক। তোমাদের উপর রহম করা হবে’ (আ‘রাফ ২০৪) আরো বলা হয় যে, ছালাতে কুরআন পাঠ করার বিরুদ্ধেই উক্ত আয়াত নাযিল হয়। পর্যালোচনা : মূলতঃ উক্ত আয়াতে তাদের কোন দলীল নেই। বরং তারা অপব্যাখ্যা করে এর হুকুম লংঘন করে থাকে। কারণ কুরআন পাঠ করার সময় চুপ থেকে মনোযোগ দিয়ে শুনতে বলা হয়েছে। কিন্তু যোহর ও আছরের ছালাতে এবং মাগরিবের শেষ রাক‘আতে ও এশার শেষ দুই রাক‘আতে ইমাম কুরআন পাঠ করেন না। অথচ তখনও তারা সূরা ফাতিহা পাঠ করে না। দ্বিতীয়তঃ সূরা ফাতিহা উক্ত হুকুমের অন্তরভুক্ত নয়। তাই উক্ত আয়াতের আমল বিদ্যমান। কারণ সূরা ফাতিহার পর ইমাম যা-ই তেলাওয়াত করুন মুক্তাদী তার সাথে পাঠ করে না, যদি ইমাম ছোট্ট কোন সূরাও পাঠ করেন। বরং মনোযোগ দিয়ে শ্রবণ করে থাকে। তাছাড়া উক্ত আয়াত নাযিল হয়েছে মুহাম্মাদ (ছাঃ)-এর উপর। আর তিনিই সূরা ফাতিহাকে এর হুকুম থেকে পৃথক করেছেন এবং চুপে চুপে পাঠ করতে বলেছেন। ( ছহীহ ইবনে হিব্বান হা/১৮৪১, তাহক্বীক্ব আলবানী, সনদ ছহীহ লিগায়রিহী; মুসনাদে আবী ইয়ালা হা/২৮০৫। মুহাক্কিক হুসাইন সালীম আসাদ বলেন, এর সনদ জাইয়িদ। ) আর এটা আল্লাহর নির্দেশেই হয়েছে। ( নাজম ৩-৪; আবুদাঊদ হা/১৪৫ ) উল্লেখ্য যে, উক্ত আয়াতের হুকুম ব্যাপক। সর্বাবস্থায় কুরআন তেলাওয়াত মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে। ( মির‘আতুল মাফাতীহ ৩/১২৫ পৃঃ) তাছাড়া আল্লাহ তা‘আলাও সূরা ফাতিহাকে কুরআন থেকে পৃথক করে উল্লেখ করেছেন। রাসূল (ছাঃ)-কে লক্ষ্য করে বলেন, আমি আপনাকে মাছানী থেকে সাতটি আয়াত এবং মহাগ্রন্থ আল-কুরআন দান করেছি’ (সূরা হিজর ৮৭)। আপনারা খেয়াল করুন আল্লাহ এখানে সুরা ফাতিহা এবং আল কুরআন বলেছেন । দুটি এক জিনিস হলে কেন এখানে ” এবং” হল ??? সুতরাং সূরা ফাতিহা ও কুরআন পৃথক বিষয়। যেমন ভূমিকা মূল গ্রন্থ থেকে পৃথক। এটি কুরআনের ভূমিকা। ভূমিকা যেমন একটি গ্রন্থে’র অধ্যায় হতে পারে কিন্তু মূল অংশের অন-র্ভুক্ত হতে পারে না। তেমনি সূরা ফাতিহা কুরআনের ভূমিকা। আর ‘ফাতিহা’ অর্থও ভূমিকা। অতএব ক্বিরাআত বলতে সূরা ফাতিহা নয়। যেমন ইমাম বুখারী (রহঃ) পরিষ্কারভাবে দাবী করেছেন।( বুখারী, আল-ক্বিরাআতু খালফাল ইমাম, পৃঃ ২০ ) অনুরূপ ইবনুল মুনযিরও বলেছেন। ( ইবনুল মুনযির, আল-আওসাত্ব ৪/২২৪ পৃঃ হা/১২৭১) ভাইয়েরা আমার! কিভাবে উদ্ভট ব্যাখ্যা দেয়া হল তা কি লক্ষ্য করেছেন? মনে হচ্ছে, আয়াতটি ঐ অপব্যখ্যাকারিদের উপরই নাযিল হয়েছে (নাঊযুবিল্লাহ )। তা না হলে কুরআনের ব্যাখ্যা এভাবে কেউ দিতে পারেন? যেখানে শর্ত করা হয়েছে, কুরআন যখন তেলাওয়াত করা হবে তখন মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে এবং চুপ থাকতে হবে। এর মধ্যে কিভাবে যোহর ও আছর ছালাত অন্তর্ভুক্ত হল? মূল কারণ হল, এই অপব্যাখ্যা ছাড়া তাদের জন্য অন্য কোন উপায় নেই। ইয়াযীদ ইবনু শারীক একদা ওমর (রাঃ)-কে ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পাঠ করা সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেন। তিনি উত্তরে বললেন, তুমি শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ কর। আমি বললাম, যদি আপনি ইমাম হোন? তিনি বললেন, আমিও যদি ইমাম হই। আমি পুনরায় বললাম, যদি আপনি জোরে ক্বিরাআত পাঠ করেন? তিনি বললেন, যদিও আমি জোরে ক্বিরআত পাঠ করি। ( বায়হাক্বী, সুনানুল কুবরা হা/৩০৪৭; সনদ ছহীহ) রাসূল (ছাঃ)-এর সহিহ হাদীছ দ্বারা প্রমাণিত হয় যে, ইমামের পিছনে মুক্তাদী শুধু সূরা ফাতিহা পাঠ করবে। সুতরাং সেদিকেই ফিরে যেতে হবে। ইমাম ও মুক্তাদী সকলের জন্য সূরা ফাতিহা পাঠ করা ফরয। কারণ কেউ ছালাতে সূরা ফাতিহা পাঠ না করলে তার ছালাত হবে না। উবাদা বিন ছামেত (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পাঠ করে না তার ছালাত হয় না’ – ( ছহীহ বুখারী হা/৭৫৬, ১/১০৪ পৃঃ, (ইফাবা হা/৭২০, ২/১০৯ পৃঃ), ‘আযান’ অধ্যায়, অনুচ্ছেদ-৯৫; ছহীহ মুসলিম ১/১৬৯ পৃঃ, মুসলিম হা/৯০০, ৯০১, ৯০২, ৯০৪, ৯০৬, ৯০৭ (ইফাবা হা/৭৫৮, ৭৫৯, ৭৬০, ৭৬২); মিশকাত পৃঃ ৭৮,হা/৮২২ ও ৮২৩; বঙ্গানুবাদ মিশকাত হা/৭৬৫, ৭৬৬, ২/২৭২ পৃঃ, ‘ছালাতে ক্বিরআত পাঠ করা’ অনুচ্ছেদ ) এই হাদিস ভালো করে লক্ষ্য করুন, উবাদাহ বিন সাবিত রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের পিছনে আমরা ফজরের নামায পড়ছিলাম। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্বিরাআত পড়া তাঁর জন্য ভারী মনে হলো। সালাম ফিরানোর পর রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন: “তোমরা মনে হয় তোমাদের ইমামের পিছনে ক্বিরাআত পড়েছ”? তখন আমরা বললাম, হ্যাঁ ইয়া রাসূলাল্লাহ! তখন তিনি বললেন: “তোমরা ইমামের পিছনে কিছুই পড়বেনা সূরা ফাতিহা ব্যতিত। কেননা যে ব্যক্তি সূরা ফাতিহা পড়বেনা তার নামায হবেনা”। [আবুদাউদ,হাদীস নং ৮২৩. তিরমিযী, হাদীস নং ৩১১] তাই ইমামের পিছনে সরব ও নিরব উভয় নামাযেই সুরা ফাতিহা পড়তেই হবে। এরপরও কেউ তা মানতে না চাইলে কিছু বলার নেই । [ রাসুল (সাঃ) বলেছেন, “আমার জীবনে তিনটি জিনিসের বড় ভয়। তার প্রথমটা হলো ‘আয়াম্যায়ে দোয়াল্লিন’ বা ভ্রান্ত হুজুর”। -মুসনাদে আহমাদ, হাদীসটি সহীহ ] ~~ শেয়ার করুন ও সকলকে হক জানার সুযোগ দিন ~~ আপনার প্রচারের জন্য যদি ১ টি লোকও জানতে পেরে আমল করে তবে আপনারও সমান সাওয়াব হবে । – আব্দুর রহমান সালাফি https://www.facebook.com/AbdurRahmanSalafi
    আব্দুর রহমান সালাফি
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 9:55pm

    Sogood Islam Syeds

    M Towfiqur Rahman added a new photo.
    দয়া করে ছোট বেলায় মাদ্রাসা “মুখস্ত করা গতানুগতিক খুতবা” দেবেন না। . . গত দীর্ঘ বছরগুলো থেকে একই খুতবা। বিরক্তি ধরে গেছে খুতবার আর খতীবের উপর। সুযোগ মত দুয়েক লাইন কুরআন আর দু/তিনটি হাদীস সেট করেই সেই একই খুতবার ক্যাসেট। মেজাজ খারাপ করার ভাষাও যেন নিঃশেষ হতে চলেছে। মানুষের সামনে নিজের ইজ্জতকে বড় করতে গিয়ে খুতবার নামে প্রতারণা করা থেকে বিরত থাকুন। খুতবা আরবীতেই দিতে হবে, এমন কোন বিধিবদ্ধ কথা নেই। চেয়ে দেখুন, মাযহাবী ইমামের মতামতের দিকে। বরং খুতবা দিতে হবে স্থানীয় ভাষায়; এ মতটি প্রাধান্য পেয়েছে। তাই গোয়ারতুমি ঝেড়ে ফেলে মুসুল্লীদের অধিক কল্যান কামনার্থে খুতবা স্থানীয় ভাষায় দেয়ার ব্যবস্থা নিন। রাসূল সা. বলেছেন, খুতবা হবে স্বল্পাকার আর স্বলাত হবে দীর্ঘ; এটি ইমামের প্রজ্ঞার পরিচায়ক। তাই রাসুল সা. এর হাদীসের দিকে তাকান, আখেরাতের কথা ভাবুন-সহীহ দ্বীনের দিকে আসুন ফিরে যাই।
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 11:00pm

