• May 18
  • Sogood Islam Syeds
    5/18, 10:18pm

    Sogood Islam Syeds

    X Łõvę Şhîşhîŕ added a new photo.
    খুব গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা নিজে পড়ুন এবং অন্যকে পড়ার জন্য উৎসাহিত করুন…!! নিজের মৃত দেহ সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জেনে নেইঃ . মৃত্যুর পর আমাদের শরীরের কি ধরনের পরিবর্তন সাধিত হয়? ১) তিন দিন পর নখ পড়ে যেতে শুরু করে। ২) চার দিন পর চুল ক্ষয় হওয়া শুরু করে। ৩) পাঁচদিন পর মস্তিষ্ক গলে যেতে শুরু করে। ৪) ছয়দিন পর পাকস্থলি গলে মুখ দিয়ে এবং গোপন অঙ্গ দিয়ে বের হতে থাকে। ৫) ষাট দিন পর হাড় ছাড়া কিছুই থাকেনা। . এবার একটু ভাবুনতো, একটু চিন্তা করুন মনোযোগ দিয়ে… যদি এই মুহুর্তে আমি বা আপনি মারা যাই তাহলে উপরোক্ত ঘটনা ঘটা শুরু হবে আমি অথবা আপনার দেহের আপনার কিংবা আমার কোন অস্তিত্ব থাকবেনা অহংকার করার জন্য। সাজার জন্য অথবা পরিপাটি হওয়ার জন্য। অপরদিকে, আমরা এরকমও দেখতে পাই যে, যারা আল্লাহর প্রিয় বান্দা তাদের লাশ শত শত বছর পরও অক্ষত থেকে যায়। আল্লাহ বলেছেন, ”যারা আল্লাহর পথে নিহত হয় তাদের তোমরা মৃত বলোনা বরং তারা জীবিত কিন্তু তোমরা বুঝনা।” – (সূরা বাকারা ১৫৪) . ★ তাহলে কি জন্য কিংবা কোন বিষয়ে আমরা অহংকার করব? ★ কি কারনে আমরা আল্লাহর অবাধ্য হব? ★ কোন অজুহাতে আমরা নামাজ ছেড়ে দেব? ★ কি কারনে আমরা নিশ্চিত মৃত্যু আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে জেনেও গাফলতির মধ্যে সময় কাটাব? . আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেছেন, “মিনহা খালাক নাকুম ওয়াফিহা নুয়িদুকুম ওয়ামিনহা নুখরিজুকুম তা রাতান উখরা।” অর্থাৎ ,”মাটি দিয়ে আমি সৃষ্টি করেছি, এই মাটিতেই আবার ফিরিয়ে দেব এই মাটি থেকেই আবার আমি তুলে আনব। (সূরা ত্বাহা :২০ :৫৫) আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আরো বলেন, “প্রত্যেক প্রাণিকেই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহন করতে হবে।” -(আল কোরআন) . তাই আসুন, সব ধরনের অহংকার পরিত্যাগ করে আমরা সবাই মৃত্যুর জন্য প্রস্তুতি গ্রহন করি। নিজে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচি এবং আমাদের পরিবার পরিজনকে জাহান্নামের আগুন থেকে বাঁচাই।’ . আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সবাইকে সেই তওফিক দান করুন এবং জাহান্নামের আগুন থেকে আমাদের সবাইকে রক্ষা করুন। . সবাই বলুন ‘আমিন’!! . কেউ আমিন না লিখে যাবেননা। “শেয়ার/ ট্যাগ/ম্যানশন” করে আপনার বন্ধুদের দেখার সুযোগ করে দিন।
    X Łõvę Şhîşhîŕ
  • Sogood Islam Syeds
    5/18, 10:23pm

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত-১ শবে বরাতের তত্ত্বকথা এবং ‘লা মাযহাবী’ ভাইদের বিভ্রান্তির জবাব শবে বরাত তথা অর্ধ শাবানের রাত হচ্ছে বছরের অন্যান্য সাধারণ রাতের চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি রাত। নির্ভরযোগ্য হাদীসে এ রাতের গুরুত্ব বর্ণিত হয়েছে। কিন্তু আমাদের কিছু ভাই এ রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করেন। তাদের সাফ কথা, এ রাতের কোন গুরুত্ব নেই। বছরের অন্যান্য রাতে যাদের ইবাদতের অভ্যাস নেই তারা এ রাতে ইবাদত করলে বিদআত হবে। তারা বিভিন্নভাবে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করে থাকেন। তাদের বিভ্রান্তির মধ্যে একটি হচ্ছে যে, অর্ধ শা’বানের রাতের আমল ৪৪৮ হিজরীতে উৎপত্তি হয়, এর আগে অর্ধ শা’বানের রাতে কোন ইবাদত পালন করা হতো না। সুতরাং এ রাতে ইবাদত করা বিদআত। কেননা ‘খাইরুল কুরূনে’র পরবর্তী সৃষ্ট সবকিছুই তো বিদআত। এক্ষেত্রে তারা তারতুশী রহ. এর একটি বক্তব্য উল্লেখ করে থাকেন। তাদের এধরণের বক্তব্য শুনে প্রথমে খুবই কৌতূহলী ছিলাম। যে রাতের ফযীলতের কথা সহীহ হাদীসে এসেছে, যে রাতের ইবাদতের প্রতি যুগশ্রেষ্ট উলামা, ফুকাহা ও মুহাদ্দিসগণ গুরুত্বারূপ করেছেন এবং মুস্তাহাব বলেছেন, সেই রাতের ইবাদত পাঁচশত শতাব্দির উৎপত্তি!! খুবই আশ্চর্যের বিষয়! একসময় পৌঁছে গেলাম তারতুশী রহ. কিতাব ‘মুখতাসারুল হাওয়াদিছি ওয়াল বিদা’ পর্যন্ত। সেখানে তাঁর বক্তব্য পড়ে তো আমি হতবাক! তিনি কী বলেছেন আর তারা কি বলে বিভ্রান্ত করছে! তাদের কথার সাথে তারতুশী রহ. এর বক্তব্যের কোন মিল খোঁজে পেলাম না। দেখুন, তিনি কী বলেছ-‘‘আবু মহাম্মদ মাকদিসী আমাকে জানিয়েছেন যে, এই ‘সালাতুর রাগাইব’ যা রজব এবং শা’বানে পড়া হয় তা ‘বাইতুল মুকাদ্দাসে’ ছিল না। সর্বপ্রথম এটি চালু হয় ৪৪৮ হিজরির শরুর দিকে। ‘ইবনু আবিল হামরা’ নামে পরিচিত ‘নাবুলুস’ এর এক ব্যক্তি বাইতুল মুকাদ্দাসে আমাদের কাছে আসে। সে সুন্দর তেলাওয়াত করতে পারত। অর্ধ শা’বানের রাতে ‘মসজিদে আকসা’য় সে নামায পড়ল। তার পিছনে আরেকজন তাহরিমা বাঁধল এরপর তৃতীয় আরেকজন এরপর চতুর্থ আরেকজন এভাবে নামায শেষ করতে করতে দেখা গেল অনেক লোকের জামাত। পরবর্তী বছর আবার আসল এবং তার সাথে অনেক লোক নামায পড়ল একসময় এই নামাযটি মসজিদে ছড়িয়ে পড়ল। এমনকি মসজিদে আকসাসহ মানুষের ঘর-বাড়িতেও নামাজটি প্রচার লাভ করল। এরপর থেকে আজ পর্যন্ত এটি এমনভাবে স্থির হয়ে গেল যেন এটিই নিয়ম।! (মুখতাসারুল হাওয়াদিছি ওয়াল বিদা, তারতুশী, পৃ. ৮৬-৮৭) এই হচ্ছে তারতুশী রহ. এর বক্তব্য। দেখুন, কিভাবে তারা মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন! তারতুশী রহ. কথা থেকে একথা কি বুঝা গেল যে অর্ধ শা’বানের রাতের সকল ইবাদত ৪৪৮ হিজরীতে উৎপত্তি লাভ করেছে? কখনো নয়। তিনি শুধু বিশেষ পদ্ধতির ভিত্তিহীন নামাযের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন। মুহাদ্দিসীনে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত হচ্ছে শবে বরাতে বিশেষ পদ্ধতির নামায যেমন এতো রাকাত পড়তে হবে, প্রতি রাকাতে সূরা এখলাছ এতো বার পড়তে হবে, এধরণের বিশেষ পদ্ধতির কোন নামায নেই। এসংক্রান্ত সকল হাদীস সম্পর্কে তাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে, এগুলো জাল, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। তারতুশী রহ. সেই ভিত্তিহীন নামাযের ইতিবৃত্ত তুলে ধরেছেন আর আমাদের ‘লা মাযহাবী’ ভাইয়েরা তাঁর কথাকে পুঁজি করে আমাদেরকে বিভ্রান্ত করছেন এই বলে যে, অর্ধ শা’বানের সকল ইবাদত চারশত শতাব্দির পরের উৎপত্তি! অথচ যেসকল মুহাদ্দিসগণ এই ‘সালাতুর রাগাইব’ নামক বিশেষ পদ্ধতির নামাযকে ভিত্তিহীন বলেছেন সেই তারাই বলেছেন, কোন বিশেষ পদ্ধতি নির্ধারিত না করে নফল নামায পড়া, দুআ-দরূদ, যিকির-আযকার, তেলাওয়াতে কোরআন ইত্যাদি করা এ রাতে মুস্তাহাব। তাদের কথার উদ্দেশ যদি হয়, দলবদ্ধ হয়ে মসজিদে গিয়ে এ রাতের ইবাদত শুরু হয়েছে ৪৪৮ হিজরীতে, তবুও তাদের কথা সঠিক হবে না। কেননা ফাকিহী রহ. (২১৭-২৭৫হি:) ‘আখবারে মাক্বা’ গ্রন্থে (৩/৮৪) আহলে মাক্কার আমল এই বলে উল্লেখ করেছেন- ‘‘অতীত কাল থেকে আজ পর্যন্ত আহলে মক্কার আমল চলে আসছে যে, অর্ধ শা’বানের রাতে সাধারণ নর-নারী মসজিদে বের হতো অতঃপর নামায পড়ত, তাওয়াফ করত এবং পুরো রাত ইবাদত করে কাটাতো। সকাল পর্যন্ত মসজিদে হারামে কোরআন তেলাওয়াত এবং কোনআন খতম করতো আর নামায পড়তো। যারা নামায পড়তো প্রতি রাকাআতে ‘আল হামদু’ পড়তো এবং দশবার ‘কুল হুয়াল্লাহ’ পড়তো। আর যমযমের পানি পান করতো ও তা দিয়ে গোসল করত এবং অসুস্থদের জন্য তা জমা করে রাখতো। উদ্দেশ্য এ রাতের বরকত অর্জন করা।’’ (আখবারে মাক্বা: ৩/৮৪) বুঝা গেল, অর্ধ শা’বানের রাতে দলবদ্ধ ইবাদতের এই বিদআতের সূচনা ৪৪৮ হিজরীরও আগে হয়েছে। কেননা ফাকিহী রহ. আনুমানিক ২৭৫ হিজরীতে মৃত্যুবরণ করেন সুতরাং বুঝা গেল আহলে মাক্কা ২৭৫ হিজরীর আগেই এই ভিত্তিহীন নামায এবং পুরুষ-মহিলা মসজিদে গিয়ে দলবদ্ধ দলবদ্ধ ইবাদতে অভ্যস্ত ছিল। যাই হোক, আহলে মাক্কা যেভাবে এই রাতটি উদযাপন করত বা বাইতুল মুকাদ্দাসে যেভাবে জড়ো হয়ে বিশেষ পদ্ধতির নামায পড়া হতো এটি তো শরীয়ত-স্বীকৃত অর্ধ শা’বানের আমল নয়। আমরাও এটিকে সঠিক বলছি না। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, অর্ধ শা’বানের রাতে কোন ইবাদতই করা যাবে না বরং এ রাতে একাকী নামায তেলাওয়াতে কোরআন, দুআ ইত্যাদি করা মুস্তাহাব। কেউ কেউ বলেন, এ রাতে ইবাদতের সূচনা হয়েছে শামের কিছু তাবেয়ীনদের মাধ্যমে। কিন্তু যাচাই করে দেখা যায় তাদের বক্তব্য সঠিক নয়। বরং শামের কিছু আলেম সমজিদে জড়ো হয়ে ইবাদতের পক্ষে মত দিয়েছিলেন এবং নিজেরাও এভাবে ইবাদত করা শুরু করেছিলেন তখন অন্যান্য আলেমগণ তাদের বিরোধিতা করেন এবং জড়ো না হয়ে একাকী ইবাদতের পক্ষে মত দেন। শামের প্রসিদ্ধ ফকীহ ও মুহাদ্দিস আওযায়ী রহ. (১৫৭ হি.) মতও তাই ছিল। বিষয়টি ইবনে হাজার হাইতামী রহ. (৯০৯-৯৭৪ হি.) এর বক্তব্য থেকে সুস্পষ্ট হয়ে যায়। তিনি শামের ঐ সকল ফুকীহদের শবে বরাত উদযাপনের বিষয়টি উল্লেখ করে বলেন, ‘‘এতে কোন সন্দেহ নেই যে, এই বিশেষ পদ্ধতিতে জড়ো হওয়া এমন নবসৃষ্ট বিষয় যা শরীয়তে ছিল না। সুতরাং যেই এমন কাজ করবে তার এই কাজ নবীজীর হাদীস অনুযায়ী প্রত্যাখ্যাত হবে। কেননা নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি শরীয়তে এমন জিনিস সৃষ্টি করবে যা এতে ছিল না তা প্রত্যাখ্যাত হবে। তিনি বলেন, সম্ভবত তাদেরকে এই কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ করেছে দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষে যে সকল জাল হাদীস বর্ণিত হয়েছে এগুলো। তারা এগুলো জাল মনে করেন নি তাই এগুলোর উপর আমল করেছেন আর অসংখ্য মানুষ তাদের অনুসরণ করেছে। পরবর্তীতে যখন একথা সুস্পষ্ট হয়ে গেল যে, এগুলো (এ সকল হাদীস) নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর নামে মিথ্যারোপ করা হয়েছে তখন উলামাগণ এগুলো পরিত্যাগ করলেন এবং কঠিনভাবে প্রত্যখ্যান করলেন আর নিন্দাজ্ঞাপন করলেন।’’ (আল ঈযাহ ওয়াল বায়ান, ইবনে হাজার হাইতামী [মাখতুত] হাইতামী রহ.এর উপরোক্ত বক্তব্য থেকে কয়েকটি বিষয়ের সমাধান পাওয়া গেল: ক. বুঝা গেল, অর্ধ শাবানের রাতে ইবাদতের সূচনা শামের ঐ সকল আলেমদের থেকে হয় নি, বরং তাদের নতুন উদ্ভাবিত বিষয় ছিল মসজিদে বিশেষ পদ্ধতির জড়ো হওয়া। খ. হাইতামী রহ. কথা থেকে আরেকটি বিষয় বুঝা যায় যে, তাদের নবসৃষ্ট বিষয়ের মধ্যে বিশেষ পদ্ধতির ভিত্তিহীন নামায অর্থাৎ বিশেষ বিশেষ সূরা দিয়ে নির্ধারিত সংখ্যক নামাযও ছিল। কেননা তিনি বলেছেন তাদেরকে এই কাজে উদ্বুদ্ধ করেছে দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষে বর্ণিত হাদীসগুলো। আর দ্বিতীয় অধ্যায়ের শেষে তিনি বিশেষ পদ্ধতির নামায সংক্রান্ত জাল হাদীসগুলো উল্লেখ করেছেন। ইতিপূর্বে আমরা উল্লেখ করেছি যে, মুহাদ্দেসীনে কেরামের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এধরণের নামায সংক্রান্ত হাদীসগুলো ভিত্তিহীন। সুতরাং এধরণের বিশেষ পদ্ধতির নামায মসজিদে জড়ো হয়ে পড়েছেন এজন্যেই উলামাগণ তাদের এ কাজের বিরোধিতা করেছেন। গ. হাইতামী রহ. এর বক্তব্য থেকে আরেকটি বিষয় সুস্পষ্ট হলো, তা হচ্ছে যেসকল আলেমদের ব্যাপারে বলা হয় তারা অর্ধ শাবানের রাতের ফযীলতকে অস্বীকার করেছেন তাদের এই অস্বীকারের অর্থ হয়তো এ রাতের বিশেষ পদ্ধতির নামযকে অস্বীকার করা অথবা মসজিদে জড়ো হয়ে ইবাদত করা ইত্যাদি। একাকী ইবাদত করার বিষয়টি তারা অস্বীকার করেন নি। ইবনে হাজার হাইতামী রহ. নিজেও এ রাতে দুআ, ইস্তিগফার, কান্নাকাটি করার কথা বলেছেন। সারকথা: অর্ধ শা’বানের রাতে দলবদ্ধ ইবাদতের বা ‘সালাতুর রাগাইব’ এর সূচনা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন যায়গায় হয়েছে উপরের আলোচনা থেকে বিষয়টি সুস্পষ্ট বুঝা গেল। তবে মসজিদে জড়ো না হয়ে একাকী এ রাতে বিশেষ গুরুত্বের সাথে ইবাদত করার নিয়ম নবীজী এবং সাহাবীদের পরবর্তী যুগের সৃষ্ট নয় বরং যখন নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন অর্ধ শা’বানের রাতের ফযীলতের কথা উল্লেখ করেছেন তখন থেকেই এর সূচনা হয়ে থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। আয়েশা রা. এর একটি হাদীস থেকে সুস্পষ্ট বুঝা যায় যে, এ রাতে দীর্ঘ নফল নামাজ পড়া, যাতে সেজদাও দীর্ঘ হবে, শরীয়তে কাম্য। হযরত আয়েশা রা. থেকে হাদীসটিকে বাইহাকী রহ. তাঁর আস সুনানুল কুবরা গ্রন্থে (৫/৩৬১) مرسل جيد বলেছেন। আল্লাহপাক আমাদেরকে সকল বিভ্রান্তি থেকে মুক্ত হয়ে অর্ধ শাবানের মতো বরকতময় রাতে ইবাদত করার তাওফীক দান করুন, আমীন। শা‍‍‍‍‘বান ও শবে বরাত, পৃ.১১২-১১৮ থেকে (সংক্ষিপ্ত)
    Mahbubul Hasan Arife
  • Sogood Islam Syeds
    5/18, 10:31pm

    Sogood Islam Syeds

    আসছে শবে বরাত। অনেকে আবার বলেন পবিত্র শবে বরাত। জেনে রাখা ভাল হবে বিদআত কখনো পবিত্র হয়না, বিদআত সবসময় নিকৃষ্ট(সওয়াবের নিয়্যাতে এমন কোন আমল করা, যা রাসূল সাঃ বা সাহাবীরা করেন নি)। যাইহোক যদি আপনি শবেবরাত পালন করেন তাহলে এও জেনে রাখা ভাল হবে যে আপনি মোহাম্মদ (সাঃ) কে আল্লাহ্‌র রাসূল হিসেবে মানতে পারেন নি কারন আল্লাহ্‌ তাঁর রাসূল এর মাধ্যমে দ্বীনকে পরিপূর্ণ ঘোষনা করে দিয়েছেন (সূরা মায়ীদাহ ৫/৩) আর রাসূল সাঃ বলেন “যে ব্যাক্তি শরিতের মধ্যে এমন কোন কাজ করল যা আমাদের দ্বারা নির্দেশিত নয় তা প্রত্যাখ্যাত” (মুসলিম/১৭১৮) রাসূল বা সাহাবারা এই ধরনের কোন রাত্রি পালন করেননি। আল্লাহ্‌ আর বলেন “যে রাসূল কে অমান্য করবে সে স্পষ্টই পথভ্রষ্ট হবে”( সূরা আহযাব ৩৩/৩৬) বহু সহিহ হাদিস ও কুরানের আয়াতের মাধ্যমে প্রমানিত যে এই সব নব আবিষ্কার/বিদআত। প্রসিদ্ধ ইমাম ও মুজতাহিদ গন ও এইসব এর অনুমতি দেননি, বরং ঘৃনা করতেন। I কিন্তু, সবাই, এত লোক করছে, অলি আউলিয়া করছে, বাপ দাদা করছে অজুহাত দেখিয়ে আসছেন, আর আল্লাহ্‌ বলেন, ১) তোমরা অনুসরন কর জা তোমার প্রতিপালকের পক্ষ থেকে অবতীর্ণ হয়েছে তাঁর এছাড়া কোন ওলি আউলিয়ার অনুসরন করোনা” (সূরা আরাফ ৭/৩) ২)তারা বলে কখনো না আমরা আমাদের বাপ দাদাদেরকে দেখেছি” ( সূরা বাকারা ২/১৭০) ৩)আপনি যদি অধিকাংশ লোকের কথা মানেন তারা আপনাকে আল্লাহ্‌র পথ থেকে গোমরাহ করে দেবে” (সূরা আনয়াম ৬/১১৬) অধিকাংশ লোকই আন্দাজ অনুমানের উপর ভিত্তি করে চলে (সূরা ইউনুস ১০/৩৬) I আপনি বলছেন আরে বাপ্রে……… মসজিদের ইমাম কি কম জানে? আরে আপনার মসজিদের ইমাম প্রত্যেক জুম্মার খুৎবায় আপনাকে হাদিস শুনাচ্ছে “প্রত্যেক বিদআত ই গোমরাহি, আর গোমরাহি মানুষকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে” বুজবেন কি করে হুজুর যে আরবিতে বলেছে ( কুল্লা বিদাতিন দলালা, ওয়া কুল্লা দলালিন নার) এর পর কোন রকম ২ রাকাত পড়ে হুজুর নিজেই বসে গেছে জিলাফির প্যাকেট নিয়ে, আর চিৎকার দিয়ে পড়ছে ‘ইয়া নাবি সালামুয়ালাইকা’ আপনার হুজুর বুজেনি হাদিস, আপনি না বুজলে কার কি?? I মূল হাদিস হচ্ছে “আমার পর তোমাদের মধ্যে যারা জীবিত থাকবে, তারা অল্প দিনের মধ্যেই অনেক মতবিরোধ দেখতে পাবে। তখন তোমারা আমার সুন্নাতকে এবং সৎপথ প্রাপ্ত খুলাফায়ে রাশেদীনের সুন্নাতকে আঁকড়ে ধরবে এবং তাকে শক্তভাবে ধরে থাকবে। অতএব সাবধান তোমরা দ্বীনের ব্যাপারে কিতাব ও সুন্নাহ এর বাইরে নতুন কথা ও কাজ হতে বেঁচে থাকবে। কেননা প্রত্যেক নতুন কথা/কাজ বিদ‘আত এবং প্রত্যেক বিদ‘আতই ভ্রষ্টতা’ (আবু দাউদ, মিশকাত হা/১৫৮)। I আল্লাহ্‌ আমাদেরকে কুরআন ও রাসূলের সহিহ সুন্নাহ অনুযায়ী জীবন পরিচালনার তাওফিক দান করুন, এবং আমলের নামে নিকৃষ্ট বিদআত থেকে বেঁছে থাকার জ্ঞান দিন (আমীন)
    Mugniur Rahman Tabriz
  • May 19
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 9:58am

    Sogood Islam Syeds

    রউফুল ইয়াদাইন একটি প্রতিষ্ঠিত সুন্নাত। – – – -স্বলাতে তাকবিরে তাহরিমার পর অনুরূপভাবে হাত তোলা (রউফুল ইয়াদাইন) প্রমাণিত, সত্যিকারের হানাফিগণ এ বিষয়টি অস্বীকার করেন না। -যেহেতু হানাফিগন হাত তোলা তথা রউফুল ইয়াদাইন করার বিষয়টিকে প্রমানিত বলে স্বীকার করেন, সেহেতু তারা স্বলাতে হাত তোলা তথা রউফুল ইয়াদাইনের উপর আমল করবেন, সমালোচনা নয়। –দারসে তিরমিযী, ২য় খন্ড, মুফতি তকি উসমানি। অতএব, যে সকল হানাফী দাবীদার ভাইয়েরা এর উপর আমল না করে সমালোচনা করেন কিংবা পসন্দ করেন না, তারা সত্যিকারের বিভ্রান্ত। তারা কোন মানের মাযহাবী নন। [সৌজন্যেঃ পিস ইন ইসলাম-কিছু পরিমার্জনসহ]
    M Towfiqur Rahman
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 9:59am

    Sogood Islam Syeds

    -হাত তোলা (রফউল ইয়াদাইন) প্রমানীত, হানাফিগণ এ বিষয়টি অস্বিকার করেন না। -যেহুতু হানাফিগন হাত তোলার বিষয়টিকে প্রমানিত বলে স্বীকার করেন, সেহুতু তারা হাত তোলার বরণনা গুলোর সমালোচনা করেন না। –দারসে তিরমিযী, ২য় খন্ড, মুফতি তকি উসমানি। অতএব, যেসকল হানাফি রফউল ইয়াদাইন প্রমাণীত বলে স্বিকার করেন না তারা হানাফি নয়। তারা লা-মাযহাবী।
    আবু সুহায়ইলা
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 10:09am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 10:10am

    Sogood Islam Syeds

    আল্লাহর বাণীঃ ( فَمَنْ شَهِدَ منكم الشّهْرَ فَلْيَصُمْهُ ) অর্থঃ (কাজেই তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস পাবে, সে যেন এ মাসে রোযা পালন করে) [বাকারাহ/১৮৫] এবং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণীঃ صوموا لرؤيته و أفطروا لرؤيته فإن غُبِّيَ عليكم فأكملوا عدّة شعبان ثلاثين. অর্থঃ “তোমরা তা (চাঁদ) দেখে রোযা রাখ এবং তা দেখে রোযা ছাড়, যদি মেঘাচ্ছন্নের কারণে না দেখতে পাও, তাহলে শা’বান মাস ৩০ পূরণ করে নাও”। [বুখারী, সাউম অধ্যায়, নং ১৯০৯, মুসলিম, সিয়াম অধ্যায়] প্রমাণকরণঃ উপরোক্ত কুরআনের আয়াতে সাউম রাখার আদেশ রামাযান মাস পাওয়ার সাথে এবং হাদীসে সাউম রাখার আদেশ চাঁদ দেখার সাথে সম্পর্কযুক্ত করা হয়েছে, যা দ্বারা বুঝা যায় যে, যাদের নিকট সেই মাস এখনও উপস্থিত হয় নি বা তারা চাঁদ দেখতে পায় নি, তাদের জন্য এই আদেশ প্রযোজ্য হয় নি। তাই চন্দ্র উদয়স্থলের পার্থক্যের কারণে ঐ দেশবাসী যাদের দেশে এখনও চাঁদ উঠেনি তাদের অবস্থা এমন যে, তারা না তো হিলাল দেখেছে আর না তাদের নিকট রামাযান মাস উপস্থিত হয়েছে, ফলে এই বিধান তাদের জন্য প্রযোজ্যও হবে না। আপত্তিঃ যদিও তারা হিলাল দেখতে পায় নি কিন্তু অন্য সৎ মুসলিম ভাই তো দেখেছে এবং দর্শনকারীর সংবাদ তো তার কাছে পৌঁছেছে। নবী (সাঃ) অন্য সৎ মুসলিম ব্যক্তির চাঁদ দেখার সংবাদের কারণে নিজে রোযা রেখেছেন এবং সাহাবীদেরও রোযা পালনের আদেশ দিয়েছেন। ইবনে উমার (রাযিঃ) বলেনঃ “ লোকেরা হিলাল দেখা-দেখি করে, তারপর আমি রাসূল (সাঃ) কে সংবাদ দিলাম যে, আমি হিলাল দেখেছি। তাই তিনি (সাঃ) রোযা রাখেন এবং লোকদের রোযা রাখার আদেশ দেন”। [আবু দাঊদ, ২৩৪০/ইবনু হিব্বান ৩৪৪৭] উত্তরঃ সাহাবী ইবনে উমার (রাঃ) কোনো এমন দেশ থেকে এসে এই সংবাদ দেন নি যে, সেই দেশে চাঁদ দেখা গিয়েছিল আর মদীনায় যায়নি। আর নবী (সাঃ) তার সেই অন্য দেশের দর্শনকে মদীনাবাসীর জন্য প্রযোজ্য মনে করেন নি; বরং সাহাবী ইবনে উমার মদীনা শহরের অধিবাসী ছিলেন এবং মদীনাবাসী নবী (সাঃ) কে সংবাদ দিয়েছিলেন। এমন সংবাদ গ্রহণে আপত্তি নেই কারণ এটা এক দেশ বরং একই শহরের সংবাদ, যাতে চন্দ্রের উদয়স্থল এক। আর আমাদের বিষয় হচ্ছে একটি ভিন্ন দেশের সংবাদ যেখানকার চন্দ্রের উদয়স্থল বর্তমান দেশের উদয়স্থল থেকে ভিন্ন। বেদুইনের সংবাদে রোযা শুরু করা ও কাফেলার সংবাদে ঈদ করার হাদীসের জন্যও এই ব্যাখ্যা প্রযোজ্য; কারণ অন্য স্থান থেকে তাদের আগমন ভিন্ন কোনো দেশের সংবাদ পৌছানো বুঝায় না।
    Asfer Saleh
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 10:18am

    Sogood Islam Syeds

    Abdullah Arif Lalbagh added a new photo.
    একই দিনে সিয়াম ও ঈদ পালন প্রসঙ্গে সংশয়মূলক প্রশ্নোত্তর: ——————————————————————————– প্রশ্ন (২) ঃ ইবনে ওমার (রা.) হতে বর্ণিত, “তিনি বলেন, (ইবনে ওমার) লোকেরা রমজানের নতুন চাঁদ অন্বেষণ করছিল। আমি রসূলুল্লাহ্ (দ.) কে জানালাম যে, আমি (নতুন চাঁদ) দেখেছি। অতঃপর তিনি (দ.) নিজেও স্বওম রাখলেন এবং লোকদেরকেও রমজানের স্বওম পালনের আদেশ দিলেন।” . #সূত্র: আবু দাউদ, স্বহীহ্, অধ্যায় ঃ ৮, কিতাবুস্ স্বিয়াম, অনুচ্ছেদ ঃ ১৪, রমজানে নতুন চাঁদ দেখার ব্যাপারে একজনের স্বাক্ষ্য দেয়া, হাদিস # ২৩৪২, দারিমী, স্বহীহ্, অধ্যায় ঃ ৪, কিতাবুস্ স্বওম, অনুচ্ছেদ ঃ ৬, রমজানে নতুন চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য, হাদিস # ১৬৯১ (হাদিসটি আবু দাউদের বর্ণনা)। . এই হাদিসটি বলছে যে, রমজানের চাঁদ দেখার স্বাক্ষী একজন হলেও যথেষ্ট। তাহলে, আপনি কোন যুক্তিতে বলছেন যে, ইবনে আব্বাস (রা.) সিরিয়ার চাঁদ গ্রহণ করেননি একজন স্বাক্ষ্য ছিল বিধায়! আ র রমজানের চাঁদ দেখার স্বাক্ষী দু’জন প্রয়োজন? আপনার এই ব্যাখ্যাটি কি অযৌক্তিক নয়? . #উত্তরঃ না ভাই, এই ব্যাখ্যাটি অযৌক্তিক নয়। কারণ, রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিস যখন ফে’লী (যা করেছেন) হাদিসের বিপরীতে হয় তখন ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিসই গ্রহণযোগ্য হয়। আ র ফে’লী (যা করেছেন) হাদিসটি রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর জন্য খাস হয়ে যায়। . রমজান এবং ঈদের চাঁদ দেখার স্বাক্ষী দু’জন লাগবে, এই হাদিসটি ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিস। আর রসূলুল্লাহ্ (দ.) রমজানের চাঁদ দেখার একজনের স্বাক্ষী গ্রহণ করেছেন। এই হাদিসটি ফে’লী (যা করেছেন) হাদিস তাই, রসূলুল্লাহ (দ.) আমাদেরকে যা বলেছেন আমরা তাই মানবো অর্থাৎ রমজান এবং ঈদের চাঁদ দেখার স্বাক্ষী দু’জন লাগবে। একজনের স্ব্যাক্ষ্য মানবো না। আর একজনের চাঁদ দেখার স্ব্যাক্ষ গ্রহণযোগ্যতা রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর জন্য খাস ধরতে হবে। . . এই বিষয়টি একটু বিস্তারিত বলছি। আবু হুরাইরাহ্ (রা.) হতে বর্ণিত, রসূলুল্লাহ্ (দ.) বলেছেন, তোমাদের কেউ প্রস্রাব-পায়খানা করতে বসলে কখনো যেন সে ক্বিবলার দিকে পীঠ বা মুখ করে না বসে।” বুখারী, হাদিস # ১৪৪, নাসাঈ, স্বহীহ্, অধ্যায় ঃ ১, পবিত্রতা, অনুচ্ছেদ ঃ ১৯, প্রস্রাব-পায়খানা করার সময় ক্বিবলামূখী হওয়া নিষেধ, হাদিস # ২০, . . এই হাদিসটি বলছে যে, আমরা যেন ক্বিবলার দিকে পীঠ বা মুখ করে প্রস্রাব-পায়খানা না করি। অথচ আরেকটি হাদিস বলছে, ইবনে ওমার (রা.) হতে বর্ণিত, . “তিনি বলেন (ইবনে ওমার), আমি একদা আমার বোন হাফসা (রা.) এর ঘরের ছাদে উঠলাম তখন রসূলুল্লাহ্ (দ.) কে প্রস্রাব-পায়খানায় বসা অবস্থায় দেখলাম, তিনি শামের (সিরিয়া) দিকে মুখ করে এবং ক্বিবলার দিকে পীঠ করে বসে ছিলেন।” -বুখারী, অধ্যায় ঃ ৪, উযু, অনুচ্ছেদ ঃ ১৪, গৃহের মধ্যে প্রস্রাব-পায়খানা করা। . . এই হাদিসটি বলছে যে, রসূলুল্লাহ্ (দ.) একবার ক্বিবলার দিকে পীঠ করে ইস্তেঞ্জা করছিলেন। তাই কেউ যদি এখন বলে যে, রসূলুল্লাহ্ (দ.) ক্বিবলার দিকে পীঠ করে ইস্তেঞ্জা করেছেন তাই আমরাও ক্বিবলার দিকে পীঠ করে ইস্তেঞ্জা করতে পারবো। তার কথা কি ঠিক হবে? নিশ্চয়ই না। কারণ, . রসূলূল্লাহ্ (দ.) আমাদেরকে ক্বিবলার দিকে পীঠ বা মুখ করে প্রস্রাব-পায়খানা না করতে নির্র্দেশ দিয়েছেন। তাই, এখানে ক্বিবলার দিকে পীঠ করে প্রস্রাব বা পায়খানা করার ব্যপারে রসূলুল্লাহ্ (দ.) কে অনুসরণ করা যাবে না। তাই, বুঝতে হবে যে, ক্বিবলার দিকে পীঠ বা মুখ করে প্রস্রাব-পায়খানা না করা আদেশটি রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিস। . আর তিনি (দ.) ক্বিবলার দিকে পীঠ করে প্রস্রাব-পায়খানা করেছেন তা ফে’লী (যা করেছেন) হাদিস। আ র ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিসের বিপরীতে ফে’লী (যা করেছেন) হাদিস আমাদের পালনীয় নয়। ঠিক তেমনিভাবে রসূলুল্লাহ্ (দ.) দু’জন মুসলিমের রমজানের বা ঈদের চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য নিতে বলেছেন। . এই হাদিসটি ক্বওলী (যা বলেছেন)। আ র তিনি (দ.) রমজানের নতুন চাঁদ দেখার স্বাক্ষী একজন নিয়েছেন তা ফে’লী (যা করেছেন) হাদিস। তাই, ক্বওলী (যা বলেছেন) হাদিস বলছে দু’জন মুসলিমের নতুন চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য হতে হবে। এই আদেশটিই আমাদের জন্য প্রযোজ্য হবে। আর একজন স্বাক্ষীর স্বাক্ষ্য গ্রহণ করার বিধান রসূলুল্লাহ্ (দ.) এর জন্য খাস। . . তাই বুঝতে হবে যে, ইবনে আব্বাস (রা.) কুরাইব (রহ.) এর স্বাক্ষ্য গ্রহণ না করে বলেছিলেন যে, “(লা, হাকাযা আমারনা রসূলুল্লাহ্ (দ.), অর্থ- না, রসূলুল্লাহ্ (দ.) আমাদের এরূপ আদেশই দিয়েছেন” অর্থাৎ ইবনে আব্বাস (রা.) বুঝিয়েছেন রসূলুল্লাহ্ (দ.) আমাদেরকে দু’জন মুসলিমের চাঁদ দেখার স্বাক্ষ্য গ্রহণ করতে বলেছেন, একজন থেকে নয়। আশা করি উত্তরটি পেয়েছেন। . .—————————————————————————————– মূল বই: সকল মুসলিমকে একই দিনে বিশ্বব্যাপী সিয়াম ও ঈদ পালন করতে হবে। লেখক: মুহাম্মাদ ইকবাল বিন ফাখরুল ইসলাম প্রাপ্তি স্থান: 1/ রাহেলা প্রকাশনী, বংশাল, 2/ হোসাইন আল মাদানী প্রকাশনী, বংশাল
    Abdullah Arif Lalbagh
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 10:26am

    Sogood Islam Syeds

    আত তাহৰীকৰ প্রশ্নোত্তৰ

    প্রশ্ন (৭/১২৭) : চাৰি হাতৰ মুছাফাহা কৰাৰ বিষয়টো ছহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্রমাণিত হয় নে? বিস্তাৰিত জনাই বাধিত কৰিব। -শ্বাহাদত বিন আব্দুৰ ৰহমান, ইশ্বৰদী।