    Sogood Islam Syeds

    সিজদায়ে সহো (سجود السهو) তাশাহহুদ শেষে কেবল ডাইনে একটি সালাম দিয়ে দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ করে পুনরায় তাশাহ্হুদ ও দরূদ পড়ে দু’দিকে সালাম ফিরানোর প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তি নেই। [ভিত্তিহীন আমল থেকে ১০০০০০০০ মাইল দূরে থাকুন, নিরাপদ থাকুন] – – ছালাতে ভুলক্রমে কোন ‘ওয়াজিব’ তরক হয়ে গেলে শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে সালাম ফিরানোর পূর্বে ‘সিজদায়ে সহো’ দিতে হয়। রাক‘আতের গণনায় ভুল হ’লে বা সন্দেহ হ’লে বা কম বেশী হয়ে গেলে বা ১ম বৈঠকে না বসে দাঁড়িয়ে গেলে ইত্যাদি কারণে এবং মুক্তাদীগণের মাধ্যমে ভুল সংশোধিত হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ আবশ্যক হয়। শাওকানী বলেন, ওয়াজিব তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ ওয়াজিব হবে এবং সুন্নাত তরক হ’লে ‘সিজদায়ে সহো’ সুন্নাত হবে।[88] অতএব ছালাতে ক্বিরাআত ভুল হ’লে বা সের্রী ছালাতে ভুলবশত ক্বিরাআত জোরে বা তার বিপরীত হয়ে গেলে সহো সিজদার প্রয়োজন নেই। নিয়ম : (১) যদি ইমাম ছালাতরত অবস্থায় নিজের ভুল সম্পর্কে নিশ্চিত হন কিংবা সরবে ‘সুবহানাল্লাহ’ বলার মাধ্যমে লোকমা দিয়ে মুক্তাদীগণ ভুল ধরিয়ে দেন, তবে তিনি শেষ বৈঠকের তাশাহ্হুদ শেষে তাকবীর দিয়ে পরপর দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ দিবেন। অতঃপর সালাম ফিরাবেন।[89] (২) যদি রাক‘আত বেশী পড়ে সালাম ফিরিয়ে দেন, অতঃপর ভুল ধরা পড়ে, তখন (পূর্বের ন্যায় বসে) তাকবীর দিয়ে ‘সিজদায়ে সহো’ করে সালাম ফিরাবেন। [90] (৩) যদি রাক‘আত কম করে সালাম ফিরিয়ে দেন। তখন তাকবীর দিয়ে উঠে দাঁড়িয়ে বাকী ছালাত আদায় করবেন ও সালাম ফিরাবেন। অতঃপর (তাকবীর সহ) দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ দিয়ে পুনরায় সালাম ফিরাবেন।[91] (৪) ছালাতের কমবেশী যাই-ই হৌক সালামের আগে বা পরে দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ দিবেন।[92] মোট কথা ‘সিজদায়ে সহো’ সালামের পূর্বে ও পরে দু’ভাবেই জায়েয আছে। কিন্তু তাশাহহুদ শেষে কেবল ডাইনে একটি সালাম দিয়ে দু’টি ‘সিজদায়ে সহো’ করে পুনরায় তাশাহ্হুদ ও দরূদ পড়ে দু’দিকে সালাম ফিরানোর প্রচলিত প্রথার কোন ভিত্তি নেই। [93] সিজদায়ে সহো-র পরে ‘তাশাহ্হুদ’ পড়ার বিষয়ে ইমরান বিন হুছাইন (রাঃ) হ’তে যে হাদীছটি এসেছে, সেটি ‘যঈফ’।[94] তাছাড়া একই রাবী কর্তৃক বর্ণিত বুখারী ও মুসলিমের ছহীহ হাদীছের বিরোধী। কেননা সেখানে তাশাহ্হুদের কথা নেই।[95] ইমামের ভুল হ’লে পুরুষ মুক্তাদী সরবে ‘সুবহা-নাল্লা-হ’ বলে এবং মহিলা মুক্তাদী হাতের পিঠে হাত মেরে শব্দ করে ‘লোকমা’ দিবে (কুরতুবী)। [96] অর্থাৎ ভুল স্মরণ করিয়ে দিবে। এখানে নারী ও পুরুষের লোকমা দানের পৃথক পদ্ধতির কারণ হ’ল এই যে, নারীর কণ্ঠস্বরটাও লজ্জার অন্তর্ভুক্ত (لِأَنَّ صَوْتَهُنَّ عَوْرَةٌ)। যা প্রকাশ পেলে পুরুষের মধ্যে ফিৎনার সৃষ্টি হ’তে পারে। বস্ত্তত: একারণেই নারীদের উচ্চকণ্ঠে আযান দিতে নিষেধ করা হয়েছে।[97] [88] . শাওকানী, আস-সায়লুল জাররা-র (বৈরূত: দারুল কুতুবিল ইলমিয়াহ, তাবি) ১/২৭৪ পৃঃ। [89] . মুসলিম, মিশকাত হা/১০১৫; মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৮ ‘সহো’ অনুচ্ছেদ-২০। [90] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৬ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘সহো’ অনুচ্ছেদ-২০। [91] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৭ ; মুসলিম, মিশকাত হা/১০২১। [92] . মুসলিম হা/১২৮৭ (৫৭২), ‘সহো’ অনুচ্ছেদ-১৯; নায়লুল আওত্বার ৩/৪১১ পৃঃ। [93] . মির‘আতুল মাফাতীহ ২/৩২-৩৩ পৃঃ ; ঐ, ৩/৪০৭, হা/১০২৪-এর আলোচনা দ্রষ্টব্য। [94] . তিরমিযী, আবুদাঊদ, ইরওয়াউল গালীল হা/৪০৩, ২/১২৮-২৯ পৃঃ। [95] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১০১৭ ‘ছালাত’ অধ্যায়-৪, ‘সহো’ অনুচ্ছেদ-২০। [96] . মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/৯৮৮ ‘ছালাতে সিদ্ধ ও অসিদ্ধ কর্ম সমূহ’ অনুচ্ছেদ-১৯; মির‘আত ৩/৩৫৭। [97] . মির‘আত ৩/৩৫৭-৫৮; اَلْمَرْأَةُ عَوْرَةٌ তিরমিযী, মিশকাত হা/৩১০৯ ‘বিবাহ’ অধ্যায়-১৩; فَلاَ تَخْضَعْنَ بِالْقَوْلِ فَيَطْمَعَ الَّذِي فِي قَلْبِهِ مَرَضٌ… আহযাব ৩৩/৩২।
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    5/14, 11:14pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্নঃ নারী-পুরুষের ছালাতের মধ্যে কি কোন পার্থক্য আছে ?? নারী-পুরুষের ছালাতের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। তবে বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। ************************** বিবারণ:—— ছালাত আদায়ের ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে কোন পার্থক্য নেই। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেছেন, ‘তোমরা আমাকে যেভাবে ছালাত আদায় করতে দেখছ, সেভাবেই ছালাত আদায় কর’ (বুখারী, মিশকাত হা/৬৮৩)। তিনি নারী ও পুরুষের জন্য দু’বার দু’ভাবে ছালাত আদায় করেননি। বিশিষ্ট তাবেঈ ইবরাহীম নাখঈ বলেন, ‘পুরুষেরা ছালাতে যা করে নারীরাও তাই করবে (মুছান্নাফ ইবনু আবী শায়বাহ ১/৭৫ পৃঃ সনদ ছহীহ)। তবে বিশেষ কয়েকটি ক্ষেত্রে পার্থক্য রয়েছে। যেমন- (১) মহিলা ইমাম মহিলাদের সামনের কাতারের মাঝ বরাবর দাঁড়াবে (আবুদাঊদ, দারাকুৎনী, ইরওয়া হা/৪৯৩)। (২) ইমাম কোন ভুল করলে মহিলা মুক্তাদীগণ হাতে হাত মেরে আওয়ায করবেন (বুখারী, মুসলিম, মিশকাত হা/৯৮৮)। (৩) প্রাপ্ত বয়স্কা মহিলাগণ বড় চাদর দিয়ে পুরা দেহ না ঢাকলে তাদের ছালাত হবে না (আবুদাঊদ, তিরমিযী, মিশকাত হা/৭৬২-৬৩)। পুরুষের জন্য টাখনুর উপরে কাপড় থাকতে হবে (আবূদাঊদ, ইবনু মাজাহ, মিশকাত হা/৪৩৩১)। কিন্তু মহিলাগণ টাখনু ঢাকতে পারেন (তিরমিযী, আবূদাঊদ, মিশকাত হা/৪৩৩৪-৩৫)
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • May 15
  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 9:20am

    Sogood Islam Syeds

    বিতর ছালাতে কুনুত পড়া। – – কুনূত পড়ার ছহীহ নিয়ম : বিতরের কুনূত দুই নিয়মে পড়া যায়। শেষ রাক‘আতে ক্বিরাআত শেষ করে হাত বাঁধা অবস্থায় দু‘আয়ে কুনূত পড়া।[1] অথবা ক্বিরাআত শেষে হাত তুলে দু‘আয়ে কুনূত পড়া। রুকূর আগে বিতরের কুনূত পড়া সুন্নাত। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) রুকূর আগে বিতরের কুনূত পড়তেন। عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يُوْتِرُ بِثَلَاثِ رَكَعَاتٍ كَانَ يَقْرَأُ فِي الْأُولَى بِسَبِّحْ اسْمَ رَبِّكَ الْأَعْلَى وَفِي الثَّانِيَةِ بِقُلْ يَا أَيُّهَا الْكَافِرُوْنَ وَفِي الثَّالِثَةِ بِقُلْ هُوَ اللهُ أَحَدٌ وَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوْعِ فَإِذَا فَرَغَ قَالَ عِنْدَ فَرَاغِهِ سُبْحَانَ الْمَلِكِ الْقُدُّوْسِ ثَلَاثَ مَرَّاتٍ يُطِيْلُ فِيْ آخِرِهِنَّ. উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) তিন রাক‘আত বিতর ছালাত আদায় করতেন। প্রথম রাক‘আতে সূরা আ‘লা, দ্বিতীয় রাক‘আতে সূরা কাফেরূন এবং তৃতীয় রাক‘আতে সূরা ইখলাছ পাঠ করতেন। আর তিনি রুকূর পূর্বে কুনূত পড়তেন। যখন তিনি ছালাত থেকে অবসর হতেন তখন বলতেন, ‘সুবহা-নাল মালিকিল কুদ্দূস’। শেষের বারে টেনে বলতেন।[2] عَنْ أُبَيِّ بْنِ كَعْبٍ أَنَّ رَسُوْلَ اللهِ كَانَ يُوْتِرُ فَيَقْنُتُ قَبْلَ الرُّكُوْعِ. উবাই ইবনু কা‘ব (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (ছাঃ) যখন বিতর পড়তেন তখন রুকূর পূর্বে কুনূত পড়তেন।[3] আল্লামা ওবায়দুল্লাহ মুবারকপুরী আগে কুনূত পড়াকেই উত্তম বলেছেন।[4] তবে অনেক বিদ্বান রুকূর পরে পড়ার কথাও বলেছেন।[5] ———————————————– রেফারেন্সঃ [1]. আলবানী, ইরওয়াউল গালীল ২/৭১ পৃঃ, ২/১৮১ পৃঃ। [2]. নাসাঈ হা/১৬৯৯, ১/১৯১ পৃঃ, সনদ ছহীহ। [3]. ইবনু মাজাহ হা/১১৮২, পৃঃ ৮৩, সনদ ছহীহ; ইরওয়াউল গালীল হা/৪২৬। [4]. মির‘আতুল মাফাতীহ ৪/২৮৭ পৃঃ, হা/১২৮০-এর আলোচনা দ্রঃ- قلت: يجوز القنوت في الوتر قبل الركوع وبعده والأولى عندى أن يكون قبل الركوع لكثرة الأحاديث في ذلك وبعضها جيد الإسناد ولا حاجة إلى قياس قنوت الوتر على قنوت الصبح مع وجود الأحاديث المروية في الوتر من الطرق المصرحة بكون القنوت فيه قبل الركوع। [5]. আলবানী, ক্বিয়ামু রামাযান, পৃঃ ৩১।
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 9:32am