    উত্তৰ : মুছাফাহা )ﺍﻟﻤﺼﺎﻓﺤﺔ ( শব্দটি বাবে ﻣﻔﺎﻋﻠﺔ-ৰ ক্রিয়ামূল। ইয়াৰ আভিধানিক অর্থ, ﺍﻹﻓﻀﺎﺀ ﺑﺼﻔﺤﺔ ﺍﻟﻴﺪ ﺇﻟﻲ ﺻﻔﺤﺔ ﺍﻟﻴﺪ অর্থাৎ এক হাতৰ তালুৰ সৈতে অন্য হাতৰ তালুক খামুচি ধৰা (ইবনু হাজাৰ, ফৎহুল বাৰী ১১/৫৪)। আৰবী ভাষাৰ কোনো অভিধানত চাৰি হাতৰ সংযোগক মুছাফাহা বুলি অভিহিত কৰা হোৱা নাই আৰু দুই দুই কৈ চাৰি হাতৰ তালু মিলাই মুছাফাহাৰ প্রমাণত কোনো মাৰফূ হাদীছ নাই (ছিদ্দীক হাছান খান ভূপালী, তানকীহুৰ ৰুওৱাত শ্বৰহ মিশকাত ৩/২৮৭ পৃঃ, টোকা-৬)। আনাচ ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহুৰ দ্বাৰা বর্ণিত, এজন ব্যক্তিয়ে ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামক প্ৰশ্ন কৰিলে যে, মই মোৰ বন্ধুৰ আগমনত মাথা নত কৰিম নে? ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে ক’লে, নাই। তেনেহ’লে কি আলিঙ্গন কৰিম? তেওঁ ক’লে, নাই। মই তেওঁক চুম্বন কৰিব পাৰিম? তেখেতে ক’লে, নোৱাৰা। তেওঁ ক’লে যে, তেনেহ’লে তেওঁৰ এখন হাতত মুছাফাহা কৰিব পাৰিম নে? )ﺃَﻓَﻴَﺄْﺧُﺬُ ﺑِﻴَﺪِﻩِ ﻭَﻳُﺼَﺎﻓِﺤُﻪُ ( ৰাছূলুল্লাহ (চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে ক’লে, হয়। (তিৰমিযী হা/২৭২৮; ছহীহাহ হা/১৬০; মিশকাত হা/৪৬৮০ ‘শিষ্টাচাৰ’ অধ্যায় ‘মুছাফাহা আৰু মু‘আনাকা’ অনুচ্ছেদ)। হাছান ইবনে নূহে কৈছে, মই আব্দুল্লাহ ইবনে বুছৰক কোৱা শুনিছোঁ, তোমালোকে মোৰ এই হাতৰ তালুখন দেখিছা? তোমালোকে সাক্ষী থাকা, মই এই তালুখন মুহাম্মাদ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ তালু মোবাৰকত ৰাখিছোঁ। অর্থাৎ মুছাফাহা কৰিছোঁ (আহমাদ হা/১৭৭২৬, তুহফাতুল আহওৱাযী ৭/৪৩০ পৃঃ ‘মুছাফাহা’ অনুচ্ছেদ)। কিন্তু আব্দুল্লাহ ইবনে মাছ‘ঊদ ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহুৰ দ্বাৰা বর্ণিত যে, তেওঁক তাশ্বাহহুদ শিক্ষা দিয়াৰ সময়ত তেওঁৰ হাতৰ তালুখন ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ দু’হাতৰ তালুৰ মাজত আছিল (বুখাৰী হা/৬২৬৫)। উক্ত হাদীছটিৰ ব্যাখ্যাত আব্দুল হাই লাক্ষ্ণৌবী হানাফীয়ে নিজৰ ফাতওৱা গ্রন্থত কৈছে, হাদীছটি মুছাফাহাৰ সৈতে সম্পৃক্ত নহয়। বৰং শিক্ষাৰ প্রতি শিক্ষার্থীৰ অধিক আগ্রহ সৃষ্টিৰ কাৰণে ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে এনেকুৱা কৰিছিল। (তুহফাতুল আহওৱাযী হা/২৮৭৫-ৰ ভাষ্য, ৭/৫২২)। আব্দুল্লাহ ইবনে মাছঊদ ৰাদ্বিয়াল্লাহু আনহুৰ উক্ত হাদীছৰ পৰাও চাৰি হাতৰ তালু মিলোৱা প্রমাণিত নহয়; বৰং তিনি হাতৰ তালু প্রমাণিত হয়। গতিকে উভয়ৰ সোঁ-হাতৰ তালুৰ দ্বাৰা মুছাফাহা কৰাই ছহীহ হাদীছৰ দ্বাৰা প্রমাণিত।yranslte.jubet Brahman.wap

  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 11:20am

    Sogood Islam Syeds

    অহেতুক মন্তব্যের জবাব ও সংশোধনের আহবানঃ- I গতকাল একটা পোস্ট দিয়েছিলাম “প্রচলিত ১৫ই শাবান শবে বরাত পালন করা বিদআত” বিষয়ে। পোস্ট ছোট রাখার জন্য সব কিছু বলা সম্ভব হয়নি। যার ফলে অনেকেই না বুঝেই অহেতুক মন্তব্য করেছেন, ইনশাহআল্লাহ সব গুলো মন্তব্যের জবাব পেয়ে যাবেন এখন। আর যেকোনো ভূল কে যৌক্তিকভাবে সংশোধন করে দিবেন আমি শিখতেই চাই, অযথা কথা বলে মৌনমালিন্য করবেন না দয়া করে। প্রচার করা আমার দায়ীত্ব, আপনাকে মানতেই হবে কখনো বলিনি। I ১) হাদিস গুলা তুই বানাইছস+শালা বেকুব কোথাকার+তুই মুশরিক+দাড়ি তো রবীন্দ্রনাথ ও রাখছে, খালি দাড়ি রাখলে মুসলমান হওয়া যায়নাঃ- I উত্তরঃ বললেন হাদিস আমি বানাইছি, তার মানে জাল হাদিস সাব্যস্থ করলেন, অথচ আমি সব গুলোর রেফারেন্স দিয়েছি, যদি হাদিস আমি বানাই আমি রাসূলের নামে মিথ্যা বলেছি, যে সহিহ হাদিস কে জাল বলল সেও রাসুলের নামের মিথ্যা বলল, আর রাসূল সাঃ বলেন “যে ব্যাক্তি আমার নামে মিথ্যা বলল সে নিজের স্থান নিজেই জাহান্নামে করে নিল (বুখারি ১০৬-১১০)। আমাকে কাফির সাব্যস্থ করলেন অথচ আমি একজন গর্বিত মুস্লিম(আলহামদুলিল্লাহ) তার মানে নিজের গালে নিজে থুতু দিলেন, রাসুল বলেন “যে ব্যাক্তি অপর মুসলিম ভাইকে কাফির বলল, সে যদি কাফির না হয় তাহলে যে বলল সেই কাফির (বুখারি ৬১০৩) যে ব্যাক্তি অপর মুসলিম ভাইকে গালি দিল সে ফাসিক(বুখারি ৪৮) I ২) আপনি নিজের মত করে কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা করলেন – উত্তরঃ- তাফসীরে ইবনে কাসির পড়ে দেখেন ভাই, ভূল হলে সংশোধন করে দিন। হাদিস গুলোর ব্যাখ্যা দেখুন ফাতহুল বারী, ফাতহুল কাদীর। I ৩) সবাই নিজেকে আলেম ভাবে, আর নিজে নিজে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছেঃ- উত্তরঃ- ভাই, আমি একজন তালেবে ইল্ম মাত্র। আর তালেবে ইল্ম ফতোয়া দেয়া জায়েজ নয়, তবে আলেমদের থেকে শিখে প্রচার করতে পারবে (দায়ী)। আমি নিজ থেকে বলিনি ভাই, শাইখদের সাথে আমাদের প্রতিদিন যোগাযোগ হয়(আলহামদুলিল্লাহ), আর যে সব বই গুলো থেকে শিখেছি সেগুলোর নাম দিলাম— I 1) সুন্নাতে রাসূল আঁকড়ে ধরা এবং বিদআতের থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য। [শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায(গ্র্যান্ড মুফতি, ফতোয়া বোর্ড সৌদি) I 2) বিদআত। [শাইখ সালেহ ফাওজান (ফতোয়া বোর্ড সৌদি)] I 3) ফির্কাহ না-জিয়াহ ও নাজাত প্রাপ্ত জামায়াতের মতাদর্শ। [মুহাম্মদ জামীল মইনু(অধ্যাপক দারুল হাদীস আল খাইরিয়াহ, মক্কা আল মুকাররামাহ)] I 4) তাওহীদ শিরক সুন্নাত ও বিদআত [হাফেয মুহাম্মদ আইয়ুব] 5) ইকামতে দ্বীন পথ ও পদ্ধতি [ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব] 6) হাদিসের প্রামাণিকতা [ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, পি এইচ ডি] I 7) এহিয়াউস সুনান, সুন্নাতের পুনরুজ্জীবন ও বিদআতের বিসর্জন[ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, পি এইচ ডি] I 8) ইলম হাসিল সম্পর্কে পূর্বসরীদের কিছু বানী [হিসামুদ্দিন সালিম কিলানী রহঃ] 9) অন্তর বিধ্বংসী বিষয়, প্রবৃত্তির অনুসরন। [মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রহঃ] 10) ফতোয়া আরকানুল ইসলাম [শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন রহঃ, (ফতোয়া বোর্ড সৌদি)] 11) স্বলাতে মুবাশশির [শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইযী মাদানী] I ৪) আগের ইমামরা পড়ে নেককার হয়েছে, আর তোরা এসেছিস না জায়েজ করতেঃ- উত্তরঃ ইমাম বললে তো বেশিরভাগ ভাই ৪জন (ইমাম আবু হানিফা রহঃ, শাফেয়ী রহঃ, মালেক রহঃ, হাম্বলী রহঃ) ছাড়া আর কাউকে চিনেন না তাইনা? ভাই, শত বললে ভূল হবে হাজারো ইমাম আছে যাদেরকে চিনেন না। যাইহোক চার জনের এক জনের মত কি আপনি দেখাতে পারবেন? যে তারা ১৫ই শাবান কে শবে বরাত পালন করতেন ও নির্দেশ দিয়েছেন। নিজেকে তো হানাফী দাবী করেন তাইনা? পড়ে দেখেন “ফিকহুল আকবর” বুজতে পারবেন ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর সাথে আপনাদের আকিদা কতটুকু মিল আর অমিল। আর হানাফি মাজহাবের শ্রেষ্ঠ কিতাব মালাবুদ্দা মিনহু, নুরুল ইজহা, কুদুরি, কানযুদ দাকায়েক, শরহে বেকায়া, শরহে হিদায়াহ কোন একটিতে শবে বরাত এর কথা বলা আছে কি? পূর্বের ইমামরা পালন করলে প্রমাণ দেখান। I ৫) তোরা ভ্রান্ত আহলে হাদিসের দলঃ- উত্তরঃ আপনার সাথে আমি একমত না, আমি আর আপনি একই মুসলিম ভাই। তবে সংগঠন আলাদা কথা। আর যদি আহলে হাদিস ই বলবেন, আহলে হাদিস সম্পর্কে পূর্ববর্তীদের মত দেখুনঃ- I 1) শাইখ আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ “গুনিয়াতুত তালেবীন” এ উল্লেখ করেছেন ““তোমরা অবহিত হও, ভন্ড ভ্রান্ত বিদা’আতীদের কতিপয় লক্ষন আছে যা দ্বারা তাদের পরিচয় জানা যায়। বিদ’আতীদের কতিপয় লক্ষনের অন্যতম এই যে তারা আহলে হাদীসগনের কুৎসা রটনা করে। (গুনিয়াতুত তালেবীন, অর্দু অনুবাদসহ ১৯৭পৃঃ) I ২) জাফর বিন মুহাম্মদ বিন হাসান কাজী (রঃ) আহলে হাদীস গনের সম্পর্কে মন্তব্য করার পর বলেছেন, যারা আহলে হাদীসগনের বিরুদ্বাচরন করে তারা বিদ’আতী। (কানাবিলূত তাওহীদ ১৫৫-১৫৬পৃঃ) I ভাই, কেন এত জ্বলে উঠেন? ইসলামের কোন কিছুই দলিল প্রমাণ ছাড়া করা যাবেনা। আর সত্যবাদীদের কাছে অবশ্যয় প্রমাণ থাকবে। [আল্লাহ্‌ বলেন “যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে প্রমাণ দেখাও- সূরা বাকারাহ ০২/১১১] আর যেহেতু আমি আলেম নই সেহেতু শিখতেই চাই তবে দলিল প্রমাণ সহ কারন [আল্লাহ্‌ বলেন – যদি তোমরা না জান তবে প্রমাণ সহ জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস কর”- সূরা নাহল১৬/৪৩-৪৪] I ফালিল্লাহিল হামদ আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
    Mugniur Rahman Tabriz
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 12:48pm

    Sogood Islam Syeds

    কুরআন হাদিসের বানী added a new photo.
    #মধ্য শা’বানের রাত্রিতে ইবাদত ও দিবসে সিয়াম পালনের দলীল হিসেবে শবে-বরাত পালনকারীরা ইবনু মাজাহ’র এই হাদিসটিকে দলীল হিসেবে উপস্থাপন করে থাকেন। কিন্তু হাদীসের ইমামগণের মত অনুযায়ী এ হাদিসটি বানোয়াট বা অত্যন্ত দুর্বল। . বিস্তারিতঃ . আলী (রা) বলেন, রাসূলুল্লাহ (সা) বলেছেনঃ . যখন মধ্য শাবানের রাত আসে তখন তোমরা রাতে (সালাতে-দোয়ায় দন্ডায়মান থাক এবং দিবসে সিয়াম পালন কর। কারণ; ঐ দিন সূর্যাস্তের পর মহান আল্লাহ্‌ পৃথিবী আকাশে অবতরণ করেন এবং বলেন, কোন ক্ষমা প্রার্থনাকারী আছে কি? আমি তাকে ক্ষমা করব। কোন রিযক অনুসন্ধানকারী আছে কি? আমি তাকে রিযক প্রদান করব। কোন দুর্দশাগ্রস্ত ব্যক্তি আছে কি? আমি তাকে মুক্ত করব। এভাবে সুবহে সাদিক উদয় হওয়া পর্যন্ত চলতে থাকে। . এ হাদীসটি ইমাম ইবনু মাজাহ তাঁর উস্তাদ হাসান বিন আলী আল-খাল্লাল থেকে, তিনি আব্দুর রাজ্জাক থেকে, তিনি ইবনু আবি সাব্‌রাহ থেকে, তিনি ইবরাহীম বিন মুহাম্মাদ থেকে, তিনি মুয়াবিয়া বিন আব্দুল্লাহ বিন জাফর থেকে, তিনি তাঁর পিতা থেকে আব্দুল্লাহ বিন জাফর থেকে, তিনি আলী ইবনু আবী তালিব (রা) থেকে বর্ণনা করেছেন। . {ইবনু মাজাহ, আস-সুনান ১/৪৪৪, হাদীস নং ১৩৮৮} . এ হাদীসে মধ্য শা’বানের রাত সালাত-ইবাদতে কাটানোর উৎসাহ দেয়া হয়েছে। পাশাপাশি দিনের বেলা সিয়াম পালনের উৎসাহ প্রদান করা হয়েছে এ হাদীসে। . কিন্তু হাদীসের ইমামগণের মত অনুযায়ী এ হাদিসটি বানোয়াট বা অত্যন্ত দুর্বল। কিন্তু এ হাদিসটি একমাত্র ইবনু আবি সাব্‌রাহ বর্ণনা করেছেন। তিনি ব্যতীত অন্য কেউ এ হাদীস বর্ণনা করেননি। আব্দুল্লাহ বিন জাফর থেকেও তাঁর কোন ছাত্র হাদীসটি বর্ণনা করেননি। এমনকি মু’আবিয়া ও ইবরাহিম বিন মুহাম্মাদ থেকেও তাদের কোন ছাত্র হাদিসটি বর্ণনা করেন নি। শুধুমাত্র ইবনু আবি সাব্‌রাহ দাবী করেছেন যে, তিনি ইবরাহীম থেকে উক্ত সনদে হাদীসটি শ্রবণ করেছেন। তাঁর কাছ থেকে আব্দুর রাজ্জাক ও অন্যান্যরা বর্ণনা করেছেন। . ইবনু আবি সাব্‌রাহ (১৬২ হি) –এর পূর্ণনাম আবু বকর বিন আব্দুল্লাহ বিন মুহাম্মাদ বিন আবি সাব্‌রাহ। তিনি মদীনার একজন বড় আলিম ও ফক্বীহ ছিলেন। কিন্তু তুলনামূলক নিরীক্ষা ও বিচারের মাধ্যমে হাদীসের ইমামগণ নিশ্চিত হয়েছেন যে, তিনি হাদীস বর্ণনার ক্ষেত্রে মিথ্যার আশ্রয় নিতেন। ইমাম আহমাদ, ইয়াহয়িয়া বিন মাঈন, আলী ইবনুল মাদানী, বুখারী, ইবনু আদী, ইবনু হিব্বান ও হাকিম নিশাপুরী ও অন্যান্য মুহাদ্দিস তাকে মিথ্যা ও বানোয়াট হাদীস বর্ণনাকারী হিসেবে অভিযুক্ত করেছেন। . {ইবনু হাজার, তাক্বরীবুত তাহযীব, পৃষ্ঠা ৬৩২; তাহযীবুত তাহযীব ১২/২৫-২৬} . এরই আলোকে আল্লামা শিহাব উদ্দীন আহমাদ বিন আবি বকর আল-বুসরী (৮৪০ হি) এ হাদীসের টিকায় বলেছেন, ইবনু আবি সাব্‌রাহর দুর্বলতার কারণে এ সনদটি দুর্বল। ইমাম আহমাদ ও ইবনু মাঈন তাকে হাদীস বানোয়াটকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। . {আল-বুসরী, যাওয়ায়েদ ইবনে মাজাহ, পৃষ্ঠা ২০৩} . নাসিরুদ্দীন আলবানী (রহ) বলেছেন, হাদীসটি অত্যন্ত দুর্বল বা বানোয়াট। তিনি আরো বলেন, সনদটি বানোয়াট। . {আলবানী, সিলসিলাহ আহাদীস আদদাঈফা, ৫/১৫৪, হাদীস নং ২১৩২} ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣ ♣
    কুরআন হাদিসের বানী
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 1:38pm

    Sogood Islam Syeds

    নাফে (রাঃ) বলেন, নিশ্চয় ইবনু ওমর (রাঃ) যখন কোন ব্যাক্তি কে দেখতেন যে,সে রুকুতে যাওয়া ও উঠার সময় রাফেউল ইয়াদায়েন করছে না,তখন তিনি তার দিকে পাথর ছুটে মারতেন। (ইমাম বুখারি, রাফেউল ইয়াদায়েন হা/১৪,পৃষ্টা :১৫,সনদ সহীহ) ইমাম বুখারির ওস্তাদ অালী ইবনুল মাদানী (১৬১-২৩৪ হিঃ) ইবনু ওমর (রাঃ) এর বর্ণিত হাদিস সম্পর্কে বলেন, এই হাদিস অামার নিকটে সমগ্র উম্মতের জন্য দলিল স্বরুপ।প্রত্যেকে যে এই হাদিস শুনবে তার উপরই অামল করা ওয়াজিব হয়ে যাবে।কারন এই হাদিসের সনদে কোন এুটি নেই। (তালখীছুল হাবীর ১/৫৩৯ পৃঃ) মুহাম্মদ ইবনু মুকাতিল(রঃ)—আবদুল্লাহ ইবনু উমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি রাসুলুল্লাহ (সাঃ)কে দেখেছি, তিনি যখন সালাতের জন্য দাঁড়াতেন তখন উভয়হাত কাঁধ বরাবর উঠাতেন। এবং যখন তিনি রুকুর জন্য তাকবীর বলতেন তখনও এরূপ করতেন। আবার যখন রুকু হতে মাথা উঠাতেন তখনও এরূপ করতেন এবং সামিআল্লাহু লিমান হামিদা বলতেন। তবে সিজদার সময় এরূপ করতেন না। সহীহ বুখারী, ২য় খণ্ড, হাদিস নং ৭০০, পৃষ্ঠা নং১০০, প্রকাশনী- ইসঃ ফাউঃ বাংলাদেশ। সমগ্র মুহাদ্দিসগনের ওস্তাদ,মুহাদ্দিসগণের শিরোমনি ঈমাম বুখারি রাহিমাহুল্লাহ (১৯৪-২৫৬ হিঃ) বলেন, “ছাহাবীদের মধ্যে কোন একজনের পক্ষ থেকে প্রমানিত হয় নি যে,তিনি রাফেউল ইয়াদায়েন ছেড়ে দিয়েছিলেন।তিনি অারো বলেন,রাফেওল ইয়াদায়েনের হাদিসের সনদের চেয়ে বিশুদ্ধ অার কোন সনদ নেই” (ফৎহুল বারী হা/৭৩৬ এর অালোচনা দ্রঃ) ইবনু হাজার অাসকালনী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন, ঈমাম বুখারি ১৭ জন ছাহাবী থেকে রাফেউল ইয়াদায়েনের হাদিস বর্ণনা করেন।হাকেম ও অাবুল কাসেম মান্দাহ জান্নাতের সুসংবাদ প্রাপ্ত ১০ জন ছাহাবী থেকে হাদিস বর্ণনা করেন।অার হাফেয অাবুল ফাযল অনুসন্ধান করে ছাহাবীদের থেকে যে সমস্ত বর্ণনা উল্লেখ করেছেন,তার সংখ্যা ৫০ জনে পৌছেছে। (ফৎহুল বারী হা/৭৩৬- এর অালোচনা দ্রষ্টব্য) ভারতগুরু অলিউল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলভি বলেন, যে ব্যাক্তি রাফেউল ইয়াদায়েন করে,ঐ ব্যাক্তি অামার নিকট অধিক প্রিয় ঐ ব্যাক্তির চেয়ে যে রাফেউল ইয়াদায়েন করে না।কারন রাফেউল ইয়াদায়েন এর হাদিস সংখ্যায় বেশি ও অধিকতর মজবুত। (হুজ্জাতুল বালিগাহ ২/১০ পৃঃ) শায়খ অালবানি রাহিমাহুল্লাহ বলেন, “এই রাফেউল ইয়াদায়েনের অামল রাসুল (সঃ) থেকে বর্ণিত ‘মুতাওয়াতির’ পর্যায়ের হাদিস দ্বারা প্রমানিত। এটা তিন ইমামের মাযহাব ও অধিকাংশ মুহাদ্দিস ও ফক্বীহের মাযহাব। ইমাম মালেক এর উপরই মৃত্যু বরন করেছেন। (অালবানি, ছিফাতু ছালাতিন নাবি পৃঃ ১২৮-১২৯)
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • May 19
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 5:11pm

    Sogood Islam Syeds

    আল্লাহর গোলাম আনিসুল added a new photo.
    ডাউনলোড লিঙ্কঃ http://www.shottanneshi.com/zaadul-maad/
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • May 19
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 8:36pm

    Sogood Islam Syeds

    ১৭৫ এর উপর হাদীছ গ্রন্থ (متون الحديث) আছে। আমার জানা মতে তার মধ্যে মাত্র ৬ থেকে ৭ টি গ্রন্থের বঙ্গানুবাদ হয়েছে। গননায় আমার ভুলও হতে পারে। আমরা তাহলে কি করছি ? রাসুল (সাঃ) এর সুন্দর কথাগুলি, সুন্দর আমলগুলিকে এখনও বাংলা ভাষা-ভাষী মানুষগুলির কাছে পৌঁছে দিতে পারলাম না !! আসুন সবাই বিষয়টির দিকে একটু নজর দেই। তাহক্বীক্বযুক্ত হাদীছগ্রন্থসমূহ অনুবাদের জন্য নিজের জ্ঞান, শ্রম, অর্থ ব্যায় করি।
    আল্লাহর গোলাম আনিসুল
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 9:19pm

    Sogood Islam Syeds

    আসুন! আমরা এভাবে পায়ে পা,কাঁধে কাঁধ,বুকে হাত_জ্বোরে আমিন বলে রাসূলের পদ্ধতিতে সালাত আদাই করি| ****** কে?কে? এভাবেই রাসুলের পদ্ধতিতে করেন??
    আহলে হাদীসের গোয়েন্দা
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 11:11pm

    Sogood Islam Syeds

    ☞☞ মাহে ৰমজানৰ বিশেষ সতৰ্কতা ☜☜ ইছলামীয় হিজৰীৰ বাৰটি চন্দ্ৰমাহৰ আটাইতকৈ বৰকতময় আৰু ফজিলত পূৰ্ণ মাহে ৰমজান ইন শ্বা আল্লাহ সমাগত । এই পবিত্ৰ মাহটোত মহান আল্লাহে আমাক ইমান নিয়ামত ভৰা বৰকত আৰু ফজিলত দান কৰিছে যে বিশুদ্ধ আন্তৰিকতা আৰু শুদ্ধ পদ্ধতিৰে আমি যদি আমাৰ কৰণীয় ইবাদত সমূহ আদায় কৰো, তেন্তে ইন শ্বা আল্লাহ পৰম দয়ালু আল্লাহে আমাৰ পূৰ্বৰ সকলো গুণাহ মাফ কৰি আমাক এক নিস্পাপ শিশুৰ দৰে কৰি তুলিব বুলি আমি আশা কৰিব পাৰো । কিন্তু এই আশা পূৰণৰ মূল স্বৰ্ত হব যে একান্ত বিশ্বাসেৰে আমি কৰা ইবাদতৰ তৰিকা সমূহ একমাত্র আল্লাহ আৰু ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ নিৰ্দেশনাৰ অনুকুল হব লাগিব । কিন্তু অতি দুখঃজনক বিষয় যে নিজ স্বাৰ্থলোভী সমাজৰ এক বিশেষ চক্ৰই আমাৰ অঞ্জতাৰ সুযোগ লৈ আমাৰ ইবাদত সমূহৰ বিশুদ্ধতাত আমি বুজি নোপোৱাকৈ নিজৰ স্বাৰ্থ পূৰণৰ বাবে প্ৰদূষিত কৰিছে ! আল্লাহ আৰু ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে নিৰ্ধাৰণ কৰি দিয়া পথৰ পৰা আমাক আঁতৰাই মানৱ ৰচিত পথত আমাক পৰিচালিত কৰিছে ! বহু ক্ষেত্ৰত আমাৰ ইছলামীয় জ্ঞানৰ অভাৱৰ বাবেও আমি আদায় কৰা ইবাদত সমূহৰ বিশুদ্ধতাক আমি নিজেই নষ্ট কৰিছো । সেয়েহে নিম্ন উল্লেখিত এনে কিছু বিষয়ৰ প্ৰতি আমি সদায় সতৰ্কতা অৱলম্বন কৰা উচিত – ( ১) ৰমজান মাহ অহাৰ আগে আগে আমি প্ৰায় প্ৰত্যেক জামাতে উপযুক্ত হাফিজ বিচাৰি খতম তাৰাবীৰ বাবে হাজাৰ হাজাৰ টকাৰ বিনিময়ত পূৰ্ব চুক্তি সম্পন্ন কৰি হাফিজ মকৰল কৰাত উঠি পৰি লাগো । উল্লেখযোগ্য বিষয় যে এনেদৰে কোৰআন খতমৰ মাধ্যমেৰে ৰমজানৰ তাৰাবী চালাত আদায় কৰাৰ শ্বৰীয়তৰ কোনো নিৰ্দেশনা নাই বৰং ই এক মানৱ ৰচিত নিতী, সেয়েহে ইয়াক বৰ্জন কৰাটো উত্তম । যিহেতু ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে কৈছে :” কোনোবাই যদি কোনো আমল কৰে, যি আমলৰ নিৰ্দেশ আমি দিয়া নাই, তেনে আমল প্ৰত্যাখিত “( চহীহ মুচলীম )। (২) ধীৰ সুস্হিৰে চালাত আদায় কৰাটো চালাত গৃহিত হোৱাৰ এক অন্যত্বম ৰুকুন বা স্তম্ভ , যাক তা’দীলে আৰকান বোলা হয় । এই ৰুকুন পৰিত্যাগ কৰিলে চালাত বাতিল হিচাবে বিবেচিত হব । জৈনক ব্যক্তি ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামৰ উপস্থিতিত মছজিদত প্ৰৱেশ কৰি চালাত আদায় কৰা দেখি তিনিবাৰকৈ তেখেতক চালাত আদায় হোৱা নাই বুলি কৈ চালাত পুনৰাই আদায় কৰাৰ নিৰ্দেশ দিছিল । অৱশেষত ব্যক্তি গৰাকীয়ে ইয়াতকৈ আৰু ভালদৰে চালাত আদায় কৰিব নাজানোঁ বুলি কোৱাত ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে তেখেতক ধীৰ সুস্হিৰতা অৱলম্বন কৰাৰ নিৰ্দেশ দি কৈছিল অন্যথা চালাত বাতিল হব । সেয়েহে আমি আদায় কৰা খতম তাৰাবীৰ গতিবেগ ✈✈ আৰু এই হাদীছ তুলনা কৰি আপুনি নিজেই পৰিণতি বিবেচনা কৰক ! (৩) পবিত্ৰ কোৰআনত স্বয়ং ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লামে মুঠ ১৫ টা আয়াতত চিজদাহ দিছিল । আমি প্ৰত্যেকেই এই আয়াত সমূহ তিলাৱত কৰোতা আৰু শ্ৰবন কৰোতাই চিজদাহ দিয়াটো ৱাজিব । কিন্তু ৰহস্য জনক কাৰণত মাজহাবৰ দোহাই দি আমাৰ খতম তাৰাবী সমূহত ইয়াৰে এটা চিজদাহ ( চুৰা হজ্জৰ ২নং চিজদাহ ) ত্যাগ কৰি মুঠ ১৪ টি চিজদাহ আদায় কৰা হয় । সেয়েহে তিলতিলকৈ আমাক সকলোকে এই এটা চিজদাহ ত্যাগ কৰি ৱাজিব তৰকৰ গুণাহত লিপ্ত কৰাইছে ! (৪) ৰমজানত সকলোৱে আদায় দিব লগা এক গুৰুত্বপূৰ্ণ চাদকা হৈছে ফিতৰা । কিন্তু সমাজত বহল প্ৰচাৰিত আৰু আমি সকলোৱে আদায় দি অহা ১৬৩৩ গ্ৰাম ঘেঁহু বা তাৰ মূল্য , এই ত্বথ্য সঠিক নহয় ও ই এক মানৱ ৰচিত বিধান ! চহীহ হাদীছৰ ত্বথ্য অনুসৰি ঈদৰ ৩-৪ দিন আগত তিনিলিটাৰ আয়তনৰ কোনো পাত্ৰত আমি ব্যৱহাৰ কৰা খাদ্য সামগ্ৰীয়ে এটা ফিতৰাৰ পৰিমাণ নিৰ্দ্ধাৰণ কৰে । এই ক্ষেত্ৰত উক্ত পৰিমাণৰ খাদ্য সামগ্ৰীৰ মূল্য দিয়াৰ বিষয়ে কোনো হাদীছতেই উল্লেখ নাই, এইয়া নিজ স্বাৰ্থ পূৰণৰ বাবে সৃষ্টি কৰা নিয়ম ! যিহেতু ৰাছূল চল্লাল্লাহু আলাইহি অছাল্লাম ও চাহাবা সকলে উক্ত পৰিমাণৰ খেজুৰ, ঘেঁহু, বাৰ্লি আদি খাদ্য সামগ্ৰী আদায় কৰিছিল , সেয়েহে আমিও খাদ্য সামগ্ৰীৰে ফিতৰা আদায় দিয়া উচিত । (৫) একমাত্ৰ ২৭ ৰমজানৰ ৰাতি শ্ববে কদৰ তালাচ নকৰি ৰমজানৰ শেষৰ দহ দিনৰ বিশেষকৈ বেজোৰ নিশা কেইটিত উজাগৰে থাকি শ্ববে কদৰৰ নিয়তত ইবাদতত লিপ্ত হলে ইন শ্বা আল্লাহ সেই বিশেষ ৰাতিৰ ফজিলত লাভৰ সম্ভাৱনা বৃদ্ধি পায় । আল্লাহে আমাক সকলোকে মাহে ৰমজানৰ গুৰুত্ব বুজি সঠিক পদ্ধতিৰে ইবাদত কৰাৰ তৌফিক দান কৰক । । । আমীন । । । । ।
    Muktabul Hussain
  • Sogood Islam Syeds
    5/19, 11:16pm

    Sogood Islam Syeds

    Sogood Islam Syeds shared Muktabul Hussain’s photo to the group: Sogoodislam-Assamese-Muslim Group.
    Sogood Islam Syeds
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 1:09am

    Sogood Islam Syeds

    Sogood Islam Syeds added a new photo.
    আমাৰ এজন বন্ধুৱে ১৫ই শাবান, শবে বৰাত পালন কৰাটোযে বিদআত, তাৰ ওপৰত এটা লেখা প্রকাশ কৰিছিল। সেই লেখাৰ ওপৰত বহুতে কিছু মন্তব্য দিছিল এনেদৰেঃ- মন্তব্য(comment):- হাদিছসমূহ তই বনাইছ+শালা বেকুব কৰবাৰ+তই মুশৰিক+দাড়ি ৰবীন্দ্রনাথেও ৰাখিছিল, খালি দাড়ি ৰাখিলেই মুছলমান নহয়। —————————————————————- উত্তৰঃ- তাৰমানে হাদিছ মই বনাইছো বুলি কৈছে, তাৰ মানে জাল হাদিছ সাব্যস্ত কৰিলে, অথচ মই আটাইবোৰৰেই ৰেফাৰেন্স দিছো, যদি হাদিছ মই বনাও মই ৰছুলৰ(দঃ) নামত মিছা কলো, যি সহিহ হাদিছক জাল বুলিলে তেওঁ ৰছুলৰ(দঃ) নামত মিছা কলে, আৰু ৰছুলে(দঃ) কৈছে “যি ব্যাক্তিয়ে মোৰ নামত মিছা কয় তেওঁ নিজেৰ স্থান নিজেই জাহান্নামত কৰি ললে (বুখাৰি১০৬-১১০)”। –মোক কাফিৰ সাব্যস্ত কৰিলে অথচ মই এজন গর্বিত মুস্লিম(আলহামদুলিল্লাহ) তাৰ মানে নিজেৰ গালৈ নিজেই থুৱাই দিলে, ৰছুলে(দঃ) কৈছে“যি ব্যাক্তিয়ে অান মুছলিম ভাইক কাফিৰ কয়, তেওঁ যদি কাফিৰ নহয় তেন্তে যি তেনেকৈ কব তেৱেই কাফিৰ (বুখাৰি ৬১০৩) যি ব্যাক্তি অান মুছলিম ভাইক গালি দিয়ে তেওঁ ফাসিক(বুখাৰি ৪৮)।
    Sogood Islam Syeds
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 4:00am

    Sogood Islam Syeds

    Is there any difference between men and women with regard to the actions of Salah (Prayer) Q: Is there any difference between men and women with regard to the actions of Salah (Prayer) like raising hands to the ears and putting them over the chest? A: The correct opinion maintains that the way in which women perform Salah is the same as that of men, as the Messenger of Allah (peace be upon him) said: Perform Salah as you see me perform it. and he (peace be upon him) made no exclusions for women. So men and women are equally addressed with the prescribed actions of Salah such as raising the hands, putting them over the chest, putting them on the knees when bowing down, and resting them on the ground opposite the shoulders or ears in Sujud (prostration). Similarly, they both have to recite Al-Fatihah (Opening Chapter of the Qur’an) and some verses of the Qur’an in both the first and second Rak`ahs (units of Prayer) of Zhuhr (Noon), `Asr (Afternoon), Maghrib (Sunset), `Isha’ (Night) and Fajr (Dawn) Prayers. Yet, only Al-Fatihah is to be recited in the third Rak`ah of Maghrib Prayer, and the third and fourth of Zhuhr, `Asr and `Isha’ Prayers. So women are on an equal footing with men in this regard. Fatwas of Nur `Ala Al-Darb>Volume 9>Book of Salah>Completion of the chapter on the description of Salah>Demonstrating that men and women are on an equal footing
    Sadiya Maryam
  • May 20
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 11:31am

    Sogood Islam Syeds

    রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : আমি তোমাদের কবর যিয়ারত করতে নিষেধ করেছিলাম। কিন্তু এখন যিয়ারত কর, যাতে ইহা তোমাদেরকে ভাল কাজের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়। (সহিহ মুসলিম)। যিয়ারত কিভাবে করবেন?????? ১। কবরস্থানে প্রবেশ কিংবা পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় সুন্নত হচ্ছে তাদের সালাম করা এবং তাদের জন্য দোয়া করা। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাহাবিদের শিখিয়েছেন : اহে ঘরের মুমিন-মুসলিম বাসিন্দাগণ! তোমাদের উপর আল্লাহর শান্তি বর্ষিত হোক। আমরাও আল্লাহ চাহে তো তোমাদের সাথে মিলিত হব। আল্লাহর কাছে আমাদের এবং তোমাদের জন্য তাঁর আযাব হতে ক্ষমা চাই। (সহিহ মুসলিম)। ২। কবরের উপর বসা নিষেধ এবং তার উপর দিয়ে চলাফেরা করার রাস্তা বানানোও নিষেধ। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা কবরের দিকে সালাত আদায় কর না এবং কবরের বসবে না। (মুসলিম)। ৩। নৈকট্য লাভের আশায় কবরের চারপাশে তাওয়াফ করা নিষেধ। কারণ, আল্লাহ তাআলা বলেনঃ তারা যেন প্রাচীন ঘরের (কাবার) চার পার্শ্বে তাওয়াফ করে। ( সূরা হজ ২২: আয়াত, ২৯) ৪। কবরস্থানে কোরআন তেলাওয়াত করা নিষেধ। কারণ, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন : তোমরা বাসস্থানসমূহকে কবরস্থান বানাবে না। কারণ, শয়তান সেসব বাড়ী হতে পলায়ন করে যেখানে সূরা বাকারা পাঠ করা হয়। ( মুসলিম)। এ হাদিস দ্বারা এটাই বুঝা যায় যে, কবরস্থান কোরআন পাঠের স্থান নয়, বরং কোরআন তেলাওয়াতের স্থান হচ্ছে নিজ নিজ বাসস্থান। যে সব হাদিসে কবরস্থানে কোরআন পাঠের কথা বলা হয়েছে সেগুলো সঠিক নয়। ৫। মৃতদের কাছ থেকে মদদ বা সাহায্য চাওয়া বড় শিরক। যদিও সে নবী কিংবা ওলী হয়। এ সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা বলেন : আর আল্লাহ ছাড়া এমন কিছুকে ডেকো না, যা তোমার উপকার করতে পারে না এবং তোমার ক্ষতিও করতে পারে না। যদি তুমি কর, তাহলে নিশ্চয় তুমি জালিমদের অন্তর্ভুক্ত হবে। ( সূরা ইউনুস: আয়াত, ১০৬) ৬। কবরের উপর ফুলের তোড়া দেয়া কিংবা কবরস্থানে তা স্থাপন করা নাজায়েয। কারণ, নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অথবা সাহাবিরা কেউ এমনটি করেননি। তাছাড়া এতে খ্রীষ্টানদের অনুকরণ হয়। এবং এটি অপচয় অপব্যয়ের রাস্তা। এসব টাকা-পয়সা যদি অনাথ-গরীবদেরকে দেয়া হত তবে তারা উপকৃত হত। এবং অনুমোদিত জায়গায় ব্যয় নিশ্চিত হত। ৭। কবরের উপর কোনো সৌধ বানানো বা সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য দেয়াল দেয়া জায়েয নেই। তাতে কোরআনের আয়াত কিংবা কবিতা লেখাও নিষেধ। তবে ইট, পাথর কিংবা মাটি দিয়ে এক বিঘত পরিমাণ উঁচু করা জায়েয, যাতে মানুষ বুঝতে পারে যে এটি কবর। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উসমান ইবনে মাজউনের কবরকে এরূপ করেছিলেন, যাতে মানুষ কবর বলে বুঝতে পারে।
    Shahanaj Amin
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 11:33am