    Sogood Islam Syeds

    Hussian Bin Moazzem Polash added a new photo.
    [ শবে বরাত:প্রসঙ্গ ] সংকলক শায়েখ: আবু আহমাদ সাইফুদ্দীন বেলাল-মাদানী(হাফি:) ১. শবে বরাত আর্থ: শব ফার্সী শব্দ যার অর্থ রাত। আর বরাত শব্দ যদি ফার্সী ধরা হয়, তবে তার অর্থ-হিসসা ও পরিমাণ এবং নির্দেশ। আসলে খাজনা আদায়ের পরিমাণ ও নির্দেশের রাতকে ফার্সীতে শবে বরাত বলা হয়। এ ছাড়া বরাত শব্দটিকে আরবী বরাআতুন ধরা হলে তার অর্থ হবে সম্পর্কচ্ছেদ করা। যেমন আল্লাহ তা‘য়ালা সূরা বারাতে (তাওবাতে) বলেন:বারাআতুন মিনাল্লাহি ওয়ারাসূলিহী ইলাল্লাযীনা আহাত্তুম মিনালমুশরিকীন অর্থ: সম্পর্কচ্ছেদ করা হলো আল্লাহ ও তাঁর রসূলের পক্ষ থেকে সেই মুশরেকদের সাথে, যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে। [সূরা তাওবাহ:১] এ দ্বারা স্পষ্ট হলো যে, শবে বরাত অর্থ সম্পর্কচ্ছেদের রাত। আর এ রাতে যে সব বিদাতের পাহাড় গড়া হয়েছে তা দ্বারা আল্লাহর সাথে সম্পর্কচ্ছেদ ছাড়া অন্য কিছু ভাগ্যে জুটবে কী? আর যদি বরাত অর্থ নাজাত ও মুক্তি পাওয়া ধরা হয়, তবে সর্বপ্রকার শিরক মুক্ত ঈমান ও হিংসা মুক্ত পরিস্কার অন-র হওয়া জরুরি। আর এমটি প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার হয়ে থাকে। (ক) আবু সা‘লাবা আল-খুছানী [রা:] থেকে বর্ণিত, নবী [সা:] বলেন: যখন শা‘বানের মধ্য রাত হয় তখন আল্লাহ তাঁর সৃষ্টিরাজির প্রতি উঁকি দেন। অত:পর মুমিনদেরকে ক্ষমা করে দেন এবং কাফেরদেরকে ঢিল দেন। আর হিংসুকদের হিংসা বিদ্বেষ ত্যাগ না করা পর্যন- সুযোগ দেন। [হাদীসটি হাসান, সহীহুল জামে‘- আলবানী হা: ৭৮৩ ও সিলসিলা সহীহা-আলবানী হা: ১১৪৪] (খ) মু‘আয ইবনে জাবাল [রা:] থেকে বর্ণিত, নবী [সা:] বলেন:আল্লাহ তাঁর সমস- সৃষ্টির (মানুষের) প্রতি ১৫ শা‘বানের রাতে উঁকি দেন। অত:পর মুশরেক ও হিংসা- বিদ্বেষ পোষণকারী ছাড়া সকলকে ক্ষমা করে দেন। [হাদীসটি সহীহ লিগাইরিহী, সিলসিলা সহীহা- আলবানী: ৩/১৩৫-১৩৯ হা: ১১৪৪] (গ) আবু হুরাইরা [রা:] থেকে বর্ণিত, নবী [সা:] বলেন: প্রতি সোমবার ও বৃহস্পতিবার আমল (আল্লাহর নিকট) পেশ করা হয়। অত:পর আল্লাহ শিরককারী ব্যতিত সকল মানুষকে ক্ষমা করে দেন। কিন’ যাদের মাঝে হিংসা- বিদ্বেষ রয়েছে তাদেরকে ক্ষমা করেন না। বলা হয়: তাদের দুইজনের মধ্যে মীমাংসা হওয়া পর্যন- সুযোগ দাও। তাদের দুইজনের মাধ্যে মীমাংসা হওয়া পর্যন- সুযোগ দাও। [মুসলিম হা: ৪৬৫৩] আর বরাত অর্থ ভাগ্য তথা শবে বরাত মানে ভাগ্য রজনী বলার পক্ষে কোন সঠিক প্রমাণ নেই। এ ছাড়া ভাগ্য রজনীর আরবী শব্দ হলো: লাইলাতুল ক্বদর যা আমাদের রমজানের শেষ দশকে রয়েছে। তাই ভাগ্য রজনীর আরবী শব্দ লাইতুল ক্বদর ব্যবহার না করে ফার্সী বলার পেছনে রহস্য ও উদ্দেশ্য কী? আরো মনে রাখতে হবে যে, আমাদের দ্বীন আরবী অর্থাৎ- দ্বীনের মূল উৎস কুরআন ও হাদীস আরবী ভাষায়। অতএব, ঘরের শত্রু ইরানীদের ফার্সী শবে বরাত বলে দিচ্ছে যে, ডাল মে কুচ কালা হায়। আর শবে বরাতকে ভাগ্য রজনী প্রমাণ করার জন্য অপচেষ্টা করাও একটি বড় অপরাধ। ২. শবে বরাত কী? শবে বরাত বলতে আমাদের সমাজে মনে করা হয় যে: (ক) ইহা ভাগ্য রজনী ও ভাগ্য পরিবর্তনের রাত। (খ) ইহা সাধারণ ক্ষমার রাত্রি। (গ) এ রাতে কুরআন কারীম নাজিল হয়েছে। (ঘ) এ রাতে বয়স ও রিজিক বৃদ্ধি করা হয়। (ঙ) এ রাতে হায়াত ও মউত লেখা হয়। (চ) এ রাতে সমস- রুহগুলো জমিনে নেমে আসে। (ছ) এ দিনে ওহুদের যুদ্ধে কাফেররা নবী [সা:]-এর দাঁত মোবারক ভেঙ্গে দেয়। (জ) বিবিধ। ৩. শবে বরাতে যা করা হয়? (ক) সরকারী ছুটি ঘোষণা ও বিভিন্ন মিডিয়াতে বহুল প্রচার ও প্রসার। (খ) সরকারী ও বেসরকারীভাবে বিভিন্ন সেমিনার ও আলোচনা সভা এবং অনুষ্ঠান করা। (গ) গোসল করা ও নতুন পোশাক ও আতর ব্যবহার করা। (ঘ) সারা রাত ধরে একশ রাকাত সালাত আদায় ও দিনভরে রোজা রাখা। (ঙ) হালুয়া, রুটি, মাংস পাকানো। (চ) আগরবাতি, মোমবাতি জ্বালানো ও আলোকসজ্জা করা। (ছ) পটকা ফুটানো। (জ) কবর জিয়ারত করা। (ঝ) স্বামীর সাথে রুহানী সাক্ষাতের আশায় বিধবাদের সারা রাত বসে অপেক্ষা করা। (ঞ) মৃতদের জন্য দান-খয়রাত ও মোল্লা ভাড়া করে দোয়া করানো। (ট) গত এক বছরের মৃতদের পূর্বের মৃত্যু আত্মার সাথে রুহ মিলানো অনুষ্ঠান করা। ৪. এ সবের ভিত্তি কী? এ সবরে পেছনে কাজ করে ধর্মীয় অনুভূতি, বাতিল আকীদা, জাল ও দুর্বল হাদীস, মিথ্যা কেসসা-কহেনী এবং এক শ্রেণীর মোল্লাদের ধর্মের নামে পেট- পকেটের ব্যবসা। এ ছাড়া রয়েছে মতলববাজদের কুরআন ও সহীহ হাদীসের ইচ্ছামত অপব্যাখ্যা। ৫. শবে বরাত পালনের পক্ষে দলিল ও তার খণ্ডন: প্রথমত: শবে বরাতের রাত ও দিনের জন্য বিশেষ এবাদত নির্দিষ্ট করে তারা বেশ কিছু হাদীস উল্লেখ করে থাকে। এ সবই জাল অথবা অতি দুর্বল। যেমন: ১. আলী [রা:] থেকে বর্ণিত। যখন ১৫ শবা‘না হয় তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম কর ও দিনের রোজা রাখ। নিশ্চয় আল্লাহ তা‘য়ালা এ রাতে দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন। অত:পর বলেন: কেউ ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছ যাকে আমি ক্ষমা করে দেব। কেউ আছ রিজিক তালাশকারী যাকে আমি রিজিক দান করব। কেউ আছ অসুস’ যাকে সুস’তা দিব। কেউ এমন আছ, কেউ এমন আছ—-। এভাবে সারা রাত ফজর পর্যন-। [হাদীসটি জাল তাখরীজুল এহইয়া:১/৫৮২, আল-ইলালুল মুতানাহিয়া:২/৯২৩, মীজানুল ই‘তিদাল: ৪/৫০৪, য‘য়ীফ ইবনে মাজাহ: হা:১৩৮৮, সৌদি ফতোয়া বোর্ড:৩/৪২] ২. যে ব্যক্তি ঈদের দুই রাত এবং ১৫ শা‘বানের রাত জাগবে, যে দিন সবার অন-র মরে যাবে সে দিন তার অন-র মরবে না। [হাদীসটি মুনকার মুরসাল, মীজানুল ই‘তিদাল: ৩/৩৮০, কামেল: ৩/৯৯০২, আল-ইসাবাহ: ৩/২৯৭, উসদুল গাবাহ: ৪/২৩৫] ৩. যে ব্যক্তি ৫টি রাত জাগবে তার জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যাবে। রাতগুলো হলো: ৮ জিল হজ্বের তারবীয়ার রাত, আরাফাতের রাত, ঈদুল আজহা ও ঈদুল ফিতিরের রাত ও ১৫ শাবানের রাত। [হাদীসটি জাল, আত্তারগীব: ২/১৩১৫, সিলসিলা য‘য়ীফা:২/৫২২, স’উদি ফতোয়া বোর্ড:৩/৪২] ৪. ৫টি রাতে কোন দোয়া ফেরৎ দেয়া হয় না। রাতগুলো হচ্ছে: রজব মাসের প্রথম রাত, শা‘বানের ১৫ তারিখের রাত, জুমার দিনের রাত এবং ঈদুল ফিতির ও ঈদুল আজহার রাত। [হাদীসটি জাল, ফিরদাউসুল আখবার:২/২৭৯৭, আল-আরায়িশ: পৃ: ৮৪. সিলসিলা য‘য়ীফা:৩/১৪৫২, লাইলাতুন নিসফি মিন শা‘বান ওয়াফাযলুহা: পৃ:৮৩, ফাযায়িলুল আওক্ব-ত: পৃ:১৫০] ৫. যখন ১৫ শা‘বানের রাত হয় তখন একজন আহবানকারী ডাকতে থাকে। কেউ ক্ষমা প্রার্থী আছ আমি তাকে ক্ষমা করে দেব? কেউ যাচনাকারী আছ যাকে আমি দান করব? যে কেউ যা কিছু এ রাতে আল্লাহর নিকট চাইবে তিনি তাকে তা দেবেন। কিন’ যে ব্যভিচারিণী তার লজ্জাস’ান দ্বারা জেনা করে এবং মুশরিক ব্যতিত। [হাদীসটি দুর্বল, লাইলাতুন নিসফি মিন শা‘বান ওয়াফাযলুহা: পৃ:৬৬, শু‘য়াাবুল ঈমান:৭/৩৫৫৯, আল-মাওযু‘আতুল কুবরা:২/১৩০, তানজিহুশ শারী‘য়া:২/৯৩. আল-লালিল মাসনু‘য়া:২/৬০] ৬. আলী [রা:] থেকে বর্ণিত। শা‘বান মাসের ১৫ তারিখের রাতে ১০০ রাকাতের সালাত। যার প্রতি রাকাতে ১০বার করে সূরা এখলাস পাঠ করতে হবে। আর অন্য এক বর্ণনায় ১২ রাকাত সালাত। [হাদীস দুইটি জাল, আল-মানারুল মুনীফ: পৃ:৯৮-৯৯, আল-লালিল মাসনু‘য়া:২/৫৭, আল-আছারুল মারফু‘য়াহ: পৃ:৩২১, হিদায়াতুল হায়রান: পৃ:১৭-১৮] ৭. আয়েশা [রা:] হতে বর্ণিত। তিনি রসূলুল্লাহ [সা:]কে ১৫ শা‘বানের রাত্রিতে বিছানায় না পেয়ে তালাশ করার উদ্দেশ্যে বের হন। অত:পর তাঁকে মদীনার কবরস’ানে জিয়ারত অবস’ায় দেখেন।—-এরপর তিনি [সা:] ফিরে এসে আমার চাদরের ভিতরে প্রবেশ করেন। এ সময় আমাল বড় বড় শ্বাস পড়তে ছিল। অত:পর তিনি [সা:] বললেন: হুমাইরা কেন বড় বড় নি:শ্বাস?—— এরপর নবী [সা:] বললেন: এ কোন রাত তুমি জান কী? এ রাতে আল্লাহ শেষ আসমানে নেমে আসেন এবং বনি কালবের ছাগল-ভেড়ার চুল ও পশম পরিমাণ মানুষকে ক্ষমা করে দেন। [হাদীসটি অতি দুর্বল, আল-‘ইলালুল মুতানাহিয়া: প্র: ৬৮, য‘য়ীফুত তিরমিযী: হা: ১১৯, য‘য়ীফুল জামে‘ হা: ১৭৬১, হিদায়াতুল হায়রান: পৃ:১৯-২০, আর কিতাবু ইলমিল মানশুর এর লেখক বলেন: আয়েশা [রা:] থেকে বর্ণিত এ হাদীসটি জাল: পৃ:১৪৩-১৪৪ দ্র:] আর পূর্বে উল্লেখিত আবু ছা‘লাবা ও মু‘য়ায [রা:] হতে বর্ণিত সহীহ হাদীসদ্বয় দ্বারা ১৫ শা‘বানের ফজিলত প্রমাণিত সাব্যস- হলেও কোন বিশেষ আমল সুসাব্যস- হয়নি। তাই নিজেদের পক্ষ থেকে কোন এবাদত করা হবে বিদাত যা শরিয়তে সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ এবং ভ্রষ্টতার কাজ। নবী [সা:] বলেন: (ক) তোমরা দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু আবিস্কার করা থেকে দূরে থাক। কারণ দ্বীনের ভিতরে প্রতিটি নতুন আবিস্কার বিদাত। আর প্রতিটি বিদাত হলো ভ্রষ্টতা এবং প্রতিটি ভ্রষ্টতার পরিণাম হলো জাহান্নাম। [আবু দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ ও আহমাদ] (খ) যে আমাদের দ্বীনের মাঝে নতুন কিছু আবিস্কার করে যা তার অন-র্ভুক্ত না, তা পরিত্যাজ্য।” [বুখারী ও মুসলিম] (গ) যে কেউ যে কোন আমল করবে যা আমাদের দ্বীনের অন-র্ভুক্ত নয়, তা অগ্রহণযোগ্য। [মুসলিম] সময়ের ফজিলত ও আমলের ক্ষেত্রে তা ৩ প্রকার: এ ছাড়া আরো মনে রাখতে হবে যে, কোন সময়ের বিশেষ ফজিলত ও তাতে আমল করা না করা নিয়ে তা তিন প্রকার। যেমন: (১) যে সময়ের বিশেষ ফজিলত ও আমল সুসাব্যস-। যেমন লাইলাতুল কদরের রাত্রি। এ রাত্রির বিশেষ ফজিলত ও আমল সুসাব্যস-। নবী [সা:] তাঁর বাণী ও কাজ দ্বারা উম্মতকে এর প্রতি উৎসাহিত করেছেন। (২) যে সময়ের বিশেষ ফজিলত প্রমাণিত কিন’ কোন নির্দিষ্ট কোন আমল সাব্যস- না। যেমন ১৫ শা‘বানের রাত্রি। এ রাতের নবী [সা:] বিশেষ ফজিলত বর্ণনা করলেও কোন নির্দিষ্ট আমলের জন্য না তাঁর বাণী বা আমল দ্বারা এর প্রতি উৎসাহিত করেছেন। বরং এ রাত্রিতে শিরক ও হিংসা-বিদ্বেষ মুক্ত মুমিন- মুসলিমদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করে দিবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। বরং জুমার দিনের ফজিলত সুসাব্যস- হওয়ার পরেও নবী [সা:] সে দিনকে নির্দিষ্ট করে রাতে কিয়াম ও দিনে রোজা রাখতে নিষেধ করেছেন। অতএব, এ রাতে বা দিনে কোন বিশেষ এবাদত নির্দিষ্ট করা জঘন্য বিদাত। [আত্তাহযীর মিনাল বিদা‘-শাইখ বিন বাজ: পৃ:১৫-১৬ দ্র:] অতএব, মনে রাখতে হবে যে, শিরক হলো আল্লাহর সাথে সম্পর্ক বিচ্ছেদের কারণ এবং হিংসা-বিদ্বেষ হলো মানুষের সাথে সম্পর্কচ্ছেদের কারণ। এ দুইটি ত্যাগ করতে পারলেই এ রাতে নাজাত ও মুক্তির আশা করা যায়। এ ছাড়া বিদাত দ্বারা আল্লাহ ও মানুষের সাথে সম্পর্ক নষ্ট করা ব্যতিত অন্য কিছু হয় না। (৩) যে সময়ের বিশেষ কোন ফজিলত এবং নির্দিষ্ট কোন আমলও সাব্যস- না। যেমন মে‘রাজের রাত্রি। নবী [সা:] এ রাত্রের কোন ফজিলত বর্ণনা করেননি এবং কোন আমলও তাঁর বাণী বা কাজ দ্বারা উম্মতকে উৎসাহি করেননি। এ ছাড়া মধ্য শা‘বানে রোজা রাখার পক্ষে একটি সহীহ হাদীসও তারা বর্ণনা করে থাকেন। সেটি হলো: ইমরান ইবনে হুসাইন [রা:] থেকে বর্ণিত, নবী [সা:] তাকে বা অন্য এক ব্যক্তিকে বলেন:তুমি কি সারারে শা‘বানের রোজা রেখেছ? সে [রা:] বলল, না। তিনি [সা:] বললেন:“যখন তুমি (রমজানের) রোজা শেষ করবে তখন দুইটি রোজা রাখবে। [বুখারী মু‘য়াল্লাক:৭/১০২, মুসলিম: ৪/১৮১হা: ১৯৭৯] অন্য বর্ণনায় আছে:সে স’লে দুইটি রোজা রাখবে। [মুসলিম: হা: ১৯৮০] এ হাদীসে সারার শব্দটি সুরার ও সিরারও পড়া যায়। সারার শব্দটির ইমাম আওজা‘য়ী, আবু উবাইদ এবং ভাষাবিদ, হাদীসবিদ ও অপ্রসিদ্ধ শব্দবিদগণের অধিকাংশ উলামারা অর্থ করেছেন মাসের শেষাংস। তবে কিছু আলেমদের মতে এর অর্থ মাসের প্রথম বা মধ্যাংশ। সারার শব্দটি ‘ইসি-সরার’ শব্দ থেকে ব্যুৎপত্তি যার অর্থ গোপন হওয়া। মাসের শেষে চাঁদ গোপন থাকে বলে এ সময়টিকে সারার বলে। এ সাহাবীর মাসের শেষে দুইটি রোজা রাখা অভ্যাস ছিল। কিন’ যখন তিনি রমজানের পূর্বে দুই একটি রোজা রাখা নিষেধ শুনেছেন তখন তা ছেড়ে দিয়ে ছিলেন। তাই নবী [সা:] যখন জানতে পারলেন যে সে নিয়মিত রাখত তখন তাকে সেটি শাওয়াল মাসে কাজা করার নির্দেশ করেন। আর নিষেধ ঐ ব্যক্তির জন্য যে রামজানকে স্বাগত জানানোর জন্য এক দুইটা রাখে। [শারহুন নববী ‘আলা মুসলিম: ৪/১৮১, ফাতহুলবারী-ইবনে হাজার আসকালানী: ৬/২৬০] এ ছাড়া হাদীসে দুইটি রোজার কথা উল্লেখ হয়েছে। তাই একে আইয়ামে বীয তথা ১৩, ১৪ ও ১৫ তারিখ অথবা শুধুমাত্র ১৫ শা‘বানের রোজা রাখার পক্ষে প্রমাণ গ্রহণ করা হাদীস সম্মত নয়। দ্বিতীয়ত: কিছু তাবে‘য়ীদের আমল দ্বারা এর পক্ষে দলিল গ্রহণ করে থাকে তারা। যেমন: শামের খালেদ ইবনে মা‘দান, মাকহূল ও লোকমান ইবনে ‘আমের (রহ:)- এর আমল। এ ছাড়া কিছু ইসরাঈলী বর্ণনা দ্বারাও তারা দালিল গ্রহণ করে থাকে। এর কয়েকভাবে খণ্ডন: ১. ইসরাঈলী বর্ণনা আবার কবে হতে শরিয়তের মানদণ্ড হলো? ইহা তো শরিয়তে একেবারেই ভিত্তিহীন। আর বিশেষ করে বিপরীত হলে যা এখানে প্রযোজ্য। ২. আর তাবে‘য়ীদের আমলও কখন থেকে শরিয়তের দলিল হলো? এতো হলো যখন শরিয়তের পরিপন’ী না হবে। আর