    Sogood Islam Syeds

    Attachment Unavailable
    This attachment may have been removed or the person who shared it may not have permission to share it with you.
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 11:35am

    Sogood Islam Syeds

    সাইফুল ইসলাম added a new photo.
    আলহামদুলিল্লাহ ! বাংলাভাষীদের জন্য এই রমজানের উপহার – বাংলা ভাষায় হাদিসের সুবিশাল সম্ভার নিয়ে আসছে আল হাদিস অ্যাপ …….ইনশাআল্লাহ খুব শিঘ্রই ▬▬ শেয়ার করে সুখবরটি জানিয়ে দিন বন্ধুদের ▬▬
    সাইফুল ইসলাম
  • May 20
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 2:58pm

    Sogood Islam Syeds

    শাবানের পনেরতম রজনী উদযাপনের বিধান আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে প্রদান করেছেন পূর্ণাঙ্গ একটি জীবন বিধান। এরশাদ হচ্ছে : الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِي وَرَضِيتُ لَكُمُ الْإِسْلَامَ دِينًا ﴿ المائدة : ৩﴾ আজ আমি তোমাদের দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম। পূর্ণাঙ্গ করে দিলাম আমার নেয়ামত ; তোমাদের জন্য ইসলাম ধর্ম মনোনীত ও পছন্দ করলাম। (সূরা মায়েদা : ৩) অপর স্থানে এরশাদ হয়েছে : أَمْ لَهُمْ شُرَكَاءُ شَرَعُوا لَهُمْ مِنَ الدِّينِ مَا لَمْ يَأْذَنْ بِهِ اللَّهُ ﴿ الشورى:২১﴾ তাদের কি আল্লাহর সমকক্ষ শরিক-দেবতা আছে ?—যারা তাদের জন্য আল্লাহকে পাশ কাটিয়ে এমন ধর্ম সিদ্ধ করেছে, যার অনুমতি তিনি প্রদান করেননি ?’ শুরা-২১। হাদিসে এসেছে : وفي الصحيحين عن عائشة رضي الله عنها، عن النبي صلى الله عليه وسلم أنه قال : (من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد). আয়েশা রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে আমাদের ধর্মে এমন কিছু আবিষ্কার করল, যা এতে নেই, তা পরিত্যক্ত। বোখারি, মুসলিম। অপর হাদিসে এসেছে : وفي صحيح مسلم عن جابر رضي الله تعالى عنه أن النبي صلى الله عليه وسلم كان يقول في خطبته يوم الجمعة: (أما بعد : فإن خير الحديث كتاب الله، وخير الهدي هدي محمد (صلى الله عليه وسلم)، وشر الأمور محدثاتها، وكل بدعة ضلالة). জাবের রা. হতে বর্ণিত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম জুমার খুতবায় প্রায় বলতেন: সর্বোত্তম বাণী আল্লাহর কিতাব। সর্বোত্তম আদর্শ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর আদর্শ। ধর্মের ভেতর নতুন আবিষ্কার ঘৃণিত ও নিন্দিত। প্রত্যেক বেদআত বিচ্যুতি ও গোমরাহি। মুসলিম। আরো অনেক আয়াত, অসংখ্য হাদিস বিদ্যমান, যার মাধ্যমে প্রতীয়মান হয় : এ দ্বীন পরিপূর্ণ, তাতে সংযোজন-বিয়োজনের কোন সুযোগ নেই-সম্ভাবনা নেই। আল্লাহ এ উম্মতের ধর্ম পূর্ণ করে দিয়েছেন, প্রদান করেছেন সমূহ নেয়ামত। দ্বীন সম্পূর্ণ হওয়ার আগ পর্যন্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর অন্তর্ধাম হয়নি। তিনি আল্লাহর প্রণয়নকৃত, মনোনীত সমস্ত আমল ও বিধি-নিষেধের সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছেন। বাণী ও কাজের মাধ্যমে পেশ করেছেন বাস্তব নমুনা। আরো বলেছেন : যে নতুন কোন বাণী বা আমল আবিষ্কার করে ইসলামের সাথে সম্পৃক্ত করবে, সংশ্লিষ্ট করবে তার আহকামের সাথে, সে আমল বা বাণী খোদ আবিষ্কারকের উপর নিক্ষিপ্ত হবে—যদিও তার নিয়ত ভাল হয়। সাহাবায়ে কেরাম রা. এবং ওলামায়ে ইসলাম রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর বাণী যথার্থভাবে উপলব্ধি ও হৃদয়ংগম করেছেন। প্রত্যাখ্যান করেছেন-নিন্দাবাদ জানিয়েছেন নতুন আবিষ্কৃত আমল তথা বেদআতের প্রতি। ইবনে ওদ্দাহ, তরতুশি, ইবনে শামাদের মত যারা সুন্নত, বেদআতের উপর কিতাব প্রণয়ন করেছেন, তারাও বর্ণনা করেছেন এ বিষয়টি স্পষ্ট করে। মানুষের আবিষ্কৃত একটি বেদআতের উদাহরণ : শাবান মাসের পনেরো তারিখের রাতে মাহফিলের আয়োজন করা, দিনের বেলায় রোজা রাখা। বাস্তবতা হল, এ ব্যাপারে নির্ভরযোগ্য কোন প্রমাণ নেই। তবে, এ রাতের ফজিলতের ব্যাপারে কয়েকটি দুর্বল হাদিসের উল্লেখ পাওয়া যায়, যা হাদিস নিরীক্ষার বিচারে গ্রহণযোগ্য নয় কোনভাবে। এ রাতে নামাজের ফজিলত সম্পর্কে বর্ণিত সব কটি হাদিস জাল, বানোয়াট। নিম্নে বিষয়টি নিয়ে সংক্ষিপ্ত আলোচনার প্রয়াস পাব। শাম দেশের একদল আলেম শাবানের পনেরো তারিখের রাতের ফজিলত এবং এতে মাহফিলের আয়োজন করা, এবাদত করা ও পরদিন রোজা রাখার প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন। তবে, অধিকাংশ ওলামায়ে কেরামের অভিমত : এ রাতে মাহফিল আয়োজন বেদআত। এ রাতের ফজিলতের ব্যাপারে বর্ণিত হাদিসগুলো খুবই দুর্বল ; তার মাঝে কিছু বানোয়াট ও জাল। এ প্রসঙ্গে হাফেজ ইবনে রজব লাতায়েফুল মাআরেফ কিতাবে, ও আরো অনেকে স্বীয় লিখনিতে বিস্তারিত লিখেছেন। স্মর্তব্য : অকাট্য ও প্রামাণ্য দলিল দ্বারা মূল বিষয়টি প্রামাণ্যতার স্তরে উপনীত হলে, আনুষঙ্গিক বিষয়-বস্তুর জন্য দুর্বল হাদিস বিবেচ্য, গ্রহণীয়। আলোচ্য শাবান মাসের পনেরো তারিখের ফজিলতের ব্যাপারে যেহেতু কোন প্রামাণ্য দলিল নেই, তাই এ রাতের নামাজ, দিনের রোজার ব্যাপারে বর্ণিত দুর্বল হাদিস বিবেচ্য, গ্রহণযোগ্য নয়। শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়্যাহ রহ. এ মূল-নীতি লিপিবদ্ধ করেছেন। আরেকটি বিষয় প্রণিধানযোগ্য : সকল ওলামায়ে কেরামের মতানৈক্য ও বিরোধপূর্ণ অমীমাংসিত বিষয়ে কোরআন হাদিসের শরণাপন্ন হওয়া আবশ্যক। কোরআন-হাদিস উভয়ের সম্মিলিত, কিংবা তার একটির প্রদানকৃত, সমর্থিত সিদ্ধান্ত-ই পালনীয়, অবশ্য-করণীয়। অন্যথায় পরিত্যাজ্য, পরিত্যক্ত। কোরআন হাদিস বহির্ভূত এবাদত বেদআত, অবৈধ। তার জন্য শ্রম ব্যয় করা, তার প্রতি আহ্বান করা নিষিদ্ধ। পবিত্র কোরআনে এরশাদ হচ্ছে : يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آَمَنُوا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِي الْأَمْرِ مِنْكُمْ فَإِنْ تَنَازَعْتُمْ فِي شَيْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِنْ كُنْتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْآَخِرِ ذَلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا ﴿ النساء : ৫৯﴾ হে ইমানদারগণ ! তোমরা আল্লাহ এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং যারা তোমাদের ভেতর কোরআন-হাদিসের জ্ঞানে জ্ঞানী, তাদের অনুসরণ কর। যদি তোমরা আল্লাহ এবং কেয়ামত-দিবস প্রকৃত অর্থে বিশ্বাস কর, প্রমাণ-স্বরূপ বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো অবশ্যই আল্লাহ এবং তার রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর সিদ্ধান্তের উপর সোপর্দ কর। মঙ্গল এতেই, এটাই সুন্দর মীমাংসা। (নিসা:৫৯) আরো বলেন : وَمَا اخْتَلَفْتُمْ فِيهِ مِنْ شَيْءٍ فَحُكْمُهُ إِلَى اللَّهِ ﴿الشورى : ১০﴾ তোমাদের বিরোধপূর্ণ বিষয়ের সুষ্ঠু মীমাংসা একমাত্র আল্লাহ তাআলার নিকট। (শুরা:১০) আরো এরশাদ হয়েছে : قُلْ إِنْ كُنْتُمْ تُحِبُّونَ اللَّهَ فَاتَّبِعُونِي يُحْبِبْكُمُ اللَّهُ وَيَغْفِرْ لَكُمْ ذُنُوبَكُمْ ﴿آل عمران : ৩১﴾ হে নবি, আপনি বলুন : তোমরা যদি আল্লাহকে মহব্বত কর, তাহলে আমার অনুসরণ কর, আল্লাহ তোমাদের মহব্বত করবেন, তোমাদের পাপ মোচন করবেন। আলে ইমরান : ৩১ আরো বলেন : فَلَا وَرَبِّكَ لَا يُؤْمِنُونَ حَتَّى يُحَكِّمُوكَ فِيمَا شَجَرَ بَيْنَهُمْ ثُمَّ لَا يَجِدُوا فِي أَنْفُسِهِمْ حَرَجًا مِمَّا قَضَيْتَ وَيُسَلِّمُوا تَسْلِيمًا ﴿النساء : ৬৫﴾ না, তোমার প্রভুর শপথ ! তারা ইমানদার নয়—যতক্ষণ পর্যন্ত বিরোধপূর্ণ বিষয়ে তারা আপনাকে মীমাংসাকারী স্থির না করবে। এবং আপনার ফয়সালা কোন ধরনের সংশয় বোধ না করে সন্তুষ্ট চিত্তে মেনে না নিবে, সর্বান্তকরনে। নিসা:৬৫ এ ব্যাপারে আরো হাদিস আছে, যা দ্বারা প্রতীয়মান হয় : বিরোধপূর্ণ বিষয়ে কোরআন-হাদিসের শরণাপন্ন হওয়া অবশ্য কর্তব্য ; এবং সে ফয়সালায় সন্তুষ্ট থাকা ইমানের পরিচায়ক। ইহজগৎ ও পরজগতের বিবেচনায় এতেই বান্দার মঙ্গল নিহিত। হাফেজ ইবনে রজব রহ. স্বরচিত কিতাব ‘লাতায়েফুল মা‘আরেফ’-এ বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলোর সুষ্ঠু মীমাংসার আলোচনায় বলেন : শাম দেশের কয়েকজন তাবেয়ী যেমন খালেদ ইবনে মাদান, মাকহুল, লুকমান ইবনে আমের এবং আরো অনেকে শাবানের পনেরো তারিখের রাতকে খুব গুরুত্ব দিতেন, এবং এতে যথাসাধ্য এবাদত করতেন। পরবর্তীতে, তাদের থেকেই মানুষ এ রাতকে সম্মান প্রদর্শন ও গুরুত্বারোপ করা শিখেছে। বলা হয় : এ ব্যাপারে তাদের কাছে কিছু ইসরাইলী বর্ণনা পৌঁছেছে। অর্থাৎ ইহুদি রেওয়ায়েত রয়েছে। … তবে, এ আমল মক্কা-মদিনার অধিকাংশ আলেম প্রত্যাখ্যান করেছেন। যেমন আতা, ইবনে আবি মুলাইকা, আব্দুর রহমান ইবনে জায়েদ ইবনে আসলাম। মদিনার ফেকাহবিদ আলেম সমাজও বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেছেন। ইমাম মালেক, তার অনুসারী এবং অন্যান্য আলেমদের মতও এটি। ইমাম আহমদ রহ. হতে শাবানের পনেরো তারিখ সম্পর্কে কোন অভিমত পাওয়া যায়নি। আলোচনার সমাপ্তিতে ইবনে রজব বলেন : শাবানের পনেরো তারিখে নামাজ পড়া—ইত্যাদির ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং তার সাহাবাদের নিকট হতে কোন প্রমাণ নেই। সুতরাং, বলা যায় : যে সমস্ত বিষয় শরিয়তের মানদণ্ডে প্রমাণিত-উন্নীত নয়, তা উদ্ভাবন করা কোন মুসলমানের জন্য বৈধ বা সিদ্ধ হতে পারে না, হোক-না তার সম্পাদন একক বা সম্মিলিতভাবে। প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্যভাবে। কারণ, সব-ধরনের আমল-ই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর নিুোক্ত বানীর নিষেধ ভুক্ত। এরশাদ হচ্ছে : (من عمل عملا ليس عليه أمرنا فهو رد). যে এমন আমল সম্পাদন করল, যে আমলের নমুনা আমাদের আমলে নেই, তা পরিত্যক্ত। মুসলিম ইমাম আবু বকর তরতুশি রহ. কিতাবুল হাওয়াদেস ওয়াল বিদা নামক গ্রন্থে উল্লেখ করেন : ইবনে ওদ্দাহ হতে বর্ণিত, জায়েদ ইবনে আসলাম বলেছেন বিদগ্ধ ও গবেষক আলেম, এবং ফেকাহবিদদের কাউকে শাবানের পনেরো তারিখের প্রতি কোন প্রকার ভ্রক্ষেপ করতে দেখিনি। ভ্রক্ষেপ করতেন না তারা মাকহুলের হাদিসের প্রতিও। আবু মুলাইকাকে কেউ বলেছে, জিয়াদ আন-নামিরি বলে, শাবান মাসের পনেরো তারিখের সওয়াব লাইলাতুল কদরের সওয়াব-তুল্য। তিনি বলেন, আমি যদি তাকে এ কথা বলতে শুনি, আর আমার হাতে লাঠি থাকে, অবশ্যই তাকে শায়েস্তা করব। জিয়াদ একজন গল্পকার। শাওকানি রহ. আল-ফাওয়ায়েদ আল-মাজমুআ- তে বলেন, একটি হাদিস আছে : হে আলি, যে ব্যক্তি শাবানের পনেরো তারিখে একশত রাকাত নামাজ পড়ে, প্রত্যেক রাকাতে সূরায়ে ফাতেহা এবং দশবার সূরায়ে এখলাস, আল্লাহ তার সমস্ত প্রয়োজন পুরো করবেন। … হাদিসটি মওজু, বানোয়াট, জাল ; রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর স্পষ্ট অপবাদ। এ হাদিসের সওয়াবের প্রতিশ্র“তির প্রতি দৃষ্টি দিলে যে কোন বিবেকবান বুঝতে পারবে, এটি বানোয়াট। এর বর্ণনাকারীরও পরিচয় পাওয়া যায়নি। এ হাদিসের আরো বর্ণনার সূত্র পাওয়া যায়, সবগুলো বানোয়াট। বর্ণনাকারীগণ পরিচয়হীন। মুখতাসার নামক কিতাবে আছে, ইবনে হিব্বানে আলি রা. হতে একটি হাদিস আছে, যখন শাবান মাসের পনেরো তারিখ সমাগত হয়, তোমরা রাতে নামাজ পড়, দিনের বেলায় রোজা রাখ। হাদিসটি দুর্বল। লাআ-লি নামক কিতাবে আছে, দশবার সূরা এখলাস দিয়ে একশত রাকাত নামাজ পড়ার হাদিসটি বানোয়াট। এর তিনটে সূত্রের অধিকাংশ বর্ণনাকারী অবিশ্বস্ত, দুর্বল, অপরিচিত। তদ্রুপ ত্রিশবার সূরায়ে এখলাস দিয়ে বার রাকাত কিংবা চৌদ্দ রাকাত নামাজ পড়ার হাদিসও বানোয়াট। পরিতাপের বিষয়, এ সমস্ত হাদিসের কারণে ফুকাহায়ে কেরামের একটি দল ধোঁকায় পতিত হয়েছেন ; যেমন, ইমাম গাজ্জালি। তদ্রুপ মুফাসসিরিনদের এক দলও। এ রাতে নামাজের যে বিভিন্ন পদ্ধতি বর্ণিত হয়েছে, সবগুলোই পরিত্যাজ্য। হাফেজ ইরাকি রহ. বলেন, শাবান মাসের পনেরো তারিখে নামাজের ব্যাপারে বর্ণিত হাদিস বানোয়াট, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর উপর মিথ্যারোপ। ইমাম নববী রহ. মাজমুউ কিতাবে বলেন, রাগায়েব নামক সালাত অর্থাৎ রজবের প্রথম জুমায় মাগরিব এবং এশার মধ্যবর্তী সময়ে বার রাকাত নামাজ এবং শাবানের পনেরো তারিখে একশত রাকাত নামাজ, মূলত বেদআত, নিন্দনীয়, পরিত্যাজ্য। কুতুল কুলুব তদ্রুপ এহইয়া উলুমুদ্দিন-এ নামাজ দুটির উল্লেখ এবং এ ব্যাপারে বর্ণিত হাদিস দেখে কারো ধোঁকায় পড়া ঠিক হবে না। কারণ, সবগুলো-ই ভিত্তিহীন, অমূলক। এ ব্যাপারে যদি কেউ দু’চার পৃষ্ঠা লিখে থাকে, তা দেখেও বিভ্রান্ত হওয়া চলবে না। কারণ, এগুলো তাদের বিচ্যুতি। শায়েখ আবু মোহাম্মদ বিন আব্দুর রহমান ইসমাইল মাকদিসি এ দুই নামাজের অসারতা প্রমাণ করে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রামাণ্য একটি কিতাব রচনা করেছেন। তাছাড়া, এ ব্যাপারে আমরা বিভিন্ন আলেমদের বাণী ও উক্তির ব্যাপারে অবগত, যার উল্লেখ কলেবর অনেক বাড়িয়ে দেবে। আশা রাখি, অনুসন্ধিৎসু ব্যক্তির জন্য এটুকুই যথেষ্ট। কোরআনের উপরোক্ত আয়াত, হাদিস এবং আলেমদের বাণী আলোচনায় প্রতীয়মান হয়, শাবান মাসের পনেরো তারিখ নামাজ ইত্যাদির মাধ্যমে উদ্যাপন কিংবা অন্য কিছুর আয়োজন, বিশেষ করে এ দিনে রোজা রাখা অধিকাংশ আলেমদের নিকট বেদআত ও গর্হিত কাজ। এ ব্যাপারে ইসলামি শরিয়তে কোন ভিত্তি নেই। বাস্তববাদীদের জন্য কুরআনের নিুোক্ত আয়াত-ই যথেষ্ট। এরশাদ হচ্ছে : الْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ ﴿ المائدة : ৩﴾ আজ আমি তোমাদের দ্বীন পূর্ণ করে দিলাম। মায়েদা : ৩ রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : من أحدث في أمرنا هذا ما ليس منه فهو رد. وفي صحيح مسلم عن أبي هريرة رضي الله عنه قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: (لا تخصوا ليلة الجمعة بقيام من بين الليالي، ولا تخصوا يومها بالصيام من بين الأيام، إلا أن يكون في صوم يصومه أحدكم). যে আমাদের ধর্মে নতুন কিছু আবিষ্কার করল, যা ইতিপূর্বে বিদ্যমান ছিল না, তা পরিত্যক্ত। আবু হুরায়রা রা. হতে মুসলিম শরিফে বর্ণিত আছে, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন : তোমরা অন্যান্য রাত বাদ দিয়ে বিশেষ করে জুমার রাতকে এবাদতের জন্য নির্দিষ্ট কর না। আবার অন্যান্য দিন বাদ দিয়ে বিশেষ করে এ দিন রোজা রেখ না। তবে, কারো যদি রোজা রাখার পরম্পরায় এ দিন চলে আসে, তবে আপত্তি নেই। যদি কোন রাতকে এবাদতের জন্য বিশিষ্ট করা বৈধ হত, জুমার দিবসই ছিল শ্রেয়তর। কারণ, বিশুদ্ধ সনদে প্রাপ্ত রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাদিস দ্বারা প্রমাণিত, জুমার দিবস, দুনিয়ার শ্রেষ্ঠ দিবস। যখন এ রাতকেই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবাদতের জন্য বিশিষ্ট করতে নিষেধ করেছেন, অন্য রাতের প্রশ্নই উঠে না। তবে, সহি ও বিশুদ্ধ দলিলের মাধ্যমে প্রমাণিত হলে ভিন্ন কথা। যেহেতু কদরের রাত এবং রমজানের রাতে এবাদতের প্রতি অধিক গুরুত্বারোপ, নামাজ পড়া শরিয়ত সিদ্ধ ও যথার্থ, সেহেতু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্বীয় উম্মতকে এ জন্য উৎসাহিত করেছেন, প্রেরণা দিয়েছেন। নিজেও সাধ্য-মত এবাদত করেছেন। বোখারি, মুসলিমে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে বর্ণিত, তিনি বলেছেন : ففي الصحيحين عن النبي صلى الله وسلم أنه قال : (من قام رمضان إيمانا وإحتسابا غفرالله له ما تقدم من ذنبه)، (ومن قام ليلة القدر إيمانا واحتسابا غفر الله له ما تقدم من ذنبه). যে ব্যক্তি রমজান মাসে ইমান ও সওয়াবের নিয়তে নামাজ পড়বে, আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। তিনি আরো বলেছেন, যে ব্যক্তি লাইলাতুল কদরে ইমান ও সওয়াবের নিয়তে নামাজ পড়বে আল্লাহ তার সমস্ত গুনাহ মাফ করে দিবেন। যদি শাবানের পনেরো তারিখ রাত, রজব মাসের প্রথম জুমার রাত অথবা ইসরা ও মেরাজের রাতে কোন মাহফিল কিংবা সাধারণ নিয়মের বহির্ভূত কোন এবাদত করা বৈধ হত, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উম্মতকে অবগত করে যেতেন, অথবা নিজে সম্পাদন করতেন। আর তিনি এর কিছু সম্পাদন করলে, অবশ্যই সাহাবায়ে কেরাম আমাদের পর্যন্ত পৌঁছে দিতেন, গোপন রাখতেন না। তারাই সর্বোত্তম উম্মত, মানব জাতির প্রতি সীমাহীন হিতাকাক্সক্ষী। আমাদের কাছে স্পষ্ট : রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম হতে কিংবা তার সাহাবায়ে কেরাম হতে রজবের প্রথম জুমার রাত এবং শাবানের পনেরো তারিখের রাতের ফজিলতের ব্যাপারে কোন প্রমাণ নেই। সুতরাং, এ রাত উদযাপন ইসলামে এক নতুন আবিষ্কার। তদ্রুপ, এ রাতকে কোন এবাদতের জন্য বিশিষ্ট করা বেদআত। অনুরূপ, রজবের সাতাশ তারিখের রাত কতিপয় মানুষের ধারণা, এ রাতে ইসরা ও মেরাজ হয়েছে এবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করা জায়েয নয়। এটি করা যেত, যদি ইসরা ও মেরাজের তারিখ নিশ্চিতরূপে জানা যেত। ওলামাদের সঠিক সিদ্ধান্ত হল এ রাতটি নিরূপিত হওয়ার ব্যাপারে সঠিক প্রমাণ মিলেনা। আর যারা বলে, সাতাশ তারিখ ইসরা ও মেরাজের রাত, তাদের কথা অমূলক, ভিত্তিহীন। সহিহ হাদিসে এর কোন সমর্থনও পাওয়া যায় না। কবি বলেন : وخير الأمور السالفات على الهدى ***وشر الأمور المحدثات البدائع রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শানুযায়ী সম্পাদিত কর্মই সর্বোত্তম কর্ম। নতুন উদ্ভাবিত, আবিষ্কৃত কর্মই সবচে’ নিন্দিত। আল্লাহ তাআলার নিকট প্রার্থনা, তিনি আমাদেরকে সুন্নতকে আঁকড়ে ধরে তার উপর প্রতিষ্ঠিত থাকার তওফিক দান করুন। তওফিক দান করুন এর বিপরীত সব কিছু হতে নিরাপদ থাকার।আমিন। লেখক : আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায অনুবাদক : সানাউল্লাহ নজির আহমদ সম্পাদনা : আব্দুল্লাহ শহীদ আব্দুর রহমান সূত্র : ইসলাম প্রচার ব্যুরো, রাবওয়াহ, রিয়াদ
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 3:03pm