যদি বিপরীত হয় তবে তার অবস’া কি দাঁড়াই? সাহাবীর কথা দলিল হওয়া না হওয়া নিয়ে আহলে উসুল মতনৈক্য করেছেন। আর তাবে‘য়ীদের ইজমা‘ ছাড়া কারো একক মত দলিল না এ ব্যাপারে তো কোন দ্বিমতই নেই। আর সাহাবীর কথা বা কাজ যদি তাঁর বর্ণনার বিপরীত হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য নয়। ইহা অধিকাংশ ইমামদের মতামত। ৩. সে সময় শামের ঐ সব তাবে‘য়ীদের আমলের প্রতিবাদ করেছেন অধিকাংশ ওলামা কেরাম। যেমন: আতা, ইবনে আবি মুলাইকাহ, ইমাম মালেকের সাথীগণ। বরং হেজাজের অধিকাংশ তাবে‘য়ীগণ। তাঁরা ওদের কাজকে বিদাত গণনা করেছেন। আর তাঁরাই হলেন হারামাই শারীফাইনের অধিবাসী ও অহির অবতরণক্ষেত্র ও শরিয়ত নাজিলের স’ানের মানুষ। এ ছাড়া তাঁরা হলেন শরিয়ত সম্পর্কে আহলে শামের চাইতে অধিক জ্ঞানী ও সংখ্যায়ও বেশি। আর ইহা আহলে মাদীনার বিপরীত আমলও বটে। ৪. এ ছাড়া সালাফে সালেহীনের অধিকাংশ যাকে বিদাত গণনা করেছেন তাকে কিছু সংখ্যক মানুষের আমলের উপর ভিত্তি করে জায়েজ মনে করা সঠিক নয়। আর এ ছিল তাদের পক্ষ থেকে এক প্রকার ইজতিহাদ। তাই ভুল হলেও তাদের একটি সওয়াব রয়েছে। কিন’ যারা নিজেদের ব্যক্তি সার্থের জন্য তাদের ভুলের অনুসরণ করবে তাদের জন্য রয়েছে পাপ এতে কোন দ্বিমত নেই। অতএব, শবে বরাতের রাত জাগা পরিত্যাজ্য। নবী [সা:] বলেন:যে কেউ যে কোন আমল আমাদের দ্বীনের মাঝে করবে যার নির্দেশ নেই তা অগ্রহণযোগ্য। এই বর্ণনার পরেও কি তাদের কোন হুজ্জত-দলিল বাকি রইল। সুতরাং,সর্বপ্রকার কল্যাণ রয়েছে নবী [সা:]-এর হেদায়েত ও তাঁর সাহাবা কেরামে [রা:]-এর হেদায়েতের মধ্যে। ৫. ইমাম মাকদেসী (রহ:) বলেন: শা‘বানের ১৫ তারিখে সালাত আদায়ের বিদাতটি সর্বপ্রথম চালু করে ইবনে আবিল হামরা ৪৪৮ হিজরিতে। সে নাবলুস শহর থেকে এসে বায়তুল মাকদিসে সালাত আদায় করা শুরু করে। তার মিষ্টি সুরে কুরআন তেলাওয়াতে সাধারণ মানুষরা আকৃষ্ট হয়ে তার সাথে শরিক হয় সালাতে। ইবনুল আরাবী (রহ:) তাঁর গ্রন’ আরিযাতুল আহকামে বলেন: শা‘বানের ১৫ তালিখের ফজিলতে কোন হাদীস মিলে না যার প্রতি ভরসা করা চলে। আর গাজ্জালীর এহইয়াউল উলুম ও ইবনে আরাবী সূফীর কিতাব কুতূলকুলূব এ বর্ণিত হাদীস দ্বারা কেউ যেন ধোঁকায় না পড়ে। হাফেয ইরাকী (রহ:) বলেন: অর্ধেক শা‘বানের বর্ণিত হাদীস জাল। ইমাম নববী তাঁর কিতাব আল-মাজমূ‘তে বলেন: ১৫ শা‘বানে ১০০ রাকাত ও রজবের প্রথম জুমাতে মাগরিব ও এশার মাঝে ১২ রাকাতের সালাত ভ্রষ্ট বিদাত। আর গাজ্জালীর এহইয়াউল উলুম ও ইবনে আরাবী সূফীর কিতাব কুতুলকুলূব-এর দ্বারা কেউ যেন ধোঁকায় না পড়ে। তৃতীয়ত: শবে বরাতকে কুরআন নাজিল ও ভাগ্য রজনী এবং এ রাতে সমস- রুহ জমিনে অবতরণ করে ধারণা করা সবই মিথ্যা। এর পক্ষে যে সব দলিল গ্রহণ করে তা নিম্নরূপ: ১. আল্লাহর বাণী: আমি একে নাজিল করেছি এক বরকতময় রাতে, নিশ্চয় আমি সকতর্ককারী। এ রাতে প্রত্যেক প্রজ্ঞাপূর্ণ বিষয় সি’রকৃত হয়। [সূরা দুখান:৩-৪] তাদের ধারণা এ আয়াতে বর্ণিত বরকতময় রাত শবে বরাত। আর এর জন্য ইকরিমা হতে বর্ণিত দুর্বল বর্ণনাকে হাতিয়ার হিসেবে গ্রহণ করে থাকে যা সমস- সহীহ বর্ণনার বিপরীত। এ রাত যে লাইলাতুল কদরের রাত সে ব্যাপারে সকল প্রসিদ্ধ মুফাসসিরগণ ঐক্যমত পোষণ করেছেন। [তাফসীর তাবারী, কুরতুবী, ইবনে কাছীর ইত্যাদি দ্র:] এ ছাড়া যদি তর্কের খাতিরে কিছুক্ষণের জন্য ধরে নেয়া যায় যে, কুরআন শা‘বানের শবে বরতে নাজিল হয়েছে, তবে কুরআন যে রমজানে (সূরা বাকারা:১৮৫) লাইলাতুল কদরে (সূরাা কদর) নাজিল হয়েছে এর সম্পূর্ণ বিপরীত দাঁড়াই না কী? ইহা মেনে নিলে কুরআনের মাঝে বৈপরীত্য সাব্যস- হয় না কী? আর আল্লাহ বলেছেন: কুরআন যদি আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো নিকট হতে আসত, তবে তার মাঝে পৈরীত্য রইত। [সূরা নিসা:৮২] এর উত্তরে ওরা বলে, কুরআন দুই রাত্রিতে নাজিল হয়েছে, একবার লাইলাতুল কদরে আর দ্বিতীয়বার শবে বরাতে। এমনটিই যদি হয় তাহলে নবী [সা:] যেমন লাইলাতুল কদর পাওয়ার জন্য এতেকাফ ও এবাদত করেছেন সেরূপ শবে বরাতে করেননি কেন? এ দ্বারা প্রমাণিত হলো যে, সবকিছুই মন গড়া বাতিল অগ্রহণযোগ্য। তাই মতলব হাসিলের জন্য দুর্বল বর্ণনা ও নিজস্ব ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ দ্বারা কুরআনের তাফসীর করা একটি বড় ধরণের অপরাধ। ২. উল্লেখিত সূরা দুখানের আয়াত ও কিছু দুর্বল হাদীস দ্বারা শবে বরাত ভাগ্য রজনী তারা প্রমাণ করার অপচিষ্টা চালিয়ে থাকে। দুর্বল হাদীস দলিল হিসেবে গ্রহণযোগ্য নয়। এ ছাড়া ভাগ্য রজনী তো রমজানের শেষ দশকের বেজোড় রাতে রয়েছে। তাই লাইলাতুল কদর মানে ভাগ্য রজনী যা রমজানে ত্যাগ করে হুবহু আরবী শব্দের ফার্সী শবে বরাত যা শা‘বানে নাম দেয়া প্রমাণ করে ডাল মে কুচ কালা হায়। আর শবে বরাতে ভাগ্য লিখা হয় বা পরিবর্তন হয় ইত্যাদি ধারণা বাতিল আকীদা। কারণ, আসমান ও জমিন সৃষ্টির ৫০ হাজার পূর্বে ভাগ্য লেখা হয়েছে। [মুসলিম] আর পূর্ণ এক বছরের তফসিল যা ফেরেশতাদেরকে দেওয়া হয় তা লাইলাতুল কদরে শবে বরাতে নয়। এ ছাড়া শবে বরাতে নতুন কাপড় পরে, ভাল খানাপিনা পানাহার করে ও আতর মেখে কারো ভাগ্য পরিবর্তন হয় ধারণা করা বাতিল আকীদা। আর এর দ্বারা কারো পরিবর্তন হতে দেখেছেন কী? আর যদি হত তাহলে এ রাতের পর আর কেউ গরিব ও অভাবী থাকত না? ৩. শবে বরাতে সমস- রুহগুলো জমিনে নেমে আসার পক্ষে সূরা কদরের আয়াত তানাজ্জালুল মালায়িকাতু ওয়াররুহ কে তারা দলিল গ্রহণ করে। নি:সন্দেহে ইহা অজ্ঞতা ও অপচেষ্টা ছাড়া আর কিছুই না। কারণ, এখানে রুহ অর্থ জিবরাঈল [আ:] যা সমস- তাফসীর গ্রনে’ লিপিবদ্ধ। আর রুহ একবচন যার অর্থ একটি রুহ। তাই সকল রুহ অর্থ হলে রুহ-এর বহুবচন আরওয়াহ্ হওয়া উচিত ছিল যা এ আয়াতে নেই। এ ছাড়া রুহ জমিনে নেমে আসে তা বাতিল আকীদা। কারণ মুমিনদের রহুগুলো জান্নাতের ইল্লি‘য়ীনে এবং অন্যান্যদের রুহগুলো থাকে জাহান্নামের সিজ্জীনে অবস’ান করে। আর পুনরুত্থান পর্যন- সবাই বারযাখী জীবনে সেখানেই থাকবে। [সূরা আল-মুমিনূন:১০০] এ ছাড়া রুহগুলোকে স্বাগত জনানোর জন্য আগরবাতি, মোমবাতি জ্বালানো এবং আলকসজ্জা ও পটকা ফুটানো সবই অগ্নিপূজক ও হিন্দুদের দেয়ালী পূজার সদৃশ। আর এ রাতে জটা ও ঘটা করে কবর জিয়ারত করা বিদাতী কবর জিয়ারতের অন-র্ভুক্ত এবং নবী [সা:]-এর আমলের বিপরীত। কারণ তিনি অধিক সংখ্যক একাকী কবর জিয়ারত করতেন যা সহীহ হাদীস দ্বারা প্রমাণিত। [মুসলিম:৫/১০১ হা:১৬১৮] । ছাড়া এ রাতে কবর জিয়ারতের পক্ষে আয়েশা [রা:] থেকে পূর্বে উল্লেখিত হাদীস অতি দুর্বল। আর মেনে নিলেও তা ছিল একাকী জটা ও ঘটা এবং মোল্লা ভাড়া করে দল বেধে নয়। চতুর্থত: নবী [সা:]-এর ওহুদের যুদ্ধে দাঁত ভেঙ্গে যাওয়ার ফলে তিনি নরম খাদ্য হিসেবে হালুয়া খেয়েছিলেন বলে এ রাতে হালুয়া, রুটি ও মাংস খাওয়া হয় ও মৃত রুহের মাগফেরাতের জন্য বিতরণ করাও হয়। সীরাতে রাসূলের গ্রন’সমূহে নবী [সা:]-এর ওহুদের যুদ্ধ কখন ছিল? এ ছিল ৩য় হিজরি সালের ১১ শাওয়াল রোজ শনিবার সকালে। তাই একে শা‘বানের ১৫ তারিখে টেনে নিয়ে আসার মধ্যে উদ্দেশ্য কী? এ ছাড়া দাঁত ভাঙ্গা রোগীর জন্য হালুয়া উপযুক্ত খাদ্য হলেও রুটি এবং এর সাথে মাংস কি উপযুক্ত? আর সাহাবা কেরাম [রা:] নবীর যারা দাঁত ভেঙ্গে ছিল তাদের দাঁত ভেঙ্গেই ভালবাসা প্রমাণ করেছেন। কিন’ যারা হালুয়া এবং এর সাথে মজার রুটি ও মাংস খেয়ে নবীর ভালবাসা প্রকাশ করে তারা কে? মোট কথা এ সব বলে দিচ্ছে যে, সবকিছুর সম্পর্ক পেট ও পকেটের সাথে নবীর ভালবাসার সাথে নয়। আর দিন নির্দিষ্ট করে মৃতদের নামে দান-সদকা করাও শরিয়ত সম্মত নয় বরং বিদাত। তাই নবীর ভালবাসা ও মৃতদের নামে দান- খয়রাত দ্বারা নিজেদের পেট-পকেটের মতলব হাসিল করা ছাড়া অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে কী? মৃতদের কবরে সওয়াব পৌঁছানোর নামে নিজেদের পেটে হালুয়া, রুটি ও মাংস এবং পকেটে টাকা পৌঁছানোর ধান্দ্বাবাজি বন্ধ করেন দেখা যাবে শবে বরাত বন্ধ হয় কি না? পঞ্চমত: তাদের কিছু শংসয় ও তার খণ্ডন: ১. শংসয়: শবে বরাত বিষয়ে কোন সহীহ হাদীস না থাকলেও অনেক দুর্বল হাদীস তো আছে। আর ফজিলতে দুর্বল হাদীসের আমল চলে। খণ্ডন: দ্বীনের মাঝের সমস- এবাদত মওকুফ তথা কুরআন ও বিশুদ্ধ হাদীসের উপর নির্ভরশীল। তাই কোন বিশুদ্ধ বিশ্বস- দলিল ছাড়া কোন আমল গ্রহণযোগ্য নয়। আর ফজিলতেও দুর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য না হলো সঠিত মত। কারণ, আল্লাহ ও তাঁর রসূল এবং দ্বীন কী দুর্বল এবং অন্যে মুখাপেক্ষী? না কক্ষনো না। এ ছাড়া যারা ফজিলতে দুর্বল হাদীস গ্রহণযোগ্য মত দিয়েছেন তারা এর জন্য বিশেষ শর্ত করেছেন। যেমন: (ক) এর মূল ভিত্তি কুরআন ও সহীহ হাদীস দ্বারা হতে হবে। (খ) এ যেন কোন আকীদা বা হালাল-হারাম ও এবাদতের ক্ষেত্রে না হয়। (গ) কঠিন দুর্বল যেন না হয়। (ঘ) আমলের সময় নবীর সুন্নত মনে করে আমল না করে। (ঙ) জন সাধারণের সামনে যেন আমল না করে। (চ) এর আমল সব সময় যেন না করে। আর শবে বরাত ও অন্যান্য বিদাতে তারা এসব শর্তকে উপেক্ষা করে ইচ্ছামত অতি দুর্বল ও জাল সবই তারা চালিয়ে থাকে। আর নবীর সুন্নত মনে করেই আমল করে থাকে। ২. শংসয়: বিদাত দুই প্রকার: বিদাত হাসানাহ ও বিদাত সায়্যিয়াহ। খণ্ডন: নবী [সা:] বলেছেন প্রতিটি বিদাত ভ্রষ্ট আর ভ্রষ্টতার ঠিকানা জাহান্নাম। আর তারা বলে, কিছু ভাল বিদাত আছে এতো নবীর কথার সম্পূর্ণ বিপরীত। যদি বলা হয়: প্রতিটি মানুষ মরণশীল, তবে কি বলবেন কিছু মানুষ মরণশীল নয় আর কিছু মরণশীল? যে সব জিনিসকে তারা ভাল বিদাত বলছে, হয়তো মূলত সেগুলো বিদাত নয়। যেমন: দুনিয়ার আধুনিক যুগের বিভিন্ন ধরণের মাধ্যম ও পদ্ধতি। অথবা সেগুলো দ্বীনেরই অন-র্ভুক্ত কিন’ তারা দ্বীনের বাইরের নির্ধারণ করে বিদাত সাব্যস- করে নব আবিস্কৃত বিদাতের পক্ষে দলিল গ্রহণ করে। যেমন: রমজানে রাত্রের নামাজ জামাত করে পড়া নবী [সা:]-এর আমল দ্বারা প্রমাণিত। এরপর উমার [রা:] শুধুমাত্র নতুন করে তা চালু করেন। এ ছাড়া বিদাতকে দুইভাগে ভাগ করাটাও একটি বিদাত। ৩. শংসয়: বিদাত হলে কী এতো অধিক মানুষ করত। খণ্ডন: শরিয়তের বিধিবিধানের দলিল অধিক সংখ্যা দ্বারা হয় না। বরং এর জন্য প্রয়োজন কুরআন অথবা বিশুদ্ধ হাদীস। আর সংখ্যা বেশি তো বাতিলের আলামত এবং কম সংখ্যাই সত্যের লক্ষণ যা কুরআন ও সুন্নাহ দ্বারা প্রমাণিত। শবে বরাতকে কেন্দ্র করে যে সব বিদাত ও বাতিল আকীদা: ১. শবে বরাতকে ভাগ্য রজনী মনে করা। ২. এ রাতে কুরআন নাজিল হয়েছে ধারণা করা। ৩. এ রাতে আল্লাহ সাধারণ ক্ষমা করেন আকীদা পোষণ করা। ৪. এ রাতে বয়স ও রিজিক নির্ধারণ করা হয় মনে করা। ৫. এ রাতে ভাগ্য পরিবর্তন হয় বিশ্বাস করা। ৬. এ রাতকে লাইলাতুল কদরের সম মানের এ আকীদা রাখা। ৭. এ রাতকে লাইলাতুল কদরের চাইতেও বেশি প্রাধান্য দেওয়া। ৮. এ রাতে জটা-ঘটা করে কবর জিয়ারত করা। ৯. এ রাতে নির্দিষ্ট করে মৃতদের নামে বিশেষভাবে দান-খয়রাত করা। ১০. এ রাতে হালুয়া, রুটি ও মাসং পাকানো। ১১. এ রাতে আগরবাতি, মোমবাতি জ্বালানো এবং আলোকসজ্জা করা। ১২. এ রাতে গোসল করা এবং নতুন কাপড় পরে সারারাত নামাজ পড়া। ১৩. এ রাতের দিনে রোজা রাখা। ১৪. এ রাতে বিভিন্ন ধরণের অনুষ্ঠান করা। ১৫. এ রাতে বিধবাদের স্বামীর প্রিয় খানা পাকিয়ে তা সামনে করে রাতভর রুহানী সাক্ষাতের আশায় বসে বসে অপেক্ষা করা। ১৬. গত এক বছরে মৃত মানুষের রুহগুলোর আগের রুহের সাথে মিলানো অনুষ্ঠান করা। ১৭. এ রাতে সূরা দুখান পাঠকারীর জন্য সারা দিন ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করবে মনে করে তা পাঠ করা। [জাল হাদীস] ১৮. এ রাতে সূরা ইয়াসীন তিনবার পাঠ করা। প্রথমবার বয়স বৃদ্ধির জন্য, দ্বিতীয়বার বালা-মসিবত দূর করার জন্য এবং তৃতীয়বার কোন মানুষেরমুখাপেক্ষীর না হওয়ার জন্য। ১৯. এ রাতে জমজমের পানি অন্যান্য দিনের চেয়ে বৃদ্ধি পায় ধারণা করা। ২০. এ রাতে শিয়া-রাফেযীদের মিথ্যা কল্পিত ইমাম মাহদীর জন্ম দিবস পালন করা। ২১. বিবিধ। শবে বরাতের মূল রহস্য দুইটি: (এক) শিয়া-রাফেযীদের বাতিল আকীদা যে, তাদের ১২তম ইমাম মাহদীর জন্ম হয়েছে ১৫ শা‘বানে। তিনি এখন আত্মগোপন করে আছেন। তাদের কল্পিত ইমামের ১৫ শা‘বানে জন্ম বলেই এ রাত নিয়ে এতো ওস-াদের বাড়াবাড়ি এবং সূফী ছাত্রদের ছড়াছড়ি। শিয়ারা এ রাতে তাদের ইমামকে আহবানের উদ্দেশ্যে পত্র লেখে তা সাগরে, নদীতে, কূপে, জঙ্গলে, গুহাতে ও মরুভূমিতে নিক্ষেপ করে থাকে। আর বলে: আমাতের প্রতি সুন্নী মুসলমানরা জুলুম করছে আপনি তাড়াতাড়ি বের হয়ে তার প্রতিশোধ গ্রহণ করুন এবং আমাদেরকে মুক্তি করুন—। (দুই) পেট ও পকেটের ধান্দ্ববাজদের ধর্মের নামে জমজমাট ব্যবসা। যে ব্যবসায় লাগে না কোন পুঁজি, লাগে না লাইসেন্স। আর নাই কোন চাঁদাবাজদর চাঁদাবাজি এবং নাই কোন নোকসান শুধু লাভ আর লাভ। ইহা বন্ধ করে দেন সবকিছু বন্ধ হয়ে যাবে। আমাদেরকে কিছু বলতে হবে না বরং তারাই বন্ধ করে দেবে বলে আমাদের বিশ্বাস। চলবে
    Hussian Bin Moazzem Polash
  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 9:33am

    Sogood Islam Syeds

    আহলে হাদীছ অসম added a new photo.
    বিদ’আতী নবী (সাঃ) এর হাওযে কাওসারের পানি পান করা হতে বঞ্চিত হবে : আবু হাসেম হতে বর্ণিত , তিনি বলেন আমি সাহালকে বলতে শুনেছি তিনি রাসূল (সাঃ) কে বলতে শুনেছেন , “আমি তোমাদের পূর্বেই হাওযে কাওসারের নিকট পৌঁছে যাব । যে ব্যক্তি সেখানে নামবে এবং তার পানি পান করবে সে আর কখনও পিপাসিত হবে না । কতিপয় লোক আমার নিকট আসতে চাইবে , আমি তাদেরকে চিনি আর তারাও আমাকে চেনে । অতঃপর আমার ও তাদের মধ্যে পর্দা পড়ে যাবে । রাসূল (সাঃ) বলবেন : তারা তো আমার উম্মাতের অন্তর্ভুক্ত । তাকে বলা হবে আপনি জানেন না আপনার পরে তারা কি আমল করেছে । তখন যে ব্যক্তি আমার পরে (দ্বীনকে) পরিবর্তন করেছে তাকে আমি বলবো : দূর হয়ে যা , দূর হয়ে যা” সহীহ মুসলিম হা/৪২৪৩ । বিদ’আতী অভিশপ্ত : কারণ রাসূল (সাঃ) বলেছেন : “যে ব্যক্তি দ্বীনের মধ্যে নতুন কিছু আবিস্কার করবে বা কোন নবাবিস্কারকারীকে আশ্রয় দিবে তার উপর আল্লাহ এবং সকল ফেরেশতা ও মানুষের অভিশাপ ।” বুখারী , কিতাবুল জিযিয়াহ , হা/৩১৮০ ।
    আহলে হাদীছ অসম
  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 10:03am

    Sogood Islam Syeds

    fm wap irc by saiful Islam … হিদায়াহ! হানফি মাযহাব!