    Sogood Islam Syeds

    ░▒▓█►শুক্রবার দিন যে দরুদ 80 (আশি) বার পড়লে 80 (আশি) বছরের গুনাহ মাফ’’।

    ❖আসুন দেখি এর বস্তবতা কতটুকু?

    :- ❖হাদীস : রাসূল (সা.) বলেন, যে ব্যক্তি শুক্রবার দিন আছরের নামায পড়ে নিজ স্থানে বসে থেকেই-

    اَللّٰهُمَّ صَلِّ عَلٰى مُحَمَّدَنِ النَّبِىِّ الْاُمِّیِّ وَعَلٰۤى اٰلِهٖ وَسَلِّمْ تَسْلِيْمًا

    এ দরুদটি 80 পাঠ করবে, তার 80 বছরের গুনাহ মাফ করে দেয়া হবে। অন্য বর্ণনায় আছে, 80 (আশি) বছরের ইবাদতের ছাওয়াব তার আমল নামায় লেখা হবে।

    ✿ উক্ত হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযোগ্য। একাধিক মুহাদ্দীসগণ হাদীসটিকে হাসান বলেছেন। এছাড়াও কতক ইমাম হাদীসটিকে যয়ীফ বলেছেন কিন্তু এর সমর্থনে অন্য হাদীস থাকার কারণে হাদীসটি হাসান হাদীসে পরিণত হয়েছে।

    ❀ হাদীসটি বিভিন্ন সনদে বিভিন্ন সাহাবায়ে কেরাম (রা.) থেকে বর্ণিত হয়েছে, নিন্মে তার কিছু রূপরেখা-

    :-হযরত আবূ হুরায়রা (রা.) এর হাদীস

    ❖ الترغيب في فضائل الأعمال وثواب ذلك لابن شاهين (ص: 14)

    22 – حَدَّثَنَا عُمَرُ، نا الْحُسَيْنُ بْنُ إِسْمَاعِيلَ الضَّبِّيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ نَصْرِ بْنِ بُجَيْرٍ، قَالَا: نا سَعِيدُ بْنُ مُحَمَّدِ بْنِ ثَوَّابٍ، أنا عَوْنُ بْنُ عُمَارَةَ، أنا سَكَنٌ الْبُرْجُمِيُّ، عَنْ حَجَّاجِ بْنِ سِنَانٍ، عَنْ عَلِيِّ بْنِ زَيْدٍ، عَنْ سَعِيدِ بْنِ الْمُسَيِّبِ، أَظُنُّهُ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «الصَّلَاةُ عَلَيَّ نُورٌ عَلَى الصِّرَاطِ فَمَنْ صَلَّى عَلَيَّ يَوْمَ الْجُمُعَةِ ثَمَانِينَ مَرَّةً غُفِرَتْ لَهُ ذُنُوبُ ثَمَانِينَ عَامًا»

    মুসনাদে দাইলামি-2/408, হাদীস-3814, আত তারগীব লি ইবনে শাহীন-18, হাদীস-22, আল কাওলুল বাদী লিস সাখাবী-198, লিসানুল মিযান-2/448, তাখরীজু আহাদীসিল ইহয়া লিল ইরাকী-1/220, ইমাম দারে কুতনী (রহ.) ও এই হাদীসটিকে তার আল ইফরাদ নামক কিতাবে উল্লেখ করেছেন।

    ❏ আর আল কুরবা লি ইবনে বাশক্ওয়াল-111-114, নং পৃষ্ঠায় হাদীসটি এই ভাবে এসেছে যে- ❖ القربة الى رب العالمين بالصلاة على محمد سيد المرسلين (ص: 111-114)

    وفي لفظ عند ابن بشكوال من حديث أبي هريرة أيضاً من صلى صلاة العصر من يوم الجمعة فقال قبل أن يقوم من مكانه اللهم صل على محمد النبي الأمي وعلى آله وسلم تسليماً ثمانين مرة غفرت له ذنوب ثمانين عاماً وكتبت له عبادة ثمانين سنة

    ❖ القربة الى

  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 5:23pm

    Sogood Islam Syeds

    বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান-এ শবে-বরাত পালন হয় শাবান মাসে। আর আরব দেশসমুহে শবে-বরাত পালন হয় রমযানে মাসে। শব শব্দটি যেহেতু ফার্সি তাই বরাত শব্দটিও ফার্সি হবে। ফার্সীতে শবে-বরাত অর্থ ভাগ্য রজনী। আর ভাগ্য রজনী-এর আরবী হলো লাইলাতুল ক্বদর। যেমন- নামায ফার্সী শব্দ আর এর আরবি হলো সালাত। আরব দেশসহ সারা বিশ্বে ভাগ্য রজনী বা লাইলাতুল ক্বদর পালন হয় রমযান মাসে। শাবান মাসে কোন বিশেষ দিবস নেই। তাই আসুন আমরা সবাই রমযান মাসে ভাগ্য রজনী পালন করি।
    মোহাম্মদ সাইদুর রহমান
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 7:24pm

    Sogood Islam Syeds

    আমরা গুনাহে জর্জরিত অবস্থায় প্রায়ই হতাশ হয়ে হাল ছেড়ে দেই ! দেখুন কোর’আনে আল্লাহ তা’য়ালা কি বলছেন – “হে আমার বান্দারা! তোমরা যারা নিজেদের প্রতি অবিচার করেছ – আল্লাহর অনুগ্রহ হতে নিরাশ হয়োনা; আল্লাহ সমুদয় পাপ ক্ষমা করে দিবেন। তিনিতো ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”[সূরা আল-যুমার ৩৯-৫৩] বান্দা যখন বিপদে পড়ে অনুতপ্ত হয়ে তাঁর রবকে ডাকে , হে আল্লাহ, আমি আমার নিজের উপর অনেক বেশি জুলুম করেছি আর তুমি ছাড়া গুনাহ্‌সমূহ কেহই মাফ করতে পারে না। সুতরাং তুমি তোমার নিজ গুনে মার্জনা করে দাও এবং আমার প্রতি তুমি রহম কর। তুমি তো মার্জনাকারী ও দয়ালু। [বোখারি : ৫৮৫১] আল্লাহ রাব্বুল আলামীন তাদের সান্ত্বনা দেন , ” আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না। নিশ্চয় আল্লাহর রহমত থেকে কাফের সম্প্রদায়, ব্যতীত অন্য কেউ নিরাশ হয় না। [সূরা ইউসূফ -৮৭] তিনি তাদের আরো বলেন- “… তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো এবং আমার কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর; অকৃতজ্ঞ হয়ো না।” [সূরা আল বাক্বারাহ -১৫২] আমরা প্রায়ই বলি, আল্লাহ ! আমাকেই কেনো পরীক্ষায় ফেলেছো তুমি ?- দেখুন এর জবাবে কোর’আন কি বলছে – মানুষ কি মনে করেছে যে, ‘আমরা ঈমান এনেছি’ এ কথা বললেই তাদেরকে অব্যাহতি দেয়া হবে এবং তাদেরকে পরীক্ষা করা হবেনা?আমিতো তাদের পূর্ববর্তীদেরকেও পরীক্ষা করেছিলাম; আল্লাহ অবশ্যই প্রকাশ করে দিবেন কারা সত্যবাদী ও কারা মিথ্যাবাদী। [সূরা আল আনকাবুত – ০২,০৩] বান্দাহ আল্লাহ্‌র কাছে গুনাহের স্বীকৃতি দিয়ে বলে , ইয়া আল্লাহ্‌! আমি নিজের উপর জুলুম করেছি – আল্লাহ বলেন – “…হে আমার বান্দাগণ যারা নিজেদের উপর যুলুম করেছ তোমরা আল্লাহর রহমত থেকে নিরাশ হয়ো না।…” [সূরা আল-যুমার -৫৩] বান্দাহ আল্লাহকে তার অন্তরের অশান্তি এবং উদ্বেগের কথা বলে – আল্লাহ বলেন – “…আল্লাহর যিকির দ্বারা শান্তি লাভ করে; জেনে রাখ, আল্লাহর যিকির দ্বারাই অন্তর সমূহ শান্তি পায়।” [সূরা রা’দ -২৮] বান্দাহ আল্লাহকে তার একাকীত্বের কথা জানায় – আল্লাহ বলেন – “…আমি তার গ্রীবাস্থিত ধমনী থেকেও অধিক নিকটবর্তী।” [সূরা ক্বাফ -১৬] বান্দাহ আল্লাহর কাছে সভয়ে জানায়, আমার গুনাহ অসীম – আল্লাহ তাঁর বান্দাকে আশ্বস্ত করেন – “আল্লাহ ছাড়া আর কে পাপ ক্ষমা করবেন?” [সূরা আল-ইমরান -১৩৫] বান্দা আল্লাহর কাছে কাতর প্রার্থনা করে – আল্লাহ বলেন -“…তোমরা আমাকে স্মরণ কর, আমিও তোমাদের স্মরণ রাখবো ..।” [সূরা আল বাক্বারাহ -১৫২] বান্দা আল্লাহর কাছে জীবনের সমস্যা জানিয়ে সাহায্য চায় – আল্লাহ বলেন -“…যে আল্লাহকে ভয় করে, আল্লাহ তার জন্যে নিস্কৃতির পথ করে দেবেন।” [সূরা আত্ব-ত্বালাক -০২] বান্দা হতাশ হয়ে আল্লাহর কাছে আশ্রয় খুঁজে – আল্লাহ বলেন -“নিশ্চয় কষ্টের সাথে স্বস্তি রয়েছে।” [সূরা আল ইনশিরাহ -০৬] বান্দা তার সমস্ত কিছুর জন্য আল্লাহর উপর ভরসা করে – আল্লাহ বলেন -“… যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে তার জন্যে তিনিই যথেষ্ট। আল্লাহ তার কাজ পূর্ণ করবেন।…” [সূরা আত্ব-ত্বালাক -০৩]
    QuranerAlo.com – কুর’আনের আলো
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 8:11pm