    (নোট: আমার বিশ্বাস! নিচের এই কথাগুলি ইমাম আবু হানীফাহ(র:) নামে মিথ্যা বানানো হয়েছে, তাই সকলে এই মাযহাব থেকে তাওবাহ করুন! এবং কুরঅান ও সুন্নাহের দিকে ফিরে আসুন!।

    -রমযান মাসে রোযার অবস্থায় যদি কেউ মল দ্বারে সঙ্গম করে তবে ইমাম আবূ হানিফার মতে কাফ্ফারা ওয়াজিব হবেনা। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ২১৯ পৃঃ) ০৭) কেউ যদি ‘বিসমিল্লাহ’ বলে কুকুর যবেহ করে তার মাংস বাজারে বিক্রয় করে তবে অবশ্যই তা জায়েয হবে। (শারহে বেকায়া ১ম খন্ড) ০৮) গম, যব, মধু, জোয়ার হতে যে মদ প্রস্তুত করা হয় তা ইমাম আবূ হানিফা’র মতে পান করা হালাল এবং এই সকল মদ পানকারী লোকের নেশা হলেও হদ (শাস্তি) দেয়া হবে না। (হিদায়ার মোস্তফায়ী ছাপা ২য় খন্ড ৪৮১ পৃঃ) ০৯) আঙ্গুলি ও স্ত্রীলোকের স্তন মল-মূত্র দ্বারা নাপাক হয়ে গেলে, তিনবার জিবদিয়ে চেটে দিলেই পাক হয়ে যাবে। (দুররে মোখতারের ৩৬ পৃষ্ঠায় বাবুল আনজাসে দেখুন) ১০) যদি কেউ তার পিতার কৃতদাসীর সাথে সহবাস (যৌন মিলন) করে তবে কোন শাস্তি নাই। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৫১৫ পৃঃ) ১১) কোন স্ত্রীর স্বামী মারা গেলে এবং মারা যাওয়ার দুই বৎসর পর সেই স্ত্রীর সন্তান হলে, তবে সেই সন্তান তার মৃত স্বামীরই হবে। (হিদায়া ১৪০১ হিঃ আশরাফী হিন্দ চাপা ১ম খন্ড ৩৩১ পৃঃ) ১২) স্বামী প্রবাসে রয়েছে, সুদীর্ঘকাল অতীত হয়েছে বহু বছর ধরে স্বামী ফিরেনি এই দিকে স্ত্রীর পুত্র সন্তান জন্ম হয়েছে তাহলেও এই ছেলে হারামী বা জারজ হবে না সেই স্বামীরই ঔরসজাত হবে। (বেহেস্তি জেওর ৪র্থ খন্ড ৪৪পৃঃ) ১৩) আবূ বকর বিন ইসকান বলেন, যদি কোন ব্যক্তি কারো মাল চুরি ডাকাতি করে নিয়ে এসে চিবিয়ে চিবিয়ে খায় তাহলে ইমাম আবূ হানিফার মতে হালাল হবে। (কাজি খাঁ ৪র্থ খন্ড ৩৪৩ পৃঃ) ১৪) পিতার পে পুত্রের দাসীর সঙ্গে যৌন মিলন করা সর্বাবস্থায় হালাল। আরো যুক্তি দর্শান হয়েছে দাসী হচ্ছে পূত্রের সম্পদ আর পুত্রের সম্পদে পিতা পূত্র উভয় ব্যক্তিরই হক আছে। ফলে একই নারী দ্বারা উভয় নরের যৌন ক্ষুধা মিটানো হালাল। (নুরুল আনওয়ার ৩০৪পৃঃ) ১৫) কুরআন ও সহীহ হাদীসের স্পষ্ট বিরোধী মাসআলাহ- চার মাযহাব চার ফরয। হানাফী, শাফেঈ, মালেকী ও হাম্বলী এই চার মাযহাব। (বেহেস্তি জেওর স্ত্রী শিা ১০৪ পৃঃ দ্রঃ, আলহাজ্জ মৌলভী আব্দুর রহীম। কুরআন মঞ্জিল লইব্রেরী-বরিশাল) ১৬) যদ

  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 10:06am

  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 10:06am

  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 10:07am

  • May 15
  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 2:20pm

    Sogood Islam Syeds

    তাবলীগ জামাতের কিতাব ফাজায়েলে আমলে কবরের আযাব সম্পর্কে কুরআন ও হাদীস বিরোধী আজগুবি কিসসা-কাহিনীঃ ‘’একজন স্ত্রীলোকের মৃত্যু হইয়াছিল। তাহার ভাই দাফনের কাজে শরীক ছিল। ঘটনাক্রমে দাফনের সময় তাহার টাকার থলি কবরে পড়িয়া যায়। তখন খেয়াল হয় নাই। কিন্তু পরে যখন খেয়াল হইল, তখন তাহার খুব আফসোস হইল। চুপে পুপে কবর খুলিয়া উহা বাহির করিতে এরাদা করিল। অতঃপর যখন কবর খুলিল তখন কবর আগুনে পরিপূর্ণ ছিল। সে কাঁদিতে কাঁদিতে মায়ের নিকট আসিল এবং অবস্থা বর্ণনা করিয়া কারন জিজ্ঞাসা করিল। মা, বলিলেন, সে নামাজে অলসতা করিত এবং কাজা করিয়া দিত’’ ফাজায়েলে আমল; ফাজায়েলে নামাজ; মুহাম্মাদ জাকারিয়া ছাহেব কান্ধলভি; অনুবাদক- মুফতি মুহাম্মাদ উবাইদুল্লাহ; নজরে ছানী ও সম্পাদনা হাফেজ মাওলানা মুহাম্মাদ যুবায়ের ছাহেব ও মাওলানা রবিউল হক ছাহেব; কাকরাইল মসজিদ, ঢাকা। উপরোক্ত গল্পের মাধ্যমে আমরা দু’টি বিষয় বুঝতে পারিঃ # কবরে আযাব হয়। # কবরের আযাব মানুষ দেখতে পায়। কবরের আযাব কুরআন ও হাদিস দ্বারা সন্দেহাতীতভাবে প্রমানিত সত্য। কবরের আযাব সম্পর্কে রাসুল (সাঃ) আমাদেরকে বহু বিষয় জানিয়ে গেছেন। যাই হোক, আমাদের আলোচনার মুল বিষয় রাসুল (সাঃ) ছাড়া কবরের আযাব, যা গায়েবী বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত তা অন্য কেউ দেখেছেন কি না? কবরের আযাব গায়েবের বিষয়ঃ যদি কবরের আযাব প্রকাশ্যে হত, তাহলে তার প্রতি ঈমান আনয়নের কোন বিশেষত্ব থাকতো না। কেননা দৃশ্যমান কোন জিনিসকে সাধারনত প্রত্যাখ্যান করা হয় না। যেমন মহান আল্লাহ্‌ তায়ালা বলেনঃ ‘’অতঃপর যখন তারা আমার শাস্তি প্রত্যক্ষ করল, তখন বলল, আমরা এক আল্লাহ্‌র প্রতি ঈমান আনলাম এবং আমরা তাঁর সঙ্গে যাদেরকে শরীক করতাম, তাঁদেরকে প্রত্যাখ্যান করলাম’’ (মুমিনঃ ৮৪) সুতরাং মানুষ যদি দাফনকৃতদের দেখতে ও তাদের চিৎকার শুনতে পেত, তখন তারা অবশ্যই ঈমান আনত। কবরের আযাব গায়েবী বিষয়ের অন্তর্ভুক্ত। কত মানুষ কবরে আযাব ভোগ করে, কিন্তু আমরা তা অনুভব করতে পারি না। অনুরুপ কত কবরবাসীর জন্য জান্নাতের দরজা খুলে দেয়া হয়, তারা ভোগ করে অফুরন্ত সুখ-শান্তি। অথচ আমরা তা জানতে বা অনুধাবন করতে পারি না। তা কেবল আল্লাহ্‌ জানেন। এবং আল্লাহ্‌ তায়ালা ওয়াহীর মাধ্যমে রাসুল (সাঃ)-কে কবরের আযাব ও সুখ-শান্তির কথা জানিয়েছেন। কবরের আযাব, তার নেয়ামত সম্পর্কে অনেক হাদীস বর্ণিত আছে। সুতরাং তার প্রতি যথাযথভাবে বিশ্বাস স্থাপন করা আবশ্যক। তবে কবরের শাস্তি ও নেয়ামতের প্রকৃতি ও স্বরূপ সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে যা বর্ণিত হয়েছে তার চেয়ে বেশি কিছু আমরা জানি না। রাসুল (সাঃ)-কে আল্লাহ্‌ তায়ালা কবরের আযাব দেখিয়েছেন এবং রাসুল (সাঃ) ছাড়া অন্য কেউ কবরের আযাব দেখেননিঃ আনাস ইবন মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’বান্দাহকে যখন তার কবরে রাখা হয় এবং তাঁকে পিছনে রেখে তার সাথীরা চলে যায় (এতটুকু দূরে যে), তখনও সে তাদের জুতার শব্দ শুনতে পায়। এমন সময় দু’জন ফেরেশতা তার নিকট এসে তাকে বসিয়ে দেন। অতঃপর তাঁরা প্রশ্ন করেন মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে তুমি কি বলতে? তখন মুমিন ব্যাক্তি বলবে, আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, তিনি আল্লাহ্‌র বান্দাহ এবং তাঁর রাসুল। তখন তাঁকে বলা হবে, জাহান্নামে তোমার অবস্থানের জায়গাটি দেখে নাও, যার পরিবর্তে আল্লাহ্‌ তায়ালা তোমার জন্য জান্নাতে একটি স্থান নির্ধারণ করেছেন। নাবী (সাঃ) বলেন, তখন সে দুটি স্থানের দিকেই দৃষ্টি দিবে। আর কাফির বা মুনাফিক ব্যাক্তিকে যখন প্রশ্ন করা হবে, তুমি এই ব্যাক্তি অর্থাৎ মুহাম্মাদ (সাঃ) সম্পর্কে কি বলতে? সে উত্তরে বলবেঃ আমি জানি না, লোকেরা যা বলত আমি তাই বলতাম। তখন তাঁকে বলা হবেঃ তুমি না নিজে জেনেছ, না তিলাওয়াত করে শিখেছ। অতঃপর তার দু’ কানের মাঝখানে লোহার মুগুর দ্বারা এমনভাবে আঘাত করা হবে, যার ফলে সে এমন বিকট চিৎকার করে উঠবে যে, তার আশেপাশের সকলেই তা শুনতে পাবে, মানুষ ও জ্বিন ছাড়া’’ (বুখারী ১৩৩৮, ১৩৭) এমনকি সাহাবীরা পর্যন্ত কবরের আযাব দেখেননিঃ জাবির ইবন আবদুল্লাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, সা’দ ইবন মুয়ায (রাঃ) যখন মৃত্যুবরণ করেন, আমরা রাসুল (সাঃ)-এর সাথে তাঁর জানাযায় হাজির হলাম। জানাযা পড়ার পর সা’দ (রাঃ)-কে যখন কবরে রাখা হল ও মাটি সমান করে দেয়া হল, তখন রাসুল (সাঃ) সেখানে দীর্ঘ সময় আল্লাহ্‌র তাসবীহ পাঠ করলেন, আমরাও দীর্ঘ তাঁর সাথে তাসবীহ পাঠ করলাম। অতঃপর তিনি তাকবীর বললেন। আমরাও তাঁর সাথে তাকবীর বললাম। এ সময় রাসুল (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হলঃ হে আল্লাহ্‌র রাসুল (সাঃ)! কেন আপনি এরুপ তাসবীহ ও তাকবীর বললেন? তিনি বললেনঃ তাঁর কবর অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল; অতএব আমি এরুপ করলাম, এতে আল্লাহ্‌ তাঁর কবরকে প্রশস্ত করে দিলেন’’ (আহমাদ; মিশকাত হাদীস নঃ ১৩৫; ইরওয়াউল গালীল ৩/১৬৬; সনদ সহীহ) ইবন আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী (সাঃ) এমন দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন, যে কবর দু’টিতে শাস্তি দেয়া হচ্ছিল। তখন তিনি বললেনঃ ‘’এ দু’ব্যাক্তিকে কবরে শাস্তি দেয়া হচ্ছে। অথচ বড় কোন পাপের জন্য তাদেরকে শাস্তি দেয়া হচ্ছে না। তাদের একজন পেশাব থেকে সতর্কতা অবলম্বন করত না, আর অপরজন চোগলখোরী করে বেড়াত’’ (বুখারী ২১৬, ১৩৬১) কবরের আযাব যদি মানুষ দেখতে পেত তাহলে কেউ দাফন কর্মে উপস্থিত হত নাঃ যায়িদ বিন সাবিত (রাঃ) হতে বর্ণিত। রাসুল (সাঃ) বলেছেনঃ ‘’এ উম্মাতকে তাদের কবরের মধ্যে পরীক্ষা করা হবে। তোমরা মৃত ব্যাক্তিকে দাফন করা বর্জন করবে, এ আশংকা না হলে আমি আল্লাহ্‌র নিকট দু’আ করতাম যেন তিনি তোমাদেরকে কবরের আযাব শুনান যা আমি শুনতে পাচ্ছি’’ (মুসলিম ৭১০৫, ৭১০৬) হে আমার মুসলিম ভাই! এখন তুমি চিন্তা করে দেখ, তাবলীগ জামাতের কিতাবে কিভাবে কুরআন ও হাদীস বিরোধী ভ্রান্ত আকিদাহ পেশ করা হচ্ছে! আল্লাহ্‌ আমাদেরকে কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী সঠিক আকিদাহ পোষণ করার তৌফিক দান করুন।
    Salah Ahmed
  • May 15
  • Sogood Islam Syeds
    5/15, 9:23pm