    Sogood Islam Syeds

    শবে বরাত সম্পর্কে যুগ শ্রেষ্ঠ মুহাদ্দিসদের অভিমত! ========================= إِنَّا أَنزَلْنَاهُ فِي لَيْلَةٍ مُّبَارَكَةٍ إِنَّا كُنَّا مُنذِرِينَ فِيهَا يُفْرَقُ كُلُّ أَمْرٍ حَكِيمٍ أَمْرًا مِّنْ عِندِنَا ۚ إِنَّا كُنَّا مُرْسِلِينَ -এই সুস্পষ্ট কিতাবের শপথ, আমি এটি এক বরকত ও কল্যাণময় রাতে নাযিল করেছি৷ কারণ, আমি মানুষকে সতর্ক করতে চেয়েছিলাম৷ এটা ছিল সেই রাত যে রাতে আমার নির্দেশে প্রতিটি বিষয়ে বিজ্ঞোচিত ফায়সালা দেয়া হয়ে থাকে৷ [সুরা দুখান:২-৪] এই আয়াতগুলোর তফসীরে ইমাম ইবনে কাসীর (রহ.) বলেছেন, -‘নিশ্চয়ই আমি এই সুষ্পষ্ট কিতাব নাযিল করেছি বরকতময় রাতে আর তা হচ্ছে লাইলাতুল কদর। এই রেওয়াতটি বর্নিত হয়েছে ইবনে আব্বাস (রা:) হতে’। অধিকাংশ মুফাস্সেরগণ এই বর্ণনাই করেছেন যে লাইলাতুল মোবারকই হচ্ছে লাইলাতুল কদরের রাত। তবে ইকরামাসহ কয়েকজন বলেন, ‘ররকতের রাত হচ্ছে শাবানের মধ্য রাত। আর এই মধ্য শাবানের রাত হচ্ছে লাইলাতুল রহমান, লাইলাতুল মোবারক, লাইলাতুল চেক, লাইলাতুল বারাহ’! তাফসীরে রুহুল মানিতে এই নামগুলো পাওয়া যায়। ইমাম ইবনে কাসীর (রহ.) ইকরামার এই মন্তব্যের ব্যাপারে বলেন, -‘সে ব্যক্তি বলবে যে লাইলাতুল মোবারকা হচ্ছে বরকতের রাত মানে শবে বরাতের রাত, সেই ব্যক্তি সত্য থেকে, হক্ব থেকে অনেক দুরে চলে গেলো’। শবে বরাত সর্ম্পকে ইমাম ইবনে তাইমিয়া বলেন, -‘ওলামাদের ইখতেলাফ আছে, শাবানের ১৫ তারেখে কোন ফজিলত আছে কিনা! এই সম্পর্কে কিছু হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে। সালাফদের কিছু লোকেরা একা একা নামাজ পড়তেন আর আম ভাবে রোজা রাখতেন। অধিকাংশ সালাফগণ, বিশেষ করে মদিনারবাসীরা ও অন্যান্য শহরের লোকেরা এই মধ্য শাবানেরর ফজিলত অস্বীকার করেছেন, তারা বলছেন এই রাতের কোন ফজিলত নেই। আর এই মর্মে যেই হাদিসগুলো বর্ণনা করা হয়েছে সেইগুলোর কোনটি সহীহ নয় বরং জঈফ বা জাল হাদীস। শাবানের ১৫ তারিখের রাত অন্যান্য রাতের মাঝে কোন পার্থক্য নেই’। ইমাম ইবনে তাইমিয়া আরও বলেন, -‘এই রাতের ফাজিলত আছে তার জন্য যে ব্যক্তি মুশরীক নয় ও যে ব্যক্তি বিদ্বেষী নয়। এই এই রাতে আল্লাহ মাফ করেন’। ইমাম ইবনে তাইমিয়া আরও বলেন, -‘তবে শুধু ১৫ তারিখে দিনে রোজা রাখা এর কোন ভিত্তি নেই। বরং এটি হচ্ছে অপছন্দনীয়। এটাকে উত্সবে পরিনত করা, এতে খাদ্য তৈরী করা (হালুয়া, রটি তৈরী করা) এবং সাজ-সোজ্জা করা এইগুলো হচ্ছে বিদাআতী কাজ, এগুলোর কোন ভিত্তি নেই। মসজিদে মসজিদে, বাড়ীতে বা বাজারে একত্রিত হয়ে নফল নামাজ পড়া, আলফিয়া নামাজ পড়া হারাম, শরীয়তে তার প্রমান নেই।’ Collected
    Islamer Prochar
  • Sogood Islam Syeds
    5/20, 8:33pm

    Sogood Islam Syeds

    অহেতুক মন্তব্যের জবাব ও সংশোধনের আহবানঃ- I গতকাল একটা পোস্ট দিয়েছিলাম “প্রচলিত ১৫ই শাবান শবে বরাত পালন করা বিদআত” বিষয়ে। পোস্ট ছোট রাখার জন্য সব কিছু বলা সম্ভব হয়নি। যার ফলে অনেকেই না বুঝেই অহেতুক মন্তব্য করেছেন, ইনশাহআল্লাহ সব গুলো মন্তব্যের জবাব পেয়ে যাবেন এখন। আর যেকোনো ভূল কে যৌক্তিকভাবে সংশোধন করে দিবেন আমি শিখতেই চাই, অযথা কথা বলে মৌনমালিন্য করবেন না দয়া করে। প্রচার করা আমার দায়ীত্ব, আপনাকে মানতেই হবে কখনো বলিনি। I ১) হাদিস গুলা তুই বানাইছস+শালা বেকুব কোথাকার+তুই মুশরিক+দাড়ি তো রবীন্দ্রনাথ ও রাখছে, খালি দাড়ি রাখলে মুসলমান হওয়া যায়নাঃ- I উত্তরঃ বললেন হাদিস আমি বানাইছি, তার মানে জাল হাদিস সাব্যস্থ করলেন, অথচ আমি সব গুলোর রেফারেন্স দিয়েছি, যদি হাদিস আমি বানাই আমি রাসূলের নামে মিথ্যা বলেছি, যে সহিহ হাদিস কে জাল বলল সেও রাসুলের নামের মিথ্যা বলল, আর রাসূল সাঃ বলেন “যে ব্যাক্তি আমার নামে মিথ্যা বলল সে নিজের স্থান নিজেই জাহান্নামে করে নিল (বুখারি ১০৬-১১০)। আমাকে কাফির সাব্যস্থ করলেন অথচ আমি একজন গর্বিত মুস্লিম(আলহামদুলিল্লাহ) তার মানে নিজের গালে নিজে থুতু দিলেন, রাসুল বলেন “যে ব্যাক্তি অপর মুসলিম ভাইকে কাফির বলল, সে যদি কাফির না হয় তাহলে যে বলল সেই কাফির (বুখারি ৬১০৩) যে ব্যাক্তি অপর মুসলিম ভাইকে গালি দিল সে ফাসিক(বুখারি ৪৮) I ২) আপনি নিজের মত করে কুরআন হাদিসের ব্যাখ্যা করলেন – উত্তরঃ- তাফসীরে ইবনে কাসির পড়ে দেখেন ভাই, ভূল হলে সংশোধন করে দিন। হাদিস গুলোর ব্যাখ্যা দেখুন ফাতহুল বারী, ফাতহুল কাদীর। I ৩) সবাই নিজেকে আলেম ভাবে, আর নিজে নিজে ফতোয়া দিয়ে বেড়াচ্ছেঃ- উত্তরঃ- ভাই, আমি একজন তালেবে ইল্ম মাত্র। আর তালেবে ইল্ম ফতোয়া দেয়া জায়েজ নয়, তবে আলেমদের থেকে শিখে প্রচার করতে পারবে (দায়ী)। আমি নিজ থেকে বলিনি ভাই, শাইখদের সাথে আমাদের প্রতিদিন যোগাযোগ হয়(আলহামদুলিল্লাহ), আর যে সব বই গুলো থেকে শিখেছি সেগুলোর নাম দিলাম— I 1) সুন্নাতে রাসূল আঁকড়ে ধরা এবং বিদআতের থেকে সতর্ক থাকা অপরিহার্য। [শাইখ আব্দুল আযীয বিন আব্দুল্লাহ বিন বায(গ্র্যান্ড মুফতি, ফতোয়া বোর্ড সৌদি) I 2) বিদআত। [শাইখ সালেহ ফাওজান (ফতোয়া বোর্ড সৌদি)] I 3) ফির্কাহ না-জিয়াহ ও নাজাত প্রাপ্ত জামায়াতের মতাদর্শ। [মুহাম্মদ জামীল মইনু(অধ্যাপক দারুল হাদীস আল খাইরিয়াহ, মক্কা আল মুকাররামাহ)] I 4) তাওহীদ শিরক সুন্নাত ও বিদআত [হাফেয মুহাম্মদ আইয়ুব] 5) ইকামতে দ্বীন পথ ও পদ্ধতি [ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব] 6) হাদিসের প্রামাণিকতা [ডঃ আসাদুল্লাহ আল গালিব, পি এইচ ডি] I 7) এহিয়াউস সুনান, সুন্নাতের পুনরুজ্জীবন ও বিদআতের বিসর্জন[ডঃ খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর, পি এইচ ডি] I 8) ইলম হাসিল সম্পর্কে পূর্বসরীদের কিছু বানী [হিসামুদ্দিন সালিম কিলানী রহঃ] 9) অন্তর বিধ্বংসী বিষয়, প্রবৃত্তির অনুসরন। [মুহাম্মদ সালেহ আল মুনাজ্জিদ রহঃ] 10) ফতোয়া আরকানুল ইসলাম [শাইখ মুহাম্মদ বিন সালেহ আল উসাইমিন রহঃ, (ফতোয়া বোর্ড সৌদি)] 11) স্বলাতে মুবাশশির [শাইখ আব্দুল হামিদ ফাইযী মাদানী] I ৪) আগের ইমামরা পড়ে নেককার হয়েছে, আর তোরা এসেছিস না জায়েজ করতেঃ- উত্তরঃ ইমাম বললে তো বেশিরভাগ ভাই ৪জন (ইমাম আবু হানিফা রহঃ, শাফেয়ী রহঃ, মালেক রহঃ, হাম্বলী রহঃ) ছাড়া আর কাউকে চিনেন না তাইনা? ভাই, শত বললে ভূল হবে হাজারো ইমাম আছে যাদেরকে চিনেন না। যাইহোক চার জনের এক জনের মত কি আপনি দেখাতে পারবেন? যে তারা ১৫ই শাবান কে শবে বরাত পালন করতেন ও নির্দেশ দিয়েছেন। নিজেকে তো হানাফী দাবী করেন তাইনা? পড়ে দেখেন “ফিকহুল আকবর” বুজতে পারবেন ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর সাথে আপনাদের আকিদা কতটুকু মিল আর অমিল। আর হানাফি মাজহাবের শ্রেষ্ঠ কিতাব মালাবুদ্দা মিনহু, নুরুল ইজহা, কুদুরি, কানযুদ দাকায়েক, শরহে বেকায়া, শরহে হিদায়াহ কোন একটিতে শবে বরাত এর কথা বলা আছে কি? পূর্বের ইমামরা পালন করলে প্রমাণ দেখান। I ৫) তোরা ভ্রান্ত আহলে হাদিসের দলঃ- উত্তরঃ আপনার সাথে আমি একমত না, আমি আর আপনি একই মুসলিম ভাই। তবে সংগঠন আলাদা কথা। আর যদি আহলে হাদিস ই বলবেন, আহলে হাদিস সম্পর্কে পূর্ববর্তীদের মত দেখুনঃ- I 1) শাইখ আব্দুল কাদের জীলানী (রহঃ) তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ ‘ “গুনিয়াতুত তালেবীন” এ উল্লেখ করেছেন ““তোমরা অবহিত হও, ভন্ড ভ্রান্ত বিদা’আতীদের কতিপয় লক্ষন আছে যা দ্বারা তাদের পরিচয় জানা যায়। বিদ’আতীদের কতিপয় লক্ষনের অন্যতম এই যে তারা আহলে হাদীসগনের কুৎসা রটনা করে। (গুনিয়াতুত তালেবীন, অর্দু অনুবাদসহ ১৯৭পৃঃ) I ২) জাফর বিন মুহাম্মদ বিন হাসান কাজী (রঃ) আহলে হাদীস গনের সম্পর্কে মন্তব্য করার পর বলেছেন, যারা আহলে হাদীসগনের বিরুদ্বাচরন করে তারা বিদ’আতী। (কানাবিলূত তাওহীদ ১৫৫-১৫৬পৃঃ) I ভাই, কেন এত জ্বলে উঠেন? ইসলামের কোন কিছুই দলিল প্রমাণ ছাড়া করা যাবেনা। আর সত্যবাদীদের কাছে অবশ্যয় প্রমাণ থাকবে। [আল্লাহ্‌ বলেন “যদি তোমরা সত্যবাদী হও তবে প্রমাণ দেখাও- সূরা বাকারাহ ০২/১১১] আর যেহেতু আমি আলেম নই সেহেতু শিখতেই চাই তবে দলিল প্রমাণ সহ কারন [আল্লাহ্‌ বলেন – যদি তোমরা না জান তবে প্রমাণ সহ জ্ঞানীদের জিজ্ঞেস কর”- সূরা নাহল১৬/৪৩-৪৪] I ফালিল্লাহিল হামদ আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ
    Mugniur Rahman Tabriz
  • May 21
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 12:12am

  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 12:33am

    Sogood Islam Syeds

    good I hv in hard disc FM arfan sir

    Arabic Language Course Videos – Book 1 – DVD 1 – Part 1
    Based on the World Renowned Madina Books written by Dr. V. Abdur Rahim. Presented by The Institute of the Language of the Qur’an, Toronto, Canada. Instructor…
    youtube.com
  • May 21
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 2:06pm

    Sogood Islam Syeds

    রাসুলুল্লাহ (সঃ) বলেন, অাল্লাহ বিদাঅাতি ব্যাক্তির সাওম,সালাত,সাদকাহ,হজ্ব,উমরা,ফিদাইয়া,ন্যায় বিচার, জিহাদ কিছুই কবুল করবেন না। সে এমনভাবে ইসলাম থেকে খারিজ হয়ে যাবে যেভাবে অাটা থেকে পশম পৃথক হয়ে যায়। (ইবনে মাজাহ, হাদিস :৪৯) (অাউযুবিল্লাহ) বর্তমানে উপমহাদেশের প্রচলিত বিদাঅাতের ভিতর অন্যতম নিকৃষ্ট একটা বিদাঅাত হচ্ছে “শবে বরাত”। প্রথমত কুরঅানে এর কোন অস্তিত্ব নেই।কিছু দ্বাজ্বাল টাইপের অালেম শুধুমাএ একটা অায়াতের ভুল ব্যাখ্যা।অথচ উল্লেখিত অায়াতটির সুস্পষ্ট ব্যাখ্যা অাল্লাহ সুবাহানা তাঅালা নিজেই কুরঅানে দিয়ে দিয়েছেন। সেই অায়াতটি হল, “অামি কুরঅান নাযিল করেছি এক বরকতময় রাতে।এদিনে প্রত্যেক গুরত্বপুর্ণ বিষয় স্হির হয়। (দুখান:৩-৪) যে মুসলিমটা ধর্মের নুন্যতম কিছু জানে না,সে ও জানে যে কুরঅান নাযিল কোন মাসে??? অাপনারা দেখতে পারেন সুরা কদর ও সুরা বাকারা এর ১৮৫ নং অায়াতটা। অতএব শবে বরাতে কুরঅান নাযিল কুরঅান বিরোধি অাকিদা। দ্বিতীয়ত, সহীহ হাদিসে ও এর অস্তিত্ব নেই। তবে কিছু বর্ণনা পাওয়া যায়,(প্রায় ১১টি)যার বেশিরভাগ ‘ইবনু মাজাহ ‘ বর্ণনা করেছেন। #সবগুলোই হাদিসই জাল-জয়ীফ, মুনকার কিংবা মওযু হিসেবে মুহাদ্দিস গন পরিষ্কার রায় দিয়ে দিয়েছেন। #হাদিস গুলার সনদ এতটাই দুর্বল যে যা দিয়ে কথাগুলা রাসুল (সঃ) বলেছেন বলে অনুমান করা যায় না। তবে ১টা হাদিস দুর্বল হলেও ৭-৮টি সনদে বর্ণনা হওয়াই শায়খ নাসিরুদ্দিন অালবানি হাদিস টাকে হাসান বলেছেন।তবে হাদিস টাতে কোন ইবাদত নেই। হাদিস টা এইরুপ, রাসুল (সঃ) বলেন, মধ্য শাবানের রাএিতে অাল্লাহ সৃষ্টিকুলের প্রতি একটা বিশেষ দৃষ্টি দেন।সেইদিন সব ব্যাক্তি কে ক্ষমা করেন,তবে দুই ব্যাক্তি কে ক্ষমা করেন না। অার তারা হল,১.মুশরিক ,২.মুসাহিন। অর্থাৎ যারা শির্ক কর এবং ‘মুসাহিন’ এর ব্যাখ্যা করেছেন ইমাম অাওযায়ি, অার তা হল মুসাহিন অর্থ যারা সুন্নাহ কে ঘৃণা করে,(এবং বিদাঅাত কে ভালবাসে)। (হাদিস টি ইবনে মাজাহ বর্ণনায়) এইখানে কোন ইবাদত নেই। অাপনি যদি শির্ক ও বিদাঅাত থেকে মুক্ত হয়ে সুন্নাহ কে অনুমরণ করেন অাল্লাহ চাইলে অাপনাকে মাফ করে দিবেন এই দিনে এমনকি অাপনি ঘুমিয়ে থাকলেও। অার উক্ত হাদিস টা দ্বারা বিদাঅাত কে চরম ভাবে ঘৃণিত দাবি করা হয়েছে।অতএব সুস্পষ্ট যে এই রাএিকে বিশেষ দিন মনে করা,এর জন্য অায়োজন করা,ইবাদত করা ফযিলত রাত মনে করে পরিষ্কার বিদাঅাত, গোমরাহি। অাল্লাহ অামাদের হক বুঝার, মানার তৌফিক দান করুন,অামিন
    ইসলামিক দাওয়াহ
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 4:52pm

    Sogood Islam Syeds

    প্রফেসর ডঃ মুহাম্মদ মুজীবুর রহমান অনূদিত ও প্রফেসর ডঃ আব্দুল্লাহ ফারুক সালাফি সম্পাদিত এবং দারুস সালাম প্রকাশনী থেকে প্রকাশিত বাংলা কুরআনুল কারিম কি বাংলাদেশে পাওয়া যাবে? দাম কত পড়বে? আমি অনলাইনে পিডিএফ দেখেছি। দেশে ভ্রান্ত অনুবাদ ও তাফসীরের ছড়াছড়ি। আশা করি দ্বীনী ভাইগন মূল্যবান মতামত দিবেন।
    মুহাম্মাদ মুসা বিন নাসির
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 7:09pm

    Sogood Islam Syeds

    এজন মুছলিমৰ হৃদয়ে কয়: আমি মুছলিম। আমাৰ ধর্ম ইছলাম সম্পূর্ণ নির্ভুল, নিখুঁত আৰু এটি পূর্ণাঙ্গ-পৰিপূর্ণ জীৱন বিধান কিন্তু আমি নির্ভুল, নিখুঁত নহয়। আমি ভুলৰ উর্দ্ধত নহয়। কিন্তু চয়তানৰ দৰে ভুলৰ ওপৰত স্থিৰ থাকি চয়তানৰ এজন বন্ধু হোৱাৰ প্রচেষ্টা নহয়, আল্লাহৰ ভয়ত চবসময়তে এজন পৰিপূর্ণ মুছলিম হোৱাৰ প্রচেষ্টাত থাকো। আমি যদি কিবা ভুল কৰি থাকো আমাক দোষ দিয়ক, শুধৰাই দিয়ক সঠিক পথ দেখুৱাই দিয়ক কিন্তু আমাৰ ধর্মক দোষ নিদিব। ইছলাম ধর্মই মানৱজাতিৰ শান্তি আৰু পৃথিৱীত সুশাসন প্রতিষ্ঠাৰ বাবে এটি কল্যাণকৰ আলোকবার্তা লৈ আহিছে । গতিকে ইছলামক গালি দি নহয়, ইছলামৰ সৌন্দর্য্য অনুভৱ কৰিব খুজিলে আগতে ইছলাম সম্পর্কে জানক আৰু বুজক, তাৰপিছত সিদ্ধান্ত লওঁক। http://askislambd.weebly.com/248824942471249424802467-247425092480248625092472-24412468250924682480.html
    Arfan Ali
  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 8:30pm

  • Sogood Islam Syeds
    5/21, 10:02pm

    Sogood Islam Syeds

    Sogood Islam Syeds added a new photo.
    শ্ববে-বৰাত সম্পৰ্কে দু-আষাৰ। প্রিয় ভাইসকল! প্ৰতি বছৰে শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে ভাৰত উপ-মহাদেশৰ প্ৰায়বোৰ অঞ্চলত মহা-সমাৰোহেৰে শ্ববে-বৰাত উদযাপন কৰা হয়। যাক ভাগ্যৰ ৰাতি বুলিও কোৱা হয়। সেই দিনা চৰকাৰী ছুটি ঘোষণা কৰা হয়। হালুৱা-ৰুটি খোৱাৰ ধুম উঠে। অনুষ্ঠিত হয় মিলাদ মাহফিল আৰু জিকিৰৰ মজলিছ। তাৰ লগতে প্ৰতি মূহুৰ্তত আতচবাঁজীত কঁপি উঠে শ্ববে-বৰাতৰ ৰাতিৰ আকাশ-বতাহ। লগতে দেখা যায় মছজিদৰ বাৰান্দাত যিসকলৰ পদযুগল নপৰে সেই ৰাতি তেওঁলোকেই আঁতৰ-সুগন্ধি লগাই¸ টুপী-পাঞ্জাৱী পিন্ধি প্রথম কাতাৰত মুছল্লী সাঁজি অৱস্থান কৰে আৰু বিশেষ কিছুমান ইবাদত-বন্দেগী কৰি ভাৱিবলৈ লয় জীবনৰ সকলো গুনাহ মাফ হৈ গ’ল। তাৰ পিছদিনা পুৱাৰ পৰা পুনৰ লিপ্ত হয় যাৱতীয় অন্যায়-অপকর্ম, দুর্নীতি আৰু আল্লাহৰ নাফৰমানিত। হয়তো সেইদিনা ৰাতিপুৱাৰ ফজৰৰ নামাজ পঢ়াৰো সময় নহয়। পুনৰ আগন্তুক বছৰৰ শ্ববে বৰাতৰ অপেক্ষাত ৰৈ থাকে। এনেদৰেই আৰু কত কি? আহক! আমাৰ সমাজৰ এই অৱস্থাৰ কাৰণ হিচাবে আমি জনাৰ চেষ্টা কৰোঁ এই কামসমূহ কিমানখিনি ইছলাম সমর্থিত? যিসমূহ ইবাদতৰ ক্ষেত্রত ইছলামে সমর্থন দিয়া নাই সেইবোৰ ইছলামৰ নামত কৰাটোৱেই তো বিদআত। কুৰআন আৰু ছহীহ হাদীছৰ দলিলবিহীন সকলো ইবাদাতেই বিদাত। লাগিলে সি যিমান ভাল ইবাদাতেই হওঁক কিয়। বিদআতৰ পৰিণাম অতি ভয়াৱহ। এই বিষয়ে কুৰআন আৰু হাদীছত অসংখ্য সতর্কতা উচ্চাৰিত হৈছে। যেনে- বিদ’আতীৰ কোনো আমল কবুল কৰা নহব : ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে কৈছে : “যি ব্যক্তিয়ে দ্বীনৰ মাজত নতুন কিবা আবিষ্কাৰ কৰিব বা কোনো নৱ আবিষ্কাৰকাৰীক আশ্রয় দিব তাৰ ওপৰত আল্লাহ¸ আল্লাহৰ ফিৰিস্তাসকল আৰু সকলো মানুহৰ অভিশাপ … তাৰ ফৰজ ইবাদাত বা তাওবাহ , নফল ইবাদাত বা ফিদইয়া কবুল কৰা নহব ….।” বুখাৰী , কিতাবুল জিযিয়াহ , হা/৩১৮০ । বিদ’আত পৰিত্যাগ নকৰালৈকে বিদ’আতীয়ে কোনো প্রকাৰ তওবাহ কৰাৰ সুযোগ নাথাকিব : “আল্লাহ তা‘আলাই প্রত্যেক বিদ’আতিয়ে বিদ’আতক পৰিত্যাগ নকৰালৈকে তাৰ তওবাৰ পথ ৰুদ্ধ কৰি দিছে” – ছহীহ আত তাৰগীব ওৱাত তাৰহীব ১/১৩০পৃ হাদীছ নং ৫৪। তাৰোপৰি বিদাতীক হাওজে কাওচাৰৰ পানী পিবলৈ দিয়া নহব। বিদাতীক নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে শ্বাফায়াত নকৰিব। বিদাতীৰ পৰিণাম জাহান্নাম। সেয়েহে আহক! আমি নিজে বিদআতৰ পৰা বাঁচি থাকোঁ আৰু তাৰ লগতে বচোঁৱাৰ চেষ্টা কৰোঁ আমাৰ সমাজখনক। আল্লাহে আমাক তাওফীক দান কৰক। আমাৰ সমাজত শ্ববে বৰাত উপলক্ষে প্রচলিত কিছুমান বিদআতৰ উদাহৰণ: ১) শ্ববে বৰাত উপলক্ষে ১৪ শ্বাবান দিনত ৰোজা ৰখা আৰু ১৪ তাৰিখ দিবাগত ৰাতি ১৫ শ্বাবানত এশ ৰাকাআত নামাজ আদায় কৰা: এই ৰাতি এক অদ্ভূত পদ্ধতিত এশ ৰাকাআত নামাজ আদায় কৰা হয়। যাক চালাতুল আলফিয়া বুলি কোৱা হয়। এশ ৰাকাআত নামাজ পঢ়াৰ পদ্ধতিটো তলত উল্লেখ কৰা হ’ল : মুঠ এশ ৰাকাআত নামাজ পঢ়া হয়। প্রতি দুই ৰাকাআতৰ পিছত ছালাম ফিৰোৱা হয়। প্রতি ৰাকাআতত ছূৰা ফাতিহাৰ পিছত দহ বাৰ ছূৰা ইখলাছ পাঠ কৰিব লাগে। এশ ৰাকাআত নামাজত ছূৰা ইখলাছ পাঠ কৰা হয় মুঠ এক হাজাৰ বাৰ। সেইকাৰণে এই নামাজক ছালাতে আলফিয়া বোলা হয়।[1] শ্ববে বৰাতত এশ ৰাকাআত নামাজ পঢ়াৰ বিধান: ইছলামত এই ধৰণৰ নামাজ পঢ়াৰ নিয়ম সম্পূর্ণ নৱ আৱিষ্কৃত বিদআত। এই ক্ষেত্ৰত সর্ব যুগৰ সকলো আলিম একমত। কাৰণ, এই নামাজ ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লাম আৰু খোলাফায়ে ৰাশ্বেদীনে কেতিয়াও পঢ়া নাই। তাৰোপৰি ইমাম আবু হানিফা, ইমাম মালিক, ইমাম শ্বাফিঈ, আহমদ বিন হাম্বল, চুফিয়ান চাওৰী, আওযাঈ, লাইচ প্রমূখ যুগশ্রেষ্ঠ ইমামসকলে কোনেও এনে ধৰণৰ বিশেষ নামাজ পঢ়াৰ কথা কোৱা নাই। এই সম্পর্কে বর্ণিত হাদীছটি হাদীছ বিশেষজ্ঞসকলৰ মতে বানোয়াট আৰু জাল। যেনে, ইব্‌নুল জাওযী উক্ত হাদীছটি মাওযু’আত (জাল হাদীছ সংগ্রহ) কিতাবত তিনিটা চনদত উল্লেখ কৰি কৈছে, এইটো যে বানোয়াট তাত কোনো সন্দেহ নাই। তিনিওটা চনদতেই এনেবোৰ বর্ণনাকাৰী আছে যিসকলৰ অধিাকংশৰেই পৰিচয় অজ্ঞাত। আৰু কিছুমান বর্ণনাকাৰী খুব দূর্বল। গতিকে হাদীছটি নিশ্চিতভাৱে জাল।[2] এই নামাজ কোনে কেতিয়া কেনেকৈ চালু কৰিলে? ইমাম ত্বৰতূছী (ৰহ:)-য়ে কৈছে: শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে ৰাতি এশ ৰাকআত নামাজ পঢ়াৰ পদ্ধতি সর্বপ্রথম যিজন ব্যক্তিয়ে চালু কৰে তাৰ নাম হ’ল ইব্‌নু আবুল হামৰা। তেওঁ আছিল ফিলিষ্টাইনৰ নাবলুছ চহৰৰ অধিবাসী। তেওঁ ৪৪৮ হিজৰী চনত বাইতুল মুকাদ্দাছলৈ আহে। তেওঁৰ কুৰআন তিলাওৱাত আছিল খুব সুন্দৰ। তেওঁ শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে ৰাতি মছজিদুল আক্কছালৈ আহি নামাজ আৰম্ভ কৰে আৰু এজন ব্যক্তি তেওঁৰ পিছত ইক্তেদা কৰে। ইয়াৰ পিছত আৰু এজন আহে। কিছুসময়ৰ পিছত আৰু এজন। এনেদৰে নামাজৰ শেষত দেখা গ’ল বিৰাট এটা জামাআতত পৰিণত হৈছে। পৰৱর্তী বছৰ শ্ববে বৰাতত পুনৰ সেই ব্যক্তিৰ সৈতে প্রচুৰ পৰিমাণ মানুহে নামাজত শ্বৰীক হয়। এনেদৰে এই নামাজ মছজিদে আক্বছাসহ বিভিন্ন মছজিদত পঢ়া আৰম্ভ হয়। কিছুমান মানুহে নিজৰ ঘৰত এই নামাজ পঢ়া আৰম্ভ কৰি দিলে। পৰিশেষত এনে অৱস্থা আহি পৰিল যেন এইটো এটি ছুন্নাত।[3] অনুৰূপভাৱে কেৱল চৌধ্য তাৰিখে দিনত ৰোজা ৰখাও বিশুদ্ধভাৱে প্রমাণিত নহয়। বৰং আল্লাহৰ নাবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ ছুন্নাত হ’ল, শ্বাবান মাহৰ প্রথমৰ পৰাই বেছি বেছি নফল ৰোজা ৰখা। বিশেষভাৱে এই দিনটোত ৰোজা ৰখাৰ কোনো ভিত্তি নাই। ২) হালুৱা-ৰুটি খোৱা: শ্ববে বৰাত উপলক্ষ্যে ঘৰে ঘৰে হালুৱা-ৰুটি খোৱাৰ প্ৰৱণতা আহি যায়। কেৱল সেয়াই নহয় বৰং সেই দিনা গৰীব মানুহেও টকা ধাৰ কৰি হ’লেও মাছ-মাংস কিনি খায়। কাৰণ, সেই দিনা যদি ভাল কিবা খোৱা যায় তেনেহ’লে হেনো গোটেই বছৰ ভাল বস্তু খাবলৈ পোৱা যায় আৰু হালুৱা-ৰুটি খোৱাৰ কাৰণ হিচাবে কোৱা হয়, নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে ওহুদ যুদ্ধত দাঁত ভঙাৰ পিছত টান বস্তু খাব পৰা নাছিল। সেইকাৰণে তেওঁৰ প্রতি সমবেদনা জনোৱাৰ উদ্দেশ্যে সেইদিনা হালুৱা ৰুটি খোৱা হয়। কিন্তু ইয়াৰ বাস্তৱতা কি? প্রথমতে: আমি জানোঁ ওহুদৰ এক ৰক্তক্ষয়ী যুদ্ধত কাফিৰসকলৰ আঘাতত নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ দাঁত ভাঙি গৈছিল। কিন্তু সেই যুদ্ধ শ্বাবান মাহত হোৱা নাছিল। বৰং ওহুদ যুদ্ধ হৈছিল ৩য় হিজৰী শ্বাওৱাল মাহৰ সাত তাৰিখে। তেনেহ’লে এই সমবেদনা শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে কি কাৰণত কৰা হয়? দ্বিতীয়তে: তেওঁ নৰম খাদ্য কেৱল এদিনৰ বাবে খাইছিল নেকি? তেনেহ’লে এয়া কেনে ভালপোৱা? আপুনি শ্বাবান মাহৰ পোন্ধৰ তাৰিখে অলপ হালুৱা-ৰুটি খালে পুনৰ কিছুসময় পিছত গৰুৰ মাংসৰেও এসাজ পৰম তৃপ্তিৰে ভক্ষণ কৰিলে!!! তৃতীয়তে: ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে তো কাফিৰসকলৰ সৈতে এক কঠিন ৰক্তক্ষয়ী যুদ্ধত বীৰৰ দৰে যুদ্ধ কৰি তেওঁৰ পবিত্র দাঁত হেৰুৱাইছিল¸ কিন্তু আমাৰ এই নবীভক্তসকলৰ অধিকাংশৰেই অৱস্থা হ’ল, আল্লাহৰ নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামে ৰাখি থৈ যোৱা সাধাৰণ ছুন্নাতসমূহো পালন নকৰে। ছুন্নাত বাদেই বহুতে ফৰজ নামাজেই ঠিকমতে আদায় নকৰে। যিসকলে পঢ়ে তেওঁলোকৰো সৰহ সংখ্যকৰে নামাজৰ পদ্ধতি ছহীহ হাদীছসন্মত নহয়। ইমাম আবু হানিফা (ৰহঃ)-ৰ নামত হিদায়া-কুদৰী-ফতোৱায়ে আলমগিৰিৰ লগতে বিভিন্ন ধৰণৰ কুৰআন হাদীছৰ দলীলবিহীন নামাজ শিক্ষাৰ মনেগঢ়া পদ্ধিতত নামাজ পঢ়ি আছে¸ যিবোৰৰ ছহীহ হাদীছৰ লগত কোনো মিল নাই। অথচ ইবাদাত কবুল হোৱাৰ এটা গুৰুত্বপূৰ্ণ চৰ্তই হ’ল নবী চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ পদ্ধতি। এইটোৱেই হ’ল এওঁলোকৰ তথাকথিত ভালপোৱাৰ নমুনা। ৩) ছবি আৰু মূর্তি তৈয়াৰ কৰা: শ্ববে বৰাত উপলক্ষ্যে দেখা যায় নানা ৰং-বিৰঙৰ ছবি আৰু মূর্তিৰ আৰ্হিত তৈয়াৰ কৰা মিঠাইৰে বজাৰ ভৰি পৰে। অথচ ছবি আৰু মূর্তি-প্ৰতিকৃতি ইত্যাদি তৈয়াৰ কৰা ইছলামত হাৰাম। আকৌ আল্লাহে দিয়া ৰিযিকক লৈ এনেকুৱা খেল-তামাচা!!! ৪) মীলাদ আৰু যিকিৰ: শ্ববে বৰাত উপলক্ষ্যে মছজিদ, খানকাহ আৰু দৰগাহসমূহত আৰম্ভ হয় মীলাদ মাহফিল। চলে মিষ্টি খোৱাৰ ধুম। চলি থাকে বিদআতী পন্থাত গৰম যিকিৰৰ মজলিছ। এই সকলো কাম দ্বীনৰ মাজত নৱ-আৱিষ্কৃত বিদআতৰ বাহিৰে আন একো নহয়। ৫) কবৰ যিয়াৰত: এক শ্রেণীৰ মানুহে এই ৰাতি কবৰস্থান বা মাযাৰ জিয়াৰত কৰিবলৈ যায়। আনকি কিছুমান ঠাইত এই প্রথাও দেখা যায় যে, এদল মানুহে এই ৰাতি ধাৰাবাহিকভাৱে এলাকাৰ সকলো কবৰ যিয়াৰত কৰি থাকে। এওঁলোকৰ দলীল হ’ল, শ্বাবান মাহত ৰাছূলুল্লাহ চাল্লাল্লাহু আলাইহি ৱাছাল্লামৰ বাকী কবৰস্থান যিয়াৰতৰ হাদীছ। অথচ মুহাদ্দিছসকলে উক্ত হাদীছটি জাল হিচাবে সাব্যস্ত কৰিছে। ৬) আলোক সজ্জা কৰা আৰু আতচবাঁজী কৰা : শ্ববে-বৰাত উপলক্ষ্যে ৰাষ্টা-ঘাট, ঘৰ-বাৰী, মছজিদ, বিভিন্ন অনুষ্ঠান-প্রতিষ্ঠান ইত্যাদি আলোকসজ্জাৰে সজোৱা হয়। সেই ৰাতি আশ্চর্যজনকভাৱে চলিয়েই থাকে আতচবাঁজী বা ফটকা ফুটোৱা অনুষ্ঠান। মূলত: এইবোৰ কামৰ জৰিয়তে এফালে কেৱল লক্ষ লক্ষ টকাৰ অপচয় কৰাই নহয় বৰং এইবোৰ অগ্নি পুজকসকলৰ সৈতে সাদৃশ্যপূর্ণ। ৭) মৃতসকলৰ আত্মাৰ দুনিয়াত পূণৰাগমণৰ বিশ্বাস: এই উপলক্ষ্যে দেখা যায় মহিলাসকলে ঘৰ-বাৰী পৰিষ্কাৰ-পৰিচ্ছন্ন কৰি আঁতৰ-সুগন্ধি লগাই পৰিপাটী কৰি ৰাখে। বিশেষকৈ বিধবা মহিলাসকলে এনেকুৱা কৰে। আনকি তেওঁলোকে কিছুমান খোৱা-বস্তু এটুকুৰা কাপোৰত পুৰি ঘৰত ওলোমাই ৰাখে। কাৰণ, তেওঁলোকৰ বিশ্বাস হ’ল, তেওঁলোকৰ মৃত স্বামী-স্বজনসকলৰ আত্মা এই ৰাতি মুকলি হৈ নিজ নিজ পৰিবাৰৰ সৈতে দেখা কৰিবলৈ আহে। এইটো যে কিমান ডাঙৰ মূর্খতা তাক একমাত্র আল্লাহে জানে। মানুহৰ মৃত্যু হ’লে তেওঁলোকৰ আত্মা বছৰৰ কোনো এটি সময়ত পুনৰ দুনিয়ালৈ উভতি অহা মুছলিমসকলৰ আকীদাহ নহয়। বৰং বহু ক্ষেত্ৰত সেইটো হিন্দুয়ানী আকীদাৰ সৈতে সামঞ্জস্যপূৰ্ণ। এনেকুৱা অসংখ্য বিদাত আৰু শ্বিৰ্কেৰে আজি আমাৰ সমাজখন ভাৰাক্ৰান্ত। শেষত আল্লাহৰ ওচৰত দোৱা কৰিছোঁ যাতে আমাৰ মুছল্লি ভাইসকলক সকলো প্ৰকাৰ বিদাত আৰু শ্বিৰ্কৰ পৰা হিফাজাতে ৰাখে। [1] ইমাম গাজ্জালী (ৰহ.)-য়ে এই পদ্ধতিটো এহিয়া উলুমুদ্দীন কিতাবত উল্লেখ কৰিছে। চাওঁক: ১ম খণ্ড ২০৩ পৃষ্ঠা। [2] আল মাউযূআত ২য় খণ্ড ১২৭-১৩০ পৃষ্ঠা। [3] আত্‌ ত্বাৰতুশী ৰচিত আত্‌তাহযীৰ মিনাল বিদা। পৃষ্টা: ১২১ ও ১২২। আহক! হৃদয় দি অনুধাৱন কৰোঁ, সঠিক ইছলাম জানোঁ, বাতিলক বর্জন কৰোঁ, নিজকে শ্বিৰ্ক আৰু বিদাতৰ কবলৰ পৰা ৰক্ষা কৰোঁ। আল্লাহে আমাক হিফাজাত কৰক, আমীন।(post prepared by..Juber Rahman )
    Sogood Islam Syeds
  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 12:06am

  • Sogood Islam Syeds
    5/22, 12:18am