    Sogood Islam Syeds

    তিরমিযী ও ইবনে মাজাহতে বর্ণিত শবে বরাতের (জাল/জয়ীফ) হাদীসঃ আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষের আরবী বোঝার ক্ষমতা নাই, আর কুরআন-হাদীস সব হলো আরবীতে। তাই শরীয়ত জানার জন্য আমরা বেদাতীদের অনুবাদ করা (কুরআন, বুখারী, তিরমিযী ইত্যাদির অনুবাদ) বা লেখা বইগুলোই (বেহেশতি যেওর, মকসুদুল মুমিনিন, ফাযায়েলে আমল, নেওয়ামুল কুরআন সহ অন্যান্য বেদাতি বই পুস্তক) পড়ি। কিন্তু, আপনি যদি কানা হন তাহলে বেদাতীরা আপনাকে কুঁড়েঘর দেখিয়ে হাইকোর্ট বলে চালিয়ে দেবে, আর আপনি অন্ধ বিশ্বাসে সেটাকেই মেনে নিবেন – এটাই সত্যি। চলুন আজকে আমরা এমন একটা ঘটনা দেখি, যেখানে বেদাতী হুজুরের হাদীসের নামে প্রতারণা করে শবে বরাতের রাতে হালুয়া-রুটি খাওয়ার ধর্ম চালু করেছে। শবে বরাত নিয়ে তিরমিযীতে একটি হাদীস বর্ণিত হয়েছে, আর হাদীসটি একই সনদে ইবনে মাজাহ সহ আরো দুই-একটা হাদীস গ্রন্থে বর্ণিত হয়েছে। হাদীসটি হচ্ছে, মা আয়েশা (রাঃ) বলেন, একবার আমি রাতের বেলায় রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে খুঁজে পাচ্ছিলাম না। অনেক খোঁজাখুঁজির পর হঠাত্‍ আমি দেখতে পেলাম যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ‘বাকী’ নামক কবরস্থানে অবস্থান করছেন। আমাকে দেখেই তিনি বললেন, হে আয়েশা! তুমি কি আল্লাহ ও রাসুলের পক্ষ থেকে তোমার উপর কোন জুলুমের আশংকা করছ? আমি আরয করলাম, ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ)! আমি ধারণা করেছিলাম যে, আপনি হয়তো আপনার কোন বিবির ঘরে তাশরীফ নিয়েছেন। অতঃপর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেন যে, আল্লাহ তায়ালা ১৫ই শাবানের রজনীতে দুনিয়ার আসমানে (অর্থাত্‍ ১ম আসমানে) অবতরণ করেন এবং বনী ক্বালব নামক গোত্রের বকরীসমূহের পশমের চাইতেও বেশি সংখ্যক মানুষকে ক্ষমা করে দেন। এখানে দেখা যাচ্ছে যে, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) শবে বরাতের রাতে কবর জিয়ারত করছেন আর এর ফযীলতের কথা বলছেন (আসলে বলেন নি, হাদীসটি জয়ীফ), তাহলে অনেকেই কেনো শবে বরাত পালন করাকেত বেদাত বলছেন? এবারতো আপনি পুরাই হতভম্ব, কার কথা বিশ্বাস করবেন? সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরেকটু যাচাই করুন। ইমাম তিরমিযী (রহঃ) তার হাদীসের গ্রন্থে যে জায়গায় হাদীসটি বর্ণনা করেছেন ঠিক তার নিচে নিজেই হাদীসটি সম্পর্কে মন্তব্য লিখেছেন, “আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত এই হাদীস আমি এই সনদ ছাড়া অন্য কোনো সূত্রের কথা জানিনা। এই হাদীসটি আমি হাজ্জাজ বিন আরকার কাছ থেকে, হাজ্জাজ ইহইয়া ইবনে কাসীর থেকে, ইহইয়া উওরওয়া থেকে, উরওয়া আয়িশাহ থেকে), এই সনদে জেনেছি। আমি মুহাম্মাদকে (ইমাম বুখারী রহঃ কে যিনি তার ওস্তাদ ছিলেন) এই হাদীসটি সম্পর্কে জিজ্ঞাস করেছিলাম। তিনি এই হাদীসকে জয়ীফ (দুর্বল) বলতেন। এই হাদীসটি দুর্বল এই কারণে যে, এই হাদীস ইহইয়া বিন কাসীর উরওয়া থেকে বর্ণনা করেছেন কিন্তু ইহইয়া উরওয়া থেকে এই হাদীস শুনেননি।” এখানে ইমাম বুখারী বলতে চাচ্ছেন, দুই জন বর্ণনাকারী রাবীর মাঝে বিচ্ছিন্নতা আছে অর্থাৎ ইহইয়া উরওয়ার কাছ থেকে সরাসরি শুনেননি, মাঝখানে অন্য আরেকজন আছে যার নাম সনদে উল্লেখ করা হয় নি। এই ধরণের হাদীসকে ‘মুনকাতা’ (সূত্র বিচ্ছিন্ন) বলা হয় যার কারণে হাদীসটি ‘জয়ীফ’ বলে গণ্য হয়। হাদীস মুনকাতা হলে সমস্যা হলো, মাঝখানে একজন অজ্ঞাত রাবী আছে, হতে পারে সে মুনাফেক, ধর্মের শত্রু, মিথ্যুক বা জাল হাদীস প্রচারকারী অথবা সে সত্যবাদী। এই সন্দেহের জন্য হাদীসটি জয়ীফ, আর সন্দেহযুক্ত জিনিস শরীয়তে দলীল হিসেবে গ্রহণযোগ্য হয় না। এছাড়া হাদীসটি জয়ীফ হওয়ার দ্বিতীয় কারণ হচ্ছে, হাজ্জাজ ইহইয়ার কাছ থেকেও সরাসরি শুনেননি। তৃতীয় কারণ, মুহাদ্দিসদের (হাদীস বিশেষজ্ঞ) নিকট হাজ্জাজ হাদীস বর্ণনাকারী হিসেবে নিজেই জয়ীফ, তাই তার বর্ণিত হাদীসও জয়ীফ। সুতরাং, শবে বরাতের রাতে কবর জিয়ারত একটি ভিত্তিহীন আমল – কারণ এর পক্ষে সহীহ কোন হাদীসের দলীল পাওয়া যায়না। দেশি মাওলানাদের মিথ্যাচার ও ভন্ডামী প্রসঙ্গেঃ ‘মীনা বুক হাউস’ থেকে প্রকাশিত তিরমিযীর অনুবাদে শুধু হাদীসটা কোট করা হয়েছে, কিন্তু ইমাম তিরমিযী ও ইমাম বুখারী যে হাদীসটিকে জয়ীফ বলে যে আলোচনা করেছেন, সেই অংশটুকু গায়েব করে দিয়েছে। কারণ, সেই অংশ অনুবাদ করলে সাধারণ মানুষ জেনে যাবে, শবে বরাত সম্পর্কিত এই হাদীস সহীহ না, সুতরাং হালুয়া রুটি খাওয়া ধর্ম হতে পারেনা। আর এইরকম প্রতারণার অনুবাদ পড়ে জামাতুল আসাদ ওরফে “জামাতুল ফাসাদ” এর মতো মুফতিরা এই হাদীস বর্ণনা করে শবে বরাতের বেদাত প্রচার করছে। দেশের অন্য একটি প্রকাশনী, তাওহীদ পাবলিকেশানের অনুবাদে পুরোটা আরবীসহ বাংলা অনুবাদ করা হয়েছে। শবে বরাতের ২য় হাদীস নিয়ে মিথ্যাচারঃ শবে বরাত সম্পর্কে আরেকটা (জাল) হাদীস খুব বেশি প্রচার করে বিদাতপন্থীরা। আলী (রা:) বলেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ইরশাদ করেছেন, যখন শাবানের ১৫ তারিখ আগমন করে, সে দিন তোমরা রোযা পালন কর এবং রজনীতে আল্লাহর ইবাদতে দন্ডায়মান থাক। কেননা, উক্ত দিবসে সূর্যাস্তের পর মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন দুনিয়ার আসমানে অবতরণ করেন এবং জগতবাসীকে ডেকে বলেন, হে মানব জাতি! কেউ কি আছ তোমাদের মধ্যে ক্ষমা প্রার্থী? আমি তাকে ক্ষমা করে দেব। ওহে আছ কি তোমাদের কেউ অভাবী? আমি তার অভাব পূরণ করব। আছ কি কেউ বিপদগ্রস্থ? আমি তোমাদের বিপদ মুক্ত করব। আছ কি কেউ এই সমস্যায়? এমনি ভাবে সুবহে সাদিক পর্যন্ত ডাকতে থাকবেন । এই হাদীস বর্ণিত হয়েছে ইবনে মাজাহ ও মিশকাতে ১৩০৮ নাম্বার হাদীস। উল্লেখ্য, ইবনে মাজাতে বহু জয়ীফ হাদীসতো রয়েছে এমনকি কয়েক ডজন জাল হাদীসও রয়েছে আর এই হাদীসও জাল হাদীসের অন্তর্ভুক্ত। এই হাদীস হচ্ছে জাল (মানুষের বানানো কথা নবীর নামে চালানো হয়েছে)। কারণ এই হাদীস বর্ণনাকারীর একজন ইবন আবি বাসরাহ, যার সম্পর্ক ইমাম আহমাদ ও ইমাম ইবনে মাঈন বলেন, “ইবনে আবি বাসরাহ হাদীস জাল করতো।” এখন পছন্দ আপনার, বিদাতী হুজুদের প্রচার করি মিথ্যুকদের জাল হাদীস মেনে নিয়ে শবে বরাত উদযাপন করবেন নাকি বিদাতী আমল থেকে বিরত থেকে নবী (সাঃ) এর প্রতি আনুগত্য প্রদর্শন করবেন। ইমাম ইবনে আল-জাওযী আলাদা একটা বই লিখেছেন, সমস্ত জাল হাদীসগুলোকে একত্রিত করে “আল মাওজুয়াত” নামে। আর সেই বইয়ে (২/১২৭) তিনি ইবনে মাজাহর বর্ণিত এই জাল হাদীসকে জাল বলে উল্লেখ করেছেন। এছাড়া এই হাদীসকে জাল বলেছেন, ইমাম ইবনে কাইয়্যিম তার আল-মানার আল-মুনীফ ফিল সহীহ ওয়াল জয়ীফ (পৃষ্ঠা ৯৮), ইমাম শওকানী তার আল-ফাওয়ায়েদ আল-মাজমুয়াতে (পৃষ্ঠা ৫১)। যেহেতু আমাদের দেশের মাওলানাদের সহীহ জয়ীফ নিয়ে কোনো পড়াশোনা নাই তাই এই সমস্ত জাল জয়ীফ হাদীস একটা কিছু পেলেই হলো, সুন্নতী আমলগুলো বাদ দিয়ে বেদাতকে প্রতিষ্ঠা করতে তারা উঠে পড়ে লেগে যায়। কিন্তু যিলহজ্জ মাসের প্রথম ১০ দিনের ইবাদত নিয়ে তাদেরকে এতো উচঁাচ্চ করতে দেখা যায়না, অথচ কুরআন হাদীসে এই দিনগুলোর ইবাদত নিয়ে কত ফযীলতের কথা বর্ণিত হয়েছে। বিঃদ্রঃ বিস্তারিত জানতে আরো দেখুন ও পড়ুন – http://islamqa.info/en/ref/154850 http://www.youtube.com/watch?v=YMDtVNoKd2Y
    তোমরা তোমাদের পালনকর্তার অভিমূখী হও এবং তাঁর আজ্ঞাবহ হও
  • May 16
  • Sogood Islam Syeds
    5/16, 1:31am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • May 16
  • Sogood Islam Syeds
    5/16, 3:30pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রশ্নোত্তর | ১] এগারো মাসে নামায পড়ে না। রমযান এলে রোযা রাখে ও নামায পড়ে। এমন লোকের রোযা কবুল হবে কি? ২] রোযার উপর নামাযের প্রভাব আছে কি? ৩] তাঁরা রোযা রেখে (জান্নাতের) ‘রাইয়ান’ গেটে প্রবেশকারীদের সঙ্গে প্রবেশ করবে না কি? ৪] এক রমযান থেকে ওপর রমযান মধ্যবর্তী সকল গোনাহকে মোচন করে দেয়।’—এ কথা ঠিক নয় কি? জবাব বেনামাযীর রোযা কবুল হবে না। যেহেতু নামায ইসলামের খুঁটি, যা ব্যতিরেকে ইসলাম প্রতিষ্ঠিত হতে পারে না। পরন্ত বেনামাযী কাফের ও ইসলামের মিল্লাত থেকে বহির্ভূত। রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, “মানুষ ও কুফুরীর মধ্যে (পর্দা) হল, নামায ত্যাগ করা।” (মুসলিম) তিনি আরো বলেছেন, “যে চুক্তি আমাদের ও তাঁদের (কাফেরদের) মধ্যে বিদ্যমান, তা হচ্ছে নামায (পড়া)। অতএব যে নামায ত্যাগ করবে, সে নিশ্চয় কাফের হয়ে যাবে।” (তিরমিযী) শাক্বীক ইবনে আব্দুল্লাহ তাঁবেঈ (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, “মুহাম্মাদ (সঃ) এর সহচরবৃন্দ নামায ছাড়া অন্য কোন আমল ত্যাগ করাকে কুফরীমূলক কাজ বলে মনে করতেন না।” (তিরমিযী) (ফাতাওয়া ইবনে উষাইমীন ২/৬৮৭) আর কাফেরের নিকট থেকে আল্লাহ রোযা, সাদকা, হজ্জ এবং অন্যান্য কোনও নেক আমল কবুল করেন না। যেহেতু আল্লাহ পাক বলেন, “ওদের অর্থ সাহায্য গৃহীত হতে কোন বাধা ছিল না। তবে বাধা এই ছিল যে, ওরা আল্লাহ ও তাদীয় রাসুলকে অস্বীকার (কুফরী) করে এবং নামাযে আলস্যের সঙ্গে উপস্থিত হয়। আর অনিচ্ছাকৃতভাবে অর্থদান করে।” (সূরা তাওবা ৫৪ আয়াত) সুতরাং যদি কেউ রোযা রাখে এবং নামায না পড়ে, তাহলে তাঁর রোযা বাতিল ও অশুদ্ধ। আল্লাহ্‌র নিকট তা কোন উপকারে আসবে না এবং তা তাকে আল্লাহ্‌র সান্নিধ্য দান করেতেও পারবে না। আর আর তাঁর অমূলক ধারনা যে, “এক রমযান থেকে অপর রমযান মধ্যবর্তী পাঁচ ওয়াক্ত নামায, জুমআহ থেকে জুমআহ এবং রমযান থেকে রমযান; এর মধ্যবর্তী সকল গোনাহকে মোচন করে দেয়— যতক্ষণ পর্যন্ত কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকা হয়।” (মুসলিম, মিশকাত ৫৬৪ নং) সুতরাং রমযান থেকে রমযানের মধ্যবর্তী পাপসমূহ মোচন হওয়ার জন্য মহানবী (সঃ) শর্তারোপ করেছেন যে, কাবীরা গোনাহসমূহ থেকে দূরে থাকতে হবে। কিন্তু সে তো নামাযই পড়ে না, আর রোযা রাখে। যাতে সে কাবীরা গোনাহ থেকে দূরে থাকতে পারে না। যেহেতু নামায ত্যাগ করার চেয়ে অধিক বড় কাবীরা গোনাহর কাজ আর কি আছে? বরং নামায ত্যাগ করা তো কুফরী। তাহলে কি করে সম্ভব যে, রোযা তাঁর পাপ মোচন করবে? সুতরাং নিজ প্রভুর কাছে তাঁর জন্য তওবা (অনুশোচনার সাথে প্রত্যাবর্তন) করা ওয়াজেব। আল্লাহ যে তাঁর উপর নামায ফরয করেছেন, তা পালন করে তারপর রোযা রাখা উচিৎ। যেহেতু নবী (সঃ) মু’আয (রাঃ) কে ইয়ামান প্রেরণকালে বলেছিলেন, “ওদেরকে তোমার প্রথম দাওয়াত যেন ‘আল্লাহ ছাড়া কোন সত্য উপাস্য নেই এবং মুহাম্মদ তাঁর রাসুল’- এই সাক্ষ্যদানের প্রতি হয়। যদি ওরা তা তোমার নিকট থেকে গ্রহণ করে, তবে তাঁদেরকে জানিয়ে দাও যে, আল্লাহ ওদের উপর প্রত্যেক দিবা রাত্রে পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরয করেছেন।” অতএব দুই সাক্ষ্যদানের পর নামায, অতঃপর যাকাত দিয়ে (দাওয়াত) শুরু করেছেন। (ইবনে উষাইমীন) নিকৃষ্ট মানুষ সে, যে নিজ প্রভুকে কেবল রমযানে চেনে ও স্মরণ করে, বাকী এগারো মাস ভুলে থাকে! অথচ সে এক মাসের চেনা তাঁদের কোন কাজে লাগবে না। (লাজনাহ দায়েমাহ) রচনা/অনুবাদ/সংকলনঃ আবদুল হামীদ ফাইযী
    M Towfiqur Rahman
  • May 16
  • Sogood Islam Syeds
    5/16, 7:45pm

    Sogood Islam Syeds

    M Towfiqur Rahman added a new photo.
    দোআ: বাড়ি থেকে বের হওয়ার সময়ের যিক্‌র। – بِسْمِ اللَّهِ، تَوَكَّلْتُ عَلَى اللَّهِ، وَلَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ إِلاَّ بِاللَّهِ – বাংলা উচ্চারণঃ বিসমিল্লাহি, তাওয়াককালতু ‘আলাল্লা-হি, ওয়ালা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ। অনুবাদঃ আল্লাহ্‌র নামে (বের হচ্ছি)। আল্লাহর উপর ভরসা করলাম। আর আল্লাহর সাহায্য ছাড়া (পাপ কাজ থেকে দূরে থাকার) কোনো উপায় এবং (সৎকাজ করার) কোনো শক্তি কারো নেই। [ আবূ দাউদ ৪/৩২৫, নং ৫০৯৫; তিরমিযী ৫/৪৯০, ৩৪২৬। আরও দেখুন, সহীহুত তিরমিযী, ৩/১৫১। দোআ ও যিকির, হিসনুল মুসলিম]
    M Towfiqur Rahman
  • May 18
  • Sogood Islam Syeds
    5/18, 5:03pm

    Sogood Islam Syeds

    ফেরেশতারা যাদের জন্য দুয়া করেন—— যারা অজু অবস্থায় ঘুমায়। (সুত্রঃ ইবনে হিব্বান ৩/৩২৮) সালাতের জন্য অপেক্ষাকারী। (সুত্রঃ মুসলিম-৬১৯) প্রথম কাতারে সালাত আদায়কারী। (সুত্রঃ ইবনে হিব্বান ২১৫৭) কাতারের ডান পার্শ্বের মুসল্লি। (সুত্রঃ আবু দাউদ-৬৭২) কাতারে পরস্পর মিলিতভাবে দন্ডায়মান ব্যাক্তি। (সুত্রঃ আল মুসনাদ ৬/৬৭) ইমামের সুরা ফাতিহা শেষ করে আমিন বলার সময় যার আমিন ফেরেশতাদের সাথে মিলে যায়। (সুত্রঃ বুখারিঃ ৭৮২) নামাজান্তে নামাজের স্থানে বসে থাকা ব্যাক্তি। (সুত্রঃ আল মুসনাদ- ৮১০৬) জামাতের সাথে ফজর ও আসর নামাজ আদায়কারী। (সুত্রঃ ইবনে হিব্বানঃ ২০৬১) কুরআন খতমকারীর জন্য। (সুত্রঃ দারেমিঃ ৩৪৮৬) রাসুল(স) এর ওপর দরুদ পাঠকারী। (সুত্রঃ আল মুসনাদঃ ৬৬০৫) অনুপস্থিত মুসলিমের জন্য দুয়াকারী। (সুত্রঃ মুসলিমঃ ৮৮) কল্যানের পথে দানকারী। (সুত্রঃ ১৪৪২) সাহরী ভক্ষণকারী। (সুত্রঃ ইবনে হিব্বানঃ ৩৪৬৭) যে রোজাদারের সম্মুখে পানাহার করা হয়। (সুত্রঃ আল মুসনাদঃ ৭/৩৭০) রোগীকে পরিদর্শনকারী। (সুত্রঃ আল মুসনাদঃ ৭৫৪) রোগী ও মৃত ব্যাক্তির নিকট দুয়াকারী। (সুত্রঃ তিরমিজিঃ ৯৮৪) ইলম শিক্ষাদানকারী। (সুত্রঃ তিরমিজিঃ ২৮২৫) মুমিন ও তাদের আত্মীয়দের জন্য। (সুত্রঃ সুরা মুমিন, ৭-৯)
    Rowshon Kabir
  • Sogood Islam Syeds
    5/18, 6:40pm

    Sogood Islam Syeds

    #শবে_বরাত আভিধানিক অর্থ অনুসন্ধানঃ ‘শব’ ফারসি শব্দ। অর্থ রাত বা রজনী। বরাত শব্দটিও মূলে ফারসি। অর্থ ভাগ্য। দু’শব্দের একত্রে অর্থ হবে, ভাগ্য-রজনী। বরাত শব্দটি আরবি ভেবে অনেকেই ভুল করে থাকেন। কারণ ‘বরাত’ বলতে আরবি ভাষায় কোন শব্দ নেই। যদি বরাত শব্দটি আরবি বারা’আত শব্দের অপভ্রংশ ধরা হয় তবে তার অর্থ হবে— সম্পর্কচ্ছেদ বা বিমুক্তিকরণ। কিন্তু কয়েকটি কারণে এ অর্থটি এখানে অগ্রাহ্য, মেনে নেয়া যায় না- ১. আগের শব্দটি ফারসি হওয়ায় ‘বরাত’ শব্দটিও ফারসি হবে, এটাই স্বাভাবিক ২. শা’বানের মধ্যরজনীকে আরবি ভাষার দীর্ঘ পরম্পরায় কেউই বারা’আতের রাত্রি হিসাবে আখ্যা দেননি। ৩. রমযান মাসের লাইলাতুল ক্বাদরকে কেউ-কেউ লাইলাতুল বারা’আত হিসাবে নামকরণ করেছেন, শা‘বানের মধ্য রাত্রিকে নয়। আরবি ভাষায় এ রাতটিকে কি বলা হয়? আরবি ভাষায় এ রাতটিকে ‘লাইলাতুন নিছফি মিন শা‘বান’ — শাবান মাসের মধ্য রজনী — হিসাবে অভিহিত করা হয়। শাবানের মধ্যরাত্রির কি কোন ফযীলত বর্ণিত হয়েছে? শাবান মাসের মধ্য রাত্রির ফযীলত সম্পর্কে কিছু হাদীস বর্ণিত হয়েছে: #১নং আয়েশা (রাদিয়াল্লাহু আনহা) বলেন: এক রাতে আমি রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে খুঁজে না পেয়ে তাঁকে খুঁজতে বের হলাম, আমি তাকে বাকী গোরস্তানে পেলাম। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) আমাকে বললেন: ‘তুমি কি মনে কর, আল্লাহ ও তাঁর রাসূল তোমার উপর জুলুম করবেন?’ আমি বললাম: ‘হে আল্লাহর রাসূল! আমি ধারণা করেছিলাম যে আপনি আপনার অপর কোন স্ত্রীর নিকট চলে গিয়েছেন। তখন রাসূল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বললেন: ‘মহান আল্লাহ তা’লা শা‘বানের মধ্যরাত্রিতে নিকটবর্তী আসমানে অবতীর্ণ হন এবং কালব গোত্রের ছাগলের পালের পশমের চেয়ে বেশী লোকদের ক্ষমা করেন। হাদীসটি ইমাম আহমাদ তার মুসনাদে বর্ণনা করেন (৬/২৩৮), তিরমিযি তার সুনানে (২/১২১,১২২) বর্ণনা করে বলেন, এ হাদীসটিকে ইমাম বুখারী দুর্বল বলতে শুনেছি। অনুরূপভাবে হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৯) বর্ণনা করেছেন। হাদীসটির সনদ দুর্বল বলে সমস্ত মুহাদ্দিসগণ একমত। #২নং আবু মূসা আল আশ’আরী (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ ‘আল্লাহ তা‘আলা শাবানের মধ্যরাত্রিতে আগমণ করে, মুশরিক ও ঝগড়ায় লিপ্ত ব্যক্তিদের ব্যতীত, তাঁর সমস্ত সৃষ্টিজগতকে ক্ষমা করে দেন। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৫৫, হাদীস নং ১৩৯০),এবং তাবরানী তার মু’জামুল কাবীর (২০/১০৭,১০৮) গ্রন্থে বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি বলেন: ইবনে মাজাহ বর্ণিত হাদীসটির সনদ দুর্বল। তাবরানী বর্ণিত হাদীস সম্পর্কে আল্লামা হাইসামী (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) মাজমা‘ আয যাওয়ায়েদ (৮/৬৫) গ্রন্থে বলেনঃ ত্বাবরানী বর্ণিত হাদীসটির সনদের সমস্ত বর্ণনাকারী শক্তিশালী। হাদীসটি ইবনে হিব্বানও তার সহীহতে বর্ণনা করেছেন। এ ব্যাপারে দেখুন, মাওয়ারেদুজ জাম‘আন, হাদীস নং (১৯৮০), পৃঃ (৪৮৬)। #৩নং আলী ইবনে আবী তালিব (রাদিয়াল্লাহু আনহু) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেনঃ রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ “যখন শা‘বানের মধ্যরাত্রি আসবে তখন তোমরা সে রাতের কিয়াম তথা রাতভর নামায পড়বে, আর সে দিনের রোযা রাখবে; কেননা সে দিন সুর্যাস্তের সাথে সাথে আল্লাহ তা‘আলা দুনিয়ার আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন: ক্ষমা চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি ক্ষমা করব। রিযিক চাওয়ার কেউ কি আছে যাকে আমি রিযিক দেব। সমস্যাগ্রস্ত কেউ কি আছে যে আমার কাছে পরিত্রাণ কামনা করবে আর আমি তাকে উদ্ধার করব। এমন এমন কেউ কি আছে? এমন এমন কেউ কি আছে? ফজর পর্যন্ত তিনি এভাবে বলতে থাকেন”। হাদীসটি ইমাম ইবনে মাজাহ তার সুনানে (১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮) বর্ণনা করেছেন। আল্লামা বূছীরি (রাহমাতুল্লাহি আলাইহি) তার যাওয়ায়েদে ইবনে মাজাহ (২/১০) গ্রন্থে বলেন, হাদীসটির বর্ণনাকারীদের মধ্যে ইবনে আবি সুবরাহ রয়েছেন যিনি হাদীস বানাতেন। তাই হাদীসটি বানোয়াট। #উল্লিখিত আলোচনায় এটা স্পষ্ট যে, শা‘বানের মধ্যরাত্রির ফযীলত বিষয়ে যে সব হাদীস বর্ণিত হয়েছে তার সবগুলোই দুর্বল অথবা বানোয়াট, আর তাই গ্রাহ্যতারহিত।
    আশরাফ খান